ما يذكر من علامات من السماء فيها في انقطاع ملك بني العباس
পৃষ্ঠা - ৬২২
হযরক কা’ব রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, বনু আব্বাসের রাজত্ব পতন হওয়ার অন্যতম লক্ষণ হচ্ছে, আসমানের বুকে এক প্রকার লাল বর্ণের আত্মপ্রকাশ করা এবং সেটা রমাযানের দশ তারিখ থেকে পনের তারিখ পর্যন্ত স্থায়ী হবে। আরেক ধরনের জীর্ণতা দেখা দিবে যা বিশ রমাযান প্রকাশিত হয়ে চব্বিশ রমাযান পর্যন্ত থাকবে। একটি তারকা উদিত হবে যেটা পূর্নিমার রাত্রির মত উজ্জল হয়ে হঠাৎ বাঁকা হয়ে যাবে। হাদীস বর্ণনাকার ওলীদ বলেন, আমার নিকট হযরত কা’ব থেকে সংবাদ এসেছে, তিনি বলেন, পূর্বদিকের এলাকায় দুর্ভিক্ষ দেখা দিবে, পশ্চিমে জীর্ণতা প্রকাশ পাবে, আসমানে লালিমা দৃশ্যায়ন হবে এবং কেবলার দিকে ব্যাপকহারে মানুষ মারা যাবে।
حدثنا الوليد بن مسلم
حدثنا شيخ عن يزيد بن الوليد الخزاعي
عن كعب قال علامة انقطاع ملك ولد العباس
حمرة
تظهر في جو السماء وهذه تكون فيما بين العشر من رمضان إلى خمس عشرة و
واهية
فيما بين العشرين إلى الرابع والعشرين من رمضان و
نجم يطلع من المشرق يضيء كما يضيء
القمر
ليلة البدر ثم ينعقف
قال الوليد وبلغني عن كعب أنه قال قحط في المشرق
وواهية في المغرب وحمرة في الجوف وموت فاشي في القبلة
পৃষ্ঠা - ৬২৩
হযরত আবু জাফর রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি এরশাদ করেন, যখন বনু আব্বাছে রাজত্বের বিস্তৃতি খোরাছান পর্যন্ত গিয়ে পৌঁছবে তখন পশ্চিমাকাশে আলোকিত একটি শিং জাতীয় বস্তু প্রকাশ পাবে। এভাবে আলামত পাওয়া যাওয়া নূহ আঃ এর কওমে পানিতে ডুবিয়ে মারার আগেও পাওয়া গিয়েছিল। তেমনিভাবে হযরত ইবরাহীম আঃ কে নমরূদ কর্তৃক আগুনে নিক্ষেপ করার আগেও প্রকাশ পেয়েছিল। যখন আল্লাহ তাআলা ফেরআউনকে তার দলবলসহ ধ্বংস করেছিলেন তখনও সেটা উদিত হয়েছিল, হুবহু সেটা দেখা গিয়েছিল যখন ইয়াহইয়া ইবনে যাকারিয়া আঃ কে শহীদ করা হয়েছিল। সুতরাং তোমরা সেই তারাটি দেখতে পেলে যাবতীয় ফেৎনার অনিষ্টতা থেকে আল্লাহ তাআলার দরবারে পানাহ চাও। সেই তারকাটি উদিত হয়েছিল, চন্দ্র-সূর্য গ্রহন নেয়ার পর। তারপর আর বেশিদিন অপেক্ষা করতে হয়নি,এক পর্যায়ে মিশরে আরকা’বাহিনীর আবির্ভাব হয়ে যায়।
حدثنا سعيد أبو
عثمان عن جابر
عن أبي جعفر قال إذا بلغ العباس خراسان
طلع بالمشرق القرن ذو
الشفا وكان أول ما طلع بهلاك قوم نوح
حين غرقهم الله وطلع في زمان إبراهيم عليه
السلام حيث ألقوه
في النار وحين أهلك الله فرعون ومن معه وحين قتل يحيى بن زكريا
فإذا رأيتم ذلك فاستعيذوا بالله من شر
الفتن
ويكون طلوعه بعد انكساف الشمس والقمر
ثم لا يلبثون حتى
يظهر
الأبقع
بمصر
পৃষ্ঠা - ৬২৪
হযরত ইবনে শিহাব যুহরী রহঃ কর্তৃক বর্ণিত, তিনি এরশাদ করেন, সুফিয়ানীর আগমনের পরপর আসমানে বিভিন্ন ধরনের আলামত দেখতে পাবে।
حدثنا الوليد عن شيخ
عن الزهري قال في خروج
السفياني ترى علامة في السماء
পৃষ্ঠা - ৬২৫
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাযিঃ হতে বর্ণিত, তিনি এরশাদ করেন, সফর মাসে নির্দশন প্রকাশ পাওয়ার পর আসমানে একাধিক লেজ বিশিষ্ট তারকা উদিত হবে।
حدثنا رشدين عن ابن لهيعة عن عبد
العزيز بن صالح عن علي بن رباح عن ابن مسعود قال تكون علامة في صفر و
يبتدأ نجم له
ذناب
পৃষ্ঠা - ৬২৬
হযরত মাকহৃল রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ এরশাদ করেন, আসমানে একটি লক্ষণ প্রকাশ পাবে, দুই রাত্র অতিবাহিত হওয়ার পর, শাওয়াল মাসে গুরুত্বপূর্ন বিষয় প্রকাশ পাবে, জিলক্বদ মাসে ব্যাপক আচরন দেখা দিবে। জিলহজ্ব মাসে আবির্ভাব ঘটবে বিভিন্ন বালা-মসিবতের। মুহাররমে কি হবে তা বলাই যায়না। বর্ণনাকারী আব্দুল ওয়াহাব ইব্নে বুখ্ত বলেন, আমাদের কাছে সংবাদ পৌঁছেছে রাসূলুল্লাহ সাঃ এরশাদ করেন, রমাযান মাসে আসমানে একটি আলামত প্রকাশ পাবে যা হবে উজ্জল একটি পিলারের ন্যায়। শাওয়াল মাসে বিভিন্ন বালা-মসিবত দেখা দিবে, জিলক্বদ মাসে ধ্বংস হয়ে যাবে এবং জিলহজ্ব মাসে হারাম শরীফের উদ্দেশ্যে রওয়ানাকারীদেরর ছিনতাই করা হবে। আর মুহাররম মাসের কথা তো কিই বা বলব।
قال ابن لهيعة فأخبرني عبد الوهاب بن بخت
عن مكحول قال قال رسول
الله صلى الله عليه وسلم في السماء
أية
لليلتين خلتا و وفي
شوال
المهمة وفي
ذي
القعدة
المعمعة وفي
ذي الحجة
النزائل وفي
المحرم
وما المحرم
قال عبد الوهاب بن
بخت وبلغني أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال في
رمضان
آية في السماء كعمود ساطع
وفي
شوال
البلاء وفي
ذي القعدة
الفناء وفي ذي الحجة ينتهب الحاج المحرم وما المحرم
পৃষ্ঠা - ৬২৭
হযরত আব্দুল গাফ্ফার রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি সুফিয়ান আল-কালব্বী থেকে বর্ণনা করেন, এরশাদ হচ্ছে, সপ্তম মাসে বিভিন্ন বালা-মসীবত দেখা দিবে, অষ্টম মাসে সবকিছু ধ্বংস হয়ে যাবে এবং নবম মাসে ব্যাপক দুর্ভিক্ষ আসবে।
حدثنا رشدين عن ابن ليعة عن عبد الغفار
عن سفيان الكلبي قال في سبع
البلاء
وفي ثمان
الفناء
وفي تسع
الجوع
পৃষ্ঠা - ৬২৮
হযরত আবু হুরায়রা রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ সাঃ থেকে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ এরশাদ করেন, রমাযান মাসে একটি আলামত প্রকাশিত হবে। এরপর শাওয়াল মাসে এক দলের আত্মপ্রকাশ হবে। অতঃপর জিলক্বদ মাসে ব্যাপক বালা-মসিবত দেখা দিবে, জিলহজ্ব মাস আসলে হাজীদের রসদপত্র ছিনতাই করে নেয়া হবে। মুর্হারম মাসে সকলের সম্মাানের উপর চরম আঘাত করা হবে, অতঃপর সফর মাসে বিকট এক আওয়াজ শুনা যাবে, এরপর রাবিউল আওয়াল ও রবিউস্সানী মাসদ্বয়ে বিভিন্ন গোত্রের মধ্যে ঝগড়া-ফাসাদ হবে। রজব এবং জুমাদাল উলা ও জুমাদিউল উখ্রা মাসে অতি আশ্চর্য বিষয় আত্মপ্রকাশ করবে। এরপর তিনি বলেন, হাওদা বোঝাই উট বিনোদন সামগ্রী বোঝাই লক্ষ উটের চেয়ে উত্তম। আবু আব্দুল্লাহ নুআঈম রহঃ বলেন, আমি জানিনা, তবে শুনেছি মাসলামা ইব্নে আলীর কাছ থেকে ইনশাআল্লাহ! তার এবং কাতাদাহ এর মাঝে মাত্র একজন লোক রয়েছে।
حدثنا ابن وهب عن مسلمة بن علي عن
قتادة عن سعيد بن المسيب
عن ابي هريرة رضىالله عنه عن النبي صلى الله عليه وسلم
قال تكون
آية في شهر رمضان
ثم تظهر عصابة في شوال ثم تكون معمعة في ذي القعدة ثم
يسلب الحاج في ذي الحجة ثم تنتهك المحارم في المحرم
ثم يكون صوت
في صفر
ثم
تنازع القبائل في شهري ربيع ثم العجب كل العجب بين جمادي ورجب ثم ناقة مقتبة خير من
دسكرة بغل مائة ألف
قال أبو عبد الله نعيم لا أعلم إلا أني سمعت من مسلمة بن
علي إن شاء الله وبينه وبين قتادة رجل
পৃষ্ঠা - ৬২৯
হযরত সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মুসলমানদের কাছে এমন এক যুগ আসবে যখন রমাযান মাসে বিকট আওয়াজ শুনা যাবে, শাওয়াল মাসে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের আবির্ভাব হবে, জিলকদ্ব মাসে এক গোত্রের লোকজন অন্য গোত্রের উপর হামলে পড়বে। জিলহজ্ব মাসে হাজী সাহেবদের যাবতীয় রসদপত্র ছিনিয়ে নেয়া হবে। মুহাররম মাস সম্বন্ধে কি বলব; মুহাররম মাস, যেটা সম্বন্ধে কিই বা বলার আছে।
حدثنا الوليد عن صدقة بن يزيد عن
قتادة
عن سعيد بن المسيب قال يأتي على المسلمين زمان يكون منه
صوت في رمضان
وفي
شوال تكون مهمهة وفي ذي القعدة تنحاز فيها القبائل إلى قبائلها وذو الحجة ينهب فيه
الحاج والمحرم وما المحرم والمحرم وما المحرم
পৃষ্ঠা - ৬৩০
হযরত শহর ইব্নে হাওশব রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমাদের কাছে সংবাদ পৌছেছে, রাসূলুল্লাহ সাঃ এরশাদ করেন, রমাযান মাসে বিকট আওয়াজ প্রকাশ পাবে, শাওয়াল মাসে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় দেখা যাবে। জিলকদ মাসে বিভিন্ন গোত্রের মাঝে যুদ্ধ হবে। জিলহজ্ব মাসে হাজীদের সম্পদ ছিনিয়ে নেয়া হবে। মহররম মাসে আসমানে এক ঘোষক ঘোষণা করবে,শুনে রাখ, নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাআলার অকৃত্রিম বন্ধু হচ্ছে এমন লোক যার পিছনে অমুক ব্যক্তি রয়েছে। সুতরাং তোমরা তার কথা শুনো এবং অণগত কর।
حدثنا الوليد عن عنبسة
القرشي عن سلمة بن ابي سلمة
عن شهر بن حوشب قال بلغني أن رسول الله صلى الله
عليه وسلم قال يكون في
رمضان صوت
وفي شوال مهمهة وفي ذي القعدة تحارب القبائل وفي ذي
الحجة ينتهب الحاج وفي
المحرم ينادي منادى من السماء
ألا إن صفوة الله من خلفه فلان
فاسمعموا له وأطيعوا
পৃষ্ঠা - ৬৩১
আমর ইবনে শুআইব, স্বীয় পিতা এবং দাদা থেকে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ এরশাদ করেন, রমাযান মাসে বিকট আওয়াজ শুনা যাবে, শাওয়াল মাসে যোদ্ধাদের হুংকার চলবে, জিলক্বদ মাসে বিভিন্ন গোত্রের মাঝে যুদ্ধ বাঁধবে। সেই বৎসরই হাজীদের রসদপত্র ছিনতাই করা হবে, এবং মিনার ময়দানে ভয়াবহ যুদ্ধ সংঘটিত হবে। যার মধ্যে ব্যাপক গন হত্যা ও রক্তপাত হবে। সে অবস্থায় তারা আকাবাতুল জামাবায় থাকবে।
حدثنا أبو يوسف المقدسي عن عبد الملك بن أبي سليمان
عن عمرو بن شعيب عن أبيه
عن جده عن النبي صلى الله عليه وسلم قال يكون
صوت في
رمضان
ومعمعة في شوال وفي ذي القعدة تحارب القبائل وعامئذ ينتهب الحاج وتكون ملحمة
عظيمة بمنى يكثر فيها القتلى وتسيل فيها الدماء وهم على عقبة الجمرة
পৃষ্ঠা - ৬৩২
হযরত আব্দুল্লাহ ইব্নে আমর ইবনুল আস রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, সকলে একসাথে হজ্ব করবে, অন্য এক ইমামের উপর সকলে পরিচিত হবে। তারা এমন অবস্থায় থাকাকালীন তারা যখন মিনায় পৌঁছবে হঠাৎ তাদেরকে কুকুরের ন্যায় আটক করা হবে। ফলে একগোত্র অন্য আরেক গোত্রের উপর প্রাধান্য বিস্তার করতে গিয়ে যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে যাবে। যার কারণে গোটা আকাবা রক্তে রঞ্জিত হয়ে যাবে।
حدثنا أبو يوسف عن محمد بن عبد الله عن عمرو بن شعيب عن أبيه
عن عبد الله بن
عمرو رضى الله عنهما قال يحج الناس معا ويعرفون معا على غير إمام فبيناهم نزول بمنى
إذ أخذهم كالكلب فسادت القبائل بعضها إلى بعض فاقتتلوا حتى تسيل العقبة دما
পৃষ্ঠা - ৬৩৩
হযরত খালেদ ইব্নে মা’দান রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, অতিসত্ত্বর পূর্বদিক থেকে আগুনের তৈরি পিলারের ন্যায় এক নিদর্শন প্রকাশ পাবে। যেটা জমিনের সকলে দেখবে। তোমাদের কেউ এমন যুগ প্রাপ্ত হলে, সে যেন তার পরিবারের জন্য এক বৎসরের খোরাকী প্রস্তুত রাখে।
حدثنا عيسى بن يونس والوليد بن مسلم عن ثور بن يزيد
عن خالد بن معدان قال إنه
ستبدوا
آية عمودا من نار يطلع من قبل المشرق
يراه أهل الأرض كلهم فمن أدرك ذلك
فليعد لأهله طعام سنة
পৃষ্ঠা - ৬৩৪
হযরত কাসির ইব্নে মুররা আল হাজরনী রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রমাযান মাসে আসমানে বিভিন্ন আলামত প্রকাশ পেতে থাকলে মানুষের মাঝে ব্যাপক এখতেলাফ দেখা দিবে । তুমি এমন অবস্থা প্রাপ্ত হলে তোমার সাধ্যানুযায়ী খাবারের মজুদ করে রাখ।
قال الوليد فأخبرناصفوان بن عمرو عن عبد الرحمن بن
جبير ابن نفير
عن كثير بن مرة الحضرمي قال
آية الحدثان في رمضان
علامته في
السماء
.
بعدها اختلاف في الناس فإن أدركتها فأكثر من الطعام ما استطعت
পৃষ্ঠা - ৬৩৫
হযরত ইব্নে শিহাব যুহরী রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, দ্বিতীয় সুফিয়ানীর রাজত্ব এবং তার আবির্ভাবের মধ্যে এমন কতক আলামত রয়েছে, যা তুমি আকাশে দেখতে পাবে।
قال
الوليد فأخبرني شيخ
عن الزهري قال وفي ولاية السفياني الثاني وخروجه علامة ترى
في السماء
পৃষ্ঠা - ৬৩৬
হযরত কাসীর ইব্নে র্মুরা রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি এরশাদ করেন, সত্তর বৎসর থেকে আমি রমাযান মাসে আত্মপ্রকাশকারী নিদর্শনের অপেক্ষায় আছি।
حدثنا ابن وهب عن ابن عياش عن صفوان بن عمرو
عن عبد الرحمن
بن جبير
عن كثير بن مرة قال إني لأنتظر
آية الحدثان في رمضان منذ سبعين سنة
পৃষ্ঠা - ৬৩৭
হযরত কাসীর ইবনে র্মুরা থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি রমযান মাসে সত্তর বৎসর যাবত নতুন ঘটনাবলী সংঘটিত হওয়ার নিদশর্নের অপেক্ষা করছি।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম।
حدثنا جنادة بن عيسى عن أرطاة عن عبد الرحمن بن جبير
عن كثير بن
مرة قال إني لأنتظر آية الحدثان في رمضان منذ سبعين سنة
পৃষ্ঠা - ৬৩৮
হযরত আব্দুল্লাহ ইব্নে মাসউদ রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ এরশাদ করেছেন, যখন রমযান মাসের বিকট আওয়াজ প্রকাশিত হবে,শাওয়াল মাসে, যুদ্ধের ঝংকার শুনবে, জিলকদ মাসে বিভিন্ন গোত্রের মাঝে মতপার্থক্য দেখা দিবে, জিলহজ্ব মাসে রক্তপাত হবে। মুহাররম মাসে, মুহাররম কি? সে মাসে বিভিন্ন ধরনের মারামারি, হানাহানি, ঝগড়া-ফাসাদ চলতে থাকবে। একথাটি তিনি তিনবার বলেছেন। তিনি বলেন, আমরা বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ! যায়হাহ্ কি? জবাবে রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন, এটা অর্ধরমাযান মাসের জুমার রাত্রে প্রকাশ পাবে। যার কারণে ঘুমন্ত ব্যক্তিরা জাগ্রত হয়ে যাবে, দাড়ানো অবস্থায় থাকা লোকজন বসে যাবে, কুমারী নারীগন ভয়-আতঙ্কে পর্দার ভিতর থেকে বেরিয়ে আসবে। এটা হবে এক জুমার রাত্রিতে, এমন এক বৎসর যখন অধিকহারে ভুমিকম্প হবে। সুতরাং তোমরা জুমার দিন নামায আদায় করার সাথে সাথে ঘরে প্রবেশ করে দরজা-জানালা লাগিয়ে দিবে। নিজেদেরকে চাদরাবৃত করলেও কানকে সজাগ রাখবে। যখনই বিকট কোনো আওয়াজ শুনতে পাবে তখনই আল্লাহ্র দরবারে সেজদাবনত হয়ে যাবে এবং সুবহানাল কুদ্দুছ, সুবহানাল কুদ্দুছ বলতে থাকবে।
حدثنا أبو عمر عن
ابن لهيعة قال حدثني عبد الوهاب ابن حسين عن محمد بن ثابت البناني عن أبيه عن
الحارث الهمداني
عن ابن مسعود رضى الله عنه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال
إذا كانت
صيحة
في رمضان فإن يكون معمعة في شوال وتميز القبائل في ذي القعدة وتسفك
الدماء في ذي الحجة والمحرم وما المحرم يقولها ثلاثا هيهات هيهات يقتل الناس فيها
هرجا هرجا
قال قلنا وما
الصيحة
يا رسول الله
قال هذه في النصف من رمضان
ليلة جمعة فتكون
هدة
توقظ النائم وتقعد القائم وتخرج العواتق من خدورهن في ليلة
جمعة في سنة كثيرة الزلازل فإذا صليتم الفجر من يوم الجمعة فادخلوا بيوتكم واغلقوا
أبوابكم وسدوا كواكم ودثروا أنفسك وسدوا آذانكم فإذا حسستم بالصيحة فخروا لله سجدا
وقولوا سبحان القدوس سبحان القدوس ربنا القدوس فإن من فعل ذلك نجا ومن لم يفعل ذلك
هلك
পৃষ্ঠা - ৬৩৯
ওয়ালিদ হতে বর্নিত, তিনি বলেন, রমযান মাসের কিছু দিন অতিবাহিত হওয়ার পর আমরা দিমাশ্কবাসীদের উপর এক ধরনের ভুমিকম্প হতে দেখলাম|যদ্বারা ১৩৭ হিজরী সনের রমযান মাসে অনেক লোক মৃত্যু বরন করে।তবে খুরাস্তা নগরীতে যে ভূমিধসের কথা প্রসিদ্ধ রয়েছে আমরা দেখিনি। কিন্তু এক ধরনের লেজ বিশিষ্ট তারকা, যেটা ১৪৫ হিজরী সনের মুহাররম মাসে পূর্ব দিকে ফজরের সময় উদিত হয়েছিল, সেটা আমি দেখেছি।মুহাররমের কয়েকদিন বাকি থাকতে ফজরের পূর্ব মুহুর্তে সেটাকে দেখা গিয়েছিল, এরপর দ্রুত আবার গায়েব হয়ে যায়।এরপর সূর্য অস্ত যাওয়ার পর পশ্চিমাকাশে আবারো সেটাকে আমরা দেখতে পাই। অতঃপর ফুরাত নদী এবং তার পার্শ্বে খালি স্হানে প্রায় দীর্ঘ দুই-তিন মাস পর্যন্ত দেখা যায়। আর দুই-তিন বৎসর পর্যন্ত দেখা যায়নি।পরে আমরা আরো একটি আলোযুক্ত ছোট্র তারকা দেখতে পেলাম,যা প্রায় এক হাত পর্যন্ত আলো ছড়ায়।যার চতুর্পাশ্বে বিভিন্ন তারকা ঘুরতে থাকে।সেটা অবশ্যই জুমাদিউল উলা, জুমাদিউল উখরা এবং রজব মাসের কিছুদিন পর্যন্ত নিয়মিত উদিত হতে থাকে,এরপর আর দেখা যায়নি। কিছুদিন পর আমরা আরেকটি তারকা দেখতে পেলাম,যা তেমন উজ্জল ছিলনা।সেটা
মূলতঃউদিত হয়েছিল শাম দেশের ডান পার্শ্বে।ধীরে ধীরে তার আলো শাম থেকে জওফ এবং আরমেনিয়া পর্যন্ত ছড়াতে থাকে।উক্ত ঘটনাটি আমাদের মাঝে অলিগলি ও কক্ষপর্যন্ত সম্বনেধ অভিজ্ঞ লোককে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন,সে তারকাটি ঐ তারকার অন্তর্ভুক্ত নয়,যার জন্য আমরা অপেক্ষমান।বর্ননা কারী বলেন,আবু জাফরের হুকুমতের কয়েক বৎসর বাকি থাকতে আরেকটি তারকা দেখতে পায়।অতঃপর সেটা ধীরে ধীরে বাঁকা হতে থাকে, এক পর্যায়ে রাত্রের কিছু অংশে তার উভয় পার্শ্ব মিলিত হয়ে বেড়ির মত হয়ে যায়,
حدثنا الوليد قال رأينا رجفة أصابت أهل دمشق في أيام مضين من
رمضان فهلك ناس كثير في شر رمضان سنة سبع وثلاثين ومائة ولم نرما ذكر من الواهية
وهي الخسف الذي يذكر في قرية يقال لها حرستا و
رأيت نجما له ذنب طلع في المحرم
سنة
خمس وأربعين ومائة مع الفجر من المشرق فكنا نراه بين يدي الفجر بقية المحرم ثم خفي
ثم رأيناه بعد مغيب الشمس في الشفق وبعده فيما بين الجوف والفرات شهرين أو ثلاثة ثم
خفي سنتين أو ثلاثا ثم رأينا نجما خفيا له شعلة قدر الذراع رأي العين قريبا من
الجدي يستدير حوله بدوران الفلك في جمادين وأياما من رجب ثم خفي ثم رأينا نجما ليس
بالأزهر طلع عن يمين قبلة الشام مادا شعلته من القبلة إلى الجوف إلى أرمينية فذكرت
ذلك لشيخ قديم عندنا من السكاسك فقال ليس هذا بالنجم المنتظر
.
قال الوليد ورأيت
نجما في سنيات بقين من سني أبي جعفر ثم انعقف حتى التقى طرفاه فصار كطوق ساعة من
الليل
পৃষ্ঠা - ৬৪০
বলেন,হযরত কা’ব রহঃ এরশাদ করেন সেটা ঐ তারকার অন্তর্ভুক্ত,যা পূর্বাকাশে প্রকাশ পাবে এবং পূর্নিমার রাত্রের চন্দ্রের ন্যায় গোটা বিশ্বকে আলোকিত করে দিবে।
قال الوليد وقال كعب
هو
نجم
يطلع من المشرق
ويضيء لأهل الأرض
كإضاءة القمر
ليلة البدر
পৃষ্ঠা - ৬৪১
রহঃ বলেন,আমরা যে লালিমা এবং তারকা দেখতে পেয়েছি,সেটা কিন্তু কিয়ামতের নিদর্শন নয়,বরং তারকা সম্বলিত আলামত হচ্ছে,যা সফর রবিউল আওয়াল,রবিউসসানী এবং রজব মাসে পৃথিবীর বভিন্ন স্থানে দেখা যাবে।ঐ সময় খাকান বাদশাহ তুর্কিদের দিকে ভ্রমন করবে এবং রুমবাসীরা ঝান্ডা ও ক্রুস সহকারে তার অনুস্বরন করতে থাকবে।
قال الوليد والحمرة والنجوم التي رأيناها ليست
بالآيات إنما
نجم الآيات نجم ينقلب في الآفاق في صفر
أو في ربيعين أو في رجب وعند
ذلك يسير خاقان بالأتراك تتبعه روم الظواهر بالرايات والصلب
পৃষ্ঠা - ৬৪২
ওলীদ রহঃ কা’ব রহঃ হতে বর্ননা করেন,তিনি বলেন,হযরত মাহদি আঃ এর আগমনের পূর্বে পূর্বাকাশে জুলফি বিশিষ্ট একটি তাঁরকা উদিত হবে।
তিনি বলেন আমি শরীফ রহঃ থেকে বর্ননা করেছি,তিনি বলেন, আমার কাছে সংবাদ পৌছেছে,হযরত মাহদি আঃ এর আগমনের পূর্বে রমাযান মাসে মোট দুইবার সূর্য গ্রহন হবে।
عن الوليد
قال بلغني عن كعب أنه قال
يطلع نجم من المشرق قبل خروج المهدي له ذناب
قال
وحدثت عن شريك أنه قال بلغني أنه قبل خروج المهدي تنكسف الشمس في شهر رمضان مرتين
পৃষ্ঠা - ৬৪৩
কা’ব রহঃ থেকে বর্নিত,তিনি বলেন, বনু আব্বাছের ধ্বংস হবে, একটি এমন তারকার সময়,যা মধ্যবর্তি স্থানে প্রকাশ পাবে।অতঃপর বিভিন্ন ধরনের দূর্বলতা ও বিশৃঙ্খলা দেখা দিবে।এসব কিছু হবে মূলতঃ রমযান মাসে। লালিমা প্রকাশ পাবে রমাযান মাসের পাঁচ তারিখ বিশ তারিখের মধ্যে।আর বিকট শব্দ প্রকাশ হবে রমাযানের পনের তারিখ থেকে বিশ তারিখের মধ্যে আর দুর্বল ও রুগ্নতার আবির্ভাব হবে বিশ রমাযান থেকে চব্বিশ রমাযানের মধ্যবর্তি সময়ের মধ্যে।অতঃপর এমন একটি তারকা উদিত হবে,যার আলো হবে চন্দ্রের আলোর ন্যায়।এরপর উক্ত তারকা সাপের ন্যায় কুন্ডুলি পাকাতে থাকবে।যার কারনে তার উভয় মাথা একটা আরেকটার সাথে মিলিত হওয়ার উপক্রম হবে।
দীর্ঘকার রাত্রে দুইবার ভুমিকম্প হওয়া এবং আসমান থেকে জমিনের দিকে যে তারকাটি নিক্ষিপ্ত হবে,তার সাথে থাকবে বিকট আওয়াজ।
এক পর্যায়ে সেটা পূর্বাকাশে গিয়ে পতিত হবে। যদ্বারা মানুষ বিভিন্ন ধরনের বালা-মুসিবতের সম্মুখিন হবে।
حدثنا عبد الله بن مروان عن أرطأة بن المنذر عن تبيع
عن كعب قال
هلاك بني العباس عند
نجم
يظهر في الجوف و
هدة
و
واهية
يكون ذلك أجمع
في شهر رمضان
تكون الحمرة ما بين الخمس إلى العشرين من رمضان والهدة فيما بين النصف إلى العشرين
والواهية ما بين العشرين إلى أربعة وعشرين ونجم يرمى به يضيء كما يضيء القمر ثم
يلتوي كما تلتوي الحية حتى يكاد رأساها يلتقيان و
الرجفتان
في ليلة الفسحين وا
لنجم
الذي يرمى به شهاب
ينقض من السماء معها
صوت شديد
حتى
يقع في المشرق
ويصيب الناس منه
بلاء شديد
পৃষ্ঠা - ৬৪৪
মুহাদ্দিস আবুল হওসা রহঃ বিশিষ্ট তাবেঈ হযরত তাউস রহঃ থেকে হাদীস বর্ননা করেন,তিনি বলেন, অতিসত্ত্বর তিন ধরনের ভুমিকম্প সংঘটিত হাবে।ইয়ামানে মারাত্নক ভমিকম্প দেখা দিবে, শামদেশে এর চেয়েও কঠিন ভুমিকম্প সংঘটিত হবে।
আরেকটি কম্পন হবে মাশরিকের দিকে।সেটিই হবে মূলতঃ সমূলে নিপাতকারী।অন্য বর্ননা দ্বারা বুঝা যায়,ইয়ামান এবং শামে ভুমিকম্প হবে,মাশরিকে নয়।
حدثنا عبد الله بن مروان عن أبيه عن أبي الحوصاء
عن طاووس
قال تكون ثلاث رجفات رجفة باليمن شديدة ورجفة بالشام أشد منها ورجفة بالمشرق وهي
الجاحف وقد كان باليمن والشام ولم يكن بالمشرق
পৃষ্ঠা - ৬৪৫
সাহাবী হযরত আবু হুরায়রা রাযিঃ হতে বর্নিত,তিনি বলেন,রমাযান মাসে এমন বিকট আওয়জ প্রকাশ পাবে, যদ্বারা ঘুমন্ত লোকজন জাগ্রত হয়ে যাবে এবং কুমারী নারীগন পরদা ছেড়ে বেরিয়ে পড়বে।শাওয়াল মাসে মহামারি দেখা দিবে।জিলক্বদ মাসে একগোত্র আরেক গোত্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িয়ে যাবে।এবং জিলহজ্ব মাসে পরস্পরের মাঝে খুন-খারাপি দেখা দিবে। অতঃপর মুহার্রম মাসে,মুহার্রম কি!এভাবে তিনবার উচ্চারন করার পর বললেন মুহাররম মাস হচ্ছে,তৎকালীন রাজা-বাদশাহদের রাজত্ব খতম হয়ে যাওয়ার মাস।
حدثنا شيخ من الكوفيين عن
ليث عن شهر بن حوشب
عن أبي هريرة رضى الله عنه قال في رمضان
هدة
توقظ النائم
وتخرج العواتق من خدورها وفي شوال
مهمهة
وفي ذي القعدة
تمشي القبائل
بعضها إلى بعض
وفي ذي الحجة
تهراق الدماء
وفي المحرم وما المحرم يقولها ثلاثا قال وهو
عند انقطاع
ملك هؤلاء
পৃষ্ঠা - ৬৪৬
হোজায়ফা ইবনুল ইয়ামান রাযিঃ থেকে বর্নিত,তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাঃ এরশাদ করেছেন,নিঃসন্দেহে আমার উম্মত ধ্বংস হবে না,যতক্ষন পর্যন্ত তাদের মধ্যে তামাউয, তামাউল এবং মাআমু প্রকাশ পাবেনা।হোজায়ফা রাযিঃবলেন,আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ইায়া রাসূলুল্লাহ তামাউয কি জিনিস? উাত্তরে তিনি বললেন,আমি দুনিয়া থেকে চলে যাওয়ার পার ইসলামের ক্ষেত্রে মানুষের মাঝে যে স্বজনপ্রীতি প্রকাশ পাবে সেটাই হচ্ছে, তামাউয। অতঃপর আমি “তামাউল” সম্বন্ধে জানতে চাইলে তিনি বললেন, এক গোত্র আরেক গোত্রের বিরুদ্ধে এমনভাবে লেলিয়ে পড়বে,যদ্বারা মনে করবে।এরপর আমি মাআমু সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে রাসূলুল্লাহ সাঃ এরশাদ করেন, মাআমু হচ্ছে, এক শহরের লোকজন অন্য শহরের প্রতি যুদ্ধ করার জন্য ধেয়ে আসবে।
حدثنا عثمان بن كثير والحكم بن نافع عن سعيد بن
سنان
عن أبي الزاهرية عن سخبرة كثير بن مرة عن ابن عمر
عن حذيفة بن اليمان رضى الله
عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لن تفنى أمتي حتى تظهر فيهم التمايز
والتمايل والمعامع
فقلت يا نبي الله ما التمايز
قال عصبية يحدثها الناس بعدي
في الإسلام
فقلت فما التمايل
قال ميل القبيل على القبيل فيستحل حرمتها
قلت فما المعامع
مسير الأمصار بعضها إلى بعض تختلف أعناقها في الحرب
পৃষ্ঠা - ৬৪৭
হযরত কাসীর ইবনে মুররা রহঃ হতে বর্নিত,তিনি বলেন,ফেৎনার সূচনা লক্ষন সমূহ প্রকাশপাবে মূলতঃ রমযান মাসে, তীব্র আকার ধারন করবে শাওয়াল মাসে।জিলকদ মাসে এক এলাকার লোকজন আরেক এলাকর দিকে ধাবিত হবে এবং জিলহজ্ব মাসে এক শহরের বাসিন্দাগন অন্য শহরের বাসিন্দাদের প্রতি যুদ্ধের লক্ষে ধেয়ে আসবে।এসব কিছুর চুড়ান্ত নিদর্শন হচ্ছে, আকাশে আলোকিত-উজ্জল কোনো পিলার প্রকাশ পাওয়া
حدثنا عثمان بن كثير عن جرير بن عثمان عن سليمان بن سمير
عن كثير بن
مرة قال
آية الحدثان
في رمضان والهيش في شوال والنزائل في ذي القعدة والمعمعة في ذي
الحجة و
آية ذلك عمود ساطع
في السماء
من نور
পৃষ্ঠা - ৬৪৮
আরতাত রহঃ থেকে বর্নিত,তিনি বলেন,দ্বিতীয় সুফিয়ানীর যুগে নিকৃষ্ট চরিত্রের কিছু লোকের আবির্ভাব ঘটবে এবং শামের দিকে বিভিন্ন ধরনের ফেৎনা প্রকাশ পাবে।এক পর্যায়ে প্রত্যেকে মনে করবে, যে তার পার্শ্ববর্তি এলাকার লোকজন থেকে বেশি খারাপ অবস্থায় রয়েছে।
أخبرنا جراح عن أرطاة قال
في زمان السفياني الثاني المشوه الخلق
هدة بالشام
حتى يظن كل قوم أنه خراب ما
يليهم
পৃষ্ঠা - ৬৪৯
ইব্নে মা’দান রহঃ থেকে বর্নত,তিনি বলেন, যখন তোমরা আকাশে রমাযান মাসে মাশরেক থেকে আগুনের কিছু পিলার প্রকাশ পেতে দেখবে,তখন সাধ্যমত খাবার জোগাড় করে রাখবে।কেননা তার পরবর্তী বৎসর হচ্ছে দুর্ভিক্ষের বৎসর।
حدثنا عبد القدوس عن عبدة بنت خالد بن معدان
عن أبيها خالد بن
معدان قال إذا رأيتم عمودا من نار من قبل المشرق في شهر رمضان في السماء فأعدوا من
الطعام ما استطعتم فإنها سنة جوع
পৃষ্ঠা - ৬৫০
হযরত কাসীর ইবনে মুররা হাজরামী রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, আমি দীর্ঘ সত্তর বৎসর যাবত রমযান মাসে ফিৎনা প্রকাশ পাওয়ার রাত্রের অপেক্ষায় প্রহর গুনছি।হযরত আব্দুর রহমান ইব্নে যুবায়ের রহঃ বলেন, যখনই আকাশে এধরনের কোনো আলামত প্রকাশ পাবে সাথে সাথে মানুষের মাঝে বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে থাকবে।
যদি তুমি সে অবস্থার সম্মুখিন হও তাহলে সাধ্য অনুযায়ী খাবার জোগাড় করে রাখবে।
حدثنا عبد القدوس وبقية والحكم بن
نافع عن صفوان عن عبد الرحمن بن جبير
عن كثير بن مرة الحضرمي قال إني لأنتظر
ليلة الحدثان في رمضان منذ سبعين سنة
قال عبد الرحمن بن جبير علامة تكون في
السماء تكون اختلاف بين الناس فإن أدركتها فأكثر من الطعام ما استطعت
পৃষ্ঠা - ৬৫১
মুহাজির নিবাল বলেন যখন রমযান মাস আসবে মানুষের অন্তু জ্বলে পুড়ে যাবে, শাওয়াল মাসে তারা একে অন্যকে আঘাত করতে থাকবে, জিলক্বদ মাস আসলে পরস্পর একে অন্যের এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে থাকবে। আর জিলহজ্ব মাস শুরু হলে মানুষ খুনো খুনিতে লিপ্ত হয়ে পড়বে।
قال
صفوان وقال مهاجر النبال تكون في رمضان فترمض قلوبهم وشوال يشال بينهم وفي ذي
القعدة يستقعدهم وفي ذي الحجة تسفك الدماء
পৃষ্ঠা - ৬৫২
শাহার ইবনে হাওশব থেকে বর্নিত, রিনি বলেন, ফিৎনা-ফাসাদের সূচনা হবে রমযান মাস থেকে, বিভিন্ন শহরের লোকজন একে অন্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হবে শওয়াল মাসে, জ্বিলকদ মাসে অন্য এলাকার মধ্যে সামরিক স্থাপনা ফলবে এবং জিলহজ্ব মাস আসলে একে অপরের উপর হামলা করবে, অর্থাৎ চুড়ান্ত লড়াই শুরু হয়ে যাবে। সে বৎসরই হাজিদের উপর আক্রমন করা হবে।
حدثنا عبد القدوس عن ابن عياش
عن الوليد بن عباد عن شهر بن حوشب قال الحدث في رمضان والمعمعة في شوال والنزائل في
ذي القعدة وضرب الرقاب في ذي الحجة وفي ذلك العام يغار على الحاج
পৃষ্ঠা - ৬৫৩
কসীর ইবনে মুররা থেকে বর্নিত, তিনি এরশাদ করেন, ফিৎনার সূচনা হবে রমযান মাস থেকে, মারাত্নক গোলযোগ হবে শাওয়াল মাসে, অন্য শহরের উপর হামলে পড়বে জিলক্বদ মাস আসলে, চুড়ান্ত লড়াই শুরু হয়ে যাবে জিলহজ্ব মাসে এবং ফায়সালা হবে মুহাররম মাসে। অতঃপর তিনি বলেন, আমি দীর্ঘ সত্তর বৎসর থেকে এমন ফিৎনার সূচনা দেখতে অপেক্ষায় আছি।
حدثنا
عبد القدوس عن حريز
عن كثير بن مرة قال الحدثان في رمضان والهيش في شوال
والنزائل في ذي
القعدة والمعمعة في ذي الحجة والقضاء في المحرم ثم قال إني لأنتظر
الحدثان منذ سبعين سنة
পৃষ্ঠা - ৬৫৪
খালেদ ইবনে ইয়াযিদ ইবনে মোয়াবিয়া রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, যখন তুমি মানুষকে নিজের সিদ্ধান্তের উপর পুরোপরি সন্তুষ্ট হয়ে আশ্চর্য্য প্রকাশ করতে দেখবে, তখন মনে করবে তার লাঞ্চনা অবধারিত।
حدثنا ابن المبارك وابن وهب عن ابن لهيعة عن يزيد
بن أبي حبيب
عن خالد بن يزيد بن معاوية قال إذا رأيت الرجل بالحرما معجبا
برأيه فقد تمت خسارته
بدؤ فتنة الشام