باب من كان يرى الاعتزال في الفتن
পৃষ্ঠা - ৪৯৬
হযরত উসাইদ ইব্নে মুতাসাম্মিছ ইব্নে মুআবিয়া রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি বিশিষ্ট সাহাবী আবু মুসা আশআরী রাযিঃ কে বলতে শুনেছি, তিনি যাবতীয় ফেৎনা প্রসঙ্গে আলোচনা করতে গিয়ে বলেন, আল্লাহর কসম! যদি আমাকে এবং তোমাদেরকে উক্ত ফেৎনা গ্রাস করে নেয়, তাহলে রাসূলুল্লাহ সাঃ এর বলে দেয়া ভাষ্য মতে আমার এবং তোমাদের মুক্তির জন্য এমন রাস্তা আমার জানা রয়েছে যে রাস্তা দিয়ে আমরা সকলে নিরাপদে উক্ত ফেৎনা থেকে বের হয়ে আসতে পারব। যেমন আমরা উক্ত ফেৎনার ভিতর প্রবেশ করেছিলাম। অর্থাৎ সেই ফেৎনা আমাদের কোনো ক্ষতি করতে পারবেনা।
حدثنا
ابن المبارك عن المبارك بن سعيد عن الحسن عن أسيد بن المتشمس ابن معاوية
قال
سمعت أبا موسى الأشعري رضى الله عنه وذكر فتنة ثم قال وأيم الله لإن أدركتني وإياكم
ما أعلم لى ولكم منها مخرجا فيما عهد إلينا نبينا صلى الله عليه وسلم إلا أن نخرج
منها كما دخلناها قال الحسن أي سالمين
পৃষ্ঠা - ৪৯৭
হযরত আবু মুসা আশআরী রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ সাঃ থেকে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ ফেৎনা সম্বন্ধে আলোচনা করেছেন। এরপর আবু মুসা আশআরী রাযিঃ বলেন, যদি আমরা ফেৎনার সম্মুখিন হই তাহলে যেমনভাবে ফেৎনার সম্মুখিন হয়েছি হুবহু সেভাবে বের হয়ে যাওয়া ছাড়া সেই ফেৎনা থেকে মুক্তির আর কোনো উপায় আমার জানা নেই। রাসূলুল্লাহ সাঃ আমাদের কাছ থেকে এমন ওয়াদা নিয়েছেন।
حدثنا عبد الوهاب عن يونس عن الحسن
عن أبي موسى عن النبي صلى الله عليه وسلم أنه ذكر فتنة ثم قال أبو موسى مالى
ولكم منها مخرج إن نحن أدركناها إلا أن نخرج منها كما دخلناها هكذا عهد إلينا نبينا
صلى الله عليه وسلم
পৃষ্ঠা - ৪৯৮
হযরত আবু মুসা আশআরী রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নিঃসন্দেহে তোমাদের পরে ভয়াবহ ফেৎনা প্রকাশ পাবে। বসা অবস্থায় থাকা দাড়ানো থাকার চেয়ে উত্তম। দাড়ানো থাকা দৌড়ানো থেকে উত্তম, এভাবে সওয়ারীর কথাও উল্লেখ করেছেন। তোমরা এমন ফেৎনার সম্মুখিন হলে নিজেদের ঘরের সম্মুখভাগে অবস্থান কর।
حدثنا جرير بن عبد الحميد عن عاصم الأحول قال حدثني
شيخ
عن أبي موسى الأشعري قال إن بعدكم فتنا القاعد فيها خير من القائم والقائم
خير من الساعي حتى ذكر الراكب فكونوا فيها أحلاس بيوتكم
পৃষ্ঠা - ৪৯৯
হযরত জুনদুব রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, অতিসত্ত্বর বিভিন্ন ধরনের ফেৎনা প্রকাশ পাবে তোমরা সেসময় নিজেদের মাটিতে থাকবে এবং ঘরের মাঝখানে অবস্থান করবে। কেননা উক্ত ফেৎনার ইচ্ছা করা ব্যতীত কাউকে সেটা গ্রাস করতে পারবেনা।
حدثنا سهل بن
يوسف عن حميد عن ميمون بن سياه
عن جندب قال ستكون فتن فعليكم بالأرض وليكن
أحدكم حلس بيته فإنه لا ينبجس لها أحد إلا أردته
পৃষ্ঠা - ৫০০
হযরত আবু হুরাইরা রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ এরশাদ করেছেন, মানুষের জন্য এমন একটি সময় আসবে যখন তাকে অপারগতা এবং গুনাহের কাজের উপর এখতিয়ার দেয়া হবে। তোমাদের কেউ এমন ফেৎনার সম্মুখিন হলে সে যেন গুনাহের কাজ বর্জন করে অপারগতাকেই গ্রহন করে।
حدثنا أبو معاوية عن
داود بن أبي هند عن شيخ من بنى قشير
عن أبي هريرة رضى الله عنه قال قال رسول
الله صلى الله عليه وسلم
يأتى على الناس زمان يخير الرجل فيه بين العجز والفجور
فمن أدرك ذلك فليختر العجز على الفجور
পৃষ্ঠা - ৫০১
হযরত আব্দুল্লাহ ইব্নে মাসউদ রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মানুষের কাছে এমন এক সময় আসবে যখন উম্মতের মধ্যে মুমিনগনই হবে সবচেয়ে লাঞ্চিত লোক। চালাক হবে ঐলোক যে তার দ্বীন নিয়ে শিয়ালের ন্যায় ধুর্ততার সাথে সরে পড়ে।
حدثنا إبراهيم بن محمد الفزارى عن
عوف عن الحسن قال
قال عبد الله بن مسعود رضى الله عنه يأتى على الناس زمان
المؤمن فيه أذل من الأمة أكيسهم الذي يروغ بدينه روغان الثعالب
পৃষ্ঠা - ৫০২
বিশিষ্ট সাহাবী হযরত কুরায্ আল-খোবায়ী রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ এরশাদ করেছেন, সেদিন সবচেয়ে উত্তম মানুষ হবে ঐ লোক যে লোকজনের সঙ্গ ত্যাগ করতঃ পাহাড়ের উঁচু স্থানে চলে যায় এবং আল্লাহ তাআলাকে ভয় করে তার ইবাদতে মগ্ন থাকে। অন্যদিকে লোকজনও তার অনিষ্টতা থেকে নিরাপদ থাকে অর্থাৎ, সেও কারো ক্ষতি করেনা এবং কারো দ্বারা আক্রান্তও হয়না।
حدثنا
الوليد بن مسلم عن الأوزاعي عن عبد الوهاب بن قيس عن عروة بن الزبير عن كرز الخزاعي
رضى الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم خير الناس يومئذ مؤمن معتزل في
شعب من الشعاب يتقي ربه ويذر الناس من شره
পৃষ্ঠা - ৫০৩
বিশিষ্ট সাহাবী হযরত হোজাইফা ইবনুল ইয়ামান রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, অবশ্যই মানুষের কাছে এমন এক যুগ আসবে, যার থেকে কেউ নিরাপদ থাকবেনা, তবে যদি কেউ ডুবন্ত লোকের ন্যায় দোয়া করে তার মুক্তির আশা করা যায়।
حدثنا أبو معاوية وعيسى بن
يونس جميعا عن الأعمش عن إبراهيم عن همام بن الحارث
عن حذيفة رضى الله عنه قال
ليأتين على الناس زمان لا ينجو منه أحد إلا الذي يدعوا كدعاء الغرق
পৃষ্ঠা - ৫০৪
হযত হোজাইফা রাযিঃ থেকে পূর্বের মত বর্ণিত।
حدثنا
عبدة بن سليمان عن الأعمش عن عمارة عن أبي عمار عن حذيفة مثله
قال الأعمش عن
إبراهيم عن همام بن الحارث عن حذيفة مثله
পৃষ্ঠা - ৫০৫
বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইব্নে মাসউদ রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ফেৎনাকালীন সর্বোত্তম লোক হবে, ঐ ব্যক্তি তার কাছে বকরীর পাল সহকারে পাহাড়ের উঁচু স্থান এবং ঘাঁস বিশিষ্ট এলাকায় অবস্থান করে। এবং নিকৃষ্টতম লোক হচ্ছে, যাত্রাবিরতী দাতা আরোহী এবং অনলবর্ষী বক্তা।
حدثنا الوليد بن مسلم عن
إسماعيل بن رافع عمن حدثه
عن ابن مسعود قال خير الناس في
الفتنة أهل شاء سود يرعين في شعف
الجبال ومواقع القطر وشر الناس فيها كل راكب موضع وكل خطيب مسقع
পৃষ্ঠা - ৫০৬
হযরত হোজাইফা রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, অনেক লোক ফেৎনাবাজ না হওয়া সত্ত্বেও যাবতীয় ফেৎনার সম্মুখীন হয়ে যাবে।
حدثنا
ابن المهدي عن زائدة عن الأعمش عن زيد بن وهب
عن حذيفة قال إن الرجل ليكون في
الفتنة أو من
الفتنة وما هو منها
পৃষ্ঠা - ৫০৭
হযররত মুজাহিদ রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ এরশাদ করেন, নিঃসন্দেহে ইসলাম খুবই পরদেশী হিসেবেই প্রকাশ হয়েছিল অতিসত্ত্বর সেটা তার আপন পরদেশী অবস্থায় ফিরে যাবে। কিয়ামতের পূর্বে যারা এমন অবস্থায় আকঁড়ে ধরে থাকবে তাদের জন্য অত্যন্ত সুসংবাদ।
حدثنا
إبراهيم بن محمد الفزارى عن ليث
عن مجاهد قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم
إن الإسلام بدأ غريبا وسيعود غريبا فطوبى للغرباء بين يدي الساعة
পৃষ্ঠা - ৫০৮
হযরত আওন ইব্নে আব্দুল্লাহ রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, জনৈক লোক হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইর রাযিঃ এর ফেৎনাকালীন মিসরে অবস্থান করে চিন্তিত অবস্থায় জমিনে আঘাত করছিলেন। তখন একলোক দাড়িয়ে বলেন, হে আবুদ্দুনিয়া! আপনি অন্তরে কোন বিষয়ে চিন্তা করছেন। জবাবে তিনি বলেন, বরং আমি চিন্তা করছি, আমার উপস্থিতিতে আজকে মানুষের উপর যে অবস্থা বিরাজ করছে সেটা নিয়ে চিন্তা করছি। জবাবে তাকে বলা হলো, আপনার উন্নত ফিকরের কারনে আল্লাহ তাআলা আপনাকে উক্ত ফেৎনায় আক্রান্ত হওয়া থেকে মুক্তি দিয়েছেন। অনেকে এমন রয়েছে যে মুক্তি চাওয়া সত্ত্বেও তাকে মুক্তি দেয়া হয়নি। কিংবা নির্ভার থাকার পর যথেষ্ট হয়নি।
حدثنا
ابن عيينة عن مسعر عن عون بن عبد الله قال بينما رجل بمصر في فتنة ابن الزبير ينكت
في الأرض إذ قام عليه رجل فقال له بأي شيء تحدث نفسك أبا الدنيا
.
قال بل اتفكر
في الذي نزل بالناس فأنا بها مهتم قال فإن الله قد نجاك منها بفكرتك فيها من الذي
سأل الله فلم يعطه أو اتكل عليه فلم يكفه
পৃষ্ঠা - ৫০৯
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে হুরাইরা রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যদি কেউ ফেৎনায় আক্রান্ত হয়ে যায় তাহলে তার একটি পা ভেঙ্গে ফেলা উচিৎ এরপরও যদি তাকে বাধ্য করা হয় তাহলে অন্য আরেক পাও ভেঙ্গে ফেলতে হবে। উক্ত হাদীস বর্ণনা করতে গিয়ে ইব্নে হিমইয়ার রহঃ ইবনে শুরাইহের নাম উল্লেখ করেননি।
حدثنا محمد بن حمير وابن
وهب عن ابن لهيعة عن عبد الرحمن بن شريح عن عبد الله بن هبيرة قال من أدرك
الفتنة فليكسر رجله فإن انجبرت فليكسر
الأخرى إلا أن ابن حمير لم يذكر ابن شريح
পৃষ্ঠা - ৫১০
হযরত আলকামা রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন আহলে হক্ব আহলে বাতেলের উপর জয়লাভ করে, তখন মনে করবে তুমি আপাতত কোনো ফেৎনার সম্মুখিন হবেনা।
حدثنا وكيع عن سفيان عن حبيب بن
أبي ثابت عن إبراهيم عن علقمة قال إذا ظهر أهل الحق على أهل الباطل فلست في فتنة
পৃষ্ঠা - ৫১১
হযরত আবু তাউস রহঃ স্বীয় পিতা থেকে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ এরশাদ করেন, ফেৎনাকালীন সর্বোত্তম লোক হচ্ছে, ঐ ব্যক্তি যে তার ঘোড়ার লাগাম আকঁড়ে ধরে শত্রুকে ভয়ে দেখায় এবং নিজেও দুশমনকে ভয় করে। অথবা ঐ ব্যক্তি যে লোকজনের সঙ্গ ত্যাগ করতঃ আল্লাহ তাআলার হক আদায় করে।
حدثنا ابن المبارك عن معمر عن أبي طاووس عن أبيه قال قال رسول الله صلى
الله عليه وسلم خير الناس في
الفتن
رجل أخذ برأس فراسه يخيف العدو ويخيفونه أو رجل معتزل يؤدي حق الله عليه
পৃষ্ঠা - ৫১২
হযরত ইবনে খায়সাম রাযিঃ বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ এরশাদ করেছেন, ফেৎনা চলাকালীন ঐ লোক হচ্ছে, সর্বশ্রেষ্ঠ, যে আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধ করতে গিয়ে গনীমত হিসেবে প্রাপ্ত সম্পদ দ্বারা নিজের জীবিকা নির্বাহ করে এবং ঐ লোক যে পাহাড়ের দূর্গম এলাকায় অবস্থান করে তার বকরীর আয়-রোজগার ও দুধ দ্বারা জীবন পরিচালনা করে।
حدثنا معمر وحدثني ابن خيثم
أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال خير الناس في
الفتن
رجل يأكل من فيء سيفه في
سبيل الله ورجل في رأس شاهقة يأكل من رسل غنمه
পৃষ্ঠা - ৫১৩
হযরত খালেদ ইবনে মা’দান স্বীয় পিতা থেকে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন, নেককার লোক ঐ ব্যক্তি যে যাবতীয় ফেৎনা থেকে বেঁচে থাকে। আর যে লোক ফেৎনায় আক্রান্ত হয়ে আন্তরিকভাবে ধৈর্য্য ধারন করে সে কতই ভাগ্যবান। আবার তার জন্য আফসোসও হয়।
وحدثنا ابن المبارك عن
إسماعيل بن عياش قال حدثني عقيل بن مالك عن عبد الله بن خالد بن بن معدان
عن
أبيه رفع الحديث قال السعيد من جنب
الفتن
ومن ابتلى بشيء منها فصبر فواها ثم واها
পৃষ্ঠা - ৫১৪
বনু রবীয়াহ ইবনে কিলাব রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আবু হুরায়রা রাযিঃ কে বলতে শুনেছি, মানুষের জন্য এমন এক যুগ আসবে তখন কোনো পুরুষকে অপারগতা এবং অবৈধ কাজের ক্ষেত্রে এখতিয়ার দেয়া হবে। তোমাদের কেউ এমন পরিস্থিতির সম্মুখিন হলে সে যেন অবৈধ কাজকে গ্রহণ করার বিপরীত অপারগতাকে গ্রহণ করে। কেননা, অপারগতা অনেক উত্তম অবৈধ কাজ থেকে।
حدثنا هشيم عن داود بن ابي هند عن رجل من بني ربيعة بن كلاب
قال سمعت أبا هريرة
رضى الله عنه يقول ليأتين على الناس زمان يخير الرجل بين العجز والفجور فمن أدرك
ذلك منكم فليختر العجز على الفجور فإن العجز خير من الفجور
পৃষ্ঠা - ৫১৫
সিলা ইবনে যুফার রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি হযরত হোজাইফা ইবনুল ইয়ামান রাযিঃ কে বলতে শুনেছেন, তোমাদের পুরুষদেরকে অপারগতা এবং খারাপ কাজের ক্ষেত্রে এখতিয়ার দেয়া হবে। কেউ এমন ফেৎনার সম্মুখিন হলে সে যেন খারাপ কাজের বিপরীত অপারগতাকে গ্রহন করে।
حدثنا
هشيم عن مجالد قال أخبرني الشعبي عن صلة بن زفر
سمع حذيفة بن اليمان يقول
ليخيرن الرجل منكم بين العجز والفجور فمن أدرك منكم ذلك فليختر العجز على
الفجور
পৃষ্ঠা - ৫১৬
হযরত আওফ রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার কাছে সংবাদ পৌঁছেছে, হযরত আলী রাযিঃ এরশাদ করেছেন, এমন এক যুগ আসবে যে যুগে মুসলমানরাই হবে উম্মতের সব চেয়ে নিকৃষ্টতম ব্যক্তি। এবং হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাযিঃ বলেন, সেসময় মুসলমানরা শিয়ালের ধূর্ত অবস্থা পলায়নের ন্যায় পলায়ন করবে।
حدثنا هشيم عن عوف قال
بلغني أن عليا رضى الله عنه قال يأتي على
الناس زمان المؤمن فيه أذل من الأمة
وقال ابن مسعود يروغ المؤمن فيه بدينه
كروغان الثعالب
পৃষ্ঠা - ৫১৭
হযরত হুজায়ফা ইবনুল ইয়ামান রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মানুষের জন্য এমন এক যুগ আসবে যে যুগে তাদের উত্তম বাসস্থান হবে গ্রাম।
حدثنا عبد الرزاق عن معمر عن ابن طاووس عن أبيه
عن
حذيفة قال يأتي على الناس زمان خير منازلهم البادية
পৃষ্ঠা - ৫১৮
হযরত আবু কুবাইল রহঃ থেকে বর্ণিত, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইর রাযিঃ তার মায়ের কাছে খবর পাঠিয়েছেন যে, লোকজন আমার থেকে দূরে সরে যাচ্ছে এবং তারা আমাকে নিরাপত্ত্বার দিকে আহবান জানাচ্ছে এসম্পর্কে আপনার মন্তব্য কি হতে পারে? জবাবে তার আম্মা বলে পাঠালেন, যদি তুমি কিতাবুল্লাহ এবং আল্লাহর নবীর সুন্নাতকে হেফাজত করার জন্য বের হয়ে থাকো এবং এর জন্য মারাও যাও তাহলে তুমি হক্বের উপর মৃত্যু বরণ করবে। আর যদি তুমি দুনিয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়ে থাকো তাহলে তোমার জীবিত থাকা এবং মারা যাওয়ার মাঝে কোনো কল্যাণ নেই।
حدثنا ضمام عن أبي
قبيل
أن عبد الله بن الزبير أرسل إلى أمه فقال إن الناس قد انفضوا عني وقد
دعاني هؤلاء إلى الأمان فما ترين فقالت إن كنت خرجت لإحياء
كتاب
الله وسنة نبيه فمت على الحق وإن
كنت إنما خرجت على طلب دنيا فلا خير فيك حيا ولا ميتا
পৃষ্ঠা - ৫১৯
হযরত আবু হুরায়রা রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইরের ফেৎনা মূল ফেৎনার অংশসমূহের একটি অংশ। এখনো সে ফেৎনাগুলো ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশ হতে চলছে। উক্ত ফেৎনার প্রতি কেউ সামান্য ধাবিত হলে ফেৎনাও তার প্রতি এগিয়ে আসে আর কেউ ফেৎনার দিকে ঢেউযোগে এগিয়ে গেলে ফেৎনাও তার দিকে ঢেউয়ের মত ধেয়ে আসবে।
حدثنا عبد
الرزاق عن معمر عن ابن خثيم عن عمرو بن دينار
عن أبي هريرة قال فتنة ابن الزبير
حيصة من حيصات
الفتن
وبقيت الرداح
المطبقة من أشرف لها أشرفت له ومن ماج فيها ماجت به
العلامات في إنقطاع ملك
بني أمية