قصة العزير
পৃষ্ঠা - ৮৯৬
ষ্ষ্
হযরত উযায়র (আ)-এর বর্ণনা
ইবন আসাকির হযরত উযায়র (আ) এর পুর্ব পুরুষদের বংশলতিকা নিম্নরুপ বর্ণনা
করেছেন : উযায়র ইবন জ বওয ৷(ভিন্নমতে সুরীক) ইবন আাদয়৷ ইবন আইয়ুব ইবন দারযিনা
ইবন আরী ইবন তাকী ইবন উসব ইবন ফিনহাস ইবনৃল আবির ইবন হারুন ইবন ইমরান ৷
কারও কারও বর্ণনায় উযায়র (আ)-এর পিতার নাম বলা হয়েছে সারুখ৷ ৷ কোন কোন
ঐতিহাসিকের মতে উযায়র (আ)-এর কবর দামিশকে অবস্থিত ৷ ইবন আসাকির ইবন
আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (না) বলেছেন, আমার জানা নেই, ঝর্ণাট৷ বি
বিক্রি হয়েছে না বিক্রি হয়নি, আর উযায়র কি নবী ছিলেন নাকি নবী ছিলেন না ৷ আবু
হুরায়রা (রা) থেকেও এরুপ বর্ণিত হয়েছে ৷ ইসহাক ইবন বিশর ইবন আব্বাস (রা ) থেকে
বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, বুখত নসর যাদেরকে বন্দী করে নিয়েছিল তাদের মধ্যে উযায়রও
ছিলেন ৷ তখন তিনি ছিলেন একজন কিশোর ৷ যখন তিনি চল্লিশ বছর বয়সে উপনীত হন তখন
আল্লাহ তাকে হিকমত (নবুওত) দান করেন ৷ তাওরাত কিতাবে তার চাইতে ব্যুৎপত্তিসম্পন্ন
পন্ডিত আর কেউ ছিল না ৷ অন্যান্য নবীদের সাথে৩ তাকেও নবী হিসেবে উল্লেখ করা হত ৷ কিন্তু
যখন তিনি আল্লাহর নিকট তার ক্ষমতা সম্পর্কে প্রশ্ন করেন তখন তার নবুওত প্রত্যাহার করে
(নয়৷ হয় ৷ কিভু এ বর্ণনাটি দুর্বল ৷ সুত্র পরম্পর৷ বিচ্ছিন্ন ও অগ্নহণযোগ্য ৷
ইসহাক ইবন বিশর আবদুল্লাহ ইবন সালাম (বা) থেকে বর্ণনা করেন যে, উযায়র
হলেন আল্লাহর সেই বান্দা, র্যাকে তিনি একশ বছর মৃত অবস্থায় রেখে পুনরায় জীবিত
করেছিলেন ৷ ইসহাক ইবন বিশর বলেন, বিভিন্ন সুত্রে ইবন আব্বাস (রা) ৷;থকে বর্ণনা করেছেন
যে উযায়র ছিলেন একজন জ্ঞানী ও পুণ্যবান লোক ৷ একদা তিনি তার (ক্ষত খামার ও
বাগ বাগিচ৷ দেখার জন্যে ঘর থেকে বের হন ৷ সেখান থেকে প্রত্যাব৩ নকালে দ্বিপ্রহরের সময়
একটা বিধ্বস্ত বাড়িতে বিশ্রাম নেন ৷ তবে বাহন গাধার পিঠ থেকে নিচে অবতরণ করেন ৷ তার
সাথে একটি ঝুড়িতে ছিল ডুমুর এবং অন একটি ঝুড়িতে ছিল আঙ্গুর ৷ খাওয়ার উদ্দেশ্যে তিনি
একটি ;পয়ালায় আব্দুর নিংড়িয়ে রস বের করেন এবং শুকনো রুটি তাতে ভিজিয়ে রাখেন ৷
রুটি উক্ত বসে তালরুপে ভিজে গেলে খাবেন এই সময়ের মধ্যে বিশ্রামের উদ্দেশ্যে কিছু
সময়ের জন্যে চিত হয়ে ওরে পড়েন এবং পাদ খান৷ দেয়ালের সাথে লাগিয়ে দেন ৷ এ অবস্থায়
তিনি বিধ্বস্ত ঘরগুলাের প্ৰতি লক্ষ্য করলেন যার অধিবাসীরাও ধ্বংস হয়ে গিয়েছে ৷ তিনি
অনেকগুলো পুরাতন হাড় দেখতে পেয়ে মনে মনে ভাবলেন মৃত্যুর পর আল্লাহ কিরুপে
এগুলোকে জীবিত করবেন? আল্লাহ যে জীবিত করবেন, এতে তার আ৷:দা কোন সন্দেহ ছিল
না ৷ এ কথাটি তিনি কেবল অবাক বিস্ময়ের সাথে ভেবেছিলেন ৷ অতঃপর আল্লাহ মৃত্যুর
ফেরেশতাকে পাঠিয়ে তবেঃ রুহ কবজ করলে এবং একশ বছর পর্যন্ত মৃত অবস্থায় রেখে দেন ৷
مِائَةِ سَنَةٍ وَنَيِّفٍ، نَزَلَ عَنِ الْمُلْكِ لِوَلَدِهِ بَشْتَاسِبَ فَكَانَ فِي زَمَانِهِ ظُهُورُ دِينِ الْمَجُوسِيَّةِ ; وَذَلِكَ أَنَّ رَجُلًا كَانَ اسْمُهُ زَرَادُشْتَ كَانَ قَدْ صَحِبَ أَرْمِيَا، عَلَيْهِ السَّلَامُ، فَأَغْضَبَهُ، فَدَعَا عَلَيْهِ أَرْمِيَا فَبَرَصَ زَرَادُشْتُ فَذَهَبَ فَلَحِقَ بِأَرْضِ أَذْرَبِيجَانَ وَصَحِبَ بَشْتَاسِبَ فَلَقَّنَهُ دِينَ الْمَجُوسِيَّةِ الَّذِي اخْتَرَعَهُ مِنْ تِلْقَاءِ نَفْسِهِ، لَعَنَهُ اللَّهُ، فَقَبِلَهُ مِنْهُ بَشْتَاسِبُ وَحَمَلَ النَّاسَ عَلَيْهِ، وَقَهَرَهُمْ وَقَتَلَ مِنْهُمْ خَلَقَا كَثِيرًا مِمَّنْ أَبَاهُ مِنْهُمْ. ثُمَّ كَانَ بَعْدَ بَشْتَاسِبَ يَهْمَنُ بْنُ بَشْتَاسِبَ وَهُوَ مِنْ مُلُوكِ الْفُرْسِ الْمَشْهُورِينَ وَالْأَبْطَالِ الْمَذْكُورِينَ، وَقَدْ نَابَ بُخْتُ نَصَّرَ لِكُلِّ وَاحِدٍ مِنْ هَؤُلَاءِ الثَّلَاثَةِ، وَعَمَّرَ دَهْرًا طَوِيلًا، قَبَّحَهُ اللَّهُ.
وَالْمَقْصُودُ أَنَّ هَذَا الَّذِي ذَكَرَهُ ابْنُ جَرِيرٍ، مِنْ أَنَّ هَذَا الْمَارَّ عَلَى هَذِهِ الْقَرْيَةِ هُوَ أَرْمِيَا عَلَيْهِ السَّلَامُ، قَالَهُ وَهْبُ بْنُ مُنَبِّهٍ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُبَيْدِ بْنِ عُمَيْرٍ وَغَيْرُهُمَا، وَهُوَ قَوِيٌّ مِنْ حَيْثُ السِّيَاقِ الْمُتَقَدِّمِ. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ عَلَيٍّ، وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلَامٍ، وَابْنِ عَبَّاسٍ، وَالْحَسَنِ، وَقَتَادَةَ، وَالسُّدِّيِّ، وَسُلَيْمَانَ بْنِ بُرَيْدَةَ وَغَيْرِهِمْ أَنَّهُ عُزَيْرٌ. وَهَذَا أَشْهَرُ عِنْدَ كَثِيرٍ مِنَ السَّلَفِ وَالْخَلَفِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
[قِصَّةُ الْعُزَيْرِ]
[هَلْ كَانَ عُزَيْرٌ نَبِيًّا أَمْ لَا]
وَهَذِهِ قِصَّةُ الْعُزَيْرِ
قَالَ الْحَافِظُ أَبُو الْقَاسِمِ ابْنُ عَسَاكِرَ: هُوَ عُزَيْرُ بْنُ حَيْوَةَ وَيُقَالُ: ابْنُ سُورَيْقَ بْنِ عِرْنَا بْنِ أَيُّوبَ بْنِ دِرِثْنَا بْنِ عَرَى بْنِ تَقَى بْنِ السُّبُوعِ بْنِ فِنْحَاصَ بْنِ الْعَازِرِ بْنِ هَارُونَ بْنِ عِمْرَانَ. وَيُقَالُ: عُزَيْرُ بْنُ شُرُوخَا. جَاءَ فِي بَعْضِ الْآثَارِ أَنَّ قَبْرَهُ بِدِمَشْقَ. ثُمَّ سَاقَ مِنْ طَرِيقِ أَبِي الْقَاسِمِ الْبَغَوِيِّ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ حِبَّانَ بْنِ عَلِيٍّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ كُرَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ مَرْفُوعًا: «لَا أَدْرِي أَلُعِنَ تُبَّعٌ أَمْ لَا، وَلَا أَدْرِي أَكَانَ عُزَيْرٌ نَبِيًّا أَمْ لَا؟» ثُمَّ رَوَاهُ مِنْ حَدِيثِ مُؤَمَّلِ بْنِ الْحَسَنِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقِ السِّجْزِيِّ عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ سَعِيدِ الْمَقْبُرِيِّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ مَرْفُوعًا نَحْوَهُ. ثُمَّ رَوَى مِنْ طَرِيقِ إِسْحَاقَ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৮৯৭
ষ্ষ্
একশ’ বছর পুর্ণ হলে আল্লাহ উযায়রের নিকট ৫ফরেশত ৷ পাঠিয়ে দেন ৷ এ দীর্ঘ সময়ে বনী
ইসরাঈলের মধ্যে অনেক পরিবর্ত ন সাধিত হয়ে গিয়েছিল এবং তার ধর্মের মধ্যে অনেক
বিদআতে তর প্রচলন করেছিল ৷ যা হোক ফেরেশ৩ ৷ এসে উযায়রের কালর ও চক্ষুদ্বয় জীবিত
করলেন, যাতে কিভাবে আল্লাহ মৃতকে জীবিত করবেন তা স্বচক্ষে দেখেন ও অন্তর দিয়ে
উপলব্ধি করেন ৷ এরপর ফেরেশত৷ উযায়রের বিক্ষিপ্ত হাড়গুলে৷ একত্রিত করে তাতে গোশত
লাগালেন, চুল পশম যথাস্থানে স০ যুক্ত করলেন এবং চামড়া দ্বারা সম ম্ভ শরীর আবৃত করলেন ৷
সবশেষে তার মধ্যে রুহ প্রবেশ করালেন ৷ তার দেহ এভাবে তৈরি হচ্ছে৩ তা তিনি প্রত্যক্ষ
করছিলেন এবং অন্তর দিয়ে আল্লাহর কুদরত উপলব্ধি করছিলেন ৷ উযায়র উঠে বললেন ৷
ফেরেশত৷ জিজ্ঞেস করলেন, আপনি এ অবস্থায় কতদিন অবস্থান করলেন ? তিনি বললেন, এক
দিন অথবা এক দিনেরও কিছু কম ৷ ’ এরুপ বলার কারণ হল তিনি দ্বিপ্রহরে দিনের প্রথম ভাগে
শুয়েছিলেন এবং সুর্যাস্তের পুর্বে উঠেছিলেন ৷৩ তাই বললেন, দিনের কিছু অংশ, পুর্ণ দিন নয় ৷
ফেরেশত৷ জানালেন, না, বরং আপনি একশ’ বছর এভাবে অবস্থান করেছেন ৷ আপনার খাদ্য
সামগ্রী ও পানীয় বস্তুর প্রতি ৩লক্ষ্য করুন! এখানে খাদ্য বলতে তার শুকন৷ রুটি এর০ পানীয়
বলতে পেয়ালার মধ্যে আব্দুর নিংড়ানে৷ রস বুঝানো হয়েছে ৷ দেখা গেল এ দুটির একটিও নষ্ট
হয়নি ৷ রুটি শুকন৷ আছে এর০ রস অবিকৃত অবস্থায় রয়েছে ৷
কুরআনে একেই বলা হয়েছে রষ্৷ ণ্ অর্থাৎ তা অবিকৃত রয়েছে ৷ রুচি ও রসের মত
তার আব্দুর এর০ ডুমুরও ট টক ৷রয়েছে ৷ এর কিছুই নষ্ট হয়নি ৷ উযায়র ফেরেশতার মুখে
একশ বছর অবস্থানের কথা শুনে এবং খাদ্যদ্রব্য অবিকৃত দেখে দ্বিধা-দ্বত্তন্দুর মধ্যে পড়ে যান,
যেন ফেরেশতার কথা তিনি মেনে নিতে পারছিলেন না ৷৩ তাই ফেরেশত৷ তাকে বললেন, আপনি
আমার কথায় সন্দেহ করছেন, তা হলে আপনার গাধাটির প্রতি লক্ষ্য করুন ৷ উযায়র লক্ষ্য করে
দেখলেন যে, তার গাধাটি মরে পচে গলে প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে ৷ হাড়গুলো পুরাতন হয়ে
যত্রতত্র বিক্ষিপ্ত হয়ে পড়ে রয়েছে ৷ অতঃপর ফেরেশত৷ হাড়গুলোকে আহ্বান করলেন ৷ সঙ্গে
সঙ্গে হাড়গুলো চতুর্কিংৰু থেকে এসে একত্রিত হয়ে গেল এবং ফেরেশত৷ সেগুলো পরস্পরের
সাথে স০ যুক্ত করে দিলেন ৷ উযায়র তা তাকিয়ে দেখছিলেন ৷ তারপর ফেরেশত৷ উক্ত কৎকালে
রগ, শির ৷-উপশ্যিরা সৎঙ্গু য়োজন করেছেন ৷ গোশত দ্বারা আচ্ছাদিত করেন এবং চামড়া ও পশম
দ্বারা তা আবৃত করেন ৷ সবশেষে তার মধ্যে রুহ প্রবেশ করার ৷ ফলে গাধাটি মাথা ও কান
খাড়া করে সাড়া ল এর০ কিয়ামতঅ আরম্ভ হয়ে গিয়েছে ভেবে চীৎকার করতে লাগল ৷
আল্লাহ্র বাণী :
প্প০শ্
ক্রো ;ইিক্তাশ্হ্রট্রুাঢো ণ্পু১
এবং তোমার গাধাটির প্রতি লক্ষ্য কর; কারণ তোমাকে মানব জ তির জন্যে নিদর্শনস্বরুপ
করব ৷ আর অন্থিগুল্যের প্রতি লক্ষ্য কর, কিভাবে সেগুলোকে সংযোজিত করি এবং গোশত দ্বারা
ঢেকে দেই ৷ (২ : ২৫৯) ৷
بِشْرٍ، وَهُوَ مَتْرُوكٌ، عَنْ جُوَيْبِرٍ، وَمُقَاتِلٍ، عَنِ الضَّحَّاكِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ عُزَيْرًا كَانَ مِمَّنْ سَبَاهُ بُخْتُ نَصَّرَ وَهُوَ غُلَامٌ حَدَثٌ، فَلَمَّا بَلَغَ أَرْبَعِينَ سَنَةً أَعْطَاهُ اللَّهُ الْحِكْمَةَ، قَالَ: وَلَمْ يَكُنْ أَحَدٌ أَحْفَظَ وَلَا أَعْلَمَ بِالتَّوْرَاةِ مِنْهُ. قَالَ: وَكَانَ يُذْكَرُ مَعَ الْأَنْبِيَاءِ حَتَّى مَحَا اللَّهُ اسْمَهُ مِنْ ذَلِكَ، حِينَ سَأَلَ رَبَّهُ عَنِ الْقَدَرِ. وَهَذَا ضَعِيفٌ وَمُنْقَطِعٌ وَمُنْكِرٌ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَقَالَ إِسْحَاقُ بْنُ بِشْرٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلَامٍ، أَنَّ عُزَيْرًا هُوَ الْعَبْدُ الَّذِي أَمَاتَهُ اللَّهُ مِائَةَ عَامٍ ثُمَّ بَعَثَهُ.
وَقَالَ إِسْحَاقُ بْنُ بِشْرٍ: أَنْبَأَنَا سَعِيدُ بْنُ بَشِيرٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ كَعْبٍ، وَسَعِيدُ بْنُ أَبِي عَرُوبَةَ عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، وَمُقَاتِلٌ، وَجُوَيْبِرٌ، عَنِ الضَّحَّاكِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِسْمَاعِيلَ السُّدِّيُّ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَإِدْرِيسُ، عَنْ جَدِّهِ، وَهْبِ بْنِ مُنَبِّهٍ، قَالَ إِسْحَاقُ بْنُ بِشْرٍ: كُلُّ هَؤُلَاءِ حَدَّثُونِي عَنْ حَدِيثِ عُزَيْرٍ وَزَادَ بَعْضُهُمْ عَلَى بَعْضٍ، قَالُوا بِإِسْنَادِهِمْ: إِنَّ عُزَيْرًا كَانَ عَبْدًا صَالِحًا حَكِيمًا خَرَجَ ذَاتَ يَوْمٍ إِلَى ضَيْعَةٍ لَهُ يَتَعَاهَدُهَا، فَلَمَّا انْصَرَفَ انْتَهَى إِلَى خَرِبَةٍ حِينَ قَامَتِ الظَّهِيرَةُ وَأَصَابَهُ الْحَرُّ، وَدَخَلَ الْخَرِبَةَ وَهُوَ عَلَى حِمَارِهِ، فَنَزَلَ عَنْ حِمَارِهِ وَمَعَهُ سَلَّةٌ فِيهَا تِينٌ، وَسَلَّةٌ فِيهَا عِنَبٌ، فَنَزَلَ فِي ظِلِّ تِلْكَ الْخَرِبَةِ وَأَخْرَجَ قَصْعَةً مَعَهُ، فَاعْتَصَرَ مِنَ الْعِنَبِ الَّذِي
পৃষ্ঠা - ৮৯৮
ষ্ষ্
অর্থাৎ তোমার পাবার বিক্ষিপ্ত হাড়গুলাের প্ৰতি লক্ষ্য কর ৷ কিভাবে সেগুলোকে গ্রন্থিতে
গ্রন্থিতে সংযোজন করা হয় ৷ যখন গোশতবিহীন হাড়েব কংকাল তৈরি হল তখন বলা হল,
এবার লক্ষ্য কর, কিভাবে আমি এ কংকালকে গোশত দ্বারা আচ্ছাদিত করি ৷ যখন তার নিকট এ
বিষয়টি সু ম্পৃষ্ট হয়ে গেল তখন তিনি বলে উঠলেন, আমি জানি যে, আল্লাহ সর্ববিষয়ে
সর্বশক্তিমান ৷ মৃতকে জীবিত করড়াসহ যে কোন কাজ করতে তিনি সম্পুর্ণ সক্ষম ৷
অতঃপর উযায়ব (আ) উক্ত গাধার পিঠে আরোহণ করে নিজ এলাকায় চলে যান ৷ কিন্তু
সেখানে কোন ল্যেকই তিনি চিনতে পারছেন না; আর তাকেও দেখে কেউ চিনতে পারছে না ৷
নিজের বাড়ি-ঘরও তিনি সঠিকভাবে চিনে উঠতে পারছিলেন না ৷ অবশেষে ধারণার বশে নিজের
মনে করে এক বাড়িতে উঠলেন ৷ সেখানে অন্ধ ও পঙ্গু এক বৃদ্ধাকে পেলেন ৷ তার বয়স ছিল
একশ বিশ বছর ৷ এই বৃদ্ধা ছিল উযায়ব পরিবারের দাসী ৷ একশ’ বছর পুর্বে তিনি যখন বাড়ি
থেকে বের হয়ে যান, তখন এই বৃদ্ধার বয়স ছিল বিশ বছর এবং উযায়রকে সে চিনত ৷ বৃদ্ধ
বয়সে উপনীত হলে সে অন্ধ ও পঙ্গু হয়ে যায় ৷ উযায়ব জিজ্ঞেস করলেন, হে বৃদ্ধ৷ ! এটা কি
উযায়রের বাড়ি? বৃদ্ধা বলল, হীা, এটা উযায়রের বাড়ি ৷ বৃদ্ধা মহিলাটি কেদে ফেলল এবং
বলল, এতগুলো বছর কেটে গেল, কেউ তার নামটি উচ্চারণও করে না, সবাই তাকে ভুলে
গিয়েছে ৷ উযায়ব নিজের পরিচয় দিয়ে বললেন, আমিই সেই উযায়ব ৷ আল্লাহ আমাকে একশ
বছর মৃত অবস্থায় রেখে পুনরায় জীবিত করেছেন ৷ বৃদ্ধা বলল, কী আশ্চর্য ! আমরাও তো
তাকে একশ বছর পর্যন্ত পাচ্ছি না, সবাই তার নাম ভুলে গিয়েছে, কেউ তাকে স্মরণ করে না ৷
তিনি বললেন, আমিই সেই উযায়ব ৷ বৃদ্ধা বলল, আপনি যদি সত্যিই উযায়ব হন, তা হলে
উযায়রের দোয়া আল্লাহ কবুল করতেন ৷ কোন রােগী বা বিপদগ্নস্তের জন্যে দোয়া করলে আল্লাহ
তাকে নিরাময় করতেন এবং বিপদ থেকে মুক্তি দিতেন ৷ সুতরাং আপনি আমার জন্যে দোয়া
করুন, আল্লাহ আমার দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিলে আপনাকে দেখব এবং আপনি উযায়ব হলে আমি
চিনব ৷ তখন উযায়ব দোয়া করলেন এবং বৃদ্ধার চোখে হাত বুলিয়ে দিলেন ৷ এতে তার অন্ধতৃ
দুর হয়ে গেল ৷
তারপর তিনি বৃদ্ধার হাত ধরে বললেন, আল্লাহর হুকুমে তুমি উঠে র্দাড়াও ৷ সাথে সাথে
তার পঙ্গুতু বিদুরিত হল, যে লোকের মত উঠে দীড়ালাে ৷ মনে হল যে বন্ধন থেকে মুক্তি লাভ
করেছে ৷ তারপর উযায়রের দিকে তাকিয়ে দেখে বলে উঠল, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আপনিই
উযায়ব ৷ এরপর ঐ বৃদ্ধা রনী ইসরাঈলের মহল্লায় চলে গেল ৷ দেখল, তারা এক আসবে
জমায়েত হয়েছে ৷ সে আসবে উযায়রের এক বৃদ্ধ পুত্রও উপ ত ছিল, বয়স একশ আঠার
বছর ৷ শুধু তাই না, পুত্রদেব পুত্ররাও তথায় উপ ত ছিল, তারাও আজ প্রোঢ় ৷ বৃদ্ধা মহিলা এক
পার্শে দাড়িয়ে মজলিন্সের লোকদেরকে ডেকে বলল, উযায়ব তোমাদের মাঝে আবার ফিরে
এসেছেন ৷ কিন্তু বৃদ্ধার এ কথা তারা হেসে উড়িয়ে দিল ৷ তারা বলল, তুমি মিথুব্রক ৷ বৃদ্ধা
নিজের পরিচয় দিয়ে বলল, আমি অমুক, তোমাদের বাড়ির দাসী ৷ উযায়ব এসে আমার জন্যে
আল্লাহর নিকট দোয়া করেছেন ৷ তিনি আমার দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিয়েছেন এবং পঙ্গু পা সুস্থ
করে দিয়েছেন ৷ উযায়ব বলেছেন, আল্লাহ তাকে একশ বছর মৃত অবস্থায় রেখে আবার জীবিত
كَانَ مَعَهُ فِي الْقَصْعَةِ، ثُمَّ أَخْرَجَ خُبْزًا يَابِسًا مَعَهُ، فَأَلْقَاهُ فِي تِلْكَ الْقَصْعَةِ فِي الْعَصِيرِ ; لِيَبْتَلَّ لِيَأْكُلَهُ، ثُمَّ اسْتَلْقَى عَلَى قَفَاهُ وَأَسْنَدَ رِجْلَيْهِ إِلَى الْحَائِطِ فَنَظَرَ سَقْفَ تِلْكَ الْبُيُوتِ وَرَأَى مَا فِيهَا وَهِيَ قَائِمَةٌ عَلَى عُرُوشِهَا وَقَدْ بَادَ أَهْلُهَا، وَرَأَى عِظَامًا بَالِيَةً فَقَالَ: {أَنَّى يُحْيِي هَذِهِ اللَّهُ بَعْدَ مَوْتِهَا} [البقرة: 259] فَلَمْ يَشُكَّ أَنَّ اللَّهَ يُحْيِيهَا وَلَكِنْ قَالَهَا تَعَجُّبًا، فَبَعَثَ اللَّهُ مَلَكَ الْمَوْتِ، فَقَبَضَ رُوحَهُ، فَأَمَاتَهُ اللَّهُ مِائَةَ عَامٍ، فَلَمَّا أَتَتْ عَلَيْهِ مِائَةُ عَامٍ، وَكَانَتْ فِيمَا بَيْنَ ذَلِكَ فِي بَنِي إِسْرَائِيلَ أُمُورٌ وَأَحْدَاثٌ. قَالَ: فَبَعَثَ اللَّهُ إِلَى عُزَيْرٍ مَلَكًا فَخَلَقَ قَلْبَهُ لِيَعْقِلَ بِهِ، وَعَيْنَيْهِ لِيَنْظُرَ بِهِمَا ; فَيَعْقِلَ كَيْفَ يُحْيِي اللَّهُ الْمَوْتَى، ثُمَّ رَكَّبَ خَلْقَهُ وَهُوَ يَنْظُرُ، ثُمَّ كَسَى عِظَامَهُ اللَّحْمَ، وَالشَّعْرَ، وَالْجِلْدَ، ثُمَّ نَفَخَ فِيهِ الرُّوحَ، كُلُّ ذَلِكَ وَهُوَ يَرَى وَيَعْقِلُ، فَاسْتَوَى جَالِسًا، فَقَالَ لَهُ الْمَلِكُ: {كَمْ لَبِثْتَ} [البقرة: 259] ، قَالَ: {لَبِثْتُ يَوْمًا أَوْ بَعْضَ يَوْمٍ} [البقرة: 259] وَذَلِكَ أَنَّهُ كَانَ نَامَ فِي صَدْرِ النَّهَارِ عِنْدَ الظَّهِيرَةِ، وَبُعِثَ فِي آخِرِ النَّهَارِ وَالشَّمْسُ لَمْ تَغِبْ، فَقَالَ: أَوْ بَعْضَ يَوْمٍ وَلَمْ يَتِمَّ لِي يَوْمٌ. فَقَالَ لَهُ الْمَلَكُ: {بَلْ لَبِثْتَ مِائَةَ عَامٍ فَانْظُرْ إِلَى طَعَامِكَ وَشَرَابِكَ} [البقرة: 259] يَعْنِي الطَّعَامَ ; الْخُبْزَ الْيَابِسَ، وَشَرَابَهُ ; الْعَصِيرَ الَّذِي كَانَ اعْتَصَرَ فِي الْقَصْعَةِ، فَإِذَا هُمَا عَلَى حَالِهِمَا لَمْ يَتَغَيَّرِ الْعَصِيرُ وَالْخُبْزُ يَابِسٌ، فَذَلِكَ قَوْلُهُ: {لَمْ يَتَسَنَّهْ} [البقرة: 259] يَعْنِي لَمْ يَتَغَيَّرْ، وَكَذَلِكَ التِّينُ وَالْعِنَبُ غَضٌّ لَمْ يَتَغَيَّرْ
পৃষ্ঠা - ৮৯৯
عَنْ شَيْءٍ مِنْ حَالِهِمَا، فَكَأَنَّهُ أَنْكَرَ فِي قَلْبِهِ، فَقَالَ لَهُ الْمَلَكُ: أَنْكَرْتَ مَا قُلْتُ لَكَ؟ انْظُرْ إِلَى حِمَارِكَ. فَنَظَرَ فَإِذَا حِمَارُهُ قَدْ بَلِيَتْ عِظَامُهُ وَصَارَتْ نَخِرَةً، فَنَادَى الْمَلَكُ عِظَامَ الْحِمَارِ، فَأَجَابَتْ وَأَقْبَلَتْ مِنْ كُلِّ نَاحِيَةٍ حَتَّى رَكَّبَهُ الْمَلَكُ، وَعُزَيْرٌ يَنْظُرُ إِلَيْهِ، ثُمَّ أَلْبَسَهَا الْعُرُوقَ وَالْعَصَبَ، ثُمَّ كَسَاهَا اللَّحْمَ، ثُمَّ أَنْبَتَ عَلَيْهَا الْجِلْدَ وَالشَّعْرَ، ثُمَّ نَفَخَ فِيهِ الْمَلَكُ، فَقَامَ الْحِمَارُ رَافِعًا رَأْسَهُ وَأُذُنَيْهِ إِلَى السَّمَاءِ، نَاهِقًا يَظُنُّ الْقِيَامَةَ قَدْ قَامَتْ، فَذَلِكَ قَوْلُهُ: {وَانْظُرْ إِلَى الْعِظَامِ كَيْفَ نُنْشِزُهَا ثُمَّ نَكْسُوهَا لَحْمًا} [البقرة: 259] . يَعْنِي انْظُرْ إِلَى عِظَامِ حِمَارِكَ كَيْفَ نُرَكِّبُ بَعْضَهَا بَعْضًا فِي أَوْصَالِهَا، حَتَّى إِذَا صَارَتْ عِظَامًا مُصَوَّرًا حِمَارًا بِلَا لَحْمٍ، ثُمَّ انْظُرْ كَيْفَ نَكْسُوهَا لَحْمًا، {فَلَمَّا تَبَيَّنَ لَهُ قَالَ أَعْلَمُ أَنَّ اللَّهَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ} [البقرة: 259] مِنْ إِحْيَاءِ الْمَوْتَى وَغَيْرِهِ. قَالَ: فَرَكِبَ حِمَارَهُ حَتَّى أَتَى مَحِلَّتَهُ فَأَنْكَرَهُ النَّاسُ، وَأَنْكَرَ النَّاسَ، وَأَنْكَرَ مَنَازِلَهُمْ، فَانْطَلَقَ عَلَى وَهَمٍ مِنْهُ، حَتَّى أَتَى مَنْزِلَهُ، فَإِذَا هُوَ بِعَجُوزٍ عَمْيَاءَ مُقْعَدَةٍ قَدْ أَتَى عَلَيْهَا مِائَةٌ وَعِشْرُونَ سَنَةً، كَانَتْ أَمَةً لَهُمْ، فَخَرَجَ عَنْهُمْ عُزَيْرٌ وَهِيَ بِنْتُ عِشْرِينَ سَنَةً، كَانَتْ عَرَفَتْهُ وَعَقَلَتْهُ، فَلَمَّا أَصَابَهَا الْكِبَرُ أَصَابَهَا الزَّمَانَةُ فَقَالَ لَهَا عُزَيْرٌ: يَا هَذِهِ أَهَذَا مَنْزِلُ عُزَيْرٍ؟ قَالَتْ: نَعَمْ هَذَا مَنْزِلُ عُزَيْرٍ. فَبَكَتْ وَقَالَتْ: مَا رَأَيْتُ أَحَدًا مِنْ كَذَا وَكَذَا سَنَةٍ يَذْكُرُ عُزَيْرًا وَقَدْ نَسِيَهُ
পৃষ্ঠা - ৯০০
ষ্ষ্
করে দিয়েছেন ৷ এ কথা শোনার পর লোকজন উঠে উযায়রের বাড়িতে গেল এবং তাকে ভাল
করে দেখল ৷ উযায়রের বৃদ্ধ পুত্র বলল, আমার পিতার দুই র্কাধের মাঝে একটি কলে তিল
ছিল ৷ সুতরাং সে কাধের কাপড় উঠিয়ে তিল দোখ তাকে চিনতে থাকা এবং বলল ইনিই
আমার পিতা উযায়র ৷ তখন বনী ইসর৷ ঈলের লোকজন উযায়রকে বলল, আমরা শুনেছি আপনি
ব্যতীত অন্য কোন লোকের তাওরাত কিতাব মুখস্থ ছিল না ৷ এ দিকে বুখত নসর এসে লিখিত
তাওরাতের সমস্ত কপি আগুনে জ্বালিয়ে দিয়েছে ৷ একটি অংশ ও অবশিষ্ট নেই ৷ সুতরাং আপনি
আমাদের জন্যে একখান৷ তাওরাত লিখে দিন ৷ বুখৃত নসরের আক্রমণকালে উযায়রের পিতা
সারুখ৷ তাওরাতের একটি কপি মাটির নিচে পুতে রেখেছিলেন ৷ কািন্তু ;সই স্থানটি কো ৷থায়
উযায়র ব্যতীত আর কেউ তা জানত ন৷ ৷ সুতরাং র্তিনি৷ উপস্থিত সো ব দেরকে সাথে নিয়ে :সই
স্থানে গেলেন এবং মাটি খুড়ে তাওরাতেব কপি বের করলেন ষ্ কিভু এতদিনে ত ৷ওরাতের
পাতাগুলো নষ্ট হয়ে সমস্ত লেখা মুছে গিয়েছে ৷ এরপর তিমি একটি বৃক্ষের নিচে গিয়ে
বসলেন, বনী ইসরাঈলের লোকজনও তার পাশে ৷গিয়ে ঘিরে রুম্ভ্রু৷ ৷ কিছুক্ষাণর মধ্যে
আকাশ থেকে দু’টি নক্ষত্র এসেত র পেটের মধ্যে প্রবেশ করল দু এতে গোটা তাওরাত
কিতাব তার স্মৃতিতে ভেসে উঠলে৷ ৷ তখন বনী ইসরাঈলের জন্যে তিনি নতুনভাবে তাওরাত
লিখে দিলেন ৷ এ সবের জন্যে অর্থাৎ নক্ষত্রদ্বয়ের অবতরণ ও কার্যক্রম, তাওরাত কিতাব
নতুনভাবে লিখন ও বনী ইসরাঈলের নেতৃত্ব গ্রহণের কারণে ইহ্রদীপণ উযায়রকে আল্লাহ্ব পুত্র
হিসেবে আখ্যায়িত করে ৷ উযায়র হিযকীল নবীর সাওয়াদ এলাকায় অবস্থিত আশ্রমে বসে
তাওরাত কিতাবের পুনর্লিখন কাজসম্পন্ন করেছিলেন ৷ যে নগরীতে তিনি ইনতিকাল
করেছিলেনত ৷র নাম সাইরাবায ( ১ ৷; ৷ ) ৷) ৷ ইবন আব্বাস (বা) বলেন এ প্রসঙ্গে আল্লাহর
বাণীং : র্ত্যট্া ৷ ৰুরু ;৮ ন্ঠু!গ্লু (৫তামাকে আমি মানব জাতির জন্যে নিদর্শন বানাবার
উদ্দেশ্যে এরুপ করেছি) মানব জাতি বলতে এখানে বনী ইসরাঈলকে বুঝানো হয়েছে ৷ কেননা
উযায়রত ৷র পুত্রদের মাঝে অবস্থান করছিলেন ৷ অথচ পুত্রপ ৷ণ সবাই ছিল বৃদ্ধ আর তিনি
অবশ্য যুবক ৷ এর কারণ, যখন ত ব মৃত্যু হয় তখন বয়স ছিল চল্লিশ ৷বছর ৷ একশ বছর পর
আল্লাহ যখন তাকে জীবিত করলেন তখন (প্রথম) মৃত ত্যুকালের যৌবন অবস্থার উপরেই জীবিত
করেছিলেন ৷ ইবন আব্বাস (বা) বলেছেন, বুখৃত নসরের ঘটনার পরে উযায়র পুনর্জীবিত
হয়েছিলেন হাসানও এ একই মত তপ্ৰকাশ করেছেন ৷ আবু হাতিম সিজিসতানী ইবন আব্বাসেব
বক্তব্যকে কবিতা আকারে নিম্নলিখিত৩ ৩াবে রুপ দিয়েছেন ৷
পু
النَّاسُ. قَالَ: فَإِنِّي أَنَا عُزَيْرٌ، كَانَ اللَّهُ أَمَاتَنِي مِائَةَ سَنَةٍ ثُمَّ بَعَثَنِي. قَالَتْ: سُبْحَانَ اللَّهِ! فَإِنَّ عُزَيْرًا قَدْ فَقَدْنَاهُ مُنْذُ مِائَةِ سَنَةٍ، فَلَمْ نَسْمَعْ لَهُ بِذِكْرٍ. قَالَ: فَإِنِّي أَنَا عُزَيْرٌ. قَالَتْ: فَإِنَّ عُزَيْرًا رَجُلٌ مُسْتَجَابُ الدَّعْوَةِ، يَدْعُو لِلْمَرِيضِ وَلِصَاحِبِ الْبَلَاءِ بِالْعَافِيَةِ وَالشِّفَاءِ، فَادْعُ اللَّهَ أَنْ يَرُدَّ عَلَيَّ بَصَرِي حَتَّى أَرَاكَ، فَإِنْ كُنْتَ عُزَيْرًا عَرَفْتُكَ. قَالَ: فَدَعَا رَبَّهُ وَمَسَحَ بِيَدِهِ عَلَى عَيْنَيْهَا فَصَحَّتَا وَأَخَذَ بِيَدِهَا وَقَالَ: قُومِي بِإِذْنِ اللَّهِ. فَأَطْلَقَ اللَّهُ رِجْلَيْهَا، فَقَامَتْ صَحِيحَةً كَأَنَّمَا نَشِطَتْ مِنْ عِقَالٍ، فَنَظَرَتْ فَقَالَتْ: أَشْهَدُ أَنَّكَ عُزَيْرٌ وَانْطَلَقَتْ إِلَى مَحِلَّةِ بَنِي إِسْرَائِيلَ، وَهُمْ فِي أَنْدِيَتِهِمْ وَمَجَالِسِهِمْ، وَابْنٌ لِعُزَيْرٍ شَيْخٌ ابْنُ مِائَةِ سَنَةٍ وَثَمَانِي عَشْرَ سَنَةً وَبَنُو بَنِيهِ شُيُوخٌ فِي الْمَجْلِسِ، فَنَادَتْهُمْ فَقَالَتْ: هَذَا عُزَيْرٌ قَدْ جَاءَكُمْ. فَكَذَّبُوهَا، فَقَالَتْ: أَنَا فُلَانَةٌ مَوْلَاتُكُمْ دَعَا لِي رَبَّهُ، فَرَدَّ عَلَيَّ بَصَرِي وَأَطْلَقَ رِجْلَيَّ، وَزَعَمَ أَنَّ اللَّهَ أَمَاتَهُ مِائَةَ سَنَةٍ ثُمَّ بَعَثَهُ. قَالَ: فَنَهَضَ النَّاسُ، فَأَقْبَلُوا إِلَيْهِ، فَنَظَرُوا إِلَيْهِ فَقَالَ ابْنُهُ: كَانَ لِأَبِي شَامَةٌ سَوْدَاءُ بَيْنَ كَتِفَيْهِ. فَكَشَفَ عَنْ كَتِفَيْهِ، فَإِذَا هُوَ عُزَيْرٌ فَقَالَتْ بَنُو إِسْرَائِيلَ: فَإِنَّهُ لَمْ يَكُنْ فِينَا أَحَدٌ حَفِظَ التَّوْرَاةَ فِيمَا حُدِّثْنَا غَيْرُ عُزَيْرٍ وَقَدْ حَرَّقَ بُخْتُ نَصَّرَ التَّوْرَاةَ وَلَمْ يَبْقَ مِنْهَا شَيْءٌ إِلَّا مَا حَفِظَتِ الرِّجَالُ فَاكْتُبْهَا لَنَا. وَكَانَ أَبُوهُ سَرُوخَا قَدْ دَفَنَ التَّوْرَاةَ أَيَّامَ بُخْتُ نَصَّرَ فِي مَوْضِعٍ لَمْ يَعْرِفْهُ أَحَدٌ غَيْرُ عُزَيْرٍ فَانْطَلَقَ بِهِمْ إِلَى ذَلِكَ الْمَوْضِعِ فَحَفَرَهُ فَاسْتَخْرَجَ التَّوْرَاةَ، وَكَانَ قَدْ عَفِنَ الْوَرَقُ، وَدَرَسَ الْكِتَابُ. قَالَ: وَجَلَسَ فِي ظِلِّ شَجَرَةٍ وَبَنُو إِسْرَائِيلَ حَوْلَهُ، فَجَدَّدَ لَهُمُ التَّوْرَاةَ،
পৃষ্ঠা - ৯০১
ষ্ষ্
এঐএএ ক্রোএে ঞ-াএ ৰ্বা ;ন্;দ্বু :স্রঞএ ং-র্ন্ত ন্ এস্পো নৌ স্পো এে
অর্থ : তার (উযায়রের) মাথার চুল কালই আছে, কিন্তু এর পুর্বেই তার পুত্র ও পৌত্রের চুল
থেকে সাদা হয়ে গিয়েছে ৷ অথচ বড় তো তিনিই ৷
তার পুত্রকে দেখা যায় বৃদ্ধ--লাঠির উপর ভর দিয়ে চলাফের৷ করে; অথচ পিতার দাড়ি
এখনও রয়েছে কাল এবং মাথার চুল লাল-খয়েরি ৷
পুত্রের দৈহিক শক্তি-সামর্থ্য ক্ষীণ হয়ে গিয়েছে ৷ ফলে সে যখন র্দাড়াতে ও হাটতে চায়
তখন ছোট শিশুর ন্যায় আছাড় খেয়ে মাটিতে পড়ে যায় ৷
সমাজের লোক জানে, তার (উযায়রের) পুত্র নব্বই বছর পর্যন্ত তাদের মাঝে চলাফেরা
করেছে ৷ কিভু বিশ বছর হল ভালরুপে চলতে ফিরতে পারছে না ৷
পিত ৷র বয়স চল্লিশ বছর, আর পুত্রের বয়স নব্বই বছর অতিক্রম করেছে এএমন একটি
বিষয় যা তে তামর৷ বুদ্ধি থাকলে তুমি অনুধাবন করতে পারবে ৷ আর যদি এর মম অনুধাবন
করতে ব্যর্থ হও তা হলে তোমার অজ্ঞতা ক্ষমাহ ৷
পরিচ্ছেদ
প্রসিদ্ধ মতে উযায়র (আ) ছিলেন বুনী ইসরাঈলদের অন্যতম নবী৷ তিনি দা উদ ও
সুলায়মান এবং যাকাবিয়াও ইয়াহ্য়৷ (আ) এর মধ্যবর্তী সময়ে আবির্ভুত হন ৷ কথিত আছে
বনী ইসরাঈলের মধ্যে কারও নিকট যখন তাওরাত তার সংরক্ষিত ছিল না ৷ তখন উমায়ব;রর
স্মৃতিপটে আল্লাহ তাওরাত কিতাব জাগরুক করে দেন এবং বনী ইসরাঈলকে তিনি তা পড়ে
শুনান ৷ এ সম্পর্কে ওহাব ইবন মুনাব্বিহ (র) বলেছেন, আল্লাহর নির্দেশে একজন ফেরেশতা
একটি নুরের চামচ নিয়ে আসেন এবং উযায়রের মুখের মধ্যে তা ঢেলে দেন ৷ অতঃপর তিনি
তাওরাতের হুবহু একটি কপি লিখে দেন ৷ ইবন আসাকির লিখেছেন, ইবন তা৷ব্বাস (বা ) একদা
আবদুল্লাহ ইবন সালামের নিকট নিম্নোক্ত আয়াত ৩টি ৰুএে ৷ ; ৷ , ,: এ্ ধ্ট্রু এ ৷ ;;াএেন্এ
(ইহুদীর৷ উযায়রকে আল্লাহ্র পুত্র বলে থাকে) উল্লেখ পুর্বক জিজ্ঞেস করেন যে, তাকে আল্লাহর
পুত্র বলার কারণ কিং উত্তরে আবদুল্লাহ ইবন সালাম (রা) বললেন বনী ইসরাঈলের মধ্যে এক
সময়ে তাওরাত কণ্ঠস্থুকারী একজন লােকও ছিল না ৷৩ তারা বলত, নবী মুসাও ত ৷ওরাত লিখিত
আকারে ছাড়া আমাদেরকে দিতে পারেন নি ৷ অথচ উযায়র নিজের স্মৃতি থেকে তালিখিত
তাওরাত আমাদেরকে দিয়েছেন ৷ তার এ বিস্ময়কর প্রতিভা দেখে বনী ইসরাঈলের একদল
লোক তাকে আল্লাহর পুত্র বলে আখ্যায়িত করে ৷ এ কারণে অধিকাংশ আলিম বলেছেন
তাওরাত কিতাবের ধারাবাহিকতা উযায়রের সময়ে শেষ হয়ে যায় ৷ তিনি যদি নবী না হয়ে
থাকেন, তা হলে এ মন্তব্যটি খুবই প্ৰণিধানযোপ্য ৷ আতা ইবন আবী রাবাহ এবং হাসান বসরী ও
এরুপ মন্তব্য করেছেন ৷
وَنَزَلَ مِنَ السَّمَاءِ شِهَابَانِ، حَتَّى دَخَلَا جَوْفَهُ، فَتَذَكَّرَ التَّوْرَاةَ، فَجَدَّدَهَا لِبَنِي إِسْرَائِيلَ. فَمِنْ ثَمَّ قَالَتِ الْيَهُودُ: عُزَيْرٌ ابْنُ اللَّهِ - جَلَّ اللَّهُ وَعَزَّ - لِلَّذِي كَانَ مِنْ أَمْرِ الشِّهَابَيْنِ وَتَجْدِيدِهِ التَّوْرَاةَ وَقِيَامِهِ بِأَمْرِ بَنِي إِسْرَائِيلَ، وَكَانَ جَدَّدَ لَهُمُ التَّوْرَاةَ بِأَرْضِ السَّوَادِ بِدَيْرِ حَزْقِيلَ. وَالْقَرْيَةُ الَّتِي مَاتَ فِيهَا يُقَالُ لَهَا: سَايْرَابَاذَ. قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: فَكَانَ كَمَا قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَلِنَجْعَلَكَ آيَةً لِلنَّاسِ} [البقرة: 259] يَعْنِي لِبَنِي إِسْرَائِيلَ. وَذَلِكَ أَنَّهُ كَانَ يَجْلِسُ مَعَ بَنِيهِ وَهُمْ شُيُوخٌ وَهُوَ شَابٌّ ; لِأَنَّهُ مَاتَ وَهُوَ ابْنُ أَرْبَعِينَ سَنَةً، فَبَعَثَهُ اللَّهُ شَابًّا، كَهَيْئَةِ يَوْمَ مَاتَ. قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: بُعِثَ بَعْدَ بُخْتُ نَصَّرَ. وَكَذَلِكَ قَالَ الْحَسَنُ.
وَقَدْ أَنْشَدَ أَبُو حَاتِمٍ السِّجِسْتَانِيُّ فِي مَعْنَى مَا قَالَهُ ابْنُ عَبَّاسٍ:
وَأَسْوَدُ رَأْسٍ شَابَ مِنْ قَبْلِهِ ابْنُهُ ... وَمِنْ قَبْلِهِ ابْنُ ابْنِهِ فَهْوَ أَكْبَرُ
يَرَى ابْنَ ابْنِهِ شَيْخًا يَدِبُّ عَلَى عَصَا ... وَلِحْيَتُهُ سَوْدَاءُ وَالرَّأْسُ أَشْقَرُ
وَمَا لِابْنِهِ حَيْلٌ وَلَا فَضْلُ قُوَّةٍ ... يَقُومُ كَمَا يَمْشِي الصَّبِيُّ فَيَعْثِرُ
يُعَدَّ ابْنُهُ فِي النَّاسِ تِسْعِينَ حِجَّةً ... وَعِشْرِينَ لَا يَجْرِي وَلَا يَتَبَخْتَرُ
وَعُمْرُ أَبْيهِ أَرْبَعُونَ أَمَرَّهَا ... وَلِابْنِ ابْنِهِ تِسْعُونَ فِي النَّاسِ غُبَّرُ
فَمَا هُوَ فِي الْمَعْقُولِ إِنْ كُنْتَ دَارِيًا ... وَإِنَّ كُنْتَ لَا تَدْرِي فَبِالْجَهْلِ تُعْذَرُ
পৃষ্ঠা - ৯০২
[الزَّمَنُ الَّذِي بُعِثَ فِيهِ الْعُزَيْرُ]
فَصْلُ
الْمَشْهُورُ أَنَّ عُزَيْرًا نَبِيٌّ مِنْ أَنْبِيَاءِ بَنِي إِسْرَائِيلَ وَأَنَّهُ كَانَ فِيمَا بَيْنَ دَاوُدَ وَسُلَيْمَانَ، وَبَيْنَ زَكَرِيَّا وَيَحْيَى، وَأَنَّهُ لَمَّا لَمْ يَبْقَ فِي بَنِي إِسْرَائِيلَ مَنْ يَحْفَظُ التَّوْرَاةَ أَلْهَمَهُ اللَّهُ حِفْظَهَا، فَسَرَدَهَا عَلَى بَنِي إِسْرَائِيلَ، كَمَا قَالَ وَهْبُ بْنُ مُنَبِّهٍ: أَمَرَ اللَّهُ مَلَكًا فَنَزَلَ بِمِغْرَفَةٍ مِنْ نُورٍ فَقَذَفَهَا فِي فِي عُزَيْرٍ فَنَسَخَ التَّوْرَاةَ حَرْفًا بِحَرْفٍ، حَتَّى فَرَغَ مِنْهَا.
وَرَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّهُ سَأَلَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ سَلَامٍ عَنْ قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {وَقَالَتِ الْيَهُودُ عُزَيْرٌ ابْنُ اللَّهِ} [التوبة: 30] . لِمَ قَالُوا ذَلِكَ؟ فَذَكَرُ لَهُ ابْنُ سَلَامٍ مَا كَانَ مِنْ كَتْبِهِ لِبَنِي إِسْرَائِيلَ التَّوْرَاةَ مِنْ حِفْظِهِ، وَقَوْلِ بَنِي إِسْرَائِيلَ: لَمْ يَسْتَطِعْ مُوسَى أَنْ يَأْتِيَنَا بِالتَّوْرَاةِ إِلَّا فِي كِتَابٍ، وَإِنَّ عُزَيْرًا قَدْ جَاءَنَا بِهَا مِنْ غَيْرِ كِتَابٍ. فَرَمَاهُ طَوَائِفُ مِنْهُمْ، وَقَالُوا: عُزَيْرٌ ابْنُ اللَّهِ.
وَلِهَذَا يَقُولُ كَثِيرٌ مِنَ الْعُلَمَاءِ: إِنَّ تَوَاتُرَ التَّوْرَاةِ انْقَطَعَ فِي زَمَنِ الْعُزَيْرِ. وَهَذَا مُتَّجِهٌ جِدًّا إِذَا كَانَ الْعُزَيْزُ غَيْرَ نَبِيٍّ، كَمَا قَالَهُ عَطَاءُ بْنُ أَبِي رَبَاحٍ، وَالْحَسَنُ الْبَصْرِيُّ، فِيمَا رَوَاهُ إِسْحَاقُ بْنُ بِشْرٍ عَنْ مُقَاتِلِ بْنِ سُلَيْمَانَ، عَنْ عَطَاءٍ وَعَنْ
পৃষ্ঠা - ৯০৩
ষ্ষ্
ইসহাক ইবন বিশর বিভিন্ন সুত্রে আ৩া ইবন আবী রাবাহ্ থেকে বংনাি করেছেন যে
ফাতরাত (শেষ নবী ও ঈসা (আ)-এর মধ্যবর্তী বিরতিকাল) যুগের নয়টি বিষয় খুবই
উল্লেখযোগ্য, যথা ং বুখৃত নসর, সানআর উদ্যান১ সাবার উদ্যান২, আস্হাবুল-উখৃদুদ৩, হাসুরার
ঘটনা, আসহাবুল ক হয়ন্ ,আসহাবুল ফীল৫ ,ইনতাকিয়া৬ নগরী ও তুব্বার ঘটনা৭
ইসহাক ইবন বিশৃর হাসান থেকে বর্ণনা করেছেন যে, উযায়র ও বুখৃত নসরের ঘটনা
ফাতরাতকালে সংঘটিত হয় ৷ সহীহ্ হাদীছে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স) বলেছেন, মবিয়ম পুত্র
(ঈসা)-এর নিকটবর্তী লোক আমিই ৷ কেননা আমার ও তার মাঝে অন্য কোন নবী নেই ৷
হার ইবন মুনাব্বিহ লিখেছেন, উয়ায়রের আগমন হয়েছিল সুলায়মান ও ঈসা
(আ)ও এর মধ্যবর্তী সময়ে ৷ ইবন আসাকির আনাস ইবন মালিক ও আ৩া ইববৃসৃ স ইব
থেকে বর্ণনা করেছেন যে, উযায়রের আগমন হয়েছিল হযরত স্কৃ না ইবন ইমরান (আ)-এর
য়ামানায় ৷ একদা তিনি আল্লাহর কুদরত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার জন্যে মুসা (আ)-এর
নিকট অনুমতি প্রার্থনা করেন ৷ কিন্তু মুসা (আ) সে অনুমতি দেননি ৷ এই ক্ষোভে তিনি
সেখান থেকে চলে আসেন এবং বলেন : এক মুহুর্তের লান্থনার তুলনায় শতরার মৃত্যুবরণ
১ সানআর বাগিচাদ্ভ সুরা সাবায় উল্লিখিত ইয়ামনের রাজধানী সানআর ঐতিহাসিক বাগিচা ৷ আল্লাহর নাফরমানির
কারণে তা ধ্বংস হয়ে যায় ৷
২ সাবার উদ্যানদ্ভ সাবা ইয়ামানের এক বিখ্যাত পুরুষের নাম ৷ তার ছয় পুত্র ইয়ামানে ও চার পুত্র সিরিয়ার বসবাস
করত ৷ ইয়ামানের রাজধানী সানআ থেকে ৬০ মাইল পুর্বে মাআরিব নগরীতে ছিল যারা জাতির বসতি ৷ নগরীর
দৃ’প্রান্তে ছিল দৃই পাহাড় ৷ পাহাড়ের ঢলের পানি রোধে দৃ পাহাড়ের মধ্যে বিরাট বাধ দেয়া হয় ৷ উক্ত ৰ্বাধের দৃ’পাশে
বিশাল উদ্যান গড়ে উঠে ৷ ফলে এই জাতি ধনেঐশ্বর্যে অনাবিপ্স শাস্তিতে বাস করে ৷ কিণ্ডু আল্লাহকে ভুলে যেয়ে তারা
মুর্তি পুজায় লিপ্ত হয় ৷ তাদের শাস্তির জন্যে আল্লাহ ইদুর দ্বারা ৰ্বাধের নিম্নদেশ কেটে দিয়ে পাহাড়ী ঢল না বা ৰ্বাধ
ভেঙে দেন ৷ এতে উদ্যানসহ সমস্ত বসতি ধ্বংস হয়ে যায় ৷ (এটা ঈসা (আ ) এর আবির্ভাবের পরের ঘটনা) ৷
৩ আসহাবুশ উথুদৃদও অর্থাৎ অগ্নিকুন্ডের জন্যে কুখ্যাত শাসকবর্গ ৷ ইয়ামানেব হিময়ারী বাদশাহ আবু কারিরা ইহ্রদী
ধর্ম গ্রহণ করে নিজ দেশে প্রচার করে ৷ তার পুত্র যু-নুওয়াস ঈসায়ী ধর্মের প্রাগকেন্দ্র নাজরান আক্রমণ করে
ঈসরাঈলীদেরকে ইহ্রদী ধর্ম গ্রহণ করতে বাধ্য করে ৷ তারা এতে আীকৃতি জানালে প্রায় বিশ হাজার লোককে
অগ্নিকুণ্ডে নিক্ষেপ করে হত্যা করে ৷ এর প্রতিশোধে রোমের সাহায্য নিয়ে ইথিওপিয়ার খৃষ্টানগগ ইয়ামান আক্রমণ
করে দখল করে নেয় ৷ এটা ছিল ৩৪০ খ্রিস্টাব্দের ঘটনা ৷
৪ আসহাবুল কাহ্ফ : (গুহাবাসী) এশিয়া মহাদেশের পশ্চিম উপকুলে অবস্থিত রােমকদের বৃহৎ নগরী আফসৃস
(পররভাংত তরসুস নামে খ্যাত)-এর মুর্তি পুজারী বাদশাহ দাকিয়ানুস (£)০০া৷া৪) এর ভয়ে তথাকার সাত জন
ঈমানদার যুবক পালিয়ে গিয়ে এক পাহাড়ী গুহায় আত্মরুগাপন করেন ৷ ক্লান্ত দেহে তারা ঘুমিয়ে পড়েন ৷ এটা ছিল
২৫০ খ্রিস্টাব্দের ঘটনা ৷ চান্দ্র হিসেবে ৩০৯ বছর (যা সৌর হিসেবে ছিল ৩০০ বছর) ঘুমাবার পর তারা জাগ্রত হল
৫৫০ খ্রিস্টাব্দে ৷ কিছু সময় পর পুনরায় ঘৃমালে আল্লাহ তাদেরকে মৃত্যু দান করেন ৷ এর বিশ বছর পর শেষ নবীর
জন্য হয় ৷
৫ আসহাবুল ফীস : (হস্তী বাহিনী) ইয়ামানের খৃস্টান বাদশাহ আবরাহা রাজধানী সানআর বায়তুল্লাহর বিকল্প এক
র্গীর্জা নির্মাণ করে ৷ অতঃপর ১৩টি হাতি ও ৬০ হাজার সৈন্য নিয়ে কা বা ঘর ধ্বংস করার উদ্দেশে মক্কার দিকে
রওয়ানা হয় ৷ আল্লাহ আবা বিলের সাহায্যে তাকে ধ্বংস করে দেন ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) এর জন্মের ৫০ দিন মতাম্ভরে ৫৫
দিন পুর্বে এ ঘটনাটি ঘটে ৷
৬ সুরা ইয়াসীনে উল্লিখিত ঈসায়ী ধর্মের তিনজন মুবাল্লিগকে মিথ্যাবাদী সাব্যস্ত করার ও তাদেরকে হত্যা করার
ইনতাকিয়া (এন্টিয়ক) নগর আল্লাহ ধ্বংস করে দেন ৷
৭ তুব্বান্ ইয়ামানের হিময়ারী শাসকদের উপাধি ছিল তুব্বা’ ৷ এরাইয়ামানের পশ্চিমাংশসহ দীর্ঘদিন আরব ও ইরাকে
শাসন করেছে ৷ শক্তিশালী এই রাজবংশ পরবর্তীকালে ইহ্রদী ধর্ম ত্যাগ করে মুর্তিপৃজা শুরু করে ৷ ফলে আল্লাহ
তাদেরকে ধ্বংস করে দেন ৷
عُثْمَانَ بْنِ عَطَاءٍ الْخُرَاسَانِيِّ عَنْ أَبِيهِ وَمُقَاتِلٌ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ، قَالَ: كَانَ فِي الْفَتْرَةِ تِسْعَةُ أَشْيَاءَ: بُخْتُ نَصَّرَ وَجَنَّةُ صَنْعَاءَ، وَجَنَّةُ سَبَأٍ، وَأَصْحَابُ الْأُخْدُودِ وَأَمْرُ حَاصُورَا، وَأَصْحَابُ الْكَهْفِ، وَأَصْحَابُ الْفِيلِ، وَمَدِينَةُ أَنْطَاكِيَةَ، وَأَمْرُ تُبَّعٍ.
وَقَالَ إِسْحَاقُ بْنُ بِشْرٍ: أَنْبَأَنَا سَعِيدٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ قَالَ: كَانَ أَمْرُ عُزَيْرٍ وَبُخْتُ نَصَّرَ فِي الْفَتْرَةِ. وَقَدْ ثَبَتَ فِي " الصَّحِيحِ " أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ أَوْلَى النَّاسِ بِابْنِ مَرْيَمَ لَأَنَا، إِنَّهُ لَيْسَ بَيْنِي وَبَيْنَهُ نَبِيٌّ» وَقَالَ وَهْبُ بْنُ مُنَبِّهٍ: كَانَ فِيمَا بَيْنَ سُلَيْمَانَ وَعِيسَى، عَلَيْهِمَا السَّلَامُ.
وَقَدْ رَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، وَعَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ أَنَّ عُزَيْرًا كَانَ فِي زَمَنِ مُوسَى بْنِ عِمْرَانَ وَأَنَّهُ اسْتَأْذَنَ عَلَيْهِ، فَلَمْ يَأْذَنْ لَهُ - يَعْنِي لِمَا كَانَ مِنْ سُؤَالِهِ عَنِ الْقَدَرِ - وَأَنَّهُ انْصَرَفَ وَهُوَ يَقُولُ: مِائَةُ مَوْتَةٍ أَهْوَنُ مِنْ ذُلِّ سَاعَةٍ. وَفِي مَعْنَى قَوْلِ عُزَيْرٍ: مِائَةُ مَوْتَةٍ أَهْوَنُ مِنْ ذُلِّ سَاعَةٍ. قَوْلُ بَعْضِ الشُّعَرَاءِ:
قَدْ يَصْبِرُ الْحُرُّ عَلَى السَّيْفِ ... وَيَأْنَفُ الصَّبْرَ عَلَى الْحَيْفِ
وَيُؤْثِرُ الْمَوْتَ عَلَى حَالَةٍ ... يَعْجَزُ فِيهَا عَنْ قِرَى الضَّيْفِ
পৃষ্ঠা - ৯০৪
ষ্ষ্
আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া ৯ ৭
করাও সহজতর ৷ (হ্;ঢু এ্১ গ্লু ন্ন্; ;, প্রুা১া রু;ড্রুণ্ এেঢুপ্রুৰু) এ কথাটি এক করি বলেছেন
নিম্নোক্তভাবে :
এ্যা এেঠে-ষ্
অর্থাৎ ব্যক্তিত্ব সম্পন্নাধীনচেতা মানুষ যুদ্ধের ময়দানে তরবারীর আঘাতকোগত জানায়
কিন্তুাভাবিক মৃত্যুবরণ করাকে ঘৃণা করে ৷ এমন অবস্থায় যে মৃণ্ডু ব্রুবরণ করাকে অপ্রাধিকার
দেয় যখন সে যেহমানদের আহার্য প্রদানে অপারগ হয় ৷
ইবন আসাকির প্রমুখ লেখকগণ ইবন আব্বাস, নুফ আল ,বিকালী সুফিয়ান ছাওরী প্রমুখ
থেকে বর্ণনা করেছেন যে, উযায়র( (আ) নবীই ছিলেন ৷ কিন্তু মৃ৩ তকে জীবিত করার ব্যাপারে
আল্লাহর ক্ষমতা সম্পর্কে প্রশ্ন করায় ত র নবুওত প্রত্যাহার করা হয় ৷ কিন্তু এ বর্ণনাটি মুনকার
বা অপ্রহণযোগ্য, এর বিশুদ্ধ হওয়া সম্পর্কে সন্দেহ আছেশুসম্ভববত ইসরাঈলী বর্ণনা থেকে এটা
গৃহীত হয়েছে ৷ এ বিষয়ে আরও একটি বর্ণনা লক্ষ্যণীয় ৷ তা হল, আবদুর রাযযাক ও কুতায়বা
ইবন সা’দ নুফ আল-বিকালী থেকে বর্ণনা করেছেন যে, একদা উযায়র আল্লাহর নিকট
একাম্ভে আবেদন করেনং “হে আমার প্রতিপালক! মানুষ তো আপনারই সৃষ্টি, যাকে ইচ্ছা
তাকে আপনি পথভ্রষ্ট করেন এবং যাকে ইচ্ছা তাকে সৎপথে পরিচালিত করেন ৷ আল্লাহর পক্ষ
হতে তাকে বলা হল, তুমি এ কথা থেকে বিরত ৩হও ৷ কিন্তু তিনি পুনরায় একই কথা বললেন ৷
তখন তাকে জানান হল, তুমি এ কথা থেকে বিরত থাক ৷ অন্যথায় নবীদের তালিকা থেকে
তামার নাম কেটে দেয়া হবে ৷ জেনে রেখ, আমি যা কিছু করি সে বিষয়ে প্রশ্ন তোলার
অধিকার কারও নেই; কিন্তু মানুষ বা কিছু করবে তার জন্যে তাকে জবাবদিহী করতে হবে ৷ এ
বর্ণনা দ্বারা প্রতীয়মান হয় যে, সতর্ক করার পরও তিনি ঐ কথার পুনরাবৃত্তি করেন নি ৷ সুতরাং
নবীদের তালিকা থেকে৩ার নাম কাটা যাওয়ার প্রশ্নই উঠে না ৷
ইমাম তিরমিযী ব্যতীত সিহাহ সিত্তাহ্র অন্যান্য সংকলকগণ আবু হুরায়রা (রা ) থেকে
বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন, জনৈক নবী একবার এক বৃক্ষের নিচে অবতরণ
করেন ৷ একটি পিপড়া তাকে দংশন করে ৷ তিনি সেখান থেকে বিদায় হওয়ার জন্যে মালপত্র
গুটিয়ে নিতে বলেন ৷ নির্দেশামতে মালপত্র গুটিয়ে নেয়া হয় ৷ অতঃপর তার হুকুমে পিপাড়দের
বাসা পুড়িয়ে ফেলা হয় ৷ তখন তা ল্লাহ ওহীর মাধ্যমে তাকে বললেন, খান, একটি মাত্র পিপড়ার
জন্যে এ কী করছ? ইসহাকমুজাহিদ থেকে বর্ণনা করেন যে, ঐ নবী ছিলেন হযরত উযায়র
(আ) ৷ ইবন আব্বাস ও হাসান বসরী থেকে বর্ণিত যে, তিনি ছিলেন উযায়র (আ) ৷
আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া (২য় খণ্ড) ১৩
فَأَمَّا مَا رَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ وَغَيْرُهُ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَنَوْفٍ الْبِكَالِيِّ وَسُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ، وَغَيْرِهِمْ، مِنْ أَنَّهُ سَأَلَ عَنِ الْقَدَرِ، فَمُحِيَ اسْمُهُ مِنْ ذِكْرِ الْأَنْبِيَاءِ - فَهُوَ مُنْكَرٌ، وَفِي صِحَّتِهِ نَظَرٌ، وَكَأَنَّهُ مَأْخُوذٌ عَنِ الْإِسْرَائِيلِيَّاتِ. وَقَدْ رَوَى عَبْدُ الرَّزَّاقِ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِي عِمْرَانَ الْجَوْنِيِّ، عَنْ نَوْفٍ الْبِكَالِيِّ قَالَ: قَالَ عُزَيْرٌ فِيمَا يُنَاجِي رَبَّهُ: يَا رَبِّ، تَخْلُقُ خَلْقًا، فَتُضِلُّ مَنْ تَشَاءُ وَتَهْدِي مَنْ تَشَاءُ. فَقِيلَ لَهُ: أَعْرِضْ عَنْ هَذَا. فَعَادَ فَقِيلَ لَهُ: لَتُعْرِضَنَّ عَنْ هَذَا أَوْ لَأَمْحُوَنَّ اسْمَكَ مِنَ الْأَنْبِيَاءِ، إِنِّي لَا أُسْأَلُ عَمَّا أَفْعَلُ وَهُمْ يُسْأَلُونَ. وَهَذَا يَقْتَضِي وُقُوعَ مَا تُوُعِّدَ عَلَيْهِ لَوْ عَادَ، فَمَا عَادَ، فَمَا مُحِيَ اسْمُهُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَقَدْ رَوَى الْجَمَاعَةُ سِوَى التِّرْمِذِيِّ، مِنْ حَدِيثِ يُونُسَ بْنِ يَزِيدَ عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدٍ، وَأَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَكَذَلِكَ رَوَاهُ شُعَيْبٌ عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الْأَعْرَجِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «نَزَلَ نَبِيٌّ
পৃষ্ঠা - ৯০৫
مِنَ الْأَنْبِيَاءِ تَحْتَ شَجَرَةٍ فَلَدَغَتْهُ نَمْلَةٌ، فَأَمَرَ بِجَهَازِهِ فَأُخْرِجَ مِنْ تَحْتِهَا، ثُمَّ أَمَرَ بِهَا فَأُحْرِقَتْ بِالنَّارِ، فَأَوْحَى اللَّهُ إِلَيْهِ: فَهَلَّا نَمْلَةً وَاحِدَةً» فَرَوَى إِسْحَاقُ بْنُ بِشْرٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ عَبْدِ الْوَهَّابِ بْنِ مُجَاهِدٍ عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ عُزَيْرٌ. وَكَذَا رُوِيَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ وَالْحَسَنِ الْبَصْرِيِّ أَنَّهُ عُزَيْرٌ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ.