আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

قصة عيسى بن مريم

بيان شجرة طوبى ما هي

পৃষ্ঠা - ৯৮৬
[بَيَانُ شَجَرَةِ طُوبَى مَا هِيَ] قَالَ عِيسَى: يَا رَبِّ، وَمَا طُوبَى؟ قَالَ: غَرْسُ شَجَرَةٍ أَنَا غَرَسْتُهَا بِيَدِي فَهِيَ لِلْجِنَانِ كُلِّهَا، أَصْلُهَا مِنْ رِضْوَانٍ، وَمَاؤُهَا مِنْ تَسْنِيمٍ، وَبَرْدُهَا بَرْدُ الْكَافُورِ، وَطَعْمُهَا طَعْمُ الزَّنْجَبِيلِ، وَرِيحُهَا رِيحُ الْمِسْكِ، مَنْ شَرِبَ مِنْهُ شَرْبَةً لَمْ يَظْمَأْ بَعْدَهَا أَبَدًا. قَالَ عِيسَى: يَا رَبِّ، اسْقِنِي مِنْهَا. قَالَ: حَرَامٌ عَلَى النَّبِيِّينَ أَنْ يَشْرَبُوا مِنْهَا، حَتَّى يَشْرَبَ ذَلِكَ النَّبِيُّ، وَحَرَامٌ عَلَى الْأُمَمِ أَنْ يَشْرَبُوا مِنْهَا، حَتَّى تَشْرَبَ مِنْهَا أُمَّةُ ذَلِكَ النَّبِيِّ. قَالَ: يَا عِيسَى، أَرْفَعُكَ إِلَيَّ. قَالَ: يَا رَبِّ، وَلِمَ تَرْفَعُنِي؟ قَالَ: أَرْفَعُكَ ثُمَّ أُهْبِطُكَ فِي آخِرِ الزَّمَانِ ; لِتَرَى مِنْ أُمَّةِ ذَلِكَ النَّبِيِّ الْعَجَائِبَ، وَلِتُعِينَهُمْ عَلَى قِتَالِ اللَّعِينِ الدَّجَّالِ، أُهْبِطُكَ فِي وَقْتِ صَلَاةٍ، ثُمَّ لَا تُصَلِّي بِهِمْ ; لِأَنَّهَا أُمَّةٌ مَرْحُومَةٌ، وَلَا نَبِيَّ بَعْدَ نَبِيِّهِمْ. وَقَالَ هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ عِيسَى قَالَ: يَا رَبِّ، أَنْبِئْنِي عَنْ هَذِهِ الْأُمَّةِ الْمَرْحُومَةِ. قَالَ: أُمَّةُ أَحْمَدَ، هَمْ عُلَمَاءُ حُكَمَاءُ كَأَنَّهُمْ أَنْبِيَاءُ، يَرْضَوْنَ مِنِّي بِالْقَلِيلِ مِنَ الْعَطَاءِ، وَأَرْضَى مِنْهُمْ بِالْيَسِيرِ مِنَ الْعَمَلِ، وَأُدْخِلُهُمُ الْجَنَّةَ بِلَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، يَا عِيسَى، هُمْ أَكْثَرُ سُكَّانِ الْجَنَّةِ ; لِأَنَّهُ لَمْ تَذِلَّ أَلْسُنُ قَوْمٍ قَطُّ بِلَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ كَمَا ذَلَّتْ أَلْسِنَتُهُمْ، وَلَمْ تَذِلَّ رِقَابُ قَوْمٍ قَطُّ بِالسُّجُودِ كَمَا ذَلَّتْ بِهِ رِقَابُهُمْ. رَوَاهُ ابْنُ عَسَاكِرَ.
পৃষ্ঠা - ৯৮৭
ষ্ষ্


নিকট আমার উপদেশ পৌছিয়ে দাও ৷ আমার ন্যায়পরায়ণতার সাথে আমার বান্দাদের মধ্যে
ফয়সালা কর ৷ তোমার নিকট আমি এমন উপদেশ নাযিল করেছি, যা মনের সন্দেহ-সংশয় ও
ৰিস্মৃতি রোগের নিরাময় স্বরুপ ৷ তা চোখের আবরণ দুর করে ও দৃষ্টিকে প্রখর করে ৷ তুমি
কোথাও মৃতবৎ স্থবির হয়ে থেকো না, যতক্ষণ তোমার শ্বাস-প্রশ্বাস চলে ৷ হে ঈসা ইবন
মারয়াম! আমার প্রতি যে লোকই ঈমান আসে, যে আমাকে ভয় করে ৷ আর যে আমাকে ভয়
করে, সে আমার থেকে পুরষ্কারেরও আশা রাখে ৷ অতএব, তুমি সড়াক্ষী থেক্যে, ঐ ব্যক্তি আমার
শাস্তি থেকে নিরাপদ থাকবে যাবৎ না সে আমার নীতি পরিবর্তাব্ করে ৷ হে কুমারী তাপসী
মারয়ামের পুত্র ঈসা! জীবনভর র্কাদতে থাক, যেভাবে কেদে থাকে পরিবার-পরিজনকে বিদায়
দান কালে কোন লোক এবং প্দুনিয়াকে প্রত্যাখ্যান করে, দুনিয়ার স্বাদ বর্জন করে এবং আপন
প্ৰভুর নিকট পুরস্কারের আকাক্ষোয় থাকে ৷ লোকের সাথে কোমল ব্যবহার করবে ৷ সালামের
প্রসার ঘটাবে ৷ মানুষ যখন নিদ্রায় বিভাের থাকে তখন তুমি কিয়ামতের ভয়াবহ অবস্থা ও
বিভীষিকাময় কঠিন ভু-কম্পনের ভয়ে জাগ্রত থাকবে ৷

সেদিন আপন পরিবার ও ধন-সস্পদ কোনই কাজে আসবে না ৷ নির্বোধরা যখন হাসি-
ঠাট্টারত থাকে, তখন ভুমি ন্চক্ষুদ্বয়কে চিন্তার বিষড়াদের সুর্মা মেখে রাখ এবং এ ব্যাপারে ধৈর্য
ধারণ কর এবং একে তোমার পুণ্যপ্রাপ্তির হেভু কর ৷ ধৈর্য অবলম্বককারীদের জন্যে আমি যে
পুরস্কারের ওয়াদা করেছি, তা যদি তুমি পেয়ে যাও, তবে তোমার জীবন ধন্য ৷ দুনিয়ার মােহ
ছিন্ন করে ক্রমান্বয়ে আল্লাহর দিকে অগ্রসর হতে থাক ৷ যে নিয়ামত তোমার আয়ত্বে এসেছে
তা থেকে সামান্য স্বাদ গ্রহণ কর ৷ যে নিয়ামত তোমার আয়ত্বে আসেনি তার লোড করো না ৷
দুনিয়ার অল্পতেই সন্তুষ্ট থাক ৷ জীবন ধারণের জন্যে একটি শুকনা থেজুরই তোমার জন্যে
যথেষ্ট মনে করবে ৷ দুনিয়া কোন পরিণতির দিকে ধাবিত হচ্ছে তা তুমি প্রত্যক্ষ করছ ৷
পরকালের হিসাবের কথা স্মরণ রেখে আমল করতে থাক ৷ কেননা সেখানে তোমাকে জবাবদিহি
করতে হবে ৷ আমি আমার মনোনীত নেককার লোকদের জন্যে সেখানে যেসব পুরস্কারের
ব্যবস্থা রেখেছি, তা যদি তুমি দেখতে তাহলে তোমার অন্তর বিগলিত হয়ে যেত এবং সহ্য
করতে না পেরে তুমি মারাই যেতে ৷

আবু দাউদ তার কিভাবে তাকদীর অধ্যায়ে লিখেছেন, মুহাম্মদ ইবন ইয়াহ্য়া তউিস
থেকে বর্ণিত ৷ একদা ঈসা ইবন মারয়ামের সাথে ইবলীসের সাক্ষাত হয় ৷ ঈসা ইবলীসকে
বললেন, তুমি তো জান, তোমার তাকদীরে যা লেখা হয়েছে তার ব্যতিক্রম কিছুতেই হবে না ৷
ইবলীস বলল, তা হলে আপনি এই পাহাড়ের চুড়ায় উঠুন এবং সেখান থেকে লাফ দিয়ে নীচে
পড়ে দেখুন জীবিত থাকেন কিনা ৷ ঈসা (আ) বললেন, তুমি জান না, আল্লাহ বলেছেন, বান্দা
আমাকে পরীক্ষা করতে পারে না, আমি যা’ চাই তাই করে থাকি ? যুহ্রী বলেছেন, মানুষ কোন
বিষয়ে আল্লাহকে পরীক্ষা করতে পারে না, বরং আল্লাহ মানুষকে পরীক্ষা করে থাকেন ৷ আবু
দাউদ বলেন, আহমদ তাউসের ররাতে বলেন ৷ একবার শয়তান হযরত ঈসার নিকটে এসে
বলল, আপনি তো নিজেকে সতঙ্কুবাদী বলে মনে করেন, তা হলে আপনি উধের্ব উঠে নীচে
লাফিয়ে পড়ুন দেখি ৷ ঈসা বললেন, তোমার অমঙ্গল হোক, আল্লাহ কি এ কথা বলেন নি যে,


وَرَوَى مِنْ طَرِيقِ عَبْدِ بْنِ بَدِيلٍ الْعُقَيْلِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَوْسَجَةَ، قَالَ: أَوْحَى اللَّهُ إِلَى عِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ: أَنْزِلْنِي مِنْ نَفْسِكَ كَهَمِّكَ، وَاجْعَلْنِي ذُخْرًا لَكَ فِي مَعَادِكَ، وَتَقَرَّبْ إِلَيَّ بِالنَّوَافِلِ أُحِبَّكَ، وَلَا تَوَلَّ غَيْرِي فَأَخْذُلَكَ، اصْبِرْ عَلَى الْبَلَاءِ، وَارْضَ بِالْقَضَاءِ، وَكُنْ لِمَسَرَّتِي فِيكَ، فَإِنَّ مَسَرَّتِي أَنْ أُطَاعَ فَلَا أُعْصَى، وَكُنْ مِنِّي قَرِيبًا، وَأَحْيِ ذِكْرِي بِلِسَانِكَ، وَلْتَكُنْ مَوَدَّتِي فِي صَدْرِكَ، تَيَقَّظْ مِنْ سَاعَاتِ الْغَفْلَةِ، وَاحْكُمْ لِي لَطِيفَ الْفِطْنَةِ، وَكُنْ لِي رَاغِبًا رَاهِبًا، وَأَمِتْ قَلْبَكَ مِنَ الْخَشْيَةِ لِي، وَرَاعِ اللَّيْلَ لِحَقِّ مَسَرَّتِي، وَأَظْمِ نَهَارَكَ لِيَوْمِ الرَّيِّ عِنْدِي، نَافِسْ فِي الْخَيْرَاتِ جَهْدَكَ وَأَعْرِفْ بِالْخَيْرِ حَيْثُ تَوَجَّهْتَ وَقُمْ فِي الْخَلَائِقِ بِنَصِيحَتِي، وَاحْكُمْ فِي عِبَادِي بِعَدْلِي، فَقَدْ أَنْزَلْتُ عَلَيْكَ شِفَاءَ وَسَاوِسِ الصُّدُورِ مِنْ مَرَضِ النِّسْيَانِ، وَجِلَاءَ الْأَبْصَارِ مِنْ غِشَاءِ الْكَلَالِ، وَلَا تَكُنْ حَلِسًا كَأَنَّكَ مَقْبُوضٌ وَأَنْتَ حَيٌّ تَنَفَّسُ، يَا عِيسَى ابْنَ مَرْيَمَ، مَا آمَنَتْ بِي خَلِيقَةٌ إِلَّا خَشَعَتْ، وَلَا خَشَعَتْ لِي إِلَّا رَجَتْ ثَوَابِي، فَأُشْهِدُكَ أَنَّهَا آمِنَةٌ مِنْ عِقَابِي، مَا لَمْ تُغَيِّرْ أَوْ تُبَدِّلْ سُنَّتِي، يَا عِيسَى ابْنَ مَرْيَمَ الْبِكْرِ الْبَتُولِ، ابْكِ عَلَى نَفْسِكَ أَيَّامَ الْحَيَاةِ بُكَاءَ مَنْ وَدَّعَ الْأَهْلَ وَقَلَا الدُّنْيَا، وَتَرَكَ اللَّذَّاتِ لِأَهْلِهَا، وَارْتَفَعَتْ رَغْبَتُهُ فِيمَا عِنْدَ إِلَهِهِ، وَكُنْ فِي ذَلِكَ تُلِينُ الْكَلَامَ، وَتُفْشِي السَّلَامَ، وَكُنْ يَقِظَانَ إِذَا نَامَتْ عُيُونُ الْأَبْرَارِ، حَذَارِ مَا هُوَ آتٍ مِنْ أَمْرِ الْمَعَادِ، وَزَلَازِلِ شَدَائِدِ الْأَهْوَالِ، قَبْلَ أَنْ لَا يَنْفَعَ أَهْلٌ وَلَا مَالٌ، وَاكْحَلْ عَيْنَكَ بِمُلْمُولِ الْحُزْنِ
পৃষ্ঠা - ৯৮৮
ষ্ষ্


হে আদম সন্তান ! তোমরা আমার নিকট মৃত্যু কামনা করবে না? কেননা আমি যা চাই তা-ই
করে থাকি ৷ আবু তাওয়া আর রবী’ খালিদ ইবন ইয়াযীদ থেকে বর্ণিত ৷ শয়তান দশ বছর
কিৎবা দট্রু বছর যাবত ঈসা’ (আ)-এব সাথে ইবাদত বন্দেগী করতে থাকে ৷ একদিন তারা এক
পাহাড়ের উপরে অবস্থান করছিলেন ৷ তখন শয়তান ঈসা (আ)-কে বলল, আমি যদি এখান
থেকে লাফ দিয়ে নীচে পড়ি, তাহলে আমার তাকদীরে যা লেখা আছে তার কি কোন ব্যক্তিক্রম
ঘটবেঃ ঈসা (আ) বললেন, আমি আল্লাহ্কে পরীক্ষা করার ক্ষমতা রাখি না , বরং আল্লাহর যখন
ইচ্ছা আমাকে পরীক্ষা করে থাকেন ৷ ঈসা (আ) এতক্ষাণ চিনতে পারলেন যে, এ শয়তান ছাড়া
আর কিছু নয় ৷ সুতরাং তিনি তাকে তাড়িয়ে দিলেন ৷ আবু বকর ইবন আবিদ দুনিয়া আবু
উছমান (র) থেকে বর্ণিত ৷ একদা হযরত ঈসা (আ) এক পাহাড়ের উপরে সালাত আদায়
করছিলেন ৷ এমন সময় তার নিকট ইবলীস এসে বলল, আপনি কি এই দাবী করে থাকেন যে,
প্রতিটি বিষয়ই তার পুর্ব নির্ধারিত তাকদীর অনুযায়ী সংঘটিত হয়? ঈসা (আ) বললেন, হ্যা ৷
ইবলীস বলল, তাহলে আপনি এ পাহাড় থেকে লাফ দিয়ে নীচে পড়ুন এবং বলুন যে, এটাই
আমার তাকদীরে ছিল ৷ ঈসা (আ) বললেন, ওহে অন্ডিশপ্ত শয়তান! আল্লাহ তার বান্দাকে
পরীক্ষা করতে পারেন, কিন্তু বান্দারা কখনও আল্লাহকে পরীক্ষা করতে পারে না ৷
আবু বকর ইবন আবিদ দুনিয়া সুফিয়ান ইবন উয়ায়না (র) থেকে বর্ণনা করেন যে,
একদা হযরত ঈসড়ার সাথে ইবলীসের সাক্ষাত হয় ৷ ইবলীস বলল, হে ঈসা ইবন মারয়াম !
আপনি দােলনায় শিশু অবস্থায় মানুষের সাথে কথা বলেছেন, এটা আপনার প্রভুত্বের বড়
নিদর্শন ৷ আপনার পুর্বে আর কোন মানব সন্তান ঐ অবস্থায় কথা বলেনি ৷ ঈসা (আ) বললেন,
না প্রভুতু তো ঐ আল্লাহর জন্যে নির্ধারিত, যিনি আমাকে শিশু অবস্থায় কথা বলার শক্তি
দিয়েছেন, এরপরে এক সময় আমাকে মৃত্যু দিবেন এবং পুনরায় জীবিত করবেন ৷ ইবলীস
বলল, আপনি মৃতকে জীবিত করে থাকেন, এটা আপনার প্রভু হওয়ার বড় প্রমাণ ৷ ঈসা (আ)
বললেন, তা হয় কিভাবে, প্রভু তো একমাত্র তিনি, যিনি জীবিত করার প্রকৃত মালিক ৷ এবং
আমি যাকে জীবিত করি, তিনি তাকে মৃত্যু দেন এবং পুনরায় তাকে জীবিত করেন ৷ ইবলীস
বলল, আল্লাহর কলম, আপনি আকান্থশরও প্রভু এবং দুনিয়ারও প্রভু ৷ এ কথা বলার সাথে সাথে
ফিরিশ্তা জিবরীল (আ) তাকে আপন ডানা দ্বারা এক ঝাপটা মেরে সুর্যের কিনারায় পৌছিয়ে
দেন ৷ তারপরে আর এক ঝাপটা মেরে সপ্তম সমুদ্রের তলদেশে পৌছিয়ে দেন ৷ এমনকি ইবলীস
সমুদ্রের নীচে কাদার সংগে লেগে যায় ৷ সেখান থেকে বেরিয়ে এসে ঈসা ইবন মারয়ামকে
বলে, আমি আপনার থেকে যে শিক্ষা পেলাম, এমন শিক্ষা কেউ কারও থেকে পায় না ৷ এ
জাতীয় ঘটনা আরও বিশদভাবে ভিন্ন সুত্রে বর্ণিত হয়েছে ৷
হাফিজ আবু বকর আল খাতীব আৰু সালমা সুয়ড়ায়দ থেকে বর্ণিত ৷ হযরত ঈসা (আ)
একদা রায়তৃল মুকাদ্দাসে সালাত আদায় করে বাড়ি ফিরছিলেন ৷ একটি গিরিপথ দিয়ে যাওয়ার
সময় ইবলীস তার সম্মুখে এসে পথরোধ করে দাড়ায় ৷ ঈসা (আ) ঘুরে গেলে সে আবার সম্মুখে
এসে দীড়ায় এবং বলতে থাকে আপনার জন্যে অন্য কারও দাসতু করা শোভা পায় না ৷ এ
কথাটি সে বারবার ঈসা (আ)-কে বলতে থাকে ৷ ঈসা (আ) তার হাত থেকে ছুটে আমার জন্যে


إِذَا ضَحِكَ الْبَطَّالُونَ، وَكُنْ فِي ذَلِكَ صَابِرًا مُحْتَسِبًا، فَطُوبَى لَكَ إِنْ نَالَكَ مَا وَعَدْتُ الصَّابِرِينَ، رَجِّ مِنَ الدُّنْيَا بِاللَّهِ: يَوْمٌ بِيَوْمٍ، وَذُقْ مَذَاقَةَ مَا قَدْ هَرَبَ مِنْكَ أَيْنَ طَعْمُهُ، وَمَا لَمْ يَأْتِكَ كَيْفَ لَذَّتُهُ، فَرَجِّ مِنَ الدُّنْيَا بِالْبُلْغَةِ، وَلْيَكْفِكَ مِنْهَا الْخَشِنُ الْجَشِيبُ، قَدْ رَأَيْتَ إِلَى مَا تَصِيرُ، اعْمَلْ عَلَى حِسَابٍ فَإِنَّكَ مَسْئُولٌ، لَوْ رَأَتْ عَيْنُكَ مَا أَعْدَدْتُ لِأَوْلِيَائِي الصَّالِحِينَ، ذَابَ قَلْبُكَ وَزَهَقَتْ نَفْسُكَ. وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ فِي كِتَابِ " الْقَدَرِ ": حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ فَارِسٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، وَعَنِ ابْنِ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: لَقِيَ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ إِبْلِيسَ، فَقَالَ: أَمَا عَلِمْتَ أَنَّهُ لَنْ يُصِيبَكَ إِلَّا مَا كُتِبَ لَكَ؟ قَالَ إِبْلِيسُ: فَارْقَ بِذِرْوَةِ هَذَا الْجَبَلِ، فَتَرَدَّ مِنْهُ فَانْظُرْ تَعِيشُ أَمْ لَا؟ فَقَالَ ابْنُ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ: فَقَالَ عِيسَى: أَمَا عَلِمْتَ أَنَّ اللَّهَ قَالَ: لَا يُجَرِّبُنِي عَبْدِي، فَإِنِّي أَفْعَلُ مَا شِئْتُ. وَقَالَ الزُّهْرِيُّ: إِنَّ الْعَبْدَ لَا يَبْتَلِي رَبَّهُ، وَلَكِنَّ اللَّهَ يَبْتَلِي عَبْدَهُ. قَالَ أَبُو دَاوُدَ: حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ، أَنْبَأَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرٍو، عَنْ طَاوُسٍ قَالَ: أَتَى الشَّيْطَانُ عِيسَى ابْنَ مَرْيَمَ، فَقَالَ: أَلَيْسَ تَزْعُمُ أَنَّكَ صَادِقٌ؟ فَأْتِ هَذِهِ فَأَلْقِ نَفْسَكَ. قَالَ: وَيْلَكَ! أَلَيْسَ قَالَ: يَا ابْنَ آدَمَ، لَا تَسْأَلْنِي هَلَاكَ نَفْسِكَ، فَإِنِّي أَفْعَلُ مَا أَشَاءُ.
পৃষ্ঠা - ৯৮৯
وَحَدَّثَنَا أَبُو تَوْبَةَ الرَّبِيعُ بْنُ نَافِعٍ، حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ طَلْحَةَ، سَمِعْتُ خَالِدَ بْنَ يَزِيدَ، قَالَ: تَعَبَّدَ الشَّيْطَانُ مَعَ عِيسَى عَشْرَ سِنِينَ أَوْ سَنَتَيْنِ، أَقَامَ يَوْمًا عَلَى شَفِيرِ جَبَلٍ، فَقَالَ الشَّيْطَانُ: أَرَأَيْتَ إِنْ أَلْقَيْتُ نَفْسِي، هَلْ يُصِيبُنِي إِلَّا مَا كُتِبَ لِي؟ قَالَ: إِنِّي لَسْتُ بِالَّذِي أَبْتَلِي رَبِّي وَلَكِنَّ رَبِّي إِذَا شَاءَ ابْتَلَانِي. وَعَرَفَ أَنَّهُ الشَّيْطَانُ، فَفَارَقَهُ. وَقَالَ أَبُو بَكْرٍ ابْنُ أَبِي الدُّنْيَا: حَدَّثَنَا سُرَيْجُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ ثَابِتٍ، عَنِ الْخَطَّابِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، قَالَ: كَانَ عِيسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، يُصَلِّي عَلَى رَأْسِ جَبَلٍ فَأَتَاهُ إِبْلِيسُ فَقَالَ: أَنْتَ الَّذِي تَزْعُمُ أَنَّ كُلَّ شَيْءٍ بِقَضَاءٍ وَقَدَرٍ؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: أَلْقِ نَفْسَكَ مِنْ هَذَا الْجَبَلِ وَقُلْ: قَدَرٌ عَلَيَّ. فَقَالَ: يَا لِعَيْنُ، اللَّهُ يَخْتَبِرُ الْعِبَادَ، وَلَيْسَ الْعِبَادُ يَخْتَبِرُونَ اللَّهَ، عَزَّ وَجَلَّ. وَقَالَ أَيْضًا: حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ بَشَّارٍ، سَمِعْتُ سُفْيَانَ بْنَ عُيَيْنَةَ يَقُولُ: لَقِيَ عِيسَى ابْنَ مَرْيَمَ إِبْلِيسُ، فَقَالَ لَهُ إِبْلِيسُ: يَا عِيسَى ابْنَ مَرْيَمَ، أَنْتَ الَّذِي بَلَغَ مِنْ عِظَمِ رُبُوبِيَّتِكَ أَنَّكَ تَكَلَّمْتَ فِي الْمَهْدِ صَبِيًّا، وَلَمْ يَتَكَلَّمْ فِيهِ أَحَدٌ قَبْلَكَ. قَالَ: بَلِ الرُّبُوبِيَّةُ لِلْإِلَهِ الَّذِي أَنْطَقَنِي، ثُمَّ يُمِيتُنِي، ثُمَّ يُحْيِينِي. قَالَ: فَأَنْتَ الَّذِي بَلَغَ مِنْ عِظَمِ رُبُوبِيَّتِكَ أَنَّكَ تُحْيِي الْمَوْتَى. قَالَ: بَلِ الرُّبُوبِيَّةُ لِلَّهِ الَّذِي يُحْيِي وَيُمِيتُ مَنْ أَحْيَيْتُ ثُمَّ يُحْيِيهِ. قَالَ: وَاللَّهِ إِنَّكَ
পৃষ্ঠা - ৯৯০
ষ্ষ্


আপ্রাণ চেষ্টা করছিলেন, কিত্তু পারছিলেন না ৷ ইবলীস বারবার এ কথাই বলছিল যে, হে ঈস৷ !
কারও দাস হওয়া আপনাকে মানায় না ৷ শেষ পর্যন্ত তিনি আল্লাহর নিকট সাহায্য প্রার্থনা
করেন ৷ তখন হযরত জিবরীল ও মিকাঈল ফিরিশ৩ তাদ্বয় সেখানে হাজির হলেন ৷ ইবলীস
তাদেরকে দেখা মাত্র থেমে গেল ৷ কিছুক্ষণ পর ঐ গিরিপথেই ইবলীস ঈসা( ৷( আ)-এর সম্মুখে
উপস্থিত হল ৷ তখন ফিরিশতাদ্বয় ঈস৷ (আ) এর সাহায্যে অগ্রসর হলেন ৷ হযরত জিবরীল তার
ডানা দ্বারা ঝাপটা মেরে ইবলীসকে৷ বা তনে ওয়াদীতে নিক্ষেপ করে দেন ৷ ইবলীস সেখান থেকে
উঠে পুনরায় ঈস৷ (আ)-এর নিকট আসল ৷ যে ধারণা করল, যে ফেরেশতাদ্বয়কে যাহ হুকুম করা
হয়েছিল তা পালন করে তারা চলে গিয়েছেন, আর আসবেন না ৷ সুতরাং সে ঈস৷ (আ)-কে
পুনরায় বলল, আমি আপনাকে ইতিপুর্বেই বলেছি, দাস হওয়া আপনার জন্যে শোভনীয় নয় ৷
আপনার ক্রোধ কোন দাসের ক্রোধ নয় ৷ আপনার সাথে সাক্ষাতকালে প্রকাশিত ক্রোধ্ থেকে
আমি এ কথা বৃঝেছি ৷ আমি আপনাকে এমন এক বিষয়ের প্রতি আহবান জানাচ্ছি যা আপনার
জন্যে লাভজনক ৷ আমি শয়তানদেরকে হুকু ম দিব, তারা আপনাকে প্রভু মানবে ৷ মানুষ যখন
দেখবে জিনরা আপনাকে প্রভু মানছে তখন তারাও আপনাকে প্রভু বলে মানবে এবং আপনার
ইবাদত করবে ৷ আমি এ কথা বলছি না যে, আপনিই একমাত্র মাবুদ আর কোন মাবুদ নেই ৷
আমার কথা হচ্ছে, আল্লাহ থাকবেন আসমানের মাবুদ আর আপনি হবেন দুনিয়ার মাবুদ ৷

ইবলীসের মুখে এ কথা শুনার পর ঈস৷ (আ) আল্লাহর নিকট সাহায্য প্রার্থনা করেন এবং
উচু আওয়াজ করেন ৷ তখন হযরত ৩ইসরাফীল (আ) উপর থেকে নীচে নেমে আসেন ৷ জিবরীল
ও মীক৷ ঈল ফিরিশাদ্বয় তার দিকে লক্ষ্য করেন ৷ ইবলীস থেমে যায় ৷ অত০পর ইসরাফীল তার
ডানা দ্বারা ইবলীসকে আঘাত করেন এবং আয়নুশ শামসে’ নিক্ষেপ করেন ৷ কিছুক্ষণ পর
দ্বিতীয়বার আঘাত করেন ৷ এরপর ইবলীস সেখান থেকে অবতরণ করে ঈস৷ (আ)-কে একই
স্থানে দেখতে পায় এবং তাকে উদ্দেশ্য করে বলে, হে ঈস৷ ! আজ আমি আপনার জন্যেই দারুণ
কষ্ট ভোগ করেছি ৷ তারপর তাকে আয়নুশ শামসে নিক্ষেপ করা হয় ৷ সেখানে আয়নুল
হামিয়াতে সাত রাজাকে দেখতে পায়, তারা তাকে তাতে ডুবিয়ে দেয় ৷ যখনই সে চিৎকার
করেছে তখনই তারা তাকে সেই কর্দমে ডুবিয়ে দেয় ৷ বর্ণনাকারী বলেন, এরপর ইবলীস
কখনও ঈস৷ (আ) এর নিকট আসেনি ৷ ইসমাঈল আক্তার আবু হুযায়ফা (রা) থেকে
বর্ণনা করেন যে, অতঃপর ইবলীসের নিকট তা ৷র দলবল শয়তানরা জমায়েত হয় এবং বলে, হে
আমাদের সর্দার আজ যে আপনাকে খুবই ক্লান্ত শ্রাস্ত মনে হচ্ছে! ইবলীস হয়রত ৩ঈসার প্রতি
ইংগিত করে বললঃত তিনি হচ্ছেন আল্লাহর নিষ্পাপ বান্দা ৷৩ তার উপর প্রভাব বিস্তার করার মধ্যে
আমার সেই ৷ তবে তাকে কেন্দ্র করে আমি বিপুল সংখ্যক লোককে বিপদপামী করব ৷ বিভিন্ন
প্রকার কামনা-বাসনা তাদের মধ্যে জাগিয়ে ৰুষ্লব ৷ তাদেরকে নানা দলেউপদলে বিভক্ত করব ৷
তার৷ তাকে ও তার মাকে আল্লাহর আসনে বসাবে ৷ কুরআন মজীদে আল্লাহ হযরত ঈসাকে
ইবললীসের ঘে৷ ৷ক৷ থেকে হেফা জত করাকে তবে অনুগ্রহ হিসেবে উল্লেখ করে বলেনঃ



€ :




لَإِلَهٌ فِي السَّمَاءِ وَإِلَهٌ فِي الْأَرْضِ. قَالَ: فَصَكَّهُ جِبْرِيلُ صَكَّةً بِجَنَاحِهِ فَمَا تَنَاهَى دُونَ قُرُونِ الشَّمْسِ، ثُمَّ صَكَّهُ أُخْرَى بِجَنَاحِهِ فَمَا تَنَاهَى دُونَ الْعَيْنِ الْحَامِيَةِ، ثُمَّ صَكَّهُ أُخْرَى فَأَدْخَلَهُ بِحَارَ السَّابِعَةِ فَأَسَاخَهُ - وَفِي رِوَايَةٍ: فَأَسْلَكَهُ - فِيهَا حَتَّى وَجَدَ طَعْمَ الْحَمْأَةِ، فَخَرَجَ مِنْهَا وَهُوَ يَقُولُ: مَا لَقِيَ أَحَدٌ مِنْ أَحَدٍ مَا لَقِيتُ مِنْكَ يَا ابْنَ مَرْيَمَ. وَقَدْ رُوِيَ نَحْوُ هَذَا بِأَبْسَطَ مِنْهُ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ ; فَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْخَطِيبُ: أَخْبَرَنِي أَبُو الْحَسَنِ بْنُ رَزْقَوَيْهِ، أَنْبَأَنَا أَبُو بَكْرٍ أَحْمَدُ بْنُ سِنْدِيٍّ، حَدَّثَنَا أَبُو مُحَمَّدٍ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْقَطَّانُ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عِيسَى الْعَطَّارُ، أَنْبَأَنَا عَلِيُّ بْنُ عَاصِمٍ، حَدَّثَنِي أَبُو سَلَمَةَ سُوَيْدٌ، عَنْ بَعْضِ أَصْحَابِهِ، قَالَ: صَلَّى عِيسَى بِبَيْتِ الْمَقْدِسِ فَانْصَرَفَ، فَلَمَّا كَانَ بِبَعْضِ الْعَقَبَةِ، عَرَضَ لَهُ إِبْلِيسُ فَاحْتَبَسَهُ، فَجَعَلَ يَعْرِضُ عَلَيْهِ وَيُكَلِّمُهُ وَيَقُولُ لَهُ: إِنَّهُ لَا يَنْبَغِي لَكَ أَنْ تَكُونَ عَبْدًا. فَأَكْثَرَ عَلَيْهِ، وَجَعَلَ عِيسَى يَحْرِصُ عَلَى أَنْ يَتَخَلَّصَ مِنْهُ، فَجَعَلَ لَا يَتَخَلَّصُ مِنْهُ، فَقَالَ لَهُ فِيمَا يَقُولُ: لَا يَنْبَغِي لَكَ يَا عِيسَى أَنْ تَكُونَ عَبْدًا. قَالَ: فَاسْتَغَاثَ عِيسَى بِرَبِّهِ، فَأَقْبَلَ جِبْرِيلُ وَمِيكَائِيلُ، فَلَمَّا رَآهُمَا إِبْلِيسُ كَفَّ، فَلَمَّا اسْتَقَرَّا مَعَهُ عَلَى الْعَقَبَةِ، اكْتَنَفَا عِيسَى، وَضَرَبَ جِبْرِيلُ إِبْلِيسَ بِجَنَاحِهِ، فَقَذَفَهُ فِي بَطْنِ الْوَادِي. قَالَ: فَعَادَ إِبْلِيسُ مَعَهُ، وَعَلِمَ أَنَّهُمَا لَمْ يُؤْمَرَا بِغَيْرِ ذَلِكَ، فَقَالَ لِعِيسَى: قَدْ أَخْبَرْتُكَ أَنَّهُ لَا يَنْبَغِي أَنْ تَكُونَ عَبْدًا، إِنَّ غَضَبَكَ لَيْسَ
পৃষ্ঠা - ৯৯১
ষ্ষ্


হে মারয়াম তনয় ঈসা তোমার প্রতি ও তোমার জননীর প্রতি আমার অনুগ্রহ স্মরণ কর ৷
পবিত্র আত্মা অর্থাৎ জিবরীল ফিবিশতা দ্বারা আমি তোমাকে শক্তিশালী করেছিলাম ৷ হিকমত,
তাওরাত ও ইনজীল শিক্ষা দিয়েছিলাম; তুমি কর্দম দ্বারা আমার অনুমতিক্রমে পাখি সদৃশ
আকৃতি গঠন করতে এবং তাতে কুৎকার দিতে, ফলে আমার অনুমতিক্রমে তা পাখি হয়ে যেত ;
জন্মড়ান্ধ ও কুষ্ঠ ব্যাধিগ্নস্তকে তুমি আমার অনুমতিক্রমে নিরাময় করতে এবং আমার অনুমতি
ক্রমে তুমি মৃতকে জীবিত করতে; আমি তােমা হতে বনী ইসরাঈলকে নিবৃত্ত রেখেছিলাম ; তুমি
যখন তাদের নিকট স্পষ্ট নিদর্শন এনেছিলে তখন তাদের মধ্যে যারা কুফরী করেছিল তারা
বলেছিল, এ তো স্পষ্ট য়াদৃ ৷ (৫ মায়িসাঃ ১১০) ৷

আমি গরীব ও মিসকীন লোকদেরকে তোমার একান্ত ভক্ত ও সাথী বানিয়েছি যাদের
উপরে তুমি সভুষ্ট; এমন সব শিষ্য ও সাহায্যকারী তোমাকে দিয়েছি, যারা তোমাকে জান্নড়াতের
পথ প্রদর্শনকারী রুপে পেয়ে সভুষ্ট ৷ জেনে রেখো, উক্ত গুণ দপুটি বন্দোর জনেব্লু প্রধান গুণ ৷ যারা
এ গুণ দু’টি নিয়ে আমার কাছে আসবে, তারা আমার নিকট সবচেয়ে উৎকৃষ্ট ও মনোনীত বান্দা
হিসেবে গণ্য হবে ৷ বনী ইসরাঈলরা তোমাকে বলবে, আমরা রোজা রেখেছি কিভু তা কবুল
হয়নি, নামায পড়েছি কিভু তা গৃহীত হয়নি, দান-সড়াদকা করেছি কিন্তু তা মঞ্জুর হয়নি, উটের
কান্নার ন্যায় করুণ সুরে কেদেছি কিভু আমাদের কান্নার প্রতি দয়া প্রদর্শন করা হয়নি ৷ এ সব
অভিযোগের জবাব তাদের কাছে জিজ্ঞেস কর , এমনটা কেন হল? কোন জিনিসটি আমাকে এসব
কবুল করা থেকে বাধা দিয়েছে? আসমান ও যমীনের সমস্ত ধন ভাণ্ডার কি আমার হাতে নেই?
আমি আমার ধন ভাণ্ডার থেকে যেরুপ ইচ্ছা খরচ করে থাকি ৷ কৃপণতা আমাকে স্পর্শ করে না ৷
আমি কি প্রার্থনা শ্রবণের ক্ষেত্রে সর্বেড়াত্তম এবং দান করার ব্যাপারে সবচেয়ে উদার সত্তা নই? না
আমার দান অনুগ্রহ সংকুচিত হয়ে গিয়েছে? দুনিয়ার কেউ কারও প্রতি অনুগ্রহশীল হলে সে
তো আমারই দয়ার কারণে তা করে থাকে ৷

হে ঈসা ইবন মারয়াম! ঐ সম্প্রদায়ের লোকদের অস্তরে আমি যে সব সদগুণ প্রদান
করেছিলাম তারা যদি সেগুলোকে সঠিকভাবে কাজে লাগতে তা হলে আখিরাতের জীবনের
উপরে দুনিয়ার জীবনকে প্রাধান্য দিত না এবং বুঝতে পারত যে, কোথা থেকে তাদেরকে দান
করা হয়েছে, আর তারা এটাও বিশ্বাস করত যে, মনের কামনা বাসনাই তাদের বড় দৃশমন ৷
তাদের রোজা আমি কিভাবে কবুল করি ৷ যখন হারাম খাবার গ্রহণের মাধ্যমে তারা শক্তি
সঞ্চয় করেছে? তাদের নামায আমি কিভাবে কবুল করি , যখন তাদের অম্ভর ঐ সব লোকদের
প্রতি আকৃষ্ট যারা আমার বিরোধিতা করে এবং আমার নিষিদ্ধ বন্তুকে হালাল জানে? কি করে
তাদের দান-সাদকা আমি মঞ্জুর করি, যখন তারা মানুষের উপর জুলুম করে অবৈধ পস্থায়
তাদের ধন-সম্পদ ছিনিয়ে নেয় ৷ হে ঈসা! আমি ঐ সব লোকদেরকে যথাযথ প্রতিদান দিব ৷ হে
ঈসা! তাদের কান্নায় আমি দয়া দেখার কিভাবে, যখন তাদের হাত নবীদের রক্তে রঞ্জিত৷ এ
কারণে তাদের প্রতি আমার ক্রোধ অতি মাত্রায় বেশী ৷ হে ঈসা ! যে দিন আমি আকাশ ও পৃথিবী
সৃষ্টি করেছি সে দিন-ই আমি এ বিষয়টি চুড়ান্ত করে রেখেছি যে, যে ব্যক্তি আমার দাসৎ কবুল
করবে এবং তোমার ও তোমার মা সম্পর্কে আমার বাণীকে সঠিক বলে মেনে নিবে, তাকে আমি
তোমার ঘরের প্রতিবেশী বানাব, সফরের সাথী করব এবং অলৌকিক ঘটনা প্রকাশে তোমার


بِغَضَبِ عَبْدٍ، وَقَدْ رَأَيْتَ مَا لَقِيتُ مِنْكَ حِينَ غَضِبْتَ، وَلَكِنْ أَدْعُوكَ إِلَى أَمْرٍ هُوَ لَكَ ; آمُرُ الشَّيَاطِينَ فَلْيُطِيعُوكَ، فَإِذَا رَأَى الْبَشَرُ أَنَّ الشَّيَاطِينَ أَطَاعُوكَ، عَبَدُوكَ، أَمَا إِنِّي لَا أَقُولُ أَنْ تَكُونَ إِلَهًا لَيْسَ مَعَهُ إِلَهٌ، وَلَكِنَّ اللَّهَ يَكُونُ إِلَهًا فِي السَّمَاءِ، وَتَكُونُ أَنْتَ إِلَهًا فِي الْأَرْضِ. فَلَمَّا سَمِعَ عِيسَى ذَلِكَ مِنْهُ، اسْتَغَاثَ بِرَبِّهِ وَصَرَخَ صَرْخَةً شَدِيدَةً، فَإِذَا إِسْرَافِيلُ قَدْ هَبَطَ، فَنَظَرَ إِلَيْهِ جِبْرِيلُ وَمِيكَائِيلُ، فَكَفَّ إِبْلِيسُ، فَلَمَّا اسْتَقَرَّ مَعَهُمْ ضَرَبَ إِسْرَافِيلُ إِبْلِيسَ بِجَنَاحِهِ، فَصَكَّ بِهِ عَيْنَ الشَّمْسِ، ثُمَّ ضَرَبَهُ ضَرْبَةً أُخْرَى، فَأَقْبَلَ إِبْلِيسُ يَهْوِي، وَمَرَّ بِعِيسَى وَهُوَ بِمَكَانِهِ، فَقَالَ: يَا عِيسَى، لَقَدْ لَقِيتُ فِيكَ الْيَوْمَ تَعَبًا شَدِيدًا. فَرَمَى بِهِ فِي عَيْنِ الشَّمْسِ، فَوَجَدَ سَبْعَةَ أَمْلَاكٍ عِنْدَ الْعَيْنِ الْحَامِيَةِ. قَالَ: فَغَطُّوهُ، فَجَعَلَ كُلَّمَا خَرَجَ غَطُّوهُ فِي تِلْكَ الْحَمْأَةِ. قَالَ: وَاللَّهِ مَا عَادَ إِلَيْهِ بَعْدُ. قَالَ: وَحَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ الْعَطَّارُ، حَدَّثَنَا أَبُو حُذَيْفَةَ، قَالَ: وَاجْتَمَعَ إِلَيْهِ شَيَاطِينُهُ، فَقَالُوا: سَيِّدُنَا، قَدْ لَقِيتَ تَعَبًا. قَالَ: إِنَّ هَذَا عَبْدٌ مَعْصُومٌ، لَيْسَ لِي عَلَيْهِ مِنْ سَبِيلٍ، وَسَأُضِلُّ بِهِ بَشَرًا كَثِيرًا، وَأَبُثُّ فِيهِمْ أَهْوَاءً مُخْتَلِفَةً، وَأَجْعَلُهُمْ شِيَعًا، وَيَجْعَلُونَهُ وَأُمَّهُ إِلَهَيْنِ مِنْ دُونِ اللَّهِ. قَالَ: وَأَنْزَلَ اللَّهُ فِيمَا أَيَّدَ بِهِ عِيسَى وَعَصَمَهُ مِنْ إِبْلِيسَ قُرْآنًا نَاطِقًا بِذِكْرِ نِعْمَتِهِ عَلَى عِيسَى، فَقَالَ: {يَاعِيسَى ابْنَ مَرْيَمَ اذْكُرْ نِعْمَتِي عَلَيْكَ وَعَلى وَالِدَتِكَ إِذْ أَيَّدْتُكَ بِرُوحِ الْقُدُسِ} [المائدة: 110] يَعْنِي: إِذْ قَوَّيْتُكَ بِرُوحِ الْقُدُسِ 72، يَعْنِي جِبْرِيلَ {تُكَلِّمُ النَّاسَ فِي الْمَهْدِ وَكَهْلًا وَإِذْ عَلَّمْتُكَ الْكِتَابَ} [المائدة: 110]
পৃষ্ঠা - ৯৯২
ষ্ষ্


শরীক করব ৷ যে দিন আমি আসমান যমীন সৃষ্টি করেছি, যে দিন এ বিষয়ে চুড়ান্ত ফয়সড়ালা করে
রেখেছি যে, যে সব লোক তোমাকে ও তোমার মাকে আল্লাহর সাথে শরীফ করে প্রভু বানাবে,
তাদেরকে আমি জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্তরে স্থান দিব ৷ যে দিন আমি আসমান ও যমীন সৃষ্টি
করেছি, যে দিন এই সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত করে রেখেছি যে, আমি আমার প্রিয় বান্দা মুহাম্মদের হাতে
এ বিষয়টি নিষ্পত্তি করব ৷ তার উপরেই নবুওত ও রিসালাতেব পরিসমাপ্তি টানব ৷ তার জন্ম
হবে মক্কায়, ইিজরতস্থুল (মদীনা) তায়িবাে ৷ শ্যাম দেশ তার করতলগত হবে ৷ সে কর্কশ তাষী
ও কঠোর হৃদয় হবে না, বাজারে চিৎকার করে ফিরবে না, অশ্লীল অশ্রাব্য কথাবার্তা বলবে না ৷
প্রতিটি বিষয়ে উত্তম পন্থা অবলম্বনের জন্যে আমি তাকে তাওফীক দিব ৷ সৎ চরিত্রের যাবতীয়
গুণাবলী তাকে প্রদান করব ৷ তার অন্তর থাকবে তড়াক্ওয়ড়ায় পরিপুর্ণ ৷ জ্ঞান হবে প্রজ্ঞায়
সমৃদ্ধ ৷ প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা তার স্বভাব, ন্যায় বিচার তার চরিত্র, সত্য তার শরীআত , ইসলাম
তার আদর্শ, নাম হবে তার আহমদ ৷

আমি তার সাহায্যে মানুষকে বিভ্রান্তি থেকে সঠিক পথ দেখার, অজ্ঞতা থেকে ফিরিয়ে
জ্ঞানের দিকে আসর, নিঃস্ব অবস্থা থেকে স্বচ্ছলতার দিকে আনব, বিপর্যন্ত অবস্থা থেকে উদ্ধার
করে উন্নতির সােপানে উঠার ৷ তার দ্বারা সঠিক পথ প্রদর্শন করবো ৷ তার সাহায্যে বধির
ব্যক্তিকে শ্রবণ শক্তি দান করব , আচ্ছাদিত হৃদয় সমুহকে উন্মুক্ত করে দিব , বিভিন্ন
কামনা-বাসনাকে সংযত করব ৷ তার উম্মতকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ উম্মতের মর্যাদা দান করব ৷ মানব
জাতির কল্যাণ সাধনের জন্যে তাদের অভ্যুদয় ঘটবে ৷ তারা মানুষকে ভাল কাজে আহবান
জানাবে ও গর্হিত কাজ থেকে নিষেধ করবে ৷ আমার নামে তারা নিঃষ্ঠাবান থাকবে ৷ রাসুলের
আনীত আদর্শকে তারা মনে-প্রাণে বিশ্বাস করবে ৷ তারা তাদের মসজিদে, সভা সমিতিতে বাড়ি
ঘরে ও চলতে ফিরতে সর্বাবস্থায় আমার তাসবীহ পাঠ করবে, পবিত্রতা ঘোষণা করবে ও লা-
ইলাহা ইল্লালাহ্ কলেমা পড়বে ৷ তারা দীড়ানো অবস্থায়, বসা অবস্থায় রুকু’ সিজদার মাধ্যমে
আমার জন্যে সালাত আদায় করবে ৷ আমার পথে তারা সারিবদ্ধ হয়ে দৃশমনের বিরুদ্ধে লড়াই
করবে ৷ আল্লাহর পথে রক্ত দান হচ্ছে তাদের নিকট পুণ্যকর্ম ৷ সুসংবাদের আশায় তাদের অন্তর
ভরপুর, তাদের পুন্যক্াজসমুহপ্ৰদর্শনীমুক্ত ৷ রাতের বেলায় তারা আল্লাহর ধ্যানে মশত্নওল
তাপস আর দিনের বেলায় যুদ্ধের ময়দানে সাক্ষাত সিংহ এ সবই আমার অনুগ্রহ ৷ যাকে ইচ্ছা
তাকে দিই ৷ আমি মহা অনুগ্নহশীল ৷

উপরে যা কিছু আলোচনা হল, এর সপক্ষে প্রমাণাদি আমরা সুরা মায়িদা ও সুরা সাফ্ এর
প্রসঙ্গে বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করব ইনশা আল্লাহ ৷ আবু হযায়ফা ইসহাক ইবন বিশ্ব বিভিন্ন
সুত্রে কাব আল-আহবার, ওহাব ইবন মুনাব্বিহ, ইবন আব্বাস (রা) ও সালমান ফারসী (বা )
থেকে বর্ণনা করেন ৷ বর্ণনায় তাদের একজনের বক্তব্য অন্যজনের বক্তব্যের সাথে মিশে গেছে ৷
তারা বলেন যে, হযরত ঈসা ইবন মারয়াম যখন বনী ইসরাঈলের নিকট প্রেরিত হলেন এবং
তাদের সম্মুখে সুস্পষ্ট নিদর্শনাদি তুলে ধরলেন তখন বনী ইসরাঈলের মুনাফিক ও কাফির
শ্রেণীর লোকেরা তার সাথে উপহাস করতো ৷ তারা জিজ্ঞেস করত, বলুন তো, অমুক গতকাল
কী খাবার থেয়েছে এবং বাড়িতে যে কী রেখে এসেছেঃ হযরত ঈসা (আ) তাদেরকে সঠিক
জবাব দিয়ে দিতেন ৷ এতে মুমিনদের ঈমান এবং কাফির ও মুনাফিকদের সন্দেহ ও অবিশ্বাস
আরও বেড়ে যেত, এতদসত্বে ও হযরত ঈসার মাথা পৌজায় মত কোন ঘর বাড়ী ছিল না ৷
খোলা আকাশের নীচে মাটির উপর তিনি সালাত ও তাসবীহ আদায় করতেন ৷ তার কোন

আল-বিদায়া ওয়ান নি ড়ায়৷ য় খণ্ড ১-

يَعْنِي الْإِنْجِيلَ وَالتَّوْرَاةَ وَالْحِكْمَةَ، {وَإِذْ كَفَفْتُ بَنِي إِسْرَائِيلَ عَنْكَ} [المائدة: 110] . وَإِذْ جَعَلْتُ الْمَسَاكِينَ لَكَ بِطَانَةً وَصَحَابَةً وَأَعْوَانًا تَرْضَى بِهِمْ، وَصَحَابَةً وَأَعْوَانًا يَرْضَوْنَ بِكَ هَادِيًا وَقَائِدًا إِلَى الْجَنَّةِ، فَذَلِكَ - فَاعْلَمْ - خُلُقَانِ عَظِيمَانِ، مَنْ لَقِيَنِي بِهِمَا فَقَدْ لَقِيَنِي بِأَزْكَى الْخَلَائِقِ وَأَرْضَاهَا عِنْدِي، وَسَيَقُولُ لَكَ بَنُو إِسْرَائِيلَ: صُمْنَا فَلَمْ يَتَقَبَّلْ صِيَامَنَا، وَصَلَّيْنَا فَلَمْ يَقْبَلْ صَلَاتَنَا، وَتَصَدَّقْنَا فَلَمْ يَقْبَلْ صَدَقَاتِنَا، وَبَكَيْنَا بِمِثْلِ حَنِينِ الْجِمَالِ فَلَمْ يَرْحَمْ بُكَاءَنَا. فَقُلْ لَهُمْ: وَلَمَّ ذَلِكَ؟ وَمَا الَّذِي يَمْنَعُنِي، أَنَّ ذَاتَ يَدِي قَلَّتْ؟! أَوَلَيِسَ خَزَائِنُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ بِيَدِي أُنْفِقَ مِنْهَا كَيْفَ أَشَاءُ، أَوْ أَنَّ الْبُخْلَ يَعْتَرِينِي؟ أَوَلَسْتُ أَجْوَدَ مَنْ سُئِلَ وَأَوْسَعَ مَنْ أَعْطَى؟ أَوْ أَنَّ رَحْمَتِي ضَاقَتْ؟ وَإِنَّمَا يَتَرَاحَمُ الْمُتَرَاحِمُونَ بِفَضْلِ رَحْمَتِي، وَلَوْلَا أَنَّ هَؤُلَاءِ الْقَوْمَ، يَا عِيسَى ابْنَ مَرْيَمَ، عَدُّوا أَنْفُسَهُمْ بِالْحِكْمَةِ الَّتِي تُورِثُ فِي قُلُوبِهِمْ مَا اسْتَأْثَرُوا بِهِ الدُّنْيَا أَثَرَةً عَلَى الْآخِرَةِ، لَعَرَفُوا مِنْ أَيْنَ أُتُوا، وَإِذًا لَأَيْقَنُوا أَنَّ أَنْفُسَهُمْ هِيَ أَعْدَى الْأَعْدَاءِ لَهُمْ، وَكَيْفَ أَقْبَلُ صِيَامَهُمْ وَهُمْ يَتَقَوَّوْنَ عَلَيْهِ بِالْأَطْعِمَةِ الْحَرَامِ؟! وَكَيْفَ أَقْبَلُ صَلَاتَهُمْ وَقُلُوبُهُمْ تَرْكَنُ إِلَى الَّذِينَ يُحَارِبُونِي وَيَسْتَحِلُّونَ مَحَارِمِي؟! وَكَيْفَ أَقْبَلُ صَدَقَاتِهِمْ وَهُمْ يَغْصِبُونَ النَّاسَ عَلَيْهَا، فَيَأْخُذُونَهَا مِنْ غَيْرِ حِلِّهَا؟! يَا عِيسَى، إِنَّمَا أَجْزِي عَلَيْهَا أَهْلَهَا، وَكَيْفَ أَرْحَمُ بُكَاءَهُمْ وَأَيْدِيهِمْ تَقْطُرُ مِنْ دِمَاءِ الْأَنْبِيَاءِ، ازْدَدْتُ عَلَيْهِمْ غَضَبًا، يَا عِيسَى، وَقَضَيْتُ يَوْمَ خَلَقْتُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ أَنَّهُ مَنْ عَبَدَنِي وَقَالَ فِيكُمَا بِقَوْلِي، أَنْ أَجْعَلَهُمْ جِيرَانَكَ فِي الدَّارِ، وَرُفَقَاءَكَ فِي الْمَنَازِلِ، وَشُرَكَاءَكَ فِي الْكَرَامَةِ،
পৃষ্ঠা - ৯৯৩
وَقَضَيْتُ يَوْمَ خَلَقْتُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ، أَنَّهُ مَنِ اتَّخَذَكَ وَأُمَّكَ إِلَهَيْنِ مِنْ دُونِ اللَّهِ أَنْ أَجْعَلَهُمْ فِي الدَّرْكِ الْأَسْفَلِ مِنَ النَّارِ، وَقَضَيْتُ يَوْمَ خَلَقْتُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ، أَنِّي مُثَبِّتٌ هَذَا الْأَمْرَ عَلَى يَدَيْ عَبْدِي مُحَمَّدٍ وَأَخْتِمُ بِهِ الْأَنْبِيَاءَ وَالرُّسُلَ، وَمَوْلِدُهُ بِمَكَّةَ، وَمُهَاجَرُهُ بِطَيْبَةَ، وَمُلْكُهُ بِالشَّامِ، لَيْسَ بِفَظٍّ وَلَا غَلِيظٍ وَلَا سَخَّابٍ فِي الْأَسْوَاقِ، وَلَا مُتَزَيِّنٌ بِالْفُحْشِ، وَلَا قَوَّالٍ بِالْخَنَا، أُسَدِّدُهُ لِكُلِّ أَمْرٍ جَمِيلٍ، وَأَهَبُّ لَهُ كُلَّ خُلُقٍ كَرِيمٍ، أَجْعَلُ التَّقْوَى ضَمِيرَهُ، وَالْحِكْمَةَ مَعْقُولَهُ، وَالْوَفَاءَ طَبِيعَتَهُ، وَالْعَدْلَ سِيرَتَهُ، وَالْحَقَّ شَرِيعَتَهُ، وَالْإِسْلَامَ مِلَّتَهُ، وَاسْمُهُ أَحْمَدُ، أَهْدِي بِهِ بَعْدَ الضَّلَالَةِ، وَأُعَلِّمُ بِهِ بَعْدَ الْجَهَالَةِ، وَأُغْنِي بِهِ بَعْدَ الْعَائِلَةِ، وَأَرْفَعُ بِهِ بَعْدَ الضَّعَةِ، أَهْدِي بِهِ، وَأَفْتَحُ بِهِ بَيْنَ آذَانٍ صُمٍّ، وَقُلُوبٍ غُلْفٍ، وَأَهْوَاءٍ مُخْتَلِفَةٍ مُتَفَرِّقَةٍ، أَجْعَلُ أُمَّتَهُ خَيْرَ أُمَّةٍ أُخْرِجَتْ لِلنَّاسِ، يَأْمُرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَيَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنْكَرِ ; إِخْلَاصًا لِاسْمِي وَتَصْدِيقًا لِمَا جَاءَتْ بِهِ الرُّسُلُ، أُلْهِمُهُمُ التَّسْبِيحَ وَالتَّهْلِيلَ وَالتَّقْدِيسَ فِي مَسَاجِدِهِمْ وَمَجَالِسِهِمْ وَبُيُوتِهِمْ وَمُنْقَلَبِهِمْ وَمَثْوَاهُمْ، يُصَلُّونَ لِي قِيَامًا وَقُعُودًا وَرُكَّعًا وَسُجَّدًا، وَيُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِي صُفُوفًا وَزُحُوفًا، قُرْبَانُهُمْ دِمَاؤُهُمْ، وَأَنَاجِيلُهُمْ فِي صُدُورِهِمْ، وَقُرْبَانُهُمْ فِي بُطُونِهِمْ، رُهْبَانٌ بِاللَّيْلِ، لُيُوثٌ بِالنَّهَارِ، ذَلِكَ فَضْلِي أُوتِيهِ مَنْ أَشَاءُ، وَأَنَا ذُو الْفَضْلِ الْعَظِيمِ.
পৃষ্ঠা - ৯৯৪
ষ্ষ্


স্থায়ী আবাসস্থল বা ঠিকানা ছিল না ৷ সর্বপ্রথম তিনি যে মৃত ব্যক্তিকে জীবিত করেন যে
ঘটনাটি ছিল এরুপ :

একদা তিনি কোন এক কবরের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন ৷ ঐ কবরের নিকটে এক মহিলা বসে
কাদছিল ৷ ঈস৷ যহিলাকে জিজ্ঞেস করলেন তে ৷মার কী হয়েছেঃ মহিলা টি বলল, আমার একটি
মাত্র কন্যা ৷ছল ৷ সে ছাড়া আমার আর কোন সন্তান নেই ৷ আমা র সে কন্যাঢি মারা গিয়েছে ৷
আমি আল্লাহর সাথে প্রতিজ্ঞা করেছি যে , হয় তিনি আমার কন্যাকে জীবিত করে দিবেন, না হয়
আমিও তার মত মারা যাব, এ জায়গা তা৷গ করব না ৷ আপনি এর দিকে একটু লক্ষ্য করুন ৷
ঈস৷ (আ) বললেন, আমি যদি লক্ষ্য করি তবে কি তুমি এখান থেকে ফিরে যাবে? যহিলাটি
বলল, হ্যা তা ই করব ৷ ৷রপর হযরত ঈস৷ (আ) দৃ’ রাকআ ৷ত সলাত আদায় করে কবরের
পাশে এসে বললেন এবং বললেনঃ ওহে অমুক, তুমি অ ল্লাহ্র হুকুমে উঠে দাড়৷ ও, এবং বের
হয়ে এস ৷ তখন কবরটি সামান্য কেপে উঠল ৷ ঈস৷ (আ) দ্বিতীয়বার আহবান করলেন ৷
এবার কবরটি ফেটে গে ৷ল ৷ তৃভীয়বা ৷র আহবান করলে কবরবাসিনী বেরিয়ে আসল এবং মাথার
চুল থেকে ধুলাবালি ঝেড়ে ফেলতে লাগল ৷ ঈস৷ (আ ) তাকে জিজ্ঞেস করলেন, বের হতে
তোমার দেরী হল কেন? যেয়েটি বলল প্রথম আওয়াজ শোনার পর আল্লাহ আমার নিকট
একজন ফিরিশত ৷ পাঠান ৷ তিনি আমার দেহের অংগ প্রতাংগগুলি জোড়া লাপান৷ দ্বিচীয
আওয়াজের পর রুহ আমার দেহের ভিতর প্রবেশ করে ৷ তট্রুভীয় আ য়াজ যখন হল আর
আমার ধারণা হল, এটা কিয়াযতের আওয়াজ ৷ আমি ভীত-শংকিত হয়ে পড়লাম ৷ কিয়ামতের
ভয়ে আমার মাথার চুল ও চোখের ভ্রু সব সাদা হয়ে গিয়েছে ৷ তারপর মেয়েঢি তার মায়ের
কাছে গিয়ে বলল , মা ৷ আপনি আমাকে মৃত্যুর তিক্ত স্বাদ দুইবার গ্রহণ করালেন কেন? না ৷ ধৈর্য
ধরুন, পুণ্যের আশা করুন ৷ দুনিয়ার উপরে থাকার কোন আগ্রহ আমার সেই ৷ হে রুহুল্লাহ ! হে
কলেমাতুল্লাহ! আপনি আল্লাহর নিকট দোয়া করুন, যেন আমাকে তিনি আখিরাতের জীবন
ফিরিয়ে দেন এবং মৃত্যুর কষ্ট কমিয়ে দেন ৷ ঈস৷ (আ) আল্লাহর নিকট দোয়া করলেন ৷ ফলে
মেয়েটির দ্বিতীয়বার মৃত্যু হল এবং তাকে কবরন্থ করা হল ৷ এ সংবাদ ইয়াহুদীদের নিকট
পৌছলে তারা ঈস৷ (আ) এর প্ৰতি পুর্বের চা ৷ইতে অধিক বিদ্বেষ পরায়ণ হয়ে উঠে ৷

ইতিপুর্বে হযরত নুহ (আ) এর ঘটনা বর্ণনা করার পরে উল্লেখ করা হয়েছে যে, হযরত
নুহের পুত্র সায কে জ বি করে দেয়ার জন্যে বনী ইসরাঈলরা ৷হযরত ঈসার নিকট দাবী
জানায় ৷ তিনি সালাত আদায় করে আল্লাহর নিকট দোয়া করেন ৷ ফলে আল্লাহত তাকে জীবিত
করে দেন ৷ সান জীবিত হয়ে বনী ইসরাঈলদেরকে নুহ (আ)এর নৌকা সম্বন্ধে অবহিত করেন,
ঈস৷ (আ) পুনরায় দোয়া করলে তিনি আবার মাটির সাথে মিশে যান ৷

সুদ্দী ইবন আব্বাস (রা) এর বরাত একটি ঘটনার উল্লেখ করেছেন ৷ ঘটনাটি হল,
বনী ইসরাঈলের কোন এক বাদশাহ্র মৃত্যু হয় ৷ কবরস্থু করার জন্যে তাকে খাটের উপর রাখা
হয় ৷ এ সময় হযরত ঈস৷ (আ) সেখানে উপস্থিত হন ৷ তিনি আল্লাহর নিকট দোয়া করেন ৷
ফলে বাদশাহ জীবিত হয়ে যায় ৷ মানুষ অবাক দৃষ্টিতে এ আশ্চর্য ও অভুত ৩পুর্ব ঘটনা প্রত্যক্ষ
করে ৷ আল্লাহর বাণী :


وَسَنَذْكُرُ مَا يُصَدِّقُ كَثِيرًا مِنْ هَذَا السِّيَاقِ، بِمَا سَنُورِدُهُ مِنْ سُورَتَيْ " الْمَائِدَةِ " وَ " الصَّفِّ "، إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى، وَبِهِ الثِّقَةُ. وَقَدْ رَوَى أَبُو حُذَيْفَةَ إِسْحَاقُ بْنُ بِشْرٍ بِأَسَانِيدِهِ، عَنْ كَعْبِ الْأَحْبَارِ، وَوَهْبِ بْنِ مُنَبِّهٍ، وَابْنِ عَبَّاسٍ، وَسَلْمَانَ الْفَارِسِيِّ - دَخَلَ حَدِيثُ بَعْضِهِمْ فِي بَعْضٍ - قَالُوا: لَمَّا بُعِثَ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ وَجَاءَهُمْ بِالْبَيِّنَاتِ، جَعَلَ الْكَافِرُونَ وَالْمُنَافِقُونَ مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ يَعْجَبُونَ مِنْهُ وَيَسْتَهْزِئُونَ بِهِ فَيَقُولُونَ: مَا أَكَلَ فُلَانٌ الْبَارِحَةَ، وَمَا ادَّخَرَ فِي بَيْتِهِ؟ فَيُخْبِرُهُمْ، فَيَزْدَادُ الْمُؤْمِنُونَ إِيمَانًا، وَالْكَافِرُونَ وَالْمُنَافِقُونَ شَكًّا وَكُفْرَانًا، وَكَانَ عِيسَى، مَعَ ذَلِكَ، لَيْسَ لَهُ مَنْزِلٌ يَأْوِي إِلَيْهِ، إِنَّمَا يَسِيحُ فِي الْأَرْضِ لَيْسَ لَهُ قَرَارٌ وَلَا مَوْضِعٌ يُعْرَفُ بِهِ، فَكَانَ أَوَّلَ مَا أَحْيَا مِنَ الْمَوْتَى، أَنَّهُ مَرَّ ذَاتَ يَوْمٍ عَلَى امْرَأَةٍ قَاعِدَةٍ عِنْدَ قَبْرٍ وَهِيَ تَبْكِي، فَقَالَ لَهَا: مَا لَكِ أَيَّتُهَا الْمَرْأَةُ؟ فَقَالَتْ: مَاتَتِ ابْنَةٌ لِي لَمْ يَكُنْ لِي وَلَدٌ غَيْرُهَا، وَإِنِّي عَاهَدْتُ رَبِّي أَنْ لَا أَبْرَحُ مِنْ مَوْضِعِي هَذَا حَتَّى أَذُوقَ مَا ذَاقَتْ مِنَ الْمَوْتِ، أَوْ يُحْيِيَهَا اللَّهُ لِي فَأَنْظُرُ إِلَيْهَا. فَقَالَ لَهَا عِيسَى: أَرَأَيْتِ إِنْ نَظَرْتِ إِلَيْهَا أَرَاجِعَةٌ أَنْتِ؟ قَالَتْ: نَعَمْ. قَالُوا: فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ جَاءَ فَجَلَسَ عِنْدَ الْقَبْرِ، فَنَادَى: يَا فُلَانَةُ قُومِي بِإِذْنِ الرَّحْمَنِ فَاخْرُجِي. قَالَ: فَتَحَرَّكَ الْقَبْرُ، ثُمَّ نَادَى الثَّانِيَةَ، فَانْصَدَعَ الْقَبْرُ بِإِذْنِ اللَّهِ، ثُمَّ نَادَى الثَّالِثَةَ، فَخَرَجَتْ وَهِيَ تَنْفُضُ رَأْسَهَا مِنَ التُّرَابِ، فَقَالَ لَهَا عِيسَى: مَا بَطَّأَ بِكِ عَنِّي؟ فَقَالَتْ: لَمَّا جَاءَتْنِي الصَّيْحَةُ الْأُولَى بَعَثَ اللَّهُ لِي مَلَكًا فَرَكَّبَ خَلْقِي، ثُمَّ جَاءَتْنِي الصَّيْحَةُ الثَّانِيَةُ، فَرَجَعَ إِلَيَّ رُوحِي، ثُمَّ جَاءَتْنِي
পৃষ্ঠা - ৯৯৫


এ : এ

১১১&৷ ৷ ৷ ৰু এ এ১ ;া;১১’া
১১ ১ ৷ এ


ব্লে৷ ৷ এ ৷ ৰুট্রুছুন্ং১১ ৷এ’এব্লুঙ্ এ১ ১৷ ৷ চুাএে ১

০ ) : )

০সৌং
আল্লাহ বলবেন, হে মারয়াম তন্য় ঈস৷ তোমার প্রতিও তোমার মায়ের প্রতি আমার
অনুগ্রহ স্মরণ কর ও পবিত্র আত্মা দ্বারা আমি তোমাকে শাক্তিশালী করেছিলাম এবং তুমি
দোলনায় থাকা অবস্থায় ও পরিণত বয়সে মানুষের সাথে কথা বলতে; তোমাকে কিতাব
হিক্মত, তাওরাত ও ইনৃজীল শিক্ষা দিয়েছিলাম; তুমি কাদা দ্বারা আমার অনুমতিক্রমে পাখী
সদৃশ আকৃতি ৩গঠন করতে এবং তাতে কুৎকা র দিতে, ফলে আমার অনুমতিক্রমে তা পাখী হয়ে
যেত; জন্মান্ধ ও কুষ্ঠ ব্যাধিগ্রস্তকে তুমি আমার অনুমতিক্রমে নিরাময় করতে এবং আমার
অনুমতিক্রমে তুমি মৃত তকে জীবিত করতে; আমি তোমা হতে বনী ইসরাঈলকে নিবৃত্ত
রেখেছিলাম; তুমি যখন তাদের নিকট স্পষ্ট নিদর্শন এনেছিলে তখন তাদের মধ্যে যারা কুফরী
করেছিল তারা বলেছিল, এতে ৷ স্পষ্ট যাদু ৷ আরও স্মরণ কর, আমি যখন হাওয়ারীদেরকে এই
আদেশ দিয়েছিলাম যে, তোমরা আমার প্রতি ও আমার রাসুলের প্রতি ঈমান আন, তারা
বলেছিল, আমরা ঈমান আনলাম এবং তুমি সাক্ষী থাক যে , আমরা তো মুসলিম ৷ (৫ মায়িদা :
১ ১ : ১ ১ ১ )

এখানে আল্লাহ তা আলা হযরত ঈসার প্রতি প্রদত্ত অনুগ্রহসমুহ ও পি ৷ ব্যতীত মায়ের
থেকে সৃষ্টির কথা উল্লেখ করেছেন ৷৩ তাকে তিনি৷ মা নব জাতির জন্যে নিদর্শন বানিয়েছেন ৷ বলা
বাহুলা, এটা আল্লাহর অসীম ক্ষমত তারই সুস্পষ্ট প্রমাণ ৷ এ সরের পরেও তাকে রাসুল বানিয়ে
নিজ অনুগ্রহ পুর্ণ করেন ৷ “( তামার মায়ের প্রতি আমার অনুগ্রহ” অর্থাৎ প্রথমত এই বিশাল
নিয়াময়ুত র অধিকারী মহান নবীর মা হওয়ার জন্যে তার প্রতি যে কুৎসা রটনা করেছিলত
থেকে মুক্ত করার জন্যে প্রমাণ উপস্থাপন ৷ “পবিত্র আত্মা দ্বারা আমি তে তামাকে শক্তিশালী
করেছিলাম ৷ পবিত্র আত্মা অর্থ জিবরাঈল ফিরিশত ৷ ৷ জিবরাঈলের দ্বারা শক্তিশালী করেছিলেন
এভাবে যে,৩ তিনি তার রুহ্কে তার মায়ের আমার হাতার মধ্যে কুৎকার দিয়ে প্রবেশ করিয়ে
দিয়েছিলেন; রিসালাতের দায়িতু পালনকালে তিনি ঈস৷ (আ)-এর সাথে সাথে থাকতেন এবং
নবীর বিরোধীদেরকে তিনি প্রতিহত করতেন ৷ দোলনায় থাকা অবস্থায় ও পরিণত বয়সে কথা
বলার” অর্থ তুমি শিশুকালে দোলনায় থাকা অবস্থায় মানুষকে আল্লাহ্র দিকে আহ্বান করেছ
এবং পরিণত বয়সেও তাদেরকে আহ্বান করবে ৷” কিত৷ ৷ব ও হিক্মত শিক্ষা দেওয়ার অর্থ লিপি


الصَّيْحَةُ الثَّالِثَةُ، فَخِفْتُ أَنَّهَا صَيْحَةُ الْقِيَامَةِ، فَشَابَ رَأْسِي وَحَاجِبَايَ وَأَشْفَارُ عَيْنِي ; مِنْ مَخَافَةِ الْقِيَامَةِ. ثُمَّ أَقْبَلَتْ عَلَى أُمِّهَا فَقَالَتْ: يَا أُمَّتَاهُ، مَا حَمَلَكِ عَلَى أَنْ أَذُوقَ كَرْبَ الْمَوْتِ مَرَّتَيْنِ؟ يَا أُمَّتَاهُ، اصْبِرِي وَاحْتَسِبِي، فَلَا حَاجَةَ لِي فِي الدُّنْيَا، يَا رُوحَ اللَّهِ وَكَلِمَتَهُ، سَلْ رَبِّي أَنْ يَرُدَّنِي إِلَى الْآخِرَةِ، وَأَنْ يُهَوِّنَ عَلَيَّ كَرْبَ الْمَوْتِ. فَدَعَا رَبَّهُ فَقَبَضَهَا إِلَيْهِ، وَاسْتَوَتْ عَلَيْهَا الْأَرْضُ، فَبَلَغَ ذَلِكَ الْيَهُودَ، فَازْدَادُوا عَلَيْهِ غَضَبًا. وَقَدَّمْنَا فِي قِصَّةِ نُوحٍ، أَنَّ بَنِي إِسْرَائِيلَ سَأَلُوهُ أَنْ يُحْيِيَ لَهُمْ سَامَ بْنَ نُوحٍ، فَدَعَا اللَّهَ، عَزَّ وَجَلَّ، وَصَلَّى لَهُ، فَأَحْيَاهُ اللَّهُ لَهُمْ، فَحَدَّثَهُمْ عَنِ السَّفِينَةِ وَأَمْرِهَا، ثُمَّ دَعَا فَعَادَ تُرَابًا. وَقَدْ رَوَى السُّدِّيُّ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ وَأَبِي مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، فِي خَبَرٍ ذَكَرَهُ، وَفِيهِ أَنَّ مَلِكًا مِنْ مُلُوكِ بَنِي إِسْرَائِيلَ مَاتَ وَحُمِلَ عَلَى سَرِيرِهِ، فَجَاءَ عِيسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، فَدَعَا اللَّهَ، عَزَّ وَجَلَّ، فَأَحْيَاهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ، فَرَأَى النَّاسُ أَمْرًا هَائِلًا وَمَنْظَرًا عَجِيبًا. قَالَ اللَّهُ تَعَالَى وَهُوَ أَصْدَقُ الْقَائِلِينَ: {إِذْ قَالَ اللَّهُ يَا عِيسَى ابْنَ مَرْيَمَ اذْكُرْ نِعْمَتِي عَلَيْكَ وَعَلَى وَالِدَتِكَ إِذْ أَيَّدْتُكَ بِرُوحِ الْقُدُسِ تُكَلِّمُ النَّاسَ فِي الْمَهْدِ وَكَهْلًا وَإِذْ عَلَّمْتُكَ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَالتَّوْرَاةَ وَالْإِنْجِيلَ وَإِذْ تَخْلُقُ مِنَ الطِّينِ كَهَيْئَةِ الطَّيْرِ بِإِذْنِي فَتَنْفُخُ فِيهَا فَتَكُونُ طَيْرًا بِإِذْنِي وَتُبْرِئُ الْأَكْمَهَ وَالْأَبْرَصَ بِإِذْنِي وَإِذْ تُخْرِجُ الْمَوْتَى بِإِذْنِي وَإِذْ كَفَفْتُ بَنِي إِسْرَائِيلَ عَنْكَ إِذْ جِئْتَهُمْ بِالْبَيِّنَاتِ فَقَالَ الَّذِينَ كَفَرُوا مِنْهُمْ إِنْ هَذَا إِلَّا سِحْرٌ مُبِينٌ وَإِذْ أَوْحَيْتُ إِلَى الْحَوَارِيِّينَ أَنْ آمِنُوا بِي وَبِرَسُولِي قَالُوا آمَنَّا وَاشْهَدْ بِأَنَّنَا مُسْلِمُونَ} [المائدة: 110] [الْمَائِدَةِ: 110، 111] .
পৃষ্ঠা - ৯৯৬
يُذَكِّرُهُ تَعَالَى بِنِعْمَتِهِ عَلَيْهِ، وَإِحْسَانِهِ إِلَيْهِ فِي خَلْقِهِ إِيَّاهُ مِنْ غَيْرِ أَبٍ، بَلْ مِنْ أُمٍّ بِلَا ذَكَرٍ، وَجَعْلِهِ لَهُ آيَةً لِلنَّاسِ، وَدَلَالَةً عَلَى كَمَالِ قُدْرَتِهِ تَعَالَى، ثُمَّ إِرْسَالِهِ بَعْدَ هَذَا كُلِّهِ {وَعَلَى وَالِدَتِكَ} [المائدة: 110] فِي اصْطِفَائِهَا وَاخْتِيَارِهَا لِهَذِهِ النِّعْمَةِ الْعَظِيمَةِ، وَإِقَامَةِ الْبُرْهَانِ عَلَى بَرَاءَتِهَا مِمَّا نَسَبَهَا إِلَيْهِ الْجَاهِلُونَ ; وَلِهَذَا قَالَ: {إِذْ أَيَّدْتُكَ بِرُوحِ الْقُدُسِ} [المائدة: 110] وَهُوَ جِبْرِيلُ، بِإِلْقَاءِ رُوحِهِ إِلَى أُمِّهِ، وَقَرْنِهِ مَعَهُ فِي حَالِ رِسَالَتِهِ، وَمُدَافَعَتِهِ عَنْهُ لِمَنْ كَفَرَ بِهِ {تُكَلِّمُ النَّاسَ فِي الْمَهْدِ وَكَهْلًا} [المائدة: 110] أَيْ: تَدْعُو النَّاسَ إِلَى اللَّهِ فِي حَالِ صِغَرِكَ فِي مَهْدِكَ، وَفِي كُهُولَتِكَ {وَإِذْ عَلَّمْتُكَ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ} [المائدة: 110] أَيِ الْخَطَّ وَالْفَهْمَ. نَصَّ عَلَيْهِ بَعْضُ السَّلَفِ {وَالتَّوْرَاةَ وَالْإِنْجِيلَ} [المائدة: 110] وَقَوْلُهُ {وَإِذْ تَخْلُقُ مِنَ الطِّينِ كَهَيْئَةِ الطَّيْرِ بِإِذْنِي} [المائدة: 110] أَيْ: تُصَوِّرُهُ وَتُشَكِّلُهُ مِنَ الطِّينِ عَلَى هَيْئَتِهِ، عَنْ أَمْرِ اللَّهِ لَهُ بِذَلِكَ {فَتَنْفُخُ فِيهَا فَتَكُونُ طَيْرًا بِإِذْنِي} [المائدة: 110] أَيْ: بِأَمْرِي. يُؤَكِّدُ تَعَالَى بِذِكْرِ الْإِذْنِ لَهُ فِي ذَلِكَ ; لِرَفْعِ التَّوَهُّمِ. وَقَوْلُهُ: {وَتُبْرِئُ الْأَكْمَهَ} [المائدة: 110] قَالَ بَعْضُ السَّلَفِ: وَهُوَ الَّذِي يُولَدُ أَعْمَى، وَلَا سَبِيلَ لِأَحَدٍ مِنَ الْحُكَمَاءِ إِلَى مُدَاوَاتِهِ {وَالْأَبْرَصَ} [المائدة: 110] وَهُوَ الَّذِي لَا طِبَّ فِيهِ، بَلْ قَدْ مَرِضَ بِالْبَرَصِ وَصَارَ دَاؤُهُ عُضَالًا {وَإِذْ تُخْرِجُ الْمَوْتَى} [المائدة: 110] أَيْ مِنْ قُبُورِهِمْ أَحْيَاءً بِإِذْنِي. وَقَدْ تَقَدَّمَ مَا فِيهِ دَلَالَةٌ عَلَى وُقُوعِ ذَلِكَ مِرَارًا مُتَعَدِّدَةً
পৃষ্ঠা - ৯৯৭

জ্ঞান ও গভীর অনুধাবন শ্ ৷ক্তি দান করা ৷ প্রাচীন যুগের আলিম এরুপ ব্যাখ্যা করেছেন ৷ “কাদা
দ্বারা পাথীর আকৃতি ৩নগঠ অর্থাং আল্লাহর অনুমতিক্রয়েতু মি কাদা দ্বার বাপাখীর আকৃতি অবয়ব
গঠন করতে ৷ “আমার অনুমতিত্রুমেপাখী হ য় যেত ৷” অনুমতিক্রমে অর্থ আদেশক্রমে আল্লাহর
অনুমতি কথাটি আমার উদ্দেশ্য হল, মানুষ যাতে এই সন্দেহন৷ করে যে, ঈস৷ নিজের ক্ষমতা
বলেই এরুপ করেছেন ৷ জন্মান্ধ বলতে এখানে কোন কোন আলিম বলেছেন : যার কোন
চিকিৎসা নেই ৷ কুষ্ঠ রােগীও এমন কুষ্ঠরোগ, যার কোন চিকিৎসা নেই ৷ “মৃতকে জীবিত করা”
অর্থাৎ কবর থেকে জীবিত অবস্থায় উঠানাে ৷ আমার অনুমতিক্রা ম শব্দটির পুনরুক্তি ৷ এ কথা
দ্বারা ঐ ঘটনার দিকে ইংগিত করা হয়েছে, যখন বনী ইসরাঈলরা র্তাকে শুলে টড়াবার জন্যে
উদ্যত হয়েছিল ৷ তখন আল্লাহ র্তাকে তাদের হাত থেকে রক্ষা করেছিলেন এবং আপন সান্নিধ্যে
তুলে নিয়েছিলেন ৷ “আমি যখন হাওয়ারীদেরকে ওহী মারফত আদেশ দিয়েছিলাম ” এখানে
ওহীব দৃ’প্রকার ব্যাখ্যা পাওয়া যায় ৷

এক; ওহী অর্থ ইলহাম বা প্রেরণা জাগিয়ে দেওয়া ৷ এ অর্থে কুরআনের আয়াত যেমন :

ং ৷ ৷ ;;-ৰু ৷ এ ৰু,এ শু১টুট্রি তোমার প্রতিপালক মৌমাছিকে উহার অম্ভরে ইংগিত দ্বারা
নির্দেশ দিয়েছেন (১৬ নাহ্ল : ৬৮);

এে

মুসার মায়ের অম্ভরে আমি ইহা গতে নিদের্শ করলাম শিশুটিকে স্তন দান করতে থাক ৷
যখন তুমি তার সম্পর্কে কোন আশংকা করবে তখন একে দরিয়ায় নিক্ষেপ করে দিও ৷ (২৮
কাসাস : ৭ )

দুই; রাসুলের মাধ্যমে প্রেরিত ওহী এবং তাদেরকে সত্য গ্রহণের তাওফীক দেওয়া ৷ এ
জন্যেই তারা প্ৰতি উত্তরে বলেছিল ষ্সৌং £ট্রুাৰু ধ্,ন্ ৷ ব্লু ৷ “আমরা ঈমান আনলাম
এবং তুমি সাক্ষী থ৷ ৷ক যে আমরা মুসলিম ৷” হযরত ঈস৷ ৷-(আ) এর প্রতি আল্লাহ প্রদত্ত অনুগ্রহ
সমুহের মধ্যে অন্যতম বড় অনুগ্রহ এই যে, তিনি তাকে এমন একদল সাহায্যকারী ও সেবক
দিয়েছিলেন, বাবা তাকে সর্বোততাবে সাহায্য সহযোগিতা করতেন এবং মানুষকে এক অদ্বিভীয়
আল্লাহর ইবাদবুত র দিকে আহ্বান জানাতেন ৷ যেমন আল্লাহ তা আল৷ হযরত মুহাম্মাদ (সা)
সম্পর্কে বলেছেন :

ট্রুণ্ মোঃা

০ : fl ) !

);,; ণ্াছু ৷ ষ্০টুখু ৷
তিনিণ্ তামাকে আপন সাহায্য ও মুমিনদের দ্বারা শক্তিশালী করেছেন; এবং তিনি ওদের
পরস্পরের হৃদয়ের মধ্যে প্রীতি স্থাপন করেছেন ৷ পৃথিবীর যাবতীয় সম্পদ ব্যয় করলেও তুমি
তাদের হৃদয়ে প্রীতি স্থাপন করতে পারতে না; কিন্তু আল্লাহত তাদের মধ্যে প্রীতি স্থাপন
করেছেন ৷ নিশ্চয়ই তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময় ৷ (৮ আনফাল০ : ৬২৬২)


مِمَّا فِيهِ كِفَايَةٌ. وَقَوْلُهُ: {وَإِذْ كَفَفْتُ بَنِي إِسْرَائِيلَ عَنْكَ إِذْ جِئْتَهُمْ بِالْبَيِّنَاتِ فَقَالَ الَّذِينَ كَفَرُوا مِنْهُمْ إِنْ هَذَا إِلَّا سِحْرٌ مُبِينٌ} [المائدة: 110] وَذَلِكَ حِينَ أَرَادُوا صَلْبَهُ فَرَفَعَهُ اللَّهُ إِلَيْهِ، وَأَنْقَذَهُ مِنْ بَيْنِ أَظْهُرِهِمْ ; صِيَانَةً لِجَنَابِهِ الْكَرِيمِ عَنِ الْأَذَى، وَسَلَامَةً لَهُ مِنَ الرَّدَى. وَقَوْلُهُ: {وَإِذْ أَوْحَيْتُ إِلَى الْحَوَارِيِّينَ أَنْ آمِنُوا بِي وَبِرَسُولِي قَالُوا آمَنَّا وَاشْهَدْ بِأَنَّنَا مُسْلِمُونَ} [المائدة: 111] قِيلَ: الْمُرَادُ بِهَذَا الْوَحْيِ وَحْيُ إِلْهَامٍ. أَيْ أَرْشَدَهُمُ اللَّهُ إِلَيْهِ، وَدَلَّهُمْ عَلَيْهِ، كَمَا قَالَ: {وَأَوْحَى رَبُّكَ إِلَى النَّحْلِ} [النحل: 68] . {وَأَوْحَيْنَا إِلَى أُمِّ مُوسَى أَنْ أَرْضِعِيهِ فَإِذَا خِفْتِ عَلَيْهِ فَأَلْقِيهِ فِي الْيَمِّ} [القصص: 7] . وَقِيلَ: الْمُرَادُ وَحْيٌ بِوَاسِطَةِ الرَّسُولِ، وَتَوْفِيقٌ فِي قُلُوبِهِمْ لِقَبُولِ الْحَقِّ ; وَلِهَذَا اسْتَجَابُوا قَائِلِينَ: {آمَنَّا وَاشْهَدْ بِأَنَّنَا مُسْلِمُونَ} [المائدة: 111] . وَهَذَا مِنْ جُمْلَةِ نِعَمِ اللَّهِ عَلَى عَبْدِهِ وَرَسُولِهِ عِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ ; أَنْ جَعْلَ لَهُ أَنْصَارًا وَأَعْوَانًا يَنْصُرُونَهُ وَيَدْعُونَ مَعَهُ إِلَى عِبَادَةِ اللَّهِ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، كَمَا قَالَ تَعَالَى لِعَبْدِهِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: {هُوَ الَّذِي أَيَّدَكَ بِنَصْرِهِ وَبِالْمُؤْمِنِينَ وَأَلَّفَ بَيْنَ قُلُوبِهِمْ لَوْ أَنْفَقْتَ مَا فِي الْأَرْضِ جَمِيعًا مَا أَلَّفْتَ بَيْنَ قُلُوبِهِمْ وَلَكِنَّ اللَّهَ أَلَّفَ بَيْنَهُمْ إِنَّهُ عَزِيزٌ حَكِيمٌ} [الأنفال: 62] [آلِ عِمْرَانَ: 48 - 54] .
পৃষ্ঠা - ৯৯৮
ষ্ষ্

স্পোহ্র ৷

এহ্রাএ এংএন্১৷ ৷ হ্৷ ,, হ্র১৷ ৷ ণ্’এএট্রুাএ ণ্এে ৷ :ং-ৰুএি ৷ ,াষ্ ’এংএ’হ্রং ষ্টু ৰুট্রুান্ ছুএট্রুা৯ এ;শ্রো


এ হ্এএ্ ৷ ৷এছুক্ট্রা১ ণ্ন্নুন্ এ এ; ১ ণ্ন্নু;১এ ণ্এে; ণ্এ ট্রু ;;এ ৷ র্দু)ণ্ংট্ ন্এাশু ১৷ এ



;প্ৰুণ্ ছো
“এবং তিনি তাকে শিক্ষা দিবেন কিতাব, হিকমত তাওরাত ও ইনজীল এবং তাকে বনী
ইসরাঈলের জন্যে রাসুল করবেন ৷ সে বলবে, আমি তোমাদের প্ৰনি প লকেব পক্ষ হতে
তোমাদের নিকট নিদর্শন নিয়ে এসেছি ৷ আমি তোমাদের জন্যে কাদা দিয়ে একটি পাখীর
আকৃতি গঠন করব; তাতে আমি কুৎকার দিব; ফলে আল্লাহর হুকুমেত তা পাথী হয়ে যাবে ৷ আমি
জন্মান্ধ ও কুষ্ঠ ব্যাধিগ্রস্তকে নিরাময় করব এবং আল্লাহর ছকুমে মৃতকে জীবন্ত করব ৷ তোমরা
তোমাদের ঘরে যা আহার কর ও মওজুদ কর তা’তোমাদেরকে বলে দেব ৷ তোমরা যদি মৃমিন
হও তবে এতে তোমাদের জন্যে নিদর্শন রয়েছে ৷ আর আমি এসেছি আমার সম্মুখে তাওরাতের
যা রয়েছে তার সমর্থকরুপে ও তোমাদের জন্যে যা নিষিদ্ধ ছিল তার কতকগুলােকে বৈধ
করতে ৷ এবং আমি তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে ৫৩ তামাদের নিকট নিদর্শন নিয়ে
এসেছি ৷ সুতরাংঅ অ ৷ল্লাহ্কে ভয় কর ও আমাকে অনুসরণ কর ৷ আল্লাহ আমার প্রতিপালক এবং
তোমাদেরও প্ৰতিপালক, সুতরাং তোমরা তার ইবাদত করবে ৷ এটাই সরল পথ ৷ যখন ঈসা
তাদের অবিশ্বাস উপল ব্ধি করল তখন সে বলল, আল্লাহর পথে কারা আমার সা ধ্ায্যকারীা
হাওয়ারীরা বলল, আমর ই আল্লাহ্র পথে সাহায্যকারী ৷ আমরা আল্লাহ্তে মানঈ এসেছি ৷
আমরা আত্মসমর্পণকড়ারী, তুমি এর সাক্ষী থাক ৷ হে আমাদের প্রতিপালক ! তুমি যা অবতীর্ণ
করেছ তাতে আমরা ঈমান এনেছি এবং আমরা এই রাসুলের অনুসরণ করেছি ৷ সুতরাং
আমাদেরকে সাক্ষ্য দানকারীদের তালিকাভুক্ত কর ৷ এবং৩ তারা চক্রাম্ভ করেছিল, আল্লাহও
কৌশল করেছিলেন; আল্লাহ কৌশলীদের শ্রেষ্ঠ ৷” (৩ আলে ইমরান : : ৮-৫৮ )


كَانَتْ مُعْجِزَةُ كُلِّ نَبِيٍّ فِي زَمَانِهِ بِمَا يُنَاسِبُ أَهْلَ ذَلِكَ الزَّمَانِ ; فَذَكَرُوا أَنَّ مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، كَانَتْ مُعْجِزَتُهُ مِمَّا يُنَاسِبُ أَهْلَ زَمَانِهِ، فَكَانُوا سَحَرَةً أَذْكِيَاءَ، فَبُعِثَ بِآيَاتٍ بَهَرَتِ الْأَبْصَارَ، وَخَضَعَتْ لَهَا الرِّقَابُ، وَلَمَّا كَانَ السَّحَرَةُ خَبِيرِينَ بِفُنُونِ السِّحْرِ وَمَا يَنْتَهِي إِلَيْهِ، وَعَايَنُوا مَا عَايَنُوا مِنَ الْأَمْرِ الْبَاهِرِ الْهَائِلِ، الَّذِي لَا يُمْكِنُ صُدُورُهُ إِلَّا مِمَّنْ أَيَّدَهُ اللَّهُ وَأَجْرَى الْخَارِقَ عَلَى يَدَيْهِ تَصْدِيقًا لَهُ، أَسْلَمُوا سِرَاعًا، وَلَمْ يَتَلَعْثَمُوا، وَهَكَذَا عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ، بُعِثَ فِي زَمَنِ الطَّبَائِعِيَّةِ الْحُكَمَاءِ، فَأُرْسِلَ بِمُعْجِزَاتٍ لَا يَسْتَطِيعُونَهَا وَلَا يَهْتَدُونَ إِلَيْهَا، وَأَنَّى لِحَكِيمٍ إِبْرَاءُ الْأَكْمَهِ، الَّذِي هُوَ أَسْوَأُ حَالًا مِنَ الْأَعْمَى وَالْأَبْرَصِ وَالْمَجْذُومِ، وَمَنْ بِهِ مَرَضٌ مُزْمِنٌ، وَكَيْفَ يَتَوَصَّلُ أَحَدٌ مِنَ الْخَلْقِ إِلَى أَنْ يُقِيمَ الْمَيِّتَ مِنْ قَبْرِهِ، هَذَا مِمَّا يَعْلَمُ كُلُّ أَحَدٍ أَنَّهُ مُعْجِزَةٌ دَالَّةٌ عَلَى صِدْقِ مَنْ قَامَتْ بِهِ، وَعَلَى قُدْرَةِ مَنْ أَرْسَلَهُ، وَهَكَذَا مُحَمَّدٌ، صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ وَعَلَيْهِمْ أَجْمَعِينَ، بُعِثَ فِي زَمَنِ
পৃষ্ঠা - ৯৯৯
الْفُصَحَاءِ الْبُلَغَاءِ، فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَلَيْهِ الْقُرْآنَ الْعَظِيمَ، الَّذِي لَا يَأْتِيهِ الْبَاطِلُ مِنْ بَيْنِ يَدَيْهِ وَلَا مِنْ خَلْفِهِ، تَنْزِيلٌ مِنْ حَكِيمٍ حَمِيدٍ، فَلَفْظُهُ مُعْجِزٌ تَحَدَّى بِهِ الْإِنْسَ وَالْجِنَّ أَنْ يَأْتُوا بِمِثْلِهِ أَوْ بِعَشْرِ سُوَرٍ مِنْ مَثَلِهِ، أَوْ بِسُورَةٍ، وَقَطَعَ عَلَيْهِمْ بِأَنَّهُمْ لَا يَقْدِرُونَ، لَا فِي الْحَالِ وَلَا فِي الِاسْتِقْبَالِ، فَإِنْ لَمْ يَفْعَلُوا وَلَنْ يَفْعَلُوا، وَمَا ذَاكَ إِلَّا لِأَنَّهُ كَلَامُ الْخَالِقِ، عَزَّ وَجَلَّ، وَاللَّهُ تَعَالَى لَا يُشْبِهُهُ شَيْءٌ لَا فِي ذَاتِهِ وَلَا فِي صِفَاتِهِ وَلَا فِي أَفْعَالِهِ. وَالْمَقْصُودُ أَنَّ عِيسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، لَمَّا أَقَامَ عَلَيْهِمُ الْحُجَجَ وَالْبَرَاهِينَ، اسْتَمَرَّ أَكْثَرُهُمْ عَلَى كُفْرِهِمْ وَضَلَالِهِمْ وَعِنَادِهِمْ وَطُغْيَانِهِمْ، فَانْتَدَبَ لَهُ مِنْ بَيْنِهِمْ طَائِفَةً صَالِحَةً، فَكَانُوا لَهُ أَنْصَارًا وَأَعْوَانًا، قَامُوا بِمُتَابَعَتِهِ وَنُصْرَتِهِ وَمُنَاصَحَتِهِ، وَذَلِكَ حِينَ هَمَّ بِهِ بَنُو إِسْرَائِيلَ، وَوَشَوْا بِهِ إِلَى بَعْضِ مُلُوكِ ذَلِكَ الزَّمَانِ، فَعَزَمُوا عَلَى قَتْلِهِ وَصَلْبِهِ، فَأَنْقَذَهُ اللَّهُ مِنْهُمْ، وَرَفَعَهُ إِلَيْهِ مِنْ بَيْنِ أَظْهُرِهِمْ، وَأَلْقَى شَبَهَهُ عَلَى أَحَدِ أَصْحَابِهِ، فَأَخَذُوهُ فَقَتَلُوهُ وَصَلَبُوهُ، وَهُمْ يَعْتَقِدُونَهُ عِيسَى، وَهْمُ فِي ذَلِكَ غَالِطُونَ، وَلِلْحَقِّ مُكَابِرُونَ، وَسَلَّمَ لَهُمْ كَثِيرٌ مِنَ النَّصَارَى مَا ادَّعَوْهُ، وَكِلَا الْفَرِيقَيْنِ فِي ذَلِكَ مُخْطِئُونَ، كَمَا قَالَ تَعَالَى: {وَمَكَرُوا وَمَكَرَ اللَّهُ وَاللَّهُ خَيْرُ الْمَاكِرِينَ} [آل عمران: 54] وَقَالَ تَعَالَى: {وَإِذْ قَالَ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ يَا بَنِي إِسْرَائِيلَ إِنِّي رَسُولُ اللَّهِ إِلَيْكُمْ مُصَدِّقًا لِمَا بَيْنَ يَدَيَّ مِنَ التَّوْرَاةِ وَمُبَشِّرًا بِرَسُولٍ يَأْتِي مِنْ بَعْدِي اسْمُهُ أَحْمَدُ فَلَمَّا جَاءَهُمْ بِالْبَيِّنَاتِ قَالُوا هَذَا سِحْرٌ مُبِينٌ وَمَنْ أَظْلَمُ مِمَّنِ افْتَرَى عَلَى اللَّهِ الْكَذِبَ وَهُوَ يُدْعَى إِلَى الْإِسْلَامِ وَاللَّهُ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الظَّالِمِينَ يُرِيدُونَ لِيُطْفِئُوا نُورَ اللَّهِ بِأَفْوَاهِهِمْ وَاللَّهُ مُتِمُّ نُورِهِ وَلَوْ كَرِهَ الْكَافِرُونَ هُوَ الَّذِي أَرْسَلَ رَسُولَهُ بِالْهُدَى وَدِينِ الْحَقِّ لِيُظْهِرَهُ عَلَى الدِّينِ كُلِّهِ وَلَوْ كَرِهَ الْمُشْرِكُونَ} [الصف: 6] [الصَّفِّ: 6 - 9] .
পৃষ্ঠা - ১০০০
ষ্ষ্


প্রত্যেক নবীর মু ’জিয) ছিল তার নিজ যুগের মানুষের চাহিদার উপযোগী ৷ যেমন হযরত
মুসা (আ) এর যুগের লোকের) ছিল ভীক্ষ্ণধী যাদুকর ৷ অ )ল্লাহ তাকে এমন মু’জিয) দান করলেন
যা য)দুকরদের চোখ ঝলসিয়ে দিয়েছিল এবং য)দুকররাত তার নিকট আত্মসমর্পণ করেছিল)
, য)দুকরর) যাদু সং ক্রান্ত তথ্যাদি সম্পর্কে অবগত ছিল ৷ যাদুর দৌড় যে কী পর্যন্ত, যে সম্পর্কেও
তার) অবস্থিত ছিল ৷ সুতরাং যখন তারা মুসা (আ) এর মুজিয) প্রত্যক্ষ করল তখন তার)
বুঝতে পারলে) যে এতো )ম)নবীয় ক্ষমতার বহির্ভুত ব্যাপার আল্লাহর সাহায্য ও প্রদত্ত ক্ষমতা
ব্যভীত কোন মানুষের ক্ষেত্রে এ ধরনের কিছু প্রকাশ হতে ৩পারে না ) কোন নবীর সতা৩ )
প্রমাণের জন্যে আল্লাহ এরুপ ম)নবীয ক্ষমতার বহির্ভুত কিছু প্রকাশ করে থাকেন ) সুতরাং
ক)লবিলম্ব না করে তারা মুসা (আ) এর নিকট আত্মসমর্পণ করলেন এবং ইসলাম গ্রহণ
করলেন ৷ অনুরুপভ) বে হযরত ঈসা ইবন মারয়াম (আ) কে যে যুগে প্রেরণ করা হয় সে যুপটি
ছিল উন্নত চিকিৎসার জন্যে প্রসিদ্ধ ) আল্লাহ৩ তাকে এর সাথে সামঞ্জস্যপুর্ণ এমন ঘু’জিযা দান
করলেন যা ছিল তাদের ক্ষমতা ও আয়ত্তের ব) )ইরে ৷ একজন চিকিৎসক যখন অন্ধ, খঞ্জ,কুষ্ঠ ও
পঙ্গুকে ভাল করতে অক্ষম , সেখানে একজন জন্ম)ন্ধকে ভাল করার প্রল্লুই উঠে ন) ৷ আর একজন
মৃত ব্যক্তিকে কবর থেকে জীবিত উঠাব)র শক্তি মানুষের জন্যে তে) কল্পন)ই কর) যায় ন) ৷
ত্যেকেই বুঝে যে, এসব এমন মু’,জিযা যার মাধ্যমে এগুলো প্রকাশ পায় তার দাবির পক্ষে
এটা হয়ে থাকে সুস্পষ্ট প্রমাণ এবং যে সত্তা তাকে প্রেরণ করেন তার কুদরত ও মহ)শক্তির
প্রমাণ ৷

একই পদ্ধতিতে শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সা) কে যে যুগে প্রেরণ কর) হয় সে ষুপটি ছিল
ব)ল)প)ত ফ)স)হ)ত তথা অলৎকারশাস্তে সমৃদ্ধ উন্নত ভাষা শিল্পের যুগ ৷ আল্লাহ তার উপর
কুরআন মাজীদ অবতীর্ণ করেন ৷ যে কোন ত্রুটি থেকে তা মুক্ত ৷ কুরআনের বাক্য ও শব্দগুলো
এমনই মু’জিয) যে, মানব ও জিন জাতিকে সম্মিলিতভাবে এই কুরআনের অনুরুপ একটি
কুরআন, কিৎব) অনুরুপ ১০টি সুরা অথবা মাত্র ক্ষুদ্র একটি সুরা রচনা করার চ্যালেঞ্জ কর)
হয়েছে ) এরপর দৃঢ়ত)র সাথে বল) হয়েছে যে, তার) কোন দিন এ চ্যালেঞ্জের মুক)বিলা করতে
পারবে ন)-বর্তম)নেও ন), ভবিষ্যতেও ন), এখনই যখন পারেনি, ভবিষ্যতে কখনও পারবে ন) ৷
এরকম ভ যে) তার) তৈরি করতে ৩এ জন্যে পারবে ন), যেহেতু এটা আল্লাহর বাণী ৷ আর আল্লাহর
সাথে কে ন কিছুরই তুলনা হতে পারে ন) ন) তার সত্তার সাথে ন) তার গুণ)বলীর সাথে, ন)
ত)র ক) )র্যারলীর সাথে ৷

হযরত ঈসা (আ) যখন বনী ইসর) ঈলের নিকট অকাট্য দলীল প্রমাণ স্পষ্টভ) )বে তুলে ধরেন
তখন তাদের অধিক) ংশ লে)রইি কুফরী, ভ্রষ্টত), বিদ্বেষ ও অব)ধ্য৩ )র উপর অটল থেকে যায় ৷
তবে তাদের একটি ক্ষুদ্র দল তার পক্ষ অবলম্বন করে এবং বিরোধিতাক)রীদের প্রতিবাদ
)জন)ন ৷ তার) নবীর স)হ)য্যকা )রী হন ও তার শিষ্যতু বরণ করেন ৷ তার) নবীর আনুগত্য করেন,
স)হ)য) সহযোগিতা করেন ও উপদেশ মেনে চলেন ৷ এই ক্ষুদ্র দলটির আত্মপ্রকাশ তখন ঘটে
যখন বনী ইসর)ঈল তাকে হত্যার জন্যে পরিকল্পনা গ্রহণ করে এবং সে যুগের জনৈক ব)দশ)হর
সাথে ষড়যন্ত্র পাক)পে)ক্ত করে তাকে হত্যা ও শুলে চড়ানাের চক্র)ম্ভ সম্পন্ন করে ৷ কিভু আল্লাহ


إِلَى أَنْ قَالَ بَعْدَ ذَلِكَ: {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُونُوا أَنْصَارَ اللَّهِ كَمَا قَالَ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ لِلْحَوَارِيِّينَ مَنْ أَنْصَارِي إِلَى اللَّهِ قَالَ الْحَوَارِيُّونَ نَحْنُ أَنْصَارُ اللَّهِ فَآمَنَتْ طَائِفَةٌ مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ وَكَفَرَتْ طَائِفَةٌ فَأَيَّدْنَا الَّذِينَ آمَنُوا عَلَى عَدُوِّهِمْ فَأَصْبَحُوا ظَاهِرِينَ} [الصف: 14] . فَعِيسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، هُوَ خَاتَمُ أَنْبِيَاءِ بَنِي إِسْرَائِيلَ، وَقَدْ قَامَ فِيهِمْ خَطِيبًا فَبَشَّرَهُمْ بِخَاتَمِ الْأَنْبِيَاءِ الْآتِي بَعْدَهُ، وَنَوَّهَ بِاسْمِهِ، وَذَكَرَ لَهُمْ صِفَتَهُ لِيَعْرِفُوهُ وَيُتَابِعُوهُ إِذَا شَاهَدُوهُ ; إِقَامَةً لِلْحُجَّةِ عَلَيْهِمْ، وَإِحْسَانًا مِنَ اللَّهِ إِلَيْهِمْ، كَمَا قَالَ تَعَالَى: {الَّذِينَ يَتَّبِعُونَ الرَّسُولَ النَّبِيَّ الْأُمِّيَّ الَّذِي يَجِدُونَهُ مَكْتُوبًا عِنْدَهُمْ فِي التَّوْرَاةِ وَالْإِنْجِيلِ يَأْمُرُهُمْ بِالْمَعْرُوفِ وَيَنْهَاهُمْ عَنِ الْمُنْكَرِ وَيُحِلُّ لَهُمُ الطَّيِّبَاتِ وَيُحَرِّمُ عَلَيْهِمُ الْخَبَائِثَ وَيَضَعُ عَنْهُمْ إِصْرَهُمْ وَالْأَغْلَالَ الَّتِي كَانَتْ عَلَيْهِمْ فَالَّذِينَ آمَنُوا بِهِ وَعَزَّرُوهُ وَنَصَرُوهُ وَاتَّبَعُوا النُّورَ الَّذِي أُنْزِلَ مَعَهُ أُولَئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُونَ} [الأعراف: 157] . قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: حَدَّثَنِي ثَوْرُ بْنُ يَزِيدَ، عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ، «عَنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُمْ قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَخْبِرْنَا عَنْ نَفْسِكَ. قَالَ:
পৃষ্ঠা - ১০০১
ষ্ষ্


তাকে তাদের ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা করেন ৷ তাদের মধ্য থেকে নবীকে তার সান্নিধ্যে উঠিয়ে নেন

ৎতার একটি শিষ্যকে তার চেহারার অনুরুপ চেহারায় রুপান্তরিত ৩করে দেন ৷ কিন্তু বনী

ইসরা ঈলরা তাকে ঈস৷ মনে করে হত্যা করে ও শুলে চড়ায় ৷ এব্যাপারে তারা ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণ

করে ও সতাকে উপেক্ষা করে ৷ খ্রীষ্টান সম্প্রদায়ের অধিকা ৷ৎশ লোক এদের দাবিকে সমর্থন
করে ৷ কিন্তু উভয় দলই এ ব্যাপারে ভুলের মধ্যে রয়েছে ৷

আল্লাহর বাণী “তারা এক চক্রাম্ভ করেছিল আর আল্লাহ এক কৌশল অবলম্বন করলেন ৷
আল্লাহই উত্তম কৌশল অবলম্বনকাবী’ ৷ আল্লাহ আরও বালনং : স্মরণ কর মারয়াম তনয় ঈসা
বলেছিল, হে বনী ইসরাঈল! আমি তোমাদের নিকট আল্লাহর রাসুল এবং আমার পুর্ব হতে
তোমাদের নিকট যে তাওরাত রয়েছে আমি তার সমর্থক এবং আমার পরে আহ্ ৷দ নামে যে
রাসুল আসবেন আমি তার সুসংরাদদাতা ৷ পরে সে যখন স্পষ্ট নিদর্শনসহ তাদের ৷নকট আসল
তারা বলতে লাগল, এতো এক স্পষ্ট যাদৃ ৷ যে ব্যক্তি আল্লাহর দিকে আহুত হয়েও আল্লাহ সম্বন্ধে
মিথ্যা রচনা করে তার অপেক্ষা অধিক জালিম আর কে? আল্লাহ জালিম সম্প্রদায়াক সৎপাথ
পরিচালিত করেন না ৷ তারা তা ৷ল্পাহ্র নুর ফুৎক৷ রে নিভা৩ ৷তে চায় কিন্তু আল্লাহ তার নুর পুর্ণরুপে
উদ্ভাসিত করবেন যদিও কাফিরর৷ তা অপছন্দ করে ৷” (সুরা সাফ্ং : ৬-৮)

এরপরে আল্লাহ বলেন “হে মুমিনগণ ৷! আল্লাহর দীানর সাহায্যকারী হও যেমন মারয়াম
ত তনয় ঈসা বলেছিল তার শিষ্যগণকে, আল্লাহর পথে কে আমার সাহায্যকারী হলো শিষ্যপণ
বলেছিল, আমরা ৷তেই ৩াআল্লাহ্র পথে সাহায্যকারী ৷ অতঃপর বনী ইসরাঈলদের একদল ঈমান
আনল এবং একদল কুফরী করল ৷ পরে আমি মুামনদেরকে শক্তিশালী করলাম তাদের শত্রুদের
মুকাবিলায়: ফলে৩ তারা বিজয়ী হল ৷ (৬ সুরা সাফ্ ১৪) ৷ অত এর, ঈস৷ (আ ) হলেন বনী
ইসরাঈলের শেষ নবী ৷ তিনি তাদের তার পরে আগমনকারী সর্বশেষ নবীর সুসংবাদ দনে
করেন, তার নাম উল্লেখ করেন এবং৩ তার লক্ষণ ও বৈশিষ্ট্যসমুহ বর্ণনা করেন, যাতে করে সেই
নবী যখন আগমন করবেন তখন তারা তাকে চিনতে পারে ও তার আনুগত্য করতে পারে ৷
তারা যাতে কোন রকম অজুহাত তুলতে না পারে, সে জন্যে তিনি দলীল-প্রমাণচ চুড়াম্ভত্যাব
পেশ করেন এবং তাদের প্রতি এটা ছিল আল্লাহ্র অনুকষ্প৷ স্বরুপ ৷ যেমনটি আল্লাহ বলেন :
“যায়৷ অনুসরণ করে বার্তাবাহক উমী নবীর যার উল্লেথ৩ ৷ ওাবাত ও ইনৃজীল যা তাদের নিকট
আছে তাতে লিপিবদ্ধ পায় ৷ যে৩ তাদেরকে সৎকাজর নির্দেশ দেয় ও অসৎকাজে বাধা দেয়, যে
তাদের জন্যে পবিত্র বন্তু বৈধ করে ও অপবিত্র বন্তু অবৈধ করে এবং যে মুক্ত করে তাদেরকে
তাদের গুরুভার থেকে ও শৃত্খল থেকে যা তাদের উপর ছিল ৷ সুতরাং যারা৩ তার প্ৰতি বিশ্বাস
স্থাপন করে, তাকে সম্মান করে, তাকে সাহায্য করে এবং যে নুর তার সাথে অবতীর্ণ হয়েছে
তার অনুসরণ করে, তারাই সফলকাম ৷ ( ৭ আরাফ : ১৫৭)

মুহাম্মদ ইবন ইসহাক রাসুল (না)-এর কতিপয় সাহাৰীদের বরাতে বর্ণনা করেন যে,
একদা তারা বলেন, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ৷ আমাদেরকে আপনার নিজের সম্পর্কে অবহিত করুন ৷
উত্তরে তিনি বলেন, আমি ইবরাহীম (আ)-এর দােয়ার ফলে, ঈসা (আ)এর সুসংরাদ ৷ যখন
আমি মায়ের পেটে ছিলাম তখন আমার মা স্বপ্ন দেখেছিলেন যে, তার থেকে একটি নুর বের


دَعْوَةُ أَبِي إِبْرَاهِيمَ، وَبُشْرَى عِيسَى، وَرَأَتْ أُمِّي حِينَ حَمَلَتْ بِي كَأَنَّهُ خَرَجَ مِنْهَا نُورٌ أَضَاءَتْ لَهُ قُصُورُ بُصْرَى مِنْ أَرْضِ الشَّامِ» وَقَدْ رُوِيَ عَنِ الْعِرْبَاضِ بْنِ سَارِيَةَ، وَأَبِي أُمَامَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَحْوُ هَذَا، وَفِيهِ: «دَعْوَةُ أَبِي إِبْرَاهِيمَ، وَبُشْرَى عِيسَى» وَذَلِكَ أَنَّ إِبْرَاهِيمَ لَمَّا بَنَى الْكَعْبَةَ قَالَ: {رَبَّنَا وَابْعَثْ فِيهِمْ رَسُولًا مِنْهُمْ} [البقرة: 129] . الْآيَةَ. وَلَمَّا انْتَهَتِ النُّبُوَّةُ فِي بَنِي إِسْرَائِيلَ إِلَى عِيسَى، قَامَ فِيهِمْ خَطِيبًا، فَأَخْبَرَهُمْ أَنَّ النُّبُوَّةَ قَدِ انْقَطَعَتْ عَنْهُمْ، وَأَنَّهَا بَعْدَهُ فِي النَّبِيِّ الْعَرَبِيِّ الْأُمِّيِّ، خَاتَمِ الْأَنْبِيَاءِ عَلَى الْإِطْلَاقِ، أَحْمَدَ، وَهُوَ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ بْنِ هَاشِمٍ، الَّذِي هُوَ مِنْ سُلَالَةِ إِسْمَاعِيلَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ الْخَلِيلِ، عَلَيْهِمُ السَّلَامُ. قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {فَلَمَّا جَاءَهُمْ بِالْبَيِّنَاتِ قَالُوا هَذَا سِحْرٌ مُبِينٌ} [الصف: 6] يُحْتَمَلُ عَوْدُ الضَّمِيرِ إِلَى عِيسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَيُحْتَمَلُ عُودُهُ إِلَى مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ حَرَّضَ تَعَالَى عِبَادَهُ الْمُؤْمِنِينَ عَلَى نُصْرَةِ الْإِسْلَامِ وَأَهْلِهِ، وَنُصْرَةِ نَبِيِّهِ وَمُؤَازَرَتِهِ وَمُعَاوَنَتِهِ عَلَى إِقَامَةِ الدِّينِ وَنَشْرِ الدَّعْوَةِ، فَقَالَ: {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُونُوا أَنْصَارَ اللَّهِ كَمَا قَالَ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ لِلْحَوَارِيِّينَ مَنْ أَنْصَارِي إِلَى اللَّهِ} [الصف: 14] أَيْ: مَنْ يُسَاعِدُنِي فِي الدَّعْوَةِ إِلَى اللَّهِ {قَالَ الْحَوَارِيُّونَ نَحْنُ أَنْصَارُ اللَّهِ} [الصف: 14] وَكَانَ ذَلِكَ فِي قَرْيَةٍ يُقَالُ لَهَا: النَّاصِرَةُ. فَسُمُّوا النَّصَارَى بِذَلِكَ. قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {فَآمَنَتْ طَائِفَةٌ مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ وَكَفَرَتْ طَائِفَةٌ} [الصف: 14] يَعْنِي، لَمَّا دَعَا عِيسَى بَنِي إِسْرَائِيلَ وَغَيْرَهُمْ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى، مِنْهُمْ مَنْ آمَنَ وَمِنْهُمْ مَنْ كَفَرَ،
পৃষ্ঠা - ১০০২
فَكَانَ مِمَّنْ آمَنَ بِهِ أَهْلُ أَنْطَاكِيَةَ بِكَمَالِهِمْ، فِيمَا ذَكَرَهُ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنْ أَهْلِ السِّيَرِ وَالتَّوَارِيخِ وَالتَّفْسِيرِ، بَعَثَ إِلَيْهِمْ رُسُلًا ثَلَاثَةً، أَحَدُهُمْ شَمْعُونُ الصَّفَا، فَآمَنُوا وَاسْتَجَابُوا، وَلَيْسَ هَؤُلَاءِ هُمُ الْمَذْكُورِينَ فِي سُورَةِ " يس " لِمَا تَقَدَّمَ تَقْرِيرُهُ فِي قِصَّةِ أَصْحَابِ الْقَرْيَةِ، وَكَفَرَ آخَرُونَ مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ، وَهْمُ جُمْهُورُ الْيَهُودِ، فَأَيَّدَ اللَّهُ مَنْ آمَنَ بِهِ عَلَى مَنْ كَفَرَ فِيمَا بَعْدُ، وَأَصْبَحُوا ظَاهِرِينَ عَلَيْهِمْ قَاهِرِينَ لَهُمْ، كَمَا قَالَ تَعَالَى: {إِذْ قَالَ اللَّهُ يَا عِيسَى إِنِّي مُتَوَفِّيكَ وَرَافِعُكَ إِلَيَّ وَمُطَهِّرُكَ مِنَ الَّذِينَ كَفَرُوا وَجَاعِلُ الَّذِينَ اتَّبَعُوكَ فَوْقَ الَّذِينَ كَفَرُوا إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ} [آل عمران: 55] . الْآيَةَ. فَكُلُّ مَنْ كَانَ إِلَيْهِ أَقْرَبَ، كَانَ غَالِبًا لِمَنْ دُونَهُ، وَلَمَّا كَانَ قَوْلُ الْمُسْلِمِينَ فِيهِ هُوَ الْحَقَّ الَّذِي لَا شَكَّ فِيهِ، مِنْ أَنَّهُ عَبْدُ اللَّهِ وَرَسُولُهُ، كَانُوا ظَاهِرِينَ عَلَى النَّصَارَى الَّذِينَ غَلَوْا فِيهِ وَأَطْرَوْهُ، وَأَنْزَلُوهُ فَوْقَ مَا أَنْزَلَهُ اللَّهُ بِهِ، وَلَمَّا كَانَ النَّصَارَى أَقْرَبَ فِي الْجُمْلَةِ مِمَّا ذَهَبَ إِلَيْهِ الْيَهُودُ فِيهِ، عَلَيْهِمْ لِعَائِنُ اللَّهِ، كَانَ النَّصَارَى قَاهِرِينَ لِلْيَهُودِ فِي أَزْمَانِ الْفَتْرَةِ إِلَى زَمَنِ الْإِسْلَامِ وَأَهْلِهِ. وَاللَّهُ تَعَالَى أَعْلَمُ.