আল ফিতন

باب خروج الدابة

পৃষ্ঠা - ১৮৫০
হযরত সাফওয়ান ইবনে আসসাল মুরাদী রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের নিকট বর্ণনা করেছেন যে, পশ্চিমে তওবার জন্য একটি দরজা আছে। যার মাঝে প্রসস্ততা হল চলার সত্তর অথবা চল্লিশ বছর। তা কখনো বন্ধ হবে না। এমনকি তার দিক থেকে সূর্য্যদয় হবে। অতপর তিনি এ আয়াত তিলাওয়াত করেন ” যেদিন তোমার প্রভূর কতিপয় আলামত আসবে, সেদিন যারা পূর্বে ঈমান আনায়ন করে নাই তাদের ঈমান কোন উপকারে আসবে না। অথবা সে তার ঈমানের মধ্যে মঙ্গল কিছু অর্জন করেছে। ”
অধ্যায়
অষ্টমাংশের শেষাংশ
বিসমিল্লহির রহমানির রহীম।
দাব্বাহ বের হওয়া প্রসঙ্গে
حدثنا ابن عيينة عن عاصم سمع زرا
عن صفوان بن عسال المرادي
قال حدثنا رسول الله صلى الله عليه وسلم إن
بالمغرب بابا للتوبة مسيرة عرضه
سبعون أو أربعون عاما لا يغلق عنه حتى تطلع الشمس من قبله ثم تلا هذه الآية يوم
يأتي بعض آيات ربك لا ينفع نفسا إيمانها لم تكن آمنت من قبل أو كسبت في إيمانها
خيرا
পৃষ্ঠা - ১৮৫১
হযরত আবু সারীহা রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন দাব্বাহ এর জন্য যমানা হতে তিনটি খারজা তথা বহির্গমণ হবে। একটি বহির্গমন হবে ছোট ইয়ামানে। আর উক্ত বহির্গমন দাব্বাহ এর আলোচনা প্রত্যন্ত গ্রাম্যবাসীদের মধ্যে ছড়িয়ে দিবে। উহার আলোচনা গ্রাম অর্থাৎ মক্কায় প্রবেশ করবে না। অতপর দীর্ঘ এক যমানা অতিবাহিত হবে। অতপর আরেকটি বহির্গমন মক্কার নিকটবর্তী এলাকায় হবে। অতপর দাব্বাহ এর আলোচনা প্রত্যন্ত গ্রামে ছড়িয়ে পড়বে। অতপর দীর্ঘ যমানা অতিবাহিত হবে। অতপর একদিন মানুষের মাঝে বড় মসজিদে আল্লাহ তা’আলার নিকট হরম তথা সম্মানিত, উক্ত মসজিদের সম্মান ও মঙ্গল আল্লাহ তা’আলার উপর, আর তা হল মসজিদে হারাম। মসজিদের পার্শ্ব ব্যতীত তাদের কেহ লক্ষ করবে না। তারা রুকনে আসওয়াদের মাঝখান হতে বনু মাখযুমের দরজা, বাহিরের ডান পার্শ্ব হতে মসজিদ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে। মানুষ উহা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করবে। আর মুসলমানদের একটি দল তাদের গ্রহণ করবে। আর তারা বুঝবে যে, তারা আল্লাহ তা’আলাকে অক্ষম করতে পারবে না। উহা তাদের উপর বের হবে উহা মাথা হতে মাটি পরিস্কার করবে। অতপর উহা তাদের নিকট প্রকাশ পাবে। আর তাদের চেহারা উজ্জলিত হয়ে উঠবে। এমনকি সে উহা প্রত্যাখ্যান করবে কেমন যেন উহা প্রজ্জলিত তারকারাজি। অতপর উহা পৃথীবিতে ফিরে আসবে এমতবস্থায় যে, কোন অনুসন্ধানকারী উহাকে পাবে না। কোন পালায়নকারী উহাকে পরাজিত করতে পারবে না। এমনকি নিশ্চই মানুষ নামাজের মাধ্যমে তার হতে আশ্রয় প্রার্থনা করবে। অতপর উহা তার পিছন হতে আসবে। অতপর বলবে, হে অমুক ব্যক্তি তুমি এখন নামাজ আদায় কর। অতপর উহা তার চেহারার সামনে যাবে। এবং তার চেহারায় স্পর্শ করবে। অতপর মানুষ তাদের বাসস্থানের পাশাপাশি বসবাস করবে। তারা তাদের সফরে সাথী হবে। তারা তাদের কাজে শরীক হবে। মুমিন হতে কাফেরকে চেনা যাবে। এমনকি নিশ্চই কোন কাফের মুমিনকে উদ্দেশ্য করে বলবে যে, হে মুমিন! আমার হকের ফয়সালা কর। এমনিভাবে কোন মুমিনও বলবে হে কাফের! আমার হকের ফায়সালা কর।
حدثنا ابن وهب عن طلحة بن عمرو
عن عبد الله بن عبيد بن عمير الليثي عن أبي الطفيل
عن أبي سريحة قال قال رسول
الله صلى الله عليه وسلم للدابة ثلاث خرجات من الدهر تخرج خرجة في أقصى اليمن فيفشو
ذكرها في أهل البادية فلا يدخل ذكرها القرية يعني مكة ثم تمكث زمانا طويلا بعد ذلك
ثم تخرج خرجة أخرى قريبا من مكة فيفشو ذكرها بالبادية ثم تمكث زمانا طويلا ثم بينما
الناس ذات يوم في أعظم المساجد عند الله تعالى حرمة وخيرها وأكرمها على الله مسجدا
مسجد الحرام لم يرعهم إلا ناحية المسجد يربوا ما بين الركن الأسود إلى باب بني
مخزوم عن يمين الخارج إلى المسجد فارفض الناس لها تثبيتا وتثبت لها عصابة من
المسلمين وعرفوا أنهم لن يعجزوا الله خرجت عليهم تنفض عن رأسها التراب فبدت بهم
فجلت وجوههم حتى تركها كأنها الكواكب الدرية ثم ولت في الأرض ولا يدركها طالب ولا
يعجزها هارب حتى أن الرجل ليتعوذ منها بالصلاة فتأتيه من خلفه
فتقول أي
فلان الآن تصلي
فيقبل عليه بوجهه فتسمه في وجهه ثم تذهب فيتجاور الناس في
ديارهم ويصتحبون في أسفارهم ويشتركون في الأموال ويعرف الكافر من المؤمن حتى إن
الكافر ليقول للمؤمن
يا مؤمن اقضي حقي ويقول المؤمن للكافر يا كافر اقضي حقي
পৃষ্ঠা - ১৮৫২
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন আজইয়াদের এক উপত্যকা হতে দাব্বাহ বের হবে। উহার মাথা মেঘ স্পর্শ করবে। উহার দুই পা যমিন থেকে বের হবে না. এমনকি এক ব্যক্তি আসবে আর সে নামাজ আদায় করতে থাকবে। অতপর দাব্বাহ বলবে নামাজতো তোমার প্রয়জনীয় নয়। তবে নামাজটা আশ্রয় প্রার্থনা বা লোক দেখানোর জন্য হবে। অতপর দাব্বাহ তাকে লাগাম দিবে।
عن ابن وهب عن عمر بن مالك الشرعبي عن ابن الهاد قال حدثني عمر بن الحكم
بن ثوبان
عن عبد الله بن عمرو بن العاص قال تخرج الدابة من شعب بالأجياد رأسها
يمس السحاب وما خرجت رجلاها من الأرض حتى تأتي الرجل وهو يصلي فتقول ما الصلاة من
حاجتك ما هذا إلا تعوذا ورياء فتخطمه
পৃষ্ঠা - ১৮৫৩
হযরত ওহাব ইবনে মানবাহ রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন কিয়ামাতের নিদর্শনাবলীর প্রথম হল রোম অতপর দাজ্জাল, তৃতীয় ইয়াজুয মাজুয, চতূর্থ ঈসা ইবনে মারিয়াম আলাইহিস সালাম। পঞ্চম ধোঁয়া। ষষ্ঠতে দাব্বাহ।
حدثنا أبو المغيرة عن ابن عياش عن
شيخ من حضرموت
عن وهب بن منبه قال أول الآيات الروم ثم الدجال والثالثة يأجوج
ومأجوج والرابعة عيسى ابن مريم والخامسة الدخان والسادسة الدابة
পৃষ্ঠা - ১৮৫৪
আল্লাহ তা’আলার বাণী ”যখন ঘোষিত শাস্তি উহাদের নিকট আসিবে, তখন আমি মৃত্তিকাগর্ভ হইতে বাহির করিব এক জীব। যাহা উহাদের সহিত কথা বলিবে।” (সূরা নামল।) এর ব্যাপারে হযরত ইবনে উমর রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন যখন তারা সৎ কাজে আদেশ দিবে না। এবং যখন তারা অসৎ কাজ থেকে নিষেধ করবে না।
حدثنا
أبو معاوية حدثنا عبيد الله بن الوليد الوصافي
عن عطية [ عن ] بن عمر في قوله
تعالى وإذا وقع القول عليهم أخرجنا لهم دابة من الأرض تكلمهم [ النمل ] قال إذا لم
يأمروا بالمعروف ولم ينهوا عن المنكر
পৃষ্ঠা - ১৮৫৫
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন (কিয়ামাতের আলামত হল) দাজ্জাল, ইয়াজুযÑমাজুয, দাব্বাহ, পশ্চিম দিক হতে সূর্য্যদয়।
حدثنا عبد الوهاب عن أيوب عن
محمد
عن عبد الله بن مسعود قال الدجال ويأجوج ومأجوج والدابة وطلوع الشمس من
مغربها
পৃষ্ঠা - ১৮৫৬
হযরত আব্দুল্লাহ রাযিয়াল্লাহু আনহু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে বর্ণনা করেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন হযরত ঈসা ইবনে মারিয়াম আলাইহিস সালামের ঐসমস্ত সাথী যারা তার সাথে দাজ্জালের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে তারা দাব্বাতুল আরদ বের হওয়ার পর চল্লিশ বছর শান্তি ও নিরাপত্তার সাথে জীবিত থাকবে। (বসবাস করবে।)
حدثنا أبو عمر عن ابن لهيعة عن عبد الوهاب بن حسين عن محمد بن
ثابت عن أبيه عن الحارث
عن عبد الله عن النبي صلى الله عليه وسلم قال يتمتع
أصحاب عيسى ابن مريم عليه السلام الذين قاتلوا معه الدجال بعد خروج دابة الأرض
أربعين سنة في نعمة وأمن
পৃষ্ঠা - ১৮৫৭
হযরত আব্দুল্লাহ রাযিয়াল্লাহু আনহু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে বর্ণনা করেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন (পশ্চিম দিক হতে) সূর্য্যদয়ের পর দাব্বাহ এর অবির্ভাব হবে। যখন দাব্বাতুল আরদ বের হবে তখন দাব্বাতুল আরদ ইবলিসকে হত্যা করবে। আর তখন ইবলিশ বা শয়তান সিজদা অবস্থায় থাকবে। আর ঐঘটনার পর মুমিনগণ চল্লিশ বছর জীবিত থাকবে। তারা কোন কিছুর আশা আকাংখা করবে না। বরং তাদেরকে দেওয়া হবে, আর তারা তা পাবে। সুতরাং কোন অভাব, কোন অত্যাচার থাকবে না। আর সকল জিনিস চাই ইচ্ছায় হোক বা অনিচ্ছায় হোক সমস্ত জগতের প্রভূর নিকট আত্মসমর্পণ করবে। মুমিনগণ স্বচ্ছায় আত্মসমর্পণ করবে। আর কাফেরগণ অনিচ্ছায় আত্মসমর্পণ করবে। এমনকি হিংশ্র প্রাণী কোন চতুস্পদ জন্তু বা কোন পাখিকে কষ্ট দিবে না। আর মুমিনগণ জন্ম গ্রহণ করবে। ফলে তারা দাব্বাতুল আরদ বের হওয়ার চল্লিশ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত তারা মৃত্যু বরণ করবে না। অতপর তাদের মধ্যে আবার মৃত্যু ফিরে আসবে। অতপর তারা ঐঅবস্থায় আল্লাহ তা’আলা যেভাবে চান বসবাস করবে। অতপর মুমিনদের মধ্যে মৃত্যুর হার বেড়ে যাবে। ফলে কোন মুমিন জীবিত থাকবে না। অতপর কাফেরগণ বলবে আমরা মুুমিনদের থেকে ভীত ছিলাম। আর এখন তাদের থেকে কেউ জীবিত নেই। আর আমাদের থেকে কারো তওবা কবুল করা হবে না। সুতরাং আমাদের কি হল যে, আমরা আমাদের একে অপরের উপর আক্রমন করতেছিনা। অতপর তারা রাস্তা ঘাটে পশুর ন্যায় একে অপরের সাথে লড়াই করবে। তাদর একজন তাদের মাতা, বোন, কন্যার সাথে বিবাহের প্রস্তাব দিবে। অতপর রাস্তার মাঝখানে বিবাহ করবে। তার সাথে একজন অবস্থান করবে এবং তার উপর অন্যজন অবতীর্ণ হবে। সে এটাকে অপছন্দ করবে না আবার নিষেধও করবে না। আর সেদিন তাদের মধ্যে সর্বোত্তম হবে ঐ ব্যক্তি যে একথা বলবে যে, যদি তোমরা রাস্তা থেকে সরে যেতে তাহলে ভাল হত। তারা এভাবেই থাকতে থাকবে। এমনকি পৃথীবিতে বিবাহ থেকে জন্ম নেওয়া সন্তান অবশিষ্ট থাকবে না। বরং সমগ্র পৃথীবিতে সমন্ত সন্তানই হবে ব্যবিচারের। আল্লাহ তা’আলা যতক্ষণ চান তারা ততক্ষণ এভাবেই বসবাস করতে থাকবে। অতপর আল্লাহ তা’আলা ত্রিশ বছরের জন্য নারীদের বাচ্চাদানীকে বন্ধ্যা করে দিবেন। ফলে কোন নারী সন্তান প্রসব করবে না। আর পৃথীবিতে কোন শিশু থাকবে না। আর তারা সবাই হবে মানুষের মধ্যে সব থেকে নিকৃষ্ট ব্যবিচারের সন্তান। আর তাদের উপরই কিয়ামাত সংগঠিত হবে।
حدثنا أبو عمر عن ابن لهيعة عن عبد الوهاب بن
حسين عن محمد بن ثابت عن أبيه عن الحارث
عن عبد الله عن النبي صلى الله عليه
وسلم قال خروج الدابة بعد طلوع الشمس فإذا خرجت قتلت الدابة إبليس وهو ساجد ويتمتع
المؤمنون في الأرض بعد ذلك أربعين سنة لا يتمنون شيئا إلا أعطوه ووجدوه فلا جور ولا
ظلم وقد أسلم الأشياء لرب العالمين طوعا وكرها والمؤمنون طوعا والكفار كرها والسبع
والطير كرها حتى أن السبع لا يؤذي دابة ولا طيرا وبلد المؤمن فلا يموت حتى يتم
أربعين سنة بعد خروج دابة الأرض ثم يعود فيهم الموت فيمكثون بذلك ما شاء الله ثم
يسرع الموت في المؤمنين فلا يبقى مؤمن
فيقول الكافر قد كنا مرعوبين من المؤمنين
فلم يبق منهم أحد وليس يقبل منا توبة فما لنا لا نتهارج
فيتهارجون في الطرق
تهارج البهايم يقول أحدهم بأمه وأخته وابنته فينكح وسط الطريق يقوم عنها واحد وينزل
عليها آخر لا ينكر ولا يغير فأفضلهم يومئذ
من يقول لو تنحيتم عن الطريق كان
أحسن فيكونوا بذلك حتى لا يبقى أحد من أولاد النكاح
ويكون جميع أهل الأرض أولاد
السفاح فيمكثون بذلك ما شاء الله ثم يعقم الله أرحام النساء ثلاثين سنة فلا تلد
امرأة ولا يكون في الأرض طفل ويكونوا كلهم أولاد الزنا شرار الناس وعليهم تقوم
الساعة
পৃষ্ঠা - ১৮৫৮
হযরত উমর রা, হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন পৃথীবিতে একজন মুমিন থাকা অবস্থায় দাব্বাহ বের হবে না। যদি তোমরা চাও তাহলে তোমরা তেলাওয়াত কর, ”যখন ঘোষিত শাস্তি উহাদের নিকট আসিবে, তখন আমি মৃত্তিকাগর্ভ হইতে বাহির করিব এক জীব। যাহা উহাদের সহিত কথা বলিবে।” (সূরা নামল)
حدثنا ضمرة عن ابن شوذب قال
قال عمر لا تخرج الدابة حتى لا
يبقى في الأرض مؤمن واقرؤا إن شئتم وإذا وقع القول عليهم أخرجنا لهم دابة من الأرض
تكلمهم [ النمل ] الآية
পৃষ্ঠা - ১৮৫৯
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন ফারাসে অবস্থিত সাফার (পাহাড়ের) এক ফাটল হতে দাব্বাহ তিন দিন বের হবে। উহার তৃতয়াংশ বের হবে না।
حدثنا حسين الجعفي عن فضيل بن مرزوق عن عطية
عن عبد الله بن عمرو قال تخرج الدابة من صدع في الصفا حضر الفرس ثلاثة أيام لا
يخرج ثلثها
পৃষ্ঠা - ১৮৬০
হযরত আবু হুরাইরা রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন দাব্বাহ বের হবে।
حدثنا عبد الصمد عن حماد بن سلمة عن علي بن زيد عن أوس بن
خالد
عن أبي هريرة رضى عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم تخرج الدابة
পৃষ্ঠা - ১৮৬১
হযরত হাম্মাদ ইবনে সালামা রাযিয়াল্লাহু আনহু এক সূত্রে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে বর্ণনা করেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন দাব্বাহ বের হবে আর উহার সাথে থাকবে হযরত মুসা আলাইহিস সালামের লাঠি, হযরত সুলাইমান আলাইহিস সালামের আংটি। অতপর লাঠি দ্বারা মুমিনগণের চেহারা উজ্জল করা করবে। আর আংটি দ্বারা কাফেরদের নাকে মহর মারা হবে। এমনকি নিশ্চই খাবার গ্রহণকারীরা একত্রিত হবে। আর তারা বলবে এই হে মুমিন! এই হে কাফের!
قال أبو القاسم وحدثنا علي بن عبد العزيز حدثنا حجاج ابن المنهال
حدثنا حماد بن سلمة بإسناده
عن النبي صلى الله عليه وسلم قال تخرج الدابة ومعها
عصى موسى وخاتم سليمان عليهما السلام فتجلو وجه المؤمن بالعصى وتخطم أنف الكافر
بالخاتم حتى إن أهل الخوان ليجتمعوا فيقول هذا يا مؤمن وهذا يا كافر
পৃষ্ঠা - ১৮৬২
আল্লাহ তা’আলার বাণী ”আমি তাদের জন্য মাটি হতে জন্তু বের করবো” এর তাফসীরের ব্যাপারে হযরত ইবনে আব্বাস রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন উক্ত জন্তু হবে কোমল কেশ ও পালক বিশিষ্ট। উহার চারটি পা থাকবে। উহা তিহামার উপত্যকায় বের হবে। আর হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন উহা কাফেরের চেহারায় একটি কালো ফোঁটা একে দিবে। অতপর উক্ত কালো ফোঁটাটি কাফেরের চেহারায় ছড়িয়ে পড়বে। এমনকি কাফেরের সম্পূর্ণ চেহার্ াকালো হয়ে যাবে। আর এমনিভাবে মুমিনের চেহারায় একটি সাদা ফোঁটা একে দিবে। অতপর উক্ত সাদা ফোঁটাটি মুমিনের চেহারায় ঝড়িয়ে পড়বে। এমনকি মুমিনের সম্পূর্ণ চেহারা উজ্জল হয়ে যাবে। অতপর ঘরের লোকজন দস্তরখানের বসবে আর সেখানে তারা মুমিনের থেকে কাফেরকে চিনবে। এমনিভাবে তারা বাজারে ক্রয় বিক্রয় করবে তখনও তারা মুমিনের থেকে কাফেরকে চিনবে।
حدثنا عبد الرزاق وابن ثور عن معمر عن قتادة
عن ابن عباس في قوله تعالى أخرجنا
لهم دابة من الأرض قال هي ذات زغب وريش لها أربع قوائم تخرج في بعض أودية تهامة
وقال عبد الله بن عمرو تنكت في وجه الكافر نكتة سوداء فتفشو في وجهه حتى يسود
وجهه وتنكت في وجه المؤمن نكتة بيضاء فتفشو في وجهه حتى يبيض وجهه فيجلس أهل البيت
على المائدة فيعرفون المؤمن من الكافر ويتبايعون في الأسواق فيعرفون المؤمن من
الكافر
পৃষ্ঠা - ১৮৬৩
হযরত আমের শা’বী রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন দাব্বাতুল আরদ হবে পশম ওয়ালা, পালক বিশিষ্ট, উহার মাথা আকাশে পৌছবে।
حدثنا ابن إدريس عن عمه عن عامر الشعبي قال
دابة الأرض زباء
ذات وبر ينال رأسها السماء
পৃষ্ঠা - ১৮৬৪
হযরত আয়েশা রাযিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন আজইয়াদ হতে দাব্বাতুল আরদ বের হবে।
حدثنا توبة بن علوان عن أبي إسحاق عمن حدثه
عن عائشة قالت تخرج الدابة من أجياد
পৃষ্ঠা - ১৮৬৫
হযরত ইবনে উমর রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন দাব্বাহ জমার রাতে (জুমআ’র রাতে) বের হবে। এবং আরেক জুমআ’ পর্যন্ত সফর করবে। অতপর দাব্বাহ বের হবে। আর উহার গর্দান হবে লম্বা। পরে উহা প্রত্যেক মুনাফেককে মহর মেরে দিবে।
حدثنا وكيع عن الوليد بن جميع
عن عبد الملك بن المغيرة عن ابن البيلماني
عن ابن عمر قال تخرج الدابة ليلة جمع
يسيرون إلى جمع فتخرج الدابة وعنقها ذكر من طوله فلا تدع منافقا إلا خطمته
পৃষ্ঠা - ১৮৬৬
হযরত ইবনে উমর রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন সাফার ফাটল হতে দাব্বাহ বের হবে।
حدثنا وكيع عن فضيل عن عطية
عن ابن عمر قال تخرج الدابة من صدع
في الصفا
পৃষ্ঠা - ১৮৬৭
হযরত ইবনে উমর রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি (আল্লাহ তা’আলার বাণীর তাফসীরের ক্ষেত্রে) বলেন, আল্লাহ তা’আলার বাণী ”যখন ঘোষিত শাস্তি উহাদের নিকট আসিবে, তখন আমি মৃত্তিকাগর্ভ হইতে বাহির করিব এক জীব। যাহা উহাদের সহিত কথা বলিবে।” ইহা তখন ঘটবে যখন মানুষ সৎ কাজে আদেশ ও অসৎ কাজ থেকে নিষেধ করবে না।
حدثنا وكيع عن سفيان عن عمرو بن قيس عن عطية
عن ابن عمر
وإذا وقع القول عليهم أخرجنا لهم دابة من لأرض تكلمهم قال حين لا يأمرون بمعروف ولا
ينهون عن منكر
পৃষ্ঠা - ১৮৬৮
হযরত হুযাইফা রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন দাব্বাহ এর জন্য তিনটি খারজা (বহির্গমন) হবে। কতক প্রত্যন্ত গ্রামে বের হবে অতপর লুকিয়ে থাকবে। অতপর কতিপয় গ্রামে বের হবে এমনকি আলোচনা করা হবে। আর সেখানে আমীরগণ রক্তের বন্যা বইয়ে দিবে। অতপর উহা মানুষের মাঝে সম্মানিত, মহিমান্বিত, সর্বোত্তম মসজিদের নিকট আত্মগোপন করবে। এমনকি আমরা অনুধাবন করলাম যে, তিনি মসজিদুল হারাম নাম নিলেন। আর তিনি উক্ত মসজিদের নামকরণ করেন নি। যখন তাদের জন্য যমিনকে উঠিয়ে নেওয়া হবে তখন মানুষ পালায়ন করতে থাকবে। অতপর মুসলমানদের একটি দল অবশিষ্ট থাকবে। আর তারা বলবে যে, কোন কিছুই আমাদেরকে আল্লাহ তা’আলার বিষয় থেকে বাচাতে পারবে না। অতপর তাদের উপর দাব্বাহ বের হবে। ফলে তাদের (মুমিনদের) চেহারাসমূহ উজ্জল তারকারাজির ন্যায় চমকাবে। অতপর উহা চলে যাবে। ফলে কোন অনুসন্ধানকারী তাকে পাবে না। কোন পালায়নকারী তাকে হারাবে না। আর উহা একজন নামাজরত ব্যক্তির নিকট আসবে। অতপর তাকে উদ্দেশ্য করে বলবে যে, আল্লাহ তা’আলার কসম! আমি নামাজ আদায়কারীদের মধ্য থেকে ছিলাম না। অতপর নামাজরত ব্যক্তি দাব্বার দিকে তাকাবে। আর দাব্বাহ তখন তাকে মহর মেরে দিবে। তিনি বলেন মুমিনদের চেহারা চমকাবে। আর কাফেরদের মহর মারা হবে। তিনি বলেন অতপর তাকে জিজ্ঞাসা করা হল, হে হুযাইফা রাযিয়াল্লাহু আনহু সেদিন মানুষের খবর কি হবে? উত্তরে তিনি বলেন এক চতূর্থাংশের প্রতিবেশী, মাল সম্পদের ভিতর অংশীদারী ও সফরে সঙ্গী।
حدثنا ابن المبارك وابن ثور عن معمر عن رجل عن قيس بن سعد
عن أبي الطفيل
عن حذيفة قال إن للدابة ثلاث خرجات تخرج في بعض البوادي ثم تنكمي
يعني تكمن وخرجة في بعض القرى حتى تذكر فيهريق الأمراء فيها الدماء ثم تنكمي فبينما
الناس عند أشرف المساجد وأعظمها وأفضلها حتى ظننا أنه يسمي المسجد الحرام وما سماه
إذ رفعت لهم الأرض فانطلق الناس هرابا وتبقى عصابة من المسلمين
فيقولون إنه لن
ينجينا من أمر الله شيء فتخرج عليهم الدابة فتجلو وجوههم مثل الكوكب الدري ثم تنطلق
فلا يدركها طالب ولا يفوتها هارب وتأتي الرجل وهو يصلي
فتقول والله من كنت من
أهل الصلاة فيلتفت إليها فتخطمه
قال وتجلو وجه المؤمن وتخطم الكافر
قال
فقيل له ما الناس يومئذ يا حذيفة
قال جيران في الرباع شركاء في الأموال أصحاب
في الأسفار
পৃষ্ঠা - ১৮৬৯
হযরত ইবনে উমর রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন যখন আল্লাহ তা’আলার অঙ্গীকার যা আল্লাহ তা’আলার বাণী ”আমি তাদের জন্য মাটি হতে জন্তু বের করবো, যা তাদের সাথে কথা বলবে” এর প্রতিফল হবে। তিনি বলেন সেটার কোন কথাও হবেনা, কোন আলোচনাও হবেনা। তবে তার একটি নাম হবে যা আল্লাহ তা’আলা যাকে নির্দেশ করবেন সে রাখবে। উহা মিনার রাতে সাফা হতে বের হবে। আর তারা উহার মাথা ও পার্শ্বের মধ্যখানে থাকবে। কোন প্রবেশকারী প্রবেশ করতে পারবে না। কোন বহির্গমণকারী বের হতে পারবে না। এমনকি যখন উহা আল্লাহ তা’আলা যে বিষয়ে আদেশ করেছেন তা থেকে বিরত হওয়ার পর যে ধ্বংস হওয়ার সে ধ্বংস হবে। আর যে নাজাত পাওয়ার সে নাজাত পাবে। আর উহা প্রথম পা রাখবে আন্তাকিয়া শহরে।
حدثنا محمد بن الحارث عن محمد بن عبد الرحمن بن البيلماني عن ابيه
عن ابن عمر رضى الله عنهما قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم إذا كان الوعد
الذي قال الله تعالى أخرجنا لهم دابة من الأرض تكلمهم قال ليس ذلك بحديث ولا كلام
ولكنه سمة تسم من أمرها الله تعالى به يكون خروجها من الصفا ليلة منى فيصبحون بين
رأسها وذنبها لا يدخل داخل ولا يخرج خارج حتى إذا فرغت مما أمرها الله تعالى به
فهلك من هلك ونجا من نجا كانت أول خطوة تضعها بأنطاكية
পৃষ্ঠা - ১৮৭০
হযরত হুযাইফাতুল ইয়ামান রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন কখনো কোন কওম সম্পর্কে তেলাওয়াত করা হয় নাই তবে তাদের উপর সিদ্ধান্ত নির্ধারতি হয়েছে।
حدثنا ابن
المبارك عن سفيان عن الأعمش عن أبي ظبيان
عن حذيفة بن اليمان قال ماتلا عن قوم
قط إلا حق عليهم القول