سنة ثلاث وخمسين ومائتين
পৃষ্ঠা - ৮৭৮৪
[ হিজরি ২৫৩ সাল ]
[ এ বছরের ঘটনাবলী ]
এর পর ২৫৩ হিজরী শুরু হল।
এ বছর রজব মাসের ঘটনা। খলিফা মু’তায্য মূসা ইবনে বুগা আল-কাবীরের নেতৃত্বে প্রায় চার হাজার সৈন্যের এক বিশাল বাহিনী আব্দুল আজিজ ইবনে আবূ দুলাফের সাথে যুদ্ধ করার জন্য হামাযানের এক অঞ্চলে পাঠাল। কারণ সে খলিফার সাথে বিদ্রহ করে আনুগত্য করতে অস্বিকার করেছিল। সে প্রায় বিশ হাজার লোকের বাহিনী নিয়ে মুকাবেলার জন্য প্রস্তুত হল। অবশেষে এই মাসের শেষে মূসা ইবনে বুগা আব্দুল আজিজ কে শোচনীয় ভাবে পরাজিত করল। তারপর রমাযান মাসে কারাজ নামক এলাকায় উভয় গ্রুফের মধ্যে আবার লড়াই হয়। আব্দুল আজিজ আবারও পরজিত হয়। তার দলের অনেক লোক মারা যায়। অনেক অল্প বয়সী বাচ্চাদের বদ্ধি করা হয়। এমনকি আব্দুল আজিজের মাও বন্ধি হয়। নিহতদের মাথা ও অনেক নেতাদের কে সত্তরটা উটে উঠায়ে খলিফার কাছে পাঠানো হয়। আর যে সমস্ত এলাকা আব্দুল আজিজে অধিনে ছিল তা দখল করে নেয়া হয়।
এ বছর রমযানে মু’তয্য বুগা শারানী কে শাহী পোশাক ও তাজ পরিয়ে দেন। এবং দুটি দামী কোমর বন্ধনী দেন।
এ বছর ঈদুল ফিতরের দিন বাওয়াঝিজ নামক স্থানে এক ভয়াবহ ঘটনা ঘটল। তাহল মুসাবির ইবনে আব্দুল হামীদ কে ঐ এলাকার হাকেম নিযুক্ত করা হয়। প্রায় সাত শত খারেজী তার সাথে লড়াই করার জন্য তৈরি হল।
[سَنَةُ ثَلَاثٍ وَخَمْسِينَ وَمِائَتَيْنِ]
[الْأَحْدَاثُ الَّتِي وَقَعَتْ فِيهَا]
ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ ثَلَاثٍ وَخَمْسِينَ وَمِائَتَيْنِ
فِي رَجَبٍ مِنْهَا عَقَدَ الْمُعْتَزُّ لِمُوسَى بْنِ بُغَا الْكَبِيرِ عَلَى جَيْشٍ قَرِيبٍ مِنْ أَرْبَعَةِ آلَافٍ ; لِيَذْهَبُوا إِلَى قِتَالِ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ أَبِي دُلَفٍ بِنَاحِيَةِ هَمَذَانَ ; وَذَلِكَ لِأَنَّهُ خَرَجَ عَنِ الطَّاعَةِ، وَهُوَ فِي نَحْوٍ مِنْ عِشْرِينَ أَلْفًا، فَهَزَمُوا عَبْدَ الْعَزِيزِ فِي أَوَاخِرِ هَذَا الشَّهْرِ هَزِيمَةً فَظِيعَةً. ثُمَّ كَانَتْ بَيْنَهُمَا وَقْعَةٌ أُخْرَى فِي رَمَضَانَ عِنْدَ الْكَرَجِ فَهُزِمَ عَبْدُ الْعَزِيزِ أَيْضًا، وَقُتِلَ مِنْ أَصْحَابِهِ بَشَرٌ كَثِيرٌ، وَأَسَرُوا ذَرَارِيَّ كَثِيرَةً حَتَّى أَسَرُوا أَمَّ عَبْدِ الْعَزِيزِ، وَبَعَثُوا إِلَى الْخَلِيفَةِ سَبْعِينَ حِمْلًا مِنَ الرُّءُوسِ وَأَعْلَامًا كَثِيرَةً، وَأُخِذَ مِنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ مَا كَانَ اسْتَحْوَذَ عَلَيْهِ مِنْ بِلَادِ الْخَلِيفَةِ.
وَفِي رَمَضَانَ مِنْهَا خَلَعَ الْمُعْتَزُّ عَلَى بُغَا الشَّرَابِيِّ وَأَلْبَسَهُ التَّاجَ وَالْوِشَاحَيْنِ.
وَفِي يَوْمِ عِيدِ الْفِطْرِ كَانَتْ وَقْعَةٌ هَائِلَةٌ عِنْدَ الْبَوَازِيجِ ; وَذَلِكَ أَنَّ رَجُلًا يُقَالُ لَهُ: مُسَاوِرُ بْنُ عَبْدِ الْحَمِيدِ حَكَمَ فِيهَا وَالْتَفَّ عَلَيْهِ نَحْوٌ مَنْ سَبْعِمِائَةٍ مِنَ
পৃষ্ঠা - ৮৭৮৫
মুসাবিরের সাহায্যের জন্য বুনদার নামের একজন লোক এগিয়ে আসল। সে তিন শত লোক নিয়ে আসছিল। এই দিনে তারা পরস্পর মুখমুখি হল। কঠিন যুদ্ধ হল। খারেজীদের পাঁচশর মত লোক নিহত হল। এবং বুনদারের সঙ্গিদের মধ্যে দুশত লোক নিহত হল। আর কেউ বলেন পঞ্চাশ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে বুনদারও ছিল। আল্লাহ তায়ালা তাদের উপর রহম করুন।
এর পরে মুসাবির হুলওয়ান নমক এলাকায় যান। ঐ এলাকার অধিবাসীদের সাথে যুদ্ধ করেন। খুরাসান এলাকার হাজীগণ ঐ সময় তাদের সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেন। মুসাবির তাদের প্রায় চারশত লোককে হত্যা করেন। আল্লাহ তায়ালা তাকে অমঙ্গল করুক। মুসাবিরের দলেরও অনেক লোক মারা যায়।
এ বছরের শাওয়াল মাসের ২৭ তারিখ ওসিফ তুর্কী কেও হত্যা করা হয়। জনসাধারণ তার বাড়ি ও তার সন্তানদের বাড়ি লুট করতে চাইল। কিন্তু সফলকাম হতে পারেনি। ঐ সময় তার উপর যে সমস্ত দায়িত্ব ছিল তা বুগা আশ-শারাবীর উপর অর্পণ করা হল।
এ বছরেই জিলকদ মাসের ১৪ তারিখ চন্দ্র গ্রহন হয়েছিল। চাদের অধিকাংশ বিলিন হয়ে গেছিল। চরিদিকে অন্ধকার হয়ে গেছিল। চন্দ্র গ্রহনের শেষের দিকে ইরাকের প্রতিনিধি মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে তাহের মারা যান। মৃত্যুর কারণ হল তার মাথা ও গলায় ক্ষত ছিল। আর সে ক্ষতের কারণেই তার মৃত্যু হয়। যখন তার জানাযা পড়ার জন্য উপস্থিত করা হল তখন তার ভাই ওবাইদুল্লাহ ও তার ছেলে তাহের মধ্যে মত বিরোধ হল। তাদের দুজনের মধ্যে কে জানাযা পড়াবেন? এ মতবিরেধ এক পর্যায়ে ঝগড়ায় রূপ নিল এবং তারা তরবারি বের করল। মানুষের উপর পাথরের বর্ষন হতে লাগল (অথাৎ মানুষ এলো মেলো পাথর ছুড়তে লাগল)। মানুষ হে তাহের হে মানসুর বলে বলে চিৎকার করতে লাগল। এ অবস্থা দেখিয়া তার ভাই পূর্ব দিকে নিজের বাড়িতে চলে গেলেন। তার সাথে বড় বড় নেতা ও দায়িত্বশীলগণও ছিলেন। অবশেষে তার ছেলে তাহের তার বাপের জানাযা পড়ান। তার বাপ তাকে জানাযা পড়ানোর অসিয়ত করেছিল।
যখন খলীফা মু’তায্য এ খবর শুনল তখন ওবাইদুল্লাহ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে তাহেরের কাছে শাহী পেশাক ও রাষ্টের কিছু দায়িত্ব দিয়ে লোক পাঠাল। যে এই সুখবর নিয়ে আসল তাকে ওবাইদুল্লাহ পঞ্চাশ হাজার দেরহাম পুরষ্কার দিল।
এ বছর খলিফা মু’তায্য তার ভাই আবূ আহমাদ কে র্সুরা মান রআ (সামাররা) এলাকা থেকে ওসেত নামক এলাকায় তারপর ওখান থেকে বসরায় নির্বাসিত করলেন।
الْخَوَارِجِ، فَقَصَدَ لَهُ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ: بُنْدَارٌ الطَّبَرِيُّ. فِي نَحْوِ ثَلَاثِمِائَةٍ مِنْ أَصْحَابِهِ، فَالْتَقَوْا فِي هَذَا الْيَوْمِ فَاقْتَتَلُوا قِتَالًا شَدِيدًا، فَقُتِلَ مِنَ الْخَوَارِجِ نَحْوٌ مِنْ خَمْسِينَ، وَقُتِلَ مِنْ أَصْحَابِ بُنْدَارٍ مِائَتَانِ، وَقِيلَ: وَخَمْسُونَ رَجُلًا. وَقُتِلَ بُنْدَارٌ فِي مَنْ قُتِلَ، رَحِمَهُ اللَّهُ. ثُمَّ صَمَدَ مُسَاوِرٌ إِلَى حُلْوَانَ فَقَاتَلَهُ أَهْلُهَا، وَأَعَانَهُمْ حُجَّاجُ أَهْلِ خُرْسَانَ، فَقَتَلَ مُسَاوِرٌ مِنْهُمْ نَحْوًا مِنْ أَرْبَعِمِائَةِ إِنْسَانٍ، قَبَّحَهُ اللَّهُ. وَقُتِلَ مِنْ أَصْحَابِهِ جَمَاعَةٌ كَثِيرُونَ أَيْضًا. وَلِثَلَاثٍ بَقِينَ مِنْ شَوَّالٍ قُتِلَ وَصِيفٌ التُّرْكِيُّ وَأَرَادَتِ الْعَامَّةُ أَنْ تَنْهَبَ دَارَهُ بِسَامَرَّا وَدُورَ أَوْلَادِهِ، فَلَمْ يُمْكِنْهُمْ ذَلِكَ، وَجَعَلَ الْخَلِيفَةُ الْمُعْتَزُّ مَا كَانَ إِلَيْهِ إِلَى بُغَا الشَّرَابِيِّ.
وَفِي لَيْلَةِ أَرْبَعَ عَشْرَةَ مِنْ ذِي الْقَعْدَةِ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ خَسَفَ الْقَمَرُ حَتَّى غَابَ أَكْثَرُهُ وَغَرِقَ نُورُهُ، وَعِنْدَ انْتِهَاءِ خُسُوفِهِ مَاتَ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ طَاهِرٍ نَائِبُ الْعِرَاقِ بِبَغْدَادَ. وَكَانَتْ عِلَّتُهُ قُرُوحًا فِي رَأْسِهِ وَحَلْقِهِ فَذَبَحَتْهُ، وَلَمَّا أُتِيَ بِهِ لِيُصَلَّى عَلَيْهِ اخْتَلَفَ أَخُوهُ عُبَيْدُ اللَّهِ وَابْنُهُ طَاهِرٌ، أَيُّهُمَا يُصَلِّي عَلَيْهِ، وَتَنَازَعَا حَتَّى جُذِبَتِ السُّيُوفُ وَتَرَامَى النَّاسُ بِالْحِجَارَةِ، وَصَاحَتِ الْغَوْغَاءُ: يَا طَاهِرُ، يَا مَنْصُورُ. فَمَالَ عُبَيْدُ اللَّهِ إِلَى الشَّرْقِيَّةِ وَمَعَهُ الْقُوَّادُ وَأَكَابِرُ النَّاسِ، فَدَخَلَ دَارَهُ وَكَانَ أَخُوهُ قَدْ أَوْصَى إِلَيْهِ. وَحِينَ بَلَغَ الْمُعْتَزَّ مَا وَقَعَ بَعَثَ بِالْخِلَعِ وَالْوِلَايَةِ إِلَى عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ طَاهِرٍ، فَأَطْلَقَ عُبَيْدُ اللَّهِ لِلَّذِي قَدِمَ بِالْخِلَعِ خَمْسِينَ أَلْفَ دِرْهَمٍ.
وَفِيهَا نَفَى الْخَلِيفَةُ الْمُعْتَزُّ أَخَاهُ أَبَا أَحْمَدَ مِنْ سُرَّ مَنْ رَأَى إِلَى وَاسِطَ ثُمَّ إِلَى
পৃষ্ঠা - ৮৭৮৬
অতঃপর তাকে বাগদাদে পাঠিয়ে দেন। তখন তিনি বাগদাদের পূর্বাঞ্চলে দিনার ইবনে আব্দুল্লাহ বাড়িতে অবস্থান করতে থাকেন।
এ সময় আলী ইবনে মু’তাসিম কেও নির্বাসিত করে প্রথমে ওসেত নামক এলাকায় পাঠানো হয়। তারপরে তাকেও বাগদাদে পাঠানো হয়।
জিলকদাহ মাসের শেষে সেমবারের দিন মূসা ইবনে বুগা আল-কাবীর এবং হুসাইন ইবনে আহমাদ আল-কাওকাবী আত-তালী এ দুজনের মাঝে কঠিন যুদ্ধ হয়। এ যুদ্ধে হুসাইন পরাজিত হয়। (এই হুসাইনের আত্মপ্রকাশ হয়েছিল হিজরী ২৫১ সালে কাযবিন নামক এলাকায়।) তিনি যুদ্ধে পরাজয় বরণ করলে মূসা ইবনে বুগা কাযবিন এলাকা দখল করে নেন। হুসাইন কাওকাবী পালিয়ে দায়লাম নামক এলাকায় চলে যান।
ইবনে জারির যারা এ ঘটনায় উপস্থিত ছিল তাদের থেকে বর্ণনা করেন যে, যুদ্ধের সময় হুসাইন কাওকাবী তার সাথিদের কে বললেন চামড়ার তৈরি ঢাল ব্যবহার করতে। তির যা ভেদ করতে পারে না। অপর দিকে মূসা ইবনে বুগা তার সাথিদের বললেন, তাদের কাছে যে পেট্রল আছে তা জমিনে ঢেলে দিতে। আর তাদের সাথে যুদ্ধ করতে থাকতে। যুদ্ধের মাঝে এমন ভাব প্রকাশ করবে যাতে প্রতিপক্ষ মনে করে তারা পরাজিত হয়েছে। আর এমনই করা হল। তখন হুসাইন আল-কাওকাবীর বাহিনী তাদের পিছনে ধাওয়া করল। অতঃপর যখন তারা পেট্রল ঢালা জমিনে পৌছল তখন মূসা ইবনে বুগা ঐ পেট্রলে আগুন জ্বালিয়ে দিতে বললেন। ফলে হুসাইন কাওকাবীর অনেক সঙ্গিরা আগুনে পুড়তে লাগল। আর বাকিরা দ্রুত পালায়ন করতে লাগল। তখন মূসা ইবনে বুগা ও তার বাহিনী তাদের উপর পুনরায় হামলা করেন। তাদের অনেককে হত্যা করেন। আর হুসাইন কাওকাবী পালিয়ে দায়লামে যান। মূসা ইবনে বুগা কাযবিন দখল করে নেন।
এ বছর আব্দুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে সুলাইমান মানুষদের হজ্জ করান।
[ এ বছরে যারা মৃত্যু বরণ করে ]
বিশেষ ব্যক্তিবর্গ যারা এ বছরে মৃত্যু বরণ করেন :
আবুল আশআস
আহমাদ ইবনে সাঈদ আদ-দারেমী
الْبَصْرَةِ ثُمَّ رُدَّ إِلَى بَغْدَادَ فَأُنْزِلَ فِي الشَّرْقِيَّةِ فِي قَصْرِ دِينَارِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ.
وَفِيهَا نَفُيِ عَلِيُّ ابْنُ الْمُعْتَصِمِ إِلَى وَاسِطَ ثُمَّ رُدَّ إِلَى بَغْدَادَ أَيْضًا.
وَفِي يَوْمِ الْإِثْنَيْنِ سَلْخَ ذِي الْقَعْدَةِ الْتَقَى مُوسَى بْنُ بُغَا الْكَبِيرِ هُوَ وَالْحُسَيْنُ بْنُ أَحْمَدَ الْكَوْكَبِيُّ الطَّالِبِيُّ الَّذِي خَرَجَ فِي سَنَةِ إِحْدَى وَخَمْسِينَ عِنْدَ قَزْوِينَ فَاقْتَتَلَا قِتَالًا شَدِيدًا، ثُمَّ هُزِمَ الْكَوْكَبِيُّ وَأَخَذَ مُوسَى بْنُ بُغَا قَزْوِينَ وَهَرَبَ الْكَوْكَبِيُّ إِلَى الدَّيْلَمِ. وَذَكَرَ ابْنُ جَرِيرٍ عَنْ بَعْضِ مَنْ حَضَرَ هَذِهِ الْوَقْعَةَ أَنَّ الْكَوْكَبِيَّ حِينَ الْتَقَى أَمَرَ أَصْحَابَهُ أَنْ يَتَتَرَّسُوا بِالْحَجَفِ، وَكَانَتِ السِّهَامُ لَا تَعْمَلُ فِيهِمْ، فَأَمَرَ مُوسَى بْنُ بُغَا أَصْحَابَهُ عِنْدَ ذَلِكَ أَنْ يَطْرَحُوا مَا مَعَهُمْ مِنَ النِّفْطِ بِالْأَرْضِ، ثُمَّ جَاوَلُوهُمْ وَأَرَوْهُمْ أَنَّهُمْ قَدِ انْهَزَمُوا مِنْهُمْ، فَتَبِعَهُمْ أَصْحَابُ الْكَوْكَبِيِّ، فَلَمَّا تَوَسَّطُوا الْأَرْضَ الَّتِي فِيهَا النِّفْطُ أَمَرَ عِنْدَ ذَلِكَ بِإِلْقَاءِ النَّارِ فِيهِ، فَجَعَلَتِ النَّارُ تَحْرِقُ أَصْحَابَ الْكَوْكَبِيِّ، فَفَرُّوا سِرَاعًا هَارِبِينَ، وَكَرَّ عَلَيْهِمْ مُوسَى وَأَصْحَابُهُ فَقَتَلُوا مِنْهُمْ مَقْتَلَةً عَظِيمَةً، وَهَرَبَ الْكَوْكَبِيُّ إِلَى الدَّيْلَمِ، وَتَسَلَّمَ مُوسَى بْنُ بُغَا قَزْوِينَ.
وَفِيهَا حَجَّ بِالنَّاسِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ سُلَيْمَانَ الزَّيْنَبِيُّ.
[مَنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ]
وَمِمَّنْ تُوُفِّيَ مِنَ الْأَعْيَانِ:
أَبُو الْأَشْعَثِ. وَأَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ الدَّارِمِيُّ.
পৃষ্ঠা - ৮৭৮৭
হযরত সারিয়্যী আস-সাকতী রহ. এর আলোচনা।
তিনি হলেন সারিয়্যী ইবনে মুগাল্লিস আবুল হাসান আস-সাকতী বাগদাদী। যিনি একজন বড় সুফী বুযুর্গ ছিলেন। হযরত মা’রুফ কারখী রহ. এর ছাত্র ছিলেন। তিনি হুশাইম, আবূ বকর ইবনে আইয়াশ, আলী ইবনে গুরাব, ইয়াহইয়া ইবনে ইয়ামান, ইয়াযিদ ইবনে হারুন আরে অনেক মুহাদ্দীস থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন। তার অনেক ছাত্র ছিল। তারা ভাগিনা জুনাইদ ইবনে মুহাম্মাদ, আবুল হাসান আন-নুরী, মুহাম্মাদ ইবনে ফয্ল ইবনে জাবের আস-সাকতী আরো অনেকে। সবাই তার থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন।
তার একটা দোকান ছিল যাতে তিনি ব্যাবসা করতেন। এক দিনের ঘটনা : এক বাদি তার দোকানের পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। সে বাদির কাছে একটা পাত্র ছিল। পাত্রটা ভেঙ্গে গেল। সে ঐ পাত্রে তার মুনিবের জন্য কিছু কেনার জন্য এসেছিল। তখন পাত্রটা ভাঙ্গার কারণে ঐ বাদি কাঁদছিল। তাকে দেখে সারিয়্যী রহ. তাকে কিছু পয়সা দিলেন। যা দিয়ে সে আরেকটা পাত্র কিনতে পারে। বাদির সাথে তার এ ব্যবহার তার উস্তাদ মা’রুফ রহ. দেখছিলেন। তখন তার উস্তাদ দুআ করলেন যে, আল্লাহ তায়ালা তোমার কাছে দুনিয়া তুচ্ছ করে দিক।
সারিয়্যী রহ. বলেন একদা ঈদের দিন আমি পথ চলছি। হটাৎ মা’রুফ কারখী কে দেখি। তার সাথে একটা খুব গরিব ছোট ছেলে। আমি জিজ্ঞাসা করলাম আপনার সাথে এ বাচ্চা কেন? তিনি উত্তর দিলেন, দেখলাম কিছু ছেলে আখরোট নিয়ে খেলছে। আর পাশে এ ছেলেটি মন খারাপ করে দাড়িয়ে আছে। আমি তাকে বললাম : তোমার কি হয়েছে? খেলছ না কেন? ছেলেটি উত্তর দিল : আমি এতিম, আমার কোন পয়সা নেই। যা দিয়ে আমি আখরোট কিনে খেলব। তাই আমি তার হাত ধরে নিয়ে আসলাম। তাকে কিছু বীচি জমা করে দিব। যা দিয়ে সে আখরোট কিনতে পারে। ফলে সে আনন্দিত হবে। সারিয়্যী রহ. বলেন, আমি বললাম : আমি কি তাকে কিছু কাপড় কিনে দিব? এবং আখরোট কেনার জন্য কিছু পয়সা দিব? তিনি বললেন তুমি পারবে? আমি বললাম হ্যাঁ পারব।
وَسَرِيٌّ السَّقَطِيُّ.
أَحَدُ كِبَارِ مَشَايِخِ أَئِمَّةِ الصُّوفِيَّةِ، وَهُوَ السَّرِيُّ بْنُ الْمُغَلِّسِ أَبُو الْحَسَنِ السَّقَطِيُّ الْبَغْدَادِيُّ، تِلْمِيذُ مَعْرُوفٍ الْكَرْخِيِّ حَدَّثَ عَنْ هُشَيْمٍ، وَأَبِي بَكْرِ بْنِ عَيَّاشٍ، وَعَلِيِّ بْنِ غُرَابٍ، وَيَحْيَى بْنِ يَمَانٍ، وَيَزِيدَ بْنِ هَارُونَ، وَغَيْرِهِمْ. وَعَنْهُ ابْنُ أُخْتِهِ الْجُنَيْدُ بْنُ مُحَمَّدٍ، وَأَبُو الْحَسَنِ النُّورِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْفَضْلِ بْنِ جَابِرٍ السَّقَطِيُّ، وَجَمَاعَةٌ.
وَكَانَتْ لَهُ دُكَّانٌ يَتَّجِرُ فِيهَا، فَمَرَّتْ بِهِ جَارِيَةٌ قَدِ انْكَسَرَ إِنَاءٌ كَانَ مَعَهَا تَشْتَرِي فِيهِ شَيْئًا لِسَادَتِهَا، فَجَعَلَتْ تَبْكِي، فَأَعْطَاهَا سَرِيٌّ شَيْئًا تَشْتَرِي بِهِ بَدَلَهُ، فَنَظَرَ مَعْرُوفٌ إِلَيْهِ وَمَا صَنَعَ بِتِلْكَ الْجَارِيَةِ، فَقَالَ لَهُ: بَغَّضَ اللَّهُ إِلَيْكَ الدُّنْيَا.
وَقَالَ سَرِيٌّ: مَرَرْتُ فِي يَوْمِ عِيدٍ، فَإِذَا مَعْرُوفٌ وَمَعَهُ صَبِيٌّ صَغِيرٌ شَعِثُ الْحَالِ، فَقُلْتُ: مَا هَذَا؟ فَقَالَ: هَذَا كَانَ وَاقِفًا وَالصِّبْيَانُ يَلْعَبُونَ وَهُوَ مُنْكَسِرٌ، فَقُلْتُ لَهُ: مَا لَكَ لَا تَلْعَبُ؟ فَقَالَ: أَنَا يَتِيمٌ وَلَا شَيْءَ مَعِي أَشْتَرِي بِهِ جَوْزًا أَلْعَبُ بِهِ. فَأَخَذْتُهُ لِأَجْمَعَ لَهُ نَوًى يَشْتَرِي بِهِ جَوْزًا يَفْرَحُ بِهِ، فَقُلْتُ: أَلَا أَكْسُوهُ وَأُعْطِيهِ شَيْئًا يَشْتَرِي بِهِ جَوْزًا؟ فَقَالَ: أَوَتَفْعَلُ؟ فَقُلْتُ:
পৃষ্ঠা - ৮৭৮৮
অতঃপর বললেন : লও, নিয়ে যাও। তারপর আমার জন্য দুআ করলেন, বললেন : আল্লাহ তায়ালা তোমার অন্তরকে ধনী বানিয়ে দিক। সিরী রহ. বলেন, এরপর থেকে দুনিয়া আমার নিকটে একেবারে তুচ্ছ নগন্য হয়ে গেছে।
সারিয়্যী রহ. এর আরেকটি ঘটনা : তার কাছে কিছু বাদাম ছিল এক ব্যক্তি তা কিনতে চাইল। তাদের মাঝে দরা-দরি হল যে, প্রতি কুর (এক ধরণের পরিমাপপাত্র) বাদাম ৬৩ দিনার। অতঃপর লোকটি বাদাম না কিনেই চলে গেল। তখন হটাৎ বাদামের দাম বেড়ে প্রতি কুর ৯০ দিনার হল। তারপর ঐ লোকটি আবার আসল এবং বলল আমি আপনার থেকে এক কুর বাদাম নিব ৯০ দিনার দিয়ে। সারিয়্যী রহ. বললেন : আপনার সাথে দরা-দরি হয়েছে ৬৩ দিনার। আমি তার থেকে বেশিতে বেচব না। আর লেকটি বলল : আমি ৯০ দিনার দিয়ে কিনব। তিনি বললেন আমাদের মাঝে যে দাম নির্ধরিত হয়েছিল সে দাম ছাড়া বেচব না। লোকটি বলল : ইনসাফ হল বাজারী মূলে অর্থাৎ ৯০ দিনার দিয়েই ক্রয় করা। শেষ পর্যন্ত লোকটি বাদাম না কিনেই চলে গেল।
তার আরেকটি ঘটনা : একদা এক মহিলা সারিয়্যী রহ. এর কাছে আসল। তাকে বলল : আমার ছেলে কে পাহারাদার পুলিশ গ্রেফতার করেছে। আমি চাই আপনি কাউকে পুলিশের কাছে পাঠিয়ে দিন। যাতে আমার ছেলে কে মারা না হয়। এ কথা শুনে তিনি নামাযে দাড়িয়ে গেলেন। দীর্ঘ সময় নামায পড়তে লাগলেন। এ অবস্থা দেখে মহিলা মনে মনে খুব রাগান্বিত হলেন। যখন তিনি নামায শেষ করেন মহিলাটি তখন বলল আল্লাহ ওয়াস্তে আমার ছেলের জন্য কিছু করেন। তিনি বললেন : ঐ সময় থেকে এ পর্যন্ত আপনার ছেলেকে ছাড়ানোর জন্যই চেষ্টা করেছি। সারিয়্যী রহ. এখনোও তার মজলিস থেকে উঠে নাই, এর মধ্যেই অন্য এক মহিলা ঐ মহিলার কাছে আসল এবং বলল : সুসংবাদ গ্রহন কর। তোমার ছেলে কে পুলিশ মুক্তি দিছে। তখন মহিলা খুশি হয়ে চলে গেল।
সারিয়্যী রহ. বলেন : আমি চাই এমন খাদ্য খেতে যা খেলে আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে কোন প্রকার পাকড়াও হবে না। না তাতে আমার উপর কারো অনুগ্রহ থাকবে। কিন্তু আমার ইচ্ছা পুরণ করতে পারিনি।
نَعَمْ. فَقَالَ: خُذْهُ، أَغْنَى اللَّهُ قَلْبَكَ. قَالَ: فَسَوِيَتِ الدُّنْيَا عِنْدِي أَقَلَّ شَيْءٍ.
وَكَانَ عِنْدَهُ مَرَّةً لَوْزٌ، فَسَاوَمَهُ رَجُلٌ عَلَى الْكُرِّ بِثَلَاثَةٍ وَسِتِّينَ دِينَارًا، ثُمَّ ذَهَبَ الرَّجُلُ، فَإِذَا اللَّوْزُ يُسَاوِي الْكُرُّ مِنْهُ تِسْعِينَ دِينَارًا، فَقَالَ لَهُ: إِنِّي أَشْتَرِي مِنْكَ الْكُرَّ بِتِسْعِينَ دِينَارًا. فَقَالَ: إِنِّي سَاوَمْتُكُ بِثَلَاثَةٍ وَسِتِّينَ، وَإِنِّي لَا أَبِيعُهُ إِلَّا بِذَلِكَ. فَقَالَ الرَّجُلُ: وَأَنَا أَشْتَرِي مِنْكَ بِتِسْعِينَ. فَقَالَ: لَا أَبِيعُهُ إِلَّا بِمَا سَاوَمْتُكَ عَلَيْهِ. فَقَالَ الرَّجُلُ: إِنَّ مِنَ النُّصْحِ أَنْ لَا أَشْتَرِيَ مِنْكَ إِلَّا بِتِسْعِينَ دِينَارًا. وَذَهَبَ فَلَمْ يَشْتَرِ مِنْهُ.
وَجَاءَتِ امْرَأَةٌ يَوْمًا إِلَى سَرِيٍّ فَقَالَتْ: إِنَّ ابْنِي قَدْ أَخَذَهُ الْحَرَسُ، وَإِنِّي أُحِبُّ أَنْ تَبْعَثَ إِلَى صَاحِبِ الشُّرْطَةِ لِئَلَّا يُضْرَبَ. فَقَامَ فَكَبَّرَ وَطَوَّلَ فِي الصَّلَاةِ وَجَلَعَتِ الْمَرْأَةُ تَحْتَرِقُ فِي نَفْسِهَا، فَلَمَّا انْصَرَفَ مِنَ الصَّلَاةِ قَالَتِ الْمَرْأَةُ: اللَّهَ اللَّهَ فِي وَلَدِي. فَقَالَ: هَاأَنَذَا فِي حَاجَتِكِ. فَمَا قَامَ مِنْ مَجْلِسِهِ حَتَّى جَاءَتِ امْرَأَةٌ إِلَى تِلْكَ الْمَرْأَةِ فَقَالَتْ: أَبْشِرِي، فَقَدْ أَطْلَقَ الْمُتَوَلِّي وَلَدَكِ. فَانْصَرَفَتْ إِلَيْهِ. وَقَالَ سَرِيٌّ: أَشْتَهِي أَنْ آكُلَ أَكْلَةً لَيْسَ لِلَّهِ عَلَيَّ فِيهَا تَبِعَةٌ، وَلَا
পৃষ্ঠা - ৮৭৮৯
অন্য বর্ণনায় আছে তিনি বলেন : ত্রিশ বছর ধরে আমার সবজি খাওয়ার আগ্রহ হয়েছে কিন্তু খেতে পারিনি।
সারিয়্যী রহ. বলেন : আমাদের বাজারে একদিন আগুন লাগে। আমার দোকান দেখার জন্য বের হলাম। পথিমধ্যে একজন লেকের সাথে সাক্ষাত হল। সে বলল : সুসংবাদ গ্রহন করুন, আপনার দোকান সম্পূর্ন ভালো আছে। সুখবর শুনে আমি আলহামদুল্লিাহ বললাম। তারপর আমার স্বরণ হল, আমার দোকান ভালো আছে তাই শুকরিয়া আদায় করলাম অথচ অন্যের দোকানের চিন্তা তো করলাম না ! তিনি বলেন, আমার এ ভুলের কারণে ত্রিশ বছর ধরে আল্লাহ তায়ালার কাছে ক্ষমা প্রর্থনা করছি।
এ ঘটনা খতীবে বাগদাদী বর্ণনা করেছেন।
সারিয়্যী রহ. বলেন : এক রাতে আমি আমার অজিফা আদায় করছিলাম। অজিফা শেষে আমার পা মেহরাবের দিকে লম্বা করে দিলাম। তখন গায়েব থেকে আওয়াজ শুনলাম, কেউ আমাকে বলছে : হে সারিয়্যী তুমি কি বাদশাদের সামনে এভাবে বসবে? সারিয়্যী রহ. বলেন, আমি তখন আমার পা গুটিয়ে নিলাম। অতঃপর বললাম তোমার ইজ্জতের কসম ! আমার পা আর কখনো লম্বা করব না।
জুনাইদ ইবনে মুহাম্মাদ বলেন : হযরত সারিয়্যী আস-সাকতী রহ. এর থেকে আল্লাহ তায়ালার বড় ইবাদাতকারী আমি দেখি নাই। তার বয়স ৯৮ বছর হয়েছিল। কিন্তু মৃত্যু ব্যধির সময় ছাড়া কখনো তাকে শোয়া দেখিনি।
খতীবে বাগদাদী আবূ নুআইম থেকে বর্ণনা করেন, তিনি জা’ফর জুলদী থেকে, তিনি জুনাইদ ইবনে মুহাম্মাদ থেকে বর্ণনা করেন যে, জুনাইদ বলেন : একদিন আমি তার অসুস্থতা দেখতে গেলাম। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম : এখন আপনার কেমন লাগছে? উত্তরে তিনি একটি কবিতা আবৃতি করেন। যার অর্থ : আমি আমার অসুস্থতার অভিযোগ আমার ডাক্তারের কাছে কিভাবে করব ۞ যে অসুস্থতা আমার ডাক্তারের কারণেই হয়েছে।
অতঃপর জুনাইদ বলেন : আমি একটা পাখা নিয়ে তাকে বাতাশ করতে লাগলাম। তখন তিনি বললেন : পাখার বাতাশে ঐ ব্যক্তি কিভাবে ঠান্ডা হবে যা ভিতরে আগুন জ্বলছে। এরপর তিনি নিচের কবিতাগুলি আবৃতি করলেন :
لِأَحَدٍ عَلَيَّ فِيهَا مِنَّةٌ، فَمَا أَجِدُ إِلَى ذَلِكَ سَبِيلًا. وَفِي رِوَايَةٍ قَالَ: إِنِّي لَأَشْتَهِي الْبَقْلَ مِنْ ثَلَاثِينَ سَنَةً، فَمَا أَقْدِرُ عَلَيْهِ. وَعَنِ السَّرِيِّ أَنَّهُ قَالَ: احْتَرَقَ سُوقُنَا، فَقَصَدْتُ الْمَكَانَ الَّذِي فِيهِ دُكَّانِي، فَتَلَقَّانِي رَجُلٌ فَقَالَ: أَبْشِرْ ; فَإِنَّ دُكَّانَكَ قَدْ سَلِمَتْ. فَقُلْتُ: الْحَمْدُ لِلَّهِ. ثُمَّ تَذَكَّرْتُ ذَلِكَ التَّحْمِيدَ، فَأَنَا أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ مُنْذُ ثَلَاثِينَ سَنَةً. رَوَاهَا الْخَطِيبُ.
وَقَالَ السَّرِيُّ: صَلَّيْتُ وِرْدِي ذَاتَ لَيْلَةٍ ثُمَّ مَدَدْتُ رِجْلِي فِي الْمِحْرَابِ، فَنُودِيتُ: يَا سَرِيُّ، كَذَا تُجَالِسُ الْمُلُوكَ؟ قَالَ: فَضَمَمْتُ رِجْلِي ثُمَّ قُلْتُ: وَعِزَّتِكَ لَا مَدَدْتُ رِجْلِي أَبَدًا. وَقَالَ الْجُنَيْدُ بْنُ مُحَمَّدٍ: مَا رَأَيْتُ أَعْبَدَ لِلَّهِ مِنَ السَّرِيِّ السَّقَطِيِّ ; أَتَتْ عَلَيْهِ ثَمَانٍ وَتِسْعُونَ سَنَةً مَا رُئِيَ مُضْطَجِعًا إِلَّا فِي عِلَّةِ الْمَوْتِ. وَقَالَ الْخَطِيبُ: عَنْ أَبِي نُعَيْمٍ، عَنْ جَعْفَرٍ الْخُلْدِيِّ، عَنِ الْجُنَيْدِ بْنِ مُحَمَّدٍ قَالَ: دَخَلْتُ عَلَيْهِ أَعُودُهُ، فَقُلْتُ: كَيْفَ تَجِدُكَ؟ فَقَالَ: كَيْفَ أَشْكُو إِلَى طَبِيبِي مَا بِي، وَالَّذِي قَدْ أَصَابَنِي مِنْ طَبِيبِي.
قَالَ: فَأَخَذْتُ الْمِرْوَحَةَ أَرَوِّحُهُ، فَقَالَ لِي: كَيْفَ يَجِدُ رَوْحَ الْمِرْوَحَةِ مَنْ جَوْفُهُ يَحْتَرِقُ مِنْ دَاخِلٍ؟ ثُمَّ أَنْشَأَ يَقُولُ:
পৃষ্ঠা - ৮৭৯০
অন্তর জ্বলতেছে চোখ থেকে অশ্রু ঝরছে ۞ সমস্ত বিপদ জমা হচ্ছে, আর ধৈর্য ক্ষমতার বাহিরে চলে যাচ্ছে।
ঐ ব্যক্তি কিভাবে স্থির হবে যার কোন ঘর নেই ۞ ঐ সমস্ত কাজের কারণে যা নফসের তাড়নায় আগ্রহ অস্থিরাতার মধ্যে করেছে।
হে আল্লাহ যদি আমার ভাগ্যে প্রশান্তি থাকে ۞ তাহলে মৃত্যু পর্যন্ত আমাকে প্রশান্তি দান কর।
জুনাইদ বলেন, আমি তাকে বললাম : আমকে কিছু নসিহাত করেন। তিনি বললেন : খারাপ লোকদের সহচার্যে যেও না। আর ভালো লোকদের সহচার্যে থেকে আল্লাহ তায়ালার স্বরণ থেকে গাফেল থেক না।
খতীবে বাগদাদী বর্ণনা করেন, তিনি ৬ ই রমযান ২৫৩ হিজরী সালে সোমবারের দিন ফজরের আযানের পরে ইন্তেকাল করেন। তাকে আসরের পরে শুনিঝিয়্যাহ কবর স্থানে দাফন করা হয়। তার কবর প্রশিদ্ধ সবাই চেনে। তার কবরের পাশে জুনাইদ বাগদাদীর কবর দেয়া হয়।
আবূ ওবাইদা ইবনে হারবাওয়াই থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন : আমি স্বপ্নে হযরত সারিয়্যী রহ. কে দেখলাম। আমি তাকে বললাম : আল্লাহ তায়ালা আপনার সাথে কেমন আচারণ করেছে? উত্তরে তিনি বলেন : আল্লাহ তায়ালা আমাকে মাফ করে দিছে। আর আমার জানাযায় যারা উপস্থিত হয়েছিল সবাই কে মাফ করে দিছে। আমি বললাম : আমিও আপনার জানাযায় উপস্থিত হয়েছিলাম, জানাযার নামাযও পড়েছি। আবূ ওবাইদা বলেন : এ কথা শুনে তিনি একটি রেজিষ্টার বের করে দেখলেন। কিন্তু তার মধ্যে আমার নাম পেলেন না। আমি বললাম বাস্তবে আমি আপনার জানাযায় উপস্থিত ছিলাম। তখন রেজিষ্টরের টিকায় আমার নাম পাওয়া গেল।
ইবনে খিল্লিকান ভিন্ন একটি মত বর্ণনা করেন যে, সারী রহ. ২৫১ হিজরীতে ইন্তেকাল করেন। আর কেউ বলেন ২৫৬ হিজরীতে ইন্তেকাল করেন। সঠিকটা আল্লাহ তায়ালাই ভালো জানেন।
الْقَلْبُ مُحْتَرِقٌ وَالدَّمْعُ مُسْتَبِقٌ ... وَالْكَرْبُ مُجْتَمِعٌ وَالصَّبْرُ مُفْتَرِقُ
كَيْفَ الْقَرَارُ عَلَى مَنْ لَا قَرَارَ لَهُ ... مِمَّا جَنَاهُ الْهَوَى وَالشَّوْقُ وَالْقَلَقُ
يَا رَبِّ إِنْ كَانَ شَيْءٌ فِيهِ لِي فَرَجٌ ... فَامْنُنْ عَلَيَّ بِهِ مَا دَامَ بِي رَمَقُ
قَالَ: وَقُلْتُ لَهُ: أَوْصِنِي. قَالَ: لَا تَصْحَبِ الْأَشْرَارَ، وَلَا تَشْتَغِلْ عَنِ اللَّهِ بِمُجَالَسَةِ الْأَخْيَارِ.
وَقَدْ ذَكَرَ الْخَطِيبُ وَفَاتَهُ يَوْمَ الثُّلَاثَاءِ لِسِتٍّ خَلَوْنَ مِنْ رَمَضَانَ سَنَةَ ثَلَاثٍ وَخَمْسِينَ وَمِائَتَيْنِ بَعْدَ أَذَانِ الْفَجْرِ، وَدُفِنَ بَعْدَ الْعَصْرِ. قَالَ: وَدُفِنَ بِمَقْبَرَةِ الشُّونِيزِيَّةِ، وَقَبْرُهُ ظَاهِرٌ مَعْرُوفٌ، وَإِلَى جَنْبِهِ قَبْرُ الْجُنَيْدِ. وَرُوِيَ عَنِ الْقَاضِي، عَنْ أَبِي عَبُيْدِ بْنِ حَرْبَوَيْهِ قَالَ: رَأَيْتُ سَرِيًّا فِي الْمَنَامِ، فَقُلْتُ: مَا فَعَلَ اللَّهُ بِكَ؟ فَقَالَ: غَفَرَ لِي وَلِكُلِّ مَنْ شَهِدَ جِنَازَتِي. قُلْتُ: فَإِنِّي مِمَّنْ حَضَرَ جِنَازَتَكَ وَصَلَّى عَلَيْكَ. قَالَ: فَأَخْرَجَ دُرْجًا فَنَظَرَ فِيهِ، فَلَمْ يَرَ فِيهِ اسْمِي، فَقُلْتُ: بَلَى، قَدْ حَضَرْتُ، فَإِذَا اسْمِي فِي الْحَاشِيَةِ.
وَحَكَى ابْنُ خِلِّكَانَ قَوْلًا ; أَنَّ سَرِيًّا تُوَفِّي سَنَةَ إِحْدَى وَخَمْسِينَ. وَقِيلَ: سَنَةَ سِتٍّ وَخَمْسِينَ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ ابْنُ خِلِّكَانَ: وَمِمَّا كَانَ يُنْشِدُهُ السَّرِيُّ، رَحِمَهُ اللَّهُ:
পৃষ্ঠা - ৮৭৯১
ইবনে খিল্লিকান বলেন হযরত সারিয়্যী আস-সাকতী রহ. বেশি বেশি নিচের কবিতাগুলো পড়তেন।
যখন আমি মহাব্বতের দাবী করতাম তখন আমার মহাব্বতের মানুষ বলত তুমি মিথ্যা বলছ ۞ কেননা তোমার অঙ্গ-প্রতঙ্গে এখনো গোশত আছে।
আর যতক্ষন শরিরে গোশত থাকে ততক্ষন মহব্বতের দাবী করা ভুল ۞ আর যতক্ষন এমন বেখেয়াল না হবে যে কারো ডাকে সাড়া দিতে পারবে না, ততক্ষন মহব্বতের দাবী করা ঠিক নয়।
إِذَا مَا شَكَوْتُ الْحُبَّ قَالَتْ كَذَبْتَنِي ... فَمَا لِي أَرَى الْأَعْضَاءَ مِنْكَ كَوَاسِيَا
فَلَا حُبَّ حَتَى يَلْصَقَ الْجِلْدُ بِالْحَشَا ... وَتَذْهَلَ حَتَى لَا تُجِيبَ الْمُنَادِيَا