আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ست وأربعين ومائتين

ما وقعت فيها من أحداث

من توفي فيها من الأعيان

পৃষ্ঠা - ৮৭৩৬

আহমদ ইবন ইসহ৷ ক আ র রাওয়ানদী ৷৩ তিনি বিখ্যাত আ ৷লিম ছিলেন ৷ ইলমুল৷ ক ৷লাম বিষয়ে৩ শ
বক্তব্য রয়েছে ৷ তিনি তৎক৷ লের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের একজন ৩ছিলেন ৷৩ তার রচিত গ্রন্থের সৎখক্ট্রা
কিতাবুঘৃ যামরাদাহ ও কিতাবুল কাসাব ইত্যাদি ৷ তার অনেক গুণ আছে এবং ইলমুল৷ ক ৷লাম এর
একদল আ ৷লিমের সঙ্গে তার কথোপকথন হয়েছিল ৷ মাযহাব বিষয়ে তার স্বতন্ত্র চিন্তাধারা রয়েছে,
যা ইলুমে ক ৷লাম এর আলিমগণ তার থেকে উদ্ধৃত করেছেন ৷

তিনি দৃইশ পয়তা ৷ল্লিশ হিজরীতে মালিক ইবন তাউফ আত তাগলিবীর প্রাঙ্গণে মৃত্যুমুখে
পতিত হন ৷ কেউ কেউ বলেন বাগদাদে ৷ তবে ইবন খাল্লিক৷ ৷ন বর্ণিত এই তথ্য ভুল ৷ ইবনুল
জাওযী তার মৃত্যু তারিখ দুইশ আটানব্বই হিজরী উল্লেখ করেছেন ৷ সেখানে তার বিস্তারিত
জীবন-চরিত আলোচিত হবে ৷

যুনুন আল-মিসরী

ছাওবান ইবন ইব্রাহীম ৷ কেউ কেউ বলেনং ইবনুল ফড়ায়জ ইবন ইবরাহীম ৷ আবুল ফ৷ য়জ
আল-মিসরী ৷ বিখ্যাত মাশ ৷য়খগণের একজন ৷ ইবন খাল্লিক৷ ৷ন আল ওয়াককিয়াতে তার জীবন-
চরিত আলোচনা করেছেন,৩ তার ফাযায়িল ও হালচাল উল্লেখ করেছেন এবং তার মৃত্যু তারিখ
দুইশ পয়তাল্লিশ বলে বংনি৷ করেছেন ৷

কেউ কেউ বলেছেন, তিনি এর পরের বছর মৃত্যুবরণ করেছেন ৷ কারো মতে দৃইশ
আটচল্লিশ হিজরী সনে ৷ মহান আল্লাহ ভাল জানেন ৷ ইমাম মালিক থেকে হারা মুআত্তা বর্ণনা
করেছেন, তিনি তাদের একজন বলে পরিগণিত ৩৷ ইবন ইউনুস মিসরের ইতিহাসে তার উল্লেখ
করেছেন ৷ তিনি বলেছেন : যুনুন আল-মিসরীর পিতা নাওবীর অধিবাসী ছিলেন ৷ কেউ কেউ
বলেন : আখমীমএর অধিবাসী ৷ তিনি গ্রাজ্ঞ ও স্পষ্টভাষী ছিলেন ৷ কেউ কেউ বলেন : তাকে
তার তাওবার কারণ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন৪ তিনি দেখতে পান যে, একটি
দৃষ্টিহীন কাব্বারা পক্ষী তার বাসা থেকে বেরিয়ে আসে ৷ সঙ্গে সঙ্গে আ ৷টি তার জন্য বিদীর্ণ হয়ে
দুটি সােনা-রুপার পাত্রে পরিণত হয়ে যায় ৷ একটি তেল এবং অপরটিতে পানি ৷ পাখিটি একটি
থেকে আহার ও একটি থেকে পান করল ৷

একদা খলীফ৷ মুতাওয়াক্কিল-এর নিকট তার বিরুদ্ধে নালিশ দায়ের করা হল ৷ খলীফা তাকে
মিসর থেকে নিয়ে ইরাক হাযির করান ৷ তিনি খলীফার দরবারে উপস্থিত হয়ে তাকে উপদেশ
প্রদান করেন ৷ তার ওয়ায শুনে খলীফ৷ কেদে ফেলেন ৷ ফলে, খলীফ৷ তাকে সম্মানের সাথে
বিদায় করে দেন ৷ত তারপর থেকে যখনই খলীফ৷ ৷র নিকটত তার আলোচনা হত, খলীফ৷ তার প্ৰশং সা
করতেন ৷

২৪৬ হিজরীর সুচনা

এ বছরের আশুরার দিনে ঘুতাওয়াক্কিল মাহুযা নগরীতে প্রবেশ করে সেখানকার কসরে
খিলাফতে অবস্থান গ্রহণ করেন এবং প্রথমে কারীগণের ও পরে গায়কদের তলব করে তাদের
উপহার-উপচৌকন দিয়ে বিদায় করে দেন ৷ দিনটি ছিল শুক্রবার ৷


[سَنَةُ سِتٍّ وَأَرْبَعِينَ وَمِائَتَيْنِ] [مَا وَقَعَتْ فِيهَا مِنْ أَحْدَاثٍ] ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ سِتٍّ وَأَرْبَعِينَ وَمِائَتَيْنِ فِي يَوْمِ عَاشُورَاءَ مِنْهَا دَخَلَ الْمُتَوَكِّلُ الْمَاحُوزَةَ، فَنَزَلَ بِقَصْرِ الْخِلَافَةِ مِنْهَا، وَاسْتَدْعَى بِالْقُرَّاءِ ثُمَّ بِالْمُطْرِبِينَ، وَأَعْطَى وَأَطْلَقَ، وَكَانَ يَوْمًا مَشْهُودًا. وَفِي صَفَرٍ مِنْهَا وَقَعَ الْفِدَاءُ بَيْنَ الْمُسْلِمِينَ وَالرُّومِ، فَفُودِيَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ نَحْوٌ مَنْ أَرْبَعَةِ آلَافِ أَسِيرٍ. وَفِي شَعْبَانَ مِنْهَا مُطِرَتْ بَغْدَادُ مَطَرًا عَظِيمًا اسْتَمَرَّ نَحْوًا مِنْ أَحَدٍ وَعِشْرِينَ يَوْمًا، وَوَقَعَ بِأَرْضِ بَلْخَ مَطَرٌ مَاؤُهُ دَمٌ عَبِيطٌ. وَفِيهَا حَجَّ بِالنَّاسِ مُحَمَّدُ بْنُ سُلَيْمَانَ الزَّيْنَبِيُّ، وَحَجَّ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ طَاهِرٍ، وَوَلِيَ هُوَ أَمْرَ الْمَوْسِمِ. [مَنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ] وَمِمَّنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ: أَحْمَدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدَّوْرَقِيُّ. وَالْحُسَيْنُ بْنُ الْحَسَنِ الْمَرْوَزِيُّ. وَأَبُو عُمَرَ الدُّورِيُّ أَحَدُ الْقُرَّاءِ الْمَشَاهِيرِ. وَمُحَمَّدُ بْنُ مُصَفَّى الْحِمْصِيُّ.
পৃষ্ঠা - ৮৭৩৭


এ বছরের সফর মাসে মুসলমান ও রোমানদের মাঝে পণ বিনিময় হয় ৷ মুক্তিপণ আদায় করে
অন্তত চার হাজার মুসলিম বন্দীকে মুক্ত করা হয় ৷

এ বছরের শা’বান মাসে বাগদাদে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়, যা প্রায় একুশ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয় ৷
বলখেও বৃষ্টিপাত হয়, যার পানি ছিল টাটকা রক্ত ৷

এ বছর মুহাম্মদ ইবন সুলায়মান আয-যানীবী মানুষকে হজ্জ করান এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের
মধ্যে মুহাম্মদ ইবন আবদুল্লাহ ইবন তাহির মওসুম বিষয়ক যিম্মদাের হজ্জ পালন করেন ৷

এ বছর মৃত্যুমুখে পতিত বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মধ্যে কয়েকজন হলেন আহমদ ইবন ইবরাহীম
আদ-দাওবাকী, হুসায়ন ইবন আবুল হাসান আল-মারুষী, বিখ্যাত কারীগণের অন্যতম আবু আমর
আদ-দাওরী , মুহাম্মদ মুসাফফা আল-হিমসী এবং দা’বাল ইবন আলী ৷

দা ’ৰাল ইবন আসী

ইবন রষীন ইবন সুলায়মান আল-খুযাঈ ৷ তার এক বুদ্ধিমান, অত্যধিক প্রশংসাকারী ও
নিন্দাকারী করি গোলাম ছিল ৷ তিনি একদা সাহ্ল ইবন হারুন আল-কাতিব এর নিকট উপস্থিত
হন ; সাহ্ল কৃপণ লোক ৷ তিনি নাস্তা তলব করেন ৷ কিছুক্ষাণর মধ্যে পেয়ালায় করে একটি মুরগী
উপস্থিত করা হল ৷ কিন্তু, মুরগীটি এত শক্ত যে, ছুরিও অনায়াসে কাটছে না এবং দীত দ্বারা ছেড়া
যাচ্ছে না ৷ মুর গীটির মাথা নেই ৷ তিনি বাবুর্চিকে বলেন : ধ্বংস হও, তুমি কী করেছ ? মুরগীর
মথা কোথায় ? বাবুর্চি বলল é আমি তো মনে করেছিলাম, আপনি ওটা খাবেন না ৷ তাই আমি
ওটা ফেলে দিয়েছি ৷ সাহ্ল বলেন : তুমি ধ্বংস হও, আল্লাহর শপথ ! আমি তো সেই ব্যক্তিকেও
দোষারোপ করি, যে পা দুটোও ফেলে দেয় ৷ এমতাবস্থায় মাথার কী হবে , বল ৷ চার ইড্রিয়ের সব
ক টিই তাে মাথায় ৷ মাথার একটি ইদ্রিয় দ্বারাই মুরগী বাক দেয় ৷ চক্ষুদ্বয়ও এই মাথায় ৷ এই দুই
চক্ষু দ্বারাই উপমা দেওয়া হয় ৷ এর দ্বারা বরকত হাসিল করা হয় ৷ এর হাড় হল সব চেয়ে
আকর্ষণীয় ৷ তোমার যদি ওটা খাওয়ার ইচ্ছা না থাকে, তাহলে নিয়ে আস ৷ বাবুর্চি বলল : ওটা
কোথায় আমি জানি না ৷ সাহ্ল বলেন : আমি জানি, ওটা তোমার পেটে ৷ মহান আল্লাহ তোমাকে
ধ্বংস করস্পা ৷ কলে , বাবুর্চি ৩াকে কবি৩ার মাধ্যমে তার প্রতি নিন্দাবাদ জ্ঞাপন করে, যাতে তার
কার্পণ্যের কথা উল্লেখ রয়েছে ৷



আহমদ ইবন আবুল হাওয়ারী

নাম আবদুল্লাহ্ ইবন মায়মুন ইবন আইয়াশ ইবনুল হারিস আবুল হাসান আততাপলিবী
আল-পাতফাঈ ৷ বিখ্যাত দৃনিয়াবিমুম্ম আলিম, আলোচিত আবিদ ও স্বনামধন্য সৎকর্মপরায়ণ
লোকদের একজন ৷ সুস্থ চিন্তাধারা ও সমুজ্জ্বল কারামাতের অধিকারী ৷ কুফা বংশোদ্ভুত ৷ বসবাস
করেন দামেশৃকে ৷ আবু সুলায়মান আদ-দারানী থেকে দীক্ষা লাভ করেছেন ৷ সুফিয়ান ইবন
উইআয়না ওয়াকী’ ও আবুসালামা প্রমুখ থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ তীর থেকে হাদীস বর্ণনা
করেছেন আবু দাউদ, ইবন মাজা, আবু হাতিম, আবু যুরআ দামেশৃকী এবং আবু যুরআ আর-রাযী
প্রমুখ ৷ আবুহাতিম তীর উল্লেখ ও আলোচনা করেছেন ৷ তাতে তিনি তার প্রশংসা করেছেন ৷

ইয়াহ্ইয়া ইবন মুঈন বলেন : আমার বিশ্বাস, আল্লাহ তীর মাধ্যমে সিরীয়দের পরিতৃপ্ত
করবেন ৷ জুনায়দ ইবন মুহাম্মদ বলেন : আহমদ ইবন আবুল হাওয়ারী হলেন সিরিয়ার ফুল ৷


وَدِعْبِلُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ رَزِينِ بْنِ سُلَيْمَانَ الْخُزَاعِيُّ. مَوْلَاهُمُ الشَّاعِرُ الْمَاجِنُ الْبَلِيغُ فِي الْمَدْحِ وَفِي الْهِجَاءِ أَكْثَرُ. قَالَ: حَضَرَ يَوْمًا عِنْدَ سَهْلِ بْنِ هَارُونَ الْكَاتِبِ وَكَانَ بَخِيلًا، فَاسْتَدْعَى بِغَدَائِهِ فَإِذَا دِيكٌ فِي قَصْعَةٍ، وَإِذَا هُوَ عَاسٍ لَا يَقْطَعُهُ سِكِّينٌ، وَلَا يَعْمَلُ فِيهِ ضِرْسٌ فُقِدَ رَأَسُهُ، فَقَالَ لِلطَّبَّاخِ: وَيْلَكَ مَاذَا صَنَعْتَ بِهِ؟ أَيْنَ رَأْسُهُ؟ قَالَ: ظَنَنْتُ أَنَّكَ لَا تَأْكُلُهُ فَأَلْقَيْتُهُ. فَقَالَ: وَيْحَكَ، وَاللَّهِ إِنِّي لَأَعِيبُ عَلَى مَنْ يُلْقِي الرِّجْلَيْنِ فَكَيْفَ بِالرَّأْسِ، وَفِيهِ الْحَوَاسُّ الْأَرْبَعُ، وَمِنْهُ يُصَوِّتُ، وَبِهِ فَضْلٌ، وَعَيْنَاهُ يُضْرَبُ بِهِمَا الْمَثَلُ، وَعُرْفُهُ وَبِهِ يُتَبَرَّكُ، وَعَظْمُهُ أَهَشُّ الْعِظَامِ، فَإِنْ كُنْتَ رَغِبْتَ عَنْ أَكْلِهِ فَأَحْضِرْهُ. فَقَالَ: لَا أَدْرِي أَيْنَ هُوَ. فَقَالَ: بَلْ أَنَا أَدْرِي، هُوَ فِي بَطْنِكَ قَاتَلَكَ اللَّهُ. أَحْمَدُ بْنُ أَبِي الْحَوَارِيِّ. وَاسْمُهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَيْمُونِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৮৭৩৮
عَبَّاسِ بْنِ الْحَارِثِ أَبُو الْحَسَنِ التَّغْلِبِيُّ الْغَطَفَانِيُّ أَحَدُ الزُّهَّادِ الْمَشْهُورِينَ، وَالْعُبَّادِ الْمَذْكُورِينَ، وَالْأَبْرَارِ الْمَشْكُورِينَ ذَوِي الْأَحْوَالِ الصَّالِحَةِ، وَالْكَرَامَاتِ الصَّادِقَةِ أَصْلُهُ مِنَ الْكُوفَةِ وَسَكَنَ دِمَشْقَ وَتَتَلْمَذَ لِلشَّيْخِ أَبِي سُلَيْمَانَ الدَّارَانِيِّ، رَحِمَهُمَا اللَّهُ. وَرَوَى الْحَدِيثَ عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ، وَوَكِيعٍ، وَأَبِي أُسَامَةَ، وَخَلْقٍ. وَعَنْهُ أَبُو دَاوُدَ، وَابْنُ مَاجَهْ، وَأَبُو حَاتِمٍ، وَأَبُو زُرْعَةَ الدِّمَشْقِيُّ، وَأَبُو زُرْعَةَ الرَّازِيُّ، وَخَلْقٌ كَثِيرٌ، ذَكَرَهُ أَبُو حَاتِمٍ فَأَثْنَى عَلَيْهِ. وَقَالَ يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ: إِنِّي لَأَظُنُّ أَنَّ اللَّهُ يَسْقِي أَهْلَ الشَّامِ بِهِ. وَكَانَ الْجُنَيْدُ بْنُ مُحَمَّدٍ يَقُولُ: هُوَ رَيْحَانَةُ الشَّامِ. وَقَدْ رَوَى الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ أَنَّهُ كَانَ قَدْ عَاهَدَ أَبَا سُلَيْمَانَ الدَّارَانِيَّ أَلَّا يُغْضِبَهُ وَلَا يُخَالِفَهُ، فَجَاءَهُ يَوْمًا وَهُوَ يُحَدِّثُ النَّاسَ فَقَالَ: يَا سَيِّدِي، قَدْ سَجَّرُوا التَّنُّورَ فَمَاذَا تَأْمُرُ؟ فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيْهِ أَبُو سُلَيْمَانَ ; لِشُغْلِهِ بِالنَّاسِ، ثُمَّ أَعَادَهَا أَحْمَدُ ثَانِيَةً وَثَالِثَةً، فَقَالَ لَهُ فِي الثَّالِثَةِ: اذْهَبْ فَاقْعُدْ فِيهِ. ثُمَّ اشْتَغَلَ أَبُو سُلَيْمَانَ فِي حَدِيثِ النَّاسِ ثُمَّ اسْتَفَاقَ فَقَالَ لِمَنْ حَضَرَهُ: إِنِّي قُلْتُ لِأَحْمَدَ: اذْهَبْ فَاقْعُدْ فِي التَّنُّورِ،
পৃষ্ঠা - ৮৭৩৯


ইবন আসাকির বর্ণনা করেন যে, আহমদ ইবন আবুল হাওয়ারী আবু সুলায়মান আদ-দারামীর
সঙ্গে অঙ্গীকারাবদ্ধ হন যে, তাকে রুষ্টও করবেন না এবং তার বিরুদ্ধাচারণও করবেন না ৷
একদিন তিনি দারামীর নিকট আগমন করেন ৷ দারামী তখন মানুষের সাথে কথা বলছিলেন ৷
এসেই আহমদ বলেন : হযরত ! তারা তো চুলা গরম করেছে ৷ আপনার নির্দেশ কী ? কিন্তু, আবু
সুলায়মান ব্যস্ততার কারণে কোন জবাব দিলেন না ৷ আহমদ দ্বিতীয়বার প্রশ্নটা করলেন ৷
তৃতীয়বারে দারামী বলেন : তুমি গিয়ে তার মধ্যে বসে থাক ৷ বসে আবু সুলায়মান পুনরায়
মানুষের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করলেন ৷ কিছুক্ষণ পর সম্বিৎ ফিরে পেয়ে তিনি উপস্থিত
লোকদের বলেন : আমি তো আহমদকে বলেছিলেন হ; গিয়ে চুলার মধ্যে বসে থাক ৷ আর আমার
বিশ্বাস, যে তা করেছে ৷ চল তো গিয়ে দেখে আমি ৷ তারা গেলেন ৷ দেখতে পেলেন, আহমদ
চুলার মধ্যে বসে আছে ৷ কিন্তু তার কিছুই পােড়েনি ৷ এমনকি একটি পশমও নয় ৷

ইবন আসাকির আরো বর্ণনা করেন যে, একদিন সকাল বেলা আহমদ ইবনুল হাওয়ারীর
একটি সন্তান ভুমিষ্ট হয় ৷ কিন্তু নবজাতকের পরিচর্যা করার মত কিছুই তার ঘরে ছিল না ৷ তিনি
খাদিমকে বলেন : লও , আমাদের জন্য কিছু আটড়া ধার করে আন ৷ ঠিক এমন সময়ে এক ব্যক্তি
দৃইশ দিরহাম নিয়ে এসে তার সম্মুখে রাখে ৷ সঙ্গে সঙ্গে অপর এক ব্যক্তি তার নিকট এসে বললঃ
রাতে আমার একটি সন্তান জন্মলাভ করেছে ; আমার কিছুই নেই ৷ শুনে আহমদ আকাশের দিকে
চোখ তুলে বলেন : হে আমার প্রতিপড়ালক ! এতই তাড়াতাড়ি করলে ? তারপর লোকটিকে
বলেন : এই দিরহামগুলো নিয়ে যান ৷ বলেই তিনি দিরহামগুলো সম্পুর্ণ তাকে দিয়ে দেন ৷ তার
কিছুই নিজের কাছে অবশিষ্ট রইল না ৷ তারপর পরিবারের জন্য তিনি আটা ধার কার আনেন ৷

তার খাদিম তার থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি একবার সীমান্ত প্রহরায় নিমিত ছাউনি
ফেলার জন্য বের হন ৷ সে সময়ে প্রভাত থেকে দ্বি-প্রহর পর্যন্ত তার নিকট হাদিয়া আসতে
থাকে ৷ পরে তিনি মাগরিব পর্যন্ত সেগুলো সম্পুর্ণ বন্টন করে দেন ৷ তারপর তিনি আমাকে
বলেন : এমনই হও ৷ মহান আল্লাহর নিকট কিছু ফেরতও দিও না, তার থেকে নিজের কাছে কিছু
সঞ্চিতও কর না ৷

তারপর খলীফা মা’মুন-এর আমলে যখন খালকে কুরআনের সুত্রে নির্যাতনের ধারা বাগদাদ
এসে পৌছে, তখন আহমদ ইবন আবুল হাওয়ারী, হিশাম ইবন আমার সুলায়মান ইবন আবদুর
রহমান ও আবদুল্লাহ ইবন যাকওয়ানকে নির্দিষ্ট করা হয় ৷ ইবন আবুল হাওয়ারী তারা প্রত্যেকে
সম্মতি জ্ঞাপন করেন ৷ ফলে তাকে দারুল ইিজারায় আটক করে হুমকি প্রদান করা হয় ৷ বাধ্য হয়ে
তিনি ইচ্ছার বিরুদ্ধে কৌশলগত কারণে সম্মতি প্রকাশ করেন ৷ তারপর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় ৷
মহান আল্লাহ তাকে রহম করুন ৷ এক রাতে সীমান্ত পাহারা দানকালে তিনি এ fi ৷ট্রু fi;£ এ fi !
ছু,ট্রু ;;ক্ট্রট্রুব্লু এই আয়াতটি বারংবার তিলাওয়াত করছিলেন ৷ তিনি সকাল পর্যন্ত এই অবস্থায়
অতিবাহিত করেন ৷ এক সময় তিনি তার কিতাবগুলোকে নদীতে ফেলে দিয়ে বলেন : মহান
আল্লাহর পরিচয় লাভের নিমিত্ত তুমি আমার জন্য উত্তম দলীল ছিলে ৷ কিন্ত, লক্ষেদ্রর পরিচয় লাভ
ও লক্ষ্য পর্যন্ত পৌছে যাওয়ার পর দলীল নিয়ে ব্যস্ত থাকা অসম্ভব ৷

আহমদ ইবন আবুল হাওয়ারীর বাণী
আল্লাহর অস্তিত্বের পক্ষে তিনি ছাড়া আর কোন প্রমাণ নেই ৷


وَإِنِّي أَخْشَى أَنْ يَكُونَ قَدْ فَعَلَ ذَلِكَ، فَقُومُوا بِنَا إِلَيْهِ، فَذَهَبُوا فَوَجَدُوهُ جَالِسًا فِي التَّنُّورِ، وَلَمْ يَحْتَرِقْ مِنْهُ شَعْرَةٌ وَاحِدَةٌ. وَرَوِيَ أَيْضًا أَنَّ أَحْمَدَ بْنَ أَبِي الْحَوَارِيِّ أَصْبَحَ ذَاتَ يَوْمٍ وَقَدْ وُلِدَ لَهُ وَلَدٌ وَلَا يَمْلِكُ شَيْئًا يُصْلِحُ بِهِ الْوَلَدَ، فَقَالَ لِخَادِمِهِ: اذْهَبْ فَاسْتَدِنْ لَنَا وَزْنَةً مِنْ دَقِيقٍ، فَبَيْنَمَا هُوَ فِي ذَلِكَ إِذْ جَاءَهُ رَجُلٌ بِمِائَتَيْ دِرْهَمٍ فَوَضَعَهَا بَيْنَ يَدَيْهِ، فَدَخَلَ عَلَيْهِ رَجُلٌ فِي تِلْكَ السَّاعَةِ فَقَالَ: يَا أَحْمَدُ، إِنَّهُ قَدْ وُلِدَ لِيَ اللَّيْلَةَ وَلَدٌ وَلَا أَمْلِكُ شَيْئًا. فَرَفَعَ أَحْمَدُ طَرْفَهُ إِلَى السَّمَاءِ وَقَالَ: يَا مَوْلَايَ، هَكَذَا بِالْعَجَلَةِ! وَقَالَ لِلرَّجُلِ: خُذْ هَذِهِ الدَّرَاهِمَ لَكَ، وَلَمْ يَأْخُذْ مِنْهَا دِرْهَمًا، وَاسْتَدَانَ لِأَهْلِهِ دَقِيقًا. وَرَوَى عَنْهُ خَادِمُهُ أَنَّهُ خَرَجَ إِلَى الثَّغْرِ لِلرِّبَاطِ، فَمَا زَالَتِ الْهَدَايَا تَفِدُ إِلَيْهِ مِنْ بُكْرَةِ النَّهَارِ إِلَى الزَّوَالِ، ثُمَّ فَرَّقَهَا كُلَّهَا إِلَى وَقْتِ الْغُرُوبِ، ثُمَّ قَالَ لِي: كُنْ هَكَذَا لَا تَرُدَّ عَلَى اللَّهِ شَيْئًا، وَلَا تَدَّخِرْ عَنْهُ شَيْئًا. وَلَمَّا جَاءَتِ الْمِحْنَةُ زَمَنَ الْمَأْمُونِ إِلَى دِمَشْقَ بِخَلْقِ الْقُرْآنِ، عُيِّنَ فِيهَا أَحْمَدُ بْنُ أَبِي الْحَوَارِيِّ، وَهِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، وَسُلَيْمَانُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ ذَكْوَانَ، فَكُلُّهُمْ أَجَابُوا إِلَّا أَحْمَدَ بْنَ أَبِي الْحَوَارِيِّ، فَحُبِسَ بِدَارِ الْحِجَارَةِ، ثُمَّ
পৃষ্ঠা - ৮৭৪০
هُدِّدَ فَأَجَابَ تَوْرِيَةً مُكْرَهًا، ثُمَّ أُطْلِقَ رَحِمَهُ اللَّهُ، وَقَدْ قَامَ لَيْلَةً بِالثَّغْرِ يُكَرِّرُ هَذِهِ الْآيَةَ {إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ} [الفاتحة: 5] حَتَّى أَصْبَحَ، وَقَدْ أَلْقَى كُتُبَهُ فِي الْبَحْرِ وَقَالَ: نِعْمَ الدَّلِيلُ كُنْتَ لِي عَلَى اللَّهِ وَإِلَيْهِ، وَلَكِنَّ الِاشْتِغَالَ بِالدَّلِيلِ بَعْدَ مَعْرِفَةِ الْمَدْلُولِ عَلَيْهِ وَالْوُصُولِ إِلَيْهِ مُحَالٌ، وَمِنْ كَلَامِهِ: لَا دَلِيلَ عَلَى اللَّهِ سِوَاهُ، وَإِنَّمَا يُطْلَبُ الْعِلْمُ لِآدَابِ الْخِدْمَةِ. وَقَالَ: مَنْ عَرَفَ الدُّنْيَا زَهِدَ فِيهَا، وَمَنْ عَرَفَ الْآخِرَةَ رَغِبَ فِيهَا، وَمَنْ عَرَفَ اللَّهَ آثَرَ رِضَاهُ، وَقَالَ: مَنْ نَظَرَ إِلَى الدُّنْيَا نَظَرَ إِرَادَةٍ وَحُبٍّ لَهَا أَخْرَجَ اللَّهُ نُورَ الْيَقِينِ وَالزُّهْدَ مَنْ قَلْبِهِ، وَقَالَ: قُلْتُ لِأَبِي سُلَيْمَانَ الدَّارَانِيِّ فِي ابْتِدَاءِ أَمْرِي: أَوْصِنِي. فَقَالَ: أَمُسْتَوْصٍ أَنْتَ؟ فَقُلْتُ: نَعَمْ إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى. فَقَالَ: خَالِفْ نَفْسَكَ فِي كُلِّ مُرَادٍ لَهَا ; فَإِنَّهَا الْأَمَّارَةُ بِالسُّوءِ، وَإِيَّاكَ أَنْ تَحْقِرَ أَحَدًا مِنَ الْمُسْلِمِينَ، وَاجْعَلْ طَاعَةَ اللَّهِ دِثَارًا، وَالْخَوْفَ مِنْهُ شِعَارًا، وَالْإِخْلَاصَ زَادًا، وَالصِّدْقَ جُنَّةً، وَاقْبَلْ مِنِّي هَذِهِ الْكَلِمَةَ الْوَاحِدَةَ وَلَا تُفَارِقْهَا وَلَا تَغْفَلْ عَنْهَا: إِنَّهُ مَنِ اسْتَحْيَى مِنَ اللَّهِ فِي كُلِّ أَوْقَاتِهِ وَأَحْوَالِهِ وَأَفْعَالِهِ بَلَّغَهُ إِلَى مَقَامِ الْأَوْلِيَاءِ مِنْ عِبَادِهِ. قَالَ: فَجَعَلْتُ هَذِهِ الْكَلِمَاتِ أَمَامِي، فَفِي كُلِّ وَقْتٍ أَذْكُرُهَا وَأُطَالِبُ نَفْسِي بِهَا، وَالصَّحِيحُ أَنَّهُ مَاتَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ، وَقِيلَ: فِي سَنَةِ ثَلَاثِينَ وَمِائَتَيْنِ. وَقِيلَ غَيْرُ ذَلِكَ، فَاللَّهُ أَعْلَمُ.