من رخص في تمني الموت لما يفشوا في الناس من البلاء والفتن
পৃষ্ঠা - ১৪১
বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাযিঃ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ এরশাদ করেছেন, কিয়ামত সংঘটিত হবেনা যতক্ষণ পর্যন্ত কোনো মানুষ অন্যের কবরের পার্শ্ব দিয়ে অতিক্রম করার সময় বালা-মসিবত ও ফিতনার কারণে এ আশা করবেনা যে, হায়! আমি যদি এ কবরের বাসিন্দা হতাম!
حدثنا محمد بن الحارث البحراني عن محمد بن عبد الرحمن البيلماني
عن أبيه
عن ابن عمر رضي الله عنهما قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لا
تقوم الساعة حتى يمر الرجل على القبر فيقول لوددت أني مكان صاحبه لما يلقى الناس من
الفتن
পৃষ্ঠা - ১৪২
হযরত আবু হুমায়দ (রহঃ) বলেন, আমি হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) কে বলছে শুনেছি যে, অবশ্যই তোমাদের উপর এমন দিন আসবে, যে তোমাদের মধ্যে কেউ যখনা তার কোন ভাইয়ের কবরের পাশ দিয়ে হাটবে, তখন সে বলতে থাকবে হায়! আমি যদি তার স্থানে হতাম।
حدثنا ابن وهب عن يونس قال حدثني أبو حميد مولى مسافع قال
سمعت
أبا هريرة رضي الله عنه يقول ليأتين عليكم يوم يمشي أحدكم إلى قبر أخيه فيقول يا
ليتني مكانه
পৃষ্ঠা - ১৪৩
হযরত আব্দুল্লাহ রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মানুষের মধ্যে এমন এক যুগ আসবে, মানুষ কারো কবরে এসে সেখানে শুয়ে পড়বে এবং বলতে থাকবে, হায়! আমি যদি এ কবরের একজন সদস্য হতাম! এটা অবশ্যই আল্লাহ তাআলার সাথে অগ্রীম সাক্ষাতের আশায় নয়, বরং সেটা হবে মারাত্মক মারাত্মক বালা-মসিবদ দেখার কারণে।
حدثنا ابن مهدي ووكيع عن سفيان عن سلمة بن كهيل عن أبي
الزعراء
عن عبد الله قال يأتي على الناس زمان يأتي الرجل القبر فيضطجع عليه
فيقول يا ليتني مكان صاحبه ما به حبا للقاء الله ولكن لما يرى من شدة البلاء
পৃষ্ঠা - ১৪৪
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূল সাঃ বলেছেন, ততদিন পর্যন্ত কিয়ামত সংঘটিত হবে না যতদিন না কোন ব্যক্তি তার কোন ভাইয়ের কবরের পাশ দিয়ে অতিক্রম করবে। অতঃপর বলতে থাকবে হায়! আফসুস যদি আমি তোমার জায়গায় হতাম, (তাহলে কতইনা ভাল হত)।
حدثنا عبد الرزاق عن معمر عن الزهري قال
قال ابو هريرة رضي الله عنه
قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لا تقوم الساعة حتى يمر الرجل بقبر أخيه فيقول يا
ليتني مكانك
পৃষ্ঠা - ১৪৫
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মানুষের উপর এমন যমানা আসবে যে, তখন তাতে তাদের কারো কাছে উত্তপ্ত গরমের দিনে ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করার চেয়ে মৃত্যু বরণ করা বেশি পছন্দ করবে, অতঃপর সে মৃত্যুবরণ করবেনা।
حدثنا عبد الوهاب الثقفي عن يحيى بن سعيد قال أخبرني
الزبرقان
عن أبي هريرة قال ليأتين على الناس زمان الموت فيه أحب إلى أحدهم من
الغسل بالماء البارد في اليوم القائظ ثم لا يموت
পৃষ্ঠা - ১৪৬
হযরত আব্দুল্লাহ রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মানুষের মধ্যে এমন এক যুগ আসবে, মানুষ অন্যদের কবরে এসে পশুর ন্যায় গড়াগড়ি খেতে থাকবে এবং খুবই আশাবাদি হয়ে বলবে,হায়! আমি যদি একবরের বাসিন্দা হতাম! এটা অবশ্যই আল্লাহ তাআলা সাথে সাক্ষাতের আশায় নয়,বরং এটা হচ্ছে,মারাত্মক বালা-মসিবতের সম্মুখিন হওয়ার কারণে।
حدثنا ابو معاوية عن
الأعمش عن إبراهيم
عن عبد الله قال ليأتين على الناس زمان يجيء الرجل القبر
فيتمرغ عليه كما تتمرغ الدابة يتمنى ان يكون فيه مكان صاحبه ليس به حبا للقاء الله
يعني لما يرى من البلاء
পৃষ্ঠা - ১৪৭
ভিন্ন সুত্রে উপরের হাদিস বর্নিত হয়েছে।
حدثنا ابن مهدي عن سفيان عن الأعمش عن إبراهيم عن
عبد الله نحوه
পৃষ্ঠা - ১৪৮
হযরত আব্দুল্লাহ রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি এরশাদ করেন, কিয়ামত হবেনা, যতক্ষণ পর্যন্ত না মানুষ কোনো কবরের কাছে এসে চতুষ্পদ জন্তুর ন্যায গড়াগড়ি দিয়ে বলবেনা যে, হায়! আমি যদি একবরের বাসিন্দা হতাম।
حدثنا أبو معاوية عن الأعمش عن أبي صالح
عن أبي هريرة
قال لا تقوم الساعة حتى يأتي الرجل القبر فيتمرغ عليه كما تتمرغ الدابة يتمنى أن
يكون مكان صاحبه
পৃষ্ঠা - ১৪৯
হযরত আবতাত ইবনে মুনজির, আবু আশুরা আলহাজরামী থেকে বর্ণন করেন, তিনি বলেন, যদি তোমাদের হায়াত দীর্ঘ হয়, তাহলে তোমাদের হয়তো তার ভাইয়ের কবরে এসে তার থেকে উপকৃত হতে চেষ্টা করবে এবং বলবে, হায়! আমি যদি তোমার স্থলে হতাম তাহলে অবশ্যই মুক্তি পেয়ে যেতাম।
তাকে জিজ্ঞাসা করা হলো, হে আবু আযবাহ! গোত্রে নতুন কোনো সন্তান জন্মলাভ করলে তাকেও কি ঐ ফিতনা গ্রাস করে নিবে। জবাবে তিনি বললেন, এক প্রান্ত হতে তোমাদেরকে দুশমন হাতছানি দিয়ে ডাকতে থাকবে। এহেন পরিস্থিতিতে অন্য প্রান্ত হতে দুশমনের আরেকদল হামলা করে বসবে। তখন তোমাদের হুশ থাকবেনা যে, কোন দুশমন থেকে পলায়ন করবে। তখনই মূলতঃ উল্লিখিত সূরত প্রকাশ পাবে।
حدثنا جنادة بن عيسى الأزدي وأبو أيوب عن أرطاة بن
المنذر
عن أبي عذبة الحضرمي قال إن طال بكم عمر فيوشك بالرجل منكم أن يأتي قبر
أخيه فيتمعك عليه ويقول يا ليتني كنت مكانك قد
نجوت قد نجوت
فقال غلام
حدث من القوم وعم ذاك يا أبا عذبة
قال تدعون إلى عدو من ناحية فبينما أنتم كذلك
إذ دعيتم إلى عدو آخر فلا تدرون إلى أي عدوكم تنفرون فيومئذ يكون ذلك
পৃষ্ঠা - ১৫০
আবু আযবা হাজরামী থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যদি তোমাদের সামান্য একটু হায়াত বৃদ্ধি পায় তাহলে হয়তো এমন অবস্থা হবে, তোমাদের কেউ তার বন্ধুর কবরে এসে উক্ত কবরবাসীর প্রতি আকৃষ্ট হয়ে বলবে, হায়! আমি যদি তোমার স্থলে হতাম তাহলে নিঃসন্দেহে মুক্তি পেয়ে যেতাম।
حدثنا بقية وعبد القدوس عن صفوان بن عمرو عن عمرو بن سليم الحضرمي
عن أبي عذبة
الحضرمي قال إن طال بكم عمر قليل فليوشك بالرجل أن يأتي قبر حميمه فيتمعك عليه يقول
يا ليتني مكانك قد نجوت قد نجوت فذكر نحو الحديث الأول
পৃষ্ঠা - ১৫১
হযরত কা’ব রহঃ থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন, অতিসত্ত্বর সমুদ্র এত বেশি কঠিন হবে, যার কারণে তার উপর কোনো জাহাজ চলতে পারবেনা এবং তেমনিভাবে স্থলভাগও এমন কঠিন হয়ে উঠবে ফলে কেউ তার উপর দিয়ে অতিক্রম করে নিজের ঘর পর্যন্ত পৌঁছতে পারবে না।
حدثنا بقية بن
الوليد عن أبي بكر بن أبي مريم عن المشيخة
عن كعب قال يوشك أن يستصعب البحر حتى
لا تجري فيه جارية ويستصعب البر حتى لا يستطيع أحد يأوي إلى بيت
পৃষ্ঠা - ১৫২
বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযি রাযি বলেন, নিঃসন্দেহে মানুষের মাঝে এমন এক যুগ আসবে, যখন মানুষ বিভিন্ন ধরনের বালা-মসিবতের সম্মুখিন হওয়ার কারণে আকাঙ্খা করবে যে এবং তার পরিবার যেন বোঝাই করা মালবাহি জাহাজে আরোহন করবে এবং উক্ত জাহাজটি সমুদ্রের উত্তাল তরঙ্গমালা সমুদ্রে দুলতে থাকবে।
حدثنا
ابن وهب ورشدين جميعا عن ابن لهيعة عن عياش بن عباس عن أبي عبد الرحمن الحبلي
عن عبد الله بن عمرو رضي لله عنهما قال ليأتين على الناس زمان يتمنى المرء أنه
في فلك مشحون هو وأهله يموج بهم في البحر من شدة ما في الأرض من البلاء
পৃষ্ঠা - ১৫৩
হযরত আব্দ্ল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আমরাযি থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মানুষের মাঝে এমন এক যুগ আসবে, সম্মানী, সম্পদশালী ও পরিবার-পরিজন ওয়ালা লোক পর্যন্ত মৃত্যু কামনা করবে যেহেতু তারা তাদের নেতৃত্বস্থানীয় ব্যক্তিবর্গের পক্ষ থেকে নানান ধরনের বালা-মসিবদের সম্মুখিন হবে।
حدثنا رشدين عن ابن لهيعة عن حفص بن الوليد عن هلال بن عبد الرحمن القرشي
عن
عبد الله بن عمرو سمعه يقول يأتي على الناس زمان يتمنى الرجل ذو الشرف والمال
والولد الموت مما يرى من البلاء من ولاتهم
পৃষ্ঠা - ১৫৪
বিশিষ্ট সাহাবী হযরত মু’তাজ ইবনে জাবাল রাযি, থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, তোমরা এ পৃথিবীতে শুধুমাত্র ফিতনা ও বালা-মসিবতই দেখতে পাবে। যেকোনো বিষয় ধীরে ধীরে কঠিন হতে থাকবে। নেতৃত্বাস্থানীয় ব্যক্তিদের মধ্যে কঠোরতাই দেখতে পাবে। এমন বিষয় দেখবে যা তোমাদেরকে ভীতিকর করে তুলবে। কিন্তু তার পরবর্তী ধাপ এর থেকে আরো কঠিন ও ভয়াবহ হয়ে উঠবে।
حدثنا أبو المغيرة وبقية
عن صفوان بن عمرو عن عمرو بن قيس السكوني عن عاصم بن حميد
عن معاذ بن جبل رضي
الله عنه قال لن تروا من الدنيا إلا بلاء وفتنة ولن يزداد الأمر إلا شدة ولن تروا
من الأئمة إلا غلظة ولن تروا أمرا يهولكم إلا حقره بعده أشد منه
পৃষ্ঠা - ১৫৫
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এমন সময় আসন্ন হবে যে, ওলামাগনের নিকট লাল বর্ণের স্বর্ণের চেয়েও মৃত্যু বেশী পছন্দনীয় হবে।
حدثنا
مخلد بن حسين عن هشام عن محمد
عن أبي هريرة رضي الله عنه قال يوشك أن يكون
الموت أحب إلى العلماء من الذهبة الحمراء
পৃষ্ঠা - ১৫৬
হযরত উমায়র ইবনে ইসহাক বলেন, আমরা আলোচনা করতে ছিলাম যে, মানুষের থেকে সর্ব প্রথম ভালোবাসা (বন্ধুত্য) উঠে যাবে।
حدثنا حسين بن حسن البصري عن
ابن عون
عن عمير بن إسحاق قال كنا نتحدث أن أول ما يرفع عن الناس الألفة
পৃষ্ঠা - ১৫৭
হযরত ইবনে মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূল সাঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূল সাঃ থেকে ফিতনার আলোচনা শুনেছি। অতঃপর আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ তা কখন হবে? রাসূল সাঃ বললেন, যখন কোন ব্যক্তি তাব বন্ধু থেকে নিরাপদ পাবেনা।
حدثنا ابن مبارك عن معمر عن إسحاق بن راشد عن عمرو بن وابصة الأسدي عن
أبيه
عن ابن مسعود رضي الله عنه قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم ذكر
فتنة
فقلت يا رسول الله متى ذلك
فقال إذا لم يأمن الرجل جليسه
পৃষ্ঠা - ১৫৮
হযরত হামাম ইবনে ওতাইবা রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মানুষের মধ্যে এমন এক যুগ আসবে যদ্বারা কোনো বিজ্ঞলোকে চক্ষু শীতল হবে না।
حدثنا وكيع عن مالك بن مغول
عن الحكم بن عتيبة قال كان يأتي على الناس زمان لا
يقر فيه عين الحكيم
পৃষ্ঠা - ১৫৯
বিশিষ্ট সাহাবী হযরত যোয়ায ইবনে জাবাল রাযি থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন তোমরা দেখবে বিনা অপরাধে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে, মিথ্যার কারণে মানুষকে টাকা-পয়সা দেয়া হচ্ছে, আর মানুষের মধ্যে নাস্তিক মুরতাদ হওয়া, সন্দেহ করা ও অভিশাপ দেয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পাবে তখন তোমাদের মধ্যে যারা মারা যেতে চাও তারা যেন মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে।
حدثنا ابن عيينة وابن فضيل جميعا عن حصين عن سالم
بن أبي الجعد
عن معاذ بن جبل رضي الله عنه قال إذا رأيتم الدم يسفك بغير حقه
والمال يعطى على الكذب وظهر الشك والتلاعن وكانت الردة فمن استطاع أن يموت فليمت
পৃষ্ঠা - ১৬০
হযরত আবু সালামা (রহঃ) বলেন, আমি হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) কে বলতে শুনেছি যে, মানুষের উপর এমন এক যমানা আসবে যে, তখন আলেমের কাছে লাল স্বর্ণের চেয়েও মৃত্যু বেশী পছন্দনীয় হবে।
حدثنا عيسى بن يونس عن الأوزاعي عن يحيى بن أبي كثير عن أبي سلمة
سمع
أبا هريرة يقول يوشك أن يأتي على الناس زمان يكون الموت أحب إلى العالم من الذهبة
الحمراء
পৃষ্ঠা - ১৬১
হযরত যায়েদ ইবনে ওয়াহাব রাযি থেকে বর্ণিত, তিনি হযরত আব্দুল্লাহ রাযি কে বলতে শুনেছেন, নিঃসন্দেহে ফিতনা ধীরে ধীরে একের পর এক আসতে থাকবে। উক্ত ফিতনার সময় যারা মারা যেতে চায় তারা যেন মৃত্যু গ্রহণ করে নেয়।
حدثنا ابن مهدي عن سفيان عن الأعمش عن زيد بن وهب
سمع عبد
الله أن الفتنة وقفات وبعثات فمن استطاع أن يموت في وقفاتها فليفعل
পৃষ্ঠা - ১৬২
হযরত যায়েদ ইববে ওয়াহাব বিশিষ্ট সাহাবী হযরত হোজাইফা ইবনুল ইয়ামান রাযি থেকে বর্ণনা করেন, তিনি এরশাদ করেন ঃ ফিতনার স্থিতিশীলতা হচ্ছে, যখন তরবারিকে খাপবদ্ধ করা হয় আর ফিতনার তীব্রতা হচ্ছে, যখন তরবারিকে খাপমুক্ত করে নাঁঙ্গা করা হবে।
قال
سفيان وأخبرنا الحارث بن حصيرة عن زيد بن وهب عن حذيفة قال وقفاتها إذا غمد السيف
وبعثاتها إذا سل السيف
পৃষ্ঠা - ১৬৩
বিশিষ্ট সাহাবী হযরত হোযাইফা রাযি হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ফিতনার জন্য কিছুটা স্থিতিশীলতা ও কিছুটা তীব্রতা রয়েছে। এ ধরনের তীব্র ফিতনার সময় কেউ মৃত্যুবরণ করতে চাইলে যেন মৃত্যুকে গ্রহণ করে।
حدثنا ابن مبارك عن زائدة عن الأعمش عن زيد بن وهب
عن حذيفة قال للفتنة وقفات وبعثات فمن استطاع منكم أن يموت في وقفاتها فليفعل
পৃষ্ঠা - ১৬৪
হযরত আবু উসমান রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাযি এর সাথে বসা ছিলাম হঠাৎ তার উপর চড়–ই পাখির মল এসে পড়লে তিনি যেগুলোকে তার আঙ্গুল উঠিয়ে নিয়ে বললেন, আমার কাছে আমার পরিবার-পরিজন ও সন্তান-সন্তুতি মৃত্যুবরণ করা এর থেকেও অনেক সহজ। এরপর বর্ণনাকারী বললেন,আল্লাহর কসম! তাঁর একথার দ্বারা কি উদ্দেশ্য আমরা বুঝতে পারলামনা।এক পর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের ফিতনা আসতে থাকল। অতঃপর আমরা বললাম, এটা সেই ফিতনা তাদের উপর পতিত হতে থাকে।
حدثنا أبو خالد الأحمر سليمان بن حيان الكوفي عن عاصم الأحول عن أبي
عثمان قال
كنا عند عبد الله بن مسعود جلوسا إذ وقع عليه خرؤ عصفور فقال ها
بأصبعه ثم قال لموت ولدي وأهلي أهون علي من هذا
قال فوالله ما درينا ما أراد
بذلك حتى وقعت الفتن فقلنا هذا حدر عليهم
পৃষ্ঠা - ১৬৫
হযরত আবুল আহওয়াছ রহঃ বলেন, একদা আমরা বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাযি এর ঘরে গিয়ে দেখি তার সন্তানদেরকে নিয়ে তিনি বসে আছেন। তার ছেলেগুলো দেখতে উজ্জ্বল দিনারের ন্যায় সুন্দর। তাদের সৌন্দর্য দেখে আমরা খুবই আশ্চর্য হতে থাকলাম। অতঃপর হযরত আব্দুল্লাহ আমাদেরকে বললেন, মনে হয় তোমরা এদের কারণে আমার উপর ইর্ষান্বীত হয়েছ, জবাবে আমরা বললাম, আল্লাহর কসম! নিঃসন্দেহে এমন ছেলেদের ক্ষেত্রে প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ ইর্ষা করবে। আমাদের কথা শুনে তিনি তার ছোট্ট ঘরটির ছাদের দিকে মাথা উঠালেন। এদিকে ঘরের জীর্ণ ছাদে কিছু পাখি বাসা বেঁধেছে এবং উক্ত বাসায় ডিমও দিয়েছে। অতঃ তিনি বললেন, কসম যে সত্ত্বার যার হাতে আমার জীবন! আমার এ সন্তানদের কবরে মাটি দেয়া আমার নিকট অনেক-অনেক পছন্দনীয় এদের উপর ঐ হিংস্র পাখির বাসাগুলো পতিত হয়ে তাদের ডিম ভেঙ্গেঁ যাওয়া থেকে। উক্ত হাদীসের বর্ণনকারী হযরত ইবনুল মোবারক বলেন, এটা মূলতঃ তাদের উপর আসন্ন ফিতনার ভয়ে বলেছেন।
حدثنا ابن مبارك عن المبارك بن
فضالة عن الحسن سمعه يقول أخبرني أبو الأحوص قال
دخلنا على ابن مسعود وعنده
بنون له غلمان كأنهم الدنانير حسنا فجعلنا نتعجب من حسنهم فقال عبد الله كأنكم
تغبطونني بهم
قلنا والله إن مثل هؤلاء غبط بهم الرجل المسلم فرفع رأسه إلى سقف
بيت له قصير وقد عشش فيه الخطاف وباض فيه فقال والذي نفسي بيده لأن أكون قد نفضت
يدي عن تراب قبورهم أحب إلي من أن يخر عش هذا الخطاف فينكسر بيضه
قال ابن مبارك
خوفا عليهم من الفتن
পৃষ্ঠা - ১৬৬
হযরত হোজাইফা ইবনুল ইয়ামান রাযি বলেন, হে আবুততোফাইল! তোমার কি অবস্থা হবে, যখন আমাদের উপর বিভিন্ন ধরণের ফিতনা আসতে থাকবে। তখন সর্বোত্তম মানুষ হবে প্রত্যেক ধনী লোক যারা তাদের ধনাঢ্যতা গোপন রাখবে।
অতঃপর আবুত্ তোফাইল রহঃ বলেন, তখন কি অবস্থা হবে, নিশ্চয় সেটা আমাদের প্রতি এমন দার করা যদ্বারা মানুষ নিম্নস্তরে পতিত হবে এবং নিক্ষিপ্ত হবে অনেক গভীরে।
حدثنا عبد الوهاب عن يحيى بن سعيد أن أبا الزبير
اخبره أن أبا الطفيل حدثه أن
حذيفة بن اليمان قال كيف أنت وفتنة أفضل الناس
فيها كل غني خفي
فقال ابن الطفيل كيف وإنما هو عطاء أحدنا يطرح به كل مطرح
ويرمي به كل مرمى
فقال حذيفة كن إذا كابن مخاض لا حلوبة فيحلب ولا ركوبة فيركب
পৃষ্ঠা - ১৬৭
হযরত নোমান ইবনে মোকাররিনি রহঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন,রাসুলুল্লাহ যা, এরশাদ করেছেন, ফিতনা এবং যুদ্ধবিগ্রহকালীন যারা এবাদতের ওপর অটল থাকবে তারা আমার প্রতি হিজরত করার প্রতিদান প্রাপ্ত হবে।
حدثنا أبو بكر بن عياش عن أبان قال سمعت أبا إياس معاوية بن قرة يذكر
عن النعمان بن مقرن رضي الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم العبادة
في الهرج والفتنة كالهجرة إلي
পৃষ্ঠা - ১৬৮
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযি থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহ তাআলার কাছে অতি পছন্দনীয় বস্তু হচ্ছে ‘আল গুরাবা’। অর্থাৎ গরীব-মিসকীনগণ। তার কাছে গুরাবা কারা জানতে চাইলে জবাবে তিনি বললেন, যারা তাদের দ্বীনসহকারে এদিক সেদিক পলায়ন ও আত্মগোপন করতে থাকবে, এক পর্যায়ে হযরত ঈসা ইবনে মারইয়ম আঃ এর সাথে মিলিত হবে।
حدثنا ابن مبارك عن محمد بن مسلم قال سمعت
عثمان بن أوس يحدث عن سليم بن هرمز
عن عبد الله بن عمرو رضي الله عنهما قال أحب
شيء إلى الله تعالى الغرباء
قيل أي شيء
الغرباء
قال ا
لذين يفرون بدينهم
يجمعون إلى عيسى بن مريم عليه السلام
ما يذكر من ندامة القوم من أصحاب
النبي صلى الله عليه وسلم وغيرهم في الفتنة وبعد انقضائها وما تقدم إليهم فيها
পৃষ্ঠা - ১৬৯
হযরত কিনানা রাযি থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা রবীয়ার অধীন থাকাকালীন একদা হয়রত যুবাইর রাযি ও তার কিছু আসহাব কে সাথে নিয়ে আমাদের কাছে আসলেন। এদিকে আমদের গোত্রপতিগণ আলী রাযি এর সাথে মিলিত হলেন, এবং আমরা সকলে একত্রিত হয়ে পরামর্শ করছিলাম। আমাদের কেউ কেউ বলল, হয়তবা আমরা এর সাথে গিয়ে থাকলে আমাদের সরদারগণ আলীর সাথে থাকবে। তখন আমরা তাদের সাথে কিভাবে মোকাবেলা করব! আমরা আবার বললাম, আমরা মোকাবেলার জন্য বের হলে উভয় দল যখন একে অপরের সামনা সামনি হবে তখন আমরা তাদের সাথে মিলিত হয়ে যাব। আবার আমাদের কেউ কেউ পরামর্শ দিল, এ ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত হতে পারছিনা। তাহলে এমন হতে পারে যে, আমরা তাদের কাছে অনুমতি প্রার্থনা করব, অনুমতি মিললে আমরা নিরাপদে পৌঁছে যেতে পারব। না হয় আমরা আমাদের সিদ্ধান্তে অটল থাকব। এক পর্যায়ে আমাদের দলবল সহকারে হযরত যোবাইর রাযি, এর কাছে এসে বললাম, আমাদের মুসলমানগণ কাদের সাথে থাকবে। জবাবে তিনি বললেন, কেন! তাদের মাওলার সাথে থাকব। তার কথা শুনে আমরা বললাম, আমাদের মওলাগণ হযরত আলীর সাথে রয়েছেন। বর্ণনাকারী বলেন, এটা শুনে তার অবস্থা এমন হল যেন আমরা তার মুখে পাথর নিক্ষেপ করলাম। এরপর বেশ কিছুক্ষন চুপ থেকে বললেন, আমরা এটাকেই ভয় করে আসছিলাম।
حدثنا ابن المبارك عن عبد الله بن شوذب قال سمعت مالك بن دينار عن أبي
محمد
عن أبي كنانة قال قدم علينا الزبير وأصحابه ونحن مملكون لربيعة فلحق
سادتنا بعلي فاجتمعنا وقلنا عسى أن يخرجنا هؤلاء ويجيء سادتنا مع علي وكيف نقاتلهم
ثم قلنا نخرج فإذا التقيا لحقنا بهم ثم قال بعضنا لا نأمن ألا نطيق ذلك ولكن
نستأذنهم فإن أذنوا لنا انطلقنا آمنين وإلا كنا على رأينا فأتينا الزبير بن العوام
بجماعتنا
فقلنا له مع من تكون العبيد قال مع مواليهم قلنا فإن موالينا مع علي
قال وكأنما ألقمناه حجرا فمكثنا ساعة
ثم قال لقد حذرنا هذا
পৃষ্ঠা - ১৭০
হযরত আবু সালেহ থেকে বর্ণিত, যখন হযরত আলী রাযি কিছু বাহাদুর পুরুষের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণ করলেন, তখন বললেন, এ ধরনের ঘটনা সংঘটিত হওয়ার বিশ বৎসর পূর্বে মৃত্যুবরণ করাটাই আমার নিকট অতি পছন্দনীয় ছিল।
حدثنا
أبو معاوية عن الأعمش عن أبي صالح
أن عليا رضي الله عنه قال حين أخذت السيوف
مأخذها من الرجال لوددت أني مت قبل هذا بعشرين سنة
পৃষ্ঠা - ১৭১
হযরত হাসান থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, হযরত আলী রা. ধারণা করেন, তিনি যে আমল করেছেন কোন আমলই করেননি। এবং আম্মার রা. ধারণা করেন তিনি যে আমল করেছেন কেমন যেন কোন আমলই করেননি। অনুরূপ ত্বলহা রা.ও ভয় করেন তিনি যে আমল করেছেন কেমন যেন কোন আমলই করেননি। এবং যুবায়ের রা. ও তদ্রুপ ধারণা করেন তিনি যে আমল করেছেন কেমন যেন কোন আমলই করেননি। তারা সকলে এমন এক জাতির নিকট আবতরণ করলেন যাদের গ্রন্থসমূহ সুসজ্জিত, আখেরাতবাসী। তখন তারা এদের মাঝে যুদ্ধ বাধিয়ে দিলেন।
حدثنا ابن المبارك عن
ابن شوذب عن أبي التياح
عن الحسن قال لود علي أنه لم يعمل ما عمل ولود عمار أنه
لم يعمل ما عمل ولود طلحة أنه لم يعمل ما عمل ولود الزبير أنه لم يعمل ما عمل هبطوا
على قوم متوشحي مصاحفهم أهل آخره فسيفوا بينهم
পৃষ্ঠা - ১৭২
হযরত ঈসা ইবনে উমর থেকে বর্ণিত তিনি বলেন আমি এক বৃদ্ধ ব্যক্তি কে আমর ইবনে র্মুরার নিকট হাদীস বর্ণনা করতে শুনেছি, তিনি বলেন আব্দুল্লাহ আমর বলেন আমি তাঁকে ব্যতিত আর কারো নিকট এই বিষয়ে বার বার বলতে দেখিনি, আমি এই আয়াত পড়তেছিলাম “ নিশ্চয় আপনি মৃত্যবরণ করবেন এবং তারা ও মৃত্যবরণ করবে অতপর কিয়ামত দিবসে তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের নিকট ঝগড়া করবে। (যুমার:৩১) আর আমার ধারণা ছিল, এটা আহলে কিতাবদের সম্পর্কে, এক পর্যায়ে আমাদের কতিপয় লোক কতিপয় লোকদের চেহারায় তরবারী দ্বারা আঘাত আনল তখন আমাদের বুঝতে আর বাকি রইল না যে এটা আমাদের মধ্যে হবে।
حدثنا ابن المبارك عن
عيسى بن عمر قال سمعت شيخا يحدث عمرو بن مرة قال
قال عبد الله بن عمر ولم أره
أحال على أحد دونه كنت أقرأ هذه الآية إنك ميت وإنهم ميتون ثم إنكم يوم القيامة عند
ربكم تختصمون وكنت أرى أنها في أهل الكتاب حتى كبح بعضنا وجوه بعض بالسيوف فعرفنا
أنها فينا
পৃষ্ঠা - ১৭৩
হযরত হাসান থেকে বর্ণিত, তিনি আল্লাহ বাণী বলেন “ এবং সেই বিপর্যয়কে ভয় কর, যা বিশেষভাবে তোমাদের মধ্যে যারা জুলুম করে কেবল তাদেরকেই আক্রান্ত করবে না।” বলেন আল্লাহর শপথ, নিশ্চয়ই জাতি জানে যখন এই আয়াত অবতীর্ণ হয়, আর তা হল, এই ফিৎনার সাথে একদল লোক রুক্ষভাষা ব্যবহার করবে।
حدثنا ابن المبارك عن يزيد بن إبراهيم
عن الحسن في قوله
تعالى واتقوا فتنة لا تصيبن الذين ظلموا منكم خاصة قال والله لقد علم أقوام حين
نزلت أنه يشخص لها فوج
পৃষ্ঠা - ১৭৪
হযরত কয়েস বিন উবাদ থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি হযরত আলী রা. কে বললাম, এ বিষয়ে রসূলুল্লাহ সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম কি আপনাকে কোন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেনে? তখন তিনি বলেন, এ ব্যাপারে রসূলুল্লাহ সা. আমাকে এমন কোন প্রতিশ্রুতি দেননি যা মানুষের সাথে করেননি। তবে মানুষ হযরত উসমান রা. এর উপর আক্রমন করে শহিদ করে ফেলেন। তাই তাদের এ কর্ম খুবই খারাপ এবং আমার কর্মও খারাপ। তখন আমি দেখলাম এ ব্যাপারে আমি বেশী হকদার, তাই আমি তার উপর লাফিয়ে পড়লাম। সুতরাং আল্লাহ তায়ালাই এ ব্যাপারে সর্বজ্ঞ যে আমরা ভুল করেছি না সঠিক করেছি।
حدثنا ابن المبارك عن معمر عن علي بن زيد بن جدعان
عن الحسن
عن قيس بن عباد قال قلت لعلي رضي الله عنه أعهد إليك رسول الله صلى
الله عليه وسلم في هذا الأمر شيئا
فقال ما عهد إلي في ذلك عهدا لم يعهده إلى
الناس ولكن الناس وثبوا على عثمان رضي الله عنه فقتلوه فكانوا فيه أسوأ صنيعا وأسوأ
فعلا مني فرأيت أني أحق بها فوثبت عليها فالله أعلم أخطأنا أو أصبنا
পৃষ্ঠা - ১৭৫
আলী রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন রসূলুল্লাহ সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম নেতৃত্বের ব্যাপারে আমাদের কোন সিদ্ধান্ত দেননি যার উপর আমরা আমল করব। এ বিষয়টি আমি নিজে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সুতরাং যদি তা সঠিক হয় তাহলে তা আল্লাহর পক্ষ থেকে। আর যদি তা ভুল প্রমানিত হয় তাহলে এর দায়িত্ব আমাদের উপর বর্তাবে।
حدثنا عبد الرزاق عن سفيان عن الأسود بن قيس عن رجل
عن علي رضي الله عنه قال ما
عهد إلينا في الإمارة عهدا نأخذ به إنما هو شيء رأيته فإن يك صوابا فمن الله وإن يك
خطأ فمن قبل أنفسنا
পৃষ্ঠা - ১৭৬
আবু হাশেম আল কাসেম বিন কাসির থেকে বর্ণিত আমাদেরকে কয়েস খারেফি বর্ণনা করেন যে, তিনি হযরত আলী রা. কে বলতে শুনেছে তিনি বলেন, আমাদেরকে হযরত আবু বকর রা. ্ও হযরত উমর রা. এর পরবর্তীতে এক ফিৎনা গ্রাস করেছে। আর তা উহা যা আল্লাহ তাআলা চেয়েছেন।
حدثنا ابن المبارك عن سفيان عن أبي هاشم القاسم بن
كثير حدثنا قيس الخارفي
سمع عليا يقول أصابتنا فتنة بعد أبي بكر وعمر رضى الله
عنهما فهو ما شاء الله
পৃষ্ঠা - ১৭৭
মুহাম্মাদ বিন উবাইদুল্লাহ বর্ণনা করেন, আমি আবুদ্দুহাকে হাসান ইবনে আলী রা. থেকে আলোচনা করতে শুনেছি, তিনি সুলাইমান ইবনে সুরাদকে বলেন আমি আলী রা. কে দেখেছি যখন যুদ্ধ তীব্রবেগে লেগে গেল তখন তিনি আমার নিকট আশ্রয় নিয়ে বললেন, হে হাসান! হায় আফসোস যদি এর বিশ বৎসর পূর্বে আমি ইন্তেকাল করতাম।
حدثنا ابن المبارك عن شعبة حدثنا محمد بن عبيد
الله الثقفي قال سمعت أبا الضحى يذكر عن الحسن بن علي أنه قال لسليمان بن صرد
لقد رأيت عليا حين اشتد القتال وهو يلوذ بي ويقول يا حسن لوددت أني مت قبل هذا
بعشرين سنة
পৃষ্ঠা - ১৭৮
হযরত তামীম ইবনে সালামা রা. বলেন, আমাকে সুলাইমান ইবনে সুরাদ আল খুযায়ী বলেন আমাকে হাসান ইবনে আলী রা. বলেন আমি আলী রা. কে দেখলাম যখন পুরুষের মাঝে তরবারী উঠে পড়ল তখন তিনি আমার নিকট সাহায্য চেয়ে বললেন হে হাসান! হায় আফসোস আমি যদি এই দিনের বিশ বৎসর পূর্বে ইন্তেকাল করতাম।
حدثنا ابن المبارك عن عيسى بن عمر قال حدثني حوط بن يزيد قال
حدثني نمير بن سلمة قال حدثني سليمان بن صرد الخزاعي قال
قال لي حسن بن علي رضى
الله عنهما لقد رأيت عليا حين أخذت السيوف مأخذها من الرجال يتغوث بي يغوثا ويقول
يا حسن ليتني مت قبل هذا اليوم بعشرين سنة
পৃষ্ঠা - ১৭৯
হযরত সুলাইমান ইবনে সুরাদ থেকে বর্ণিত তিনি হযরত হাসান ইবনে আলী রা. থেকে বর্ননা করে বলেন, আমীরুল মুনিীনন এক বিষয়ে ইচ্ছা পোষণ করেছেন। তখন ঐ বিষয়টি পর্যায়ক্রমে আসতে লাগল। তখন তিনি আর কোন উপায় খুজে পেলেন না।
حدثنا ابن المبارك عن جرير بن حازم قال حدثني محمد بن عبد الله بن أبي
يعقوب الضبي عن عمه عن سليمان بن صرد
عن حسن بن علي قال أراد أمير المؤمنين علي
أمرا فتتابعت الأمور فلم يجد منزعا
পৃষ্ঠা - ১৮০
হযরত সুলাইমান ইবনে সুরাদ থেকে বর্ণিত তিনি হযরত হাসান ইবনে আলী রা. থেকে বর্ননা করেন, হযরত হাসান বলেন, আমি হযরত আলী রা. কে বলতে শুনেছি তিনি বলেন, তখন তিনি তরবারীর প্রতি দৃষ্টি দিলেন যখন মানুষকে পাকড়াও করে ফেলেছে। হে হাসান এগুলো সবই আমাদের মাঝে ঘটছে। হায় আফসোস! যদি আমি বিশ অথবা চল্লিশ বৎসর পূর্বে ইন্তেকাল করতাম।
حدثنا محمد بن يزيد عن العوام بن حوشب
عن رجل حدثه عن سليمان بن صرد عن حسن بن علي
سمع عليا رضى الله عنه يقول حين
نظر إلى السيوف قد أخذت القوم يا حسن أكل هذا فينا ليتني مت فبل هذا بعشرين أو
أربعين سنة
পৃষ্ঠা - ১৮১
হযরত মাসরুক থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন হযরত উসমান রা. এর ব্যাপারে মানুষ যুদ্ধে লিপ্ত হল। তখন আমি হযরত আয়েশা রা. এর নিকট এসে তাকে বললাম, আপনি আপনার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা থেকে বেচেঁ থাকুন। তখন তিনি বললেন, হে বৎস তুমি খারাপ কথা বলছ। আমার নিকট আসমান থেকে আল্লাহর আযাব ব্যতীত অন্য কোন জিনিস যমীনে পতিত হওয়া কোন মুসলমানের রক্তপাতের সাহায্য করার থেকে উত্তম। আর এটা এ কারণে যে, আমি এক স্বপ্ন দেখি, আমি কেমন যেন একটি ছোট টিলার উপর আছি এবং আমার পাশে ছাগল আর বড় বড় গরুর পাল রয়েছে। তখন লোকেরা সেগুলি কুরবানী করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ল এমনকি আমি গরুর আওয়াজ শুনতে পেলাম। হযরত আয়েশা বলেন, তখন আমি সেই ছোট টিলা থেকে অবতরন করতে লাগলাম। তখন আমার এই মর্মে খারাপ লাগল যে, রক্তের উপর দিয়ে অতিক্রম করব ফলে তা থেকে আমার কিছু লেগে যাবে এবং এটাও আমি অপছন্দ করলাম যে আমি আমার কাপড় উত্তোলন করলে শরীরের যে অংশ প্রকাশ পেলে আমি অপছন্দ করি তা খুলে যাবে। ইতিমধ্যে আমার নিকট দুইজন লোক অথবা দুটি বলদ এসে আমাকে নিয়ে ঐ রক্ত অতিক্রম করল। হুসাইন বলেন, আমাদেরকে আবু জামীলা বর্ণনা করেন, জামাল যুদ্ধের দিনে আমি যখন তাকে (আয়েশা) তার উট আক্রমন করতে দেখলাম তখন তার নিকট আম্মার ও মুহাম্মাদ ইবনে আবু বকর এসে তার জিন কেটে দিলেন। অতপর তাকে তার হাওযাযে উঠিয়ে আবু খলাফের ঘরে প্রবেশ করলেন। তখন আমি সেদিন এক বিপদগ্রস্থ ব্যক্তির উপর ঘরবাসীর ক্রন্দনের আওয়াজ শুনলাম। আয়েশা বললেন, এরা কারা? লোকেরা বলল এরা তাদের সাথীদের উপর ক্রন্দন করছে। তিনি বলেন আমাকে বের কর আমাকে বের কর।
حدثنا هشيم عن حصين عن أبي وائل
عن مسروق قال لما نشب
الناس في أمر عثمان رضى الله عنه أتيت عائشة رضى الله عنها فقلت لها إياك أن
يستنزلوك عن رأيك
فقالت بئس ما قلت يا بني لأن أقع من السماء إلى الأرض إلى غير
عذاب الله أحب إلي من أن أعين على دم رجل مسلم وذلك أني رأيت رؤيا رأيتني كأني على
ظرب وحولي غنم أو بقر ربوض فوقع فيها رجال ينحرونها حتى ما أسمع لشيء منها خوار
قالت فذهبت أنزل من الظرب فكرهت أن أمر على الدماء فيصيبني منها شيء وكرهت أن أرفع
ثيابي فيبدوا مني ما لا أحب فبينا أنا كذلك إذ أتاني رجلان أو ثوران واحتملاني حتى
جازا بي تلك الدماء
قال حصين فحدثنا أبو جميلة قال رأيت يوم الجمل حيث عقر بها
بعيرها أتاها عمار ومحمد بن أبي بكر فقطعا الرحل ثم احتملاها في
هودجها حتى
أدخلاها دار أبي خلف فسمعت بكاء أهل الدار على رجل أصيب يومئذ
قالت ما هؤلاء
قالوا يبكون على صاحبهم
قالت أخرجوني أخرجوني
পৃষ্ঠা - ১৮২
হযরত শা’বী আয়েশা রা. থেকে বর্ণনা করেন। হযরত আয়েশা রা. স্বপ্নে দেখলেন কেমন জানি আমি একটি ছোট টিলার উপর আছি এবং তার পাশে ছাগল ও বড় বড় গরুর পাল রয়েছে। তখন এক লোক তার ব্যাপারে ব্যস্ত হয়ে পড়ল। অতপর হযরত আয়েশা রা. হযরত আবু বকর রা. এর নিকট এ ঘটনা বর্ণনা করলেন। তখন হযরত আবু বকর রা. বলেন, যদি তোমার সপ্ন সত্য হয়ে থাকে তাহলে তোমাকে কেন্দ্র করে এক দল মানুষ হত্যা করা হবে।
حدثنا هشيم عن
مجالد عن الشعبي
عن عائشة رضى الله عنها أنها رأت كأنها على ظرب وحولها غنم
وبقر ربوض فوقع فيها رجل فقصت ذلك على أبي بكر رضى الله عنه
فقال لئن صدقت
رؤياك ليقتلن حولك فئة من الناس
পৃষ্ঠা - ১৮৩
আওয়াম ইবনে হাওশাব থেকে বর্ণিত তিনি বলেন আমার গোত্রের জামী নামক এক ব্যক্তি আমার নিকট বর্ণনা করেন, আমি আমার মায়ের সাথে আয়েশা রা.এর নিকট প্রবেশ করলাম। তখন তাঁকে আমার মা বললেন, জামাল যুদ্ধের দিন আপনার সফর কেমন ছিল? তিনি উত্তর দেন, এটা তকদীরের ফয়সালা ছিল।
حدثنا هشيم عن العوام بن حوشب قال حدثني
رجل من قومي يقال له جميع قال
دخلت مع أمي على عائشة رضى الله عنها فقالت لها
أمي ما كان مسيرك يوم الجمل
قالت كان قدرا
পৃষ্ঠা - ১৮৪
হযরত আবু সাঈদ খুদরী রা. থেকে বর্ণিত, তাঁকে হযরত আলী রা., ত্বলহা রা. এবং যুবায়ের রা. সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হল। তখন তিনি উত্তর দিলেন তারা এমন এক জাতি যাদের জন্য এক অতীত ইতিহাস রচিত হয়েছে এবং তাদেরকে এক ফিৎনায় আগ্রাসন করেছে। সুতরাং তাদের বিষয় আল্লাহ তায়ালার নিকট অর্পণ কর।
حدثنا غسان بن مضر عن سعيد
بن يزيد عن أبي نضرة
عن أبي سعيد الخدري أنه سئل عن علي وطلحة والزبير فقال أبو
سعيد أقوام سبقت لهم سوابق وأصابتهم فتنة فردوا أمرهم إلى الله
পৃষ্ঠা - ১৮৫
হযরত ইয়াযিদ ইবনে আবু হাবীব থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন, আমার সাহাবীদের থেকে সংঘটিত হবে। অর্থাৎ তাদের মধ্যেই ফিৎনা সংঘটিত হবে। আল্লাহ তায়ালা তাদের অগ্রগামীদেকে ক্ষমা করে দিবেন। যদি কোন জাতি পরবর্তীতে তাদের অনুসরন করে, তাহলে আল্লাহ তায়ালা তাদেরক জাহান্নামে ধরাশয়ী করবেন।
حدثنا ابن
المبارك عن ابن لهيعة
عن يزيد بن أبي حبيب قال قال رسول الله صلى الله عليه
وسلم يكون من أصحابي يعني الفتنة التي كانت بينهم يغفرها الله لهم لسابقتهم إن
اقتدى بهم قوم من بعدهم أكبهم الله في نار جهنم
পৃষ্ঠা - ১৮৬
কয়েস ইবনে সাআদ খারেফী থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি হযরত আলী রা. কে এই মিম্বারের উপর বলতে শুনেছি, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অগ্রগামী হয়েছেন আর হযরত আবু বকর রা. নামায পড়েছেন আর হযরত উমর রা. তৃতীয় পর্যায়ে এসেছেন। অতপর আমাদেরকে এমন এক ফিৎনায় পদদলিত করেছে যা আল্লাহর ইচ্ছায় ছিল।
حدثنا ابن إدريس عن
ليث عن القاسم أبي هاشم عن سعيد بن قيس الخارفي قال
سمعت عليا رضى الله عنه
يقول على هذا المنبر سبق رسول الله صلى الله عليه وسلم وصلى أبو بكر وثلث عمر ثم
خبطتنا فتنة فما شاء الله
পৃষ্ঠা - ১৮৭
হযরত মুহাম্মাদ ইবনে হাতিব থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, হযরত আলী রা. কে বলা হল, নিশ্চয়ই তারা আমাদের নিকট হযরত উসমান রা. সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবে তখন আমরা কী উত্তর দিব? তখন তিনি বলেন, তোমরা বল, তিনি তো ঐ সমস্ত লোকদের অন্তর্ভুক্ত যাদের ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালা বলেন, “ যারা ঈমান রাখে ও সৎকর্মে রত থাকে এবং (আগামীতে যেসব জিনিস নিষেধ করা হয় তা থেকে) বেঁচে থাকে ও ঈমানে প্রতিষ্ঠিত থাকে আর তারপরও তাকওয়া ও ইহসান অবলম্বন করে। আল্লাহ ইহসান অবলম্বনকারীদেরকে ভালবাসেন।
حدثناا محمد بن يزيد عن العوام بن حوشب عن محمد
بن حاطب قال
قيل لعلي رضى الله عنه إنهم سيسألونا عن عثمان فما نقول
قال
قولوا كان من الذين آمنوا وعملوا الصالحات ثم اتقوا وآمنوا ثم اتقوا وأحسنوا والله
يحب المحسنين
পৃষ্ঠা - ১৮৮
হযরত আয়েশা রা. রসূলুল্লাহ থেকে বর্ণনা করেন এবং আওয়াম ইব্রাহীম তাইমী থেকে বর্ণনা করেন, তিনি রসূলুল্লাহ সা. থেকে বর্ণনা করেন। রসূলুল্লাহ সা. এরশাদ করেন, তিনি তার স্ত্রীদেরকে বলেন, তোমাদের মধ্যে থেকে কাউকে দেখে হাওআবের কুকুর (অধিক পানি বিশিষ্ট প্রশস্তময় জায়গার কুকুর) ঘেউ ঘেউ করবে। যখন আয়েশা অতিক্রম করল তখন কুকুর ঘেউ ঘেউ করল। তখন আয়েশা এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন, তখন তাকে বলা হল, এটা হাওআবের পানি। তখন আয়েশা রা. বলেন, আমার প্রবল ধারণা, আমি প্রত্যাবর্তন করব। তখন তাকে বলা হল হে উম্মুল মুমিনীন, নিশ্চয় আপনি মানুষের মাঝে সংশোধন করবেন।
حدثنا يزيد بن هارون عن أبي خالد عن قيس بن أبي حازم
عن
عائشة رضى الله عنها عن النبي صلى الله عليه وسلم
والعوام عن إبراهيم التيمي عن
النبي صلى الله عليه وسلم أنه قال لأزواجه أيتكن التي تنبحها كلاب الحوأب فلما مرت
عائشة نبحت الكلاب فسألت عنه
فقيل لها هذا ماء الحوأب
قالت ما أظنني
إلا راجعة
قيل لها يا أم المؤمنين إنما تصلحين بين الناس
পৃষ্ঠা - ১৮৯
হযরত মা’মর ইবনে তাউস থেকে বর্ণিত, তাউস তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন আর তার পিতা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম. থেকে বর্ণনা করেন, হুযুর সা. তার স্ত্রীদের কে বলেন, তোমাদের মধ্যে সে কে? যাকে দেখে অমুক জায়গার পানির কুকুর ঘেউ ঘেউ করবে। হে হুমায়রা (লাল রমনী) তুমি সতর্ক থাক অর্থাৎ আয়েশা রা.।
حدثنا عبد
الرزاق عن معمر عن ابن طاوس
عن أبيه أن رسول أن رسول الله صلى الله عليه وسلم
قال لنسائه أيتكن التي تنبحها كلاب ماء كذا وكذا إياك يا حميراء يعني عائشة
পৃষ্ঠা - ১৯০
হযরত আবু হুযাইল থেকে বর্ণিত, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ এবং হুযাইফা রা. বসে ছিলেন। এমতাবস্থায় এক রমনীকে উটের উপরে রেখে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, যিনি নতুন জিনিষ উদ্ভাবন করেছে। তখন তাদের একজন তার সাথীকে বলল, নিশ্চয় ইনিই তিনি, তখন অপরজন বলল, না নিশ্চয় তার চারপাশের্^ দীপ্তি রয়েছে। আর তারা তার দ্বারা আয়েশা রা. কে উদ্দেশ্য নিলেন।
حدثنا عبد الرزاق عن ابن عيينة عن عمار الدهني عن أبي الهذيل
أن ابن مسعود
وحذيفة كانا جالسين ومر بامرأة على جمل قد أحدثت حدثا
فقال أحدهما لصاحبه لهي
هي
فقال الآخر لا إن حول تلك بارقة يعنون عائشة رضى الله عنها
পৃষ্ঠা - ১৯১
হযরত হাসান থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, কয়েস বিন উবা রা. হযরত আলি রা. কে বলেন আপনার এই সিদ্ধান্ত কি আপনাকে হুযুর সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম দিয়েছেন না আপনার নিজের সিদ্ধান্ত? তখন হযরত আলি রা. কয়েসকে বলেন এর দ্বারা আপনি কি বুঝাতে চেয়েছেন? তখন তিনি বলেন, আমাদের ধর্ম আমাদের ধর্ম (সম্পর্কে) সতর্ক থাকা চাই, তখন হযরত আলী রা. বলেন, এই সিদ্ধান্ত আমারই সিদ্ধান্ত যা আমি বুঝেছি।
حدثنا
ابن عيينة عن يونس عن الحسن قال
قال قيس بن عباد لعلي أمرك هذا شيء عهدة إليك
رسول الله صلى الله عليه وسلم أم رأي رأيته
فقال علي ما يريد إلى هذا
فقال
ديننا ديننا
فقال ما هو إلا رأي رأيته
পৃষ্ঠা - ১৯২
আবুত তুফাইল থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি হুযাইফা ইবনে ইয়ামান রা. কে বলতে শুনেছি তিনি বলেন, আমি যদি তোমাদেরকে বলি যে, তোমাদের মাতা তোমাদের সাথে যুদ্ধ করবে। তাহলে তোমরা আমাকে সত্যায়ন করবে? তখন লোকেরা বলল, এটাও কি ঘটবে? তিনি বলেন, এটা সত্য।
حدثنا عبد الرزاق عن معمر
عن وهب بن عبد الله عن أبي الطفيل
سمع حذيفة بن اليمان يقول لو حدثتكم أن أمكم
تغزوكم أتصدقوني
قالوا أو حق ذلك
قال حق
পৃষ্ঠা - ১৯৩
যুবায়ের ইবনুল আওয়াম রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন এই আয়াত অবতীর্ণ হয় “ তোমরা ঐ ফিৎনাকে ভয় কর যেই ফিৎনা বিশেষ ভাবে তাদের কে পাকড়াও করবেনা যারা অত্যাচার করে না। অথচ আমরা তখন প্রচুর লোক। তখন আমরা আশ্চার্য হতে লাগলাম, এই ভেবে যে, এই ফিৎনা টি কী? এবং আমরা বলতাম সেই ফিৎনা কি? যা আমাদের নিকট এসে পৌছবে, এক পর্যায়ে তা আমরা দেখলাম।
حدثنا ابن مهدي عن جرير
بن حازم سمع الحسن يحدث
عن الزبير بن العوام رضى الله عنه قال نزلت هذه الآية
واتقوا فتنة لا تصيبن الذين ظلموا منكم خاصة ونحن يومئذ متوافرون فجعلنا نعجب ما
هذه الفتنة ونقول أي فتنة تصيبنا ما هذه حتى رأيناها
পৃষ্ঠা - ১৯৪
হযরত মুহাম্মাদ বিন সিরীন থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, হযরত আলী রা. বলেন যে আমি আশাবাদী যে, আমি এবং হযরত উসমান রা. ঐ লোকদের অন্তর্ভূক্ত যাদের ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালা ঘোষনা করেছেন। “আমি তাদের অন্তর থেকে হিংসা-বিদ্বেষ বের করে দিয়েছি ফলে তারা ভাই ভাই হয়ে উচু আসনে মুখামুখি হয়ে বসেন। (হিযর:৪৭)
حدثنا عبد الوهاب عن
أيوب عن محمد بن سيرين قال
قال علي رضى الله عنه إني لأرجو أن أكون أنا وعثمان
ممن قال الله تعالى ونزعنا ما في صدورهم من غل إخوانا على سرر متقابلين
পৃষ্ঠা - ১৯৫
হযরত মুররা ইবনে কা’আব রা. থেকে বর্ণিন তিনি বলেন, আমি রসুল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এক ফিৎনার কথা আলোচনা করতে শুনেছি, তো রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফিৎনার বিষয় বিষদভাবে আলোচনার মাধ্যমে আমাদের নিকটবর্তী করে ফেললেন। এমন সময় হযরত উসমান রা. অতিক্রম করলেন। তখন হুযুর সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন এই ব্যক্তি সেদিন হকের উপর থাকবে। বর্ণনাকারী বলেন, তখন আমি হযরত উসমান রা. এর নিকট দাঁড়িয়ে গেলাম এবং তার দুই বাহু ধরে হুযুর সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট নিয়ে গেলাম। আর তার মাথা খুলে দিলাম, কেননা তিনি কাপড় দ্বারা মাথা ঢেকে রেখেছিলেন। তখন আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল ইনি? রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন ইনিই। তখন দেখা গেল তিনি উসমান ইবনে আফ্ফান রা.। এবং খালেদ বলেন কাব ইবনে র্মুরা এবং আবুল আসআস সনআনির কথা উল্লেখ করেননি।
حدثنا عبد الوهاب عن أيوب وخالد جميعا عن أبي قلابة عن أبي الأشعث الصنعاني
عن
مرة بن كعب رضى الله عنه قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم ذكر فتنة فقربها
فمر عثمان بن عفان فقال هذا يومئذ على الهدى فقمت إليه فأخذت بعضديه وأقبلت بوجهه
على رسول الله صلى ععليه وسلم وحسرت عن رأسه وكان متقنعا في ثوب
فقلت يا
رسول الله هذا
قال هذا فإذا هو عثمان بن عفان
وقال خالد كعب بن مرة ولم
يذكر أبا الأشعث الصنعاني
পৃষ্ঠা - ১৯৬
হযরত শাকীক রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি সাহল ইবনে হুনাইফ রা. কে সিফ্ফীন যুদ্ধের সময় বলতে শুনেছি। তিনি বলেন, হে মানুষ! তোমরা নিজেদের সিদ্ধান্তকে অপবাদ দিচ্ছ। আল্লাহর শপথ, আবু জান্দালের দিবস আমাার নিজের ব্যাপারে ধারণা করলাম যদি আমি সক্ষম হতাম যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বিষয়কে প্রতিহত করার তাহলে অবশ্যই করতাম। আল্লাহর শপথ, আমরা যখনই কোন বিষয়ের কারণে নিজেদের কাধের উপর তরবারী উত্তোলন করি, তখন আল্লাহ তায়ালা আমাদের জ্ঞাত বিষয়কে অধিক সহজতর করে দেন তোমাদের এই বিষয় ব্যতিত। বর্ণনাকারী আ’মাশ বলেন শকীকের অবস্থা এমন ছিল যখন তাকে প্রশ্ন করা হত আপনি কি সিফফীন যুদ্ধে উপস্থিত ছিলেন? তিনি উত্তর দেন হ্যাঁ/ আর তা নিকৃষ্টতম সিফ্ফীন।
حدثنا أبو معاوية عن الأعمش عن شقيق قال
سمعت سهل بن حنيف يقول بصفين أيها الناس اتهموا رأيكم فوالله لقد رأيتني يوم
أبي جندل ولو أستطيع أن أرد أمر رسول الله صلى الله عليه وسلم لرددته والله ما
وضعنا سيوفنا على عواتقنا إلى أمر قط إلا أسهل بنا إلى أمر نعرفه إلا أمركم هذا
قال الأعمش وكان شقيق إذا قيل له أشهدت صفين
قال نعم وبئست الصفون
পৃষ্ঠা - ১৯৭
হযরত আসওয়াদ বিন কয়েস থেকে বর্ণিত তিনি এক ব্যক্তি থেকে বর্ণনা করেন, তিনি হযরত আলী রা. থেকে, হযরত আলী রা. জামাল যুদ্ধের দিন বলেন, নিশ্চয় রসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নিকট নেতৃত্বের ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত দেননি তবে এই বিষয়টি আমরা নিজেরা বুঝে নিয়েছি। সুতরাং যদি তা সঠিক হয়ে থাকে তবে আল্লাহর পক্ষ থেকে। আর যদি কোন ভুল হয় তাহলে তা আমাদের উপরে বর্তাবে। অতপর হযরত আবু বকর রা. খলিফা নিযুক্ত হলেন এবং তিনি ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করলেন। অতপর হযরত উমর রা. খলিফা নিযুক্ত হলেন এবং তিনিও ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করলেন। এমনকি দ্বীনকে সম্মুখে নিয়ে গেলেন। অতপর অনেক জাতি দুন্য়িা অন্বেষন করতে লাগল। আল্লাহ তায়ালা যাদেরকে চান তাদেরকে ক্ষমা করেন। আর যাদেরকে মনে চান শাস্তি দেন।
حدثنا عبد الرزاق عن سفيان عن الأسود بن قيس عن رجل
عن علي رضى الله عنه أنه
قال يوم الجمل إن رسول الله صلى الله عليه وسلم لم يعهد إلينا عهد نأخذ به في
الإمارة ولكن شيء رأيناه من قبل أنفسنا فإن يك صوابا فمن الله وإن يك خطأ فمن قبل
أنفسنا ثم استخلف أبو بكر فأقاام واستقام ثم اسخلف عمر فأقام واستقام حتى ضرب الدين
بجرانه ثم إن أقواما طلبوا الدنيا يعفوا عمن يشاء ويعذب من يشاء
পৃষ্ঠা - ১৯৮
হযরত আবু ওয়েল থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি আম্মার রা. কে এই মিম্বারের উপর বলতে শুনেছি, নিশ্চয়ই আয়েশা ছিদ্দিকা রা. দুনিয়া ও আখিরাতে উভয় জায়গায় তোমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের স্ত্রী তবে তিনি হলেন পরীক্ষা যা তোমাদের থেকে নেওয়া হয়েছে।
حدثنا
ابن أبي غنية عن أبيه عن الحكم عن أبي وائل قال
سمعت عمارا على هذا المنبر يقول
إن عائشة لزوجة نبيكم صلى الله عليه وسلم في الدنيا والأخرة ولكنه بلاء ابتليتم
পৃষ্ঠা - ১৯৯
হযরত আবু ওয়েল থেকে বর্ণিত তিনি বলেন সাহল ইবনে হুনাইফ সিফ্ফীন যুদ্ধের সময় বলেন, হে মানুষ, তোমরা নিজেদেরকে অপবাদ দিচ্ছ। আমরা হুদায়বিয়ার সময় রসূলুল্লাহ সা. এর সাথে ছিলাম। যদি আমরা সেদিন যুদ্ধ করা সমীচীন মনে করতাম তাহলে ঐ সন্ধি অবস্থায় অবশ্্যই আমরা যুদ্ধ করতাম যা রসূল সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং মুশরিকদের মাঝে ছিল।
حدثنا ابن نمير عن عبد العزيز بن سياه قال حدثنا حبيب بن أبي ثابت عن
أبي وائل قال
قام سهل بن حنيف بصفين فقال يا أيها الناس اتهموا أنفسكم لقد كنا
مع رسول الله صلى الله عليه وسلم يوم الحديبية ولو نرى قتالا لقاتلنا في الصلح الذي
كان بين رسول الله صلى الله عليه وسلم وبين المشركين
পৃষ্ঠা - ২০০
হযরত হুযাইফা ইবনে ইয়ামান রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন হাউযের নিকট বিভিন্ন জাতি আমার কাছে উপস্থিত হবে। যাদেরকে আমিও চিনব এবং তারাও আমাকে চিনবে, তবে আমি ব্যতিত তারা সবাই কাঁপতে থাকবে, তখন আমি আরজ করলাম হে আমার প্রতিপালক এরা আমার সাহাবা, এরা আমার সাহাবা, তখন আল্লাহ তায়ালা বলবেন, নিশ্চয়ই আপনি জানেন না, আপনার অবর্তমানে তারা কি নতুন জিনিস উদ্ভাবন করেছে।
حدثنا ابن فضيل عن
حصين بن عبد الرحمن عن شقيق بن سلمة
عن حذيفة بن اليمان رضى الله عنه قال قال
رسول الله صلى الله عليه وسلم ليردن علي الحوض أقوام حتى إذا عرفتهم وعرفوني
اختلجوا دوني فأقول يا رب أصحابي أصحابي فيقول إنك لا تدري ما أحدثوا بعدك
পৃষ্ঠা - ২০১
হযরত যুহরী রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লামের সাহাবা ভরপুর থাকা সত্বেও ফিৎনা প্রবল বেগে উত্তেজিত হবে।
حدثنا عيسى بن يونس وابن المبارك عن معمر
عن الزهري قال هاجت الفتنة وأصحاب
رسول الله صلى الله عليه وسلم متوافرون
পৃষ্ঠা - ২০২
হযরত আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লামের এর নিকট প্রবেশ করলাম যেই অবস্থায় উসমান রা. তার সামনে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লামের সাথে চুপিসারে কথা বলছেন। তখন আমি তার কথোপকথন কিছুই বুঝতে পারলামনা তবে উসমান রা. এর কথা হে আল্লাহর রাসূল, অন্যায় ভাবে না শত্রুত বশত, অন্যায় ভাবে না শত্রুত বশত? তবে অনুধাবন করতে পারলাম না সেটা কি এক পর্যায়ে উসমান রা. শাহাদত বরণ করলেন। তখন আমি নিশ্চিতভাবে বুঝতে পারলাম নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম নিশ্চয়ই তার হত্যার বিষয় উদ্দেশ্য নিয়েছিলেন। আয়েশা রা. বলেন আমি পছন্দ করিনি যে, উসমান রা. এর নিকট কিছু পৌঁছাক, তবে আমার নিকট তার মত জিনিস পৌঁছল। তবে আল্লাহ তায়ালা নিশ্চয়ই জানেন আমি তার হত্যাকে পছন্দ করিনা যদি আমি তার হত্যা পছন্দ করতাম, তাহলে আমাকে হত্যা করা হত। আর এটা তখন যখন তার হাওদায বর্শা দ্বারা নিক্ষেপ করা হয়, এমনকি তা শল্লীর মত হয়ে পড়ে।
حدثنا عتاب بن بشير عن خصيف عن
مجاهد
عن عائشة رضي الله عنها قالت دخلت على رسول الله صلى الله عليه وسلم
وعثمان بين يديه يناجيه فلم أدرك من مقالته شيئا إلا قول عثمان أظلما وعدوانا أظلما
وعدوانا يا رسول الله فما دريت ما هو حتى قتل عثمان فعلمت أن النبي صلى الله عليه
وسلم إنما عني قتله
قالت عائشة وما أحببت أن يصل إلى عثمان شيء إلا وصل إلي
مثله غير أن الله علم أني لم أحب قتله ولو أحببت قتله لقتلت وذلك لما رمى هودجها من
النبل حتى صار مثل القنفذ
পৃষ্ঠা - ২০৩
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি আয়েশা রা. এর নিকট প্রবেশ করত সালাম প্রদান করে বললাম হে আম্মা! তখন তিনি বললেন হে ছেলে! তোমার প্রতিও সালাম। বর্ণনাকারী বলেন আমি তাকে বললাম কুরাইশদের নিফাকী করা সত্ত্বে কোন জিনিষ আপনাকে আমাদের নিকট বের হতে বাধ্য করল? তিনি বলেন এটা নিয়তির ফয়সালা ছিল।
حدثنا المطلب بن زياد حدثنا كثير أبو إسماعيل
عن ابن عباس قال دخلت على عائشة رضى الله عنها فقلت السلام عليك يا أمة
قالت وعليك يا بني
قال قلت لها ما أخرجك علينا مع منافقي قريش
قالت كان
ذلك قدرا مقدورا
পৃষ্ঠা - ২০৪
হযরত ইব্রাহীম এবং খালেদ হায্যা হাসান থেকে বর্ননা করে বলেন হযরত আলী রা. বলেন, নিশ্চয় আমি আশা রাখি যে, আমি, ত্বলহা ও যুবাইর ঐ সমস্ত লোকদের অন্তর্ভূক্ত হব। যাদের ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেছেন তারা পরস্পর ভাই ভাই মুখামুখি হয়ে আসনে বসবেন। (হিযর:৪৭)
حدثنا وكيع عن سفيان عن منصور عن إبراهيم وخالد الحذاء
عن الحسن قالا
قال علي رضى الله عنه إني لأرجو أن أكون أنا وطلحة والزبير ممن
قال الله تعاالى إخوانا على سرر متقابلين
পৃষ্ঠা - ২০৫
হযরত রিবয়্যি ইবনে হিরাশ থেকে বর্ণিত তিনি বলেন জুনাইদ ইবনে সাওদা আলী রা. এর নিকট তখন তিনি বললেন, আল্লাহ তায়ালা এর চেয়ে ইনসাফকারী, তখন আলী রা. এর উপর জোরেসোরে চিৎকার করেন বর্ণনাকারী বলেন, আমি ধারণা করলাম যে, প্রাসাদ ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। অতপর বলেন যদি আমরাই না হই তাহলে আর কারা হবে?
حدثنا وكيع عن أبان البجلي عن
ربع بن حراش قال
قام حنيد بن السوداء إلى علي فقال الله أعدك من ذلك فصاح به
علي صيحة ظننت أن القصر هد
ثم قال إن لم نكن نحن هم فمن هم
পৃষ্ঠা - ২০৬
হযরত সুলাইমান ইবনে সুরাদ থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, নিশ্চয়ই আমার নিকট আমিরুল মুমিনীন আলী রা. সম্পর্কে এমন কিছু কথার অংশ পৌঁছেছে, যা আমার উপর এমনভাবে প্রভাব ফেলছে যেমন তিরস্কার ও ভীতিপ্রদর্শনের কারণে হয়ে থাকে। তখন আমি দ্রুত তার নিকট রওয়ানা দিয়ে এমন সময় পৌঁছলাম যখন তিনি জামাল যুদ্ধ থেকে ফারেগ হলেন। তখন আমি হাসান রা. এর সাথে সাক্ষাৎ করে বললাম, নিশ্চয়ই আমার নিকট আমিরুল মুমিনীন আলী রা. সম্পর্কে এমন কিছু কথার অংশ পৌঁছেছে, যা আমার উপর তিরস্কার ও ভীতিপ্রদর্শনের ন্যায় প্রভাব ফেলছে। কারণ হয়ে থাকে তখন আমি দ্রুত তার নিকট রওয়ানা দিলাম এই মর্মে যে, আমি তাঁর নিকট উযরখাহী করব অথবা আমার অন্তর থেকে তা বের করে দিব। তখন হাসান রা. বললেন হে সুলাইমান! খোদার কসম নিশ্চয়ই আমিরুল মুমিনীন এ কারণে মর্যদাবানের রক্ত থেকে অপছন্দ করতেন। নিশ্চয় আমিরুল মুমিনীন এক বিষয়ের ইচ্ছা পোষন করেছেন, তবে তা পালাক্রমে আসতে লাগল। তাই তিনি আর কোন উপায় খুঁজে পাননি। আর আমিরুল মুমিনীন এর পক্ষ থেকে আমিই তোমার জন্য যথেষ্ট।
حدثنا ابن
مهدي عن مهدي بن ميمون عن محمد بن عبد الله بن أبي يعقوب قال حدثتني عمتي ضبثم
عن سليمان بن صرد قال بلغني عن أمير المؤمنين على ذروا من قول تشذر على به
من شتم وايعاد فسرت إليه حوادا فأتيته حين رفع يده من الجمل فلقيت الحسن بن علي
فقلت إنه بلغني عن أمير المؤمنين ذرو من قول تشدر إلي به من شتم وإيعاد فسرت إليه
جوادا فأتيته لأعتذر إليه أو أتنصل إليه فقال يا سليمان والله لأمير المؤمنين كان
أكره لهذا من دم سنيه إن أمير المؤمنين أراد أمرا فتتابعت به الأمور فلم يجد منزعا
وسأكفيك أمير المؤمنين
পৃষ্ঠা - ২০৭
হযরত সুলাইমান ইবনে সুরাদ থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি হযরত আলী রা, এর নিকট এমতাবস্থায় পৌঁছলাম যখন তিনি জামাল যুদ্ধ থেকে ফারেগ হন। তিনি আমাকে দেখে বললেন হে ইবনে সুরাদ! তুমি দুর্বল হয়ে স্থানচ্যুত হয়ে পড়েছ এবং আল্লাহ তায়ালা তোমার সাথে কি আচরণ করবেন তার অপেক্ষা করছ? তখন আমি বললাম হে আমিরুল মুমিনীন, নিশ্চয়ই সফর অনেক লম্বা আর আল্লাহ তায়ালা অনেক বিষয় অবশিষ্ট রেখেছেন যার মধ্যে তুমি তোমার শত্রুকে বন্ধু থেকে চিনতে পারবে। যখন তিনি দ-ায়মান হলেন আমি হাসান ইবনে আলী রা. কে বললাম আমিা তোমাকে দেখছি যে, তুমি আমার থেকে বেপরওয়া হয়ে গেছো অথচ আমি তার সাথে উপস্থিত হতে অনুরাগী। তখন তিনি বললেন ইনি তোমাকে উহাই বলেন যা তুমি বলছ। আর জামাল যুদ্ধের দিন যখন কিছু মানুষের নিকট গেল, তখন তিনি আমাকে বলেন, হে হাসান তোমার আম্মা ধ্বংশ হোক। অথবা তোমার মাতা তোমাকে হারাক। আল্লাহর কসম এর পর আর কোন কল্যাণ দেখিনি।
حدثنا ابن مهدي عن أبي عوانة عن إبراهيم بن محمد
بن المنتشر عن أبيه عن عبيد بن نضيلة عن سليمان بن صرد قال
أتيت عليا حين فرغ
من الجمل فلما رآني قال يا بن صرد تنأنأت وتزحزحت وتربصت كيف ترى الله صنع
قلت
يا أمير المؤمنين إن الشوط بطين وقد أبقى الله من الأمور ما تعرف فيها عدوك من
صديقك فلما قام
قلت للحسن بن علي
ما أراك أغنيت عني شيئا وقد كنت حريصا أن أشهد
معه
فقال هذا يقول لك ما تقول وقد قال لي يوم الجمل حين مشى الناس بعضهم إلى
بعض
يا حسن ثكلتك أمك أو هبلتك أمك والله ما أرى بعد هذا من خير
পৃষ্ঠা - ২০৮
হযরত মুহাম্মাদ ইবনে আলী রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, হযরত আলী রা. বলেন যদি উসমান রা. আমাকে সিরার নামক স্থানে ভ্রমন করান তাহলে তার কথা শুনব ও অনুসরণ করব।
حدثنا ابن مهدي عن سفيان عن أبيه عن أبي يعلى عن محمد بن علي قال
قال علي رضى
الله عنه لو سيرني عثمان إلى صرار لسمعت له واطعت
পৃষ্ঠা - ২০৯
হযরত আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আল্লাহর শপথ আমার আশা কখনই আমি উসমান রা. সম্পর্কে কোন বাক্য উল্লেখ করিনি। আর আমি দুনিয়ায় জীবন যাপন কুষ্টরোগী ও কুশ্রী অবস্থায় করেছি। উসমান রা. এক আঙ্গুল যা দ্বারা তিনি আসমানে দিকে ইঙ্গিত করেন তা আলি রা. এর পূর্ণ যমীন থেকে উত্তম।
حدثنا عبد القدوس
عن صفوان بن عمرو عن عبد الرحمن بن جبير عن أبيه
عن عائشة رضى الله عنها قالت
والله لوددت أني لم أذكر عثمان بكلمة قط وأني عشت في الدنيا برصا سالخ ولأصبع عثمان
الذي يشير بها إلى السماء خير من طلاع الأرض من علي
পৃষ্ঠা - ২১০
হযরত আউফ ইবনে মালেক আশযায়ী রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বর্ণের সিকলের একটি টুকরা যা মালে গনীমতের অবশিষ্ট অংশ ছিল নিজের লাঠির অগ্রভাগ দ্বারা উত্তোলন করলেন অতপর তা পড়ে গেল পুনরায় আবার উত্তোলন করে বললেন, যখন তা এর চেয়ে অধিক হবে তোমাদের অবস্থা তখন কি হবে? তখন কেউ কোন উত্তর দিল না। তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জনৈক সাহাবা বলেন। আল্লাহর শপথ আমরা আশা করি যদি আল্লাহ তায়ালা এর চেয়ে অধিক পরিমান দেন তাহলে কিছু লোক ধৈর্য্য ধারন করবে তারা ধৈর্য্য ধারণ করবে এবং কিছু লোক ফিৎনায় নিপতিত হবে। তখন রসূলুল্লাহা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, হয়তবা তুমি তাতে নিকৃষ্টতম ফিৎনায় পতিত হবে।
حدثنا عبد القدوس عن
صفوان بن عمرو عن عبد الرحمن بن جبير بن نفير عن أبيه
عن عوف بن مالك الأشجعي
رضى الله عنه قال رفع رسول الله صلى الله عليه وسلم قطعة سلسلة من ذهب بقية بقيت من
قسمة الفيء بطرف عصاه فتسقط ثم يرفعها وهو يقول وكيف أنتم يوم يكثر لكم من هذا فلم
يجبه أحد
فقال رجل من أصحاب رسول الله صلى الله عليه وسلم والله لوددنا لو أكثر
الله لنا منه وصبر من صبر وفتن من فتن
فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم لعلك
تكون فيه شر مفتون
পৃষ্ঠা - ২১১
হযরত উহবান গিফারীর মেয়ে থেকে বর্ণিত যে আলী রা. উহবানের নিকট এসে বললেন কিসে তোমাকে আমার অনুসরণ করতে বাধা দিচ্ছে। প্রতিউত্তরে তিনি বলেন আমাকে আমার বন্ধু এবং আপনার চাচাত ভাই উপদেশ দিয়েছেন, যে ভবিষ্যতে বিভিন্ন দলে ভিভক্ত হয়ে পড়বে এবং ফিৎনা এবং মতবিরোধ দেখা দিবে। যখন এমনটি ঘটবে তখন তুমি নিজের তরবারী ভেঙ্গে ফেল, নিজের ঘরে বসে থাক, এবং কাঠ দ্বারা তরবারী তৈরী কর।
حدثنا عبد الصمد بن عبد الوارث عن حماد بن سلمة
قال حدثنا أبو عمرو القسملي عن بنت أهبان الغفاري
أن عليا رضى الله عنه أتى
أهبان فقال ما يمنعك أن تتبعنا
فقال أوصاني خليلي وابن عمك صلى الله عليه وسلم
أن ستكون فرقة وفتنة واختلاف فإذا كان ذلك فاكسر سيفك واقعد في بيتك واتخذ سيفا من
خشب
পৃষ্ঠা - ২১২
আবু জানাব থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি ত্বলহা রা. এর নিকট উপস্থিত হলে তিনি বলেন, আমি অনেক মাথার খুলির নিকট উপস্থিত, তবে আমি কোন তীর দ্বারা আঘাত করিনি এবং কোন তরবারী দ্বারাও না। আর আমার ধারণা, এদুটি এখান থেকে কর্তন করা হয়েছে, অর্থাৎ তার হাতল। আর আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম না।
حدثنا ابن عيينة عن أبي جناب قال
شهدت طلحة وهو يقول شهدت
الجماجم فما طعنت برمح ولا ضربت بسيف ولوددت أنهما قطعتا من هاهنا يعني يديه ولم
أكن شهدته
পৃষ্ঠা - ২১৩
হযরত কাইস ইবনে আব্বাদ রাযি থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন আমরা আম্মার রাযিঃ কে বললাম, তোমাদের এই যুদ্ধ সম্বন্ধে আপনার অভিমত কি? এ সম্পর্কে কি আপনার কোনো সিদ্ধান্ত রয়েছে| কেননা, সিদ্ধান্ত বা রায় এর ক্ষেত্রে সঠিক বা ভূল উভয়টি রয়েছে অথবা এসব ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ সাঃ এর পক্ষ থেকে কোনো দিক নির্দেশনা রয়েছে, যা আপনাদেরকে দেয়া হয়েছে। জবাবে তিনি বললেন, এসম্বন্ধে রাসূলুল্লাহ সাঃ এর পক্ষ থেকে কোনো দিক নির্দেশনা দেননি।
ফেৎনা কালীন সম্পদ ও সন্তানাদি কম হওয়া মুস্তাহাব এবং তখন কোন ধরনের সম্পদ রাখা উত্তম সে প্রসঙ্গে
حدثنا ابن المبارك عن شعبة عن قتادة عن أبي نصرة عن قيس بن
عباد قال
قلنا لعمار أرأيت قتالكم هذا أرأي رأيتموه فإن الرأي يخطىء ويصيب أو
عهدا عهده إليكم رسول الله صلى الله عليه وسلم
فقال ما عهد إلينا رسول الله صلى
الله عليه وسلم شيئا لم يعهده إلى الناس كافة
ما يستحب من خفة المال والولد
في الفتن وما يستحب يومئذ من المال وغير ذلك