আল ফিতন

بدؤ فتنة الشام

পৃষ্ঠা - ৬৫৫
আব্দুর রহমান ইবনে যুবায়ের ইবনে নুফাইর, রোমের সম্রাট থেকে বর্ননা করেন:

তিনি বলেন, আমাদের এবং আরব বাসীদের উদাহরন হচ্ছে, সেই ব্যক্তির ন্যায়, যার একটি ঘর ছিল এবং সেই ঘরে একটি গোত্রকে থাকতে দিয়ে বলল, তোমরা শান্তি-শৃংঙ্খলা বজায় রেখে এখানে অবস্থান করবে। খবরদার! কোনো ধরনের ফিৎনা-ফাসাদ এবং বিশৃংঙ্খলা করবেনা। যদি এরকম কিছুর আভাস পাই তাহলে কিন্তু তোমাদেরকে বের করে দিব।

তারা অনেক দিন পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করল। অতঃপর কিছুদিন পর জানা গেল যে, তারা বিভিন্ন ধরনের বিশৃংঙ্খলায় লিপ্ত হয়ে পড়েছে। যার কারনে তাদেরকে বের করে দিয়ে অন্য আরেক গোত্রকে থকতে দিল এবং পূর্বের লোকদের থেকে যেমন শর্ত নিয়েছিল এদের উপরও কোনো ধরনের বিশৃংঙ্খলা না করার শর্ত আরোপ করে।

ঘর হচ্ছে, শাম দেশ, ঘরের মালিক হচ্ছে আল্লাহ তা’আলা, আর ঘরে অবস্থাকারী হচ্ছে,বনী ইসরাঈল তারা দীর্ঘদিন পর্যন্ত শামের বাসিন্দা ছিল, অতঃপর তারা বিভিন্ন ধরনের ফিৎনা-ফাসাদ ও বিশৃংঙ্খলায় লিপ্ত হয়ে পড়ে। যার কারনে মালিক জানতে পেরে তাদেরকে সেখান থেকে বের করে দেয়।

এরপর সেখানে আমরা দীর্ঘদিন পর্যন্ত অবস্থান করতে থাকি। পরবর্তিতে আমাদের খবর জানা গেল, আমরাও নানান ধরনের বিশৃংঙ্খলায় লিপ্ত হয়ে গিয়েছি। যার কারনে আমাদেরকে বের করে দিয়েছে।

হে আরববাসী তোমাদেরকে থাকতে দেয়া হয়। যদি তোমারা ভালো ভাবে জীবন যাপন করতে পারো তাহলে তোমরাই হবে এর স্থায়ী বাসিন্দা। আর যদি তোমরাও ফিৎনা-ফাসাদ এবং গুনাহের কাজে লিপ্ত হয়ে যাও তাহলে তোমাদের পূর্ববর্তীদের মত তোমাদেরকেও বের করে দেয়া হবে।
حدثنا بقية وعبد القدوس
والحكم بن نافع عن صفوان عن عبد الرحمن ابن جبير بن نفير
عن هرقل عظيم الروم
قال مثلنا ومثل العرب كرجل كانت له دار فأسكنها قوما فقال اسكنوا ما أصلحتم وإياكم
أن تفسدوا فأخرجكم منها فعمروها زمانا ثم أطلع إليهم وإذا هم قد أفسدوها فأخرجهم
عنها وجاء بآخرين فأسكنهم أياها واشترط عليهم كما إشترط على الذين من قبلهم فالدار
الشام وربها الله تعالى أسكنها بني إسرائيل فكانوا أهلها زمانا ثم غيروا وأفسدوا
فاطلع إليهم فأخرجهم منها واسكنا بعدهم زمانا ثم اطلع إلينا فوجدنا قد غيرنا
وأفسدنا فأخرجنا منها وأسكنكم إياها معشر العرب فإن تصلحوا فأنتم أهلها وإن تغيروا
وتفسدوا أخرجكم عنها كما أخرج من كان قبلكم
পৃষ্ঠা - ৬৫৬
কা’ব রহঃ থেকে বর্নিত, শাম দেশে মোট তিন ধরনের ফিৎনা দেখা দিবে। একটি ফিৎনা হচ্ছে, অবাধ রক্তপাতের ফিৎনা, দ্বিতীয় ফিৎনা হচ্ছে, আত্নীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন ও সম্পদ ছিনিয়ে নেয়ার ফিৎনা। উক্ত ফিৎনার সাথে সম্পৃক্ত হবে মারিবের ফিৎনা, যা মূলতঃ অন্ধ ফিৎনা হিসেবে প্রসিদ্ধি লাভ করবে।
حدثنا عبد الله بن مروان عن
أرطاة عن تبيع
عن كعب قال ث
لاث فتن تكون بالشام
فتنة إهراقة الدماء وفتنة قطع
الأرحام ونهب الأموال ثم يليها
فتنة المغرب
وهي العمياء
পৃষ্ঠা - ৬৫৭
ইবনে কুররা তার পিতা কুররা ইবনে হায়দা রাযিঃ থেকে বর্নিত, তিনি রাসূলুল্লাহ সঃ থেকে বর্ননা করেন, রাসূলুল্লাহ সঃ এরশাদ করেন, শামবাসী ধ্বংস হলে আমার উম্মতের জন্য তেমন কোনো কল্যান বয়ে আনবে না।
حدثني شيخ من
البصريين يكنى أبا هارون عن شعبة بن الحجاج عن معاوية بن قرة
عن أبيه عن النبي
صلى الله عليه وسلم قال إذا هلك أهل الشام فلا خير في أمتي
পৃষ্ঠা - ৬৫৮
ইবনে ফাতেক আসাদী থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, শামবাসীরা জমীনে আল্লাহ তালার পক্ষ থেকে শাস্তি দেয়ার যন্ত্র বেত এর ন্যায়, যাদের সহায়তায় যার থেকে ইচ্ছা প্রতিশোধ নিতে পারে। মুনাফিকদের জন্য মুসলমানদের উপর বিজয়ী হওয়া হারাম, এবং তারা চিন্তিত ও পেরেশান অবস্থায় মারা যাবে।
حدثنا
الوليد بن مسلم عن محمد بن أيوب سمع أباه سمع ابن فاتك الأسدي يقول أهل الشام سوط
الله في أرضه ينتقم بهم ممن يشاء من عباده وحرام على منافقيهم أن يظهروا على
مؤمنيهم ولا يموتوا إلا غما وهما
পৃষ্ঠা - ৬৫৯
সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাযিঃ থেকে বর্নিত, তিনি এরশাদ করেন, প্রত্যেক ফিতনা বড়ই কঠিন। এবং সেই ফিতনাই একদিন প্রকাশ পাবে শাম নামক দেশটিতে। আর যখন উক্ত শামদেশে ফিতনার উদ্ভব হবে তখনই চতুর্দিকে অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যাবে।
حدثنا الوليد عن إسماعيل بن رافع عمن
حدثه
عن أبن مسعود رضى الله عنه قال كل فتنة شوى حتى تكون بالشام فإذا كانت
بالشام فهي الصليم وهي الظلمة
পৃষ্ঠা - ৬৬০
কা’ব রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, প্রতিটি ফিৎনা প্রাথমিক অবস্থায় থাকবে, যতক্ষন পর্যন্ত সেটা শাম দেশে প্রকাশ হবেনা। যখনই শাম দেশে উক্ত ফিৎনা দেখা দিবে তখন বুঝতে হবে, সেটা চুড়ান্ত রুপ নিয়েছে।
حدثنا عبد الوهاب الثقفي عن أيوب عن أبي
قلابة
عن كعب قال لا تزال
الفتنة مؤامر بها ما لم تبدو من الشام
পৃষ্ঠা - ৬৬১
আবুল আলিয়া রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি বললেন, হে লোক সকল! যতক্ষন পর্যন্ত শামের দেশের দিক থেকে কোনো ফিৎনা আসবেনা, ততক্ষন তোমরা সেটাকে কোনো ফিৎনাই মনে করোনা। যখনই শামের দিক থেকে ফিৎনা আসবে,সেটাই হবে অন্ধ ফিৎনা।
قال عبد
الوهاب وحدثني المهاجر أبو مخلد عن أبي العالية
قال أيها الناس
لا تعدوا
الفتن
شيئا حتى تأتي
من قبل الشام وهي
العمياء
পৃষ্ঠা - ৬৬২
কা’ব রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি এরশাদ করেন, পশ্চিম দিকের দ্বারা বুঝা যায় যে, সেটা হবে অন্ধকার ফিৎনা।
حدثنا الوليد بن مسلم عن عبد الجبار بن رشيد الأزدي عن أبيه عن
ربيعة القصير عن تبيع
عن كعب قال الغربية هي العمياء
পৃষ্ঠা - ৬৬৩
সাফওয়ান ইবনে আব্দুল্লাহ রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, সিফ্ফিন যুদ্ধের দিন জনৈক লোক শামবাসীদেরকে লা’নত করলে সাথে সাথে হযরত আলী রাযিঃ বললেন, থামো! শামবাসিদেরকে কক্ষনো লা’নত করোনা। তারা বিরাট এক বাহিনী, নিঃসন্দেহে আব্দাল তাদের থেকে প্রকাশ পাবে।
عن ابن المبارك
اخبرنا معمر عن الزهري
عن صفوان بن عبد الله أن رجلا قال يوم صفين اللهم العن
أهل الشام فقال له علي رضى الله عنه مه لا تسب أهل الشام جم غفير فإن فيهم الأبدال
পৃষ্ঠা - ৬৬৪
আলী ইবনে আবু তালহা, কা’ব রহ থেকে বর্ননা করেন, তিনি এরশাদ করেন, নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা এ পৃথিবীকে পাখির মত করে সৃষ্টি করেছেন এবং তার উভয় ডানা থেকে একটি রেখেছেন পূর্বদিকে, অন্যটি পশ্চিম দিকে। মাথাটি রেখেছেন শাম দেশে এবং মাথার সামনের অংশ যেটার সাথে পাখির ঠোট রয়েছে সেটা রাখা হলো হিমস শহর।

অতঃপর যখনই তার ঠোট দ্বারা মানুষকে আঘাত করবে এবং তার আঘাত দিমাশক পর্যন্ত পৌছে যাবে। মূলতঃ সেখানেই থাকবে তার অন্তর। যখন তার অন্তর নাড়াচড়া দিয়ে উঠবে তখনই তার শরীরে শিহরন দেখা দিবে। তার মাথার জন্য ও দুটি অংশ থাকবে, একটি অংশ হবে দিমাশকের পূর্বাকাশে, অন্যটি হবে পশ্চিমাকাশে যা হিমসের দিকে থাকবে, সেটা হবে মূলতঃ ভারী অংশ। 

অতঃপর ধীরে ধীরে মাথার অংশটি উভয় ডানার পালক গুলো উপড়ে ফেলতে থাকবে।
حدثنا عبد القدوس وعمرو بن الحارث قالا حدثنا عبد الله بن سالم
الحمصي عن علي بن أبي طلحة
عن كعب قال إن الله تعالى خلق الدنيا بمنزلة الطائر
فجعل الجناحين المشرق والمغرب وجعل الرأس الشام وجعل رأس الرأس حمص وفيها المنقار
فإذا نقص المنقار الناس وجعل الجؤجؤ دمشق وفيها القلب فإذا تحرك القلب تحرك الجسد
وللرأس ضربتان ضربة من
الجناح المشرقي وهي على دمشق
وضربة من
الجناح الغربي وهي على
حمص
وهي أثقلها ثم يقبل الرأس على الجناحين فينتفهما ريشة ريشة
পৃষ্ঠা - ৬৬৫
সুলায়মন ইবনে হাতেব হিময়ারী রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, নিঃসন্দেহে শাম দেশে নানান ধরনের ফিৎনা প্রকাশ পাবে। যেখানে ফিৎনা এমন ভাবে আসবে যেন কূপের ভিতর পানি পতিত হচ্ছে, যা তোমাদের কাছে খুবই স্পষ্ট হয়ে উঠবে। এবং তোমরা ক্ষুধার কারনে অত্যান্ত লজ্জিত হবে। সে সময় রুটির ঘ্রান মেশকের ঘ্রান থেকেও বেশি পছন্দনীয় হয়ে উঠবে।
وحدثنا
بقية وأبو المغيرة عن صفوان بن عمرو عن سواد السكسكي
عن سليمان بن حاطب الحميري
قال ليكونن بالشام فتنة يردد فيها كما يردد الماء في السقاء تكشف عنكم وأنتم نادمون
عن جوع شديد فيكون ريح الجنز فيها أطيب من ريح المسك
পৃষ্ঠা - ৬৬৬
আবু আব্দুর রব তাবী রহঃ থেকে বর্ননা করেন, তিনি এরশাদ করেন, যখন তুমি শামে আকাশচুম্বি ভবন নির্মান হতে দেখবে এবং সেখানে এমন ধরনের গাছ লাগানো হবে, যা হযরত নূহ আঃ এর যুগেও লাগানো হয়নি তাহলে বুঝতে হবে তোমাদের প্রতি ফিৎনা ধেয়ে আসছে।
أخبرت عن عبد الرحمن
بن يزيد عن أبي عبد رب
عن تبيع قال إذا رأيت بالشام قصور البيض وؤسها إلى
السماء وغرس فيها الشجر ما لم يغرس في زمن نوح فقد نزل بك الأمر
পৃষ্ঠা - ৬৬৭
কা’ব রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, পৃথিবীর মূল বা মাথা হচ্ছে, শাম দেশে, তার উভয় ডানা হচ্ছে, মিশর এবং ইরাকে এবং লেজ হচ্ছে, হেজাজ ভুমিতে। আর সেই লেজের উপর বাজ পাখিরা মলত্যাগ করবে।
حدثنا
الحكم بن نافع عن صفوان بن عمرو عن شريح بن عبيد
عن كعب قال رأس الأرض الشام
وجناحاها مصر والعراق والذنباء الحجاز وعلى الذناباء يسلح الباز
পৃষ্ঠা - ৬৬৮
কা’ব রহঃ থেকে বর্নিত তিনি বলেন, দীর্ঘদিন পর্যন্ত মানুষ মাথায় আঘাত প্রাপ্ত হতে থাকবে।যখনই এভাবে মাথায় আঘাত প্রাপ্ত হবে অর্থাৎ, শাম দেশ আক্রান্ত হবে তখনই মানুষ ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে উপনীত হতে থাকবে।

হযরত কা’ব রহঃ কে মাথায় আঘাত প্রাপ্ত হওয়া সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বললেন, মাথায় আঘাত প্রাপ্ত হওয়ার অর্থ হচ্ছে, শাম দেশ বিরান হয়ে যাওয়া।
حدثنا ابن وهب عن عبد الله بن عمر عن أبي النضر
عن كعب قال لا يزال للناس مدة
حتى يقرع الرأس فإذا قرع الرأس يعني الشام هلك الناس قيل لكعب وما قرع الرأس قال
الشام يخرب
পৃষ্ঠা - ৬৬৯
কা’ব রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, শাম দেশের বিরান হওয়ার প্রায় চল্লিশ বৎসর পূর্বে পৃথিবীর অন্যান্য দেশ বিরান ও ধ্বংসে পরিনত হয়ে যাবে।
حدثنا ابن وهب عن معاوية بن صالح عن عبد الرحمن بن جبير عن
أبيه
عن كعب قال تخرب الأرض قبل الشام بأربيعين عاما
পৃষ্ঠা - ৬৭০
আবু হারুন আবদী রহঃ নউফ বুকালী থেকে বর্ননা করেন, তিনি এরশাদ করেন:

বসরাহ এবং মিসর পৃথিবীর যেন দুইটি ডানা। যখনই উভয় দেশ আক্রান্ত হয়ে ধ্বংস হয়ে যাবে তখনই কিয়ামত সংঘটিত হবে।
حدثنا ابن عبد
الوارث عن حماد بن سلمة عن أبي هارون العبدي عن نوف البكالي قال البصرة ومصر جناحا
الأرض فإذا خربا وقع الأمر
পৃষ্ঠা - ৬৭১
আবুল মুহাজ্জাম রহঃ বলেন, আমি বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আবু হুরায়রা রাযিঃ কে বলতে শুনেছি:

এ পৃথিবীটি হচ্ছে একটি পাখির ন্যায় এবং মিসর এবং বসরা হচ্ছে তার দুটি ডানা। যখনই উভয় দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে তখনই কিয়ামত সংঘটিত হবে। অর্থাৎ গোটা পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে।
حدثنا ابن عبد الوارث عن حماد بن سلمة عن أبي
المهزم
سمع أبا هريرة رضى الله عنه يقول مثلت الدنيا على طائر فالبصرة ومصر
جناحان وإذا خربا وقع الأمر
পৃষ্ঠা - ৬৭২
আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস রাযিঃ হতে বর্নিত তিনি বলেন শাম দেশে এমন ফিৎনা প্রকাশ পাবে যদ্বারা পৃথিবী থেকে ভালো ও নেককার লোকের সংখ্যা হ্রাস পাবে এবং খারাপ ও বদকার লোকের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকবে।
حدثنا ضمام بن إسماعيل سمع أبا قبيل يذكر
عن عبد الله بن عمرو قال تكون بالشام فتنة ترتفع فيها رشاها وأشرافها ثم يكثر
سفهاؤهم وسفلتهم فيها حتى يستعبد رؤساؤهم كما كانوا يستعبدوهم قبل ذلك
পৃষ্ঠা - ৬৭৩
সাঈদ ইবনুল মুসাইয়াব রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, শাম দেশে ব্যাপক ফিৎনা দেখা দিবে। যখনই উক্ত দেশের কোনো প্রান্তের ফিৎনা একটু শান্ত হবে, তখনই অন্য প্রান্তে উত্তপ্ত হয়ে উঠবে। এভেবে চলতে থাকবে যা কখনো স্থিতিশীল হবেনা, এক পর্যায়ে একজন ঘোষক আসমান থেকে ঘোষনা করবে, হে লোকসকল! নিঃসন্দেহে অমুক হচ্ছে, তোমাদের আমীর।
حدثنا ابن المبارك وعبد الرزاق عن معمر عن رجل
عن سعيد بن المسيب قال تكون
بالشام فتنة كلما سكنت من جانب طمت من جانب فلا تتناهى حتى ينادي مناد من السماء إن
أميركم فلان
পৃষ্ঠা - ৬৭৪
সাহাবী হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব রাযিঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি, আল্লাহ তা’আলা এক হাজার উম্মত সৃষ্টি করেছেন। তার মধ্যে ছয় শত জল ভাগে এবং চার শত হচ্ছে, স্থল ভাগে। এদের থেকে সর্বপ্রথম ফড়িং জাতীয় উম্মত বিলুপ্ত হবে। উক্ত ফড়িং বিলুপ্ত হওয়ার সাথে সাথে মুক্তা গাঁথা সূতা কেটে দিলে যেমন মুক্তাগুলো একেরপর এক ঝরে পড়তে থাকে, তেমনিভাবে এ উম্মতের উপরও ধ্বংস নেমে আসবে।
حدثنا عبيد بن واقد القيسي عن محمد بن عيسى الهثذلي عن
محمد بن المنكدر عن جابر بن عبد الله
عن عمر بن الخطاب رضى الله عنه قال سمعت
رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول خلق الله تعالى ألف أمة ستمائة في البحر وأربع
مائة في البر وأول شيء من هذه الأمم هلاكا الجراد فإذا هلكت تتابعت مثل النظام إذا
قطع سلكه
পৃষ্ঠা - ৬৭৫
সুলাইমান ইবনে হাতেব হিময়ারী রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, জনৈক লোক প্রায় চল্লিশ বৎসর হতে হযরত কা’ব থেকে শুনে আসছে যে, তিনি বলেন যখন ফিলিস্তিন দেশে ফিৎনা ব্যাপক আকার ধারন করবে, তখন কূপ বা কলসিতে পানি গড়িয়ে পড়ার ন্যায় শামের দিকে বিভিন্ন ধরনের ফিৎনা ধেয়ে আসবে। অতঃপর তাদের সামনে সবকিছু উম্মোচন হয়ে যায়, অথচ তখন তোমরা খুবই লজ্জিত ও নগন্য জাতি হবে।
حدثنا عثمان بن كثير عن محمد بن مهاجر قال حدثني أبو بشر عبد
الله بن عبد الرحمن عن أبي المضاء الكلاعي عن سليمان بن حاطب الحميري قال حدثني رجل
منذ أربعين سنة
سمع كعبا يقول
إذا ثارت فتنة فلسطين
فردد في الشام تردد الماء
في القربة ثم تنجلي حين تنجلي وأنتم قليل نادمون
পৃষ্ঠা - ৬৭৬
সাহাবী হযরত আবু হুরায়রা রাযিঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, চতূর্থ ফিৎনা হচ্ছে, অন্ধকার অন্ধত্বপূর্ন ফিৎনা, যা সমুদ্রের ঢেউয়ের ন্যায় উত্তাল হয়ে আসবে, আরব অনারবের কোনো ঘর বাকি থাকবেনা, প্রত্যেক ঘরেই উক্ত ফিৎনা প্রবেশ করবে। যদ্বারা তারা লাঞ্ছিত অপদস্ত হয়ে যাবে। যে ফিৎনাটি শাম দেশে চক্কর দিতে থাকলেও রাত্রিযাপন করবে ইরাকে। তার হাত পা দ্বারা আরব ভুখন্ডের ভিতরে বিচরন করতে থাকবে। উক্ত ফিৎনা এ উম্মতের সাথে চামড়ার সাথে চামড়া মিশ্রিত হওয়ার ন্যায় মিশ্রিত হয়ে যাবে। তখন বালা মুসিবত এত ব্যাপক ও মারাত্নক আকার ধারন করবে যদ্বারা মানুষ ভালো খারাপ নির্নয় করতে সক্ষম হবেনা। ঐ মুহুর্তে কেউ উক্ত ফিৎনা থামানোর ও সাহস রাখবেনা। একদিকে একটু শান্তির সুবাতাস বইলেও অন্যদিকে তীব্র আকার ধারন করবে। সকালে কেউ মুসলমান থাকলেও সন্ধা হতে হতে সে কাফের হয়ে যাবে। উক্ত ফিৎনা থেকে কেউ বাঁচতে পারবেন, কিন্তু শুধু ঐ লোক বাঁচতে পারে, যে সমুদ্রে ডুবন্ত ব্যক্তির ন্যায়। করুন সুরে আকুতি জানাতে থাকে। সেটা প্রায় বারো বৎসর পর্যন্ত স্থায়ী থাকবে। এক পর্যায়ে সকলের কাছে সবকিছু স্পষ্ট হয়ে উঠবে। ইতোমধ্যে ফুরাত নদীতে স্বর্নের একটি ব্রিজ প্রকাশ পাবে। যা দখল করার জন্য সকলে যুদ্ধে জড়িয়ে যাবে এবং প্রতি নয় জনের সাতজন মারা পড়বে।
قال محمد بن مهاجر
وحدثني بن ميمون عن صفوان بن عمرو
عن أبي هريرة رضى الله عنه قال
الفتنة الرابعة عمياء مظلمة تمور مور
البحر لا يبقى بيت من العرب والعجم إلا ملأته ذلا وخوفا تطيف بالشام وتعشى بالعراق
وتخبط بالجزيرة بيدها ورجلها تعرك الأمة فيها عرك الأديم ويشتد فيها البلاء حتى
ينكر فيها المعروف ويعرف فيها المنكر لا يستطيع أحد يقول مه مه ولا يرقعونها من
ناحية إلا تفتقت
من ناحية يصبح الرجل فيها مؤمنا ويمسي كافرا ولا ينجو منها
إلا من دعا كدعاء الغرق في البحر
تدوم إثنى عشر عاما
تنجلي حين
تنجلي وقد إنحسرت
الفرات عن جبل من ذهب
فيقتلون عليها حتى تقتل من كل تسعة سبعة
পৃষ্ঠা - ৬৭৭
হযরত ইবনে আউন, বিশিষ্ট তাবেঈ মুহাম্মদ ইবনে সীরিন রহঃ থেকে বর্ননা করেন, তিনি কোথাও বসলে, উপস্থিত লোকজনকে জিঙ্গাসা করতেন, খুরাসানের দিক থেকে কি কোনো সংবাদ এসেছে? শামের দিক থেকে কোনো সংবাদ এসেছে কি? হাদীস বর্ননা কারী বলেন জমরা ইবনে শাউযাব মুহাম্মদ ইবনে সীরিন থেকে বর্ননা করেছেন, আলা ইবনে যিয়াদের মেয়েদেরকে শাম থেকে ইতিপূর্বে বিতাড়িত করা হয়েছে। যা শুনে আমরা বলতে থাকলাম, নিঃসন্দেহে শাম দেশে মারাত্মক কোনো অঘটন ঘটেছে।
حدثنا ضمرة
عن رجاء بن أبي سلمة عن ابن عون
عن ابن سيرين أنه كان إذا جلس قال هل جاءكم شيء
من قبل خراسان هل جاءكم شيء من قبل الشام
قال ضمرة قال ابن شوذب عن ابن سيرين
أنه قال أما لبنات العلاء بن زياد من يخرجهن من الشام فإنا كنا نتحدث أنه يكون
بالشام فتنة
ما يذكر من غلبة سفلة الناس وضعفائهم