আল ফিতন

خروج يأجوج ومأجوج

পৃষ্ঠা - ১৬২৫
হযরত আরতাত রা. হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, দাজ্জালের পর হযরত ঈসা আ. ত্রিশ বছর জীবিত থাকবেন। আর প্রত্যেক বছর তিনি মক্কায় এসে নামাজ আদায় করবেন এবং তাকবীর দিবেন।
ইয়াজুজ মাজুজের বহিপ্রকাশ
حدثنا الحكم بن نافع
عن جراح
عن أرطاة قال يمكث عيسى بعد الدجال ثلاثين سنة كل سنة منها يقدم إلى
مكة فيصلي فيها ويهلل
خروج يأجوج ومأجوج
পৃষ্ঠা - ১৬২৬
হযরত কা’ব রা. হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, মহান আল্লাহ তা’আলা ইয়াজুজ মাজুজদের তিন ভাগে সৃষ্টি করেছেন। প্রথমভাগ: বিশেষ বৃক্ষের কাঠের ন্যায়। দ্বিতীয়ভাগ: তারা লম্বায় চারগজ, অনুরুপ পার্শে¦ও। আরা শক্তিশালী। তৃতীয়ভাগ: তারা তাদের এক কানকে বিছানা বানিয়ে শয়ন করে, আরেক কান গায়ে জড়ায়। আর তারা তাদের মহিলাদের সন্তান ভুমিষ্ট হওয়ার সময় যা বের হয় তা খায়।
حدثنا بقية عن صفوان عن
شريح بن عبيد
عن كعب قال خلق الله يأجوج ومأجوج ثلاثة أصناف صنف أجسامهم كالأرز
وصنف أربع أذرع وعرضهم [ مثل ] أقوياهم وصنف يفترشون آذانهم ويلتحفون الأخرى
ويأكلون مشائم نسائهم
পৃষ্ঠা - ১৬২৭
হযরত কা’ব রা. হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, ইয়াজুজ মাজুজের আশ্রয়স্থল হল তূর পাহাড়। আর তাদের যুদ্ধ হল দামেস্কে।
حدثنا بقية عن صفوان حدثنا أبو الزاهرية
عن
كعب قال المعقل من يأجوج ومأجوج الطور ومن الملاحم دمشق
পৃষ্ঠা - ১৬২৮
হযরত কা’ব রা. হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, মানুষের থেকে ইয়াজুজ মাজুজকে সাত দলে বেশি হবে।
حدثنا بقية عن
صفوان حدثني المشيخة
عن كعب قال يفضل الناس يأجوج ومأجوج بسبعة نفر
পৃষ্ঠা - ১৬২৯
হযরত কা’ব রা. হতে বর্ণিত যে. তিনি বলেন, ইয়াজুজ মাজুজের জন্য নিচের যে দরজা খোলা হবে, সেটা চৌকাঠ চব্বিশ গজ প্রসস্ত হবে। বর্শার ফলক তা গোপন রাখবে।
قال صفوان وحدثني أبو المثنى الأملوكي
عن كعب قال عرض أسفكة باب يأجوج ومأجوج
الذي يفتح لهم السفلى أربعة وعشرون ذراعا تخفيها أسنة رماحهم
পৃষ্ঠা - ১৬৩০
হযরত ইবনে আব্বাস রা. হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, পৃথিবী সাত ভাগে বিভক্ত। উহার ছয় ভাগ ইয়াজুজ মাজুজ এর জন্য। আর বাকী কিছু অংশ সমস্ত সৃষ্টিজীবের জন্য। হযরত হাসসান ইবনে আতিয়া বলেন, ইয়াজুজ মাজুজ দুই জাতিতে বিভক্ত। আর প্রত্যেক জাতিতে একলাখ জাতি। একজাতি অন্য জাতির সাথে সাদৃশ্য নয়। কোন পুরুষ তার সন্তানদের একশত চক্ষু না দেখা পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করে না।
حدثنا ابن
وهب عن مسلمة بن علي وموسى بن شيبة عن الأوزاعي عن حسان بن عطية
عن ابن عباس
قال الأرض سبعة أجزاء فستة أجزاء منها يأجوج ومأجوج وجزء فيه ساير الأرض
وقال
حسان بن عطية يأجوج ومأجوج أمتان في كل أمة مائة ألف
أمة لا يشبه أمة أخرى
لا يموت الرجل منهم حتى ينظر في مائة عين من ولده
পৃষ্ঠা - ১৬৩১
হযরত যায়েদ ইবনে আসলাম তার পিতা হতে বর্ণনা করে বলেন, নিশ্চই রাসূল সা. বলেছেন যে, নিশ্চই ইয়াজুজ মাজুজ বের হবে। তাদের প্রথমজন তাবরিয়ার জলাশয় দিয়ে বের হবে। অতপর তারা তা পান করে ফেলবে। অতপর তাদের শেষজন সেখানে আসবে আর তারা বলবে, কেমনযেন এখানে একবার পানি ছিল। যখন তারা পৃথিবীতে শক্তিশালী হয়ে উঠবে, তখন তারা বলবে আমরা পৃথিবীতে শক্তিশালী হয়েছি, সুতরাং আসো আমরা আসমানবাসীদের সাথে যুদ্ধ করি। তখন সাহাবীগণ প্রশ্ন করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! মুসলমানগণ কোথায় থাকবে? রাসূল সা. উত্তরে বললেন, তারা দূর্গ বানাবে। অতপর আল্লাহ তা’আলা মেঘ প্রেরণ করবেন যাকে আনান বলা হয়। আর এরুপ নামই আল্লাহ তা’আলার নিকটে। অতপর তারা (উক্ত মেঘ লক্ষ করে) তীর নিক্ষেপ করবে। আর তাদের তীরগুলো রক্তমিশ্রীত অবস্থায় নিচে পড়বে। অতপর তারা বলবে, আমরা আল্লাহ কে হত্যা করেছি। অথচ আল্লাহ তা’আলাই তাদের হত্যাকারী। অতপর তারা যতক্ষণ আল্লাহ তা’আলা চান জীবন যাপন করবে। অতপর আল্লাহ তা’আলা মেঘের কাছে অহী পাঠাবেন ফলে মেঘ তাদের উপর উটের নাকের কীটের মতো একপ্রকার কীট বর্ষণ করবে। উক্ত কীটগুলো বের হয়ে তাদের প্রত্যেকের ঘাড়ে ধরবে এবং তাকে হত্যা করে দিবে। তাদের এঅবস্থা যখন হবে তখন মুসলমানদের মধ্য হতে এক ব্যক্তি বলবে, আমার জন্য দরজাটা খুলে দাও, আমি বের হয়ে আল্লাহ শত্রুরা কি করেছে তা দেখবো। হয়তো আল্লাহ তা’আলা তাদের ধ্বংস করে দিয়েছেন। অতপর সে বের হয়ে তাদের নিকটে এসে তাদেরকে মৃত দাড়ানো অবস্থায় পাবে। তারা একে অপরের উপরে থাকবে। অতপর সে আল্লাহ তা’আলার প্রশংসা করবে এবং তার সাথীদের ডেকে বলবে, আল্লাহ তা’আলা তাদের ধ্বংস করে দিয়েছেন। অতপর আল্লাহ তা’আলা বৃষ্টি প্রেরণ করে তাদের হতে পৃথিবী ধৌত করবেন। তিনি বলেন, অতপর মুসলমানগণ তাদের তীর ধনুক দিয়ে এত এত বছর আগুণ জ্বালাবে। আর মুসলমানদের জন্তু তাদের মৃতদেহ হতে খাবে। এবং তাদের উপর মোটা তাজা হবে।
حدثنا ابن وهب حدثنا
زيد بن أسلم
عن أبيه قال إن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال إن يأجوج ومأجوج
حين يخرجون يخرج أولهم في بالبحيرة بحيرة طبرية فيشربونها ثم يأتي آخرهم عليها
فيقولون كأنه كان هاهنا مرة ماء فإذا غلبوا على الأرض
قالوا قد غلبنا على الأرض
تعالوا نقاتل أهل السماء
فقالوا يا رسول الله فأين يكون المسلمون
قال
يتحصنون فيرسل الله سحابا يقال لها العنان وكذلك اسمه عند الله فيرمونه بنبالهم
فتسقط نبالهم مختضبة دما فيقولون قد قتلنا الله والله قاتلهم فيمكثوا ما شاء الله
فيوحي الله تعالى إلى السحاب فتمطر عليهم دودا كالنغف نغف الإبل يخرج منها فتأخذ كل
واحدة في عنق واحد منهم فتقتله فبيناهم على ذلك إذ قال رجل من المسلمين
افتحوا
لي الباب أخرج أنظر ما فعلوا أعداء الله لعل الله يكون قد أهلكهم فيخرج فإذا جاءهم
وجدهم قياما موتى بعضهم على بعض فيحمد الله وينادي إلى أصحابه
إن الله قد
أهلكهم فيبعث الله مطرا فيغسل الأرض منهم
قال فيستوقد المسلمون بقسيهم ونبلهم
كذا وكذا سنة وتأكل مواشي المسلمين من جيفهم فتشكر عليهم وتلين
পৃষ্ঠা - ১৬৩২
হযরত কতাদা রা. হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, এক লোক রাসূল সা. কে বলল, হে আল্লাহর রাসূল সা. আমি ইয়াজুজ মাজুজের জীর্ণ কাপড় দেখেছি। আর মানুষ আমাকে মিথ্যাবাদী বলছে। রাসূল সা. জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কিভাবে দেখেছ? উত্তরে সাহাবী বলল, আমি তা দেখেটি ডোরাকাটা সজ্জিত এর মাতো। রাসূল সা. বললেন, তুমি সত্য বলেছ। ঐ সত্বার কসম! যার হাতে আমার প্রাণ, আমি তাদের জীর্ণ পোষাক দেখেছি স্বর্ণের ইটের এবং সীসার ইটের।
حدثنا ابن وهب عن مسلمة بن علي عن سعيد بن بشير
عن قتادة قال قال رجل يا رسول
الله قد رأيت ردم يأجوج ومأجوج وإن الناس يكذبوني
قال النبي صلى الله عليه وسلم
كيف رأيته
قال رأيته كالبرد المحبر
قال صدقت والذي نفسي بيده لقد رأيته [ و
]
ردمه لبنة من ذهب ولبنة من رصاص
পৃষ্ঠা - ১৬৩৩
হযরত তুবাই হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন ঈসা ইবনে মারিয়াম আ. দাজ্জালকে হত্যা করবেন। তখন আল্লাহ তা’আলা তার নিকট অহী প্রেরণ করবেন। এ বলে যে, আপনি ও আপনার সাথে মুমিনদের যারা রয়েছে তাদের নিয়ে তুর পাহাড়ে চলে যান। কেননা আমার বান্দা বের হয়েছে। আমি ব্যতীত অন্য কেই তাদের বশে আনতে পারবে না। সেদিন শিশু ও নারী ব্যতীত মুমিনগণ বার দলে বিভক্ত হবে। অতপর ইয়াজুজ মাজুজ বের হয়ে প্রত্যেক উচু ভুমি দিয়ে চলবে। তারা যে পানির উপর দিয়ে যাবে তা শেষ করে দিবে। আর সেদিন পানি কম হয়ে যাবে। দাজ্জালের বের হওয়ার জায়গা নিচে নেমে যাবে এমনকি তারা তাবরিয়ার জলাশয় পর্যন্ত শেষ করবে। তাদের শেষজন বলবে, এখানে একবার পানি ছিল। অতপর তারা একে অপরের সামনে আসবে এবং বলবে, আর কতক্ষণ, আমরাতো পৃথিবীবাসীদের পরাভূত করেছি। চলো আমরা আসমানবাসীদের সাথে যুদ্ধ করি। অতপর তারা তাদের তীর আকাশের দিকে তীর নিক্ষেপ করবে। আর তাদের তীর রক্তমাখা অবস্থায় ফিরে আসবে। অতপর আল্লাহ তা’আলা তাদের উপর নাগাফ নামের পোকা প্রেরণ করবেন। (উক্ত পোকাগুলো) তাদের ঘাড়ে ধরবে। অতপর আল্লাহ তা’আলা তাদের ধ্বংস করে দিবেন। এমনকি যমিন তাদের মৃতদেহের গন্ধে গন্ধময় হয়ে যাবে। মুমিনগণ যেখানে থাকবে, সেখানেই তাদের কষ্ট বা আযাবের কথা মুমিনদের নিকট পৌছবে। অতপর মুমিনগণ হযরত ঈসা ইবনে মাররিয়াম আ. এর নিকট আসবে এবং বলবে, নিশ্চই আমরা বাতাশ পাচ্ছি যার উপর আমাদের ধৈর্যধারণ নেই। (আমরা ধৈর্যধারণ করতে পারবো না।) আর আমাদের শক্তিও নেই। অতপর ঈসা আ. ও মুমিনগণ তার প্রতিপালকের কাছে দুআ’ করবে। অতপর আল্লাহ তা’আলা আবাবিল পাখি প্রেরণ করবেন। তা তাদেরকে বহন করে যমিনের দূরে নিক্ষেপ করবে। এমনকি তাদের চর্বি ও রক্ত হতে ঝিনুকের ন্যায় হয়ে যাবে। অতপর তারা অনেক বছর জীবিত থাকবে। তাদের হাতিয়ার হতে জ্বালানোর কাষ্ঠ বানাবে। করবে। অতপর তারা সাত বছর জীবিত থাকবে। তারপর আল্লাহ তা’আলা মুমিনদের রূহ কবজের জন্য বাতাশ প্রেরণ করবেন।
حدثنا أبو أيوب عن أرطاة عن أبي عامر
حدثه
عن تبيع قال إذا قتل عيسى ابن مريم الدجال أوحى الله تعالى إليه أن انطلق
أنت ومن معك من المؤمنين إلى الطور فإنه قد خرج عباد لي لا يطيقهم أحد غيري
والمؤمنون يومئذ إثنا عشر ألفا سوى الذراري والنساء ويخرج يأجوج ومأجوج وهم من كل
حدب ينسلون لا يمرون على ماء إلا نزفوه والماء يومئذ قليل قد غار عند مخرج الدجال
حتى ينتهوا إلى بحيرة طبرية
فيقول آخرهم لقد كان هاهنا مرة ماء ثم إنه يقبل
بعضهم على بعض
فيقولون حتى متى وقد قهرنا أهل الأرض فهلموا فلنقاتل أهل السماء
فيرمون بنشابهم نحو السماء فترجع نشابهم مختضبة دما فيبعث الله عليهم داء يقال له
النغف يأخذ في أعناقهم فيهلكهم الله حتى
إن الأرض لتنتن من جيفهم حتى يبلغ
أذاهم المؤمنين حيث هم فيقبل المؤمنون إلى عيسى
فيقولون إنا لنجد ريحا ما لنا
عليه صبرا وما لنا عليه طاقة
فيدعوا عيسى ربه والمؤمنون فيبعث الله عليهم طيرا
أبابيل فتحملهم حتى تلقيهم في مهامة من الأرض حتى تصير كالصدفة من دمائهم وشحومهم
فيلبث الناس سنوات يحتطبون من سلاحهم ثم يلبثون سبع سنين ثم يبعث الله ريحا في قبض
أرواح المؤمنين
পৃষ্ঠা - ১৬৩৪
হযরত যামরা ইবনে হাবীব হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি জুবাইর ইবনে নুফাইর রা. কে বলতে শুনেছি যে, ইয়াজুজু মাজুজ তিন প্রকারের হবে। এক প্রকার হল- চিরহরিৎ বৃক্ষবিশেষ ও শুরবাইন (শারবীন) বৃক্ষবিশেষের মতো লম্বা হবে। আবু জাফর বলেন, আযর হল গাছের মতো। আকাশের দিকে একশত গজ বা একশত বিশ গজ অথবা এর থেকে কম বেশি উঠে। (লম্বা হয়।) আরেক প্রকার হল- তাদের লম্ব ও প্রস্থ সমান। শেষ প্রকার হল- পুরুষরা তাদের এক কান বিছানা বানায়। আরেক কান গায়ে জড়ায়। উক্ত কান দ্বারা সমস্ত শরীর ঢেকে রাখে।
حدثنا أبو أيوب وعبد القدوس ويحيى بن سعيد عن أرطاة عن
ضمرة بن حبيب قال
سمعت جبير بن نفير يقول إن يأجوج ومأجوج ثلاثة أصناف صنف
طولهم كالأرز والشربين
قال أبو جعفر الأرز هو شيء شبه الشجر كذا ذاهب في السماء
مائة ذراع أو عشرين ومائة ذراع أقل أو أكثر
وصنف طولهم وعرضهم سواء وصنف يفترش
الرجل منهم أذنه ويلتصق بالأخرى فيغطي بها سائر جسده
পৃষ্ঠা - ১৬৩৫
হযরত কা’ব রা. হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন নিশ্চই ড্রাগন বা দানব জীবিত হয়ে স্থলভাগে বসবাসকারীদের কষ্ট দিবে। অতপর আল্লাহ তা’আলা দানবকে স্থল থেকে জলে নিক্ষেপ করবেন। অতপর যখন জলভাগের প্রাণীরা চিৎকার করবে, তখন আল্লাহ তা’আলা এমন প্রাণী প্রেরণ করবেন যা দানবকে জলভাগ থেকে স্তলভাগে ইয়াজুজ মাজুজের নিকট নিয়ে যাবে। অতপর উক্ত দানবকে তাদের জন্য খাবার বানাবে।
حدثنا أبو المغيرة
عن إسماعيل بن عياش عن أبي بكر بن أبي مريم الغساني حدثني أشياخنا
عن كعب قال
إن التنين يكون حية فيؤذي أهل البر من أهل الأرض فيلقيها الله من البر إلى البحر
فإذا صاحت دواب البحر منه بعث الله عليه من ينقله من البحر إلى الأرض إلى يأجوج
ومأجوج فيجعله رزقا لهم
পৃষ্ঠা - ১৬৩৬
হযরত আযদাদ ইবনে আফলাহ আল মাকরাই’ হতে বর্ণিত যে, তিনি এবং জাবের ইবনে আযদাদ আল মাকরাই’ কালীলের রাহেত (যুদ্ধ) শেষে তাদের বাড়ীতে ফিরতে ছিলেন। অর্থাৎ গাযওয়ার পর উহাকে রাহেত বলা হয়। তখন জাবের তাকে বলল, তুমি কি আমর বিকালীর সাথে সাক্ষাত করবে? তিনি বললেন, হ্যা। তিনি বলেন, অতপর আমরা গেলাম এবং তার বাড়ীতে প্রবেশ করলাম। আমরা সেখানে একটি দল পেলাম যারা তাকে ঘিরে বসে আছে। আর তিনি তাদের সাথে বসে কথা বলতেছেন। অতপর এক ব্যক্তি দানব সম্পর্কে কথা বলল। অতপর আমর বললেন, তোমরা কি জান, দানব কেমন হবে? দানব একটি সাপ হবে, আর তা অন্য সাপের উপর আক্রমণ করে খেয়ে ফেলবে। অতপর অনেক সাপ খেয়ে বড় হবে এবং ফুলে যাবে। অতপর উহার বিষ বাড়বে এমনকি দগ্ধ হয়ে যাবে। যখন দানব স্থলভাগের প্রাণীদের উপর আক্রমন করবে তখন আল্লাহ তা’আলা তার পায়ের গোছা ধ্বংস করে দিবেন। অতপর তা নদীতে চলে যাবে। যাতে সে অশ্রু প্রবাহিত করতে পারে। অতপর নদীর স্রোত উহাকে আঘাত করবে এমনকি (নদী থেকে বের করে) সাগরে প্রবেশ করাবে। তারপর উহা স্থলভাগের প্রাণীদের সাথে যে আচরণ করেছিল ঠিক সেই আচরণই সমুদের প্রাণীদের সাথে করবে। অতপর দানব বড় হবে এবং উহার বিষ বাড়বে। এমনকি সমুদ্রের প্রাণীরা আল্লাহ তা’আলার নিকট এর থেকে বাচার জন্য চিৎকার করবে। অতপর আল্লাহ ত’আলা দানবের নিকট একজন ফেরেশতা প্রেরণ করবেন। উক্ত ফেরেশতা উহাকে নিক্ষেপ করে উহার মাথা পানি থেকে বের করবে। অতপর মেঘ ও বজ্র উহার নিকটবর্তী হয়ে উহাকে বহন করে ইয়াজুজ মাজুজের নিকট ফেলবে। এগুলো ইয়াজুজ মাজুজের খাদ্য হবে। উট, গরু যেভাবে জবাই করা হয় ঠিক সেভাবে তারা তা জবাই করবে।
حدثنا بقية وعبد القدوس عن صفوان بن عمرو عن
حوشب بن سيف المعافري
حدثني أزداد بن أفلح المقرائي أنه كان هو وجابر بن أزداد
المقرائي منصرفين إلى منزلهما بعد راهط بقليل يعني بعد غزوة يقال لها راهط
فقال
له جابر هل لك في زيارة عمرو البكالي
قال نعم
قال فانطلقنا حتى دخلنا منزله
فوجدنا الجند قد عادوه وهو قاعد يحدثهم فذكر رجل التنين
فقال عمرو هل تدرون كيف
يكون [ التنين
]
قالوا وكيف يكون
قال يكون حية تعدو على حية فتأكلها ثم
تصير تأكل الحيات وتعظم وتنتفخ وتزداد في حمتها حتى تحرق فإذا عدت على دواب الأرض
فأهلكتها ساقها الله حتى تأتي نهرا لتعبره فيضربها تيار المار حتى يدخلها البحر
فتصنع في دواب البحر كما صنعت في دواب الأرض فتعظم وتزداد في حمتها حتى تعج دواب
البحر منها إلى الله فيبعث الله إليها ملكا فيرميها حتى تخرج رأسها من الماء ثم
يدني إليها السحاب
والبرق وحتى يحملها فيلقيها إلى يأجوج ومأجوج تكون
أرزاقهم فيجتزرونها كما يجتزرون الإبل والبقر
পৃষ্ঠা - ১৬৩৭
হযরত কা’ব রা. এরুপই বর্ণিত হয়েছে। তবে তার রেওয়ায়েতে একথাগুলো বেশি আছে- তাদের নিকট সমুদ্র থাকবে। যার নাম হল- রক্তের সমুদ্র। সেখানে দানব থাকবে। আর তাদের মধ্যে কেউ তাদের মহিলাদের সন্তান ভুমিষ্ট হওয়ার সময় যা বের হয় তা খাবে। বনি আদমের সমষ্টির আধিক্যের উপর। তারা বনি আদমের চেয়ে সাত দলে বেশি হবে। পৃথিবী সমুদ্র অধিক করবে না, তবে ষাঁড়ের বাসস্থান দ্বারা।
قال أبو المغيرة فأخبرني
إسماعيل بن عياش عن صفوان حدثني شريح بن عبيد عن كعب مثل ذلك
وزاد فيه قال
وعندهم بحر يقال له بحر الدم فيه نتن وإن منهم لمن يأكل مشائم نسائهم على كثرة جمع
بني آدم ما يكثرهم بنو آدم إلا بسبعة نفر ولا يكثر الأرض البحر إلا بمربض ثور
পৃষ্ঠা - ১৬৩৮
হযরত কা’ব রা. হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, ইয়াজুজ মাজুজ বের হবে এবং তারা প্রত্যেক উচু জায়গা হতে দ্রুত আসবে। তাদের কোন বাদশা থাকবে না, শাসকও থাকবে না। তাদের মাথার উপর দিয়ে পাখি উড়বে। তবে তাদেরকে কাটতে পারবে না। এমনকি উহা কম্পন দিবে ও পড়ে যাবে। অতপর তারা উহা গ্রহণ করবে। তারপর তাদের আগে আগমণকারীরা তাবরীয়ার জলাশয়ে যাবে এবং উহার পানি যেভাবে আছে তা পান করে নিবে। তাদের পরে আগমনকারীরা আসবে এবং তাদের বল্লম সেখানে প্রবেশ করাবে। অতপর তারা বলবে এখাবে একবার পানি ছিল। তিনি বলেন, অতপর হযরত ঈসা আ. বলবেন, তোমাদের নিকট একটি জাতি এসেছে, যাদের সাথে আল্লাহ তা’আলা ব্যতীত আর কেউ পারবেনা। অতপর তিনি তার সাথীদের নিয়ে তূর পাহাড়ের দিকে চলে যাবেন। সেখানে তারা ক্ষুধার্ত থাকবে, এমনকি গাধার মাথার মূলা একশত দিরহাম হবে। তিনি বলেন, ইয়াজুজ মাজুজ বলবে, আমরা দুনিয়াবসীদের হত্যা করে ফেলেছি। চলো আমরা আসমনবাসীদের হত্যা করি। অতপর তারা আকাশে তীর ও বল্লম নিক্ষেপ করবে। আর তা রক্তমাখা অবস্থায় ফিরে আসবে। তখন তারা বলবে, আমরা আসমানবাসীদের হত্যা করেছি। অতপর হযরত ঈসা আ. ও মুমিনগণ তাদের জন্য বদদোয়া করবে এবং তাদেরকে আহ্বান করবে। তখন মাত্র বিশজন তার ডাকে সাড়া দিবে। তখন তাদের প্রত্যেক ব্যক্তি এভাবে এভাবে ঝুলবে। তাদের একজনও রেহাই পাবে না। অতপর হযরত ঈসা আ. ও মুমিনগণ (আল্লাহ তা’আলার নিকট) দোয়া করবে। ফলে আল্লাহ তা’আলা তাদের উপর আবাবিল প্রেরণ করবেন। তাদের ঘাড় হবে বুখতের ঘাড়ের (গরুর মতো এক ধরণের পশুর ঘাড়ের মতো।) মতো। আর উহার আবাস স্থল হল বাতাশে। বাতাশেই ডিম পাড়ে। আর উহার ডিম বাচ্চা ফোটার পূর্বে এক বছর বাতাশেই থাকে। আর যখন উহা বাচ্চা ফোটায় তখন বাতাশে উড়তে থাকে। অতপর উহা উড়তে থাকে এমনকি তাদের বাসস্থান তথা যেখান থেকে ডিম পড়েছিল সেখানে উড়ে যায়। অতপর তারা তাদের শরীর বহন করে। অতপর আবাবিল ইয়াজুজ মাজুজদের পৃথিবীর গর্তে ও ও নরম স্থানে নিক্ষেপ করবে। অতপর আল্লাহ তা’আরা মুমিনদের উপর বৃষ্টি প্রেরণ করে তাদের (ইয়াজুজ মাজুজ) হতে পৃথিবী পবিত্র করবেন। আর তা মসৃনের মতো হয়ে যাবে। আর পৃথিবী নূহ আ. এর যমানায় যেমন ছিল, তেমনের মতো ফিরে যাবে। আর তখন প্রত্যেক উম্মত আত্মসমার্পন করবে। এমনকি হিংসপ্রাণী ও বন্যপ্রানীও আত্মসমার্পন করবে। প্রত্যেক কাটাওয়ালা বস্তু হতে কাটা সরিয় নেয়া হবে। (তখন) মানুষ, সাপ, বাঘ, সিংহ ও ছাগল একত্রে খানা খাবে। ছোট বালক সিংহের পিঠে আরোহন করবে। এবং সে তার হাতে সাপ উলট পালট করবে। আর একথাই বলা হয়েছে, আল্লাহ তা’আলা এ কালামে- আসমান ও যমীনে যা কিছু আছে, সবকিছ আল্লাহ তা’আলার জন্য ইচ্ছায় অনিচ্ছায় আত্মসমার্পন করে। একগুচ্ছ আঙ্গুরের থোকা ও একটি বেদানা হতে একদল খাবে। লোকজন চাষ করবে এবং ফসল সংগৃহীত করবে। সে তার চাষ হতে খাবে। একটি দুধ দানকারী পশু পরিবারকে দুধ পান করাবে। এমনিভাবে গরু ছাগলও। স্বর্ণ, রৌপ্য মূলহীন হয়ে যাবে। এমনকি এক ব্যক্তি একশত দিনর নিয়ে ঘুরবে কিন্তু, সে তা গ্রহণ করার কাউকে পাবে না। মহিলা তার অলংকার বহন করবে কিন্তু, সে কোন চোর, দর্শনকারী, (হস্ত) প্রসারিতকারী এবং কব্জাকারী পাবে না। লোকজন ঘরে ফিরে যাবে, আর তখন তার সাথে লাঠি ও পাথর তার ঘরে যা হয়েছে সে ব্যাপারে কথা বলবে।
حدثنا الحكم بن نافع عن جراح عمن حدثه
عن كعب قال يخرج يأجوج ومأجوج
وهم من كل حدب ينسلون ليس لهم ملك ولا سلطان فيسير الطير على رؤوسهم فلا يقطعهم حتى
يرجف فيسقط فيؤخذ ويمر أوائلهم ببحيرة طبرية وماؤها كهيئتة فيشربونها ويأتيهم آخرهم
فيركزون فيها رماحهم
ويقولون قد كان فيها مرة ماء
قال فيقول عيسى لقد
جاءتكم أمة لا يطيقها إلا الله ويأتي بأصحابه الطور فيجوعون حتى يبلغ رأس حمار مائة
دينار
قال ويقول يأجوج ومأجوج قد قتلنا أهل الأرض فتعالوا نقاتل أهل السماء
فيرمون السماء بنبالهم ونشابهم فترجع [ إلى عندهم ] فترجع مختضبة دما
فيقولون قد قتلنا أهل السماء فيدعوا عيسى والمؤمنون عليهم ويندبهم فلا
ينتدب غير عشرين رجلا فيتعلق كل رجل منهم كذا كذا فلا يفلت منهم أحد
فيدعوا
عيسى والمؤمنون فيرسل الله عليهم الأبابيل أعناقهم كأعناق البخت ومسكنها في الهواء
وتبيض في الهواء ويمكث بيضها في الهواء سنة قبل أن يفرخ وإذا يفقس يهوى في الهواء
ويطير حتى يرتفع إلى أمكنتها التي سقطت منها فيحتمل أجسامهم فيقذفهم في أخدود ومهبل
من الأرض وينزل الله عليهم مطرا فيطهر منهم الأرض وتصير كالزلفة وتعود كما كانت زمن
نوح وتسلم يومئذ كل أمة حتى السباع والوحش وتنزع الحمات من كل ذات حمة وتأكل
الأدمية والحية والذئب والأسد والشاة جميعا ويركب الغلام ظهر الأسد ويقلب في كف
الحية وهو قوله تعالى وله أسلم من في السموات والأرض طوعا وكرها وإليه يرجعون ويأكل
من العنقود والرمانة النفر ويزرع الرجل ويحصد ويأكل من زرعه في يوم وتروي اللقحة
أهل البيت والبقرة والشاة كذلك ويهون الذهب والفضة حتى إن الرجل ليحمل المائة دينار
فلا يجد من يقبلها منه وتحمل المرأة حليها فلا تجد سارقا ولا ناظر ولا باسطا ولا
قابضا وينصرف الرجل إلى منزله فيحدثه العصا والحجر بما كان من أهله
পৃষ্ঠা - ১৬৩৯
হযরত ঈসা ইবনে সুলাইমান হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, আমার নিকট এখবর পৌছেছে যে, যখন হযরত ঈসা ইবনে মারিয়াম আ. দাজ্জালকে হত্যা করবে এবং বাইতুল মাকদাসে অবস্থান করবে। তখন ইয়াজুজ মাজুজ প্রকাশ পাবে। আর তারা হল চব্বিশটি জাতি। (তারা হল) ইয়াজুজ, মাজুজ, ইয়ানাজীজু, জাজ, গাসলাইয়্যূন, সাবতিয়্যূন, ফাযনাইয়্যূন, ক্বওতানিয়্যূন, যারা এককান গায়ে জড়ায় আরেককান বিছানা বানায়, যাতিয়্যূন, কানয়ানিয়্যূন, দাফরাইয়্যূন, খাখূঈন, আনতারিয়্যূন, মাগাশিঊন এবং রুঊসুল কিলাব। সুতরাং তাদের সমষ্টি হল চব্বিশ জাতি। তারা যাদের পাশ দিয়ে অতিক্রম করবে, চাই মৃত হোক বা জীবিত, তাদের খেয়ে যাবে। যে পানির পাশ দিয়ে যাবে তা পান করে যাবে। তাদের প্রথমে আগমণকারীরা তাবরিয়া জলাশয়ের পানি পান করে ফেলবে। আর তাদের শেষে আগমণকারীরা সেখানে পানি পাবে না। অবশেষে তারা আরিহা নামক স্থানে একত্র হবে। যখন ঈসা আ. (তাদের ব্যাপারে) শুনবেন, তখন তিনি ও তার মুমিন সাথীরা প্রস্তরখন্ড দ্বারা আশ্রয়গ্রহণ করবে। অতপর তাদের মধ্যে একজন বক্তা দাড়াবে। অতপর সে আল্লাহ তা’আলার প্রশংসা করবে এবং তাাঁর গুণগান গাইবে। এবং বলবে, হে আল্লাহ! আপনার অনূস্বরণে অল্প সাহায্য করুন। আপনার গুনাহ (থেকে পরহেজ থাকার) বেশি সাহায্য করুন। কেউ কি প্রতিনিধি আছেন? তখন জুরহুম থেকে একজন প্রতিনিধি হবে। গাসসান হতে একজন প্রতিনিধি হবে। অবশেষে তারা দুইজন গিরিপথের নিচে নামবে। তারপর গাসসানী ব্যক্তি নিচে নামবে, তখন জুরহুমী ব্যক্তি তাকে বলবে, ওখানে ছিলাম না।
حدثنا يحيى بن سعيد حدثني سليمان بن عيسى قال
بلغني أن عيسى ابن مريم عليه
السلام إذا قتل الدجال ونزل بيت المقدس ظهر يأجوج ومأجوج وهم أربعة وعشرون أمة
يأجوج ومأجوج وبناجيج والحج والعسلانين والسبتيين والفزانيين والعوطنيين وهو
الذي يلتحف أذنه ويفترش الأخرى والرطنيين والكنعانيين والدفرانيين
والخاخونين والأنطارنين والمغاشنين ورؤس الكلاب فجميعهم أربعة وعشرون أمة لا يمرون
بحي ولا ميت إلا أكلوه ولا ماء إلا شربوه ويشرب أولهم ماء بحيرة الطبرية ويمر آخرهم
فلا يجدون ماء حتى يجتمعوا ببطن أريحاء فإذا سمع عيسى فزع إلى الصخرة ومن معه من
المؤمنين فيقوم عليهم خطيبا فيحمد الله ويثني عليه
ويقول اللهم انصر القليل في
طاعتك على الكثير في معصيتك هل من منتدب فينتدب رجل من جرهم ورجل من غسان حتى ينزلا
أسفل العقبة فينزل الغساني
فيقول له الجرهمي لست هناك
পৃষ্ঠা - ১৬৪০
হযরত জুবাইর ইবনে নুফাইর রা. রাসূল সা. হতে বর্ণনা করে বলেন যে, ইয়াজুজ মাজুজ হতে মুসলমানদের দূর্গ হবে তূর পাহাড়।
حدثنا بقية عن
ابن أبي مريم
عن عبد الرحمن بن جبير بن نفير عن النبي صلى الله عليه وسلم قال
معقل المسلمين من يأجوج ومأجوج الطور
পৃষ্ঠা - ১৬৪১
হযরত কা’ব রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন ইয়াজুজ মাজুজের বের হওয়ার সময় হবে, তখন তারা এতটুকু পরিমান খনন করবে যে, তারা তাদের নিকটবর্তী লোকদের কুঠারের আঘাতের আওয়াজ শুনতে পাবে। অতপর যখন রাত আসে, তখন তারা বলে, আমরা আগামীকাল খুলবো এবং বাহির হবো। অতপর আল্লাহ তা’আলা উহাকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেন। অতপর তারা (পুনরায়) এতটুকু পরিমান খনন করবে যে, তারা তাদের নিকটবর্তী লোকদের কুঠারের আঘাতের আওয়াজ শুনতে পাবে। অতপর যখন রাত আসে, তখন তারা বলে, আমরা আগামীকাল খুলবো এবং বাহির হবো। অতপর আল্লাহ তা’আলা উহাকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেন। তারা (পুনরায়) এতটুকু পরিমান খনন করবে যে, তারা তাদের নিকটবর্তী লোকদের কুঠারের আঘাতের আওয়াজ শুনতে পাবে। অতপর যখন রাত আসে, তখন তৃতীয়বারে তাদের একজনের যবানে আলাøাহ তা’আলা (ইলকা করবেন) দান করবেন যার ফলে সে বলবে, যদি আল্লাহ তা’আলা চান, তাহলে আগামীকাল আমরা বের হবো। পরবর্তী দিন তারা খনন করবে, তখন তারা আগের দিন রেখেছিল তেমনি পাবে। অতপর তারা খনন করবে এবং বের হয়ে আসবে। অতপর তাদের প্রথম দল তাবরিয়ার জলাশয়ের পাশ দিয়ে অতিক্রম করবে এবং উহার পানি পান করে ফেলবে। অতপর তাদের দ্বিতীয়দল উহার মাটি চাটবে। অতপর তাদের তৃতীয়দল বলবে, এখানে একবার পানি ছিল। মানুষ তাদের থেকে পালয়ন করবে। তাদের জন্য কেউ দাড়াবে না। তিনি বলেন, অতপর তারা তাদের তীরন্দাজ দিয়ে আকাশে তীর নিক্ষেপ করবে। অতপর উক্ত তীরগুলো রক্তমাখা অবস্থায় ফিরে আসবে। তখন তারা বলবে, আমরা দুনিয়াবাসী ও আকাশবাসীদের হত্যা করেছি। অতপর হযরত ঈসা ইবনে মারিয়াম আ. তাদের জন্য বদদোয়া করে বলবেন, হে আল্লাহ! তাদের সাথে আমাদের শক্তি ও সামর্থ নেই। আপনি যেখাবে চান, তাদের ব্যাপারে আমাদের জন্য যথেষ্ঠ হোন। অতপর আল্লাহ তা’আলা তাদের উপর পোকা চাপিয়ে দিবেন। যাকে নাগাফ বলা হয়। তা তাদের ঘাড় ছিড়ে খাবে। অতপর আল্লাহ তা’আলা পাখি প্রেরণ করবেন, যা তাদেরকে তাদের ঠোট দিয়ে ধরে নিয়ে সমুদ্রে নিক্ষেপ করবে। অতপর আল্লাহ তা’আলা ঝর্ণা (প্রচুর বৃষ্টি) প্রেরণ করবেন, যা পৃথিবী ও পৃথিবীর উদ্ভিত কে পবিত্র করবে। অবশেষে একটি আনার হতে ’সাকান’ পরিতৃপ্ত হবে। হযরত কা’ব রা. বলেন, সাকান হল- ঘরবওয়ালারা।
حدثنا عبد الرزاق عن معمر عن أيوب
عن أبي الضيف
عن كعب قال إذا كان عند خروج يأجوج ومأجوج حفروا حتى يسمع الذين
يلونهم قرع فؤوسهم فإذا كان الليل
قالوا نحن غدا نفتح ونخرج فيعيده الله كما
كان فيحفرون حتى يسمع الذين يلونهم قرع فؤوسهم فإذا كان الليل
قالوا نحن غدا
نفتح ونخرج فيعيده الله كما كان [ فيحفرون
]
حتى [ يسمع ] الذين يلونهم قرع
فؤوسهم فإذا كان الليل ألقى [ الله ] على لسان رجل منهم في الثالثة
فيقول نحن
غدا نخرج إن شاء الله فيحفرون من الغد فيجدونه كما تركوه فيحفرون ثم يخرجون فتمر
الزمرة الأولى منهم بالبحيرية الطبرية فيشربون ماءها ثم الزمرة الثانية فيلحسون
طينها ثم الزمرة الثالثة فيقولون قد كان هاهنا مرة ماء ويفر الناس منهم فلا يقوم
لهم شيء
قال ثم يرمون نشابهم إلى السماء فترجع مخضبة بالدماء
فيقولون قد
قتلنا أهل الأرض وأهل السماء فيدعو عليهم عيسى ابن مريم
فيقول اللهم لا طاقة
لنا بهم ولا يدين فاكفناهم بما شئت فيسلط الله عليهم دوابا يقال لها النغف فتفرس
رقابهم ويبعث الله طيرا تأخذهم بمناقيرها فترميهم في البحر ويبعث الله عينا يقال
لها الحياة فتطهر الأرض وتنبتها حتى إن الرمانة ليشبع منها السكن [ قال كعب
]
والسكن أهل البيت
পৃষ্ঠা - ১৬৪২
হযরত ওয়াহাব ইবনে জাবের আল খাইওয়াই রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি হযরত আমর ইবনে আস রা. কে ইয়াজুজ মাজুজ সম্পের্ক আলোচনা করতে শুনেছি। তিনি বলেন, কোন পুরুষ তার বংশে একহাজার সন্তার হওয়ার পূর্বে সে মারা যায় না। আর তাদের পরে তিন জাতি আছে। যাদের সংখ্যা একমাত্র আল্লাহ তা’আলা ব্যতীত আর কেউ জানেনা। (তিন জাতি হল)- মানসাক, তাওয়ীল, তারীস।
حدثنا عبد الرزاق عن معمر عن أبي إسحاق عن وهب بن جابر
الخيواني قال
سمعت عبد الله بن عمرو بن العاص رضي الله عنهما يذكر يأجوج ومأجوج
فقال ما يموت الرجل منهم حتى يولد من صلبه ألف [ رجل ] وإن من ورائهم لثلاث أمم ما
يعلم عددهم إلا الله منسك وتأويل وتأريس
পৃষ্ঠা - ১৬৪৩
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ইয়াজুজ মাজুজের পুরুষরা একহাজার বা তার থেকে বেশি সন্তান-সন্ততি রেখে মারা যায়। হযরত ওয়াকী’ এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তাবে তিনি তার সনদে আমর ইবনে মাইমুনের কথা উল্লেখ করেন নাই।
حدثنا وكيع وعبدة بن سليمان
عن زكريا عن الشعبي عن عمرو بن ميمون
عن عبد الله بن سلام قال لا يموت الرجل من
يأجوج ومأجوج إلا ترك ألف ذري فصاعدا
إلا أن وكيعا لم يذكر عمرو بن ميمون
পৃষ্ঠা - ১৬৪৪
হযরত যায়নাব বিনতে জাহাশ রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সা. চেহারা লাল অবস্থায় ঘুম থেকে উঠলেন। আর তিনি বলতেছেন, আল্লাহ তা’আলা ব্যতীত আর কোন মা’বুদ নাই। আরবদের জন্য আফসোস! অনিষ্ট ঘনিয়ে এসেছে। আজ এভাবে ইয়াজুজ মাজুজের প্রাচীর খোলা হয়েছে। আর সুফিয়ান দশবার বেধেছে। অতপর আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের মধ্যে সৎ লোক থাকা সত্বেও আমরা ধ্বংস হয়ে যাবো? তিনি উত্তরে বললেন, হ্যাঁ, যখন মন্দ বেশি হবে।
حدثنا ابن عيينة عن الزهري عن عروة عن زينب ابنة أبي سلمة عن أم حبيبة
عن زينب ابنة جحش رضي الله عنها قالت استيقظ رسول الله صلى الله عليه وسلم من
النوم وهو محمر وجهه وهو يقول لاإله إلا الله ويل للعرب من شر قد اقترب فتح اليوم
من ردم يأجوج ومأجوج مثل هذه وعقد سيفان عشرا
فقلت يا رسول الله نهلك وفينا
الصالحون
قال نعم إذا كثر الخبث
পৃষ্ঠা - ১৬৪৫
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. হতে বর্ণিত, তিনি দাজ্জালের অভির্ভাব, ঈসা ইবনে মারিয়াম আ. এর অবতরণ, হযরত ঈসা আ. কর্তৃক দাজ্জালের হত্যার ব্যাপারে আলোচনা করেছেন। (এ প্রসঙ্গে আলোচনার পর) তিনি বলেন, অতপর ইয়াজুজ মাজুজ তরঙ্গের মতো পৃথিবীতে আসবে এবংং ধ্বংসলীলা চালাবে। অতপর হযরত আব্দূল্লাহ রা. এআয়াত পড়লেন, ’অতপর তারা প্রত্যেক উচু জায়গা হতে আসবে।’ সূরা- আম্বিয়া, ৯৬। অতপর আল্লাহ তা’আলা তাদের উপর এই রকম উটের নাকে পোঁকার মতো পোঁকা পাঠাবেন। তা তাদের কানে ও নাকে ছিদ্র দিয়ে প্রবেশ করবে। ফলে তারা মৃত্যু বরণ করবে। অতপর তাদের কারণে যমিন দূর্গন্ধ হয়ে যাবে। অতপর আল্লাহ তা’আলার নিকট উচ্চস্বরে দোয়া করবে। ফলে আল্লাহ তা’আলা তাদের থেকে পৃথিবীকে পবিত্র করবেন।
حدثنا ابن نمير عن سفيان عن سلمة بن
كهيل عن أبي الزعراء
عن عبد الله بن مسعود رضي الله عنه أنه ذكر خروج الدجال
ونزول عيسى ابن مريم وقتله الدجال
قال ثم يخرج يأجوج ومأجوج فيموجون في الأرض
فيفسدوا فيها
قال ثم قرأ عبد الله وهم من كل حدب ينسلون
قال فيبعث الله
عليهم دابة مثل هذا النغف فتلج في أسماعهم ومناخرهم فيموتون منها فتنتن الأرض منهم
فتجأر إلى الله فيطهر الله الأرض منهم
পৃষ্ঠা - ১৬৪৬
হযরত আবু যাহেরা রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ইয়াজুজ মাজুজ মানুষদের তুর পাহাড়ে অবরুদ্ধ করে রাখবে। এমনকি ঘাড়ের মাথার মূল্য একশত দিনার হবে।
حدثنا بقية بن الوليد وأبو
المغيرة عن أبي بكر بن أبي مريم
عن أبي الزاهرية قال يحصر الناس يأجوج ومأجوج
في الطور حتى يكون رأس الثور خير من مائة دينار
পৃষ্ঠা - ১৬৪৭
হযরত কা’ব এবং শুরাইহ ইবনে উবাইদ রা. হতে বর্ণিত, তারা বলেন, ইয়াজুজ মাজুজ তিন প্রকার। একপ্রকার- তাদের উচ্চতা আরয গাছের মতো। আরেক প্রকার- তাদের উচ্চতা ও প্রশস্ততা সমান। আরেক প্রকার- তাদের প্রত্যেকে তাদের এক কান বিছানা বানায় এবং আরেক কান সারা শরীরে জড়ায়।
حدثنا ابن وهب عن معاوية
بن صالح عن يحيى بن جابر وحدير بن كريب
عن كعب وشريح بن عبيد قالا يأجوج ومأجوج
ثلاثة أصناف صنف طوله كالأرز وصنف طوله وعرضه سواء وصنف يفترش أحدهم أذنه ويلتحف
الأخرى ويغطي سائر جسده
পৃষ্ঠা - ১৬৪৮
হযরত কা’ব রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ইয়াজুজ মাজুজের সময় মানুষের দূর্গ হবে তূরে সাইনা পর্বত।
حدثنا ابن وهب عن معاوية بن صالح عن يحيى بن
جابر وحدير بن كريب
عن كعب قال معقل الناس يوم يأجوج ومأجوج بطور سينا
পৃষ্ঠা - ১৬৪৯
হযরত হাসসান ইবনে আতিয়া রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ইয়াজুজ মাজুজ দুটি জাতি। প্রত্যেক জাতিতে একলাখ জাতি। যা অন্য জাতির সাথে সাদৃশ্য নয়। সন্তান সন্ততি একশত চোখ না দেখা পর্যণÍ কোন লোক মারা যায় না। অর্থাৎ একশত সন্তান।
حدثنا أبو المغيرة عن الأوزاعي
عن حسان بن عطية قال يأجوج ومأجوج أمتان في كل
أمة مائة ألف لا تشبه أمة الأخرى ولا يموت الرجل حتى ينظر في مائة عين من ولده يعني
مائة من الولد
পৃষ্ঠা - ১৬৫০
হযরত ইবনে উমর রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সা. বলেছেন, আমার উম্মত অনুগ্রহপ্রাপ্ত। তাদের উপর আখেরাতে কোন শাস্তি নেই। তাদের শাস্তি দুনিয়াতে। ভূমিকম্প ও বিপদ-আপদ। যখন কিয়ামাত হবে, তখন আমার উম্মতের প্রত্যেক ব্যক্তিকে আল্লাহ তা’আলা ইয়াজুজ মাজুজ হতে একজন কাফের ব্যক্তি দিবেন। অতপর বলা হবে, এটা তোমার জাহান্নাম হতে মুক্তিপণ। অতপর একব্যক্তি প্রশ্ন করলো- হে আল্লাহর রাসূল সা. তাহলে কিসাস কোথায়? তখন রাসূল সা. চুপ থাকলেন।
حدثنا ابن وهب عن مسلمة بن علي عن عبد الرحمن بن يزيد
عن ابن شهاب
عن ابن عمر رضي الله عنهما قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم
أمتي أمة مرحومة لا عذاب عليها في الآخرة عذابها في الدنيا الزلازل والبلاء فإذا
كان يوم القيامة أعطى الله كل رجل من أمتي رجلا من الكفار من يأجوج ومأجوج فيقال
هذا فداؤك من النار
فقال رجل يا رسول الله فأين القصاص
فسكت
পৃষ্ঠা - ১৬৫১
হযরত ইবনে মাসউদ রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন ইয়াজুজ মাজুজ হতে প্রত্যেক ব্যক্তি একহাজার সন্তান সন্ততি বা তার থেকে বেশি রেখে মারা যায়।
حدثنا عيسى بن يونس عن زكريا عن عامر حدثني عمرو بن ميمون
عن ابن
مسعود قال لا يموت من يأجوج رجل إلا ترك ألف ذري فصاعدا
পৃষ্ঠা - ১৬৫২
হযরত আতিয়া ইবনে কাইস এবং যামরা রা. হতে বর্ণিত, তারা বলেন, যমিন সমুদ্র হতে বেশি প্রসস্ত ষাড়ের বাসস্থান দ্বারা।
حدثنا عبد
القدوس عن أبي بكر عن عطية بن قيس وضمرة
قالا الأرض أوسع من البحر بمربض ثور
পৃষ্ঠা - ১৬৫৩
হযরত ইবনে আব্বাস রা. রাসূল সা. হতে বর্ণনা করে বলেন, যখন আল্লাহ তা’আলা আমাকে উঠিয়ে নিয়েছিলেন, তখন আমাকে ইয়াজুজ মাজুজের নিকট পাঠালেন। অতপর আমি তাদের আল্লাহ তা’আলার দ্বীন ও তাঁর অনুগত্যের প্রতি আহবান করলাম। আর তারা আমার ডাকে অস্বীকৃতি জানালো। সুতরাং তারা আদম আ. এবং ইবলিসের সন্তান যারা অপরাধ করে, তাদের সাথে জাহান্নামে থাকবে।
حدثنا نوح بن أبي مريم عن مقاتل بن حيان عن عكرمة
عن ابن عباس رضي
الله عنهما عن النبي صلى الله عليه وسلم قال بعثني الله تعالى حين أسري بي إلى
يأجوج ومأجوج فدعوتهم إلى دين الله وإلى عبادته فأبوا أن يجيبوني فهم في النار مع
من عصى من ولد آدم وولد إبليس
পৃষ্ঠা - ১৬৫৪
হযরত ওয়াহাব ইবনে মানবাহ রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রোম হল প্রথম নিদর্শন। অতপর দাজ্জাল। তৃতীয় হল ইয়াজুজ মাজুজ। অতপর ঈসা আ.।
حدثنا أبو المغيرة عن ابن عياش عن شيخ
عن وهب بن منبه قال الروم أول الآيات ثم الدجال والثالثة يأجوج ومأجوج ثم عيسى
পৃষ্ঠা - ১৬৫৫
হযরত আব্দুল্লাহ রা. রাসূল সা. হতে বর্ণনা করে বলেন, যখন ঈসা আ. দাজ্জালকে হত্যা করবে এবং তার সাথে যারা থাকবে, তারা অবস্থান করবে। এমনকি ইয়াজুজ মাজুজের দেয়াল ভেঙ্গে ফেলা হবে। তখন তারা তরঙ্গায়িত হয়ে যমিনে এসে ধ্বংসলীলা চালাবে। তা যে জিনিসের পাশ দিয়েই অতিক্রম করবে তা নষ্ট ও ধ্বংস করে দিবে। তারা যে পানি, ঝর্ণা, নদীর পাশ দিয়ে অতিক্রম করবে তা শেষ করে দিবে। সুতরাং যার নিকট একথা পৌছবে, সে যেন কখনো দূর্গ, সিরিয়ার শহর, উপদ্বীপ ধ্বংস না করে। কেননা ইয়াজুজ মাজুজ হতে মুসলমানদের দূর্গ হবে তুরে সাইনা পাহাড়। অতপর মানুষ আল্লাহ তা’আলার নিকট ইয়াজুজ মাজুজের ধ্বংস কামনা করবে। তাদের দোয়ায় সাড়া দেয়া হবে না। তূরে সাইনার অধিবাসী এবং যাদের হাতে আল্লাহ তা’আলা কুস্তুনতুনিয়া বিজয় দান করেছেন, তারা দোয়া করবে। ফলে আল্লাহ তা’আলা তাদের জন্য চার পা বিশিষ্ট প্রাণী পাঠাবেন। অতপর তা তাদের কানের মধ্যে প্রবেশ করবে। ফলে সকলেই মারা যাবে। অতপর যমিন তাদের গন্ধে দূর্গন্ধ হয়ে যাবে। তাদের দূর্গন্ধ মানুষকে তাদের জীবিত থাকার চেয়ে অনেক বেশি কষ্ট দিবে। ফলে তারা আল্লাহ তা’আলার নিকট বৃষ্টি কামনা করবে। তখন আল্লাহ তা’আলা ডান দিক হতে ধূলিময় বাতাশ প্রেরণ করবেন। যা মানুষের উপর প্রচন্ড অন্ধকার ও ধোঁয়াময় হবে। এবং মুমিনদের সর্দি হবে। তখন তারা তাদের প্রতিপালকের নিকট প্রর্থনা করবে। এবং তূরে সাইনাবাসীরাও দোয়া করবে। ফলে আল্লাহ তা’আলা তিন দিন পর তাদের যা হয়েছে তা দূর করে দিবেন। আর ইয়াজুজ মাজুজকে সমুদ্রে নিক্ষেপ করা হয়েছে।
حدثنا أبو عمر عن ابن لهيعة عن عبد الوهاب بن حسين عن محمد بن ثابت عن
أبيه عن الحارث
عن عبد الله عن النبي صلى الله عليه وسلم قال إذا قتل عيسى
الدجال ومن معه مكث الناس حتى يكسر سد يأجوج ومأجوج فيموجون في الأرض ويفسدون لا
يمرون بشيء إلا أفسدوه وأهلكوه ولا يمرون بماء ولا عين ولا نهر إلا نزفوه ويمرون
بالدجلة والفرات فمن كان منهم أسفل الدجلة أو أسفل الفرات
قال قد كان هاهنا مرة
ماء فمن بلغه هذا الحديث فلا يهدمن حصنا ولا مدينة بالشام ولا بالجزيرة فإنه حصن
للمسلمين من يأجوج ومأجوج طور سينا فيستغيث الناس بربهم بهلاك يأجوج ومأجوج فلا
يستجاب لهم وأهل طور سينا وهم الذين فتح الله على أيديهم القسطنطينية فيدعون ربهم
فيبعث الله لهم دابة ذات قوائم أربعين فتدخل في آذانهم فيصبحوا موتى أجمعين فتنتن
الأرض منهم فيؤذي الناس نتنهم أشد عليهم منه إذ كانوا أحياء فيستغيثون بالله فيبعث
الله ريحا يمانية غبراء فتصير على الناس غمى ودخانا شديدا وتقع على
المؤمنين الزكمة فيستغيثون بربهم ويدعو أهل طور سينا فيكشف الله ما بهم بعد
ثلاثة أيام وقد قذفت يأجوج ومأجوج في البحر
পৃষ্ঠা - ১৬৫৬
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ইয়াজুজ মাজুজের প্রথমজনেরা দাজলা নদীর মতো নদীর পাশ দিয়ে অতিক্রম করবে। অতপর তাদের শেষজনেরাও সেখান দিয়ে অতিক্রম করবে আর বলবে, এখানে একবার পানি ছিল। তাদের কোন পুরুষ একহাজার বা তার থেকে বেশি সন্তান সন্ততি রাখা ব্যতীত মৃত্রু বরণ করে না। তাদের পরে তিনিিট জাতি। তাদের সংখ্যা আল্লাহ তা’আলা ব্যতীত আর কেউ জানে না। (তিনটি জাতি হল)- তাওয়ীল, তারীস এবং নাসীক অথবা নাসাক। সনদে শু’বা হতে সন্দেহ।
حدثنا محمد بن جعفر عن شعبة
عن أبي إسحاق سمع وهب بن جابر
عن عبد الله بن عمرو قال إن يأجوج ومأجوج يمر
أولهم بنهر مثل الدجلة فيمرآخرهم فيقولون قد كان في هذه مرة ماء ولا يموت رجل منهم
إلا [ و ] ترك من ذريته ألفا فصاعدا ومن بعدهم ثلاث أمم ولا يعلم عدتهم إلا الله
تأويل وتأريس وناسك أونسك الشك من شعبة
পৃষ্ঠা - ১৬৫৭
হযরত আব্দুুল্লাহ রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন আল্লাহ তা’আলা ইয়াজুজ মাজুজকে নিয়ে যাবেন। তখন আল্লাহ তা’আলা তীব্র ঠান্ডা বাতাশ প্রেরণ করবেন। যা যমিনের উপরে একজন মুমিন বান্দাকেও ছাড়বে না; বরং উক্ত বাতাশ দ্বারা প্রত্যেকের রুহ কবজ করা হবে। অতপর খারাব লোকদের উপর কিয়ামাত সংগঠিত হবে। তারপর সিঙ্গায় ফুঁক দেয়া হবে। ফলে আকাশ ও যমিনে কোন সৃষ্টিজীব থাকবে না, বরং প্রত্যেকেই মৃত্যু বরণ করবে। তবে আল্লাহ তা’আলা যাকে চান। (তাকে বাচিয়ে রাখবেন।) অতপর দুই ফুঁৎকারের মধ্যে আল্লাহ তা’আলা যা চান তাই হবে। অতপর আল্লাহ তা’আলা মানুষের মনীর মতো মনী প্রেরণ করবেন। উক্ত মনী হতে তাদের (মানুষের) শরীর, গোস্ত জন্মাবে ।
حدثنا ابن نمير وابن مبارك عن
سفيان الثوري عن سلمة بن كهيل حدثه عن أبي الزعراء
عن عبد الله أن قال أذا أذهب
الله بيأجوج ومأجوج أرسل الله ريحا زمهريرا باردة فلا تذر على وجه الأرض مؤمنا إلا
قبض بتلك الريح ثم تقوم الساعة على شرار الناس ثم ينفخ في الصور فلا يبقى خلق لله
في السموات والأرض إلامات إلا من شاء ربك ثم يكون بين النفختين ما شاء الله ثم يرسل
الله منيا كمني الرجال تنبت جسمانهم ولحمانهم من ذلك الماء
পৃষ্ঠা - ১৬৫৮
হযরত তুবাই’ রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন হযরত ঈসা ইবনে মারিয়াম আ. ও তার সাথীবর্গরা ইয়াজুজ মাজুজ হতে ফিরে বাইতুল মাকদাসে যাবে, তখন তারা বাইতুল মাকদাসে অনেক বছর থাকবে। (অতপর) তারা এক দিক হতে বিশৃংখল ধূলিময় কিছু দেখবে। অতপর তারা তাদের কতককে তা দেখার জন্য পাঠাবে যে, সেটা কি? আর সেটা হল বাতাশ, যা আল্লাহ তা’আলা মুমিনদের রুহ কবজ করার জন্য প্রেরণ করেছেন। আর সেটাই হল শেষ দল, যা মুমিনদের রুহ কবজ করা হবে। আর তাদের পরে মানূুষ একশত বছর জীবিত থাকবে। তারা দ্বীন ও সুন্নাহ চিনবে না। তারা একে অন্যের উপর গাধার ন্যায় আক্রমন করবে। তাদের উপর কিয়ামাত সংগঠিত হবে। আর তারা বাজারে ক্রয় বিক্রয় করতে থাকবে, কথা বার্তা, মেলা মেশা করতে থাকবে, ফলে তারা তাদের পরিবারের নিকট ফিরে যাবার সুযোগ পাবে না।
حدثنا بقية
بن الوليد وأبوه حيوة شريح بن يزيد الحضرمي وجنادة بن عيسى الأزدي وأبو أيوب عن
أرطاة بن المنذر
قال حدثنا أبو عامر الألهاني عن تبيع عن كعب وقال بعض
هؤلاء عن تبيع لم يذكر كعبا
قال إذا انصرف عيسى ابن مريم والمؤمنون من يأجوج
ومأجوج إلى بيت المقدس فلبثوا سنوات ببيت المقدس رأو كهيئة الهرج والغبار من الجوف
فيبعثون بعضهم في ذلك لينظر ما هو فإذا هي ريح بعثها الله لقبض أرواح المؤمنين فتلك
آخر عصابة تقبض من المؤمنين ويبقى الناس بعدهم مئة عام لا يعرفون دينا ولا سنة
يتهاجرون تهارج الحمير عليهم تقوم الساعة وهم في أسواقهم يبتعون ويتبايعون وينتجون
ويلحفون فلا يستطيعون توصية ولا إلى أهلهم يرجعون
পৃষ্ঠা - ১৬৫৯
হযরত হুযাইফাতুল ইয়ামান রা. রাসূল সা. হতে বর্ণনা করে বলেন, হযরত ঈসা আ. এর পর কোন ব্যক্তির ঘোড়া সন্তান জন্ম দিলে সে উক্ত অশ্বশাবকের উপর আরোহন করতে পারবে না। এমনকি কিয়ামাত সংগঠিত হয়ে যাবে।
حدثنا ضمرة عن أبن
شوذب عن أبي التياح عن خالد بن سبيع
عن حذيفة بن اليمان رضي الله عنه عن النبي
صلى الله عليه وسلم قال لو أن رجلا أنتج فرسا لم يركب مهرها بعد عيسى حتى تقوم
الساعة
পৃষ্ঠা - ১৬৬০
হযরত আবু হুরাইরা ও আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রা. হতে বর্ণিত, তারা বলেন, অতপর আল্লাহ তা’আলা ইয়াজুজ মাজুজের পর একটি ভালো বাতাশ প্রেরণ করে হযরত ঈসা আ. ও তার সাথীদের এবং দুনিয়ার সকল মুমিনদের রুহ কবজ করবেন। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রা. বলেন, অবশিষ্ট কাফেরগণ একশত বছর জীবিত থাকবে। আর তারা হল পূর্ব ও পরের সকল সৃষ্টিজীবের থেকে নিন্দনীয়। হযরত আবু হুরাইরা রা. বলেন, মুমিনগণের পর কোন কাফের স্থায়ী হবে না, বরং তাদের উপর কিয়ামাত সংগঠিত হবে। তার একথা বলার কারণ হল, রাসূল সা. এর এই বাণী- আমার উম্মতের একটি দল আল্লাহ তা’আলার আদেশে সর্বদা হকের উপর যুদ্ধ করবে। তাদের বিরোধীতাকারীদের বিরোধীতা তাদের কোন ক্ষতি করতে পারবে না। যখনই একটি দল চলে যাবে, আরেকটি দল সৃষ্টি হবে। এমনকি কিয়ামাত সংগঠিত হবে।
حدثنا الحكم بن نافع عن جراح عن أرطاة عمن حدثه عن كعب قال
قال أبو هريرة وعبد الله بن عمرو ثم يرسل الله بعد يأجوج ومأجوج ريحا طيبة
فتقبض روح عيسى وأصحابه وكل مؤمن على وجه الأرض
قال عبد الله بن عمرو يبقى
بقايا الكفار وهم شرار الخلق من الأولين والآخرين مئة سنة
وقال أبو هريرة ليس
للكفار بقاء بعد المؤمنين حتى تقوم عليهم
الساعة وذلك لقول رسول الله صلى
الله عليه وسلم لا تزال عصابة من أمتي يقاتلون على الحق قائمين بأمر الله لا يضرهم
خلاف من خالفهم كلما ذهب حزب نشأ آخرون حتى تقوم الساعة
পৃষ্ঠা - ১৬৬১
হযরত কা’ব রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ইয়াজুজ মাজুজের পর মানুষ দশ বছর স্বাচ্ছন্দ, উর্বর ও শান্তিতে বসবাস করবে। এমনকি দুইজন ব্যক্তি একটি ডালিম বহন করবে। তারা আঙ্গুরের একথোকা বহন করবে। অতপর তারা এভাবে দশ বছর বসবাস করবে। অতপর আল্লাহ তা’আলা তাদের উপর একটি ভালো বাতাশ প্রেরণ করবেন। তা একজন মুমিনকেও ছাড়বে না, বরং প্রত্যেকের রুহ কবজ করবে। অতপর অবশিষ্ট মানুষরা চরণক্ষেত্রে গাধার ন্যায় একে অপরের উপর আক্রমন করবে। আর তাদের ঐঅবস্থার উপরই তাদের উপর আল্লাহ তা’আলার হুকুম ও কিয়ামাত আসবে।
حدثنا بقية بن
الوليد وأبو المغيرة عن أبي بكر بن أبي مريم عن أبي الزاهرية
عن كعب قال يمكث
الناس بعد يأجوج ومأجوج في الرخاء والخصب والدعة عشر سنين حتى إن الرجلين ليحملان
الرمانة الواحدة ويحملان بينهما العنقود الواحد من العنب فيمكثون على ذلك عشر حجج
ثم يبعث الله تعالى ريحا طيبة فلا تدع مؤمنا إلا قبضت روحه ثم يبقى الناس بعد ذلك
يتهارجون كما تهارج الحمير في المروج فيأتيهم أمر الله والساعة وهم على ذلك
পৃষ্ঠা - ১৬৬২
হযরত ওয়াহাব ইবনে মানবাহ রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, (কিয়ামাতের নিদর্শন সমূহ হল) রোম, অতপর দাজ্জাল, অতপর ইয়াজুজ মাজুজ, অতপর হযরত ঈসা আ., অতপর ধোঁয়া।
حدثنا أبو المغيرة عن ابن عياش عن شيخ من حضرموت
عن وهب بن منبه قال
الروم ثم الدجال ثم يأجوج ومأجوج ثم عيسى ثم الدخان
পৃষ্ঠা - ১৬৬৩
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, লোকজন হযরত ঈসা আ. এর সাথে সুখ শান্তিতে বাস করার কিছু সময় (বছর) পর, ডান দিক হতে একটি বাতাশ আসবে। উহার স্পর্শ রেশমের স্পর্শের ন্যায়। উহার বাতাশ মিশকের ন্যায়। তা প্রত্যেক মুসলমানের রুহ কবজ করে নিবে। অতপর লোকজন বলবে, আমরা কতদিন এই দ্বীনের উপর থাকবো? অতপর তারা তাদের পূর্বপুরুষের ধর্মে ফিরে যাবে। এমনকি তারা তাদের পূর্বপুরুষরা যে জিনিসের ইবাদাত করতো, সে সকল জিনিসের ইবাদাত করবে। আর একথার ইঙ্গিতই হযরত আবু হুরাইরা রা. এর এবক্তব্যÑ কেমনযেন আমি ওয়াদ গোত্রের নিতম্ব মোটা মহিলাদের সাথে, যারা বিশৃংখলা করেছে এবং যুল খালাসা (একটি মূর্তি) এর ইবাদাত করবে।
حدثنا ابن وهب عن
ابن لهيعة والليث بن سعد عن خالد بن يزيد عن سعيد بن أبي هلال عن أبي سلمة
عن
عبد الله بن عمرو قال [ بعد ] ما ينعم الناس مع عيسى عليه السلام زمانا تقبل ريح
يمانية مسها مس الخز وريحها ريح المسك فتستخرج روح كل مسلم ثم يقول الناس حتى متى
نحن على هذا الدين فيرجعون إلى دين الآباء حتى يعبدوا ما كان يعبد آباؤهم فذلك
قول أبي هريرة كأني بأليات نساء دوس قد اصطفقت يعبدون ذي الخلصة
পৃষ্ঠা - ১৬৬৪
হযরত আবু হুরাইরা রা. রাসূল সা. হতে বর্ণনা করে বলেন, আল্লাহ তা’আলা ডান দিক হতে একটি বাতাশ প্রেরণ করবেন। যা ফেনার থেকেও নরম (আরামদায়ক), মধূর চেয়ে মিষ্টি হবে। উক্ত বাতাশ এমন কোন ব্যক্তিকে ছাড়বে না যার অন্তরে কুরআন শরীফের একটি আয়াতও আছে, বরং তা নিয়ে যাবে।
حدثنا ابن وهب عن حيوة عن أبي صخر عن يزيد بن عبد الله بن قسيط
عن أبي هريرة
رضى الله عنه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال يرسل الله ريحا من اليمن ألين من
الزبد وأحلى من العسل فلا تترك رجلا في قلبه آية من القرآن إلا ذهبت بها
পৃষ্ঠা - ১৬৬৫
হযরত হুযাইফাতুল ইয়ামান রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ইসলাম পাঠ করা হবে, যেমনিভাবে পাঠ করা হয় কাপড়ের অলংকার। এমনকি (মানুষ) জানবে না, রোজা কি, সদকাহ কি, ইবাদাত কি। একরাত্রে আল্লাহ তা’আলার কিতাব উঠিয়ে নেয়া হবে। ফলে পৃথিবীতে একটি কুরআন শরীফের একটি আয়াতও রাখা হবে না। মানুষ হতে অধিক ঘোরাফেরাকারী অবশিষ্ট থাকবে। তাদের মধ্যে থাকবে, অতিবৃদ্ধ এবং অতিঅক্ষম। তারা বলবে, আমরা আমাদের পুর্বপুরুষদের ’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ এই কালিমার উপর পেয়েছি। সুতরাং আমরাও তা বলবো। তাকে সিলাহ ইবনে যুফার বললেন, তিনি তার সাথে বসা ছিলেন। (তিনি বললেন,) লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ কি ফায়দা দিবে? তারাতো রোজা কি, সদকাহ কি, ইবাদাত কি, জানেনা। হযরত হুযাইফা রা. তার থেকে তিনবার মাথা ঘুরিয়ে নিলেন। এবং বললেন, হে সিলাহ! তা তাদের দুইবার বা তিনবার মুক্তি দিবে।
حدثنا أبو معاوية حدثني أبو مالك الأشجعي عن ربعي ابن حراش
عن حذيفة بن اليمان
قال يدرس الإسلام كما يدرس وشي الثوب حتى لا يدرى ما صيام ولا صدقة ولا نسك ويسرى
على
كتاب
الله تعالى في ليلة فلا
يترك في الأرض منه آية وتبقى طوائف من الناس فيهم الشيخ الكبير والعجوز الكبيرة
يقولون أدركنا آباءنا على هذه الكلمة لا إله إلا الله فنحن نقولها
قال له صلة
بن زفر وهو جالس معه وما تغني عنهم لا إله إلا الله وهم لا يدرون ما صيام ولا صدقة
ولا نسك فأعرض عنه حذيفة ثلاثا
ثم قال يا صلة هي تنجيهم مرتين أو ثلاثا
পৃষ্ঠা - ১৬৬৬
হযরত আবু আউফ হিমাসি হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আকাশ ও যমিনের মধ্যকার জায়গা ধোঁয়ায় ভরে যাবে। এমনকি লোকজন নামাজ আদায় করতে পারবে না। মানুষ পূর্ব পশ্চিম বুঝতে পারবে না। কাফের সম্পূর্ণ কান দিয়ে ফুঁ দিবে। আর মুমিনদের সর্দি হবে।
حدثنا رشدين عن ابن لهيعة حدثني رجل
عن أبي عوف الحمصي قال الدخان
يملأ ما بين السماء والأرض
حتى لا يصلون الناس ولا يدرون مشرقا من مغرب وينتفخ
الكافر من مسامعه كلها ويكون على المؤمن مثل الزكمة
পৃষ্ঠা - ১৬৬৭
হযরত উরইয়ান ইবনে হুসাইম হতে বর্ণিত, তিনি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রা. কে বলতে শুনেছেন যে, ততক্ষণ পর্যন্ত কিয়ামাত সংগঠিত হবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত আরবরা তাদের পূর্বপুরুষগণ যে সকল জিনিসের ইবাদাত করতো, তারা সে সকল জিনিসের একশত বিশ বছর ইবাদাত করে। হযরত ঈসা আ. এর অবতরণের পর। এবং দাজ্জালের পর।
حدثنا عبد الصمد
بن عبد الوارث عن حماد بن سلمة عن علي بن زيد عن العريان بن الهيثم
سمع عبد
الله بن عمرو يقول لا تقوم الساعة حتى تعبد العرب ما كان
يعبد آباؤها عشرين ومئة
عاما بعد نزول عيسى بن مريم وبعد الدجال
পৃষ্ঠা - ১৬৬৮
হযরত আব্দুল্লাহ রা. রাসূল সা. হতে বর্ণনা করে বলেন, যখন আল্লাহ তা’আরা ইয়াজুজ মাজুজকে হত্যা করবেন। তখন তাদের গন্ধে পৃথিবী দূর্গন্ধ হয়ে যাবে। তখন মুমিনগণ তাদের প্রতিপালকের নিকট ইয়াজুজ মাজুজের গন্ধ দূর করার ব্যাপারে দোয়া করবে। ফলে আল্লাহ তা’আলা ধূলিময় ইয়ামেনী বাতাশ প্রেরণ করবেন। আর তা মানুষের উপর প্রচন্ড ধোঁয়া ও অন্ধকার হবে। আর মুমিনদের সর্দি হবে। অতপর আল্লাহ তা’আলা তিনদিন পর তা দূর করে দিবেন।
حدثنا أبو عمر عن ابن لهيعة عن
عبد الوهاب بن حسين عن محمد بن ثابت عن أبيه عن الحارث
عن عبد الله عن النبي
صلى الله عليه وسلم قال إذا قتل يأجوج ومأجوج وتنتن الأرض منهم استغاث المؤمنون
بربهم من نتنهم فيبعث الله ريحا يمانية غبراء فتصير على الناس غما ودخانا شديدا
وتقع على المؤمنين الزكمة ويكشفها الله عنهم بعد ثلاثة أيام
পৃষ্ঠা - ১৬৬৯
হযরত ইবনে মাসউদ রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নিশ্চই যে কুরআন শরীফ তোমাদের মাঝে আছে, তা হয়তো কোন এক রাত্রে উঠিয়ে নেয়া হবে। ফলে তোমাদের অন্তরে যা আছে তা নেয় যাওয়া হবে। আর তোমাদের মাসাফীহতে যা আছে তা উঠিয়ে নেয়া হবে। অতপর তিনি তেলাওয়াত করলেনÑ যদি আমি চাই, তাহলে আমি যা আপনার নিকট ওহী করেছি তা অবশ্যই নিয়ে যাবো। সূরা- ইসরা.- ৮৬।
حدثنا ابن
عيينة عن عبد العزيز بن رفيع حدثني شداد بن معقل يذكر
عن ابن مسعود يقول إن هذا
القرآن الذي بين أظهركم يوشك أن يسرى عليه في ليلة فيذهب ما في قلوبكم ويرفع ما في
مصاحفكم ثم تلا ولئن شئنا لنذهبن بالذي أوحينا إليك الآية
পৃষ্ঠা - ১৬৭০
হযরত কা’ব রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, হযরত ঈসা আ. হাবসায় যারা ঘরের বৗাপারে ইচ্ছাপোষণ করতো তাদের দিকে পর্যবেক্ষণ দল পাঠাবেন। এমনকি তারা যখন পথের অল্প দূরুত্বে থাকবে, তখন আল্লাহ তা’আলা ভালো ইয়ামেনী বাতাশ প্রেরণ করবেন। অতপর তা প্রত্যেক মুমিনের রুহ কবজ করে নিবে। অতপর মানুষ রাস্তায় যৌনকর্ম করবে। তারপর কিয়ামাতের উদাহরণ ঐ ব্যক্তির ন্যায় যে তার ঘোড়ার চারপাশে অপেক্ষমান ঘুরতেছে যে, কখন তা প্রসব করবে। সুতরাং আমার এই জ্ঞানের পর ভান করলো, সে ভানকারী।
حدثنا عبد
الرزاق عن معمر عن أيوب عن أبي الضيف
عن كعب قال يبعث عيسى طليعة إلى الحبشة
الذين يريدون البيت حتى إذا كانوا ببعض الطرق بعث الله ريحا يمانية طيبة فتقبض فيها
روح كل مؤمن ثم يتسافد الناس في الطرق فمثل الساعة كمثل رجل يطوف على فرسه ينتظر
متى تضع فمن تكلف بعد علمي هذا شيئا فهو مكلف
পৃষ্ঠা - ১৬৭১
হযরত আবু হুরাইরা রা. রাসূল সা. হতে র্বণনা করে বলেন, কিয়ামাত সংগঠিত হবে না, এমননকি দাউস গোত্রের নিতম্ব মোটা মহিলারা যুল খালাসের উপর বিশৃংখলা করবে। আর যুল খালাস একটি মূর্তি ছিল, যা জাহিলিয়্যাতের সময় তাবালা নামক স্থানে দাউস গোত্র ইবাদাত করতো। হযরত মুয়াম্মার বলেছেন এবং যুহরী ব্যতীত অন্যান্যরা বলেছেন যে, ঐ পাথরের উপর একটি ঘর যা আজও আছে।
حدثنا عبد الرزاق عن
معمر عن الزهري عن سعيد بن المسيب
عن أبي هريرة رضى الله عنه عن النبي صلى الله
عليه وسلم قال لا تقوم الساعة حتى تضطرب أليات نساء دوس على ذي الخلصة وكانت صنما
تعبدها دوس في الجاهلية بتبالة
قال معمر وقال غير الزهري على ذلك الحجر بيت
مبني اليوم
পৃষ্ঠা - ১৬৭২
হযরত আব্বাশ ইবনে আবু রবীআ’ রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন আমি রাসূল সা. কে বলতে শুনেছি যে, কিয়ামাতের সামনে (পূর্বে) একটি বাতাশ আসবে, যাতে প্রত্যেক মুমিনের রুহ কবজ করা হবে।
حدثنا عبد الرزاق عن معمر عن أيوب عن نافع
عن عياش بن
أبي ربيعة رضى الله عنه قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول تجيء ريح بين
يدي الساعة تقبض فيها روح كل مؤمن
পৃষ্ঠা - ১৬৭৩
হযরত হানযালা রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি কাসেম ইবনে আবু বাযযাহ কে তাউসের নিকট কিয়ামাতের পূর্বের নিদর্শন সম্পর্কে প্রশ্ন করতে শুনেছি। অতপর তিনি বলেন, আমি জানিনা সেটা কি। তবে কিয়ামাতের দিনের পূর্বে একটি ভালো বাতাশ আসবে। যা প্রত্যেক মুমিনের রুহ কবজ করে নিবে। যদিও সে শিলাখন্ডের গুহায় থাকে।
حدثنا عبيد الله بن موسى عن حنظلة قال
سمعت القاسم بن أبي بزه يسأل طاوسا عن الآيات التي قبل القيامة
فقال ما أدري ما
هي ولكن ريح تجيء قبل يوم القيامة طيبة تقبض [ فيها ] روح كل مؤمن وإن كان في جوف
صخرة
পৃষ্ঠা - ১৬৭৪
হযরত শা’বী হতে সূরা আহযাবে আল্লাহ তা’আলার বাণী Ñ ’প্রথম অজ্ঞতা’ এর ব্যাপারে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, সেটা হল হযরত ঈসা আ. এবং রাসূল সা. এর মধ্যকার সময়।
حدثنا عبدة بن سليمان عن زكريا عن الشعبي
في قوله تعالى
الجاهلية الأولى قال هي ما بين عيسى ومحمد صلى الله عليهما وسلم
পৃষ্ঠা - ১৬৭৫
হযরত মাসরুক রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একব্যক্তি মসজিদের মধ্যে কথা বলতেছিল। সে বলল, যখন কিয়ামাতের দিন হবে, তখন আকাশ হতে ধোঁয়া দেখা যাবে। আর তা মুনাফিকদের কান ও চক্ষু গ্রাস করবে। আর মুমনিদের তা হতে সর্দির মতো হবে। মাসরুক বলেন, অতপর আমি আব্দুল্লাহর ঘরে গেলাম এবং তাকে এবিষয়ে অবহিত করলাম। অতপর আব্দুল্লাহ রা. বললেন, নিশ্চই কুরাইশরা রাসূল সা. এর বিরোধিতা করেছে। অতপর তিনি বললেন, হে আল্লাহ! আমাদেরকে ইউসুফ আ. এর বছরগুলোর মতো বছর দ্বারা তাদের বিরুদ্ধে সাহায্য করুন। অতপর তাদের এমন একটি বছর গ্রাস করলো যাতে তারা হাড্ডি ও মৃত জিনিস ভক্ষণ করলো। এমনকি তাদের একজন ক্ষুধার তাড়নায় তার ও আকাশের মাজে ধোঁয়ার মতো দেখলো। অতপর তারা বলল, হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের থেকে এই শাস্তি দূর করুন। আমরা ঈমান গ্রহন করবো। তখন তাকে বলা হল, যদি আমি তাদের থেকে শাস্তি দূর করি, তাহলে তারা বিরোধিতা করবে। তিনি বলেন, অতপর তাদের থেকে শাস্তি দূর করলেন। তারপর তারা বিরোধিতা করলো। অতপর আল্লাহ তা’আলা বদর যুদ্ধের দিন তাদের থেকে প্রতিশোধ নিলেন। আর এটাই আল্লাহ তা’আলার বাণী- সুতরাং আপনি সেই দিনের অপেক্ষা করুন, যেই দিন আকাশ ধূঁয়ায় ছেয়ে যাবে। যা মানুষকে ঘিরে ফেলবে। এটা কষ্টদায়ক শাস্তি। (সূরা দুখান-১১) হতে- নিশ্চই তোমরা পূর্বাবস্থায় ফিরে যাবে। (সূরা দুখান-১৫) পর্যন্ত।
حدثنا وكيع عن الأعمش عن أبي الضحى عن مسروق قال
بينما رجل يحدث في المسجد قال
إذا كان يوم القيامة يرى دخان من السماء فتأخذ بأسماع المنافقين وأبصارهم وأخذ
المؤمنين منه كهيئة الزكمة
قال مسروق فدخلت على عبد الله فأخبرته بذلك
فقال
عبد الله إن قريشا استعصوا على النبي صلى الله عليه وسلم فقال اللهم أعني عليهم
بسنين كسنين يوسف فأخذتهم سنة أكلوا فيها العظام والميتة حتى جعل أحدهم يرى ما بينه
وبين السماء كهيئة الدخان من الجوع
فقالوا ربنا اكشف عنا العذاب إنا مؤمنون
فقيل له إن كشفنا عنهم عادوا
قال فكشف عنهم فعادوا فانتقم الله منهم يوم
بدر فذلك قوله تعالى فارتقب يوم تأتي السماء بدخان مبين يغشى الناس هذا عذاب أليم
إلى قوله إنكم عائدون
পৃষ্ঠা - ১৬৭৬
হযরত আব্দুল্লাহ রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, পাঁচটি আলামত চলে গেছে। তা হল- চন্দ্র, রোম, বিচার, ধড়পাকড় এবং ধোঁয়া।
حدثنا وكيع عن الأعمش وفطر عن أبي الضحى عن مسروق
عن عبد الله قال خمس قد مضين القمر والروم واللزام والبطشة والدخان
পৃষ্ঠা - ১৬৭৭
হযরত সা’দ ইবনে আবু ওয়াক্কাস রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল সা. বলেছেন, কিয়ামাত পর্যন্ত সর্বদা আরববাসীরা সত্যের উপর বিজিত থাকবে।
حدثنا هشيم وعبد الوهاب عن داود بن أبي هند عن أبي عثمان
عن سعد بن أبي وقاص
رضى الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لا يزال أهل الغرب ظاهرين على
الحق حتى تقوم الساعة
পৃষ্ঠা - ১৬৭৮
হযরত রাশিদ ইবনে সা’দ রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সা. বলেছেন, পৃথিবীর পশ্চিম অংশ উত্তম।
حدثنا عيسى عن شعبة عن يزيد بن خمير
عن
راشد بن سعد قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم خير الأرض مغاربها
পৃষ্ঠা - ১৬৭৯
হযরত আব্দুল্লাহ রা. বলেন, আমরা রাসূল সা. এর সাথে মিনাতে ছিলাম। তখন তিনি চন্দ্র দ্বিখন্ডিত করলেন। একখন্ড পাহাড়ের পিছনে গেলো। অতপর রাসূল সা. বললেন, তোমরা সাক্ষি থাকো, তোমরা সাক্ষি থাকো।
قال الأعمش وقال إبراهيم
قال عبد الله كنا مع النبي صلى الله عليه وسلم بمنى
فانشق القمر فرقتين فذهب فرقة من وراء الجبل
فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم
اشهدوا اشهدوا
পৃষ্ঠা - ১৬৮০
হযরত আনাস রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, মক্কবাসীরা রাসূল সা. এর নিকট (কিয়ামাতের) নিদর্শন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলো। অতপর মক্কাতে দুইবার চন্দ্র বিদীর্ণ হলো। অতপর বললেন, কিয়ামাত নিকটবর্তী হয়েছে। আর চন্দ্র বিদীর্ণ হয়েছে। আর যখন তারা কোন নিদর্শণ দেখে, তখন তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়। আর বলে, চিরাগত জাদু। আর তারা বলে, চলমান জাদু।
حدثنا محمد بن ثور عن معمر عن قتادة
عن أنس رضى الله
عنه قال سأل أهل مكة النبي صلى الله عليه وسلم آية فانشق القمر بمكة مرتين
فقال
اقتربت الساعة وانشق القمر وإن يروا آية يعرضوا ويقولوا سحر مستمر يقولون سحر ذاهب
পৃষ্ঠা - ১৬৮১
হযরত মুয়াবিয়া রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূল সা. কে বলতে শুনেছি যে, আমার উম্মতের একদল মানুষ সর্বদা সত্যের উপর মানুষের বিপক্ষে বিজয়ী থাকবে। তাদের বিরুধীরা তাদের নিকট পৌছতে পারবে না। এমনকি আল্লাহ তা’আলার আদেশ আসবে আর তারা বিজয়ী থাকবে। হযরত উতবা ইবনে আবু হাকীম বলেন, আল্লাহ তা’আলার আদেশ হল, একটি ভালো বাতাশ, যা হযরত ঈসা আ. এর সময় বের হয়ে মুমিনদের রুহ কবজ করবে।
حدثنا بقية بن الوليد عن عتبة بن أبي الحكم عن مكحول
عن معاوية رضى
الله عنه قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول لا تزال طائفة من أمتي على
الحق ظاهرين على الناس لا يبالون من خالفهم حتى يأتي أمر الله وهم ظاهرون
قال
عتبة بن أبي حكيم أمر الله ريحا طيبة تخرج في زمن عيسى فتقبض أرواح المؤمنين
পৃষ্ঠা - ১৬৮২
হযরত ইকরিমা রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সা. এর যমানায় মক্কাতে দুইবার চন্দ্র বিদীর্ণ হয়েছে। অতপর মুশরিকগণ বলল, এটা জাদু। তখন (এআয়াত) অবতীর্ণ হলো- আর যখন তারা কোন নিদর্শণ দেখে, তখন তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়। আর বলে, নিরবিচ্ছিন্ন জাদু। সূরা ক্বামার-২।
حدثنا ابن عيينة عن عمرو عن عكرمة
قال انشق القمر على عهد رسول
الله صلى الله عليه وسلم شقتين
فقال المشركون سحر فنزلت اقتربت الساعة وانشق
القمر وإن يروا آية يعرضوا ويقولوا سحر مستمر
পৃষ্ঠা - ১৬৮৩
হযরত ইবনে মাসউদ রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সা. এর যমানায় দুইবার চন্দ্র বিদীর্ণ হয়েছে। অতপর রাসূল সা. বলেছেন, তোমরা সাক্ষি থাকো।
حدثنا ابن عيينة عن ابن
أبي نجيح عن مجاهد عن أبي معمر
عن ابن مسعود قال انشق القمر على عهد رسول الله
صلى الله عليه وسلم شقتين فقال النبي صلى الله عليه وسلم اشهدوا
পৃষ্ঠা - ১৬৮৪
হযরত হুযাইফা রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, তোমরা জেনে রাখ, নিশ্চই চন্দ্র বিদীর্ণ হয়েছে।
حدثنا
ابن عيينة عن عطاء بن السائب عن أبي عبد الرحمن
عن حذيفة قال ألا أن القمر قد
انشق
পৃষ্ঠা - ১৬৮৫
হযরত আব্দুল আযীয ইবনে রুফাই’ হতে বর্ণিত, তিনি শাদ্দাদ ইবনে মা’কালকে বলতে শুনেছেন যে, আমি হযরত ইবনে মাসউদ রা. কে বলতে শুনেছি যে, নিশ্চই তোমরা তোমাদের দ্বীন হতে সর্বপ্রথম আমানত হারাবে। আর শেষে নামাজ অবশিষ্ট থাকবে। কুরআন শরীফ তোমাদের মাঝে থাকবে, আর হয়তো তা উঠিয়ে নেয়া হবে। অতপর তারা বলল, সেটা কিভাবে উঠানো হবে, অথচ আল্লাহ তা’আলা তা আমাদের অন্তরে গেথে দিয়েছেন। আর আমরা তা আমাদের মাসাহেফে গেথে রেখেছি। তিনি বললেন, একরাতে তা উঠিয়ে নেয়া হবে। ফলে তোমাদের অন্তরে যা আছে এবং তোমাদের মাসহাফে যা আছে তা নিয়ে যাওয়া হবে। অতপর আব্দুল্লাহ রা. তেলাওয়াত করলেন- যদি আমি চাই তাহলে, যা আমি আপনার নিকট ওহী করেছি অবশ্যই অবশ্যই নিয়ে যাবো।
حدثنا ابن عيينة عن عبد العزيز بن رفيع سمع شداد بن معقل يقول
سمعت ابن مسعود يقول إن أول ما تفقدون من دينكم الأمانة وآخر ما يبقى الصلاة
وإن هذا القرآن بين أظهركم يوشك أن يرفع
فقالوا كيف وقد أثبته الله في قلوبنا
وأثبتناه في مصاحفنا
قال يسرى عليه ليلة فيذهب بما في قلوبكم ويذهب بما في
مصاحفكم ثم قرأ عبد الله ولئن شئنا لنذهبن بالذي أوحينا إليك الآية
পৃষ্ঠা - ১৬৮৬
হযরত আব্দুল্লাহ রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, চন্দ্র বিদীর্ণ হলো, আর আমরা তখন রাসূল সা. এর সাথে মিনাতে। এমনকি উহার এক খন্ড পাহাড়ের অপর দিকে গেলো। অতপর রাসূল সা. বললেন, তোমরা সাক্ষি থাকো।
حدثنا أبو معاوية عن الأعمش عن إبراهيم عن أبي معمر
عن عبد الله قال انشق القمر
ونحن من رسول الله صلى الله عليه وسلم بمنى حتى ذهبت فرقة منه خلف الجبل
فقال
رسول الله صلى الله عليه وسلم اشهدوا
পৃষ্ঠা - ১৬৮৭
হযরত ইবনে উমর রা. রেওয়াতে রাসূল সা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, প্রতিমা স্থাপনের পরই কিয়ামাত সংগঠিত হবে। আর উহার প্রথম স্থাপনকারী হবে তিহামার হাযর গোত্রের লোক।
حدثنا محمد بن الحارث عن محمد بن
عبد الرحمن بن البيلماني عن أبيه
عن ابن عمر رضى الله عنهما عن النبي صلى الله
عليه وسلم قال لا تقوم الساعة حتى تنصب الأوثان وأول من ينصبها أهل حضر من تهامة
পৃষ্ঠা - ১৬৮৮
হযরত আব্দুল্লাহ রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, পাঁটি আলামত গত হয়েছে। ধোঁয়া, বাধ্যবাধকতা, পাকড়াও, রোম, চন্দ্র।
حدثنا أبو معاوية عن الأعمش عن مسلم عن مسروق
عن عبد الله قال خمس
قد مضين الدخان واللزام والبطشة والروم والقمر