سنة خمسين ومائتين من الهجرة
পৃষ্ঠা - ৮৭৬৫
[ হিজরি ২৫০ সাল ]
[ এ বছরের ঘটনাবলী ]
এ বছর আবুল হুসাইন ইয়াহইয়া ইবনে ওমার ইবনে ইয়াহইয়া ইবনে হুসাইন ইবনে যায়েদ ইবনে আলী ইবনে হুসাইন ইবনে আলী ইবনে আবু তালেব কুফা নগরীতে আত্মপ্রকাশ করেন। উনার মাতা ছিলেন উম্মুল হুসাইন ফাতিমা বিনতে হুসাইন ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে ইসমাইল ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে জা’ফর ইবনে আবু তালেব।
তার আত্মপ্রাকাশের কারন এই যে, তিনি এক সময় কঠিন অভাবে পড়েন। সামারায় গিয়ে ওছীফের কাছে ভাতা চান। কিন্তু তার সাথে রূঢ় কথা বলে ফিরিয়ে দেয়া হয়। এর পর তিনি কুফায় যান। গ্রাম্য লোক এবং কুফা শহরের অধিবাসিদের একদল উনার কাছে জমা হয়। এ সময় ফাল্লুজাতে তিনি অবস্থান করেন। লোক জমা হবার খবর শুনে ইরাকে খলিফার প্রতিনিধি মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে তাহের কুফার গভর্ণর আইয়ুব ইবনে হাসান ইবনে মুসা ইবনে জা’ফর ইবনে সুলাইমান এর কাছে পত্র লিখে নির্দেশ দেন ইয়াহইয়া ইবনে ওমারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে। এর আগেই ইয়াহইয়া ইবনে ওমার, কিছু সঙ্গি নিয়ে কুফা শহরে পৌছে বাইতুল মাল দখল করে নেন। কিন্তু দুই হাজার দিনার আর সত্তর হাজার দিরহাম ছাড়া আর কিছু ছিল না। এভাবে কুফায় তার রাজত্ব চালু হয়।
[سَنَةُ خَمْسِينَ وَمِائَتَيْنِ مِنَ الْهِجْرَةِ]
[الْأَحْدَاثُ الَّتِي وَقَعَتْ فِيهَا]
فِيهَا كَانَ ظُهُورُ أَبِي الْحُسَيْنِ يَحْيَى بْنُ عُمَرَ بْنِ يَحْيَى بْنِ حُسَيْنِ بْنِ زَيْدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ بِالْكُوفَةِ، وَأُمُّهُ أُمُّ الْحُسَيْنِ فَاطِمَةُ بِنْتُ الْحُسَيْنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ إِسْمَاعِيلَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرِ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، وَذَلِكَ أَنَّهُ أَصَابَتْهُ فَاقَةٌ شَدِيدَةٌ فَدَخَلَ سَامَرَّا، فَسَأَلَ وَصِيفًا أَنْ يُجْرِيَ عَلَيْهِ رِزْقًا، فَأَغْلَظَ لَهُ الْقَوْلَ، فَرَجَعَ إِلَى أَرْضِ الْكُوفَةِ فَاجْتَمَعَ عَلَيْهِ خَلْقٌ مِنَ الْأَعْرَابِ، وَخَرَجَ إِلَيْهِ خَلْقٌ مِنْ أَهْلِ الْكُوفَةِ فَنَزَلَ عَلَى الْفَلُّوجَةِ، وَقَدْ كَثُرَ الْجَمْعُ مَعَهُ، فَكَتَبَ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ طَاهِرٍ نَائِبُ الْعِرَاقِ إِلَى عَامِلِ الْكُوفَةِ وَهُوَ أَيُّوبُ بْنُ الْحَسَنِ بْنِ مُوسَى بْنِ جَعْفَرِ بْنِ سُلَيْمَانَ يَأْمُرُهُ بِمُقَاتَلَتِهِ. وَدَخَلَ يَحْيَى بْنُ عُمَرَ قَبْلَ ذَلِكَ فِي طَائِفَةٍ مِنْ أَصْحَابِهِ إِلَى الْكُوفَةِ فَاحْتَوَى عَلَى بَيْتِ مَالِهَا فَلَمْ يَجِدْ فِيهِ سِوَى أَلْفَيْ دِينَارٍ وَسَبْعِينَ أَلْفَ دِرْهَمٍ، وَظَهَرَ أَمْرُهُ بِالْكُوفَةِ، وَفَتَحَ
পৃষ্ঠা - ৮৭৬৬
সেখানে দুটি জেলখানা দখল করে উনি বন্ধিদেরকে মুক্ত করে দেন। খলিফার প্রতিনিধিদের বের করে দেন। তাদের সমস্ত মাল বাজেয়াপ্ত করে নেন। নিজের নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠিত করেন। উনার শাষন মজবুত হয় এবং
জাইদিয়া ও অন্যান্য ফেরকার লোকেরা উনার সাথে যোগ দেয়।
এর পর কুফা থেকে বের হয়ে উনি গ্রামের দিকে চলে যান এবং আবার কুফায় ফিরে আসেন। পথে আবদুর রহমান ইবনে খত্তাব, যাকে ওজহুল ফুলুস, অর্থাৎ পয়সা অভিমুখি ডাকা হতো, তার মুখমুখি হন। দু'দলে কঠিন যুদ্ধ হয় এবং ওজহুল ফুলুস পারাজিত হয়।
ইয়াহইয়া ইবনে ওমার অতঃপর কুফায় প্রবেশ করেন। মুহাম্মাদ ﷺ এর বংশের প্রতি যারা আশেক ছিলেন তাদেরকে নিজের পক্ষে ডাকেন। উনার ক্ষমতা আরো বেড়ে যায়। কুফা শহরের এক বড় জামাত ও অন্যান্যরা উনার সাথে মিলিত হয়। বাগদাদের জনসাধরণ ও শিয়ারা প্রধান হাকেম হিসেবে উনাকে মেনে নেয়। পুরানো আহলে বাইতদের থেকেও উনাকে বেশি মহাব্বত করতে থাকে। যুদ্ধের জন্য তিনি অস্ত্র ও সরঞ্জাম জমা করতে থাকেন, এবং আরো মানুষদেরকে নিজ পক্ষে আনতে থাকেন।
এসময়ে কুফার সাবেক গভর্নর হুসাইন ইবনে ইসমাইল কুফা থেকে বের হয়ে অন্যত্র চলে যান। খলিফ এবং মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে তাহের, এই দুজনের পক্ষ থেকে উনার কাছে অনেক সাহায্য সহযোগিতা পৌছতে থাকে। শক্তি সঞ্চয় করে উনি নিজের একটা সৈন্যবাহিনী গঠন করেন।
রজবের ১২ তারিখ, অনভিজ্ঞ কেউ ইয়াহইয়া ইবনে ওমারকে পরামর্শ দেন হুসাইন ইবনে ইসমাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যেতে। এবং উনার সেনাবাহিনীর উপর আতর্কিত হামল করতে। ফলে তিনি একদল ঘোড় সওয়ারী ও কুফার সাধারন জনসাধারন দ্বারা তৈরি বিশাল এক পদাতিক বাহিনী নিয়ে অস্ত্র সজ্জা ছাড়াই রওয়ানা দেন। ওখানে পৌছে যুদ্ধ শুরু করেন। শেষ রাতে ভীষণ যুদ্ধ হয়।
সকালের আগেই ইয়াহইয়া ইবনে ওমারের দলের অবস্থা শোচনীয় হয়ে যায়। ঘোড়া দিয়ে তারা পিস্ট হয়। ইয়াহইয়া ইবনে ওমার ঘোড়া থেকে পড়ে যান, এবং পিঠে তীর বিদ্ধ হন।
السِّجْنَيْنِ، وَأَطْلَقَ مَنْ فِيهِمَا، وَأَخْرَجَ نُوَّابَ الْخَلِيفَةِ مِنْهَا، وَأَخَذَ أَمْوَالَهُمْ وَاسْتَحْوَذَ عَلَيْهَا، وَاسْتَحْكَمَ أَمْرُهُ بِهَا، وَالْتَفَّ عَلَيْهِ خَلْقٌ مِنَ الزَّيْدِيَّةِ وَغَيْرِهِمْ ثُمَّ خَرَجَ مِنَ الْكُوفَةِ إِلَى سَوَادِهَا، ثُمَّ كَرَّ رَاجِعًا إِلَيْهَا، فَتَلَقَّاهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْخَطَّابِ الْمُلَقَّبُ وَجْهَ الْفُلْسِ، فَقَاتَلَهُ قِتَالًا شَدِيدًا فَانْهَزَمَ وَجْهُ الْفُلْسِ، وَدَخَلَ يَحْيَى بْنُ عُمَرَ الْكُوفَةَ وَدَعَا إِلَى الرِّضَا مِنْ آلِ مُحَمَّدٍ، وَقَوِيَ أَمْرُهُ جَدًّا، وَصَارَ إِلَيْهِ جَمَاعَةٌ مِنَ النَّاسِ مِنْ أَهْلِ الْكُوفَةِ وَغَيْرِهَا، وَتَوَلَّاهُ أَهْلُ بَغْدَادَ مِنَ الْعَامَّةِ، وَغَيْرِهِمْ مِمَّنْ يُنْسَبُ إِلَى التَّشَيُّعِ، وَأَحَبُّوهُ أَكْثَرَ مِمَّا كَانُوا يُحِبُّونَ أَحَدًا مِنَ الْخَارِجِينَ مِنْ أَهْلِ الْبَيْتِ، وَشَرَعَ فِي تَحْصِيلِ السِّلَاحِ، وَإِعْدَادِ آلَاتِ الْحَرْبِ، وَجَمْعِ الرِّجَالِ، وَقَدْ خَرَجَ نَائِبُ الْكُوفَةِ مِنْهَا وَهُوَ الْحُسَيْنُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ إِلَى ظَاهِرِهَا، وَاجْتَمَعَ إِلَيْهِ أَمْدَادٌ كَثِيرَةٌ مِنْ جِهَةِ الْخَلِيفَةِ وَمُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ طَاهِرٍ وَاسْتَرَاحُوا وَجَمَّتْ خُيُولُهُمْ، فَلَمَّا كَانَ الْيَوْمُ الثَّالِثَ عَشَرَ مِنْ رَجَبٍ أَشَارَ مَنْ أَشَارَ عَلَى يَحْيَى بْنِ عُمَرَ مِمَّنْ لَا رَأْيَ لَهُ أَنْ يَرْكَبَ فَيُنَاجِزَ الْحُسَيْنَ بْنَ إِسْمَاعِيلَ، وَيَكْبِسَ جَيْشَهُ، فَرَكِبَ فِي جَيْشٍ كَثِيرٍ فِيهِ خَلْقٌ مِنَ الْفُرْسَانِ وَالْمُشَاةِ أَيْضًا مِنْ عَامَّةِ أَهْلِ الْكُوفَةِ بِغَيْرِ أَسْلِحَةٍ، فَسَارُوا فَلَمَّا انْتَهَوْا إِلَيْهِ نَهَضُوا إِلَيْهِمْ فَاقْتَتَلُوا قِتَالًا شَدِيدًا فِي ظُلْمَةِ آخِرِ اللَّيْلِ فَمَا طَلَعَ الْفَجْرُ إِلَّا وَقَدِ انْكَشَفَ أَصْحَابُ يَحْيَى بْنِ عُمَرَ وَدَاسَتْهُمُ الْخُيُولُ، وَوَجَدُوا يَحْيَى بْنَ عُمَرَ قَدْ تَقَنْطَرَ بِهِ فَرَسُهُ وَطُعِنَ
পৃষ্ঠা - ৮৭৬৭
উনার শরীর থেকে মাথা পৃথক করে, আমিরের সামনে পেশ করে। তিনি সেটা মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে তাহেরের কাছে পাঠান। তিনি পরের দিন একজনের মাধ্যমে সেটা খলিফার কাছে পাঠান, যার নাম ছিলো ওমর ইবনে খত্তাব, উনি আব্দুর রহমান ইবনে খত্তাবের ভাই। খলিফা মাথাটা দিনের বেলা ঘন্টাখানেক সামারায় ঝুলিয়ে রাখেন। পরে সেটা বাগদাদে পাঠিয়ে দেন।সেতুর পাশে ঝুলিয়ে রাখার জন্য। তবে মানুষের ভিড়ের কারনে সেটা সম্ভব হয় নি। তাই অস্ত্র গুদামে রেখে দেয়া হয়।
ইয়াহইয়া ইবনে ওমরের মস্তক মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে তাহের কাছে আনার পর মানুষ বিজয়ের জন্য উনাকে অভিনন্দন জানাতে থাকে। আবূ হাশেম দাউদ ইবনে হায়ছাম জা’ফরী উনার কাছে এসে বলেন, হে আমীর! আপনাকে এমন একজন ব্যক্তির হত্যার কারনে অভিবাদন জানানো হচ্ছে, আজ যদি রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জীবিত থাকতেন তাবে যার মৃত্যুর কারনে উনি শোক প্রকাশ করতেন। একথার তিনি কোনো উত্তর দেন নি।
এরপর আবূ হাশেম জা’ফরী এই কবিতা বলতে বলতে বের হয়ে যান -
يَا بَنِي طَاهِرٍ كُلُوُهُ وَبِيَّا ۞ إِنَّ لَحْمَ النَّبِيِّ غُيْرُ مَرِيِّ
إِنَّ وَتْرًا يَكُونُ طَالِبُهُ اللَّهُ ۞ لَوَتْرٌ نَجَاحُهُ بِالْحَرِيِّ
অর্থ : হে ইবনে তাহের অতৃপ্তির সাথে খাও ۞ নিশ্চয় নবীর গোশত সুস্বাদু নয়।
তিনি এমন এক ব্যক্তি যাকে আল্লাহ তায়ালা চায় ۞ এমন এক ব্যক্তি যার সফলতা যথাযথ।
খলিফা মুস্তাইন প্রথমে আমীরকে কুফার প্রতিনিধি হুসাইন ইবনে ইসমাইলের কাছে পাঠান। যখন ইয়াহইয়া ইবনে ওমর কে হত্যা করা হয় তখন তারা কুফায় প্রবেশ করেন। আমীর চাচ্ছিলেন কুফবাসীকে হত্যা করে শেষ করে দিতে। কিন্তু হুসাইন ইবনে ইসমাইল নিষেধ করেন এবং সকলকে সাধারণ ক্ষমার ঘোষনা দেন। এভাবেই আল্লাহ তায়ালা এই ফেতনাকে নির্মূল করে দেন।
فِي ظَهْرِهِ فَحَزُّوا رَأَسَهُ، وَحَمَلُوهُ إِلَى الْأَمِيرِ فَبَعَثَهُ إِلَى مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ طَاهِرٍ فَأَرْسَلَهُ إِلَى الْخَلِيفَةِ مِنَ الْغَدِ مَعَ رَجُلٍ يُقَالُ لَهُ: عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ أَخُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْخَطَّابِ فَنُصِبَ بِسَامَرَّا سَاعَةً مِنَ النَّهَارِ، ثُمَّ بَعَثَهُ إِلَى بَغْدَادَ ; لِيُنْصَبَ عِنْدَ الْجِسْرِ، فَلَمْ يُمْكِنْ ذَلِكَ مِنْ كَثْرَةِ الْعَامَّةِ، فَجُعِلَ فِي خَزَائِنِ السِّلَاحِ. وَلَمَّا جِيءَ بِرَأْسِ يَحْيَى بْنِ عُمَرَ إِلَى مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ طَاهِرٍ دَخَلَ النَّاسُ يُهَنُّونَهُ بِالْفَتْحِ وَالظَّفَرِ، فَدَخَلَ عَلَيْهِ أَبُو هَاشِمٍ دَاوُدُ بْنُ الْهَيْثَمِ الْجَعْفَرِيُّ فَقَالَ لَهُ: أَيُّهَا الْأَمِيرُ، إِنَّكَ لَتُهَنَّى بِقَتْلِ رَجُلٍ لَوْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَيًّا لَعُزِّيَ بِهِ. فَمَا رَدَّ عَلَيْهِ شَيْئًا، ثُمَّ خَرَجَ أَبُو هَاشِمٍ الْجَعْفَرِيُّ وَهُوَ يَقُولُ:
يَا بَنِي طَاهِرٍ كُلُوُهُ وَبِيَّا ... إِنَّ لَحْمَ النَّبِيِّ غُيْرُ مَرِيِّ
إِنَّ وَتْرًا يَكُونُ طَالِبُهُ اللَّهُ ... لَوَتْرٌ نَجَاحُهُ بِالْحَرِيِّ
وَكَانَ الْخَلِيفَةُ الْمُسْتَعِينُ قَدْ وَجَّهَ أَمِيرًا إِلَى الْحُسَيْنِ بْنِ إِسْمَاعِيلَ نَائِبِ الْكُوفَةِ فَلَمَّا قُتِلَ يَحْيَى بْنُ عُمَرَ دَخَلُوا الْكُوفَةَ فَأَرَادَ ذَلِكَ الْأَمِيرُ أَنْ يَضَعَ فِي أَهْلِهَا السَّيْفَ، فَمَنَعَهُ الْحُسَيْنُ، وَأَمَّنَ الْأَسْوَدَ وَالْأَبْيَضَ، وَأَطْفَأَ اللَّهُ هَذِهِ الْفِتْنَةَ.
ثُمَّ خَرَجَ آخَرُ مِنْ أَهْلِ الْبَيْتِ أَيْضًا
فَلَمَّا كَانَ رَمَضَانُ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ خَرَجَ الْحَسَنُ بْنُ زَيْدِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْمَاعِيلَ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৮৭৬৮
এর পর আহলে বাইতের আরেক জনের অবির্ভব হয়।
এই বছরের রমযান মাসে হাসান ইবনে যায়েদ বিন মুহাম্মদ বিন ইসমাইল বিন হাসান বিন যাইদ বিন হাসান বিন আলী বিন আবু তালেব তবারিস্তানের এক এলাকায় যান। যাওয়ার কারণ হল, যখন ইয়াহইয়া ইবনে ওমর কে হত্যা করা হল তখন খলিফা মুস্তাইন মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে তাহের ঐ এলাকার কিছু জমি তার নামে দিয়েছিলেন। ঐ জমি উনার কাছে হাওলা করার জন্য জাবের ইবনে হারুন নামে একজন রেজিষ্টার কে পাঠালেন। সে খ্রীষ্টান ছিল।
রেজিস্ট্রার ঐ এলাকায় পৌছালে এলাকবাসী তার এই সিন্ধান্ত শুনে খুব অসন্তুষ্ট হয়। তারা এই হাসান ইবনে যায়েদের কাছে খবর পাঠায়। তিনি ঐ এলাকায় আসেন এবং তাদের বায়াত গ্রহন করেন। দায়লাম শহরের সমস্ত লোক, এবং ঐ অঞ্চলের অনেক আমীর উনার আনুগত্য গ্রহন করেন।
হাসান ইবনে যায়েদ তবারিস্তানের আমুল নামক এলাকায় গিয়ে এলাকাটা দখল করে লোকদের থেকে খেরাজ আদায় আরম্ভ করেন এবং সেখানে তার কতৃত্ব দৃঢ় হয়ে যায়।
এর পর ঐ এলাকার আমীর সুলাইমান ইবনে আব্দুল্লাহর সাথে যুদ্ধ করার জন্য বের হন। মুখমুখি হলে তাদের মাঝে যুদ্ধ আরম্ভ হয়। সুলাইমান সোচনীয় ভাবে পরাজিত হন। জান বাচানোর জন্য উনি পরিবারবর্গ ও মাল সম্পদ রেখে পালান। জুরজানে আর ফিরে যান নি।
তারপর হাসান ইবনে যায়েদ সারিয়া নামক শহরে প্রবেশ করেন এবং সেখানকার সব মাল সম্পদ হস্তগত করেন। সুলাইমানের পরিবারের লোকদেরকে সওয়ারীতে উঠাইয়া সম্মানের সাথে উনার কাছে পৌছে দেন। তবারিস্তানের নেতৃত্ব সম্পূর্ণভাবে হাসান ইবনে যায়েদের অধীনে চলে আসে।
এরপর উনি রায় নামক এলাকায় লোক পাঠায়ে দখল করলেন এবং সেখান থেকে তাহেরিয়্যাহ সম্প্রদায়ের লোকদের বের করে দেন। এরপরে হামাযান শহরের দিকে মনোযোগ দেন।
এ খবর খলিফা মুস্তাইনের কাছে পৌছলে উনি ব্যথিত হন। উনার রাষ্ট পরিচালক ওছীফ তুর্কী, হুসাইন ইবনে যায়েদ কে হত্যা জন্য যথাসাধ্য উদ্যোগ নিয়ে একটা সেন্যবাহিনী পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।
الْحَسَنِ بْنِ زَيْدِ بْنِ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ بِنَاحِيَةِ طَبَرِسْتَانَ وَكَانَ سَبَبَ ذَلِكَ أَنَّهُ لَمَّا قُتِلَ يَحْيَى بْنُ عُمَرَ أَقْطَعَ الْمُسْتَعِينُ لِمُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ طَاهِرٍ طَائِفَةً مِنْ أَرْضِ تِلْكَ النَّاحِيَةِ، فَبَعَثَ كَاتِبًا لَهُ يُقَالُ لَهُ: جَابِرُ بْنُ هَارُونَ وَكَانَ نَصْرَانِيًّا ; لِيَتَسَلَّمَ تِلْكَ الْأَرَاضِيَ، فَلَمَّا انْتَهَى إِلَيْهِمْ كَرِهُوا ذَلِكَ جِدًّا، وَرَاسَلُوا الْحَسَنَ بْنَ زَيْدٍ هَذَا، فَجَاءَ إِلَيْهِمْ فَبَايَعُوهُ، وَالْتَفَّ عَلَيْهِ جُمْلَةُ الدَّيْلَمِ، وَجَمَاعَةُ الْأُمَرَاءِ فِي تِلْكَ النَّوَاحِي، فَرَكِبَ فِيهِمْ وَدَخَلَ آمُلَ طَبَرِسْتَانَ وَأَخَذَهَا قَهْرًا، وَجَبَى خَرَاجَهَا، وَاسْتَفْحَلَ أَمْرُهُ جِدًّا، ثُمَّ خَرَجَ مِنْهَا طَالِبًا لِقِتَالِ سُلَيْمَانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ أَمِيرِ تِلْكَ النَّوَاحِي فَالْتَقَيَا هُنَالِكَ، وَكَانَتْ بَيْنَهُمَا حُرُوبٌ ثُمَّ انْهَزَمَ سُلَيْمَانُ هَزِيمَةً مُنْكَرَةٌ، وَتَرَكَ أَهْلَهُ وَمَالَهُ وَلَمْ يَرْجِعْ دُونَ جُرْجَانَ فَدَخَلَ الْحَسَنُ بْنُ زَيْدٍ سَارِيَةَ، فَاسْتَحْوَذَ عَلَى مَا بِهَا مِنَ الْأَمْوَالِ وَالْحَوَاصِلِ، وَسَيَّرَ أَهْلَ سُلَيْمَانَ إِلَيْهِ عَلَى مَرَاكِبَ مُكْرَمِينَ، وَاجْتَمَعَ لِلْحَسَنِ بْنِ زَيْدٍ إِمْرَةُ طَبَرِسْتَانَ بِكَمَالِهَا، ثُمَّ بَعَثَ إِلَى الرَّيِّ فَأَخَذَهَا أَيْضًا، وَأَخْرَجَ مِنْهَا الطَّاهِرِيَّةَ، وَصَارَ لَهُ إِلَى حَدِّ هَمَذَانَ وَلَمَّا بَلَغَ خَبَرُهُ الْمُسْتَعِينَ وَكَانَ مُدَبِّرَ مَلِكِهِ يَوْمَئِذٍ وَصِيفٌ التُّرْكِيُّ اغْتَمَّ لِذَلِكَ جِدًّا، وَاجْتَهَدَ فِي بَعْثِ الْجُيُوشِ وَالْأَمْدَادِ لِقِتَالِ الْحَسَنِ
পৃষ্ঠা - ৮৭৬৯
এই বছর আরাফার দিনে ‘রায়’ নামক শহরে আহমাদ ইবনে ঈসা ইবনে হুসাইন আস ছগির ইবনে আলী ইবনে হুসাইন ইবনে আলী এবং ইদরিস ইবনে মূসা ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে মূসা ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে হাসান ইবনে হাসান ইবনে আলী ইবনে আবূ তালেব দ্বয়ের আত্মপ্রকাশ করেন। আর এখানে আহমাদ ইবনে ঈসা মানুষদের নিয়ে ঈদুল আযহার নামায পড়ালেন। মুহাম্মাদের বংশের প্রতি যারা আশেক ছিল তাদেরকে দাওয়াত দেন। মুহাম্মাদ ইবনে আলী ইবনে তাহেরের এটা অপছন্দ হলে তিনি আহমাদ ইবনে ঈসার সাথে যুদ্ধ করেন। অবশেষে আহমাদ ইবনে ঈসা তাকে পরাজিত করেন। ফলে তার নাম অনেক প্রসিদ্ধ হল।
এবছরে হিমস এলাকার অধিবাসীগন তাদের গভর্ণর মাঝায়ার ইবনে কারানের ভাই ফয্ল ইবনে কারানের উপর হামলা করল। তাকে রজব মাসে হত্যা করে ফেলে। তখন খলিফা মুস্তাইন মূসা ইবনে বুগা আল কাবীর কে ঐ লোকদের কাছে পাঠান তিনি রস্তিন নামক এলাকায় তাদের সাথে লড়াই করে তাদের কে পরাজিত করেন এবং ঐ এলাকার অনেক লোক হত্যা করেন। আর অনেক বাড়ি ঘর জ¦ালিয়ে দেন। সম্ভ্রান্ত লোকদের কে বন্ধি করেন।
ঐ যামানায় ফারেস রাষ্টে শাকেরিয়্যাহ সম্প্রদায় ও ঐখানের সৈন্যরা আব্দুল্লাহ ইবনে ইসহাকের উপর হামলা করল। তখন সে তাদের থেকে পালিয়ে যান। তখন তারা তার বাড়ি লুট করল। আর তারা মুহাম্মাদ ইবনে হাসান ইবনে কারান কে হত্যা করল। ঐ সময় খলিফা জা’ফর ইবনে আব্দুল ওহেদের উপর রাগান্নিত হয়ে তাকে বাছরাতে দেশান্তর করে দেন।
ঐ যামানায় উমাবী সম্প্রদায়ের অনেক লোককে দারুল খেলাফাতের দায়িত্ব থেকে বরখাস্ত করা হয়।
এই বছর মক্কার আমীর জা’ফর ইবনে ফযল হজ্জ পরিচালনা করেন। আল্লাহ তাকে সম্মানিত করুক।
بْنِ زَيْدٍ هَذَا.
وَفِي يَوْمِ عَرَفَةَ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ ظَهَرَ بِالرَّيِّ أَحْمَدُ بْنُ عِيسَى بْنِ حُسَيْنٍ الصَّغِيرِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، وَإِدْرِيسُ بْنُ مُوسَى بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُوسَى بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَسَنِ بْنِ حَسَنِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، فَصَلَّى بِالنَّاسِ يَوْمَ الْعِيدِ أَحْمَدُ بْنُ عِيسَى هَذَا، وَدَعَا إِلَى الرِّضَا مَنْ آلِ مُحَمَّدٍ، فَحَارَبَهُ مُحَمَّدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ طَاهِرٍ، فَهَزَمَهُ أَحْمَدُ بْنُ عِيسَى، وَاسْتَفْحَلَ أَمْرُهُ.
وَفِيهَا وَثَبَ أَهْلُ حِمْصَ عَلَى عَامِلِهِمُ الْفَضْلِ بْنِ قَارَنَ أَخِي الْمَازَيَارِ بْنِ قَارَنَ فَقَتَلُوهُ فِي رَجَبٍ، فَوَجَّهَ الْمُسْتَعِينُ إِلَيْهِمْ مُوسَى بْنَ بُغَا الْكَبِيرِ، فَاقْتَتَلُوا بِأَرْضِ الرَّسْتَنِ فَهَزَمَهُمْ وَقَتَلَ جَمَاعَةً مِنْ أَهْلِهَا، وَأَحْرَقَ أَمَاكِنَ كَثِيرَةً مِنْهَا، وَأَسَرَ أَشْرَافَ أَهْلِهَا.
وَفِيهَا وَثَبَتِ الشَّاكِرِيَّةُ وَالْجُنْدُ فِي أَرْضِ فَارِسَ عَلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ إِسْحَاقَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ فَهَرَبَ مِنْهُمْ فَانْتَهَبُوا دَارَهُ، وَقَتَلُوا مُحَمَّدَ بْنَ الْحَسَنِ بْنِ قَارَنَ، وَفِيهَا غَضِبَ الْخَلِيفَةُ عَلَى جَعْفَرِ بْنِ عَبْدِ الْوَاحِدِ، وَنَفَاهُ إِلَى الْبَصْرَةِ.
وَفِيهَا أُسْقِطَتْ مَرْتَبَةُ جَمَاعَةٍ مِنَ الْأُمَوِيِّينَ فِي دَارِ الْخِلَافَةِ.
وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِيهَا جَعْفَرُ بْنُ الْفَضْلِ أَمِيرُ مَكَّةَ شَرَّفَهَا اللَّهُ.
[مَنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ]
وَمِمَّنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ:
পৃষ্ঠা - ৮৭৭০
[ এ বছরে যারা মৃত্যু বরণ করেন ]
বিশেষ ব্যক্তিবর্গ যারা এ বছরে মৃত্যু বরণ করেন:
আবূ তাহের আহমাদ ইবনে আমর ইবনে সারাহ।
আল-বাজজি, যিনি একজন প্রশিদ্ধ ক্বারী ছিলেন।
হারেস বিন মিসকীন।
আবূ হাতেম সিজিসতানী, তিনি ভাষার একজন অনেক বড় পন্ডিত ছিলেন।
আববাদ বিন ইয়াকুব।
আমর বিন বাহার আল-জাহেয। তিনি দক্ষ লেখক ও ধর্মতাত্বিক ছিলেন।
কাসির বিন ওবাইদ আল-হিমসী
নসর বিন আলী আল-জাহযামী
أَبُو الطَّاهِرِ أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ السَّرْحِ.
وَالْبَزِّيُّ أَحَدُ الْقُرَّاءِ الْمَشَاهِيرِ.
وَالْحَارِثُ بْنُ مِسْكِينٍ.
وَأَبُو حَاتِمٍ السِّجِسْتَانِيُّ أَحَدُ أَئِمَّةِ اللُّغَةِ.
وَعَبَّادُ بْنُ يَعْقُوبَ الرَّوَاجِنِيُّ.
وَعَمْرُو بْنُ بَحْرٍ الْجَاحِظُ.
صَاحِبُ الْكَلَامِ وَالْمُصَنَّفَاتِ.
وَكَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ الْحِمْصِيُّ.
وَنَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ.