আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة خمس وثلاثين ومائتين

পৃষ্ঠা - ৮৬৩১


২৩৪ হিজরীর সুচনা

এ বছর মুহাম্মদ ইবন বাঈছ ইবন হালবাস তার স্বদেশ আযারবায়জানে খলীফার আনুগত্য
প্রত্যাহার করে বিদ্রোহ করে এবং এমন অবস্থা প্রকাশ করে যেন খলীফ৷ মুতাওয়ড়াক্কিল মৃত্যুবরণ
করেছেন ৷ তখন ঐ সকল জনপদের একদল লোক তার চারপাশে সমবেত হয় আর তাদেরকে
নিয়ে সে মারানৃদ শহরে আশ্রয় গ্রহণ করে এবংত তা সুরক্ষিত করে তোলে ৷ এরপর সকল দিক
থেকে“ প্রেরিত লোকজন তার কাছে আসতে থাকে ৷ এসময় খলীফ৷ মুতাওয়াক্কিল তার বিরুদ্ধে
একের পর এক সেনাদল প্রেরণ করতে থাকেন ৷ এরা এসে ইবন বাঈছেব শহরের চতর্দিকে
মিনজানীক বা প্রস্তর কামান স্থাপন করে এবং তাকে ব্যাপকভাবে অবরোধ করে ৷

এরপর যখন যুদ্ধ শুরু হয় তখন ইবন বাঈছ তাদের বিরুদ্ধে ভয়াবহ লড়াইয়ে লিপ্ত হয় এবং
সে ও তার সহযোদ্ধারা চরম ধৈর্যের পরিচয় দেয় ৷ ইত্যবসরে বাগগ৷ আশৃশ৷ শারাবী তাকে অবরোধ
করার উদ্দেশ্যে আগমন করেন ৷ অব্যাহত প্রচেষ্টার পর তিনি তাকে বন্দী করেন এবং তার
ধন-সম্পদ ও শ্রীদেরকে করায়ত্ত করেন ৷ এসময় তিনি তার নেতৃস্থানীয় অনুসারীদের হত্যা করেন
এবং অবশিষ্টদের বন্দী করেন ৷ এভাবে ইবন বাঈছেঃ৷ বিদ্রোহ মুলোৎপাঢিত হয় ৷

এছাড়া এ বছর জুমাদাল উলা মাসে খলীফ৷ মুতাওয়াক্কিল মদোইনের উদ্দেশ্যে বের হন ৷

২৩৫ হিজরীর সুচনা

এ বছর জুমদাে ল উখরায় ইতাখ কারাগারে মৃত্যুমুখে পতিত হন ৷ ঘটনা ৷র বিবরণ হল, ইতাখ
হজ্জ সমাপন করে ফিরে আসার পর তার নিকট খলীফার কিছু হাদীয়৷ এসে পৌছে ৷ সে সময়ে
মুতাওয়৷ ৷ক্কিল যে আসবে অবস্থান করছিলেন, তিনি তাতে প্রবেশ করার উদ্দেশ্যে এগিয়ে এলে
খলীফ৷ ৷র নিদেশে বাগদাদের না য়িব ইসহাক ইবন ইবরাহীম তাকে এই বলে ডেকে পাঠান যে,
জনগণ ও বনুহাশিম আপনার সাক্ষাৎ প্রত্যাশা করছে ৷ ফলে, ইতাখ আড়ম্বরে সেখানে উপস্থিত
হন ৷ কিন্তু ইসহাক ইব্রাহীম তাকে, তার দুই ছেলে মুযাফ্ফর ও মানসুরকে এবংত তার দুই
লেখক সুলায়মান ইবন ঘোষ ও কুদাম৷ ইবন যিয়াদ আন-নাসরানীকে গ্রেফত৷ ৷র করে ফেলেন ৷
ইতাখ নির্যাতনের মুখে আত্মসমর্পণ করেন ৷ তিনি মৃত্যুবরণ করেন ৷পপাসায় ৷ তা এভাবে যে,
তিনি প্রচণ্ড ক্ষুধার পর প্রচুর আহার করেন ৷ তারপর পানি চাইলে পানি দেওয়া হয়নি ৷ ফলে
পিপাসায় কাতর হয়েত তিনি এ বছরের জুমাদাল উখরার ২৫ত তারিখ বুধবার মৃত মুখেপতিত হন ৷
তার দুই ছেলে মুতাওয়াক্কিল এর খিলাফত আমল পর্যন্ত কারাগারে আ ৷টক থাকে ৷ পরবত
মুতাওয়াক্কিল-এর ছেলে মুনতাসির খলীফ৷ হওয়ার পর তাদেরকে যুক্তি দেন ৷

এ বছরের শাওয়াল মাসে বাগ৷ খলীফার দরবারে আগমন করেন ৷ তখন তার সঙ্গে ছিল
মুহাম্মদ ইবনুল বুআইছ, তার দুই ভাই সাকার ও খালিদ, নায়িব অ ৷ল৷ এবং শীর্ষস্থানীয় প্রায় একশত
আশিজন সহচর ৷ত তারা উঠে চড়ে প্রবেশ করে, যাতে মানুষত তাদেরকে দেখতে পায় ৷ ইবনুল
বুআঈছ যখন মুতাওয়৷ ৷ক্কিল এর সম্মুখে দণ্ড ৷য়মান হয়, তখন মুতাওয়াক্কিল তার গর্দান উড়িয়ে
দেওয়ার আদেশ করেন ৷ সেমতে তরবারি ও চামড়ার বিছান৷ উপস্থিত করা হয় ৷ জল্লাদরা এসে
তার চতৃষ্পার্শে দাড়িয়ে যায় ৷ মুতাওয়াক্কিল তাকে বলেন : ধ্বংস তোমার জন্য, ভুমি যা করেছ
কিসে তোমাকে তার প্রতি উদ্বুদ্ধ করল ৷ ইবনুল বুআঈছ বলল : দৃর্ভাগ্য, হে আমীরুল মু’মিনীন ৷


[سَنَةُ خَمْسٍ وَثَلَاثِينَ وَمِائَتَيْنِ] [الْأَحْدَاثُ الَّتِي وَقَعَتْ فِيهَا] ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ خَمْسٍ وَثَلَاثِينَ وَمِائَتَيْنِ فِي جُمَادَى الْآخِرَةِ مِنْهَا كَانَ هَلَاكُ إِيتَاخَ فِي السِّجْنِ، وَذَلِكَ أَنَّهُ رَجَعَ مِنَ الْحَجِّ فَتَلَقَّتْهُ هَدَايَا الْخَلِيفَةِ، فَلَمَّا اقْتَرَبَ يُرِيدُ دُخُولَ سَامَرَّاءَ الَّتِي فِيهَا أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ بَعَثَ إِلَيْهِ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ نَائِبُ بَغْدَادَ عَنْ أَمْرِ الْخَلِيفَةِ يَسْتَدْعِيهِ إِلَيْهَا ; لِيَتَلَقَّاهُ وُجُوهُ النَّاسِ، وَبَنِي هَاشِمٍ فَدَخَلَهَا فِي أُبَّهَةٍ عَظِيمَةٍ، فَقَبَضَ عَلَيْهِ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَعَلَى ابْنَيْهِ مُظَفَّرٍ وَمَنْصُورٍ وَكَاتِبَيْهِ سُلَيْمَانَ بْنِ وَهْبٍ وَقُدَامَةَ بْنِ زِيَادٍ النَّصْرَانِيِّ فَأَسْلَمَ تَحْتَ الْعُقُوبَةِ، وَكَانَ هَلَاكُ إِيتَاخَ بِالْعَطَشِ، وَذَلِكَ أَنَّهُ أَكَلَ أَكْلًا كَثِيرًا بَعْدَ جُوعٍ شَدِيدٍ، ثُمَّ اسْتَقَى الْمَاءَ فَلَمْ يُسْقَ حَتَّى مَاتَ لَيْلَةَ الْأَرْبِعَاءِ لِخَمْسٍ خَلَوْنَ مِنْ جُمَادَى الْآخِرَةِ مِنْهَا. وَمَكَثَ وَلَدَاهُ فِي السِّجْنِ مُدَّةَ خِلَافَةِ الْمُتَوَكِّلِ، فَلَمَّا وَلِي الْمُنْتَصِرُ وَلَدُ الْمُتَوَكِّلِ أَخْرَجَهُمَا. وَفِي شَوَّالٍ مِنْهَا قَدِمَ بُغَا سَامَرَّا وَمَعَهُ مُحَمَّدُ بْنُ الْبُعَيْثِ وَأَخَوَاهُ صَقْرٌ وَخَالِدٌ، وَنَائِبُهُ الْعَلَاءُ، وَمَعَهُمْ مِنْ رُءُوسِ أَصْحَابِهِ نَحْوٌ مَنْ مِائَةٍ وَثَمَانِينَ إِنْسَانًا، فَأُدْخِلُوا عَلَى الْجِمَالِ لِيَرَاهُمُ النَّاسُ، فَلَمَّا أُوقِفَ ابْنُ الْبُعَيْثِ بَيْنَ يَدَيِ الْمُتَوَكِّلِ أَمَرَ بِضَرْبِ عُنُقِهِ، فَأُحْضِرَ السَّيْفُ وَالنِّطْعُ فَجَاءَ السَّيَّافُونَ فَوَقَفُوا حَوْلَهُ، فَقَالَ لَهُ الْمُتَوَكِّلُ: وَيْلَكَ، مَا دَعَاكَ إِلَى مَا فَعَلْتَ؟ فَقَالَ: الشِّقْوَةُ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ،
পৃষ্ঠা - ৮৬৩২
وَأَنْتَ الْحَبْلُ الْمَمْدُودُ بَيْنَ اللَّهِ وَبَيْنَ خَلْقِهِ، وَإِنَّ لِي فِيكَ لَظَنَّيْنِ، أَسْبَقُهُمَا إِلَى قَلْبِي أَوْلَاهُمَا بِكَ ; وَهُوَ الْعَفْوُ. ثُمَّ انْدَفَعَ يَقُولُ بَدِيهَةً: أَبَى النَّاسُ إِلَّا أَنَّكَ الْيَوْمَ قَاتِلِي ... إِمَامَ الْهُدَى وَالصَّفْحُ بِالْمَرْءِ أَجْمَلُ وَهَلْ أَنَا إِلَّا جُبْلَةٌ مِنْ خَطِيَّةٍ ... وَعَفْوُكَ مِنْ نُورِ النُّبُوَّةِ يُجْبَلُ فَإِنَّكَ خَيْرُ السَّابِقِينَ إِلَى الْعُلَا ... وَلَا شَكَّ أَنَّ خَيْرَ الْفَعَالَيْنِ تَفْعَلُ فَقَالَ الْمُتَوَكِّلُ: إِنَّ مَعَهُ لَأَدَبًا. ثُمَّ عَفَا عَنْهُ، وَيُقَالُ: بَلْ شَفَعَ فِيهِ الْمُعْتَزُّ ابْنُ الْمُتَوَكِّلِ، فَشَفَّعَهُ فِيهِ. وَيُقَالُ: بَلْ أَوْدِعَ فِي السِّجْنِ فِي قُيُودٍ ثَقِيلَةٍ، فَلَمْ يَزَلْ فِيهِ حَتَّى هَرَبَ بَعْدَ ذَلِكَ، وَقَدْ قَالَ حِينَ هَرَبَ: كَمْ قَدْ قَضَيْتُ أُمُورًا كَانَ أَهْمَلَهَا ... غَيْرِي وَقَدْ أَخَذَ الْإِفْلَاسُ بِالْكَظَمِ لَا تَعْذِلِينِي فِيمَا لَيْسَ يَنْفَعُنِي ... إِلَيْكِ عَنِّي جَرَى الْمِقْدَارُ بِالْقَلَمِ سَأُتْلِفُ الْمَالَ فِي عُسْرٍ وَفِي يُسْرٍ ... إِنَّ الْجَوَادَ الَّذِي يُعْطِي عَلَى الْعَدَمِ وَفِيهَا أَمَرَ الْمُتَوَكِّلُ عَلَى اللَّهِ أَهْلَ الذِّمَّةِ أَنْ يَتَمَيَّزُوا عَنِ الْمُسْلِمِينَ فِي لِبَاسِهِمْ وَعَمَائِمِهِمْ وَثِيَابِهِمْ، وَأَنْ يَتَطَيْلَسُوا بِالْمَصْبُوغِ بِالْعَسَلِيِّ، وَأَنْ يَكُونَ عَلَى غِلْمَانِهِمْ رِقَاعٌ - مُخَالِفَةٌ لِلَوْنِ ثِيَابِهِمْ مِنْ خَلْفِهِمْ وَمِنْ بَيْنِ أَيْدِيهِمْ، وَأَنْ يُلْزَمُوا
পৃষ্ঠা - ৮৬৩৩

আপনি আল্লাহ ও তার সৃষ্টির মাঝে ঝুলত্ত রশি ৷ আর আপনার ব্যাপারে আমার দৃ টি ধারণা
রয়েছে ৷ তন্মধ্যে যে ধারণাটি অধিক প্রবল, আপনার জন্য সেটি ই উত্তম ৷ তা হল, ক্ষমা ৷ তারপর
তিনি স্পষ্টভাষায় আবৃত্তি করতে শুরু করেন-


৷ হ্াপ্রু
“মানুষের দৃঢ় বিশ্বাস যে, আপনি আমাকে হত্যা না করে ছাড়বেন না ৷ আপনি তো হিদায়াতের
ইমাম ৷ মানুষকে ক্ষমা করাই সর্বোত্তম কাজ ৷ আমি পাপিষ্ঠ বই নই ৷ আর আপনার ক্ষমা তো
নবুওয়াতের নুরের দ্বারা সৃষ্ট ৷ আপনি উর্ধ্বপানে ধাবমান লোকদের শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি ৷ আপনি যা
করছেন, তা যে শ্রেষ্ঠ কর্ম তাতে কোন সন্দেহ নেই” ৷

শুনে মুতাওয়াক্কিল বলেনং : লোকট৷ তো সাহিত্য জানে ! তারপর তিনি তাকে ক্ষমা করে
দেন ৷

এক বর্ণনায় আছে, মু৩ তাওয়াক্কিল এর ছেলে মু তায তার ব্যাপারে সুপারিশ করেছিলেন ৷
ফলে, মুতাওয়া ৷ক্কিল তাকে ক্ষমা করে দেন ৷

অপর এক বর্ণনায় আছে, মুতাওয়াক্কিল তাকে শৃৎখলাবদ্ধ করে কারাগারে আটক করে
রাখেন ৷ বিন্দু, পরবর্তীতে তিনি সেখান থেকে পালিয়ে যান ৷ পলায়নের সময় তিনি বলেছিলেন-

ণ্ঙ্কো ১া
“আপনি অন্যদের ফেলে রাখা বহু কাজ আঞ্জাম দিয়েছেন ৷ অথচ, দারিদ্যু আপনাকে স্তব্ধ
করে রেখেছে ৷ যা আমাকে কোন উপকার করবে না , সে বিষয়ে আমাকে তিরস্কার করবেন না ৷
আপনি আমার থেকে দুরে থাকুন ৷ ভাগ্যে যা আছে তা স্থির হয়ে গেছে ৷ অস্বচ্ছল-স্বচ্ছল উভয়
অবস্থাতেই আমি সম্পদ বিনষ্ট করব ৷ দানশীল তাে সেই ব্যক্তি যে অভারের সময়ও দান করে” ৷
এ বছরই মুতাওয়৷ ৷ক্কিল যিম্মিদেরকে নির্দেশ দেন, যেন তারা পোশাক, পাগড়ি ও কাপড়-
চােপড়ে মুসলমানদের থেকে ভিন্নতা অবলম্বন করে ৷ আকর্ষণীয় রং-এর জুর৷ পরিধান না করে,
পাগড়ির উপর পােশাকের৩ ভিন্ন রংয়ের একখণ্ড কাপড় ব্যবহার করে, আজকা ৷লকার কৃষকদের
তাপার ন্যায় কোমরে তাগ৷ ব্যবহার করে, গলায় কাঠের পুতি ব্যবহার করে , ঘোড়ার আরোহণ না
করে এবং বাহন যেন হয় কাঠের তৈ ইত্যাকার অপমানজনক নির্দেশ জা ৷রি করেন ৷ আরো
নির্দেশ জা ৷রি করেন যেন৩ তারা সেই কাগজ ব্যবহার না করে, যাতে মুসলমানদের বিধা ৷ন লিপিবদ্ধ

রয়েছে ৷ তিনি তাদের নতুন নতুন গির্জাগুলোকে ধ্বং স করে ফেলার, তাদের প্রশস্ত বাস-
পৃহগুলােকে সংকীর্ণ করে ফেলার, তাদের থেকে উশর আদায় করার তাদের বড় বড়


بِالزَّنَانِيرِ الْخَاصِرَةِ لِثِيَابِهِمْ كَزَنَانِيرِ الْفَلَّاحِينَ الْيَوْمَ، وَأَنْ يَحْمِلُوا فِي رِقَابِهِمْ كُرَاتٍ مِنْ خَشَبٍ كَثِيرَةً، وَأَنْ لَا يَرْكَبُوا خَيْلًا، وَلْتَكُنْ رُكُبُهُمْ مِنْ خَشَبٍ إِلَى غَيْرِ ذَلِكَ مِنَ الْأُمُورِ الْمُذِلَّةِ لَهُمُ الْمُهِينَةِ لِنُفُوسِهِمْ، وَأَنْ لَا يُسْتَعْمَلُوا فِي شَيْءٍ مِنَ الدَّوَاوِينِ الَّتِي يَكُونُ لَهُمْ فِيهَا حُكْمٌ عَلَى مُسْلِمٍ، وَأَمَرَ بِتَخْرِيبِ كَنَائِسِهِمُ الْمُحْدَثَةِ، وَبِتَضْيِيقِ مَنَازِلِهِمُ الْمُتَّسِعَةِ، فَيُؤْخَذُ مِنْهَا الْعُشْرُ، وَأَنْ يَعْمَلُوا مَا كَانَ مُتَّسِعًا كَبِيرًا مَسْجِدًا، وَأَمَرَ بِتَسْوِيَةِ قُبُورِهِمْ بِالْأَرْضِ، وَكَتَبَ بِذَلِكَ إِلَى سَائِرِ الْأَقَالِيمِ وَالْآفَاقِ، وَإِلَى كُلِّ بَلَدٍ وَرُسْتَاقٍ. وَفِيهَا خَرَجَ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ: مَحْمُودُ بْنُ الْفَرَجِ النَّيْسَابُورِيُّ. وَهُوَ مِمَّنْ كَانَ يَتَرَدَّدُ إِلَى خَشَبَةِ بَابَكَ الْخُرَّمِيِّ وَهُوَ مَصْلُوبٌ، فَيَقْعُدُ قَرِيبًا مِنْهُ، وَذَلِكَ بِقُرْبِ دَارِ الْخِلَافَةِ مِنْ سُرَّ مَنْ رَأَى، فَادَّعَى أَنَّهُ نَبِيٌّ، وَأَنَّهُ ذُو الْقَرْنَيْنِ، وَقَدِ اتَّبَعَهُ عَلَى هَذِهِ الضَّلَالَةِ، وَوَافَقَهُ فِي هَذِهِ الْجَهَالَةِ جَمَاعَةٌ قَلِيلُونَ، وَهُمْ تِسْعَةٌ وَعِشْرُونَ رَجُلًا، وَقَدْ نَظَمَ لَهُمْ كَلَامًا فِي مُصْحَفٍ لَهُ - قَبَّحَهُ اللَّهُ - زَعَمَ لَعَنَهُ اللَّهُ أَنَّ جِبْرِيلَ - عَلَيْهِ السَّلَامُ - جَاءَهُ بِهِ مِنَ اللَّهِ فَأُخِذَ فَرُفِعَ أَمْرُهُ إِلَى الْمُتَوَكِّلِ فَأَمَرَ بِهِ فَضُرِبَ بَيْنَ يَدَيْهِ بِالسِّيَاطِ ; فَاعْتَرَفَ بِمَا نُسِبَ إِلَيْهِ، وَمَا هُوَ مُعَوِّلٌ عَلَيْهِ، وَأَظْهَرَ التَّوْبَةَ مِنْ ذَلِكَ، وَالرُّجُوعَ عَنْهُ فَأَمَرَ الْخَلِيفَةُ كُلَّ وَاحِدٍ مِنْ أَتْبَاعِهِ أَنْ يَصْفَعَهُ عَشْرَ صَفَعَاتٍ فَفَعَلُوا، فَعَلَيْهِ وَعَلَيْهِمْ لَعْنَةُ رَبِّ الْأَرْضِ وَالسَّمَاوَاتِ، ثُمَّ اتَّفَقَ مَوْتُهُ فِي يَوْمِ الْأَرْبِعَاءِ لِثَلَاثٍ خَلَوْنَ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ
পৃষ্ঠা - ৮৬৩৪
وَفِي يَوْمِ السَّبْتِ لِثَلَاثٍ بَقِينَ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ الْمُبَارَكَةِ أَخَذَ الْخَلِيفَةُ الْمُتَوَكِّلُ عَلَى اللَّهِ الْعَهْدَ مِنْ بَعْدِهِ لِأَوْلَادِهِ الثَّلَاثَةِ وَهُمْ: مُحَمَّدٌ الْمُنْتَصِرُ، ثُمَّ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْمُعْتَزُّ وَاسْمُهُ مُحَمَّدٌ، وَقِيلَ: الزُّبَيْرُ، ثُمَّ لِإِبْرَاهِيمَ وَسَمَّاهُ الْمُؤَيَّدَ بِاللَّهِ، وَلَمْ يَلِ هَذَا الْخِلَافَةَ. وَأَعْطَى كُلَّ وَاحِدٍ مِنْهُمْ طَائِفَةً مِنَ الْبِلَادِ يَكُونُ نَائِبًا عَلَيْهَا وَنُوَّابُهُ فِيهَا، وَيَضْرِبُ لَهُ السَّكَّةُ بِهَا، وَقَدْ عَيَّنَ ابْنُ جَرِيرٍ مَا لِكُلِّ وَاحِدٍ مِنْهُمْ مِنَ الْبُلْدَانِ وَالْأَقَالِيمِ وَالرَّسَاتِيقِ، وَعَقَدَ لِكُلِّ وَاحِدٍ مِنْهُمْ لِوَاءَيْنِ، لِوَاءً أَسْوَدَ لِلْعَهْدِ، وَلِوَاءً أَبْيَضَ لِلْعَمَالَةِ، وَكَتَبَ بَيْنَهُمْ كِتَابًا بِالرِّضَا مِنْهُمْ بِمُبَايَعَةِ الْأُمَرَاءِ وَالْكُبَرَاءِ لَهُمْ عَلَى ذَلِكَ، وَكَانَ يَوْمًا مَشْهُودًا. وَفِيهَا فِي شَهْرِ ذِي الْحِجَّةِ هَذَا مِنْهَا تَغَيَّرَ مَاءُ دِجْلَةَ إِلَى الصُّفْرَةِ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ، ثُمَّ صَارَ فِي لَوْنِ مَاءِ الْمُدُودِ فَفَزِعَ النَّاسُ لِذَلِكَ. وَفِيهَا أَتَى الْمُتَوَكِّلُ بِيَحْيَى بْنِ عُمَرَ بْنِ زَيْدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ مِنْ بَعْضِ النَّوَاحِي، وَكَانَ قَدِ اجْتَمَعَ إِلَيْهِ قَوْمٌ مِنَ الشِّيعَةِ فَأَمَرَ بِضَرْبِهِ فَضُرِبَ ثَمَانِيَ عَشْرَةَ مِقْرَعَةً ثُمَّ حُبِسَ فِي الْمُطْبِقِ. وَحَجَّ بِالنَّاسِ مُحَمَّدُ بْنُ دَاوُدَ.
পৃষ্ঠা - ৮৬৩৫


ভবনগুলোকে মসজিদে রুপান্তরিত করার এবং তাদের কবরগুলােকে মাটির সাথে মিশিয়ে

দেওয়ার নির্দোণ প্রদান করেন ৷ তিনি সকল রাজ্য ও শহরে এই মর্মে নির্দেশনামা পৌছিয়ে দেন ৷
এ বছরই মাহমুদ ইবনুল কারজ আন-নিশাপুরী নামক ব্যক্তির আবির্ভাব ঘটে ৷ এই লােকটি

তাদের একজন, যারা বাবিক-এর কাঠের নিকট যাওয়াআসা করত ৷ বাবিক তখন শুলে চড়ানাে ৷

মাহমুদ ইবনুল কারজ তার নিকট গিয়ে বসে থাকত ৷ স্থানটি দারুল খিলাফতের সন্নিকটে অবস্থিত
সুররা মান রআে নামক স্থানে অবস্থিত ছিল ৷

যা হোক, মাহমুদ ইবনুল কারজ দাবী করে যে, সে বনী এবং সেই যুলকারনড়ায়ন ৷ স্বল্পসংখ্যক
মানুষ তার এই মতবাদের অনুসারী হয়ে উঠে এবং তার এই অজ্ঞতার প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করে ৷
তারা হল উনত্রিশজন ৷ সে তার অনুসারীদের জন্য কিছু বক্তব্য গড়ে নিয়ে প্রন্থবদ্ধ করে নেয় ৷
মহান আল্লাহ্ তাকে ধ্বংস করুন ৷ সে বিশ্বাস করত, জিবরীল আল্লাহর পক্ষ থেকে এগুলো নিয়ে
এসেছেন ৷ তাকে ধরে খলীফা ঘুতাওয়াক্কিল-এর নিকট নিয়ে যাওয়া হয় ৷ তার নির্দেশে র্তীর-ই
সম্মুখে তাকে বেত্রাঘাত করা হয় ৷ অগত্যা সে তার বিরুদ্ধে আরোপিত অভিযোগ স্বীকার করে
নেয় এবং তাওবা করার এবং মতাদর্শ প্রত্যাহার করার কথা ঘোষণা দেয় ৷ খলীফা তার উনত্রিশ
অনুসারীর সব ক’জনকে তাকে চড়-থাপ্পড় মারার নির্দেশ দেন ৷ তারা তাকে দশটি করে
চড়-থাপ্পড় মারে ৷ তার ও তার অনুসারীদের উপর আসমান-যমীনের প্রতুং৷ অভিশাপ ৷ তারপর এ
বছরের যুল-হাজ্জা মাসের তিন তারিখ বুধবার সে মারা যায় ৷

এ বছরের যুলহাজ্জা মাসের ২৭ তারিখ শনিবার খলীফা মুতাওয়াক্কিল আলাল্লাহ তার মৃত্যুর
পর তার ছেলের জন্য খিলাফত ঘোষণা করেন ৷ তারা হল মুহাম্মদ আল-ঘুনতাসির, আবু আবদুল্লাহ
আল-মু’তায, যার নাম কারো মতে মুহাম্মদ, কারো মতে যুবায়র ৷ তারপর ইবরাহীম , যার উপাধি
হল মুতাইয়িদ বিল্লাহ্ ৷ তবে এই ছেলে খিলাফতের মসনদে আসীন হতে পারেনি ৷ তিনি তাদের
প্রত্যেকের জন্য আলাদা আলাদা ভুখণ্ড নির্ধারণ করে দেন যে , তারা নিজ নিজ অঞ্চল শাসন করবে
এবং সেখানে স্বতন্ত্র মুদ্রা চালু করবে ৷ খলীফা মুতাওয়াক্কিল ছেলেদের কাকে কোন রাজ্য দান
করেছেন, ইবন জারীর তার নাম-ধামও উল্লেখ করেছেন ৷ মুতাওয়াক্কিল তাদের প্রত্যেকের জন্য
দুটি করে পতাকা স্থির করে দেন ৷ একটির রং কালো ৷ এটি মসনদের জন্য ৷ অপরটি আমলাদের
জন্য ৷ তিনি জনতার উদ্দেশ্যে তাদের প্রতি সন্তুষ্টি বিষয়ক পত্র লিখে দেন এবং অধিকাংশ আমীর
এ ব্যাপারে তার হাতে বায়আত করে ৷ দিনটি ছিল শুক্রবার ৷

এ বছরের যুলহাজ্জা মাসে দজলার পানির রং পরিবর্তন হয়ে হরিদ্রা বর্ণ ধারণ করে ৷ এ
অবস্থায় তিনদিন থাকার পর পানি পাদের বর্ণ ধারণ করে ৷ তাতে মানুষ ভয় পেয়ে যায় ৷

ইবন জারীর বলেন : এ বছর যুলহাজ্জা মাসের ২৩ তারিখ মঙ্গলবার বাগদাদের নায়িব
ইসহাক ইবন ইব্রাহীম মৃত্যুমুখে পতিত হন ৷ মৃত্যুর আগে তিনি আপন ছেলে যুহাম্মদকে নিজের
স্থলাভিষিক্ত করেন এবং তাকে পাচটি খাসআত (রাজ পোশাক) দান করেন ও তার গলায় তরবারি
ঝুলিয়ে দেন ৷ ন্ ,:

আমার মতে ; ইসহাক ইবন ইব্রাহীম খলীফা মামুনের আমলে ইরাকের নায়িব ছিলেন
এবং আপন নেতাদের অনুসরণে খালকে কুরআনের পক্ষে প্রচারণা চালাতেন ৷ এই চরিত্রের
লেহ্বকদের সম্পর্কেই আল্লাহ্ তাআলা বলেন :


قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ وَفِيهَا تُوُفِّيَ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ صَاحِبُ الْجِسْرِ يَعْنِي نَائِبَ بَغْدَادَ فِي يَوْمِ الثُّلَاثَاءِ لِسَبْعٍ بَقِينَ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ، وَصُيِّرَ ابْنُهُ مُحَمَّدٌ مَكَانَهُ، وَخُلِعَ عَلَيْهِ خَمْسُ خِلَعٍ، وَقُلِّدَ سَيْفًا. قُلْتُ: وَقَدْ كَانَ لَهُ فِي نِيَابَةِ بَغْدَادَ وَالْعِرَاقِ مِنْ زَمَنِ الْمَأْمُونِ وَهُوَ مِنْ أَكْبَرِ الدُّعَاةِ تَبَعًا لِسَادَتِهِ وَكُبَرَائِهِ، إِلَى الْقَوْلِ بِخَلْقِ الْقُرْآنِ. [مَنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ] وَفِيهَا تُوُفِّيَ: إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مَاهَانَ الْمَوْصِلِيُّ النَّدِيمُ، الْأَدِيبُ ابْنُ الْأَدِيبِ، النَّادِرُ الشَّكْلُ فِي وَقْتِهِ الْمَجْمُوعُ الْفَضَائِلِ مِنْ كُلِّ فَنٍّ يَعْرِفُهُ أَبْنَاءُ عَصْرِهِ، مِنَ الْفِقْهِ وَالْحَدِيثِ وَالْجَدَلِ وَالْكَلَامِ وَاللُّغَةِ وَالشِّعْرِ، وَإِنَّمَا اشْتُهِرَ بِالْغِنَاءِ ; لِأَنَّهُ لَمْ يَكُنْ لَهُ فِي الدُّنْيَا نَظِيرٌ فِيهِ. قَالَ الْمُعْتَصِمُ: إِنَّ إِسْحَاقَ إِذَا غَنَّى يُخَيَّلُ إِلَيَّ أَنَّهُ قَدْ زِيدَ فِي مُلْكِي. وَقَالَ الْمَأْمُونُ لَوْلَا اشْتِهَارُهُ بِالْغِنَاءِ لَوَلَّيْتُهُ الْقَضَاءَ ; لِمَا أَعْلَمُهُ مِنْ عِفَّتِهِ وَنَزَاهَتِهِ وَأَمَانَتِهِ.
পৃষ্ঠা - ৮৬৩৬
وَلَهُ شِعْرٌ حَسَنٌ، وَدِيوَانٌ كَبِيرٌ. وَكَانَتْ عِنْدَهُ كُتُبٌ كَثِيرَةٌ مِنْ كُلِّ فَنٍّ. تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ، قَالَ ابْنُ خِلِّكَانَ وَقِيلَ: فِي الَّتِي بَعْدَهَا. وَقَدْ تَرْجَمَهُ الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ تَرْجَمَةً حَافِلَةً، وَذَكَرَ عَنْهُ أَشْيَاءَ حَسَنَةً، وَأَشْعَارًا بَدِيعَةً رَائِقَةً، وَحِكَايَاتٍ مُدْهِشَةً يَطُولُ اسْتِقْصَاؤُهَا. فَمِنْ غَرِيبِ ذَلِكَ أَنَّهُ غَنَّى يَوْمًا لِيَحْيَى بْنِ خَالِدِ بْنِ بَرْمَكَ فَوَقَّعَ لَهُ بِأَلْفِ أَلْفٍ، وَوَقَّعَ لَهُ ابْنُهُ جَعْفَرٌ بِمِثْلِهَا، وَابْنُهُ الْفَضْلُ بِمِثْلِهَا فِي حِكَايَةٍ طَوِيلَةٍ. قُلْتُ: وَمِمَّنْ تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ مِنَ الْأَعْيَانِ: سُرَيْجُ بْنُ يُونُسَ، وَشَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، وَعُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ الْقَوَارِيرِيُّ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ أَحَدُ الْأَعْلَامِ وَأَئِمَّةِ الْإِسْلَامِ وَصَاحِبُ " الْمُصَنَّفِ " الَّذِي لَمْ يُصَنِّفْ أَحَدٌ مِثْلَهُ قَطُّ، لَا قَبْلَهُ وَلَا بَعْدَهُ.