আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

قصة عيسى بن مريم

ذكر منشأ عيسى ابن مريم عليهما السلام وبيان بدء الوحي إليه من الله تعالى

পৃষ্ঠা - ৯৭৭
ষ্ষ্

হযরত ঈসড়া (আ)-এব জন্ম ও ওহীর সুচনা

পুর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে যে, হযরত ঈসা (আ) বায়তৃল মুকদ্দোসের সন্নিকটে বায়তে
লাহমে’ জন্মগ্রহণ করেন ৷ কিন্তু ওহাব ইবন মুনাববিহ্ (র)-এর ধারণা, হযরত ঈসা (আ) এর
জন্ম হয় মিসরে এবং মারয়াম ও ইউসুফ ইবন ইয়াকুব আল-নাজ্জার একই পাধার পিঠে
আরোহণ করে ভ্রমণ করেন এবং পাবার পিঠের গদি ব্যতীত তাদের মধ্যে অন্য কোন আড়াল
ছিল না ৷ কিন্তু এ বর্ণনা সঠিক নয় ৷ কেননা, ইতিপুর্বে উল্লেখিত হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে
যে, ঈসা (আ) এর জন্মস্থান হচ্ছে বায়তে লাহাম ৷ সুতরাং এ হাদীসেরমুকাবিলায় অন্য যে
কোন বর্ণনা অগ্রহণযোগ্য ৷

ওহাব ইবন মুনাববিহ উল্লেখ করেছেন যে, হযরত ঈসা (আ) যখন ভুষিষ্ঠ হন তখন পুর্ব ও
পশ্চিমের সমস্ত মুর্তি ভেঙ্গে পড়ে যায় ৷ ফলে শয়তানরা অত্যন্ত বিচলিত হয়ে পড়ে ৷ এর কোন
কারণ তারা খুজে পাচ্ছিল না ৷ অবশেষে বড় ইবলীস তাদেরকে জানা নাল যে, ঈসা (আ ) এর জন্ম
, হয়েছে ৷ শয়তানরা শিশু ঈসাকে তার মায়ের কোলে আর চারদিকে ফেরেশ৩ ৷গণ দাড়িয়ে
তাকে ঘিরে রেখেছেন দেখতে পেল ৷ তারা আকাশে উদিত একটি বিরাট নক্ষত্রও দেখতে পেল ৷
পারস্য সম্রাট এই নক্ষত্র দেখে শংকিত হয়ে পড়েন এবং জোাতিষীদের নিকট এর উদিত
হওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করেন ৷ জোড়াতিষীরা জানলে, পৃথিবীতে এক মহান ব্যক্তির জন্ম হয়েছে ৷
এজন্য এই নক্ষত্র উদিত হয়েছে৷ তখন পারস্য সম্রাট উপচৌকন হিসেবে স্বর্ণ, চান্দি ও কিছু
লুবান দিয়ে নবজ্যতকের সন্ধানে কতিপয় দুত প্রেরণ করেন ৷ দুতগণ সিরিয়ার এসে পৌছে ৷
সিরিয়ার বাদশাহ তাদের আগমনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেন ৷ তারা উক্ত নক্ষত্র ও
জ্যেত্ত্বতিষীদের মন্তব্যের কথা তাকে জানায় ৷ বাদশাহ দুতদের নিকট নক্ষত্রটির উদয়কাল
সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেন ৷ উত্তর শুনে তিনি বুঝলেন, ঐ শিশুটি বায়তৃল মুকাদ্দাসে জন্ম গ্রহণকারী
মারয়াম পুত্র ঈসা ৷ ইতিমধ্যেই ব্যাপক প্রচার হয়ে গিয়েছিল যে, নবজাত শিশুটি দে লনায
থেকেই মানুষের সাথে কথা বলেছেন ৷ এরপর বাদশাহ দুতদেরকে৩ তাদের সাথে আনীত
উপচৌকনসহ শিশু ঈসা ৷র নিকট পাঠিয়ে দেন এবং এদেরকে চিনিয়ে দেয়ার জন্যে সাথে একজন
ল্যেকও দেন ৷ বাদশাহ্র উদ্দেশ্য ছিল, দুতগণ যখন উপচৌকন প্রদান করে চলে আসবে, তখন
এ লোক ঈসাকে হত্যা করে ফেলবে ৷ পারস্যের দুতগণ মড়ারয়ামের নিকট গিয়ে উপচৌকনগুলো
প্রদান করে চলে আসার সময় বলে আসলো যে, সিরিয়ার বাদশাহ আপনার নবজাত শিশুকে
হত্যা করার জন্যে চর পাঠিয়েছে ৷ এ সংবাদ শুনে মারয়াম শিশুপুত্র ঈসাকে নিয়ে মিসরে চলে
আসেন এবং একটানা বার বছর সেখানে অবস্থান করেন ৷ এ সময়ের মধ্যে ঈসা (আ)-এর
বিভিন্ন রকম কারামত ও মুজিযা প্রকাশ হতে থাকে ৷ ওহাব ইবন মুনাবৃবিহ কতিপয় মুজিযার
কথা উল্লেখ করেছেন ৷ যথা :


[ذِكْرُ مَنْشَأِ عِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ عَلَيْهِمَا السَّلَامُ وَبَيَانُ بَدْءِ الْوَحْيِ إِلَيْهِ مِنَ اللَّهِ تَعَالَى] قَدْ تَقَدَّمَ أَنَّهُ وُلِدَ بِبَيْتِ لَحْمٍ، قَرِيبًا مِنْ بَيْتِ الْمَقْدِسِ، وَزَعَمَ وَهْبُ بْنُ مُنَبِّهٍ أَنَّهُ وُلِدَ بِمِصْرَ، وَأَنَّ مَرْيَمَ سَافَرَتْ هِيَ وَيُوسُفُ بْنُ يَعْقُوبَ النَّجَّارُ، وَهِيَ رَاكِبَةٌ عَلَى حِمَارٍ. لَيْسَ بَيْنَهُمَا وَبَيْنَ الْإِكَافِ شَيْءٌ. وَهَذَا لَا يَصِحُّ، وَالْحَدِيثُ الَّذِي تَقَدَّمَ ذِكْرُهُ دَلِيلٌ عَلَى أَنَّ مَوْلِدَهُ كَانَ بِبَيْتِ لَحْمٍ، كَمَا ذَكَرْنَا، وَمَهْمَا عَارَضَهُ فَبَاطِلٌ. وَذَكَرَ وَهْبُ بْنُ مُنَبِّهٍ، أَنَّهُ لَمَّا وُلِدَ خَرَّتِ الْأَصْنَامُ يَوْمَئِذٍ فِي مَشَارِقِ الْأَرْضِ وَمَغَارِبِهَا، وَأَنَّ الشَّيَاطِينَ حَارَتْ فِي سَبَبِ ذَلِكَ، حَتَّى كَشَفَ لَهُمْ إِبْلِيسُ الْكَبِيرُ أَمْرَ عِيسَى، فَوَجَدُوهُ فِي حِجْرِ أُمِّهِ، وَالْمَلَائِكَةُ مُحْدِقَةٌ بِهِ، وَأَنَّهُ ظَهَرَ نَجْمٌ عَظِيمٌ فِي السَّمَاءِ، وَأَنَّ مَلِكَ الْفُرْسِ أَشْفَقَ مِنْ ظُهُورِهِ، فَسَأَلَ الْكَهَنَةَ عَنْ
পৃষ্ঠা - ৯৭৮
ষ্ষ্


(এক) বিবি মারয়াম মিসরের যে সর্দারের বাড়িতে অবস্থান করেন, একদা ঐ বাড়ি থেকে
একটি বস্তু হারিয়ে যায় ৷ ভিক্ষুক, দরিদ্র ও অসহায় লোকজন সে বাড়িতে বসবাস করত ৷ কে
বা কারা বন্তুটি চুরি করেছে, তা অনুসন্ধান করেও তার কোন সন্ধান পাওয়া গেল না ৷ বিষয়টি

মারয়ামকে ভীষণ চিন্তায় ফেলে দিল ৷ বাড়ির মালিক ও অন্যান্য লো ৷কজনও বিব্রত অবস্থায় পড়ে
গেল ৷ অবশেষে শিশু ঈস৷ সেখানে অবস্থানকারী এক অন্ধ ও এক পঙ্গু ব্যক্তির নিকট ৫ভুালেন
অন্ধকে বললেন, ভুমি এ পঙ্গুকে ধরে উঠাও এবংত তাকে সাথে নিয়ে চুরি করা বর্ন্ত৷ নিয়ে এস ৷
অন্ধ বলল, আমি তো তাকে উঠাতে সক্ষম নই ৷ ঈস৷ বললেন, কেন, তোমরা উভয়ে যেভাবে
ঘরের জানালা দিয়ে বন্তুটি নিয়ে এসেছিলে, সেভ৷ ৷বেইগ্ গিয়ে নিয়ে এস ৷ এ কথা শোনার পর

তারা এর সত্যতা স্বীকার করল এবং চুরি করা বন্তুটি নিয়ে আস্লো ৷ এ ঘটনার পর ঈসার
মর্যাদা মানুষের নিকট অত্যধিক বেড়ে যায় ৷ যদিও তিনি তখন শিশু মাএ ৷

(দুই) উক্ত সর্দারের পুত্র আপন সন্তানদের পবিত্রতা অর্জনের উৎসবের দিনে এক ভোজ
সভার আয়োজন করে ৷ লোকজন সমবেত হল ৷ খাওয়া-দাওয় শেষ হল ৷ সে যুগের
নিয়মানুযায়ী এখন মদ পরিবেশনের পালা ৷ কিন্তু মদ ঢালতে গিয়ে ;দখা গেল কোন কলসীতেই
মদ নেই ৷ সর্দার পুত্র ভীষণ লজ্জায় পড়ে, গেল ৷ হযরত ঈস৷ (আ) এ অবস্থা দেখে প্রতিটি
কলসীর মুখে হাত ঘুরিয়ে আসলেন ৷ ফলে সেগুলো সাথে সাথে উৎকৃষ্ট মদে পুর্ণ হয়ে গেল ৷
লোকজন এ ঘটনা দেখে বিস্মিত হলো ৷ ফলে, তাদের নিকট আরও মর্যাদা বৃদ্ধি পেল ৷ মানুষ
বিজ্যি রকম উপটোকন এনে ঈসা ও তার মার কাছে পেশ করলো কিত্তু তারা এর কিছুই গ্রহণ
করলেন না ৷ তারপর তারা বায়ভুল ঘুক ৷দ্দাসের উদ্দেশ্যে রওয়ড়ান৷ হয়ে পড়লেন ৷

ইসহ্াক ইবন বিশৃর আবু হুরায়রা (বা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ হযরত ঈসা ইবন
মারয়ামই প্রথম মানুষ, যিনি শিশুকালে কথা বলেছেন ৷ আল্লাহ্ তার রসন৷ খুলে দেন এবং তিনি
আল্লাহ্র প্রশংসায় এমন অনেক কথা বলেন, যা ইতিপুর্বে কোন কান কখনও শোনেনি ৷ এ
ৎসায় তিনি র্চাদ, সুরুজ, পর্বত, নদী, ঝর্ণা কোন কিছুকেই উল্লেখ করতে বাদ দেননি ৷

তিনি বলেন : হে আল্লাহ! সু-উচ্চ মর্যাদার থেকেও আপনি বান্দার নিকটবর্তী ৷ বান্দার
নিকটবর্তী থেকেও আপনি সু-মহড়ান মর্যাদা ৷য় অধিষ্ঠিত ৷ সমস্ত সৃষ্টিকুলের উপরে আ পনা র শক্তি
ও ক্ষমতা ৷ আপনি এমন ক্ষমতাবান সত্তা, যিনি আপন বাণী দ্বারা মহাশুনাে সাত টি স্তরে
আকাশকে সৃষ্টি ও বিন্যস্ত করেছেন ৷ এগুলো প্রথম দিকে ধোয়ার আকারে ছিল ৷ পরে আপনার
নির্দেশ মতে ওগুলো আপনার অনুগত হয় ৷ এসব আকাশে ফিরিশতাকুল আপনার মহিমা
বর্ণনায় তাসবীহ পাঠে রত ৷ এগুলোতে আপনি রাতের অন্ধকারে আলোর ব্যবস্থা করেছেন এবং
সুর্যের আলো দ্বারা দিনকে আলোকিত করেছেন ৷ আকাশে বজ্র ধ্বনিকে আপনার ত্তুতি পাঠে
নিয়োজিত রেখেছেন ৷ আপনার সক্সমের সম্মানে সেগুলোর অন্ধকার বিদুরিত হয়ে আলোয়
উদ্ভাসিত হয়ে উঠে ৷ আসমান রাজিতে আপনার স্থাপিত নক্ষত্রপ্নঞ্জরুপী প্রদীপমালার সাহায্যে
দিশাহারা পথিকগণ পথের দিশা পড়ায় ৷ অতএব হে আল্লাহ, আসমান বাজিকে বিন্যস্ত করে এবং
য়মীনকে বিন্তুত করে আপনি মহা কল্যাণ সাধন করেছেন ৷ য়মীনকে আপনি পানির উপরে
বিছিয়েছেন ৷ তারপর পানির বিশাল ঢেউয়ের উপরে উচু করে রেখেছেন এবং ঢেউণ্ডলােকে


ذَلِكَ فَقَالُوا: هَذَا لِمَوْلِدِ عَظِيمٍ فِي الْأَرْضِ. فَبَعَثَ رُسُلَهُ وَمَعَهُمْ ذَهَبٌ وَمُرٌّ وَلِبَانٌ، هَدِيَّةً إِلَى عِيسَى، فَلَمَّا قَدِمُوا الشَّامَ سَأَلَهُمْ مَلِكُهَا عَمَّا أَقْدَمَهُمْ، فَذَكَرُوا لَهُ ذَلِكَ، فَسَأَلَ عَنْ ذَلِكَ الْوَقْتِ، فَإِذَا قَدْ وُلِدَ فِيهِ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ بِبَيْتِ الْمَقْدِسِ، وَاشْتَهَرَ أَمْرُهُ بِسَبَبِ كَلَامِهِ فِي الْمَهْدِ، فَأَرْسَلَهُمْ إِلَيْهِ بِمَا مَعَهُمْ وَأَرْسَلَ مَعَهُمْ مَنْ يَعْرِفُهُ لَهُ ; لِيَتَوَصَّلَ إِلَى قَتْلِهِ إِذَا انْصَرَفُوا عَنْهُ، فَلَمَّا وَصَلُوا إِلَى مَرْيَمَ بِالْهَدَايَا وَرَجَعُوا، قِيلَ لَهَا: إِنَّ رُسُلَ مَلِكِ الشَّامِ إِنَّمَا جَاءُوا لِيَقْتُلُوا وَلَدَكِ. فَاحْتَمَلَتْهُ، فَذَهَبَتْ بِهِ إِلَى مِصْرَ، فَأَقَامَتْ بِهَا حَتَّى بَلَغَ عُمْرُهُ ثِنْتَيْ عَشْرَةَ سَنَةً، وَظَهَرَتْ عَلَيْهِ كَرَامَاتٌ وَمُعْجِزَاتٌ فِي حَالِ صِغَرِهِ، فَذَكَرَ مِنْهَا، أَنَّ الدِّهْقَانَ الَّذِي نَزَلُوا عِنْدَهُ افْتَقَدَ مَالًا مِنْ دَارِهِ، وَكَانَتْ دَارُهُ لَا يَسْكُنُهَا إِلَّا الْفُقَرَاءُ وَالضُّعَفَاءُ وَالْمَحَاوِيجُ، فَلَمْ يَدْرِ مَنْ أَخَذَهُ، وَعَزَّ ذَلِكَ عَلَى مَرْيَمَ، عَلَيْهَا السَّلَامُ، وَشَقَّ عَلَى النَّاسِ وَعَلَى رَبِّ الْمَنْزِلِ، وَأَعْيَاهُمْ أَمْرُهَا، فَلَمَّا رَأَى عِيسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، ذَلِكَ، عَمَدَ إِلَى رَجُلٍ أَعْمَى، وَآخَرَ مُقْعَدٍ مِنْ جُمْلَةِ مَنْ هُوَ مُنْقَطِعٌ إِلَيْهِ، فَقَالَ لِلْأَعْمَى: احْمِلْ هَذَا الْمُقْعَدَ وَانْهَضْ بِهِ. فَقَالَ: إِنِّي لَا أَسْتَطِيعُ ذَلِكَ. فَقَالَ: بَلَى، كَمَا فَعَلْتَ أَنْتَ وَهُوَ حِينَ أَخَذْتُمَا هَذَا الْمَالَ مِنْ تِلْكَ الْكُوَّةِ مِنَ الدَّارِ. فَلَمَّا قَالَ ذَلِكَ صَدَّقَاهُ فِيمَا قَالَ، وَأَتَيَا بِالْمَالِ، فَعَظُمَ عِيسَى فِي أَعْيُنِ النَّاسِ وَهُوَ صَغِيرٌ جِدًّا. وَمِنْ ذَلِكَ، أَنَّ ابْنَ الدِّهْقَانِ عَمِلَ ضِيَافَةً لِلنَّاسِ بِسَبَبِ طُهُورِ أَوْلَادِهِ، فَلَمَّا اجْتَمَعَ النَّاسُ وَأَطْعَمَهُمْ، ثُمَّ أَرَادَ أَنْ يَسْقِيَهُمْ شَرَابًا، يَعْنِي خَمْرًا، كَمَا
পৃষ্ঠা - ৯৭৯
ষ্ষ্


নমনীয় হওয়ার আদেশ দিয়েছেন ৷ আপনার আদেশ পালনার্থে ঢেউগুলে৷ অবনত মস্তকে নমনীয়
হয় ৷ এরপর আপনি প্রথমে সমুদ্র ও সমুদ্র থেকে নদী সৃষ্টি করেছেন ৷ তারপর ছোট ছোট নালা
ও ঝর্ণা সৃষ্টি করেছেন ৷ এরপর আপনি এ থেকে সৃষ্টি করেছেন খাল, বিল, গাছপালা ও ফল-
ফলাদি ৷ তারপর যমীনের উপরে স্থাপন করেছেন পাহাড়, পাহাড়গুলো পানির উপরে পেরেকের
ন্যায় যমীনকে স্থির করে রেখেছে ৷ এসব কাজে পর্বতমালা ও পাথরসমুহ আপনার পুর্ণ আনুগত্য
করে ৷ অতএব, হে আল্লাহ ৷ আপনি অত্যন্ত ববকতময় ৷ এমন কে আছে, যে আপনার মত করে
আপনার প্রশংসা করতে পারো কে আছে এমন, যে আপনার মত করে আপনার গুণাবলী বর্ণনা
করতে সক্ষম? আপনি যেঘপুঞ্জকে ছড়িয়ে দেন ৷ বাধা-বন্ধনকে মুক্ত করেন, সঠিক ফয়সালা
করেন, এবং আপনিই শ্রেষ্ঠ ফয়সালাকারী ৷ আপনি ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য নেই ৷ আপনি
মহা পবিত্র ৷ আপনি আমাদেকে যাবতীয় পাপ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করার হুকুম করেছেন ৷
আপনি ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই ৷ আপনি মহা পবিত্র ৷ আকাশ ৷৷মওলীকে আপনি মানুষের ধরা
ছোয়৷ থেকে দুরে রেখে দিয়েছেন ৷ আপনি ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ নেই ৷ আপনি মহা পবিত্র ৷
জ্ঞানী লােকই কেবল আপনাকে উপলব্ধি করতে পারে ৷ আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি, আপনি আমাদের
নিজেদের উদ্ভাবিত উপাস্য নন ৷ আপনি এমন পালনকর্ত৷ নন, যার আলোচনা শেষ হতে পারে ৷
আপনার কোন অ শীদার নেই যে, আপনাকে ডাকার সাথে তাদেবকেও আমরা ডাকবাে ৷
আমাদের সৃষ্টি কাজে আপনাকে কেউ সাহায্য করেনি যে, আপনার ব্যাপারে আমাদের কোন
সন্দেহ হতে পারে ৷ আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি — আপনি একক, মুখাপেক্ষীহীন, আপনি কাউকে জন্ম
দেননি, আপনাকেও কেউ জন্ম দেয়নি, কোন দিক দিয়েই আপনার সমকক্ষ কেউ নেই ৷

ইসহাক ইবন বিশ্ব ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ ঈস৷ ইবন মারয়াম
(আ) শিশু অবস্থায় একবার কথা বলেন ৷ এরপর তার কথা বলা বন্ধ হয়ে যায় ৷ অন্যান্য শিশুরা
যখন স্বাভাবিক বয়সে কথা বলে থাকে, তিনিও সে বয়সে পুনরায় কথা বলতে শুরু করেন ৷
আল্লাহ তখন তাকে যুক্তিপুর্ণ কথা ও বা ৷গিাতা শিক্ষা ৷দেন ৷ ইয়াহুদীরা ঈস৷ (আ) ও তার মা
সম্পর্কে জঘন্য উক্তি করে ৷ তাকে তারা জারজ সন্তান বলত ৷ অ ল্লা৷হ্র বাণী৪

ণ্ঐএ-হ্রন্এ

এবং তারা লা নতগ্নস্ত হয়েছিল ৩াদের কুফরীর জন্যে ও মারয়ামের বিরুদ্ধে গুরুতর
অপবাদের জন্যে ৷ (৪ নিসাঃ ১৫৬) ৷ ঈস৷ (আ) এর বয়স যখন সাত বছর, তখন তারা তাকে
লেখাপড়া শিখাবড়ার জন্যে বিদ্যালয়ে পাঠান ৷ কিন্তু ঘটনা এমন হল যে, শিক্ষক তীকে যে
বিষয়টিই শিখাতে চাইতের্ন, তিনি আগেই সে বিষয় সম্পর্কে বলে দিতেন ৷ এমতাবস্থায় এক
শিক্ষক তাকে আবু জাদ’ শিখালেন ৷ ঈস৷ জিয়ুজ্জস করলেন, আবু জাদ’ কি? শিক্ষক বললেন,
আবু জাদ কি তা আমি বলতে পারি না ৷ ঈস৷ বললেন, যে বিষয়ে আপনি জ৷ নেন না সে বিষয়ে
আমাকে কেমন করে শিখাবেনঃ শিক্ষক বললেন, তা হলে তুমিই আমাকে শিখাও ৷ ঈসা
বললেন, তবে আপনি ঐ আসন থেকে নেমে আসুন! শিক্ষক নেমে আসলেন ৷ তারপর ঈসা
(আ) সে আসলে গিয়ে বললেন এবং বললেন, আমার নিকট জিৰুজ্ঞস করুন! শিক্ষক জিজ্ঞেস
করলেন, আবু জাদ কি? উত্তরে ঈস৷ বললেন, এ ৷ দ্বারা ধ্া৷ ৷ ১৷ ৷ (আল্লাহর নিয়ামতরাশি) ৷া


كَانُوا يَصْنَعُونَ فِي ذَلِكَ الزَّمَانِ، لَمْ يَجِدْ فِي جِرَارِهِ شَيْئًا، فَشَقَّ ذَلِكَ عَلَيْهِ، فَلَمَّا رَأَى عِيسَى ذَلِكَ مِنْهُ قَامَ فَجَعَلَ يَمُرُّ عَلَى تِلْكَ الْجِرَارِ وَيَمُرُّ يَدَهُ عَلَى أَفْوَاهِهَا، فَلَا يَفْعَلُ بِجَرَّةٍ مِنْهَا ذَلِكَ إِلَّا امْتَلَأَتْ شَرَابًا مِنْ خِيَارِ الشَّرَابِ، فَتَعَجَّبَ النَّاسُ مِنْ ذَلِكَ جِدًّا، وَعَظَّمُوهُ وَعَرَضُوا عَلَيْهِ وَعَلَى أُمِّهِ مَالًا جَزِيلًا، فَلَمْ يَقْبَلَاهُ وَارْتَحَلَا قَاصِدِينَ بَيْتَ الْمَقْدِسِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ إِسْحَاقُ بْنُ بِشْرٍ: أَنْبَأَنَا عُثْمَانُ بْنُ السَّاجِ وَغَيْرُهُ، عَنْ مُوسَى بْنِ وَرْدَانَ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، وَعَنْ مَكْحُولٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: إِنَّ عِيسَى ابْنَ مَرْيَمَ أَوَّلَ مَا أَطْلَقَ اللَّهُ لِسَانَهُ، بَعْدَ الْكَلَامِ الَّذِي تَكَلَّمَ بِهِ وَهُوَ طِفْلٌ، فَمَجَّدَ اللَّهَ تَمْجِيدًا لَمْ تَسْمَعِ الْآذَانُ بِمِثْلِهِ، لَمْ يَدَعْ شَمْسًا وَلَا قَمَرًا وَلَا جَبَلًا وَلَا نَهْرًا وَلَا عَيْنًا إِلَّا ذَكَرَهُ فِي تَمْجِيدِهِ فَقَالَ: اللَّهُمَّ أَنْتَ الْقَرِيبُ فِي عُلُوِّكَ، الْمُتَعَالِي فِي دُنُوِّكَ، الرَّفِيعُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ مِنْ خَلْقِكَ، أَنْتَ الَّذِي خَلَقْتَ سَبْعًا فِي الْهَوَاءِ بِكَلِمَاتِكَ، مُسْتَوِيَاتٍ طِبَاقًا، أَجَبْنَ وَهُنَّ دُخَانٌ مِنْ فَرَقِكَ، فَأَتَيْنَ طَائِعَاتٍ لِأَمْرِكَ، فِيهِنَّ مَلَائِكَتُكَ يُسَبِّحُونَ قُدْسَكَ لِتَقْدِيسِكَ، وَجَعَلْتَ فِيهِنَّ نُورًا عَلَى سَوَادِ الظَّلَامِ، وَضِيَاءً مِنْ ضَوْءِ الشَّمْسِ بِالنَّهَارِ، وَجَعَلْتَ فِيهِنَّ الرَّعْدَ الْمُسَبِّحَ بِالْحَمْدِ، فَبِعِزَّتِكَ تَجْلُو ضَوْءَ ظُلْمَتِكَ، وَجَعَلْتَ فِيهِنَّ مَصَابِيحَ يَهْتَدِي بِهِنَّ فِي الظُّلُمَاتِ الْحَيْرَانُ، فَتَبَارَكْتَ اللَّهُمَّ فِي مَفْطُورَ سَمَاوَاتِكَ، وَفِيمَا دَحَوْتَ مِنْ أَرْضِكَ، دَحَوْتَهَا عَلَى الْمَاءِ، فَسَمَكْتَهَا
পৃষ্ঠা - ৯৮০
عَلَى تَيَّارِ الْمَوْجِ الْمُتَغَامِرِ، فَأَذْلَلْتَهَا إِذْلَالَ الْمَاءِ الْمُتَطَاهِرِ، فَذَلَّ لِطَاعَتِكَ صَعْبُهَا، وَاسْتَحْيَى لِأَمْرِكَ أَمْرُهَا، وَخَضَعَتْ لِعِزَّتِكَ أَمْوَاجُهَا، فَفَجَّرْتَ فِيهَا بَعْدَ الْبُحُورِ الْأَنْهَارَ، وَمِنْ بَعْدِ الْأَنْهَارِ الْجَدَاوِلَ الصِّغَارَ، وَمِنْ بَعْدِ الْجَدَاوِلِ يَنَابِيعَ الْعُيُونِ الْغِزَارَ ثُمَّ أَخْرَجْتَ مِنْهَا الْأَنْهَارَ وَالْأَشْجَارَ وَالثِّمَارَ، ثُمَّ جَعَلْتَ عَلَى ظَهْرِهَا الْجِبَالَ فَوَتَّدْتَهَا أَوْتَادًا عَلَى ظَهْرِ الْمَاءِ، فَأَطَاعَتْ أَطْوَادُهَا وَجُلْمُودُهَا، فَتَبَارَكْتَ اللَّهُمَّ، فَمَنْ يَبْلُغُ بِنَعْتِهِ نَعْتَكَ؟ أَمَّنْ يَبْلُغُ بِصِفَتِهِ صِفَتَكَ؟ تَنْشُرُ السَّحَابَ، وَتَفُكُّ الرِّقَابَ وَتَقْضِي الْحَقَّ، وَأَنْتَ خَيْرُ الْفَاصِلِينَ، لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ سُبْحَانَكَ، أَمَرْتَ أَنْ نَسْتَغْفِرَكَ مِنْ كُلِّ ذَنْبٍ، لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ سُبْحَانَكَ، سَتَرْتَ السَّمَاوَاتِ عَنِ النَّاسِ، لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ سُبْحَانَكَ، إِنَّمَا يَخْشَاكَ مِنْ عِبَادِكَ الْأَكْيَاسُ، نَشْهَدُ أَنَّكَ لَسْتَ بِإِلَهٍ اسْتَحْدَثْنَاكَ، وَلَا رَبٍّ يَبِيدُ ذِكْرُهُ، وَلَا كَانَ مَعَكَ شُرَكَاءُ يَقْضُونَ مَعَكَ فَنَدْعُوَهُمْ وَنَذَرَكُ، وَلَا أَعَانَكَ عَلَى خَلْقِنَا أَحَدٌ فَنَشُكَّ فِيكَ، نَشْهَدُ أَنَّكَ أَحَدٌ صَمَدٌ، لَمْ تَلِدْ وَلَمْ تُولَدْ، وَلَمْ يَكُنْ لَكَ كُفُوًا أَحَدٌ. وَقَالَ إِسْحَاقُ بْنُ بِشْرٍ، عَنْ جُوَيْبِرٍ وَمُقَاتِلٍ عَنِ الضَّحَّاكِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ: إِنَّ عِيسَى ابْنَ مَرْيَمَ أَمْسَكَ عَنِ الْكَلَامِ بَعْدَ إِذْ كَلَّمَهُمْ طِفْلًا، حَتَّى بَلَغَ
পৃষ্ঠা - ৯৮১
ষ্ষ্


দ্বারা (আল্লাহর অনুপম
সৌন্দর্য) ৷

এ উত্তর শুনে শিক্ষক বিস্মিত হয়ে গেলেন ৷ হযরত ঈসা-ই সর্ব প্রথম আবু জাদ ( ; ৷ ,ৰু ৷ )
শব্দের ব্যাখ্যা প্রদান করেন ৷

অতঃপর ইসহাক ইবন বিশর এক দীর্ঘ হাদীস উল্লেখ করে বলেছেন যে, হযরত উছমান
রাসুলুল্লাহ (না)-এর নিকট এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করেছিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ (না) তার প্রতিটি শব্দের
উত্তর দিয়েছিলেন ৷ কিন্তু এ হাদীস মাওযু জান ৷ অনুরুপ ইবন আদীও আবু সাঈদ থেকে
এক ম ৷রকু’ হাদীসের মাধ্যমে ঈসার মকতবে প্রবেশ, শিক্ষক কর্তৃক আবু জাদ এর অক্ষর
সমুহের অর্থ শিক্ষা দান ইত্যাদির উল্লেখ করেছেন ৷ কিছু এ হাদীসও গ্রহণযোগ্য নয় ৷ ইবন
আদী বলেছেন, এ হাদীস মিথ্যা ৷ ইসমাঈল ব্যতীত আর কেউ এ হাদীস বর্ণনা ৷করেন নি ৷ ইবন
লুহায়অ৷ আব্দুল্লাহ ইবন হুবায়রা থেকে বর্ণনা করেছেন যে , আব্দুল্লাহ ইবন উমর (রা ) বলেছেনঃ
ঈস৷ ইবন মারয়াম (আ) কিশোর বয়সে অন্যান্য বালকদের সাথে মাঠে খেলাধুলা করতেন ৷
মাঝে মধ্যে তিনি তাদের কাউকে ডেকে বলতেন তুমি কি চশ্ও যে, তোমার মা কি কি খাদ্য
তোমাকে না দিয়ে গোপন করে রেখেছে, আমি তা বলে দেইঃ সে বলত, বলে দিন ৷ ঈসা
বলতেন, অমুক অমুক জিনিস গোপন করে রেথোছ ৷ বালকটি তৎক্ষণাৎ দৌড়ে গিয়ে মাকে
বলত, আপনি যে সব খাদ্য আমাকে না দিয়ে গোপন করে রেখে দিয়েছেন, তা আমাকে খেতে
দিন ৷ মা বলরু ত,ন কি জিনিস আমি গোপন করে রেখেছি? বালক বলত, অমুক অমুক জিনিস ৷
মা বলতেন, এ কথা তোমাকে কে বলেছে? ছেলে বলত , ঈসা ৷ইবন মারয়াম বলেছে ৷ এ কথা
জানাজানি হয়ে যাওয়ার পর লোকজন পরামর্শ করল, আমরা যদি ছেলেদেরকে ঈসার সাথে এ
ভাবে মেলামেশার সুযোগ দিই তাহলে ঈস৷ তাদেরকে নষ্ট করে ছাড়বে ৷ সুতরাং সিদ্ধান্ত
অনুযায়ী পরদিন তারা সকল ছেলেদেরকে একটা ঘরের মধ্যে আবদ্ধ করে রাখল ৷ ঈসা
বালকদেরকে সন্ধান করে ফিরলেন; কিন্তু কাউকেও খুজে পেলেন না ৷ অবশেষে একটি ঘর
থেকে তাদের কান্নাজড়িত চিৎকার শুনতে পেয়ে সোকজনের নিকট জিজ্ঞেস করলেন, ঐ
ঘরটির ভিতর শব্দ কিসের? তারা ঈসাকে জামাল, ঘরের ওগুলো হচ্ছে বড়ানর ও শুকর ৷ তখন
ঈস৷ বললেন, হে আল্লাহ ঐ রকমই করে দিন ৷ ফলে বালকগুলাে বানর ও শুকরে পরিণত হয়ে
গেল ৷ (ইবন আসাকির)

ইসহাক ইবন বিশৃর ইবন আব্বাস (যা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ হযরত ঈস৷ আল্লাহর
ইঙ্গিত (ইলহাম) অনুযায়ী ব ৷ল্যকালে বিস্ময়কর কাজকর্ম দেখাতেন ৷ ইয়াহুদীদের মধ্যে এ কথা
ছড়িয়ে পড়ে ৷ ঈসা (আ ) বয়ােবৃদ্ধি লাভ করেন ৷ বনী ইসরাঈলরাত তার প্রতি শত্রুতা পোষণ
করতে থাকে ৷ তার মা এ জন্যে শংকিত হয়ে পড়েন ৷ তখন আল্লাহ তাকে ওহীর মাধ্যমে
ছেলেসহ মিসরে চলে যাওয়ার নির্দেশ ৷দেন ৷ কুরআন পাকে আল্লাহ বলেন ং

-এবং আমি মারয়াম তনয় ও তার মাকে করেছিলাম এক নিদর্শন, তাদেরকে আশ্রয়
দিয়েছিলাম এক নিরাপদ ও প্ৰস্রবণ ৷বিশিষ্ট উচ্চ ভুমিতে ৷ (২৩ মু’মিনুনং ৫০)

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়৷ (২য় খণ্ড) ২০
ণোণোণো(হ্রা৷ব্রা৷৪গাে০ওোড়া

مَا يَبْلُغُ الْغِلْمَانُ، ثُمَّ أَنْطَقَهُ اللَّهُ بَعْدَ ذَلِكَ بِالْحِكْمَةِ وَالْبَيَانِ، فَأَكْثَرَ الْيَهُودُ فِيهِ وَفِي أُمِّهِ مِنَ الْقَوْلِ، كَانُوا يُسَمُّونَهُ ابْنَ الْبَغِيَّةِ، وَذَلِكَ قَوْلُهُ تَعَالَى: {وَبِكُفْرِهِمْ وَقَوْلِهِمْ عَلَى مَرْيَمَ بُهْتَانًا عَظِيمًا} [النساء: 156] . قَالَ: فَلَمَّا بَلَغَ سَبْعَ سِنِينَ أَسْلَمَتْهُ أُمُّهُ فِي الْكُتَّابِ، فَجَعَلَ لَا يُعَلِّمُهُ الْمُعَلِّمُ شَيْئًا إِلَّا بَدَرَهُ إِلَيْهِ، فَعَلَّمَهُ أَبَا جَادٍ، فَقَالَ عِيسَى: مَا أَبُو جَادٍ؟ فَقَالَ الْمُعَلِّمُ: لَا أَدْرِي. فَقَالَ عِيسَى: كَيْفَ تُعَلِّمُنِي مَا لَا تَدْرِي؟ فَقَالَ الْمُعَلِّمُ: إِذًا فَعَلِّمْنِي. فَقَالَ لَهُ عِيسَى: فَقُمْ مِنْ مَجْلِسِكَ. فَقَامَ فَجَلَسَ عِيسَى مَجْلِسَهُ فَقَالَ: سَلْنِي. فَقَالَ الْمُعَلِّمُ: فَمَا أَبُو جَادٍ؟ فَقَالَ عِيسَى: الْأَلِفُ آلَاءُ اللَّهِ، الْبَاءُ بَهَاءُ اللَّهِ، الْجِيمُ بَهْجَةُ اللَّهِ وَجَمَالُهُ. فَعَجِبَ الْمُعَلِّمُ مِنْ ذَلِكَ، فَكَانَ أَوَّلَ مَنْ فَسَّرَ أَبَا جَادٍ. ثُمَّ ذَكَرَ أَنَّ عُثْمَانَ سَأَلَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، عَنْ ذَلِكَ، فَأَجَابَهُ عَلَى كُلِّ كَلِمَةٍ كَلَّمَهُ، بِحَدِيثٍ طَوِيلٍ مَوْضُوعٍ، لَا يُشَكُّ فِيهِ وَلَا يُتَمَارَى. وَهَكَذَا رَوَى ابْنُ عَدِيٍّ مِنْ حَدِيثِ إِسْمَاعِيلَ بْنِ عَيَّاشٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ يَحْيَى، عَنِ ابْنِ مُلَيْكَةَ، عَمَّنْ حَدَّثَهُ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، وَعَنْ مِسْعَرِ بْنِ كِدَامٍ، عَنْ عَطِيَّةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، رَفَعَ الْحَدِيثَ فِي دُخُولِ عِيسَى إِلَى الْكُتَّابِ وَتَعْلِيمِهِ الْمُعَلِّمَ مَعْنَى حُرُوفِ أَبِي جَادٍ، وَهُوَ مُطَوَّلٌ لَا يُفْرَحُ بِهِ. ثُمَّ قَالَ ابْنُ عَدِيٍّ وَهَذَا الْحَدِيثُ بَاطِلٌ بِهَذَا الْإِسْنَادِ، لَا يَرْوِيهِ غَيْرُ إِسْمَاعِيلَ. وَرَوَى ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ هُبَيْرَةَ، قَالَ: كَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ
পৃষ্ঠা - ৯৮২
ষ্ষ্


আয়াতে উল্লেখিত নিরাপদ ও প্রস্রবণ বিশিষ্ট উচ্চ ভুমি দ্বারা কেন্ন্থানঃকে বুঝানো হয়েছে,
ত নির্ণয়ে প্রথম যুগের উলাম ও মুফা সৃসিরগণের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে ৷ কেননা এ ধরনের
ভৈবশিষ্ট্যময় স্থান খুবই বিরল ৷ যেহেতু সম৩ ল থেকে উচ্চ ভুমি, য র উপবিভা গ হবে প্রশস্ত ও
সমতল এবং যেখানে রয়েছে পানির প্রস্রবণ ৷ টু,ন্ প্রুট্রুৰু বলা হয় এমন ঝর্ণাকে, যার পানি যমীনের
উপর দিয়ে গড়িয়ে পড়ে ৷ উচ্চ ভুমিতে এ ধরনের প্রস্রবণ সাধারণত হয় না ৷ এজন্যে এর অর্থ
নির্ণয়ে বিভিন্ন মতামতের সৃষ্টি হয়েছে যথা ং ৰু

(১) সেই স্থু ন যেখানে মসীহ্ জন্মঃহণ করেছিলেন অর্থ ৎ বয়তুল মুকদ্দাসের নিকটবর্তী
একটি খেজুর বাগান ৷ আল্লাহর বণী৪


ফেরেশতী তার নিম্নপার্শ্ব হতে আহবান করে তাকে বলল, ন্মি দৃংখ কর না তোমার
পাদদেশে তোমার প্রতিপালক এক নহর সৃষ্টি করেছেন ৷ (১৯ মরয়ম৪ ২৪) ৷ অধিকাৎশ
প্রাচীন আলিমদের মতে এটি একটি ছোট নহর ইবন আব্বাস (রা) থেকে বিশুদ্ধ সুত্রে বর্ণিত
-নহর দ্বারা এখানে দা শিমকের একাধিক নহরকে বুঝানো হয়েছে ৷ সম্ভবত তিনি দা মিশকের
নহর সমুহের সাথে ঐ স্থানের সদৃশ্যের কথা ব্যক্ত করেছেন ৷

(২) কারও কারও মতে উচ্চ ভুমি দ্বারা মিসরকে বুঝানো হয়েছে ৷ যেমন আহলে
কিতবদেব একটি অংশ এবং তাদের অনুসারীগণ ধারণা পোষণ করেন ৷

(৩) কেউ বলেছেন উচ্চ ভুমি অর্থ এখানে রসুল্লাকে বুঝানো হয়েছে

ইসহক ইবন বিশ্ব ওহব ইবন মুনাবৃবিহ থেকে বর্ণনা করেন যে, হযরত ঈসার
বয়স যখন তেব বছর, তখন আল্লাহ তাকে মিসর ত্যাগ করে ঈলিয়া যাওয়ার নির্দেশ দেন ৷
তখন ঈসার মায়ের মমত ভাই ইউসুফ এসে ঈসা ও মারয়ামকে একটি গাধার পিঠে উঠিয়ে
ঈলিয়া নিয়ে যান এবং সেখানেই অবস্থান করতে থাকেন ৷ আল্লাহ এখানেই তার উপর ইনজীল
অবতীর্ণ করেন, তওরাত শিক্ষা দেন, মৃতকে জীবিত করা, রোগীকে আরোগ্য করা, বাড়িতে
প্ৰস্ততকৃত খাদ্য সম্পর্কে না দেখেই জানিয়ে দেওয়ার জ্ঞান দান করেন ৷ ঈলিয়ার লোকদের
মধ্যে তার আগমন বার্তা পৌছে যায় ৷৩ তার দ্বারা বিস্ময়কর ঘটনাবলী প্রকাশিত হতে দেখে
তরা থাংড়িয়ে যায় এবংঅ আশ্চর্যবোধ করতে থাকে ৷ ঈসা (আ) তাদেরকে আল্লাহর দিকে
আহবান জানান ৷ এভাবে তীর নবুওতী প্রচার কার্য জনগণের মধ্যে বিকাশ লাভ করে ৷

প্রসিদ্ধ চারখানা আসমানী কিতাব নাযিলের সময়কাল

আবু যুরআ দমেশকী (র) বর্ণনা করেন যে, তওরাত কিতাব হযরত মুসা (আ)-এর উপর
৬ রমযানে অবতীর্ণ হয় ৷ এর চার শ’ বিরাশি বছর পর হযরত দাউদ (অ)-এর উপর যাবুর
নাযিল হয় ১২ রমযানে এর এক হাজার পঞ্চাশ বছর পর ১৮ রমযানে হযরত ঈসা (আ) এর
উপর ইনজীল অবতীর্ণ হয় এবং ২৪ রমযানে হযরত মুহাম্মদ (সা ) এর উপর কুরআন মজিদ
নাযিল হয় ৷ ৷ ট্রু;ষ্৷ ৷ ৰুট্রু প্ হু,ৰু৷ এে;ার্দু৷ ছু,£;পুর্মু,,ছুৰু:

ণোণোণো ৫০ শে)

عَمْرٍو يَقُولُ: كَانَ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ وَهُوَ غُلَامٌ يَلْعَبُ مَعَ الصِّبْيَانِ، فَكَانَ يَقُولُ لِأَحَدِهِمْ: تُرِيدُ أَنْ أُخْبِرَكَ مَا خَبَّأَتْ لَكَ أُمُّكَ؟ فَيَقُولُ: نَعَمْ. فَيَقُولُ: خَبَّأَتْ لَكَ كَذَا وَكَذَا. فَيَذْهَبُ الْغُلَامُ مِنْهُمْ إِلَى أُمِّهِ فَيَقُولُ لَهَا: أَطْعِمِينِي مَا خَبَّأْتِ لِي. فَتَقُولُ: وَأَيُّ شَيْءٍ خَبَّأْتُ لَكَ؟ فَيَقُولُ: كَذَا وَكَذَا. فَتَقُولُ لَهُ: مَنْ أَخْبَرَكَ؟ فَيَقُولُ: عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ. فَقَالُوا: وَاللَّهِ لَئِنْ تَرَكْتُمْ هَؤُلَاءِ الصِّبْيَانَ مَعَ ابْنِ مَرْيَمَ لَيُفْسِدَنَّهُمْ. فَجَمَعُوهُمْ فِي بَيْتٍ وَأَغْلَقُوا عَلَيْهِمْ، فَخَرَجَ عِيسَى يَلْتَمِسُهُمْ فَلَمْ يَجِدْهُمْ، فَسَمِعَ ضَوْضَاءَهُمْ فِي بَيْتٍ، فَسَأَلَ عَنْهُمْ، فَقَالُوا: إِنَّمَا هَؤُلَاءِ قِرَدَةٌ وَخَنَازِيرُ. فَقَالَ: اللَّهُمَّ كَذَلِكَ. فَكَانُوا كَذَلِكَ. رَوَاهُ ابْنُ عَسَاكِرَ. وَقَالَ إِسْحَاقُ بْنُ بِشْرٍ، عَنْ جُوَيْبِرٍ وَمُقَاتِلٍ، عَنِ الضَّحَّاكِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: وَكَانَ عِيسَى يَرَى الْعَجَائِبَ فِي صِبَاهُ إِلْهَامًا مِنَ اللَّهِ، فَفَشَا ذَلِكَ فِي الْيَهُودِ، وَتَرَعْرَعَ عِيسَى فَهَمَّتْ بِهِ بَنُو إِسْرَائِيلَ، فَخَافَتْ أُمُّهُ عَلَيْهِ، فَأَوْحَى اللَّهُ إِلَى أُمِّهِ أَنْ تَنْطَلِقَ بِهِ إِلَى أَرْضِ مِصْرَ ; فَذَلِكَ قَوْلُهُ تَعَالَى: {وَجَعَلْنَا ابْنَ مَرْيَمَ وَأُمَّهُ آيَةً وَآوَيْنَاهُمَا إِلَى رَبْوَةٍ ذَاتِ قَرَارٍ وَمَعِينٍ} [المؤمنون: 50] . وَقَدِ اخْتَلَفَ السَّلَفُ وَالْمُفَسِّرُونَ فِي الْمُرَادِ بِهَذِهِ الرَّبْوَةِ الَّتِي ذَكَرَ اللَّهُ مِنْ صِفَتِهَا أَنَّهَا ذَاتُ قَرَارٍ وَمَعِينٍ، وَهَذِهِ صِفَةٌ غَرِيبَةُ الشَّكْلِ ; وَهِيَ أَنَّهَا رَبْوَةٌ، وَهُوَ الْمَكَانُ الْمُرْتَفِعُ مِنَ الْأَرْضِ، الَّذِي أَعْلَاهُ مُسْتَوٍ يُقَرُّ عَلَيْهِ، فَمَعَ ارْتِفَاعِهِ، مُتَّسِعٌ،
পৃষ্ঠা - ৯৮৩
وَمَعَ عُلُوِّهِ، فِيهِ عَيْنٌ مِنَ الْمَاءِ مَعِينٌ ; وَهُوَ الْجَارِي السَّارِحُ عَلَى وَجْهِ الْأَرْضِ، فَقِيلَ: الْمُرَادُ الْمَكَانُ الَّذِي وَلَدَتْ فِيهِ الْمَسِيحَ. وَهُوَ مَحِلَّةُ بَيْتِ الْمَقْدِسِ وَلِهَذَا {فَنَادَاهَا مِنْ تَحْتِهَا أَلَّا تَحْزَنِي قَدْ جَعَلَ رَبُّكِ تَحْتَكِ سَرِيًّا} [مريم: 24] وَهُوَ النَّهْرُ الصَّغِيرُ، فِي قَوْلِ جُمْهُورِ السَّلَفِ. وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ بِإِسْنَادٍ جَيِّدٍ، أَنَّهَا أَنْهَارُ دِمَشْقَ. فَلَعَلَّهُ أَرَادَ تَشْبِيهَ ذَلِكَ الْمَكَانِ بِأَنْهَارِ دِمَشْقَ. وَقِيلَ: ذَلِكَ بِمِصْرَ. كَمَا زَعَمَهُ مَنْ زَعَمَهُ مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ وَمَنْ تَلَقَّاهُ عَنْهُمْ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقِيلَ: هِيَ الرَّمْلَةُ. وَقَالَ إِسْحَاقُ بْنُ بِشْرٍ: قَالَ لَنَا إِدْرِيسُ، عَنْ جَدِّهِ وَهْبِ بْنِ مُنَبِّهٍ، قَالَ: إِنَّ عِيسَى لَمَّا بَلَغَ ثَلَاثَ عَشْرَةَ سَنَةً، أَمَرَهُ اللَّهُ أَنْ يَرْجِعَ مِنْ بِلَادِ مِصْرَ إِلَى بَيْتِ إِيلِيَا. قَالَ: فَقَدِمَ عَلَيْهِ يُوسُفُ ابْنُ خَالِ أُمِّهِ، فَحَمَلَهُمَا عَلَى حِمَارٍ، حَتَّى جَاءَ بِهِمَا إِلَى إِيلِيَا وَأَقَامَ بِهَا حَتَّى أَحْدَثَ اللَّهُ لَهُ الْإِنْجِيلَ، وَعَلَّمَهُ التَّوْرَاةَ، وَأَعْطَاهُ إِحْيَاءَ الْمَوْتَى، وَإِبْرَاءَ الْأَسْقَامِ، وَالْعِلْمَ بِالْغُيُوبِ مِمَّا يَدَّخِرُونَ فِي بُيُوتِهِمْ، وَتَحَدَّثَ النَّاسُ بِقُدُومِهِ، وَفَزِعُوا لِمَا كَانَ يَأْتِي مِنَ الْعَجَائِبِ، فَجَعَلُوا يَعْجَبُونَ مِنْهُ، فَدَعَاهُمْ إِلَى اللَّهِ فَفَشَا فِيهِمْ أَمْرُهُ.