سنة خمس وأربعين ومائتين
পৃষ্ঠা - ৮৭৩১
০০
২৪ : হিজরীর সুচনা
ৰুর মাসে খলীফা আল-যুতাওয়াক্কিল খিলাফতের জন্বক-জমকের সঙ্গে দামেশৃক
প্রবেশ করেন ৷ দিনটি ছিল শুক্রবার ৷ খলীফার সেখানে স্থায়ীভাবে বাস করার সিদ্ধান্ত ছিল ৷ তিনি
রাৰ্ষ্ট্ৰর নথিপত্র দামেশক স্থানান্তর করার এবং সেখানে প্রাসাদ নির্মাণের নির্দেশ প্রদান করেন ৷
দারিয়ার পথে প্রাসাদ নির্মাণ করা হল ৷ খলীফা সেখানে কিছুদিন বসবাস করেন ৷ তারপর তিনি সে
স্থানটি অনুপযােপী মনে করেন এবং দেখতে পান যে, ইরাকের তুলনায় সেখানকার বাতাস বেজায়
ঠাণ্ডা এবং পানি ভারী ৷ তিনি আরো দেখতে পান যে, গ্রীষ্মকালে সেখানকার বাতাস দ্বি-প্রহরের পর
আন্দোলিত হয় এবং রাতের এক-তৃতীয়াংশ পর্যন্ত বাতাসের তীব্রতা ও ধুলার তীব্রতা বাড়তে
থাকে ৷ সেখানে তিনি অনেকগুলো কিছু দেখতে পান ৷ শীতের মওসুম আসলে তিনি এতবেশী
বৃষ্টি ও বরফপাত দেখতে পান যে, তিনি বিম্ময়ে হতবাক হয়ে যান ৷ তার সঙ্গে প্রচুর লোক থাকার
কারণে দ্রব্যমুল্য বেড়ে যায় এবং অধিক বৃষ্টি ও ররফ পাতের কারণে আমদানী বন্ধ হয়ে যায় ৷
খলীফা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেন ৷ তিনি বিগাকে রোমের উদ্দেশ্যে প্রেরণ করেন এবং নিজে দুই মাস
দশদিন দামেস্কে অবস্থান করার পর বছরের শেষ দিকে ছামিরায় ফিরে যান ৷ তাকে পেয়ে
বাগদাদবাসী অতিশয় আনন্দিত হয় ৷
এ বছর মুতাওয়াক্কিলকে সেই বর্শাটি প্রদান করা হয়, যেটি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সম্মুখে বহন
করা হত ৷ বর্শাটি পেয়ে খলীফা অত্যন্ত আনন্দিত হন ৷ এই বর্শাটি ঈদ ও অন্যান্য দিনে রাসুলুল্লাহ্
(সা) এর সম্মুখে বহন করা হত ৷ বর্শাটি ছিল নাজ্জাশীর ৷ তিনি এটি যুবায়র ইবনুল আওয়ামকে
দান করেছিলেন ৷ যুবায়র বর্শাটি দিয়ে দেন রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে ৷ এবার খলীফা যুতাওয়াক্কিল
বর্শাটি তার সামনে সামনে বহন করার জন্য পুলিশ প্রধানকে নির্দেশ প্রদান করেন যেমনিভাবে
রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) এর সামনে সামনে বহন করা হত ৷
এ বছর খলীফা মুতাওয়াক্কিল ডাক্তার বাখভীও-এর উপর রষ্ষ্ট হন, তাকে দেশাম্ভর করেন
এবং তার ধন-সম্পদ নিয়ে নেন ৷ এ বছর আবদুস সামাদ লোকদেরকে হজ্জ করান, পুর্বে যার
আলোচনা করা হয়েছে ৷
ঘটনাক্রমে এ বছর ঈদুল আযহা, ইয়াহুদীদের খামীস ফিতর এবং নাসারাদের ওআনীন একই
দিনে হয়ে পড়ে ৷ সে এক বিস্ময়কর ও দুর্লভ ঘটনা ৷
এ বছর আহমদ ইবন মুনী, ইসহাক ইবন মুসা আল-খাতমী , হুমায়দ ইবন মাসআদা, আবদুল
হামীদ ইবন সিনান, আলী ইবন হিজর , আল-ওয়াষীর মুহাম্মদ ইবন আবদুল মালিক আয়-যায়্যাত ও
ইসসালুন মড়ানতিক এর লেখক ইয়াকুব ইবনুস-সাকীত মৃত্যুমুখে পতিত হন ৷
২৪৫ হিজরীর সুচনা
এ বছর খলীফা মুতাওয়াক্কিল মহ্রযা শহর বিনির্মাণ এবং তার নদী খননের নির্দেশ প্রদান
করেন ৷ কথিত আছে যে, এই শহর নির্মাণ ও লু’লুয়াহ্ নামক খিলাফত ভবন নির্মাণে তিনি বিশ
লাখ দীনার ব্যয় করেন ৷
এ বছর বিভিন্ন নগরীতে অনেক ভুমিকম্প সংঘটিত হয় ৷ তন্মধ্যে একটি হল ইনতাকিয়া
শহর ৷ ভুমিকম্পে এই শহরের এক হাজার পাচশ বাড়ি বিধ্বস্ত হয় এবং নব্বই-এর অধিক
[سَنَةُ خَمْسٍ وَأَرْبَعِينَ وَمِائَتَيْنِ]
[مَا وَقَعَتْ فِيهَا مِنْ أَحْدَاثٍ]
ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ خَمْسٍ وَأَرْبَعِينَ وَمِائَتَيْنِ
فِيهَا أَمَرَ الْمُتَوَكِّلُ بِبِنَاءِ مَدِينَةِ الْمَاحُوزَةِ وَحَفْرِ نَهْرٍ لَهَا، فَيُقَالُ: إِنَّهُ أَنْفَقَ عَلَى بِنَائِهَا وَبِنَاءِ قَصْرٍ لِلْخِلَافَةِ فِيهَا يُقَالُ لَهُ: اللُّؤْلُؤَةُ. أَلْفَيْ أَلْفِ دِينَارٍ.
وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ وَقَعَتْ زَلَازِلُ كَثِيرَةٌ فِي بِلَادٍ شَتَّى، فَمِنْ ذَلِكَ بِمَدِينَةِ أَنْطَاكِيَةَ بِحَيْثُ سَقَطَ فِيهَا أَلْفٌ وَخَمْسُمِائَةِ دَارٍ، وَانْهَدَمَ مِنْ سُورِهَا نَيِّفٌ وَتِسْعُونَ بُرْجًا، وَسُمِعَتْ مَنْ كُوَى دُورِهَا أَصْوَاتٌ مُزْعِجَةٌ جِدًّا، فَخَرَجُوا مِنْ مَنَازِلِهِمْ سِرَاعًا يُهْرَعُونَ، وَسَقَطَ الْجَبَلُ الَّذِي إِلَى جَانِبِهَا الَّذِي يُقَالُ لَهُ الْأَقْرَعُ، فَسَاخَ فِي الْبَحْرِ، فَهَاجَ الْبَحْرُ عِنْدَ ذَلِكَ وَارْتَفَعَ مِنْهُ دُخَانٌ أَسْوَدُ مُظْلِمٌ مُنْتِنٌ، وَغَارَ نَهْرٌ عَلَى فَرْسَخٍ مِنْهَا، فَلَا يُدْرَى أَيْنَ ذَهَبَ. ذَكَرَ أَبُو جَعْفَرِ بْنُ جَرِيرٍ قَالَ: وَسَمِعَ فِيهَا أَهْلُ تِنِّيسَ ضَجَّةً دَائِمَةً طَوِيلَةً مَاتَ مِنْهَا خَلْقٌ كَثِيرٌ. قَالَ: وَزُلْزِلَتْ فِيهَا بَالِسُ وَالرَّقَّةُ وَحَرَّانُ وَرَأْسُ الْعَيْنِ وَحِمْصُ وَدِمَشْقُ وَالرُّهَاُ وَطَرَسُوسُ وَالْمِصِّيصَةُ، وَأَذَنَةُ، وَسَوَاحِلُ الشَّامِ وَرَجَفَتِ اللَّاذِقِيَّةُ فَمَا بَقِيَ
পৃষ্ঠা - ৮৭৩২
দেওয়ালের স্তম্ভ ভেঙ্গে পড়ে ৷ মানুষ অত্যন্ত ভয়ংকর শব্দ শুনে বাড়ি-ঘর ছেড়ে দ্রুত বেরিয়ে যায় ৷
নগরীর এক পার্শে অবস্থিত আকর৷ নামক পাহাড়টি বিধ্বস্ত হয়ে নদীতে ধসে যায় ৷ সঙ্গে সঙ্গে নদী
উত্তাল হয়ে উঠে এবং নদী থেকে দৃগ্ন্ধিযুক্ত অন্ধকারাচ্ছন্ন কালো ঘোয়৷ উথিত হয় এবং এক
ফ ৷রসাখ পর্যন্ত নদী শুকিয়ে যায় ৷ নদীর পানি কোথায় চলে যায় জ না যায়নি ৷
আবু জা ফর ইবন জারীর বলেন : এ বছর৩ তানীস গোত্রের লোকেরা স্থায়ী ও দীর্ঘ এক বিকট
শব্দ শুনতে পায় যাতে অনেক মানুষ মৃত্যুমুখে পতিত হয় ৷
আবুজাফর ইবন জারীর আরো বলেন : এ বছর রুহা, রিক্কা, হারবান, রা’সুল আইন, হিমৃস,
দামেশৃক, তাবসুস মাসীসা, সৈন্য এবং শামের উপকুলীয় অঞ্চলসমুহও ভুমিকম্পেআক্রাম্ভ হয় ৷
এ বছর লায়েকিয়া নগরীও তার অধিবাসীদের নিয়ে প্রকম্পিত ৩হয় ৷ পরিণ তিতে ধ্বংসের হাত
থেকে তার একটি বাড়িও রক্ষা পায়নি, স্বল্পসং থ্যক মানুষ ব্যতীত তার সকল অধিবাসী মৃত্যুমুখে
পতিত হয় এবং পর্বতটি৩ ৷ ৷র অ ধবাণ দীদেরসহ ধ্বংস হয়ে যায় ৷
এ বছর পবিত্র মক্কার মুশাশ কুপ শুকিয়ে যায় ৷ ফলে পবিত্র মক্কায় এক ময়ক পানির দাম
আশি দিরহামে পৌছে যায় ৷ পরে মুতাওয়াক্কিল লোক প্রেরণ করে কুপটিতে প্রচুর অর্থ ব্যয়
করেন ৷ ফলে কুপে পুনরায় পানি প্রবাহিত হয় ৷
এ বছর ইসহাক ইবন আবু ইসরাঈল, সাওয়ার ইবন আবদুল্লাহ আল-কাযী ও হিলাল
আল-রাষী মৃত্যুমুখে পতিত হন ৷
এ বছর নজ্যেহ ইবন সালাম৷ মৃতুামুখে পতিত হন ৷ ইনি নথিভুক্তকরণ বিভাগের দায়িতৃশীল
ছিলেন ৷ খলীফ৷ ঘুত৷ ৷ওয়াক্কিল এ নিকট তিনি মর্যাদাসম্পন্ন লোক ছিলেন ৷ কিন্তু , পরে কো ন এক
ঘটনায় খলীফার সঙ্গে৩ তার সম্পর্কের এত অবনতি ঘটে যে, মু৩ তাওয়াক্কিল তার সকল
সহায়-সম্পত্তি ও সঞ্চিত সম্পদ নিয়ে নেন ৷ ইবন জ বীর বিস্তারিতভারে তার কাহিনী উল্লেখ
করেছেন ৷
এ বছর আহমদ ইবন আবৃদা আয্য৷ ৷বী পবিত্র মক্কা র কা৷রী আবুল হায়স আল কাওয়াস, আহমদ
ইবন নাসৃর আল-ভৈনশ ৷পুবী, ইসহ ক ইবন আবুইসরা ঈল, ইসম৷ ঈল ইবন মুসা ইবন বিন ড্রুসৃসুদ্দী,
যুনুন আল-মিসরী, আবদুর রহমান ইবন ইব্রাহীম দৃহায়ম, মুহাম্মদ ইবন রাফি , হিশাম ইবন
আমার ও আবুতুরাব আন-নাখৃশাবী ও ইবনুর রাওয়ানদী মৃত্যুমুখে পতিত হয় ৷
ইবনুর রাওয়ানদী
নাস্তিক ৷ নাম আহমদ ইবন ইয়াহুইয়৷ ইবন ইসহ৷ ৷ক আবুল হুসায়ন ইবনুর রাওয়া ৷নদী ৷ কাশ
নগরীর একটি গ্রামের সালে তাকে রাওয়ানদী বলা হয় ৷ পরে তিনি বাগদ৷ দে প্ৰতিপালিত হন ৷
সেখানে থেকে তিনি যা ৷স্তিকতা বিষয়ে গ্রন্থ রচনা করতেন ৷ তার অনেক গুণ ছিল কিন্তু , সেই
গুণাবলীকে তিনি ক্ষতিকর এবং দুনিয়া-আখিরাতে কোন উপকারে আসবে না এমন ক্ষেত্রে ব্যবহার
করেছেন ৷ ইবনৃল জাওযীর বর্ণনা মুতাবেক আমরা দৃইশ আটানব্বই হিজরী সনের আলোচনায়
তা তার দীর্ঘ জীবন-চরিত আলোচনা করেছি ৷ এখানে উল্লেখ করার কারণ হল, ইবন খাল্লিকান এর
বর্ণনা মতে৩ তিনি এই বছর মৃতু ৷মুখে পতিত ৩হন ৷ কিন্তু, তিনি তালগােল পাকিয়ে ফেলেছেন ৷
তিনি তার সমালোচনা না করে বরং প্রশ ৷ৎস৷ করেছেন ৷ তিনি বলেছেন ও তার নাম আবুল হাসান
আল-বিদায়৷ ওয়ান নিহায়৷ ( ১ :ম খণ্ড)-৭৪
مِنْهَا مَنْزِلٌ إِلَّا انْهَدَمَ، وَلَا بَقِيَ مِنْ أَهْلِهَا إِلَّا الْيَسِيرُ، وَذَهَبَتْ جَبَلَةُ بِأَهْلِهَا.
وَفِيهَا غَارَتْ مُشَاشُ عَيْنٌ بِمَكَّةَ حَتَّى بَلَّغَ ثَمَنُ الْقِرْبَةِ بِمَكَّةَ ثَمَانِينَ دِرْهَمًا. حَتَّى بَعَثَ الْمُتَوَكِّلُ فَأَنْفَقَ عَلَيْهَا. قَالَ: وَفِيهَا مَاتَ إِسْحَاقُ بْنُ أَبِي إِسْرَائِيلَ، وَسَوَّارُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْقَاضِي، وَهِلَالٌ الرَّازِيُّ، وَفِيهَا هَلَكَ نَجَاحُ بْنُ سَلَمَةَ، كَانَ عَلَى دِيوَانِ التَّوْقِيعِ، وَقَدْ كَانَ حَظِيًّا عِنْدَ الْمُتَوَكِّلِ، ثُمَّ جَرَتْ لَهُ كَائِنَةٌ أَفْضَتْ بِهِ إِلَى أَنْ أَمَرَ الْمُتَوَكِّلُ بِأَخْذِ أَمْوَالِهِ وَأَمْلَاكِهِ وَحَوَاصِلِهِ، وَقَدْ أَوْرَدَ قِصَّتَهُ ابْنُ جَرِيرٍ مُطَوَّلَةً.
[مَنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ]
وَمِمَّنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ:
أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ الضَّبَّيُّ.
وَأَبُو الْحَسَنِ الْقَوَّاسُ مُقْرِئُ مَكَّةَ.
وَأَحْمَدُ بْنُ نَصْرٍ النَّيْسَابُورِيُّ.
وَإِسْحَاقُ بْنُ أَبِي إِسْرَائِيلَ.
وَإِسْمَاعِيلُ بْنُ مُوسَى
পৃষ্ঠা - ৮৭৩৩
ابْنُ بِنْتِ السُّدِّيِّ.
وَذُو النُّونِ الْمِصْرِيُّ.
وَسَوَّارٌ الْقَاضِي.
وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ دُحَيْمٌ.
وَمُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ.
وَهِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ.
وَأَبُو تُرَابٍ النَّخْشَبِيُّ.
وَابْنُ الرَّاوَنْدِيُّ الزِّنْدِيقُ.
أَحْمَدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ إِسْحَاقَ أَبُو الْحُسَيْنِ بْنُ الرَّاوَنْدِيِّ.
نِسْبَةً إِلَى قَرْيَةٍ بِبِلَادَ قَاسَانَ ثُمَّ نَشَأَ بِبَغْدَادَ، كَانَ بِهَا يُصَنِّفُ الْكُتُبَ فِي الزَّنْدَقَةِ، وَكَانَتْ لَدَيْهِ فَضِيلَةٌ، لَكِنَّهُ اسْتَعْمَلَهَا فِيمَا يَضُرُّهُ وَلَا يَنْفَعُهُ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ، وَقَدْ ذَكَرْنَا لَهُ تَرْجَمَةً مُطَوَّلَةً حَسَبَ مَا ذَكَرَهَا ابْنُ الْجَوْزِيِّ، وَإِنَّمَا
পৃষ্ঠা - ৮৭৩৪
ذَكَرْنَاهُ هَاهُنَا ; لِأَنَّ الْقَاضِيَ ابْنَ خِلِّكَانَ ذَكَرَ أَنَّهُ تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ، وَقَدْ تَلَبَّسَ عَلَيْهِ، وَلَمْ يُجَرِّحْهُ بِشَيْءٍ أَصْلًا، بَلْ مَدَحَهُ فَقَالَ: أَبُو الْحُسَيْنِ أَحْمَدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ إِسْحَاقَ الرَّاوَنْدِيُّ الْعَالِمُ الْمَشْهُورُ، لَهُ مَقَالَةٌ فِي عِلْمِ الْكَلَامِ، وَكَانَ مِنَ الْفُضَلَاءِ فِي عَصْرِهِ، وَلَهُ مِنَ الْكُتُبِ الْمُصَنَّفَةِ نَحْوٌ مِنْ مِائَةٍ وَأَرْبَعَةَ عَشَرَ كِتَابًا، مِنْهَا كُتُبُ " فَضِيحَةِ الْمُعْتَزِلَةِ "، وَكِتَابُ " التَّاجِ "، وَكِتَابُ " الزُّمُرُّدَةِ "، وَكِتَابُ " الْقَصَبِ "، وَغَيْرُ ذَلِكَ، وَلَهُ مَحَاسِنُ وَمُحَاضَرَاتٌ مَعَ جَمَاعَةٍ مِنْ عُلَمَاءِ الْكَلَامِ، وَقَدِ انْفَرَدَ بِمَذَاهِبَ نَقَلَهَا عَنْهُ أَهْلُ الْكِتَابِ فِي كُتُبِهِمْ.
تُوُفِّيَ سَنَةَ خَمْسٍ وَأَرْبَعِينَ وَمِائَتَيْنِ بِرَحْبَةِ مَالِكِ بْنِ طَوْقٍ التَّغْلِبِيِّ، وَقِيلَ: بِبَغْدَادَ. وَتَقْدِيرُ عُمْرِهِ أَرْبَعُونَ سَنَةً، وَذُكِرَ فِي " الْبُسْتَانِ " أَنَّهُ تُوُفِّيَ سَنَةَ خَمْسِينَ، فَاللَّهُ أَعْلَمُ. هَذَا لَفْظُهُ بِحُرُوفِهِ، وَإِنَّمَا أَرَّخَ ابْنُ الْجَوْزِيِّ وَفَاتَهُ فِي سَنَةِ ثَمَانٍ وَتِسْعِينَ وَمِائَتَيْنِ، وَسَيَأْتِي لَهُ تَرْجَمَةٌ مُطَوَّلَةٌ.
ذُو النُّونِ الْمِصْرِيُّ.
ثَوْبَانُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ - وَقِيلَ: الْفَيْضُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ - أَبُو الْفَيْضِ الْمِصْرِيُّ، أَحَدُ الْمَشَايِخِ الْمَذْكُورِينَ فِي رِسَالَةٍ الْقُشَيْرِيِّ، وَقَدْ تَرْجَمَهُ
পৃষ্ঠা - ৮৭৩৫
الْقَاضِي ابْنُ خِلِّكَانَ فِي الْوَفَيَاتِ، وَذَكَرَ شَيْئًا مِنْ فَضَائِلِهِ وَأَحْوَالِهِ وَأَرَّخَ وَفَاتَهُ فِي هَذِهِ السَّنَةِ، وَقِيلَ: فِي الَّتِي بَعْدَهَا. وَقِيلَ: فِي سَنَةِ ثَمَانٍ وَأَرْبَعِينَ وَمِائَتَيْنِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَهُوَ مَعْدُودٌ فِي جُمْلَةِ مَنْ رَوَى الْمُوَطَّأَ عَنْ مَالِكٍ. وَذَكَرَهُ ابْنُ يُونُسَ فِي " تَارِيخِ مِصْرَ "، وَقَالَ: كَانَ أَبُوهُ نُوبِيًّا. وَقِيلَ: مِنْ أَهْلِ إِخْمِيمَ. وَكَانَ حَكِيمًا فَصِيحًا. وَقِيلَ: وَسُئِلَ عَنْ سَبَبِ تَوْبَتِهِ، فَذَكَرَ أَنَّهُ رَأَى قُنْبُرَةً عَمْيَاءَ نَزَلَتْ مِنْ وِكْرِهَا فَانْشَقَّتِ الْأَرْضُ عَنْ سُكُرَّجَتَيْنِ مَنْ ذَهَبٍ وَفِضَّةٍ فِي إِحْدَاهِمَا سِمْسِمٌ، وَفِي الْأُخْرَى مَاءٌ، فَأَكَلَتْ مِنْ هَذِهِ، وَشَرِبَتْ مِنْ هَذِهِ. وَقَدْ شُكِيَ مَرَّةً إِلَى الْمُتَوَكِّلِ فَأَحْضَرَهُ مِنْ مِصْرَ إِلَى الْعِرَاقِ فَلَمَّا دَخَلَ عَلَيْهِ وَعَظَهُ فَأَبْكَاهُ، فَرَدَّهُ مُكَرَّمًا إِلَى بَلَدِهِ. فَكَانَ بَعْدَ ذَلِكَ إِذَا ذُكِرَ عِنْدَهُ بَكَى عَلَيْهِ.