قصة عيسى بن مريم
بيان نزول الكتب الأربعة ومواقيتها
পৃষ্ঠা - ৯৮৪
ষ্ষ্
রমযান মাস, এতে কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে (২ বাকারা : ১৮৫) এ আঘাতের অধীনে আমরা
তাফসীর গ্রন্থে এতদ সম্পর্কীয় হাদীসগুলো উল্লেখ করেছি ৷ সেখানে এ কথাও বলা হয়েছে যে,
ঈসা (আ)-এর উপরে ইনজীল ১৮ রমযানে অবতীর্ণ হয় ৷
ইবন জারীর (র) তীর ইতিহাস গ্রন্থে লিখেছেন যে, ত্রিশ বছর বয়সকালে হযরত ঈসা
(আ)-এর প্ৰতি ইনজীল অবতীর্ণ হয় এবং ৫তত্রিশ বছর বয়সের সময় র্তাকে আসমান উঠিয়ে
নেয়া হয় ৷ ইসহাক ইবন বিশৃর আবু হুরড়ায়রা (বা) থেকে বর্ণিত ৷ আল্লাহ তড়াআলা হযরত
ঈসা ইবন মারয়ামের নিকট নিম্নলিখিত ওহী প্রেরণ করেন :
হে ঈসা! আমার নির্দেশ পালনে কঠােরভাবে চেষ্টা কর, হীনবল হয়াে না ৷ আমার বাণী
শ্রবণ কর ও আনুগত্য কর ৷ হে ঈসা ! তুমি এক পবিত্র সতী কুমারী ও তাপসী নারীর সন্তান ৷
পিতা বিহীন তোমার জন্ম ৷ বিশ্ববাসীর নিদর্শন স্বরুপ আমি তোমাকে সৃষ্টি করেছি ৷ সুতরাং
আমারই দাসতৃ কর, আমার উপরই ভরসা রাখ ৷ সর্বশক্তি দিয়ে আমার কিতাবের অনুসরণ কর ৷
সুরিয়ানী ভাষা-ভাষীদের নিকট কিতাবের বিষয়বস্তু ব্যাখ্যা করে শোনা ও ৷ তোমার সম্মুখে যারা
আছে তাদের কাছে আমার বাণীগুলো পৌছিয়ে দাও ৷ আমিই মহড়াসত্য , চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী ও
অক্ষয় ৷ সােকজনের কাছে প্রচার করবে যে, আরবের উঘী নবীকে সত্য বলে জানবে ৷ তিনি
হচ্ছে উষ্ট্ররেড়াহী, পাগডীধারী, বর্মধারী, জুতা পরিধানকারী এবং লাঠি ব্যবহারে অভ্যস্ত ৷ তিনি
বলেন আয়তণ্লাচন, প্রশস্ত কপাল উজ্জ্বল চেহারা কেচ্কড়ান চুল , ঘন দীড়ি , জোড়া তুরু , উচু
নাক বিশিষ্ট ৷ তার সামনের র্দাতগুলােতে সামান্য র্ফাক থাকবে; থুতনীর উপরের ও ঠোট সংলগ্ন
ছোট দীড়ি হবে দৃশ্যমান ৷ তীর ঘাড় হবে রৌপ্য পাত্রের মত উজ্জ্বল ৷ তীর হীসুলীর হীড় দু’টি
হবে যেন প্রবহমান স্বর্ণ ৷ তার বুক থেকে নাভি পর্যন্ত কাল পশমের রেখা থাকবে ৷ এই রেখা
ব্যতীত পেটে বা বুকের অন্য কোথাও চুল থাকবে না ৷ তীর হাতের তালু ও পায়ের তলা হবে
মাংসল ৷ কোন দিকে তাকালে পুর্ণ দৃষ্টিতে তাকাবেন ৷ ইাটার সময় মনে হবে সম্মুখে ঝুকে
যেন নিম্ন দিকে নেমে আসছেন ৷ ঘযাক্ত অবস্থায় দেখলে মনে হবে যেন ঢেহারার উপরে মুক্তার
দানা ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে এবং মিশকের ঘ্রড়াণ চারিদিকে ছড়াচ্ছে ৷ তীর পুর্বেও কাউকে এমন
দেখা যায়নি এবং পরেও কেউ এমন আসবে না ৷ তার দৈহিক গঠন ও অবয়ব হবে অত্যন্ত
সৃশ্ৰী ৷ তিনি অধিকবিবাহকারী, র্তার সন্তান সংখ্যা হবে কম এবং তীর বংশধারা চলবে এক
বরকতময় মহিলা থেকে ৷ জান্নাতে তার জন্যে থাকবে নির্ধারিত প্ৰক্যেষ্ঠ ৷ প্রক্যেষ্ঠটি একটি
প্রকাণ্ড ফীপা মুক্তোয় নির্মিত ৷ সেখানে থাকবে না কোন ক্লান্তি, থাকবে না কোন চিৎকার ধ্বনি ৷
হে ঈসা ! তুমি শেষ যামানার যিম্মাদার হবে, যেমন ষাকারিয়া ছিল তোমার মায়ের যিম্মাদার,
জান্নড়াতে তার জন্যে থাকবে সাক্ষ্য দানকারী দ ট্রুটি পাথীর ছানা ৷ আমার নিকট তার যে মর্যাদা,
তা অন্য কোন মানুষের নেই ৷ তার কিতাবের নাম হবে কুরআন, ধর্মের নাম হবে ইসলাম ৷
আমার এক নাম সালাম ৷ ধন্য সেই, যে তীর সময়কাল পাবে, তার কর্মকাণ্ড প্রত্যক্ষ করবে ও
তীর কথা শ্রবণ করবে ৷
টীকা : শামাইলে তিরমিযীর ১ম অধ্যায়ের দ্বিতীয় হাদীসের বর্ণনা মতে তার চুল না ছিল অত্যধিক কুঞ্চিত, না ছিল
একেবারে সোজা ৷
[بَيَانُ نُزُولِ الْكُتُبِ الْأَرْبَعَةِ وَمَوَاقِيتِهَا]
قَالَ أَبُو زُرْعَةَ الدِّمَشْقِيُّ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنِي مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ، عَمَّنْ حَدَّثَهُ قَالَ: أُنْزِلَتِ التَّوْرَاةُ عَلَى مُوسَى فِي سِتِّ لَيَالٍ خَلَوْنَ مِنْ شَهْرِ رَمَضَانَ، وَنَزَلَ الزَّبُورُ عَلَى دَاوُدَ فِي اثْنَتَيْ عَشْرَ لَيْلَةً خَلَتْ مِنْ شَهْرِ رَمَضَانَ، وَذَلِكَ بَعْدَ التَّوْرَاةِ بِأَرْبَعِمِائَةِ سَنَةٍ وَاثْنَتَيْنِ وَثَمَانِينَ سَنَةً، وَأُنْزِلَ الْإِنْجِيلُ عَلَى عِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ فِي ثَمَانِي عَشْرَةَ لَيْلَةً خَلَتْ مِنْ شَهْرِ رَمَضَانَ، بَعْدَ الزَّبُورِ بِأَلْفِ عَامٍ وَخَمْسِينَ عَامًا، وَأُنْزِلَ الْفَرْقَانُ عَلَى مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فِي أَرْبَعٍ وَعِشْرِينَ مِنْ شَهْرِ رَمَضَانَ. وَقَدْ ذَكَرْنَا فِي " التَّفْسِيرِ " عِنْدَ قَوْلِهِ: {شَهْرُ رَمَضَانَ الَّذِي أُنْزِلَ فِيهِ الْقُرْآنُ} [البقرة: 185] الْأَحَادِيثَ الْوَارِدَةَ فِي ذَلِكَ، وَفِيهَا أَنَّ الْإِنْجِيلَ أُنْزِلَ عَلَى عِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، فِي ثَمَانِي عَشْرَةَ لَيْلَةً خَلَتْ مِنْ شَهْرِ رَمَضَانَ.
وَذَكَرَ ابْنُ جَرِيرٍ فِي " تَارِيخِهِ " أَنَّهُ أُنْزِلَ عَلَيْهِ وَهُوَ ابْنُ ثَلَاثِينَ سَنَةً، وَمَكَثَ حَتَّى رُفِعَ إِلَى السَّمَاءِ، وَهُوَ ابْنُ ثَلَاثٍ وَثَلَاثِينَ سَنَةً. كَمَا سَيَأْتِي بَيَانُهُ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى.
وَقَالَ إِسْحَاقُ بْنُ بِشْرٍ: وَأَنْبَأْنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، وَمُقَاتِلٌ،
পৃষ্ঠা - ৯৮৫
ষ্ষ্
তুব৷ বৃক্ষের বর্ণনা
নবী ঈস৷ (আ) একদা আল্লাহর নিকট নিবেদন করলেন, হে আমার প্ৰতিপালক ! তুবা কী?
আল্লাহ জানালেন, তৃব৷ একটি বৃক্ষের নাম ৷ আমি নিজ হা৷ত তা রােপণ করেছি ৷ এটা
প্রত্যেকটা জ ন্নাবু তর জন্যই ৷ এর শ্মিকড় রিয্ওয়ানে এবং তার পানির উৎস তাসনীম ৷ এর
শিশির কর্মুরের মত, এর স্বাদ আমার এবৎঘ্র ঘ্রাণ মিশকের মত ৷ যে ব্যক্তি এর থেকে একবার
পান করবে সে কখনও পিপাসাবােধ করবে না ৷ ঈস৷ (আ) বললেন আমাকে একবার সে পানি
পান করার সুযোগ দিন ৷ আল্লাহ বললেন, সেই নবী পান করার পুর্বে অন্য নবীদের জন্যে এটা
পান করা নিষিদ্ধ এবং সেই নবীর উম্মতরা পান করার পুর্বে অন্য নৰীদের উম্মতদের জন্যে এর
স্বাদ গ্রহণ নিষিদ্ধ ৷ আল্লাহ বললেন, হে ঈসা আমি৫ তামাকে আমার নিকট উঠিয়ে আনব ৷ ঈসা
বললেন, প্ৰভাে কেন আমাকে উঠিয়ে নিবেনঃ আল্লাহ বললেন, আমি প্রথমে তোমাকে উঠিয়ে
আনব ৷ তারপর শেষ ন্ যামানায় আবার পৃথিবীতে পাঠাব ৷ এতে তুমি সেই নবীর উম্মতের
বিস্ময়কর অবস্থা প্রত্যক্ষ করতে পারবে এবং অভিশপ্ত দাজ্জালকে হত্যা করার ব্যাপারে
তাদেরকে সাহায্য করতে পারবে ৷ কোন এক নামাযের সময় তোমাকে পৃথিবীতে নামাব ৷ কিন্তু
তু তাদের নামাযে ইমামতি ৩করবে না ৷ কেননড়া তারা হচ্ছে রহমতপ্রাপ্ত উম্মত ৷ তাদের যিনি
নবী,৩৷ তারপর আর কোন নবী নেই ৷
হিশাম ইবন আমার যায়দ থেকে বর্ণিত ৷ ঈসা বলেছিলেন, প্রভাে আমাকে এই
রহমত প্রাপ্ত উম্মত সম্পর্কে কিছু জানান ৷ আল্লাহ বললেন, তারা আহমদ নবীর উম্মত ৷ ত যা
হবে নবীতুল্য আলিম ও প্রজ্ঞাবান ৷ আমার অল্প অনুগ্নহে তারা সন্তুষ্ট থাকবে ৷ শুধু লা ৷-ইলাহা
ইল্লাল্লাহুর বদৌলতেই তাদেরকে আমি জান্নাতে প্রবেশ করাবাে ৷ তারাই হবে জান্নাতের
অধিকাংশ অধিবাসী ৷ কেননা, লা-ইলাহ৷ ইল্লড়াল্লাহুর যিকির দ্বারা তাদের জিহব৷ যে পরিমাণ
সিক্ত হয়েছে, যে পরিমাণ সিক্ত অন্য কোন জাতির হয়নি এবং সিজদা করাতে তাদের গর্দান
যতবার তু-লুষ্ঠিত হয়েছে, ততবার অন্য কোন জাতির গর্দান ভুলুষ্ঠিত হয়নি ৷ (ইবন আসাকির)
ইবন আসাকির আব্দুল্লাহ ইবন আওসাজা থেকে বর্ণনা করেন ৷ আল্লাহ ওহীর মাধ্যমে ঈসা
ইবন মারয়ামকে বলেন, তোমার চিন্তা ভ৷ ৷বনায় আমাকেও নিত্য সা ৷থী করে বা যে এবং তোমার
আখিরাতে র জন্যে আমাকে সম্বলরুপে রাখ ৷ নফল ইবাদতের দ্বারা আমার নৈকট্য অর্জন কর,
তাহলে আমি তোমাকে প্রিয় জানবাে ৷ আমাকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে তে তামার বন্ধু বানিয়াে
ন৷ ৷ এরুপ করলে তুমি লাঞ্ছিত হবে ৷ বিপদে ধৈয ধারণ কর এবং তাকদীবের প্রতি সভুষ্ট থাক ৷
তোমার মধ্যে আমার সভুষ্টিকে জাগ্রত রাখ ৷ কেননা তে তামার সত্তুষ্টি আমার আনুগরু তা নি৩
অবাধ্যতায় নয় ৷ আমার নৈকট্য লাভের চেষ্টাক কর আমাকে সর্বদা স্মরণ রাখ ৷ তোমার অম্ভবে
যেন আমার ভ ৷৷লবস সাবিরাজ করে ৷ অবসর সময়ে সদা সচেতন থাক ৷ সুক্ষ্ম প্রজ্ঞাকে সুদৃঢ়
কর ৷ আমার প্রতি আগ্রহ ও ভীতি পোষণ কর ৷ আমার ডীতি দ্বারা অম্ভরকে সমাহিত কর ৷
আমার সত্তুষ্টি অর্জনের জন্যে রাতের সদ্ব্যবহার করবে ৷ এবং দিনের বেলা থাকবে তষ্ণা,র্থ যাতে
করে আমার নিকট পুর্ণ পরিতৃপ্তির দিল লাভ করতে পার ৷ কল্যাণকর কাজে তোমার
চেষ্টা-সাধন৷ নিয়োজিত রাখ ৷ যেখানেই থাক, কল্যাণকর কাজের সহায়ক থাক ৷ মানুষের
عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ آدَمَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: أَوْحَى اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ إِلَى عِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ: يَا عِيسَى جِدَّ فِي أَمْرِي وَلَا تَهِنْ، وَاسْمَعْ وَأَطِعْ يَا ابْنَ الطَّاهِرَةِ الْبِكْرِ الْبَتُولِ، إِنَّكَ مِنْ غَيْرِ فَحْلٍ وَأَنَا خَلَقْتُكَ آيَةً لِلْعَالَمِينَ، إِيَّايَ فَاعْبُدْ وَعَلَيَّ فَتَوَكَّلْ، خُذِ الْكِتَابَ بِقُوَّةٍ، فَسِّرْ لِأَهْلِ السُّرْيَانِيَّةِ، بَلِّغْ مَنْ بَيْنَ يَدَيْكَ أَنِّي أَنَا الْحَيُّ الْقَائِمُ الَّذِي لَا أَزُولُ، صَدِّقُوا النَّبِيَّ الْأُمِّيَّ الْعَرَبِيَّ، صَاحِبَ الْجَمَلِ وَالتَّاجِ - وَهِيَ الْعِمَامَةُ - وَالْمِدْرَعَةِ وَالنَّعْلَيْنِ وَالْهِرَاوَةِ - وَهِيَ الْقَضِيبُ - الْأَنْجَلَ الْعَيْنَيْنِ، الصَّلْتَ الْجَبِينِ، الْوَاضِحَ الْخَدَّيْنِ، الْجَعْدَ الرَّأْسِ، الْكَثَّ اللِّحْيَةِ، الْمَقْرُونَ الْحَاجِبَيْنِ، الْأَقْنَى الْأَنْفِ، الْمُفَلَّجَ الثَّنَايَا، الْبَادِيَ الْعَنْفَقَةِ، الَّذِي كَأَنَّ عُنُقَهُ إِبْرِيقُ فِضَّةٍ، وَكَأَنَّ الذَّهَبَ يَجْرِي فِي تَرَاقِيهِ، لَهُ شَعَرَاتٌ مِنْ لَبَّتِهِ إِلَى سُرَّتِهِ تَجْرِي كَالْقَضِيبِ، لَيْسَ عَلَى بَطْنِهِ وَلَا عَلَى صَدْرِهِ شَعْرٌ غَيْرُهُ، شَثْنَ الْكَفِّ وَالْقَدَمِ، إِذَا الْتَفَتَ الْتَفَتَ جَمِيعًا، وَإِذَا مَشَى كَأَنَّمَا يَتَقَلَّعُ مِنْ صَخْرٍ وَيَنْحَدِرُ مِنْ صَبَبٍ، عَرَقُهُ فِي وَجْهِهِ كَاللُّؤْلُؤِ، وَرِيحُ الْمِسْكِ يَنْفَحُ مِنْهُ، لَمْ يُرَ قَبْلَهُ وَلَا بَعْدَهُ مِثْلُهُ، الْحَسَنَ الْقَامَةِ، الطَّيِّبَ الرِّيحِ، نَكَّاحَ النِّسَاءِ، ذَا النَّسْلِ الْقَلِيلِ، إِنَّمَا نَسْلُهُ مِنْ مُبَارَكَةٍ لَهَا بَيْتٌ - يَعْنِي فِي الْجَنَّةِ - مِنْ قَصَبٍ، لَا نَصَبَ فِيهِ وَلَا صَخَبَ، تُكَفِّلُهُ - يَا عِيسَى - فِي آخِرِ الزَّمَانِ كَمَا كَفَّلَ زَكَرِيَّا أُمَّكَ، لَهُ مِنْهَا فَرْخَانِ مُسْتَشْهَدَانِ، وَلَهُ عِنْدِي مَنْزِلَةٌ لَيْسَتْ لِأَحَدٍ مِنَ الْبَشَرِ، كَلَامُهُ الْقُرْآنُ، وَدِينُهُ الْإِسْلَامُ، وَأَنَا السَّلَامُ، طُوبَى لِمَنْ أَدْرَكَ زَمَانَهُ، وَشَهِدَ أَيَّامَهُ، وَسَمِعَ كَلَامَهُ.