আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة إحدى وثلاثين ومائتين

পৃষ্ঠা - ৮৬০১


আমরা প্রেমাসক্তির অনুগত, আয়তলোচনা নারীরা আমাদেরকে শিকার করে অথচ আমরা
সিংহ শিকারে অভ্যস্ত ৷

শ্


আমরা রাজা-বাদশাহ্দের কতৃতৃ লাভ করি, এরপর আমাদের কতৃতু লাভ করে শুভ্র দেহবর্ণ
এবং দ্যুতিময় চক্ষু ও গগুদেশের অধিকারিণীরা ৷

ষ্

ষ্ষ্ষ্শ্শ্ষ্শ্ ণ্শ্ষ্) শ্শ্
মৈং

সিংহদল আমাদের ক্রে৷ ধ এড়িয়ে চলে অথচ আমরা তাদের সামনে আমাদের ত্রুটি-বিচ্যুতি
সম্পর্কে ভীত থাকি ৷

আর যুদ্ধের দিনে তুমি আমাদেরকে স্বাধীন ও অকুতে৷ ভয় দেখবে আর শান্তিপুর্ণ দিনে
আমাদেরকে সুন্দরী রমনীদের অনুগত দাস দেখবে ৷

ইবন খাল্লিকান বলেন, তিনি খুযাঈ এবং তালহাতৃত্তালহা আল-খুযাঈর আযাদকৃত গোলাম
ছিলেন ৷ আর করি আবু তাষ্মাম তার প্রশংসায় কবিতা রচনা করতেন ৷ একদিন তিনি তার
সাক্ষাতে প্রবেশ করেন, তখন তিনি তাকে হামদানে আপ্যায়ন করেন তখন তিনি তার জন্য তার
জনৈকা শ্রীর নিকট (ৰীরতু গাথা) রচনা করেন ৷

খলীফ৷ মামুনযখন তাকে সিরিয়া ও মিসরের গভর্নর নিয়োগ করেন, তখন তিনি সেখানে
ভ্রমণ করেন ৷ আর এসময় খলীফ গোটা মিসৱ অঞ্চলের কর-খাজনা ইত্যাদি যাবতীয় রাজস্ব আর
তাকে অর্পণের লিখিত ফরমান জারি করেন ৷ এ কারণে তিনি পথিমধ্যে থাকা অবস্থায় তিরিশ লক্ষ
দীনার তার কাছে বহন করে আনা হয় ৷ তখন তিনি এক বৈঠকে তা বণ্টন করে দেন ৷ এছাড়া
তিনি যখন মিসরে উপনীত হন তখন প্রতি লক্ষ্য করে তাকে তৃচ্ছজ্ঞান করে বলেন, আল্লাহ্
তাআল৷ ফিরআওনকে লাঞ্ছিত করুন ৷ যে কত নীচ ও দুর্বল মনােবলের অধিকারী ছিল ফলে সে
এই (সাধারণ) জনপদের সাম্রাজ্য নিয়ে পর্ব ও বড়াই করেছিল ৷ আর বলেছি, “আমিই তোমাদের
শ্রেষ্ঠতম প্রতিপালক” এবং বলেহ্নিল্ “মিসর সাম্রাজ্য কি আমার নয়” ৷ সে যদি বাগদাদ ও অন্যান্য
শহর দেখতে তাহলে কী করত ?

আর এ বছর মারা ইননিক ল করেন তাদের অন্যতম হলেন, আলী ইবন জাদ আল-
জাওহারী, কিতাবুত তাবাকাত ও অন্যান্য গ্রন্থের রচিয়তা ওয়াকিদীর কা ৷তিব মুহাম্মদ ইবন সা দ

বংসাঈদ ইবন মুহাম্মদ আল-জারমী ৷

২৩১ হিজৰীর সুচনা
এ বছর আমীর খাকান আল খাদিমের হাতে মুসলমানদের ঐ সকল বন্দী বিনিময় সম্পন্ন হয়
যারা ণ্রামকদের হাতে বন্দী ছিলেন ৷ আর তা সম্পন্ন হয় এ বছর মুহাররম মাসে ৷ এই বন্দীদের
ত্খ্য৷ ছিল চারহাজার৩ তিনশ বাষট্টি জন ৷ এছাড়া এবছর আহমদ ইবন নাসর আল খুয৷ ৷ঈ নিহত
হন ৷ আল্লাহ্ তাকে রহম করুন এবং সম্মানিত করুন ৷


[سَنَةُ إِحْدَى وَثَلَاثِينَ وَمِائَتَيْنِ] [الْأَحْدَاثُ الَّتِي وَقَعَتْ فِيهَا] ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ إِحْدَى وَثَلَاثِينَ وَمِائَتَيْنِ فِيهَا وَقَعَتْ مُفَادَاةٌ بِجَمَاعَةٍ مِنَ الْمُسْلِمِينَ الَّذِينَ كَانُوا بِأَيْدِي الرُّومِ عَلَى يَدَيِ الْأَمِيرِ خَاقَانَ الْخَادِمِ، وَذَلِكَ فِي الْمُحَرَّمِ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ، وَكَانَ عِدَّةُ الْأُسَارَى الَّذِينَ اسْتُنْقِذُوا مِنْ أَيْدِي الْكُفَّارِ أَرْبَعَةَ آلَافٍ وَثَلَاثَمِائَةٍ وَاثْنَيْنِ وَسِتِّينَ أَسِيرًا. وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ. وَفِيهَا كَانَ مَقْتَلُ أَحْمَدَ بْنِ نَصْرٍ الْخُزَاعِيِّ رَحِمَهُ اللَّهُ وَأَكْرَمَ مَثْوَاهُ، وَكَانَ سَبَبَ ذَلِكَ أَنَّ هَذَا الرَّجُلَ وَهُوَ أَحْمَدُ بْنُ نَصْرِ بْنِ مَالِكِ بْنِ الْهَيْثَمِ الْخُزَاعِيُّ وَجَدُّهُ مَالِكُ بْنُ الْهَيْثَمِ مِنْ أَكْبَرِ الدُّعَاةِ فِي النَّاسِ إِلَى دَوْلَةِ بَنِي الْعَبَّاسِ، وَكَانَتْ لَهُ وَجَاهَةٌ وَرِيَاسَةٌ، وَكَانَ أَبُوهُ نَصْرُ بْنُ مَالِكٍ يَغْشَاهُ أَهْلُ الْحَدِيثِ، وَقَدْ بَايَعَهُ الْعَامَّةُ فِي سَنَةِ إِحْدَى وَمِائَتَيْنِ عَلَى الْقِيَامِ بِالْأَمْرِ وَالنَّهْيِ عَنِ الْمُنْكَرِ حِينَ كَثُرَتِ الدُّعَّارُ وَالشُّطَّارُ فِي أَرْجَاءِ بَغْدَادَ فِي زَمَانِ غَيْبَةِ الْمَأْمُونِ عَنْ بَغْدَادَ كَمَا قَدَّمْنَا بَسْطَ ذَلِكَ، وَبِهِ تُعْرَفُ سُوَيْقَةُ نَصْرٍ بِبَغْدَادَ. وَكَانَ أَحْمَدُ بْنُ نَصْرٍ هَذَا مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ وَالدِّيَانَةِ وَالْعَمَلِ الصَّالِحِ وَالِاجْتِهَادِ
পৃষ্ঠা - ৮৬০২
فِي الْخَيْرِ، وَمِنْ أَئِمَّةِ الْمُسْلِمِينَ وَأَهْلِ السُّنَّةِ الْآمِرِينَ بِالْمَعْرُوفِ وَالنَّاهِينَ عَنِ الْمُنْكَرِ، وَكَانَ مِمَّنْ يَدْعُو إِلَى الْقَوْلِ بِأَنَّ الْقُرْآنَ كَلَامُ اللَّهِ مُنَزَّلٌ غَيْرُ مَخْلُوقٍ، وَكَانَ هَارُونُ الْوَاثِقُ مِنْ أَشَدِّ النَّاسِ فِي الْقَوْلِ بِخَلْقِ الْقُرْآنِ، يَدْعُو إِلَيْهِ لَيْلًا وَنَهَارًا، سِرًّا وَجِهَارًا ; اعْتِمَادًا عَلَى مَا كَانَ أَبُوهُ الْمُعْتَصِمُ وَعَمُّهُ الْمَأْمُونُ عَلَيْهِ فِي ذَلِكَ مِنْ غَيْرِ دَلِيلٍ وَلَا بُرْهَانٍ، وَلَا حُجَّةٍ وَلَا بَيَانٍ، وَلَا سُنَّةٍ وَلَا قُرْآنٍ، فَقَامَ أَحْمَدُ بْنُ نَصْرٍ هَذَا يَدْعُو إِلَى اللَّهِ، وَإِلَى الْأَمْرِ بِالْمَعْرُوفِ وَالنَّهْيِ عَنِ الْمُنْكَرِ، وَالْقَوْلِ بِأَنَّ الْقُرْآنَ كَلَامُ اللَّهِ مُنَزَّلٌ غَيْرُ مَخْلُوقٍ، فِي أَشْيَاءَ كَثِيرَةٍ دَعَا النَّاسَ إِلَيْهَا، فَاجْتَمَعَ عَلَيْهِ جَمَاعَةٌ مِنْ أَهْلِ بَغْدَادَ وَالْتَفَّ عَلَيْهِ مِنَ الْأُلُوفِ أَعْدَادٌ، وَانْتَصَبَ لِلدَّعْوَةِ إِلَى أَحْمَدَ بْنِ نَصْرٍ هَذَا رَجُلَانِ وَهُمَا أَبُو هَارُونَ السَّرَّاجُ يَدْعُو أَهْلَ الْجَانِبِ الشَّرْقِيِّ، وَطَالِبٌ يَدْعُو أَهْلَ الْجَانِبِ الْغَرْبِيِّ. وَلَمَّا كَانَ شَهْرُ شَعْبَانَ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ انْتَظَمَتِ الْبَيْعَةُ لِأَحْمَدَ بْنِ نَصْرٍ الْخُزَاعِيِّ فِي السِّرِّ عَلَى الْقِيَامِ بِالْأَمْرِ بِالْمَعْرُوفِ وَالنَّهْيِ عَنِ الْمُنْكَرِ، وَالْخُرُوجِ عَلَى السُّلْطَانِ لِبِدْعَتِهِ، وَدَعْوَتِهِ إِلَى الْقَوْلِ بِخَلْقِ الْقُرْآنِ. فَتَوَاعَدُوا عَلَى أَنَّهُ فِي اللَّيْلَةِ الثَّالِثَةِ مِنْ شَهْرِ شَعْبَانَ وَهِيَ لَيْلَةُ الْجُمُعَةِ يُضْرَبُ طَبْلٌ فِي اللَّيْلِ، فَيَجْتَمِعُ النَّاسُ الَّذِينَ بَايَعُوا فِي مَكَانٍ اتَّفَقُوا عَلَيْهِ، وَأَنْفَقَ طَالِبٌ وَأَبُو هَارُونَ فِي أَصْحَابِهِ دِينَارًا دِينَارًا، فَكَانَ فِي جُمْلَةِ مَنْ أَعْطَوْهُ رَجُلَانِ مِنْ بَنِي أَشْرَسَ، وَكَانَا يَتَعَاطَيَانِ الشَّرَابَ فَلَمَّا
পৃষ্ঠা - ৮৬০৩


০০

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া ৫১৭

আর তার কারণ ছিল নিম্নরুপ : এই ব্যক্তি হলেন আহমদ ইবন নাসর ইবন মালিক ইবনুল
হ্যয়ছাম আল-খুযাঈ, তার পিতামহ মালিক ইবন হায়ছার্ম ছিলেন আব্বাসীয় খিলাফাতের অন্যতম
প্র ধান সংগঠক ও আহ্বায়ক ৷ যার পৌত্রকে তারা হত্যা করে ৷ এই আহমদ ইবন নাসর ছিলেন
নেতৃস্থানীয় ও সম্মানিত ব্যক্তি ৷ তার পিতা নাসর ইবন মালিকের কাছে আহলে হাদীসগণ যাতায়াত
করত ৷ আর যেমনটি ইতিপুর্বে আলোচিত হয়েছে বাগদাদে খলীফা মামুনের অনুপন্থিতিকালে
যখন লস্প্টি ও দুষ্টলোকদের উৎপাত বৃদ্ধি পায় তখন দুইশ এক হিজরীতে জনসাধারণ তার
আনুগত্য ও কর্তৃত্বের অনুকুলে বায়আত গ্রহণ করে ৷ আর বাগদাদের নাসর বাজার’ তারই নামে
পরিচিতা

আর (তার পুত্র) এই আহমদ ইবন নাসর ছিলেন জ্ঞানী, ধার্মিক, সৎকর্মপরায়ণ, কল্যাণকর্মে
তৎপর এবং সুন্নাহ্র ঐসকল ইমামদের অন্যতম যারা সৎকাজের আদেশ এবং অসৎকাজের

নিষেধের দায়িত্ব পালনে তৎপর ছিলেন ৷ এছাড়া তিনি এই মতবাদের প্রচারক ছিলেন যে, কুরআন
হল আল্লাহর নাযিলকৃত কালাম যা মাখলুক’ নয় ৷

পক্ষাম্ভরে খলীফা ওয়াছিক ছিলেন খালকে কুরআন’ মতবাদের কট্টর সমর্থক ও প্রচারক ৷
দিন-রাতে এবং গোপনে-প্রকাশ্যে তিনি তা প্রচার করতেন ৷ আর এ ব্যাপারে তার নির্ভরতা ছিল
তার পুর্বে তার পিতা মু’তাসিম এবং পিতৃব্য মা’মুনের অবস্থানের উপর ৷ তার কাছে
কুরআন-সুন্নাহ্ ভিত্তিক কোন দলীল প্রমাণ কিংবা যুক্তি ছিল না ৷ তাই এ সময় আহমদ ইবন নাসর
তৎপর হয়ে সকলকে আল্লাহর দিকে এবং সৎকাজের আদেশ এবং অসৎকাজে নিষেধের চিদক
এবং এই মতবাদের দিকে আহ্বান করতে থাকেন যে কুরআন আল্লাহর নাযিলকৃত কালাম
মাখলুক নয় ৷ এছাড়া তিনি লোকজনকে আরও অনেক আনুসঙ্গিক ভালকাজের দিকে আহ্বান
করতে থাকেন ৷ তখন তাকে কেন্দ্র করে হাজার হাজার বাপদাদবাসী সমবেত হয় ৷

এ সময় আহমদ ইবন নসরের দিকে আহ্বানের জন্য দুই ব্যক্তি তৎপর হন, তারা দু’জন
হলেন আবুহারুন আসৃ সাররজোয পুর্ব বাগদাদের লোকদের আহ্বান করত আর অপরজন হল
তালিব নামক ব্যক্তি যে পশ্চিম বাগদাদের লোকদের আহ্বান করত ৷ ফলে তাকে কেন্দ্র করে
হাজার হাজার মানুষ সমবেত হয় এবং বিপুল সংখ্যক লোকজন একত্র হয় ৷ এরপর যখন এ
বছরের শা’বান মাসে আসে তখন গোপনে আহমদ ইবন নাসরের অনুকুলে বায়আত সম্পন্ন হয় ৷
আর এ বায়আত ছিল সৎকাজের আদেশ, অসৎকাজের নিষেধ এবং অনুকুলে এবং খলীফার
বিদআত ও খহ্বলকে কুরআনের মতবাদ প্রচারের এবং তিনি ও তার আমীর-উমারা এবং সহচর-
অনুচরপণ যে নাফরমানী ও অশ্লীলতায় লিপ্ত ছিল তার বিরুদ্ধে ৷ এরপর তারা এ ব্যাপারে একমত
হয় যে শাবানের তের তারিখ রাতে যা ছিল শুক্রৰারের জুমুআর রাত-কােন এক প্রহরে তবলা
বাজানো হবে এবং তখন বায়আতকারীরা নির্ধারিত একটি স্থানে সমবেত হবে ৷ আর এ সকল
কাজ সুষ্ঠুরুপে সম্পন্ন করার জন্য তালিব ও আবু হারুন তাদের অনুসারীদের প্রত্যেককে এক
দীনার করে প্রদান করেন ৷ তারা যাদেরকে দীনার প্রদান করে তাদের মাঝে মদ্যপানে অভ্যস্ত বনু
আশরাসের দুই ব্যক্তি ছিল ৷ বৃহস্পতিবার রাতে এই দুই ব্যক্তি তাদের বন্ধুদের সাথে শরাব পান
করে ৷ তারপর (নেশার ঘোরে) ধারণা করে যে সেই রাতই হল তাদের প্রতিশ্রুত রাত বিক্ষু
প্রকৃতপক্ষে তা ছিল তার পুর্বের রাত-তখন তারা লোক সমবেত করার জন্য (পুর্বের সিদ্ধান্ত

০০ ৷৷া



كَانَتْ لَيْلَةُ الْخَمِيسِ شَرِبَا فِي قَوْمٍ مِنْ أَصْحَابِهِمْ، وَاعْتَقَدَا أَنَّ تِلْكَ اللَّيْلَةَ هِيَ لَيْلَةُ الْوَعْدِ، وَكَانَ ذَلِكَ قَبْلَهُ بِلَيْلَةٍ، فَقَامَا يَضْرِبَانِ عَلَى طَبْلٍ فِي اللَّيْلِ ; لِيَجْتَمِعَ إِلَيْهِمَا النَّاسُ، فَلَمْ يَجِئْ أَحَدٌ وَانْخَرَمَ النِّظَامُ، وَسَمِعَ الْحَرَسُ فِي اللَّيْلِ، فَأَعْلَمُوا نَائِبَ السَّلْطَنَةِ وَهُوَ مُحَمَّدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُصْعَبٍ نَائِبُ أَخِيهِ إِسْحَاقَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ ; لِغَيْبَتِهِ عَنْ بَغْدَادَ فَأَصْبَحَ النَّاسُ مُتَخَبِّطِينَ، وَاجْتَهَدَ نَائِبُ السَّلْطَنَةِ عَلَى إِحْضَارِ ذَيْنِكَ الرَّجُلَيْنِ فَأُحْضِرَا فَعَاقَبَهُمَا، فَأَقَرَّا عَلَى أَحْمَدَ بْنِ نَصْرٍ فِي الْحَالِ فَطَلَبَهُ، وَأَخَذَ خَادِمًا لَهُ فَاسْتَقَرَّهُ، فَأَقَرَّ بِمَا أَقَرَّ بِهِ الرَّجُلَانِ، فَجَمَعَ جَمَاعَةً مِنْ رُءُوسٍ أَصْحَابِ أَحْمَدَ بْنِ نَصْرٍ مَعَهُ، وَأَرْسَلَ بِهِمْ إِلَى الْخَلِيفَةِ بِسُرَّ مَنْ رَأَى، وَذَلِكَ آخَرَ يَوْمٍ مِنْ شَعْبَانَ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ فَأُحْضِرَ لَهُ جَمَاعَةٌ مِنَ الْأَعْيَانِ، وَحَضَرَ الْقَاضِي أَحْمَدُ بْنُ أَبِي دُؤَادٍ الْمُعْتَزِلِيُّ، وَلَمْ يَظْهَرْ مِنْهُ عَلَى أَحْمَدَ بْنِ نَصْرٍ عَتَبٌ، فَلَمَّا أُوقِفَ أَحْمَدُ بْنُ نَصْرٍ بَيْنَ يَدَيِ الْخَلِيفَةِ الْوَاثِقِ لَمْ يُعَاتِبْهُ عَلَى شَيْءٍ مِمَّا كَانَ مِنْهُ فِي أَمْرِ مُبَايَعَةِ الْعَامَّةِ لَهُ عَلَى الْأَمْرِ بِالْمَعْرُوفِ وَالنَّهْيِ عَنِ الْمُنْكَرِ، فَأَعْرَضَ عَنْ ذَلِكَ كُلِّهِ، وَقَالَ لَهُ: مَا تَقُولُ فِي الْقُرْآنِ؟ فَقَالَ: هُوَ كَلَامُ اللَّهِ. قَالَ: أَمَخْلُوقٌ هُوَ؟ قَالَ: هُوَ كَلَامُ اللَّهِ. وَكَانَ أَحْمَدُ بْنُ نَصْرٍ قَدِ
পৃষ্ঠা - ৮৬০৪
اسْتَقْتَلَ، وَحَضَرَ وَقَدْ تَحَنَّطَ وَتَنَوَّرَ، فَقَالَ لَهُ الْوَاثِقُ: فَمَا تَقُولُ فِي رَبِّكَ، أَتَرَاهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ؟ فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، قَدْ جَاءَ الْقُرْآنُ وَالْأَخْبَارُ بِذَلِكَ، قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وُجُوهٌ يَوْمَئِذٍ نَاضِرَةٌ إِلَى رَبِّهَا نَاظِرَةٌ} [القيامة: 22] [الْقِيَامَةِ: 22، 23] وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّكُمْ تَرَوْنَ رَبَّكُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ كَمَا تَرَوْنَ هَذَا الْقَمَرَ لَا تُضَامُّونَ فِي رُؤْيَتِهِ» فَنَحْنُ عَلَى الْخَبَرِ. زَادَ الْخَطِيبُ فِي إِيرَادِهِ: قَالَ الْوَاثِقُ: وَيْحَكَ، أَيُرَى كَمَا يُرَى الْمَحْدُودُ الْمُتَجَسِّمُ؟ وَيَحْوِيهِ مَكَانٌ وَيَحْصُرُهُ النَّاظِرُ؟ أَنَا أَكْفُرُ بِرَبٍّ هَذِهِ صِفَتُهُ. قُلْتُ: وَهَذَا الَّذِي قَالَهُ الْخَلِيفَةُ الْوَاثِقُ لَا يَرِدُ، وَلَا يَلْزَمُ، وَلَا يُرَدُّ بِهِ مِثْلُ هَذَا الْخَبَرِ الصَّحِيحِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. ثُمَّ قَالَ أَحْمَدُ بْنُ نَصْرٍ الْخُزَاعِيُّ لِلْوَاثِقِ: وَحَدَّثَنِي سُفْيَانُ بِحَدِيثٍ يَرْفَعُهُ «إِنَّ قَلْبَ ابْنِ آدَمَ بَيْنَ أُصْبُعَيْنِ مِنْ أَصَابِعِ اللَّهِ يُقَلِّبُهُ» وَكَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
পৃষ্ঠা - ৮৬০৫


০০ ৷৪া৷ ৷$

৫১৮ আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া

মাফিক) তবল৷ বাজাতে শুরু করে, কিন্তু কেউ তাতে সাড়া দেয় না, আর তাদের পবিবল্পনাও
ব্যর্থ হয়ে যায় ৷ এদিকে ভৈনশ প্রহরীর৷ (রাতের) এই কে ৷লাহল শুনে গভর্নর মুহাম্মদ ইবন ইব্রাহীম
ইবন মুসআবকে যিনি তার ভাই ইসহাক ইবন ইবরাহীমের বাগদাদে অনুপস্থিত থাকার কারণে
তার হলবর্তী গভর্নর ছিলেন-তা অবহিত করেন ৷ এ ঘটনার ফলে লোকজন গোলযোগ ও ভৈনরাজ্য
কবলিত হয়ে পড়ে ৷ এরপর গভর্নরএ দুই ব্যক্তিকে হাযির করতে উদ্যেগী হন ৷ তাদেরকে
উপস্থিত করে তিনি যখন শান্তি প্রদান করেন তখন তারা আহমদ ইবন নাসরের সাথে জড়িত
থাকার কথা স্বীকার করে ৷ তখন গভর্নর তাকে তলব করেন ^ব× তার জনৈক খাদিমকে পাকড়াও
করে এ ব্যাপারে তার স্বীকারো৷ ন্ ন্ চান ৷ তখন সে তার সত্যতা স্বীকার করে যা ঐ দুই ব্যক্তি
স্বীকার করে ৷ এরপর আহমদ ইবন নাসরের সাথে তার অনুসারীদের নে৩ তন্থানীয় একটি দলকে
সমবেত করা হয় এবং তাদের সকলকে খলীফার কাছে সুবৃর৷ মানৃরসা তে প্রেরণ করা হয় ৷ এ
ঘটনা সং ঘটিত হয় এ বছাররশাবান মাসে ৷ এরপর বিশিষ্ট ব্যক্তিদের একটি দল উপস্থিত করা
হয় এবং কাষী আহমদ ইবন আবু দাউদ মু’ত৷ তাযিলী উপস্থিত হয় ৷ এ সময় আহমদ ইবন নাসরকে
উপ তকরা হয় ৷ কিন্তু তার পক্ষ থেকে আহমদ ইবন নাসরের প্ৰতি কোন ভর্ভুসনা প্রকাশ
পায়নি ৷ এরপর আহমদ ইবন নাসরকে যখন খলীফা ওয়াছিকের সামনে র্দাড় করানো হয় তখন
তিনি তাকে সােকজনকে ভালকাজের নির্দো৷ এবং মন্দকাজের নিষেধ ও অন্যান্য বিষয়ে বায়আত
করা সম্পর্কে কােনরুপ ভর্ন্তসন৷ করেননি ৷ বরং তিনি এসব বিষয় এড়িয়ে তাকে প্রশ্ন করেন,
কুরআনের ব্যাপারে তোমার বক্তব্য কী ? তখন আহমদ বলেন, তা হল আল্লাহর কালাম ৷ ওয়াছিক
বলেন, তা কি মাখলুক ? আহমদ বলেন, তা আল্লাহর কালাম ৷ আর আহমদ ইবন নাসর পুর্বেই
অনুমান করেন যে তাকে হত্যা করা হবে ৷ তাই তিনি সৃগন্ধি ইত্যাদি ব্যবহার করেন এবং
আটসাট পোশাক পরিধান করে আসেন ৷ এরপর ওয়াছিক তাকে প্রশ্ন করেন তোমার রবের
ব্যাপারে তোমার বক্তব্য কী ৷ তুমি কি কিয়ামত্ত৩ র দিন তাকে দেখতে পাবে ? তখন আহমদ
বলেন, হে আমীরুল মু ’মিনীন ! কুরআন ও সুন্নাতে তো এর অনুকুলে প্রমাণ রয়েছে ৷ আল্লাহ্

তা আল৷ ইরশ্া৷দ করেছেন সেদিন কোন কোন

মুখমণ্ডল উজ্জ্বল হবে, তারা তাদের প্রতিপালকের দিকে তাকিয়ে থাকবে (সুরা কিয়ামাং
২২ ২৩)া

আর রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন, ৷
¢;;) ঘ্নো তোমরা তোমাদের রব কে এমনভাবে দেখবে যেমনভাবে তােমর৷ এই র্চাদকে
দেখে থাক ৷ তাকে দেখার ব্যাপারে তোমরা জড়ো হবে না, ভিড় করবে না (নিজ ৷নজ্ঞ অবস্থান
থেকে তাকে তোমরা দেখতে পাবে) ৷ আর আ ৷রা হাদীসের ম৩াদশী ৷ খ৩াব এস্থলে বৃাদ্ধ
করেছেন তখন ওয়াছিক বলেন, ধিক তোমাকে ন্ তাকে কি সেভ৷ বে দেখা যাবে যেভাবে সীমা
পরিবেষ্টিত ও অবয়ব বিশিষ্টকে দেখা যায় ৷ স্থান তাকে ধারণ করবে তা ৷র ৷দর্শক তাকে পরিবেষ্টন
করবে ? যে রবের বৈশিষ্ট্য হল এই আমি তাকে অস্বীকার করি’ ৷

গ্রন্থকার বলেন, খলীফা ওয়াছিকের এই মন্তব্য অসঙ্গত এবং তা কোন কিছু সাব্যস্ত করে না
এবং তা দ্বারা এই সহীহ্ হাদীস রদ করা যায় না ৷ আর আল্লাহ সম্যক অবহি ৷ এরপর আহমদ
ইবন নাসর ওয়াছিককে বলেন, সুফিয়ান আমাকে হাদীসে মারফুরুপে বর্ণনা করেছেন, ;£; :-, ৷


يَقُولُ: «يَا مُقَلِّبَ الْقُلُوبِ ثَبِّتْ قَلْبِي عَلَى دِينِكَ» فَقَالَ لَهُ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ: وَيْلَكَ، انْظُرْ مَا تَقُولُ. فَقَالَ: أَنْتَ أَمَرْتَنِي بِذَلِكَ. فَأَشْفَقَ إِسْحَاقُ مِنْ ذَلِكَ، وَقَالَ: أَنَا أَمَرْتُكَ بِذَلِكَ؟ قَالَ: نَعَمْ، أَنْتَ أَمَرْتَنِي أَنْ أَنْصَحَ لَهُ. فَقَالَ الْوَاثِقُ لِمَنْ حَوْلَهُ: مَا تَقُولُونَ فِي هَذَا؟ فَأَكْثَرُوا الْقَوْلَ فِيهِ ; فَقَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِسْحَاقَ وَكَانَ قَاضِيًا عَلَى الْجَانِبِ الْغَرْبِيِّ فَعُزِلَ وَكَانَ مُوَادًّا لِأَحْمَدَ بْنِ نَصْرٍ قَبْلَ ذَلِكَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، هُوَ حَلَالُ الدَّمِ. وَقَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْأَرْمَنِيُّ صَاحِبُ أَحْمَدَ بْنِ أَبِي دُؤَادٍ: اسْقِنِي دَمَهُ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ. فَقَالَ الْوَاثِقُ: يَأْتِي عَلَى مَا تُرِيدُ. وَقَالَ الْقَاضِي أَحْمَدُ بْنُ أَبِي دُؤَادٍ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، هُوَ كَافِرٌ يُسْتَتَابُ، لَعَلَّ بِهِ عَاهَةً أَوْ نَقْصَ عَقْلٍ. فَقَالَ الْوَاثِقُ: إِذَا رَأَيْتُمُونِي قُمْتُ إِلَيْهِ فَلَا يَقُومَنَّ أَحَدٌ مَعِي، فَإِنِّي أَحْتَسِبُ خُطَايَ. ثُمَّ نَهَضَ إِلَيْهِ بِالصَّمْصَامَةِ وَقَدْ كَانَتْ سَيْفًا لِعَمْرِو بْنِ مَعْدِي كَرِبَ الزُّبَيْدِيِّ أُهْدِيَتْ لِمُوسَى الْهَادِي فِي أَيَّامِ خِلَافَتِهِ، وَكَانَتْ صَفِيحَةً مَوْصُولَةً فِي أَسْفَلِهَا، مَسْمُورَةً بِثَلَاثَةِ مَسَامِيرَ فَلَمَّا انْتَهَى إِلَيْهِ ضَرَبَهُ بِهَا عَلَى عَاتِقِهِ، وَهُوَ مَرْبُوطٌ بِحَبْلٍ قَدْ أُوقِفَ عَلَى نِطْعٍ ثُمَّ ضَرَبَهُ أُخْرَى عَلَى رَأْسِهِ ثُمَّ طَعَنَهُ بِالصَّمْصَامَةِ فِي بَطْنِهِ فَسَقَطَ رَحِمَهُ اللَّهُ صَرِيعًا عَلَى النِّطْعِ مَيِّتًا فَإِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ.
পৃষ্ঠা - ৮৬০৬
ثُمَّ انْتَضَى سِيمَا الدِّمَشْقِيُّ سَيْفَهُ فَضَرَبَ عُنُقَهُ، وَحَزَّ رَأْسَهُ، وَحُمِلَ مُعْتَرِضًا حَتَّى أُتِيَ بِهِ الْحَظِيرَةَ الَّتِي فِيهَا بَابَكُ الْخُرَّمِيُّ فَصُلِبَ فِيهَا، وَفِي رِجْلَيْهِ زَوْجُ قُيُودٍ، وَعَلَيْهِ سَرَاوِيلُ، وَقَمِيصٌ، وَحُمِلَ رَأْسُهُ إِلَى بَغْدَادَ فَنُصِبَ فِي الْجَانِبِ الشَّرْقِيِّ أَيَّامًا، وَفِي الْجَانِبِ الْغَرْبِيِّ أَيَّامًا، وَعِنْدَهُ الْحَرَسُ فِي اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ وَفِي أُذُنِهِ رُقْعَةٌ مَكْتُوبٌ فِيهَا: هَذَا رَأْسُ الْكَافِرِ الْمُشْرِكِ الضَّالِّ أَحْمَدَ بْنِ نَصْرٍ، مِمَّنْ قُتِلَ عَلَى يَدَيْ عَبْدِ اللَّهِ هَارُونَ الْإِمَامِ الْوَاثِقِ بِاللَّهِ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ بَعْدَ أَنْ أَقَامَ عَلَيْهِ الْحُجَّةَ فِي خَلْقِ الْقُرْآنِ، وَنَفْيِ التَّشْبِيهِ، وَعَرَضَ عَلَيْهِ التَّوْبَةَ، وَمَكَّنَهُ مِنَ الرُّجُوعِ إِلَى الْحَقِّ فَأَبَى إِلَّا الْمُعَانَدَةَ وَالتَّصْرِيحَ، فَالْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي عَجَّلَهُ إِلَى نَارِهِ وَأَلِيمِ عِقَابِهِ بِالْكُفْرِ، فَاسْتَحَلَّ بِذَلِكَ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ دَمَهُ وَلَعَنَهُ. ثُمَّ أَمَرَ الْخَلِيفَةُ الْوَاثِقُ بِتَتَبُّعِ رُءُوسِ أَصْحَابِهِ، فَأَخَذَ مِنْهُمْ نَحْوًا مِنْ سَبْعَةٍ وَعِشْرِينَ رَجُلًا، فَأُودِعُوا فِي السُّجُونِ وَسُمُّوا الظَّلَمَةَ، وَمُنِعُوا أَنْ يَزُورَهُمْ أَحَدٌ وَقُيِّدُوا بِالْحَدِيدِ، وَلَمْ يَجْرِ عَلَيْهِمْ شَيْءٌ مِنَ الْأَرْزَاقِ الَّتِي كَانَتْ تَجْرِي عَلَى الْمَحْبُوسِينَ، وَهَذَا ظُلْمٌ عَظِيمٌ. هَذَا مُلَخَّصُ مَا قَالَهُ ابْنُ جَرِيرٍ رَحِمَهُ اللَّهُ. وَقَدْ كَانَ أَحْمَدُ بْنُ نَصْرٍ هَذَا - رَحِمَهُ اللَّهُ - مِنْ أَكَابِرِ الْعُلَمَاءِ الْعَامِلِينَ وَمِمَّنْ كَانَ قَائِمًا بِالْأَمْرِ بِالْمَعْرُوفِ وَالنَّهْيِ عَنِ الْمُنْكَرِ، وَسَمِعَ الْحَدِيثَ مِنْ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ، وَسُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ، وَهُشَيْمِ بْنِ بَشِيرٍ، وَكَانَتْ عِنْدَهُ مُصَنَّفَاتُهُ كُلُّهَا،
পৃষ্ঠা - ৮৬০৭


;,; ৷ আদম সন্তানের অন্তর দয়াময়েৱ
দুই আঙ্গুলের আয়ত্তাধীন ৷ তিনি তা ঘের্যন ইচ্ছা উল্ট পলিট করেন ৷ আ র নবী (সা) তার দু আয়
বলতেনং হে অওবসমুহেব অবস্থা পরিবর্তনক৷ রী
আমার অম্ভরকে আপনার দীনে সুন্থির রাখুন ৷ তখন ইসহ ক ইবন ইবরাহীম তাকে বলেন, দৃর্ভাগ,া
তোমার ৷ তুমি কী বলছ,৩ ভালভাবে ভেবে দেখ ৷ তখন তিনি বলেন, তৃমিই তো আমাকে এর
নির্দেশ দিয়েছ ৷ তখন ইসহাক শঙ্কিত হয়ে বলেন, আমি তোমাকে নির্দেশ দিয়েছি ? তখন তিনি
বলেন, ইা৷ তুমি আমাকে নির্দেশ দিয়েছ তাকে হিতোপদেশ প্রদান করতে ৷ এরপর খলীফা
ওয়াছিক তার চারপাশের লোকদের সম্বোধন করে বলেন, এই ব্যক্তির ব্যাপারে তোমাদের
মতামত কী ? তখন তারা তার সম্পর্কে অনেক কথা বলে ৷ তখন আবদুর রহমান ইবন ইসহাক
বলেন যিনি ইতিপুর্বে বাগদাদের পশ্চিম অঞ্চলের কাযী ছিলেন, তারপর অপসারিত হন এবং তিনি
ইতিপুর্বে আহমদ ইবন নাসরের হিতাকাঙক্ষী ছিলেন হে আমীরুল মু’মিনীন, তাকে হত্যা করা
বৈধ ৷ আর আহমদ ইবন আবু দাউদের শাগরেদ আবু আবদুল্লাহ আল-আরমানী বলেন, হে
আমীরুল মু’মিনীন ! আমাকে তার রক্ত পান করান ৷ তখন ওয়াছিক বলেন, তুমি যা চাও৩
অবশ্যই আসবে ৷ আর ইবন আবুদাউদ বলেন, যে এমন কাফির৷ যা র৩ ৷ ওবা অপরিহার্য ৷ সম্ভবত
সে ব্যধিগ্রন্থ কিত্ব৷ বুদ্ধিভ্রষ্ট ৷ এরপর ওয়াছিক বলেন, তোমরা যখন আমাকে তার দিকে অগ্রসর
হতে দেখবে তখন যেন আমার সাথে কেউ অগ্রসর না হয় ৷ কেননাঅ আমি আমার পদক্ষেপগুলোর
ছাওয়াব অ ৷ল্লাহ্র কাছে প্রত্যাশ ৷ ৷করি ৷ এরপর তিনি সামসামা য৷ ছিল সুপ্রসিদ্ধ আ ৷রববীর আমর
ইবন মা দীকারিব আয্যুবায়দীর তরবারি এবং যা মুসা আল-হাদীকে তার খিলাফতকালে
পচৌকনস্বরুউপ ৷দেয়া হয়েছিল ৷ আর এটি ছিল নিম্নাত্শে পেরেকযুক্ত চওড়া ও ধারালো পাতের
তরবারি হাতে ৩নিয়ে তার লক্ষ্য আহমদের দিকে অগ্রসর হন ৷ এরপর তিনি যখন তাকে তরব৷ ৷রির
নাগালে পান তখন তা দ্বারা তার কাধে আঘাত করেন ৷ আর ইতিপুর্বেই আহমদ ইবন নাসরকে
দড়ি দিয়ে বেধে হত্যার কাজে ব্যবহৃত বিশেষ ধরনের চামড়ার উপর দাড় করানো হয় এরপর
তিনি তা দ্বারা তার মাথায় আঘাত করেন এবং সামসামা দ্বারা তার পেটে আঘাত করেন তখন
আহমদ ইবন নাসর মৃত অবস্থায় উক্ত চামড়ার উপর ভুপাতিত হন ৷ ইন্নালিল্লাইি ওয়া ইন্ন৷ ইলায়হি
রাল্টিন ৷ আল্লাহ তার প্রতি রহম করুন এবং ক্ষমা করুন ৷ এরপর সীমা আদ-দামেশকী তার
তারবারি কােষমুক্ত করে তা দ্বারা আঘাত করে তার মস্তক বিচ্ছিন্ন করেন ৷ এরপর তার দেহ বহন
করে ঐ থােয়াড়ে নিয়ে আসা হয় যেখানে বাবক থুররমী ছিল ৷ পরে ঐ অবস্থায় তাকে শুলবিদ্ধ
করা হয় ৷ আর এসময় তার পায়ে ছিল জোড়া বেড়ি এবং পরনে কাের্তা ও পাজামা ৷ আর তার
মাথা বাগদা ৷দে নিয়ে যা ৷ওয়৷ হয় এক কয়েকদিন শহরের পুর্বদিকে এবং কয়েকদিন পশ্চিম দিকে
জনসমক্ষে প্রদর্শন করা হয় এসময় রাত দিন পর্যন্ত তা প্রহরাধীন ছিল এবং তার কানে একটি
চিরকুট ছিল যাতে এ কথা লেখা ছিল-এটা হল গোমরাহ কাফির ও ঘুশরিক আহমদ ইবন নাসর
আল-খুযাঈ যাকে আমীরুল মুমিনীন ইমাম আবদুল্লাহ হারুন আলওয়াছিক বিল্লাহ নিজ হাতে
হত্যা করেছেন ৷ আর তিনি তা করেছেন সাদৃশ্য নাকচ এবং খালকে কুরআনের ব্যাপারে তার
বিরুদ্ধে প্রমাণ সাবস্তে করা, তার সামনে তাওব৷ পেশ করা এবং তাকে সত্যে প্রত্যাবর্তনের
সুযোগ প্রদানের পর যখন এ বিষয়ে তার হঠকারিতা ৷ও শাবাদি৩ যে কোন পরিবর্তন হয়নি ৷

০০ ৷৷া



وَسَمِعَ مِنَ الْإِمَامِ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ أَحَادِيثَ جَيِّدَةً، وَلَمْ يُحَدِّثْ بِكَثِيرٍ مِنْ حَدِيثِهِ. وَحَدَّثَ عَنْهُ أَحْمَدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدَّوْرَقِيُّ، وَأَخُوهُ يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَيَحْيَى بْنُ مَعِينٍ، وَذَكَرَهُ يَوْمًا فَتَرَحَّمَ عَلَيْهِ، وَقَالَ: قَدْ خَتَمَ اللَّهُ لَهُ بِالشَّهَادَةِ، وَقَدْ كَانَ لَا يُحَدِّثُ ; يَقُولُ: لَسْتُ أَهْلَ ذَاكَ. وَأَحْسَنَ يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ الثَّنَاءَ عَلَيْهِ. وَذِكَرَهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ يَوْمًا فَقَالَ: رَحِمَهُ اللَّهُ، مَا كَانَ أَسَخَاهُ لَقَدْ جَادَ بِنَفْسِهِ لِلَّهِ، عَزَّ وَجَلَّ. وَقَالَ جَعْفَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ الصَّائِغُ: بَصُرَ عَيْنَايَ وَإِلَّا فَعَمِيَتَا، وَسَمِعَتْ أُذُنَايَ وَإِلَّا فَصُمَّتَا أَحْمَدَ بْنَ نَصْرٍ الْخُزَاعِيَّ حَيْثُ ضُرِبَتْ عُنُقُهُ، يَقُولُ رَأْسُهُ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ. وَقَدْ سَمِعَهُ بَعْضُ النَّاسِ، وَرَأْسُهُ مَصْلُوبٌ يَقْرَأُ عَلَى الْجِذْعِ {الم أَحَسِبَ النَّاسُ أَنْ يُتْرَكُوا أَنْ يَقُولُوا آمَنَّا وَهُمْ لَا يُفْتَنُونَ} [العنكبوت: 1] [الْعَنْكَبُوتِ: 1، 2] قَالَ: فَاقْشَعَرَّ جِلْدِي. وَرَآهُ بَعْضُهُمْ فِي النَّوْمِ فَقَالَ لَهُ: مَا فَعَلَ بِكَ رَبُّكَ؟
পৃষ্ঠা - ৮৬০৮
فَقَالَ: مَا كَانَتْ إِلَّا غَفْوَةً حَتَّى لَقِيتُ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ فَضَحِكَ إِلَيَّ. وَرَأَى بَعْضُ النَّاسِ فِي الْمَنَامِ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَمَعَهُ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَقَدْ مَرُّوا عَلَى الْجِذْعِ الَّذِي عَلَيْهِ رَأْسُ أَحْمَدَ بْنِ نَصْرٍ، فَلَمَّا حَاذَوْهُ أَعْرَضَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِوَجْهِهِ الْكَرِيمِ عَنْهُ، فَقِيلَ لَهُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا لَكَ أَعْرَضْتَ عَنْ أَحْمَدَ بْنِ نَصْرٍ؟ فَقَالَ: اسْتِحْيَاءً مِنْهُ حِينَ قَتَلَهُ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ بَيْتِي. وَلَمْ يَزَلْ رَأْسُ أَحْمَدَ بْنِ نَصْرٍ مَنْصُوبًا بِبَغْدَادَ مِنْ يَوْمِ الْخَمِيسِ الثَّامِنِ وَالْعِشْرِينَ مِنْ شَعْبَانَ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ - أَعْنِي سَنَةَ إِحْدَى وَثَلَاثِينَ وَمِائَتَيْنِ - إِلَى بَعْدِ عِيدِ الْفِطْرِ بِيَوْمٍ أَوْ يَوْمَيْنِ مِنْ سَنَةِ سَبْعٍ وَثَلَاثِينَ وَمِائَتَيْنِ، فَجُمِعَ بَيْنَ رَأْسِهِ وَجُثَّتِهِ وَدُفِنَ بِالْجَانِبِ الشَّرْقِيِّ مِنْ بَغْدَادَ بِالْمَقْبَرَةِ الْمَعْرُوفَةِ بِالْمَالِكِيَّةِ، رَحِمَهُ اللَّهُ، وَذَلِكَ بِأَمْرِ الْمُتَوَكِّلِ عَلَى اللَّهِ الَّذِي وَلِيَ الْخِلَافَةَ بَعْدَ أَخِيهِ الْوَاثِقِ بِاللَّهِ وَقَدْ دَخَلَ عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ يَحْيَى الْكِنَانِيُّ صَاحِبُ كِتَابِ " الْحَيْدَةِ " عَلَى أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ الْمُتَوَكِّلِ عَلَى اللَّهِ وَكَانَ مِنْ خِيَارِ الْخُلَفَاءِ ; لِأَنَّهُ أَحْسَنَ الصَّنِيعَ لِأَهْلِ السُّنَّةِ، بِخِلَافِ أَخِيهِ الْوَاثِقِ، وَأَبِيهِ الْمُعْتَصِمِ، وَعَمِّهِ الْمَأْمُونِ فَإِنَّهُمْ أَسَاءُوا إِلَى أَهْلِ السُّنَّةِ، وَقَرَّبُوا
পৃষ্ঠা - ৮৬০৯


সুতরাং সকল প্রশংসা অ ৷ল্লাহ্র যিনি তাকে কুফরীর৷ ক ৷রণে দ্রুত তার জাহান্নামের যন্ত্রণাদায়ক
শাস্তির দিকে ঠেলে দিয়েছেন ৷ আর তার কারণেই আমীরুল মুমিনীন তাকে হত্যা করা বৈধ
বিবেচনা করেছেন এবং তাকে অভিশম্পাত করেছেন ৷

এরপর খলীফ৷ ওয়াছিক নির্দেশ প্রদান করেন তার নেতৃস্থানীয় অনুসারীদের ব্যাপারে অনুসন্ধান
করতে ৷ ফলে এদের মধ্য থেকে উনত্রিশজনকে পাকড়াও করা হয় এবং যালিম’ চিহ্নিত করে
তাদেরকে জেলখানায় বন্দী করা হয় ৷ (শাস্তির কঠোরত৷ বৃদ্ধির জন্য) তাদের সাথে করেও
দেয়া-সাক্ষাৎ নিষিদ্ধ করা হয় ৷৩ তাদেরকে লৌহশৃগ্রলে আবদ্ধ করে রাখা হয় এবং তাদেরকে
কয়েদীদের জন্য নির্ধারিত রেশন ভাতাদি থেকেও বঞ্চিত করা হয় ৷ আর এটাতো মহা অন্যায় ৷

এই আহমদ ইবন নাসর ছিলেন সৎকাজে নির্দেশ দান এবং অসৎকাজে বা বা প্রদান’-এর
দায়িতৃপালনকারী শীর্ষস্থানীয় আলিমগণের অন্যতম ৷ তিনি হাদীস শ্রবণ করেন হাম্মাদ ইবন যায়দ,
সুফিয়ান ইবন উয়ায়না এবং হাশিম ইবন বশীর থেকে ৷ তার কাছে হাশিমের সকল রচনা ও
সংকলন বিদ্যমান ছিল ৷ এছাড়া তিনি ইমাম মালিক ইবন আনাস (র) থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক
উৎকৃষ্ট হাদীস শ্রবণ করেন ৷ কিন্তু তিনি তার হাদীস খুব একটা রিওয়ায়াত করেননি ৷ আর তার
থেকে হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন আহমদ ইবন ইব্রাহীম আদৃদাওরাকী, তার ভাই ইয়াকুব ইবন
ইব্রাহীম এবং ইয়াহইয়া ইবন মুঈন ৷ একদিন তিনি (ইয়াহ্ইয়া)র্ত ৷র কথা স্মরণ করে তার
রহমতের জন্য দু আ করেন এবং বলেন, আল্লাহ তা আলা তাকে শাহাদত নসীব করেছেন, আর
সাধারণত তিনি হাদীস বর্ণনা করতেন না ৷ তিনি বলতেন, আমি এর যোগ্য নই ৷ ইয়াহইয়৷ ইবন
মুঈন তার ভুয়সী প্রশংসা করেছেন ৷ কোন একদিন ইমাম আহমদ ইবন স্থানে তার কথা উল্লেখ
করে বলেন, আল্লাহ তাকে রহম করুন ৷ আল্লাহ্র ওয়াস্তে তিনি নিজের প্রাণৰিসর্জ্যনর ব্যাপারে
কত উদার ছিলেন ৷ তার জন্য তিনি নিজ প্রাণকে বিসর্জন দিয়েছেন ৷ স্বর্ণকার জাফর ইবন মুহাম্মদ
বলেন, আমার চক্ষুদ্বয় যদি দর্শন করে না থাকে তাহলে যেন সেগুলো দৃষ্টিশক্তিহীন হয়ে পড়ে এবং
আমার কর্ণদ্বয় যদি শ্রবণ না করে থাকে তাহলে যেন সেগুলো শ্রবণশক্তিহীন হয়ে পড়ে ৷ যখন
আহমদ ইবন নাসরের গর্দান উড়িয়ে দেয়া হয় তখন তার মাথা থেকে লা ইলাহ৷ ইল্লাল্লাহ-এর

সুস্পষ্ট উচ্চারণ শোনা যাচ্ছিল ৷ শুলবিদ্ধ অবস্থায় জনৈক ব্যক্তিত ৷র মাথা থেকে এই আঘাতের
তিলাওয়াত শুনেছে-

ষ্ : ণ্



আলিফ-লামমীম, মানুষ কি মনে করে যে, আমরা ঈমান এনেছি একথা বলেইত ৷দেরকে
পরীক্ষা না করে , অব্যাহতি দেওয়া হবে (সুরা আনকাবুত৪ ১ ২)৷ ঐ ব্যক্তি বলে, তখন আমি
গ্রকস্পিত হই ৷ জনৈক ব্যক্তি র্তাকে স্বপ্নে দেখে জিজ্ঞাসা করে , আপনার রব আপনার সাথে কেমন
আচরণ করেছেন : তখন তিনি বলেন, সংক্ষিপ্ত একটি ঘুমের পর আমি আল্পাহ্ তা জানার সাক্ষাত
লাভ করেছি, তখন তিনি আমার প্রতি প্রসন্নতার হাসি হেসেছেন ৷ এছাড়া ৷একব্যক্তি স্বপ্নে রাসুল
(না)-কে হযরত আবু বকর (বা) ও উমর (রা)-এর সাথে দেখতে পায়, সে তাদেরকে ঐস্থান
দিয়ে গমন করতে দেখে যেখানে আহমদ ইবন নাসরের মস্তক রক্ষেত ৷হুন ৷ ৷রাত য়খন তীর
মস্তক অতিক্রম করেন তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) সেদিক থেকে তার বপ্র্ভহা-য়৷ মুবাব ক ফিরিয়ে নেন ৷
এ সময় তাকে বলা হয়, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ ৷ কী ব্যাপার ! আপনি আহমদ ইবন নসর থেকে মুখ


أَهْلَ الْبِدَعِ وَالضَّلَالِ مِنَ الْمُعْتَزِلَةِ وَغَيْرِهِمْ، فَأَمَرَهُ أَنْ يُنْزِلَ جُثَّةَ أَحْمَدَ بْنِ نَصْرٍ، وَيَدْفِنَهُ فَفَعَلَ، وَقَدْ كَانَ الْمُتَوَكِّلُ يُكْرِمُ الْإِمَامَ أَحْمَدَ بْنَ حَنْبَلٍ إِكْرَامًا زَائِدًا جِدًّا، كَمَا سَيَأْتِي بَيَانُهُ فِي مَوْضِعِهِ. وَالْمَقْصُودُ أَنَّ عَبْدَ الْعَزِيزِ الْكِنَانِيَّ قَالَ لِلْمُتَوَكِّلِ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، مَا رُئِيَ أَعْجَبُ مِنْ أَمْرِ الْوَاثِقِ ; قَتَلَ أَحْمَدَ بْنَ نَصْرٍ وَكَانَ لِسَانُهُ يَقْرَأُ الْقُرْآنَ إِلَى أَنْ دُفِنَ. فَوَجَدَ الْمُتَوَكِّلُ مِنْ ذَلِكَ، وَسَاءَهُ مَا سَمِعَ فِي أَخِيهِ الْوَاثِقِ، فَلَمَّا دَخَلَ عَلَيْهِ الْوَزِيرُ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ الزَّيَّاتِ، قَالَ لَهُ الْمُتَوَكِّلُ: فِي قَلْبِي مِنْ قَتْلِ أَحْمَدَ بْنِ نَصْرٍ. فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، أَحْرَقَنِي اللَّهُ بِالنَّارِ إِنْ قَتَلَهُ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ الْوَاثِقُ إِلَّا كَافِرًا. وَدَخَلَ عَلَيْهِ هَرْثَمَةُ فَقَالَ لَهُ فِي ذَلِكَ، فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، قَطَّعَنِي اللَّهُ إِرْبًا إِرْبًا إِنْ قَتَلَهُ الْوَاثِقُ إِلَّا كَافِرًا. وَدَخَلَ عَلَيْهِ الْقَاضِي أَحْمَدُ بْنُ أَبِي دُؤَادٍ، فَقَالَ لَهُ مِثْلَ ذَلِكَ، فَقَالَ: ضَرَبَنِي اللَّهُ بِالْفَالِجِ إِنْ قَتَلَهُ الْوَاثِقُ إِلَّا كَافِرًا. قَالَ الْمُتَوَكِّلُ: فَأَمَّا ابْنُ الزَّيَّاتِ فَأَنَا أَحْرَقْتُهُ بِالنَّارِ، وَأَمَّا هَرْثَمَةُ فَإِنَّهُ هَرَبَ وَتَبَدَّى فَاجْتَازَ بِقَبِيلَةِ خُزَاعَةَ فَعَرَفَهُ رَجُلٌ مِنَ الْحَيِّ، فَقَالَ: يَا مَعْشَرَ خُزَاعَةَ، هَذَا الَّذِي قَتَلَ ابْنَ عَمِّكُمْ أَحْمَدَ بْنَ نَصْرٍ فَقَطِّعُوهُ. فَقَطَّعُوهُ إِرْبًا إِرْبًا، وَأَمَّا
পৃষ্ঠা - ৮৬১০
ابْنُ أَبِي دُؤَادٍ فَقَدْ سَجَنَهُ اللَّهُ فِي جِلْدِهِ يَعْنِي بِالْفَالِجِ ضَرَبَهُ اللَّهُ بِهِ قَبْلَ مَوْتِهِ بِأَرْبَعِ سِنِينَ، وَصُودِرَ مِنْ صُلْبِ مَالِهِ بِمَالٍ جَزِيلٍ جِدًّا، كَمَا سَيَأْتِي بَيَانُ ذَلِكَ فِي مَوْضِعِهِ. وَرَوَى أَبُو دَاوُدَ فِي كِتَابِ " الْمَسَائِلِ " عَنْ أَحْمَدَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ الدَّوْرَقِيِّ، عَنْ أَحْمَدَ بْنِ نَصْرٍ قَالَ: سَأَلْتُ سُفْيَانَ بْنَ عُيَيْنَةَ: " «الْقُلُوبُ بَيْنَ أُصْبُعَيْنِ مِنْ أَصَابِعَ اللَّهِ،» «وَإِنَّ اللَّهَ يَضْحَكُ مِمَّنْ يَذْكُرُهُ فِي الْأَسْوَاقِ» ". فَقَالَ: ارْوُوهَا كَمَا جَاءَتْ بِلَا كَيْفٍ. وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ كَانَ الْوَاثِقُ قَدْ عَزَمَ عَلَى الْحَجِّ، وَاسْتَعَدَّ لِذَلِكَ، فَذُكِرَ لَهُ أَنَّ الْمَاءَ بِالطَّرِيقِ قَلِيلٌ، فَتَرَكَ الْحَجَّ عَامَئِذٍ. وَفِيهَا تَوَلَّى جَعْفَرُ بْنُ دِينَارٍ نِيَابَةَ الْيَمَنِ، فَسَارَ إِلَيْهَا فِي أَرْبَعَةِ آلَافِ فَارِسٍ. وَفِيهَا عَدَا قَوْمٌ مِنَ الْعَامَّةِ عَلَى بَيْتِ الْمَالِ فَأَخَذُوا مِنْهُ شَيْئًا مِنَ الذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ فَأُخِذُوا، وَسُجِنُوا. وَفِيهَا ظَهَرَ خَارِجِيٌّ بِبِلَادِ رَبِيعَةَ، فَقَاتَلَهُ نَائِبُ الْمَوْصِلِ فَكَسَرَهُ، وَانْهَزَمَ بَقِيَّةُ أَصْحَابِهِ.
পৃষ্ঠা - ৮৬১১


ফিরিয়ে নিচ্ছেন, তখন তিনি বলেন, আমি লজ্জা ৷বশ৩ তার থেকে মুখ সরিয়ে নিয়েছি ৷ কেননা
এমন এক ব্যক্তি তাকে হত্যা করেছে, যে দাবী করে যে সে আমার স্বজনডুক্ত ৷

এ বছরের অর্থাৎ দুইশ একত্রিশ হিজরীর শা’ বান মাসের আটাশ তারিখ বৃহস্পতিবার থেকে
দুইশ স ৷ইত্রিশ হিজরীর ঈদুল ফিতরের একদিন বা দু দিন পর পর্যন্ত তার মাথা এভাবে শুলবিদ্ধ
অবস্থায় ছিল ৷ এরপর মাথা ও ধড় একত্রিত করা হয় এবং পুর্ব বাগদাদের প্রসিদ্ধ কবরন্থান আল
মালিজিয়্যাতে দাফন করা হয় ৷ আল্লাহ তার প্রতি ৩রহম করুন ৷ আর এটা হয় খলীফ৷ ৷ামুত ওয়৷ ৷ক্কিল

আলা লাল্লাহ-এর নিদ্যেশ যিনি তার ভাই ওয়াছিকের পর ৷খলাফতের দায়িত্ব গ্রহণ করেন ৷ এসময়
:;; ৷ ,ন্ঢুব্লু শ্এর প্রণেতা আবদুল আষীয় ইবন ইয়াহ্ইয়া আল-ক৷ ৷ত্তানী ঘুতাওয়৷ ৷ক্কিলের সাথে
সাক্ষাৎ করে তাকে আহমদ ইবন নাসরের মৃত দেহ নামিয়ে দাফন করার নির্দেশ দিলে তিনিত
কার্যকর করেন ৷ আর ঘুতাওয়াক্কিল ছিলেন উত্তম খলীফ৷ ৷দের অন্যতম ৷ কেননা তিনি তার ভ্রাতা
ওয়াছিক, পিতা মু’তাসিম এবং পিতব্য মা মুনেব আচরণের বিপরীত আহলে সুন্নাতের প্রতি
সদাচার করেন ৷ কেননা তারা তাদের প্রতি বিরুপ আচরণ করতেন এবং বিদআতী ও ভ্রাম্ভপন্থী
মু’তাযিল৷ ও অন্যদেরকে ভৈনকটা প্রদান করতেন ৷ পক্ষা স্তরে খলীফ৷ মু৩ তাওয়াক্কিল ইমাম আহমদ
ইবন হাম্বলকে অত্যধিক সম্মান করতেন, যার বিবরণ যথান্থ৷ নে আসছে ৷ আর এখানে খলীফ৷ ৷কে
নির্দেশ দানের অর্থ হল ওৰুাঠু৷ ! ,é< এর লেখক আবদুল আষীয় খলীফ৷ ৷তমু তাওয়াক্কিলকে
বলেন, হে আমীরুল মু’মিনীন আমি খলীফ৷ ওয়াছিকের বিষয়ের চেয়ে আশ্চর্য কোন বিষয়
প্রত্যক্ষ করিনি ৷ সে আহমদ ইবন নাসরকে হত্যা করে অথচ দাফন করা পর্যন্ত তার জিহ্বা
কুরআন পাঠরত ছিল ৷ তখন মুতাওয়াক্কিল তার কথায় শঙ্কিত হন এবং তার ভাই ওয়াছিক সম্পর্কে
তিনি যা শুনেন তা তাকে মর্মাহত করে ৷ এরপর যখন ওযীর মুহাম্মদ ইবন আবদুল মালিক ইবন
যায়্যাত তার সাক্ষাতে প্রবেশ করেন খনত মুতাওয়ড়াক্কিল তাকে বলেন, আহমদ ইবন নাসরের
হত্যার (বৈধ্তার) ব্যাপারে আমার অভ্যর একটু দ্বিধা রয়েছে ৷ তখন সে বলে, হে আমীরুল
মু’মিনীন, খলীফ৷ ওয়া৷হ্বচ যদিত ৷কে কাফির অবস্থায় হত্যা না করে থাকেন তাহলে আল্লাহ যেন
আমাকে জাহান্নামের আওয়ু ন দগ্ধ করেন ৷ এরপর হারছাম৷ তার সাক্ষাতে প্রবেশ করলে

মুতাওয়াক্কিল তাকেও এ, ব্যাপারে তার খটকার কথা বলেন তখন সে বলে,৩ তিনি যদি তাকে
কাফির অবস্থায় হত্যা না করে থাকেন, তাহলে আল্লাহ্ যেন আমাকে টুকরা টুকরা করে কাটেন ৷
এরপর কা ৷যী আহমদ ইবন আবু দাউদ তার সাক্ষাতে প্রবেশ করলেও তিনি তাকেও তার খটকার
কথা বলেন, তখন সে বলে, খলীফ৷ ওয়াছিক যদি তাকে কাফির অবস্থায় হত্যা না করে থাকেন
তাহলে আল্লাহ্ যেন আমাকে পক্ষামাতপ্রস্ত করেন ৷

মুতাওয়াক্কিল বলেন, ইবন যায়্যা৩ কে আমি নিজেই আ ওনে দগ্ধ করেছি, আর হারছাম৷ সে
পলায়নকালে খুযাআ গোত্রের আবাসস্থল অতিক্রম করে তখন সে গোত্রের জনৈক ব্যক্তি তাকে
চিনে উচ্চস্বরে ঘোষণা করে, হে খুযাআ সম্প্রদায় ! এই যে তোমাদের পিতৃব্যপুত্র আহমদ ইবন
নাসরের ঘাতক, তোমরা তাকে টুকরা টুকরা কর ৷ তখন তারা তাকে টুকরা টুকরা করে ফেলে ৷
আর ইবন আবু দাউদকে আল্লাহ্ তাআল৷ তার চর্মে বন্দী করেন অর্থাৎ মৃত্যুর চার বছর পুর্বে
তাকে পক্ষাঘাতপ্রস্ত করেন এবং তার স ষ্হ্বয় সস্পা ও থেকে বিপুল পরিমাণ সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা
হয় ৷ এর বর্ণন৷ যথান্থানে আসছে ৷

আল-বিদায়৷ ওয়ান নিহায়া ( ১ :ম খও)-৬৬

০০ ৷৷া





وَفِيهَا قَدِمَ وَصِيفٌ الْخَادِمُ بِجَمَاعَةٍ مِنَ الْأَكْرَادِ نَحْوًا مِنْ خَمْسِمِائَةٍ فِي الْقُيُودِ، كَانُوا قَدْ أَفْسَدُوا فِي الطُّرُقَاتِ وَقَطَعُوهَا، فَأَطْلَقَ الْخَلِيفَةُ لِوَصِيفٍ الْخَادِمِ خَمْسَةً وَسَبْعِينَ أَلْفَ دِينَارٍ، وَخَلَعَ عَلَيْهِ خِلْعَةً سَنِيَّةً. وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ قَدِمَ خَاقَانُ الْخَادِمُ مِنْ بِلَادِ الرُّومِ، وَقَدْ تَمَّ الصُّلْحُ وَالْمُفَادَاةُ بَيْنَهُ وَبَيْنَ الرُّومِ، وَقَدِمَ مَعَهُ جَمَاعَةٌ مِنْ رُءُوسِ أَهْلِ الثُّغُورِ فَأَمَرَ الْوَاثِقُ بِامْتِحَانِهِمْ فِي الْقَوْلِ بِخَلْقِ الْقُرْآنِ، وَأَنَّ اللَّهَ لَا يُرَى فِي الْآخِرَةِ، فَأَجَابُوا إِلَّا أَرْبَعَةً، فَأَمَرَ الْوَاثِقُ بِضَرْبِ أَعْنَاقِهِمْ إِنْ لَمْ يُجِيبُوا بِمِثْلِ مَا أَجَابَ بِهِ بَقِيَّتُهُمْ. وَأَمَرَ الْوَاثِقُ أَيْضًا بِامْتِحَانِ الْأُسَارَى الْمُسْلِمِينَ الَّذِينَ فُودِيَ عَنْهُمْ بِذَلِكَ، فَمَنْ أَجَابَ إِلَى الْقَوْلِ بِخَلْقِ الْقُرْآنِ وَأَنَّ اللَّهَ لَا يُرَى فِي الْآخِرَةِ فُودِيَ، وَإِلَّا تُرِكَ فِي أَيْدِي الْكُفَّارِ، وَهَذِهِ بِدْعَةٌ صَلْعَاءُ شَنْعَاءُ عَمْيَاءُ صَمَّاءُ لَا مُسْتَنَدَ لَهَا مِنْ كِتَابٍ وَلَا سُنَّةٍ وَلَا عَقْلٍ صَحِيحٍ، بَلِ الْكِتَابُ وَالسُّنَّةُ وَالْعَقْلُ الصَّحِيحُ بِخِلَافِهَا، كَمَا هُوَ مُقَرَّرٌ فِي مَوْضِعِهِ، وَبِاللَّهِ الْمُسْتَعَانُ. وَكَانَ وُقُوعُ الْمُفَادَاةِ عِنْدَ نَهْرٍ يُقَالُ لَهُ: اللَّامِسُ. عِنْدَ سَلُوقِيَةَ بِالْقُرْبِ مِنْ طَرَسُوسَ بَدَلُ كُلِّ مُسْلِمٍ أَوْ مُسْلِمَةٍ فِي أَيْدِي الرُّومِ أَوْ ذِمِّيٍّ أَوْ ذِمِّيَّةٍ كَانَ تَحْتَ عَقْدِ الْمُسْلِمِينَ - أَسِيرٌ مِنَ الرُّومِ كَانَ بِأَيْدِي الْمُسْلِمِينَ مِمَّنْ لَمْ يُسْلِمْ،
পৃষ্ঠা - ৮৬১২
فَنَصَبُوا جِسْرَيْنِ عَلَى النَّهْرِ فَإِذَا أَرْسَلَ الرُّومُ رَجُلًا أَوِ امْرَأَةً فِي جِسْرِهِمْ فَانْتَهَى إِلَى الْمُسْلِمِينَ كَبَّرَ وَكَبَّرَ الْمُسْلِمُونَ. وَيُرْسِلُ الْمُسْلِمُونَ أَسِيرًا مِنَ الرُّومِ عَلَى جِسْرِهِمْ، فَإِذَا انْتَهَى إِلَيْهِمْ تَكَلَّمَ بِكَلَامٍ يُشْبِهُ التَّكْبِيرَ أَيْضًا، وَلَمْ يَزَالُوا كَذَلِكَ مُدَّةَ أَرْبَعَةِ أَيَّامٍ، بَدَلُ كُلِّ نَفْسِ نَفْسٌ، ثُمَّ بَقِيَ مَعَ خَاقَانَ جَمَاعَةٌ مِنَ الرُّومِ الْأُسَارَى، فَأَطْلَقَهُمْ لِلرُّومِ ; لِيَكُونَ لَهُ الْفَضْلُ عَلَيْهِمْ. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: فِي هَذِهِ السَّنَةِ مَاتَ الْحَسَنُ بْنُ الْحُسَيْنِ، أَخُو طَاهِرِ بْنِ الْحُسَيْنِ بِطَبَرِسْتَانَ فِي شَهْرِ رَمَضَانَ. وَفِيهَا مَاتَ الْخَطَّابُ بْنُ وَجْهِ الْفُلْسِ، وَفِيهَا مَاتَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ بْنُ الْأَعْرَابِيِّ الرَّاوِيَةُ يَوْمَ الْأَرْبِعَاءِ لِثَلَاثَ عَشْرَةَ خَلَتْ مِنْ شَعْبَانَ، وَهُوَ ابْنُ ثَمَانِينَ سَنَةً، وَفِيهَا مَاتَتْ أُمُّ أَبِيهَا بِنْتُ مُوسَى أُخْتُ عَلِيِّ بْنِ مُوسَى الرِّضَا، وَفِيهَا مَاتَ مُخَارِقٌ الْمُغَنِّي، وَأَبُو نَصْرٍ أَحْمَدُ بْنُ حَاتِمٍ رَاوِيَةُ الْأَصْمَعِيِّ، وَعَمْرُو بْنُ أَبِي عَمْرٍو الشَّيْبَانِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ سَعْدَانَ النَّحْوِيُّ. [مَنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ] قُلْتُ: وَمِمَّنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ أَيْضًا: أَحْمَدُ بْنُ نَصْرٍ الْخُزَاعِيُّ كَمَا ذَكَرْنَا، وَإِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৮৬১৩


কিতাবুল মাসাইলে’ আবু দাউদ বর্ণনা করেছেন আহমদ ইবন ইবরাহীম ,আদ দাওরকীর সুত্রে
আহমদ ইবন নাসর থেকে ৷ তিনি বলেন, আমি সুফিয়ান ইবন উয়ায়নাকে প্রশ্ন করেছি, (এই
হাদীস সম্পর্কে)-
“বান্দাদের অন্তরসমুহ আল্লাহর আঙুলসমুহের দুই আঙুলের মাঝে, আর যে আল্লাহ্কে
বাজারসমুহে স্মরণ করে আল্লাহ তার কারণে হাসেন” ৷ তখন তিনি বলেছেন, তা যেভাবে এসেছে
সেতা বে রিওয়ায়াত তকর কিন্তু তার স্বরুপ নির্ধারণ করতে যেয়াে না ৷

এছাড়া এ বছর খলীফা ওয়াছিক হজ্জ করার মানসে প্রস্তুতি গ্রহণ করেন কিন্তু যখন তাকে
অবহিত করা হয় যে পথে পানির স্বল্পতা রয়েছে তখন তিনি সে বছর হব্জ্জর ইরাদ৷ ত্যাগ করেন ৷

আর এ বছরই ইয়ামানের প্রশাসক জাফর ইবন দীনার ১ দায়িত্ব গ্রহণ করেন ৷ তারপর চার হাজার

অশ্বারােহী (যোদ্ধা) নিয়ে সেদিকে যাত্রা করেন ৷ এ বছর সাধারণ লোকদের একটি দল বায়তুল
মালের কিছু পরিমাণ স্বর্ণ ও রৌপ্য ছিনিয়ে নেয় ৷ এরপর ধৃত ও বন্দী হয় ৷ এছাড়া এ বছর র ৷বীআ
অঞ্চলে জনৈক খারিজী আত্মপ্রকাশ করে ৷ তখন মাওসিলের প্রশাসক তার বিরুদ্ধে লড়াই করে
তাকে পর্বুদস্ত করেন এবং তার অনুসারীরা পরাস্ত হয় ৷ এ বছর ওয়াসীক আ ৷ল-খাদিম পাচশ র মত
কুদীকে শৃগ্রলিত অবস্থায় নিয়ে উপস্থিত হন যারা জনসাধারণের চলার পথে বিপর্যয় সৃষ্টি করেছিল
এবং পথচারীদের জানমাল লুণ্ঠন করেছিল ৷ তখন খলীফা তাকে বখশিশরুরুপ পচাত্তর হাজার
দীনার প্রদান করেন এবং তার মুল্যবান পরিধেয় দান করেন ৷ এছাড়া এ বছর রোমকদের সাথে
সন্ধি ও বন্দী বিনিময় সম্পন্ন করার পর খাকান আল খাদিম রোমকভুখন্ড থেকে আগমন করেন ৷
এসময় তার সাথে সীমান্ত এলাকার নেত তন্থানীয়দের একটি দল আগমন করে ৷ তখন খলীফা
ওয়াছিক তাদেরকে খালকে কুরআন বিষয়ে এবৎঅ আখিরতায়ু ৩আল্পাহ্কে দেখা যাবে না এই বিষয়ে
তাদের মত যাচাই করার নির্দেশ দেন ৷ তখন চারজন ব্যতীত সকলেই তার মতের অনুকুলে সাড়া
প্রদান করে ৷ তখন তিনি এদের পর্দান উড়িয়ে দেয়ার নিঃদের্শি প্রদান করেন যদি তারা খালকে
কুরআন এবং আখিরাতে আল্লাহ্কে না দেখার’ মতে সাড়া না দেয় ৷ এছাড়া ওয়াছিক ঐ সকল
মুসলিম বন্দীদের ও মত যাচাইয়ের নির্দেশ দেন যাদেরকে ফারানজ্বদের বন্দীতু থেকে মুক্তিপণের
বিনিময়ে মুক্ত করার সিদ্ধান্ত ন্তগৃহীত হয় ৷ তাদের মধ্যে যে খ৷ ৷লকে কুরআন’ এবং আল্লাহ্কে
আখিরাতে দেখা যাবে না এই মতে সাড়া দেয়ত তার মুক্তিপণ প্রদান করা হয় অন্যথায় তাকে
কাফেরদের হাতে ছেড়ে দেয়৷ হয় ৷ নিঃসন্দেহে এটি কুৎসি৩ , জঘন্য এবং ভয়াবহ বিদআত যার
অনুকুলে কিতাব, সুন্নাহ্ কিংবা সুস্থ বুদ্ধিভিত্তিক কোন দলীল বা প্রমাণ নেই ৷ বরং কিতাব, সুন্নাহ্
এবং সুস্থ বুদ্ধি সবই তার বিপরীত ৷ এটি যথান্থানে বিবৃত হয়েছে ৷ আ র সাহায্য স্থল আ ৷ল্লাহ্ই ৷

আ র এই বন্দী বিনিময় সম্পন্ন হয়, তারসুস শহরের কাছে সালুকিয়৷ নামক স্থানে আললামিস
(নামক) নদীর তীরে ৷ রোমকদের হাতে বন্দী প্রতিটি মুসলিম (নয় বা নারী) কিংবা যিমী যে
মুসলমানদের নিরাপত্তা চুক্তির অধীন ছিল এর বিনিময়ে রোমকদের একজন বন্দী যে মুসলমানদের
হাতে রয়েছে এবং ইসলাম গ্রহণ করেনি ৷ এসময়ত তারা উক্ত নদীর উপর দু’টি অস্থায়ী সীকাে



১ মিসরীয় সংস্করণে আহমদ ইবন দীনার রয়েছে ৷


عَرْعَرَةَ. وَأُمَيَّةُ بْنُ بِسِطَامٍ وَأَبُو تَمَّامٍ الطَّائِيُّ الشَّاعِرُ فِي قَوْلٍ، وَالْمَشْهُورُ مَا تَقَدَّمَ، وَكَامِلُ بْنُ طَلْحَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ سَلَّامٍ الْجُمَحِيُّ، وَأَخُوهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ، وَمُحَمَّدُ بْنُ مِنْهَالٍ الضَّرِيرُ، وَمُحَمَّدُ بْنُ مِنْهَالٍ أَخُو حَجَّاجٍ، وَهَارُونُ بْنُ مَعْرُوفٍ، وَالْبُوَيْطِيُّ صَاحِبُ الشَّافِعِيِّ مَاتَ فِي السِّجْنِ مُقَيَّدًا حَتَّى يَقُولَ بِخَلْقِ الْقُرْآنِ فَامْتَنَعَ مِنْ ذَلِكَ، رَحِمَهُ اللَّهُ،
পৃষ্ঠা - ৮৬১৪
وَيَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُكَيْرٍ، رَاوِي الْمُوَطَّأِ عَنْ مَالِكٍ.