আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة إحدى وأربعين ومائتين

পৃষ্ঠা - ৮৬৬৬


হজ্জ গমনেচ্ছুরা যার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে ৷ তুমি শ্রবণ কর কিৎবা ত্যাগ কর ৷ তুমি সত্য বল,
পবিত্রতা অবলম্বন কর, সৎকর্ম কর, ধৈর্যধারণ কর, সহনশীলতা অবলম্বন কর, ক্ষমা কর, বিনিময়
দান কর, চক্কর দাও, ধৈর্য অবলম্বন কর ও বীরত্বের পরিচয় দাও ৷ তুমি করুণা কর, কোমল
আচরণ কর, সদাচরণ কর, হৃদয়বান হও, স্বতন্ত্র যেজাজের অধিকারী হও, দানশীল হও,
সহযোগিতা কর, বোঝা বহন কর ও প্রতিহত কর ৷ আমি উপদেশ দিলাম ৷ তুমি আমার উপদেশ
গ্রহণ করবে কি না এবং সঠিক-সরল প্রশস্ত পথে পরিচালিত হবে কি না, তা তোমার ব্যাপার ৷”

পাণ্ডুলিপির সংকলক সাহনুন আল-মালেকী

আবু সাঈদ আবদুস সালাম ইব ন সাঈদ ইবন জুনদুব ইবন হাসৃসান ইবন ণ্হিলাল ইবন বাক্কার
ইবন রবীআ আত-তানুখী ৷ জন্ম হিম্স নগরীতে ৷ তার পিতা তাকে হিমসের সৈন্য বাহিনীর সঙ্গে
পশ্চিামঞ্চলে চলে যান এবং সেখানে বসতি স্থাপন করেন ৷ সেখানে মালেকী মাযহাবের নেতৃত্ব
তার হাতে চলে আসে ৷ তিনি ইবনুল কাসিম-এর ফিকাহ্ আরম্ভ করেন ৷ তার পটভুমি হল, ইমাম
মালিক এর বন্ধু আসাদ ইবনুল ফুরাত আরব থেকে মিসরে চলে আসেন ৷ সেখানে তিনি আবদুর
রহমান ইবনুল কাসিমকে বহু বিষয়ে প্রশ্ন করেন তিনি সেগুলোর উত্তর প্রদান করেন ৷ আসাদ
ইবনুল ফুরাত উত্তরসমুহ লিপিবদ্ধ করে পশ্চিমাঞ্চলে চলে যান ৷ সাহনুন তার থেকে সেগুলো কপি
করে রাখেন ৷ তারপর সাহনুন মিশরে আবদুর রহমান ইবনুল কাসিম এর নিকট গমন করে ৷ উক্ত
প্রশ্নগুলাে পুনরায় উত্থাপন করেন ৷ বিত্, জবাবে ইবনুল কাসিমহ্রাস-বৃদ্ধি করেন এবং কিছু বিষয়
প্রত্যাহার করে নেন ৷ সাহনুন তার বক্তব্য লিপিবদ্ধ করে পাণ্ডুলিপি নিয়ে পশ্চিমাঞ্চলে ফিরে যান ৷
ইবন কাসিম তার সঙ্গে আসাদ ইবনুল ফুরাত-এর প্রতি এই মর্মে পত্র লিখেন যে, আপনার কপিটা
এই কপির সঙ্গে মিলিয়ে নিন এবং ৎশোধন করে নিন ৷ কিন্তু ইবনুল ফুরাত তা গ্রহণ করলেন
না ৷ ইবনুল কাসিম তাকে অভিসম্পাত করলেন, যার ফলে তিনি তার দ্বারা ও তার পাণ্ডুলিপি দ্বারা
উপকৃত হতে পারলেন না ৷ মানুষ সাহনুন-এর দিকে ছুটে আসতে লাগল এবং পাণ্ডুলিপিটি তার-ই
থেকে প্রচার লাভ করল ৷ সাহনুন সমকালের সকলের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিতে পরিণত হলেন এবং
আশি বছর পেয়ে এ বছর মৃত্যুমুখে পতিত হওয়া পর্যন্ত কায়রাওয়ানের বিচারকের পদে আসীন
থাকেন ৷ মহান আল্লাহ তার প্রতি ও আমাদের প্রতি দয়া করুন ৷

২৪ ১ হিজরীর সুচনা

এ বছরের জুমাদাল -উলা কিংবা জুমাদাল উখৃরা হিম্স-এর অধিবাসিগণ তাদের গভর্নর
মুহাম্মদ ইবন আবদুবিয়ার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে ৷ তারা তাকে হত্যা করতে উদ্যত হয় ৷
হিম্স-এর খৃক্টানগণ ও তাদের সহযোগিতা করে ৷ ফলে মুহাম্মদ ইবন আবদুবিয়া পত্র লিখে
খলীফাকে বিষয়টি অবহিত করেন ৷ খলীফা পত্র মারফত তাকে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার
নির্দেশ দেন ৷ তিনি দামেশকের গভর্নরের প্রতি মুহাম্মদ ইবন আবদুৰিয়াকে সৈন্য দিয়ে সাহায্য
করার নির্দেশ প্রেরণ করেন ৷ খলীফা মুহাম্মদ ইবন আবদুরিয়ার প্রতি আরো নির্দেশ প্রেরণ যে,
বিদ্রোহীদের মধ্য থেকে উল্লেখযোগ্য তিন ব্যক্তিকে বেত্রাঘাত করে মেরে ফেল ৷ তারপর
তাদেরকে নগরীর ফার্টকে শুলিতে বিদ্ধ কর ৷ অপর বিশ ব্যক্তির প্রত্যেককে তিনশ করে রেত্রাঘাত
করে শৃৎখলাবদ্ধ করে সামিরায় পাঠিয়ে দাও ৷ সবক’জন খৃক্টানকে বিতাড়িত করে জামে

০০ তো



[سَنَةُ إِحْدَى وَأَرْبَعِينَ وَمِائَتَيْنِ] [الْأَحْدَاثُ الَّتِي وَقَعَتْ فِيهَا] ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ إِحْدَى وَأَرْبَعِينَ وَمِائَتَيْنِ فِي جُمَادَى الْآخِرَةِ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ وَثَبَ أَهْلُ حِمْصَ أَيْضًا عَلَى عَامِلِهِمْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدَوَيْهِ فَأَرَادُوا قَتْلَهُ، وَسَاعَدَهُمْ نَصَارَى أَهْلِهَا أَيْضًا عَلَيْهِ، فَكَتَبَ إِلَى الْخَلِيفَةِ يُعْلِمُهُ بِذَلِكَ، فَكَتَبَ إِلَيْهِ يَأْمُرُهُ بِمُنَاهَضَتِهِمْ، وَكَتَبَ إِلَى مُتَوَلِّي دِمَشْقَ أَنْ يَمُدَّهُ بِجَيْشٍ مِنْ عِنْدِهِ ; لِيُسَاعِدَهُ عَلَى أَهْلِ حِمْصَ وَكَتَبَ إِلَيْهِ أَنْ يَضْرِبَ ثَلَاثَةً مِنْهُمْ مَعْرُوفِينَ بِالشَّرِّ بِالسِّيَاطِ حَتَّى يَمُوتُوا، ثُمَّ يَصْلُبَهُمْ عَلَى أَبْوَابِ الْبَلَدِ، وَأَنْ يَضْرِبَ عِشْرِينَ آخَرِينَ مِنْهُمْ ; كُلَّ وَاحِدٍ ثَلَاثَمِائَةٍ ثَلَاثَمِائَةٍ، وَأَنْ يُرْسِلَهُمْ إِلَى سَامَرَّا مُقَيِّدِينَ فِي الْحَدِيدِ، وَأَنْ يُخْرِجَ كُلَّ نَصْرَانِيٍّ بِهَا، وَيَهْدِمَ كَنِيسَتَهَا الْعُظْمَى الَّتِي إِلَى جَانِبِ الْمَسْجِدِ الْجَامِعِ، وَيُضِيفَهَا إِلَيْهِ، وَأَمَرَ لَهُ بِخَمْسِينَ أَلْفَ دِرْهَمٍ، وَلِلْأُمَرَاءِ الَّذِينَ سَاعَدُوهُ بِصِلَاتٍ سَنِيَّةٍ، فَامْتَثَلَ مَا أَمَرَهُ بِهِ الْخَلِيفَةُ فِيهِمْ. وَفِيهَا أَمَرَ الْخَلِيفَةُ الْمُتَوَكِّلُ عَلَى اللَّهِ بِضَرْبِ رَجُلٍ مِنْ أَعْيَانِ أَهْلِ بَغْدَادَ يُقَالُ لَهُ: عِيسَى بْنُ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَاصِمٍ، فَضُرِبَ ضَرْبًا شَدِيدًا مُبَرِّحًا، يُقَالُ: إِنَّهُ ضُرِبَ أَلْفَ سَوْطٍ حَتَّى مَاتَ. وَذَلِكَ أَنَّهُ شَهِدَ عَلَيْهِ سَبْعَةَ عَشَرَ رَجُلًا عِنْدَ
পৃষ্ঠা - ৮৬৬৭


মসজিদের সন্নিকটন্থ তাদের গির্জাটি ধ্বংস করে দাও এবং সে স্থান পর্যন্ত মসজিদকে সম্প্রসারণ
করে নাও ৷ খলীফা গভর্নর মুহাম্মদ ইবন আবদুবিয়ার জন্য পঞ্চাশ হাজার দিরহাম এবং তার
সহযোগী আমীরদের জন্য মুল্যবান অনুদানের নির্দেশ প্রদান করেন ৷ মুহাম্মদ ইবন আবদুবিয়া
খলীফার নির্দেশ পুংখানুপুংখরুপে বাস্তবায়ন করেন ৷

এ বছর খলীফা মুতাওয়াক্কিল আলাল্লাহ ঈসা ইবন জাফৱ ইবন মুহাম্মদ ইবন আসিম নামক
বগাদাদের এক বিশিষ্ট ব্যক্তিকে প্ৰহার করার নির্দেশ প্রদান করেন ৷ ফলে তাকে কোন প্ৰহার করা
হয় ৷ কথিত আছে যে, লোকটিকে এক হাজার বেত্রাঘাত করা হয় ৷ ফলে লোকটি মৃত্যুমুখে
পতিত হয় ৷

তার কারণ, সতেরজন লোক পুর্বাঞ্চলের বিচারক আবুহাসৃসান আয-যিরাদীর নিকট সাক্ষাৎ
প্রদান করে যে, ঈসা ইবন জা ফর আবু বকর , উমর, আয়শা ও হাফস৷ (বা) কে গালাগাল করে ৷
বিষয়টি খলীফাকে অবহিত করা হলে খলীফা বাগদাদের নায়িব মুহাম্মদ ইবন আবদুল্লাহ্ ইবন
তাহির ইবনুল হুসায়ন-এর নিকট নির্দেশ প্রেরণ করেন, যেন তাকে জনসম্মুখে গালাপালের হদ্দ
হিসেবে প্রহার করে এবং পরে মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত বেত্রাঘাত করে ৷ মৃত্যু হবার পর যেন তাকে
দজলায় ফেলে রাখা হয় এবং যেন তার জানায৷ আদায় করা না হয়, যাতে এই শান্তি দেখে
ইসলামদ্রোহী ব্যক্তিরা ভীত তহয়ে পড়ে ৷ মুহাম্মদ ইবন আবদুল্লাহ তার সঙ্গে অনুরুপ আচরণ
করেন ৷ মহান আল্লাহ তার অমঙ্গল করুন ও তাকে অভিসম্পাত করুন ৷

উল্লেখ্য যে, কেউ যদি হযরত আয়শা (রা) এর প্রতি অপবাদ আরোপ করে, সে
সর্বসম্মতিক্রমে কা ৷ফির বলে গণ্য হবে ৷ অন্যান্য উম্মুহাতু ল মু ’-মিনীন এর ব্যাপারে দু’টি অভিমত
রয়েছে ৷ তবে সঠিক হল, কেউ অন্যান্য উম্মুহ৷ তৃল মু মিনীন এর প্রতি অপবাদ আরোপ করলে ও
সে কাফির হয়ে যাবে ৷ কেননা, তারা ও রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর ত্রী ৷ মহান আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট
হোন ৷ ন্

ইবন জা ৷রীর বলেনং এ বছর বাগদাদে ত ৷রক৷ বিচ্যুৎ হয়ে ভেঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে ৷ ঘটনাটি
ঘটেছিল জুমাদা ল উখৃরার প্রথম রাত তাবৃহস্পতিব র ৷ এ বছর আগন্ট৷ যা সে প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত হয় ৷ এ
বছর প্রচুর গবাদি পশু, বিশেষত গরু মারা যায় ৷ এ বছর রােমানরা আইনে যুরবায় আক্রমণ
চালিয়ে সেখানকার যুত গোত্রের সকল মানুষকে বন্দী করে এবং তাদের নারী-শিশু ও পশুপালকে
ধরে নিয়ে যায় ৷

ইবন জারীর বলেন : এ বছর প্রধান বিচারপতি জাফর ইবন আবদুল ওয়াহিদ-এর
উপস্থিতিতে, থলীফার অনুমতিক্রমে এবং ইবন আবুশৃ শাওয়ারিব এর নেতৃত্বে তারসুস নগরীতে
মুসলমান ও রোমানদের মাঝে বন্দী মুক্তি অনুষ্ঠিত হয় ৷ মুসলমানদের বন্দীর সংখ্যা ছিল পুরুষ
সাতশ পচ৷ শিজন, মহিলা একশ পচিশ ৷জন ৷ বাদশাহ্র মা তাদৃরা (মহান আল্লাহ তাকে লানত
করুন) তার হাতে যারা বন্দব্ছিল, ৷ ৩াদেরকে খৃন্টধর্ম গ্রহণ করা প্রস্তাব প্রদান করে ৷ তাদের সং খ্যা
ছিল প্রায় বিশ হাজার ৷ যারা তার প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে খৃক্টধর্ম গ্রহণ করে, তাদের ব্যতীত
অন্যদেরকে সে হত্যা করে ৷ এই মহিলা বার হাজার মুসলমানকে হত্যা করে ৷ অন্যরা খৃক্টধর্ম
গ্রহণ করে ৷ তার বাইরে প্রায় নয়শ নারী-পুরুষ অবশিষ্ট ছিল যাদের পণ দিয়ে মুক্ত করা হয় ৷

এ বছর বাজ্জা গোষ্ঠী মিসরের একটি বাহিনীর উপর আক্রমণ করে বসে ৷ ইতিপুর্বে বাজ্জা


قَاضِي الشَّرْقِيَّةِ أَبِي حَسَّانَ الزِّيَادِيِّ أَنَّهُ يَشْتُمُ أَبَا بَكْرٍ وَعُمَرَ وَعَائِشَةَ وَحَفْصَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ أَجْمَعِينَ، فَرُفِعَ أَمْرُهُ إِلَى الْخَلِيفَةِ، فَجَاءَ كِتَابُ الْخَلِيفَةِ إِلَى مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ طَاهِرِ بْنِ الْحُسَيْنِ، نَائِبِ بَغْدَادَ يَأْمُرُهُ أَنَّ يَضْرِبَ هَذَا الرَّجُلَ بَيْنَ النَّاسِ حَدَّ السَّبِّ، ثُمَّ يُضْرَبَ بِالسِّيَاطِ حَتَّى يَمُوتَ، وَيُلْقَى فِي دِجْلَةَ وَلَا يُصَلَّى عَلَيْهِ، لِيَرْتَدِعَ بِذَلِكَ أَهْلُ الْإِلْحَادِ وَالْمُعَانَدَةِ. فَفَعَلَ مَعَهُ ذَلِكَ، قَبَّحَهُ اللَّهُ وَلَعَنَهُ. وَمِثْلُ هَذَا يَكْفُرُ إِنْ كَانَ قَدْ قَذَفَ عَائِشَةَ أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ بِالْإِجْمَاعِ، وَفِي مَنْ قَذَفَ سِوَاهَا مِنْ أُمَّهَاتِ الْمُؤْمِنِينَ قَوْلَانِ، وَالصَّحِيحُ أَنَّهُ يَكْفُرُ أَيْضًا ; لِأَنَّهُنَّ أَزْوَاجُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَرَضِيَ عَنْهُنَّ. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ انْقَضَّتِ الْكَوَاكِبُ بِبَغْدَادَ وَتَنَاثَرَتْ، وَذَلِكَ لَيْلَةَ الْخَمِيسِ، لِلَّيْلَةٍ خَلَتْ مِنْ جُمَادَى الْآخِرَةِ. قَالَ: وَفِيهَا مُطِرَ النَّاسُ فِي آبَ مَطَرًا شَدِيدًا جِدًّا. قَالَ: وَفِيهَا مَاتَ شَيْءٌ كَثِيرٌ مِنَ الدَّوَابِّ وَالْبَقَرِ. قَالَ: وَفِيهَا أَغَارَتِ الرُّومُ عَلَى عَيْنِ زَرْبَةَ، فَأَسَرُوا مَنْ بِهَا مِنَ الزُّطِّ وَأَخَذُوا نِسَاءَهُمْ وَذَرَارِيَّهِمْ وَدَوَابَّهُمْ. قَالَ: وَفِيهَا الْفِدَاءُ بَيْنَ الْمُسْلِمِينَ وَالرُّومِ فِي بِلَادِ طَرَسُوسَ بِحَضْرَةِ قَاضِي الْقُضَاةِ جَعْفَرِ بْنِ عَبْدِ الْوَاحِدِ، عَنْ إِذَنِ الْخَلِيفَةِ لَهُ فِي ذَلِكَ، وَاسْتِنَابَتِهِ ابْنَ أَبِي الشَّوَارِبِ. وَكَانَتْ عِدَّةُ الْأَسْرَى مِنَ الْمُسْلِمِينَ سَبْعَمِائَةٍ وَخَمْسَةً وَثَمَانِينَ رَجُلًا، وَمِنَ النِّسَاءِ مِائَةً وَخَمْسًا وَعِشْرِينَ امْرَأَةً، وَقَدْ كَانَتْ أَمُّ الْمَلِكَ تَدُورَةُ لَعَنَهَا اللَّهُ عَرَضَتِ النَّصْرَانِيَّةَ عَلَى مَنْ كَانَ فِي يَدِهَا مِنَ الْأُسَارَى وَكَانُوا نَحْوًا مِنْ عِشْرِينَ أَلْفًا فَمَنْ أَجَابَهَا إِلَى النَّصْرَانِيَّةِ
পৃষ্ঠা - ৮৬৬৮
وَإِلَّا قَتَلَتْهُ فَقَتَلَتِ اثْنَيْ عَشَرَ أَلْفًا، وَتَنَصَّرَ بَعْضُهُمْ، وَبَقِيَ مِنْهُمْ هَؤُلَاءِ الَّذِينَ فُدُوا، وَهُمْ قَرِيبٌ مِنَ التِّسْعِمِائَةِ ; رِجَالًا وَنِسَاءً. وَفِيهَا أَغَارَتِ الْبُجَّةُ عَلَى حَرَسٍ مِنْ أَرْضِ مِصْرَ، وَقَدْ كَانَتِ الْبُجَّةُ لَا يَغْزُونَ الْمُسْلِمِينَ قَبْلَ هَذَا ; لِهُدْنَةٍ كَانَتْ لَهُمْ مِنَ الْمُسْلِمِينَ فَنَقَضُوا الْهُدْنَةَ وَصَرَّحُوا بِالْمُخَالَفَةِ. وَالْبُجَةُ طَائِفَةٌ مِنْ سُودَانِ بِلَادِ الْمَغْرِبِ، وَكَذَا النُّوبَةُ وَالْفَرَوِيَّةُ وَبَيْنُوزُ، وَزُعْرُويِنُ، وَيكْسُومُ، وَأُمَمٌ كَثِيرُونَ لَا يَعْلَمُهُمْ إِلَّا اللَّهُ الَّذِي خَلَقَهُمْ. وَفِي بِلَادِ هَؤُلَاءِ مَعَادِنُ الذَّهَبِ وَالْجَوْهَرِ، وَكَانَ عَلَيْهِمْ حِمْلٌ فِي كُلِّ سَنَةٍ إِلَى دِيَارِ مِصْرَ مِنْ هَذِهِ الْمَعَادِنِ، فَلَمَّا كَانَتْ دَوْلَةُ الْمُتَوَكِّلِ امْتَنَعُوا مِنْ أَدَاءِ مَا عَلَيْهِمْ سِنِينَ مُتَعَدِّدَةً، فَكَتَبَ نَائِبُ مِصْرَ وَهُوَ يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْبَاذَغِيسِيُّ مَوْلَى الْهَادِي وَهُوَ الْمَعْرُوفُ بِقَوْصَرَةَ - بِذَلِكَ كُلِّهِ إِلَى الْمُتَوَكِّلِ، فَغَضِبَ الْمُتَوَكِّلُ مِنْ ذَلِكَ غَضَبًا شَدِيدًا، وَشَاوَرَ فِي أَمْرِ الْبُجَةِ، فَقِيلَ لَهُ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، إِنَّهُمْ قَوْمٌ أَهْلُ إِبِلٍ وَبَادِيَةٍ وَإِنَّ بِلَادَهُمْ بَعِيدَةٌ وَمُعْطِشَةٌ، وَيَحْتَاجُ الْجَيْشُ الذَّاهِبُونَ إِلَيْهَا أَنْ يَتَزَوَّدُوا
পৃষ্ঠা - ৮৬৬৯

মুসলমানদের সঙ্গে যুদ্ধ করত না ৷ কেননা, মুসলমানদের সঙ্গে তাদের শান্তিচুক্তি ছিল ৷ এবার
তারা সেই চুক্তি ভঙ্গ করে এবং প্রকাশ্যে বিরোধিতার ঘোষণা করে ৷ বাজ্জা পশ্চিামাঞ্চলীয় সুদানের
একটি জনগোষ্ঠী ৷ অনুরুপ নাওবা, শানুন, যাগরীর ও ইয়াকসুম প্রভৃতি নামের বহু গোষ্ঠী ছিল,
যাদের পরিসংখ্যান মহান আল্লাহ ব্যতীত কেউ জানে না ৷ এদের ভুখণ্ডগুলােতে সোনা ও মুল্যবান
ধাতব পদার্থের খনি ছিল ৷ এসব খনি থেকে অড়াহরিত সম্পদের একটি অংশ প্রতি বছর তাদেরকে
মিশর দিয়ে আনতে হত ৷ কিন্তু, মুতাওয়াক্কিল খলীফা হওয়ার পর তারা কয়েক বছর পর্যন্ত তা
আদায় করা থেকে বিরত থাকে ৷ ফলে, মিশরের নায়িব ইয়াকুব ইবন ইব্রাহীম আল-বাযপীসী
মাওলাস হাদী-যিনি কাওসারা নামে পরিচিত ছিলেন বিষয়টি মুতাওয়াক্কিলকে অবহিত করেন ৷
শুনে খলীফা মুতাওয়াক্কিল প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হন এবং বাজ্জার ব্যাপারে শলা-পরামর্শ করেন ৷ তাকে বলা
হল, আমীরুল মুমিনীন ! ওরা উট পােষে ৷ এলাকাটা মরু বিয়াবান ৷ এখান থেকে দুরত্ব অনেক
এবং পানির বড় সংকট ৷ বাহিনী যেতে হলে সেখানে অবস্থান গ্রহণের জন্য খাদ্য-পানীয় সঙ্গে
করে নিয়ে যেতে হবে ৷ ফলে, খলীফা অভিযান প্রেরণ থেকে বিরত থাকলেন ৷

পরবর্তীতে খলীফা জানতে পারলেন যে, তারা বিভিন্ন স্থানে লুট-পাট করে চলেছে এবং
মিশরবাসী নিজ সন্তানদের নিয়ে তাদের ব্যাপারে শৎকিত ৷ ফলে, তিনি অভিযান পরিচালনার জন্য
মুহাম্মদ ইবন আবদুল্লাহ আল-কাস্বীকে প্রস্তুত করে তাকে উক্ত সকল নগরী ও তৎপার্শ্ববর্তী
এলাকাসমুহেরক্ষমতা প্রদান করে প্রেরণ করেন এবং মিসরের গভর্নরকে খাদ্য-পানীয়সহ তাকে
সর্ব প্রকার সহযোগিতা দানের জন্য পত্র লিখেন ৷ মুহাম্মদ ইবন আবদুল্লাহ আল-কাঘী রওনা হয়ে
যান ৷ তার সঙ্গে রওনা হয় সেইসব বাহিনী ও বাবা উক্ত এলাকাসমুহ থেকে এসে তার সঙ্গে যোগ
দিয়েছিল ৷ তিনি অশ্বারোহী ও পদাতিক মিলে বিশ হাজার সৈন্যসহ গন্তব্যে পৌছে যান এবং
সাতটি বাহন বোঝাই করে রান্না করা খাবারও বহন করে নিয়ে যান ৷ তিনি উক্ত অঞ্চলে প্রবেশ
করেন এবং তথাকার খনিসমুহ অতিক্রম করেন ৷ বাজ্জার রাজত্ব-যার নাম আলী বাবা-মুহাম্মদ ইবন
আবদৃল্লাহ্র সৈন্য অপেক্ষা কয়েক গুণ বেশী সংখ্যক লোক নিয়ে তার দিকে এগিয়ে আসে ৷ তারা
মুর্তি-পুজারী মুশরিক সম্প্রদায় ৷ বাদশাহ মুসলমানদের সঙ্গে টালবাহানা করতে শুরু করেন, যাতে
তাদের রসদ শেষ হয়ে যায় আর তারা তাদেরকে হাত দ্বারাই ধরে ফেলতে পারে ৷ এক সময়ে
তাদের রসদ শেষ হয়ে গেল ৷ প্রতিপক্ষ তাদের প্রতি হাত বাড়াতে উদ্যত হল ৷ কিন্তু আল্লাহ
তাদের সংকট দুর করে দেন ৷ সকল প্রশং ৷ র্তার-ই জন্য ৷ অপর একটি বাহিনী তাদের নিকট
এসে পৌছে ৷ যাদের সঙ্গে খাদ্য, খেজুর ও যায়তৃন ইত্যাদি প্রয়োজনীয় সবকিছুই রয়েছে ৷ আমীর
প্রয়োজন অনুপাতে সেগুলো মুসলমানদের মাঝে বণ্টন করে দেন ৷ ফলে শত্রুপক্ষ মুসলমানদের
অনাহহ্বরে মৃত্যুবরণ করা থেকে নিরাশ হয়ে গেল ৷ এবার তারা মুসলমানদের সঙ্গে যুদ্ধ করার
প্রস্তুতি নিতে শুরু করল ৷ তাদের বাহন হল উট, যা দেখতে তুর্কি ঘোড়ার ন্যায় ৷ পায়ে পশম
কম ৷ এমন ভীত যে, কিছু দেখলে বা শুনলেই পালাতে উদ্যত হয় ৷ যুদ্ধের সময় ঘনিয়ে এলে
মুসলমানদের আমীর তাদের সঙ্গে বাহিনীতে থাকা সবগুলো ঘপ্টি ঘোড়ার গলায় বেধে দেন ৷ যুদ্ধ
শুরু হল ৷ মুসলমানরা একযোগে হামলা করল ৷ মুসলমানদের ঘোড়ার ঘপ্টির শব্দ শুনে
শত্রুপক্ষের উটগুলাে তাদের নিয়ে এদিক-ওদিক পালাতে শুরু করল ৷ তারা ছিন্নভিন্ন হয়ে গেল ৷
মুসলমানরা ধাওয়া করে তাদের হত্যা করতে শুরু করল ৷ যাকে সামনে পেল, একজনকেও


لِمُقَامِهِمْ بِهَا طَعَامًا وَمَاءً. فَصَدَّهُ ذَلِكَ عَنِ الْبَعْثِ إِلَيْهِمْ، ثُمَّ بَلَغَهُ أَنَّهُمْ يُغِيرُونَ عَلَى أَطْرَافِ الصَّعِيدِ، وَخَشِيَ أَهْلُ مِصْرَ عَلَى أَنْفُسِهِمْ مِنْهُمْ، فَجَهَّزَ لِحَرْبِهِمْ مُحَمَّدَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ الْقُمُّيَّ، وَجَعَلَ إِلَيْهِ نِيَابَةَ تِلْكَ الْبِلَادِ كُلِّهَا الْمُتَاخِمَةِ لِأَرْضِهِمْ، وَكَتَبَ إِلَى عُمَّالِ مِصْرَ أَنْ يُعِينُوهُ بِجَمِيعِ مَا يَحْتَاجُ إِلَيْهِ مِنَ الطَّعَامِ وَغَيْرِ ذَلِكَ، فَتَخَلَّصَ مَعَهُ مِنَ الْجُيُوشِ الَّذِينَ انْضَافُوا إِلَيْهِ مِنْ تِلْكَ الْبِلَادِ حَتَّى دَخَلَ بِلَادَهُمْ فِي عِشْرِينَ أَلْفَ فَارِسٍ وَرَاجِلٍ، وَحَمَلَ مَعَهُ الطَّعَامَ وَالْإِدَامَ فِي مَرَاكِبَ سَبْعَةٍ، وَأَمَرَ الَّذِينَ هُمْ بِهَا أَنْ يُلِجِّجُوا بِهَا فِي الْبَحْرِ، ثُمَّ يُوَافُوهُ بِهَا إِذَا تَوَسَّطَ بِلَادَ الْبُجَةِ، ثُمَّ سَارَ حَتَّى دَخَلَ بِلَادَهُمْ، وَجَاوَزَ مَعَادِنَهُمْ، وَأَقْبَلَ إِلَيْهِ مَلِكُ الْبُجَةِ وَاسْمُهُ: عَلِي بَابَا فِي جَمْعٍ عَظِيمٍ أَضْعَافِ مَنْ مَعَ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْقُمِّيِّ، وَهُمْ قَوْمٌ مُشْرِكُونَ يَعْبُدُونَ الْأَصْنَامَ، فَجَعَلَ الْمَلِكُ يُطَاوِلُ الْمُسْلِمِينَ فِي الْقِتَالِ لَعَلَّهُ تَنْفَدُ أَزْوَادُهُمْ فَيَأْخُذُونَهُمْ بِالْأَيْدِي، فَلَمَّا نَفِدَ مَا عِنْدَ الْمُسْلِمِينَ وَطَمِعَ فِيهِمُ السُّودَانُ يَسَّرَ اللَّهُ وَلَهُ الْحَمْدُ بِوُصُولِ تِلْكَ الْمَرَاكِبِ وَفِيهَا مِنَ الطَّعَامِ وَالتَّمْرِ وَالزَّيْتِ وَغَيْرِ ذَلِكَ مِمَّا يَحْتَاجُونَ إِلَيْهِ شَيْءٌ كَثِيرٌ جِدًّا، فَقَسَّمَهُ الْأَمِيرُ بَيْنَ الْمُسْلِمِينَ بِحَسَبِ حَاجَاتِهِمْ، فَيَئِسَ السُّودَانُ مِنْ هَلَاكِ الْمُسْلِمِينَ جُوعًا، فَشَرَعُوا فِي التَّأَهُّبِ لِقِتَالِ الْمُسْلِمِينَ، وَكَانُوا يَرْكَبُونَ عَلَى إِبِلٍ شَبِيهَةٍ بِالْهُجُنِ زَعِرَةٍ جِدًّا كَثِيرَةِ النِّفَارِ، لَا تَكَادُ تَرَى شَيْئًا، وَلَا تَسْمَعُ شَيْئًا إِلَّا جَفَلَتْ مِنْهُ. فَلَمَّا كَانَ
পৃষ্ঠা - ৮৬৭০
يَوْمُ الْحَرْبِ عَمَدَ الْأَمِيرُ إِلَى جَمِيعِ الْأَجْرَاسِ الَّتِي مَعَهُمْ فِي الْجَيْشِ فَجَعَلَهَا فِي رِقَابِ الْخَيْلِ، فَلَمَّا كَانَتِ الْوَقْعَةُ حَمَلَ الْمُسْلِمُونَ حَمْلَةَ رَجُلٍ وَاحِدٍ، فَهَرَبَ السُّودَانُ فِرَارَ رَجُلٍ وَاحِدٍ، وَنَفَرَتْ إِبِلُهُمْ مِنْ أَصْوَاتِ تِلْكَ الْأَجْرَاسِ فِي كُلِّ وَجْهٍ، وَتَفَرَّقُوا شَذَرَ مَذَرَ، وَاتَّبَعَهُمُ الْمُسْلِمُونَ يَقْتُلُونَ مَنْ شَاءُوا، لَا يَمْتَنِعُ مِنْهُمْ أَحَدٌ فَلَا يَعْلَمُ عَدَدَ مَنْ قُتِلَ مِنْهُمْ إِلَّا اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ، ثُمَّ أَصْبَحُوا وَقَدِ اجْتَمَعُوا رَجَّالَةً، فَكَسَبَهُمُ الْقُمِّيُّ مِنْ حَيْثُ لَا يَشْعُرُونَ فَقَتَلَ عَامَّةَ مَنْ بَقِيَ مِنْهُمْ، وَأَخَذَ الْمَلِكَ بِالْأَمَانِ، وَأَدَّى مَا كَانَ عَلَيْهِ مِنَ الْحِمْلِ، وَأَخَذَهُ مَعَهُ أَسِيرًا إِلَى الْخَلِيفَةِ، وَكَانَتْ هَذِهِ الْوَقْعَةُ فِي أَوَّلِ يَوْمٍ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ وَكَانَ وُصُولُهُ إِلَى الْخَلِيفَةِ فِي أَوَاخِرِ هَذِهِ السَّنَةِ، فَوَلَّاهُ الْخَلِيفَةُ عَلَى بِلَادِهِ كَمَا كَانَ، وَجَعَلَ إِلَى ابْنِ الْقُمِّيِّ أَمْرَ تِلْكَ النَّاحِيَةِ، وَالنَّظَرَ فِي أَمْرِهَا، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَمَاتَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْمَعْرُوفُ بِقَوْصَرَةَ فِي جُمَادَى الْآخِرَةِ. قُلْتُ: وَهَذَا الرَّجُلُ كَانَ نَائِبًا عَلَى الدِّيَارِ الْمِصْرِيَّةِ مِنْ جِهَةِ الْمُتَوَكِّلِ عَلَى اللَّهِ وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ دَاوُدَ، وَحَجَّ جَعْفَرُ بْنُ دِينَارٍ فِيهَا وَهُوَ وَالِي طَرِيقِ مَكَّةَ وَأَحْدَاثِ الْمَوْسِمِ.
পৃষ্ঠা - ৮৬৭১


৫রহাই দিল না ৷ তাতে তাদের কত লোক যে খুন হল, তার সংখ্যা মহান আল্লাহ ব্যতীত কেউ
জানেন না ৷ ভোরবেলা অবশিষ্টরা একন্থানে পায়ে হেটে জড়ো হল ৷৩ তাদের উপর তা ৷দের অজ্ঞাতে

আক্রমণ করে বললেন ৷ তাদের অধিকাংশকে হত্যা করে এবং নিরাপদে তাদের রাজাকে ধরে
সঙ্গে করে খলীফ৷ র নিকট নিয়ে৷ যা ন ৷

এ ঘটনা ঘটেছিল এই বছরের প্রথম দিন ৷ খলীফ৷ বাজ কে তার এলাকার শাসক নিযুক্ত
করে , যেমনটি সে পুর্বে ছিল এবং ইবনুল কামীকে উক্ত অঞ্চলের দেখাওনার দায়িত্ব প্রদান
করেন ৷ সকল প্রশংসা মহান আল্লাহ্রই জন্য ৷

ইবন জারীর বলেন : এ বছর জুমাদাল উখরায় ইয়াকুব ইবন ইবরাহীম-যিনি কাওসারা নামে
প্রসিদ্ধ ছিলেন মৃত্যুমুখে পতিত হন ৷ আমার মতে এই লোকটি খলীফা মুতাওয়াক্কিলের পক্ষ
থেকে মিসরের নায়িব ছিলেন ৷

এ বছর আবদুল্লাহ ইবন মাহার ইবন দাউদ মানুষকে হজ্জ করান এবং হজ্জ ও পবিত্র মক্কার
পথ নিয়ন্ত্রণে বিষয়ক যিম্মাদার জাফর ইবন দীনার হজ্জ করেন ৷

ইবন জারীর এ বছর কোন মুহাদ্দিস-এর মৃত্যু হবার কথা উল্লেখ করেননি ৷ অথচ, এ বছর
বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মধ্যে ইমাম আহমদ ইবন হাম্বল ও জাবারা ইবনুল মুসলিম আল-হামামী, আবু

ছাওরা আল-হাসবী, ঈসা ইবন হাম্মাদ সাজ্জাদা ও ইয়াকুব ইবন হুমায়দ ইবন কাসিব মৃত্যুমুখে
পতিত হন ৷

ইমাম আহমদ ইবন হাম্বল (র)
আহমদ ইবন মুহাম্মদ ইবন হাম্বল ইবন হিলাল ইবন আসাদ ইবন ইদরীস ইবন আবদুল্লাহ
ইবন হায়্যান ইবন আবদুল্লাহ ইবন আনাস ইবন আওফ ইবন কাসিত ইবন মাযিন ইবন শায়বান
ইবন যাহ্ল ইবন ছালাব৷ ইবন উকাবা ইবন সা’ব ইবন আলী ইবন বকর ইবন ওয়ায়িল ইবন
কাসিত ইবন হামব ইবন আকসা ইবন দামী ইবন জাদীলা ইবন আসাদ ইবন রাবীআ ইবন নাযার
ইবন মাদ ইবন আদন৷ ৷ন ইবন আদবান ইবন অ ৷দাদ ইবনুল হামীস৷ ইবন হামৃল ইবন না ৷বৃত ইবন
কায়দার ইবন ইসমাঈল ইবন ইব্রাহীম (আ) আবু আবদুল্লাহ আশ-শায়বানী ৷৩ তারপর মারুযী
তারপর বাপদ৷ ৷দী ৷
আল-হাফিযুল কাবীর আবুবকর আ ল-বায়হ৷ ৷কী তার রচিত গ্রন্থ মানা ৷কিবে আহমদ-এ তারই
শায়খ মুসতাদরাক এর রচয়িতা হাকিম আবু আবদুল্লাহ আ ৷ল-হাকিম এর সুত্রে এই ব ×শধারা ই
উল্লেখ করেছেন ৷
ইমাম আহমদ-এর ছেলে সালিহ্ থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেছেন৪ আমার পিতা
আমার এক কিভাবে এই বংশধারা দেখতে পেয়ে বলেন৪ এ দিয়ে তুমি কী করবে ? তিনি এই
ৎশধ৷ রাকে অস্বীকার করেননি ৷
ইতিহাসবিদগণ বলেন৪ ইমাম আহমদ এর পিতা ৷তাকে নিয়ে মার্ভ থেকে বাগদাদ চলে
যান ৷ তিনি তখন৩ র মায়ের গর্ভে ৷ তারপর একশ ৷চৌষট্টি হিজরীর রবীউল আওয়াল মাসে তার
মা তাকে বাগদাদে প্রসব করেন ৷ তার পিতা যখন মৃত্যুযুখে পতিত হন, তখন তার বয়স তিন
বছর ৷ পরে তার মা তাকে লালন পালন করেন ৷ স৷ ৷লিহতা তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন যে তিনি


وَلَمْ يَتَعَرَّضِ ابْنُ جَرِيرٍ لِوَفَاةِ أَحَدٍ مِنَ الْمُحَدِّثِينَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ. [مَنْ تُوُفِّيَ مِنَ الْأَعْيَانِ فَى سَنَةِ إِحْدَى وَأَرْبَعِينَ وَمِائَتَيْنِ] [تَرْجَمَةُ الْإِمَامِ أَحْمَدَ بْنِ حَنْبَلٍ] وَقَدْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ: الْإِمَامُ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، وَجُبَارَةُ بْنُ الْمُغَلِّسِ الْحِمَّانِيُّ، وَأَبُو تَوْبَةَ الْحَلَبِيُّ، وَالْحَسَنُ بْنُ حَمَّادٍ، سَجَّادَةُ، وَيَعْقُوبُ بْنُ حُمَيْدِ بْنِ كَاسِبٍ. وَلْنَذْكُرْ شَيْئًا مِنْ أَخْبَارِ الْإِمَامِ أَحْمَدَ بْنِ حَنْبَلٍ رَحِمَهُ اللَّهُ وَفَضَائِلِهِ وَمَنَاقِبِهِ وَمَآثِرِهِ عَلَى سَبِيلِ الِاخْتِصَارِ فَنَقُولُ وَبِاللَّهِ الْمُسْتَعَانُ: هُوَ أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ حَنْبَلِ بْنِ هِلَالِ بْنِ أَسَدِ بْنِ إِدْرِيسَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَيَّانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَنَسِ بْنِ عَوْفِ بْنِ قَاسِطِ بْنِ مَازِنِ بْنِ شَيْبَانَ بْنِ ذُهْلِ بْنِ ثَعْلَبَةَ بْنِ عُكَابَةَ بْنِ صَعْبِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ بَكْرِ بْنِ وَائِلِ بْنِ قَاسِطِ
পৃষ্ঠা - ৮৬৭২
بْنِ هِنْبِ بْنِ أَفْصَى بْنِ دُعْمِيِّ بْنِ جَدِيلَةَ بْنِ أَسَدِ بْنِ رَبِيعَةَ بْنِ نِزَارِ بْنِ مَعَدِّ بْنِ عَدْنَانَ بْنِ أُدِّ بْنِ أُدَدِ بْنِ الْهَمَيْسَعِ بْنِ حَمَلِ بْنِ النَّبْتِ بْنِ قَيْدَارِ بْنِ إِسْمَاعِيلَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ الْخَلِيلِ، عَلَيْهِمَا السَّلَامُ، أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الشَّيْبَانِيُّ، ثُمَّ الْمَرْوَزِيُّ، ثُمَّ الْبَغْدَادِيُّ هَكَذَا سَاقَ نَسَبَهُ الْحَافِظُ الْكَبِيرُ أَبُو بَكْرٍ الْبَيْهَقِيُّ رَحِمَهُ اللَّهُ فِي الْكِتَابِ الَّذِي جَمَعَهُ فِي مَنَاقِبِ الْإِمَامِ أَحْمَدَ، عَنْ شَيْخِهِ الْحَافِظِ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ الْحَاكِمِ صَاحِبِ " الْمُسْتَدْرَكِ ". وَرَوِيَ عَنْ صَالِحٍ ابْنِ الْإِمَامِ أَحْمَدَ، قَالَ: رَأَى أَبِي هَذَا النَّسَبَ فِي كِتَابٍ لِي، فَقَالَ: وَمَا تَصْنَعُ بِهَذَا؟ وَلَمْ يُنْكِرِ النَّسَبَ. قَالُوا: وَقَدِمَ بِهِ أَبُوهُ مِنْ مَرْوَ وَهُوَ حَمْلٌ، فَوَضَعَتْهُ أُمُّهُ فِي بِبَغْدَادَ فِي رَبِيعٍ الْأَوَّلِ مِنْ سَنَةِ أَرْبَعٍ وَسِتِّينَ وَمِائَةٍ، وَتُوُفِّيَ أَبُوهُ وَهُوَ ابْنُ ثَلَاثِينَ سَنَةً، فَكَفَلَتْهُ أُمُّهُ. قَالَ صَالِحٌ، عَنْ أَبِيهِ: فَثَقَبَتْ أُذُنِي وَجَعَلَتْ فِيهِمَا لُؤْلُؤَتَيْنِ فَلَمَّا كَبِرْتُ دَفَعَتْهُمَا إِلَيَّ فَبِعْتُهُمَا بِثَلَاثِينَ دِرْهَمًا. وَتُوُفِّيَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ يَوْمَ الْجُمِعَةِ الثَّانِيَ عَشَرَ مِنْ رَبِيعٍ الْأَوَّلِ مِنْ سَنَةِ إِحْدَى وَأَرْبَعِينَ وَمِائَتَيْنِ، وَلَهُ مِنَ الْعُمْرِ سَبْعٌ وَسَبْعُونَ سَنَةً، رَحِمَهُ اللَّهُ. وَقَدْ كَانَ فِي حَدَاثَتِهِ يَخْتَلِفُ إِلَى مَجْلِسِ الْقَاضِي أَبِي يُوسُفَ، ثُمَّ تَرَكَ ذَلِكَ وَأَقْبَلَ عَلَى سَمَاعِ الْحَدِيثِ، فَكَانَ أَوَّلُ طَلَبِهِ لِلْحَدِيثِ وَأَوَّلُ سَمَاعِهِ مِنْ
পৃষ্ঠা - ৮৬৭৩
مَشَايِخِهِ فِي سَنَةِ تِسْعٍ وَسَبْعِينَ وَمِائَةٍ، وَلَهُ مِنَ الْعُمْرِ سِتَّ عَشْرَةَ سَنَةً، وَأَوَّلُ حَجَّةٍ حَجَّهَا فِي سَنَةِ سَبْعٍ وَثَمَانِينَ وَمِائَةٍ، ثُمَّ فِي سَنَةِ إِحْدَى وَتِسْعِينَ. وَفِيهَا حَجَّ الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، ثُمَّ فِي سَنَةِ سِتٍّ وَتِسْعِينَ، وَجَاوَرَ إِلَى سَنَةِ سَبْعٍ وَتِسْعِينَ، ثُمَّ حَجَّ فِي سَنَةِ ثَمَانٍ وَتِسْعِينَ، وَجَاوَرَ إِلَى سَنَةِ تِسْعٍ وَتِسْعِينَ، سَافَرَ إِلَى عِنْدِ عَبْدِ الرَّزَّاقِ بِالْيَمَنِ، فَكَتَبَ عَنْهُ هُوَ وَيَحْيَى بْنُ مَعِينٍ، وَإِسْحَاقُ بْنُ رَاهَوَيْهِ. قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَجَجْتُ خَمْسَ حِجَجٍ ; مِنْهَا ثَلَاثٌ رَاجِلًا، أَنْفَقْتُ فِي إِحْدَى هَذِهِ الْحِجَجِ ثَلَاثِينَ دِرْهَمًا. قَالَ: وَقَدْ ضَلَلْتُ فِي بَعْضِ هَذِهِ الْحِجَجِ، عَنِ الطَّرِيقِ وَأَنَا مَاشٍ، فَجَعَلْتُ أَقُولُ: يَا عِبَادَ اللَّهِ دَلُّونِي عَلَى الطَّرِيقِ، فَلَمْ أَزَلْ أَقُولُ ذَلِكَ حَتَّى وَقَفْتُ عَلَى الطَّرِيقِ. قَالَ: وَخَرَجْتُ إِلَى الْكُوفَةِ فَكُنْتُ فِي بَيْتٍ تَحْتَ رَأْسِي لَبِنَةٌ، وَلَوْ كَانَ عِنْدِي خَمْسُونَ دِرْهَمًا ; كُنْتُ رَحَلْتُ إِلَى جَرِيرِ بْنِ عَبْدِ الْحَمِيدِ إِلَى الرَّيِّ وَخَرَجَ بَعْضُ أَصْحَابِنَا وَلَمْ يُمْكِنِّي الْخُرُوجُ ; لِأَنَّهُ لَمْ يَكُنْ عِنْدِي شَيْءٌ. وَقَالَ ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ حَرْمَلَةَ: سَمِعْتُ الشَّافِعِيَّ يَقُولُ:
পৃষ্ঠা - ৮৬৭৪

বলেন : তখন আমার যা আমার উভয় কান ছিন্ন করে তাতে দুটি মুক্তা স্থাপন করে দেন ৷ বড়
হওয়ার পর মা মুজাগুলো আমাকে দিয়ে দেন ৷ আমি সেগুলো ত্রিশ দিরহড়ামে বিক্রি করি ৷

আবুআবদুল্লাহ্ আহমদ ইবন হড়াম্বল দৃইশ একচল্লিশ হিজরীর বার রবীউল আওয়াল জুমুআর
দিয়ে ইনতিকাল করেন ৷ সে সময় তার বয়স হয়েছিল সাতাত্তুর বছর ৷ মহান আল্লাহ তার প্রতি
রহম করুন ৷

ইমাম আহমদ ইবন হাম্বল শৈশবে কাঘী আবু ইউসুফ-এর মজলিসে যাওয়া-আসা করতেন ৷
পরে তা ছেড়ে দিয়ে হাদীস শ্রবণের প্রতি মনোনিবেশ করেন ৷ স্বীয় শড়ায়খদের থেকে তার
সর্বপ্রথম হাদীষ অম্বেষণ ও শ্রবণের ঘটনা ঘটে একশ সাতাশি হিজরীতে ৷ তখন তার বয়স ছিল
ষোল বছর ৷ তিনি সর্বপ্রথম হজ্জ করেন একশ সতােশি হিজরী সনে ৷ তারপর একশ একানব্বই
সনে ৷ এ বছর ওয়ালীদ ইবন মুসলিমও হজ্জ করেছেন ৷ তারপর একশ ছিয়ানব্বই হিজরীতে ৷
একশ সাতানব্বই হিজরীতে তিনি ইতিকাফে বলেন ৷ তারপর একশ আটানব্বই হিজরীতে আবার
হজ্জ করেন এবং একশ নিরানব্বই হিজরী পর্যন্ত ইতিকাফ পালন করে ৷ তারপর আবদুর
রাঘৃযাক-এর নিকট ইয়ামানে চলে যান ৷ সেখানে তিনি, ইয়াহ্ইয়া ইবন মুঈন এবং ইসহাক ইবন
রাহ্ওয়াই আবদুর রাযযাক থেকে হাদীস লিপিবদ্ধ করেন ৷

ইমাম আহমদ বলেন : আমি পাচ্ৰার হজ্জ করেছি ৷ তার মাঝে তিনবার পায়ে হেটে ৷ এর
প্রতি হরুজ্জ আমি ব্যয় করেছি ত্রিশ দিরহাম করে ৷

তিনি বলেন : একবার হরুজ্জর উদ্দেশ্যে রওনা করে আমি পথ হারিয়ে ফেলি ৷ তখন আমি
হেটে চলছিলাম ৷ ফলে, আমি বলতে শুরু করলাম : হে আল্লাহ্র বন্দোগণ ! তোমরা আমাকে
পথের সন্ধান দাও ৷ আমি এ কথাটা বলে চলেছি ৷ এরই মধ্যে আমি সঠিক পথ পেয়ে গেলাম ৷

ইমাম আহমদ বলেন : একবার আমি কুফার উদ্দেশ্যে রওনা হই ৷ পথে এক বাড়িতে আমি
মাথার নীচে ইট রেখে রাত যাপন করি ৷ যদি আমার নিকট নব্বইটি দিরহামও থাকত, তাহলে
আমি রাই এলাকায় জারীর ইবন আবদুল্লাহ্র নিকট চলে যেতাম ৷ আমার অনেক সঙ্গী গিয়েছিল ৷
বিত্, আমি যেতে পারিনি ৷ কারণ, আমার নিকট একটি কপর্দকও ছিল না ৷

ইবন আবুহাতিম তার পিতার সুত্রে হারমালা থেকে বর্ণনা করেন যে, হারমালা বলেন : আমি
ইমাম শাফিঈকে বলতে শুনেছি : আহমদ ইবন হাম্বল মিশরে আমার নিকট আগমন করার ওয়াদা
দিয়েছিলেন ৷ কিন্তু তিনি আসেননি ৷

ইবন আবু হাতিম বলেন : সম্ভবত আর্থিক সংকটের কারণে তার এই ওয়াদা পুরণ করতে
পারেননি ৷ আহমদ ইবন হাম্বল বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেছেন এবং সমকালীন শায়থদের থেকে
হাদীস শ্রবণ করেছেন ৷ তার হাদীস শ্রবণকালেই শায়খগণ তাকে শ্রদ্ধা করতেন ৷

আমাদের শায়খ তার তাহযীব’ নামক গ্রন্থে আরবী বর্ণমালার ধারাবাহিকতা অনুযায়ী তার
শায়খদের নাম সংকলন করেছেন ৷ অনুরুপ যারা তার থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন, তাদের
নামও

ইমাম বায়হাকী ইলম আহমদ-এর একদল শায়খ-এর উল্লেখ করার পর বলেছেন : ইমাম
আহমদ তার মুসনাদ প্রভৃতি কিভাবে ইমাম শহ্বফিঈ থেকে রিওয়ায়াত উল্লেখ করেছেন এবং তার


وَعَدَنِي أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ أَنْ يَقْدَمَ عَلَيَّ مِصْرَ فَلَمْ يَقْدَمْ. قَالَ ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ: يُشْبِهُ أَنْ تَكُونَ خِفَّةُ ذَاتِ الْيَدِ حَالَتْ بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْوَفَاءِ بِالْعِدَةِ. وَقَدْ طَافَ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ فِي الْبِلَادِ وَالْآفَاقِ، وَسَمِعَ مِنْ مَشَايِخِ الْعَصْرِ، وَكَانُوا يُجِلُّونَهُ وَيَحْتَرِمُونَهُ فِي حَالِ سَمَاعِهِ مِنْهُمْ. وَقَدْ سَرَدَ شَيْخُنَا فِي " تَهْذِيبِهِ " أَسْمَاءَ شُيُوخِهِ مُرَتَّبِينَ عَلَى حُرُوفِ الْمُعْجَمِ، وَكَذَلِكَ الرُّوَاةَ عَنْهُ. قَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَيْهَقِيُّ، بَعْدَ أَنْ ذَكَرَ جَمَاعَةً مِنْ شُيُوخِ الْإِمَامِ أَحْمَدَ: وَقَدْ أَكْثَرَ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ فِي " الْمُسْنَدِ " وَغَيْرِهِ الرِّوَايَةَ عَنِ الشَّافِعِيِّ، وَأَخَذَ عَنْهُ جُمْلَةً مِنْ كَلَامِهِ فِي أَنْسَابِ قُرَيْشٍ، وَأَخَذَ عَنْهُ مِنَ الْفِقْهِ مَا هُوَ مَشْهُورٌ. وَحِينَ تُوُفِّيَ أَحْمَدُ وَجَدُوا فِي تَرِكَتِهِ رِسَالَتَيِ الشَّافِعِيِّ ; الْقَدِيمَةَ وَالْجَدِيدَةَ. قُلْتُ: قَدْ أَفْرَدَ مَا رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ عَنْ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ الشَّافِعِيِّ، وَهِيَ أَحَادِيثُ لَا تَبْلُغُ عِشْرِينَ حَدِيثًا ; وَمِنْ أَحْسَنِ مَا رُوِّينَاهُ عَنِ الْإِمَامِ أَحْمَدَ، عَنِ الْإِمَامِ الشَّافِعِيِّ، عَنِ الْإِمَامِ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «نَسَمَةُ الْمُؤْمِنِ طَائِرٌ تَعَلَّقُ فِي شَجَرِ الْجَنَّةِ حَتَّى يُرْجِعَهُ اللَّهُ إِلَى جَسَدِهِ يَوْمَ يَبْعَثُهُ» .
পৃষ্ঠা - ৮৬৭৫
وَقَدْ قَالَ الشَّافِعِيُّ لِأَحْمَدَ لَمَّا اجْتَمَعَ بِهِ فِي الرِّحْلَةِ الثَّانِيَةِ إِلَى بَغْدَادَ بَعْدَ سَنَةِ تِسْعِينَ وَمِائَةٍ، وَعُمُرُ أَحْمَدَ إِذْ ذَاكَ نَيِّفٌ وَثَلَاثُونَ سَنَةً، قَالَ لَهُ: يَا أَبَا عَبْدِ اللَّهِ، إِذَا صَحَّ عِنْدَكُمُ الْحَدِيثُ فَأَعْلِمْنِي بِهِ ; أَذْهَبُ إِلَيْهِ حِجَازِيًّا كَانَ أَوْ شَامِيًّا أَوْ عِرَاقِيًّا أَوْ يَمَنِيًّا. يَعْنِي أَنَّهُ لَا يَقُولُ بِقَوْلِ فُقَهَاءِ الْحِجَازِ الَّذِينَ لَا يَقْبَلُونَ إِلَّا رِوَايَةَ الْحِجَازِيِّينَ وَيُنْزِلُونَ أَحَادِيثَ مَنْ سِوَاهُمْ مَنْزِلَةَ أَحَادِيثِ أَهْلِ الْكِتَابِ. وَقَوْلُ الشَّافِعِيِّ لَهُ هَذِهِ الْمَقَالَةَ تَعْظِيمٌ لِأَحْمَدَ وَإِجْلَالٌ لَهُ، وَإِنَّهُ عِنْدَهُ بِهَذِهِ الْمَثَابَةِ إِذَا صَحَّحَ أَوْ ضَعَّفَ يَرْجِعُ إِلَيْهِ فِي ذَلِكَ، وَقَدْ كَانَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ بِهَذِهِ الْمَثَابَةِ عِنْدَ الْأَئِمَّةِ وَالْعُلَمَاءِ، كَمَا سَيَأْتِي ثَنَاءُ الْأَئِمَّةِ عَلَيْهِ وَاعْتِرَافُهُمْ لَهُ بِعُلُوِّ الْمَكَانَةِ وَارْتِفَاعِ الْمَنْزِلَةِ فِي الْعِلْمِ وَالْحَدِيثِ، رَحِمَهُمُ اللَّهُ، وَقَدْ بَعُدَ صِيتُهُ فِي زَمَانِهِ وَاشْتُهِرَ اسْمُهُ فِي شَبِيبَتِهِ فِي الْآفَاقِ. ثُمَّ حَكَى الْبَيْهَقِيُّ كَلَامَ أَحْمَدَ فِي الْإِيمَانِ، وَأَنَّهُ قَوْلٌ وَعَمَلٌ يَزِيدُ وَيَنْقُصُ، وَكَلَامُهُ فِي أَنَّ الْقُرْآنَ كَلَامُ اللَّهِ غَيْرُ مَخْلُوقٍ، وَإِنْكَارُهُ عَلَى مَنْ يَقُولُ: إِنَّ لَفْظَهُ بِالْقُرْآنِ مَخْلُوقٌ يُرِيدُ بِهِ الْقُرْآنَ. قَالَ: وَفِيمَا حَكَى أَبُو عُمَارَةَ وَأَبُو جَعْفَرٍ، أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ شَيْخُنَا السَّرَّاجُ، عَنْ أَحْمَدَ بْنِ حَنْبَلٍ أَنَّهُ قَالَ: اللَّفْظُ
পৃষ্ঠা - ৮৬৭৬
مُحْدَثٌ. وَاسْتَدَلَّ بِقَوْلِهِ {مَا يَلْفِظُ مِنْ قَوْلٍ إِلَّا لَدَيْهِ رَقِيبٌ عَتِيدٌ} [ق: 18] قَالَ: فَاللَّفْظُ كَلَامُ الْآدَمِيِّينَ. وَرَوَى غَيْرُهُمَا عَنْ أَحْمَدَ أَنَّهُ قَالَ: الْقُرْآنُ كَيْفَ مَا تَصَرَّفَ فِيهِ غَيْرُ مَخْلُوقٍ، وَأَمَّا أَفْعَالُنَا فَهِيَ مَخْلُوقَةٌ. قُلْتُ: وَقَدْ قَرَّرَ الْبُخَارِيُّ هَذَا الْمَعْنَى فِي أَفْعَالِ الْعِبَادِ، وَذَكَرَهُ أَيْضًا فِي " الصَّحِيحِ "، وَاسْتَدَلَّ بِقَوْلِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «زَيِّنُوا الْقُرْآنَ بِأَصْوَاتِكُمْ» وَلِهَذَا قَالَ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ الْأَئِمَّةِ: الْكَلَامُ كَلَامُ الْبَارِئِ، وَالصَّوْتُ صَوْتُ الْقَارِئِ، وَقَدْ قَرَّرَ الْبَيْهَقِيُّ ذَلِكَ أَيْضًا. وَرَوَى الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ إِسْمَاعِيلَ بْنِ مُحَمَّدٍ السُّلَمِيِّ، عَنْ أَحْمَدَ أَنَّهُ قَالَ: مَنْ قَالَ: الْقُرْآنُ مُحْدَثٌ. فَهُوَ كَافِرٌ. وَمِنْ طَرِيقِ أَبِي الْحَسَنِ الْمَيْمُونِيِّ، عَنْ أَحْمَدَ أَنَّهُ أَجَابَ الْجَهْمِيَّةَ حِينَ احْتَجُّوا عَلَيْهِ بِقَوْلِهِ تَعَالَى {مَا يَأْتِيهِمْ مِنْ ذِكْرٍ مِنْ رَبِّهِمْ مُحْدَثٍ إِلَّا اسْتَمَعُوهُ وَهُمْ يَلْعَبُونَ} [الأنبياء: 2] قَالَ: يُحْتَمَلُ أَنْ يَكُونَ تَنْزِيلُهُ إِلَيْنَا هُوَ الْمُحْدَثَ، لَا الذِّكْرُ نَفْسُهُ هُوَ الْمُحْدَثُ.
পৃষ্ঠা - ৮৬৭৭


থেকে কুরায়শ এ-র বং শ ধারা এবং উল্লেখযোগ্য ফিকাহ্ আয়ত্ত করেন ৷ ইলম আহমদ যখন
ইনতিকা ৷ল করেন, তখন তার ত্যাজ্য সম্পত্তির মধ্যে ইমাম শাফিঈর দু টি পুস্তক আল-কাদীমা ও
আলজাদীদা পাওয়া গিয়েছিল ৷

আমার মতে : ইমাম আহমদ ইমাম শাফিঈ (র) থেকে যে ক’টি হাদীস বর্ণনা করেছেন,
ইমাম বায়হাকী এককতাবে সেগুলো উদ্ধৃত করেছেন ৷ তার পরিমাণ কুড়িরও কম হবে ৷
ইমাম শাফিঈ থেকে ইমাম আহমদ বর্ণিত যেসব হাদীস আমরা বর্ণনা করেছি, তার মধ্যে
সর্বোত্তম হাদীস হলং কা’ব ইবন মালিক থেকে যথাক্রমে আবদুর রহমান ইবন কা’ব ইবন
মালিক যুহরী, মালিক ইবন আনাস ও ইমাম মালিক সুত্রে ইমাম আহমদ ইবন হাম্বল বর্ণনা করেন
যে, কা ব ইবন ম ৷লিক বলেনঃ রাসুলুল্লা হ্ (সা) ইরশা ৷দ করেন

অর্থাৎ মু’মিনের প্রাণ হল একটি পাখি, যা জান্নাতের বৃক্ষে ঝুলে থাকে ৷ তারপর পুনরুথানের
সময় তাকে তা ৷র দেহে ফিরিয়ে দেওয়া হবে ৷

ইমাম শাফিঈ (র) একশ নব্বই ইিজরীতে তার দ্বিতীয় ব ৷৷গদ দ সফরে যখন ইমাম আহমদ
-এর সঙ্গে মিলিত হন, খনত তিনি ইমাম আহমদকে বলেছিলেনং : হে অ৷ বদুল্লাহ্র পিতা যখন
আপনার নিকট কোন হাদীস সহীহ্ বলে প্রমাণিত হবে, তখন বিষয়টি আমাকে অবহিত করবেন ৷
আমি তার নিকট বলে তিনি হিযাজী হোন, শামী হোন, ইরাকী হোন কিংবা ইয়ামানী ৷ অর্থাৎ ইমাম
শাফিঈর দৃষ্টিভঙ্গি হিযাজে সেসব ফকীহ্র দৃষ্টির ন্যায় নয়, যারা হিয৷ জীদের বর্ণনা ব্যতীত গ্রহণ
করতেন না এবং তাদের ব্যতীত ৩অন্যদের হাদীসসমুহকে আহলে কি৩ ৷বের হাদীসের ন্যায়
মুল্যায়ন করতেন ৷ ইমাম আহমদ (র) এর উদ্দেশ্যে ইমাম শাফিঈ (র) এর এই উক্তির অর্থ
হল, ’ ইমাম আহমদ-এর প্ৰতি সম্মান প্রদর্শন এবং একথা বুঝানো যে, তার অবস্থান এতই
গ্রহণযোগ্য যে, সহীহ্-যঈফ সকল ক্ষেত্রে তার শরণাপন্ন হওয়া যায় ৷ ইমাম ও আলিমগণের নিকট
ইমাম আহমদ (র)-এর এই মর্যাদা ছিল ৷ এ ব্যাপারে পরে আলোচনা আসছে যে, ইমামগণ
ইমাম আহমদ ইবন হাম্বল এর প্রশং ×সা করেছেন এবং ইলম ও হাদীসে৩৷ ৷র সুউচ্চ মর্যাদার কথা
স্বীকার করেছেন ৷ যৌবন বয়সেই সর্বত্র তার সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল ৷ উল্লেখ্য যে, ইমাম
শাফিঈ যখন উক্ত বক্তব্য প্রদান করেন, তখন ইমাম আহমদ (র) এর বয়স ছিল ত্রিশ-এর অল্প
বেশী ৷

তারপর বায়হাকী ঈমান বিষয়ে ইমাম আহমদ-এর অভিমত বর্ণনা করেন যে, তার মতে
ঈমান বলা ও আমলের নাম এবং ঈমান বাড়ে ও কমে ৷ তাছাড়া পবিত্র কুরআন সম্পর্কে তীর
অভিমত হল, কুরআন মজীদ মহান আল্লাহর বাণী-মাখলুক নয় এবং যারা বলেন, পবিত্র কুরআনের
ভাষা মাখলুক, ইমাম আহমদ তাদের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, ভাষা’ বলে তারা পবিত্র
কুরআনকেই বুঝিয়ে থাকেন ৷

ইমাম বায়হা ৷কী বলেন৪ এ বিষয়ে আবুউমারা ও আবু জাফর আহমদ সুত্রে ইমাম আহমদ
থেকে বর্ণনা করেন যে, ইমাম আহমদ বলেনং : ভাষা হল, নবসৃষ্ট এবং পবিত্র কুরআন-এর এই
আয়াত দ্বারা দলীল পেশ করেন-


وَعَنْ حَنْبَلٍ، عَنْ أَحْمَدَ أَنَّهُ قَالَ: يُحْتَمَلُ أَنْ يَكُونَ ذِكْرًا آخَرَ غَيْرَ الْقُرْآنِ، وَهُوَ ذِكْرُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَوْ وَعْظُهُ إِيَّاهُمْ. ثُمَّ ذَكَرَ الْبَيْهَقِيُّ كَلَامَ الْإِمَامِ أَحْمَدَ فِي إِثْبَاتِ رُؤْيَةِ اللَّهِ فِي الدَّارِ الْآخِرَةِ، وَاحْتَجَّ بِحَدِيثِ صُهَيْبٍ فِي الرُّؤْيَةِ، وَهِيَ الزِّيَادَةُ، وَكَلَامُهُ فِي نَفْيِ التَّشْبِيهِ وَتَرْكِ الْخَوْضِ فِي الْكَلَامِ وَالتَّمَسُّكِ بِمَا وَرَدَ فِي الْكِتَابِ وَالسُّنَّةِ مِنَ الْآثَارِ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابِهِ. وَرَوَى الْبَيْهَقِيُّ، عَنِ الْحَاكِمِ، عَنْ أَبِي عَمْرِو بْنِ السَّمَّاكِ، عَنْ حَنْبَلٍ، أَنَّ أَحْمَدَ بْنَ حَنْبَلٍ تَأَوَّلَ قَوْلَ اللَّهِ تَعَالَى {وَجَاءَ رَبُّكَ} [الفجر: 22] أَنَّهُ جَاءَ ثَوَابُهُ. ثُمَّ قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: وَهَذَا إِسْنَادٌ لَا غُبَارَ عَلَيْهِ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ، ثَنَا عَاصِمٌ، عَنْ زِرٍّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ هُوَ ابْنُ مَسْعُودٍ قَالَ: مَا رَآهُ الْمُسْلِمُونَ حَسَنًا فَهُوَ عِنْدُ اللَّهِ حَسَنٌ، وَمَا رَأَوْهُ سَيِّئًا فَهُوَ عِنْدُ اللَّهِ سَيِّئٌ. وَقَدْ رَأَى الصَّحَابَةُ جَمِيعًا أَنْ يَسْتَخْلِفُوا أَبَا بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، إِسْنَادٌ صَحِيحٌ. قُلْتُ: وَهَذَا الْأَثَرُ فِيهِ حِكَايَةُ إِجْمَاعٍ عَنِ الصَّحَابَةِ فِي تَقْدِيمِ الصِّدِّيقِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَالْأَمْرُ كَمَا قَالَهُ ابْنُ مَسْعُودٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَقَدْ نَصَّ عَلَى ذَلِكَ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ الْأَئِمَّةِ. وَقَدْ قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ حِينَ
পৃষ্ঠা - ৮৬৭৮
اجْتَازَ بِحِمْصَ، وَقَدْ حُمِلَ إِلَى الْمَأْمُونِ فِي زَمَنِ الْمِحْنَةِ، وَدَخَلَ عَلَيْهِ عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ الْحِمْصِيُّ، فَقَالَ لَهُ: مَا تَقُولُ فِي الْخِلَافَةِ؟ فَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: أَبُو بَكْرٍ ثُمَّ عُمَرُ ثُمَّ عُثْمَانُ ثُمَّ عَلِيٌّ، وَمَنْ قَدَّمَ عَلِيًّا عَلَى عُثْمَانَ فَقَدْ أَزْرَى بِأَصْحَابِ الشُّورَى ; لِأَنَّهُمْ قَدَّمُوا عُثْمَانَ، رَضِيَ اللَّهُ تَعَالَى عَنْهُمْ أَجْمَعِينَ. فَصْلٌ فِي وَرَعِهِ وَتَقَشُّفِهِ وَزُهْدِهِ، رَحِمَهُ اللَّهُ وَرَضِيَ عَنْهُ رَوَى الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ الْمُزَنِيِّ، عَنِ الشَّافِعِيِّ أَنَّهُ قَالَ لِلرَّشِيدِ: إِنَّ الْيَمَنَ تَحْتَاجُ إِلَى قَاضٍ، فَقَالَ لَهُ: اخْتَرْ رَجُلًا نُوَلِّهِ إِيَّاهَا، فَقَالَ الشَّافِعِيُّ لِأَحْمَدَ بْنِ حَنْبَلٍ، وَهُوَ يَتَرَدَّدُ إِلَيْهِ فِي جُمْلَةِ مَنْ يَأْخُذُ عَنْهُ: أَلَا تَقْبَلُ قَضَاءَ الْيَمَنِ. فَامْتَنَعَ مِنْ ذَلِكَ امْتِنَاعًا شَدِيدًا، وَقَالَ: إِنِّي إِنَّمَا أَخْتَلِفُ إِلَيْكَ لِأَجْلِ الْعِلْمِ الْمُزَهِّدِ فِي الدُّنْيَا، أَفَتَأْمُرُنِي أَنْ أَلِيَ الْقَضَاءَ؟ وَلَوْلَا الْعِلْمُ لَمَا أُكَلِّمُكَ بَعْدَ الْيَوْمِ. فَاسْتَحْيَى الشَّافِعِيُّ مِنْهُ. وَرَوِيَ أَنَّهُ كَانَ لَا يُصَلِّي خَلْفَ عَمِّهِ إِسْحَاقَ بْنِ حَنْبَلٍ وَلَا خَلْفَ بَنِيهِ، وَلَا يُكَلِّمُهُمْ أَيْضًا ; لِأَنَّهُمْ أَخَذُوا جَائِزَةَ السُّلْطَانِ.
পৃষ্ঠা - ৮৬৭৯
وَمَكَثَ مَرَّةً ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ لَا يَجِدُ مَا يَأْكُلُهُ حَتَّى بَعَثَ إِلَى بَعْضِ أَصْحَابِهِ فَاسْتَقْرَضَ مِنْهُ دَقِيقًا، فَعَرَفَ أَهْلُهُ حَاجَتَهُ إِلَى الطَّعَامِ فَعَجَّلُوا وَعَجَنُوا وَخَبَزُوا لَهُ سَرِيعًا، فَقَالَ: مَا هَذِهِ الْعَجَلَةُ! كَيْفَ خَبَزْتُمْ سَرِيعًا؟ فَقَالُوا: وَجَدْنَا تَنُّورَ بَيْتِ صَالِحٍ مَسْجُورًا فَخَبَزْنَا لَكَ فِيهِ. فَقَالَ: ارْفَعُوا. وَلَمْ يَأْكُلْ، وَأَمَرَ بِسَدِّ بَابِهِ إِلَى دَارِ صَالِحٍ. قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: لِأَنَّ صَالِحًا أَخَذَ جَائِزَةَ الْمُتَوَكِّلِ عَلَى اللَّهِ. وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ: مَكَثَ أَبِي بِالْعَسْكَرِ عِنْدَ الْخَلِيفَةِ سِتَّةَ عَشَرَ يَوْمًا لَمْ يَأْكُلْ فِيهَا إِلَّا رُبُعَ مُدٍّ سَوِيقًا، يُفْطِرُ بَعْدَ كُلِّ ثَلَاثِ لَيَالٍ عَلَى سَفَّةٍ مِنْهُ حَتَّى رَجَعَ إِلَى بَيْتِهِ، وَلَمْ تَرْجِعْ إِلَيْهِ نَفْسُهُ إِلَّا بَعْدَ سِتَّةِ أَشْهُرٍ. وَقَدْ رَأَيْتُ مُوقَيْهِ دَخَلَتَا فِي حَدَقَتَيْهِ. قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: وَقَدْ كَانَ الْخَلِيفَةُ يَبْعَثُ لِمَائِدَتِهِ شَيْئًا كَثِيرًا، وَكَانَ أَحْمَدُ لَا يَتَنَاوَلُ مِنْ طَعَامِهِ شَيْئًا. وَبَعَثَ الْخَلِيفَةُ الْمَأْمُونُ مَرَّةً ذَهَبَا ; لِيُقَسَّمَ عَلَى أَصْحَابِ الْحَدِيثِ، فَمَا بَقِيَ مِنْهُمْ أَحَدٌ إِلَّا أَخَذَ، إِلَّا أَحْمَدَ بْنَ حَنْبَلٍ فَإِنَّهُ أَبَى. وَقَالَ سُلَيْمَانُ الشَّاذَكُونِيُّ: حَضَرْتُ أَحْمَدَ وَقَدْ رَهَنَ سَطْلًا لَهُ عِنْدَ فَامِيٍّ بِالْيَمَنِ، فَلَمَّا جَاءَهُ بِفِكَاكِهِ أَخْرَجَ إِلَيْهِ سَطْلَيْنِ فَقَالَ: خُذْ مَتَاعَكَ. فَاشْتَبَهَ عَلَيْهِ
পৃষ্ঠা - ৮৬৮০

অর্থাৎ মানুষ যে কথা ই উচ্চারণ করে, তা লিপিবদ্ধ করার জন্য তৎপর প্রহরী তার নিকটেই
রয়েছে (সুরা কাফ৪ ১৮) ৷
তিনি বলেন : এতে প্রমাণিত হয় যে, ভাষা মানুষের কথা ৷

অন্যান্য ইমামগণ আহমদ থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন : পবিত্র কুরআন-তাকে
যেভ্য ৷বেই উপস্থাপিত করা হোক না কেন-সৃষ্ট নয় ৷ পক্ষান্তরে, আমাদের কর্মকাণ্ড সৃষ্ট ৷

ইমাম বুখ৷ ৷রী মানুষের কর্য-ক্রিয়া বিষয়ে এ অর্থ ই ব্যক্ত করেছেন ৷ তিনি সহীহ্ বুখারীতেতা
উল্লেখ করেছেন ৷ তিনি তার মতামতের পক্ষে এই হাদীস দ্বারা দলীল পেশ করেছেন যে,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) ইরশাদ “তোমরা তোমাদের কণ্ঠ দ্বারা
কুরআনকে শোভিত কর” ৷ এ কারণেই অনেক ইমাম বলেনং : : ঞ ৷৷ ৷ ণ্১াঙ্ ণ্১াধু৷ ৷

ঞ গ্রে ! ণ্০০ ণ্ধ্প্ ৷ , পবিত্র কুরআন হল সৃষ্টিকর্তার বাণী আ র ৷কণ্ঠ হল পা ৷ঠকারীর কণ্ঠ’ ৷
বায়হাকী এই বর্ণনা টিও উদ্ধৃত করেছেন ৷

ইমাম আহমদ থেকে ইসমা ঈল ইবন মুহাম্মদ ইবন ইসমাঈল আস-সুলামী সুত্রে বায়হাকী
বর্ণনা করেন যে, ইমাম আহমদ বলেন : যে ব্যক্তি বলে, পবিত্র কুরআন নবসৃষ্ট, সে কাফির ৷

আবার আবুল হাসান আল-মায়মুনী সুত্রে বর্ণনা করেন যে, জা ৷হমিয়্যারা যখন ইমাম আ হমদকে
পবিত্র কুরআনের আয়াত
;, ;ট্রুা; “যখনই তাদের নিকট তাদের প্রতিপালকের কোন নতু ন উপদেশ আসে, তারা তা
কৌতুকচ্ছলে শ্রবণ করে (সুরা আম্বিয়াং : ২) ৷ দ্বারা দলীল পেশ করে, তখন তিনি এই বলে
তাদের জবাব প্রদান করেন যে, এক হতে পারে, আমাদের প্রতি ৩কুরআনের অবতরণ সৃষ্ট-মুল

হাম্বল সুত্রে ইমাম আহমদ থেকে বর্ণিত আছে যে, ইমাম আহমদ বলেন৪ হতে পারে

@§,<; fifi,<; পবিত্র কুরআন নয় ৷৩ তা হল, রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর উল্লেখ কিংবা মানুষের প্রতি
তার উপদেশ ৷

তারপর বায়হাকী পরজগতে মহান আল্লাহর দীদার বিষয়ে ইমাম আহমদ-এর অভিমত উল্লেখ
করেছেন এবং দীদার বিষয়ে সুহার্যব (রা) এর হাদীস দ্বাবা দলীল পেশ করেছেন যে, তা হল
অতিরিক্ত৩ ৷৩ ছাড়া বায়হাকী সাদৃশ্য অবলম্বন না করা, তর্ক শাস্তে প্রবৃত্ত হওয়া থেকে বিরত থাকা
এবং নবী করীম (সা) ও সাহাবাগণ থেকে কুরআন-সুন্নাহ্য় বর্ণিত বিধি-বিধানকে আকড়ে ধরার
বিষয়ে ইমাম আহমদ-এর বক্তব্য উল্লেখ করেছেন ৷

বায়হাকী হাকিম, আবু আময় ইবনুল সাম্মাক ও হাম্বল সুত্রে বর্ণনা করেন যে, আহমদ ইবন
হাম্বল মহান আল্লাহর বাণী ;fi,; ; ৷ট্রুপ্রুট্রু এর ব্যাখ্যা করেছেন, ৷ ০১ ; ৷১ এ (তার প্রতিদান
এসে গেছে) বলে ৷ তারপর বাযহ কী বলেন০ এই সনদে কোন পংকি তাযেই ৷

আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ থেকে যথাক্রমে যির্, আসিম ও আবুল বকর ইবন আইয়াশ সুত্রে
ইমাম আহমদ বর্ণনা করেন যে, আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ বলেন : ঘুসলামনগণ যাকে উত্তম বলে
আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া ( ১ :ম খণ্ড) — ৭ :


أَيُّهُمَا الَّذِي لَهُ، فَقَالَ لَهُ: أَنْتَ فِي حِلٍّ مِنْهُ وَمِنَ الْفِكَاكِ، وَتَرَكَهُ. وَحَكَى عَبْدُ اللَّهِ قَالَ: كُنَّا فِي زَمَنِ الْوَاثِقِ فِي ضِيقٍ شَدِيدٍ، فَكَتَبَ رَجُلٌ إِلَى أَبِي: إِنَّ عِنْدِي أَرْبَعَةَ آلَافِ دِرْهَمٍ وَرِثْتُهَا مِنْ أَبِي وَلَيْسَتْ صَدَقَةً وَلَا زَكَاةً فَإِنْ رَأَيْتَ أَنْ تَقْبَلَهَا مِنِّي. فَامْتَنَعَ مِنْ ذَلِكَ، وَكَرَّرَ عَلَيْهِ فَأَبَى، فَلَمَّا كَانَ بَعْدَ حِينِ ذَكَرْنَا ذَلِكَ فَقَالَ: لَوْ كُنَّا قَبِلْنَاهَا كَانَتْ قَدْ ذَهَبَتْ. وَعَرَضَ عَلَيْهِ بَعْضُ التُّجَّارِ عَشَرَةَ آلَافِ دِرْهَمٍ رِبْحًا مِنْ بِضَاعَةٍ جَعَلَهَا بِاسْمِهِ فَأَبَى أَنْ يَقْبَلَهَا، وَقَالَ: نَحْنُ فِي كِفَايَةٍ، وَجَزَاكَ اللَّهُ عَنْ قَصْدِكَ خَيْرًا، وَعَرَضَ عَلَيْهِ تَاجِرٌ آخَرُ ثَلَاثَةً آلَافِ دِينَارٍ فَامْتَنَعَ مِنْ قَبُولِهَا وَقَامَ وَتَرَكَهُ. وَنَفَدَتْ نَفَقَةُ أَحْمَدَ وَهُوَ فِي الْيَمَنِ، فَعَرَضَ عَلَيْهِ شَيْخُهُ عَبْدُ الرَّزَّاقِ مِلْءَ كَفِّهِ دَنَانِيرَ، فَقَالَ: نَحْنُ فِي كِفَايَةٍ وَلَمْ يَقْبَلْهَا. وَسُرِقَتْ ثِيَابُهُ وَهُوَ بِالْيَمَنِ فَجَلَسَ فِي بَيْتِهِ وَرَدَّ عَلَيْهِ الْبَابَ، فَافْتَقَدَهُ أَصْحَابُهُ فَجَاءُوا إِلَيْهِ فَسَأَلُوهُ فَأَخْبَرَهُمْ، فَعَرَضُوا عَلَيْهِ ذَهَبًا فَلَمْ يَقْبَلْهُ وَلَمْ يَأْخُذْ مِنْهُمْ إِلَّا دِينَارًا وَاحِدًا ; لِيَكْتُبَ لَهُمْ بِهِ فَكَتَبَ لَهُمْ بِالْأَجْرِ، رَحِمَهُ اللَّهُ. وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ: كَانَتْ مَجَالِسُ أَحْمَدَ مَجَالِسَ الْآخِرَةِ، لَا يُذْكَرُ فِيهَا شَيْءٌ مِنْ أَمْرِ الدُّنْيَا، وَمَا رَأَيْتُ أَحْمَدَ بْنَ حَنْبَلٍ ذَكَرَ الدُّنْيَا قَطُّ.
পৃষ্ঠা - ৮৬৮১
وَرَوَى الْبَيْهَقِيُّ أَنَّ أَحْمَدَ سُئِلَ عَنِ التَّوَكُّلِ فَقَالَ: هُوَ قَطْعُ الِاسْتِشْرَافِ بِالْيَأْسِ مِنَ النَّاسِ. فَقِيلَ لَهُ: هَلْ مِنْ حُجَّةٍ عَلَى هَذَا؟ قَالَ: نَعَمْ، إِنَّ إِبْرَاهِيمَ لَمَّا رُمِيَ بِهِ فِي النَّارِ فِي الْمِنْجَنِيقِ عَرَضَ لَهُ جِبْرِيلُ فَقَالَ: هَلْ لَكَ مِنْ حَاجَةٍ؟ قَالَ: أَمَّا إِلَيْكَ فَلَا. قَالَ: فَسَلْ مَنْ لَكَ إِلَيْهِ حَاجَةٌ. فَقَالَ: أَحَبُّ الْأَمْرَيْنِ إِلَيَّ أَحَبُّهُمَا إِلَيْهِ. وَعَنْ أَبِي جَعْفَرٍ مُحَمَّدِ بْنِ يَعْقُوبَ الصِّفَارِ قَالَ: كُنَّا مَعَ أَحْمَدَ بْنِ حَنْبَلٍ بِسُرَّ مَنْ رَأَى، فَقُلْنَا: ادْعُ اللَّهَ لَنَا، فَقَالَ: اللَّهُمَّ إِنَّكَ تَعْلَمُ أَنَا نَعْلَمُ أَنَّكَ لَنَا عَلَى أَكْثَرَ مِمَّا نُحِبُّ فَاجْعَلْنَا عَلَى مَا تُحِبُّ. ثُمَّ سَكَتَ. فَقُلْنَا: زِدْنَا. فَقَالَ: اللَّهُمَّ إِنَّا نَسْأَلُكَ بِالْقُدْرَةِ الَّتِي قُلْتَ لِلسَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ: {ائْتِيَا طَوْعًا أَوْ كَرْهًا قَالَتَا أَتَيْنَا طَائِعِينَ} [فصلت: 11] اللَّهُمَّ وَفِّقْنَا لِمَرْضَاتِكَ، اللَّهُمَّ إِنَّا نَعُوذُ بِكَ مِنَ الْفَقْرِ إِلَّا إِلَيْكَ، وَنَعُوذُ بِكَ مِنَ الذُّلِّ إِلَّا لَكَ، اللَّهُمَّ لَا تُكْثِرْ لَنَا فَنَطْغَى، وَلَا تُقِلَّ عَلَيْنَا فَنَنْسَى، وَهَبْ لَنَا مَنْ رَحِمَتِكَ وَسَعَةِ رِزْقِكَ مَا يَكُونُ بَلَاغًا لَنَا فِي دُنْيَانَا، وَغِنًى مِنْ فَضْلِكَ. قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: وَفِي حِكَايَةِ أَبِي الْفَضْلِ التَّمِيمِيِّ عَنْ أَحْمَدَ: وَكَانَ دُعَاؤُهُ فِي السُّجُودِ: اللَّهُمَّ مَنْ كَانَ مِنْ هَذِهِ الْأُمَّةِ عَلَى غَيْرِ الْحَقِّ وَهُوَ يَظُنُّ أَنَّهُ عَلَى الْحَقِّ فَرُدَّهُ إِلَى الْحَقِّ لِيَكُونَ مِنْ أَهْلِ الْحَقِّ. وَكَانَ يَقُولُ: اللَّهُمَّ إِنْ قَبِلْتَ مِنْ عُصَاةِ أُمَّةِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِدَاءً فَاجْعَلْنِي فِدَاءً لَهُمْ. وَقَالَ صَالِحُ بْنُ أَحْمَدَ: كَانَ أَبِي لَا يَدَعُ
পৃষ্ঠা - ৮৬৮২
أَحَدًا يَسْتَقِي لَهُ الْمَاءَ لِلْوُضُوءِ، بَلْ كَانَ يَلِي ذَلِكَ بِنَفْسِهِ، فَإِذَا خَرَجَ الدَّلْوُ مَلْآنَ قَالَ: الْحَمْدُ لِلَّهِ. فَقُلْتُ: يَا أَبَهْ، مَا الْفَائِدَةُ فِي ذَلِكَ؟ فَقَالَ: يَا بُنَيَّ، أَمَا سَمِعْتَ قَوْلَ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ {قُلْ أَرَأَيْتُمْ إِنْ أَصْبَحَ مَاؤُكُمْ غَوْرًا فَمَنْ يَأْتِيكُمْ بِمَاءٍ مَعِينٍ} [الملك: 30] وَالْأَخْبَارُ عَنْهُ فِي هَذَا الْبَابِ كَثِيرَةٌ جِدًّا. وَقَدْ صَنَّفَ فِي الزُّهْدِ كِتَابًا حَافِلًا عَظِيمًا لَمْ يُسْبَقْ إِلَى مِثْلِهِ، وَلَمْ يَلْحَقْهُ أَحَدٌ فِيهِ. وَالْمَظْنُونُ بَلِ الْمَقْطُوعُ بِهِ أَنَّهُ كَانَ يَأْخُذُ بِمَا أَمْكَنَهُ مِنْ ذَلِكَ، رَحِمَهُ اللَّهُ، وَأَكْرَمَ مَثْوَاهُ، وَجَعَلَ جَنَّةَ الْفِرْدَوْسِ مُنْقَلَبَهُ وَمَأْوَاهُ. وَقَالَ إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِسْحَاقَ السَّرَّاجُ: قَالَ لِي أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ: هَلْ تَسْتَطِيعُ أَنْ تُرِيَنِي الْحَارِثَ الْمُحَاسِبِيَّ إِذَا جَاءَ مَنْزِلَكَ؟ فَقُلْتُ: نَعَمْ، وَفَرِحْتُ بِذَلِكَ، ثُمَّ ذَهَبْتُ إِلَى الْحَارِثِ فَقُلْتُ: إِنِّي أُحِبُّ أَنْ تَحْضُرَ اللَّيْلَةَ أَنْتَ وَأَصْحَابُكَ، فَقَالَ: إِنَّهُمْ كَثِيرٌ فَأَحْضِرْ لَهُمُ التَّمْرَ وَالْكُسْبَ. فَلَمَّا كَانَ بَيْنَ الْعِشَاءَيْنِ جَاءُوا، وَكَانَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ قَدْ سَبَقَهُمْ فَجَلَسَ فِي غُرْفَةٍ بِحَيْثُ يَرَاهُمْ وَيَسْمَعُ كَلَامَهُمْ، وَلَا يَرَوْنَهُ فَلَمَّا صَلَّوُا الْعِشَاءَ لَمْ يُصَلُّوا بَعْدَهَا شَيْئًا، حَتَّى جَاءُوا فَجَلَسُوا بَيْنَ يَدَيِ الْحَارِثِ سُكُوتًا كَأَنَّمَا عَلَى رُءُوسِهِمُ الطَّيْرُ، حَتَّى كَانَ قَرِيبًا مِنْ نِصْفِ اللَّيْلِ، ثُمَّ سَأَلَهُ رَجُلٌ عَنْ مَسْأَلَةٍ، فَشَرَعَ الْحَارِثُ يَتَكَلَّمُ فِيمَا يَتَعَلَّقُ بِالزُّهْدِ وَالْوَعْظِ فَجَعَلَ هَذَا يَبْكِي، وَهَذَا يَئِنُّ، وَهَذَا يَزْعَقُ، قَالَ: فَصَعِدْتُ إِلَى الْغُرْفَةِ، فَإِذَا بِالْإِمَامِ أَحْمَدَ بْنِ حَنْبَلٍ يَبْكِي حَتَّى كَادَ يُغْشَى عَلَيْهِ، ثُمَّ لَمْ يَزَالُوا كَذَلِكَ حَتَّى الصَّبَاحِ،
পৃষ্ঠা - ৮৬৮৩
فَلَمَّا أَرَادُوا الِانْصِرَافَ قُلْتُ: كَيْفَ رَأَيْتَ هَؤُلَاءِ يَا أَبَا عَبْدِ اللَّهِ؟ فَقَالَ: مَا رَأَيْتُ أَحَدًا يَتَكَلَّمُ فِي الزُّهْدِ مِثْلَ هَذَا الرَّجُلِ، وَمَا رَأَيْتُ مِثْلَ هَؤُلَاءِ، وَمَعَ هَذَا فَلَا أَرَى لَكَ أَنْ تَجْتَمِعَ بِهِمْ. قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: يُحْتَمَلُ أَنَّهُ كَرِهَ لَهُ صُحْبَتَهُمْ ; لِأَنَّ الْحَارِثَ بْنَ أَسَدٍ وَإِنْ كَانَ زَاهِدًا لَكِنَّهُ كَانَ عِنْدَهُ شَيْءٌ مِنْ عِلْمِ الْكَلَامِ، وَكَانَ أَحْمَدُ يَكْرَهُ ذَلِكَ، أَوْ كَرِهَ لَهُ صُحْبَتَهُمْ، مِنْ أَجْلِ أَنَّهُ لَا يُطِيقُ سُلُوكَ طَرِيقَتِهِمْ وَمَا هُمْ عَلَيْهِ مِنَ الزُّهْدِ وَالْوَرَعِ. قُلْتُ: بَلْ إِنَّمَا كَرِهَ ذَلِكَ ; لِأَنَّ فِي كَلَامِ بَعْضِ هَؤُلَاءِ مِنَ التَّقَشُّفِ الَّذِي لَمْ يَرِدْ بِهِ الشَّرْعُ، وَالتَّدْقِيقُ وَالتَّنْقِيرُ وَالْمُحَاسَبَةُ الْبَلِيغَةُ مَا لَمْ يَأْتِ بِهِ أَمْرٌ ; وَلِهَذَا لَمَّا وَقَفَ أَبُو زُرْعَةَ الرَّازِيُّ عَلَى كِتَابِ الْحَارِثِ بْنِ أَسَدٍ الْمُسَمَّى " بِالرِّعَايَةِ " قَالَ: هَذَا بِدْعَةٌ، ثُمَّ قَالَ لِلرَّجُلِ الَّذِي جَاءَهُ بِهِ: عَلَيْكَ بِمَا كَانَ عَلَيْهِ مَالِكٌ، وَالثَّوْرِيُّ، وَالْأَوْزَاعِيُّ، وَاللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، وَدَعْ هَذَا فَإِنَّهُ بِدْعَةٌ. وَقَالَ إِبْرَاهِيمُ الْحَرْبِيُّ: سَمِعْتُ أَحْمَدَ بْنَ حَنْبَلٍ يَقُولُ: إِنْ أَحْبَبْتَ أَنْ يَدُومَ اللَّهُ لَكَ عَلَى مَا تُحِبُّ فَدُمْ لَهُ عَلَى مَا يُحِبُّ. وَكَانَ يَقُولُ: الصَّبْرُ عَلَى الْفَقْرِ مَرْتَبَةٌ لَا يَنَالُهَا إِلَّا الْأَكَابِرُ. وَكَانَ يَقُولُ: الْفَقْرُ أَشْرَفُ مِنَ الْغِنَى، فَإِنَّ الصَّبْرَ عَلَيْهِ أَعْظَمُ مَرَارَةً، وَانْزِعَاجَهُ أَعْظَمُ حَالًا مِنَ الشُّكْرِ. وَقَالَ: لَا أَعْدِلُ بِفَضْلِ الْفَقْرِ شَيْئًا. وَكَانَ يَقُولُ: عَلَى الْعَبْدِ أَنْ يَقْبَلَ الرِّزْقَ بَعْدَ الْيَأْسِ، وَلَا يَقْبَلَهُ إِذَا تَقَدَّمَهُ طَمَعٌ أَوِ اسْتِشْرَافٌ. وَكَانَ يُحِبُّ التَّقَلُّلَ طَلَبًا لِخِفَّةِ الْحِسَابِ.
পৃষ্ঠা - ৮৬৮৪


সাব্যস্ত করবে, তাই উত্তম ৷ আর তারা যাকে মন্দ বলে স্থির করবে, তা-ই মন্দ ৷ সাহাৰাগণ
সকলে আবু বকর (রা)-কে খলীফা নির্বাচন করার ব্যাপারে একমত হয়েছিলেন ৷ এই হাদীসের
সনদ সহীহ্ ৷

আমার অভিমত হল৪ এই বর্ণনায় আবু বকর সিদ্দীক (রা) কে থলীফা নির্বাচনের ক্ষেত্রে
সাহাবাগণের ঐকমত্যের কথা বলা হয়েছে ৷ বন্তুত বি;ষয়টি তা ই যা ইবন মাসউদ (রা)
বলেছেন ৷ এ ব্যাপারে একাধিক ইমাম স্পষ্ট অভিমত ব্যক্ত করেছেন ৷

ইমাম আহমদ যখন হিম্স গমন করেন, তখন আবার পরীক্ষা ৷র আমলে যখন তাকে খলীফা
মা’ মুন-এর নিকট নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, খনত আমর ইবন উসমান আল হিমসী তাকে জিজ্ঞাসা
করেছিলেন, খিলাফতের ব্যাপারে আপনার অভিমত কী ? জবাবে তিনি বলেন৪ প্রথমে আবুবকর,

তারপর উমর , তারপর উসমান, তারপর আলী ৷ আর যে ব্যক্তি আ ৷লীকে উসম৷ ৷ন-এর উপর প্রাধান্য

দিল, সে শুরা সদস্যদের উপর অপবাদ আরোপ করল ৷ কেননা, তারা তো উসমান (রা)-কে
প্রাধান্য দিয়েছেন ৷

ইমাম আহমদ ইৰ্ন হাম্বল (র)-এর তাকওয়া, কৃচ্ছুত৷ ও দৃনিয়াবিমুখতা

বায়হাকী মুযানী সুত্রে ইমাম শাফিঈ (র) থেকে বর্ণনা করেন যে , ইমাম শাফিঈ (র) থেকে
বর্ণনা করেন যে, ইমাম শাফিঈ (র) খলীফা মামুনুর রশীদকে বলেন : ইয়ামানের জন্য একজন
বিচড়ারকের প্রয়োজন ৷ জবাবে মামুনুর রশীদ বলেন : আপনি লোক ঠিক করুন, আমি তাকে
ইয়ামানের বিচারপতির পদে অধিষ্ঠিত করব ৷ ইমাম আহমদ ইবন হাম্বল তখন অন্যান্য
শিক্ষাহীতিদর সঙ্গে ইমাম শাফিঈ (র)-এর নিকট যাওয়া,-আসা করতেন ৷ ইমাম শাফিঈ তাকে
বলেন : তুমি ইয়ামানের বিচারের দায়িতৃট৷ গ্রহণ করবে কি ? আহমদ ইবন হাম্বল (র) প্রস্তাবটা
কঠোরভাবে প্রতা৷থ্যান করলেন এবং শাফিঈ (র)-কে বলেন : আমি আপনার নিকট সেই
ইলমের জন্য আসা-যাওয়৷ করে থাকি, যে ইল্ম মানুষকে দুনিয়াবিমুখ করে ৷ আর আপনি কি না
আমাকে বিচারক হতে বলছেন ইল্ম-ই যদি না থাকে, তো আজকের পর থেকে আমি আপনার
সঙ্গে কথা বলব না ৷ জবাব শুনে ইমাম শাফিঈ (র) লজ্জিত হলেন ৷

বর্নিত আঃছু (,য়, ইমাম আহমদ ইবন হাম্বলত তার চাচা ইসহাক ইবন৷ হ৷ ম্বল তার ছেলেদের
পিছনে নামায পড়া:তন না এবং তাদের সঙ্গে কথাও বলতেন না ৷ কেননা, তারা বাদশাহর
উপচৌকন গ্রহণ করেছিল ৷

একবার তিনদিন এমনভাবে অতিবাহিত হল যে, ইমাম আহমদ ইবন হাম্বল খাওয়ার জন্য
কিছু-ই পেলেন না ৷ অবশেষে এক বন্ধুর নিকট থে ক কিছু ছা হু১ ধরে আনলেন ৷ এবার পরিবারের
লোকেরা বুঝতে পারল যে, তার খাদ্যের প্রয়োজন ৷ ফলে তারা তাড়াহুড়া করে রুটি তৈরি করে
আনল ৷ তিনি বলেন৪ এত তাড়া কেন : রুটি কিভাবে তৈরি করেছ ? তারা বলল৪ সা ৷লিহ-এর
ঘরের চুলাট৷ গরম পেলাম ৷ত তা,ই তাতে রুটি সেকে আনলাম ৷ তিনি বলেন নিয়ে যাও ৷ তিনি
রুটি খেলেন না এবং সালিহ-এর ঘরের সঙ্গে সংযোগকারী দরজাটা বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ
দিলেন ৷

বায়হাকী বলেন : তার কারণ ছিল , সালিহ খলীফা মুতাওয়াক্কিল আলাল্লাহএর উপচৌকন
গ্রহণ করেছিল ৷


وَقَالَ إِبْرَاهِيمُ: قَالَ رَجُلٌ لِأَحْمَدَ: هَذَا الْعِلْمُ تَعَلَّمْتَهُ لِلَّهِ؟ فَقَالَ: هَذَا شَرْطٌ شَدِيدٌ، وَلَكِنْ حُبِّبَ إِلَيَّ شَيْءٌ فَجَمَعْتُهُ. وَرَوَى الْبَيْهَقِيُّ أَنَّ رَجُلًا جَاءَ إِلَى الْإِمَامِ أَحْمَدَ فَقَالَ: إِنَّ أُمِّي زَمِنَةٌ مُقْعَدَةٌ مُنْذُ عِشْرِينَ سَنَةً، وَقَدْ بَعَثَتْنِي إِلَيْكَ لِتَدْعُوَ اللَّهَ لَهَا، فَكَأَنَّهُ غَضِبَ مِنْ ذَلِكَ، وَقَالَ: نَحْنُ أَحْوَجُ أَنْ تَدْعُوَ هِيَ لَنَا. ثُمَّ دَعَا اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ لَهَا. فَرَجَعَ الرَّجُلُ إِلَى أُمِّهِ فَدَقَّ الْبَابَ فَخَرَجَتْ إِلَيْهِ عَلَى رِجْلَيْهَا، وَقَالَتْ قَدْ وَهَبَنِي اللَّهُ الْعَافِيَةَ. وَرَوِيَ أَنْ سَائِلًا سَأَلَ فَأَعْطَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ قِطْعَةً، فَقَامَ رَجُلٌ إِلَى السَّائِلِ فَقَالَ: هَبْنِي هَذِهِ الْقِطْعَةَ حَتَّى أُعْطِيَكَ عِوَضَهَا، مَا يُسَاوِي دِرْهَمًا فَأَبَى فَرَقَّاهُ إِلَى خَمْسِينَ وَهُوَ يَأْبَى، فَقَالَ: إِنِّي أَرْجُو مَنْ بَرَكَتِهَا مَا تَرْجُوهُ أَنْتَ مَنْ بَرَكَتِهَا. قَالَ الْبَيْهَقِيُّ رَحِمَهُ اللَّهُ: [مِحْنَةُ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ أَحْمَدَ بْنِ حَنْبَلٍ] بَابُ ذِكْرِ مَا جَاءَ فِي مِحْنَةِ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ أَحْمَدَ بْنِ حَنْبَلٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ فِي أَيَّامِ الْمَأْمُونِ ثُمَّ الْمُعْتَصِمِ، ثُمَّ الْوَاثِقِ بِسَبَبِ الْقُرْآنِ، وَمَا أَصَابَهُ مِنَ الْحَبْسِ الطَّوِيلِ وَالضَّرْبِ الشَّدِيدِ، وَالتَّهْدِيدِ بِالْقَتْلِ بِسُوءِ الْعَذَابِ وَأَلِيمِ الْعِقَابِ وَقِلَّةِ مُبَالَاتِهِ بِمَا كَانَ مِنْهُمْ مَنْ ذَلِكَ إِلَيْهِ، وَصَبْرِهِ عَلَيْهِ، وَتَمَسُّكِهِ بِمَا كَانَ عَلَيْهِ مِنَ الدِّينِ الْقَوِيمِ وَالصِّرَاطِ الْمُسْتَقِيمِ.
পৃষ্ঠা - ৮৬৮৫


ইমাম আহমদ এর ছেলে আবদুল্লাহ বলেন : আব্বাজান একবার ষোলদিন খলীফার
সেনাবাহিনীর নিকট অবস্থান করেন ৷ এই দিনগুলোতে তিনি সিকি মুদ্দ ছাতৃ ছাড়া আর কিছুই
আহার করেননি ৷ তিনি তিনদিন পর পর সামান্য ছাতৃ খেয়ে ইফতার করতেন ৷ ষোলদিন পর বাড়ি
ফিরে আসা পর্যন্ত এভাবে জীবন অতিবাহিত করেন ৷ তখন তার সুন্থতা ফিরে আসতে ছয়মাস
সময় লেগেছিল ৷ আমি দেখেছি,৩ ৷ র চক্ষুদ্বয় কােঠরে ঢুকে গিয়েছিল ৷

বায়হাকী বলেন : খলীফ৷ তার নিকট রকমারী খাবারে পরিপুর্ণ খাঞ্চা প্রেরণ করতে তন ৷ কিন্তু
আহমদ তার কিছুই থেতেন না ৷

তিনি বলেন৪ খলীফা মা’মুন একবার হাদীস শিক্ষার্থীদের মাঝে বণ্টন করার জন্য কিছু সাে ৷না
প্রেরণ করেন ৷ সকল হাদীস শিক্ষার্থী ই তা থেকে গ্রহণ করেছেন ৷ কিন্তু , আহমদ গ্রহণ
করেননি ৷৩ তিনি তা গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি ৩াজান ন ৷

সুলায়মান আশ-শাযকুনী বলেন : আমি আহমদ-এর নিকট উপস্থিত হলাম ৷ তিনি ইয়ামানের
এক ব্যক্তির নিকট একটি তাম্রপাত্র বন্ধক ব্লেখেছিলেন ৷ পরে তিনি পাত্রটি ছাড়িয়ে আনতে গেলে
লোকটি দৃ টি পাত্র ৰেহুর করে এনে বলল৪ এই দুটি থেকে আপনার পাত্রট্টিন্ নিয়ে নিন ৷ কিভু,
ইমাম আহমদ দ্বিধায় পড়ে গেলেন যে, তার পাত্র কোনটি ৷ ফলে তিনি বলেনণ্৪ তুমি দায়মুক্ত,
পাত্র আমার ছাড়তে হবে না ৷ বলে তিনি পাত্রটি রেখে ফিরে যান ৷

ইমাম আহমদ-এর পুত্র আবদুল্লাহ্ বলেন৪ ওয়াসিক এর আমলে আমরা তীব্র সংকটে পড়ে
গিয়েছিলাম ৷ এক ব্যক্তি আমার পিতার নিকট পত্র লিখল, আমার নিকট৷ চ ৷র হাজ ৷রদিরহাম আছে
যেগুলো আমি পিতা ৷থেকে উত্তরাধিক৷ ৷র সুত্রে পেয়েছি ৷ সেগুলো সাদা কাও নয়, যাকাতও নয় ৷
আপনি ইচ্ছে হলে দ্রোগুলে৷ নিয়ে নিতে পারেন ৷ কিন্তু তিনি তা ৩গ্রহণ করতে অস্বীকার করলেন ৷
লোকটি পীড়াপীড়ি করলেও আব্বজােন রাযী হলেন না ৷ কিছুদিন পর বিষয়টি উত্থাপন করলে৩ তিনি
বলেন : আমরা যদি সেগুলো গ্রহণ করতাম তাহলে আজ তা শেষ হয়ে যেত এবং আমরা তা
খেয়ে ফেলতাম ৷

এক ব্যবসায়ী ইমাম আহমদকে দশ হাজার দিরহাম গ্রহণ করতে আবেদন করে, যে
অর্থ্যওলে৷ এমন কিছু পণ্যের ব্যবসায় অর্জিত হয়েছে যা সে৩ তার নামে বিনিয়োগ করেছিল ৷ কিন্তু,
ইমাম আহমদ তা গ্রহণ করতে অস্বীকার করলেন এবং বলেন৪ আমাদের যথেষ্ট আছে ৷ তোমার
এই সদিচ্ছায় জন্য মহান আল্পাহ্৩ তে ৷মাকে উত্তম বিনিময় দান করুন ৷

অপর এক ব্যবসায়ী তাকে তিন হাজার দিরহাম প্রদান করতে চাইলে তিনি তা গ্রহণ না করে
উঠে চলে যান ৷

ইমাম আহমদ যখন ইয়ামানে অবস্থান করছিলেন তার পয়সা-পাতি শেষ হয়ে যায় ৷ তার
শায়খ আবদুর রাঘৃযাক তাকে একমুষ্ঠি দীনার দিতে চাইলেন ৷ কিন্তু, তিনি বলেন : আমার চলছে
তে৷ এবং তিনি তা গ্রহণ করলেন না ৷

ইমাম আহমদএর কাপড় চুরি হয়ে যায় ৷ তখন তিনি ইয়ামানে ৷ তিনি দরজা বন্ধ করে ঘরে
বসে রইলেন ৷ সঙ্গীর৷ তাকে হারিয়ে ফেলল ৷ অবশেষে তারা এসে জিজ্ঞাসা করলে তিনি
তাদেরকে বিষয়টি অবহিত করেন ৷ তারা তাকে কতগুব্লু ৷ স্বর্ণ দিতে চাইলে তিনি তা থেকে


وَكَانَ أَحْمَدُ عَالِمًا بِمَا وَرَدَ بِمِثْلِ حَالِهِ مِنَ الْآيَاتِ الْمَتْلُوَّةِ وَالْآثَارِ الْمَأْثُورَةِ، وَبَلَغَهُ مَا أُوصِيَ بِهِ فِي الْمَنَامِ وَالْيَقَظَةِ، فَرَضِيَ وَسَلَّمَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا، وَفَازَ بِخَيْرِ الدُّنْيَا وَنَعِيمِ الْآخِرَةِ، وَهَيَّأَهُ اللَّهُ بِمَا آتَاهُ مِنْ ذَلِكَ لِبُلُوغِ أَعْلَى مَنَازِلِ أَهْلِ الْبَلَاءِ فِي اللَّهِ مِنْ أَوْلِيَاءِ اللَّهِ، وَأَلْحَقَ بِهِ مُحِبِّيهِ فِيمَا نَالَ مِنْ كَرَامَةِ اللَّهِ تَعَالَى، إِنْ شَاءَ اللَّهُ مِنْ غَيْرِ بَلِيَّةٍ، وَبِاللَّهِ التَّوْفِيقُ وَالْعِصْمَةُ. قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {الم أَحَسِبَ النَّاسُ أَنْ يُتْرَكُوا أَنْ يَقُولُوا آمَنَّا وَهُمْ لَا يُفْتَنُونَ وَلَقَدْ فَتَنَّا الَّذِينَ مِنْ قَبْلِهِمْ فَلَيَعْلَمَنَّ اللَّهُ الَّذِينَ صَدَقُوا وَلَيَعْلَمَنَّ الْكَاذِبِينَ} [العنكبوت: 1] [لُقْمَانَ: 17] فِي آيٍ سِوَاهَا فِي مَعْنَى مَا كَتَبْنَا. وَقَدْ رَوَى الْإِمَامُ أَحْمَدُ الْمُمْتَحَنَ فِي مُسْنَدِهِ قَائِلًا فِيهِ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ بَهْدَلَةَ، سَمِعْتُ مُصْعَبَ بْنَ سَعْدٍ، يُحَدِّثُ عَنْ سَعْدٍ قَالَ: «سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَيُّ النَّاسِ أَشَدُّ بَلَاءً؟ فَقَالَ: الْأَنْبِيَاءُ، ثُمَّ الْأَمْثَلُ فَالْأَمْثَلُ، ثُمَّ يُبْتَلَى الرَّجُلُ عَلَى حَسَبِ دِينِهِ، فَإِنْ كَانَ رَقِيقَ الدِّينِ ابْتُلِيَ عَلَى حَسَبِ ذَلِكَ، وَإِنْ كَانَ صُلْبَ الدِّينِ ابْتُلِيَ عَلَى حَسَبِ ذَلِكَ، وَمَا يَزَالُ الْبَلَاءُ بِالرَّجُلِ حَتَّى يَمْشِيَ فِي الْأَرْضِ وَمَا عَلَيْهِ خَطِيئَةٌ» وَقَدْ رَوَى مُسْلِمٌ فِي صَحِيحِهِ قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيُّ، ثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ أَبِي قِلَابَةَ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «ثَلَاثَةٌ مَنْ كُنَّ فِيهِ فَقَدْ وَجَدَ حَلَاوَةَ الْإِيمَانِ ; مَنْ
পৃষ্ঠা - ৮৬৮৬
كَانَ اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِمَّا سِوَاهُمَا، وَأَنْ يُحِبَّ الْمَرْءَ لَا يُحِبُّهُ إِلَّا لِلَّهِ، وَأَنْ يُقْذَفَ فِي النَّارِ أَحَبُّ إِلَيْهِ مِنْ أَنْ يَرْجِعَ إِلَى الْكُفْرِ بَعْدَ أَنْ أَنْقَذَهُ اللَّهُ مِنْهُ» وَأَخْرَجَاهُ فِي الصَّحِيحَيْنِ. وَقَالَ أَبُو الْقَاسِمِ الْبَغَوِيُّ حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، ثَنَا أَبُو الْمُغِيرَةِ، ثَنَا صَفْوَانُ بْنُ عَمْرٍو السَّكْسَكِيُّ، ثَنَا عَمْرُو بْنُ قَيْسٍ السَّكُونِيُّ، ثَنَا عَاصِمُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالَ: سَمِعْتُ مُعَاذَ بْنَ جَبَلٍ يَقُولُ: إِنَّكُمْ لَمْ تَرَوْا إِلَّا بَلَاءً وَفِتْنَةً، وَلَنْ يَزْدَادَ الْأَمْرُ إِلَّا شَدَّةً، وَلَا الْأَنْفُسُ إِلَّا شُحًّا. وَبِهِ، قَالَ مُعَاذٌ: " لَنْ تَرَوْا مِنَ الْأَئِمَّةِ إِلَّا غِلْظَةً وَلَنْ تَرَوْا أَمْرًا يَهُولُكُمْ وَيَشْتَدُّ عَلَيْكُمْ إِلَّا حَضَرَ بَعْدَهُ مَا هُوَ أَشَدُّ مِنْهُ ". قَالَ الْبَغَوِيُّ: سَمِعْتُ أَحْمَدَ يَقُولُ: اللَّهُمَّ رَضِينَا. يَمُدُّ بِهَا صَوْتَهُ. وَرَوَى الْبَيْهَقِيُّ، عَنِ الرَّبِيعِ قَالَ: بَعَثَنِي الشَّافِعِيُّ بِكِتَابٍ مِنْ مِصْرَ إِلَى أَحْمَدَ بْنِ حَنْبَلٍ، فَأَتَيْتُهُ وَقَدِ انْفَتَلَ مِنْ صَلَاةِ الْفَجْرِ، فَدَفَعْتُ إِلَيْهِ الْكِتَابَ فَقَالَ: أَقَرَأْتَهُ؟ فَقُلْتُ: لَا. فَأَخَذَهُ فَقَرَأَهُ فَدَمَعَتْ عَيْنَاهُ، فَقُلْتُ: يَا أَبَا عَبْدِ اللَّهِ، وَمَا فِيهِ؟ فَقَالَ: يَذْكُرُ أَنَّهُ رَأَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْمَنَامِ، فَقَالَ لَهُ: " اكْتُبْ إِلَى أَبِي عَبْدِ اللَّهِ أَحْمَدَ بْنِ حَنْبَلٍ، وَاقْرَأْ عَلَيْهِ مِنِّي السَّلَامَ، وَقُلْ لَهُ: إِنَّكَ سَتُمْتَحَنُ، وَتُدْعَى إِلَى الْقَوْلِ بِخَلْقِ الْقُرْآنِ فَلَا تُجِبْهُمْ، يَرْفَعُ اللَّهُ لَكَ عَلَمًا إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ. قَالَ الرَّبِيعُ: فَقُلْتُ: حَلَاوَةُ الْبِشَارَةِ. فَخَلَعَ قَمِيصَةُ الَّذِي يَلِي جِلْدَهُ فَأَعْطَانِيهِ، فَلَمَّا رَجَعْتُ إِلَى الشَّافِعِيِّ أَخْبَرْتُهُ فَقَالَ: إِنِّي لَسْتُ أَفْجَعُكَ فِيهِ، وَلَكِنْ بُلَّهُ بِالْمَاءِ وَأَعْطِنِيهِ حَتَّى أَتَبَرَّكَ بِهِ.
পৃষ্ঠা - ৮৬৮৭


একটি মাত্র দীনার গ্রহণ করলেন উন্থদ্দশৰু যাতে তারা সওয়াব থেকে বঞ্চিত না হয় মহান
আল্লাহ তাকে রহম করুন

আবু দাউদ বলেন৪ ইমাম আহমদ-এর মজলিসগুলো ছিল আখিরাতের মজলিস, যাতে

দুনিয়ার কোন বিষয় আলোচিত হত না ৷ আমি কখনো ইমাম আ হমদকে দুনিয়া ব আলোচনা করতে
দেখিনি ৷

বায়হাকী বলেন : ইমাম আহমদকে তাওয়াক্কুল সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন :
তাওয়াক্কুল হল মানুষ থেকে সম্পুর্ণরুপে বিমুখ হওয়া ৷ তাকে জিজ্ঞাসা করা হল, এর পক্ষে
আপনার কোন প্রমাণ আছে কি : তিনি বলেন : ই৷ ৷ ইবরাহীম (আ)কে যখন মিনজানীক দ্বারা
আগুনে নিক্ষেপ করা হয়েছিল, তখন জিবরীল (আ) তার সামনে উপস্থিত হয়ে বলেন : আপনার
কোন প্রয়োজন আছে কি ? ইব্রাহীম বলেন : আপনার কাছে আমার কোন প্রয়োজন নেই ৷
জিবরীল বলেন : হার নিকট আপনার প্রয়োজন আছে, তার নিকট প্রার্থনা করুন ৷ ইবরাহীম (আ)
বলেন : দু’টি বিষয়ের যেটি তার প্রিয় আমার নিকটও তা-ই প্রিয় ৷

আবু জাফর মুহাম্মদ ইবন ইয়াকুব আস-সাফ্ফার থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন : আমরা
আহমদ ইবন হাম্বল-এর সঙ্গে সুরর৷ মানরাআ নামক স্থানে অবস্থান করছিলাম ৷ তখন আমরা
বললাম : আপনি আল্লাহ্র নিকট আমাদের জন্য দৃআ করুন ৷ তিনি দুআ করলেন, হে আল্লাহ ৷
তুমি জান যে, আমরা তোমাকে সবচেয়ে বেশী ভালবাসি ৷ কাজেই, তুমি যা ভালবাস , আমাদের
সব সময় তার উপর প্রতিষ্ঠিত রাখ ৷ তারপর তিনি নীরব হয়ে গেলেন ৷ আমরা বললাম : আরো
দৃঅ৷ করুন ৷ তিনি বলেন : হে আল্লাহ ! আমরা তোমার নিকট তোমার সেই শক্তি প্রার্থনা করছি,
যা তুমি আকাশসমুহ ও পৃথিবীকে বলেছিলে
ৰু;, ;;:!া “তোমরা উভয়ে আলো ইচ্ছার অথবা অনিচ্ছায় ৷ তারা বলল, আমরা আসলাম অনুগত
হয়ে (সুরা হামীম সাজদা : ১১) ৷ হে আল্লাহ ! তুমি আমাদেরকে তোমার সভুষ্টি অর্জনের
তাওফীক দান কর ৷ হে আল্লাহ ৷ আমরা দারিদ্র থেকে শুধু তোমারই নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি ৷
হে আল্লাহ ! তুমি আমাদেরকে এত বেশী দিও না, যায় ফলে আমরা বিপথপামী হয়ে পড়ি এবং
এত কমও দিও না, যায় ফলে আমরা তোমাকে ভুলে যাই ৷ তুমি তোমার অনুগ্রহে আমাদেরকে

জীবিকা ৷র স্বচ্ছলত৷ দান কর, য৷ দুনিয়াতে আমাদের জন্য যথেষ্ট হবে এবং আমাদেরকে তুমি
স্বচ্ছলত৷ দান কর ৷

বায়হাকী বলেন৪ আবুল ফাযল আত-তামীমী ইমাম আহমদ থেকে বর্ণনা করেছেন, যে
ইমাম আহমদ সিজদায় দু আ করতেন, হে আল্লাহ্ ! এই উম্মতের৷ য ৷রা সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত না
হয়েও মনে করে তারা সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত, তাদেরকে তুমি সৎপথে ফিরিয়ে দাও, যাতে তারা
সত্যপন্থীদের অন্তর্ভুক্ত হতে পারে ৷ তিনি আরো বলতেন : হে আল্লাহ ! তুমি যদি উষ্মতে মুহাম্মদ
(সা)-এর নাফরমান লোকদের পক্ষে ফিদইয়া গ্রহণ করে থাক, তাহলে আমাকে ভুমি তাদের
ফিদইয়৷ হিসেবে গ্রহণ করে নাও ৷

ন্সালিহ ইবন আহমদ বলেন : আমার আব্বা কখনো কারো নিকট উবুর পানি তলব করতেন
না ; বরং তিনি নিজেই পানি সংগ্রহ করতেন ৷ বালতি যখন পুর্ণ হয়ে বেরিয়ে আসত, তখন


ذِكْرُ مُلَخَّصِ الْفِتْنَةِ وَالْمِحْنَةِ مَجْمُوعًا مِنْ كَلَامِ أَئِمَّةِ السُّنَّةِ، رَحِمَهُمُ اللَّهُ وَأَثَابَهُمُ الْجَنَّةَ قَدْ ذَكَرْنَا فِيمَا تَقَدَّمَ أَنَّ الْمَأْمُونَ كَانَ قَدِ اجْتَمَعَ بِهِ وَاسْتَحْوَذَ عَلَيْهِ جَمَاعَةٌ مِنَ الْمُعْتَزِلَةِ، فَأَزَاغُوهُ عَنْ طَرِيقِ الْحَقِّ إِلَى الْبَاطِلِ، وَزَيَّنُوا لَهُ الْقَوْلَ بِخَلْقِ الْقُرْآنِ، وَنَفْيِ الصِّفَاتِ عَنِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ. قَالَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ: وَلَمْ يَكُنْ فِي الْخُلَفَاءِ قَبْلَهُ لَا مِنْ بَنِي أُمَيَّةَ وَلَا مِنْ بَنِي الْعَبَّاسِ خَلِيفَةٌ إِلَّا عَلَى مَنْهَجِ السَّلَفِ، حَتَّى وَلِيَ هُوَ الْخِلَافَةَ، فَاجْتَمَعَ بِهِ هَؤُلَاءِ فَحَمَلُوهُ عَلَى ذَلِكَ. قَالُوا: وَاتَّفَقَ خُرُوجُهُ إِلَى طَرَسُوسَ لِغَزْوِ بِلَادِ الرُّومِ فَعَنَّ لَهُ أَنْ يَكْتُبَ إِلَى نَائِبِ بَغْدَادَ إِسْحَاقَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُصْعَبٍ يَأْمُرُهُ أَنْ يَدْعُوَ النَّاسَ إِلَى الْقَوْلِ بِخَلْقِ الْقُرْآنِ، وَاتَّفَقَ ذَلِكَ فِي آخِرِ عُمُرِهِ قَبْلَ مَوْتِهِ بِشُهُورٍ مِنْ سَنَةِ ثَمَانِيَ عَشْرَةَ وَمِائَتَيْنِ. فَلَمَّا وَصَلَ الْكِتَابُ كَمَا ذَكَرْنَا اسْتَدْعَى جَمَاعَةً مِنْ أَئِمَّةِ الْحَدِيثِ فَدَعَاهُمْ إِلَى ذَلِكَ فَامْتَنَعُوا، فَتَهَدَّدَهُمْ بِالضَّرْبِ، وَقَطْعِ الْأَرْزَاقِ، فَأَجَابَ أَكْثَرُهُمْ مُكْرَهِينَ، وَاسْتَمَرَّ عَلَى الِامْتِنَاعِ فِي ذَلِكَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ نُوحٍ
পৃষ্ঠা - ৮৬৮৮


বলতেন আলহামদুলিল্লাহ্ ! আমি বললাম : আব্বাজান ! এতে উপকার কী : তিনি বলেন : বৎস !
তুমি কি মহান আল্লাহর বাণী শোননি


অর্থাৎ বল, তোমরা ভেবে দেখেছ কি যদি পানি ভু-গর্ভে তোমাদের নাগালের বাইরে চলে
যায়, কে তােমাদেরকে এনে দেব প্রবাহমান পানি (সুরা মুল্ক : ৩০) ৷
এই মর্মে ইমাম আহমদ থেকে বহু বর্ণনা উল্লেখ রয়েছে ৷

ইমাম আহমদ দৃনিয়াবিযুখতা বিষয়ে বৃহৎ কলেবরে একটি গ্রন্থ রচনা করেছেন, যেমনটি পুর্বে
কেউ রচনা করেনি ৷ ধারণা, বরং দৃঢ় বিশ্বাস, তিনি নিজ অভিজ্ঞতা থেকেই কিতাবখানা রচনা
করেছেন ৷ মহান আল্লাহ তার প্রতি রহম করুন ৷

ইসমাঈল ইবন ইসহাক আস-সিরাজ বলেনং : আহমদ ইবন হড়াম্বল আমাকে বলেন : হারিস
আল-মুহাসিবী যখন আপনার বাড়িতে আসবে, তখন তাকে আমাকে দেখাতে পারবেন কি : আমি
বললাম : ছুৰু৷ এবং আমি তাতে আনন্দিত হই ৷ তারপর আমি হারিস-এর নিকট গিয়ে বলাম :
আমি আশা করছি, আপনি ও আমার সঙ্গীরা আজ রাত আমার নিকট উপস্থিত হবেন ৷ হারিস
আম-মুহাসিবী বলেন : তারা তো অনেক, তাদের তো খাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে ৷

যা হোক, মাগরিব ও ইশার মাঝামাঝি সময়ে তারা আসলেন ৷ ওদিকে ইমাম আহমদ আগেই
এসে এক কক্ষে এমনভাবে বলে থাকেন, যেন তিনি তাদেরকে দেখতে পান ও তাদের কথা
শুনতে পান ; কিন্তু তারা তাকে দেখবে না ৷

ইশার নামায আদায় করার পর তারা আর কোন নামায পড়ল না ; বরং এসে হারিস-এর
সম্মুখে মাথা ঝুকিয়ে চুপচাপ বসে পড়ে, যেন তাদের মাথার উপর পাখি বসে আছে ৷ মধ্যরাতে
এক ব্যক্তি হারিস আল-মুহাসিবীকে একটি মাসআলা জিজ্ঞাসা করে ৷ হারিস সে বিষয়ে এবং
তৎসংশ্লিষ্ট দুনিয়া বিমুখতা, তাকওয়৷ ও উপদেশ বিষয়ে কথা বলতে শুরু করেন ৷ শ্রোতাদের কেউ
ক্রন্দন করতে, কেউ কাতরাতে এবং কেউ চীৎকার করতে শুরু করল ৷

ইসমাঈল ইবন ইসহাক বলেনং : এবার আমি কক্ষে ইমাম আহমদ এর নিকট গেলাম ৷
দেখলাম, তিনি কাদছেন, এমনকি তিনি চৈতন্য হারিয়ে ফেলার উপক্রম হয়েছেন ৷ এই অবস্থা
ভোর পর্যন্ত অব্যাহত থাকে ৷

অবশেষে যখন তারা ফিরে যেতে উদ্যত হল, আমি বললাম : এদেরকে কেমন দেখলেন হে
আবু আবদুল্লাহ ! তিনি বলেন : দৃনিয়াৰিমুখতা বিষয়ে এই লোকঢির ন্যায় আর কাউকে কথা
বলতে আমি দেখিনি ৷ আর এই ণ্লাকগুলোর ন্যায় মানুষও আমি দেখিনি ৷ কিন্তু, আমি তোমার
তাদের সংশ্রব অবলম্বন করা আমি সমীচীন মনে করি না

বায়হাকী বলেন৪ হতে পারে ইমাম আহমদত তাদের সঙ্গে তার সাহচর্য অবলম্বন এই জন্য
অপসন্দ করেছেন যে হা ৷রিস ইবন আসাদ দুনিয়া বিমুখ ছিলেন ঘটে, কিন্তু ইলমুল কালামের সঙ্গেও
তার সম্পর্ক ছিল ৷ আর ইমাম আহমদ তা অপসন্দ করতেন ৷ কিন্তু, তিনি ইসমাঈল ইবন
ইসহ ক এর জন্যত তাদের সাহচর্য এই জন্য অপসন্দ করেছেন যে, তাদের তরীকা, ৷দুনিয়াবিমুখতা
ও তাকওয়৷ ৷র উপর চলা তার পক্ষে অসম্ভব ছিল না ৷


الْجُنْدَيْسَابُورِيُّ، فَحُمِلَا عَلَى بَعِيرٍ، وَسَيَّرَهُمَا إِلَى الْخَلِيفَةِ عَنْ أَمْرِهِ بِذَلِكَ، وَهُمَا مُقَيَّدَانِ مُتَعَادِلَانِ فِي مَحْمَلٍ عَلَى بَعِيرٍ وَاحِدٍ، فَلَمَّا كَانُوا بِبِلَادِ الرَّحْبَةِ جَاءَ رَجُلٌ مِنَ الْأَعْرَابِ مِنْ عُبَّادِهِمْ يُقَالُ لَهُ: جَابِرُ بْنُ عَامِرٍ. فَسَلَّمَ عَلَى الْإِمَامِ أَحْمَدَ، وَقَالَ لَهُ: يَا هَذَا، إِنَّكَ وَافِدُ النَّاسِ، فَلَا تَكُنْ مَشْئُومًا عَلَيْهِمْ، وَإِنَّكَ رَأْسُ النَّاسِ الْيَوْمَ، فَإِيَّاكَ أَنْ تُجِيبَ فَيُجِيبُوا، وَإِنْ كُنْتَ تُحِبُّ اللَّهَ فَاصْبِرْ عَلَى مَا أَنْتَ فِيهِ فَإِنَّ مَا بَيْنَكَ وَبَيْنَ الْجَنَّةِ إِلَّا أَنْ تُقْتَلَ، وَإِنَّكَ إِنْ لَمْ تُقْتَلْ تَمُتْ، وَإِنْ عِشْتَ عِشْتَ حَمِيدًا. قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: فَكَانَ ذَلِكَ مَا قَوَّى عَزْمِي عَلَى مَا أَنَا فِيهِ مِنَ الِامْتِنَاعِ مِنْ ذَلِكَ. فَلَمَّا اقْتَرَبُوا مِنْ جَيْشِ الْمَأْمُونِ وَنَزَلُوا دُونَهُ بِمَرْحَلَةٍ جَاءَ خَادِمٌ، وَهُوَ يَمْسَحُ دُمُوعَهُ بِطَرَفِ ثِيَابِهِ وَهُوَ يَقُولُ: يَعِزُّ عَلَيَّ يَا أَبَا عَبْدِ اللَّهِ أَنُّ الْمَأْمُونُ قَدْ سَلَّ سَيْفًا لَمْ يَسُلَّهُ قَبْلَ ذَلِكَ، وَبَسَطَ نِطْعًا لَمْ يَبْسُطْهُ قَبْلَ ذَلِكَ، وَأَنَّهُ يُقْسِمُ بِقَرَابَتِهِ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَئِنْ لَمْ تُجِبْهُ إِلَى الْقَوْلِ بِخَلْقِ الْقُرْآنِ لَيَقْتُلَنَّكَ بِذَلِكَ السَّيْفِ. قَالَ: فَجَثَا الْإِمَامُ أَحْمَدُ عَلَى رُكْبَتَيْهِ وَرَمَقَ بِطَرْفِهِ إِلَى السَّمَاءِ ثُمَّ قَالَ: سَيِّدِي غَرَّ حِلْمُكَ هَذَا الْفَاجِرَ حَتَّى يَتَجَبَّرَ عَلَى أَوْلِيَائِكَ بِالضَّرْبِ وَالْقَتْلِ، اللَّهُمَّ فَإِنْ يَكُنِ الْقُرْآنُ كَلَامُكَ غَيْرَ مَخْلُوقٍ فَاكْفِنَا مُؤْنَتَهُ. قَالَ: فَجَاءَهُمُ الصَّرِيخُ بِمَوْتِ الْمَأْمُونِ فِي الثُّلُثِ الْأَخِيرِ مِنَ اللَّيْلِ. قَالَ أَحْمَدُ: فَفَرِحْتُ بِذَلِكَ، ثُمَّ جَاءَ الْخَبَرُ بِأَنَّ الْمُعْتَصِمَ قَدْ وَلِيَ الْخِلَافَةَ، وَقَدِ انْضَمَّ إِلَيْهِ أَحْمَدُ بْنُ أَبِي دُؤَادٍ، وَأَنَّ الْأَمْرَ شَدِيدٌ، فَرَدُّونَا إِلَى بَغْدَادَ فِي سَفِينَةٍ مَعَ
পৃষ্ঠা - ৮৬৮৯
بَعْضِ الْأُسَارَى، وَنَالَنِي مَعَهُمْ أَذًى كَثِيرٌ، وَكَانَ فِي رِجْلَيْهِ الْقُيُودُ، وَمَاتَ صَاحِبُهُ مُحَمَّدُ بْنُ نُوحٍ فِي الطَّرِيقِ وَصَلَّى عَلَيْهِ أَحْمَدُ، فَلَمَّا رَجَعَ أَحْمَدُ إِلَى بَغْدَادَ دَخَلَهَا وَهُوَ مَرِيضٌ وَذَلِكَ فِي رَمَضَانَ، فَأُودِعَ السِّجْنَ نَحْوًا مِنْ ثَمَانِيَةٍ وَعِشْرِينَ شَهْرًا. وَقِيلَ: نَيِّفًا وَثَلَاثِينَ شَهْرًا. ثُمَّ أُخْرِجَ إِلَى الضَّرْبِ بَيْنَ يَدِيِ الْمُعْتَصِمِ، كَمَا سَيَأْتِي إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى وَبِهِ الثِّقَةُ. وَقَدْ كَانَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ هُوَ الَّذِي يُصَلِّي بِأَهْلِ السِّجْنِ وَعَلَيْهِ قُيُودٌ فِي رِجْلَيْهِ. ذِكْرُ ضَرْبِهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، بَيْنَ يَدِيِ الْمُعْتَصِمِ لَمَّا أَحْضَرَهُ الْمُعْتَصِمُ مِنَ السِّجْنِ زِيدَ فِي قُيُودِهِ، قَالَ أَحْمَدُ: فَلَمْ أَسْتَطِعْ أَنْ أَمْشِيَ بِهَا فَرَبَطْتُهَا فِي التِّكَّةِ وَحَمَلْتُهَا بِيَدِي، ثُمَّ جَاءُونِي بِدَابَّةٍ فَحُمِلْتُ عَلَيْهَا فَكِدْتُ أَنْ أَسْقُطَ عَلَى وَجْهِي مِنْ ثِقَلِ الْقُيُودِ، وَلَيْسَ مَعِي أَحَدٌ يُمْسِكُنِي، فَسَلَّمَ اللَّهُ حَتَّى جِئْنَا دَارَ الْخِلَافَةِ فَأُدْخِلْتُ فِي بَيْتٍ، وَأُغْلِقَ عَلَيَّ، وَلَيْسَ عِنْدِي سِرَاجٌ فَأَرَدْتُ الْوُضُوءَ فَمَدَدْتُ يَدِي فَإِذَا إِنَاءٌ فِيهِ مَاءٌ فَتَوَضَّأْتُ مِنْهُ، ثُمَّ قُمْتُ أَصْلِي، وَلَا أَعْرِفُ الْقِبْلَةَ فَلَمَّا أَصْبَحْتُ إِذَا أَنَا عَلَى الْقِبْلَةِ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ.
পৃষ্ঠা - ৮৬৯০

আমার অভিমত হল, ইমাম আহমদ-এর বিষয়টি অপসন্দ করার কারণ হল, তাদের কৃচ্ছুতা ও
সুলুক এত কঠিন ছিল, যা শরীআত অনুমোদন করে না ৷ এ কারণেই আবু যুরআ আর-রাযী হারিছ
ইবন আসাদ-এর কিতাব আর বিআয়াহ’ সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন যে, এটি বিদআত ৷ এক ব্যক্তি
তার নিকট কিতাবখানা নিয়ে আসলে তিনি বলেছিলেন : তুমি মালিক, ছাওরী, আওযাঈ ও
লাইছ-এর আদর্শ মত চল এবং এটি পরিহার কর ৷ কেননা, এটি বিদআত ৷

ইব্রাহীম আল-হারবী বলেন : আমি আহমদ ইবন হাম্বলকে বলতে শুনেছি , তুমি যদি কামনা

কর যে, তুমি যা ভালবাস, আল্লাহ তোমার জন্য তা বিদ্যমান রাখবেন, তাহলে আল্লাহ যা পসন্দ
করেন, তুমি তার উপর অটল থাক ৷

তিনি আরো বলেন : অভাব-অনটনে ধৈর্যধারণ করা এমন একটি মর্যাদা বা বড় বড় আল্লাহ্
ওয়ালারাও লাভ করতে পারে না ৷

তিনি আরো বলেন : দবিদ্রতা স্বচ্ছলতার চেয়ে মর্যাদাপুর্ণ ৷ কেননা, অভাব-অনটনে ধৈর্যধাৱণ
করা তিক্ত এবং অবিচল থাকা কৃতজ্ঞতা অপেক্ষা মর্যাদাপুর্ণ ৷ তিনি আরো বলেন : আমি দারিদ্রোর
মর্যাদাকে অন্য কিছুর সঙ্গে তুলনা করি না ৷ তিনি বলতেন ও মানুষের উচিত নৈরাশ্যের পর জীবিকা
গ্রহণ করা এবং লোড ও মােহ জড়িত হয়ে তা গ্রহণ না করা ৷ তিনি হিসাব যাতে সহজ হয়, সে
জন্য দুনিয়ার সহায়-সম্পদ কম হওয়া পসন্দ করতেন ৷

ইব্রাহীম বলেন : এক ব্যক্তি ইমাম আহমদকে আপনি কি এই ইলম মহান আল্লাহর জন্য
শিক্ষা লাভ করেছেন : জবাবে ইমাম আহমদ বলেন : এ এক কঠিন শর্ত ৷ কিন্তু মহান আল্লাহ
আমার নিকট একটা বিষয় প্রিয় করে দিলেন আর আমি তা একত্র করলাম ৷ অন্য এক বর্ণনায়
আছে, তিনি বলেছেন : আমার এই ইল্ম যদি মহান আল্লাহ্র জন্য হয়ে থাকে, তবে তো ভাল ৷

কিন্তু, ব্যাপার হল, আমার নিকট একটি বিষয় প্রিয় করে দেওয়া হয়েছে, আর আমি তা সঞ্চিত
করেছি ৷

বায়হাকী বর্ণনা করেন : এক ব্যক্তি ইমাম আহমদ-এর নিকট এসে বলল : আমার মা আজ
বিশ বছর যাবত অচল ৷ তিনি আমাকে আপনার নিকট প্রেরণ করেছেন, যেন আপনি তার জন্য
দৃআ করেন ৷ কিন্তু, কথাটা শুনে তিনি রুষ্ট হলেন এবং বলেন : আমি তার জন্য দৃআ করার
পরিবর্তে বরং আমি তার দৃআর বেশী মুখাপেক্ষী ৷ তারপর তিনি মহিলার জন্য দৃআ করলেন ৷
লোকটি তার মায়ের নিকট ফিরে গিয়ে দরজায় আঘাত করল ৷ তার মা পায়ে হেটে এসে দরজা
খুলে দিল এবং বলল : মহান আল্লাহ্ আমাকে সুস্থ করে দিয়েছেন ৷

বায়হাকী আরো বর্ণনা করেন যে, এক ভিক্ষুক ইমাম আহমদ এর নিকট ভিক্ষা চাইলে তিনি
তাকে একটি টুকরা দান করলেন ৷ দেখে এক ব্যক্তি ভিক্ষুকের নিকট এসে বলল : এই টুকরাটি
আমাকে দিয়ে দাও, আমি তোমাকে এক দিরহাম বিনিময় দেব ৷ কিন্তু ভিক্ষুক অস্বীকার করল ৷
এবার লোকটি পঞ্চাশ দিরহাম দিতে চাইল ৷ ভিক্ষুক তাতেও অস্বীকৃতি জানাল এবং বলল : তুমি
এর যে বরকত লাভ করার কামনা করছ, আমিও সেই বরকতের আশা করছি ৷

তারপর ইমাম বায়হাকী খলীফা মামুন, মুতাসিম ও ওয়াসিফ-এর আমলে পবিত্র কুরআন
এর সুত্রে ইমাম আহমদ ইবন হাম্বল যে নির্যাতন, দীর্ঘ বন্দীতৃ, যেদম প্রহার ও নির্মম নির্যাতনে


قَالَ: ثُمَّ دُعِيتُ فَأُدْخِلْتُ عَلَى الْمُعْتَصِمِ، فَلَمَّا نَظَرَ إِلَيَّ، وَعِنْدَهُ ابْنُ أَبِي دُؤَادٍ قَالَ: أَلَيْسَ قَدْ زَعَمْتُمْ أَنَّهُ حَدَثُ السِّنِّ، وَهَذَا شَيْخٌ مُكْتَهِلٌ؟ فَلَمَّا دَنَوْتُ مِنْهُ وَسَلَّمْتُ قَالَ لِيَ: ادْنُهْ. فَلَمْ يَزَلْ يُدْنِينِي حَتَّى قَرُبْتُ مِنْهُ، ثُمَّ قَالَ: اجْلِسْ. فَجَلَسْتُ وَقَدْ أَثْقَلَنِي الْحَدِيدُ، فَمَكَثْتُ سَاعَةً، ثُمَّ قُلْتُ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، إِلَامَ دَعَا إِلَيْهِ ابْنُ عَمِّكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ قَالَ: إِلَى شَهَادَةِ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ. قُلْتُ: فَإِنِّي أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ. قَالَ: ثُمَّ ذَكَرْتُ لَهُ حَدِيثَ ابْنِ عَبَّاسٍ فِي وَفْدِ عَبْدِ الْقَيْسِ، ثُمَّ قُلْتُ: فَهَذَا الَّذِي دَعَا إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ: ثُمَّ تَكَلَّمَ ابْنُ أَبِي دُؤَادٍ بِكَلَامٍ لَمْ أَفْهَمْهُ، وَذَلِكَ لِأَنِّي لَمْ أَتَفَقَّهْ كَلَامَهُ، ثُمَّ قَالَ الْمُعْتَصِمُ: لَوْلَا أَنَّكَ كُنْتَ فِي يَدِ مَنْ كَانَ قَبْلِي لَمْ أَتَعَرَّضْ إِلَيْكَ، ثُمَّ قَالَ: يَا عَبْدَ الرَّحْمَنِ، أَلَمْ آمُرْكَ أَنْ تَرْفَعَ الْمِحْنَةَ؟ قَالَ أَحْمَدُ: فَقُلْتُ: اللَّهُ أَكْبَرُ، هَذَا فَرَجٌ لِلْمُسْلِمِينَ. ثُمَّ قَالَ: نَاظِرُوهُ، يَا عَبْدَ الرَّحْمَنِ كَلِّمْهُ. فَقَالَ لِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ: مَا تَقُولُ فِي الْقُرْآنِ؟ فَلَمْ أُجِبْهُ، فَقَالَ الْمُعْتَصِمُ: أَجِبْهُ. فَقُلْتُ: مَا تَقُولُ فِي الْعِلْمِ؟ فَسَكَتَ، فَقُلْتُ: الْقُرْآنُ مِنْ عِلْمِ اللَّهِ، وَمَنْ زَعَمَ أَنَّ عِلْمَ اللَّهِ مَخْلُوقٌ فَقَدْ كَفَرَ بِاللَّهِ. فَسَكَتَ، فَقَالُوا فِيمَا بَيْنَهُمْ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، كَفَّرَكَ وَكَفَّرَنَا. فَلَمْ يَلْتَفِتْ إِلَى ذَلِكَ، فَقَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ: كَانَ اللَّهُ وَلَا قُرْآنَ؟ فَقُلْتُ: كَانَ اللَّهُ وَلَا
পৃষ্ঠা - ৮৬৯১
عِلْمَ؟ فَسَكَتَ. فَجَعَلُوا يَتَكَلَّمُونَ مِنْ هَاهُنَا وَهَاهُنَا، فَقُلْتُ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، أَعْطُونِي شَيْئًا مِنْ كِتَابِ اللَّهِ، أَوْ سُنَّةِ رَسُولِ اللَّهِ حَتَّى أَقُولَ بِهِ، فَقَالَ ابْنُ أَبِي دُؤَادٍ: وَأَنْتَ لَا تَقُولُ إِلَّا بِهَذَا وَهَذَا؟ فَقُلْتُ: وَهَلْ يَقُومُ الْإِسْلَامُ إِلَّا بِهِمَا؟ وَجَرَتْ بَيْنَهُمَا مُنَاظَرَاتٌ طَوِيلَةٌ، وَاحْتَجُّوا عَلَيْهِ بِقَوْلِهِ {مَا يَأْتِيهِمْ مِنْ ذِكْرٍ مِنْ رَبِّهِمْ مُحْدَثٍ} [الأنبياء: 2] وَعَنْهُ فِي ذَلِكَ أَجْوِبَةٌ بِحَدَثِ إِنْزَالِهِ، أَوْ ذِكْرٌ غَيْرُ الْقُرْآنِ مُحْدَثٌ كَمَا تَقَدَّمَ وَرَشَّحَ هَذَا بُقُولِهِ {ص وَالْقُرْآنِ ذِي الذِّكْرِ} [ص: 1] يَعْنِي بِهِ الْقُرْآنَ بِخِلَافِ الذِّكْرِ فَإِنَّهُ غَيْرُ الْقُرْآنِ. وَبِقَوْلِهِ {اللَّهُ خَالِقُ كُلِّ شَيْءٍ} [الرعد: 16] وَأَجَابَ بِمَا حَاصِلُهُ أَنَّهُ عَامٌّ مَخْصُوصٌ بِقَوْلِهِ {تُدَمِّرُ كُلَّ شَيْءٍ بِأَمْرِ رَبِّهَا} [الأحقاف: 25] فَقَالَ ابْنُ أَبِي دُؤَادٍ: هُوَ وَاللَّهِ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ ضَالٌّ مُضِلٌّ مُبْتَدِعٌ، وَهَؤُلَاءِ قُضَاتُكَ وَالْفُقَهَاءُ فَسَلْهُمْ. فَقَالَ لَهُمْ: مَا تَقُولُونَ فِيهِ: فَأَجَابُوا بِمِثْلِ مَا قَالَ ابْنُ أَبِي دُؤَادٍ، ثُمَّ أَحْضَرُوهُ فِي الْيَوْمِ الثَّانِي فَنَاظَرُوهُ أَيْضًا، ثُمَّ فِي الْيَوْمِ الثَّالِثِ فَنَاظَرُوهُ أَيْضًا، وَفِي ذَلِكَ كُلِّهِ يَعْلُو صَوْتُهُ عَلَيْهِمْ، وَتَغْلِبُ حُجَّتُهُ حُجَجَهُمْ. قَالَ: فَإِذَا سَكَتُوا فَتَحَ الْكَلَامَ عَلَيْهِمُ ابْنُ أَبِي دُؤَادٍ، وَكَانَ مِنْ أَجْهَلِ النَّاسِ بِالْعِلْمِ
পৃষ্ঠা - ৮৬৯২


খুন হওয়ারহুম মকির সম্মুখীন হয়েছিলেন এবং এসব ব্যাপারে তাদের প্ৰতি তার বেপবওয়া দৃষ্টিভঙ্গি,
ধৈর্যধারণ এবং সঠিক দীন ও সরল পথের উপর অবিচল থাকা এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা
করেছেন ৷ বলা বাহুল্য যে, ইমাম আহমদ যেরুপ পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিলেন, সে ব্যাপারে
পবিত্র কুরআনের আয়াত ও বর্ণিত হাদীস সম্পর্কে অব তছিলেন ৷াপুে-জাগরণে তাকে যে
ব্যাপারে উপদেশ দেওয়া হয়েছিল তিনি তাতে নিপতিত হয়েছেন ৷ ফলে তাতে তিনি সন্তুষ্ট
হয়েছেন এবং ঈমান থাক য ও প্রতিদানের আশায় তাকে বরণ করে নিয়েছেন এবং তিনি
ইহজণতের কল্যাণ ও পরকালের নিআমত লাভ সফলকাম হয়েছেন ৷ উল্লিখিত বিপদাপদের
সম্মুখীন করে মহান আল্লাহ্ তাকে বিপদবরণকারী তার ওলীগণের সুউচ্চ স্তরে পৌছার জন্য প্রস্তুত
করে নিয়েছিলেন এবং৩ তার প্রিয় বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত করে নিয়েছিলেনা মহান আাল্লাহ্রই নিকট
তাওফীক ও নিরাপত্তা কামনা করছি ৷ আল্ল ল্লাহ্ তা আলা ইরশাদ করেন :

ন্ #
ণ্ শ্চে
× :

আলিফ লাম মীম ৷ মানুষ কি মনে করে যে, আমরা ঈমান এসেছি বললেই তাদেরকে পরীক্ষা
না করে অব্যাহতি দেওয়া হবে ?

আমি ৫৩া তাদের পুর্ববর্তীদেরকেও পরীক্ষা করেছিলাম; মহান অাল্লাহ্ অবন্ণাই প্রকাশ করে
দিবেন কারা সতবাোদী ও কার বা মিথ্যাবা দী (সুরা অ নাকাবুত : ১ ৩) ৷

অন্যত্র আল্লাহ তা আলা ইরশাদ করেন
১পু১-শ্ণ্প্রী “আপদে বিপদে ধৈযধাবণ করবে; এটা তো দৃঢ় সংকল্পেয় কাজ (সুরা লুকমান০ ং ১৭) ৷”

এই মর্মে আরো বহু আয়াত রয়েছে ৷

আসিম ইবন বাহদালাহ থেকে যথাক্রমে শু’বা মুহাম্মদ ইবন জাফর সুত্রে মযলুম ইমাম
আহমদ বর্ণনা করেন যে, আসিম ইবন বাহদালাহ বলেন : আমি মুসআব ইবন সা’দকে সা’দ
থেকে বর্ণনা করে বলতে শুনেছি, সা’দ বলেনঃ আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে জিজ্ঞাসা করলাম : কারা
অধিক বিপদগ্রস্ত হয় ? তিনি বলেন ;; নবীগণ ৷ তারপর তাদের পরবর্তী স্তরের লোক ৷ তারপর
তাদের পরবর্তী স্তরের লোকা মহান আল্লাহ্ মানুষকে যার যার দীন অনুপাতে পরীক্ষা করে
থাকেন ৷ যার দীন দুর্বল, তাকে সে অনুপাতে পরীক্ষা করেন ৷ যার দীন শক্ত, তাকে সে অনুপাতে
পরীক্ষা করেন ৷ বিপদ মানুষের সঙ্গে লেগেই থাকে ৷ এমনকি মানুষ পৃথিবীতে বিচরণ করে
অথচ তার কোন অপরাধ নেই’া

আনাস (রা) থেকে যথাক্রমে আবু কিলাবা, আইয়ুব ও আবদুল ওহহাব ছাকাফী সুত্রে ইমাম
মুসলিম তার সহীহ্-এ বর্ণনা করেন, আনাস (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন৪ তিনটি গুণ
এমন আছে, সেগুলো যার মধ্যে বিদ্যমান থাকবে, যে ঈমানের মাধুর্য পাবে ৷ যার নিকট মহান
আল্লাহ্ ও তার রাসুল অন্যদের তুলনায় বেশী প্রিয় ৷ মানুষকে একমাত্র মহান আল্লাহ্র জন্য
ভালবাসা মহান আল্লাহ্ কুফ্র থেকে রক্ষা করার পর কুফরীর দিকে ফিরে যাওয়া অপেক্ষা আগুনে
নিক্ষিপ্ত হওয়া অধিক প্রিয় হওয়া’া

০০াা

وَالْكَلَامِ، وَقَدْ تَنَوَّعَتْ بِهِمُ الْمَسَائِلُ فِي الْمُجَادَلَةِ، وَلَا عِلْمَ لَهُمْ بِالنَّقْلِ، فَجَعَلُوا يُنْكِرُونَ الْآثَارَ، وَيَرُدُّونَ الِاحْتِجَاجَ بِهَا. وَقَالَ أَحْمَدُ: سَمِعْتُ مِنْهُمْ مَقَالَاتٍ لَمْ أَكُنْ أَظُنُّ أَنَّ أَحَدًا يَقُولُهَا، وَقَدْ تَكَلَّمَ مَعِي بُرْغُوثٌ بِكَلَامٍ طَوِيلٍ ذَكَرَ فِيهِ الْجِسْمَ وَغَيْرَهُ بِمَا لَا فَائِدَةَ فِيهِ، فَقُلْتُ: لَا أَدْرِي مَا تَقُولُ إِلَّا أَنِّي أَعْلَمُ أَنَّ اللَّهَ أَحَدٌ صَمَدٌ، لَيْسَ كَمِثْلِهِ شَيْءٌ، فَسَكَتَ عَنِّي. وَقَدْ أَوْرَدْتُ لَهُمْ حَدِيثَ الرُّؤْيَةِ فِي الدَّارِ الْآخِرَةِ فَحَاوَلُوا أَنْ يُضَعِّفُوا إِسْنَادَهُ، وَيُلَفِّقُوا عَنْ بَعْضِ الْمُحَدِّثِينَ كَلَامًا يَتَسَلَّقُونَ بِهِ إِلَى الطَّعْنِ فِيهِ، وَهَيْهَاتَ {وَأَنَّى لَهُمُ التَّنَاوُشُ مِنْ مَكَانٍ بَعِيدٍ} [سبأ: 52] وَفِي غُبُونِ ذَلِكَ كُلِّهِ يَتَلَطَّفُ بِهِ الْخَلِيفَةُ، وَيَقُولُ: يَا أَحْمَدُ، أَجِبْنِي إِلَى هَذَا حَتَّى أَجْعَلَكَ مِنْ خَاصَّتِي، وَمِمَّنْ يَطَأُ بِسَاطِي. فَأَقُولُ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، يَأْتُونِي بِآيَةٍ مِنْ كِتَابِ اللَّهِ أَوْ سُنَّةٍ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى أُجِيبَهُمْ إِلَيْهَا. وَاحْتَجَّ أَحْمَدُ عَلَيْهِمْ حِينَ أَنْكَرُوا الِاحْتِجَاجَ بِالْآثَارِ بِقَوْلِهِ تَعَالَى: حِكَايَةً عَنْ إِبْرَاهِيمَ {يَا أَبَتِ لِمَ تَعْبُدُ مَا لَا يَسْمَعُ وَلَا يُبْصِرُ وَلَا يُغْنِي عَنْكَ شَيْئًا} [مريم: 42] وَبُقُولِهِ {وَكَلَّمَ اللَّهُ مُوسَى تَكْلِيمًا} [النساء: 164] وَبِقَوْلِهِ:
পৃষ্ঠা - ৮৬৯৩


ইমাম বুখারী ও মুসলিম এ হড়াদীসটি সহীহ্ বুখারী ও সহীহ্ মুসলিমে উল্লেখ করেছেন ৷

আসিম ইবন হুমায়দ থেকে যথাক্রমে আমর ইবন কায়স আস-সাকুনী, সাফ ওয়ান ইবন আমর
আসন্সাকসাকী, আবুল মুগীরা ও আহমদ ইবন হাম্বল সুত্রে আবুল কাসিম বাগাবী বর্ণনা করেন যে,
আসিম ইবন হুমায়দ বলেন : আমি মুআয ইবন জাবাল (রা)-কে বলতে শুনেছি : তোমরা বিপদ
আর ফিতনা ছাড়া কিছুই দেখবে না ৷ পরিস্থিতি কঠিন থেকে কঠিনতর-ই হতে থাকবে এবং
মানুষের হৃদয়ে মোহ ছাড়া আর কিছু বৃদ্ধি পাবে না ৷ ’

উপরিউক্ত সনদে মুআয (রা) আরো বলেন : তোমরা শাসক গোষ্ঠীর মাঝে কঠােরতা ছাড়া
আর কিছুই দেখতে পাবে না ৷ তোমার জন্য একটি ভয়ংকর ও কঠিন পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার পর
তদপেক্ষা আরো কঠিন পরিস্থিতি এসে উপস্থিত হয়ে ৷ ’

বাগাবী (র) বলেন : আমি আহমদকে বলতে শুনেছি : হে আল্লাহ ! আপনি আমাদের প্রতি
সন্তুষ্ট হয়ে যান ৷

বায়হড়াকী রবী থেকে বর্ণনা করেন যে, রবী বলেন : ইমাম শাফিঈ (র) একখানা পত্র দিয়ে
মিসর থেকে আহমদ ইবন হাম্বল-এর নিকট প্রেরণ করেন ৷ আমি তীর নিকট গিয়ে উপস্থিত হই ৷
তিনি ফজর নামায থেকে অবসর হয়েছেন ৷ আমি পত্রখানা তীর হাতে তুলে দিলাম ৷ তিনি বলেনঃ
আপনি কি পত্রখানা পড়েছেন ? আমি বললাম : না ৷ তিনি পত্রখানা হাতে নিয়ে পাঠ করলেন ৷
সঙ্গে সঙ্গে তীর চক্ষুদ্বয় অশ্রুসজল হয়ে উঠল ৷ আমি বললাম : হে আবু আবদুল্লাহ ! এতে কী
আছে : তিনি বলেন : তিনি রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে স্বপ্নে দেখেছেন যে, তিনি বলেছেন : তুমি
আবদুল্লাহ আহমদ ইবন হাম্বলএর নিকট পত্র লিখ এবং তাকে আমার সালাম জানাও ৷ পত্রে লিখ
যে, তুমি অচীরেই পরীক্ষার সম্মুখীন হবে এবং তোমাকে খাল্কে কুরআনের পক্ষে সমর্থন
প্রদানের আহ্বান জানানো হবে ৷ কিন্তু, তুমি তাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে না ৷ মহান আল্লাহ

কিয়ামত দিবস পর্যন্ত তোমার ইল্ম উন্নত করে দিবেন ৷

রবী বলেন : শেষে আমি বলাম৪ সুসংবাদের পুরস্কার ? বলামাত্র তিনি পায়ের জামাটা খুলে
আমাকে দিয়ে দেন ৷ আমি শাফিঈর নিকট ফিরে এসে তাকে সংবাদ জানাই ৷ তিনি বলেন :
আমার ব্যাপারে আমি তোমাকে কষ্ট দিব না ৷ তবে তুমি জামাটা পানিতে ভিজিয়ে আমাকে দিয়ে
দাও, আমি তা থেকে বরকত হাসিল করি ৷

হাদীস ৰিশারদগণের বক্তব্য থেকে ফিতনা ও পরীক্ষার সংক্ষিপ্ত বিবরণ
উপরে উল্লেখ করেছি যে, খলীফা মামুনকে একদল মু’তাযিলা ঘিরে রেখেছিল ৷ তারা ভুল
পরামর্শ দিয়ে তাকে সত্যের পথ থেকে ভ্রাস্তির পথে নিয়ে গিয়েছিল এবং খাল্কে কুরআন
বিষয়টিকে তীর সম্মুখে শোভিত করে উপস্থাপিত করেছিল ও মহান আল্লাহ্র গুণাবলীকে অস্বীকার
করেছিল ৷

বায়হড়াকী বলেন : খলীফা মা’মুন এর আগে বনু উমাইয়া ও বনু আব্বাস এর সব খলীফাই
পুর্বসুরীদের মত ও পথের অনুসারী ছিলেন ৷ কিন্তু, মামুন খিলাফতের মসনদে আসীন হওয়ার পর
এই ল্যেকগুলো তার কাছে এসে ভিড় ভাষায় এবং তাকে বিভ্রান্ত করে ফেলে ৷ রোমের সঙ্গে যুদ্ধ
চলাকালে তিনি তড়ারসুস গমন করেছিলেন ৷ তখন তিনি তার বাগদাদের নায়িব ইসহাক ইবন


{إِنَّنِي أَنَا اللَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنَا فَاعْبُدْنِي} [طه: 14] ، وَبِقَوْلِهِ: {أَلَا لَهُ الْخَلْقُ وَالْأَمْرُ} [الأعراف: 54] وَبِقَوْلِهِ {إِنَّمَا قَوْلُنَا لِشَيْءٍ إِذَا أَرَدْنَاهُ أَنْ نَقُولَ لَهُ كُنْ فَيَكُونُ} [النحل: 40] إِلَى غَيْرِ ذَلِكَ مِنَ الْآيَاتِ. فَلَمَّا لَمْ يَقُمْ لَهُمْ مَعَهُ حُجَّةٌ عَدَلُوا إِلَى اسْتِعْمَالِ جَاهِ الْخَلِيفَةِ فِي ذَلِكَ، فَقَالُوا: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، هَذَا كَافِرٌ ضَالٌّ مُضِلٌّ. وَقَالَ لَهُ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ نَائِبُ بَغْدَادَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، لَيْسَ مِنْ تَدْبِيرِ الْخِلَافَةِ أَنْ تُخَلِّيَ سَبِيلَهُ وَيَغْلِبَ خَلِيفَتَيْنِ، فَعِنْدَ ذَلِكَ حَمِيَ وَاشْتَدَّ غَضَبُهُ، وَكَانَ أَلْيَنَهُمْ عَرِيكَةً، وَهُوَ يَظُنُّ أَنَّهُمْ عَلَى شَيْءٍ. قَالَ أَحْمَدُ: فَعِنْدَ ذَلِكَ قَالَ لِي: لَعَنَكَ اللَّهُ، طَمِعْتُ فِيكَ أَنْ تُجِيبَنِي فَلَمْ تَجْبُنِي. ثُمَّ قَالَ: خُذُوهُ وَاخْلَعُوهُ وَاسْحَبُوهُ. قَالَ أَحْمَدُ: فَأُخِذْتُ وَسُحِبْتُ وَخُلِعْتُ وَجِيءَ بِالْعُقَابَيْنِ وَالسِّيَاطِ، وَأَنَا أَنْظُرُ، وَكَانَ مَعِي شَعْرٌ مِنْ شَعْرِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَصْرُورٌ فِي ثَوْبِي فَجَرَّدُونِي مِنْهُ، وَصِرْتُ بَيْنَ الْعُقَابَيْنِ، فَقُلْتُ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، اللَّهَ اللَّهَ، إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا يَحِلُّ دَمُ امْرِئٍ مُسْلِمٍ يَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ إِلَّا بِإِحْدَى ثَلَاثٍ. .» وَتَلَوْتُ الْحَدِيثَ، وَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «أُمِرْتُ أَنْ أُقَاتِلَ النَّاسَ حَتَّى يَقُولُوا لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ فَإِذَا قَالُوهَا عَصَمُوا مِنِّي دِمَاءَهُمْ وَأَمْوَالَهُمْ»
পৃষ্ঠা - ৮৬৯৪
فَبِمَ تَسْتَحِلُّ دَمِي، وَلَمْ آتِ شَيْئًا مِنْ هَذَا، يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ اذْكُرْ وُقُوفَكَ بَيْنَ يَدَيِ اللَّهِ كَوُقُوفِي بَيْنَ يَدَيْكَ. فَكَأَنَّهُ أَمْسَكَ، ثُمَّ لَمْ يَزَالُوا يَقُولُونَ لَهُ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، إِنَّهُ ضَالٌّ مُضِلٌّ كَافِرٌ. فَأَمَرَ بِي فَأُقِمْتُ بَيْنَ الْعُقَابَيْنِ، وَجِيءَ بِكُرْسِيٍّ فَأُقِمْتُ عَلَيْهِ، وَأَمَرَنِي بَعْضُهُمْ أَنْ آخُذَ بِيَدِي بِأَيِّ الْخَشَبَتَيْنِ فَلَمْ أَفْهَمْ، فَتَخَلَّعَتْ يَدَايَ، وَجِيءَ بِالضَّرَّابِينَ، وَمَعَهُمُ السِّيَاطُ فَجَعَلَ أَحَدُهُمْ يَضْرِبُنِي سَوْطَيْنِ، وَيَقُولُ لَهُ يَعْنِي الْمُعْتَصِمُ: شُدَّ، قَطَّعَ اللَّهُ يَدَكَ! وَيَجِيءُ الْآخَرُ فَيَضْرِبُنِي سَوْطَيْنِ، ثُمَّ الْآخَرُ كَذَلِكَ، فَضَرَبُونِي أَسْوَاطًا فَأُغْمِيَ عَلَيَّ، وَذَهَبَ عَقْلِي مِرَارًا، فَإِذَا سَكَنَ الضَّرْبُ يَعُودُ إِلَيَّ عَقْلِي، وَقَامَ الْمُعْتَصِمُ إِلَيَّ يَدْعُونِي إِلَى قَوْلِهِمْ فَلَمْ أُجِبْهُ، وَجَعَلُوا يَقُولُونَ: وَيْحَكَ، الْخَلِيفَةُ عَلَى رَأْسِكَ. فَلَمْ أَقْبَلْ، فَأَعَادُوا الضَّرْبَ، ثُمَّ عَادَ إِلَيَّ فَلَمْ أُجِبْهُ، فَأَعَادُوا الضَّرْبَ، ثُمَّ جَاءَ إِلَيَّ الثَّالِثَةَ، فَدَعَانِي فَلَمْ أَعْقِلْ مَا قَالَ مِنْ شِدَّةِ الضَّرْبِ، ثُمَّ أَعَادُوا الضَّرْبَ فَذَهَبَ عَقْلِي فَلَمْ أُحِسَّ بِالضَّرْبِ، وَأَرْعَبَهُ ذَلِكَ مِنْ أَمْرِي، وَأَمَرَ بِي فَأُطْلِقْتُ، وَلَمْ أَشْعُرْ إِلَّا وَأَنَا فِي حُجْرَةٍ مِنْ بِيْتٍ وَقَدْ أُطْلِقَتِ الْأَقْيَادُ مِنْ رِجْلِي، وَكَانَ ذَلِكَ فِي الْيَوْمِ الْخَامِسِ وَالْعِشْرِينَ مِنْ رَمَضَانَ مِنْ سَنَةِ إِحْدَى وَعِشْرِينَ وَمِائَتَيْنِ، ثُمَّ أَمَرَ الْخَلِيفَةُ بِإِطْلَاقِهِ إِلَى أَهْلِهِ، وَكَانَ جُمْلَةُ مَا ضُرِبَ نَيِّفًا وَثَلَاثِينَ سَوْطًا، وَقِيلَ: ثَمَانِينَ سَوْطًا لَكِنْ كَانَ ضَرْبًا مُبَرِّحًا شَدِيدًا جِدًّا. وَقَدْ كَانَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ رَجُلًا طُوَالًا رَقِيقًا أَسْمَرَ اللَّوْنِ كَثِيرَ التَّوَاضُعِ، رَحِمَهُ اللَّهُ،
পৃষ্ঠা - ৮৬৯৫


ইব্রাহীম ইবন মুসআবকে পত্র মারফত নির্দেশ প্রদান করেন, যেন তিনি মানুষকে খালকে
কুরআন-এর দিকে আহ্বান জানান ৷ এ কাজটি তিনি করেছেন শেষ বয়সে মৃত্যুর মাস কয়েক
আগে দুইশ আঠার হিজরীতে ৷ পত্র পেয়ে ইসহাক ইবন ইব্রাহীম একদল হাদীস বিশারদকে
তলব করে তাদেরকে খালকে কুরআন-এর প্রতি সমর্থন জানানোর আহ্বান জানান ৷ বিক্ষ্ম তারা
তা প্রত্যাখ্যান করেন ৷ ইসহ৷ ক ইবন ইব্রাহীম তাদেরকে প্রহার ও ভাতা বন্ধ করে দেওয়া র হুমকি
প্রদান করেন ৷ ফলে, তাদের অধিক৷ ৷ৎশ অনিচ্ছ৷ সত্বেও তাতে সমর্থন ব্যক্ত করেন ৷ তবে ইমাম
আহমদ ইবন হাম্বল ও মুহা ম্মদ ইবন নুহ আল-জুনদ ইয়াসাবুরী তাদের মতের উপর অবিচল
থাকেন ৷ ফলে, খলীফ৷ ৷র নিদেশে ৷’দৃ জনকে এক উটে চড়িয়ে খলীফ৷ ৷র নিকট পাঠিয়ে দেওয়া হয় ৷
তখন তারা দু’জন ছিলেন শৃৎখলাবদ্ধ এবং একসঙ্গে এক উটে আরোহী ৷ রাহবা নামক নগরীতে
পৌছার পর এক বেদৃঈন ক্রীতদাস যার নাম জাবির ইবন আমির তাদের নিকট এসে ইমাম
আহমদকে সালাম দিয়ে বলল : আপনি জনপ্রতিনিধি ৷ কাজেই, তাদের জন্য আপনি অকল্যাণের
কারণ হবেন না ৷ আজ আপনি মানুষের মাথা ৷ কাভ্রুইে, তারা আপনাকে যেদিকে আহ্বান করছে,
তাতে সাড়া দেওয়া থেকে নিজেকে রক্ষা করুন ৷ অন্যথায় কিয়ামতের দিন সব মানুষের পাপের
বোঝা আ ৷পনাকেই বহন করতে হবে ৷ আপনি যদি মহান আল্লাহ্কে ভালবেসে থাকেন তাহলে
এই পরিস্থিতিতে ধৈর্যধারণ করুন ৷ কারণ, আপনার ও জ ৷ন্নাতের মাঝে আপনার খুন হওয়া ছাড়া
আর কোন প্রতিবন্ধক নেই ৷ আপনি খুন প্রাপ্ত হন, তবু আপনি মৃত্যুমুখে পতিত ৩হরেন ৷ আর যদি
বেচে থাকেন, তাহলে বেচে থাকবেন প্রশংসিত হয়ে ৷

ইমাম আহমদ বলেন : খালকে কুরআনের প্রতি সমর্থন দানের ক্ষেত্রে আমি অবস্থানে
প্রতিষ্ঠিত ছিলাম, ণ্লাকটির বক্তব্য তাতে আমার প্রত্যয়কে আরো শক্তিশালী করে ৷

যাহোক, তারা দু’জন যখন খলীফার বাহিনীর নিকটে গিয়ে পৌছলেন এবং বাহন থেকে
অবতরণ করলেন, তখন থাদিম কাপড় দ্বারা তার চোখের অশ্রু মুছতে মুছতে এসে বলল : হে
আবু আবদুল্লাহ ৷ মামুন এমন এক তরবারি কোষমুক্ত করে নিয়েছেন যা তিনি ইতিপুর্বে কোষমুক্ত
করেননি ৷ আমি বিষয়টি সহ্য করতে পারছি না ৷ আর তিনি রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর সঙ্গে তার
আত্মীয়তা ৷র দো ৷হাই দিচ্ছেন ৷ ক৷ ৷,জেই আপনি যদি খালকে কুরআনের প্রশ্নে ত ৷র মতে একমত না
হন, তাহলে সেই তরবারি দ্বারা অবশ্যই তিনি আপনাকে শহীদ করে ফেলবেন ৷

বর্ণনাকারী বলেন : একথা শুনে ইমাম আহমদ হাটু থেড়ে বসে পড়লেন এবং অপলক নেত্রে
আকাশ পানে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকলেন এবং দুআ করলেন, হে আমার প্রতিপালক ৷ তোমার
সহনশীলত৷ এই পাপিষ্ঠকে বিভ্রান্ত করেছে ৷ এমনকি লোকটি তোমার বন্ধুগণকেও প্রহার ও হত্যা
করার দুংসাহস প্রদর্শন করেছে ৷ হে আল্লাহ ৷ কুরআন যদি তোমার কালাম এবং অসৃষ্ট হয়ে
থাকে, তাহলে আমাদের তুমি তার অত্যাচার থেকে রক্ষা কর ৷ বর্ণনাকারী বলেন ং সেদিনই
রাতের তৃতীয় প্রহয়ে ঘোষণাক৷ ৷রী খলীফ৷ মা মুন-এর মৃভ্যুসং বাদ নিয়ে আসে ৷ ইমাম আহমদ
বলেন : শুনে আমরা খুশি হলাম ৷ তারপর সংবাদ আসল, মুতাসিম ৷খলাফাত তর মসনদে আসীন
হয়েছেন, আহমদ ইবন দা ৷উদ তার কাছে গিয়ে ভিড়েছে এবং অবস্থা খুবই জটিল ৷ আমাদেরকে
কতিপয় বন্দির সঙ্গে নৌকায় করে বা ৷৷গদ ৷দ ফিরিয়ে দেওয়া হল ৷ তাদের দ্বারা আমরা অনেক কষ্ট
পেলাম ৷

আল বিদায়া ওয়ান নিহায়৷ ( ১০ম খণ্ড) -৭১

€০া৷া



وَرَضِيَ عَنْهُ، وَأَكْرَمَ مَثْوَاهُ. وَلَمَّا حُمِلَ مِنْ دَارِ الْخِلَافَةِ إِلَى دَارِ إِسْحَاقَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، وَهُوَ صَائِمٌ، أَتَوْهُ بِسَوِيقٍ وَمَاءٍ ; لِيُفْطِرَ مِنَ الضَّعْفِ فَامْتَنَعَ مِنْ ذَلِكَ، وَأَتَمَّ صَوْمَهُ، وَحِينَ حَضَرَتْ صَلَاةُ الظُّهْرِ صَلَّى مَعَهُمْ، فَقَالَ لَهُ ابْنُ سَمَاعَةَ الْقَاضِي: صَلَّيْتَ فِي دَمِكَ؟ فَقَالَ لَهُ أَحْمَدُ: قَدْ صَلَّى عُمَرُ وَجُرْحُهُ يَثْعَبُ دَمًا. فَسَكَتَ. وَيُرْوَى أَنَّهُ لَمَّا أُقِيمَ لِيُضْرَبَ انْقَطَعَتْ تِكَّةُ سَرَاوِيلِهِ فَخَشِيَ أَنْ يَسْقُطَ سَرَاوِيلُهُ فَتُكْشَفَ عَوْرَتَهُ، فَحَرَّكَ شَفَتَيْهِ بِدُعَاءٍ فَعَادَ سَرَاوِيلُهُ كَمَا كَانَ. وَيُرْوَى أَنَّهُ قَالَ: يَا غَيَّاثَ الْمُسْتَغِيثِينَ يَا إِلَهَ الْعَالَمِينَ، إِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنِّي قَائِمٌ لَكَ بِحَقٍّ فَلَا تَهْتِكْ لِي عَوْرَةً. وَلَمَّا رَجَعَ إِلَى مَنْزِلِهِ جَاءَهُ الْجَرَّايِحِيُّ فَقَطَعَ لَحْمًا مَيِّتًا مِنْ جَسَدِهِ، وَجَعَلَ يُدَاوِيهِ، وَالنَّائِبُ يَبْعَثُ كَثِيرًا فِي كُلِّ وَقْتٍ يَسْأَلُ عَنْهُ، وَذَلِكَ أَنَّ الْمُعْتَصِمَ نَدِمَ عَلَى مَا كَانَ مِنْهُ إِلَى أَحْمَدَ نَدَمًا كَثِيرًا، وَجَعَلَ يَسْأَلُ النَّائِبَ عَنْهُ، وَالنَّائِبُ يَسْتَعْلِمُ خَبَرَهُ، فَلَمَّا عُوفِيَ فَرِحَ الْمُعْتَصِمُ وَالْمُسْلِمُونَ بِذَلِكَ، وَلَمَّا شَفَاهُ اللَّهُ بِالْعَافِيَةِ بَقِيَ مُدَّةً وَإِبْهَامَاهُ يُؤْذِيهِمَا الْبَرْدُ، وَجَعَلَ كُلَّ مَنْ سَعَى فِي أَمْرِهِ فِي حِلٍّ إِلَّا
পৃষ্ঠা - ৮৬৯৬
أَهْلَ الْبِدْعَةِ، وَكَانَ يَتْلُو فِي ذَلِكَ قَوْلَهُ تَعَالَى {وَلْيَعْفُوا وَلْيَصْفَحُوا أَلَا تُحِبُّونَ أَنْ يَغْفِرَ اللَّهُ لَكُمْ} [النور: 22] وَيَقُولُ: مَاذَا يَنْفَعُكَ أَنْ يُعَذَّبَ أَخُوكَ الْمُسْلِمُ فِي سَبِيلِكَ؟ وَقَدْ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {فَمَنْ عَفَا وَأَصْلَحَ فَأَجْرُهُ عَلَى اللَّهِ} [الشورى: 40] وَيُنَادَى يَوْمَ الْقِيَامَةِ: " لِيَقُمْ مَنْ أَجْرُهُ عَلَى اللَّهِ " فَلَا يَقُومُ إِلَّا مَنْ عَفَا. وَفِي صَحِيحِ مُسْلِمٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «ثَلَاثٌ أُقْسِمُ عَلَيْهِنَّ: مَا نَقَصَ مَالٌ مِنْ صَدَقَةٍ، وَمَا زَادَ اللَّهُ عَبْدًا بِعَفْوٍ إِلَّا عِزًّا، وَمَنْ تَوَاضَعَ لِلَّهِ رَفَعَهُ اللَّهُ» . وَكَانَ الَّذِينَ ثَبَتُوا عَلَى الْمِحْنَةِ فَلَمْ يُجِيبُوا بِالْكُلِّيَّةِ أَرْبَعَةٌ: أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، وَهُوَ رَئِيسُهُمْ، وَمُحَمَّدُ بْنُ نُوحِ بْنِ مَيْمُونٍ الْجُنْدَيْسَابُورِيُّ، وَمَاتَ فِي الطَّرِيقِ حِينَ ذَهَبَ هُوَ وَأَحْمَدُ إِلَى الْمَأْمُونِ وَنُعَيْمُ بْنُ حَمَّادٍ الْخُزَاعِيُّ، وَقَدْ مَاتَ فِي السِّجْنِ، وَأَبُو يَعْقُوبَ الْبُوَيْطِيُّ، وَقَدْ مَاتَ فِي سِجْنِ الْوَاثِقِ عَلَى الْقَوْلِ بِخَلْقِ الْقُرْآنِ، لَمْ يُجِبْهُمْ إِلَى ذَلِكَ. وَكَانَ مُثْقَلًا بِالْحَدِيدِ، وَأَوْصَى أَنْ يُدْفَنَ فِيهَا، وَأَحْمَدُ بْنُ نَصْرٍ الْخُزَاعِيُّ، وَقَدْ ذَكَرْنَا كَيْفِيَّةَ قَتْلِهِ - رَحِمَهُ اللَّهُ - فِي أَيَّامِ الْوَاثِقِ.
পৃষ্ঠা - ৮৬৯৭


তখন ইমাম আহমদ ও তার সঙ্গী শৃৎখলারদ্ধ ছিলেন ৷৩ তার সঙ্গী মুহাম্মদ ইবন নুহ পথেই
মৃত্যুমুখে পতিত ৩হন ৷ ইমাম আহমদ তার নামাষে জানায৷ আদায় করেন ৷
বাগদাদ ফিরে এসে ইমাম আহমদ রমযান মাংস নগরীতে প্রবেশ করেন ৷৩ তাকে প্রায় আটাশ
মাস কারাগারে আটক রাখা হয় ৷ কারো মতে ত্রিশ মাসেরও বেশী সময় ৷ তারপর মারধর করার
জন্য তাকে খলীফ৷ মু তালিম-এর সম্মুখে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ কয়েদখানায় ইমাম আহমদ পায়ে
বেড়ি ৰ্বাধ্৷ অবস্থায় কয়েদীদের নামাষের ইমামতি করতেন ৷

মুতাসিম-এর সম্মুখে ইমাম আহমদ ইবন হাম্বলকে প্রহার করার আলোচনা
ইমাম আহমদকে কয়েদখান৷ থেকে বের করে খলীফামু ৩াসিম এর সম্মুখে উপ ত করা
হলে মু’তা ৷সিম তার শৃৎখল আরো বাড়িয়ে দেন ৷ ইমাম আহমদ রলেনচ্ আমি শিকলগুলোর জন্য
ইাটতে পারছিলাম না ৷ ফলে, সেগুলোকে পাজামার ফিতায় বেধে হাতে করে চলতে লাগলাম ৷
তারপর তারা আমার নিকট কি একটি পশু এনে আমাকে তার উপর চড়িয়ে দেয় ৷ আমি শিকলের
তারে উপুড় হয়ে পড়ে যেতে উদতে হই ৷ তখন আমাকে ধরে রাখার মত কেউ আমার সঙ্গে ছিল
না ৷ কিত্তু মহান আল্লাহ আমাকে রক্ষা করলেন ৷ আমি মু’তাসিম এর ভবনে এসে উপস্থিত
হলাম ৷ আমাকে একটি গৃহে ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে দেওয়া হল ৷ সেখানে আমার নিকট কোন
বাতি ছিল না ৷ আমি উয়ু করার মনস্থু করলাম ৷ হ ৩রাড়িয়ে পানি ভর্তি একটি বরতন পেয়ে
পেলাম ৷ আমি তা দ্বারা উয়ু করলাম ৷ তারপর দাড়ালাম ৷ কিন্তু কিরলা ঠাহর করতে পারলাম না ৷
তো র হলে বুঝতে পারলাম আমি কিরলামুখী হয়েই নামায পড়েছি ৷ সকল প্রশংসা মহান আল্লাহ
তাআলার জন্য ৷
তারপর আমাকে তলব করা হল ৷ আমাকে মু’তাসিম-এর নিকট নিয়ে যাওয়া হল ৷ খলীফা
মু’তা সিাম বিল্লাহ আমা র ৷প্রতি ৩দৃষ্টিপাত করে বলেনঃ তোমরা কি মনে করেছিলে, ইনি নওজে ৷য়ান
? ইনি তো রয়াে ংবৃদ্ধ লোক ! ইবন আবু দাউদ তখন৩ার ৷নিকট উপবিষ্ট ৷ আমি নিকটে গিয়ে
তাকে সালাম দিলাম ৷ তিনি বলেন ং ওকে আমার আরো কাছে নিয়ে আস ৷ এভাবে তিনি আমাকে
তার কাছে টানতে লাগলেন ৷ আমি তার একেবারে সন্নিকটে চলে গেলাম ৷৩ তারপর তিনি রলেনং :
রস ৷ আমি বসে পড়লাম ৷ লোহাগুলো আমাকে ভারী করে রেখেছে ৷ আমি কিছু সময় নীরব বসে

থেকে বললাম ;; হে আমীরুল ঘু’মিনীন ! আপনার ভাভীজ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) কিসের প্রতি আহ্বান

করেছিলেন ? তিনি বলেন : আল্লাহ ব্যতীত আর কোন ইলাহ্ নেই’ সাক্ষ্যদানের প্রতি ৷ আমি
বললাম : আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ্ নেই ৷ তারপর তাকে আবদুল কায়স
প্রতিনিধি দল সম্পর্কে ইবন আব্বাসের হাদীসটি শুনিয়ে আমি বললাম : আল্লাহর রাসুল (না)-এরই
প্রতি আহ্বান করেছিলেন ৷

আহমদ ইবন হাম্বল বলেন ং তারপর ইবন আবু দাউদ কিছু কথা বলল, যার মর্ম আমি
বুঝিনিা তার কারণ, আমি তার বক্তব্য সম্পর্কে অবহিত ছিলাম না ৷ তারপর মু’তাসিম বলেন ং
আপনি যদি আমার পুর্বেকার খলীফ৷ ৷র কজায় না থাকতেন, তা ৷হলে আ ৷মি আপনার পিছনে লাগ ৷তাম
না ৷ তা ৷রপর তিনি বলেন ং হে আবদুর রহমান! আমি৫ তামাকে অত্যাচার নির্যাতন রন্ধ করার
নির্দেশ দেইনিঃ ইমাম আহদ বলেন ং শুনে আমি বলামচ্ আল্ল ল্লাহু আকরার ৷ এতো মুসলমানদের
জন্য সুখের কথা ৷ তারপর তিনি বলেন ং আবুআরদুর রহমান ! মি তার সঙ্গে বিতর্ক কর, তার


[ثَنَاءُ الْأَئِمَّةِ عَلَى الْإِمَامِ أَحْمَدَ بْنِ حَنْبَلٍ الْمُعَظَّمِ] ذِكْرُ ثَنَاءِ الْأَئِمَّةِ عَلَى الْإِمَامِ أَحْمَدَ بْنِ حَنْبَلٍ الْمُعَظِّمِ الْمُبَجَّلِ قَالَ الْبُخَارِيُّ: لَمَّا ضُرِبَ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ كُنَّا بِالْبَصْرَةِ فَسَمِعْتُ أَبَا الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيَّ يَقُولُ: لَوْ كَانَ هَذَا فِي بَنِي إِسْرَائِيلَ لَكَانَ أُحْدُوثَةً. وَقَالَ إِسْمَاعِيلُ بْنُ الْخَلِيلِ: لَوْ كَانَ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ فِي بَنِي إِسْرَائِيلَ لَكَانَ عَجَبًا. وَقَالَ الْمُزَنِيُّ: أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ يَوْمَ الْمِحْنَةِ، وَأَبُو بَكْرٍ يَوْمَ الرِّدَّةِ، وَعُمَرُ يَوْمَ السَّقِيفَةِ، وَعُثْمَانُ يَوْمَ الدَّارِ، وَعَلِيٌّ يَوْمَ صِفِّينَ. وَقَالَ حَرْمَلَةُ: سَمِعْتُ الشَّافِعِيَّ يَقُولُ: خَرَجْتُ مِنَ الْعِرَاقِ فَمَا خَلَّفْتُ بِهَا رَجُلًا أَفْضَلَ وَلَا أَعْلَمَ وَلَا أَوْرَعَ وَلَا أَتْقَى مِنْ أَحْمَدَ بْنِ حَنْبَلٍ.
পৃষ্ঠা - ৮৬৯৮


অহেতুক বিষয়ের অবতারণা করে ৷ আমি বললাম : আমি আপনার বক্তব্য বুঝতে পারছি না ৷
আমি শুধু এটুকু জানি যে, মহান আল্লাহ্ এক অমুখাপেক্ষী এবং তার মত কিছুই নেই ৷ এবার
তিনি চুপসে যান ৷ আমি তাদের সম্মুখে পরজগতে মহান আল্লাহর দীদার সংক্রান্ত হাদীস উপস্থাপন
করি ৷ তারা হাদীসের সনদ দুর্বল আখ্যায়িত করা এবং কতিপয় মুহাদ্দিস এর কটাক্ষপুর্ণ উক্তি
করতে শুরু করে ৷ কিন্তু অসম্ভব ! এত দুরবর্তী স্থান থেকে তারা তাদের নাগাল পাবে কিভাবে ?
এহেন বাক-বিতণ্ডার মধ্যে খলীফা তার প্রতি কোমল আচরণ দেখাতে থাকেন এবং বলছিলেন ং
আহমদ ! আপনি প্ৰশ্নগুলোর জবাব দিন ৷ আমি আপনাকে আমার একনিষ্ঠ ব্যক্তিদের এবং যারা
আমার ফরাশ মাড়ায় তাদের অন্তর্ভুক্ত করে নিব ৷ আমি বললাম : হে আমীরুল মু’মিনীন ৷ তারা
আমার সম্মুখে মহান আল্লাহ্র কিতাবের একটি আয়াত কিংবা রাসুল (সা)এর একটি হাদীস
উপস্থাপন করুক ৷ তখন আমি তাদেরকে জবাব দিব ৷

তারা যখন কুরআন-হাদীসের দলীলন্প্রমাণকে অস্বীকার করল, তখন ইমাম আহমদ নিম্নোক্ত
আয়াতগুলাে দ্বারা তাদের মুকাবিলা করেন :


“হে আমার পিতা ! তুমি তার ইবাদত কর কেন, যে শুনে না, দেখে না এবং তোমার কােনই
কাজে আসে না (সুরা ম ৷রয়ামং : ২) ৷”

ণ্

মুসার সঙ্গে আল্লাহ সাক্ষাৎ বাক্যলাপ করেছেন (সুরা নিসা : ১৬৪ ) ৷ ’


আমি-ই আল্লাহ্, আম৷ ব্যতীত কোন ইলাহ্ নেই ৷ কাজেই আমার ইবাদত কর (সুরা তােহা
১ : ) ৷




আমি কোন কিছুর ইচ্ছা করলে সে বিষয়ে আমার কথা কেবল এই যে, আমি বলি, হও;
ফলে তা হয়ে যায় (সুরা নাহ্লং ৪০) ৷

ইমাম আহমদ এরুপ আরো অনেক আয়াত দ্বারা দলীল পেশ করেন ৷ অবশেষে তার
দলীলপ্রমাণের সঙ্গে পেরে না উঠে তারা খলীফার ব্যক্তিতৃকে কাজে লাগাংনা ৷র চেষ্টা করে ৷ তারা
বলেং হে আমীরুল মু মিনীন ! লো ৷কটি কাফির, ভ্রান্ত ও বিভ্র৷ ৷ন্তক৷ ৷রী ৷ বাগদা ৷দেদর না ৷য়িব ইসহাক
ইবন ইব্রাহীম বলেন : আমীরুল ঘু’মিনীন ! এটা খিলাফত পরিচালনা নীতি হতে পারে না যে,
আপনি তার পথ উন্মুক্ত করে দিবেন আর যে দুই দুজন খলীফার উপর জয়লাভ করবে ৷

এবার খলীফার আত্মমর্যাদাবােধ জেগে উঠে এবং তার ক্রোধ তীব্র আকার ধারণ করে ৷
অথচ, তিনি ছিলেন স্বভাবে তাদের সবচেয়ে কোমল ব্যক্তি ৷ তার মনে প্রীতি জন্মে যে, তার
লোকেরা সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত

ইমাম আহমদ বলেন : তখন খলীফ৷ আমাকে বলেন চ্ আল্লাহ্ তোমাকে অভিসপ্ত করুন


وَقَالَ شَيْخُهُ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ: مَا قَدِمَ عَلَيَّ مِنْ بَغْدَادَ أَحَدٌ أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ أَحْمَدَ بْنِ حَنْبَلٍ. وَقَالَ قُتَيْبَةُ: مَاتَ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ وَمَاتَ الْوَرَعُ، وَمَاتَ الشَّافِعِيُّ وَمَاتَتِ السُّنَنُ، وَيَمُوتُ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ وَتَظْهَرُ الْبِدَعُ، وَفِي رِوَايَةٍ: قَالَ قُتَيْبَةُ: إِنَّ أَحْمَدَ بْنَ حَنْبَلٍ قَامَ فِي الْأُمَّةِ مَقَامَ النُّبُوَّةِ. قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: يَعْنِي فِي صَبْرِهِ عَلَى مَا أَصَابَهُ مِنَ الْأَذَى فِي ذَاتِ اللَّهِ، عَزَّ وَجَلَّ. وَقَالَ أَبُو عُمَرَ ابْنُ النَّحَّاسِ وَذَكَرَ أَحْمَدَ يَوْمًا فَقَالَ: رَحِمَهُ اللَّهُ فِي الدِّينِ مَا كَانَ أَبْصَرَهُ، وَعَنِ الدُّنْيَا مَا كَانَ أَصْبَرَهُ، وَفِي الزُّهْدِ مَا كَانَ أَخْبَرَهُ، وَبِالصَّالِحِينَ مَا كَانَ أَلْحَقَهُ، وَبِالْمَاضِينَ مَا كَانَ أَشْبَهَهُ، عَرَضَتْ لَهُ الدُّنْيَا فَأَبَاهَا، وَالْبِدَعُ فَنَفَاهَا. وَقَالَ بِشْرُ بْنُ الْحَارِثِ الْحَافِي بَعْدَمَا ضُرِبَ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ: أُدْخِلَ أَحْمَدُ الْكِيرَ فَخَرَجَ ذَهَبًا أَحْمَرَ.
পৃষ্ঠা - ৮৬৯৯


০০ ৷৪া৷ ৷$

৫৬৬ আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া

তীর বক্তব্য বুঝতে পারিনি ৷ তারা আবারো আমাকে মারতে শুরু করে ৷ আমার চেতনা হারিয়ে
যায় ৷ আমি প্রহার ও অনুভব করতে প ৷রছিলাম না ৷ তাতে খলীফা ভয় পেয়ে যান এবং আমাকে
ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন ৷ আমাকে ছেড়ে দেওয়া হল ৷ তখন আমি এত টুকু টের পেয়েছি যে,
আমি একটি ঘরের একটি কক্ষে অবস্থান করছি ৷ আর কোন অনুভুতি ছিল না ৷ আমার পায়ের

বেড়িগুলে৷ খুলে ফেলেছেন ৷ ঘটন টা ঘটেছিল দুইশ একুশ হিজরীর রমযান মাসের পচিশ
তারিখ ৷

তারপর খলীফা তাকে যুক্তি দিয়ে তার পরিবারের নিকট পৌছিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন ৷
সেদিন ইমাম আহমদ ইবন হাম্বলকে ত্রিশের অধিক বেত্রাঘাত করা হয় ৷ কেউ বলেন, আশিটি ৷
কিন্তু, আঘাত ছিল অত্যন্ত বেদম ও উব্রে ৷ উল্লেখ্য, ইমাম আহমদ ইবন হাম্বল দীর্ঘকা ৷য় ও হালকা

গড়নের মানুষ ছিলেন ৷ গায়ের রং ছিল পৌর ৷ ছিলেন অ৩ ত্যত বিনয়ী ৷ মহান আল্লাহ্ তাকে রহম
করুন ৷

ইমাম আহমদ ইবন হাম্বলকে যখন দারুল খিলাফত থেকে ইসহাক ইবন ইবরাহীম-এর গৃহে
নিয়ে যাওয়া হল, তখন তিনি রােযাদার ছিলেন ৷ রোয৷ ভেঙ্গে দৃর্বলতা দুর করার জন্য তাকে ছাতৃ
এনে দেয় ৷ কিন্তু , তিনি রোয৷ ভাংতে অস্বীকার করলেন এবং তিনি রােয৷ পুর্ণ করলেন ৷ যুহর
নামাযের ওয়াক্ত হলে তিনি লোকদের সঙ্গে নামায আদায় করলেন ৷ তখন কাযী ইবন সামাআ
বলেন : আপনি রক্তমাখ৷ গায়ে নামায পড়লেন ৷ উত্তরে ইমাম আহমদ বলেন : উমর (বা) এমন
অবস্থায় নামায পড়েছেন যে , তখন তার জখম রক্ত প্রবাহিত করছিল ৷ একথা শুনে ইবন সামাআ
নিশ্চুপ হয়ে গেলেন ৷

বর্ণিত আছে যে, ইমাম আহমদকে যখন প্ৰহার করার জন্য দাড় করানো হয়, তখন তার
পায়জামার ফিত৷ ছিড়ে গিয়েছিল ৷ তিনি শংকিত হয়ে পড়েন পায়জামা খসে পড়ে যায় কিনা ৷ তাই
তিনি সতর ঢেকে নিয়ে ঠোট নেড়ে মহান আল্লাহর নিকট দুআ করলেন ৷ ফলে মহান আল্লাহ্ তার
পায়জামা পুর্বের ন্যায় করে দেন ৷ আরো বর্ণিত আছে, তিনি বলেছিলেন : হে সাহায্য প্রার্থীদের
সাহায্যকারী, হে বিশ্বজগতের মাবুদ ! তুমি যদি জেনে থাকো, আমি তােমারই সন্তুষ্টি লাভে
সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত আছি, তাহলে তুমি আমার ইঘৃযত ক্ষুগ্ন হতে দিও না ৷

নিজ গৃহে ফিরে আসা ৷র পর জা ৷রায়িহী এসে তার দেহ থেকে নিম্পুাণ গোশত ণ্কটে ফেলেন
এবং তার চিকিৎসা করতে থাকেন ৷ খলীফার নায়িব সর্বক্ষণ তার খোজ খবর রাখতে শুরু
করেন ৷ তার কারণ হল, খলীফা ৷র পক্ষ থেকে ইমাম আহমদ-এর প্রতি যে আচরণ করা হয়েছিল,
তাতে তিনি ভিষণ অনুতপ্ত হন ৷ একারণে নায়িব তার ঘোজ-খবর রাখতে শুরু করেছিলেন ৷ পরে
যখন তিনি সুস্থুত৷ লাভ করেন, তখন মুতাসিম ও মুসলমানগণত তাতে আনন্দিত হন ৷ আল্লাহ্
তাকে সুন্থত৷ দান করার পরও তিনি কিছুদিন জীবিত থাকেন এবং ঠাণ্ডা লাগলে ইে বৃদ্ধাঙ্গুলী তাকে
কষ্ট দিত ৷ যা ৷রা তার উপর অত্যাচার চা ৷লিয়েছিল বিদ আতী৷ ছ৷ ড়া সবাইকে ক্ষমা করে দিন ৷ এ
প্রসঙ্গে তিনি কুরআনের নিম্নোক্ত আয় ৷তটি তিলাওয়াত করতেন

০ ৷ ৷

তারা যেন তাদের ক্ষমা করে এবং তাদের দােষ-ক্রটি উপেক্ষা করে (সুরা নুর : ২২) ৷ ’


وَقَالَ الْمَيْمُونِيُّ: قَالَ لِي عَلِيُّ بْنُ الْمَدِينِيِّ بَعْدَمَا امْتُحِنَ أَحْمَدُ، وَقَبْلَ أَنْ يُمْتَحَنَ: يَا مَيْمُونِيُّ، مَا قَامَ أَحَدٌ فِي الْإِسْلَامِ مَا قَامَ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ. فَعَجِبْتُ مِنْ هَذَا عَجَبًا شَدِيدًا، وَذَهَبْتُ إِلَى أَبِي عُبَيْدٍ الْقَاسِمِ بْنِ سَلَّامٍ، فَحَكَيْتُ لَهُ مَقَالَةَ عَلِيِّ بْنِ الْمَدِينِيِّ، فَقَالَ: صَدَقَ، إِنَّ أَبَا بَكْرٍ الصِّدِّيقَ وَجَدَ يَوْمَ الرِّدَّةِ أَنْصَارًا وَأَعْوَانًا وَإِنَّ أَحْمَدَ بْنَ حَنْبَلٍ لَمْ يَكُنْ لَهُ أَنْصَارٌ وَلَا أَعْوَانٌ. ثُمَّ أَخَذَ أَبُو عُبَيْدٍ يُطْرِي أَحْمَدَ وَيَقُولُ: لَسْتُ أَعْلَمُ فِي الْإِسْلَامِ مِثْلَهُ. وَقَالَ إِسْحَاقُ بْنُ رَاهَوَيْهِ: أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ حُجَّةٌ بَيْنَ اللَّهِ وَبَيْنَ عَبِيدِهِ فِي أَرْضِهِ. وَقَالَ عَلِيُّ بْنُ الْمَدِينِيِّ: إِذَا ابْتُلِيتُ بِشَيْءٍ فَأَفْتَانِي أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ لَمْ أُبَالِ إِذَا لَقِيتُ رَبِّي كَيْفَ كَانَ. وَقَالَ عَلِيٌّ أَيْضًا: إِنِّي اتَّخَذْتُ أَحْمَدَ بْنَ حَنْبَلٍ حُجَّةً فِيمَا بَيْنِي وَبَيْنَ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ، ثُمَّ قَالَ: وَمَنْ يَقْوَى عَلَى مَا يَقْوَى عَلَيْهِ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ؟ وَقَالَ يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ أَيْضًا: كَانَ فِي أَحْمَدَ بْنِ حَنْبَلٍ خِصَالٌ مَا رَأَيْتُهَا فِي عَالِمٍ قَطُّ، كَانَ مُحَدِّثًا، وَكَانَ حَافِظًا، وَكَانَ عَالِمًا، وَكَانَ وَرِعًا، وَكَانَ زَاهِدًا، وَكَانَ عَاقِلًا.
পৃষ্ঠা - ৮৭০০


সহীহ্ ঘুসলিমে আবুহুরড়ায়রা (রা) থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন ;;
;,প্রু
“আমি তিনটি বিষয়ের উপর কসম যেতে পারি ৷ দানে ধ্ন কমে না ৷ ক্ষমা দ্বারা আল্লাহ

বন্দোর কেবল মর্যাদা-ই বৃদ্ধি করেন ৷ যে ব্যক্তি আল্পাহ্র সমীপে বিনয়ী হয়, আল্লাহ্ তার মর্যাদা
বৃদ্ধি করে দেন ৷”

অত্যাচার-নির্যাতনে অটল থেকে যারা সমর্থন দান থেকে সম্পুর্ণরুপে বিরত থাকেন, র্তারা
চারজন ৷ আহমদ ইবন হাম্বল , যিনি তাদের প্রধান, মুহাম্মদ ইবন নুহ ইবন মড়ায়মুন আল-জুনৃদ
ভৈনশাপুরী, যিনি পথে মৃত্যুবরণ করেছিলেন, নুআয়ম ইবন হাম্মাদ আল-খুযাঈ, যিনি কারাগারে
আটক থাকা অবস্থায় মৃত্যুমুখে পতিত হন ৷ আবুইয়াকুব আল বুওয়াইত্তী, যিনি খালকে কুরআনের
বিপক্ষে কথা বলার অপরাধে ওয়াসিফ-এর কারাগারে আটক থাকা অবস্থায় মৃত্যুযুখে পতিত হন ৷
মৃত্যুর সময় তিনি লৌহ শিকলের বোঝায় ভারী ছিলেন এবং আহমদ ইবন নাসরআল-থুযাঈ ৷
আমরা তার মৃত্যুর ধরন সম্পর্কে আলোচনা করেছি ৷

ইমাম আহমদ ইবন হাম্বল-এৱ প্রশংসায় ইমামগণ

ইমাম বুখারী বলেন : ইমাম আহমদকে যখন প্রহার করা হয়, আমরা তখন বসরায় ৷ আমি
শুনেছি, আবুল ওয়ালীদ তায়ালিসী বলেন : আহমদ যদি বনী ইসরাঈলের লোক হতেন, তাহলে
তিনি একটি উপাথ্যান্থে পরিণত হতেন ৷ ইসমাঈল ইবনুল খলীল বলেন : আহমদ যদি বনী
ইসরাঈলের লোক হতেন, তাহলে অবশ্যই তিনি নবী হতেন ৷ মুযানী বলেন : ইমাম আহমদ
নির্যাতন আমলের, আবু বকর (রা) দীন ত্যাগের আমলের, উমর (রা) ছাকীফার দিবসের, উসমান
(রা) সাহায্য দিবসের এবং আলী (রা) জামাল ও সিফফীন দিবসের প্রধান ব্যক্তিত্ব ৷

হারমালা বলেন : আমি শাফিঈ (র)-কে বলতে শুনেছি : আমি যখন ইরাক ত্যাগ করে
আমি, তখন আমি ইমাম আহমদ ইবন হাম্বল অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ, বড় আলিম , পরহিযগার ও মুত্তাকী
আর কাউকে রেখে আসিনি ৷

শায়খ আহমদ ইয়াহ্ইয়া ইবন সাঈদ আল-কাত্তান বলেনঃ বাগদাদে যত লোকের আগমন
ঘটেছে, তন্মধ্যে আমার নিকট ইমাম আহমদ অপেক্ষা প্রিয় আর কেউ ছিল না ৷

কুতায়বা বলেন : সুফিয়ান ছাওরী ইস্তিকাল করলে, তাকওয়াও মারা গেল ৷ শাফিঈ
ইনতিকাল করেন, সঙ্গে সঙ্গে সুন্নাতও মারা গেল ৷ ইমাম আহমদ ইবন হাম্বল ইনতিকাল করলেন
আর বিদআত মাথা চাড়া দিয়ে উঠল ৷

তিনি আরো বলেন : ইমাম ইবন হাম্বল উষ্মতের মাঝে নবুওয়াভের মযদািয় অধিষ্ঠিত
হয়েছিলেন ৷ বায়হাকী বলেন : এর অর্থ হল, মহান আল্লাহর যাত-এর প্রশ্নে অত্যাচার-নির্যাতনের
শিকার হয়ে তিনি যে ধৈর্যধারণ করেছিলেন, তাতে তিনি একজন নবীর আদর্শের প্রমাণ দিয়েছেন ৷

আবু উমর ইবনুনুহাস একদিন ইমাম আহমদ-এর কথা উল্লেখ করে বলেন : মহান আল্লাহ


وَقَالَ يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ أَيْضًا: أَرَادَ النَّاسُ مِنَّا أَنْ نَكُونَ مِثْلَ أَحْمَدَ بْنِ حَنْبَلٍ، وَاللَّهِ مَا نَقْوَى أَنْ نَكُونَ مِثْلَ أَحْمَدَ، وَلَا نُطِيقُ سُلُوكَ طَرِيقِهِ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى الذُّهْلِيُّ: اتَّخَذْتُ أَحْمَدَ بْنَ حَنْبَلٍ حُجَّةً فِيمَا بَيْنِي وَبَيْنَ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ. وَقَالَ هِلَالُ بْنُ الْعَلَاءِ الرَّقِّيُّ: مَنَّ اللَّهُ عَلَى هَذِهِ الْأُمَّةِ بِأَرْبَعَةٍ: بِالشَّافِعِيِّ، فَهِمَ الْأَحَادِيثَ وَفَسَّرَهَا، وَبَيَّنَ الْمُجْمَلَ مِنَ الْمُفَسَّرِ، وَالْخَاصِّ مِنَ الْعَامِّ، وَالنَّاسِخَ مِنَ الْمَنْسُوخِ، وَبِأَبِي عُبَيْدٍ عَرَفَ الْغَرِيبَ وَفَسَّرَهُ، وَبِيَحْيَى بْنِ مَعِينٍ نَفَى الْكَذِبَ عَنِ الْأَحَادِيثِ، وَبِأَحْمَدَ بْنِ حَنْبَلٍ ثَبَتَ فِي الْمِحْنَةِ، لَوْلَا هَؤُلَاءِ الْأَرْبَعَةُ لَهَلَكَ النَّاسُ. وَقَالَ أَبُو بَكْرِ ابْنُ أَبِي دَاوُدَ: أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ مُقَدَّمٌ عَلَى كُلِّ مَنْ حَمَلَ بِيَدِهِ قَلَمًا وَمِحْبَرَةً ; يَعْنِي فِي عَصْرِهِ. وَقَالَ أَبُو بَكْرٍ مُحَمَّدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ رَجَاءٍ: مَا رَأَيْتُ مِثْلَ أَحْمَدَ بْنِ حَنْبَلٍ، وَلَا رَأَيْتُ مَنْ رَأَى مِثْلَهُ.
পৃষ্ঠা - ৮৭০১


আবু বকর ইবন আবু দাউদ বলেন : আহমদ ইবন হাম্বল তৎকালে যত লোক কলম-কালি
হাতে নিতেন, তাদের সকলের অগ্রগণ্য ছিলেন ৷

আবু বকর মুহাম্মদ ইবন রাজা বলেন : আমি আহমদ ইবন হাম্বল এর মত মানুষও দেখিনি ৷
আর তার মত লোক দেখেছেন, এমন কাউকে দেখিনি ৷

আবুযুরআ আর-রাযী বলেন : আমি আমার বন্ধুদের মাঝে কাল৷ মাথাওয়াল৷ কাউকে ইমাম
আহমদ অপেক্ষা বড় ফকীহ দেখিনি ৷

বায়হাকী হাকিম সুত্রে ইয়াহ্ইয়া ইবন মুহাম্মদ আর-আমবারী থেকে বর্ণনা করেন যে,

ইয়াহ্ইয়া ইবন মুহাম্মদ বলেন : আবু আবদুল্লাহ আল-বুসনাদী আমাদেরকে আহমদ ইবন হাম্বল
(র) সম্পর্কে নিম্নলিখিত পঙক্তিগুলাে আবৃত্তি করে পােনান :


“তুমি যদি আমাদের ইমাম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা কর, তাহলে তিনি আহমদ ইবন৷ হ ম্বল এবং
সৃষ্টির মাঝে ইমামগ ৷ণ র্তাকেই বরণ করে নিয়েছেন ৷ তিনি সেই লোকদের পর নবীজি (সা) এর
প্রতিনিধিত্ব করেছেন, যারা খলীফ৷ গণের ন্থলাভিষিক্তির দ ৷য়িতৃ পালন করেছেন এবং ইনতিকাল
করেছেন ৷ দুই জুতার ফিতা যেমন একটি অপরটির সমান সমান হয়ে থাকে, তিনিও ছিলেন
তেমনি ৷ ”
সহীহ্ বুখ৷ ৷রীতে বর্ণিত আছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন :
১১ ৰুাট্র ১া
ণ্প্রুা৷;
“আমার উম্মতের একদল মানুষ সর্বদা সত্যের উপর জয়ী থাকে ৷ কারো লাঞ্চুন৷ ও
বিরুদ্ধাচরণ তাদের কোন ক্ষতি করতে পারে না ৷ এমনকি সেই অবস্থার উপর প্রতিষ্ঠিত থাকা
অবস্থার-ই মহান আল্লাহর বিধান এসে পড়ে ৷ ”
ইবরাহীম ইবন আবদুর রহমান আল-আযরী থেকে যথাক্রমে ঘুআয ইবন রিফাআ, বাকিয়্যা
ইবনুল ওয়ালীদ, হাম্মাদ ইবন যায়দ, আবুবৃরবী’ আয-যাহরানী, আবুল কাসিম বাগাবী ও আবু সাঈদ

আল-মালীনী এই সুত্রে এবং ইবরাহীম ইবন আবদুর রহমান, মুআয, মুবাশৃশির , যিয়াদ ইবন
আইয়ুব ও বাগাবী এই সুত্রে বাযহ কী বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লা হ্ (সা) ইরশাদ করেন :

× §’


“পুর্বসুরীদের নিকট থেকে এই ইল্মকে ন্যায়পরায়ণ লোকেরা বহন করে থাকে ৷ তারা তার

আল-বিদায়৷ ওয়ান নিহায়া ( ১ :ম থণ্ড)-৭২


وَقَالَ أَبُو زُرْعَةَ الرَّازِيُّ: مَا أَعْرِفُ فِي أَصْحَابِنَا أَسْوَدَ الرَّأْسِ أَفْقَهَ مِنْهُ. وَرَوَى الْبَيْهَقِيُّ، عَنِ الْحَاكِمِ، عَنْ يَحْيَى بْنِ مُحَمَّدٍ الْعَنْبَرِيِّ قَالَ: أَنْشَدَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْبُوشَنْجِيُّ فِي أَحْمَدَ بْنِ حَنْبَلٍ رَحِمَهُ اللَّهُ: إِنَّ ابْنَ حَنْبَلٍ إِنْ سَأَلْتَ إَمَامُنَا ... وَبِهِ الْأَئِمَّةُ فِي الْأَنَامِ تَمَسَّكُوا خَلَفَ النَّبِيَّ مُحَمَّدًا بَعْدَ الْأُلَى ... كَانُوا الْخَلَائِفَ بَعْدَهُ وَاسْتَهْلَكُوا حَذْوَ الشِّرَاكِ عَلَى الشِّرَاكِ وَإِنَّمَا ... يَحْذُو الْمِثَالَ مِثَالُهُ الْمُتَمِسِّكُ وَقَدْ ثَبَتَ فِي الصَّحِيحِ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: «لَا يَزَالُ طَائِفَةٌ مِنْ أُمَّتِي ظَاهِرِينَ عَلَى الْحَقِّ لَا يَضُرُّهُمْ مَنْ خَذَلَهُمْ وَلَا مَنْ خَالَفَهُمْ حَتَّى يَأْتِيَ أَمْرُ اللَّهِ، وَهُمْ كَذَلِكَ» قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، وَأَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، وَغَيْرُهُمَا: هُمْ أَهْلُ الْحَدِيثِ. وَرَوَى الْبَيْهَقِيُّ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْمَالِينِيِّ، عَنِ ابْنِ عَدِيٍّ عَنْ أَبِي الْقَاسِمِ الْبَغَوِيِّ، عَنْ أَبِي الرَّبِيعِ الزَّهْرَانِيِّ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ بَقِيَّةَ بْنِ الْوَلِيدِ، عَنْ مُعَانِ
পৃষ্ঠা - ৮৭০২

থেকে সীমালংঘনকারীদের বিকৃতি, বাতিলপন্থীদের সংযোজন-বিয়োজন এবং অজ্ঞদের অপব্যাথ্যা
প্রতিহত করে থাকে ৷”

এই হুড়াদীস মুরসাল এবং এর সনদে দুর্বলতা আছে ৷ তবে বিস্ময়কর হল, ইবন আবদুল বাবর
এ হাদীসকে সহীহ্ আখ্যা দিয়েছেন এবং এর মাধ্যমে ইল্ম বহনকারী প্রত্যেকের বিশ্বস্ততার পক্ষে
প্রমাণ পেশ করেছেন ৷ ৷ উল্লেখ্য যে, ইমাম আহমদ, ইল মধারিগণের ইমামগণের একজন ৷
মহান আল্লাহ তার প্ৰতি দয়া করুন এবং তাকে সম্মানজনক ঠিকানা দান করুন ৷

নির্যাতনের পর ইমাম আহমদ-এর অবস্থান

দারুল খিলাফত থেকে বেরিয়ে ইমাম আহমদ নিজ বাড়িতে চলে যান ৷ এক সময় তিনি
সুন্থতা লাভ করেন ৷ সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর-ই জন্য ৷ তারপর তিনি বাড়িতেণ্ই অবস্থান
করতে থাকেন ৷ এমনকি বাড়ি থেকে বেরিয়ে তিনি জুমুআর নামাযেও শরীক হতেন না
জামায়াতেও নয় ৷ হাদীস বর্ণনা থেকেও বিরত থাকেন ৷ নিজ মালিকানার সম্পদ থেকে প্ৰতি মাসে
তার সতের দিরহাম আয় আসত ৷ তা-ই তিনি পরিবার-পরিজনের পিছনে ব্যয় করতেন এবং
তাতেই পরিতৃষ্ট থাকতেন ও ধৈর্যধারণ করতেন ৷ খলীফা আল-মু’তাসিম-এর খিলাফত আমল
পর্যন্ত তিনি এভাবেই জীবন অতিবাহিত করেন ৷ তদ্র্যপ মু’তাসিমের ছেলে মুহাম্মদ আল-
ওয়াসিক-এর আমলেও ৷ তারপর মুতাওয়াক্কিল যখন খিলাফতের দায়িত্ব গ্রহণ করেন, তখন মানুষ
তার ক্ষমতাগ্রহণে আনন্দিত হয় ৷ কারণ, তিনি সুন্নড়াহ ও তার অনুসারীদের তালবাসতেন ৷ তিনি
নির্যাতনের ধারা তুলে নেন এবং সর্বত্র পত্র লিখেন যেন কেউ খানকে কুরআনের পক্ষে কোন কথা
না বলে ৷ তারপর তিনি তার বাগদাদের নায়িব ইসহাক ইবন ইবরাহীমকে আহমদ ইবন হাম্বলকে
তার নিকট প্রেরণ করার জন্য পত্র লিখেন ৷ ইসহাক ইবন ইবরাহীম ইমাম আহমদকে ডেকে
জানান এবং তাকে যথাযথ সম্মান করেন ৷ কেননা, তিনি জানতেন যে, খলীফা তাকে শ্রদ্ধা
করেন ৷ তারপর একান্তে তাকে কুরআন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন ৷ ইমাম আহমদ বলেন : এই
প্রশ্ন যন্ত্রণা দেওয়ার জন্য, নাকি হিদায়াত লাভের জন্য ৷ ইসহাক ইবন ইবরাহীম বলেন : হিদায়াত
লাভের জন্য ৷ এবার তিনি বলেন : পবিত্র কুরআন মহান আল্লাহর কালাম, যা নাযিলকৃত-সৃষ্ট নয় ৷
ইসহাক ইবন ইবরাহীম আর কোন প্রশ্ন না করে আহমদ ইবন হাম্বলকে খলীফার নিকট সুররা
মানরাআর উদ্দেশ্যে রওনা করিয়ে নিজে তার আগে খলীফার নিকট পৌছে যান ৷

ইসহাক ইবন ইবরাহীম শুনতে পেলেন যে, আহমদ ইবন হাম্বল তার ছেলে মুহাম্মদ ইবন
ইসহাক-এর নিকট দিয়ে অতিক্রম করেন ; কিন্তু তিনি তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন না, তাকে
সালামও দিলেন না ৷ শুনে ইসহাক ইবন ইবরাহীম ইমামের প্রতি ক্রুদ্ধ হন এবং খলীফার নিকট
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন ৷ খলীফা মুতাওয়াক্কিল বলেন : তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে,
যদি তিনি আমার শয্যা পদদলিত করেন ৷ ফলে ইমাম আহমদ রাস্তা থেকেই বাগদাদ ফিরে যান ৷
ইমাম আহমদ তাদের নিকট যেতে অনীহাও ছিলেন ৷ কিন্তু যায় তার পক্ষে তা সহজ ছিল না ৷

কিন্তু সেই ইসহাক ইবন ইবরাহীম-এর কথায় তিনি ফিরে গেলেন যার কারণে তাকে প্রহার করা
হয়েছিল ৷

তারপর ইবনুল বাল্খী নামক এক বিদআর্তী খলীফার নিকট নালিশ করল যে, এক আলাবী


بْنِ رِفَاعَةَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْعُذْرِيِّ. ح قَالَ الْبَغَوِيُّ: وَحَدَّثَنِي زِيَادُ بْنُ أَيُّوبَ حَدَّثَنَا مُبَشِّرٌ، عَنْ مُعَانٍ عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْعُذْرِيِّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَحْمِلُ هَذَا الْعِلْمَ مِنْ كُلِّ خَلَفٍ عُدُولُهُ يَنْفُونَ عَنْهُ تَحْرِيفَ الْغَالِينَ، وَانْتِحَالَ الْمُبْطِلِينَ، وَتَأْوِيلَ الْجَاهِلِينَ» وَهَذَا الْحَدِيثُ مُرْسَلٌ، وَإِسْنَادُهُ فِيهِ ضَعْفٌ، وَالْعَجَبُ أَنَّ ابْنَ عَبْدِ الْبَرِّ صَحَّحَهُ، وَاحْتَجَّ بِهِ عَلَى عَدَالَةِ كُلِّ مَنْ نُسِبَ إِلَى حَمْلِ الْعِلْمِ، وَالْإِمَامُ أَحْمَدُ مِنْ أَئِمَّةِ أَهْلِ الْعِلْمِ، رَحِمَهُ اللَّهُ، وَأَكْرَمَ مَثْوَاهُ. [الْإِمَامُ أَحْمَدُ بَعْدَ الْمِحْنَةِ] ذِكْرُ مَا كَانَ مَنْ أَمْرِ الْإِمَامِ أَحْمَدَ بَعْدَ الْمِحْنَةِ حِينَ أُخْرِجَ مِنْ دَارِ الْخِلَافَةِ بَعْدَ الضَّرْبِ صَارَ إِلَى مَنْزِلِهِ فَدُووِيَ حَتَّى
পৃষ্ঠা - ৮৭০৩


আহমদ ইবন হাম্বল-এর ঘরে গিয়ে আশ্রয় গ্রহণ করেছে এবং তিনি গোপনে লোকদের থেকে
তার পক্ষে বায়আত নিচ্ছেন ৷ ফলে খলীফা বাগদাদের নায়িবকে নির্দেশ দেন, যেন তিনি রাতে

আহমদ ইবন হাম্বল-এর ঘরে হানা দেয় ৷ ইমাম আহমদ ও তার পরিবার টের পান তখন, যখন
অনেকগুলো প্রদীপ চারদিক থেকে তাদের ঘর ঘিরে ফেলে, এমনকি ছাদের উপর থেকেও ৷ তারা
ইমাম আহমদকে পরিবার-পরিজনের সঙ্গে গৃহে উপবিষ্ট দেখতে পায় ৷ তারা র্বৃতীকে অভিযোগ
সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে ৷ তিনি বলেন : এ ব্যাপারে আমার কিছু জানা নেই, এমন কিছু ঘটেনিও
এবং এমন কোন নিয়তও আমার সেই ৷ আমি তো গোপনে-প্রকাশ্যে, সৎকটে-স্বড়াচ্ছন্দো,
আনন্দে-রিষাদে খলীফার আমীরুল মু’মিনীন-এর আনুগত্য-ই করে থাকি ৷ আমার উপর তার
প্রভাব বিদ্যমান ৷ আমি রাতে-দিনে সব কথায় মহান আল্লাহর নিকট দুআ করি, যেন তিনি তাকে
সঠিক পথে পরিচালিত করেন এবং শক্তি-সামর্থ্য দান করেন ৷

খলীফার লোকেরা ইমাম আহমদের ঘরে তল্লাশী চালায় ৷ এমনকি কিতারের ঘর , মহিলাদের
ঘর এবং ছাদ প্রভৃতিও বাদ দেইনি ৷ কিন্তু কিছুই খুজে পায়নি ৷

খলীফড়া মুতাওয়াক্কিল-এর নিকট যখন এ সংবাদ পৌছে এবং জানতে পারলেন, আরোপিত
অভিযোগে ইমাম আহমদ নির্দোষ , তখন তিনি বুঝতে পারলেন যে, তারা আসলে ইমাম
আহমদ এর বিরুদ্ধে অনেক মিথ্যা বলছে ৷ ফলে, তিনি তার দ্বাররক্ষী ইয়াকুব ইবন ইবরাহীমকে
যিনি কাওসারা নামে পরিচিত-দশ হজাের দিরহড়াম দিয়ে ইমাম আহমদ এর নিকট প্রেরণ করেন
এবং বলে দেন, তাকে বলবে, খলীফা আপনাকে সালাম বলেছেন এবং এগুলো ব্যয় করতে
বলেছেন ৷ কিভু,ইমাম আহমদ ষুদ্রাগুলো গ্রহণ করতে অস্বীকার করলেন ৷ ইয়াকুব ইবন ইব্রাহীম
বলেন : হে আবু আবদুল্লাহ ! আমার ভয় হয় এগুলো ফিরিয়ে দিলে আপনার ও খলীফার মাঝে
সম্পর্কের অবনতি ঘটরে ৷ আমি মুদ্রাগুলো গ্রহণ করাই আপনার জন্য কল্যাণকর মনে করছি ৷ এই
বলে ইয়াকুব ইবন ইবরাহীম দিবহামগুলাে ইমাম আহমদ-এর নিকট রেখে চলে যান ৷

শেষ রাতে ইমাম আহমদ তার পরিবার-পরিজন, চাচার ছেলেগণ ও তার পরিজনের
লোকদের ডেকে বলেন ;; এই সম্পদের কারণে এরাতে আমি ঘুমাইনি ৷ শুনে তারা বসে বাগদাদ
ও বসরার হাদীস চর্চাকারী প্রমুখ একদল অভাবী লোকের তালিকা লিপিবদ্ধ করেন ৷ রাত পােহাবার
পর তারা পঞ্চাশ থেকে একশ, দৃইশ করে মুদ্রাগুলো মানুষের মাঝে বপ্টন করে দেন ৷ এমনকি
তিনি একটি দিরহামও রাখলেন না ৷ সেখান আবুআইয়ুব এবং আবু সাঈদ আল-আশাজ্জকেও দান
করলেন ৷ তিনি মুদ্রাগুলো যে থলেতে ছিল, সেটিও সাদাকা করে দেন ৷ সেখান থেকে নিজ
পরিবারকে কিছুই দিলেন না ৷ অথচ তারা চরম অভাব-অনটনে জীবন যাপন করছিল ৷ তার এক
ছেলে এসে বলল, আমাকে একটি দিরহাম দিন ৷ শুনে ইমাম আহমদ ছেলে সালিহ-এর দিকে
দৃষ্টিপাত করেন ৷ সড়ালিহ একটি টুকরা নিয়ে বালকটিকে দিয়ে দিন ৷ ইমাম আহমদ কিছু বললেন
না

খলীফার নিকট সংবাদ পৌছে যায় যে, ইমাম আহমদ উপচৌকনগুলো সম্পুর্ণ দান করে
দিয়েছেন ৷ এমনকি থলেটা পর্যন্ত ৷ আলী ইবনুল জাহ্ম বলেন : আমীরুল মু’মিনীন ! তিনি
সেগুলো আপনার থেকে গ্রহণ করে আপনার মাঝে দান করে দিয়েছেন ৷ আহমদ সম্পদ দিয়ে
করবেন কী ? তার তো একখানা রুটি-ই যথেষ্ট ৷ খলীফা বলেন : তুমি সত্য বলেছ ৷


بَرِئَ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ. وَلَزِمَ مَنْزِلَهُ فَلَا يَخْرُجُ مِنْهُ إِلَى جَمَاعَةٍ وَلَا جُمُعَةٍ، وَامْتَنَعَ مِنَ التَّحْدِيثِ، وَكَانَتْ غَلَّتُهُ مِنْ مِلْكٍ لَهُ ; فِي كُلِّ شَهْرٍ سَبْعَةَ عَشَرَ دِرْهَمًا يُنْفِقُهَا عَلَى عِيَالِهِ، وَيَتَقَنَّعُ بِذَلِكَ، رَحِمَهُ اللَّهُ، صَابِرًا مُحْتَسِبًا، وَلَمْ يَزَلْ كَذَلِكَ مُدَّةَ خِلَافَةِ الْمُعْتَصِمِ، وَكَذَلِكَ فِي أَيَّامِ ابْنِهِ مُحَمَّدٍ الْوَاثِقِ. فَلَمَّا وَلِيَ الْمُتَوَكِّلُ عَلَى اللَّهِ جَعْفَرُ ابْنُ الْمُعْتَصِمِ اسْتَبْشَرَ النَّاسُ بِوِلَايَتِهِ فَإِنَّهُ كَانَ مُحِبًّا لِلسُّنَّةِ وَأَهْلِهَا، وَرَفَعَ الْمِحْنَةَ عَنِ النَّاسِ، وَكَتَبَ إِلَى الْآفَاقِ أَنْ لَا يَتَكَلَّمَ أَحَدٌ فِي الْقَوْلِ بِخَلْقِ الْقُرْآنِ، ثُمَّ كَتَبَ إِلَى نَائِبِهِ بِبَغْدَادَ وَهُوَ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ أَنْ يَبْعَثَ بِأَحْمَدَ بْنِ حَنْبَلٍ إِلَيْهِ، فَاسْتَدْعَى إِسْحَاقُ بِالْإِمَامِ أَحْمَدَ إِلَيْهِ فَأَكْرَمَهُ إِسْحَاقُ وَعَظَّمَهُ ; لِمَا يَعْلَمُ مِنْ إِعْظَامِ الْخَلِيفَةِ لَهُ وَإِجْلَالِهِ إِيَّاهُ، وَسَأَلَهُ فِيمَا بَيْنَهُ وَبَيْنَهُ عَنِ الْقُرْآنِ، فَقَالَ لَهُ أَحْمَدُ: سُؤَالُ تَعَنُّتٍ أَوِ اسْتِرْشَادٍ؟ فَقَالَ: بَلْ سُؤَالُ اسْتِرْشَادٍ. فَقَالَ: هُوَ كَلَامُ اللَّهِ مَنَزَّلٌ غَيْرُ مَخْلُوقٍ. فَسَكَنَ إِلَى قَوْلِهِ فِي ذَلِكَ، ثُمَّ جَهَّزَهُ إِلَى الْخَلِيفَةِ بِسُرَّ مَنْ رَأَى، ثُمَّ سَبَقَهُ إِلَيْهِ. وَبَلَغَهُ أَنَّ أَحْمَدَ بْنَ حَنْبَلٍ اجْتَازَ بِابْنِهِ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ فَلْمْ يَأْتِهِ وَلَمْ يُسَلِّمْ عَلَيْهِ، فَغَضِبَ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ مِنْ ذَلِكَ وَشَكَاهُ إِلَى الْخَلِيفَةِ، فَقَالَ الْمُتَوَكِّلُ: يُرَدُّ وَإِنْ كَانَ قَدْ وَطِئَ بِسَاطِي. فَرَجَعَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ مِنَ الطَّرِيقِ إِلَى بَغْدَادَ وَقَدْ كَانَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ مُتَكَرِّهًا لِذَلِكَ، وَلَكِنْ لَمْ يَهُنْ ذَلِكَ عَلَى كَثِيرٍ مِنَ النَّاسِ،
পৃষ্ঠা - ৮৭০৪
وَإِنَّمَا كَانَ رُجُوعُهُ عَنْ قَوْلِ إِسْحَاقَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ الَّذِي كَانَ هُوَ السَّبَبَ فِي ضَرْبِهِ. ثُمَّ إِنَّ رَجُلًا مِنَ الْمُبْتَدِعَةِ يُقَالُ لَهُ ابْنُ الثَّلْجِيِّ وَشَى إِلَى الْخَلِيفَةِ شَيْئًا، فَقَالَ: إِنَّ رَجُلًا مِنَ الْعَلَوِيِّينَ قَدْ ضَوَى إِلَى مَنْزِلِ أَحْمَدَ بْنِ حَنْبَلٍ، وَهُوَ يُبَايِعُ لَهُ النَّاسَ فِي الْبَاطِنِ. فَأَمَرَ الْخَلِيفَةُ نَائِبَ بَغْدَادَ أَنْ يَكْبِسَ مَنْزِلَ الْإِمَامِ أَحْمَدَ مِنَ اللَّيْلِ. فَلَمْ يَشْعُرُوا إِلَّا وَالْمَشَاعِلُ قَدْ أَحَاطَتْ بِالدَّارِ مِنْ كُلِّ جَانِبٍ حَتَّى مِنْ فَوْقِ الْأَسْطِحَةِ فَوَجَدُوا الْإِمَامَ أَحْمَدَ جَالِسًا فِي دَارِهِ مَعَ عِيَالِهِ، فَسَأَلُوهُ عَمَّا ذُكِرَ عَنْهُ، فَقَالَ: لَيْسَ عِنْدِي مِنْ هَذَا عِلْمٌ، وَلَيْسَ مِنْ هَذَا شَيْءٌ، وَلَا هَذَا مِنْ نِيَّتِي، وَإِنِّي لِأَرَى طَاعَةَ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ فِي السِّرِّ وَالْعَلَانِيَةِ، وَفِي عُسْرِي وَيُسْرِي، وَمَنْشَطِي وَمَكْرَهِي، وَأَثَرَةٍ عَلَيَّ، وَإِنِّي لَأَدْعُو اللَّهَ لَهُ بِالتَّسْدِيدِ وَالتَّوْفِيقِ فِي اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ. فِي كَلَامٍ كَثِيرٍ، فَفَتَّشُوا مَنْزِلَهُ حَتَّى مَكَانَ الْكُتُبِ وَبُيُوتَ النِّسَاءِ وَالْأَسْطِحَةَ وَغَيْرَهَا فَلَمْ يَرَوْا شَيْئًا. فَلَمَّا بَلَغَ الْمُتَوَكِّلَ ذَلِكَ، وَعَلِمَ بَرَاءَتَهُ مِمَّا نُسِبَ إِلَيْهِ، عَلِمَ أَنَّهُمْ يَكْذِبُونَ عَلَيْهِ كَثِيرًا، فَبَعَثَ إِلَيْهِ يَعْقُوبَ بْنَ إِبْرَاهِيمَ الْمَعْرُوفَ بِقَوْصَرَةَ وَهُوَ أَحَدُ الْحَجَبَةِ بِعَشَرَةِ آلَافِ دِرْهَمٍ مِنَ الْخَلِيفَةِ، وَقَالَ: هُوَ يَقْرَأُ عَلَيْكَ السَّلَامَ وَيَقُولُ لَكَ: اسْتَنْفَقَ هَذِهِ. فَامْتَنَعَ مَنْ قَبُولِهَا. فَقَالَ: يَا أَبَا عَبْدِ اللَّهِ إِنِّي أَخْشَى مِنْ رَدِّكَ إِيَّاهَا أَنْ يَقَعَ وَحْشَةٌ بَيْنَكَ وَبَيْنَهُ، وَالْمَصْلَحَةُ لَكَ قَبُولُهَا، فَوَضَعَهَا عِنْدَهُ ثُمَّ ذَهَبَ، فَلَمَّا كَانَ مِنْ آخِرِ اللَّيْلِ اسْتَدْعَى الْإِمَامُ أَحْمَدُ
পৃষ্ঠা - ৮৭০৫


ইসহাক ইবন ইবরাহীম মৃত্যু মুখে পতিত হন ৷ ক’দিন পর-ই মারা গেলেন তার পুত্র
মুহাম্মদ ৷ আবদুল্লাহ ইবন ইসহাক রাপদাদের নায়িব নিযুক্ত হলেন ৷ মুতাওয়াক্কিল ইমাম আহমদকে
তার নিকট নিয়ে যাওয়ার জন্য আবদুল্লাহ ইবন ইসহাককে পত্র লিখলেন ৷ আবদুল্লাহ ইবন ইসহাক
ইমাম আহমদকে বিষয়টি অবহিত করলেন ৷ ইমাম আহমদ বলেন : আমি বৃদ্ধ ও দুর্বল ৷ নায়িব
ইমাম আহমাদের জবাব খলীফার নিকট পৌছিয়ে দেন ৷ কিন্তু, খলীফা পুনরায় সংবাদ পাঠালেন
যেকোন প্রকারে হোক ইমাম আহমদকে আমার নিকট নিয়ে আসতেই হবে ৷ পাশাপাশি তিনি
ইমাম আহমদ-এর নিকটও পত্র লিখলেন : আমি আপনার ভৈনকট্য লাভ করার এবং আপনাকে
এক নজর দেখার প্রত্যাশা করছি এবং আপনার দৃআর বরকত অর্জনের আশা করছি ৷

ইমাম আহমদ-অথচ তিনি অসুস্থ ছোলগণ ও এক ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে খলীফার উদ্দেশ্যে রওনা
হয়ে যান ৷

তিনি যখন সেনাবাহিনীর সন্নিকটে গিয়ে পৌছেন, তখন খলীফার পরিচর্যাকারী বিশাল এক
সেনাবহর নিয়ে এসে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ৷ পরিচর্যাকারী ইমাম আহমদকে সালাম করে ৷
ইমাম আহমদ সালামের জবাব দেন ৷ পরিচর্ষাকারী তাকে বলল : মহান আল্লাহ আপনার শত্রু ইবন
আবু দাউদকে আপনার কাবু করে দিয়েছেন ৷ কিন্তু ইমাম আহমদ কোন জবাব দিলেন না ৷
ইমামের ছেলে খলীফা এবং পরিচারকের জন্য মহান আল্লাহর নিকট দুঅড়া করতে শুরু করে ৷
যখন তারা সুররা মানরাআয় সেনাবাহিনীর নিকট গিয়ে পৌছে, তখন ইমাম আহমদকে ইতাখ-এর
গৃহে নিয়ে অবতরণ করা হয় ৷ কিন্তু ইমাম বিষয়টা জানতে পেরে সেখান থেকে চলে যান এবং
তার জন্য অন্য ঘর ভাড়া করার নির্দেশ প্রদান করেন ৷ শীর্ষানতৃবর্গ প্রতিদিন ইমাম আহমদ এর
নিকট উপস্থিত হয়ে খলীফার সালাম পৌছাতেন ৷ তারা গায়ের সাজ-সজ্জা ও অস্ত্র না খুলে তার
নিকট প্রবেশ করতেন না ৷ খলীফা তার নিকট উক্ত গৃহের উপযোগী কোমল বিছানা ও অন্যান্য সব
শ্বমাদি পাঠিয়ে দেন ৷ তাতে খলীফড়ার উদ্দেশ্য ছিল নির্যাতনের দিনগুলােতে এবং তৎপরবর্তী দীর্ঘ
কয়েক বছর জনগণ তার সাহচর্য থেকে বঞ্চিত হয়েছিল, সেই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার লক্ষে
সেখানে অবস্থান করে তিনি মানুষের সঙ্গে কথা-বার্তা বলবেন ৷ কিন্তু তিনি এই বলে ওজরখাহী
করলেন যে , তিনি অসুস্থ, দীতগুলাে নড়ছে এবং তিনি দুর্বল ৷ খলীফা প্রতিদিন তার নিকট খাঞ্চা
ভর্তি রকমারী খাদ্য, ফল-ফলাদি ও বরফ পাঠিয়ে দিতেন, যাব মুল্য ছিল প্রতিদিন একশ বিশ

দিরহাম ৷ খলীফা ভারতের, তিনি তা থেকে আহড়ার করছেন ৷ কিন্তু, ইমাম আহমদ তা থেকে
কিছুই থেতেন না ৷ বরং তিনি লাপাতার রােযা রাখতেন ৷ এভাবে কোন খাদ্য গ্রহণ না করে তিনি
আটদিন অবস্থান করেন ৷ তদুপরি তিনি ছিলেন অসুস্থ ৷ তারপর তার ছেলে তাকে কসম দিলে
আটদিন পর তিনি সামান্য ছাতু পান করলেন ৷ উবায়দুল্লাহ্ ইবন ইয়াহ্ইয়া ইবন খাকান খলীফার
পক্ষ থেকে উপচৌকন হিসেবে বিপুল পরিমাণ সম্পদ নিয়ে এসে উপস্থিত হন ৷ কিন্তু , ইমাম
আহমদ সেগুলো গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন ৷ উবায়দুল্লাহ্ ইবন ইয়াহ্ইয়ার পীড়াপীড়ি সত্বেও
তিনি তা গ্রহণ করলেন না ৷ অপত্যা আমীর সম্পদগুলাে নিজ হাতে ইমাম আহমদ এর ছেলেপণ
ও পরিবার-পরিজনের মাঝে বণ্টন করে দেন এবং বলেন : দেখুন, এগুলো খলীফার নিকট ফেরত
নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয় ৷ খলীফা তার জন্য এবং তার পরিবারের জন্য প্রতি মাসে চার হাজার
দিরহাম করে ভাতা চালু করে দেন ৷ কিন্তু, আবু আবদুল্লাহ খলীফাকে নিষেধ করেন ৷ উত্তরে


أَهْلَهُ وَبَنِي عَمِّهِ وَعِيَالَهُ، وَقَالَ: لَمْ أَنَمْ هَذِهِ اللَّيْلَةَ مِنْ هَذَا الْمَالِ. فَجَلَسُوا مَعَهُ، وَكَتَبُوا أَسْمَاءَ جَمَاعَةٍ مِنَ الْمُحْتَاجِينَ مِنْ أَهْلِ الْحَدِيثِ، وَغَيْرِهِمْ مِنْ أَهْلِ بَغْدَادَ وَالْبَصْرَةِ، ثُمَّ أَصْبَحَ فَفَرَّقَهَا فِي النَّاسِ مَا بَيْنَ الْخَمْسِينَ إِلَى الْمِائَةِ وَالْمِائَتَيْنِ وَلَمْ يبْقِ مِنْهَا دِرْهَمًا، وَأَعْطَى مِنْهَا لِأَبِي كُرَيْبٍ، وَأَبِي سَعِيدٍ الْأَشَجِّ، وَتَصَدَّقَ بِالْكِيسِ الَّذِي كَانَتْ فِيهِ، وَلَمْ يُعْطِ مِنْهَا لِأَهْلِهِ شَيْئًا، وَهُمْ فِي غَايَةِ الْفَقْرِ وَالْحَاجَةِ، وَجَاءَ بُنَيُّ ابْنِهِ فَقَالَ: أَعْطِنِي دِرْهَمًا. فَنَظَرَ أَحْمَدُ إِلَى ابْنِهِ صَالِحٍ، فَتَنَاوَلَ صَالِحٌ قِطْعَةً فَأَعْطَاهَا الصَّبِيَّ، فَسَكَتَ أَحْمَدُ، رَحِمَهُ اللَّهُ. وَبَلَغَ الْخَلِيفَةُ أَنَّهُ قَدْ تَصَدَّقَ بِالْجَائِزَةِ كُلِّهَا حَتَّى لَمْ يُبْقِ مِنْهَا شَيْئًا وَأَنَّهُ تَصَدَّقَ بِكِيسِهَا، فَقَالَ عَلِيُّ بْنُ الْجَهْمِ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، إِنَّهُ قَدْ قَبِلَهَا مِنْكَ وَتَصَدَّقَ بِهَا عَنْكَ، وَمَا يَصْنَعُ أَحْمَدُ بِالْمَالِ؟ إِنَّمَا يَكْفِيهِ رَغِيفٌ. فَقَالَ: صَدَقْتَ. فَلَمَّا مَاتَ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ وَابْنُهُ مُحَمَّدٌ، وَلَمْ يَكُنْ بَيْنَهُمَا إِلَّا الْقَرِيبُ، وَتَوَلَّى نِيَابَةَ بَغْدَادَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِسْحَاقَ، كَتَبَ الْمُتَوَكِّلُ إِلَيْهِ أَنْ يَحْمِلَ إِلَيْهِ الْإِمَامَ أَحْمَدَ، فَقَالَ لِأَحْمَدَ فِي ذَلِكَ. فَقَالَ: إِنِّي شَيْخٌ كَبِيرٌ وَضَعِيفٌ، فَرَدَّ الْجَوَابَ عَلَى الْخَلِيفَةِ بِذَلِكَ، فَأَرْسَلَ يَعْزِمُ عَلَيْهِ لَتَأْتِيَنِّي، وَكَتَبَ إِلَى أَحْمَدَ يَقُولُ لَهُ: إِنِّي أُحِبُّ أَنْ آنَسَ بِقُرْبِكَ، وَبِالنَّظَرِ إِلَيْكَ، وَيَحْصُلَ لِي بَرَكَةُ دُعَائِكَ. فَسَارَ إِلَيْهِ
পৃষ্ঠা - ৮৭০৬
الْإِمَامُ أَحْمَدُ وَهُوَ عَلِيلٌ فِي بَنِيهِ وَبَعْضِ أَهْلِهِ، فَلَمَّا قَارَبَ الْعَسْكَرَ تَلَقَّاهُ وَصِيفٌ الْخَادِمُ فِي مَوْكِبٍ عَظِيمٍ، فَسَلَّمَ وَصِيفٌ عَلَى الْإِمَامِ أَحْمَدَ، فَرَدَّ السَّلَامَ، ثُمَّ قَالَ لَهُ وَصِيفٌ: قَدْ أَمْكَنَكَ اللَّهُ مِنْ عَدُوِّكَ ابْنِ أَبِي دُؤَادٍ. فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيْهِ جَوَابًا، وَجَعَلَ ابْنُهُ يَدْعُو اللَّهَ لِلْخَلِيفَةِ وَلِوَصِيفٍ فَلَمَّا وَصَلُوا إِلَى الْعَسْكَرِ بِسُرَّ مَنْ رَأَى، أُنْزِلَ أَحْمَدُ فِي دَارِ إِيتَاخَ فَلَمَّا عَلِمَ بِذَلِكَ ارْتَحَلَ مِنْهَا، وَأَمَرَ أَنْ يُسْتَكْرَى لَهُ دَارٌ غَيْرُهَا. وَكَانَ رُءُوسُ الْأُمَرَاءِ فِي كُلِّ يَوْمٍ يَحْضُرُونَ عِنْدَهُ، وَيُبَلِّغُونَهُ عَنِ الْخَلِيفَةِ السَّلَامَ، وَلَا يَدْخُلُونَ عَلَيْهِ حَتَّى يَخْلَعُوا مَا عَلَيْهِمْ مِنَ الزِّينَةِ وَالسِّلَاحِ، وَبَعَثَ إِلَيْهِ الْخَلِيفَةُ بِالْمَفَارِشِ الْوَطِيئَةِ وَغَيْرِهَا مِنَ الْآلَاتِ الَّتِي تَلِيقُ بِتِلْكَ الدَّارِ الْعَظِيمَةِ. وَأَرَادَ مِنْهُ الْخَلِيفَةُ أَنْ يُقِيمَ هُنَاكَ لِيُحَدِّثَ النَّاسَ عِوَضًا عَمَّا فَاتَهُمْ مِنْهُ فِي أَيَّامِ الْمِحْنَةِ وَمَا بَعْدَهَا مِنَ السِّنِينَ الْمَاضِيَةِ الْمُتَطَاوِلَةِ وَهُوَ مَحْجُوبٌ فِي دَارِهِ لَا يَخْرُجُ إِلَى جَمَاعَةٍ وَلَا جُمُعَةٍ أَيْضًا، فَاعْتَذَرَ إِلَيْهِمْ بِأَنَّهُ عَلِيلٌ وَأَسْنَانُهُ تَتَحَرَّكُ وَهُوَ ضَعِيفٌ. وَكَانَ الْخَلِيفَةُ يَبْعَثُ إِلَيْهِ فِي كُلِّ يَوْمٍ مَائِدَةً فِيهَا أَلْوَانُ الْأَطْعِمَةِ وَالْفَاكِهَةِ وَالثَّلْجُ، مِمَّا يُقَاوِمُ مِائَةً وَعِشْرِينَ دِرْهَمًا فِي كُلِّ يَوْمِ، وَالْخَلِيفَةُ يَحْسَبُ أَنَّهُ يَأْكُلُ مِنْ ذَلِكَ، وَلَمْ يَكُنْ أَحْمَدُ يَطْعَمُ شَيْئًا مِنْ ذَلِكَ بِالْكُلِّيَّةِ، بَلْ كَانَ صَائِمًا يَطْوِي، فَمَكَثَ ثَمَانِيَةَ أَيَّامٍ لَمْ يَسْتَطْعِمْ بِطَعَامٍ، وَمَعَ ذَلِكَ هُوَ عَلِيلٌ، ثُمَّ أَقْسَمَ
পৃষ্ঠা - ৮৭০৭


৫ ৭৩

খলীফ৷ বলেন৪ এর প্রয়োজন রয়েছে ৷ এগুলো আপনার সন্তানদের জন্য ৷ তথাপি ইমাম আহমদ
অস্বীকৃতির উপর অটল থাকেন এবং পরিজন ও স্বীয় চাচা কে তিরস্কা ৷র করতে শুরু করেন ৷ তিনি

তাদেরকে বলেন৪ আমার আর আর ক ’ট৷ দিন বাকী আছে ৷ আমার মৃত্যু নেমে এসেছে বলা
চলে ৷ তারপর হয়ত জ ৷ন্নাতে যাব, নয়ত জ ৷হান্ন৷ মে ৷ আমরা এমন অবস্থায় দুনিয়া থেকে যাব যে
আমাদের পেট এসব সম্পদ গ্রহণ করেছে ৷ এরুপ দীর্ঘ আলাপচারিত ৷র মাধ্যমে তিনি তাদেরকে
উপদেশ প্রদান করেন ৷ কিন্তু,ত না তারা সহীহ হাদীসের মাধ্যমেত তার ৷ৰিপক্ষে দলীল পেশ করেন যে,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) ইরশাদ করেন০ ং

ষ্ ’ শ্


“প্রার্থনা এবং মােহ ব্যতীত এই সম্পদ থেকে যা কিছু তোমার নিকট আসবে, তা তুমি গ্রহণ
কর ৷ ”

তাছাড়া তারা এই যুক্তিও পেশ করে যে, ইবন উমর ও ইবন আব্বাস (বা) বাদশাহ্র
উপটোকন গ্রহণ করেছেন ৷ জবাবে তিনি বলেন : এটা আর ওটা সমান নয় ৷ আমি যদি জানতাম
যে, এই সম্পদ যোর-যুলুম ব্যতীত বৈধভাবে সংগৃহীত হয়েছে, তাহলে আমি পরওয়া করতাম না ৷

ইমাম আহমদ ইবন৷ হ ম্বল এর দৃর্বলত৷ অব্যাহত থাকে ৷ খলীফাঅ ৷ল-মুতাওয়াক্কিল ডাক্তার

ইবন মাসুবিয়াকেত ৷র চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করেন ৷ ডাক্তার ফিরে এসে বলেন৪ আমীরুল
মু ’মিনীন আহমদ ইবন৷ হ ম্বল এর শরীরে কোন রোগ নেই ৷ তার রোগ হল খাদ্যের স্বল্পত৷ এবং
বোমা ও ইবাদতের আ ৷ধিক্য ৷ শুনে মুতা ৷ওয়াক্কিল নিশ্চুপ হয়ে গেলেন ৷ত তারপর খলীফ৷ ৷র মা ইমাম
আহমদকে দেখার জন্য তা যে নিকটে আবেদন জানালেন ৷ ফলে মুতাওয়াক্কিল এই নিবেদন নিয়ে
না তার নিকট লোক প্রেরণ করলেন যে, তিনি যেন তার ছেলে মুতায এর সঙ্গে মিলিত হন এবং

তাকে কোলে নিয়ে তার জন্য দু আ করেন ৷ ইমাম আহমদ প্রথমে অপারগত৷ প্রকাশ করলে ও
পরে এই আশায় সম্মতি প্রদান করেন যে, তাতে হয়ত৩ তিনি তাড়াতাড়ি বাগদাদ ফিরে যেতে
পারবেন ৷ ওদিকে খলীফা তার নিকট মহামুল্যবান উপৰুচীকন ও নিজের একটি বাহন পাঠিয়ে
দেন ৷ ইমাম আহমদ তাতে আরোহণ করতে অস্বীকা ৷র করলেন ৷ কেননা,ত তার উপর সিংহের
চামড়া ছিল ৷ অগভ্যা জনৈক ব্যবসায়ীর একটি খচ্চর নিয়ে আসা হল ৷ ইমাম আহমদ তাতে
আরোহণ করে মু’তায় এর মজলিসে এসে উপস্থিত হলেন ৷ খলীফ৷ ও তার মা উক্ত মজলিসের
এক কোণে পাতলা পর্দ৷ র আড়ালে উপবেশন করেন ৷ ইমাম আহমদ এসে স ৷লামুন আ ৷ইকুম
বলে বসে পড়েন ৷ কিন্তু, তাকে রম্ভীয় নিয়মে৷ স ৷লাম জানানো হয়নি ৷ খলীফ৷ ৷র মা বলেন৪ বৎস !
এই লোকটির ব্যাপারে মহান আল্লাহ্কে ভয় কর ৷ মহান আল্লাহ্কে ভয় কর ৷ তুমি লোকটাকে

তার পরিজনের নিকট ফিরিয়ে দাও ৷ কেননা, তোমরা যে অংশ ৎক৷ করছ, ইনি সে কা জ করবার
লোক নন ৷ ওদিকে খলীফ৷ যখন ইমাম আহমদকে দেললেন, তার মাকে বলেন৪ আম্মাজান !
ঘরট৷ ৷এবার আবাদ হল ৷ ইত্যবসরে খাদিম আসল ৷ তার সঙ্গে মহামুল্যবান উপচৌকন, কাপড়,
টুপি ও চাদর ৷ খলীফ৷ পােশ ৷৷কগুলো নিজ হাতে ইমাম আহমদকে পরিয়ে দেন ৷ ইমাম আহমদ
এবস্টুও নডাচড়৷ করলেনা৷া

ইমাম আহমদ বলেন৪ আমি যখন মু’তায এর নিকট গিয়ে বসলাম, তখন তার দীক্ষাগুৰু


عَلَيْهِ وَلَدُهُ حَتَّى شَرِبَ قَلِيلًا مِنَ السَّوِيقِ بَعْدَ ثَمَانِيَةِ أَيَّامٍ. وَجَاءَ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ يَحْيَى بْنِ خَاقَانَ بِمَالٍ جَزِيلٍ مِنَ الْخَلِيفَةِ ; جَائِزَةً لَهُ، فَامْتَنَعَ مِنْ قَبُولِهَا، فَأَلَحَّ عَلَيْهِ الْأَمِيرُ فَلَمْ يَقْبَلْ، فَأَخَذَهَا الْأَمِيرُ فَفَرَّقَهَا عَلَى بَنِيهِ وَأَهْلِهِ، وَقَالَ: إِنَّهُ لَا يُمْكِنُ أَنْ تُرَدَّ عَلَى الْخَلِيفَةِ جَائِزَتُهُ. وَكَتَبَ الْخَلِيفَةُ لِأَهْلِهِ وَأَوْلَادِهِ فِي كُلِّ شَهْرٍ بِأَرْبَعَةِ آلَافِ دِرْهَمٍ، فَمَانَعَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ فِي ذَلِكَ، فَقَالَ الْخَلِيفَةُ: لَا بُدَّ مِنْ ذَلِكَ، وَمَا هَذَا إِلَّا لِوَلَدِكَ. فَأَمْسَكَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ عَنْ مُمَانَعَتِهِ، ثُمَّ أَخَذَ يَلُومُ أَهْلَهُ وَعَمَّهُ وَبَنِي عَمِّهِ، وَقَالَ لَهُمْ: إِنَّمَا بَقِيَ لَنَا أَيَّامٌ قَلَائِلُ، وَكَأَنَّنَا وَقَدْ نَزَلَ بِنَا الْمَوْتُ فَإِمَّا إِلَى جَنَّةٍ، وَإِمَّا إِلَى نَارٍ، فَنَخْرُجُ مِنَ الدُّنْيَا وَبُطُونُنَا قَدْ أَخَذَتْ مِنْ مَالِ هَؤُلَاءِ. فِي كَلَامٍ طَوِيلٍ يَعِظُهُمْ بِهِ. فَاحْتَجُّوا عَلَيْهِ بِالْحَدِيثِ الصَّحِيحِ «مَا جَاءَكَ مِنْ هَذَا الْمَالِ وَأَنْتَ غَيْرُ سَائِلٍ وَلَا مُسْتَشْرِفٍ فَخُذْهُ» وَبِأَنَّ ابْنَ عُمَرَ وَابْنَ عَبَّاسٍ قَبِلَا جَوَائِزَ السُّلْطَانِ. فَقَالَ: مَا هَذَا وَذَاكَ سَوَاءٌ،
পৃষ্ঠা - ৮৭০৮
وَلَوْ أَعْلَمُ أَنَّ هَذَا الْمَالَ أُخِذَ مِنْ حَقِّهِ، وَلَيْسَ فِيهِ ظُلْمٌ وَلَا جَوْرٌ لَمْ أُبَالِ. وَلَمَّا اسْتَمَرَّ ضَعْفُ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ جَعَلَ الْمُتَوَكِّلُ يَبْعَثُ إِلَيْهِ بِابْنِ مَاسَوَيْهِ الْمُتَطَبِّبِ لِيَنْظُرَ فِي مَرَضِهِ، فَرَجَعَ إِلَيْهِ فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، إِنَّ أَحْمَدَ بْنَ حَنْبَلٍ لَيْسَ بِهِ عِلَّةٌ فِي بَدَنِهِ، وَإِنَّمَا عِلَّتُهُ مِنْ قِلَّةِ الطَّعَامِ، وَكَثْرَةِ الصِّيَامِ وَالْعِبَادَةِ. فَسَكَتَ الْمُتَوَكِّلُ، ثُمَّ سَأَلَتْ أَمُّ الْخَلِيفَةِ مِنْهُ أَنْ تَرَى الْإِمَامَ أَحْمَدَ، فَبَعَثَ الْمُتَوَكِّلُ إِلَيْهِ يَسْأَلُهُ أَنْ يَجْتَمِعَ بِابْنِهِ الْمُعْتَزِّ وَيَدْعُوَ لَهُ، وَيَكُونَ فِي حِجْرِهِ فَتَمَنَّعَ مِنْ ذَلِكَ، ثُمَّ أَجَابَ إِلَيْهِ ; رَجَاءَ أَنْ يُعَجِّلَ بِرُجُوعِهِ إِلَى أَهْلِهِ بِبَغْدَادَ، وَبَعَثَ الْخَلِيفَةُ إِلَيْهِ بِخِلْعَةٍ سَنِيَّةٍ وَمَرْكُوبٍ مِنْ مَرَاكِيبِهِ، فَامْتَنَعَ مِنْ رُكُوبِهِ ; لِأَنَّهُ عَلَيْهِ مِيثَرَةُ نُمُورٍ فَجِيءَ بِبَغْلٍ لِبَعْضِ التُّجَّارِ فَرَكِبَهُ، وَجَاءَ إِلَى مَجْلِسٍ الْمُعْتَزِّ، وَقَدْ جَلَسَ الْخَلِيفَةُ وَأَمُّهُ فِي نَاحِيَةٍ فِي ذَلِكَ الْمَجْلِسِ، مِنْ وَرَاءِ سِتْرٍ رَقِيقٍ. فَلَمَّا جَاءَ أَحْمَدُ قَالَ: السَّلَامُ عَلَيْكُمْ. وَجَلَسَ وَلَمْ يُسَلِّمْ عَلَيْهِ بِالْإِمْرَةِ، فَقَالَتْ أَمُّ الْخَلِيفَةِ: اللَّهَ اللَّهَ يَا بُنَيَّ فِي هَذَا الرَّجُلِ! تَرُدُّهُ إِلَى أَهْلِهِ، فَإِنَّ هَذَا لَيْسَ مِمَّنْ يُرِيدُ مَا أَنْتُمْ فِيهِ، وَحِينَ رَأَى الْمُتَوَكِّلُ أَحْمَدَ قَالَ لِأُمِّهِ: يَا أُمَّهْ، قَدْ أَنَارَتِ الدَّارُ. وَجَاءَ الْخَادِمُ وَمَعَهُ خِلْعَةٌ سَنِيَّةٌ مُبَطَّنَةٌ وَثَوْبٌ وَقَلَنْسُوَةٌ وَطَيْلَسَانٌ، فَأَلْبَسَهَا الْإِمَامَ أَحْمَدَ بِيَدِهِ، وَأَحْمَدُ لَا يَتَحَرَّكُ بِالْكُلِّيَّةِ. قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: لَمَّا جَلَسْتُ إِلَى
পৃষ্ঠা - ৮৭০৯


, ৫৭৪ আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া

বলেন : মহান আল্লাহ্ আমীরকে সুবুদ্ধি দান করুন, ইনি ই সেই ব্যক্তি, যাকে থলীফ৷ তোমার
দীক্ষাগুরু হওয়ার আদেশ করেছেন ৷ জবাবে মু’তায বলল৪ ইনি যদি আমাকে কিছু শি ৷ক্ষা দেন,
তাহলে আমি তা শিক্ষা গ্রহণ করব ৷

ইমাম আহমদ বলেনং আমি তার বুদ্ধিমত্তা দেখে বিস্মিত ৩হলাম ৷ কেননা ৷ সে ছিল
নেহায়েত ছোট ৷

তারপর ইমাম আহমদত তাদের নিকট থেকে মহান অ ৷ল্লাহ্র নিকট ক্ষমা প্রা ৷র্থন৷ করতে করতে
এবং ও ৷র ৷নিকট তার অসভুষ্ট থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করতে করতে বেরিয়ে যান ৷

কিছুদিন পর খলীফা তাকে চলে যাওয়ার অনুমতি প্রদান করেন এবং তার জন্য একটি
ফায়ারশিপ প্রস্তুত করে ৷ কিন্তু ইমাম আহমদ তাতে আরোহণ করতে অসস্মতি জ্ঞাপন করেন ৷
ববং,একটি ছোট নৌকায় চড়ে তিনি সংগােপনে বাগদাদ প্রবেশ করেন এবং উক্ত উপচৌকন-
গুলো বিক্রি করে তার প্রাপ্ত মুল্য ফকীর-মিসর্কীনদের মাঝে সাদাকা করার নির্দো৷ প্রদান করেন ৷

ইমাম আহমদ কিছুদিন পর্যন্ত খলীফা ও তার লোকদের সঙ্গে যেলামেশার জন্য আক্ষেপ
করতে থাকেন এবং বলতে থাকেনদ্ভ আমার জীবনের দীর্ঘ সময় তাদের থেকে নিরাপদ ছিলাম ৷
কিন্তু শেষ বয়সে এসে বিপদগ্রন্ত হলাম ৷

খলীফার নিকট অবস্থানকালে ইমাম আহমদ তীব্র অনাহারে কাতর হয়ে পড়েছিলেন ৷ এমনকি
ক্ষুধা তাকে মেরে ফেলার উপক্রম হয়েছিল ৷ সে সময় র্জ্যনক আমীর মুতাওয়াক্কিলকে বলেছিলেন
৪ আহমদ আপনার কোন খাবার আহার করছেন না, আপনার কোন পানীয়ও পান করছেন না,
আপনার শয্যায় উপবেশনও করছেন না এবং আপনি যা পান করছেন, তাকে তিনি হারাম মনে
করছেন ৷ শুনে খলীফ৷ বলেন : মু’তাসিম যদি পুনজীবন লাভ করে এবং আহমদ-এর ব্যাপারে
আমার সঙ্গে কথা বলে, আ ৷মি তার বক্তব্য গ্রহণ করব না ৷

খলীফ৷ ৷র দুতগণ প্রতিদিন তাকে ইমাম আহমদ-এর খবরা খবর ও হাল-অবন্থ৷ অবহিত
করতে শুরু করে ৷ তিনি তার নিকট ইবন আবু দাউদ এর সম্পদ সম্পর্কে ফাতওয়৷ জিজ্ঞাসা
করেন ৷ কিন্তু, ইমাম আহমদ কোন জবাব দিলেন না ৷ পরে খলীফা ৷তার সহায়-সম্পদ ও জমিদ৷ রী
বিক্রির ব্যাপারে তাকেই সাক্ষী রেখে তাকে লুরর৷ মানরাআ থেকে বাগদাদ তাডিয়ে দেন এবং
তা তার সমুদয় সম্পত্তি নিয়ে নেন ৷

আবদুল্লাহ ইবন আহমদ বলেনঃ আব্বাজা ন ছামারা থেকে ফিরে আসার পর আমরা দেখতে
পেলাম, তার চক্ষুদ্বয় কােটরে ঢুকে গিয়েছে ৷ ছয় মাসের আগে তার নিকট তার প্রাণ ফিরে
আসেনি ৷ তখন বাদশাহ্র সম্পদ গ্রহণ করার কারণে তিনির্তার ৷আত্মীয়-স্বজনের গৃহে কিংবা যে
গৃহে তারা অবস্থান করছে, তাবু তে প্রবেশ করতে এবং তাদের কোন সম্পদ দ্বারা উপকৃত হওয়া
থেকে বিরত থাকেন ৷

খলীফার নিবন্ট ইমাম আহমদ-এর গমনের ঘটনাটি ঘটেছিল দৃইশ৷ ন্া৷ ইত্রিশ হিজরী সনে ৷
তারপর ইন্তিকালের বছর পর্যন্ত মুতাওয়াক্কিল প্রতিদিন৩ার সম্পর্কে জিজ্ঞা ৷স৷ করতে থাকেন এবং

প্রতিনিধি প্রেরণ করে ৰিভিন বিষয়ের্ত তাকে পরামর্শ দিতেন এবং উদ্ভুত বিষয়ে৩ তার থেকে পরামর্শ
গ্রহণ করতেন ৷


الْمُعْتَزِّ قَالَ مُؤَدِّبُهُ: أَصْلَحَ اللَّهُ الْأَمِيرَ، هَذَا الَّذِي أَمَرَ الْخَلِيفَةُ أَنْ يَكُونَ مُؤَدِّبَكَ. فَقَالَ: إِنْ عَلَّمَنِي شَيْئًا تَعَلَّمْتُهُ. قَالَ أَحْمَدُ: فَعَجِبْتُ مِنْ ذَكَائِهِ فِي صِغَرِهِ ; لِأَنَّهُ كَانَ صَغِيرًا جِدًّا. ثُمَّ خَرَجَ أَحْمَدُ عَنْهُمْ وَهُوَ يَسْتَغْفِرُ اللَّهَ، وَيَسْتَعِيذُ بِاللَّهِ مِنْ مَقْتِهِ، وَغَضَبِهِ. ثُمَّ بَعْدَ أَيَّامٍ أَذِنَ لَهُ الْخَلِيفَةُ بِالِانْصِرَافِ، وَهَيَّأَ لَهُ حَرَّاقَةً فَلَمْ يَقْبَلْ أَنْ يَنْحَدِرَ فِيهَا بَلْ رَكِبَ فِي زَوْرَقٍ فَدَخَلَ بَغْدَادَ مُخْتَفِيًا، وَأَمَرَ أَنْ تُبَاعَ تِلْكَ الْخِلْعَةُ، وَأَنْ يُتَصَدَّقَ بِثَمَنِهَا عَلَى الْفُقَرَاءِ وَالْمَسَاكِينِ. وَجَعَلَ أَيَّامًا يَتَأَلَّمُ مِنَ اجْتِمَاعِهِ بِهِمْ وَيَقُولُ: سَلِمْتُ مِنْهُمْ طُولَ عُمْرِي، ثُمَّ ابْتُلِيتُ بِهِمْ فِي آخِرِهِ، وَكَانَ قَدْ جَاعَ عِنْدَهُمْ جُوعًا عَظِيمًا كَثِيرًا حَتَّى كَادَ يَهْلِكُ مِنَ الْجُوعِ. وَقَدْ قَالَ بَعْضَ الْأُمَرَاءِ لِلْمُتَوَكِّلِ عَلَى اللَّهِ الْخَلِيفَةِ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، إِنَّ أَحْمَدَ بْنَ حَنْبَلٍ لَا يَأْكُلُ لَكَ طَعَامًا، وَلَا يَشْرَبُ لَكَ شَرَابًا، وَلَا يَجْلِسُ عَلَى فَرْشِكَ، وَيُحَرِّمُ مَا تَشْرَبُهُ. فَقَالَ لَهُمْ: وَاللَّهِ لَوْ نُشِرَ الْمُعْتَصِمُ، وَكَلَّمَنِي فِي أَحْمَدَ مَا قَبِلْتُ مِنْهُ. وَجَعَلَتْ رُسُلُ الْخَلِيفَةِ تَفِدُ إِلَيْهِ فِي كُلِّ يَوْمٍ ; تَسْتَعْلِمُ أَخْبَارَهُ وَكَيْفَ حَالُهُ. وَجَعَلَ يَسْتَفْتِيهِ فِي أَمْوَالِ ابْنِ أَبِي دُؤَادٍ فَلَا يُجِيبُ بِشَيْءٍ، ثُمَّ إِنَّ الْمُتَوَكِّلَ أَخْرَجَ ابْنَ أَبِي دُؤَادٍ مِنْ سُرَّ مَنْ رَأَى إِلَى بَغْدَادَ بَعْدَ أَنْ أَشْهَدَ عَلَيْهِ نَفْسَهُ بِبَيْعِ
পৃষ্ঠা - ৮৭১০
ضِيَاعِهِ وَأَمْلَاكِهِ وَأَخْذِ أَمْوَالِهِ كُلِّهَا. قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَحْمَدَ: وَحِينَ رَجَعَ أَبِي مَنْ سَامَرَّا إِلَى بَغْدَادَ وَجَدْنَا عَيْنَيْهِ قَدْ دَخَلَتَا فِي مُوقَيْهِ، وَمَا رَجَعَتْ إِلَيْهِ نَفْسُهُ إِلَّا بَعْدَ سِتَّةِ أَشْهُرٍ. وَامْتَنَعَ أَنْ يَدْخُلَ بَيْتَ قَرَابَتِهِ أَوْ يَدْخُلَ بَيْتًا هُمْ فِيهِ، أَوْ يَنْتَفِعَ بِشَيْءٍ مِمَّا هُمْ فِيهِ ; لِأَجْلِ قَبُولِهِمْ أَمْوَالَ السُّلْطَانِ. وَكَانَ مَسِيرُ أَحْمَدَ إِلَى الْمُتَوَكِّلِ فِي سَنَةِ سَبْعٍ وَثَلَاثِينَ وَمِائَتَيْنِ، ثُمَّ مَكَثَ إِلَى سَنَةِ وَفَاتِهِ، قَلَّ يَوْمٌ إِلَّا وَرِسَالَةُ الْمُتَوَكِّلِ تَفِدُ إِلَيْهِ فِي أُمُورٍ يُشَاوِرُهُ فِيهَا، وَيَسْتَشِيرُهُ فِي أَشْيَاءَ تَقَعُ لَهُ. وَلَمَّا قَدِمَ الْمُتَوَكِّلُ بَغْدَادَ بَعَثَ إِلَيْهِ ابْنَ خَاقَانَ وَمَعَهُ أَلْفُ دِينَارٍ لِيُفَرِّقَهَا عَلَى مَنْ يَرَى فَامْتَنَعَ مِنْ قَبُولِهَا وَتَفْرِقَتِهَا، وَقَالَ: إِنْ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ قَدْ أَعْفَانِي مِمَّا أَكْرَهُ فَرَدَّهَا. وَكَتَبَ رَجُلٌ رُقْعَةً إِلَى الْمُتَوَكِّلِ يَقُولُ فِيهَا: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، إِنَّ أَحْمَدَ بْنَ حَنْبَلٍ يَشْتُمُ آبَاءَكَ وَيَرْمِيهِمْ بِالزَّنْدَقَةِ. فَكَتَبَ فِيهَا الْمُتَوَكِّلُ: أَمَّا الْمَأْمُونُ فَإِنَّهُ خَلَطَ فَسَلَّطَ النَّاسَ عَلَى نَفْسِهِ، وَأَمَّا أَبِي الْمُعْتَصِمُ فَإِنَّهُ كَانَ رَجُلَ حَرْبٍ، وَلَمْ يَكُنْ لَهُ بَصَرٌ بِالْكَلَامِ، وَأَمَّا أَخِي الْوَاثِقُ فَإِنَّهُ اسْتَحَقَّ مَا قِيلَ فِيهِ، ثُمَّ أَمَرَ أَنَّ يُضْرَبَ هَذَا
পৃষ্ঠা - ৮৭১১


আল-বিদায়৷ ওয়ান নিহায়া ৫৭৫

খলীফ৷ মু৩ তাওয়াক্কিল যখন বাগদ৷ দ গমন করেন, তখন তিনি ইবন খাক কানকে মানুষের মাঝে
বণ্টন করে দেওয়ার জন্য এক হাজার দীনার দিয়ে ইমাম আহমদ-এর নিকট প্রেরণ করেন ৷ বিক্ষ্ম,
ইমাম আহমদ৩ তা গ্রহণ ও বণ্টন করতে ৩বিরত থাকেন ৷ তিনি বলেন : আমীরুল মু’মিনীন ৷

আমাকে আমার অপসন্দনীয় বিষয় হতে অব্যাহতি দান করেছেন ৷ ফলে, ইবন খাকান মুদ্রাগুলো
ফিরিয়ে নিয়ে যা ন ৷

এক ব্যক্তি মু৩ তাওয়াক্কিল এর নিকট এই মর্মে একটি চিরকুট লিখে প্রেরণ করে যে,
আমীরুল মুমিনীন ! আহমদ আপনার পুর্বপুরুষকে গালমন্দ করছেন এবং তাদের বিরুদ্ধে
নাস্তিকতার অপবাদ আরোপ করছেন ৷ মুতাওয়াক্কিল সে প্রসঙ্গে লিখলেন : মা’ মুন-৩ তিনি গড়বড়
করেছিলেন ৷ পরিণতিতে মহান আল্লাহ্ জনসাধারণকে তার পর লেলিংয় দিয়েছিলেন ৷ আমার
পিতা মু তাসিম তিনি ছিলেন একজন যুদ্ধবাজ লোক ৷ ইলমে কালামে তার কোন যোগ্যতা ছিল
না ৷ আমার ভাই ওয়৷ ৷সিক তিনি৫ তা আরোপিত অভিযাে গের হকদার ছিলেন ৷

তারপর যে লোকটি তার নিকট চিরক্কুটখানা বহন করে এনেছিল, তাকে দৃইশ বেত্রাঘাত
করার নির্দেশ দেন ৷ আবদুল্লাহ ইবন ইসহাক ইবন ইব্রাহীম তাকে ধরে পাচশ রেত্রাঘাত করেন ৷
খলীফ৷ তাকে জিজ্ঞাসা করেন, পাচশ বেএাঘাত ৩করলে কেন ? আবদুল্লাহ ইবন ইসহাক বলেনং :
দৃইশ আপনার আনুগত্যের জন্য, দৃইশ আল্লাহর আনুগত্যের জন্য আর একশ সৎকর্মপরায়ণ বৃদ্ধ
আহমদ ইবন হাম্বল-এর প্রতি অপবাদ অ ৷রোপের দায়ে ৷

খলীফ৷ ইমাম আহমদ এর নিকট পবিত্র কুরআনের ব্যাপারে অভিমত জানতে চেয়ে পত্র
লিখেন ৷৩ তার এই জিজ্ঞা ৷সার উদ্দেশ্য ছিল হিদায়াত৷ লা ৩ উপকৃত হওয়াকষ্ট দেওয়া, পরীক্ষা ৷করা
বা শত্রুত৷ পোষণ করা নয় ৷ জবাবে ইমাম আহমদ (র) তার নিকট চমৎকার একখান৷ পত্র
লিখেন, যাতে সাহাবী প্রমুখগণের উদ্ধৃতি এবং সরাসরি রাসুলুল্লাহ্ (সা) থেকে বর্ণিত হাদীসের
উল্লেখ ছিল ৷ ইমাম আহমদ-এর ছেলে সালিহ্ সংকলিত নির্যাতন কাহিনীতে সেসবের উল্লেখ
করেছেন এবং উক্ত বর্ণনা টি তার থেকেই বর্ণিত ৷ একাধিক হ ফিরে হাদীসও তা উদ্ধৃত করেছেন ৷

ইমাম আহমদ ইবন হাম্বল (র) এর ইনতিকাল

ইমাম আহমদ-এর ছেলে সালিহ্ বলেন৪ ইমাম আহমদ দুইশ একচল্লিশ হিজরীর রবীউল-
আওয়াল মাসের প্রথম দিন রোগাক্রান্ত হন ৷ আ র ৷আমি রবীউল আওয়ালের দুই তারিখ বুধবার ৷তার
নিকট উপস্থিত হই ৷ তখন তিনি জ্বরাক্রাম্ভ, দীর্ঘশ্বাস ফেলছেন এবং দুর্বল ৷ আমি বললামং :
আব্বাজ৷ ন ! নাস্ত৷ কী খাবেন ৪৩ তিনি বলেন৪ লুবিয়ার পানি ৷৩ তারপর সালিহ্ তাকে দেখার জন্য
শীর্ষস্থানীয় ও সাধারণ লোকদের ব্যাপকহারে আগমন এবং৩ তাকে বিরক্ত করার কথা উল্লেখ
করেন ৷ তার সঙ্গে এক খণ্ড কাপড় ছিল, যার মধ্যে কিছু দিরহাম ছিল ৷ ইমাম আহমদ সেখান
থেকে নিজের জন্য ব্যয় করতেন ৷ তিনি তার ছেলে আবদুল্লাহ্কে নির্দেশ ৷৷প্রদ ন করেন, যেন তিনি
প্ৰজ৷ দের নিকট থেকে পাওনা উসুল করে তার পক্ষ থেকে কসমের কাফ্ফার৷ আদায় করেন ৷
আবদুল্লাহ ভাড় ৷ তার কিছু অর্থ আদায় করে তা দ্বারা খেজুর ক্রয় করেন এবং পিতার পক্ষ থেকে
কাফ্ফারা আদায় করেন ৷ পরে সেখান থেকে তিনটি দিরহাম বেচে গিয়েছিল ৷৩ তারপর ইমাম
আহমদ অসীয়ত লিখেনং :


الرَّجُلُ الَّذِي رَفَعَ إِلَيْهِ الرُّقْعَةَ مِائَتَيْ سَوْطٍ، فَأَخَذَهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِسْحَاقَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ فَضَرَبَهُ خَمْسَمِائَةِ سَوْطٍ، فَقَالَ لَهُ الْخَلِيفَةُ: لِمَ ضَرَبْتَهُ خَمْسَمِائَةِ سَوْطٍ؟ فَقَالَ: مِائَتَيْنِ لِطَاعَتِكَ، وَمِائَتَيْنِ لِطَاعَةِ اللَّهِ وَرَسُولِهِ وَمِائَةً لِكَوْنِهِ قَذَفَ هَذَا الشَّيْخَ ; الرَّجُلَ الصَّالِحَ أَحْمَدَ بْنَ حَنْبَلٍ. وَقَدْ كَتَبَ الْخَلِيفَةُ إِلَى الْإِمَامِ أَحْمَدَ يَسْأَلُهُ عَنِ الْقَوْلِ فِي الْقُرْآنِ ; سُؤَالَ اسْتِرْشَادٍ وَاسْتِفَادَةٍ لَا سُؤَالَ تَعَنُّتٍ وَلَا امْتِحَانٍ وَلَا عِنَادٍ، فَكَتَبَ إِلَيْهِ أَحْمَدُ رَحِمَهُ اللَّهُ رِسَالَةً حَسَنَةً، فِيهَا آثَارٌ عَنِ الصَّحَابَةِ وَغَيْرِهِمْ، وَأَحَادِيثُ مَرْفُوعَةٌ، وَقَدْ أَوْرَدَهَا ابْنُهُ صَالِحٌ فِي الْمِحْنَةِ الَّتِي سَاقَهَا، وَهِيَ مَرْوِيَّةٌ عَنْهُ، وَقَدْ نَقَلَهَا غَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ الْحُفَّاظِ. [وَفَاةُ الْإِمَامِ أَحْمَدَ بْنِ حَنْبَلٍ رَحِمَهُ اللَّهُ] ذِكْرُ وَفَاةِ الْإِمَامِ أَحْمَدَ بْنِ حَنْبَلٍ، رَحِمَهُ اللَّهُ قَالَ ابْنُهُ صَالِحٌ: كَانَ مَرَضُهُ فِي أَوَّلِ شَهْرِ رَبِيعٍ الْأَوَّلِ مِنْ سَنَةِ إِحْدَى وَأَرْبَعِينَ وَمِائَتَيْنِ، وَدَخَلْتُ عَلَيْهِ يَوْمَ الْأَرْبِعَاءِ ثَانِي رَبِيعٍ الْأَوَّلِ، وَهُوَ مَحْمُومٌ يَتَنَفَّسُ الصُّعَدَاءَ وَهُوَ ضَعِيفٌ، فَقُلْتُ: يَا أَبَتِ مَا كَانَ غَدَاؤُكَ؟ فَقَالَ: مَاءُ الْبَاقِلَّا. ثُمَّ ذَكَرَ كَثْرَةَ مَجِيءِ النَّاسِ مِنَ الْأَكَابِرِ وَعُمُومِ النَّاسِ لِعِيَادَتِهِ، وَكَثْرَةَ
পৃষ্ঠা - ৮৭১২
جَزَعِ النَّاسِ عَلَيْهِ، وَكَانَ مَعَهُ خُرَيْقَةٌ فِيهَا قُطَيْعَاتٌ يُنْفِقُ عَلَى نَفْسِهِ مِنْهَا، وَقَدْ أَمَرَ وَلَدَهُ عَبْدَ اللَّهِ أَنْ يُطَالِبَ سُكَّانَ مِلْكِهِ وَأَنْ يُكَفِّرَ عَنْهُ كَفَّارَةَ يَمِينٍ فَأَخَذَ شَيْئًا مِنَ الْأُجْرَةِ فَاشْتَرَى تَمْرًا وَكَفَّرَ عَنْ أَبِيهِ، وَفَضَلَ مِنْ ذَلِكَ ثَلَاثَةُ دَرَاهِمٍ، وَكَتَبَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ وَصِيَّتَهُ: بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ هَذَا مَا أَوْصَى بِهِ أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ حَنْبَلٍ، أَوْصَى أَنَّهُ يَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ أَرْسَلَهُ بِالْهُدَى وَدِينِ الْحَقِّ لِيُظْهِرَهُ عَلَى الدِّينِ كُلِّهِ وَلَوْ كَرِهَ الْمُشْرِكُونَ. وَأَوْصَى مَنْ أَطَاعَهُ مِنْ أَهْلِهِ وَقَرَابَتِهِ أَنْ يَعْبُدُوا اللَّهَ فِي الْعَابِدِينَ، وَأَنْ يَحْمَدُوهُ فِي الْحَامِدِينَ، وَأَنْ يَنْصَحُوا لِجَمَاعَةِ الْمُسْلِمِينَ، وَأُوصِي أَنِّي قَدْ رَضِيتُ بِاللَّهِ رَبًّا، وَبِالْإِسْلَامِ دِينًا، وَبِمُحَمَّدٍ نَبِيًّا، وَأُوصِي لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدٍ الْمَعْرُوفِ بِفُورَانَ عَلَيَّ نَحْوًا مِنْ خَمْسِينَ دِينَارًا، وَهُوَ مُصَدَّقٌ فِيمَا قَالَ فَيُقْضَى مَا لَهُ عَلَيَّ مِنْ غَلَّةِ الدَّارِ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ فَإِذَا اسْتُوْفِيَ أُعْطِي وَلَدُ صَالِحٍ كُلُّ ذَكَرٍ وَأُنْثَى عَشَرَةَ دَرَاهِمَ. ثُمَّ اسْتَدْعَى بِالصِّبْيَانِ مَنْ وَرَثَتِهِ فَجَعَلَ يَدْعُو لَهُمْ، وَكَانَ قَدْ وُلِدَ لَهُ صَبِيٌّ قَبْلَ مَوْتِهِ بِخَمْسِينَ يَوْمًا فَسَمَّاهُ سَعِيدًا، وَكَانَ لَهُ وَلَدٌ آخَرُ اسْمُهُ مُحَمَّدٌ قَدْ مَشَى حِينَ مَرِضَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ، فَدَعَاهُ فَالْتَزَمَهُ وَقَبَّلَهُ، ثُمَّ قَالَ: مَا كُنْتُ أَصْنَعُ بِالْوَلَدِ عَلَى
পৃষ্ঠা - ৮৭১৩


বিসমিল্লাইির রাহমানির রাহীম ৷

এটা আহমদ ইবন হাম্বল-এর অসীয়ত ৷ সে সাক্ষ্য দিচ্ছে যে, মহান আল্লাহ ব্যতীত কোন
ইলাহ্ নেই ৷ তিনি এক ও অদ্বিতীয় ৷ আর মুহাম্মদ (না) তার বান্দা ও তার রাসুল ৷ তাকে তিনি
হিদায়াত ও সত্য দীনসহ প্রেরণ করেছেন, যাতে তিনি তাকে সকল দীনের উপর জয়ী করেন,
যদিও মুশরিকরা তা অপসন্দ করে ৷ নিজ পরিবার-পরিজন ও আত্মীয়দের যারা তার অনুগত সে
তাদেরকে উপদেশ দিচ্ছে, যেন তারা ইবাদাতকারীদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে মহান আল্লাহর ইবাদত
করে, প্ৰশংসাকারীদের সঙ্গে মিলে তার প্রাণৎসা করে এবং মুসলিম জনগােষ্ঠির জন্য হিতকামনা
করে ৷ আমি অসীয়ত করছি যে, আমি রব হিসেবে মহান আল্লাহ্কে, দীন হিসেবে ইসলামকে
এবং নবী হিসেবে সায়িব্রদুনা মুহাম্মদ (না)-কে মেনে নিলাম ৷

আর আমি আবদুল্লাহ ইবন মুহাম্মদ এর জন্য পঞ্চাশ দীনার অসীয়ত করছি, যে আলী নামে
পরিচিত ৷ লোকটি বিশ্বস্ত ৷ এর দ্বারা সে ঘরের থাদ্যশুদ্রব্যের প্রয়োজন পুরণ করবে ইনশাআল্লাহ্ ৷
তার অভাব পুরণ হয়ে গেলে সালিহ এর ছেলে প্রত্যেক নারী ও পুরুষকে দশ দিরহাম করে দান
করবে ৷
তারপর তিনি উত্তরসুরী শিশুদের ডেকে এনে তাদের জন্য দু’আ করতে শুরু করলেন ৷
ইনতিকালের পঞ্চাশ দিন আগে তার একটি সন্তান জন্মলাভ করেছিল ৷ তিনি তার নাম
রেখেছিলেন সাঈদ ৷ তার আরো একটি সন্তান ছিল যার নাম মুহাম্মদ ৷ তিনি যখন রোগাক্রান্ত হন,
ছেলেটি তখন হীটে ৷ তিনি তাকেও ডেকে এনে জড়িয়ে ধরেন এবং তাকে চুম্বন করেন ৷ তারপর
বলেন : বৃদ্ধ বয়সে আমি সন্তান দিয়ে কী করব ? বলা হল, আপনার বংশধর ৷ আপনার
ইনতিকালের পর আপনার জন্য দু’আ করবে ৷ তিনি বলেন : তা ঠিক, যদি জােটে ৷ তারপর তিনি
মহান আল্লাহর প্রশংসা করতে শুরু করলেন ৷ অসুস্থ থাকা অবস্থায় তিনি সংবাদ পান যে, তাওস
রুপ্ন ব্যক্তির ক্রন্দন করাকে অপসন্দ করেন ৷ ফলে ইমাম আহমদ ক্রন্দন বন্ধ করে দেন ৷ তিনি
আর ক্রন্দন করেননি ৷ শুধু যে রাতে তিনি ইনতিকাল করেন, সেই দিন সকালে ক্রন্দন
করেছিলেন ৷ রাতটা ছিল এই বছরের রবীউল আওয়াল মাসের বার তারিখ জুমুআর রাত ৷ ব্যথা
ত্তীব্রে আকার ধারণ করলে তিনি ক্রন্দন করেছিলেন ৷

ইমাম আহমদ এর ছেলে আবদুল্লাহ থেকে বর্ণিত আছে যে, আবদুল্লাহ বলেন : মৃত্যু
উপ ত হলে আমার পিতা বরবার বলতে শুরু করেন ১৷া ১৷ শুনে আমি বললাম : এই
মুহুর্তে আপনি এটা কী বলছেন ? তিনি বলেন : বৎস ! ইবলীস দীতে আব্দুল কামড়িয়ে ঘরের
কোণে দাড়িয়ে বলছে : আহমদ ! তুমি আমাকে পরীক্ষা কর ৷ তার জবাবে আমি বলছিাগ্খু
ষ্ৰু১৷ অর্থাৎ তাওহীদের উপর আমার দেহ থেকে প্রাণ বের না হওয়া পর্যন্ত যে সম্মুখে অগ্রসর

হতে পারবে না ৷ যেমন : হাদীসে আছে : ইবলীস বলেছিল ? হে আমার বব ! তোমার ইঘৃযত ও
মর্যাদার শপথ ! আমি তাদেরকে বিভ্রান্ত করতে থাকর, যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের প্রাণ তাদের দেহে
বিদ্যমান থাকবে ৷ জবাবে মহান আল্লাহ বলেন : আমার ইঘৃযত ও মর্যাদার শপথ ! আমিও
তাদেরকে ক্ষমা করতে থাকর, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা আমার নিকট ক্ষমা প্রার্থ্যা৷ করতে থাকে ৷

ইমাম আহমদ এর জীবনের শেষ মুহুর্তের সবচেয়ে চমৎকার ঘটনাটি হল, তিনি পরিবারের


كِبَرِ السِّنِّ؟ فَقِيلَ لَهُ: ذُرِّيَّةٌ تَكُونُ بَعْدَكَ يَدْعُونَ لَكَ. قَالَ: وَذَاكَ. وَجَعَلَ يَحْمَدُ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ. وَقَدْ بَلَغَهُ فِي مَرَضِهِ عَنْ طَاوُسٍ أَنَّهُ كَانَ كَرِهَ الْأَنِينَ فِي الْمَرَضِ، فَتَرَكَ الْأَنِينَ فَلَمْ يَئِنَّ حَتَّى كَانَتِ اللَّيْلَةُ الَّتِي تُوُفِّيَ فِي صَبِيحَتِهَا، وَكَانَتْ لَيْلَةَ الْجُمُعَةِ الثَّانِيَ عَشَرَ مِنْ رَبِيعٍ الْأَوَّلِ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ، فَأَنَّ حِينَ اشْتَدَّ عَلَيْهِ الْوَجَعُ. وَقَدْ رُوِيَ عَنِ ابْنِهِ عَبْدِ اللَّهِ، وَيُرْوَى عَنْ صَالِحٍ وَقَدْ يَكُونُ عَنْ كُلٍّ مِنْهُمَا أَنَّهُ قَالَ: لَمَّا احْتُضِرَ أَبِي - رَحِمَهُ اللَّهُ - جَعَلَ يُكْثِرُ أَنْ يَقُولَ: لَا بَعْدُ، لَا بَعْدُ، فَقُلْتُ: يَا أَبَتِ، مَا هَذِهِ اللَّفْظَةُ الَّتِي لَهَجْتَ بِهَا فِي هَذِهِ السَّاعَةِ؟ فَقَالَ: يَا بُنَيَّ، إِنَّ إِبْلِيسَ وَاقِفٌ فِي زَاوِيَةِ الْبَيْتِ، وَهُوَ عَاضٌّ عَلَى أُصْبُعِهِ، وَهُوَ يَقُولُ: فُتَّنِي يَا أَحْمَدُ؟ فَأَقُولُ: لَا بَعْدُ لَا بَعْدُ. يَعْنِي أَنَّهُ لَا يَفُوتُهُ حَتَّى تَخْرُجَ رُوحُهُ مِنْ جَسَدِهِ عَلَى التَّوْحِيدِ، كَمَا جَاءَ فِي بَعْضِ الْأَحَادِيثِ، قَالَ إِبْلِيسُ: يَا رَبِّ، وَعِزَّتِكَ وَجَلَالِكَ مَا أَزَالُ أُغْوِيهِمْ مَا دَامَتْ أَرْوَاحُهُمْ فِي أَجْسَادِهِمْ. فَقَالَ: وَعِزَّتِي وَجَلَالِي وَلَا أَزَالُ أَغْفِرُ لَهُمْ مَا اسْتَغْفَرُونِي.
পৃষ্ঠা - ৮৭১৪
وَأَحْسَنُ مَا كَانَ مِنْ أَمْرِهِ أَنَّهُ أَشَارَ إِلَى أَهْلِهِ أَنْ يُوَضِّئُوهُ فَجَعَلُوا يُوَضِّئُونَهُ، وَهُوَ يُشِيرُ إِلَيْهِمْ أَنْ خَلَّلُوا أَصَابِعِي، وَهُوَ يَذْكُرُ اللَّهَ فِي جَمِيعِ ذَلِكَ، فَلَمَّا أَكْمَلُوا الْوُضُوءَ تُوُفِّيَ - رَحِمَهُ اللَّهُ - وَرَضِيَ عَنْهُ. وَقَدْ كَانَتْ وَفَاةُ الْإِمَامِ أَحْمَدَ - رَضِيَ اللَّهُ تَعَالَى عَنْهُ - صَبِيحَةَ يَوْمِ الْجُمُعَةِ حِينَ مَضَى نَحْوٌ مَنْ سَاعَتَيْنِ مِنَ النَّهَارِ، فَاجْتَمَعَ النَّاسُ فِي الشَّوَارِعِ، وَبَعَثَ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ طَاهِرٍ حَاجِبَهُ وَمَعَهُ غِلْمَانٌ يَحْمِلُونَ مَنَادِيلَ فِيهَا أَكْفَانٌ، وَأَرْسَلَ يَقُولُ: هَذَا نِيَابَةً عَنِ الْخَلِيفَةِ فَإِنَّهُ لَوْ كَانَ حَاضِرًا لَبَعَثَ بِهَذَا. فَأَرْسَلَ أَوْلَادُهُ يَقُولُونَ: إِنَّ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ كَانَ قَدْ أَعْفَاهُ فِي حَيَاتِهِ مِمَّا يَكْرَهُ، وَهَذَا مِمَّا يَكْرَهُ، وَأَبَوْا أَنْ يُكَفِّنُوهُ فِي تِلْكَ الْأَثْوَابِ، وَأَتَوْا بِثَوْبٍ كَانَ قَدْ غَزَلَتْهُ جَارِيَتُهُ، فَكَفَّنُوهُ فِيهِ، وَاشْتَرَوْا مَعَهُ عَوَزَ لِفَافَةٍ وَحَنُوطًا، وَاشْتَرَوْا لَهُ رَاوِيَةَ مَاءٍ، وَامْتَنَعُوا أَنْ يَغْسِلُوهُ بِمَاءٍ مِنْ بُيُوتِهِمْ ; لِأَنَّهُ كَانَ قَدْ هَجَرَ بُيُوتَهُمْ فَلَا يَأْكُلُ مِنْهَا وَلَا يَسْتَعِيرُ مَنْ أَمْتِعَتِهِمْ شَيْئًا، وَكَانَ لَا يَزَالُ مُتَغَضِّبًا عَلَيْهِمْ ; لِأَنَّهُمْ كَانُوا يَتَنَاوَلُونَ مَا رُتِّبَ لَهُمْ عَلَى بَيْتِ الْمَالِ، وَهُوَ فِي كُلِّ شَهْرٍ أَرْبَعَةُ آلَافِ دِرْهَمٍ، وَكَانُوا عَالَةً فَقُرَاءَ، وَحَضَرَ غُسْلَهُ نَحْوٌ مِنْ مِائَةٍ مِنْ بَيْتِ الْخِلَافَةِ مَنْ بَنِي هَاشِمٍ، فَجَعَلُوا يُقَبِّلُونَ بَيْنَ عَيْنَيْهِ، وَيَدْعُونَ لَهُ، وَيَتَرَحَّمُونَ عَلَيْهِ. وَخَرَجَ النَّاسُ بِنَعْشِهِ وَالْخَلَائِقُ حَوْلَهُ مِنَ الرِّجَالِ وَالنِّسَاءِ مَا لَا يَعْلَمُ عَدَدَهُمْ إِلَّا اللَّهُ، وَنَائِبُ الْبَلَدِ مُحَمَّدُ بْنُ
পৃষ্ঠা - ৮৭১৫


লোকদেরকে ইংগিতে তাকে উবু করিয়ে দিতে বলেন ৷ তারা তাকে উবু করাতে শুরু করে ৷
খনত তিনি ইংগিতে তার আঙ্গুল থিল৷ ল করে দেওয়ার জন্য বলেন ৷ এই পুরো সময়ে তিনি মহান

আল্লাহর যিকির করতে থাকেন ৷ তারা পুর্ণাঙ্গরুপের্তার উয়ুর কা জ সম্পাদন করার পর পরই তিনি
ইনতিকাল করেন ৷ মহান আল্লাহ তাকে রহম করুন ও তার প্রতি ৩সভুষ্ট হোন ৷

তার ইনতিকা ৷ল হয়েছিল শুক্রবা র দিন ৷ দিনের ঘণ্টা দুয়েক সময় অতিবাহিত হওয়ার পর ৷

সঙ্গে সঙ্গে মানুষ র ন্তা৷য় এসে ভিড় জমায় ৷ মুহাম্মদ ইবন৩াহির তার দ ৷রোয়ানকে প্রেরণ করেন ৷

তার সঙ্গে কয়েকটি বালক এবং বালকদের হাতে কতগুলো রুমাল ৷ রুমালগুলােতে কয়েকটি
কাফন ৷ তিনি বলে পা ৷ঠান, এগুলো খলীফার পক্ষ থেকে ৷ কেননা, ৷৷খলীফ যদি উপস্থিত থাকতেন

তাহলে তিনি এগুলো প্রেরণ করতে ন ৷ কিন্তু ইমাম আহমদ-এর ছেলেগণ বলে পাঠায়, আমীরুল
মু যিনীন ইমামের জীবদ্দশায় তাকে তার অপসন্দনীয় বিষয় হতে অব্যাহতি দিয়েছিলেন ৷ তারা
তাকে উক্ত কাফন দ্বারা কা ফন দিতে ৩অম্বীকৃতি জানায় এবং এমন একটি কাপড় নিয়ে আসা হল,
যেটি ইমাম আ হমদ-এর দ৷ ৷সী বুনন করেছিল৩ ৷৩ ৷র সঙ্গে একটি লিফাফ৷ ও হানুত ৩ক্রয় করে সেটি
দ্বারা ইমাম আহমদকে দাফন করে ৷ তারা একটি পানির মশ্ ক ক্রয় করে আসে এবং তাকে
তাদের ঘরের পানি দ্বারা গোসল দেওয়া থেকে বিরত থাকে ৷ কেননা, ইমাম আহমদ তাদের
গৃহওলােকে বর্জন করেছিলেন ৷ ফলে, তিনি যেসব ঘরে আহারও করতেন না এবং তাদের থােক
কোন বন্তু৷ ধা রও নিংতন না ৷৷ তিনি সব সময় তা ৷দের উপর ৰুষ্ট থাকতেন ৷ কারণ, তারা বায়তৃল
মালের ভাতা ভোগ করত ৷ তার পরিমাণ ছিল৷ চ ৷র হাজার দিরহাম ৷৩ তাদের পরিবারের অনেক
সদস্য ছিল এবং ত ৷র৷ ছিল দড্রি ৷

ইমাম আহমদ এর গোসলে বনু হাশিম-এর খিলাফত পরিবারের একশ মত লোক উপস্থিত

হয়েছিল ৷ তারা তার এ দুই চোখে চুমাে খেতে , তার জন্য দুআ করতে এবং তার জন্য রহমত
কামনা করতে শুরু করে ৷ মহান আল্লাহ্ তাকে বহম করুন ৷ মানুষ তার জানায৷ নিয়ে ছুটতে শুরু
করে ৷ তার চ ৷রপার্শে অসং ×খ্য পুরুষ ও নারীর সমাগম, যার সং ×খ্যা মহান আল্লাহ ব্যতীত কেউ

জানে না ৷ নগরীর নায়িব মুহাম্মদ ইবন আবদুল্লাহ ইবন৩াহির জনতা র মাঝে দওায়মান ৷ পরে তিনি
এগিয়ে গিয়ে ইমাম আহমদ-এর সন্তানদেরকে সমবেদন৷ জানান ৷ তিনি-ই ইমাম আহমদ-এর
জানায়ার ইমামতি করেন ৷ বিপুল জনসমাগমের কারণে পুনর্ববার কবরের নিকট এবং দাফনের
পর আবারো কবরের উপর ইমাম আহমদ এর নামায়ে জানায৷ আদায় করা হয় ৷ একই কারণে
তাকে কবরে সমাধিন্থ করতে আসর নামায়ের পর হয়ে যায় ৷

বায়হাকী প্রমুখ বর্ণনা করেন যে, আমীর মুহাম্মদ ইবন তাহির মানুষের স ×খ্যা পরিমাপ করার
নির্দেশ ৷দেন ৷ হিসাব করে তে র লাখ লোক পাওয়া গিয়েছিল ৷ অপর এক বর্ণনায় জাহাজে
অবস্থানরত লোকদের ব্যভীত৷ স ত লাখ ৷

ইব ন আবুহাতিম বলেন : আমি আবুযুরআকে বলতে শুনেছি : আমি জানতে পেয়েছি,
মানুষ যে স্থানটিতে র্দাড়িয়ে ইমাম শামিলের জানাযার নামায আদায়য় করেছিল, খলীফা
ম্অ্যাংৰুক্কিল্ সে ন্থানটির পরিমাপ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন ৷ তাতে আনুমানিক পচিশ হাজার
লোকের হিসাব পাওয়া গেছে ৷

আবদুল ওহ্হাব আল-ওয়াররাক থেকে মুহাম্মদ ইবন ইয়াহ্ইয়া আয-যানজানী ও আবু বকর
আল বিদায়৷ ওয়ান নিহায়৷ ( ১ :ম খও)- ৭৩


عَبْدِ اللَّهِ بْنِ طَاهِرٍ وَاقِفٌ فِي النَّاسِ، فَتَقَدَّمَ خُطْوَاتٍ فَعَزَّى أَوْلَادَ الْإِمَامِ أَحْمَدَ فِيهِ، وَكَانَ هُوَ الَّذِي أَمَّ النَّاسَ فِي الصَّلَاةِ عَلَيْهِ، وَقَدْ أَعَادَ جَمَاعَةٌ مِنَ النَّاسِ الصَّلَاةَ عَلَى الْقَبْرِ بَعْدَ الدَّفْنِ مِنْ أَجْلِ ذَلِكَ، وَلَمْ يَسْتَقِرَّ فِي قَبْرِهِ، رَحِمَهُ اللَّهُ إِلَّا بَعْدَ صَلَاةِ الْعَصْرِ وَذَلِكَ لِكَثْرَةِ الْخَلْقِ. وَقَدْ رَوَى الْبَيْهَقِيُّ وَغَيْرُ وَاحِدٍ أَنَّ الْأَمِيرَ مُحَمَّدَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ طَاهِرٍ أَمَرَ بِحَزْرِ النَّاسِ، فَوُجِدُوا أَلْفَ أَلْفٍ وَثَلَاثَمِائَةِ أَلْفٍ، وَفِي رِوَايَةٍ: وَسَبْعَمِائَةِ أَلْفٍ سِوَى مَنْ كَانَ فِي السُّفُنِ، وَأَقَلُّ مَا قِيلَ: سَبْعُمِائَةِ أَلْفٍ. وَقَالَ ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ: سَمِعْتُ أَبَا زُرْعَةَ يَقُولُ: بَلَغَنِي أَنَّ الْمُتَوَكِّلَ أَمَرَ أَنْ يُمْسَحَ الْمَوْضِعُ الَّذِي وَقَفَ النَّاسُ عَلَيْهِ حَيْثُ صُلِّيَ عَلَى أَحْمَدَ بْنِ حَنْبَلٍ، فَبَلَغَ مَقَامَ أَلْفَيْ أَلْفٍ وَخَمْسَمِائَةِ أَلْفٍ. قَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَيْهَقِيُّ، عَنِ الْحَاكِمِ: سَمِعْتُ أَبَا بَكْرٍ أَحْمَدَ بْنَ كَامِلٍ الْقَاضِي يَقُولُ: سَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ يَحْيَى الزِّنْجَانِيَّ، سَمِعَتْ عَبْدَ الْوَهَّابِ
পৃষ্ঠা - ৮৭১৬
الْوَرَّاقَ يَقُولُ: مَا بَلَغَنَا أَنَّ جَمْعًا فِي الْجَاهِلِيَّةِ وَالْإِسْلَامِ كَانَ أَكْثَرَ مِنَ الْجَمْعِ عَلَى جِنَازَةِ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ. وَقَالَ أَبُو مُحَمَّدٍ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي حَاتِمٍ: حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْعَبَّاسِ الْمَكِّيُّ، سَمِعْتُ الْوَرْكَانِيَّ جَارَ أَحْمَدَ بْنِ حَنْبَلٍ قَالَ: أَسْلَمَ يَوْمَ مَاتَ أَحْمَدُ عِشْرُونَ أَلْفًا مِنَ الْيَهُودِ وَالنَّصَارَى وَالْمَجُوسِ، وَوَقَعَ الْمَأْتَمُ فِي الْمُسْلِمِينَ وَالْيَهُودِ وَالنَّصَارَى وَالْمَجُوسِ. وَفِي بَعْضِ النُّسَخِ: أَسْلَمَ عَشَرَةُ آلَافٍ بَدَلَ عِشْرِينَ أَلْفًا. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ الدَّارَقُطْنِيُّ: سَمِعْتُ أَبَا سَهْلِ بْنَ زِيَادٍ، سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ أَحْمَدَ يَقُولُ: سَمِعْتُ أَبِي يَقُولُ: قُولُوا لِأَهْلِ الْبِدَعِ، بَيْنَنَا وَبَيْنَكُمُ الْجَنَائِزُ. وَقَدْ
পৃষ্ঠা - ৮৭১৭


আহমদ ইবন কামিল আল-কাষী ও হাকিম সুত্রে বায়হাকী বর্ণনা করেন যে, আবদুল ওহ্হাব
আল-ওয়াররাক বলেন : আহমদ ইবন হাম্বল-এর জানাযড়ায় যে পরিমাণ লোকের সমাগম হয়েছিল,

জাহেলী কিংবা ইসলামের যুগে অন্য কারো জানাযায় অত লোকের সমাগম হয়েছে বলে আমি
শুনিনি ৷

ইমাম আহমদ ইবন হাম্বল এর প্রতিবেশী আল-ওয়ারকানী থেকে যথাক্রমে মুহাম্মদ ইবনুল
আব্বাস আল-মকী ও আবু হাতিম সুত্রে আবদুর রহমান ইবন আবু হাতিম বর্ণনা করেন যে,
ওয়ারকানী বলেন : যেদিন ইমাম আহমদ ইবন হাম্বল ইনতিকাল করেন, যেদিন ইয়াহ্রদীনাসারা ও
মাজুসীদের বিশ হাজার মানুষ ইসলাম গ্রহণ করেছিল ৷ কোন কোন নােসখায় বিশ হাজারের স্থলে
দশ হাজার লিখিত আছে ৷ মহান আল্লাহ ভাল জানেন ৷

দারা কুতনী বলেন : আমি আবু সাহ্ল ইবন যিয়াদকে বলতে শুনেছি যে , তিনি বলেন : আমি
আবদুল্লাহ ইবন আহমদকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন : আমি আমার পিতাকে বলতে শুনেছি :
তোমরা বিদআতীদেরকে বলে দাও, আমাদের ও তোমাদের মাঝে মীমাংসা করবে জানাযাসমুহ ;
যখন তা অতিক্রম করবে ৷ আর মহান আল্লাহ এ ক্ষেত্রে ইমাম আহমদ-এর উক্তিতে সত্য
প্রমাণিত করেছেন ৷ কেননা, তিনি তার যুগের সুন্নাহর ইমাম ছিলেন ৷ তার বিরোধীদের নেতা ছিল
পৃথিবীর প্রধান বিচারপতি আহমদ ইবন আবু দাউদ যার মৃত্যুকে একজন মানুষও পরওয়া করেনি
এবং তার দিকে ফিরে তাকায়নি ৷ তার মৃত্যুর পর বাদশাহ্র অল্প ক’জন সহচর ব্যতীত কেউ
তাকে বিদায় জানাতে আসেনি ৷ অনুরুপ দৃনিয়াবিমুখিতা, তাক্ওয়া, খ্যাতি, আত্মপর্যালােচনার
স্বভাব থাকা সত্বেও হারিস ইবন আসাদ আল-মুহাসিবী তিন কিংবা চারজন লোক ছাড়া কেউ তার
জানযাে পড়েনি ৷ তেমনি গুটি কতক লোক ছাড়া বিশ্ব ইবন গিয়াস আলমুরায়সীব জানাযড়া
পড়েনি ৷ পুৰ্বাপর সকল ক্ষমতাই মহান আল্লাহর ৷

বায়হাকী করি হাজ্জাজ ইবন মুহাম্মদ থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন : আমি মহান

আল্লাহর পথে শহীদ হব আর ইমাম আহমদ-এর জানাযার নামায পড়ব না , তা আমি পসন্দ করি
না ৷

আনক আসিম সম্পর্কে বর্ণিত আছে, যেদিন ইমাম আহমদকে দাফন করা হয়, সেদিন তিনি
বলেছিলেন : আজ পাচ এর ষষ্ঠজন সমাধিস্থ হল ৷ তারা হলেন, আবু বকর, উমর , উছমান (রা) ,
আলী (রা) , উমর ইবন আবদুল আষীয এবং আহমদ ৷

মৃত্যুকালে ইমাম আহমদ-এর বয়স ছিল সড়াতাত্তর কয়েক দিন ৷ মহান আল্লাহ তাকে রহম
করুন ৷

ইমাম আহমদ ইবন সম্পর্কে দেখা স্বপ্নসমুহ
সহীহ্ হাদীসে বর্ণিত আছে :

০ ×

ণ্া
মুবাশৃশিরাত (সুসংবাদদানকারী বিষয়সমুহ) ব্যতীত নবুওয়াতের আর কিছু অবশিষ্ট নেই ৷ ’
অপর বর্ণনায় আছে :


صَدَّقَ اللَّهُ قَوْلَهُ فِي هَذَا فَإِنَّهُ رَحِمَهُ اللَّهُ كَانَ إِمَامَ السُّنَّةِ فِي زَمَانِهِ، وَعُيُونُ مُخَالِفِيهِ أَحْمَدُ بْنُ أَبِي دُؤَادٍ الْقَاضِي لَمْ يَحْتَفِلْ أَحَدٌ بِمَوْتِهِ، وَلَا شَيَّعَهُ أَحَدٌ مِنَ النَّاسِ إِلَّا الْقَلِيلَ، وَكَذَلِكَ الْحَارِثُ بْنُ أَسَدٍ الْمُحَاسِبِيُّ مَعَ زُهْدِهِ وَوَرَعِهِ وَتَنْقِيرِهِ وَمُحَاسَبَتِهِ نَفْسَهُ فِي خِطْرَاتِهِ وَحَرَكَاتِهِ لَمْ يُصَلِّ عَلَيْهِ إِلَّا ثَلَاثَةٌ أَوْ أَرْبَعَةٌ مِنَ النَّاسِ، فَلِلَّهِ الْأَمْرُ مِنْ قَبْلُ وَمِنْ بَعْدُ. وَقَدْ رَوَى الْبَيْهَقِيُّ، عَنْ حَجَّاجِ بْنِ مُحَمَّدٍ الشَّاعِرِ أَنَّهُ قَالَ: مَا كُنْتُ أُحِبُّ أَنْ أُقْتَلَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَلَمْ أُصَلِّ عَلَى الْإِمَامِ أَحْمَدَ. وَرُوِيَ عَنْ رَجُلٍ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنَّهُ قَالَ يَوْمَ دُفِنَ أَحْمَدُ: دُفِنَ الْيَوْمَ سَادِسُ خَمْسَةٍ: وَهُمْ أَبُو بَكْرٍ، وَعُمَرُ، وَعُثْمَانُ، وَعَلِيٌّ، وَعُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ، رَحِمَهُمُ اللَّهُ. وَكَانَ عُمْرُهُ - رَحِمَهُ اللَّهُ - يَوْمَ تُوُفِّيَ سَبْعًا وَسَبْعِينَ سَنَةً وَأَيَّامًا أَقَلَّ مِنْ شَهْرٍ. [الْمَنَامَاتُ الصَّالِحَةُ الَّتِي رَآهَا الْإِمَامُ أَحْمَدُ] ذِكْرُ مَا رُئِيَ مِنْ الْمَنَامَاتِ الصَّالِحَةِ الَّتِي رَآهَا الْإِمَامُ أَحْمَدُ وَرُئِيَتْ لَهُ. وَقَدْ صَحَّ فِي الْحَدِيثِ «لَمْ يَبْقَ مِنَ النُّبُوَّةِ إِلَّا الْمُبَشِّرَاتُ - وَفِي رِوَايَةٍ: إِلَّا
পৃষ্ঠা - ৮৭১৮
الرُّؤْيَا الصَّالِحَةُ - يَرَاهَا الْمُؤْمِنُ أَوْ تُرَى لَهُ» . وَرَوَى الْبَيْهَقِيُّ، عَنِ الْحَاكِمِ سَمِعَتْ عَلِيَّ بْنَ حَمْشَاذَ، سَمِعْتُ جَعْفَرَ بْنَ مُحَمَّدِ بْنِ الْحُسَيْنِ، سَمِعْتُ سَلَمَةَ بْنَ شَبِيبٍ يَقُولُ: كُنَّا عِنْدَ أَحْمَدَ بْنِ حَنْبَلٍ، وَجَاءَهُ شَيْخٌ وَمَعَهُ عُكَّازَةٌ فَسَلَّمَ عَلَيْهِ وَجَلَسَ، فَقَالَ: مَنْ مِنْكُمْ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ؟ فَقَالَ أَحْمَدُ: أَنَا، مَا حَاجَتُكَ؟ فَقَالَ: ضَرَبْتُ إِلَيْكَ مِنْ أَرْبَعِمِائَةِ فَرْسَخٍ، أُرِيتُ الْخَضِرَ فِي الْمَنَامِ فَقَالَ لِي: سِرْ إِلَى أَحْمَدَ بْنِ حَنْبَلٍ وَسَلْ عَنْهُ، وَقُلْ لَهُ: إِنَّ سَاكِنَ الْعَرْشِ وَالْمَلَائِكَةَ رَاضُونَ عَنْكَ بِمَا صَبَرْتَ نَفْسَكَ لِلَّهِ، عَزَّ وَجَلَّ. وَعَنْ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ مُحَمَّدِ بْنِ خُزَيْمَةَ الْإِسْكَنْدَرَانِيِّ. قَالَ: لَمَّا مَاتَ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ اغْتَمَمْتُ غَمًّا شَدِيدًا، فَرَأَيْتُهُ فِي الْمَنَامِ وَهُوَ يَتَبَخْتَرُ فِي مِشْيَتِهِ فَقُلْتُ لَهُ: يَا أَبَا عَبْدِ اللَّهِ أَيُّ مِشْيَةٍ هَذِهِ؟ فَقَالَ: مِشْيَةُ الْخُدَّامِ فِي دَارِ السَّلَامِ. فَقُلْتُ: مَا فَعَلَ اللَّهُ بِكَ؟ قَالَ: غَفَرَ لِي وَتَوَّجَنِي وَأَلْبَسَنِي نَعْلَيْنِ مَنْ ذَهَبٍ، وَقَالَ لِي: يَا أَحْمَدُ، هَذَا بِقَوْلِكَ: الْقُرْآنُ كَلَامِي. ثُمَّ قَالَ لِي: يَا أَحْمَدُ، ادْعُنِي بِتِلْكَ الدَّعَوَاتِ الَّتِي بَلَغَتْكَ عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَكُنْتَ تَدْعُو بِهِنَّ فِي دَارِ الدُّنْيَا. قَالَ: قُلْتُ: يَا رَبِّ كُلُّ
পৃষ্ঠা - ৮৭১৯

নবুওয়াতের কিছু-ই অবশিষ্ট নেই সুস্বপ্ন ছাড়া,য যা মু মিন দেখে থাকে, কিংবা তাকে দেখানো



হয়

সালামা ইবন শাবীব থেকে যথাক্রমে জাফর ইবন মুহাম্মদ ইবনুল হুসায়ন ৷ আলী ইবন
মিহশাদ ও হাকিম সুত্রে বায়হাকী বর্ণনা করেন যে স ৷লাম৷ ইবন শাবীব বলেন৪ আমি আহমদ
ইবন৷ হ ম্বল এর নিকট ছিলাম ৷ সে সময়ে৩ তার নিকট এক প্রবীণ ব্যক্তি আগমন করেন ৷ তার
হাতে লোহার পাত লাগানো একটি লাঠি ৷ এসে লোকটি সালাম দিয়ে বসে পড়ে বলেনং :
আপনাদের মধ্যে আহমদ ইবন হাম্বল কে ? আহমদ বলেন : আমি ৷ আপনার প্রয়োজন ? তিনি
বলেন : আমি ঢাকা ফারসাখ (প্ৰতি ফারসাখ প্রায় আট কিলোমিটার) পথ পাড়ি দিয়ে আপনার
নিকট এসেছি ৷ আমি খিজিরকে স্বপ্নে দেখেছি ৷ তিনি আমাকে বলেন : আপনি আহমদ ইবন
হাম্বল এর নিকট গিয়ে তার খোজ খবর নিন এবং তাকে বলুন৪ আরশের মালিক এবং
ফেরেশতাগণ মহান আল্লাহর জন্য আপনি যে দৃঢ়ত৷ অবলম্বন করেছেন,৩ তার জন্য আপনার প্রতি
সন্তুষ্ট ৷

আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মদ ইবন খুযায়ম৷ আল-ইস্কান্দারানী বলেন : আহমদ ইবন হ্াম্বল যখন
ইনতিকাল করেন, আমি প্রচণ্ডরুপে গােকাহত হয়ে পড়ি ৷ সে সময়ে আমি স্বপ্নে দেখি, ইমাম
আহমদ অহৎ কারীর ন্যায় হাটছেন ৷ আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, হে আবদুল্লাহ্র ৷পতা ! এটা
কোন চলন ? তিনি বলেন : এ হল শান্তি নিকেতনে খাদিমদের হাট৷ ৷ আমি বললামং : মহান
আল্লাহ আপনার সঙ্গে কী আচরণ করেছেন : তিনি বলেন : মহান আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করে
দিয়েছেন, আমাকে মুকুট ও এক জোড়া সোনার জুতা পরিধান করিয়েছেন এবং আমাকে বলেন :
আহমদ ৷ এ হল তোমার পবিত্র কুরআনকে আমার কালাম বলার পুরস্কার ৷ তারপর বলেন :
আহমদ ! তুমি সুফিয়ান ছাওরী থেকে যে দু’আগুলো শিক্ষা করছিলে এবং দৃনিয়াতে তুমি
দুআগুলাে করতে, এখন আমার নিকট সেই দুআগুলাে কর ৷ আমি বললাম০ : হে সব কিছুর
প্রতিপালক ! সব কিছুর উপর তে তামার শক্তির উসিলায় আমার সব কিছু ক্ষমা করে দাও, যাতে
আমাকে তোমার কোন প্রশ্ন করতে না হয় ৷ মহান আল্লাহ বলেন০ : আহমদ ! এটি জান্নাত ৷ তুমি
দীড়াও ; এতে প্রবেশ কর ৷ আমি প্রবেশ করলাম ৷ হঠাৎ দেখি, আমি সুফিয়ান ছাওরীর সঙ্গে ৷ র্তার
দু’টি সবুজ ডানা আছে ৷ তা দ্বারা তিনি এক খেজুর গাছ হতে অপর খেজুর গাছে এবং এক গাছ
হতে আরেক গাছে উড়ে বেড়াচ্ছেন ৷ তিনি বলছেন
৷ ৷,ত্রাদ্ব,

×

“তারা প্রবেশ করে বলবে, সকল প্রশংসা আল্লাহর, যিনি আমাদের প্রতি তার প্রতিশ্রুতি পুর্ণ

করেছেন এবং আমাদের অধিকারী করেছেন এই ভুমির ৷ আমরা যেথায় ইচ্ছা বসবাস করব ৷
সদাচারীদের পুরস্ক৷ র কত উত্তম (সুরা যুম৷ র০ : ৭৪) ৷”

ইমাম আহমদ বলেন৪ আমি তাকে জিজ্ঞা ৷স৷ করলাম, বিশর আ ল হাফী এর কী হল : তিনি


شَيْءٍ، بِقُدْرَتِكَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ، اغْفِرْ لِي كُلَّ شَيْءٍ، حَتَّى لَا تَسْأَلَنِي عَنْ شَيْءٍ. فَقَالَ لِي: يَا أَحْمَدُ، هَذِهِ الْجَنَّةُ قُمْ فَادْخُلْهَا. فَدَخَلْتُ فَإِذَا أَنَا بِسُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَلَهُ جَنَاحَانِ أَخْضَرَانِ يَطِيرُ بِهِمَا مِنْ نَخْلَةٍ إِلَى نَخْلَةٍ، وَهُوَ يَقُولُ {الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي صَدَقَنَا وَعْدَهُ وَأَوْرَثَنَا الْأَرْضَ نَتَبَوَّأُ مِنَ الْجَنَّةِ حَيْثُ نَشَاءُ فَنِعْمَ أَجْرُ الْعَامِلِينَ} [الزمر: 74] قَالَ: فَقُلْتُ لَهُ: مَا فَعَلَ بِشْرٌ الْحَافِي؟ فَقَالَ: بَخٍ بَخٍ، وَمَنْ مِثْلُ بِشْرٍ؟ تَرَكْتُهُ بَيْنَ يَدَيِ الْجَلِيلِ وَبَيْنَ يَدَيْهِ مَائِدَةٌ مِنَ الطَّعَامِ وَالْجَلِيلُ مُقْبِلٌ عَلَيْهِ وَهُوَ يَقُولُ: كُلْ يَا مَنْ لَمْ يَأْكُلْ، وَاشْرَبْ يَا مَنْ لَمْ يَشْرَبْ، وَانْعَمْ يَا مَنْ لَمْ يَنْعَمْ. أَوْ كَمَا قَالَ. وَقَالَ أَبُو مُحَمَّدٍ ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ مُسْلِمِ بْنِ وَارَةَ قَالَ: لَمَّا مَاتَ أَبُو زُرْعَةَ رَأَيْتُهُ فِي الْمَنَامِ، فَقُلْتُ لَهُ: مَا فَعَلَ اللَّهُ بِكَ؟ فَقَالَ: قَالَ لِيَ الْجَبَّارُ: أَلْحِقُوهُ بِأَبِي عَبْدِ اللَّهِ، وَأَبِي عَبْدِ اللَّهِ، وَأَبِي عَبْدِ اللَّهِ ; مَالِكٍ، وَالشَّافِعِيِّ، وَأَحْمَدَ بْنِ حَنْبَلٍ. وَقَالَ عُثْمَانُ بْنُ خُرَّزَادَ الْأَنْطَاكِيُّ: رَأَيْتُ فِي الْمَنَامِ كَأَنَّ الْقِيَامَةَ قَدْ قَامَتْ وَقَدْ بَرَزَ الرَّبُّ لِفَصْلِ الْقَضَاءِ، وَكَأَنَّ مُنَادِيًا يُنَادِي مِنْ تَحْتٍ بُطْنَانِ الْعَرْشِ: أَدْخِلُوا أَبَا عَبْدِ اللَّهِ، وَأَبَا عَبْدِ اللَّهِ، وَأَبَا عَبْدِ اللَّهِ وَأَبَا عَبْدِ اللَّهِ الْجَنَّةَ. قَالَ: فَقُلْتُ لِمَلَكٍ إِلَى جَانِبِي: مَنْ هَؤُلَاءِ؟ فَقَالَ: مَالِكٌ، وَالثَّوْرِيُّ، وَالشَّافِعِيُّ، وَأَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ. وَقَالَ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي خَيْثَمَةَ، عَنْ
পৃষ্ঠা - ৮৭২০
يَحْيَى بْنِ أَيُّوبَ الْمَقْدِسِيِّ قَالَ: رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي النَّوْمِ، وَهُوَ نَائِمٌ وَعَلَيْهِ ثَوْبٌ مُغَطَّى، وَأَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، وَيَحْيَى بْنُ مَعِينٍ يَذُبَّانِ عَنْهُ. وَتَقَدَّمَ فِي تَرْجَمَةِ أَحْمَدَ بْنِ أَبِي دُؤَادٍ عَنْ يَحْيَى الْجَلَّاءِ أَنَّهُ رَأَى كَأَنَّ أَحْمَدَ بْنَ حَنْبَلٍ فِي حَلْقَةٍ بِالْمَسْجِدِ الْجَامِعِ، وَأَحْمَدَ بْنَ أَبِي دُؤَادٍ فِي حَلْقَةٍ أُخْرَى، وَكَأَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَاقِفٌ بَيْنَ الْحَلْقَتَيْنِ، وَهُوَ يَتْلُو هَذِهِ الْآيَةَ {أُولَئِكَ الَّذِينَ آتَيْنَاهُمُ الْكِتَابَ وَالْحُكْمَ وَالنُّبُوَّةَ فَإِنْ يَكْفُرْ بِهَا هَؤُلَاءِ} [الأنعام: 89] وَيُشِيرُ إِلَى حَلْقَةِ ابْنِ أَبِي دُؤَادٍ وَأَصْحَابِهِ {فَقَدْ وَكَّلْنَا بِهَا قَوْمًا لَيْسُوا بِهَا بِكَافِرِينَ} [الأنعام: 89] وَيُشِيرُ إِلَى أَحْمَدَ بْنِ حَنْبَلٍ، وَأَصْحَابِهِ.