ما بقي من الأعماق وفتح القسطنطينية
পৃষ্ঠা - ১৪১২
হাকাম ইব্নে আবু সুলায়মান রহঃ বলেন, আমি উক্বা ইবনে আবু যয়নবকে বলতে শুনেছি, যখন কাবরাস নগরী শত্রুকর্তৃক আক্রান্ত হয়ে বিরান ভূমিতে পরিণত হবে তখন তোমার বাকি জীবন আন্তরিকভাবে কান্নাকাটি করা উচিৎ।
حدثنا
ضمرة عن الحكم بن أبي سليمان قال
شهدت عقبة بن أبي زينب يقول
إذا خربت قبرس
فابك أيام حياتك على نفسك
পৃষ্ঠা - ১৪১৩
হযরত মুহাজির ইবনে হাবীব রাযিঃ বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ এরশাদ করেছেন, হিরাকলের বংশের পঞ্চম পুরুষের হাতে মারাত্মক ও ভয়াবহ যুদ্ধ সংগঠিত হবে। হাদীস বর্ণনাকারী হযরত আয়তাত রহঃ বলেন, হিরাকলের বংশধরদের চতুর্থজন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা গ্রহণ করবে। বর্ণনাকারী সাহাবী বলেন, এরপর পুরুষ বাকি থাকবে, আরতাত বলেন, পঞ্চমজন এখনো ক্ষমতা গ্রহণ করেনি।
حدثنا بقية عن أرطاة قال
حدثني المهاجر بن
حبيب أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال الخامس من آل هرقل على يديه تكون الملاحم
قال أرطاة فولي أربعة من آل هرقل قال أصحاب النبي صلى الله عليه وسلم فبقي
الخامس
قال أرطاة لم يجيء الخامس إلى الآن بعد
পৃষ্ঠা - ১৪১৪
হযরত কা’ব রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি এরশাদ করেন, জনৈকা মহিলা রোমানদের সুলতান হওয়ার পর কর্মচারিদেরকে পৃথিবীর বুকে বিদ্যমান কাঠের থেকে উত্তম গাছ দ্বারা এক হাজার জাহাজ তৈরি করতে নির্দেশ দিবেন। এরপর বলবে, তোমরা ঐসব লোকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে বের হবে যারা আমাদের পুরুষদেরকে হত্যা করেছে এবং নারী ও শিশুকে বন্দি করে রেখেছে। জাহাজ তৈরি করার কাজ শেষ হলে তিনি বলেন, ইনশাআল্লাহ আমরা অবশ্যই উক্ত জাহাজে আরোহন করব, আর আল্লাহ্র ইচ্ছা না হলেও বের হব। অতঃপর আল্লাহ পাক তাদের প্রতি এক প্রকারের বাতাস প্রেরণ করবে, ফলে সে তার কথা “আল্লাহ যদি ইচ্ছা না করেন” নিয়ে চিন্তা করতে লাগলেন। এরপর পূর্বের ন্যায় আরো একহাজার জাহাজ বানাতে নির্দেশ দিলেন, আবারে আগের মত বলতে লাগলেন, এরপর আল্লাহ তাআলা তার প্রতি একধরনের বাতাস প্রবাহিত করবে এবং আবারো তার সিদ্ধান্ত আটকে থাকবে। অতঃপর আরো এক হাজার জাহাজ বানানোর নির্দেশ দিবেন। এরপর বলবে ইনশাআল্লাহ্্ তোমরা জাহাজে আরোহন করবে, এক পর্যায়ে তারা বের হয়ে আসবে এবং চলতে চলতে আক্্কা নামক একটি পাহাড়ের টীলার প্রান্তে পৌছবে। যেখানে উপস্থিত হয়ে তারা দাবি করবে যে, এটা আমাদের এবং আমাদের বাপদাদার শহর। এরপর তাদের বাহনের সব জাহাজ জ্বালিয়ে দিবে। যেদিন মুসলমানরা বায়তুল মোকদ্দাসে থাকবে। উক্ত এলাকার সুলতান ইরাক, মিশর এবং ইয়ামানের শাসক ও জনগণের কাছে সাহায্য চেয়ে পাঠাইলে তারা জবাব দিবে, আমরাও তোমাদের ন্যায় আমাদের এলাকা আক্রান্ত হওয়ার ব্যাপারে সন্দিহান। এভাবে সাহায্য চেয়ে হিম্স নগরীতে উপস্থিত হয়ে দেখলো, সেখানের মুসলমানরা সবদিক থেকে অবরুদ্ধ। যেখানে এক নারীকে হত্যা করা হয়েছে। এই লোক বাহির থেকে সবকিছু অবলোকন করে ফিরে আসে। এদিকে সাহায্য প্রার্থনাকারী সুলতান সকলের কাছে হিমসের বিষয়টি চেপে যায়। এবং সমবেত জনতার উদ্দেশ্যে বলতে থাকবে, তোমরা শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ো, নিজে মরে যাও কিংবা কাফেরদেরকে হত্যাকরো এভাবে উভয় দলে মারাত্মক যুদ্ধ সংগঠিত হবে। যার কারণে মুসলমানদের এক তৃতীয়াংশ শহীদ হয়ে যাবে এবং অন্য এক তৃতীয়াংশ পরাজিত হবে জাহান্নামের নি¤œস্তরে নিক্ষিপ্ত হবে। আরেক তৃতীয়াংশ বায়তুল মোকাদ্দাসের দিকে চলে যাবে। সেখান থেকে বের হয়ে মাউজাব অর্থাৎ, বালকা নগরীতে চলে যাবে। মাউজাব হচ্ছে, এমন এক এলাকা যার মধ্যে বিভিন্ন ঝর্ণাধারা রয়েছে। যেখানে বিভিন্ন উন্নতমানের ঘাস উৎপাদন হয়ে থাকে। মুসলমানরা সেখানে গিয়ে পৌছলে শত্রুরা অগ্রসর হতে হতে বায়তুল মোকাদ্দাস পর্যন্ত পৌঁছে যাবে। সেখানে গিয়ে তারা মুসলমানদের অবশিষ্টাংশকেও হত্যা করতে নির্দেশ দিবে। অন্যদিকে মুসলমানদের সুলতান তার সাথে থাকা মুসলমানদেরকে শত্রুর মোকাবেলা করার নির্দেশ দিবেন। সাথে সাথে আল্লাহ তাআলার দরবারে কায়মনোবাক্যে দোয়া-মোনাজাত করতে থাকলে, সেদিন আল্লাহ তাআলার রাগ চুড়ান্ত পর্যায়ে এসে পৌঁছে এবং তীর, তলোয়ার-বল্লাম দ্বারা শত্রুর উপর আক্রমন করে এবং আল্লাহ তাআলা শত্রুদের প্রতি আধুনিক অস্ত্র স্থাপন করবেন। এমনকি কেউ কোনো প্রকার চক্রান্ত ভয় করলো উভয়ের মাঝে তীব্র লড়াই চলতে থাকবে। সেদিন এতবেশি সংখ্যক শত্রু মারা যাবে, তাদের মাত্র কিছু সংখ্যক জীবিত থাকবে। যারা লেবনানের এক পাহাড়ে গিয়ে আশ্রয় গ্রহণ করবে। মুসলমানরাও তাদের পিছনে পিছনে গিয়ে ধাওয়া করতে করতে কুস্তুনতিনিয়া নামক এলাকায় পৌছে যাবে। মুসলমানদের জিম্মাদার হচ্ছেন,বাদামী রংয়ের এক লোক যার সাথে সর্বদা তীর বল্লম বিদ্যমান থাকে। এভাবে চলতে চলতে কুস্তুনতিনিয়ার নিকটে থাকা নদীরকাছে পৌঁছলে যেখানে নামায আদায় করার লক্ষে ওযু করতে গেলে পানি হঠাৎ তার থেকে দূরে সরে যায়। আবারো পানি খোঁজে বের করা হলে তা হারিয়ে যায়। এভাবে দেখতে থাকলে তিনি তার বাহনে আরোহন করে বলে উঠেন, হে লোক সকল এটা মূলতঃ আল্লাহ পাকের ইচ্ছায় হচ্ছে। চলো, আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাই। এভাবে চলতে চলতে এক সময় কুস্তুনতিনিয়্যার দেয়াল দেখে আল্লাহ আকবর বলে উচ্চস্বরে তাকবীর বলে উঠবে।
===
حدثنا رديح بن عطية
عن يحيى بن أبي عمرو السيباني
عن كعب قال
يلي الروم امرأة فتقول اعملوا لي ألف
سفينة
أفضل ألواح عملت على وجه الأرض ثم أخرجوا إلى هؤلاء الذين قتلوا
رجالنا وسبوا نساءنا وأبناءنا فإذا فرغوا منها
قالت اركبوا إن شاء الله وإن لم
يشأ
فيبعث الله عليهم ريحا فيقمصها
بقولها وإن لم يشأ
ثم يعمل لها ألف أخرى
مثلها ثم تقول مثل قولها و
يبعث الله عليها ريحا فيقمصها
ثم يعمل لها ألف أخرى
فتقول اركبوا إن شاء الله
قال فيخرجون
فيسيرون حتى يتنهوا إلى تل عكا
فيقولون هذه بلادنا وبلاد آبائنا
ثم يرسلون النار في سفنهم
فيحرقونها
و
المسلمون
يومئذ ببيت المقدس
فيكتب الوالي إلى أهل العراق وأهل مصر وأهل اليمن فيجيء رسله
فيقولون نتخوف أن ينزل بنا مثل ما نزل بكم
وتمر رسله على حمص وقد أغلق أهلها
على من فيها من المسلمين ويقتلون فيها امرأة ويلقونها مما يلي الحائط خارج
قال
فيكتم الوالي أمر حمص ثم يقول للمسلمين اخرجوا إلى عدوكم فموتوا وأميتوا فيقتتلون
قتالا شديدا فيقتل من المسلمين ثلث وينهزم ثلث فيقعون في مهيل من الأرض ويقبل الثلث
حتى ينتهوا إلى بيت المقدس
ثم يخرجون منها إلى الموجب
أرض البلقاء والموجب
أرض فيها
عيون ويخرج فيه حشيش من نبت الأرض فينزل المسلمون عليه
ويقبل أعداء الله حتى ينتهوا
إلى بيت المقدس
ثم يقول اذهبوا فقاتلوا بقية عبيدي الذين بقوا فيقول والي
المسلمين لمن معه أخرجوا إلى عدوكم
قال فيبكون ويتضرعون إلى الله تعالى
فيومئذ
يغضب الله لدينه
فيطعن برمحه ويضرب بسيفه
ويسلط الله الحديد بعضه على بعض
حتى لا يبالي الرجل صمصامة كانت معه أو غيرها قال فيقتلون في الغور فيقتتلون قتالا
شديدا
فيقتل العدو يومئذ فلا يبقى منهم إلا شرذمة يسيرة يلحقون بجبل لبنان
والمسلمون خلفهم يطردونهم حتى ينتهوا إلى القسطنطينية
وعلى
المسلمين رجل آدم معتقل
رمحه حتى إذا انتهى إلى النهر الذي عند القسطنطينية
نزل الوالي ليتوضأ ويصلي
فيتأخر
الماء عنه ثم يطلبه فيتأخر فإذا رأى ذلك ركب دابته
ثم يقول يا هؤلاء هذا أمر
يريده الله هلموا فأجيزوا فيجيزون
حتى ينتهوا إلى حائط القسطنطينية ثم يكبرون
تكبيرة رجل واحد
فيسقط منها إثنا عشر برجا فيومئذ تقتل رجالها وتسبى نساؤها وتؤخذ
أموالها فبيناهم على ذلك
إذ أتاهم آت
فقال إن الدجال قد خرج بالشام
فيخرج القوم
فمن كان أخذ ندم ألا يكون استزاد لسنين تكون أمام الدجال فيجدونه لم يخرج فقل ما
يلبث حتى يخرج
পৃষ্ঠা - ১৪১৫
হযরত খালিদ ইবনে মাদান হতে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি আব্দুল্লাহ ইবনে বাছারকে বললাম কুসতুনতুনিয়া (বর্তমান কনোস্টান্টিনোপল) বিজিত হয়েছে। তিনি বললেন ততক্ষণ পর্যন্ত বিজিত হতে পারেনা যতক্ষণ পর্যন্ত মুসলমান ও তাদের মাঝে সন্ধি হয়। অতপর তারা সকলে যুদ্ধ করবে। অতপর তারা যুদ্ধলব্ধ মাল পেয়ে ফিরে যাবে। এমনকি তাদের মাঝে বিশৃংখলা সৃষ্টি হবে। অতপর তাদের মধ্য থেকে এক ব্যক্তি ক্রুশ উচু করে বলবে ক্রুশের জয় হয়েছে। অতপর মুসলমানদের কিছু লোক তাদের আক্রমণ করবে। এবং তাদের ক্রুশ আঘাত করবে এবং তা টুকরো টুকরো করে ফেলবে। আর মুসলমানগণ যুদ্ধ করা অবস্থায় ছড়িয়ে পড়বে। অতপর আলআলাহ তা তা আলা তাদের বিজয় দান করবেন। আর তখনই প্রকৃত বিজয়।
حدثنا بقية بن الوليد عن بحير بن سعد عن خالد بن معدان قال
قلت
لعبد الله بن بسر فتح القسطنطينية
قال لا تفتح حتى يكون بين المسلمين وبينهم
صلح فيغزون جميعا فينصرفون وقد غنموا حتى ينزلوا مرجها فيرفع رجل منهم الصليب فيقول
غلب الصليب فيقوم إليهم رجل من المسلمين فيضرب صليبهم فيدقه ويثور المسلمون وهم
فيقتتلون فيفتح الله لهم فعند ذلك يكون فتحها
পৃষ্ঠা - ১৪১৬
হযরত খালিদ ইবনে মাদান আব্দুল্লাহ ইবনে সাদ হতে বর্ণনা করে বলেন রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, নিশ্চই আল্লাহ তাআলা আমাকে পারস্য, তাদের মহিলাবর্গ, তাদের সন্তানাদী এবং তাদের সরঞ্জাম আমাকে দিয়েছেন। (এমনিভাবে) রোম, তাদের মহিলাবর্গ, তাদের সন্তাদাদী এবং তাদের সরঞ্জাম আমাকে দিয়েছেন। এবং আমাকে হুমাইরা দ্বারা সাহায্য করেছে।
قال خالد بن معدان عن
عبد الله بن سعد قال
قال رسول الله صلى الله عليه وسلم إن الله أعطاني فارسا
ونساءهم وأبناءهم وأموالهم وسلاحهم وأعطاني الروم ونساءهم وأبناءهم وسلاحهم
وأموالهم وأمدني بحمير
পৃষ্ঠা - ১৪১৭
- হযরত খালিদ ইবনে মাদান বলেন, আন্ত্রাসুসে অবশ্যই অবশ্যই ফজরের সময় রোমের শত্রুরা আক্রমণ করবে। অতপর তারা তিনশ লোককে দানিয়া বৃক্ষের নিচে হত্যা করবে। তাদের নূর আরশে পৌছে যাবে।
قال خالد بن معدان ليدخلن العدو أنطرسوس صلاة
الغداة من الروم
فليقتلن تحت داليتها ثلثمائة رجل من المسلمين
يبلغ نورهم العرش
পৃষ্ঠা - ১৪১৮
- হযরত ফজর ইবনে ইয়াহমাদ হতে বর্ণিত তিনি তার কওমের কতিপয় শাইখ হতে বর্ণনা করে বলেন, আমরা সুফিয়ান ইবনে আউফ আল গামেদীর সাথে ছিলাম। এমনকি আমরা কুসতুনতুনিয়ার দরজায় আসলাম। যেটা ছিল নদীর কিনারায় তিন হাজার পারস্য লোকের স্বর্ণের দরজা। অতপর আমরা নদী বা উপসাগর পার হলাম। তিনি বলেন, অতপর তারা ভয় পেল ও তাদের ধনুকে প্রহার করলো। অতপর তারা ালল, হে আরবের সম্প্রদায় তোমাদের কি হলো? তখন আমরা বললাম আমরা এমন একটি এলাকার দিকে যাইতেছি যার অধিবাসীগণ অত্যাচারী। যাতে আল্লাহ তাআলা আমাদের হাতে তা ধ্বংশ করে দেন। অতপর তারা বলল, আল্লাহর কসম আমরা জানিনা কিতাব কি মিথ্যা বলছে না আমরা হিসাবে ভুল করছি। নাকি তোমরা শক্তি প্রয়োগে তাড়াতাড়ি করছো। আল্লাহর কসম আমরা জানি উহা অচিরেই বিজিত হবে। তবে আমরা জানিনা এটাই সেই সময় কিনা।
حدثنا بقية عن صفوان بن عمرو عن الفرج بن يحمد عن بعض أشياخ قومه قال
كنا مع سفيان بن عوف الغامدي حتى أتينا باب القسطنطينية باب الذهب في ثلاثة
آلاف فارس من ناحية البحر حتى جزنا النهر أو الخليج قال ففزعوا وضربوا نواقيسهم
ثم قالوا ما شأنكم يا معشر العرب
قلنا جئنا إلى أهل هذه القرية الظالم
أهلها ليخربها الله على أيدينا
فقالوا والله ما ندري أكذب الكتاب
أم أخطأنا الحساب أم استعجلتم
القدر والله
إنا لنعلم أنها ستفتح يوما ولكن لا نرى أن هذا زمانها
পৃষ্ঠা - ১৪১৯
- হযরত আবুল ইয়ামান হাওযানী থেকে বর্ণিত তিনি হযরত কা’ব রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণনা করে বলেন, যখন আমি পশ্চিমের হামাদান কে দেখলাম এমতবস্থায় যে, আমি রুসতান ও হিমসের মাঝামঝি স্থানে অবতরণ করেছি। আর সেখানে যুদ্ধ বিদ্যমান এবং দাজ্জালের অবির্ভাবের স্থান। আমি বললাম, রুসতানে তাদের অবতরণের কারণ কি? তিনে বললেন তাদের পূূর্ব থেকে শত্রুতা।
حدثنا
الوليد عن صفوان عن ابي اليمان الهوزني
عن كعب قال
إذا رأيت همدان المشرق وقد
نزلت بين الرستن وحمص فهو حضور الملحمة وخروج الدجال
قلت وما ينزلهم الرستن
قال عدو من وراءهم
পৃষ্ঠা - ১৪২০
– হযরত আবু কুবাইল থেকে বর্ণিত তিনি আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণনা করে বলেন যে, তিনি বলেন ইরকের অন্তর্গত মাযহাজ ও হামাদান এর (লোকদের) এমনভাকে হত্যা করা হবে যে, সেখানে প্রচন্ড বার্ধক্যতা নেমে আসবে।
قال الوليد وقال ابن لهيعة عن ابي قبيل
عن عبد الله بن عمرو قال
ستنتقل مذحج وهمدان من العراق حتى ينزلوا قنسرين
পৃষ্ঠা - ১৪২১
হযরত খাইমা হযরত আব্দুল্øাহ ইবনে আমর রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণনা করেন যে, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রোম সৈন্য প্রেরণ করবে। তখন সামের অধিবাসীরা সাহায্য কামনা করবে ও ফরিয়াদ করবে। তখন তাদের থেকে একজন মুমিনও থাকবে না। তিনে বলেন তখন রোম এমনভাকে পরাজিত করবে যে, তার স্তম্ভ পর্যন্ত তাদের শেষ করে দিবে। আর উক্ত স্থানটা আমি চিনি। তখন তারা সেখানে অবস্থান করতে থাকবে এমতবস্থায় তারা হাঠাত একটা শব্দ শুনতে পাবে (আর তা হলো) দাজ্জাল তোমাদের পরিবার বর্গের ভিতর পিছু নিয়েছে। থখন তার া তাদের হাতে যা থকবে তা পরিত্যাগ করবে এবং অনুরূপ কিছু গ্রহণ করবে ।
حدثنا أبو معاوية عن الأعمش عن خيثمة
عن عبد الله بن عمرو قال
يجيش
الروم فيستمد أهل الشام ويستغيثون فلا يتخلف عنهم مؤمن قال فيهزمون الروم حتى
ينتهوا بهم إلى أسطوانه قد عرفت مكانها فبيناهم عندها إذ جاءهم الصريخ إن الدجال قد
خلفكم في عيالكم فيرفضون ما في أيديهم ويقبلون نحوه
পৃষ্ঠা - ১৪২২
– যুবাইর বিন নাকীর হতে বর্ণিত তিনি আবু সা’লাবা আল খাসানী থেকে বর্ণনা করে বলেন যে, তিনি বলেন, আমি যখন আরিশ হতে ফুরাত পর্যন্ত এলাকার একটি ঘরের ভোজের অবস্থা দেখলাম (তখনই বুঝলাম) সেটাই যুদ্ধের আলামত।
حدثنا الوليد بن
مسلم عن أبي المهدي عن سعيد بن سنان
عن أبي الزاهرية عن جبير بن نفير
عن
أبي ثعلبة الخشني قال
إذا رأيت ما بين العريش إلى الفرات مأدبة أهل بيت واحد فذلك
علامة الملاحم
পৃষ্ঠা - ১৪২৩
- হযরত ইয়াজিদ ইবনে আবুল আতা হযরত কা’ব রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণনা করে বলেন যে, তিনি বলেন আমার উপর ইয়ামানীর হাত রয়েছে। যে কুরাইশের এক ব্যক্তিকে হত্যা করবে।
حدثنا الوليد عن يزيد بن سعيد عن يزيد بن أبي عطاء
عن
كعب قال
على يدي اليماني الذي يقتل قريشا
পৃষ্ঠা - ১৪২৪
- হযরত মালেক ইবনে আমর কা’ব রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণনা করে বলেন যে, তিনি বলেছেন ঐ ইয়ামানীর হাত আমার উপর রয়েছে, যা ছোট একরে যুদ্ধ হবে । আর সেট হবে যখন হিরাকেলের পঞ্চ পুরুষ রাজা হবে।
حدثنا الوليد عن معاوية بن
يحيى عن أرطاة عن حكيم بن عمير
عن كعب قال
على يدي ذلك اليماني
تكون
ملحمة عكا
الصغرى
وذلك إذا ملك الخامس من آل هرقل
পৃষ্ঠা - ১৪২৫
– হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত তিনি রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে বর্ণনা করে বলেন যে, রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন যখন দুই প্রাচীন রাজত্ব করবে অর্থাৎ প্রাচীন আরব ও প্রাচীন রোম তখন দাদের হাদে যুদ্ধ সৃষ্টি হবে।
حدثنا الوليد عن أبي لهيعة
عن أبي قبيل
عن أبي عبد الله بن عمرو رضي الله عنهما
عن النبي صلى الله عليه
وسلم قال إذا ملك العتيقان عتيق العرب وعتيق الروم كانت الملاحم على أيديهما
قال أبو قبيل تكون الملاحم على يدي طبارس بن أطيطنيان بن الأخرم بن قسطنطين بن
هرقل
পৃষ্ঠা - ১৪২৬
- হযরত হুযাইফাতুল ইয়ামান রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন তোমাদের মাঝে ও রোমের আসফার গোত্রের লোকদের সাথে একটি অস্ত্র বিরতী চুক্তি হবে। অতপর তারা তোমাদেরকে একজন মহিলার মাল পত্রের মাধ্যমে ধোকা দিবে। এবং তারা জলে ও স্থলে বারটি পতাকা নিয়ে তোমাদের দিকে আসবে। এবং প্রত্যেক পতাকার অধীনে বার হাজর সৈন্য থাকবে। এমনকি তারা ইযাফা ও আকা এর মধ্যবর্তী স্থানে অবতরণ করবে। অতপর তাদের রাজা তাদের জাহাজ ছিদ্র করে দিবে। তখন সে তার সাথীদের বলবে, তোমরা দেশ সম্পর্কে যুদ্ধ করো। ফলে তারা যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে। এবং তারা একে অপরে সৈন্য সম্প্রসারণ করবে। এপর্যন্ত যে, তারা তোমাদের মধ্যে যরার ইয়ামেনের হাযরামাউতে থাকবে তাদের সম্প্রসারিত করে দিবে। আর তখনই দয়াময় তাদের মাঝে তার বর্শা দ্বারা আক্রমন করবেন। তাদের মাঝে তার তরবারী দ্বারা আঘাত করবেন। তাদের মাঝে তার তীর নিক্ষেপ করবেন। তার পক্ষ থেকে তাদের জন্য হবে বড় হত্যাযজ্ঞ।
حدثنا الحكم بن نافع عن سعيد بن سنان عن أبي الزاهرية
عن حذيفة
بن اليمان رضى الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم يكون بينكم وبين بني
الأصفر الروم
هدنة
فيغدرون بكم في حمل امرأة يأتون في ثمانين غاية في البر والبحر
تحت كل غاية إثنى عشر ألفا
حتى ينزلوا بين يافا وعكا
فيحرق صاحب مملكتهم سفنهم
يقول لأصحابه قاتلوا عن بلادكم فيلتحم القتال ويمد الأجناد بعضهم بعضا حتى
يمدكم من بحضرموت من اليمن فيومئذ يطعن فيهم الرحمن برمحه ويضرب فيهم بسيفه ويرمي
فيهم بنبله ويكون منه فيهم الذبح الأعظم
পৃষ্ঠা - ১৪২৭
– হযরত কা’ব রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, একদল মানুষ ঈদ বা যবাহ এর জন্য বাবের নিকট আসলো। অতপর মদীনার দিকে আসলো। অতপর কাদলো অতপর চলে গেলো। এমনকি বাবুল মুয়াল্লাকায় গেলো, তার সম্মুখীন হলো অতপর প্রচন্ড কাদলো। অতপর কাকে রুসতানে না এস বাবে মুয়াল্লকে আসলো। অতপর তার সম্মুখীন হয়ে প্রচন্ড কাদলো অতপর কাকে মারকীতে আসলো অতপর জানবিয়্যা ও বাবের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থান করলো ও প্রচন্ড হাসলো এবং প্রচন্ড খূশি হলো। অতপর বললো, হে আল্লাহ তোমর জন্য সকল প্রশংসা। এবং সে তাকবীর দিল, তার প্রশংসা করলো, তার তাসবীহ করলো, তার তাকবীর দিলো। অতপর আমি তাকে বললাম, হে আবু ইসহাক মাওকেফে তোমার পিতার কি হলো? সেখানে তুমি কেদেছো ও হেসেছো আর এখানে খুশি হয়েছ্।ো অতপর সে বললো এই শহরের বাসিন্দারা হলো মুসলমান তার তাদের (তীর) ভূমির দিকে পালাতে চাইবে। শত্রুদের দিকে যারা তাদের দিকে আসতে থাকবে সেদিক থেকে। ফলে এমন একজন ব্যক্তিও এই শহরে অবশিষ্ট থাকবে না, যে অস্ত্র ধারণ করতে পারে। তবে তীরের দিকে আকেটি দল ব্যতীত । আর তার অধিবাসী হবে কাফের। তারা একত্রিত হবে। অতপর বলবে, আমরা তোমাদের সাহায্যের জন্য এসিেছ। আর তোমরা তোমাদের শহরে যারা আছে তাদের পরাভূত করেছ। সুতরাং ইহা মুসলমানদের সন্তানাদী ও পরবিার সহ আটকিয়ে দাও। অতপর আল্লাহ তা’আলা মুসলমানদের জন্য খুলে দিবেন। এবংয় তাদেরকে ঐ সমস্ত শত্রুদের বিরূদ্ধে সাহায্য করবেন যারা তাদের নিকট এসেছিল। ফলে তাদের খবর দেয়া হবে যে, তাদের স্ত্রী ও সন্তানাদী সহ আটকিয়ে দেয়া হয়েছে। অতপর তারা অগ্রসর হবে। এমনকি তারা আমার প্রথম স্থানে অবস্থান করবে। তারা তাদের নিকট আল্লাহ ত’আলার আবেদন করবে, আঙ্গীকার ও যিম্মার ব্যাপারে। ফলে তারা কিছুতেই ফিরে ডাবে ন্ াএবং তাদের জন্য খোলাও হবে না। অতপর তারা আমার দ্বিতীয় অবস্থানের স্থানে আসবে। অতপর তারা তাদের নিকট আল্লাহ ত’আলার আবেদন করবে, যিম্মাহ ও অঙ্গীকারের ব্যাপারে। তারা কিঝুতেই তাদের দিকে ফিরে যাবে না। এবং তারা আবাসা গোত্রের এক মহিলার ব্যাপারে তাদের অপবাদ দিবে। অতপর তারা আমার তৃতীয় অবস্থান স্থলে আসবে। অতপর তারা তাদের নিকট আল্লাহ তা’লার আবেদন করবে, তারা কিছুতেই তাদের দিকে ফিরে যাবে না। এবং তাদের জন্য খোলাও হবে না। অতপর তারা আমার অবস্থানের চতূর্থ স্থানে আসবে। অতপর যখন মুসলমানগণ উহা দেখবে আল্লাহ তা’লার দিকে (দোয়া করবে) হাত উঠাবে, তার নিকট আবদন করবে ও সাহায্য কামনা করবে। অতপর আল্লাহর নামে কসম করবে যে, এই বাবে একজন শত্রু, একটা লোহা ও একটা পেরেকও থাকবে না। সব একেবারে ভেঙ্গে ফেলবে। অতপর মুসলমানগণ তাদের উপর ঝাপিয়ে পড়বে। এবং উহর ভিতর এমন একজন কাফেরকেও ছাড়বে না যে, সন্তনা দান করবে। বরং দাদের গর্দানে মারবে। সেদিন তাদের রক্ত তাদের গোড়ার খুড়ের নিচ দিয়ে সমস্ত বাজারের নিচে পৌছাবে।
حدثنا الحكم بن نافع عن سعيد بن
سنان عن الوليد بن عامر عن يزيد بن خمير الميتمي
عن كعب أنه أتى مجمع الناس عند
باب اليهود للفطر والأضحى فاستقبل المدينة فبكى ثم مضى حتى أتى باب المعلق فاستقبله
فبكى كأشد البكاء ثم أتى باب المغلق دون باب الرستن فاستقبله فبكى كأشد البكاء
ثم
أتى باب الشرقي فوقف بين الجنبية والباب وضحك كأشد
الضحك وفرح كأشد الفرح
وقال اللهم لك الحمد وهلل الله وحمده وسبحه وكبره
فقلت له يا أبا إسحاق ماذا
أبكاك في مواقف بكيت فيها وأضحكك هاهنا وأفرحك
فقال إن أهل هذه المدينة من أهل
الإسلام يستنفرون إلى ساحلهم إلى عدو يأتيهم من قبله فلا يبقى في هذه المدينة أحد
يحمل السلاح إلا نفر إلى الساحل وأن أهلها من الكفار يجتمعون
فيقولون قد جاءكم
مددكم وقهرتم من في مدينتكم فأغلقوها على من فيها من ذراري المسلمين وأهليهم ويفتح
الله للمسليمن وينصرهم على عدوهم الذين أتاهم فيخبرون أنه قد أغلق على نسائهم
وذراريهم
فيقبلون حتى يقفوا موقفي الأول فيناشدونهم الله في العهد والذمة فلا
يرجعون إليهم بشيء ولا يفتحون لهم
ثم يأتوا موقفي هذا الثاني فيناشدونهم الله
والذمة والعهد فلا يرجعون إليهم بشيء ويقذفون إليهم برأس امرأة من نبي عبس
ثم يأتون
موقفي هذا الثالث فيناشدونهم الله والذمة فلا يرجعون إليهم بشيء ولا يفتحون لهم
ثم
يأتون موقفي هذا الرابع كذلك فإذا رأى المسلمون ذلك رفعوا أيديهم إلى الله تعالى
واستغاثوا به واستنصروه فأقسم بالله لا يبقى في هذا الباب عود ولا حديد ولا مسمار
إلا تنصل وتساقط فيدخل عليهم المسلمون فلا يذرون فيها نفسا من الكفار ممن جرت عليه
المواسي إلا ضربوا عنقه فيومئذ تبلغ دماؤهم ثنن خيولهم تحت مجمع الأسواق
পৃষ্ঠা - ১৪২৮
হযরত যাররাহ তিনি আরতাত থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, মাহদী আ. ও রোমের অত্যাচারীদের মাছে এবটি চুক্তি হবে। সুফয়ানী হত্যার ও বিকারগ্রস্থের লুণ্ঠের পর। এমনকি তোমাদের ব্যবসা তাদের দিকে পরিবর্তিত হবে। এবং তাদের ব্যবসা তোমাদের দিকে। তারা তাদের জাহাজ তৈরীতে তিন বছর নিবে। অতপর মাহদী আ. ধ্বংশ করে দিবে। অতপর তার পরিবার থেকে এমন একটি ব্যক্তি তার মালিক হবে যে কম ন্যায় বিচার করবে। অতপর উহা চালাবে। অতপর তাকে হত্যা করা হবে। এবং তার আলোচনা শেষ হবে না। এমতবস্থায় রোম (সৈন্য) সুওর ও থেকে আসা পর্যস্ত স্থানে অবস্থান নিবে। আর সেটাই মালাহেম বা যুদ্ধ।
حدثنا الحكم بن نافع عن جراح
عن أرطاة قال
يكون بين
المهدي
وبين طاغية الروم
صلح
بعد قتله
السفياني ونهب كلب حتى يختلف تجاركم إليهم وتجارهم إليكم ويأخذون
في صنعة سفنهم ثلاث سنين
ثم يهلك المهدي
فيملك رجل من أهل بيته
يعدل قليلا ثم يجور
فيقتل قتلا ولا ينطفي ذكره
حتى ترسى الروم فيما بين صور إلى عكا
فهي الملاحم