আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

قصة عيسى بن مريم

قصة مريم والبشارة بعيسى

পৃষ্ঠা - ৯২৯
ষ্ষ্

হযরত ঈসা (আ)-এর বিবরণ

খৃষ্টান সম্প্রদায়ের বিশ্বাস, আল্লাহ্র সন্তান আছে ৷ তাদের এ ভ্রান্ত বিশ্বাসের খণ্ডনে আল্লাহ
তাআলা সুরা আলে-ইমরানের প্রথম দিকে ধারাবাহিকভাবে তিরাশিটি আয়াত অবতীর্ণ
করেছেন ৷ নাজরান থেকে খৃষ্টানদের একটি প্রতিনিধিদল রাসুলে করীম (না)-এর নিকট
উপস্থিত হয়ে তাদের ভ্রান্ত ধর্ম-বিশ্বাসের কথা ব্যক্ত করে বলে যে,৩ তারা ত্রিতৃবড়াদে বিশ্বাসী এবং
তাদের ধ বণা অনুসারে আল্লাহ হচ্ছেন তিন সত্তার এক সত্তা ৷৩ তাদের মধ্যকার বিভিন্ন দল
উপদলের মধ্যে এক দলের মতে সেই তিন সত্তা হলং আল্লাহ ঈসা (আ) ও মারয়াম ৷ এই
প্রেক্ষাপটে আল্লাহ৩ তা জানা সুরার প্রারন্তে উক্ত বিষয়ে আয়াত নাযিল করেন ৷ তাতে তিনি বলেন
যে, ঈসা (আ) আল্লাহ্র বন্দোদের মধ্যকার একজন বন্দো ৷ অন্যান্য সৃষ্টির ন্যায় আল্লাহ তড়াকেও
সৃষ্টি করেছেন এবং মাতৃগর্ভে আকৃতি দান করেছেন ৷ তবে, আল্লাহ তাকে পিতা ছাড়াই সৃষ্টি
করেছেন, যেমন আদমকে পিতা ও মতো ছাড়া পয়দা করেছেন ৷ তার ক্ষেত্রে তিনি কেবল
বলেছেন কুন’ (হয়ে যাও) তখনই তিনি সৃষ্ট হয়ে যান ৷ এ সুরায় আল্লাহ ঈসার মাতা
মাবৃয়ামের জন্মের বৃত্তান্ত এবং তার বৈশিষ্ট্যড়াবলীং এবং ঈসার গর্ভধারণ সম্পর্কে বর্ণনা করেছেন ৷
সুরা মার য়ামেও এ সম্পর্কে তিনি বিশদ বর্ণনা করেছেন ৷ সে বিষয়ে আমরা পরে আলোচনা
করব ৷ সুরা আলে-ইমরানে আল্লাহ তাআলা বলেন :

স্পেএে ৷ ন্থএ৷ ৷ৰু,
<ন্টু১
স্পো ৷ চু;ট্রু,৷ পুা

াট্র১;;

ধ্ট্রুক্ট্রছু ,দ্বু
এেট্রুষ্

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (২য় খণ্ড) ১৫-

[قِصَّةُ عِيسَى بْنِ مَرْيَمَ] [قِصَّةُ مَرْيَمَ وَالْبِشَارَةِ بِعِيسَى] َ، عَلَيْهِ مِنَ اللَّهِ أَفْضَلُ الصَّلَاةِ وَالسَّلَامِ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى فِي سُورَةِ " آلِ عِمْرَانَ "، الَّتِي أُنْزِلَ صَدْرُهَا، وَهُوَ ثَلَاثٌ وَثَمَانُونَ آيَةً مِنْهَا، فِي الرَّدِّ عَلَى النَّصَارَى، عَلَيْهِمْ لَعَائِنُ اللَّهِ، الَّذِينَ زَعَمُوا أَنَّ لِلَّهِ وَلَدًا، تَعَالَى اللَّهُ عَمَّا يَقُولُونَ عُلُوًّا كَبِيرًا، وَكَانَ قَدْ قَدِمَ وَفْدُ نَجْرَانَ مِنْهُمْ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَجَعَلُوا يَذْكُرُونَ مَا هُمْ عَلَيْهِ مِنَ الْبَاطِلِ، مِنَ التَّثْلِيثِ فِي الْأَقَانِيمِ، وَيَدَّعُونَ - بِزَعْمِهِمْ - أَنَّ اللَّهَ ثَالِثُ ثَلَاثَةٍ ; وَهُمُ الذَّاتُ الْمُقَدَّسَةُ، وَعِيسَى، وَمَرْيَمُ، عَلَى اخْتِلَافِ فِرَقِهِمْ، فَأَنْزَلَ اللَّهُ، عَزَّ وَجَلَّ، صَدْرَ هَذِهِ السُّورَةِ بَيَّنَ فِيهَا، أَنَّ عِيسَى عَبْدٌ مِنْ عِبَادِ اللَّهِ، خَلَقَهُ وَصَوَّرَهُ فِي الرَّحِمِ، كَمَا صَوَّرَ غَيْرَهُ مِنَ الْمَخْلُوقَاتِ، وَأَنَّهُ خَلَقَهُ مِنْ غَيْرِ أَبٍ، كَمَا خَلَقَ آدَمَ مِنْ غَيْرِ أَبٍ وَلَا أُمٍّ وَقَالَ لَهُ: كُنْ. فَكَانَ، وَبَيَّنَ تَعَالَى أَصْلَ مِيلَادِ أُمِّهِ مَرْيَمَ، وَكَيْفَ كَانَ مِنْ أَمْرِهَا، وَكَيْفَ حَمَلَتْ بِوَلَدِهَا عِيسَى، وَكَذَلِكَ بَسَطَ ذَلِكَ فِي سُورَةِ " مَرْيَمَ " كَمَا سَنَتَكَلَّمُ عَلَى ذَلِكَ كُلِّهِ بِعَوْنِ اللَّهِ وَحُسْنِ تَوْفِيقِهِ وَهِدَايَتِهِ، فَقَالَ تَعَالَى وَهُوَ أَصْدَقُ الْقَائِلِينَ: {إِنَّ اللَّهَ اصْطَفَى آدَمَ وَنُوحًا وَآلَ إِبْرَاهِيمَ وَآلَ عِمْرَانَ عَلَى الْعَالَمِينَ ذُرِّيَّةً بَعْضُهَا مِنْ بَعْضٍ وَاللَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ إِذْ قَالَتِ امْرَأَةُ عِمْرَانَ رَبِّ إِنِّي نَذَرْتُ لَكَ مَا فِي بَطْنِي مُحَرَّرًا فَتَقَبَّلْ مِنِّي إِنَّكَ أَنْتَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ فَلَمَّا وَضَعَتْهَا قَالَتْ رَبِّ إِنِّي وَضَعْتُهَا أُنْثَى وَاللَّهُ أَعْلَمُ بِمَا وَضَعَتْ وَلَيْسَ الذَّكَرُ كَالْأُنْثَى وَإِنِّي سَمَّيْتُهَا مَرْيَمَ وَإِنِّي أُعِيذُهَا بِكَ وَذُرِّيَّتَهَا مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ فَتَقَبَّلَهَا رَبُّهَا بِقَبُولٍ حَسَنٍ وَأَنْبَتَهَا نَبَاتًا حَسَنًا وَكَفَّلَهَا زَكَرِيَّا كُلَّمَا دَخَلَ عَلَيْهَا زَكَرِيَّا الْمِحْرَابَ وَجَدَ عِنْدَهَا رِزْقًا قَالَ يَا مَرْيَمُ أَنَّى لَكِ هَذَا قَالَتْ هُوَ مِنْ عِنْدِ اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ يَرْزُقُ مَنْ يَشَاءُ بِغَيْرِ حِسَابٍ} [آل عمران: 33] [آلِ عِمْرَانَ: 33 - 37] .
পৃষ্ঠা - ৯৩০
ষ্ষ্


-নিশ্চয়ই আদমকে, নুহকে ও ইবরাহীমের বংশধর এবং ইমরানের বংশধ্রকে আল্লাহ
বিশ্বজগতে মনোনীত করেছেন ৷ এরা একে অপরের বংশধর ৷ আল্লাহ সর্বগ্রোতা, সর্বজ্ঞ ৷ স্মরণ
কর, যখন ইমরানের শ্রী বলেছিল, হে আমার প্রতিপালক ! আমার গর্ভে যা’ আছে তা একান্ত
তোমার জন্যে আমি উৎসর্গ করলাম ৷ সুতরাং তুমি আমার নিকট হতে তা কবুল কর, তুমি
সর্বভৈশ্রাতা, সর্বজ্ঞ ; অতঃপর যখন সে তাকে প্ৰসব করল তখন সে বলল, হে আমার
প্রতিপালক! আমি কন্যা প্রসব করেছি ৷ সে যড়া’ প্রসব করেছে, আল্লাহ তা’ সম্যক অবগত ৷
ছেলে তো এই মেয়ের মত নয় আমি তার নাম মারয়াম রেখেছি এবং অভিশপ্ত শয়তান হতে
তার ও তার বংশধরদের জন্যে তোমার শরণ নিচ্ছি ৷ তারপর তার প্রতিপালক তাকে সাগ্রহে
কবুল করলেন এবং তাকে উত্তমরুপে লালনপালন করলেন এবং তিনি তাকে যাকারিয়ার
তত্ত্বাবধানে রেখেছিলেন ৷ যখনই যাকারিয়া কক্ষে তার সাথে সাক্ষাত করতে যেত, তখনই তার
নিকট খাদ্য-সামগ্রী দেখতে পেত ৷ সে বলত, হে মাবয়াম! এ সব তুমি কোথায় গেলো সে
বলত , এটা আল্লাহর নিকট হতে ৷ আল্লাহ যাকে ইচ্ছা অপরিমিত জীবনোপকরণ দান করেন ৷
(৩ আবুল-ইমরান : ৩৩-৩ ৭ )

আল্লাহ এখানে আদম (আ)-কে এবং তার সন্তানদের মধ্যে যারা তার আনুগত্য ও অনুসরণে
অটল ও অৰিচল রয়েছিলেন, তাদের কথা উল্লেখ করেছেন ৷ তারপর বিশেষভাবে বলেছেন,
ইবরাহীমের বংশধরদের কথা ৷ এর মধ্যে উক্ত বংশের ইসমাঈলী শাখা ও ইসহাকের শাখা
অন্তর্ভুক্ত ৷ এরপর তিনি এই পুতপবিত্র আলে-ইমরানের বা ইমরান পরিবারের ফষীলত বর্ণনা
করেছেন ৷ এখানে ইমরান বলতে মড়াবয়ামের পিতাকে বুঝানো হয়েছে ৷ মুহাম্মদ ইবন ইনহাক
ইমরানের নসবনড়ামা উল্লেখ করেছেন এভাবে : ইমরান ইবন বাশিম ইবন আমুন ইবন মীশা
ইবন হিযকিয়া ইবন আহ্রীক ইবন মৃছাম ইবন আযাযিয়া ইবন আমসিয়া ইবন ইয়াউশ ইবন
আহ্রীহু ইবন ইয়াযাম ইবন ইয়ড়াহ্ফাশাত ইবন ঈশা ইবন আয়ান ইবন রাহ্বিআম ইবন
সুলায়মান ইবন দাউদ (আ) ৷ অপর দিকে ইবন অসােকিরের বর্ণনা মতে হযরত মার য়ামের
বংশধারা নিম্নরুপ : মাবয়াম বিনৃত ইমরান ইবন মাছান ইবনুল আযির ইবনুল ইয়াওদ ইবন
আখনার ইবন সাদুক ইবন আয়াবুয ইবন আল-য়াফীম ইবন আয়বুদ ইবন যারয়াবীল ইবন
শালতাল ইবন য়ুহায়না ইবন ৰারশা ইবন আমুন ইবন মীশা ইবন হাযকা ইবন আহায ইবন
মাওছাম ইবন আযরিয়া ইবন য়ুরাম ইবন য়ুশাফাত ইবন ঈশা ইবন ঈবা ইবন রাহরিআম ইবন
সুলায়মান ইবন দাউদ (আ) ৷ মুহাম্মাদ ইবন ইসহাকের বর্ণিত নসব-নামার সাথে এই
নসব-নামার যথেষ্ট পার্থক্য আছে; তবে মারয়াম যে দাউদ (আ)-এর বংশধর, এ ব্যাপারে কোন
বিরোধ নেই ৷ মার য়ামের পিতা ইমরান ছিলেন সে যুগে বনী ইসরাঈলের ইমাম ৷ তার মা হান্না
ৰিনৃত ফাকুদ ইবন কাবীল ছিলেন ইবাদতগুজার মহিলা ৷ হযরত যাকারিয়া (আ) ছিলেন সে
যুগের নবী ৷

অধিকাৎশ ঐতিহাসিকের মতে তিনি ছিলেন মাবয়ামের বোন আশৃইয়া’র স্বামী ৷ কিন্তু
কারও কারও মতে মারয়ামের খালার নাম ছিল আশইয়া এবং যাকারিয়া ছিলেন এই
আশইয়ার স্বামী ৷


يَذْكُرُ تَعَالَى أَنَّهُ اصْطَفَى آدَمَ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَالْخُلَّصَ مِنْ ذُرِّيَّتِهِ الْمُتَّبِعِينَ شَرْعَهُ الْمُلَازِمِينَ طَاعَتَهُ، ثُمَّ خَصَّصَ فَقَالَ: وَآلَ إِبْرَاهِيمَ، فَدَخَلَ فِيهِمْ بَنُو إِسْمَاعِيلَ، وَبَنُو إِسْحَاقَ. ثُمَّ ذَكَرَ فَضْلَ هَذَا الْبَيْتِ الطَّاهِرِ الطَّيِّبِ، وَهُمْ آلُ عِمْرَانَ، وَالْمُرَادُ بِعِمْرَانَ هَذَا وَالِدُ مَرْيَمَ عَلَيْهِمَا السَّلَامُ، قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: وَهُوَ عِمْرَانُ بْنُ بَاشِمَ بْنُ أَمُونَ بْنِ مَنْشَا بْنِ حِزْقِيَا بْنِ أَحْزِيقَ بْنِ مَوْثِمَ بْنِ عَزَارْيَا بْنِ أَمْصِيَا بْنِ يَاوِشَ بْنِ أَحْزِيهُو بْنُ يَارِمَ بْنُ يَهْفَاشَاطَ بْنِ أَيْشِ بْنِ أَبَانَ بْنِ رَحْبَعَامَ بْنِ سُلَيْمَانَ بْنِ دَاوُدَ.
পৃষ্ঠা - ৯৩১
وَقَالَ أَبُو الْقَاسِمِ ابْنُ عَسَاكِرَ: مَرْيَمُ بِنْتُ عِمْرَانَ بْنِ مَاتَانَ بْنِ الَيعَازِرَ بْنِ الْيُودِ بْنِ أَجْبَنَ بْنِ صَادُوقَ بْنِ عَيَازُورَ بْنِ الْيَاقِيمِ بْنِ أَيْبُودَ بْنِ زَرْبَائِيلَ بْنِ شَالْتَانِ بْنِ يُوحِنْيَا بْنِ بِرِسْتِيَا بْنِ آمُونَ بْنِ مِيشَا بْنِ حَزْقِيلَ بْنِ أَجَازَ بْنِ يُوثَامَ بْنِ عَزِرْيَا بْنِ بُورَامَ بْنِ بُوسَافَاطَ بْنِ أَسَا بْنِ أَبْيَا بْنِ رَخِيعَمَ بْنِ سُلَيْمَانَ بْنِ دَاوُدَ، عَلَيْهِ السَّلَامُ. وَفِيهِ مُخَالَفَةٌ لِمَا ذَكَرَهُ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، وَلَا خِلَافَ أَنَّهَا مِنْ سُلَالَةِ دَاوُدَ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَكَانَ أَبُوهَا عِمْرَانُ صَاحِبَ صَلَاةِ بَنِي إِسْرَائِيلَ فِي زَمَانِهِ، وَكَانَتْ أُمُّهَا، وَهِيَ حَنَّةُ بِنْتُ فَاقُودَ بْنِ قُبَيْلَ، مِنَ الْعَابِدَاتِ، وَكَانَ زَكَرِيَّا نَبِيُّ ذَلِكَ الزَّمَانِ زَوْجَ أُخْتِ مَرْيَمَ أَشْيَاعَ فِي قَوْلِ الْجُمْهُورِ، وَقِيلَ: زَوْجُ خَالَتِهَا أَشْيَاعَ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ ذَكَرَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ وَغَيْرُهُ، أَنَّ أُمَّ مَرْيَمَ كَانَتْ لَا تَحْبَلُ، فَرَأَتْ يَوْمًا طَائِرًا يَزُقُّ فَرْخًا لَهُ،
পৃষ্ঠা - ৯৩২
ষ্ষ্


মুহাম্মদ ইবন ইসহাক ও অন্যান্য ঐতিহাসিকগণ লিখেছেন, মাবৃয়ামের মায়ের কোন সন্তান
হতো না ৷ এ অবস্থায় একদিন তিনি দেখেন যে, একটি পাথী তার ছানাকে আদর-সােহাগ
করছে ৷ এ দৃশ্য দেখে তার অম্ভরে সন্তান লাভের অদম্য আগ্রহ জাগে ৷ তখনই তিনি মানত
করলেন যে, তিনি যদি গর্জাতী হন তবে তার পুত্র সন্তানকে আল্লাহর জন্যে উৎসর্গ করবেন ৷
অর্থাৎ বায়তু ল মুকাদ্দাসের খাদিম বানাবেন ৷ মানত করার সাথে সাথেই তার মাসিক স্রাব আরম্ভ
হয়ে যায় ৷ পবিত্র হওয়ার পর তার স্বামী তার সাথে মিলিত হন এবং মারয়াম তার গর্ভে
আসেন ৷ আ ল কুরআনের৩ ভাষ্য হচ্ছে অতংপর সে যখন তাকে প্ৰসব করল তখন সে বলল, হে
আমার প্রতিপালক! আমি কন্যা প্ৰসব করেছি ৷ অথচ সে যা প্ৰসব করেছিল আল্লাহ তা সম্যক
অবগত ৷ ট্রট্রুশ্ৰুও১১ এর অন্য কেরাত ছু১ছুছুণ্ট্রু অর্থাৎ আমি না প্ৰসব করেছি ৷ “আর পুত্র সন্তান
কন্যা সন্তানের মত হয় যায় ৷” অর্থাৎ বায়তুল মুকাদ্দাসের থেদমতের ব্যাপারে ৷ সে যুগের
লোক বায়তুল মুকাদ্দাসের থেদমতের জন্যে নিজেদের সন্তান মানত করত ৷ “মারয়ামের মায়ের
উক্তি, আমি তার নাম রাখলাম মারয়াম ৷” এ আয়াত থেকে দলীল গ্রহণ করে কেউ কেউ জন্মের
দিনেই সন্তানের নামকরণের কথা বলেছেন ৷ বুখারী ও মুসলিমে হযরত আনাস (বা) থেকে
হাদীছ বর্ণিত আছে যে, তিনি তার নবজাত ভাইকে রাসুলুল্লাহ (সা)-এর নিকট নিয়ে যান ৷
রাসুলুল্লাহ (সা) একটি থােরমা চিবিয়ে তার রস নব-জাতকের মুখে দেন এবং তার নামকরণ
করেন আবদুল্লাহ ৷ হযরত হাসান (র) ছামুর৷ (রা) সুত্রে মারকু’ হাদীস বর্ণিত আছে, “প্রত্যেক
পুত্র-সন্তান তার আকীকার দ্বারা সুরক্ষিত ৷ জন্মের সপ্তম দিনে তার পক্ষ থেকে পশু জবাই
করবে, তার নামকরণ করবে এবং মাথার চুল মুণ্ডন করবে ৷ ” এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ইমাম
আহমদসহ সকল সুনান গ্রন্থকার এবং তিরমিযী একে সহীহ্ বলে অভিহিত করেছেন ৷ এ
হাদীছের কোন কোন বর্ণনায় নামকরণে (ক্লেন্) এর স্থলে রক্তপ্রবাহিত করণ (র্সে১াৰু) এর
উল্লেখ আছে ৷ কেউ কেউ এ বর্ণনাকেও সহীহ বলেছেন ৷

তারপর মারয়াম বললেন, “আমি একে এবং এর ভবিষ্যৎ বংশধরকে বিতাড়িত শয়তান
থেকে রক্ষা করার জন্যে তােমারই শরণ নিচ্ছি ৷ মাবৃয়ামের মায়ের এই দোয়া তার মানতের
মতই কবুল হয়েছিল ৷ এ সম্পর্কে হাদীসেও উল্লেখ পাওয়া য়ায় ৷ ইমাম আহমদ আবু
হুরায়রা (বা) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন : যে কোন সন্তান ভুমিষ্ঠ হওয়ার
সময় শয়তান তাকে স্পর্শ করে, তাই সে চিৎকার করে র্কাদতে থাকে, কেবল মারয়াম ও তার
পুত্র এর ব্যতিক্রম ৷ আবু হুরায়রা (রা) বলেন, তোমরা ইচ্ছে করলে কুরআনের এ আয়াত

fl ’

পড়তে ৷ ন্ ৷ ,

এ উভয় হাদীস আবদুর রায্যাক (র) সুত্রে বর্ণিত ৷ ইবন জারীর আবু হুরায়রা (রা)
থেকে অনুরুপ হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ ইমাম আহ্মদ৩ ভিন্ন সুত্রে আবু হুরায়রা (বা) থেকে
এ হাদীসটি নিম্নরুপভাবে বর্ণনা করেছেন; নবী করীম (সা) বলেছেন : বনী-আদমের প্রতিটি
নবজাত শিশুকে শয়তান আঙ্গুল দিয়ে স্পর্শ করে, কেবল মাবৃয়াম বিনৃত ইমরান ও তার পুত্র
ঈসা এর ব্যতিক্রম ৷ এ হাদীসটি কেবল এই একটি সুত্রেই বর্ণিত হয়েছে ৷ ইমাম মুসলিমও ভিন্ন
সনদে আবু হুরায়রা (রা) থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ ইমাম আহমদ ভিন্ন সুত্রে আবু


فَاشْتَهَتِ الْوَلَدَ، فَنَذَرَتْ لِلَّهِ إِنْ حَمَلَتْ لَتَجْعَلَنَّ وَلَدَهَا مُحَرَّرًا ; أَيْ حَبِيسًا فِي خِدْمَةِ بَيْتِ الْمَقْدِسِ. قَالُوا: فَحَاضَتْ مِنْ فَوْرِهَا، فَلَمَّا طَهُرَتْ وَاقَعَهَا بَعْلُهَا، فَحَمَلَتْ بِمَرْيَمَ، عَلَيْهَا السَّلَامُ {فَلَمَّا وَضَعَتْهَا قَالَتْ رَبِّ إِنِّي وَضَعْتُهَا أُنْثَى وَاللَّهُ أَعْلَمُ بِمَا وَضَعَتْ} [آل عمران: 36] وَقُرِئَ بِضَمِّ التَّاءِ {وَلَيْسَ الذَّكَرُ كَالْأُنْثَى} [آل عمران: 36] أَيْ: فِي خِدْمَةِ بَيْتِ الْمَقْدِسِ، وَكَانُوا فِي ذَلِكَ الزَّمَانِ يَنْذِرُونَ لِبَيْتِ الْمَقْدِسِ خُدَّامًا مِنْ أَوْلَادِهِمْ. وَقَوْلُهَا: {وَإِنِّي سَمَّيْتُهَا مَرْيَمَ} [آل عمران: 36] اسْتُدِلَّ بِهِ عَلَى تَسْمِيَةِ الْمَوْلُودِ يَوْمَ يُولَدُ، وَكَمَا ثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " «عَنْ أَنَسٍ فِي ذَهَابِهِ بِأَخِيهِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَحَنَّكَ أَخَاهُ وَسَمَّاهُ عَبْدَ اللَّهِ.» وَجَاءَ فِي حَدِيثِ الْحَسَنِ عَنْ سَمُرَةَ مَرْفُوعًا: «كُلُّ غُلَامٍ رَهِينَةٌ بِعَقِيقَتِهِ، تُذْبَحُ عَنْهُ يَوْمَ سَابِعِهِ، وَيُسَمَّى وَيُحْلَقُ رَأْسُهُ» رَوَاهُ أَحْمَدُ، وَأَهْلُ السُّنَنِ، وَصَحَّحَهُ التِّرْمِذِيُّ، وَجَاءَ فِي بَعْضِ أَلْفَاظِهِ: وَ " يُدَمَّى " بَدَلَ: وَ " يُسَمَّى ". وَصَحَّحَهُ بَعْضُهُمْ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَوْلُهَا: {وَإِنِّي أُعِيذُهَا بِكَ وَذُرِّيَّتَهَا مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ} [آل عمران: 36] قَدِ اسْتُجِيبَ لَهَا فِي هَذَا، كَمَا تُقُبِّلَ مِنْهَا نَذْرُهَا ; فَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنِ ابْنِ الْمُسَيِّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَا مِنْ مَوْلُودٍ إِلَّا وَالشَّيْطَانُ يَمَسُّهُ حِينَ يُولَدُ فَيَسْتَهِلُّ صَارِخًا مِنْ مَسِّ الشَّيْطَانِ إِيَّاهُ إِلَّا مَرْيَمَ وَابْنَهَا» ثُمَّ يَقُولُ أَبُو هُرَيْرَةَ: وَاقْرَءُوا إِنْ شِئْتُمْ: {وَإِنِّي أُعِيذُهَا بِكَ وَذُرِّيَّتَهَا مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ} [آل عمران: 36] أَخْرَجَاهُ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ
পৃষ্ঠা - ৯৩৩
الرَّزَّاقِ. وَرَوَاهُ ابْنُ جَرِيرٍ عَنْ أَحْمَدَ بْنِ الْفَرْجِ، عَنْ بَقِيَّةَ، عَنِ الزُّبَيْدِيِّ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِنَحْوِهِ. وَقَالَ أَحْمَدُ أَيْضًا: حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ عَجْلَانَ مَوْلَى الْمُشْمَعِلِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «كُلُّ مَوْلُودٍ مِنْ بَنِي آدَمَ يَمَسُّهُ الشَّيْطَانُ بِأُصْبُعِهِ، إِلَّا مَرْيَمَ بِنْتَ عِمْرَانَ، وَابْنَهَا عِيسَى» . تَفَرَّدَ بِهِ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ، عَنْ أَبِي الطَّاهِرِ، عَنِ ابْنِ وَهْبٍ، عَنْ عُمَرَ بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ أَبِي يُونُسَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِنَحْوِهِ. وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا هَيْثَمٌ، حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ مَيْسَرَةَ، عَنِ الْعَلَاءِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «كُلُّ إِنْسَانٍ تَلِدُهُ أُمُّهُ يَلْكُزُهُ الشَّيْطَانُ بِحِضْنَيْهِ، إِلَّا مَا كَانَ مِنْ مَرْيَمَ وَابْنِهَا، أَلَمْ تَرَ إِلَى الصَّبِيِّ حِينَ يَسْقُطُ كَيْفَ يَصْرُخُ؟» قَالُوا: بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ: «ذَلِكَ حِينَ يَلْكُزُهُ الشَّيْطَانُ بِحِضْنَيْهِ» وَهَذَا عَلَى شَرْطِ مُسْلِمٍ، وَلَمْ يُخْرِجْهُ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. وَرَوَاهُ قَيْسٌ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ
পৃষ্ঠা - ৯৩৪
ষ্ষ্


হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেন : রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন, কোন না যখন সন্তান প্রসব করে
তখন মায়ের কােলেই শয়তান তাকে ঘুষি মারে, কেবল মারয়াম ও তার পুত্র এর ব্যতিক্রম ৷

রাসুলুল্লাহ (সা) জিজ্ঞেস করলেন, তোমরা দেখেছ কি, শিশু যখন ভুমিষ্ঠ হয়, তখন চিৎকার
করে র্কাদে? সাহাবাগণ বললেন, হ্যা, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমরা দেখেছি ৷ রড়াসুলুল্লাহ (স) ণ্
বললেন, এ চিৎকার তখনই সে দেয়, যখন মায়ের কোলে শয়তান তাকে ঘুষি মারে ৷ এ
হাদীস মুসলিমের শর্ত অনুযায়ী বর্ণিত ৷ কায়স আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেন,
নবী করীম (সা) বলেছেন, যে কোন শিশু ভুমিষ্ঠ হলে শয়তান তাকে একবার বা দুবার চাপ
দেয়, কেবল ঈসা ইবন মারয়াম ও মারয়াম এ থেকে রক্ষা পেয়েছে ৷ তারপর রাসুল (সা) এ
আয়াত পাঠ করলেন ৷ “আমি অভিশপ্ত শয়তান থেকে তার ও তার বংশধরদের জন্যে তোমার
শরণ নিচ্ছি ৷ ”

মুহাম্মদ ইবন ইসহড়াক ও ইমাম আহমদ আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেন, নবী
করীম (সা) বলেছেন : প্রতিটি আদম সন্তান , যখন সে ভুমিষ্ঠ হয় তখন শয়তান তার পার্শ্বদেশে
খোচা মারে কেবল ঈসা ইবন মারয়াম এর ব্যতিক্রম ৷ শয়তান ঈসাকে খোচা মারতে গিয়ে
পর্দায় বেড়াচা মেরে চলে যায় ৷ এ হাদীস বুখারী ও মুসলিমের শর্তে বর্ণিত ৷ আল্লাহর বাণী :
অতঃপর তার প্রতিপালক তাকে ভালরুপে কবুল করলেন এবং তাকে উত্তমরুপে লালন পালন
করলেন, আর তাকে যাকারিয়ার তত্ত্বাবধানে রেখেছিলেন ৷ অনেক ঘুফাসৃসির লিখেছেন, মারয়াম
ভুমিষ্ঠ হলে তার মা তাকে একটি কাপড়ে জড়িয়ে বায়তুল মুকাদ্দাস মুসজিদে চলে যান এবং
সেখানকার ইবাদতকারী লোকদের নিকট সােপর্দ করেন ৷ মারয়াম ছিলেন তাদের নেতা ও
সালাতের ইমামের কন্যা ৷ তাই তার দেখাশুনার দায়িতু কে নেবে, এ নিয়ে তারা বাদানুবাদে
লিপ্ত হয় ৷ বলাবাহুল্য যে, মারয়ামের দৃগ্ধ পানের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেই তাকে বায়তুল
মুকাদ্দাসে ইবাদতকারীদের দায়িত্বে সোপর্দ করা হয়েছিল ৷ মারয়ড়ামকে যখন তাদের কাছে
সােপর্দ করা হয়, তখন তারা প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয় যে তার দায়িতু গ্রহণ করবে ৷

হযরত যাকারিয়া (আ) ছিলেন সে যুগের নবী ৷ তিনি চাচ্ছিলেন, নিজের দায়িত্বে রাখতে
এবং এ ব্যাপারে অন্যদের তুলনায় তারই হক ছিল সর্বাধিক ৷ কেননা, তীর শ্রী ছিলেন
মারয়ামের বোন, মতাতরে খালা ৷ কিত্তু অন্যরা এতে প্রতিদ্বন্দিতা করল এবং লটরীির মাধ্যমে
ফয়সালা করার দাবি জানাল ৷ অতঃপর লটারী করা হল এবং তাতে যাকারিয়া (আ)-এর নাম
উঠলো ৷ প্রকৃতপক্ষে থালা তো মড়ায়েরই তুলা ৷ আল্লাহর বাণী : আর তাকে যাকারিয়ার
তত্ত্বড়াবধানে রেখেছিলেন ৷” যেহেতু লটারীতে তিনি জয়ী হয়েছিলেন ৷ এ বিষয়ে আল্লাহ
তাআলার বাণী : “এ হল গায়েবী সংবাদ, যা আমি তোমাকে ওহীর মাধ্যমে অবহিত করছি ৷
মারয়ামের তত্তুড়াবধানের দায়িতু তাদের মধ্যে কে গ্রহণ করবে এর মধ্যে যখন তারা তাদের
কলম নিক্ষেপ করছিল তুমি তখন তাদের নিকট ছিলে না এবং তারা যখন বড়াদানুবাদ করছিল,
তখনও তুমি তাদের নিকট ছিলে না ৷” (৩:৪৪ )

মুফাস্সিরগণ লিখেছেন যে, কলমের মাধ্যমে লটাবী তিনবার হয়েছিল ৷ প্রথমবার প্রত্যেকে
নিজ নিজ কলমে চিহ্ন দিয়ে এক জায়গায় রেখে দেয় ৷ অতঃপর একজন অপ্রাপ্ত বয়স্ক বালককে


رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا مِنْ مَوْلُودٍ إِلَّا وَقَدْ عَصَرَهُ الشَّيْطَانُ عَصْرَةً أَوْ عَصْرَتَيْنِ ; إِلَّا عِيسَى بْنَ مَرْيَمَ، وَمَرْيَمَ» ثُمَّ قَرَأَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: {وَإِنِّي أُعِيذُهَا بِكَ وَذُرِّيَّتَهَا مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ} [آل عمران: 36] وَكَذَا رَوَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ عَنْ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قُسَيْطٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، بِأَصْلِ الْحَدِيثِ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ، حَدَّثَنَا الْمُغِيرَةُ، هُوَ ابْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْحِزَامِيُّ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الْأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «كُلُّ بَنِي آدَمَ يَطْعَنُ الشَّيْطَانُ فِي جَنْبِهِ حِينَ يُولَدُ، إِلَّا عِيسَى بْنَ مَرْيَمَ ذَهَبَ يَطْعَنُ، فَطَعَنَ فِي الْحِجَابِ» وَهَذَا عَلَى شَرْطِ " الصَّحِيحَيْنِ "، وَلَمْ يُخْرِجَاهُ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. وَقَوْلُهُ: {فَتَقَبَّلَهَا رَبُّهَا بِقَبُولٍ حَسَنٍ وَأَنْبَتَهَا نَبَاتًا حَسَنًا وَكَفَّلَهَا زَكَرِيَّا} [آل عمران: 37] ذَكَرَ كَثِيرٌ مِنَ الْمُفَسِّرِينَ أَنَّ أُمَّهَا حِينَ وَضَعَتْهَا، لَفَّتْهَا فِي خُرُوقِهَا ثُمَّ خَرَجَتْ بِهَا إِلَى الْمَسْجِدِ، فَسَلَّمَتْهَا إِلَى الْعُبَّادِ الَّذِينَ هُمْ مُقِيمُونَ بِهِ، وَكَانَتِ ابْنَةَ إِمَامِهِمْ وَصَاحِبِ صَلَاتِهِمْ، فَتَنَازَعُوا فِيهَا. وَالظَّاهِرُ أَنَّهَا إِنَّمَا سَلَّمَتْهَا إِلَيْهِمْ بَعْدَ رَضَاعِهَا وَكَفَالَةِ مِثْلِهَا فِي صِغَرِهَا، ثُمَّ لَمَّا دَفَعَتْهَا إِلَيْهِمْ تَنَازَعُوا فِي أَيِّهِمْ يَكْفُلُهَا، وَكَانَ زَكَرِيَّا نَبِيَّهُمْ فِي ذَلِكَ الزَّمَانِ، وَقَدْ أَرَادَ أَنْ يَسْتَبِدَّ بِهَا دُونَهُمْ ; مِنْ أَجْلِ أَنَّ زَوْجَتَهُ أُخْتُهَا أَوْ خَالَتُهَا، عَلَى الْقَوْلَيْنِ، فَشَاحُّوهُ فِي ذَلِكَ، وَطَلَبُوا أَنْ يَقْتَرِعَ مَعَهُمْ،
পৃষ্ঠা - ৯৩৫
ষ্ষ্


সেখান থেকে একটা কলম উঠিয়ে আনতে বলে ৷ দেখা গেল, যাকারিয়ার কলমই উঠে এসেছে ৷
তাদের দাবি অনুযায়ী দ্বিতীয়বার লটারী করা হয় ৷ এবার লটারীর পদ্ধতি ঠিক করা হয় যে,
প্রত্যেকের কলম নদীর মধ্যে ফেলে দেবে; তারপর যার কলম স্রোতের বিপরীত দিকে চলবে,
সে জয়ী হয়ে ৷ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কলম নদীতে নিক্ষেপ করা হয় ৷ দেখা গেল , যাকারিয়ার কলম
স্রোতের বিপরীতে চলছে এবং অন্য সবার কলম স্রোতের অনুকুলে প্রবাহিত হচ্ছে ৷ তখন তারা
তভীয় বার লটারী করার দাবি জ লাল এবং বলল, এবার যার কলম স্রোতের অনুকুলে চলবে
এবং অন্যদের কলম উজানের দিকে উঠে যাবে সেই জয়ী হয়ে ৷ এবারের লটারীতে ও যাকারিয়া
(আ) জয়ী হলেন এবং মারয়ামের তত্ত্ব ৷বধানের অধিকার লাভ করলেন ৷ শরী’ আতের বিচারেও
লটারীতে জয়ী হওয়ায়৩ তার তপ্রোধিকার প্রতিষ্ঠিত হয় ৷

আল্লাহর রাণী৪ যখনই যাকারিয়া মিহ্রাবের মধ্যেত তার কাছে আসত তখনই কিছু খাবার
দেখতে পেত ৷ জিজ্ঞেস করত, মারয়াম’ ! কোথা থেকে এসব তোমার কাছে এল? সে বল৩ ,
, এসব আল্লাহর নিকট থেকে আসে ৷ আল্লাহ যাকে ইচ্ছা বেহিসাব রিযিক দান করেন ৷

মুফাসৃসিরগণ লিখেছেন, হযরত যাকারিয়া মারয়ামের জন্যে বায়তৃল মুকাদ্দাস মসজিদে
একটি উত্তম কক্ষ নির্ধারণ করে দেন ৷ তিনি ছাড়া ঐ কক্ষে অন্য কেউ প্রবেশ করত না ৷
মারয়াম এই কক্ষে অবস্থান করে আল্লাহর ইবাদত করতেন ৷ মসজিদের কোন থেদমতের সময়
সুযোগ যখন আসত, তখন তিনি সে দায়িত্ব পালন করতেন ৷ রাত দিন সর্বদা সেখানে তিনি
আল্লাহর ইবাদতে মশপুল থা ৷কতে তন ৷ তিনি এত বেশী পরিমাণে আল্লাহর ইবাদত করতেন যে,
বনী ইসরাঈলের মধ্যে৩ তার ইবাদতকে দৃষ্টান্ত হিসেবে উল্লেখ করা হত ৷ তার বহু কারামত ও
বৈশ্যিষ্ট্যর কথা ইসরা ঈলী সমাজে প্রসিদ্ধি লাভ করে ৷ হযরত যাকারিয়া (আ) যখনই মারয়ামের
কক্ষে প্রবেশ করতেন তখনই তার নিকট বে-মৌসুমের বিরল খাদ্য দ্রব্য দেখতে পেতেন যেমন
শীত মৌসুমে গ্রীষ্মের ফল এবং গ্রীষ্ম মৌসুমে শীত কালের ফল দেখতে পেয়ে তিনি জিজ্ঞেস
করতেন, মারয়াম! এসব তুমি কোথায় গেলো সে বলত, এসব আল্লাহর নিকট থেকে অর্থাৎ
আল্লাইে এসব খাদ্য সামগ্রী আমার জন্যে ব্যবস্থা করে দিয়েছেন ৷ আর আল্লাহ যাকে ইচ্ছা
করেন অপরিমিত রিযক দান করেন ৷ সেখানেই যাকারিয়ার মনে পৃত্র-সন্তানের আকাক্ষে৷ আগে
এবং বয়স অনেক বেশী হওয়া সত্বেও আল্লাহর নিকট দোয়া করে বলেন, “হে আমার
পালনকর্তা আমাকে তুমি তোমার নিকট থেকে সৎ বংশধর দান কর ৷ নিশ্চয়ই তুমি প্রাত্নাি
শ্রবণকারী ৷” কোন কোন মুফাসৃসির বলেছেন, হযরত যাকারিয়া (আ) প্রার্থনায় এ কথাও
বলেছিলেন যে, হে মহান প্রভু! আপনি যেমন মারয়ামকে অসময়ে ফল দান করেছেন, আমাকেও
একটি সন্তান দান করুন, যদিও অসময় হয়ে গেছে ৷ এর পরবর্তী ঘটনাবলী আমরা যথা স্থানে
বর্ণনা করে এসেছি ৷

আল্লাহর বাণী৪
§





فَسَاعَدَتْهُ الْمَقَادِيرُ، فَخَرَجَتْ قُرْعَتُهُ غَالِبَةً لَهُمْ، وَذَلِكَ أَنَّ الْخَالَةَ بِمَنْزِلَةِ الْأُمِّ. قَالَ اللَّهُ تَعَالَى " {وَكَفَّلَهَا زَكَرِيَّا} [آل عمران: 37] أَيْ: بِسَبَبِ غَلَبِهِ لَهُمْ فِي الْقُرْعَةِ، كَمَا قَالَ تَعَالَى: {ذَلِكَ مِنْ أَنْبَاءِ الْغَيْبِ نُوحِيهِ إِلَيْكَ وَمَا كُنْتَ لَدَيْهِمْ إِذْ يُلْقُونَ أَقْلَامَهُمْ أَيُّهُمْ يَكْفُلُ مَرْيَمَ وَمَا كُنْتَ لَدَيْهِمْ إِذْ يَخْتَصِمُونَ} [آل عمران: 44] . قَالُوا: وَذَلِكَ أَنَّ كُلًّا مِنْهُمْ أَلْقَى قَلَمَهُ مَعْرُوفًا بِهِ، ثُمَّ حَمَلُوهَا وَوَضَعُوهَا فِي مَوْضِعٍ، وَأَمَرُوا غُلَامًا لَمْ يَبْلُغِ الْحِنْثَ، فَأَخْرَجَ وَاحِدًا مِنْهَا، وَظَهَرَ قَلَمُ زَكَرِيَّا، عَلَيْهِ السَّلَامُ، فَطَلَبُوا أَنْ يَقْتَرِعُوا مَرَّةً ثَانِيَةً، وَأَنْ يَكُونَ ذَلِكَ بِأَنْ يُلْقُوا أَقْلَامَهُمْ فِي النَّهْرِ، فَأَيُّهُمْ جَرَى قَلَمُهُ عَلَى خِلَافِ جَرْيَةِ الْمَاءِ فَهُوَ الْغَالِبُ، فَفَعَلُوا، فَكَانَ قَلَمُ زَكَرِيَّا هُوَ الَّذِي جَرَى عَلَى خِلَافِ جَرْيَةِ الْمَاءِ، وَسَارَتْ أَقْلَامُهُمْ مَعَ الْمَاءِ، ثُمَّ طَلَبُوا مِنْهُ أَنْ يَقْتَرِعُوا ثَالِثَةً، فَأَيُّهُمْ جَرَى قَلَمُهُ مَعَ الْمَاءِ، وَتَكُونُ بَقِيَّةُ الْأَقْلَامِ قَدِ انْعَكَسَ سَيْرُهَا صُعُدًا ; فَهُوَ الْغَالِبُ، فَفَعَلُوا، فَكَانَ زَكَرِيَّا هُوَ الْغَالِبَ لَهُمْ، فَكَفَلَهَا إِذْ كَانَ أَحَقَّ بِهَا شَرْعًا وَقَدَرًا ; لِوُجُوهٍ عَدِيدَةٍ. قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {كُلَّمَا دَخَلَ عَلَيْهَا زَكَرِيَّا الْمِحْرَابَ وَجَدَ عِنْدَهَا رِزْقًا قَالَ يَامَرْيَمُ أَنَّى لَكِ هَذَا قَالَتْ هُوَ مِنْ عِنْدِ اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ يَرْزُقُ مَنْ يَشَاءُ بِغَيْرِ حِسَابٍ} [آل عمران: 37] قَالَ الْمُفَسِّرُونَ: اتَّخَذَ لَهَا زَكَرِيَّا مَكَانًا شَرِيفًا مِنَ الْمَسْجِدِ، لَا يَدْخُلُهُ سِوَاهَا، فَكَانَتْ تَعْبُدُ اللَّهَ فِيهِ، وَتَقُومُ بِمَا يَجِبُ عَلَيْهَا مِنْ سَدَانَةِ الْبَيْتِ إِذَا جَاءَتْ نَوْبَتُهَا، وَتَقُومُ بِالْعِبَادَةِ لَيْلَهَا وَنَهَارَهَا، حَتَّى صَارَتْ يُضْرَبُ بِهَا الْمَثَلُ بِعِبَادَتِهَا فِي
পৃষ্ঠা - ৯৩৬
بَنِي إِسْرَائِيلَ، وَاشْتَهَرَتْ بِمَا ظَهَرَ عَلَيْهَا مِنَ الْأَحْوَالِ الْكَرِيمَةِ، وَالصِّفَاتِ الشَّرِيفَةِ، حَتَّى إِنَّهُ كَانَ نَبِيُّ اللَّهِ زَكَرِيَّا كُلَّمَا دَخَلَ عَلَيْهَا مَوْضِعَ عِبَادَتِهَا، يَجِدُ عِنْدَهَا رِزْقًا غَرِيبًا فِي غَيْرِ أَوَانِهِ، فَكَانَ يَجِدُ عِنْدَهَا فَاكِهَةَ الصَّيْفِ فِي الشِّتَاءِ، وَفَاكِهَةَ الشِّتَاءِ فِي الصَّيْفِ، فَيَسْأَلُهَا: {أَنَّى لَكِ هَذَا} [آل عمران: 37] فَتَقُولُ: {هُوَ مِنْ عِنْدِ اللَّهِ} [آل عمران: 78] أَيْ: رِزْقٌ رَزَقَنِيهِ اللَّهُ {إِنَّ اللَّهَ يَرْزُقُ مَنْ يَشَاءُ بِغَيْرِ حِسَابٍ} [آل عمران: 37] فَعِنْدَ ذَلِكَ وَهُنَالِكَ طَمِعَ زَكَرِيَّا فِي وُجُودِ وَلَدٍ مِنْ صُلْبِهِ، وَإِنْ كَانَ قَدْ أَسَنَّ وَكَبِرَ. {قَالَ رَبِّ هَبْ لِي مِنْ لَدُنْكَ ذُرِّيَّةً طَيِّبَةً إِنَّكَ سَمِيعُ الدُّعَاءِ} [آل عمران: 38] قَالَ بَعْضُهُمْ: قَالَ: يَا مَنْ يَرْزُقُ مَرْيَمَ الثَّمَرَ فِي غَيْرِ أَوَانِهِ، هَبْ لِي وَلَدًا، وَإِنْ كَانَ فِي غَيْرِ أَوَانِهِ. فَكَانَ مِنْ خَبَرِهِ وَقَضِيَّتِهِ، مَا قَدَّمْنَا ذِكْرَهُ فِي قِصَّتِهِ. قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَإِذْ قَالَتِ الْمَلَائِكَةُ يَامَرْيَمُ إِنَّ اللَّهَ اصْطَفَاكِ وَطَهَّرَكِ وَاصْطَفَاكِ عَلَى نِسَاءِ الْعَالَمِينَ يَامَرْيَمُ اقْنُتِي لِرَبِّكِ وَاسْجُدِي وَارْكَعِي مَعَ الرَّاكِعِينَ ذَلِكَ مِنْ أَنْبَاءِ الْغَيْبِ نُوحِيهِ إِلَيْكَ وَمَا كُنْتَ لَدَيْهِمْ إِذْ يُلْقُونَ أَقْلَامَهُمْ أَيُّهُمْ يَكْفُلُ مَرْيَمَ وَمَا كُنْتَ لَدَيْهِمْ إِذْ يَخْتَصِمُونَ إِذْ قَالَتِ الْمَلَائِكَةُ يَامَرْيَمُ إِنَّ اللَّهَ يُبَشِّرُكِ بِكَلِمَةٍ مِنْهُ اسْمُهُ الْمَسِيحُ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ وَجِيهًا فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ وَمِنَ الْمُقَرَّبِينَ وَيُكَلِّمُ النَّاسَ فِي الْمَهْدِ وَكَهْلًا وَمِنَ الصَّالِحِينَ قَالَتْ رَبِّ أَنَّى يَكُونُ لِي وَلَدٌ وَلَمْ يَمْسَسْنِي بَشَرٌ قَالَ كَذَلِكِ اللَّهُ يَخْلُقُ مَا يَشَاءُ إِذَا قَضَى أَمْرًا فَإِنَّمَا يَقُولُ لَهُ كُنْ فَيَكُونُ وَيُعَلِّمُهُ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَالتَّوْرَاةَ وَالْإِنْجِيلَ وَرَسُولًا إِلَى بَنِي إِسْرَائِيلَ أَنِّي قَدْ جِئْتُكُمْ بِآيَةٍ مِنْ رَبِّكُمْ أَنِّي أَخْلُقُ لَكُمْ مِنَ الطِّينِ كَهَيْئَةِ الطَّيْرِ فَأَنْفُخُ فِيهِ فَيَكُونُ طَيْرًا بِإِذْنِ اللَّهِ وَأُبْرِئُ الْأَكْمَهَ وَالْأَبْرَصَ وَأُحْيِي الْمَوْتَى بِإِذْنِ اللَّهِ وَأُنَبِّئُكُمْ بِمَا تَأْكُلُونَ وَمَا تَدَّخِرُونَ فِي بُيُوتِكُمْ إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَةً لَكُمْ إِنْ كُنْتُمْ مُؤْمِنِينَ وَمُصَدِّقًا لِمَا بَيْنَ يَدَيَّ مِنَ التَّوْرَاةِ وَلِأُحِلَّ لَكُمْ بَعْضَ الَّذِي حُرِّمَ عَلَيْكُمْ وَجِئْتُكُمْ بِآيَةٍ مِنْ رَبِّكُمْ فَاتَّقُوا اللَّهَ وَأَطِيعُونِ إِنَّ اللَّهَ رَبِّي وَرَبُّكُمْ فَاعْبُدُوهُ هَذَا صِرَاطٌ مُسْتَقِيمٌ فَلَمَّا أَحَسَّ} [آل عمران: 42] [آلِ عِمْرَانَ: 42 - 51] . يَذْكُرُ تَعَالَى أَنَّ الْمَلَائِكَةَ بَشَّرَتْ مَرْيَمَ بِاصْطِفَاءِ اللَّهِ لَهَا، مِنْ بَيْنِ سَائِرِ نِسَاءِ عَالَمِي زَمَانِهَا، بِأَنِ اخْتَارَهَا لِإِيجَادِ وَلَدٍ مِنْهَا، مِنْ غَيْرِ أَبٍ، وَبُشِّرَتْ بِأَنْ يَكُونَ نَبِيًّا شَرِيفًا {وَيُكَلِّمُ النَّاسَ فِي الْمَهْدِ} [آل عمران: 46] أَيْ: فِي صِغَرِهِ، يَدْعُوهُمْ إِلَى عِبَادَةِ اللَّهِ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، وَكَذَلِكَ فِي حَالِ كُهُولَتِهِ، فَدَلَّ عَلَى أَنَّهُ يَبْلُغُ الْكُهُولَةَ، وَيَدْعُو إِلَى اللَّهِ فِيهَا، وَأُمِرَتْ بِكَثْرَةِ الْعِبَادَةِ وَالْقُنُوتِ وَالسُّجُودِ وَالرُّكُوعِ ; لِتَكُونَ أَهْلًا لِهَذِهِ الْكَرَامَةِ، وَلِتَقُومَ بِشُكْرِ هَذِهِ النِّعْمَةِ. فَيُقَالُ: إِنَّهَا كَانَتْ تَقُومُ فِي الصَّلَاةِ حَتَّى تَفَطَّرَتْ قَدَمَاهَا، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا وَرَحِمَهَا، وَرَحِمَ أُمَّهَا وَأَبَاهَا. فَقَوْلُ الْمَلَائِكَةِ: {يَا مَرْيَمُ إِنَّ اللَّهَ اصْطَفَاكِ} [آل عمران: 42] أَيِ اخْتَارَكِ وَاجْتَبَاكِ. (وَطَهَّرَكِ) أَيْ: مِنَ الْأَخْلَاقِ الرَّذِيلَةِ، وَأَعْطَاكِ الصِّفَاتِ الْجَمِيلَةِ. {وَاصْطَفَاكِ عَلَى نِسَاءِ الْعَالَمِينَ} [آل عمران: 42] ، يَحْتَمِلُ أَنْ يَكُونَ الْمُرَادُ عَالَمِي زَمَانِهَا، كَقَوْلِهِ لِمُوسَى: {إِنِّي اصْطَفَيْتُكَ عَلَى النَّاسِ} [الأعراف: 144] وَكَقَوْلِهِ عَنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ: {وَلَقَدِ اخْتَرْنَاهُمْ عَلَى عِلْمٍ عَلَى الْعَالَمِينَ} [الدخان: 32] . وَمَعْلُومٌ أَنَّ إِبْرَاهِيمَ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، أَفْضَلُ مِنْ مُوسَى، وَأَنَّ مُحَمَّدًا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَفْضَلُ
পৃষ্ঠা - ৯৩৭
ষ্ষ্


০ শ্ : :





) fl


৷ : ) শ্ , ; : :

র্ণএে



র্দু,ট্রুছুএোছু, , ৰু,স্পোা

(


৩ :

-ম্মরণ কর, যখন ফেরেশতাগণ বলেছিল, হে মারয়াম৷ আল্লাহ ৫৩ ৷মাকে মনোনীত

পবিত্র করেছেন এবং বিশ্বের নারীগণের মধ্যে (৩ তামাকে মনোনীত করেছেন ৷ হে মারয়াম!

তোমার প্রতিপালকের অনুগত হও ও সিজদা কর এবংয যায়৷ রুকু করে তাদের সাথে রুকু কর ৷
এটা অদৃশ্য বিষয়ের সংবাদ, যা তোমাকে ওহী দ্বারা অব তকরছি ৷ মারয়ামের তত্ত্বাবধানেদ্বির

দাযিতু তাদের মধ্যে কে গ্রহণ করবে এর জন্যে যখন তারা তান্থ দের কলম নিক্ষেপ করছিল,তু
তখন তাদের নিকট ছিলে না এবংত তারা যখন বাদড়ানুবাদ করছিল তখনও তুমি তাদের নিকট
ছিলে না ৷ স্মরণ কর, যখন ফেরেশতাগণ বলল, হে মারয়াম! আল্লাহ তোমাকে তার পক্ষ হতে
একটি কলেমার সুসংবাদ দিচ্ছেন ৷ তার নাম মসীহ-মারয়াম তনয় ঈসা সে দুনিয়া ও
আখিরাতে সম্মানিত এবং সান্নিধ্যপ্রাপ্তগণের অন্যতম হবে ৷ সে দােলনায় থাকা অবস্থায় ও
পরিণত বয়সে মানুষের সাথে কথা বলবে এবং সে হবে পুণ্যবানদের একজন ৷ সে বলল, হে
আমার প্রতিপালক৷ আমাকে কোন পুরুষ স্পর্শ করেনি, আমার সন্তান হবে কীভাবেঃ তিনি
বললেন, এ ভাবেই’ , আল্লাহ যা ইচ্ছা সৃষ্টি করেন ৷ তিনি যখন কিছু স্থির করেন তখন বলেন,
হও’ এবং তা হয়ে যায় ৷ এবং তিনি তাকে শিক্ষা দিবেন কিতাব, হিকমত, তাওরাত ও ইনজীল
এবং তাকে বনী ইসরাঈলের জন্যে রাসুল করবেন ৷ সে বলবে, আমি তোমাদের প্ৰতিপালকের


مِنْهُمَا، وَكَذَلِكَ هَذِهِ الْأُمَّةُ أَفْضَلُ مِنْ سَائِرِ الْأُمَمِ قَبْلَهَا، وَأَكْثَرُ عَدَدًا، وَأَفْضَلُ عِلْمًا، وَأَزْكَى عَمَلًا، مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ وَغَيْرِهِمْ. وَيَحْتَمِلُ أَنْ يَكُونَ قَوْلُهُ: {وَاصْطَفَاكِ عَلَى نِسَاءِ الْعَالَمِينَ} [آل عمران: 42] مَحْفُوظَ الْعُمُومِ ; فَتَكُونَ أَفْضَلَ نِسَاءِ الدُّنْيَا مِمَّنْ كَانَ قَبْلَهَا، وَوُجِدَ بَعْدَهَا ; لِأَنَّهَا إِنْ كَانَتْ نَبِيَّةً، عَلَى قَوْلِ مَنْ يَقُولُ بِنُبُوَّتِهَا وَنُبُوَّةِ سَارَّةَ أُمِّ إِسْحَاقَ، وَنُبُوَّةِ أُمِّ مُوسَى، مُحْتَجًّا بِكَلَامِ الْمَلَائِكَةِ وَالْوَحْيِ إِلَى أُمِّ مُوسَى، كَمَا يَزْعُمُ ذَلِكَ ابْنُ حَزْمٍ وَغَيْرُهُ، فَلَا يَمْتَنِعُ عَلَى هَذَا أَنْ تَكُونَ مَرْيَمُ أَفْضَلَ مِنْ سَارَّةَ وَأُمِّ مُوسَى ; لِعُمُومِ قَوْلِهِ: {وَاصْطَفَاكِ عَلَى نِسَاءِ الْعَالَمِينَ} [آل عمران: 42] إِذْ لَمْ يُعَارِضْهُ غَيْرُهُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَأَمَّا عَلَى قَوْلِ الْجُمْهُورِ، كَمَا قَدْ حَكَاهُ أَبُو الْحَسَنِ الْأَشْعَرِيُّ وَغَيْرُهُ عَنْ أَهْلِ السُّنَّةِ وَالْجَمَاعَةِ، مِنْ أَنَّ النُّبُوَّةَ مُخْتَصَّةٌ بِالرِّجَالِ، وَلَيْسَ فِي النِّسَاءِ نَبِيَّةٌ، فَيَكُونُ أَعْلَى مَقَامَاتِ مَرْيَمَ، كَمَا قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {مَا الْمَسِيحُ ابْنُ مَرْيَمَ إِلَّا رَسُولٌ قَدْ خَلَتْ مِنْ قَبْلِهِ الرُّسُلُ وَأُمُّهُ صِدِّيقَةٌ} [المائدة: 75] . فَعَلَى هَذَا لَا يَمْتَنِعُ أَنْ تَكُونَ أَفْضَلَ الصِّدِّيقَاتِ الْمَشْهُورَاتِ مِمَّنْ كَانَ قَبْلَهَا، وَمِمَّنْ يَكُونُ بَعْدَهَا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ جَاءَ ذِكْرُهَا مَقْرُونًا مَعَ آسِيَةَ بِنْتِ مُزَاحِمٍ، وَخَدِيجَةَ بِنْتِ خُوَيْلِدٍ، وَفَاطِمَةَ بِنْتِ مُحَمَّدٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُنَّ وَأَرْضَاهُنَّ. وَقَدْ رَوَى الْإِمَامُ أَحْمَدُ، وَالْبُخَارِيُّ، وَمُسْلِمٌ، وَالتِّرْمِذِيُّ، وَالنَّسَائِيُّ،
পৃষ্ঠা - ৯৩৮
مِنْ طُرُقٍ عَدِيدَةٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «خَيْرُ نِسَائِهَا مَرْيَمُ بِنْتُ عِمْرَانَ، وَخَيْرُ نِسَائِهَا خَدِيجَةُ بِنْتُ خُوَيْلِدٍ» . وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «حَسْبُكَ مِنْ نِسَاءِ الْعَالَمِينَ بِأَرْبَعٍ ; مَرْيَمُ بِنْتُ عِمْرَانَ، وَآسِيَةُ امْرَأَةُ فِرْعَوْنَ، وَخَدِيجَةُ بِنْتُ خُوَيْلِدٍ، وَفَاطِمَةُ بِنْتُ مُحَمَّدٍ» وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ زَنْجَوَيْهِ، عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ بِهِ، وَصَحَّحَهُ. وَرَوَاهُ ابْنُ مَرْدَوَيْهِ مِنْ طَرِيقِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي جَعْفَرٍ الرَّازِيِّ، وَابْنُ عَسَاكِرَ، مِنْ طَرِيقِ تَمِيمِ بْنِ زِيَادٍ، كِلَاهُمَا عَنْ أَبِي جَعْفَرٍ الرَّازِيِّ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «خَيْرُ نِسَاءِ الْعَالَمِينَ أَرْبَعٌ: مَرْيَمُ بِنْتُ عِمْرَانَ، وَآسِيَةُ امْرَأَةُ فِرْعَوْنَ، وَخَدِيجَةُ بِنْتُ خُوَيْلِدٍ، وَفَاطِمَةُ بِنْتُ مُحَمَّدٍ رَسُولِ اللَّهِ» . وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنِ ابْنِ الْمُسَيِّبِ، قَالَ: كَانَ أَبُو هُرَيْرَةَ يُحَدِّثُ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «خَيْرُ نِسَاءٍ
পৃষ্ঠা - ৯৩৯
ষ্ষ্


পক্ষ হতে তোমাদের নিকট নিদর্শন নিয়ে এসেছি ৷ আমি তোমাদের জন্যে কাদ৷ দ্বারা একটি
পাথীর মত আকৃতি গঠন করব; তারপর তাতে আমি ফুৎক ব দিব ,ফলে আল্লাহর হুক্যুম তা
পাখী হয়ে যাবে ৷ আমি জন্মা ন্ধ ও কুষ্ঠ ব্যাধিগ্রস্তকে নিরাময় করব এবং আল্লাহ্র হুকুমে মৃতকে
জীবন্ত করব ৷ তোমরা তোমাদের ঘরসমুহে যা আহার কর ও মওজুদ কর, তা তোমাদেরকে
বলে দেব ৷ তোমরা যদি মু মিন হও তবে এতে তোমাদের জন্যে নিদর্শন রয়েছে ৷ আর আমি
এসেছি আমার সম্মুখে তাওরাতের যা রয়েছে তার সমর্থকরুপে ও তোমাদের জান্য যা নিষিদ্ধ
ছিল তার কতকগুলোকে বৈধ করতে এবং আমি তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে তোমাদের
নিকট নিদর্শন নিয়ে এসেছি ৷ সুতরাং আল্লাহকে ভয় কর আর আমাকে অনুসরণ কর ৷ নিশ্চয়ই
আল্লাহ আমার প্রতিপালক এবং তোমাদেরও প্রতিপালক ৷ সুতরাং তোমরা তার ইবাদত করবে ৷
এটাই সরল পথ ৷ (৩ আলে ইমরান : ৪ ২ ৫ ১ )

উপরোক্ত আয়াত সমুহে আল্লাহ এ কথা উল্লেখ করছেন যে, ফেরেশতাগণ মারয়ামকে এ
সুসৎবাদ পৌছান যে, আল্লাহ র্তাকে সে যুগের সমস্ত নারীদের মধ্যে মনোনীত করেছেন ৷ যেহে
তিনিত ৷ব থেকে সৃষ্টি করবেন ৷পতা ছাড়া পুত্র-সম্ভান এবং তাকে এ সুসং ×বাদও দেন যে, সে
পুত্রটি হবেন মর্যাদাশীল নবী ৷ “সে মানুষের সাথে কথা বলবে দােলনায় থাকা অবস্থায় ৷ ” অর্থাৎ
শিশুকালেই তিনি মানুষকে এক ও অদ্বিতীয় আল্লাহ্র ইবাদতের দিকে আহ্বান করবেন ৷ পরিণত
বয়সেও তিনি মানুষকে ঐ এবইি আহ্বান জানাতে থাকবেন ৷ এ থেকে বুঝা যায় যে, মারয়াম
তনয় পরিণত বয়স পর্যন্ত বেচে থাকবেন এবং মানুষকে আল্পাহ্র ইবাদতের দিকে আহবান
করবেন ৷ এবং তাকে বেশী বেশী ইবাদত বন্দেপী ও রুকু সিজদা করার নির্দেশ দেয়৷ হয় ৷
যাতে করে তিনি এই মর্যাদার যোগ্য হয়ে উঠেন এবং তিনি এ অপার নিয়ামতে র শুকরিয়া
আদায় করতে পারেন ৷ তিনি এ নির্দেশ পুণ্তািবে পালন করার চেষ্টা করতেন ৷ কথিত আছে যে,
দীর্ঘক্ষণ সালাতে র্দ৷ ৷ড়িয়ে থাকতে থাকতে তার দৃ’ পা ফেটে যেত ৷ আল্লাহত তার উপর এবং৩ তার
পিতা-মাত ৷র উপর শাস্তি বর্নিত করুন ৷

আয়াতে রয়েছে, ফেরেশতাপণ বলেন, “হে মারয়াম ! আল্লাহ তোমাকে মনোনীত করেছেন
এবং তোমাকে পবিত্র-পরিচ্ছন্ন করে দিয়েছেন ৷ অর্থাৎ মন্দ চরিত্র থেকে তোমাকে পবিত্র
রেখেছেন এবং উত্তম গুণাবলী দ্বারা বিভৃষিত করেছেন ৷ “আর তোমাকে বিশ্বের নারীগণের মধ্যে
মনোনীত করেছেন ৷” বিশ্বের নারীদের দুটি অর্থ হতে পারে : এক, সে যুগে বিশ্বে যত নারী
ছিল, তাদের উর্ধে ৷ যেমন মুসা (আ)-কে উদ্দেশ্য করে আল্লাহ বলেছেন, “আমি তোমাকে
মানব জাতির উপর মনোনীত করেছি ৷ ” অনুরুপতা বে বনী ইসরাঈল সম্পর্কে আল্লাহ বলছেন,
আমি জেনে শুনেই তাদেরকে বিশ্বে শ্রেষ্ঠতু দিয়েছিলাম’ ৷ (৪৪ দৃখানং ৩২) কিন্তু সবাই জানে
যে, ইবরাহীম (আ) মুসা (আ) এর চাইতে শ্রেষ্ঠ, এবং মুহাম্মদ (সা) উভয়ের চাইতে শ্রেষ্ঠ ৷
অনুরুপ বিশ্বনবীব এ উম্মত অতীতের সমস্ত উম্মত থেকে শ্রেষ্ঠ এবং বনী ইসরাঈল ও
অন্যান্যদের তুলনায় সংখ্যায় অধিক, ইলম ও জ্ঞানে শ্রেষ্ঠ এবং আমলে ও ইখলাসে উন্নততর ৷


رَكِبْنَ الْإِبِلَ، صَالِحُ نِسَاءِ قُرَيْشٍ، أَحْنَاهُ عَلَى وَلَدٍ فِي صِغَرِهِ، وَأَرْعَاهُ لِزَوْجٍ فِي ذَاتِ يَدِهِ» قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ وَلَمْ تَرْكَبْ مَرْيَمُ بَعِيرًا قَطُّ. وَقَدْ رَوَاهُ مُسْلِمٌ فِي " صَحِيحِهِ "، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ رَافِعٍ وَعَبْدِ بْنِ حُمَيْدٍ، كِلَاهُمَا عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ بِهِ. وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ، حَدَّثَنِي مُوسَى بْنُ عَلِيٍّ، سَمِعْتُ أَبِي يَقُولُ: سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «خَيْرُ نِسَاءٍ رَكِبْنَ الْإِبِلَ نِسَاءُ قُرَيْشٍ، أَحْنَاهُ عَلَى وَلَدٍ فِي صِغَرِهِ، وَأَرْأَفُهُ بِزَوْجٍ عَلَى قِلَّةِ ذَاتِ يَدِهِ» قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ وَقَدْ عَلِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ ابْنَةَ عِمْرَانَ لَمْ تَرْكَبِ الْإِبِلَ. تَفَرَّدَ بِهِ، وَهُوَ عَلَى شَرْطِ " الصَّحِيحِ ". وَلِهَذَا الْحَدِيثِ طُرُقٌ أُخَرُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ. وَقَالَ أَبُو يَعْلَى الْمُوصِلِيُّ: حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ أَبِي الْفُرَاتِ، عَنْ عِلْبَاءَ بْنِ أَحْمَرَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ:
পৃষ্ঠা - ৯৪০
ষ্ষ্


(২) “তোমাকে বিশ্বের নারীদের মধ্যে মনোনীত করেছেন ৷” এ কথাটি ব্যাপক অর্থেও হতে
পারে ৷ অর্থাৎ পুর্ববর্তী ও পরবর্তী বিশ্বের সমস্ত নারীকুলের মধ্যে মারয়ামই শ্রেষ্ঠ ৷ কেননা, তিনি
যদি নবী হয়ে থাকেন, যেমন ইবন হাযম প্রমুখের ধারণা যে, ঈসা নবীর মা মারয়াম , ইসহাক
নবীর যা সারা ও মুসা নবীর মা নবী ছিলেন ৷ কেননা, এদের প্রত্যেকের সাথে ফেরেশতা কথা
বলেছেন এবং মুসা নবীর মায়ের নিকট ওহী এসেছে ৷ এমত অনুযায়ী মারয়াম অন্যান্য নারীদের
তুলনায় তো বটেই, এমনকি সারা এবং মুসা (আ)-এর মায়ের তুলনায়ও শ্রেষ্ঠতর ৷ কেননা,
আয়াতে নবী অ-নবী সমস্ত নারীদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হওয়ার কথা বলা হয়েছে এবং এর সাথে
সাংঘর্ষিক অন্য কোন আয়াত নেই ৷ কিন্তু আবুল হাসান আশআরী ও অন্যান্য ধর্ম বিশারদগণ
জমহুর উলামা তথা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের অভিমত উদ্ধৃত করে বলেছেন, নবুওত
পুরুষদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ, নারীদের মধ্যে কাউকেই তা’ দান করা হয়নি ৷ এমত অনুযায়ী উক্ত
আঘাতের অর্থ হবে, মারয়ামকে সর্বোচ্চ মর্যাদা দান করা হয়েছে ৷ যেমন আল্লাহ অপর এক
আয়াতে বলেছেন “মারয়াম-তনয় মসীহ তো কেবল একজন রাসুল, তার পুর্বে বহু রাসুল গত
হয়েছে এবং তার মা সিদ্দীকা (সত্যনিষ্ঠ) ছিল ৷ (মায়িদ৷ : ৭৫) ৷ এ মত হিসেবে পুর্বের ও
পরের সিদ্দীকা মর্যড়াদাপ্রাপ্ত নারীদের মধ্যে মারয়ামের শ্রেষ্ঠ হওয়ায় কোন বাধা নেই ৷ হাদীসে
মারয়ামের নাম আসিয়া বিনত মুযাহিম খাদীজা বিনত খুওয়ায়লিদ এবং নবী তনয়া হযরত
ফাতিমা (রা)-এর সাথে এক সঙ্গে উল্লেখ করা হয়েছে ৷

ইমাম আহমদ, বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী ও নাসাঈ (র) বিভিন্ন সুত্রে হযরত আলী
(বা) থেকে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্পাহ্ (সা) বলেছেন : নারীদের মধ্যে সর্বোত্তম মারয়াম বিন্ত
ইমরান এবং নারীদের মধ্যে সর্বোত্তম খাদীজা বিনত খুওয়ায়লিদ ৷ ইমাম আহমদ আনাস
(রা) থেকে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন : ৰিশ্বজগতে নারীদের মধ্যে কেবল
চারজনই শ্রেষ্ঠ ৷ তারা হলেন মারয়াম বিনত ইমরান, ফিরআউনের শ্রী আসিয়া , খাদীজা বিনত
খুওয়ায়লিদ ও ফাতিমা (রা) বিনত মুহাম্মদ (সা) ৷ তিরমিযী আবদুর রাঘৃযাকের সুত্রে উপরোক্ত
সনদে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন এবং সহীহ্’ বলে মন্তব্য করেছেন ৷ ইবন মারদুওবেহ এবং
ইবন আসাকির আনাস (বা) সুত্রে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷

ইমাম আহমদ আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেন, নবী করীম (সা) বলেছেন :
উটে আরােহিণীদের মধ্যে উত্তম মহিলা হলেন সর্তী-সাধবী কুরড়ায়শী মহিলা ৷ ছোট শিশুদেরকে
তারা অধিক স্নেহ করে এবং স্বামীর সম্পদের পুর্ণ হেফাজত করে ৷ আবু হুরায়রা (রা) বলেন,
বিবি মারয়াম কখনও উটে আরোহণ করেন নি ৷ ইমাম মুসলিম ও ইমাম আহমদ ভিন্ন ভিন্ন সুত্রে
এ হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ৷

তারপর আবু হুরায়রা (বা) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর জানা ছিল যে, ইমরানের কন্যা
(মারয়াম) উটে আরোহণ করেন নি ৷ এ হাদীস সহীহর শর্ত অনুযায়ী আছে এবং আবু হুরায়রা
(রা) থেকে ভিন্ন সুত্রেও বর্ণিত হয়েছে ৷


خَطَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْأَرْضِ أَرْبَعَ خُطُوطٍ فَقَالَ: «أَتَدْرُونَ مَا هَذَا؟» قَالُوا: اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَفْضَلُ نِسَاءِ أَهْلِ الْجَنَّةِ: خَدِيجَةُ بِنْتُ خُوَيْلِدٍ، وَفَاطِمَةُ بِنْتُ مُحَمَّدٍ، وَمَرْيَمُ بِنْتُ عِمْرَانَ، وَآسِيَةُ بِنْتُ مُزَاحِمٍ امْرَأَةُ فِرْعَوْنَ» وَرَوَاهُ النَّسَائِيُّ مِنْ طُرُقٍ عَنْ دَاوُدَ بْنِ أَبِي الْفُرَاتِ. وَقَدْ رَوَاهُ ابْنُ عَسَاكِرَ مِنْ طَرِيقِ أَبِي بَكْرٍ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي دَاوُدَ سُلَيْمَانَ بْنِ الْأَشْعَثِ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَاتِمٍ الْعَسْكَرِيُّ، نَبَّأَنَا بِشْرُ بْنُ مِهْرَانَ بْنِ حَمْدَانَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ دِينَارٍ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ أَبِي هِنْدٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «حَسْبُكَ مِنْهُنَّ أَرْبَعٌ، سَيِّدَاتُ نِسَاءِ الْعَالَمِينَ: فَاطِمَةُ بِنْتُ مُحَمَّدٍ، وَخَدِيجَةُ بِنْتُ خُوَيْلِدٍ، وَآسِيَةُ بِنْتُ مُزَاحِمٍ، وَمَرْيَمُ بِنْتُ عِمْرَانَ» . وَقَالَ أَبُو الْقَاسِمِ الْبَغَوِيُّ حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ بَقِيَّةَ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْوَاسِطِيُّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، «عَنْ عَائِشَةَ أَنَّهَا قَالَتْ لِفَاطِمَةَ: أَرَأَيْتِ حِينَ أَكْبَبْتِ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَبَكَيْتِ، ثُمَّ ضَحِكْتِ؟
পৃষ্ঠা - ৯৪১
قَالَتْ: أَخْبَرَنِي أَنَّهُ مَيِّتٌ مِنْ وَجَعِهِ هَذَا فَبَكَيْتُ، ثُمَّ أَكْبَبْتُ عَلَيْهِ، فَأَخْبَرَنِي أَنِّي أَسْرَعُ أَهْلِهِ لُحُوقًا بِهِ، وَأَنِّي سَيِّدَةُ نِسَاءِ أَهْلِ الْجَنَّةِ، إِلَّا مَرْيَمَ بِنْتَ عِمْرَانَ، فَضَحِكْتُ» . وَأَصْلُ هَذَا الْحَدِيثِ فِي " الصَّحِيحِ ". وَهَذَا إِسْنَادٌ عَلَى شَرْطِ مُسْلِمٍ، وَفِيهِ أَنَّهُمَا أَفْضَلُ الْأَرْبَعِ الْمَذْكُورَاتِ. وَهَكَذَا الْحَدِيثُ الَّذِي رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ يَزِيدَ، هُوَ ابْنُ أَبِي زِيَادٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي نُعْمٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «فَاطِمَةُ سَيِّدَةُ نِسَاءِ أَهْلِ الْجَنَّةِ، إِلَّا مَا كَانَ مِنْ مَرْيَمَ بِنْتِ عِمْرَانَ» إِسْنَادٌ حَسَنٌ، وَصَحَّحَهُ التِّرْمِذِيُّ، وَلَمْ يُخْرِجُوهُ، وَقَدْ رُوِيَ نَحْوُهُ مِنْ حَدِيثِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، وَلَكِنْ فِي إِسْنَادِهِ ضَعْفٌ. وَالْمَقْصُودُ أَنَّ هَذَا يَدُلُّ عَلَى أَنَّ مَرْيَمَ وَفَاطِمَةَ أَفْضَلُ هَذِهِ الْأَرْبَعِ، ثُمَّ يَحْتَمِلُ الِاسْتِثْنَاءُ أَنْ تَكُونَ مَرْيَمُ أَفْضَلَ مِنْ فَاطِمَةَ، وَيَحْتَمِلُ أَنْ يَكُونَا عَلَى
পৃষ্ঠা - ৯৪২
ষ্ষ্

আবু ইয়ালা ইবন আব্বাস (বা) থেকে বর্ণিত রাসুদুলুল্লাহ (সা) একদা মাটির উপরে

চারটি রেখা আকেন এবং সাহাবাগণের নিকট জিজ্ঞেস করেন, তোমরা কি বুঝতে পেরেছ এ
রেখা ৷কিসেরঃ তারা বললেন, আল্লাহ ও তার রাসুলই ভাল জানেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না) বললেন,
জান্নাতবাসী মহিলাদের মধ্যে সর্বোত্তম মহিলা খুওয়ায়লিদের কন্যা খাদীজা, মুহাম্মদের কন্যা

ফাতিমা, ইমরানের কন্যা মারয়াম এবং ঘুযাহিমের কন্যা অর্থাৎ ফিরআওনের শ্রী আসিয়া ৷ ইমাম
নাসাঈ (র) ও অনুরুপ হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ আবুল কা ৷সিম বাপাবী (ব) আয়েশা (রা)
থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, আমি ফাতিমাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, রাসুলুল্লাহ্র অন্তিমক৷ ৷লে তুমি

তার মুখের উপর ঝুকে পড়ে প্রথমে কেদে ফেললে এবং পরক্ষণে আবার হেসে উঠলে, এর
কারণ কি? ফাতিমা (বা) বললেন, আব্ব৷ আমাকে প্রথমে জানালেন, এই রােগেই তার ইন্তিকাল
হবে, তইি আমি কেদেছি ৷ দ্বিতীয়বার যখন ঝুকলাম তখন তিনি বললেন, আমার পরিবারের
মধ্যে তৃমিই সর্বপ্রথম আমার সাথে মিলিত হবে এবং তুমি হবে জান্নাভী মহিলাদের নেত্রী ৷
অবশ্য, মারয়াম বিনত ইমরান-এর ব্যতিক্রম-এ কথা শুনে আমি হেসেছি ৷ এ হাদীসের মুল
অংশ সহীহ গ্রন্থে আছে এবং উল্লেখিত সনদ মৃসলিমের শর্ত অনুযায়ী আছে ৷ এ হাদীস থেকে
প্রতীয়মান হয় যে, পুর্ব উল্লেখিত চারজন মহিলার মধ্যে উক্ত দু’জন শ্রেষ্ঠ ৷ অনুরুপ আর একটি
হাদীস ইমাম আহমদ আবু সাঈদ (র) থেকে বর্ণিত ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন,
জান্নাতবাসী মহিলাদের নেত্রী হবে ফাতিমা, তবে মারয়াম বিনত ইমরানের ব্যাপারটি ব্যতিক্রম ৷
এ হাদীসের উপরোক্ত সনদকে ইমাম তিরমিযী হাসান ও সহীহ বলেছেন ৷ অবশ্য হাদীসটি
দুর্বল সনদে হযরত আলী (আ) থেকে বর্ণিত হয়েছে ৷

মােটকথা, উপরোক্ত হাদীস থেকে এটাই বুঝা যায় যে, চার জনের মধ্যে ফাতিমা ও

মারয়ামই শ্রেষ্ঠ ৷ এরপর কথা থাকে যে, এ দুজনের মধ্যে শ্রেষ্ঠ কে? এ বিষয়ে হাদীসের অর্থ
দুরকম হতে পারে ৷ একঃ মারয়াম ফাতিমার চাইতে শ্রেষ্ঠ; দুই৪ মারয়াম ও ফাতিমা উভয়ে
সমমর্যাদা সম্পন্ন ৷ এ সম্ভাবনার কারণ হল, হাফিজ ইবন আসাকির ইবন আব্বাসের এক হাদীস
বর্ণনা করেছেন ৷ তাতে আছে, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন : জান্নাতবাসী মহিলাদের মধ্যে সবার
শীর্ষে থাকবে মারয়াম বিনত ইমরান, তারপরে ফাতিমা তারপরে খাদীজা, তারপরে
ফিরআওনের ত্রী আসিয়া ৷ এখানে শব্দ বিন্যাস থেকে তাদের, মর্যাদার ক্রমবিন্যাস বুঝা যায় ৷
ইতিপুর্বে যে সব হাদীস বর্ণিত হয়েছে সেখানেও চারজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে; যার দ্বারা
মর্যাদার বিন্যাসও বুঝায় না এবং বিন্যাসের পরিপন্থীও বুঝায় না ৷ এ হাদীসটিই আবু হাতিম
(র) ভিন্ন সুত্রে ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন সেখানেও বর্ণনা থেকে মর্যাদার ক্রম
বিন্যাস বুঝায় না ৷

ইবন মারদৃইবেহ্ কুররা থেকে বর্ণিত ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন, পুরুষদের মধ্যে বিপুল
সংখ্যক লোক পুর্ণতা (কামালিয়ত ত) লাভ করেছেন; কিন্তু মহিলাদের মধ্যে তিনজন ছাড়া আর
কেউই পুর্ণতা অর্জন করেন নি ৷ তার বাহচ্ছেন মারয়াম বিনত ইমরান, ফিরআওনের শ্রী আসিয়া
ও খাদীজা বিনত খুওয়ায়লিদ ৷ আর নারীদের মধ্যে আয়েশার মর্যাদা ৷সেই পরিমাণ ,যেই পরিমাণ
মর্যাদা সমস্ত খাদ্যের মধ্যে ছারীদের ৷ ন্



১ গোশতের ঝোলে ভেজনাে রুটি ৷


السَّوَاءِ فِي الْفَضِيلَةِ ; لَكِنْ وَرَدَ حَدِيثٌ، إِنْ صَحَّ عَيَّنَ الِاحْتِمَالَ الْأَوَّلَ، فَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو الْقَاسِمِ ابْنُ عَسَاكِرَ: أَخْبَرَنَا أَبُو الْحَسَنِ بْنُ الْفَرَّاءِ، وَأَبُو غَالِبٍ وَأَبُو عَبْدِ اللَّهِ، ابْنَا الْبَنَّا، قَالُوا: أَنْبَأَنَا أَبُو جَعْفَرِ بْنُ الْمُسْلِمَةِ، أَنْبَأَنَا أَبُو طَاهِرٍ الْمُخَلِّصُ، حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، حَدَّثَنَا الزُّبَيْرُ، هُوَ ابْنُ بَكَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْحَسَنِ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ عَنْ كُرَيْبٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «سَيِّدَةُ نِسَاءِ أَهْلِ الْجَنَّةِ مَرْيَمُ بِنْتُ عِمْرَانَ، ثُمَّ فَاطِمَةُ، ثُمَّ خَدِيجَةُ، ثُمَّ آسِيَةُ امْرَأَةُ فِرْعَوْنَ» فَإِنْ كَانَ هَذَا اللَّفْظُ مَحْفُوظًا بِ " ثُمَّ " الَّتِي لِلتَّرْتِيبِ، فَهُوَ مُبَيِّنٌ لِأَحَدِ الِاحْتِمَالَيْنِ اللَّذَيْنِ دَلَّ عَلَيْهِمَا الِاسْتِثْنَاءُ، وَيُقَدَّمُ عَلَى مَا تَقَدَّمَ مِنَ الْأَلْفَاظِ الَّتِي وَرَدَتْ بِوَاوِ الْعَطْفِ، الَّتِي لَا تَقْتَضِي التَّرْتِيبَ وَلَا تَنْفِيهِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ أَبُو حَاتِمٍ الرَّازِيُّ، عَنْ دَاوُدَ الْجَعْفَرِيِّ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ مُحَمَّدٍ، وَهُوَ الدَّرَاوَرْدِيُّ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عُقْبَةَ عَنْ كُرَيْبٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ مَرْفُوعًا، فَذَكَرَهُ بِوَاوِ الْعَطْفِ لَا بِ " ثُمَّ " التَّرْتِيبِيَّةِ، فَخَالَفَهُ إِسْنَادًا وَمَتْنًا. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. فَأَمَّا الْحَدِيثُ الَّذِي رَوَاهُ ابْنُ مَرْدَوَيْهِ، مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ قُرَّةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «كَمُلَ مِنَ الرِّجَالِ كَثِيرٌ، وَلَمْ
পৃষ্ঠা - ৯৪৩
يَكْمُلْ مِنَ النِّسَاءِ إِلَّا ثَلَاثٌ ; مَرْيَمُ بِنْتُ عِمْرَانَ، وَآسِيَةُ امْرَأَةُ فِرْعَوْنَ، وَخَدِيجَةُ بِنْتُ خُوَيْلِدٍ، وَفَضْلُ عَائِشَةَ عَلَى النِّسَاءِ، كَفَضْلِ الثَّرِيدِ عَلَى سَائِرِ الطَّعَامِ» . وَهَكَذَا الْحَدِيثُ الَّذِي رَوَاهُ الْجَمَاعَةُ، إِلَّا أَبَا دَاوُدَ، مِنْ طُرُقٍ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ مُرَّةَ الْهَمْدَانِيِّ، عَنْ أَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيِّ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «كَمُلَ مِنَ الرِّجَالِ كَثِيرٌ وَلَمْ يَكْمُلْ مِنَ النِّسَاءِ إِلَّا آسِيَةُ امْرَأَةُ فِرْعَوْنَ، وَمَرْيَمُ بِنْتُ عِمْرَانَ، وَإِنَّ فَضْلَ عَائِشَةَ عَلَى النِّسَاءِ، كَفَضْلِ الثَّرِيدِ عَلَى سَائِرِ الطَّعَامِ» فَإِنَّهُ حَدِيثٌ صَحِيحٌ كَمَا تَرَى، اتَّفَقَ الشَّيْخَانِ عَلَى إِخْرَاجِهِ، وَلَفْظُهُ يَقْتَضِي حَصْرَ الْكَمَالِ فِي النِّسَاءِ فِي مَرْيَمَ وَآسِيَةَ، وَلَعَلَّ الْمُرَادَ بِذَلِكَ فِي زَمَانِهِمَا، فَإِنَّ كُلًّا مِنْهُمَا كَفَلَتْ نَبِيًّا فِي حَالِ صِغَرِهِ، فَآسِيَةُ كَفَلَتْ مُوسَى الْكَلِيمَ، وَمَرْيَمُ كَفَلَتْ وَلَدَهَا عَبْدَ اللَّهِ وَرَسُولِهِ، فَلَا يَنْفِي كَمَالَ غَيْرِهِمَا فِي هَذِهِ الْأُمَّةِ، كَخَدِيجَةَ وَفَاطِمَةَ ; فَخَدِيجَةُ خَدَمَتْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَبْلَ الْبَعْثَةِ خَمْسَةَ عَشَرَ سَنَةً، وَبَعْدَهَا أَزْيَدَ مِنْ عَشْرِ سِنِينَ، وَكَانَتْ لَهُ وَزِيرَ صِدْقٍ بِنَفْسِهَا وَمَالِهَا، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا وَأَرْضَاهَا، وَأَمَّا فَاطِمَةُ بِنْتُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَإِنَّهَا خُصَّتْ بِمَزِيدِ فَضِيلَةٍ عَلَى أَخَوَاتِهَا ; لِأَنَّهَا أُصِيبَتْ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَبَقِيَّةُ أَخَوَاتِهَا مِتْنَ فِي حَيَاةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَمَّا عَائِشَةُ ; فَإِنَّهَا كَانَتْ أَحَبَّ أَزْوَاجِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَيْهِ، وَلَمْ يَتَزَوَّجْ بِكْرًا غَيْرَهَا، وَلَا يُعْرَفُ فِي سَائِرِ النِّسَاءِ فِي هَذِهِ الْأُمَّةِ، بَلْ وَلَا فِي غَيْرِهَا، أَعْلَمُ مِنْهَا وَلَا أَفْهَمُ، وَقَدْ غَارَ اللَّهُ لَهَا حِينَ قَالَ لَهَا أَهْلُ الْإِفْكِ مَا قَالُوا، فَأَنْزَلَ بَرَاءَتَهَا مِنْ فَوْقِ سَبْعِ سَمَاوَاتٍ، وَقَدْ
পৃষ্ঠা - ৯৪৪
ষ্ষ্


আবু দাউদ ব্যতীত অধিকাৎশ সিহাহ্ সিত্তার অন্যান্য সংকলকগণ আবু মুসা আশআরী
(আ) থেকে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন: পুরুষদের মধ্যে অনেকেই পুর্ণতা লাভ
করেছেন; কিন্তু নারীদের মধ্যে কেবল ফিরঅড়াওনের শ্রী আসিয়া ও মারয়াম বিনত ইমরান ছাড়া
আর কেউই পুর্ণতা অর্জন করতে পারেন নি ৷ আর নারীদের উপর আয়েশার শ্রেষ্ঠতৃ তেমনি
যেমন শ্রেষ্ঠতৃ রয়েছে সকল খাদ্যের উপর ছারীদের ৷ এ হড়াদীছ সহীহ ৷ বুখারী ও মুসলিম
উভয়েই বর্ণনা করেছেন ৷ হাদীছের শব্দ থেকে স্পষ্ট বুঝা যায় যে, নারী জাতির মধ্যে পুর্ণতা
কেবল দু’জন নারীর মধ্যে সীমাবদ্ধ এবং তারা হলেন মারয়াম ও আসিয়া ৷ কেননা, র্তারা
উভয়েই দু’জন শিশু নবীকে তত্ত্বাবধান করেছিলেন ৷ বিবি আসিয়া করে ছিলেন মুসা
কালীমুল্লাহকে এবং বিবি মারয়াম করেছিলেন ঈসা রুহুল্লাহ্কে ৷ তবে পুর্ণতা আসিয়া ও
মারয়ামের মধ্যে সীমাবদ্ধ হওয়ার অর্থ হল তাদের স্বান্ব যুগের নারীদের মধ্যে র্তারাই ছিলেন
পুর্ণাঙ্গ মানুষ ৷ এ ব্যাখ্যা অনুযায়ী শেষ নবীর উম্মতের মধ্যে আরও নারীদের পুর্ণতা লাভে এ
হাদীছের সাথে কোন বিরোধ থাকে না ৷ যেমন খাদীজা ও ফাতিমা ৷ খাদীজা (রা) রাসুলুল্লাহর
থেদমত করেছেন নবুওতের পুর্বে পনের বছর এবং নবুওতের পরে প্রায় দশ বছর ৷ তিনি নিজের
জানমাল দিয়ে নিষ্ঠার সাথে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সেবা-সহযোগিতড়া করেছেন ৷ আর রাসুল তনয়া
ফাতিমা তার অন্যান্য বোনদের তুলনায় অধিক ফযীলতের অধিকারিণী ৷ কেননা, রাসুলুল্লাহ
(স)-এর জন্যে তিনি কষ্ট-নিপীড়ন সহ্য করেছেন এবং পিতার ইনতিকালের শোক যাতনায় ধৈর্য
ধারণ করেছেন ৷ কিন্তু অন্যান্য বোনদের সবাই রাসুলুল্লাহ্র জীবদ্দশায়ই ইস্তিকাল করেন ৷

অন্যদিকে হযরত আয়েশা (রা) ছিলেন রাসুলুল্লাহর প্রিয়তমা সহধর্মিণী ৷ আয়েশা (রা)
ব্যতীত অন্য কোন কুমারীকে রাসুলুল্লাহ বিবাহ করেন নি ৷ শেষ নবীর উষ্মভ্রুতর মধ্যে এমনকি
পুর্ববর্তী নবীগণের উম্মতের মধ্যেও আয়েশার চাইতে অধিক জ্ঞানী গুণী আর কোন মহিলা
ছিলেন বলে জানা যায় না ৷ অপবাদকারীরা যখন হযরত আয়েশা (রা)-এর বিরুদ্ধে অপবাদ
রটায় তখন আল্লাহ তাআলা সপ্ত আসমানের উপর থেকে নিজে আয়েশার পবিত্রত৷ ঘোষণা
করে আয়াত নাযিল করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ইনতিকড়ালের পর তিনি প্রায় পঞ্চাশ বছর
জীবিত ছিলেন ৷ এ দীর্ঘ সময়ব্যাপী তিনি কুরআন ও সুন্নাহর প্রচার-প্রসারে অসামান্য অবদান
রাখেন, মুসলিম সমাজে উদ্ভুত সমস্যাবলীব সমাধান দেন এবং মুসলমানদের পারস্পারিক দ্বন্ধ
সহরুইে মীমাংসার গুরুদাযিতু পালন করেছেন ৷ হযরত আয়েশা (বা) ছিলেন সকল উম্মুল
মুমিনীনের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ৷ এমনকি প্রাচীন ও আধুনিক বহু সংখ্যক আলিমের মতে, হযরত
খাদীজার চাইতেও আয়েশা (রা) শ্রেষ্ঠ ৷ কিন্তু উত্তম পন্থা হল উভয়ের মর্যাদার তড়ারতম্য করার
ব্যাপারে নীরবতড়া অবলম্বন করা ৷ যারা তারতম্য করেছেন তারা সেই হাদীছের প্রতি লক্ষ্য রেখে
করেছেন যে, নারীদের মধ্যে আয়েশার স্থান সে রকম, যে রকম খাদ্যের মধ্যে ছারীদের স্থান ৷
কিভু এ হাদীছের ব্যাখ্যা দু’রকম করা যেতে পারে ৷ এক, তিনি উল্লেখিত ও অনুল্লেখিত সকল
নারীদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ৷ দুই, উল্লেখিত নারীগণ ব্যতীত অন্যান্য নারীদের মধ্যে তিনি শ্রেষ্ঠ ৷

যাহোক,“ এখানে মুল আলোচনা ছিল হযরত মারয়াম বিনত ইমরান প্রসংগে ৷ কেননা
আল্লাহ তাকে পবিত্র করেছেন এবং তার যুগের সমস্ত নারীদের মধ্যে কিৎরা সকল যুগের সমস্ত


عُمِّرَتْ بَعْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَرِيبًا مِنْ خَمْسِينَ سَنَةً، تُبَلِّغُ عَنْهُ الْقُرْآنَ وَالسُّنَّةَ، وَتُفْتِي الْمُسْلِمِينَ وَتُصْلِحُ بَيْنَ الْمُخْتَلِفِينَ، وَهِيَ أَشْرَفُ أُمَّهَاتِ الْمُؤْمِنِينَ، حَتَّى خَدِيجَةَ بِنْتِ خُوَيْلِدٍ أُمِّ الْبَنَاتِ وَالْبَنِينَ، فِي قَوْلِ طَائِفَةٍ مِنَ الْعُلَمَاءِ السَّابِقِينَ وَاللَّاحِقِينَ، وَالْأَحْسَنُ الْوَقْفُ فِيهِمَا، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، وَمَا ذَاكَ إِلَّا لِأَنَّ قَوْلَهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «وَفَضْلُ عَائِشَةَ عَلَى النِّسَاءِ، كَفَضْلِ الثَّرِيدِ عَلَى سَائِرِ الطَّعَامِ» يَحْتَمِلُ أَنْ يَكُونَ عَامًّا بِالنِّسْبَةِ إِلَى الْمَذْكُورَاتِ وَغَيْرِهِنَّ، وَيَحْتَمِلُ أَنْ يَكُونَ عَامًّا بِالنِّسْبَةِ إِلَى مَا عَدَا الْمَذْكُورَاتِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَالْمَقْصُودُ هَاهُنَا ذِكْرُ مَا يَتَعَلَّقُ بِمَرْيَمَ بِنْتِ عِمْرَانَ، عَلَيْهَا السَّلَامُ، فَإِنَّ اللَّهَ طَهَّرَهَا وَاصْطَفَاهَا عَلَى نِسَاءِ عَالَمِي زَمَانِهَا، وَيَجُوزُ أَنْ يَكُونَ تَفْضِيلُهَا عَلَى النِّسَاءِ مُطْلَقًا، كَمَا قَدَّمْنَا. وَقَدْ وَرَدَ فِي حَدِيثٍ أَنَّهَا تَكُونُ مِنْ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْجَنَّةِ، هِيَ وَآسِيَةُ بِنْتُ مُزَاحِمٍ. وَقَدْ ذَكَرْنَا فِي " التَّفْسِيرِ " عَنْ بَعْضِ السَّلَفِ، أَنَّهُ قَالَ ذَلِكَ، وَاسْتَأْنَسَ بِقَوْلِهِ: {ثَيِّبَاتٍ وَأَبْكَارًا} [التحريم: 5] . قَالَ: فَالثَّيِّبُ آسِيَةُ، وَمِنَ الْأَبْكَارِ مَرْيَمُ بِنْتُ عِمْرَانَ. وَقَدْ ذَكَرْنَاهُ فِي آخِرِ سُورَةِ " التَّحْرِيمِ ". فَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ الطَّبَرَانِيُّ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نَاجِيَةَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ الْعَوْفِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا عَمِّيَ الْحُسَيْنُ، حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ نُفَيْعٍ، عَنْ سَعْدِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৯৪৫
ষ্ষ্


নারীদের মধ্যেত তাকে মনোনীত তকরেছেন ৷ এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা ইতিমধ্যেই হয়েছে ৷
হাদীছ শরীফে বর্ণিত হয়েছে যে, হযরত মারয়াম বিনত ইমরান এবং আসিয়৷ বিনত মুযাহিম
জান্নাতে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলায়হিস সালামেব সহধর্মিণীগণের অন্তর্ভুক্ত হবেন ৷ তাফসীর গ্রন্থে
আমরা প্রাথমিক যুগের কোন কোন আলিমের ব্যাখ্যা উল্লেখ করেছি যেখানে টু ;,া
৷ ৷< ৷ (অর্থাৎ বিবাহিত ত্রী ও কুমারী শ্রী) এর ব্যাথ্যায় বিবাহিত ত্রী বলতে আসিয়৷ এবং
কুমারী বলতে মারয়ামকে বুঝানো হয়েছে ৷ তাফসীর গ্রন্থে সুরাত তাহ্রীমের শেষ দিকে এ বিষয়ে
বিস্তা রিত আলোচনা করা হয়েছে ৷

তাবারানী সা’দ ইবন জুনাদ৷ ৷আল আওফী থেকে বর্ণিত ৷ রাসুলুল্লাহ (না) বলেছেন,
জান্নাতের মধ্যে আল্লাহ আমার সংগে ইমরানের কন্যা মারয়াম, ফিরআওনের ত্রী ও মুসা নবীর
ভন্নীকে বিবাহ দিবেন ৷ আবু ইয়া ল৷ আবু উমাম৷ থেকে বর্ণিত হাদীছে মুসা (আ) এর
বোনের নাম কুলসুম বলে উল্লেখিত হয়েছে ৷ আবু জাফর উকায়লী এ হাদীছ শেষের দিকে কিছু
বৃদ্ধিসহ বর্ণনা করেছেন ৷ অর্থাৎ রাসুলুল্লাহ্র কথা শোনার পর আবু উমাম৷ বলেছিলেন, ইয়া
রাসুলাল্লাহ! আপনার জন্যে এটা খুবই আনন্দের বিষয় ৷ অতঃপর উকায়লী মন্তব্য করেন যে
হাদীছের এ অংশটি নিভরিযোগ্য নয় ৷ যুবাযব ইবন বাক্কার ইবন আবু দাউদ থেকে বর্ণনা
করেন যে, একদা রাসুলুল্লাহ (সা) খাদীজার ঘরে প্রবেশ করেন ৷ খাদীজা (বা) তখন মৃত্যু
শয্যায় শায়িত ৷ রাসুলুল্লাহ বললেন, হে খাদীজা ! তোমার অবন্থ৷ আমার নিকট খুবই অগ্রীতিকর
ঠেকছে ৷ অবশ্য অপ্রীতিকর বিষয়ের মধ্যে আল্লাহ অনেক কল্যাণ রেখে থাকেন ৷ জেনে রেখ,
আল্লাহ জান্নাতের মধ্যে তোমার সাথে ইমরানের কন্যা মারয়াম, মুসার বোন কুলছুম ও
ফিরআওনের শ্রী আসিয়াকে আমার সংগে বিবাহ দিয়ে রেখেছেন ৷ খাদীজা ৷(রা) বললেন, ইয়া
রাসুলাল্লাহ! আল্লাহ আপনার সাথে এরুপ করেছেনঃ তিনি বললেন, হ্যা ৷ খাদীজা (বা ) বললেন,
বরকতময় হোক আপনাদের এ বিবাহ ও সন্তানাদি ৷

ইবন আসাকির ইবন আব্বাস (র) থেকে বর্ণিত ৷ হযরত খাদীজা (বা) যখন মৃত্যু
শয্যায় শায়িত তখন রাসুলুল্লাহ (না) তার নিকট গমন করেন এবং বলেন, হে খাদীজা ! যখন
তুমি তোমার সভীনদের সাথে মিলিত হবে তখন তাদেরকে আমার সালাম জানাবে ৷ খাদীজা
(বা) বললেন, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ! আমার পুর্বে কি আপনি কাউকে বিবাহ করেছিলেন? রাসুলুল্লাহ
বললেন, না, বিবাহ তো করিনি; কিন্তু আল্লাহ আমার সাথে মারয়াম বিনত ইমরান, আসিয়া
বিনত মুযাহিম এবং মুসার বোন কুলসুমকে বিবাহ দিয়েছেন ৷ ইবন আসাকির ইবন উমর
থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, একদা জিবরাঈল (আ) ওহী নিয়ে রাসুলুল্লাহর নিকট আসেন এবং
রাসুলুল্লাহ (না)-এর সাথে বসে আলাপ করেন ৷ এমন সময় খাদীজা ঐ স্থান দিয়ে গমন
করছিলেন ৷ জিবরাঈল (আ) জিজ্ঞেস করলেন, হে মুহাম্মদ ! ইনি কে! রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন,
ইনি হলেন সিদ্দীক৷ আমার শ্রী ৷ জিবরাঈল (আ) বললেন, তার নিকট আল্লাহর পক্ষ থেকে
আমার কাছে কিছু বার্তা আছে ৷ আল্লাহ তাকে সালাম জা ৷নিয়েছেন এবং জান্নাতে তার জন্যে
নির্মিত মুল্যবান ঘরের সুস× বাদ দিয়েছেন, সেখানে নেই কোন দুঃখ, নেই কোন কােলাহল ৷
খাদীজা (বা) বললেন, আল্লাহর নাম সালাম বা শান্তি ৷ আর তার থেকে সালাম ও শান্তির আশা


جُنَادَةَ هُوَ الْعَوْفِيُّ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ اللَّهَ زَوَّجَنِي فِي الْجَنَّةِ مَرْيَمَ بِنْتَ عِمْرَانَ، وَامْرَأَةَ فِرْعَوْنَ، وَأُخْتَ مُوسَى» . وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو يَعْلَى: حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ عَرْعَرَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ النُّورِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَشْعَرْتِ أَنَّ اللَّهَ زَوَّجَنِي مَرْيَمَ بِنْتَ عِمْرَانَ، وَآسِيَةَ بِنْتَ مُزَاحِمٍ، وَكَلْثَمَ أُخْتَ مُوسَى» رَوَاهُ ابْنُ جَعْفَرٍ الْعُقَيْلِيُّ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ النُّورِ بِهِ، وَزَادَ: فَقُلْتُ: هَنِيئًا لَكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ. ثُمَّ قَالَ الْعُقَيْلِيُّ: وَلَيْسَ بِمَحْفُوظٍ. وَقَالَ الزُّبَيْرُ بْنُ بَكَّارٍ: حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْحَسَنِ، عَنْ يَعْلَى بْنِ الْمُغِيرَةِ، عَنِ ابْنِ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: «دَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى خَدِيجَةَ وَهِيَ فِي مَرَضِهَا الَّذِي تُوُفِّيَتْ فِيهِ، فَقَالَ لَهَا: بِالْكُرْهِ مِنِّي مَا أَرَى مِنْكِ يَا خَدِيجَةُ، وَقَدْ يَجْعَلُ اللَّهُ فِي الْكُرْهِ خَيْرًا كَثِيرًا، أَمَا عَلِمْتِ أَنَّ اللَّهَ قَدْ زَوَّجَنِي مَعَكِ فِي الْجَنَّةِ مَرْيَمَ بِنْتَ عِمْرَانَ، وَكَلْثَمَ أُخْتَ مُوسَى، وَآسِيَةَ امْرَأَةَ فِرْعَوْنَ؟ قَالَتْ: وَقَدْ فَعَلَ اللَّهُ بِكَ ذَلِكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: نَعَمْ قَالَتْ:
পৃষ্ঠা - ৯৪৬
بِالرِّفَاءِ وَالْبَنِينَ» . وَرَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ، مِنْ حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ زَكَرِيَّا الْغَلَّابِيِّ، حَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ بَكَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ الْهُذَلِيُّ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَخَلَ عَلَى خَدِيجَةَ وَهِيَ فِي الْمَوْتِ، فَقَالَ: يَا خَدِيجَةُ، إِذَا لَقِيتِ ضَرَائِرَكِ فَأَقْرِئِيهِنَّ مِنِّي السَّلَامَ. قَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، وَهَلْ تَزَوَّجْتَ قَبْلِي؟ قَالَ: لَا، وَلَكِنَّ اللَّهَ زَوَّجَنِي مَرْيَمَ بِنْتَ عِمْرَانَ، وَآسِيَةَ بِنْتَ مُزَاحِمٍ، وَكَلْثَمَ أُخْتَ مُوسَى» . وَرَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ، مِنْ طَرِيقِ سُوِيدِ بْنِ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ صَالِحِ بْنِ عُمَرَ، عَنِ الضَّحَّاكِ وَمُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: «نَزَلَ جِبْرِيلُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَا أُرْسِلَ بِهِ، وَجَلَسَ يُحَدِّثُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذْ مَرَّتْ خَدِيجَةُ، فَقَالَ جِبْرِيلُ: مَنْ هَذِهِ يَا مُحَمَّدُ؟ قَالَ: هَذِهِ صِدِّيقَةُ أُمَّتِي قَالَ جِبْرِيلُ: مَعِي إِلَيْهَا رِسَالَةٌ مِنَ الرَّبِّ، عَزَّ وَجَلَّ، يُقْرِئُهَا السَّلَامَ، وَيُبَشِّرُهَا بِبَيْتٍ فِي الْجَنَّةِ مِنْ قَصَبٍ، بَعِيدٍ مِنَ اللَّهَبِ، لَا نَصَبَ فِيهِ وَلَا صَخَبَ. قَالَتِ: اللَّهُ السَّلَامُ، وَمِنْهُ السَّلَامُ، وَالسَّلَامُ عَلَيْكُمَا، وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ، مَا ذَلِكَ الْبَيْتُ الَّذِي مِنْ قَصَبٍ؟ قَالَ: لُؤْلُؤَةٌ جَوْفَاءُ بَيْنَ بَيْتِ مَرْيَمَ بِنْتِ عِمْرَانَ، وَبَيْتِ آسِيَةَ بِنْتِ مُزَاحِمٍ، وَهُمَا مِنْ أَزْوَاجِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ» وَأَصْلُ السَّلَامِ عَلَى خَدِيجَةَ مِنَ اللَّهِ وَبِشَارَتِهَا بِبَيْتٍ فِي الْجَنَّةِ، مِنْ قَصَبٍ لَا صَخَبَ فِيهِ وَلَا نَصَبَ، فِي
পৃষ্ঠা - ৯৪৭
ষ্ষ্


করা যায় এবং আপনাদের দৃ’জনের উপর সালাম, রহমত ও বরকত বর্ধিত হোক এবং আল্লাহর
রহমত ও বরকত রাসুলুল্লাহর উপর অবতীর্ণ হোক ৷ খাদীজা (বা) জিজ্ঞেস করলেন : কাসাব
নির্মিত ঐ ঘরটি কি? তিনি বললেন, আয়তাকার ঘুক্তা নির্মিত একটি বৃহৎ কক্ষ ৷ ঐ ঘরের
অবস্থান হবে মারয়াম বিনত ইমরানের ঘর ও আসিয়া বিনত মুযাহিমের ঘরের মধ্যবর্তী স্থানে ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, কিয়ামতের দিন ঐ দু’জন হবে আমার শ্ৰীদের অন্তর্ভুক্ত ৷ খাদীজার
প্রতি সালাম ও কষ্ট-কােলাহল মুক্ত মুক্তার ঘরের সুসংবাদের কথা সহীহ গ্রন্থে আছে; কিন্তু এই
অতিরিক্ত কথাটুকুর বর্ণনা একান্তই বিরল ৷ আর এ হাদীসসমুহের প্রতিটির সনদই সন্দেহযুক্ত ৷

ইবন আসাকির কাআব আহৰার থেকে বর্ণিত ৷ হযরত মুআবিয়৷ (বা) একবার র্তাকে
বয়েভুল মুকাদ্দাসের শুভ্র পাথর খণ্ড সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলেন উত্তরে তিনি বলেছিলেন, উক্ত
পাথর খণ্ডটি একটি খেজুর গাছের উপর স্থাপিত ৷ পাছটি জান্নাতের একটি নদীর উপর অবস্থিত ৷
ঐ গাছের নীচে বসে মারয়াম বিনত ইমরান ও আসিয়া বিনত মুযাহিম জান্নাতবাসীদের জন্যে
মালা পাথছেন ৷ কিয়ামত পর্যন্ত র্তারা এভাবে মালা পাথতে থাকবেন ৷ এরপর ইবন আসাকির
ভিন্ন সনদে উবাদা ইবনুস সামিত (রা) থেকে অনুরুপ হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ কিন্তু উক্ত
সনদে এ হাদীস অগ্রহণযােপ্য বরং জাল ৷ আবু যুরআইবন আবিদ থেকে বর্ণনা করেন যে,
একদা মুআবিয়া (রা) কাব আহবারকে বায়তুল মুকাদ্দাসের পাথর খণ্ড সম্পর্কে জিজ্ঞেস
করেছিলেন এবং উত্তরে তিনি অনুরুপ কথা বলেছিলেন ৷ ইবন আসাকির (র) বলেন,
উপরোল্লিখিত কথাটি কাব আহবারের কথা হতে পারে এবং তিনি এটা ইসরাঈলী উপাখ্যান
থেকে নিয়েছেন ৷ আর ইসরাঈলী উপাখ্যানের অনেক কথাই বানােয়াট ও কল্পিত-যা তাদের
মধ্যে ধর্মদ্রোহী মুর্থ লোকদের রচিত ৷


" الصَّحِيحِ ". وَلَكِنَّ هَذَا السِّيَاقَ بِهَذِهِ الزِّيَادَاتِ غَرِيبٌ جِدًّا. وَكُلٌّ مِنْ هَذِهِ الْأَحَادِيثِ فِي أَسَانِيدِهَا نَظَرٌ. وَرَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ، مِنْ حَدِيثِ أَبِي زُرْعَةَ الدِّمَشْقِيِّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنِي مُعَاوِيَةُ، عَنْ صَفْوَانَ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ، عَنْ كَعْبِ الْأَحْبَارِ، أَنَّ مُعَاوِيَةَ سَأَلَهُ عَنِ الصَّخْرَةِ ; يَعْنِي صَخْرَةَ بَيْتِ الْمَقْدِسِ، فَقَالَ: الصَّخْرَةُ عَلَى نَخْلَةٍ، وَالنَّخْلَةُ عَلَى نَهْرٍ مِنْ أَنْهَارِ الْجَنَّةِ، وَتَحْتَ النَّخْلَةِ مَرْيَمُ بِنْتُ عِمْرَانَ، وَآسِيَةُ بِنْتُ مُزَاحِمٍ، يَنْظِمَانِ سُمُوطَ أَهْلِ الْجَنَّةِ، حَتَّى تَقُومَ السَّاعَةُ. ثُمَّ رَوَاهُ مِنْ طَرِيقِ إِسْمَاعِيلَ بْنِ عَيَّاشٍ، عَنْ ثَعْلَبَةَ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنْ مَسْعُودٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمِثْلِهِ. وَهَذَا مُنْكَرٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ، بَلْ هُوَ مَوْضُوعٌ. ثُمَّ قَدْ رَوَاهُ أَبُو زُرْعَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ، عَنْ مَسْعُودِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنِ ابْنِ عَائِذٍ، أَنَّ مُعَاوِيَةَ سَأَلَ كَعْبًا عَنْ صَخْرَةِ بَيْتِ الْمَقْدِسِ، فَذَكَرَهُ. قَالَ الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ: وَكَوْنُهُ مِنْ كَلَامِ كَعْبِ الْأَحْبَارِ،
পৃষ্ঠা - ৯৪৮
أَشْبَهُ. قُلْتُ: وَكَلَامُ كَعْبِ الْأَحْبَارِ هَذَا، إِنَّمَا تَلْقَاهُ مِنَ الْإِسْرَائِيلِيَّاتِ، الَّتِي مِنْهَا مَا هُوَ مَكْذُوبٌ مُفْتَعَلٌ، وَضَعَهُ بَعْضُ زَنَادِقَتِهِمْ أَوْ جُهَّالِهِمْ، وَهَذَا مِنْهُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.