আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ثنتين وخمسين ومائتين

পৃষ্ঠা - ৮৭৭৯
[ হিজরি ২৫২ সাল ]
[ মু’তায্যের খেলাফত কাল ]
এর পর ২৫২ হিজরী শুরু হল।
মুস্তাইন খেলাফত থেকে অব্যহতি নেয়ার পরে মু’তায্য বিল্লাহ ইবনে মুতাওয়াক্কিলের খেলাফতের আলোচনা।

এ বছরের শুরুটা এমন সময় হল যে, আব্দুল্লাহ মুহাম্মাদ মু’তায্য ইবনে জা’ফার মুতাওয়াক্কিল ইবনে মুহাম্মাদ মু’তাসিম ইবনে হারুনুর রশীদ ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে মাহদী ইবনে আবূ জা’ফার আল-মানসুর খেলাফাতের দায়িত্ব গ্রহন করেছেন এবং তার নামে খেলাফাত দৃঢ় হয়েছে।

কেউ কেউ বলেন মু’তযযের মূল নাম আহমাদ আবার কেউ বলেন তার নাম যুবায়ের। ইবনে আসাকির দ্বিতীয় মতটাকে প্রধান্য দিছেন। তার ইতিহাস গ্রন্থে মু’তাযযের আলোচনা করার সময যুবায়ের নামে উল্লেখ করেন।

যখন মুস্তাইন খেলাফাত থেকে অব্যহতি গ্রহন করেন এবং মু’তাযযের হাতে বায়াত গ্রহন করেন। তখন বাগদাদে জামে মসজিদে খতীবগন মহাররমের চার তারিখ জুমার খুতবায় মেম্বারে খলিফা মু’তাযযের নাম ঘেষনা করেন। আর সাবেক খলিফ মুস্তাইন তার পরিবার, সন্তানাদী ও গোলাম বাদী সব নিয়ে রসাফা নামক এলাকে থেকে হাসান ইবনে সাহলের প্রাসাদে চলে যান। খলিফা তাদেরকে পৌছে দেয়ার জন্য তাদের সাথে সাঈদ ইবনে রজা এর নেতৃত্বে এক জামাত পাঠান। আর তারা মুস্তইন থেকে খেলাফতের চাদর, লাঠি ও মোহর নিয়ে এসে খলিফা মু’তায্য কে দিল। এরপরে মু’তায্য মুস্তাইনের কাছে আবার লোক পাঠাল তার কাছে যে দুটি মতির আংটি আছে তা দিয়ে দিতে। যে আংটির একটির নাম বুরজ আর অপরটির নাম জাবাল। তিনি উভয় আংটি দিয়ে দেন।
[سَنَةُ ثِنْتَيْنِ وَخَمْسِينَ وَمِائَتَيْنِ] [خِلَافَةُ الْمُعْتَزِّ بِاللَّهِ] ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ ثِنْتَيْنِ وَخَمْسِينَ وَمِائَتَيْنِ ذِكْرُ خِلَافَةِ الْمُعْتَزِّ بِاللَّهِ ابْنِ الْمُتَوَكِّلِ عَلَى اللَّهِ بَعْدَ خَلْعِ الْمُسْتَعِينِ نَفْسَهُ اسْتَهَلَّتْ هَذِهِ السَّنَةُ وَقَدِ اسْتَقَرَّتِ الْخِلَافَةُ بِاسْمِ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ الْمُعْتَزِّ مُحَمَّدِ بْنِ جَعْفَرٍ الْمُتَوَكِّلِ بْنِ مُحَمَّدٍ الْمُعْتَصِمِ بْنِ هَارُونَ الرَّشِيدِ بْنِ مُحَمَّدٍ الْمَهْدِيِّ بْنِ أَبِي جَعْفَرٍ الْمَنْصُورِ، وَقِيلَ: إِنَّ اسْمَ الْمُعْتَزِّ أَحْمَدُ. وَقِيلَ: الزُّبَيْرُ. وَهُوَ الَّذِي عَوَّلَ عَلَيْهِ الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ وَتَرْجَمَهُ فِي " تَارِيخِهِ ". فَلَمَّا خَلَعَ الْمُسْتَعِينُ - أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْمُعْتَصِمِ - نَفْسَهُ مِنَ الْخِلَافَةِ وَبَايَعَ لِلْمُعْتَزِّ، دَعَا الْخُطَبَاءُ يَوْمَ الْجُمُعَةِ رَابِعَ الْمُحَرَّمِ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ بِجَوَامِعِ بَغْدَادَ عَلَى الْمَنَابِرِ لِلْخَلِيفَةِ الْمُعْتَزِّ بِاللَّهِ. وَانْتَقَلَ الْمُسْتَعِينُ مِنَ الرُّصَافَةِ إِلَى قَصْرِ الْحَسَنِ بْنِ سَهْلٍ هُوَ وَعِيَالُهُ وَوَلَدُهُ وَجَوَارِيهِ، وَوَكَّلَ بِهِمْ سَعِيدَ بْنَ رَجَاءٍ فِي جَمَاعَةٍ مَعَهُ، وَأَخَذَ مِنَ الْمُسْتَعِينِ الْبُرْدَةَ وَالْقَضِيبَ وَالْخَاتَمَ، وَبَعَثَ بِذَلِكَ إِلَى الْمُعْتَزِّ، ثُمَّ أَرْسَلَ إِلَيْهِ الْمُعْتَزُّ يَطْلُبُ مِنْهُ خَاتَمَيْنِ مِنْ جَوْهَرٍ ثَمِينٍ بَقِيَا عِنْدَهُ يُقَالُ لِأَحَدِهِمَا: بُرْجٌ. وَلِلْآخَرِ: جَبَلٌ. فَأَرْسَلَهُمَا. وَطَلَبَ
পৃষ্ঠা - ৮৭৮০
তারপর মুস্তাইন মক্কা মুকাররমায় যেতে চাইলেন। কিন্তু তাকে যেতে অনুমতি দেয়া হল না। তখন তিনি বসরায যেতে চাইলেন। তাকে বলা হল ঐ এলাকায় বিপদ বেশি। উত্তরে মুস্তাইন বলল খেলাফত ছেড়ে দেয়া তার থেকে বেশি বিপদ। অবশেষে তিনি ওসিত নামক এলাকায় যাওয়ার অনুমতি পেল। এরপর তিনি রওনা হলেন। তার সাথে চারশত দেহরক্ষী ছিল। যারা তাকে ঐ স্থানে পৌছে দিল।

খলিফা মু’তায্য আহমাদ ইবনে আবূ ইসরাইল কে উজির বানান। তাকে শাহী পোশাক পরিয়ে দেন। তার মাথায় মুকুট পরিয়ে দেন। যখন বাগদাদের পরিস্থিতি শান্ত হল এবং মু’তাযযের খেলাফাত দৃঢ় হল। মানুষ তার অনুগত হল। তখন চারোদিক থেকে খাদ্য বস্ত্র ও অন্যান্য আসবাবপত্র আমদানী শুরু হল। বাগদাদের মানুষ সভাবিক জীবন যাপন শুরু করল।
তখন আবূ আহমাদ মুহাররমের ১২ তারিখ শনিবার বাগদাদ থেকে সামাররায় দিকে রওয়ানা হন। মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে তাহের অন্যান্য আমীর উমারা সহ তাকে বিদায় জানানোর জন্য এগিয়ে যান। ঐ সময় আবূ আহমাদ, মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে তাহের কে পাঁচটি মুল্যবান পোশাক ও একটি তলোয়ার হাদিয়া দিলেন। রোযাবার নামক স্থান থেকে তাকে বাগদাদে ফিরত পাঠিয়ে দিলেন।

এ সময় খলিফা মু’তাযযের সম্পর্কে কবিগণ বিভিন্ন কবিতা রচনা করেন। ইবনে জারির তা বর্ণনা করেছেন। এ সমস্ত কবিতায় মু’তাযযের প্রশংসা করেছেন এবং মুস্তাইনের খেলাফাত থেকে পদত্যাগ করার কারণে আনন্দ করেছেন। এ সময় কবিগণ একে অন্যের সাথে প্রতিযোগিতা দিয়ে কবিতা রচনা করেছেন। সবথেকে সুন্দরভাবে মু’তাযযের প্রশংসা এবং মুস্তাইনের দোষ বর্ণনা করেছেন মারওয়ান ইবনে আবূ জুনুব ইবনে মারওয়ান

খেলাফাতের সমস্ত বিষয় মু’তাযযের ফিরে আসছে  ۞  আর মুস্তাইন তার পূর্বের অস্থায় ফিরে গেছে।
সে জানত খেলাফাত তার না  ۞  বরং আপনার। কিন্তু তার মন তাকে ধোকা ফেলে রেখেছিল।
বাস্তবে রাব্বুল আলামীন আল্লাহ তায়ালা খেলাফাত দানকারী এবংতিনিই ছিনিয়ে নেই  ۞  তিনিই আপনাকে খেলাফাত দান করেছেন। আর তার থেকে ছিনিয়ে নিছেন।
আর সত্য হল সে খেলাফাতের দায়িত্ব তার শোভা পায় না  ۞  যেমন বিবাহিত মহিলা অন্যের সাথে নিকাহে মুতা’ (অল্প সময়ের জন্য বিবাহে বসা) শোভা পায় না।
الْمُسْتَعِينُ أَنْ يَسِيرَ إِلَى مَكَّةَ فَلَمْ يُمَكَّنْ، فَطَلَبَ الْبَصْرَةَ فَقِيلَ لَهُ: إِنَّهَا وَبِيئَةٌ. فَقَالَ: إِنَّ تَرْكَ الْخِلَافَةِ أَوْبَأُ مِنْهَا. ثُمَّ أَذِنَ لَهُ فِي الْمَسِيرِ إِلَى وَاسِطَ فَخَرَجَ وَمَعَهُ حَرَسٌ يُوَصِّلُونَهُ إِلَيْهَا نَحْوٌ مَنْ أَرْبَعِمِائَةٍ. وَاسْتَوْزَرَ الْمُعْتَزُّ أَحْمَدَ بْنَ أَبِي إِسْرَائِيلَ، وَخَلَعَ عَلَيْهِ، وَأَلْبَسَهُ تَاجًا عَلَى رَأْسِهِ. وَلَمَّا تَمَهَّدَ أَمْرُ بَغْدَادَ وَاسْتَقَرَّتِ الْبَيْعَةُ لِلْمُعْتَزِّ بِهَا، وَدَانَ لَهُ أَهْلُهَا وَاجْتَمَعَ شَمْلُهَا، وَقَدِمَتْهَا الْمِيرَةُ مِنْ كُلِّ جَانِبٍ، وَاتَّسَعَ النَّاسُ فِي الْأَرْزَاقِ وَالْأَطْعِمَةِ، رَكِبَ أَبُو أَحْمَدَ مِنْهَا فِي يَوْمِ السَّبْتِ لِاثْنَتَيْ عَشْرَةَ لَيْلَةً خَلَتْ مِنَ الْمُحَرَّمِ إِلَى سَامَرَّا، وَشَيَّعَهُ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ طَاهِرٍ فِي وُجُوهِ الْقُوَّادِ، فَخَلَعَ أَبُو أَحْمَدَ عَلَى ابْنِ طَاهِرٍ خَمْسَ خِلَعٍ وَسَيْفًا، وَرَدَّهُ مِنَ الرُّوذَبَارِ. وَقَدْ ذَكَرَ ابْنُ جَرِيرٍ مَدَائِحَ الشُّعَرَاءِ فِي الْمُعْتَزِّ وَتَشَفِّيَهُمْ بِخَلْعِ الْمُسْتَعِينِ، فَأَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ جِدًّا. فَمِنْ ذَلِكَ قَوْلُ مُحَمَّدِ بْنِ مَرْوَانَ بْنِ أَبِي الْجَنُوبِ بْنِ مَرْوَانَ فِي مَدْحِ الْمُعْتَزِّ وَذَمِّ الْمُسْتَعِينِ كَمَا جَرَتْ بِهِ عَادَةُ الشُّعَرَاءِ: إِنَّ الْأُمُورَ إِلَى الْمُعْتَزِّ قَدْ رَجَعَتْ ... وَالْمُسْتَعِينُ إِلَى حَالَاتِهِ رَجَعَا وَكَانَ يَعْلَمُ أَنَّ الْمُلْكَ لَيْسَ لَهُ ... وَأَنَّهُ لَكَ لَكِنْ نَفْسَهُ خَدَعَا وَمَالِكُ الْمُلْكِ مُؤْتِيهِ وَنَازِعُهُ ... آتَاكَ مُلْكًا وَمِنْهُ الْمُلْكَ قَدْ نَزَعَا إِنَّ الْخِلَافَةَ كَانَتْ لَا تُلَائِمُهُ ... كَانَتْ كَذَاتِ حَلِيلٍ زُوِّجَتْ مُتَعَا
পৃষ্ঠা - ৮৭৮১
মানুষের কাছে তার খেলাফাতের থেকে খারাপ কিছু নেই  ۞  সে খেলাফত থেকে পদত্যাগ করাতে মানুষ অনেক খুুশি হয়েছে।
হায় যদি কোন নৌকা তাকে উঠিয়ে নিয়ে কোন টিলায় ফেলে রেখে আসত  ۞  তাহলে যে মাঝি তাকে ফেলে রেখে আসত তার উপর আমার জান কোরবান করে দিতাম।
কত বাদশা আপনার পূর্বে রাজত্ব করেছে  ۞  কিন্তু রাষ্টের যে বড় দায়িত্ব আপনার উপর অর্পণ করা হয়েছে যদি তাদের উপর অর্পন করা হত তাহলে তারা ভালোভাবে চলতে পারত না।
আপনার মাধ্যমে মানুষ সংকির্ণ জিন্দিগী থেকে মুক্তি পেয়ে শান্তিপূর্ণ জিন্দিগী পেয়েছে  ۞  আল্লাহ তায়ালাই সংকির্ণ জিবনের পর শান্তিপূর্ণ জিবন দান করেন।
আল্লাহ তায়ালার কাছে দুআ করি এই খেলাফাতের কারণে আপনার থেকে সমস্ত মন্দ বিষয়সমূহ কে দুর করে দেন  ۞  কারণ আপনার মাধ্যমেই আমাদের মন্দ বিষয়সমূহ দুর হয়েছে।

এরপর মু’তায্য বাগদাদের প্রতিনিধি মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে তাহের চিঠি পাঠিয়ে নির্দেশ দিলেন ওসিফ, বুগা এবং এ দুজনের রেজিষ্টারে যাদের নাম আছে সবাই কে বাদ দিতে। এবং তিনি ওসিফ ও বুগা কে হত্যা করার ইচ্ছা করেন। অতঃপর তাদের ব্যাপারে তাকে শান্ত করার চেষ্টা করা হল। তখন তিনি শান্ত হয়ে গেলেন।

ঐ বছর রজম মাসে মু’তায্য তার ভাই ইবরাহীম যার ডাক নাম মুয়াইয়্যাদ কে তার দায়িত্ব থেকে বরখাস্ত করেন এবং তাকে চল্লিশ বেত্রাঘাত মারেন। আর তার অপর ভাই আহমাদ কেও জেলখানায় বন্ধি করেন। শুক্রবারে দিন তাকে বরখাস্ত করার ঘোষনা দেন। আর তাকে নির্দেশ দিলেন নিজেই পদত্যাগপত্র জমা দিতে। তারপর তিনি মাত্র পনের দিন বেচে ছিলেন। তার হত্যার পদ্ধতির ব্যাপারে দুই রকম মত আছে।
১। কেউ বলেন তাকে উটের চামড়ার ভিতরে ঢুকিয়ে মুখ বন্ধ করে দেয়া হয়। ফলে নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে মারা যান।
২। আর কেউ বলেন তাকে বরফের বড় খন্ডের উপর শোয়ানো হয়। ফলে সে ঠান্ডায় মারা যায়। তারপর তাকে জেলখানা থেকে বের করা হয়। তখন তার শরিরে কোন আঘাত বা মার-পিটের চি‎হ্ন ছিল না।

অতঃপর কাজী এবং আমীর এক জামাতকে ডাক হল। তাদের কে সাক্ষী বানানো হল যে, তিনি সাভাবিকভাবে কোন কারণ ছাড়া মারা গেছে এবং তার শরিরে আঘাতের কোন চি‎হ্ন নেই। এরপর কাফন পরানো হয়।
مَا كَانَ أَقْبَحَ عِنْدَ النَّاسِ بَيْعَتَهُ ... وَكَانَ أَحْسَنَ قَوْلَ النَّاسِ قَدْ خُلِعَا لَيْتَ السَّفِينَ إِلَى قَافٍ دَفَعْنَ بِهِ ... نَفْسِي الْفِدَاءُ لِمَلَّاحٍ بِهِ دَفَعَا كَمْ سَاسَ قَبْلَكَ أَمْرَ النَّاسِ مِنْ مَلِكٍ ... لَوْ كَانَ حُمِّلَ مَا حُمِّلْتَهُ ظَلَعَا أَمَسَى بِكَ النَّاسُ بَعْدَ الضِّيقِ فِي سِعَةٍ ... وَاللَّهُ يَجْعَلُ بَعْدَ الضِّيقِ مُتَّسَعَا وَاللَّهُ يَدْفَعُ عَنْكَ السُّوءَ مِنْ مَلِكٍ ... فَإِنَّهُ بِكَ عَنَّا السُّوءَ قَدْ دَفَعَا وَكَتَبَ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ الْمُعْتَزُّ مِنْ سَامَرَّا إِلَى نَائِبِ بَغْدَادَ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ طَاهِرٍ أَنْ يُسْقِطَ اسْمَ وَصِيِفٍ وَبُغَا وَمَنْ كَانَ فِي رَسْمِهِمَا فِي الدَّوَاوِينِ، وَعَزَمَ عَلَى قَتْلِهِمَا، ثُمَّ اسْتُرْضِيَ عَنْهُمَا، فَرَضِيَ عَنْهُمَا. وَفِي رَجَبٍ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ خَلَعَ الْمُعْتَزُّ أَخَاهُ إِبْرَاهِيمَ الْمُلَقَّبَ بِالْمُؤَيَّدِ مِنْ وِلَايَةِ الْعَهْدِ وَحَبَسَهُ، وَأَخَاهُ أَبَا أَحْمَدَ، بَعْدَمَا ضَرَبَ الْمُؤَيَّدَ أَرْبَعِينَ مَقْرَعَةً. وَلَمَّا كَانَ يَوْمُ الْجُمُعَةِ سَابِعُهُ خَطَبَ بِخَلْعِهِ، وَأَمْرَهُ أَنْ يَكْتُبَ كِتَابًا عَلَى نَفْسِهِ بِذَلِكَ. وَكَانَتْ وَفَاتُهُ بَعْدَ ذَلِكَ بِخَمْسَةَ عَشَرَ يَوْمًا، فَقِيلَ: إِنَّهُ أُدْرِجَ فِي لِحَافِ سَمُّورٍ وَأُمْسِكَ طَرَفَاهُ حَتَّى مَاتَ غَمًّا. وَقِيلَ: بَلْ ضُرِبَ بِحِجَارَةٍ مِنْ ثَلْجٍ حَتَّى مَاتَ بَرْدًا. وَبَعْدَ ذَلِكَ كُلِّهِ أُخْرِجَ مِنَ السِّجْنِ وَلَا أَثَرَ بِهِ، فَأُحْضِرَ الْقُضَاةُ وَالْأَعْيَانُ فَأُشْهِدُوا عَلَى مَوْتِهِ مِنْ غَيْرِ سَبَبٍ وَلَيْسَ بِهِ أَثَرٌ، ثُمَّ حُمِلَ عَلَى حِمَارٍ وَمَعَهُ
পৃষ্ঠা - ৮৭৮২
তারপর গাধার পিঠে উঠায়ে তার মায়ের কাছে পাঠান। তার মা তাকে দাফন করেন।

[ মুস্তাইনের হত্যার ঘটনা ]
এ বছরের শাওয়াল মাসের কথা। মু’তায্য তার প্রতিনিধি মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে তাহের চিঠি লিখল। তাকে নির্দেশ দিল সৈন্য বাহিনী প্রস্তুত করে মুস্তাইনের সাথে মুকাবেলা করার জন্য পাঠাতে। সুতরাং তিনি আহমাদ ইবনে তুলুন তুর্কী কে খুব ভালোভাবে প্রস্তুত করলেন। ২৪ শে রমাযান মুস্তাইনের সাথে মুকাবেলা করার জন্য আহমাদ ইবনে তুলুন কে পাঠাল। কতুল মুস্তাইন কে গ্রেফতার করে আহমাদ ইবনে তুলুনের কাছে নিয়ে আসেন। অতঃপর তাকে হত্যা করা হয়।
কেউ কেউ বলেন তাকে পিটাতে পিটাতে মেরে ফেলেছে।
আর কেউ বলেন দাজলা নদীতে ডুবিয়ে মারা হয়েছে।
কেউ বলেন তার গর্দান কেটে হত্যা করা হয়েছে।

ইবনে জারির বলেন, মুস্তাইন কে যখন হত্যা করা হয় তখন তিনি সাঈদ ইবনে সালেহ তুর্কীর কাছে দুই রাকাত নামায পড়ার সুযোগ চান। তখন তাকে নামায পড়ার সুযোগ দেওয়া হল। যখন তিনি তার নামাযের শেষ সেজদায় ছিল তখন তাকে সেজদারত অবস্থায়-ই হত্যা করা হয়। এবং তাকে তার নামাযের স্থানে দাফন করা হয়। কিন্তু দাফনের কোন চি‎হ্ন বাকি রাখল না। তারপর তার মাথা নিয়ে খলিফা মু’তাযযের কাছে নিয়ে গেল। যখন তারা মু’তাযযের কাছে পৌছল তখন তিনি শতরঞ্জ (দাবা) খেলছিল। তাকে বলা হল, এই মুস্তাইনের মাথা।
كَفَنُهُ، فَأُرْسِلَ بِهِ إِلَى أُمِّهِ فَدَفَنَتْهُ. [ذِكْرُ مَقْتَلِ الْمُسْتَعِينِ] فِي شَوَّالٍ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ كَتَبَ الْمُعْتَزُّ إِلَى نَائِبِهِ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ طَاهِرٍ يَأْمُرُهُ بِتَجْهِيزِ جَيْشٍ نَحْوَ الْمُسْتَعِينِ، فَجَهَّزَ أَحْمَدَ بْنَ طُولُونَ التُّرْكِيَّ فَوَافَاهُ، فَأَخْرَجَهُ لِسِتٍّ بَقِينَ مِنْ رَمَضَانَ فَقَدِمَ بِهِ الْقَاطُولَ لِثَلَاثٍ مَضَيْنَ مِنْ شَوَّالٍ ثُمَّ قُتِلَ ; فَقِيلَ: ضُرِبَ حَتَّى مَاتَ، وَقِيلَ: بَلْ غُرِّقَ فِي دُجَيْلٍ وَقِيلَ: بَلْ ضُرِبَتْ عُنُقُهُ. وَقَدْ ذَكَرَ ابْنُ جَرِيرٍ أَنَّ الْمُسْتَعِينَ سَأَلَ مِنْ سَعِيدِ بْنِ صَالِحٍ التُّرْكِيِّ حِينَ أَرَادَ قَتْلَهُ أَنْ يُمْهِلَهُ حَتَّى يُصَلِّيَ رَكْعَتَيْنِ، فَأَمْهَلَهُ، فَلَمَّا كَانَ فِي السَّجْدَةِ الْأَخِيرَةِ قَتَلَهُ وَهُوَ سَاجِدٌ، وَدَفَنَ جُثَّتَهُ فِي مَكَانِ صِلَاتِهِ، وَعَفَّا أَثَرَهُ، وَحَمَلَ رَأْسَهُ إِلَى الْمُعْتَزِّ فَدَخَلَ بِهِ عَلَيْهِ وَهُوَ يَلْعَبُ بِالشِّطْرَنْجِ، فَقِيلَ: هَذَا رَأْسُ الْمَخْلُوعِ. فَقَالَ:
পৃষ্ঠা - ৮৭৮৩

তিনি উত্তরে বললেন : রেখে দাও, আমার খেলা শেষ করি। অতপর যখন খেলা শেষ হল তখন তাকিয়ে দেখলেন। অতঃপর দাফন করতে নির্দেশ দিলেন। মুস্তাইন কে হত্যাকারী সাঈদ ইবনে সালেহ কে পঞ্চশ হাজার দেরহাম পুরষ্কার দিলেন এবং বসরার বিচারকের পদে নিয়োগ দিলেন।

[ এ বছরে বিশেষ ব্যক্তিবর্গ যারা মৃত্যু বরণ করেন ]
নি¤েœর ব্যক্তিগণ এ বছর মৃত্যু বরণ করেন :
ইসমাইল ইবনে ইউসুফ আলাবী। যিনি মক্কায় অসাভাবিক যুলুম নির্যাতন করেছে। যিনি হেরেম শরীফে অনৈসলামিক ও অনৈতিক অনেক কাজ কর্ম করেছে। যে আলোচনা ইতিপূর্বে চলে গেছে। আল্লাহ তায়ালা এই যালেম কে হঠাৎ ধংশ করে দেছেন। কোন রকম সুযোগ দেন নাই।
আহমাদ ইবনে মুহাম্মাদ আল-মু’তাসিম। যার ডাক নাম মুস্তাইন বিল্লাহ। যার আলোচনা করা হয়েছে।
ইসহাক ইবনে বুহলুল।
যিয়াদ ইবনে আইয়্যুব।
মুহাম্মাদ ইবনে বাশ্শার।
বুনদার।
মুহাম্মাদ ইবনে মুছান্না আঝ-ঝামিন।
ইয়াকুব ইবনে ইবরাহীম আদ-দাওরাকী।
ضَعُوهُ حَتَّى أَفْرُغَ مِنَ الدَّسْتِ. فَلَمَّا فَرَغَ نَظَرَ إِلَيْهِ، وَأَمَرَ بِدَفْنِهِ، ثُمَّ أَطْلَقَ لِسَعِيدِ بْنِ صَالِحٍ الَّذِي قَتَلَهُ خَمْسِينَ أَلْفَ دِرْهَمٍ، وَوَلَّاهُ مَعُونَةَ الْبَصْرَةِ. [مَنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ] وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ مَاتَ: إِسْمَاعِيلُ بْنُ يُوسُفَ الْعَلَوِيُّ الَّذِي فَعَلَ بِمَكَّةَ مَا فَعَلَ، وَأَلْحَدَ فِي الْحَرَمِ مَا أَلْحَدَ - كَمَا تَقَدَّمَ - فَأَهْلَكَهُ اللَّهُ فِي هَذِهِ السَّنَةِ عَاجِلًا وَلَمْ يُنْظِرْهُ. وَأَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْمُعْتَصِمِ، وَهُوَ الْمُسْتَعِينُ بِاللَّهِ كَمَا تَقَدَّمَ. وَإِسْحَاقُ بْنُ بُهْلُولٍ، وَزِيَادُ بْنُ أَيُّوبَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، بُنْدَارٌ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى الزَّمِنُ، وَيَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدَّوْرَقِيُّ.