باب ذكر خلق الملائكة وصفاتهم عليهم السلام
পৃষ্ঠা - ৮৬
ফেরেশত৷ সৃষ্টি ও তাদের ওণাবলীর আলোচনা
আল্লাহ্ তা আলা বলেন০ ং
’
এ
০এ
;
র্শেএে
অর্থাৎ-তা ৷রা বলে, দয়াময় সন্তান গ্রহণ করেছেন ৷ তিনি পবিত্র, মহান! তারা তো র্তার
সম্মানিত বান্দ৷ ৷ তারা আগে বাড়িয়ে কথা বলে না, তারা তাে আদেশ অৰুসারেই কাজ করে
থাকে ৷
তাদের সম্মুখে ও পশ্চাতে যা কিছু আছে তা তিনি অবগত ৷ তারা সুপারিশ করে শুধু
তাদের জন্য যাদের প্রতি তিনি সন্তুষ্ট এবং তারা তার ভয়ে ভীত-সন্ত্রস্ত ৷ তাদের মধ্যে যে বলবে,
আমিই ইলাহ তিনি ব্যতীত; তাকে আমি প্রতিফল দেব জাহান্নাম ; এভাবেই আমি জালিমদেবকে
শান্তি দিয়ে থাকি ৷ (২১ং ২৬ ২৯)
অর্থাৎ আকাশমণ্ডলী উর্ধ্বদেশ থেকে ভেঙ্গে পড়বার উপক্রম হয় এবং ফেরেশতাপণ
তাদের প্রতিপ৷ ৷লকের সপ্ৰশংস পবিত্রত৷ ও মহিমা ঘোষণা করে এবং পৃথিবীবাসীদের জন্য ক্ষমা
প্রার্থনা করে; জেনে রেখ, আল্পাহ্, তিনি তো ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু ৷ (৪২ং ৫)
ট্রা১ ণ্য়ুএ১এএ ১৮১ এ
; ৷
া
অর্থাৎ যারা আরশ ধারণ করে আছে এবং যারা এর চারদিক ঘিরে আছে, তারা তাদের
প্রতিপালকের পবিত্র৩ ৷ ও মহিমা ঘোষণা করে প্রাণ সার সাথে এবং তাতে বিশ্বাস স্থাপন করে
এবং মুমিনদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে বলে, হে আমাদের প্রতিপালক! তোমার দয়া ও জ্ঞান
[بَابُ ذِكْرِ خَلْقِ الْمَلَائِكَةِ وَصِفَاتِهِمْ عَلَيْهِمُ السَّلَامُ]
[صِفَاتُ الْمَلَائِكَةِ]
قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {شَهِدَ اللَّهُ أَنَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ وَالْمَلَائِكَةُ وَأُولُو الْعِلْمِ قَائِمًا بِالْقِسْطِ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ} [آل عمران: 18] . وَقَالَ: {لَكِنِ اللَّهُ يَشْهَدُ بِمَا أَنْزَلَ إِلَيْكَ أَنْزَلَهُ بِعِلْمِهِ وَالْمَلَائِكَةُ يَشْهَدُونَ} [النساء: 166] . وَقَالَ تَعَالَى: {وَقَالُوا اتَّخَذَ الرَّحْمَنُ وَلَدًا سُبْحَانَهُ بَلْ عِبَادٌ مُكْرَمُونَ لَا يَسْبِقُونَهُ بِالْقَوْلِ وَهُمْ بِأَمْرِهِ يَعْمَلُونَ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَلَا يَشْفَعُونَ إِلَّا لِمَنِ ارْتَضَى وَهُمْ مِنْ خَشْيَتِهِ مُشْفِقُونَ وَمَنْ يَقُلْ مِنْهُمْ إِنِّي إِلَهٌ مِنْ دُونِهِ فَذَلِكَ نَجْزِيهِ جَهَنَّمَ كَذَلِكَ نَجْزِي الظَّالِمِينَ} [الأنبياء: 26]
[الشُّورَى: 5] . وَقَالَ تَعَالَى: {الَّذِينَ يَحْمِلُونَ الْعَرْشَ وَمَنْ حَوْلَهُ يُسَبِّحُونَ بِحَمْدِ رَبِّهِمْ وَيُؤْمِنُونَ بِهِ وَيَسْتَغْفِرُونَ لِلَّذِينَ آمَنُوا رَبَّنَا وَسِعْتَ كُلَّ شَيْءٍ رَحْمَةً وَعِلْمًا فَاغْفِرْ لِلَّذِينَ تَابُوا وَاتَّبَعُوا سَبِيلَكَ وَقِهِمْ عَذَابَ الْجَحِيمِ رَبَّنَا وَأَدْخِلْهُمْ جَنَّاتِ عَدْنٍ الَّتِي وَعَدْتَهُمْ وَمَنْ صَلَحَ مِنْ آبَائِهِمْ وَأَزْوَاجِهِمْ وَذُرِّيَّاتِهِمْ إِنَّكَ أَنْتَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ} [غافر: 7]
[غَافِرٍ: 7، 8] .
পৃষ্ঠা - ৮৭
সর্বব্যাপী; অতএব, যারা তাওবা করে ও তোমার পথ অবলম্বন করে তুমি তাদেরকে ক্ষমা কর
এর রং জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা কর ৷
হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি তাদেরকে দ ৷খিল কর স্থায়ী৷ জ ন্নাতে, যার প্রতিশ্রুতি তুমি
তা তাদেরকে দিয়েছ এবং তাদের পিতা-মাত ৷, পতি পত্নী ও সম্ভান-সন্ততিদের মধ্যে যারা সৎকর্ম
করেছেতাদেবুকেও ৷ তৃস্থি তাে পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময় ৷ (৪ : : ৭ ৮)
ধুণ্ন্তি ষ্
এ
অর্থাৎ তারা অহংকার করলেও যারা তোমার প্রতিপালকের সান্নিধ্যে তারা তো দিনে ও
রাতে তার পৰিত্রত৷ ও মহিমা ঘোষণা করে এবং তারা ক্লান্তি বোধ করে না ৷ (৪ ১৪ ৩৮)
ছোা
, , ৷ ,
অ-র্থাৎ তার সান্নিধ্যে যারা আছে তারা অহংকারবশেত তার ইবাদত করা থেকে বিমুখ হয়
না এবং ক্লান্তিও বোধ করে না ৷ত তারা দিবারাত্রি তার পবিত্রত৷ ও মহিমা ঘোষণা করে; তারা
শৈথিল্য করেন৷ ৷ (২১ং ১৯ ২০) ,
১০ ,
অর্থাৎ-আমাদের প্রস্তুত ত্যকের জন্যই নির্ধারিত স্থান আছে আমরা তো সারিবদ্ধভাবে
দণ্ডায়মান এবং আমরা অবশ্যই তার পবিত্রত৷ ও মহিমা ঘোষণাকারী ৷ (৩৭ ১৬৪ ১৬৬)
,
অর্থাৎ আমরা আপনার প্রতিপালকের আদেশ ব্যতীত অবতরণ করি না ৷ যা আমাদের
সামনে ও পেছনে আছে এবং না এ দৃ’ এর অন্তর্বর্তী তা তারই এবং তোমার প্রতিপালক ভুলরার
নন ৷ (১৯ : ৬৪)
অর্থাৎ-অবশ্যই আছে তোমাদের জন্য তত্ত্ব ৷রধায়কগণ; সম্মানিত লিপিকা ৷রবৃন্দ; তারা জানে
তোমরা যা কর ৷ (৮২ং ১ : ১২)
ভুর্থাত্ তোমার প্রতিপালকের বাহিনী সম্পর্কে একমাত্র তিনিই জানেন ৷ ( ৭৪ : ৩১)
’ ?
,;,০,পু;;দ্বু;;হ্র০
وَقَالَ تَعَالَى: {فَإِنِ اسْتَكْبَرُوا فَالَّذِينَ عِنْدَ رَبِّكَ يُسَبِّحُونَ لَهُ بِاللَّيْلِ وَالنَّهَارِ وَهُمْ لَا يَسْأَمُونَ} [فصلت: 38] . وَقَالَ: {وَمَنْ عِنْدَهُ لَا يَسْتَكْبِرُونَ عَنْ عِبَادَتِهِ وَلَا يَسْتَحْسِرُونَ يُسَبِّحُونَ اللَّيْلَ وَالنَّهَارَ لَا يَفْتُرُونَ} [الأنبياء: 19]
[الصَّافَّاتِ: 164 - 166] . وَقَالَ تَعَالَى: {وَمَا نَتَنَزَّلُ إِلَّا بِأَمْرِ رَبِّكَ لَهُ مَا بَيْنَ أَيْدِينَا وَمَا خَلْفَنَا وَمَا بَيْنَ ذَلِكَ وَمَا كَانَ رَبُّكَ نَسِيًّا} [مريم: 64] . وَقَالَ تَعَالَى: {وَإِنَّ عَلَيْكُمْ لَحَافِظِينَ كِرَامًا كَاتِبِينَ يَعْلَمُونَ مَا تَفْعَلُونَ} [الانفطار: 10]
[الْمُدَّثِّرِ: 31] . وَقَالَ تَعَالَى: {وَالْمَلَائِكَةُ يَدْخُلُونَ عَلَيْهِمْ مِنْ كُلِّ بَابٍ سَلَامٌ عَلَيْكُمْ بِمَا صَبَرْتُمْ فَنِعْمَ عُقْبَى الدَّارِ} [الرعد: 23]
[فَاطِرِ: 1] . وَقَالَ تَعَالَى: {وَيَوْمَ تَشَقَّقُ السَّمَاءُ بِالْغَمَامِ وَنُزِّلَ الْمَلَائِكَةُ تَنْزِيلًا الْمُلْكُ يَوْمَئِذٍ الْحَقُّ لِلرَّحْمَنِ وَكَانَ يَوْمًا عَلَى الْكَافِرِينَ عَسِيرًا} [الفرقان: 25]
[الْفُرْقَانِ: 25 - 26] .
পৃষ্ঠা - ৮৮
অর্থ ৎ- ফেরেশতাগণ৩ তাদের নিকট প্রবেশ করবে প্রতিটি দরজা দিয়ে এবং বলবে,
তোমরা ধৈর্যধারণ করেছ বলে তোমাদের প্রতি শাস্তি; কতই না ভালো এ পরিণাম (১৩ :
২৩ ২৪)
ঢ;র্মু;র্দু৷ ”fl § ;: মোঃ ৷ ষ্টুাছুর্বু; ওে,১৷ ৷ , ;,দ্বুঠু;ট্র,৷ ৷ এা ,ঘু,ন্ ধ্এে ১শ্১১ ৷
অর্থাৎ- প্রশংসা আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা আল্লাহরই, যিনি বাণীবাহক করেন
ফেরেশতাদেরকে যারা দু’-দু তিন-তিন অথবা চাব-চার পক্ষ বিশিষ্ট ৷ তিনি তীর সৃষ্টি যা ইচ্ছা
বৃদ্ধি করেন ৷ আল্লাহ সর্ববিষয়ে শ্ ৷৷ক্তিম ৷ন ৷ (৩৫০ ং ১)
ণ্ও১এ
অর্থাৎ যেদিন আকাশ মেঘপুঞ্জসহ বিদীর্ণ হবে এবং ফেরেশতাদেরকে ন মিয়ে দেওয়া
হবে, সেদিন প্রকৃত কর্তৃতৃ হবে দয়াময়ের এবং কাফিরদের জন্য সেদিন হবে কঠিন ৷
(২৫৪ ২৫, ২৬)
খু
অর্থাৎ যারা আমার সাক্ষাত কামনা করে না তারা বলে, আমাদের নিকট ফেরেশতা
অবতীর্ণ করা হয় না কেন ? অথবা আমরা আমাদের প্রতিপালককে প্রত্যক্ষ করি না কেন ? তারা
তাদের অম্ভরে অহংকার পোষণ করে এবং তারা সীমালৎঘন করেছে গুরুতররুপে ৷ সেদিন তারা
ফেরেশতাদেরকে প্রত্যক্ষ করবে ৷ সেদিন অপরাধীদের জন্য সুসৎবাদ থাকবে না এবং তারা
বলবে, রক্ষাকর, রক্ষাকর ৷ (২৫০ ং ২১-২২)
অর্থাৎ যে কেউ আল্লাহর, র্তার ফোরশতাগণের, তীর রাসুল১াণের এবং জিবরাঈল ও
মীক ৷ঈলের শত্রু সে জেনে রাখুক, আল্লাহ্ নিশ্চয় কাফিরদের শত্রু ৷ (২৪ ৯৮)
ঞট্রুা
৩
é ’
এএঐংঠীট্ই
আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (১ম খণ্ড) ১৫-
وَقَالَ تَعَالَى: {وَقَالَ الَّذِينَ لَا يَرْجُونَ لِقَاءَنَا لَوْلَا أُنْزِلَ عَلَيْنَا الْمَلَائِكَةُ أَوْ نَرَى رَبَّنَا لَقَدِ اسْتَكْبَرُوا فِي أَنْفُسِهِمْ وَعَتَوْا عُتُوًّا كَبِيرًا يَوْمَ يَرَوْنَ الْمَلَائِكَةَ لَا بُشْرَى يَوْمَئِذٍ لِلْمُجْرِمِينَ وَيَقُولُونَ حِجْرًا مَحْجُورًا} [الفرقان: 21]
[الْبَقَرَةِ: 98] . وَقَالَ تَعَالَى: {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا قُوا أَنْفُسَكُمْ وَأَهْلِيكُمْ نَارًا وَقُودُهَا النَّاسُ وَالْحِجَارَةُ عَلَيْهَا مَلَائِكَةٌ غِلَاظٌ شِدَادٌ لَا يَعْصُونَ اللَّهَ مَا أَمَرَهُمْ وَيَفْعَلُونَ مَا يُؤْمَرُونَ} [التحريم: 6] . وَالْآيَاتُ فِي ذِكْرِ الْمَلَائِكَةِ كَثِيرَةٌ جِدًّا يَصِفُهُمْ تَعَالَى بِالْقُوَّةِ فِي الْعِبَادَةِ وَفِي الْخَلْقِ، وَحُسْنِ الْمَنْظَرِ، وَعَظَمَةِ الْأَشْكَالِ، وَقُوَّةِ الشَّكْلِ فِي الصُّوَرِ الْمُتَعَدِّدَةِ كَمَا قَالَ تَعَالَى: {وَلَمَّا جَاءَتْ رُسُلُنَا لُوطًا سِيءَ بِهِمْ وَضَاقَ بِهِمْ ذَرْعًا وَقَالَ هَذَا يَوْمٌ عَصِيبٌ وَجَاءَهُ قَوْمُهُ يُهْرَعُونَ إِلَيْهِ وَمِنْ قَبْلُ كَانُوا يَعْمَلُونَ السَّيِّئَاتِ} [هود: 77]
[هُودٍ: 77 - 78] . الْآيَاتِ. فَذَكَرْنَا فِي التَّفْسِيرِ مَا ذَكَرَهُ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ الْعُلَمَاءِ مِنْ أَنَّ الْمَلَائِكَةَ تَبْدُو لَهُمْ فِي صُورَةِ شَبَابٍ حِسَانٍ امْتِحَانًا وَاخْتِبَارًا حَتَّى قَامَتْ عَلَى قَوْمِ لُوطٍ الْحُجَّةُ، وَأَخَذَهُمُ اللَّهُ أَخْذَ عَزِيزٍ مُقْتَدِرٍ. وَكَذَلِكَ كَانَ جِبْرِيلُ يَأْتِي إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي صِفَاتٍ مُتَعَدِّدَةٍ ; فَتَارَةً يَأْتِي فِي صُورَةِ دِحْيَةَ بْنِ خَلِيفَةَ الْكَلْبِيِّ، وَتَارَةً فِي صُورَةِ أَعْرَابِيٍّ،
পৃষ্ঠা - ৮৯
অর্থাৎ হে মু’মিনগণ! তোমরা নিজেদেরকে এবং তোমাদের পরিবার-পরিজনকে রক্ষা
কর আগুন থেকে, যার ইন্ধন হবে মানুষ ও পাথর, যাতে নিয়োজিত আছে নির্মম হৃদয়, কঠোর
স্বভাব ফেরেশতাগণ, যারা অমান্য করে না আল্লাহ যা আদেশ করেন তা এবং তারা যা করতে
আদিষ্ট হয়৩ তা ই করে ৷ (৬৬ং ৬)
ফেরেশত৷ প্রসঙ্গ অনেক আয়াতেই রয়েছে ৷ সেগুলোতে আল্লাহ তাআল৷ তাদেরকে
ইবাদত ও দৈহিক কাঠামো সৌন্দর্যে, অবয়বের বিশালতায় এবং বিভিন্ন আকৃতি ধারণে
হ্রা৷রন্ামতায় শক্তির অচুাকারী বলে পরিচয় প্রদ্ান করেছেন ৷ যেমন আল্লাহ্ তা আলা বলেন
ওে; ৷;৷১ এএেট্রু ৷ টু১ ণ্; এড্রু;শু ণ্; ণ্ ;; (পুা;গ্লুপু ৷££ংক্ট্র দ্বু;হ্রা হু ৷;;দ্বু
;; মোঃ ৷
অর্থাৎ এবং যখন আমার প্রেরিত ফেরেশতাগণ লুভৈ৩ র নিকট আসল, তখন তাদের
আগমনে সে বিষগ্ন হলো এবং নিজকে তাদের রক্ষায় অসমর্থ মনে করল এবং বলল, এ এক
নিদারুণ দিন ! তার সম্প্রদায় তার নিকট উড্রাত হয়ে ছুটে আসল এবং পুর্ব থেকে তারা কুকর্মে
লিপ্ত ছিল ৷ (১১ ;; ৭৭শ্৭৮)
তাফসীরের কিভাবে আমি উল্লেখ করেছি, বা একাধিক আলিম বলেছেন যে, ফেরেশতাগণ
তাদের সামনে পরীক্ষাস্বরুপ সুদর্শন যুবকের আকৃতিতে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন ৷ অবশেষে লুত
(আ)-এর সম্প্রদায়ের উপর প্রমাণ প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায় এবং আল্লাহ্ তাআলা তাদেরকে
পরাক্রমশালী শক্তিধররুপে পাকড়াও করেন ৷
অনুরুপভাবে জিবরাঈল (আ) নবী করীম (না)-এর নিকট বিভিন্ন আকৃতিতে আগমন
করতেন ৷ কখনো আসতেন দিহয৷ ইবন খলীফ৷ কালবী (রা) এর আকৃতিতে, কখনো বা কোন
বেদুঈনের রুপে, আবার কখনো তিনি স্বরুপে আগমন করতেন ৷৩ তার ছ শ ডানা রয়েছে ৷ প্রতি
দু’টি ভাষার মধ্যে ঠিক ততটুকু ব্যবধান যতটুকু ব্যবধান পৃথিবীর পুর্ব ও পশ্চিম প্রান্তদ্বয়ের
মধ্যে ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) এ আকৃতিতে তাকে দু বার দেখেছেন ৷ একবার দেখেছেন আসমান
থেকে যমীনে অবতরণরত অবস্থায় ৷ আর একবার দেখেছেন জান্নাতৃল যাওয়ার নিকটবর্তী
সিদরাতৃল মুনতাহার কাছে (মিরাজেব রাতে) ৷
আল্লাহ্ ত৷ আলা বলেনশু ং
া;; ণ্; ষ্া;১৷ ! র্টহ্রএ্যা !; দ্বুছুট্রু এেএ;;; ৷“ষ্ ;;দ্বু; এ৷ এেট্রুষ্ট্র৷ ৷ ;;;; শু;া;
৩ত্র র্মুট্রুাণ্
অর্থাৎ তাকে শিক্ষা দান করে শক্তিশালী প্রজ্ঞাসম্পন্ন সে নিজ আকৃতিতে স্থির হয়েছিল,
তখন সে উর্ধ্ব দিগন্তে , তারপর সে তার নিকটবর্তী হলো, অতি নিকটবর্তী ৷ (৫৩ : ৫-৮ )
এ আয়াতে যার কথা বলা হয়েছে তিনি হলেন জিবরাঈল (আ) যেমনটি আমরা একাধিক
সাহারা সুত্রে বর্ণনা করেছি ৷ তন্মধ্যে ইবন মাসউদ (রা) , আবু হুরায়রা (রা ) , আবু যর (রা) ও
তা৷য়েশা (রা) অন্যতম ৷
وَتَارَةً فِي صُورَتِهِ الَّتِي خُلِقَ عَلَيْهَا لَهُ سِتُّمِائَةِ جَنَاحٍ مَا بَيْنَ كُلِّ جَنَاحَيْنِ كَمَا بَيْنَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ، كَمَا رَآهُ عَلَى هَذِهِ الصِّفَةِ مَرَّتَيْنِ ; مَرَّةً مُنْهَبِطًا مِنَ السَّمَاءِ إِلَى الْأَرْضِ، وَتَارَةً عِنْدَ سِدْرَةِ الْمُنْتَهَى عِنْدَهَا جَنَّةُ الْمَأْوَى، وَهُوَ قَوْلُهُ تَعَالَى: {عَلَّمَهُ شَدِيدُ الْقُوَى ذُو مِرَّةٍ فَاسْتَوَى وَهُوَ بِالْأُفُقِ الْأَعْلَى ثُمَّ دَنَا فَتَدَلَّى} [النجم: 5] . أَيْ إِلَى عَبْدِ اللَّهِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ قَالَ: {وَلَقَدْ رَآهُ نَزْلَةً أُخْرَى عِنْدَ سِدْرَةِ الْمُنْتَهَى} [النجم: 13]
[النَّجْمِ: 13 - 14] . وَكُلُّ ذَلِكَ الْمُرَادُ بِهِ جِبْرِيلُ.
وَقَدْ ذَكَرْنَا فِي أَحَادِيثِ الْإِسْرَاءِ فِي سُورَةِ سُبْحَانَ أَنَّ سِدْرَةَ الْمُنْتَهَى فِي السَّمَاءِ السَّابِعَةِ، وَفِي رِوَايَةٍ: فِي السَّادِسَةِ أَيْ: أَصْلُهَا، وَفُرُوعُهَا فِي السَّابِعَةِ، {إِذْ يَغْشَى السِّدْرَةَ مَا يَغْشَى} [النجم: 16] . قِيلَ: غَشِيَهَا نُورُ الرَّبِّ جَلَّ جَلَالُهُ. وَقِيلَ: غَشِيَهَا فَرَاشٌ مِنْ ذَهَبٍ. وَقِيلَ: غَشِيَهَا أَلْوَانٌ مُتَعَدِّدَةٌ كَثِيرَةٌ غَيْرُ مُنْحَصِرَةٍ. وَقِيلَ: غَشِيَهَا الْمَلَائِكَةُ مِثْلَ الْغِرْبَانِ. وَقِيلَ: غَشِيَهَا مِنَ اللَّهِ أَمْرٌ، فَلَا يَسْتَطِيعُ أَحَدٌ أَنْ يَنْعَتَهَا ; أَيْ مِنْ حُسْنِهَا وَبَهَائِهَا. وَلَا مُنَافَاةَ بَيْنَ هَذِهِ الْأَقْوَالِ إِذِ الْجَمِيعُ مُمْكِنٌ حُصُولُهُ فِي حَالٍ وَاحِدَةٍ. وَذَكَرْنَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «ثُمَّ رُفِعَتْ لِي سِدْرَةُ الْمُنْتَهَى، فَإِذَا نَبْقُهَا كَالْقِلَالِ» . وَفِي رِوَايَةٍ: «كَقِلَالِ هَجَرَ، وَإِذَا وَرَقُهَا كَآذَانِ
পৃষ্ঠা - ৯০
الْفِيَلَةِ، وَإِذَا يَخْرُجُ مِنْ أَصْلِهَا نَهْرَانِ بَاطِنَانِ، وَنَهْرَانِ ظَاهِرَانِ ; فَأَمَّا الْبَاطِنَانِ فَفِي الْجَنَّةِ، وَأَمَّا الظَّاهِرَانِ فَالنِّيلُ وَالْفُرَاتُ» . وَتَقَدَّمَ الْكَلَامُ عَلَى هَذَا فِي ذِكْرِ خَلْقِ الْأَرْضِ، وَمَا فِيهَا مِنَ الْبِحَارِ وَالْأَنْهَارِ. وَفِيهِ: «ثُمَّ رُفِعَ لِيَ الْبَيْتُ الْمَعْمُورُ، وَإِذَا هُوَ يَدْخُلُهُ فِي كُلِّ يَوْمٍ سَبْعُونَ أَلْفَ مَلَكٍ، ثُمَّ لَا يَعُودُونَ إِلَيْهِ آخِرَ مَا عَلَيْهِمْ» . وَذَكَرَ أَنَّهُ وَجَدَ إِبْرَاهِيمَ الْخَلِيلَ عَلَيْهِ السَّلَامُ مُسْتَنِدًا ظَهْرَهُ إِلَى الْبَيْتِ الْمَعْمُورِ. وَذَكَرْنَا وَجْهَ الْمُنَاسَبَةِ فِي هَذَا ; أَنَّ الْبَيْتَ الْمَعْمُورَ فِي السَّمَاءِ السَّابِعَةِ بِمَنْزِلَةِ الْكَعْبَةِ فِي الْأَرْضِ. وَقَدْ رَوَى سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ، وَشُعْبَةُ، وَأَبُو الْأَحْوَصِ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ خَالِدِ بْنِ عَرْعَرَةَ ; أَنَّ ابْنَ الْكَوَّاءِ سَأَلَ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ، عَنِ الْبَيْتِ الْمَعْمُورِ فَقَالَ: هُوَ مَسْجِدٌ فِي السَّمَاءِ يُقَالُ لَهُ الضُّرَاحُ، وَهُوَ بِحِيَالِ الْكَعْبَةِ مِنْ فَوْقِهَا، حُرْمَتُهُ فِي السَّمَاءِ كَحُرْمَةِ الْبَيْتِ فِي الْأَرْضِ، يُصَلِّي فِيهِ كُلَّ يَوْمٍ سَبْعُونَ أَلْفًا مِنَ الْمَلَائِكَةِ لَا يَعُودُونَ إِلَيْهِ أَبَدًا. وَهَكَذَا رَوَى عَلِيُّ بْنُ رَبِيعَةَ، وَأَبُو الطُّفَيْلِ، عَنْ عَلِيٍّ مِثْلَهُ. وَقَالَ الطَّبَرَانِيُّ: أَنْبَأَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلَوَيْهِ الْقَطَّانُ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عِيسَى الْعَطَّارُ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ بِشْرٍ أَبُو حُذَيْفَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، عَنْ صَفْوَانَ بْنِ سُلَيْمٍ، عَنْ كُرَيْبٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْبَيْتُ الْمَعْمُورُ فِي السَّمَاءِ يُقَالُ لَهُ الضُّرَاحُ، وَهُوَ عَلَى مِثْلِ الْبَيْتِ الْحَرَامِ بِحِيَالِهِ، لَوْ سَقَطَ لَسَقَطَ عَلَيْهِ، يَدْخُلُهُ كُلَّ يَوْمٍ سَبْعُونَ أَلْفَ
পৃষ্ঠা - ৯১
৷ & ণ্
;,াও;
অর্থাৎ ফলে তাদের মধ্যে দু’ ধনুকের ব্যবধান থাকে অথবা তারও কম ৷ তখন আল্লাহ
তার বান্দার প্রতি যা ওহী করবার তা ওহী করলেন ৷ (৫৩ : ৯ ১ : )
র্তার বান্দার প্রতি’ অর্থাৎ আল্লাহর বান্দা মুহাম্মদ (না)-এর প্রতি ৷
তারপর আল্লাহ বলেন :
৷ দ্বুাৰুব্লু ন্র্টু
অর্থ্যৎ নিশ্চয় সে (মুহাম্মদ) তাকে (জিবরাঈল) আরেকবার দেখেছিল প্রান্তবর্তী কুল
গাছের নিকট, যার নিকট অবস্থিত বাসােদ্যান ৷ যখন বৃক্ষটি , য়দ্দারা আচ্ছাদিত হওয়ার তদ্দারা
ছিল আচ্ছাদিত , তার দৃষ্টি বিভ্রম হয়নি, দৃষ্টি লক্ষচ্যুতও হয়নি ৷ (৫৩ : ১৩ ১ ৭)
সুরা বনী ইস্রাঈলে মিরাজের হাদীসসমুহে আমরা উল্লেখ করেছি যে, সিদরাতুল ঘুনতড়াহা
সপ্তম আকাশে অবস্থিত ৷ অন্য বর্ণনায় আছে, তা ষষ্ঠ আকাশে ৷ এর অর্থ হচ্ছে সিদরাভুল
মুনৃতাহার মুল হলো ষষ্ঠ আকাশে আর তার ভাল পালা হলো সপ্তম আকাশে ৷
যখন সিদরাতুল মুনৃতাহা আল্লাহ তাআলার আদেশে যা তাকে আচ্ছাদিত করার তা তাকে
আচ্ছাদিত করলো এর ব্যাখ্যার কেউ কেউ বলেন, তাকে আচ্ছাদিত করেছে একপাল সোনার
পতঙ্গ ৷ কেউ বলেন, নানা প্রকার রং যার অবর্ণনীয়রুপ তাকে আচ্ছাদিত করে রেখেছে ৷ কারো
কারো মতে, কাকের মত ফেরেশতাগণ তাকে আচ্ছাদিত করে রেখেছে ৷ কেউ কেউ বলেন,
মহান প্রতিপালকের নুর তাকে আচ্ছাদিত করে রেখেছে যার অবর্নণীয় সৌন্দর্য ও ঔজ্জ্বল্য
বর্ণনাতীত ৷ এ অভিমতগুলোর মধ্যে কোন পরস্পর বিরোধিতা নেই ৷ কারণ সবগুলো বিষয়
একই ক্ষেত্রে পাওয়া যেতে পারে ৷
আমরা আরো উল্লেখ করেছি যে, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন : তারপর আমাকে সিদরাতৃল
মুনৃতাহার দিকে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ আমি দেখলাম, তার ফুলগুলাে ঠিক পর্বতের চুড়ার ন্যায় বড়
বড় ৷ অন্য বর্ণনায় আছে, হিজরের পর্বত চুড়ার ন্যায়, আমি আরো দেখতে পেলাম তার
পাতাগুলো হাভীর কানের মত ৷ ’ আরো দেখলাম, তার গোড়া থেকে দুটো অদৃশ্য নদী এবং
দুটো দৃশ্যমান নদী প্রবাহিত হচ্ছে ৷ অদৃশ্য দুবটা গেছে জান্নাতে আর দৃশ্যমান দুটো হচ্ছে নীল
ও ফোরাত ৷ “পৃথিবী ও তার মধ্যকার সাগর ও নদ-নদী সৃষ্টি” শিরোনামে পুর্বে এ বিষয়ে
আলোচনা হয়েছে ৷
উক্ত হাদীসে এও আছে যে, তারপর বায়তৃল মামুরকে আমার সম্মুখে উপস্থাপিত করা হয় ৷
লক্ষ্য করলাম, প্রতিদিন সত্তর হাজার ফেরেশতা তাতে প্রবেশ করেন ৷ তারপর আর কখনো
তারা সেখানে ফিরে আসে না ৷ নবী করীম (সা) আরো জানান যে, তিনি ইব্রাহীম খলীল
(আ)কে রায়তুল মামুরে ঠেস দিয়ে বলা অবস্থায় দেখেছিলেন ৷ এ প্রসঙ্গে আমরা এও বলে
এসেছি যে, বায়তৃল মামুর সপ্তম আকাশে ঠিক তেমনিভাবে অবস্থিত, যেমন পৃথিবীতে কাবার
অবস্থান ৷
مَلَكٍ، ثُمَّ لَا يَرَوْنَهُ قَطُّ، وَإِنَّ لَهُ فِي السَّمَاءِ حُرْمَةً عَلَى قَدْرِ حُرْمَةِ مَكَّةَ» . يَعْنِي فِي الْأَرْضِ. وَهَكَذَا قَالَ الْعَوْفِيُّ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَمُجَاهِدٌ، وَعِكْرِمَةُ، وَالرَّبِيعُ بْنُ أَنَسٍ، وَالسُّدِّيُّ، وَغَيْرُ وَاحِدٍ. وَقَالَ قَتَادَةُ: ذُكِرَ لَنَا «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: يَوْمًا لِأَصْحَابِهِ هَلْ تَدْرُونَ مَا الْبَيْتُ الْمَعْمُورُ؟ قَالُوا: اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ قَالَ: فَإِنَّهُ مَسْجِدٌ فِي السَّمَاءِ بِحِيَالِ الْكَعْبَةِ، لَوْ خَرَّ لَخَرَّ عَلَيْهَا، يُصَلِّي فِيهِ كُلَّ يَوْمٍ سَبْعُونَ أَلْفَ مَلَكٍ، إِذَا خَرَجُوا مِنْهُ لَمْ يَعُودُوا آخِرَ مَا عَلَيْهِمْ» . وَزَعَمَ الضَّحَّاكُ أَنَّهُ تَعْمُرُهُ طَائِفَةٌ مِنَ الْمَلَائِكَةِ يُقَالُ لَهُمُ الْحِنُّ مِنْ قَبِيلَةِ إِبْلِيسَ لَعَنَهُ اللَّهُ. كَانَ يَقُولُ سَدَنَتُهُ وَخُدَّامُهُ مِنْهُمْ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَقَالَ آخَرُونَ: فِي كُلِّ سَمَاءٍ بَيْتٌ يَعْمُرُهُ مَلَائِكَتُهُ بِالْعِبَادَةِ فِيهِ، وَيَفِدُونَ إِلَيْهِ بِالنَّوْبَةِ وَالْبَدَلِ، كَمَا يَعْمُرُ أَهْلُ الْأَرْضِ الْبَيْتَ الْعَتِيقَ بِالْحَجِّ فِي كُلِّ عَامٍ، وَالِاعْتِمَارِ فِي كُلِّ وَقْتٍ، وَالطَّوَافِ وَالصَّلَاةِ فِي كُلِّ آنٍ.
قَالَ سَعِيدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الْأُمَوِيُّ فِي أَوَائِلِ كِتَابِهِ الْمَغَازِي: حَدَّثَنَا أَبُو عُبَيْدٍ فِي حَدِيثِ مُجَاهِدٍ: أَنَّ الْحَرَمَ حَرَامٌ مَنَاهُ يَعْنِي قَدْرَهُ مِنَ السَّمَاوَاتِ السَّبْعِ وَالْأَرَضِينَ السَّبْعِ، وَأَنَّهُ رَابِعُ أَرْبَعَةَ عَشَرَ بَيْتًا ; فِي كُلِّ سَمَاءٍ بَيْتٌ، وَفِي كُلِّ أَرْضٍ بَيْتٌ لَوْ سَقَطَتْ سَقَطَ بَعْضُهَا عَلَى بَعْضٍ، ثُمَّ رَوَى عَنْ مُجَاهِدٍ قَالَ: مَنَاهُ ; أَيْ مُقَابِلُهُ، وَهُوَ حَرْفٌ مَقْصُورٌ، ثُمَّ قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا الْأَعْمَشُ، عَنْ أَبِي سُلَيْمَانَ مُؤَذِّنِ الْحَجَّاجِ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرٍو يَقُولُ: إِنَّ الْحَرَمَ مُحَرَّمٌ فِي السَّمَاوَاتِ السَّبْعِ مِقْدَارُهُ
পৃষ্ঠা - ৯২
সুফিয়ান ছ ৷ওরী, শুব৷ ও আবুল আহওয়াস ইবন ফ৷ ৷ওয়৷ (র) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি
আলী ইবন৷ অ ৷বুত তালিব (রা) কে বায়তু ল মা মুর সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে৩ তিনি বলেছিলেন, তা
আ কাংশ অবস্থিত যুরাহ নামক একটি মসজিদ ৷ কা বার ঠিক বরাবর উপরে তার অবস্থান ৷
পৃথিবীতে বায়তৃল্লাহ্র মর্যাদা যতটুকু আকা ৷শে তার মর্যাদা ঠিক৩ ত ৩টুকু ৷ প্রতিদিন সত্তর হাজার
ফেরেশত৷ তাতে সালাত আদায় করেন য ৷রা দ্বিতীয়বার আর কখনো সেখানে আসেন না ৷ ভিন্ন
সুত্রেও হযরত আলী (রা) থেকে এরুপ বর্ণনা রয়েছে ৷
ইমামত ৷বারানী (র) বর্ণনা করেন যে, ইবন আব্বাস (রা) বলেন রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন
৪“বায়তৃল মা মুর আকাশে অবস্থিত ৷ তাকে যুরাহ নামে অভিহিত করা হয় ৷ বায়তৃল্লাহ্র ঠিক
বরাবর উপরে তার অবন্থ ন ৷ উপর থেকে পড়ে গেলে তা ঠিক তার উপরই এসে পড়বে ৷
প্রতিদিন সত্তর হাজার ফেরেশত৷ তাতে প্রবেশ করেন ৷ তারপর র্তারা তা আর কখনো দেখেন
না ৷ পৃথিবীতে মক্কা শরীফের মর্যাদা যতটুকু আকাশে তার মর্যাদা ঠিক ততটুকু ৷ আওফী
অনুরুপ বর্ণনা ইবন আব্বাস (রা), মুজাহিদ (র) , ইকরিম৷ (রা) , রবী ইবন আনাস (র) ও সুদ্দী
(র) প্রমুখ থেকেও করেছেন ৷
কাতাদা (ব) বলেন, আমাদেরকে জানানো হয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ (সা) একদিন তার
সাহাবাদেরকে জিজ্ঞেস করলেন : তোমরা কি জান, বায়তুল মামুর কী ? জবাবে তারা বললেন,
আল্লাহ এবং তীর রাসুল ই ভালো জানেন ৷ তখন তিনি বললেন০ ং “(বায়তুল মামুব ) কাবার
বরাবর আকাশে অবস্থিত একটি মসজিদ যদি তা উপর থেকে নিচে পড়তে৷ তাহলে কা বার
উপরই পড়তে ৷ ৷ প্রতিদিন সত্তর হাজার ণ্ফরেশত৷ তাতে সালাত আদায় করেন ৷ আর কখনো
তারা ফিরে আসেন না ৷
যাহ্হাক ধারণা করেন যে, বায়তুল মামুবকে ইবলীস গোত্রীয় একদল ফেরেশতা আবাদ
করে থাকেন ৷ এদেরকে জিন বলা হয়ে থাকে ৷ তিনি বলতেন, তার খাদেমরা ঐ গোত্রভুক্ত ৷
আল্লাহই সর্বজ্ঞ ৷
অন্যরা বলেন : প্রতি আকাশে একটি করে ঘর আছে ৷ সংশ্লিষ্ট আকাশের ফেরেশতাগণ
তার মধ্যে ইবাদত করে তাকে আবাদ করে রাখেন ৷ পালড়াক্রমে তারা সেখানে এসে থাকেন
যেভাবে পৃথিবীবাসী প্রতি বছর হজ্জ করে এবং সর্বদা উমরা তাওয়াফ ও সালাতের মাধ্যমে
বায়তুল্লাহকে আবাদ করে রাখে ৷
সাঈদ ইবন ইয়াহ্য়৷ ইবন সাঈদ উমাবী তার আল-মাগাযী কিতাবের শুরুতে বলেছেন :
আবু উবায়দ মুজাহিদ এর হাদীসে বর্ণনা করেছেন যে, সাত আসমান ও সাত যমীনের মধ্যে
হারম শরীফ-এর মর্যাদাকে সমুন্নত করা হয়েছে ৷ এটি চৌদ্দটি গৃহের চতৃর্থটি, প্রতি আসমানে
একটি এবং প্রতি যমীনে একটি করে সম্মানিত ঘর আছে যার একটি উপর থেকে পতিত হলে
তা নিচেরটির উপর গিয়ে পতিত হবে ৷
হাজ্জাজের মুআযট্রুযিন আবু সুলাযমান থেকে আমাশ ও আবু মুআবিয়া সুত্রে সাঈদ ইবন
ইয়াহ্য়৷ বর্ণনা করেন যে, আবু সুলায়মান বলেন, আমি আবদুল্লাহ ইবন আমর (রা ) কে বলতে
শুনেছি৪
مِنَ الْأَرْضِ، وَإِنَّ بَيْتَ الْمَقْدِسِ مُقَدَّسٌ فِي السَّمَاوَاتِ السَّبْعِ مِقْدَارُهُ مِنَ الْأَرْضِ. كَمَا قَالَ بَعْضُ الشُّعَرَاءِ:
إِنَّ الَّذِي سَمَكَ السَّمَاءَ بَنَى لَنَا ... بَيْتًا دَعَائِمُهُ أَشَدُّ وَأَطْوَلُ
وَاسْمُ الْبَيْتِ الَّذِي فِي السَّمَاءِ الدُّنْيَا بَيْتُ الْعِزَّةِ، وَاسْمُ الْمَلَكِ الَّذِي هُوَ مُقَدَّمُ الْمَلَائِكَةِ فِيهَا إِسْمَاعِيلُ، فَعَلَى هَذَا يَكُونُ السَّبْعُونَ أَلْفًا مِنَ الْمَلَائِكَةِ الَّذِينَ يَدْخُلُونَ فِي كُلِّ يَوْمٍ إِلَى الْبَيْتِ الْمَعْمُورِ، ثُمَّ لَا يَعُودُونَ إِلَيْهِ آخِرَ مَا عَلَيْهِمْ: أَيْ لَا تَحْصُلُ لَهُمْ نَوْبَةٌ فِيهِ إِلَى آخِرِ الدَّهْرِ ; يَكُونُونَ مِنْ سُكَّانِ السَّمَاءِ السَّابِعَةِ وَحْدَهَا، وَلِهَذَا قَالَ تَعَالَى: {وَمَا يَعْلَمُ جُنُودَ رَبِّكَ إِلَّا هُوَ} [المدثر: 31] .
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَسْوَدُ بْنُ عَامِرٍ، حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُهَاجِرٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ مُوَرِّقٍ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنِّي أَرَى مَا لَا تَرَوْنَ، وَأَسْمَعُ مَا لَا تَسْمَعُونَ أَطَّتِ السَّمَاءُ، وَحُقَّ لَهَا أَنْ تَئِطَّ ; مَا فِيهَا مَوْضِعُ أَرْبَعِ أَصَابِعَ إِلَّا عَلَيْهِ مَلَكٌ سَاجِدٌ، لَوْ عَلِمْتُمْ مَا أَعْلَمُ لَضَحِكْتُمْ قَلِيلًا وَلَبَكَيْتُمْ كَثِيرًا، وَلَمَا تَلَذَّذْتُمْ بِالنِّسَاءِ عَلَى الْفُرُشَاتِ، وَلَخَرَجْتُمْ إِلَى الصُّعُدَاتِ تَجْأَرُونَ إِلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ» . فَقَالَ أَبُو ذَرٍّ: وَاللَّهِ لَوَدِدْتُ أَنِّي شَجَرَةٌ تُعْضَدُ. رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ، وَابْنُ مَاجَهْ مِنْ حَدِيثِ إِسْرَائِيلَ فَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَسَنٌ غَرِيبٌ، وَيُرْوَى عَنْ أَبِي ذَرٍّ مَوْقُوفًا.
পৃষ্ঠা - ৯৩
-ষ্;১দ্বু১৷ ৷ গো ৷
অর্থাৎ হারম শরীফ সাত আকাশে বিশেষভাবে সম্মানিত ৷ পৃথিবীতে তার অবস্থান ৷ তার
বায়তৃল মুকাদ্দাসও সাত আকাশে সম্মানিত ৷ তার অবস্থানও পৃথিবীতে ৷
যেমন কোন এক করি বলেন :
প্রুএে ৷ এ
অর্থাৎ আকাশকে যিনি উধের্ব স্থাপন করেছেন; তিনি তার জন্য একটি ঘর নির্মাণ
করেছেন যার স্তম্ভগুলো অত্যন্ত মজবুত ও দীর্ঘ ৷
আকাশে অবস্থিত ঘরটির নাম হলো, বায়তুল ইষ্যাত এবং তার রক্ষণাবেক্ষণকারী
ফেরেশতাদের যিনি প্রধান, তার নাম হলো ইসমাঈল ৷ সত্তর হাজার ফেরেশতা প্রতিদিন বায়তুল
মামুরে প্রবেশ করেন এবং পরে কোনদিন সেখানে ফিরে আসার সুযোগ পান না ৷ তারা কেবল
সপ্তম আকাশেরই অধিবাসী ৷ অন্য আকাশের ফিরিশতাগণের তো প্রশ্নই উঠে না ৷ আর এ
জন্যই আল্লাহ তাআলা বলেন :
, অর্থাৎ তোমার প্রতিপালকের বাহিনী সম্পর্কে একমাত্র তিনিই জানেন ৷ (৭৪ : ৩১)
ইমাম আহমদ (র) বর্ণনা করেন যে, আবুযর (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন :
নিশ্চয় আমি এমন অনেক কিছু বেশি , যা তোমরা দেখতে পাও না এবং এমন অনেক কিছু
শুনি, যা তোমরা শুনতে পাও না ৷ আকাশ চড় চড় শব্দ করে ৷ আর তার চড় চড় শব্দ করারই
কথা ৷ আকাশে চার আব্দুল পরিমাণ জায়পাও খালি নেই যাতে কোন ফেরেশতা সিজদায় না
পড়ে আছেন ৷ আমি যা জানি, তোমরা যদি তা জানতে, তাহলে তোমরা অল্প হাসতে ও বেশি
র্কাদতে ৷ শয্যায় নারী সন্তোগ করতে না এবং ল্যেকালর ত্যাগ করে বিজন প্রাম্ভরে চলে গিয়ে
উচ্চস্বরে আল্লাহর নিকট দৃআ করতে থাকতে
একথা শুনে আবুযর (বা) বলে উঠলেন, ৷এ
অর্থাৎ আল্লাহর শপথ ৷ আমি খুশি হতাম যদি আমি বৃক্ষ রুপে জন্মগ্নহণ করে কর্তিত হয়ে
যেতাম ৷
ইমাম তিরমিযী ও ইবন মাজাহ্ (র) ইসরাঈলের হাদীস থেকে এ হাদীসটি বণ্টা৷ করেছেন ৷
ইমাম তিরমিযী (র) হাদীসটি হাসান গরীব বলে মন্তব্য করেছেন ৷ আবার আবু মর (রা) থেকে
মওকুফ সুত্রেও হাদীসটি বর্ণিত হয়ে থাকে ৷
তাবারানী (র) বর্ণনা করেন যে, জাবির (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন : সাত
আকাশে কোথাও এক পা, এক বিঘত বা এক করতল পরিমাণ স্থান ফীকা নেই ৷ যাতে কোন না
কোন ফেরেশতা হয় দাড়িয়ে আছেন, কিৎরা সিজদায় পড়ে আছেন নতুবা রুকুরত আছেন ৷
তারপর যখন কিয়ড়ামতের দিন আসবে তখন তারা সকলে বলবেন, আমরা আপনার ইবাদতের
হক আদায় করতে পারিনি ৷ তবে আমরা আপনার সাথে কোন কিছু শরীক সাব্যস্ত করিনি ৷
وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو الْقَاسِمِ الطَّبَرَانِيُّ: حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ عَرَفَةَ الْمِصْرِيُّ، حَدَّثَنَا عُرْوَةُ بْنُ مَرْوَانَ الرَّقِّيُّ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ عَبْدِ الْكَرِيمِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا فِي السَّمَاوَاتِ السَّبْعِ مَوْضِعُ قَدَمٍ وَلَا شِبْرٍ وَلَا كَفٍّ إِلَّا وَفِيهِ مَلَكٌ قَائِمٌ أَوْ مَلَكٌ سَاجِدٌ أَوْ مَلَكٌ رَاكِعٌ فَإِذَا كَانَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ قَالُوا جَمِيعًا: مَا عَبَدْنَاكَ حَقَّ عِبَادَتِكَ إِلَّا أَنَّا لَا نُشْرِكُ بِكَ شَيْئًا» . فَدَلَّ هَذَانِ الْحَدِيثَانِ عَلَى أَنَّهُ مَا مِنْ مَوْضِعٍ فِي السَّمَاوَاتِ السَّبْعِ إِلَّا وَهُوَ مَشْغُولٌ بِالْمَلَائِكَةِ، وَهُمْ فِي صُنُوفٍ مِنَ الْعِبَادَةِ ; مِنْهُمْ مَنْ هُوَ قَائِمٌ أَبَدًا، وَمِنْهُمْ مَنْ هُوَ رَاكِعٌ أَبَدًا، وَمِنْهُمْ مَنْ هُوَ سَاجِدٌ أَبَدًا، وَمِنْهُمْ مَنْ هُوَ فِي صُنُوفٍ أُخَرَ اللَّهُ أَعْلَمُ بِهَا، وَهُمْ دَائِمُونَ فِي عِبَادَتِهِمْ، وَتَسْبِيحِهِمْ، وَأَذْكَارِهِمْ، وَأَعْمَالِهِمُ الَّتِي أَمَرَهُمُ اللَّهُ بِهَا، وَلَهُمْ مَنَازِلُ عِنْدَ رَبِّهِمْ كَمَا قَالَ تَعَالَى: {وَمَا مِنَّا إِلَّا لَهُ مَقَامٌ مَعْلُومٌ وَإِنَّا لَنَحْنُ الصَّافُّونَ وَإِنَّا لَنَحْنُ الْمُسَبِّحُونَ} [الصافات: 164]
[الصَّافَّاتِ: 164 - 166] . وَقَالَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَلَا تَصُفُّونَ كَمَا تَصُفُّ الْمَلَائِكَةُ عِنْدَ رَبِّهَا قَالُوا: وَكَيْفَ يَصُفُّونَ عِنْدَ رَبِّهِمْ؟ قَالَ: يُتِمُّونَ الصُّفُوفَ الْأُوَلَ، وَيَتَرَاصُّونَ فِي الصَّفِّ» .
পৃষ্ঠা - ৯৪
وَقَالَ «فُضِّلْنَا عَلَى النَّاسِ بِثَلَاثٍ ; جُعِلَتْ لَنَا الْأَرْضُ مَسْجِدًا، وَتُرْبَتُهَا لَنَا طَهُورًا، وَجُعِلَتْ صُفُوفُنَا كَصُفُوفِ الْمَلَائِكَةِ» . «وَكَذَلِكَ يَأْتُونَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ بَيْنَ يَدَيِ الرَّبِّ جَلَّ جَلَالُهُ صُفُوفًا» . كَمَا قَالَ تَعَالَى: {وَجَاءَ رَبُّكَ وَالْمَلَكُ صَفًّا صَفًّا} [الفجر: 22] . وَيَقِفُونَ صُفُوفًا بَيْنَ يَدَيْ رَبِّهِمْ عَزَّ وَجَلَّ يَوْمَ الْقِيَامَةِ. كَمَا قَالَ تَعَالَى: {يَوْمَ يَقُومُ الرُّوحُ وَالْمَلَائِكَةُ صَفًّا لَا يَتَكَلَّمُونَ إِلَّا مَنْ أَذِنَ لَهُ الرَّحْمَنُ وَقَالَ صَوَابًا} [النبأ: 38] . وَالْمُرَادُ بِالرُّوحِ هَاهُنَا بَنُو آدَمَ. قَالَهُ ابْنُ عَبَّاسٍ، وَالْحَسَنُ، وَقَتَادَةُ. وَقِيلَ: ضَرْبٌ مِنَ الْمَلَائِكَةِ يُشْبِهُونَ بَنِي آدَمَ فِي الشَّكْلِ. قَالَهُ ابْنُ عَبَّاسٍ، وَمُجَاهِدٌ، وَأَبُو صَالِحٍ، وَالْأَعْمَشُ. وَقِيلَ: جِبْرِيلُ. قَالَهُ الشَّعْبِيُّ، وَسَعِيدُ بْنُ جُبَيْرٍ، وَالضَّحَّاكُ. وَقِيلَ: مَلَكٌ يُقَالُ لَهُ: الرُّوحُ بِقَدْرِ جَمِيعِ الْمَخْلُوقَاتِ. قَالَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَلْحَةَ: عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَوْلُهُ: {يَوْمَ يَقُومُ الرُّوحُ} [النبأ: 38] . قَالَ: هُوَ مَلَكٌ مِنْ أَعْظَمِ الْمَلَائِكَةِ خُلُقًا. وَقَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ خَلَفٍ الْعَسْقَلَانِيُّ، حَدَّثَنَا رَوَّادُ بْنُ الْجَرَّاحِ، عَنْ أَبِي حَمْزَةَ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: الرُّوحُ فِي السَّمَاءِ الرَّابِعَةِ هُوَ أَعْظَمُ مِنَ السَّمَاوَاتِ وَالْجِبَالِ، وَمِنَ الْمَلَائِكَةِ يُسَبِّحُ كُلَّ يَوْمٍ اثْنَيْ عَشَرَ أَلْفَ تَسْبِيحَةٍ يَخْلُقُ اللَّهُ مِنْ كُلِّ تَسْبِيحَةٍ
পৃষ্ঠা - ৯৫
এ হাদীসদ্বয় প্রমাণ করে যে, সাত আকাশের এমন কোন স্থান নেই যেখানে কোন কোন
ফেরেশতা বিভিন্ন প্রকার ইবাদতে লিপ্ত নন ৷ কেউ সদা দণ্ডায়মান, কেউ সদা সিজদারত আবার
কেউবা অন্য কোন ইবাদতে ব্যস্ত আছেন ৷ আল্লাহ তাআলার আদেশ মতে তারা সর্বদাই তাদের
ইবাদত, ভাসবীহ, যিকির-আযকার ও অন্যান্য আমলে নিযুক্ত রয়েছেন ৷ আবার আল্লাহর নিকট
তাদের রয়েছে বিভিন্ন স্তর ৷ যেমন আল্লাহ তা আলা বলেনং :
র্টু১ট্টড্রু
অর্থাৎ আমাদের প্রত্যেকের জন্যই নির্ধারিত স্থান আছে এবং আমরা তো সারিবদ্ধভাবে
দণ্ডায়মান এবং আমরা অবশ্যই তার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণাকারী ৷ (৩৭ : ১৬৪ ১৬৬)
অন্য এক হাদীসে নবী করীম (সা) বলেন : ফেরেশতাগণ তাদের প্রতিপালকের নিকট
যেভাবে সারিবদ্ধ হয়; তোমরা কি সেভাবে সারিরদ্ধ হতে পার না ? সাহাবাগণ জিজ্ঞেস করলেন,
তারা তাদের প্রতিপালকের নিকট কিভাবে সারিবদ্ধ হয় ? জবাবে রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন৪
র্তারা প্রথম সারি পুর্ণ করে নেয় এবং সারি যথা নিয়মে সোজা করে নেয় ৷
অন্য এক হাদীসে তিনি বলেন :
৷ ,,ধ্ান্
অর্থাৎ তিনভাবে অন্যদের উপর আমাদেরকে শ্রেষ্ঠতু দেয়৷ হয়েছে ৷ গোটা পৃথিবীকে
আমাদের জন্য মসজিদ এবং তার মাটিকে আমাদের জন্য পাক বানানো হয়েছে ৷ আর আমাদের
, সারিসমুহকে ফেরেশতাদের সারির মর্যাদা দান করা হয়েছে ৷
অনুরুপ কিয়ামতের দিনও তারা মহান প্রতিপালকের সম্মুখে সারিবদ্ধভাবে উপস্থিত হয়ে ৷
যেমন আল্লাহ তাআলা বলেন০ ; ৷হৃঠু
অর্থাৎ-আর যখন৫ তামার প্রতিপালক উপস্থিত হবেন এবং সারিবদ্ধভাবে ফেরেশতাগণও ৷
(৮৯৪ ২২)
তারপর তারা তাদের প্রতিপালকের সম্মুখে সারিবদ্ধভাবে দৃণ্ডায়মান হবে ৷ যেমন আল্লাহ্
তাআলা,রলেন০ ং
া
এ এ ন্
৷ , রু; দ্বুদ্বুপু ৷ ন্দ্বু;ৰুপু র্বৃ,র্মু
এঞঠু
অর্থাৎ সেদিন রুহ ও ফেরেশ৩ ৷গণ সারিবদ্ধভাবে দাড়াবে; দয়াময় যাকে অনুমতি
দেবেন; সে ব্যতীত অন্যরা কথা বলবে না এবং সে যথার্থ বলবে ৷ (৭৮০ ৩৮)
এখানে ৰু ’;;fl ৷ শব্দ দ্বারা আদম-সন্তান বুঝানো হয়েছে ৷ ইবন আব্বাস (র), হাসান ও
ক তাদা (র) এ অভিমত ৩ব্যক্ত করেছেন ৷ কেউ কেউ বলেন ৰু এে ৷ ৷ হলো, ফেরেশতাদের
একটি শ্রেণী; আকারে র্ষারা আদম-সন্তানের সাথে সাদৃশ্যরাখেন ৷ ইবন আব্বাস (র), মুজাহিদ,
مَلَكًا مِنَ الْمَلَائِكَةِ يَجِيءُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ صَفًّا وَحْدَهُ. وَهَذَا غَرِيبٌ جِدًّا.
وَقَالَ الطَّبَرَانِيُّ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الْحَكِيمِ الْمِصْرِيُّ، حَدَّثَنَا وَهْبُ اللَّهِ بْنُ رِزْقٍ أَبُو هُرَيْرَةَ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ بَكْرٍ، حَدَّثَنَا الْأَوْزَاعِيُّ حَدَّثَنِي عَطَاءٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «إِنَّ لِلَّهِ مَلَكًا لَوْ قِيلَ لَهُ: الْتَقِمِ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرَضِينَ بِلَقْمَةٍ وَاحِدَةٍ لَفَعَلَ، تَسْبِيحُهُ: سُبْحَانَكَ حَيْثُ كُنْتَ» . وَهَذَا أَيْضًا حَدِيثٌ غَرِيبٌ جِدًّا، وَقَدْ يَكُونُ مَوْقُوفًا. وَذَكَرْنَا فِي صِفَةِ حَمَلَةِ الْعَرْشِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَذِنَ لِي أَنْ أُحَدِّثَ عَنْ مَلَكٍ مِنْ مَلَائِكَةِ اللَّهِ مِنْ حَمَلَةِ الْعَرْشِ إِنَّ مَا بَيْنَ شَحْمَةِ أُذُنِهِ إِلَى عَاتِقِهِ مَسِيرَةُ سَبْعِمِائَةِ عَامٍ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ، وَابْنُ أَبِي حَاتِمٍ، وَلَفْظُهُ " «مَخْفِقُ الطَّيْرِ سَبْعُمِائَةِ عَامٍ» . "
وَقَدْ وَرَدَ فِي صِفَةِ جِبْرِيلَ عَلَيْهِ السَّلَامُ أَمْرٌ عَظِيمٌ: قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {عَلَّمَهُ شَدِيدُ الْقُوَى} [النجم: 5] . قَالُوا: كَانَ مِنْ شِدَّةِ قُوَّتِهِ أَنَّهُ رَفَعَ مَدَائِنَ قَوْمِ لُوطٍ، وَكُنَّ سَبْعًا بِمَنْ فِيهَا مِنَ الْأُمَمِ، وَكَانُوا قَرِيبًا مِنْ أَرْبَعِمِائَةِ
পৃষ্ঠা - ৯৬
আবু সালিহ ও আ মাশ এ কথা বলেছেন ৷ কেউ বলেন, ৰুগ্লুদ্বু৷ ৷ হলেন জিবরাঈল (আ) ৷ এ
অভিমত শা বী, সাঈদ ইবন জুবায়র ও যিহাক (র) এর ৷ আবার কেউ বলেন ৰুদ্বুট্রু র্ট৷ এমন
একজন ফেরেশতার নাম, যার অবয়ব গোটা সৃষ্টি জগতের সমান ৷ আলী ইবন আবু তালহা
ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে,৩ তিনি বলেন, ৰুদ্বুদ্বু ৷ এমন একজন ফেরেশতা
যিনি দৈহিক গঠনে ফেরেশত৷ জগতে সর্বৃশ্রেষ্ঠদের অন্যতম ৷ প্
ইবন মাসউদ (বা) সুত্রে ইবন জারীর (র) বর্ণনা করেন যে , ইবন মাসউদ (রা) বলেন :
ৰুদ্বুদ্বু চতুর্থ আকাশে অবস্থান করেন ৷ আকাশসমুহের সবকিছু এবং পাহাড় পর্বত অপেক্ষাও
বৃহৎ ৷ তিনি ফেরেশতাদের অন্তর্ভুক্ত ৷ প্রতিদিন তিনি বার হাজ৷ র তাসবীহ পাঠ করেন ৷ প্রতিটি
তাসবীহ থেকে আল্লাহ তা জানা একজন করে ফেরেশত৷ সৃষ্টি করেন ৷ কিয়ামত্ত তর দিন একাই
তিনি এক সারিতে দণ্ড ৷য়মান হবেন ৷ তবে এ বর্ণনাটি একান্তই গরীব শ্রেণীভুক্ত ৷
তাবারানী (ব) বর্ণনা করেন যে, ইবন আব্বাস (রা) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (না)-কে
বলতে শুনেছি যে, “আল্লাহর এমন একজন ফেরেশত৷ আছেন,৩ তাকে যদি বলা হয় যে, তুমি
এক গ্রামে আকাশ ও পৃথিবীসমুহকে গিলে ফেল; তবে তিনি তা করতে সক্ষম ৷ তার তাসবীহ
হলো, ৷;াট্রর্ন্ত ২ ;র্ট১ এ১া১ ১০১০ এ হাদীসটিও অত্যন্ত গরীব ৷ কোন কোন রিওয়ায়তে
হাদীসটি মওকুফ রুপে বর্ণিত ৷
আরশ বহনকারী ফেরেশতাদের বিবরণে আমরা জাবির ইবন আবদুল্লাহ (বা) সুত্রে উল্লেখ
করেছি যে, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন৪ “আরশ বহনকারী আল্লাহর ফেরেশতাদের এক
ফেরেশত৷ সম্পর্কে বলার জন্য আমাকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে ৷৩ তার কানের লতি থােক কাধ
পর্যন্ত সাতশ’ বছরের দুরতৃ ৷” দাউদ ও ইবন আবু হাতিম (র) তা বর্ণনা করেছেন ৷ আবু
হাতিমের পাঠে আছে পাখির গতির সাতশ’ বছর ৷
জিবরাঈল (আ) এর পরিচিতি অধ্যায়ে একটি গুরুত্বপুর্ণ তথা বর্ণিত হয়েছে ৷ আল্লাহ
তা আলা বলেনং : এে১কু ৷১ অর্থাৎ-তাকে শিক্ষাদান করে শক্তিশালী ৷ (৫৩ : ৫)
এ আয়াতের ব্যাখ্যায় আলিমগণ বলেন, জিবরাঈল (আ) তার প্রবল শক্তি দ্বারা লুত
(আ) এর সম্প্রদায়ের বসতিগুলাে-যা ছিল সাতটি তাতে বসবাসকারী লোকজন যারা ছিল
প্রায় চার লাখ এবং তাদের পশু পক্ষী, ব্জীব-জানােয়ার, জমি-জমা, অট্টালিকাদিসহ তার একটি
ডানার কোণে তুলে নিয়ে তিনি উর্ধ্ব আকাশে পৌছে যান ৷ এমনকি ফেরেশতাগণ কুকুরের ঘেউ
যেউ ও মুরগীর আওয়াজ পর্যন্ত শুনতে পান ৷ তারপর তিনি তাকে উল্টিয়ে উপর দিক নিচে করে
দেন ৷ এটাই হলো এে১ট্রুশু৷ ৷ঝু এর তাৎপর্য ৷ আল্লাহর বাণীং : ;দ্বু০টু১ অর্থ অপরুপ সুন্দর
আকৃতিসম্পন্ন ৷ যেমন অন্য আয়াতে আল্লাহ তা জানা বলেন০ :ণ্হুপুর্বু র্টগ্লুন্শুটু পুদ্বুদ্বুার্ধর্দু
নিশ্চয় এ কুরআন এক সম্মানিত রাসুলের বাহিত বার্তা ৷ (৬৯০০ ৪০)
’§§,$ (দ্বুকুদ্বু অর্থাৎ জিবরাঈল (আ) রাসুলুল্লাহ্র দুত করীম সুদর্শন ৷
ঙপ্রুধ্ এে১ অর্থ প্রবল শক্তিমড়ান এেএ অর্থ আরশের
মহান অধিপতির নিকটে তার উচ্চ মর্যাদা রয়েছে ৷ ৰুার্মুপুগু অর্থ উর্ধ্ব জগতে তিনি সকলের
أَلْفٍ، وَمَا مَعَهُمْ مِنَ الدَّوَابِّ وَالْحَيَوَانَاتِ، وَمَا لِتِلْكَ الْمُدُنِ مِنَ الْأَرَاضِي وَالْمُعْتَمَلَاتِ وَالْعِمَارَاتِ وَغَيْرِ ذَلِكَ، رَفَعَ ذَلِكَ كُلَّهُ عَلَى طَرَفِ جَنَاحِهِ حَتَّى بَلَغَ بِهِنَّ عَنَانَ السَّمَاءِ، حَتَّى سَمِعَتِ الْمَلَائِكَةُ نُبَاحَ كِلَابِهِمْ وَصِيَاحَ دِيكَتِهِمْ، ثُمَّ قَلَبَهَا فَجَعَلَ عَالِيَهَا سَافِلَهَا. فَهَذَا هُوَ شَدِيدُ الْقُوَى. وَقَوْلُهُ: {ذُو مِرَّةٍ} [النجم: 6] . أَيْ خَلْقٍ حَسَنٍ وَبَهَاءٍ وَسَنَاءٍ، كَمَا قَالَ فِي الْآيَةِ الْأُخْرَى: {إِنَّهُ لَقَوْلُ رَسُولٍ كَرِيمٍ} [التكوير: 19] . أَيْ: جِبْرِيلُ رَسُولٌ مِنَ اللَّهِ " كَرِيمٌ ". أَيْ: حَسَنُ الْمَنْظَرِ " ذِي قُوَّةٍ ". أَيْ: لَهُ قُوَّةٌ وَبَأْسٌ شَدِيدٌ {عِنْدَ ذِي الْعَرْشِ مَكِينٍ} [التكوير: 20] . أَيْ: لَهُ مَكَانَةٌ وَمَنْزِلَةٌ عَالِيَةٌ رَفِيعَةٌ عِنْدَ اللَّهِ ذِي الْعَرْشِ الْمَجِيدِ. " مُطَاعٍ ثَمَّ ". أَيْ: مُطَاعٍ فِي الْمَلَأِ الْأَعْلَى " أَمِينٍ ". أَيْ: ذِي أَمَانَةٍ عَظِيمَةٍ، وَلِهَذَا كَانَ هُوَ السَّفِيرَ بَيْنَ اللَّهِ وَبَيْنَ أَنْبِيَائِهِ عَلَيْهِمُ السَّلَامُ الَّذِي يَنْزِلُ عَلَيْهِمْ بِالْوَحْيِ فِيهِ الْأَخْبَارُ الصَّادِقَةُ، وَالشَّرَائِعُ الْعَادِلَةُ. وَقَدْ كَانَ يَأْتِي إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَيَنْزِلُ عَلَيْهِ فِي صِفَاتٍ مُتَعَدِّدَةٍ كَمَا قَدَّمْنَا. وَقَدْ رَآهُ عَلَى صِفَتِهِ الَّتِي خَلَقَهُ اللَّهُ عَلَيْهَا مَرَّتَيْنِ، لَهُ سِتُّمِائَةِ جَنَاحٍ كَمَا رَوَى الْبُخَارِيُّ، عَنْ طَلْقِ بْنِ غَنَّامٍ، عَنْ زَائِدَةَ، عَنِ الشَّيْبَانِيِّ قَالَ: سَأَلْتُ زِرًّا، عَنْ قَوْلِهِ: {فَكَانَ قَابَ قَوْسَيْنِ أَوْ أَدْنَى فَأَوْحَى إِلَى عَبْدِهِ مَا أَوْحَى} [النجم: 9]
[النَّجْمِ: 9 10] . قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ يَعْنِي ابْنَ مَسْعُودٍ: «أَنَّ مُحَمَّدًا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَأَى جِبْرِيلَ لَهُ سِتُّمِائَةِ جَنَاحٍ» .
পৃষ্ঠা - ৯৭
অনুকরণীয় ৷ ট্রুঙ্কুন্ণ্ ৷ অর্থ তিনি গুরুতৃপুর্ণ আমানতে তর অধিকারী ৷ এ জন্যই তিনি আল্লাহ ও
নবীগণের মাঝে দুত হওয়ার সৌভাগ্য লাভ করেছিলেন, যিনি তাদের উপর সত্য সংবাদ ও
তারসামপুর্ণ শরীয়ত সম্বলিত ওহী না ৷যিল করতে ন ৷ তিনি রাসুলুল্লাহ (স ) এর নিকট আগমন
করতেন ৷ ত ৷র ৷নিকট তিনি অবতরণ করতে ন বিভিন্ন রুপে ৷ যেমন আমরা পুর্বে বর্ণনা করেছি ৷
আল্লাহ তাআল৷ জিবরাঈল (আ)-কে যে আকৃতিতে সৃষ্টি করেছেন; রাসুলুল্লাহ (স৷ ) সে
আকৃতিতে তাকে দু’বার দেখেছেন ৷ তার রয়েছে ছ’শ ডানা ৷ যেমন ইমাম বুখারী (র) তাল্ক
ইবন গান্নাম ও যায়েদ৷ শায়বানী (র) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ যায়েদ৷ শায়বানী (র ) বলেন, আমি
যিৱ (র) কে আল্লাহর বাণী৪
(
১র্গো গ্রষ্কে ত্ব
সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তিনি বললেন : আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (বা) আমার নিকট বর্ণনা
করেছেন যে, মুহাম্মদ (সা) জিবরাঈল (আ) কে তার ছ’শ ডানাসহ দেখেছেন ৷
ইমাম আহমদ (র) বর্ণনা করেন যে, আবদুল্লাহ বলেন : রাসুলুল্লাহ (সা) জিবরাঈল
(আ) কে ত ৷র ৷নিজ আকৃতিতে দেখেছেন ৷ তার ছ’শ ডানা ছিল ৷ প্রতিটি ডানা দিগন্ত আচ্ছাদিত
করে ফেলেছিল ৷৩ তার ডানা থেকে ঝরে পড়ছিল নানা বর্ণের মুক্তা ও ইয়াকুত ৷ এ সম্পর্কে
আল্লাহ্ই সমধিক অবহিত ৷
ইমাম আহমদ (র) বর্ণনা করেন যে, ইবন মাসউদ (রা)পুা; ’ ,ন্ ৷ fl, ং ৷ ১ট্রু€এট্রু
মোঃ ৷ ;দ্বুট্রু এ আয়াতেব ব্যাখ্যার বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন৪ আমি জিবরাঈল
(আ) কে দেখেছি ৷ত তার ছ শ ডানা ছিল ৷৩ারত পালক থেকে নানা বর্ণের মণি-মুক্তা ছড়িয়ে
পড়ছিল ৷
আহমদ (র) বর্ণনা করেন যে, ইবন মাসউদ (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ (না) বলেছেন :
“আমি সিদরাতুল মুনতাহা’র নিকট জিবরাঈল (আ)-কে দেখেছি ৷ তখন ছিল তার ছ’শ ডানা ৷
হুসায়ন (বা) বলেন, আমি আসিমকে ডানাসমুহ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি আমাকে তা
জানাতে অস্বীকৃতি জা ৷ন ৷ পরে ত ৷র ৷জনৈক সং গী আমাকে জা ৷নান যে ত ৷র ডানা পৃথিবীর পুর্ব
ও পশ্চিমের মধ্যবর্তী দুরত্বে র সমান ৷ উল্লেখ্য যে এ রিওয়ায়ে৩ গুলোর সনদ উত্তম ও
নির্ভরযোগ্য ৷ ইমাম আহমদ (র) এককতা ৷বেই৩ ৷বর্ণনা করেছেন ৷
ইমাম আহমদ (র) বর্ণনা করেন যে, শাকীক (র) বলেন, আমি ইবন মাসউদ (রা) কে
বলতে শুনেছি যে, রাসুলুল্লাহ (না) বলেছেন৪ “আমি জিবরাঈলকে তারুণ্য দীপ্ত যুবকের
আকৃত্যিত দেখেছি, যেন তার সাথে মুক্ত৷ ঝুলছে” ৷ এর সনদ সহীহ ৷
আবদুল্লাহ (যা) থেকে ইবন জারীর (র) বর্ণনা করেন যে, আবদুল্লাহ (বা) ;’;$’ ঙ্
প্রুার্চুাঠু পুাদ্বুএ৷ এ আঘাতের ব্যাখ্যার বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা ) জিবরাঈল (আ)-কে সুক্ষ্ম
রেশমের তৈরি দুই জোড়া পোশাক পরিহিত অবস্থায় দেখেছেন ৷ তিনি তখন আকাশ ও পৃথিবীর
মধ্যবর্তী গোটা স্থান জুড়ে অবস্থান করছিলেন ৷ ’ এর সনদও উত্তম ও প্রামাণ্য ৷
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ جَامِعِ بْنِ أَبِي رَاشِدٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: «رَأَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جِبْرِيلَ فِي صُورَتِهِ، وَلَهُ سِتُّمِائَةِ جَنَاحٍ ; كُلُّ جَنَاحٍ مِنْهَا قَدْ سَدَّ الْأُفُقَ، يُسْقِطُ مِنْ جَنَاحِهِ مِنَ التَّهَاوِيلِ مِنَ الدُّرِّ وَالْيَاقُوتِ مَا اللَّهُ بِهِ عَلِيمٌ» . وَقَالَ أَحْمَدُ أَيْضًا: حَدَّثَنَا حَسَنُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ بَهْدَلَةَ، عَنْ زِرِّ بْنِ حُبَيْشٍ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ فِي هَذِهِ الْآيَةِ: {وَلَقَدْ رَآهُ نَزْلَةً أُخْرَى عِنْدَ سِدْرَةِ الْمُنْتَهَى} [النجم: 13]
[النَّجْمِ 13 - 14] . قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «رَأَيْتُ جِبْرِيلَ وَلَهُ سِتُّمِائَةِ جَنَاحٍ يَنْتَثِرُ مِنْ رِيشِهِ التَّهَاوِيلُ ; الدُّرُّ وَالْيَاقُوتُ» . وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ، حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ، حَدَّثَنِي عَاصِمُ بْنُ بَهْدَلَةَ سَمِعْتُ شَقِيقَ بْنَ سَلَمَةَ يَقُولُ: سَمِعْتُ ابْنَ مَسْعُودٍ يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «رَأَيْتُ جِبْرِيلَ عَلَى سِدْرَةِ الْمُنْتَهَى وَلَهُ سِتُّمِائَةِ جَنَاحٍ» . فَسَأَلْتُ عَاصِمًا عَنِ الْأَجْنِحَةِ فَأَبَى أَنْ يُخْبِرَنِي. قَالَ: فَأَخْبَرَنِي بَعْضُ أَصْحَابِهِ أَنَّ الْجَنَاحَ مَا بَيْنَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ. وَهَذِهِ أَسَانِيدٌ جَيِّدَةٌ قَوِيَّةٌ. انْفَرَدَ بِهَا أَحْمَدُ.
وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ، حَدَّثَنِي حُسَيْنٌ، حَدَّثَنِي
পৃষ্ঠা - ৯৮
حُصَيْنٌ، حَدَّثَنِي شَقِيقٌ سَمِعْتُ ابْنَ مَسْعُودٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَتَانِي جِبْرِيلُ فِي خَضْرٍ تَعَلَّقَ بِهِ الدُّرُّ» . إِسْنَادُهُ صَحِيحٌ. وَقَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: حَدَّثَنَا ابْنُ بَزِيعٍ الْبَغْدَادِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ قَالَ: حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ {مَا كَذَبَ الْفُؤَادُ مَا رَأَى} [النجم: 11] . قَالَ: «رَأَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جِبْرِيلَ عَلَيْهِ حُلَّتَا رَفْرَفٍ قَدْ مَلَأَ مَا بَيْنَ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ» . إِسْنَادٌ جَيِّدٌ قَوِيٌّ.
وَفِي الصَّحِيحَيْنِ مِنْ حَدِيثِ عَامِرٍ الشَّعْبِيِّ، عَنْ مَسْرُوقٍ قَالَ: كُنْتُ عِنْدَ عَائِشَةَ فَقُلْتُ: أَلَيْسَ اللَّهُ يَقُولُ: {وَلَقَدْ رَآهُ بِالْأُفُقِ الْمُبِينِ} [التكوير: 23] . {وَلَقَدْ رَآهُ نَزْلَةً أُخْرَى} [النجم: 13] . فَقَالَتْ: أَنَا أَوَّلُ هَذِهِ الْأُمَّةِ سَأَلَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْهَا فَقَالَ: إِنَّمَا ذَاكَ جِبْرِيلُ لَمْ يَرَهُ فِي صُورَتِهِ الَّتِي خُلِقَ عَلَيْهَا إِلَّا مَرَّتَيْنِ، رَآهُ مُنْهَبِطًا مِنَ السَّمَاءِ إِلَى الْأَرْضِ سَادًّا عِظَمُ خَلْقِهِ مَا بَيْنَ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ.
وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ ذَرٍّ، (ح) وَحَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ عُمَرَ بْنِ ذَرٍّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِجِبْرِيلَ: أَلَا تَزُورُنَا أَكْثَرَ مِمَّا تَزُورُنَا قَالَ: فَنَزَلَتْ: {وَمَا نَتَنَزَّلُ إِلَّا بِأَمْرِ رَبِّكَ لَهُ مَا بَيْنَ أَيْدِينَا وَمَا خَلْفَنَا} [مريم: 64] » [مَرْيَمَ: 64] . الْآيَةَ. وَرَوَى الْبُخَارِيُّ مِنْ حَدِيثِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَجْوَدَ النَّاسِ
পৃষ্ঠা - ৯৯
সহীহ বুখারী ও মুসলিম শরীফে আছে যে, মাসরুক বলেন, আমি একদিন আয়েশা
(রা) এর নিকট ছিলাম ৷ তখন আমি বললাম, আল্লাহ্ ৷ আলা কি একথা বলছেন না যে,
£,,££fl র্বৃছুৰুা^৷০ : , ^০ম্বুাদ্বু সে তো (মুহাম্মদ)৩ তাকে (জিবরঈলকে) স্পষ্ট দিগন্তে দেখেছে ৷
(৮১ং : ২৯) প্রু, ৷ রুিএঠু০ হু৷ ’ “’ (নিশ্চয় সেত তাকে আরেকবার দেখেছিল ৷) (৫৩০ : ১৩)
উত্তরে আয়েশা (রা) বললেন এ উম্মতের আমিই প্রথম ব্যক্তি যে রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে এ সম্পর্কে
প্রশ্ন করেছিল ৷ উত্তরে তিনি বলেছিলেন৪ উনি হলেন জিবরা ঈল’ ৷ তিনি তাকে আল্লাহ সৃষ্ট তার
আসল অবয়রে মাত্র দু’বার দেখেছেন ৷ তিনি তাকে দেখেছেন আসমান থেকে যমীনে
অবতরণরত অবস্থায় ৷ তখন তার সুবিশাল দেহ আকাশ ও পৃথিবীর মধ্যবর্তী স্থানকে জুড়ে
রেখেছিল ৷
ইমাম বুখারী (র) বর্ণনা করেন যে, ইবন আব্বাস (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) জিবরাঈল
(আ) কে বললেনং “আচ্ছা, আপনি আমার সঙ্গে যতবাব সাক্ষাৎ করে থাকেন তার চেয়ে
অধিক সাক্ষাৎ করতে পারেন ন ”ইবন আব্বাস (রা) বলেন, তারপর নিম্নোক্ত আয়াত
নাযিল হয়০ ং
এ ৷০
অর্থাৎ আমরা আপনার প্রতিপালকের আদেশ ব্যতীত অবতরণ করি ন ৷ যা আমাদের
সম্মুখে ও পশ্চাতে আছে এবং বা এ দু’-এর অন্তর্বর্তী; তা তারই ৷ (১৯ : ৬৪)
ইমাম বুখারী (র) বর্ণনা করেন যে, ইবন আব্বাস (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা ) সর্বাপেক্ষা
বেশি দানশীল ছিলেন ৷ আর তার এ বদান্যত৷ রমযান মাসে, যখন জিবরাঈল (আ) তার সঙ্গে
সাক্ষাৎ করতেন, তখন অনেক বেশি বৃদ্ধি পেতে ৷ ৷ জিবরাঈল (আ) রমযানের প্রতি রাতে তার
সঙ্গে সাক্ষাৎ করে কুরআনের দা রস দিতেন’ ৷ যোটকথা, রাসুলুল্লাহ (সা ) কল্যাণ যা বলে মুক্ত
বায়ু অপেক্ষাও অধিকতর উদা ৷র ছিলেন ৷
ইমাম বুখারী (র) বনাি করেন যে, ইবন শিহাব (র) বলেন, উমর ইবন আবদুল আযীয
(র) একদিন আসর পড়তে কিছুটা বিলম্ব করে ফেলেন ৷ তখন উরওয়৷ (যা) তাকে বললেন,
নিশ্চয়ই জিবরাঈল (আ) অবতরণ করে রাসুলুল্লাহ (সা ) এর সামনে র্দাড়িয়ে সালাত আদায়
করেছিলেন ৷ এ কথা শুনে উমর (রা) বললেন, হে উরওয়া! তুমি যা বলছ, আমার তা জানা
আছে ৷ আমি বশীর ইবন আবু মাসউদকে তার পিতার বরাতে বলতে শুনেছি যে, তিনি
রাসুলুল্লাহ (সা) কে বলতে শুনেছেন০ জিবরাঈল (আ)অ অবতরণ করলেন ৷ তারপর তিনি
আমার ইমামতি করলেন ৷ আমি তার সঙ্গে সালাত আদায় করলাম, তারপর আমি তার সঙ্গে
সালাত আদায় করলাম, তারপর আমি তার সঙ্গে সালাত আদায় করলাম, তারপর আমি তার
সঙ্গে সালাত আদায় করলাম ৷ এভাবে আঙ্গুল দ্বারা গুণে গুণে তিনি পাচ নামাযের কথা উল্লেখ
করেন ৷
এবার ইসরাফীল (আ) এর পরিচিতি জানা যাক ৷ ইনি আরশ বহনকারী ফেরেশতাদের
একজন ৷ ইনি সেই ফেরেশত ৷, যিনি তার প্রতিপালকের আদেশে শিক্ষায় তিনটি ফুৎকার
আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (১ম খণ্ড) ১৬
بِالْخَيْرِ، وَكَانَ أَجْوَدَ مَا يَكُونُ فِي رَمَضَانَ حِينَ يَلْقَاهُ جِبْرِيلُ، وَكَانَ يَلْقَاهُ فِي كُلِّ لَيْلَةٍ مِنْ رَمَضَانَ فَيُدَارِسُهُ الْقُرْآنَ فَلَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَجْوَدُ بِالْخَيْرِ مِنَ الرِّيحِ الْمُرْسَلَةِ» . وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ أَنَّ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ أَخَّرَ الْعَصْرَ شَيْئًا، فَقَالَ لَهُ عُرْوَةُ: أَمَا إِنَّ جِبْرِيلَ قَدْ نَزَلَ فَصَلَّى أَمَامَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَقَالَ عُمَرُ: أَعْلَمُ مَا تَقُولُ يَا عُرْوَةُ. قَالَ: سَمِعْتُ بَشِيرَ بْنَ أَبِي مَسْعُودٍ يَقُولُ: سَمِعْتُ أَبَا مَسْعُودٍ يَقُولُ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «نَزَلَ جِبْرِيلُ فَأَمَّنِي فَصَلَّيْتُ مَعَهُ، ثُمَّ صَلَّيْتُ مَعَهُ، ثُمَّ صَلَّيْتُ مَعَهُ، ثُمَّ صَلَّيْتُ مَعَهُ، ثُمَّ صَلَّيْتُ مَعَهُ» . يَحْسِبُ بِأَصَابِعِهِ خَمْسَ صَلَوَاتٍ.
وَمِنْ صِفَةِ إِسْرَافِيلَ عَلَيْهِ السَّلَامُ ; وَهُوَ أَحَدُ حَمَلَةِ الْعَرْشِ، وَهُوَ الَّذِي يُنْفَخُ فِي الصُّورِ بِأَمْرِ رَبِّهِ نَفَخَاتٍ ثَلَاثَةٍ ; أُولَاهُنَّ: نَفْخَةُ الْفَزَعِ، وَالثَّانِيَةُ: نَفْخَةُ الصَّعْقِ، وَالثَّالِثَةُ: نَفْخَةُ الْبَعْثِ. كَمَا سَيَأْتِي بَيَانُهُ فِي مَوْضِعِهِ مِنْ كِتَابِنَا هَذَا بِحَوْلِ اللَّهِ وَقُوَّتِهِ وَحُسْنِ تَوْفِيقِهِ. وَالصُّورُ: قَرْنٌ يُنْفَخُ فِيهِ، كُلُّ دَارَةٍ مِنْهُ كَمَا بَيْنَ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ، وَفِيهِ مَوْضِعُ أَرْوَاحِ الْعِبَادِ حِينَ يَأْمُرُهُ اللَّهُ بِالنَّفْخِ لِلْبَعْثِ، فَإِذَا نَفَخَ تَخْرُجُ الْأَرْوَاحُ تَتَوَهَّجُ، فَيَقُولُ الرَّبُّ جَلَّ جَلَالُهُ: وَعِزَّتِي وَجَلَالِي لَتَرْجِعَنَّ كُلُّ رُوحٍ إِلَى الْبَدَنِ الَّذِي كَانَتْ تُعَمِّرُهُ فِي الدُّنْيَا. فَتَدْخُلُ عَلَى الْأَجْسَادِ فِي قُبُورِهَا ; فَتَدِبُّ فِيهَا كَمَا يَدِبُّ السُّمُّ فِي اللَّدِيغِ فَتَحْيَا الْأَجْسَادُ، وَتَنْشَقُّ عَنْهُمُ الْأَجْدَاثُ، فَيَخْرُجُونَ مِنْهَا سِرَاعًا إِلَى مَقَامِ الْمَحْشَرِ. كَمَا سَيَأْتِي تَفْصِيلُهُ فِي مَوْضِعِهِ.
وَلِهَذَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «كَيْفَ أَنْعَمُ،
পৃষ্ঠা - ১০০
দেবেন ৷ প্রথমটি ভীতি সৃষ্টির, দ্বিতীয়টি ধ্বংসের এবং তৃভীয়টি পুনরুথানের ৷ এর বিস্তারিত
আলোচনা পরে আমাদের এ কিতাবের যথাস্থানে আসবে ইনশাআল্লাহ্ ৷
সুর ( এফ্রাং১১ হলো একটি শিক্ষা, যাতে ফুৎকার দেয়৷ হবে ৷ তার প্রতিটিআওয়াজ আকাশ
ও পৃথিবীর মধ্যবর্তী দুরত্বের সমান ৷ আল্লাহ যখন তাকে পুনরুথানের জন্য ফুৎকার দেয়ার
আদেশ করবেন, তখন মানুষের রুহগুলে৷ তার মধ্যে অবস্থান নিয়ে থাকবে ১ তারপর যখন তিনি
ফুৎকার দেবেন, তখন রুহগুলে৷ রিহ্বল চিত্তে বেরিয়ে আসবে ৷ ফলে আল্লাহ তা আল৷ বলবেন,
আমার ইয্যত ও পরাক্রমের শপথ প্রতিটি রুহ্৩ তার দেহে ফিরে যাক দৃনিয়াতে যে দেহকে
প্রাণবন্ত রাখতো ৷ ফলে রুহ্গুলে৷ কবরেগ্ গিয়ে দেহের মধ্যে ঢুকে পড়ে এমনভাবে মিশে যাবে
যেমনটি বিষ সর্পদষ্ট ব্যক্তির মধ্যে মিশে যায় ৷ এতে দেহগুলো প্রাণবম্ভ হয়ে যাবে এবং
কবরসমুহ বিদীর্ণ হয়ে যাবে আর তারা দ্রুত গতিতে হাশরের ময়দানের ৷দকে বেরিয়ে পড়বে ৷
যথাস্থানে এর বিস্তারিত আলোচনা আসবে ৷ আর এজন্যই রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন ,
ষ্ন্
অর্থাৎ আমি কিভাবে স্বাচ্ছন্দব্র বোধ করি যেখানে শিঙ্গাধাবী ফেরেশত৷ শিঙ্গা মুখে নিয়ে
মাথা ঝুকিয়ে অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছেন ৷
একথা শুনে সাহাবাগণ বললেন, তাহলে আমরা কি দৃআ পাঠ করবো ইয়া রাসৃলাল্লাহ!
জবাবে রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, তোমরা বলবে ং
আমাদের আল্লাহ্ই যথেষ্ট ৷ তিনি উত্তম অভিভা ৷বক ৷ আল্লাহর উপরই আমাদের ভরসা ৷
ইমাম আহমদ (র) ও তিরমিষী (র) আবু সাঈদ খুদরী (বা) থেকে বর্ণিত আতিয়্যা
আল-আওফী-এব হাদীস থেকে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷
ইমাম আহমদ (র) বর্ণনা করেন যে, আবু সাঈদ খুদরী (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা)
শিঙ্গাধারী ফেরেশতার কথা আলোচনা প্রসঙ্গে বলেন, তার ভাবে জিবরাঈল ও বামে মীকাঈল
(আ) অবস্থান করছেন ৷
তাবারানী (ব) বর্ণনা করেন যে, ইবন আব্বাস (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা ) একদিন বসা
অবস্থায় ছিলেন ৷ জিবরাঈল (আ) তখন তার পাশে অবস্থান করছিলেন ৷ এমন সময়ে দিগন্ত
ভেদ করে ঝুকে ঝুকে ইসরাফীল (আ) পৃথিবীর নিকটবর্তী হতে শুরু করেন ৷ হঠ৷ ৷ৎ দেখা গেল
একজন ফেরেশত৷ বিশেষ এক আকৃতিতে ৩নবী কবীম (সা) এর সামনে উপস্থিত হয়ে বললেন,
হে মুহাম্মদ বান্দ৷ নবী ও বাদশাহ নবী এ দৃ’য়ের কোন একটি বেছে নেয়ার জন্য আল্লাহ্
তাআলা আপনাকে আদেশ করছেন ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) বলেন৪ তখন জিবরা ঈল (আ ) তার হাত
দ্বারা আমার প্রতি ইংগিতে বলেন যে, আপনি বিনয় অবলম্বন করুন ৷ এতে আমি বুঝতে
পারলাম যে,৩ তিনি আমার মঙ্গলার্থেই বলছেন ৷ ফলে আমি বললামং , আমি বান্দ৷ নবী হওয়াই
পছন্দ করি ৷ তারপর সে ফেরেশত৷ আকাশে উঠে গেলে আমি বাংলায়, হে জিবরাঈল৷ এ
وَصَاحِبُ الْقَرْنِ قَدِ الْتَقَمَ الْقَرْنَ، وَحَنَى جَبْهَتَهُ، وَانْتَظَرَ أَنْ يُؤْذَنَ لَهُ؟ قَالُوا: كَيْفَ نَقُولُ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: قُولُوا: حَسْبُنَا اللَّهُ وَنِعْمَ الْوَكِيلُ عَلَى اللَّهِ تَوَكَّلْنَا» . رَوَاهُ أَحْمَدُ، وَالتِّرْمِذِيُّ مِنْ حَدِيثِ عَطِيَّةَ الْعَوْفِيِّ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ.
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا الْأَعْمَشُ، عَنْ سَعْدٍ الطَّائِيِّ، عَنْ عَطِيَّةَ الْعَوْفِيِّ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ قَالَ: «ذَكَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَاحِبَ الصُّورِ فَقَالَ: عَنْ يَمِينِهِ جِبْرِيلُ، وَعَنْ يَسَارِهِ مِيكَائِيلُ عَلَيْهِمُ السَّلَامُ» . وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو الْقَاسِمِ الطَّبَرَانِيُّ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْحَضْرَمِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُمَرَ بْنِ أَبِي لَيْلَى حَدَّثَنِي أَبِي، عَنِ ابْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ مِقْسَمٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «بَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَمَعَهُ جِبْرِيلُ بِنَاحِيَةٍ إِذِ انْشَقَّ أُفُقُ السَّمَاءِ فَأَقْبَلَ إِسْرَافِيلُ يَدْنُو مِنَ الْأَرْضِ وَيَتَمَايَلُ، فَإِذَا مَلَكٌ قَدْ مَثُلَ بَيْنَ يَدَيِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: يَا مُحَمَّدُ إِنَّ اللَّهَ يَأْمُرُكَ أَنْ تَخْتَارَ بَيْنَ نَبِيٍّ عَبْدٍ أَوْ مَلِكٍ نَبِيٍّ؟ قَالَ: فَأَشَارَ جِبْرِيلُ إِلَيَّ بِيَدِهِ أَنْ تَوَاضَعْ. فَعَرَفْتُ أَنَّهُ لِي نَاصِحٌ، فَقُلْتُ: عَبْدٌ نَبِيٌّ. فَعَرَجَ ذَلِكَ الْمَلَكُ إِلَى السَّمَاءِ فَقُلْتُ: يَا جِبْرِيلُ قَدْ كُنْتُ أَرَدْتُ أَنْ أَسْأَلَكَ عَنْ هَذَا
পৃষ্ঠা - ১০১
ব্যাপারে আমি আপনার নিকট জিজ্ঞেস করব বলে মনন্থ করেছিলাম ৷ কিন্তু আপনার ডাবগতি
দেখে আর তা জিজ্ঞেস করতে পারলাম না ৷ এবার বলুন, ইনি কে, হে জিবরাঈলঃ জবাবে
জিবরাঈল (আ) বললেন : ইনি ইসরাফীল (আ) ৷ যেদিন আল্লাহ তাকে সৃষ্টি করেছেন সেদিন
থেকেই তিনি তার সম্মুখে পদদ্বয় সোজা রেখে নত মস্তকে দাড়িয়ে আছেন ৷ কখনো তিনি চোখ
তুলেও তড়াকান না ৷ তার ও মহান প্রতিপালকেয় মধ্যে রয়েছে সত্তরটি নুরের পর্দ৷ ৷ তার কোন
একটির কাছে ঘেষলে তা তাকে পুড়িয়ে ফেলবে ৷ তার সামনে একটি ফলক আছে ৷ আকাশ
কিত্ব৷ পৃথিবীর ব্যাপারে আল্লাহ কোন আদেশ দিলে সে ফলকটি উঠে গিয়ে তা তার
ললাট দেশে আঘাত করে ৷ তখন তিনি চোখ তুলে তড়াকান ৷ সে আদেশ যদি আমার কর্ম সম্পৃক্ত
হয়; তাহলে সে ব্যাপারে আমাকে তিনি আদেশ দেন আর যদি তা মীকা ঈল এর কাজ সং ক্রান্ত
হয় তাহলে তিনি তাকে তার আদেশ দেন ৷ আর যদি তা মালাকুল মউতের কা জ হয় তবেত তিনি
তাকে তার আদেশ দেন ৷ আমি বললড়াম, হে জিবরাঈল ! আপনার দ য়ি কী? তিনি বললেন,
বায়ু ও সৈন্য সংক্রান্ত ৷ আমি বললড়াম, আর মীকাঈল কিসের দায়িত্বে নিয়ােজিতঃ বললেন,
উত্তিদাদি ও বৃষ্টির দায়িত্বে ৷ আমি বললড়াম, আর মালাকুল মউত কোন দায়িত্বে আছেন?
বললেন, রুহ্ কবয করার দায়িত্বে ৷ আমি (ত ৷ মনে করেছিলাম, উনি কিয়ামত কায়েম করার
জন্য অবতরণ করেছেন বুঝি! আর আপনি আমার যে ডাবগতি দেখেছিলেন, তা কিয়ামত
কায়েম হওয়ার ভয়েই হয়েছিল ৷ এ সুত্রে এটি গরীব হাদীস ৷ সহীহ মুসলিমে আয়েশা (না)
থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসুলুল্লাহ (সা) রাতে যখন নামায পড়ার জন্য দণ্ডায়মান হতেন, তখন
তিনি বলতেন :
অর্থাৎ হে আল্লাহ হে জিবরাঈল, মীকাঈল ও ইসরাফীল এর প্রতিপালক! হে
আকাশসমুহ ও পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা, গুপ্ত ও প্রকাশ্য সবকিছুর পবিজ্ঞ তা তৃমিই তো তোমার
বান্দাদের মাঝে সে বিষয়ে মীমাৎসা করবে, যে বিষয়ে তার৷ মতবিরোধে লিপ্ত ছিল ৷ তুমি
আমাকে সত্যের বিরােধপুর্ণ বিষয়ে হিদায়ত দান কর ৷ তুমি তো যাকে ইচ্ছা কর তাকেই সঠিক
পথের সন্ধান দিতে পার ৷
শিঙ্গা সম্পর্কিত হাদীসে আছে যে, ইসরাফীল (আ)-ই হবেন প্রথম, যীকে আল্লাহ ধ্বংসের
পর শিঙ্গায় ফুৎকার দেয়ার জন্য পুনর্জীবিত করবেন ৷
মুহাম্মদ ইবন হাসান নাক্কাশ (ব) বলেন, ইসরাফীল (আ)-ই ফেরেশতাদের মধ্যে সর্বপ্রথম
সিজদ৷ করেছিলেন ৷ এরই পুরস্কারস্বরুপ তাকে লাওহে মাহকুজের কর্তৃত্ব দেওয়া হয়েছে ৷ আবুল
কাসিম সুহায়লী (ব) তার
নামক কিভাবে এ কথাটি বর্ণনা করেছেন ৷
فَرَأَيْتُ مِنْ حَالِكَ مَا شَغَلَنِي عَنِ الْمَسْأَلَةِ فَمَنْ هَذَا يَا جِبْرِيلُ؟ فَقَالَ: هَذَا إِسْرَافِيلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ خَلَقَهُ اللَّهُ يَوْمَ خَلَقَهُ بَيْنَ يَدَيْهِ صَافًّا قَدَمَيْهِ لَا يَرْفَعُ طَرْفَهُ، بَيْنَهُ وَبَيْنَ الرَّبِّ سَبْعُونَ نُورًا، مَا مِنْهَا مِنْ نُورٍ يَكَادُ يَدْنُو مِنْهُ إِلَّا احْتَرَقَ بَيْنَ يَدَيْهِ لَوْحٌ، فَإِذَا أَذِنَ اللَّهُ فِي شَيْءٍ مِنَ السَّمَاءِ أَوْ فِي الْأَرْضِ، ارْتَفَعَ ذَلِكَ اللَّوْحُ فَضَرَبَ جَبْهَتَهُ، فَيَنْظُرُ فَإِنْ كَانَ مِنْ عَمَلِي أَمَرَنِي بِهِ. وَإِنْ كَانَ مِنْ عَمَلِ مِيكَائِيلَ أَمَرَهُ بِهِ. وَإِنْ كَانَ مِنْ عَمَلِ مَلَكِ الْمَوْتِ أَمَرَهُ بِهِ. قُلْتُ: يَا جِبْرِيلُ وَعَلَى أَيِّ شَيْءٍ أَنْتَ؟ قَالَ: عَلَى الرِّيحِ وَالْجُنُودِ. قُلْتُ: وَعَلَى أَيِّ شَيْءٍ مِيكَائِيلُ؟ قَالَ: عَلَى النَّبَاتِ وَالْقَطْرِ؟ قُلْتُ: وَعَلَى أَيِّ شَيْءٍ مَلَكُ الْمَوْتِ؟ قَالَ: عَلَى قَبْضِ الْأَنْفُسِ. وَمَا ظَنَنْتُ أَنَّهُ نَزَلَ إِلَّا لِقِيَامِ السَّاعَةِ، وَمَا الَّذِي رَأَيْتَ مِنِّي إِلَّا خَوْفًا مِنْ قِيَامِ السَّاعَةِ» . هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ.
وَفِي صَحِيحِ مُسْلِمٍ، عَنْ عَائِشَةَ: «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا قَامَ مِنَ اللَّيْلِ يُصَلِّي يَقُولُ اللَّهُمَّ رَبَّ جِبْرِيلَ وَمِيكَائِيلَ وَإِسْرَافِيلَ، فَاطِرَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ، عَالِمَ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ، أَنْتَ تَحْكُمُ بَيْنَ عِبَادِكَ فِيمَا كَانُوا فِيهِ يَخْتَلِفُونَ، اهْدِنِي لِمَا اخْتُلِفَ فِيهِ مِنَ الْحَقِّ بِإِذْنِكَ، إِنَّكَ تَهْدِي مَنْ تَشَاءُ إِلَى صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ» .
وَفِي حَدِيثِ الصُّورِ: «أَنَّ إِسْرَافِيلَ أَوَّلُ مَنْ يَبْعَثُهُ اللَّهُ بَعْدَ الصَّعْقِ لِيَنْفُخَ فِي الصُّورِ» . وَذَكَرَ مُحَمَّدُ بْنُ الْحَسَنِ النَّقَّاشُ: أَنَّ إِسْرَافِيلَ أَوَّلُ مَنْ سَجَدَ مِنَ الْمَلَائِكَةِ، فَجُوزِيَ بِوِلَايَةِ اللَّوْحِ الْمَحْفُوظِ. حَكَاهُ أَبُو الْقَاسِمِ السُّهَيْلِيُّ
পৃষ্ঠা - ১০২
আল্লাহ তাআলা বলেনং :
াক্ট্র&£াহ্র ;র্চুাহ্র ;;
অর্থাৎ যে কেউ আল্লাহর, তার ফেরেশতাদের, তার রাসুলগণের এবং জিবরাঈল ও
মীকাঈলের শত্রু ৷ , (২ : ৯৮)
এ আয়াতে বিশেষ মর্যাদাসম্পন্ন হওয়ার কারণে জিবরাঈল ও মীকাঈল (আ)-কে ব্লুর্চু১াশু
-এর উপর এে কর৷ হয়েছে ৷ জিবরাঈল হলেন এক মহান ফেরেশত৷ ৷ পুর্বেই তার প্রসঙ্গে
আলোচনা হয়েছে ৷ আর মীকাঈল (আ) হলেন বৃষ্টি ও উদ্ভিদ দিব দায়িত্বে নিয়োজিত ৷ তিনি
আল্লাহ থেকে প্রাপ্ত বিশেষ মর্যাদার অধিকারী ও ভৈনকট্যপ্রাপ্ত ফেরেশতাদের অন্যতম ৷
ইমাম আহমদ (র) আনাস ইবন মালিক (রা) সুত্রে রিওয়ায়েত করেন, তিনি বলেছেন যে,
নবী করীম (সা) জিবরাঈল (আ)-কে বললেন : “ব্যাপার কি, আমি মীকাঈল (আ ) কে
কখনো হাসতে দেখলাম না যে? উত্তরে জিবরাঈল (আ) বললেন, মীকাঈল (আ) জাহান্নাম
সৃষ্টির পর থেকে এ যাবত কখনো হাসেন নি ৷
এ হলো সে সব ফেরেশতার আলোচনা, পবিত্র কুরআনে র্ষাদের কথা সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ
করা হয়েছে ৷ সিহাহসিত্তায় নবী করীম (না)-এর দৃআয়ও এদের উল্লেখ রয়েছে ৷ তাহলাে,
জিবরাঈল (আ) এর দায়িতু ছিল উম্মরুত র কাছে পৌছে দেয়ার জন্য নবী রাসুলগণের
নিকট হিদায়াত নিয়ে আসা ৷ মীকা ঈল (আ) বৃষ্টি ও উন্তিদা দিব দায়িত্বে নিয়োজিত যা র মাধ্যমে
এ দুনিয়াতে জীবিকা সৃষ্টি করা হয় ৷ত তার অনেক সহযোগী ফেরেশত৷ আছেন, আল্লাহর আদেশ
অৰুসারে৩ তিনি যা বলেন তারা তা পালন করেন ৷ আল্লাহ্ তা জানার মর্জি অনুযায়ী তারা বাতাস
ও যেঘমালা পরিচালিত করে থাকেন ৷ আর পুর্বে আমরা বনাি করে এসেছি যে, আকাশ থেকে
যে কোটাটিই পতিত হয়, তার সাথে একজন ফেরেশত৷ থাকেন যিনি সে ফৌটাঢি পৃথিবীর
যথাস্থানে স্থাপন করেন ৷ পক্ষাম্ভরে ইসরাফীল (আ)-কে কবর থেকে উথানের এবং কৃতজ্ঞদের
সাফল্য লাভ ও কৃতঘুদের পরিণতি লাভ করার উদ্দেশে পুনরুথান দিবসে উপস্থিত হওয়ার
জন্য শিক্ষায় ফুৎকার দেয়ার দায়িত্বে নিয়োজিত করে রাখা হয়েছে ৷ ঐ দিন কৃতজ্ঞদেব পাপ
মার্জন৷ করা হবে এবং তাদের পুণ্য কর্মের প্রতিফল দেওয়া হবে ৷ আর কৃতঘুদের আমল
বিক্ষিপ্ত ধুলির ন্যায় হয়ে যাবে আর সে নিজের ধ্বংস ও মৃত্যু কামনা করবে ৷
যোটকথা, জিবরাঈল (আ) হিদায়েত অবত ৷রণে র দায়িত্ব পালন করেন মীকাঈল (আ)
জীবিকা প্রদানের দায়িতৃ পালন করেন আর ইসরাফীল (আ) পালন করেন সাহায্য দান ও
প্রতিদানের দায়িহ্ ৷ কিন্তু মালাকুল মউতের নাম কুরআন এবং সহীহ হাদীসসমুহের কো থাও
স্পষ্ট উল্লেখ নেইত ৷ তবে কোন কোন রিওয়ায়েতে তাকে আযরা ৷ঈল নামে অভিহিত করা হয়েছে ৷
আল্লাহই সর্বজ্ঞ ৷
অৰুল্লড়াহ্ তা আলা বলেনশু ং
ঞান্১,:র্টিহ্রন্,ষ্া৷ণ্ ণ্হ্রন্ৰুহ্র ,প্রুা৷ ন্প্রু৷ এশু ৮প্রু; এ৩
فِي كِتَابِهِ " التَّعْرِيفُ وَالْإِعْلَامُ بِمَا أُبْهِمَ فِي الْقُرْآنِ مِنَ الْأَعْلَامِ ". وَقَالَ تَعَالَى: {مَنْ كَانَ عَدُوًّا لِلَّهِ وَمَلَائِكَتِهِ وَرُسُلِهِ وَجِبْرِيلَ وَمِيكَالَ} [البقرة: 98] . عَطَفَهُمَا عَلَى الْمَلَائِكَةِ لِشَرَفِهِمَا فَجِبْرِيلُ مَلَكٌ عَظِيمٌ قَدْ تَقَدَّمَ ذِكْرُهُ، وَأَمَّا مِيكَائِيلُ فَمُوَكَّلٌ بِالْقَطْرِ وَالنَّبَاتِ، وَهُوَ ذُو مَكَانَةٍ مِنْ رَبِّهِ عَزَّ وَجَلَّ، وَمِنْ أَشْرَافِ الْمَلَائِكَةِ الْمُقَرَّبِينَ.
وَقَدْ قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، حَدَّثَنَا ابْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ عِمَارَةَ بْنِ غَزِيَّةَ الْأَنْصَارِيِّ: أَنَّهُ سَمِعَ حُمَيْدَ بْنَ عُبَيْدٍ مَوْلَى بَنِي الْمُعَلَّى يَقُولُ: سَمِعْتُ ثَابِتًا الْبُنَانِيَّ يُحَدِّثُ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، «عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ لِجِبْرِيلَ: مَا لِيَ لَمْ أَرَ مِيكَائِيلَ ضَاحِكًا قَطُّ. فَقَالَ: مَا ضَحِكَ مِيكَائِيلُ مُنْذُ خُلِقَتِ النَّارُ» . فَهَؤُلَاءِ الْمَلَائِكَةُ الْمُصَرَّحُ بِذِكْرِهِمْ فِي الْقُرْآنِ، وَفِي الصِّحَاحِ هُمُ الْمَذْكُورُونَ فِي الدُّعَاءِ النَّبَوِيِّ: «اللَّهُمَّ رَبَّ جِبْرِيلَ وَمِيكَائِيلَ وَإِسْرَافِيلَ» . فَجِبْرِيلُ يَنْزِلُ بِالْهُدَى عَلَى الرُّسُلِ لِتَبْلِيغِ الْأُمَمِ، وَمِيكَائِيلُ مُوَكَّلٌ بِالْقَطْرِ وَالنَّبَاتِ اللَّذَيْنِ يُخْلَقُ مِنْهُمَا الْأَرْزَاقُ فِي هَذِهِ الدَّارِ، وَلَهُ أَعْوَانٌ يَفْعَلُونَ مَا يَأْمُرُهُمْ بِهِ بِأَمْرِ رَبِّهِ يُصَرِّفُونَ الرِّيَاحَ وَالسَّحَابَ كَمَا يَشَاءُ الرَّبُّ جَلَّ جَلَالُهُ. وَقَدْ رُوِّينَا أَنَّهُ مَا مِنْ قَطْرَةٍ تَنْزِلُ مِنَ السَّمَاءِ إِلَّا وَمَعَهَا مَلَكٌ يُقَدِّرُهَا فِي مَوْضِعِهَا مِنَ الْأَرْضِ، وَإِسْرَافِيلُ مُوَكَّلٌ بِالنَّفْخِ فِي الصُّورِ لِلْقِيَامِ مِنَ
পৃষ্ঠা - ১০৩
الْقُبُورِ، وَالْحُضُورِ يَوْمَ الْبَعْثِ وَالنُّشُورِ لِيَفُوزَ الشَّكُورُ، وَيُجَازَى الْكَفُورُ فَذَاكَ ذَنْبُهُ مَغْفُورٌ وَسَعْيُهُ مَشْكُورٌ، وَهَذَا قَدْ صَارَ عَمَلُهُ كَالْهَبَاءِ الْمَنْثُورِ وَهُوَ يَدْعُو بِالْوَيْلِ وَالثُّبُورِ.
فَجِبْرِيلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ يَحْصُلُ بِمَا يَنْزِلُ بِهِ الْهُدَى، وَمِيكَائِيلُ يَحْصُلُ بِمَا هُوَ مُوَكَّلٌ بِهِ الرِّزْقُ، وَإِسْرَافِيلُ يَحْصُلُ بِمَا هُوَ مُوَكَّلٌ بِهِ النَّصْرُ وَالْجَزَاءُ وَأَمَّا مَلَكُ الْمَوْتِ فَلَيْسَ بِمُصَرَّحٍ بِاسْمِهِ فِي الْقُرْآنِ، وَلَا فِي الْأَحَادِيثِ الصِّحَاحِ، وَقَدْ جَاءَ تَسْمِيَتُهُ فِي بَعْضِ الْآثَارِ بِعِزْرَائِيلَ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَقَدْ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {قُلْ يَتَوَفَّاكُمْ مَلَكُ الْمَوْتِ الَّذِي وُكِّلَ بِكُمْ ثُمَّ إِلَى رَبِّكُمْ تُرْجَعُونَ} [السجدة: 11] . وَلَهُ أَعْوَانٌ يَسْتَخْرِجُونَ رُوحَ الْعَبْدِ مِنْ جُثَّتِهِ حَتَّى تَبْلُغَ الْحُلْقُومَ فَيَتَنَاوَلُهَا مَلَكُ الْمَوْتِ بِيَدِهِ، فَإِذَا أَخَذَهَا لَمْ يَدَعُوهَا فِي يَدِهِ طَرْفَةَ عَيْنٍ حَتَّى يَأْخُذُوهَا مِنْ يَدِهِ فَيَلُفُّوهَا فِي أَكْفَانٍ تَلِيقُ بِهَا. كَمَا قَدْ بُسِطَ عِنْدَ قَوْلِهِ: {يُثَبِّتُ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا بِالْقَوْلِ الثَّابِتِ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَفِي الْآخِرَةِ} [إبراهيم: 27] . ثُمَّ يَصْعَدُونَ بِهَا، فَإِنْ كَانَتْ صَالِحَةً فُتِحَتْ لَهَا أَبْوَابُ السَّمَاءِ، وَإِلَّا غُلِّقَتْ دُونَهَا، وَأُلْقِيَ بِهَا إِلَى الْأَرْضِ. قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَهُوَ الْقَاهِرُ فَوْقَ عِبَادِهِ وَيُرْسِلُ عَلَيْكُمْ حَفَظَةً حَتَّى إِذَا جَاءَ أَحَدَكُمُ الْمَوْتُ تَوَفَّتْهُ رُسُلُنَا وَهُمْ لَا يُفَرِّطُونَ ثُمَّ رُدُّوا إِلَى اللَّهِ مَوْلَاهُمُ الْحَقِّ أَلَا لَهُ الْحُكْمُ وَهُوَ أَسْرَعُ الْحَاسِبِينَ} [الأنعام: 61]
[الْأَنْعَامِ: 61 - 62] .
পৃষ্ঠা - ১০৪
অর্থাৎ- বল, তোমাদের জন্য মৃত্যুর ফেরেশতা তোমাদের প্রাণ হরণ করবে ৷ অবশেষে
তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের নিকট প্রত্যানীত হবে ৷ (৩২ : ১ ১)
এ মালাকুল মউতেরও কিছু সহযোগী ফেরেশতা আছেন, যারা মানুষের রুহ্কে দেহ থেকে
বের করে তা কণ্ঠনালী পর্যন্ত নিয়ে আসেন, তারপর মালাকুল মউত নিজ হাতে তা কবয
করেন ৷ তিনিাতা কবয করার পর সহযোগী ফেরেশতাগণ এক পলকের জন্যও তা তার হাতে
থাকতে না দিয়ে সং গে সং গে তারা তাকে নিয়ে উপযুক্ত কাফনে আবৃত করেন ৷ নিম্নের আয়াতে
এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে ং
প্রুব্রর্চু ’ ’
অর্থাৎ যারা শাশ্বত বাণীতে বিশ্বাসী তাদেরকে ইহজীবনে ও পরজীবলে আল্লাহ
সুপ্রতিষ্ঠিত রাখবেন ৷ (১৪ ং ২৭)
তারপর তারা রুহ্টি নিয়ে উর্ধ্ব জগতের দিকে রওয়ান৷ হন ৷ রুহ্ যদি সৎকর্মপরায়ণ হয়,
তাহলে তার জন্য আকাশের দ্বারসমুহ খুলে দেওয়া হয় ৷ অন্যথায় তার সামনেই তা বন্ধ করে
দিয়ে তাকে পৃথিবীর দিকে ছুন্ড় ফেলা হয় ৷ আল্লাহ্ তাআলা বলেন ং
১৷ ৷ দ্বুপু ৷ ৰুকুদ্বুর্বুাঙু£ <াপু ৷ ঞ্জ৷ ,;, ণ্ন্ ;, টুন্ ১৷ ণ্ঞ, এে , ধ্ওব্রা প্লু ,,৷ ৷
অর্থাৎ তিনিই তার বান্দাদের উপর পরাক্রমশালী এবং তিনিই তোমাদের রক্ষক প্রেরণ
করেন; অবশেষে যখন তোমাদের কারো মৃত্যুকাল উপস্থিত হয়, তখন আমার প্রেরিতরা তার
মৃত্যু ঘটায় এবং তার কোন ত্রুটি করে না ৷ তারপর তাদের প্রকৃত প্রতিপালকের দিকে
তারা প্রত্যানীত হয় ৷ দেখ, কর্তৃত্ব তো তারই এবং হিসাব গ্রহণে তিনিই সর্বাপেক্ষা তৎপর ৷
(৬ : ৬১-৬২)
ইবন আব্বাস (রা) ও মুজাহিদ (র) প্রমুখ থেকে বর্ণিত যে, তারা বলেন, গোটা পৃথিবী
ালাকুল মউতে র সামনে একটি পাত্রের ন্যায় ৷ তার যে কোন অংশ থেকে ইচ্ছা তিনি হাত
বাড়িয়ে গ্রহণ করতে পারেন ৷ আমরা এও উল্লেখ করেছি যে, মৃত্যুর ফেরেশতাগণ মানুষের
নিকট তার আমল অনুপাতে আগমন করে থাকেন ৷ লোক যদি ঘু’মিন হয়, তবে তার নিকট
উজ্জ্বল চেহারা, সাদা পোশাক ও হৃদয়রান ফেরেশ৩ ৷গণ আগমন করেন ৷ আর লোক যদি
কাফির হয়ত তাহলে এর বিপরীতবেশী ফেরেশতাগণ আগমন করেন ৷ এ ব্যাপারে আমরা মহান
আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করি ৷
জাফর ইবন মুহাম্মদ৩ তার পিতাকে বলতে শুনেন যে, একদা রাসুলুলুাহ (সা) জনৈক
আনসারীর শিয়রে বসে মালাকুল মউতকে দেখতে পেয়ে তাকে বললেনং : হে মালাকুল মউত
আমার সাহাবীর সঙ্গে সদয় ব্যবহার করুন ! কারণ সে মুমিন ৷ জবাবে মালাকুল মউত বললেন
وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَمُجَاهِدٍ، وَغَيْرِ وَاحِدٍ أَنَّهُمْ قَالُوا: إِنَّ الْأَرْضَ بَيْنَ يَدَيْ مَلَكِ الْمَوْتِ مِثْلُ الطَّسْتِ يَتَنَاوَلُ مِنْهَا حَيْثُ يَشَاءُ. وَقَدْ ذَكَرْنَا أَنَّ مَلَائِكَةَ الْمَوْتِ يَأْتُونَ الْإِنْسَانَ عَلَى حَسَبِ عَمَلِهِ إِنْ كَانَ مُؤْمِنًا أَتَاهُ مَلَائِكَةٌ بِيضُ الْوُجُوهِ بِيضُ الثِّيَابِ طَيِّبَةُ الْأَرْوَاحِ، وَإِنْ كَانَ كَافِرًا فَبِالضِّدِّ مِنْ ذَلِكَ عِيَاذًا بِاللَّهِ الْعَظِيمِ مِنْ ذَلِكَ.
وَقَدْ قَالَ ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ: حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي يَحْيَى الْمُقْرِي، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ شَمْرٍ قَالَ: سَمِعْتُ جَعْفَرَ بْنَ مُحَمَّدٍ قَالَ: سَمِعْتُ أَبِي يَقُولُ: «نَظَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى مَلَكِ الْمَوْتِ عِنْدَ رَأْسِ رَجُلٍ مِنَ الْأَنْصَارِ، فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يَا مَلَكَ الْمَوْتِ ارْفُقْ بِصَاحِبِي فَإِنَّهُ مُؤْمِنٌ. فَقَالَ مَلَكُ الْمَوْتِ: يَا مُحَمَّدُ طِبْ نَفْسًا، وَقَرَّ عَيْنًا فَإِنِّي بِكُلِّ مُؤْمِنٍ رَفِيقٌ، وَاعْلَمْ أَنَّ مَا فِي الْأَرْضِ بَيْتُ مَدَرٍ، وَلَا شَعَرٍ فِي بَرٍّ وَلَا بَحْرٍ إِلَّا وَأَنَا أَتَصَفَّحُهُمْ فِي كُلِّ يَوْمٍ خَمْسَ مَرَّاتٍ، حَتَّى إِنِّي أَعْرَفُ بِصَغِيرِهِمْ وَكَبِيرِهِمْ مِنْهُمْ بِأَنْفُسِهِمْ، وَاللَّهِ يَا مُحَمَّدُ لَوْ أَنِّي أَرَدْتُ أَنْ أَقْبِضَ رُوحَ بَعُوضَةٍ مَا قَدَرْتُ عَلَى ذَلِكَ حَتَّى يَكُونَ اللَّهُ هُوَ الْآمِرَ بِقَبْضِهَا» . قَالَ جَعْفَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ وَهُوَ جَعْفَرٌ الصَّادِقُ: «بَلَغَنِي أَنَّهُ يَتَصَفَّحُهُمْ عِنْدَ مَوَاقِيتِ الصَّلَاةِ، فَإِذَا حَضَرَ عِنْدَ الْمَوْتِ فَإِذَا كَانَ مِمَّنْ يُحَافِظُ عَلَى الصَّلَاةِ دَنَا مِنْهُ الْمَلَكُ، وَدَفَعَ عَنْهُ
পৃষ্ঠা - ১০৫
হে মুহাম্মদ! আপনি নিশ্চিত থাকুন এবং আপনার চোখ জুড়াক, কেননা আমি প্রত্যেকটি মুমিনের
ব্যাপারেই সদয় ৷ আপনি জেনে রাখুন, পৃথিবীর কোন মাটির র্কাচ৷ ঘর বা পশম আচ্ছাদিত
তাবু, তা জলে হোক বা স্থলে হোক এমন নেই যেখানে আমি দৈনিক পাচবা র লোকদের তল্লাশি
না করে থাকি ৷ ফলে ছোট বড় সকলকেই আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি ৷ আল্লাহর শপথ! হে
মুহাম্মদ, আল্লাহর আদেশ ব্যতীত একটি মশার রুহ্ কবয করার সাধ্যও আমার সেই ৷
জাফর ইবন মুহাম্মদ বলেন, আমার আব্বা আমাকে জানিয়েছেন যে, মৃত্যুর ফেরেশতাগণ
নামাযের সময়ও লোকদেরকে তল্লাশি করে ফিরেন ৷ তখন কারো মৃত্যুর সময় এসে পড়লে যদি
সে নামাযের পাবন্দ হয়ে থাকে তাহলে ফেরেশত৷ তার নিকটে এসে শয়৩ ৷নকে তাড়িয়ে দেন
এবং সে সঙ্কটময় মুহুর্তে তাকে এর তালকীন করেন ৷
এ হাদীসটি মুরসাল এবং কেউ কেউ এর সমালোচনা করেছেন ৷ শিঙ্গ৷ সম্পর্কিত হাদীসে
আমরা আবু হুরায়রা (রা) সুত্রে বাসুলুল্লাহ (না)-এর একটি দীর্ঘ হাদীস বর্ণনা করেছি ৷ তাতে
এও আছে যে, আল্লাহ তাআলা ইসরাফীল (আ) কে ধ্বংসেরফুৎকারের আদেশ করবেন ৷ সে
তেতিনি ফুত্কার দিলে আকা শসমুহ ও পৃথিবীর অধিবাসীরা সকলেই ধ্ব স হয়ে যাবে ৷ কেবল
তারাই নিরাপদ থাকবেন, যাদেরকে আল্লাহ নিরাপদ রাখতে ইচ্ছা করবেন ৷ এভাবে তারা বিনাশ
হয়ে গেলে মৃত্যুর ফেরেশতা আল্লাহ তা আলার নিকট এসে বলবেন, হে আমার প্রতিপালক!
আপনি যাদেরকে রক্ষা করতে ইচ্ছা করেছেন তারা ব্যতীত আকাশসমুহ ও পৃথিবীর
অধিবাসীদের সকলেই তো মারা গিয়েছে ৷ কে কে জীবিত আছে তা জানা থাকা সত্বেও আল্লাহ
তাআলা বলবেন : কে জীবিত রইলো ? তিনি বলবেন, জীবিত আছেন আপনি, যিনি চিবঞ্জীব,
ইা৷র মৃত্যু নেই ৷ আর বেচে আছেন আপনার আরশ বহনকারিগণ এবং জিবরাঈল ও মীকাঈল ৷
এ কথা শুনে আল্লাহ তাআলা বলবেন : জিবরাঈল এবং মীকাঈলেরও মৃত্যু হয়ে যাক ৷ তখন
আরশ আল্লাহর সঙ্গে কথা বলবে ৷ সে বলবে, হে আমার প্রতিপালক ! জিবরাঈল এবং
মীকাঈলও মারা যাবেন? আল্লাহ বলবেন : চুপ কর ! আমার আরশের নিচে যায়৷ আছে; তাদের
প্রত্যেকের জন্য আমি মৃত্যু অবধারিত করে রেখেছি ৷ তারপর তারা দু’জনও মারা যাবেন ৷
তারপর মালাকুল মউত মহান আল্লাহর নিকট এসে বলবেন, হে আমার প্রতিপালক!
জিবরাঈল এবং মীকা ঈলও তো মারা গিয়েছেন ৷ একথা শুনে আল্লাহ তাআলা বলবেন অথচ
কে বেচে আছে সে সম্পর্কে তিনি সমধিক অবহি৩, তাহলে আর কে বেচে আছেঃ তিনি বলবেন
বেচে আছেন আপনি চিরঞ্জীব সত্তা, র্যার মৃত্যু নেই ৷ আর বেচে আছে আপনার আরশ
বহনকারিগণ ও আমি ৷ তখন আল্লাহ তা আল৷ বলবেন : আমার আরশ বহনকারীদেরও মৃত্যু
হোক ৷ ফলে তারা মারা যাবেন এবং আল্লাহর আদেশে আরশ ইসরাফীলের নিকট থেকে
শিঙ্গাটা নিয়ে নেবেন ৷৩ তারপর মালাকুল মউত এসে বলবেন, হে আমার প্রতিপালক আপনার
আরশ বহনকারিগণ মারা গেছেন ৷ তা শুনে আল্লাহ তা জানা বলবেন ৷ যদিও কে বেচে আছে
তা তিনিই সবচেয়ে ভালো জানেন তাহলে আর কে বেচে আছেঃ৩ তিনি বলবেন, বেচে
আছেন আপনি চিরঞ্জীব সত্তা, যার মৃত্যু নেই ৷ আর বেচে আ ৷ছি আমি ৷ তখন আল্লাহ তা জানা
বলবেনং তুমিও আমার সৃষ্টিসমুহের একটি সৃষ্টি ৷ আমি তোমাকে বিশেষ উদ্দেশ্যে সৃষ্টি
الشَّيْطَانَ، وَلَقَّنَهُ الْمَلَكُ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ. فِي تِلْكَ الْحَالِ الْعَظِيمَةِ» . هَذَا حَدِيثٌ مُرْسَلٌ، وَفِيهِ نَظَرٌ. وَذَكَرْنَا فِي حَدِيثِ الصُّورِ مِنْ طَرِيقِ إِسْمَاعِيلَ بْنِ رَافِعٍ الْمَدَنِيِّ الْقَاصِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ زِيَادٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ كَعْبٍ الْقُرَظِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. الْحَدِيثَ بِطُولِهِ، وَفِيهِ: «وَيَأْمُرُ اللَّهُ إِسْرَافِيلَ بِنَفْخَةِ الصَّعْقِ، فَيَنْفُخُ نَفْخَةَ الصَّعْقِ ; فَيُصْعَقُ أَهْلُ السَّمَاوَاتِ، وَأَهْلُ الْأَرْضِ إِلَّا مَنْ شَاءَ اللَّهُ، فَإِذَا هُمْ قَدْ خَمَدُوا، جَاءَ مَلَكُ الْمَوْتِ إِلَى الْجَبَّارِ عَزَّ وَجَلَّ، فَيَقُولُ: يَا رَبِّ قَدْ مَاتَ أَهْلُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ إِلَّا مَنْ شِئْتَ. فَيَقُولُ اللَّهُ وَهُوَ أَعْلَمُ بِمَنْ بَقِيَ: فَمَنْ بَقِيَ؟ فَيَقُولُ: يَا رَبِّ بَقِيتَ أَنْتَ الْحَيُّ الَّذِي لَا يَمُوتُ، وَبَقِيَتْ حَمَلَةُ عَرْشِكَ، وَبَقِيَ جِبْرِيلُ وَمِيكَائِيلُ. فَيَقُولُ: لِيَمُتْ جِبْرِيلُ وَمِيكَائِيلُ. فَيُنْطِقُ اللَّهُ الْعَرْشَ فَيَقُولُ: يَا رَبِّ يَمُوتُ جِبْرِيلُ وَمِيكَائِيلُ. فَيَقُولُ: اسْكُتْ فَإِنِّي كَتَبْتُ الْمَوْتَ عَلَى كُلِّ مَنْ كَانَ تَحْتَ عَرْشِي. فَيَمُوتَانِ، ثُمَّ يَأْتِي مَلَكُ الْمَوْتِ إِلَى الْجَبَّارِ عَزَّ وَجَلَّ، فَيَقُولُ: يَا رَبِّ قَدْ مَاتَ جِبْرِيلُ وَمِيكَائِيلُ فَيَقُولُ اللَّهُ وَهُوَ أَعْلَمُ: بِمَنْ بَقِيَ فَمَنْ بَقِيَ؟ فَيَقُولُ: بَقِيتَ أَنْتَ الْحَيُّ الَّذِي لَا يَمُوتُ، وَبَقِيَتْ حَمَلَةُ عَرْشِكَ، وَبَقِيتُ أَنَا. فَيَقُولُ اللَّهُ: لِتَمُتْ حَمَلَةُ عَرْشِي. فَيَمُوتُونَ، وَيَأْمُرُ اللَّهُ الْعَرْشَ فَيَقْبِضُ الصُّورَ مِنْ إِسْرَافِيلَ، ثُمَّ يَأْتِي مَلَكُ الْمَوْتِ فَيَقُولُ: يَا رَبِّ قَدْ مَاتَ حَمَلَةُ عَرْشِكَ. فَيَقُولُ اللَّهُ وَهُوَ أَعْلَمُ بِمَنْ بَقِيَ فَمَنْ بَقِيَ؟ فَيَقُولُ: بَقِيتَ أَنْتَ الْحَيُّ الَّذِي لَا يَمُوتُ، وَبَقِيتُ أَنَا فَيَقُولُ اللَّهُ: أَنْتَ خَلْقٌ مِنْ خَلْقِي خَلَقْتُكَ لِمَا رَأَيْتَ فَمُتْ. فَيَمُوتُ، فَإِذَا لَمْ يَبْقَ إِلَّا اللَّهُ الْوَاحِدُ الْقَهَّارُ الْأَحَدُ الصَّمَدُ الَّذِي لَمْ يَلِدْ، وَلَمْ يُولَدْ، وَلَمْ يَكُنْ لَهُ كُفُوًا أَحَدٌ كَانَ آخِرًا كَمَا كَانَ أَوَّلًا» .
পৃষ্ঠা - ১০৬
করেছিলাম ৷ অতএব, তুমিও মরে যাও ৷ ফলে৩ তিনিও মারা যাবেন ৷৩ তারপর অবশিষ্ট থাকবেন
শুধু অদ্বিভীয় পরাক্রমশা ৷লী এক ও অমুখাপেক্ষী সত্তা ৷যিনি কা ৷উকে জন্ম দেননি এবং যাকে কেউ
জন্ম দেয়নি, য র তুল্য কেউ নেই, যিনি প্রথমে যেমন ছিলেন, পরেও তেমনি থাকবেন ৷
ইমাম তার রানী, ইবন জারীর এবং বায়হার্কী (ব) এ হাদীসটি সবিস্তারে বর্ণনা করেছেন ৷
আর হাফিজ আবু মুসা আল-মাদীনী আত-তিওয়ালাত’ গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷ তার
বর্ণনায় কিছু অতিরিক্ত বিরল কথাও আছে ৷ তাহলাে “আল্লাহ তা’আলা বলবেন৪ তুমি আমার
সৃষ্টিসমুহের একটি সৃষ্টি ৷ তোমাকে আমি বিশেষ উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করেছিলাম ৷ অ৩ এর, তুমি
এমনভাবে মরে যাও, যারপর আর কখনো তুমি জীবিত হবে না ৷’
কুরআনে যে সব ফেবেশতার নাম উল্লেখ করা হয়েছে; প্রাচীন যুগের বিপুল সংখ্যক
আলিমের মতে তাদের মধ্যে হারুত এবং মারুতও রয়েছেন ৷ এদের কাহিনী সম্পর্কে বেশ কিছু
রিওয়ায়েত বর্ণিত হয়েছে, যার বেশির ভাগই ইসরাঈলী বর্ণনা ৷
ইমাম আহমদ (র) এ প্রসংে গ ইবন উমর (রা ) থেকে একটি মারকু হাদীস বর্ণনা করেছেন
এবং ইবন হিব্বান তার তাকাসীম’ গ্রন্থে৩ ওাকে সহীহ বলে মন্তব্য করেছেন ৷ তবে আমার মতে
বর্ণনাটির বিশুদ্ধতায় সন্দেহের অবকাশ রয়েছে ৷ হাদীসটি আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা ) এর উপর
মওকুফ হওয়া ৷ই অধিকতর যুক্তিসংপত ৷ সম্ভবত এটি তিনি কা ব আহবার থেকে গ্রহণ করেছেন,
যেমন পরে এর আলোচনা আসছে ৷ উক্ত বর্ণনায় আছে যে, যুহরা তাদের সামনে সেরা সুন্দরী
রমণীরুপে আত্মপ্রকাশ করেছিল ৷
আলী ইবন আব্বাস ও ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণিত আছে যে, যুহরা একজন রমণী ছিল ৷
হারুত ও মারুত তার নিকট কুপ্রস্তাব দিলে ইসমে আজম শিক্ষা দানের শর্তারোপ করে এবং
তারা তাকে তা শিখিয়ে দেন ৷ তখন যে তা পাঠ করে আকাশে উঠে যায় এবং (শুক্র) গ্রহের
রুপ ধারণ করে ৷
হাকিম (র) তার মুসতাদরাকে বর্ণনা করেন যে , ইবন আব্বাস (রা) বলেন, যে যুগে এমন
একজন রুপসী রমণী ছিল, নারী সমাজে তার রুপ ছিল ঠিক নক্ষত্র জগতে যুহরার রুপের ন্যায় ৷
যুহরা সম্পর্কে বর্ণিত পাঠগুলাের মধ্যে এটিই সর্বোত্তম ৷
কেউ কেউ বলেন, হারুতমারুতের কাহিনীটি ইদরীস (আ) এব আমলে ঘটেছিল ৷ আবার
কেউ বলেন, এটা সুলায়মান ইবন দাউদের আমলের ঘটনা ৷ তাফসীরে আমরা এ কথাটি উল্লেখ
করেছি ৷
মােটকথা, এসব হচ্ছে ইসরাঈলী বর্ণনা ৷ কাব আহবার হলেন এর উৎস ৷ যেমন আবদুর
রায্যাক তার তাফসীর গ্রন্থে কাব আহবার সুত্রে কাহিনীটি বর্ণনা করেছেন ৷ আর সনদের দিক
থেকে এটি বিশুদ্ধত তর ৷ আল্লাহই সর্বজ্ঞ ৷
তাছাড়া কেউ কেউ বলেন : পু,ট্রু;ক্ট্র£ঠু র্দ্র,ওদ্বুাগু ৷ ৮৩
এ আয়াত দ্বার ৷জিনদের দৃ টি গোত্রকে বুঝানো হয়েছে ৷ ইবন হাঘৃম (র) এ অভিমত ব্যক্ত
করেছেন ৷ তবে এ অভিমত টি একটি বিরল ও কপট কল্পিত অভিমত ৷
وَذَكَرَ تَمَامَ الْحَدِيثِ بِطُولِهِ. رَوَاهُ الطَّبَرَانِيُّ، وَابْنُ جَرِيرٍ، وَالْبَيْهَقِيُّ. وَرَوَاهُ الْحَافِظُ أَبُو مُوسَى الْمَدِينِيُّ فِي كِتَابِ " الطِّوَالَاتِ " وَعِنْدَهُ زِيَادَةٌ غَرِيبَةٌ، وَهِيَ قَوْلُهُ: فَيَقُولُ اللَّهُ لَهُ: " «أَنْتَ خَلْقٌ مِنْ خَلْقِي خَلَقْتُكَ لِمَا أَرَدْتُ فَمُتْ مَوْتًا لَا تَحْيَا بَعْدَهُ أَبَدًا» ".
وَمِنَ الْمَلَائِكَةِ الْمَنْصُوصِ عَلَى أَسْمَائِهِمْ فِي الْقُرْآنِ: هَارُوتُ، وَمَارُوتُ، فِي قَوْلِ جَمَاعَةٍ كَثِيرَةٍ مِنَ السَّلَفِ. وَقَدْ وَرَدَ فِي قِصَّتِهِمَا وَمَا كَانَ مِنْ أَمْرِهِمَا آثَارٌ كَثِيرَةٌ غَالِبُهَا إِسْرَائِيلِيَّاتٌ. وَرَوَى الْإِمَامُ أَحْمَدُ حَدِيثًا مَرْفُوعًا، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، وَصَحَّحَهُ ابْنُ حِبَّانَ فِي " تَقَاسِيمِهِ "، وَفِي صِحَّتِهِ عِنْدِي نَظَرٌ، وَالْأَشْبَهُ أَنَّهُ مَوْقُوفٌ عَلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، وَيَكُونُ مِمَّا تَلَقَّاهُ عَنْ كَعْبِ الْأَحْبَارِ كَمَا سَيَأْتِي بَيَانُهُ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَفِيهِ: أَنَّهُ تَمَثَّلَتْ لَهُمَا الزُّهْرَةُ امْرَأَةً مِنْ أَحْسَنِ الْبَشَرِ. وَعَنْ عَلِيٍّ، وَابْنِ عَبَّاسٍ، وَابْنِ عُمَرَ أَيْضًا: أَنَّ الزُّهْرَةَ كَانْتِ امْرَأَةً، وَأَنَّهُمَا لَمَّا طَلَبَا مِنْهَا مَا ذُكِرَ، أَبَتْ إِلَّا أَنْ يُعَلِّمَاهَا الِاسْمَ الْأَعْظَمَ، فَعَلَّمَاهَا فَقَالَتْهُ: فَارْتَفَعَتْ إِلَى السَّمَاءِ فَصَارَتْ كَوْكَبًا. وَرَوَى الْحَاكِمُ فِي " مُسْتَدْرَكِهِ " عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: وَفِي ذَلِكَ الزَّمَانِ امْرَأَةٌ حُسْنُهَا فِي النِّسَاءِ كَحُسْنِ الزُّهْرَةِ فِي سَائِرِ الْكَوَاكِبِ. وَهَذَا اللَّفْظُ أَحْسَنُ مَا وَرَدَ
পৃষ্ঠা - ১০৭
فِي شَأْنِ الزُّهْرَةِ، ثُمَّ قِيلَ: كَانَ أَمْرُهُمَا، وَقِصَّتُهُمَا فِي زَمَانِ إِدْرِيسَ. وَقِيلَ: فِي زَمَانِ سُلَيْمَانَ بْنِ دَاوُدَ. كَمَا حَرَّرْنَا ذَلِكَ فِي التَّفْسِيرِ.
وَبِالْجُمْلَةِ فَهُوَ خَبَرٌ إِسْرَائِيلِيٌّ مَرْجِعُهُ إِلَى كَعْبِ الْأَحْبَارِ، كَمَا رَوَاهُ عَبْدُ الرَّزَّاقِ فِي تَفْسِيرِهِ عَنِ الثَّوْرِيِّ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ، عَنْ سَالِمٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنْ كَعْبِ الْأَحْبَارِ بِالْقِصَّةِ. وَهَذَا أَصَحُّ إِسْنَادًا، وَأَثْبَتُ رِجَالًا، وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
، ثُمَّ قَدْ قِيلَ: إِنَّ الْمُرَادَ بِقَوْلِهِ: {وَمَا أُنْزِلَ عَلَى الْمَلَكَيْنِ بِبَابِلَ هَارُوتَ وَمَارُوتَ} [البقرة: 102] . قَبِيلَانِ مِنَ الْجَانِّ. قَالَهُ ابْنُ حَزْمٍ، وَهَذَا غَرِيبٌ وَبَعِيدٌ مِنَ اللَّفْظِ. وَمِنَ النَّاسِ مَنْ قَرَأَ: " وَمَا أُنْزِلَ عَلَى الْمَلِكَيْنِ ". بِالْكَسْرِ، وَيَجْعَلُهُمَا عِلْجَيْنِ مِنْ أَهْلِ فَارِسٍ قَالَهُ الضَّحَّاكُ، وَمِنَ النَّاسِ مَنْ يَقُولُ: هُمَا مَلَكَانِ مِنَ السَّمَاءِ. وَلَكِنْ سَبَقَ فِي قَدَرِ اللَّهِ لَهُمَا مَا ذَكَرَهُ مِنْ أَمْرِهِمَا إِنْ صَحَّ بِهِ الْخَبَرُ، وَيَكُونُ حُكْمُهُمَا كَحُكْمِ إِبْلِيسَ إِنْ قِيلَ: إِنَّهُ مِنَ الْمَلَائِكَةِ. لَكِنَّ الصَّحِيحَ أَنَّهُ مِنَ الْجِنِّ، كَمَا سَيَأْتِي تَقْرِيرُهُ.
وَمِنِ الْمَلَائِكَةِ الْمُسَمَّيْنَ فِي الْحَدِيثِ: مُنْكَرٌ وَنَكِيرٌ عَلَيْهِمَا السَّلَامُ، وَقَدِ اسْتَفَاضَ فِي الْأَحَادِيثِ ذِكْرُهُمَا فِي سُؤَالِ الْقَبْرِ. وَقَدْ أَوْرَدْنَاهَا عِنْدَ قَوْلِهِ تَعَالَى: {يُثَبِّتُ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا بِالْقَوْلِ الثَّابِتِ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَفِي الْآخِرَةِ وَيُضِلُّ اللَّهُ الظَّالِمِينَ وَيَفْعَلُ اللَّهُ مَا يَشَاءُ} [إبراهيم: 27] . وَهُمَا فَتَّانَا الْقَبْرِ، مُوَكَّلَانِ بِسُؤَالِ الْمَيِّتِ فِي قَبْرِهِ، عَنْ رَبِّهِ، وَدِينِهِ، وَنَبِيِّهِ، وَيَمْتَحِنَانِ الْبَرَّ وَالْفَاجِرَ، وَهُمَا أَزْرَقَانِ أَفْرَقَانِ لَهُمَا أَنْيَابٌ وَأَشْكَالٌ مُزْعِجَةٌ وَأَصْوَاتٌ مُفْزِعَةٌ. أَجَارَنَا اللَّهُ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ، وَثَبَّتَنَا بِالْقَوْلِ الثَّابِتِ آمِينَ.
পৃষ্ঠা - ১০৮
আবার কেউ কেউ ;,পুগ্র৷ ৷ ;ষ্এং fl) ৷ ৷ ন্মু যের ঘোগে পড়েছেন এবং হারুতত ণ্
মারুতাক ইরানের সানীপন্থী দৃ জন লোক বলে অভিহিত করেছেন ৷ এটা ঘাহ্হাকের অভিমত
আবার কারো কারো মতে এরা দৃ জন আকাশের ফেরেশতা ৷ কিভু৷ আল্লাহর পুর্ব নির্ধারণ
অনুযায়ী তাদের এ দশা হয়েছে, যা বর্ণি৩ হয়েছে ৷ যদি তা সঠিক হয়ে ৷থাকে তবে তাদের
ঘটনা ইবলীসের ঘটনার সাথে তুল্য হবে, যদি ইবলীস ফেরেশতাদের নস্তুর্ভুক্ত হয়ে থাকে ৷
কিন্তু বিশুদ্ধতর কথা হলো, ইবলীস জিনদের অন্তর্ভুক্ত ৷ এর আলোচনা পরে আসছে ৷
হাদীসে যেসব ফেরেশতার নাম এসেছে তন্মধ্যে সুরকার ও নাফীর তানাভৃম ৷ বিভিন্ন
হাদীসে কবরের সওয়াল প্রসঙ্গে তাদের আলোচনা প্রসিদ্ধি লাভ করেছে ৷ আমরা ট্ট!ত্র
ব্লুৰুএ্ ৷ ট্রু,হুপু৷ এ আয়াভের ব্যাখ্যার তা আলোচনা করেছি ৷
এরা দুজন কবরের পরীক্ষক ৷ মৃত বাক্তিকে তার করবে তার রব, দীন ও নবী সম্পর্কে প্রশ্ন
করার দায়িত্বে এরা নিয়োজিত ৷ এরা সত্কর্মশীল ও পাপ্যচারীদের পরীক্ষা নিয়ে থাকেন ৷ এরা
নীল রঙের ভয়ংকর বড় বড় দাত ভয়ানক আকৃতি ও ভয়ংকর গর্জন বিশিষ্ট ৷ আল্লাহ আমাদের
কবরের আমার থেকে রক্ষা করুন এবং ঈমানের অটল বাণী দ্বারা আমাদেরকে প্রতিষ্ঠিত রাখুন ৷
আমীন
ইমাম বুথারী (র) বর্ণনা করেন যে উরড়য়া বলেন উম্মুল মৃমিনীন আয়েশা রা একদিন
নবী করীম সা) কে বলালনৰু, আপনার উপর উহুদের দিনের চাইতে কঠিনত র হ্রকড়ানদিন
এসেছে কি? উত্তরে নবী করীম ( না ) বললেন ৪৫ তামার সম্প্রদায় থেকে আমি ;য আচরণ
পেয়েছি তন্মভ্রুধ৷ আকাবার (তায়েফের দিনের আচরণঢি ছিল কভ্রুঠারতম ৷ সেদিন আমি ইবন
আবৃদ য়ালীল ইবন আবৃপকিললে-এৱ নিকট আমার দাওয়াত পেশ করলাম ৷ কিভ্যু সে আমার
দাওরাতে কোন সাড়াই দিল না ৷ ফলে আমি বিনগ্ন মুখে ফিরে আমি এবং করনৃছ ছড়াআলিরে
পৌছ৷ পর্যন্ত আমার ভুশই ছিল না ৷ সেখানে পৌছার পর উপর দিকে মাথা তুলে দেখতে পেলাম
যে, একখণ্ড যেন আমার উপর ছারাপাত রেখোছ ৷ সেদিকে তাকিয়ে আমি তার মধ্যে
জিবরাঈল (আ) কে দেখতে পাই ৷ তিনি আমাকে লক্ষ্য করে বললেন আপনার সম্প্রদায়
আপনাকে যা বলেছে এরা যে জবাব দিয়েছে আল্লাহ তা শ্যুনছেন ৷ তিনি আপনার নিকট
পাহাড়ের দায়িত্বে নিয়োজিত ফেরেশতাকে প্রেরণ করেছেন যাতে আপনি তাকে তাদের
ব্যাপারে যা ইচ্ছা আদেশ করেন ৷ তখন পাহাড়ের ফেরেশতা আমাকে সালাম দিয়ে বললেন (হ
মুহাম্মদ! আপনি যদি বলেন তাহলে এ দৃ পাহাড় চা ৷পা দিয়ে ওদেরকে খতম করে দেই ৷ জবাবে
নবী করীয (না) )বললেন ং “বরং আমি আশা করি যে আল্লাহত তাদের ঔরস থেকে এমন প্রজনা
সৃষ্টি করবেন যারা একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করবে এর তার সঙ্গে কাউকে শরীক করবে না৷ট্রু
ইমাম মুসলিম ( র ইবন ওহারের হাদীস থেকে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷
وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ حَدَّثَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ حَدَّثَنِي عُرْوَةُ: «أَنَّ عَائِشَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَدَّثَتْهُ: أَنَّهَا قَالَتْ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: هَلْ أَتَى عَلَيْكَ يَوْمٌ كَانَ أَشَدَّ مِنْ يَوْمِ أُحُدٍ؟ قَالَ: لَقَدْ لَقِيتُ مِنْ قَوْمِكِ، وَكَانَ أَشَدُّ مَا لَقِيتُ مِنْهُمْ يَوْمَ الْعَقَبَةِ، إِذْ عَرَضْتُ نَفْسِي عَلَى ابْنِ عَبْدِ يَالِيلَ بْنِ عَبْدِ كُلَالٍ، فَلَمْ يُجِبْنِي إِلَى مَا أَرَدْتُ، فَانْطَلَقْتُ وَأَنَا مَهْمُومٌ عَلَى وَجْهِي، فَلَمْ أَسْتَفِقْ إِلَّا وَأَنَا بِقَرْنِ الثَّعَالِبِ، فَرَفَعْتُ رَأْسِي فَإِذَا أَنَا بِسَحَابَةٍ قَدْ أَظَلَّتْنِي، فَنَظَرْتُ فَإِذَا فِيهَا جِبْرِيلُ فَنَادَانِي فَقَالَ: إِنَّ اللَّهَ قَدْ سَمِعَ قَوْلَ قَوْمِكَ لَكَ، وَمَا رَدُّوا بِهِ عَلَيْكَ، وَقَدْ بَعَثَ لَكَ مَلَكَ الْجِبَالِ لِتَأْمُرَهُ بِمَا شِئْتَ فِيهِمْ. فَنَادَانِي مَلَكُ الْجِبَالِ فَسَلَّمَ عَلَيَّ، ثُمَّ قَالَ: يَا مُحَمَّدُ. فَقَالَ: ذَلِكَ فَمَا شِئْتَ: إِنْ شِئْتَ أَنْ أُطْبِقَ عَلَيْهِمُ الْأَخْشَبَيْنِ. فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: بَلْ أَرْجُو أَنْ يُخْرِجَ اللَّهُ مِنْ أَصْلَابِهِمْ مَنْ يَعْبُدُ اللَّهَ وَحْدَهُ لَا يُشْرِكُ بِهِ شَيْئًا» . وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ وَهْبٍ بِهِ.
পৃষ্ঠা - ১০৯
পরিছেদ
আল্লাহ তাআলা যেসব উদ্দেশে ফেরেশতাগণকে সৃষ্টি করেছেন সেদিক থেকে
ফেরেশতাগণ কয়েক ভাগে বিভক্ত ৷ তন্মধ্যে একদল হলেন আরশ বহনকারী ৷ উপরে তাদের
সম্পর্কে আলোচনা হয়েছে ৷ আরেক দল হলেন কারুবীব্যুন ফেরেশতাগণ ৷ আরবের চতুর্গার্শে
এদের অবস্থান ৷ আরশ বহনকারীদের মত এরাও বিশেষ মর্যাদার অধিকারী এবং ভৈনকট্যপ্রাণ্ড
ফেরেশতা ৷ যেমন আল্লাহ্ তা অলো বলেনং
ৰু, হুশুর্টুব্রে ৷ এ্যা ’ ৷ র্বৃহ্ব
অর্ধাত্ (ঙ্গসা) মাসীহ আল্লাহর বান্দা হওয়াকে হেয় জ্ঞান করে না এবং ঘনিষ্ঠ
ফেরেশতাগণও নয় ৷ (৪ : ১৭২)
জিবরফ্লি এবং মীকাঈল (আ)ন্ও তাদেরই অম্ভর্তৃক্ত ৷ আল্লাহ র্তামের সম্পর্কে উঃল্লখ
করেছেন যে, তারা অনুপন্থিতিতে মুমিনদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে থাকেন ৷ যেমন আল্লাহ
তাআলা বলেন :
ট্রা
ম
)
অর্থাৎ-এবং তারা মুমিনদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে বসে, হে আমাদের প্ৰতিপালকস্র
তোমার দয়া ও জ্ঞান সর্বব্যাপী ৷ অতএব যারা তওেৰা করে ও তোমার পথ অবলম্বন করে তুমি
তাদেরকে ক্ষমা কর এবং জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা কর ৷
হে আমাদ্যেন্ধ্র প্রতিপালক ! তুমি তাদেরকে দাখিল কর স্থায়ী জান্নাতে, যার প্রতিশ্রুতি তুমি
তাদেরকে দিয়েছ এবং তাদের পিতা-মাতা, পত্তি পত্নী ও সত্তান-সত্ততিদের মধ্যে যারা সৎকর্ম
করেছে তাদেরকেও ৷ তুমি তাে পরাক্রমশাপী, প্ৰজ্ঞমিয় ৷ এবং ভুমি তাদেরকে শাস্তি থেকে রক্ষা
কর , সেদিন তুমি যাকে শাস্তি হতে রক্ষা করবে, তাকে তো অনৃগ্নহস্থ করবে ৷ এটাই তো মহা
সাফল্য ৷ (৪০ ও ৭-৯)
আর তারা এমন পুত পবিত্র চরিত্রের অধিকারী হওয়ার কারণে র্তারা তাদেরকে
ভালো-ৰাসেন, যারা এ গুণে গুণাঘিত ৷ যেমন হাদীসে মহানৰী (যা) বলেছেন ও
আলৰিদায়া ওয়ান নিহরাে (১ম পর) ১৭ ৭-
০০য়ো
[فَصْلٌ أَقْسَامُ الْمَلَائِكَةِ]
فَصْلٌ
ثُمَّ الْمَلَائِكَةُ عَلَيْهِمُ السَّلَامُ بِالنِّسْبَةِ إِلَى مَا هَيَّأَهُمُ اللَّهُ لَهُ أَقْسَامٌ: فَمِنْهُمْ حَمَلَةُ الْعَرْشِ كَمَا تَقَدَّمَ ذِكْرُهُمْ، وَمِنْهُمُ الْكَرُوبِيُّونَ الَّذِينَ هُمْ حَوْلَ الْعَرْشِ، وَهُمْ أَشْرَفُ الْمَلَائِكَةِ مَعَ حَمَلَةِ الْعَرْشِ، وَهُمُ الْمَلَائِكَةُ الْمُقَرَّبُونَ كَمَا قَالَ تَعَالَى: {لَنْ يَسْتَنْكِفَ الْمَسِيحُ أَنْ يَكُونَ عَبْدًا لِلَّهِ وَلَا الْمَلَائِكَةُ الْمُقَرَّبُونَ} [النساء: 172] . وَمِنْهُمْ جِبْرِيلُ وَمِيكَائِيلُ عَلَيْهِمَا السَّلَامُ، وَقَدْ ذَكَرَ اللَّهُ عَنْهُمْ أَنَّهُمْ يَسْتَغْفِرُونَ لِلْمُؤْمِنِينَ بِظَهْرِ الْغَيْبِ، كَمَا قَالَ تَعَالَى: {وَيَسْتَغْفِرُونَ لِلَّذِينَ آمَنُوا رَبَّنَا وَسِعْتَ كُلَّ شَيْءٍ رَحْمَةً وَعِلْمًا فَاغْفِرْ لِلَّذِينَ تَابُوا وَاتَّبَعُوا سَبِيلَكَ وَقِهِمْ عَذَابَ الْجَحِيمِ رَبَّنَا وَأَدْخِلْهُمْ جَنَّاتِ عَدْنٍ الَّتِي وَعَدْتَهُمْ وَمَنْ صَلَحَ مِنْ آبَائِهِمْ وَأَزْوَاجِهِمْ وَذُرِّيَّاتِهِمْ إِنَّكَ أَنْتَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ وَقِهِمُ السَّيِّئَاتِ وَمَنْ تَقِ السَّيِّئَاتِ يَوْمَئِذٍ فَقَدْ رَحِمْتَهُ وَذَلِكَ هُوَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ} [غافر: 7]
[غَافِرٍ: 7 - 9] .
وَلَمَّا كَانَتْ سَجَايَاهُمْ هَذِهِ السَّجِيَّةَ الطَّاهِرَةَ، كَانُوا يُحِبُّونَ مَنِ اتَّصَفَ بِهَذِهِ الصِّفَةِ وَيَدْعُونَ كَمَا ثَبَتَ فِي الْحَدِيثِ عَنِ الصَّادِقِ الْمَصْدُوقِ أَنَّهُ قَالَ: «إِذَا دَعَا الْعَبْدُ لِأَخِيهِ بِظَهْرِ الْغَيْبِ قَالَ الْمَلَكُ: آمِينَ وَلَكَ بِمِثْلٍ» .
وَمِنْهُمْ سُكَّانُ السَّمَاوَاتِ السَّبْعِ يَعْمُرُونَهَا عِبَادَةً دَائِبَةً لَيْلًا وَنَهَارًا صَبَاحًا
পৃষ্ঠা - ১১০
অর্থাৎ কে ন ব্যক্তি তার ভাইয়ের জন্য৩ তার অনুপন্থিতিতে দু আ করলে ৫ফরেশতারা
বলেন, আমীন, আর তোমার জন্যও তাই হোক ৷
আরেক দল হলেন সাত আকাশে বসবাসকারী ফেরেশতা ৷ তারা রাত দিন ও সকাল সন্ধ্যা
অবিরাম ইবাদত করে আকাশসমুহকে আবাদ রাখেন ৷ যেমন আল্লাহ তা আল৷ বলেন৪
অর্থাৎ-তারা রাত-দিন তীর পবিত্র৩ ৷ ও মহিমা ঘোষণা করে ৷ তারা ৷শৈথিল্য করে না ৷
(২১ং : ২০)
ফেরেশতাদের কেউ কেউ সর্বদা রুকু অবস্থায় আছেন, কেউ কেউ আছেন দণ্ডায়মান আর
কেউ কেউ সিজদারত ৷ আরেক দল আছেন র্যারা দলে দলে পালাক্রাম প্রত্যহ সত্তর হাজার
বায়তৃল মামুরে পমনাগমন করেন ৷ একবার হারা আসেন র্তার৷ পুনরায় আর সেখানে
আসেন না ৷
আরেক দল আছেন যারা জান্নাতসমুহের দায়িত্বে রয়েছেন ৷ জান্নাতীদের সম্মান প্রদর্শনের
ব্যবস্থাপনা, তাতে বসবাসকারীদের এমন পােশাক-পরিচ্ছদ, বাসস্থান ও খাদ্য-পানীয় ইত্যাদির
আয়োজন করাও তাদের দায়িতু যা কোন চোখ দেখেনি, কোন কান যা শুনেনি এবং কোন
মানুষের হৃদয়ে যার কল্পনাও আসেনি ৷ উল্লেখ্য যে, জান্নাতের দায়িত্বে নিযুক্ত ফেরেশতার নাম
রিদৃওয়ান ৷ বিভিন্ন হাদীসে এর স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে ৷
আবার কতিপয় ফেরেশতা জাহান্নামের দা ৷য়িত্বে ও নিযুক্ত রয়েছেন ৷ তারা হলেন য়াবানিয়৷ ৷
এদের মধ্যে উনিশজন হলেন নেতৃস্থানীয় ৷ আর জাহান্নামের দায়িত্বে নিয়োজিত ফেরেশতার
নাম মালিক ৷ জাহান্নামের দায়িত্বে নিযুক্ত ফেরেশ৩ ৷দের তিনিই প্রধান ৷ নিচের আয়াতগুলোতে
“ তাদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে ৷
া
অর্থাৎ-জাহান্নামীরা তার প্রহরীদেরকে বলবে, তোমাদের প্রতিপালকের নিকট প্রার্থনা কর
যেন৩ তিনি আমাদের থেকে একদিনের শান্তি লাঘব করে দেন ৷ (৪ : : ৪৯)
দ্বুর্মুপুাৰু হ্রর্দুদ্বুৰু শু;ঘ্র৷ র্চু ^,ই;ষ্কৃার্দু ;হ্রব্লু৷ র্চুঘ্র ¢fi:“ ৷দ্বুট্রুার্মু ওেদ্বু র্চু৷ এা৷া£ ৷ঠু ৷,;াএ্,
স্পেএষ্কেস্পোণ্ৰুএ-শ্র্ন্তন্এঘ্রষ্র্দ্র
অর্থাৎ-তারা চিৎকার করে বলবে, হে মালিক !৫ তামার প্রতিপালক আমাদেরকে নিঃশেষ
করে দিন! যে বলবে, তোমরা তো এভাবেই থাকবে ৷
আল্লাহ বলবেন, আমি তো তোমাদের নিকট সত্য পৌছিয়েছিলাম , কিন্তু তোমাদের
অধিকাৎশই ছিল সত্যবিমুখ ৷ (৪৩৪ ৭ ৭ ৭৮)
া
শ্রো মোঃ
وَمَسَاءً، كَمَا قَالَ: {يُسَبِّحُونَ اللَّيْلَ وَالنَّهَارَ لَا يَفْتُرُونَ} [الأنبياء: 20] . فَمِنْهُمُ الرَّاكِعُ دَائِمًا، وَالْقَائِمُ دَائِمًا، وَالسَّاجِدُ دَائِمًا، وَمِنْهُمُ الَّذِينَ يَتَعَاقَبُونَ زُمْرَةً بَعْدَ زُمْرَةٍ إِلَى الْبَيْتِ الْمَعْمُورِ كُلَّ يَوْمٍ سَبْعُونَ أَلْفًا لَا يَعُودُونَ إِلَيْهِ آخِرَ مَا عَلَيْهِمْ، وَمِنْهُمُ الْمُوَكَّلُونَ بِالْجِنَانِ، وَإِعْدَادِ الْكَرَامَةِ لِأَهْلِهَا، وَتَهْيِئَةِ الضِّيَافَةِ لِسَاكِنِيهَا ; مِنْ مَلَابِسَ، وَمَصَاغٍ، وَمَسَاكِنَ، وَمَآكِلَ، وَمَشَارِبَ، وَغَيْرِ ذَلِكَ مِمَّا لَا عَيْنٌ رَأَتْ، وَلَا أُذُنٌ سَمِعَتْ، وَلَا خَطَرَ عَلَى قَلْبِ بَشَرٍ.
وَخَازِنُ الْجَنَّةِ مَلَكٌ يُقَالُ لَهُ: رِضْوَانُ جَاءَ مُصَرَّحًا بِهِ فِي بَعْضِ الْأَحَادِيثِ. وَمِنْهُمُ الْمُوَكَّلُونَ بِالنَّارِ، وَهُمُ الزَّبَانِيَةُ، وَمُقَدِّمُوهُمْ تِسْعَةَ عَشَرَ، وَخَازِنُهَا مَالِكٌ، وَهُوَ مُقَدَّمٌ عَلَى جَمِيعِ الْخَزَنَةِ، وَهُمُ الْمَذْكُورُونَ فِي قَوْلِهِ تَعَالَى: {وَقَالَ الَّذِينَ فِي النَّارِ لِخَزَنَةِ جَهَنَّمَ ادْعُوا رَبَّكُمْ يُخَفِّفْ عَنَّا يَوْمًا مِنَ الْعَذَابِ} [غافر: 49] . الْآيَةَ. وَقَالَ تَعَالَى: {وَنَادَوْا يَا مَالِكُ لِيَقْضِ عَلَيْنَا رَبُّكَ قَالَ إِنَّكُمْ مَاكِثُونَ لَقَدْ جِئْنَاكُمْ بِالْحَقِّ وَلَكِنَّ أَكْثَرَكُمْ لِلْحَقِّ كَارِهُونَ} [الزخرف: 77]
[التَّحْرِيمِ: 6] . وَقَالَ تَعَالَى: {عَلَيْهَا تِسْعَةَ عَشَرَ وَمَا جَعَلْنَا أَصْحَابَ النَّارِ إِلَّا مَلَائِكَةً وَمَا جَعَلْنَا عِدَّتَهُمْ إِلَّا فِتْنَةً لِلَّذِينَ كَفَرُوا لِيَسْتَيْقِنَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ وَيَزْدَادَ الَّذِينَ آمَنُوا إِيمَانًا وَلَا يَرْتَابَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ وَالْمُؤْمِنُونَ وَلِيَقُولَ الَّذِينَ فِي قُلُوبِهِمْ مَرَضٌ وَالْكَافِرُونَ مَاذَا أَرَادَ اللَّهُ بِهَذَا مَثَلًا كَذَلِكَ يُضِلُّ اللَّهُ مَنْ يَشَاءُ وَيَهْدِي مَنْ يَشَاءُ وَمَا يَعْلَمُ جُنُودَ رَبِّكَ إِلَّا هُوَ} [المدثر: 30]
[الْمُدَّثِّرِ: 30 - 31] .
পৃষ্ঠা - ১১১
وَمِنْهُمُ الْمُوَكَّلُونَ بِحِفْظِ بَنِي آدَمَ كَمَا قَالَ تَعَالَى: {سَوَاءٌ مِنْكُمْ مَنْ أَسَرَّ الْقَوْلَ وَمَنْ جَهَرَ بِهِ وَمَنْ هُوَ مُسْتَخْفٍ بِاللَّيْلِ وَسَارِبٌ بِالنَّهَارِ لَهُ مُعَقِّبَاتٌ مِنْ بَيْنِ يَدَيْهِ وَمِنْ خَلْفِهِ يَحْفَظُونَهُ مِنْ أَمْرِ اللَّهِ} [الرعد: 10]
[الرَّعْدِ: 10 - 11] . الْآيَاتِ.
قَالَ الْوَالِبِيُّ: عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ {لَهُ مُعَقِّبَاتٌ مِنْ بَيْنِ يَدَيْهِ وَمِنْ خَلْفِهِ يَحْفَظُونَهُ مِنْ أَمْرِ اللَّهِ} [الرعد: 11] . وَهِيَ الْمَلَائِكَةُ. وَقَالَ عِكْرِمَةُ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ {يَحْفَظُونَهُ مِنْ أَمْرِ اللَّهِ} [الرعد: 11] . قَالَ: مَلَائِكَةٌ يَحْفَظُونَهُ مِنْ بَيْنِ يَدَيْهِ وَمِنْ خَلْفِهِ، فَإِذَا جَاءَ قَدَرُ اللَّهِ خَلَّوْا عَنْهُ. وَقَالَ مُجَاهِدٌ: مَا مِنْ عَبْدٍ إِلَّا وَمَلَكٌ مُوَكَّلٌ بِحِفْظِهِ فِي نَوْمِهِ، وَيَقَظَتِهِ مِنَ الْجِنِّ وَالْإِنْسِ وَالْهَوَامِّ، فَمَا مِنْ شَيْءٍ يَأْتِيهِ يُرِيدُهُ إِلَّا قَالَ: وَرَاءَكَ. إِلَّا شَيْءٌ يَأْذَنُ اللَّهُ فِيهِ فَيُصِيبُهُ. وَقَالَ أَبُو أُمَامَةَ: مَا مِنْ آدَمِيٍّ إِلَّا وَمَعَهُ مَلَكٌ يَذُودُ عَنْهُ، حَتَّى يُسْلِمَهُ لِلَّذِي قُدِّرَ لَهُ. وَقَالَ أَبُو مِجْلَزٍ: جَاءَ رَجُلٌ إِلَى عَلِيٍّ فَقَالَ: إِنَّ نَفَرًا مِنْ مُرَادٍ يُرِيدُونَ قَتْلَكَ فَقَالَ: إِنَّ مَعَ كُلِّ رَجُلٍ مَلَكَيْنِ يَحْفَظَانِهِ مِمَّا لَمْ يُقَدَّرْ، فَإِذَا جَاءَ الْقَدَرُ خَلَّيَا بَيْنَهُ وَبَيْنَهُ، إِنَّ الْأَجَلَ جُنَّةٌ حَصِينَةٌ.
وَمِنْهُمُ الْمُوَكَّلُونَ بِحِفْظِ أَعْمَالِ الْعِبَادِ، كَمَا قَالَ تَعَالَى: {عَنِ الْيَمِينِ وَعَنِ الشِّمَالِ قَعِيدٌ مَا يَلْفِظُ مِنْ قَوْلٍ إِلَّا لَدَيْهِ رَقِيبٌ عَتِيدٌ} [ق: 17]
[ق: 17 - 18] .
পৃষ্ঠা - ১১২
অর্থাৎ-তাতে নিয়োজিত আছে নির্মম হৃদয়, কঠো ৷র স্বভ৷ বের ফেরেশতাপণ যারা অমান্য
করে না আল্লাহ যা তাদেরকে আদেশ করেন তা এবং তারা যা করতে আদিষ্ট হয়ত তাই করে ৷
(৬৬ ৬)
র্বুৰুপু;
৫১ঙ্গী৷ র্শ্বণ্ণ্
?
পুশ্ ৷
’ টু
;,ৰু
অর্থাৎ-তার তত্তুাবধানে আছে উনিশজন প্রহরী ৷ আমি ফেরেশ৩ ৷দেরকে করেছি
জকিাহান্নামের প্রহরী ৷ কাফিরদের পরীক্ষা স্বরুপই আমিতাদের এ সংখ্যা উল্লেখ করেছি যাতে
বিত্যেবীদের দৃঢ় প্রত্যয় জন্যে, বিশ্বাসীদের বিশ্বাস বর্ধিত হয় এবং বিশ্বাসীপণ ও কিতাবিপণ
সন্দেহ পোষণ না করে ৷ এর ফলে যাদের অন্তরে ব্যাধি আছে তারা ও কাফিররা বলবে, আল্লাহ
এ অভিনব উক্তি দ্বারা কী বুঝাতে চেয়েছেনঃ এভাবে আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পথভ্রষ্ট করেন এবং
যাকে ইচ্ছা পথ নির্দেশ করেন ৷ ৫৩ ড়ামার প্রতিপালকের বাহিনী সম্পর্কে একমাত্র তিনিই জানেন ৷
( ৭৪ : ৩০-৩ ১ )
আবার এদেরই উপর আদম সন্তানের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব অর্পিত ৷ যেমন আল্লাহ
তা আলা বলেন :
র্গো
অর্থাৎ ৫৩ ৷মাদের মধ্যে যে কথা গোপন রাখে অথবা যে তা প্রকাশ করে, রাত্রিতে যে
আত্মগােপন করে এবং দিবসে যে প্রকাশ্যে বিচরণ করে, তারা সমভাবে আল্লাহর গোচরে
রয়েছে
মানুষের জন্য তার সম্মুখে ও পশ্চাতে একের পর এক প্রহরী থাকে, তারা আল্লাহর আদেশে
তার রক্ষণাবেক্ষণ করে এবং আল্লাহ কোন সম্প্রদায়ের অবস্থা পরিবর্তন করেন না যতক্ষণ না
তারা নিজ অবস্থা ৷নিজে পরিবর্তন করে ৷ কোন সম্প্রদায়ের সম্পর্কে যদি আল্লাহ তাতে কিছু ইচ্ছা
করেন তবে তা রদ করবার কেউ নেই এবং তিনি ব্যতীত তাদের কোন অভিভ৷ ৷বক নেই ৷
(১৩ং : ১ : ১ ১ )
ওয়ালিবী (র) হযরত ইবন আব্বাস (রা) এর বরাতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন,
৫ ৷ ;, হুর্চু র্চু,£ , শ্বগ্রোর্মি এ আয়াতে ট্রুর্টু র্মুট্রু দ্বারা ফেরেশতাপণকে বুঝানো হয়েছে ৷
وَقَالَ تَعَالَى: {وَإِنَّ عَلَيْكُمْ لَحَافِظِينَ كِرَامًا كَاتِبِينَ يَعْلَمُونَ مَا تَفْعَلُونَ} [الانفطار: 10]
[الِانْفِطَارِ: 10 - 12] .
قَالَ الْحَافِظُ أَبُو مُحَمَّدٍ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي حَاتِمٍ الرَّازِيُّ فِي تَفْسِيرِهِ: حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ الطَّنَافِسِيُّ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، وَمِسْعَرٌ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ مَرْثَدٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَكْرِمُوا الْكِرَامَ الْكَاتِبِينَ الَّذِينَ لَا يُفَارِقُونَكُمْ إِلَّا عِنْدَ إِحْدَى حَالَتَيْنِ ; الْجَنَابَةِ، وَالْغَائِطِ، فَإِذَا اغْتَسَلَ أَحَدُكُمْ فَلْيَسْتَتِرْ بِجِذْمِ حَائِطٍ أَوْ بَعِيرِهِ أَوْ لِيَسْتُرْهُ أَخُوهُ» . هَذَا مُرْسَلٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ، وَقَدْ وَصَلَهُ الْبَزَّارُ فِي مُسْنَدِهِ مِنْ طَرِيقِ حَفْصِ بْنِ سُلَيْمَانَ الْقَارِئِ وَفِيهِ كَلَامٌ عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنِ اللَّهَ يَنْهَاكُمْ عَنِ التَّعَرِّي، فَاسْتَحْيُوا مِنْ مَلَائِكَةِ اللَّهِ الَّذِينَ مَعَكُمُ الْكِرَامِ الْكَاتِبِينَ الَّذِينَ لَا يُفَارِقُونَكُمْ إِلَّا عِنْدَ إِحْدَى ثَلَاثِ حَالَاتٍ ; الْغَائِطِ، وَالْجَنَابَةِ، وَالْغُسْلِ، فَإِذَا اغْتَسَلَ أَحَدُكُمْ بِالْعَرَاءِ فَلْيَسْتَتِرْ بِثَوْبِهِ، أَوْ بِجِذْمِ حَائِطٍ، أَوْ بَعِيرِهِ» . وَمَعْنَى إِكْرَامِهِمْ أَنْ يَسْتَحْيِيَ مِنْهُمْ فَلَا يُمْلِي عَلَيْهِمُ الْأَعْمَالَ الْقَبِيحَةَ الَّتِي يَكْتُبُونَهَا، فَإِنَّ اللَّهَ خَلَقَهُمْ كِرَامًا
পৃষ্ঠা - ১১৩
ইকরিমা (র) হযরত ইবন আব্বাস (রা) এর বরাতে বর্ণনা করেন যে, ব্লু ন্০ ,প্রুা;ন্
ধ্া৷ ৷ ,০ অর্থ ফেরেশতাগণ তাকে তার সম্মুখে ও পশ্চাতে রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকেন ৷ পরে
আল্লাহর সিদ্ধান্ত এসে পড়লে তারা সরে পড়েন ৷
মুজাহিদ (র) বলেন, প্রতি বান্দার জন্যে তার ড্রিায় ও জাগরণে জিন, মানব ও হিংস্র ত্তস্থে
থেকে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একজন করে ফেরেশতা নিয়োজিত আছেন ৷ কেউ তার ক্ষতি করতে
আসলে ফেরেশত৷ বলেন, সরে যাও ৷ তবে কোন ক্ষেত্রে আল্লাহর অনুমতি থাকলে তার সে
ক্ষতি হয়েই যায় ৷
আবুউসামা (রা) বলেন, প্রত্যেক মানুষের সঙ্গে এমন একজন ফেরেশতা আছেন যিনি তার
হেফাজতের দায়িত্ব পালন করেন ৷ অবশেষে তিনি তাকে তাকদীরের হাতে সােপর্দ করেন ৷
আবু মিজলায (রা) বলেন, এক ব্যক্তি আলী (রা)-এর নিকট এসে বলল, মুরাদ গোত্রের
কিছু লোক আপনাকে হত্যা করার উদ্যোগ নিয়েছে ৷ একথা শুনে তিনি বললেন, নিশ্চয় প্রত্যেক
ব্যক্তির সাথে দু’জন করে ফেরেশতা আছেন; যারা এমন বিষয় থেকে তাকে রক্ষণাবেক্ষণ
করেন, যা তার তাকদীরে নেই ৷ পরে যখন তাকদীর এসে যায় তখন তারা তার তাকদীরের
হাতেই তাকে ছেড়ে দেন ৷ নির্ধারিত আযু হচ্ছে এক সুরক্ষিত ঢালস্বরুপ ৷
আরেক দল ফেরেশতা আছেন, যারা বান্দার আমল সংরক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত ৷ যেমন
আল্লাহ তা আলা বলেনং :
অর্থাৎ-দক্ষিণে ও বামে বলে তারা কর্ম লিপিবদ্ধ করে ৷ মানুষ যে কথাই উচ্চারণ করে তা
লিপিবদ্ধ করার জন্য তৎপর ফেরেশত৷ তার নিকটেই রয়েছে ৷ (৫০ : ১ ৭ ১৮)
অন্য আয়াতে আল্লাহ তা আলা বলেন০ ং
?, ণ্
অর্থাৎ অবশ্যই আছে৫ আমাদের জন্য তত্ত্বাবধায়কপণ, সম্মানিত লিপিকরবৃন্দ; তারা জানে
তোমরা যা কর ৷ (৮২ং : ১০ ১২)
আবু হাতিম রাযী (র) তার তাফসীরে বংনাি করেন যে, মুজাহিদ (র) বলেন, রাসুলুল্লাহ
(সা) বলেছেন : তোমরা সম্মানিত লিপিকরবৃন্দকে সম্মান কর, যারা গোসল করতে থাকা
অবস্থায় ও পেশাব-পায়খানা জনিত নাপাকী অবস্থা এ দু’টি অবস্থায় ব্যতীত তোমাদের থেকে
বিচ্ছিন্ন হন না ৷ অতএব, তোমাদের কেউ যখন গোসল করে তখন যেন সে দেয়াল কিত্ব৷ উট
দ্বারা আড়াল করে নেয় অথবা তার কোন তাই তাকে আড়াল করে রাখে ৷
এ সুত্রে হাদীসটি মুরসাল ৷ বায্যার তার মুসনাদে জাফর ইবন সুলায়মান সুত্রে মুত্তাসাল
পদ্ধতিতে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷
আলকামামুজাহিদ সুত্রে ইবন আব্বাস (রা) থেকে বংনাি করেন যে, ইবন আব্বাস (বা)
বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন : আল্লাহ তােমাদেরকে বিবস্ত্র হতে নিষেধ করেন ৷ অতএব,
তোমরা লজ্জা করে চল আল্লাহকে এবং তোমাদের সঙ্গের সেসব সম্মানিত লিপিকরদেরকে যারা
فِي خُلُقِهِمْ وَأَخْلَاقِهِمْ. وَمِنْ كَرَمِهِمْ أَنَّهُ قَدْ ثَبَتَ فِي الْحَدِيثِ الْمَرْوِيِّ فِي الصِّحَاحِ، وَالسُّنَنِ، وَالْمَسَانِيدِ مِنْ حَدِيثِ جَمَاعَةٍ مِنَ الصَّحَابَةِ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: «لَا يَدْخُلُ الْمَلَائِكَةُ بَيْتًا فِيهِ صُورَةٌ وَلَا كَلْبٌ وَلَا جُنُبٌ» . وَفِي رِوَايَةٍ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ ضَمْرَةَ، عَنْ عَلِيٍّ «وَلَا بَوْلٌ» . وَفِي رِوَايَةِ رَافِعٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ مَرْفُوعًا «لَا تَدْخُلُ الْمَلَائِكَةُ بَيْتًا فِيهِ صُورَةٌ، وَلَا تِمْثَالٌ» . وَفِي رِوَايَةِ مُجَاهِدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ مَرْفُوعًا «لَا تَدْخُلُ الْمَلَائِكَةُ بَيْتًا فِيهِ كَلْبٌ أَوْ تِمْثَالٌ» ، وَفِي رِوَايَةِ ذَكْوَانَ أَبِي صَالِحٍ السَّمَّانِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تَصْحَبُ الْمَلَائِكَةُ رُفْقَةً مَعَهُمْ كَلْبٌ أَوْ جَرَسٌ» . وَرَوَاهُ زُرَارَةُ بْنُ أَوْفَى عَنْهُ: «لَا تَصْحَبُ الْمَلَائِكَةُ رُفْقَةً مَعَهُمْ جَرَسٌ» .
وَقَالَ الْبَزَّارُ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ سُلَيْمَانَ الْبَغْدَادِيُّ الْمَعْرُوفُ
পৃষ্ঠা - ১১৪
পেশার-পায়খানা, জানাবত ও গোসলের সময় এ তিন অবস্থা ব্যতীত কখনো তোমাদের থেকে
পৃথক হন না ৷ তাই তোমাদের কেউ খোলা মাঠে গোসল করলে সে যেন তার কাপড় কিত্বা
দেয়াল বা তার উট দ্বারা আড়াল করে নেয় ৷
ফেরেশতাগণকে সম্মান করার অর্থ হলো, তাদের ব্যাপারে লজ্জা করে চলা ৷ অর্থাৎ তাদের
দ্বারা মন্দ আমল লিপিবদ্ধ করাবে না ৷ কেননা, আল্লাহ তাআলা তাদের সৃষ্টিতে এবং চারিত্রিক
গুণাবলীতে তাদেরকে সম্মানিত করেছেন ৷
সিহাহ, সুনান ও মাসানীদের বিভিন্ন গ্রন্থে তাদের মর্যাদা সম্পর্কে কিছু সংখ্যক সাহারা কর্তৃক
বর্ণিত বিশুদ্ধ হাদীসে আছে যে, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন : “ফেরেশতাপণ সে ঘরে প্রবেশ
করেন না যে ঘরে ছবি, কুকুর ও জুনৃবী (গোসল ফরজ হয়েছে এমন ব্যক্তি) রয়েছে ৷
হযরত আলী (রা) থেকে আসিম (রা) বর্ণিত রিওয়ায়তে অতিরিক্ত শব্দ আছে এবং যে ঘরে
প্রশ্রাব রয়েছে ৷
আবু সাঈদ (রা) থেকে মারকু সুত্রে বর্ণিত রাফি-এর এক বর্ণনায় আছে : যে গৃহে ছবি
কিত্বা মুর্তি আছে সে গৃহে ফেরেশতা প্রবেশ করেন না ৷
আবু হুরায়রা (রা) থেকে মারকু সুত্রে বর্ণিত মুজাহিদের এক বর্ণনায় আছে : ফেরেশতাগণ
সে গৃহে প্রবেশ করেন না, যে গৃহে কুকুর বা মুর্তি আছে ৷
যাকওয়ান আবু সালিহ সাম্মাক-এর বর্ণনায় আছে যে, আবু হুরায়রা (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ
(সা) বলেছেন : ফেরেশতাগণ সে দলের সঙ্গে থাকেন না, যাদের সাথে কুকুর বা ঘণ্টা থাকে ৷
যুরারা ইবন আওফার বর্ণনায় কেবল ঘণ্টার কথা উল্লেখিত হয়েছে ৷
বায্যার (র) বর্ণনা করেন যে, আবুহুরায়রা (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন : নিশ্চয়
আল্লাহর ফেরেশতাগণ আদমের সম্ভানদেরকে চিনেন (আমার ধারণা তিনি বলেছেন) এবং
তাদের কার্যকলাপ সম্পর্কেও তারা জ্ঞাত ৷ তাই কোন বান্দাকে আল্লাহর আনুগত্যের কোন কাজ
করতে দেখলে তাকে নিয়ে তারা পরস্পর আলোচনা করেন এবং তার নাম-ধাম উল্লেখ করে
বলেন, আজ রাতে অমুক ব্যক্তি সফল হয়েছে, আজ রাতে অমুক ব্যক্তি মুক্তি লাভ করেছে ৷
পক্ষাস্তরে কাউকে আল্লাহর অবড়াধ্যতামুলক কোন কাজ করতে দেখলে তারা তাকে নিয়ে
পরস্পরে আলোচনা করেন এবং তার নাম-ধাম উল্লেখ করে বলেন, অমুক ব্যক্তি আজ রাতে
ধ্বংস হয়েছে ৷
এ বর্ণনাটিতে একজন দুর্বল রাবী রয়েছেন ৷ ইমাম বুখারী (র) বর্ণনা করেন যে, আবু
হুরায়রা (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন : “ফেরেশতাগণ পালাক্রমে আগমন করে
থাকেন ৷ একদল আসেন রাতে, একদল আসেন দিনে এবং ফজর ও আসর নামাষে দুইদল
একত্রিত হন ৷ তারপর যারা তোমাদের মধ্যে রাত যাপন করলেন, তারা আল্লাহর নিকট চলে
যান ৷ তখন আল্লাহ তাদেরকে জিজ্ঞেস করেন অথচ তিনিই সবচেয়ে ভালো জানেন-
আমার বড়ান্দাদেরকে তোমরা কী অবস্থায় রেখে এসেছ ? জবাবে তারা বলেন, তাদেরকে রেখে
এসেছি সালাতরত অবস্থায় আর তাদের নিকট যখন গিয়েছিলাম তখনও তারা সালাতরত
অবস্থায় ছিল ৷
بِالْفَلُوسِيِّ، حَدَّثَنَا بَيَانُ بْنُ حُمْرَانَ، حَدَّثَنَا سَلَّامٌ، عَنْ مَنْصُورِ بْنِ زَاذَانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ مَلَائِكَةَ اللَّهِ يَعْرِفُونَ بَنِي آدَمَ» . وَأَحْسَبُهُ قَالَ: «وَيَعْرِفُونَ أَعْمَالَهُمْ فَإِذَا نَظَرُوا إِلَى عَبْدٍ يَعْمَلُ بِطَاعَةِ اللَّهِ ذَكَرُوهُ بَيْنَهُمْ وَسَمَّوْهُ، وَقَالُوا: أَفْلَحَ اللَّيْلَةَ فُلَانٌ، نَجَا اللَّيْلَةَ فُلَانٌ، وَإِذَا نَظَرُوا إِلَى عَبْدٍ يَعْمَلُ بِمَعْصِيَةِ اللَّهِ ذَكَرُوهُ بَيْنَهُمْ وَسَمَّوْهُ، وَقَالُوا: هَلَكَ فُلَانٌ اللَّيْلَةَ» . ثُمَّ قَالَ الْبَزَّارُ: سَلَّامٌ هَذَا أَحْسَبُهُ سَلَّامًا الْمَدَائِنِيَّ، وَهُوَ لَيِّنُ الْحَدِيثِ. وَقَدْ قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، حَدَّثَنَا شُعَيْبٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الزِّنَادِ، عَنِ الْأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمَلَائِكَةُ يَتَعَاقَبُونَ ; مَلَائِكَةٌ بِاللَّيْلِ، وَمَلَائِكَةٌ بِالنَّهَارِ، وَيَجْتَمِعُونَ فِي صَلَاةِ الْفَجْرِ وَصَلَاةِ الْعَصْرِ، ثُمَّ يُعَرِّجُ إِلَيْهِ الَّذِينَ بَاتُوا فِيكُمْ فَيَسْأَلُهُمْ، وَهُوَ أَعْلَمُ فَيَقُولُ: كَيْفَ تَرَكْتُمْ عِبَادِي؟ فَيَقُولُونَ: تَرَكْنَاهُمْ وَهُمْ يُصَلُّونَ، وَأَتَيْنَاهُمْ وَهُمْ يُصَلُّونَ» . هَذَا اللَّفْظُ فِي كِتَابِ بَدْءِ الْخَلْقِ بِهَذَا السِّيَاقِ. وَهَذَا اللَّفْظُ تَفَرَّدَ بِهِ دُونَ مُسْلِمٍ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ، وَقَدْ أَخْرَجَاهُ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " فِي الْبَدْءِ مِنْ حَدِيثِ مَالِكٍ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ بِهِ. وَقَالَ الْبَزَّارُ:
পৃষ্ঠা - ১১৫
এ বর্ণনার শব্দমালা ঠিক এত রেই সৃষ্টির সুচনা অধ্যায়ে ইমাম বুখারী (ব) এককভাবে
বর্ণনা করেছেন ৷ ইমাম বুখারী ও মুসলিম (র)৩ তাদের সহীহ গ্রন্থদ্বয়ে সুচনা ভিন্ন অন্য সুত্রেও
এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷
বায্যার বর্ণনা করেন যে, আনড়াস (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন : “সৎরক্ষণকারী
ফেরেশতাদ্বয় দৈনিকের সংরক্ষিত আমলনামা আল্লাহর দরবারে নিয়ে যাওয়ার পর তার শুরুতে
ও শেষে ইসতিগফার (ক্ষমা প্রার্থনা) দেখতে পেয়ে তিনি বলেন : লিপির দুই প্রান্তের ম ধ্যখানে
যা আছে আমার বান্দার জন্য আমি তা ক্ষমা করে দিলাম ৷
বাযযার বলেন, তাম্মাম ইবন নাজীহ এককতড়া বে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷ আর তার হাদীস
সম্পর্কে বিভিন্ন হাদীসবেত্তার সমালোচনা থাকা সত্বেও৩ তার বর্ণিত হাদীস যে ৷টামুটি গ্রহণযোগ্য ৷
মােটকথা, প্রত্যেক মানুষের জন্য দু জন করে হেফাজতাে৷ ফেরেশতা আছেন ৷ একজন তার
সম্মুখ থেকে ও একজন তার পেছন থেকে আল্লাহ্র আদেশে তাকে হেফাজত করে থাকেন ৷
আবার প্রত্যেকের সংগে দু’জন করে লিপিকর ফেরেশত৷ আছেন ৷ একজন ডানে ও একজন
বামে ৷ জনের জন্য রামের জনের উপর কর্তৃতু করে না ৷
ৰু)শ্রো ৷ ;,ধ্ জৌ ৷ ;,;
এ আয়াতের (৫০ : ১৮) ব্যাখ্যার আমরা এ বিষয়টি আলোচনা করেছি ৷ ইমাম
আহমদ (ব) বর্ণনা করেন যে, আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা ) বলেছেন :
অর্থাৎ তোমাদের প্ৰতেব্রুকের জন্যই একজন করে জিন সহচর ও ফেরেশত৷ সহচর
দায়িতৃপ্রাপ্ত রয়েছেন ৷
একথা শুনে সাহাবাগণ জিজ্ঞেস করলেন, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ! আর আপনারও ? বললেন :
§
অর্থাৎ-“হ্যা আমারও ৷ বিৎ আল্লাহত তার উপর আমাকে সাহায্য করেছেন ৷ ফলে সে
আমাকে মঙ্গল ছাড়া অন্য কিছুর আদেশ করে না ৷ (মুসলিম শরীফ)
এ ফেরেশতা সহচর এবং মানুষের সংরক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত সহচর অভিন্ন না হওয়া
বিচিত্র নয় ৷ আলোচ্য হাদীসে সে সহচরের কথা বলা হয়েছে ,সত্শ্লিষ্ট ব্যক্তিকে আল্লাহর আদেশে
কল্যাণ ও হেদায়েতের পথে পরিচালিত করার জন্য তিনি নিযুক্ত ৷ যেমন শয়তান সহচর সংশ্লিষ্ট
ব্যক্তিকে ধ্বংস ও বিভ্রান্ত করার চেষ্টায় নিয়োজিত ৷ এতে যে চেষ্টার ত্রুটি করে না ৷ আল্লাহ
যাকে রক্ষা করেন, সে-ই রক্ষা পায় ৷ আল্লাহ্রই সাহায্য কাম্য ৷
ইমাম বুথারী (ব) আবু হুরায়র৷ (বা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন :
“জুমআর দিনে মসজিদের প্রতিটি দরজায় একদল ফেরেশতা অবস্থান নিয়ে আগন্তুকদের
ধারাবাহিক তালিকা লিপিবদ্ধ করেন, তারপর ইমাম মিম্বরে বসে গেলে তারা লিপিসমুহ গুটিয়ে
এসে খুতব৷ শুনতে থাকেন ৷
حَدَّثَنَا زِيَادُ بْنُ أَيُّوبَ، حَدَّثَنَا مُبَشِّرُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ الْحَلَبِيُّ، حَدَّثَنَا تَمَّامُ بْنُ نَجِيحٍ، عَنِ الْحَسَنِ يَعْنِي الْبَصْرِيَّ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا مِنْ حَافِظَيْنِ يَرْفَعَانِ إِلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ مَا حَفِظَا فِي يَوْمٍ فَيَرَى فِي أَوَّلِ الصَّحِيفَةِ وَفِي آخِرِهَا اسْتِغْفَارًا إِلَّا قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: قَدْ غَفَرْتُ لِعَبْدِي مَا بَيْنَ طَرَفَيِ الصَّحِيفَةِ» . ثُمَّ قَالَ: تَفَرَّدَ بِهِ تَمَّامُ بْنُ نَجِيحٍ، وَهُوَ صَالِحُ الْحَدِيثِ قُلْتُ: وَقَدْ وَثَّقَهُ ابْنُ مَعِينٍ، وَضَعَّفَهُ الْبُخَارِيُّ، وَأَبُو حَاتِمٍ، وَأَبُو زُرْعَةَ، وَالنِّسَائِيُّ، وَابْنُ عَدِيٍّ، وَرَمَاهُ ابْنُ حِبَّانَ بِالْوَضْعِ، وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ لَا أَعْرِفُ حَقِيقَةَ أَمْرِهِ.
وَالْمَقْصُودُ أَنَّ كُلَّ إِنْسَانٍ لَهُ حَافِظَانِ مَلَكَانِ اثْنَانِ ; وَاحِدٌ مِنْ بَيْنِ يَدَيْهِ، وَآخَرُ مِنْ خَلْفِهِ يَحْفَظَانِهِ مِنْ أَمْرِ اللَّهِ بِأَمْرِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ، وَمَلَكَانِ كَاتِبَانِ ; عَنْ يَمِينِهِ وَعَنْ شِمَالِهِ ; وَكَاتِبُ الْيَمِينِ أَمِيرٌ عَلَى كَاتِبِ الشَّمَالِ يَكْتُبُ حَسَنَاتِهِ، وَكَاتِبُ الشَّمَالِ يَكْتُبُ سَيِّئَاتِهِ، فَأَرَادَ صَاحِبُ الشِّمَالِ أَنْ يَكْتُبَهَا، قَالَ لَهُ صَاحِبُ الْيَمِينِ: أَمْهِلْهُ لَعَلَّهُ أَنْ يَتُوبَ أَوْ يَسْتَغْفِرَ. وَإِذَا عَمِلَ حَسَنَةً كَتَبَهَا صَاحِبُ الْيَمِينِ مِنْ غَيْرِ تَوَقُّفٍ وَلَا اسْتِئْمَارٍ مَنْ صَاحِبِ الشِّمَالِ. كَمَا ذَكَرْنَا ذَلِكَ عِنْدَ قَوْلِهِ تَعَالَى: {عَنِ الْيَمِينِ وَعَنِ الشِّمَالِ قَعِيدٌ مَا يَلْفِظُ مِنْ قَوْلٍ إِلَّا لَدَيْهِ رَقِيبٌ عَتِيدٌ} [ق: 17]
[ق: 17 - 18] .
فَأَمَّا الْحَدِيثُ الَّذِي رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَسْوَدُ بْنُ عَامِرٍ، حَدَّثَنَا
পৃষ্ঠা - ১১৬
سُفْيَانُ، حَدَّثَنَا مَنْصُورٌ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ هُوَ ابْنُ مَسْعُودٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا مِنْكُمْ مِنْ أَحَدٍ إِلَّا وَقَدْ وُكِّلَ بِهِ قَرِينُهُ مِنَ الْجِنِّ، وَقَرِينُهُ مِنَ الْمَلَائِكَةِ. قَالُوا: وَإِيَّاكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ: وَإِيَّايَ، وَلَكِنَّ اللَّهَ أَعَانَنِي عَلَيْهِ فَلَا يَأْمُرُنِي إِلَّا بِخَيْرٍ» . انْفَرَدَ بِإِخْرَاجِهِ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ مَنْصُورٍ بِهِ. فَيُحْتَمَلُ أَنَّ هَذَا الْقَرِينَ مِنَ الْمَلَائِكَةِ غَيْرُ الْقَرِينِ بِحِفْظِ الْإِنْسَانِ، وَإِنَّمَا هُوَ مُوَكَّلٌ بِهِ لِيَهْدِيَهُ، وَيُرْشِدَهُ بِإِذْنِ رَبِّهِ إِلَى سَبِيلِ الْخَيْرِ، وَطَرِيقِ الرَّشَادِ كَمَا أَنَّهُ قَدْ وُكِّلَ بِهِ الْقَرِينُ مِنَ الشَّيَاطِينِ لَا يَأْلُوهُ جَهْدًا فِي الْخَبَالِ وَالْإِضْلَالِ، وَالْمَعْصُومُ مَنْ عَصَمَهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ، وَبِاللَّهِ الْمُسْتَعَانُ.
وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، وَالْأَغَرِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا كَانَ يَوْمُ الْجُمُعَةِ كَانَ عَلَى كُلِّ بَابٍ مِنْ أَبْوَابِ الْمَسْجِدِ مَلَائِكَةٌ يَكْتُبُونَ الْأَوَّلَ فَالْأَوَّلَ، فَإِذَا جَلَسَ الْإِمَامُ طَوَوُا الصُّحُفَ، وَجَاءُوا يَسْتَمِعُونَ الذِّكَرَ» . وَهَكَذَا رَوَاهُ مُنْفَرِدًا بِهِ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ، وَهُوَ فِي الصَّحِيحَيْنِ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ، وَقَدْ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَقُرْآنَ الْفَجْرِ إِنَّ قُرْآنَ الْفَجْرِ كَانَ مَشْهُودًا} [الإسراء: 78] . وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَسْبَاطٌ، حَدَّثَنَا الْأَعْمَشُ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَحَدَّثَنَا الْأَعْمَشُ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، «عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي قَوْلِهِ: {وَقُرْآنَ الْفَجْرِ إِنَّ قُرْآنَ الْفَجْرِ كَانَ مَشْهُودًا} [الإسراء: 78] . قَالَ: تَشْهَدُهُ
পৃষ্ঠা - ১১৭
সহীহ বুখারী ও মুসলিমে হাদীসটি অন্য সুত্রেও বর্ণিত হয়েছে ৷ আল্লাহ তা’আলা বলেনং :
অর্থাৎ-এবং ফজরের সালাত কায়েম করবে ৷ ফজরের সালাত বিশেষভাবে পরিলক্ষিত
হয় ৷ (১৭ : ৭৮)
কেননা, দিনের ও রাতের ফেরেশতাগণ তা লক্ষ্য করে থাকেন ৷ ইবন মাসউদ (রা) ও আবু
হুরায়রা (রা) সুত্রে ইমাম আহমদ (র) বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা ) ;, ৷ ,; ব্লু ! ’
০ এ
$পু,দ্বু দ্বু:£ ;,< ,ন্খ্রি ;, ৷ এ আঘাতের ব্যাখ্যার বলেছেন০ ং “ফ জরের সালা৩ রাতের
ফেরেশতাগণ ও দিনের ফেরেশতাগণ (একত্রে) প্রত্যক্ষ করে থাকেন
তিরমিযী, নাসাঈ ও ইবন মাজ্যহ্ (র) ও আসবড়াতের থেকে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন এবং
তিরমিষী হাদীসটি হাসান সহীহ বলে মন্তব্য করেছেন ৷ আমার মতে, হাদীসটি মুনকতি
পর্যায়ের ৷ ইমাম বুখারী (র) বর্ণনা করেন যে, আবু হুরায়রা (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা)
বলেছেন :
ক্রো
অর্থাৎ-“একাকী সালাতের চইতে জামাতের সালাতের ফযীলত পচিশ গুণ বেশি এবং
রাতের ফেরেশতাগণ ও দিনের ফেরেশ৩ গণ ফজরের সালাতে একত্রিত হয়ে থাকেন ৷’
আবু হুরায়রা (রা) বলেন, তোমাদের ইচ্ছে হলে ) ;é ৷ ;, টু,দ্বু ট্রু,৷ ,;) ;,,^র্দ্ধর্চু
;&;:; ;, < আয়াতটি পাঠ করতে পার ৷ ইমাম বুখারী (র) বর্ণনা করেন যে, আবু হুরায়রা
(রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন :
৷ ১পু
অর্থাৎ-“কেউ তার ত্রীকে তার শয্যায় আহবান করার পর যদি সে তা প্রত্যাখ্যান করে আর
স্বামী রাগাম্বিত অবস্থায় রাত কটয় তাহলে ভোর পর্যন্ত ফেরেশতাগণ তাকে অভিশাপ দিতে
থাকেন ৷ ”
শুবা, আবু হময, আবু দাউদ এবং আবু মুআবিয়াও আমশ (র) থেকে এর পরিপুবক
হাদীস বর্ণনা করেছেন
সহীহ বুখারী ও মুসলিম শরীফে আছে যে, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন :
مَلَائِكَةُ اللَّيْلِ، وَمَلَائِكَةُ النَّهَارِ» . وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ، وَالنَّسَائِيُّ، وَابْنُ مَاجَهْ مِنْ حَدِيثِ أَسْبَاطٍ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَسَنٌ صَحِيحٌ قُلْتُ: وَهُوَ مُنْقَطِعٌ.
وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، وَسَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «فَضْلُ صَلَاةِ الْجَمِيعِ عَلَى صَلَاةِ الْوَاحِدِ خَمْسٌ وَعِشْرُونَ دَرَجَةً، وَيَجْتَمِعُ مَلَائِكَةُ اللَّيْلِ وَمَلَائِكَةُ النَّهَارِ فِي صَلَاةِ الْفَجْرِ» . يَقُولُ أَبُو هُرَيْرَةَ: اقْرَءُوا إِنْ شِئْتُمْ {وَقُرْآنَ الْفَجْرِ إِنَّ قُرْآنَ الْفَجْرِ كَانَ مَشْهُودًا} [الإسراء: 78] . وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا دَعَا الرَّجُلُ امْرَأَتَهُ إِلَى فِرَاشِهِ فَأَبَتْ فَبَاتَ غَضْبَانَ عَلَيْهَا لِعَنَتْهَا الْمَلَائِكَةُ حَتَّى تُصْبِحَ» . تَابَعَهُ شُعْبَةُ، وَأَبُو حَمْزَةَ، وَابْنُ دَاوُدَ، وَأَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الْأَعْمَشِ. وَثَبَتَ فِي الصَّحِيحَيْنِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِذَا أَمَّنَ الْإِمَامُ فَأَمِّنُوا فَإِنَّ مَنْ وَافَقَ تَأْمِينُهُ تَأْمِينَ الْمَلَائِكَةِ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ» . وَفِي صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ: حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بِلَفْظٍ: «إِذَا قَالَ الْإِمَامُ: آمِينَ فَإِنَّ الْمَلَائِكَةَ تَقُولُ فِي السَّمَاءِ آمِينَ فَمَنْ وَافَقَ تَأْمِينُهُ تَأْمِينَ الْمَلَائِكَةِ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ
পৃষ্ঠা - ১১৮
অর্থাৎ-“যখন ইমাম আমীন বলবে তখন তােমরাও আমীন বলবে ৷ কেননা, ফেরেশতাদের
আমীন বলার সঙ্গে যার আমীন বলা একযোগে হয়; তার পুর্বের সব গুনড়াহ মাফ করে দেয়া
হয়
সহীহ বুখারীতে ইসমাঈল (র) সুত্রে বর্ণিত হাদীসটির পাঠ হলো :
অর্থাৎ-ইমাম য়খন আমীন বলেন তখন আকাশে ফেরেশতারাও আমীন বলে ৷ অতএব,
ফেরেশতাদের আমীন বলার সঙ্গে যার আমীন বলা যোগ হয়; তার পুর্বের গুনাহসমুহ মাফ করে
দেয়া হয় ৷
ইমাম বুখারী (র) বর্ণনা করেন যে, আবুহুরায়রা (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন :
,;গ্রা ৷ এঞে ৷১দ্বু
মোঃ ৷ ,প্রুও ণ্এপ্রুও এহু৷ ৷ ,
অর্থাৎ-ইমাম যখন
১১১৷ ! কারণ যার কথা ফেরেশতাদের কথার সঙ্গে মিলে যাবে তার পুর্বের সমস্ত গুনড়াহ মাফ
করে দেওয়া হবে ৷
ইবন মাজাহ্ (র) ব্যতীত হড়াদীসের মশহুর ছয় কিতড়াবের সংকলকগণের অন্য সকলে ইমাম
মালিকের সুত্রে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷
আবুহুরায়রা (রা) কিংবা আবু সাঈদ (বা) সুত্রে (সন্দেহটি রাবী আমাশ-এর), ইমাম আহমদ
(র) বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন ও লিপিকব ফেরেশতাদের অতিরিক্ত আল্লাহর
কিছু ফেরেশতা আছেন যীরা পৃথিবীময় ঘুরে বেড়ান ৷ তারপর কোন জনগােষ্ঠীকে আল্লাহর
যিকররত অবস্থায় পেলে তারা একে অপরকে ডেকে বলেন, এসো এখানেই তোমাদের বাঞ্ছিত
বস্তু রয়েছে ৷ তারপর তারা নিম্ন আকাশে চলে গেলে আল্লাহ তাআলা জিজ্ঞেস করেন, আমার
বান্দাদেরকে তোমরা কী কাজে রত রেখে এসেছ? জবাবে তারা বলেন, তাদেরকে আমরা
আপনার প্রশংসা ও মাহাত্ম্য বর্ণনা এবং যিকররত রেখে এসেছি ৷ আল্লাহ বলেন, তারা কি
আমাকে দেখেছে ? ফেরেশতাগণ বলেন, না ৷ আল্লাহ বলেন, আমাকে তারা দেখলে কেমন
হতো ? জবাবে তারা বলেন : তারা যদি আপনাকে দেখত; তাহলে তারা আপনার প্রশংসা
জ্ঞাপন, সাহায্য প্রার্থনা ও যিকর করার আরো বেশি তৎপর হতো ৷ বর্ণনাকারী বলেন, তখন
আল্লাহ বলেন, তারা কী চায়ঃ ফেরেশতাপণ বলেন ও তারা জান্নাত চায় ৷
আল্লাহ বলেন, তা কি তারা দেখেছে ? ফেরেশতাগণ বলেন, ত্মী না ৷ আল্লাহ বলেন, তা
যদি তারা দেখত তাহলে কেমন হরুতা ?,ব্লুন্স্তুম্ববে ফেরেশতারা বলেন : যদি তারা তা দেখত
তাহলে জান্নাত কামনায় ও তার অন্বেষণে তারা আরো বেশি তৎপর হতো ৷ তারপর আল্লাহ
বলবেন, তারা কোন বস্তু থেকে আশ্রয় চায় ? ফেরেশতারা বলেন : জাহড়ান্নাম থেকে
ذَنْبِهِ» . وَفِي صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ: حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ حَدَّثَنِي مَالِكٌ، عَنْ سُمَيٍّ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِذَا قَالَ الْإِمَامُ: سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ فَقُولُوا اللَّهُمَّ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ، فَإِنَّ مَنْ وَافَقَ قَوْلُهُ قَوْلَ الْمَلَائِكَةِ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ» . وَرَوَاهُ بَقِيَّةُ الْجَمَاعَةِ إِلَّا ابْنَ مَاجَهْ مِنْ حَدِيثِ مَالِكٍ، عَنْ سُمَيٍّ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ.
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا الْأَعْمَشُ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَوْ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ هُوَ شَكٌّ يَعْنِي الْأَعْمَشَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ لِلَّهِ مَلَائِكَةً سَيَّاحِينَ فِي الْأَرْضِ فَضْلًا عَنْ كُتَّابِ النَّاسِ، فَإِذَا وَجَدُوا أَقْوَامًا يَذْكُرُونَ اللَّهَ تَنَادَوْا: هَلُمُّوا إِلَى بُغْيَتِكُمْ. فَيَجِيئُونَ فَيَحِفُّونَ بِهِمْ إِلَى السَّمَاءِ الدُّنْيَا فَيَقُولُ اللَّهُ: أَيُّ شَيْءٍ تَرَكْتُمْ عِبَادِي يَصْنَعُونَ؟ فَيَقُولُونَ: تَرَكْنَاهُمْ يَحْمَدُونَكَ، وَيُمَجِّدُونَكَ، وَيَذْكُرُونَكَ. فَيَقُولُ: وَهَلْ رَأَوْنِي؟ فَيَقُولُونَ لَا. فَيَقُولُ: فَكَيْفَ لَوْ رَأَوْنِي؟ فَيَقُولُونَ: لَوْ رَأَوْكَ لَكَانُوا أَشَدَّ تَحْمِيدًا، وَتَمْجِيدًا، وَذِكْرًا. قَالَ: فَيَقُولُ: فَأَيُّ شَيْءٍ يَطْلُبُونَ؟ فَيَقُولُونَ: يَطْلُبُونَ الْجَنَّةَ. فَيَقُولُ: وَهَلْ رَأَوْهَا؟ فَيَقُولُونَ: لَا. فَيَقُولُ:
পৃষ্ঠা - ১১৯
আল্লাহ বলেন, তা কি তারা দেখেছে ? ফেরেশতাগণ বলেন : জী না ৷ আল্লাহ বলেন, তা
দেখলে কেমন হতো ; জবাবে তারা বলেন : দেখলে তারা তা থেকে আরো অধিক পলায়নপর
এবং আরো অধিক সন্ত্রস্ত হতো ৷ বনািকারী বলেন, তারপর আল্লাহ বলেন, তােমাদেরকে আমি
সাক্ষী রেখে বলছি যে, আমি তাদেরকে ক্ষমা করে দিলাম ৷ বর্ণনাকারী বলেন, তখন
ফেরেশতারা বলেন, তাদের মধ্যে তো অমুক গুনাহগার ব্যক্তি আছে, যে এ উদ্দেশ্যে তাদের
নিকট আসেনি, সে এসেছিল নিজের কোন প্রয়োজনে ৷ জবাবে আল্লাহ বলেন, ওরা এমনই এক
সম্প্রদায়, তাদের কাছে যেই বসে , সে বঞ্চিত হয় না ৷ বুখারী, মুসলিম, আহমদ (র) (ভিন্ন ভিন্ন
সুত্রে) ৷
ইমাম আহমদ (র) বর্ণনা করেন যে, আবুহুরায়রা (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন :
;ৰুধ্হু )ন্ন্ ব্লু ন্ন্ন্
নৌ
মোঃ
অর্থাৎ-কেউ কোন মু’মিনের দুনিয়ার একটি সংকট দুর করে দিলে, আল্লাহ তার
কিয়ামতের দিনের একটি সংকট দুর করে দেবেন ৷ কেউ কোন মুসলমানের দোষ গোপন
রাখলে আল্লাহ দুনিয়া ও আখিরাতে তার দোষ গোপন রাখবেন ৷ মানুষ যতক্ষণ পর্যন্ত তার
ভাইয়ের সাহায্যার্থে তৎপর থাকে, আল্লাহ ততক্ষণ পর্যন্ত তার সাহায্য করতে থাকেন ৷ কেউ
ইলুম অম্বেষণের উদ্দেশ্যে পথ চললে তার উসিলায় আল্লাহ তার জান্নাতের পথ সুগম করে
দেন ৷ কোন জনগোষ্ঠী যদি আল্লাহর কোন ঘরে বসে আল্লাহর কিতাব তিলাওয়ড়াত করে ও
পরস্পরে তার দারস দান করে, তাহলে তাদের উপর প্ৰশান্তি নেমে আসে, রহমত তাদেরকে
আচ্ছাদিত করে নেয় ৷ ফেরেশতাগণ তাদেরকে পরিবেষ্টন করে রাখেন এবং আল্পাহ্ তার
নিকটস্থ ফোরশতাদের সঙ্গে তাদের সম্পর্কে আলোচনা করেন ৷ আর আমলে যে পিছিয়ে
থাকবে; বংশের পরিচয় তাকে এগিয়ে নিতে পারবে না ৷’ মুসলিম (র) এ হাদীসটি রিওয়ায়ত
করেছেন ৷
ইমাম আহমদ (র) বর্ণনা করেন যে, আবু হুরায়রা (বা) ও আবু সাঈদ (রা) বলেন,
রাসুলুল্লাহ (যা) বলেছেন :
ছো১,;াএ
আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (১ম খপ্চ্ণ্) ১৮-
وَكَيْفَ لَوْ رَأَوْهَا؟ فَيَقُولُونَ: لَوْ رَأَوْهَا لَكَانُوا أَشَدَّ عَلَيْهَا حِرْصًا، وَأَشَدَّ لَهَا طَلَبًا. قَالَ: فَيَقُولُ: مِنْ أَيٍّ يَتَعَوَّذُونَ؟ فَيَقُولُونَ: مِنَ النَّارِ. فَيَقُولُ: وَهَلْ رَأَوْهَا. فَيَقُولُونَ: لَا. فَيَقُولُ: فَكَيْفَ لَوْ رَأَوْهَا؟ فَيَقُولُونَ: لَوْ رَأَوْهَا كَانُوا أَشَدَّ مِنْهَا هَرَبًا وَأَشَدَّ مِنْهَا خَوْفًا. قَالَ: فَيَقُولُ: أُشْهِدُكُمْ أَنِّي قَدْ غَفَرْتُ لَهُمْ. قَالَ: فَيَقُولُونَ: إِنَّ فِيهِمْ فَلَانًا الْخَطَّاءَ، لَمْ يُرِدْهُمْ إِنَّمَا جَاءَ لِحَاجَةٍ. فَيَقُولُ: هُمُ الْقَوْمُ لَا يَشْقَى بِهِمْ جَلِيسُهُمْ» .
وَهَكَذَا رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ، عَنْ قُتَيْبَةَ، عَنْ جَرِيرِ بْنِ عَبْدِ الْحَمِيدِ، عَنِ الْأَعْمَشِ بِهِ. وَقَالَ: رَوَاهُ شُعْبَةُ، عَنِ الْأَعْمَشِ، وَلَمْ يَرْفَعْهُ، وَرَفَعَهُ سُهَيْلٌ، عَنْ أَبِيهِ، وَقَدْ رَوَاهُ أَحْمَدُ، عَنْ عَفَّانَ، عَنْ وُهَيْبٍ، عَنْ سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِنَحْوِهِ كَمَا ذَكَرَهُ الْبُخَارِيُّ مُعَلَّقًا عَنْ سُهَيْلٍ. وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ حَاتِمٍ، عَنْ بَهْزِ بْنِ أَسَدٍ، عَنْ وُهَيْبٍ بِهِ. وَقَدْ رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ أَيْضًا عَنْ غُنْدَرٍ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ سُلَيْمَانَ هُوَ الْأَعْمَشُ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، وَلَمْ يَرْفَعْهُ نَحْوَهُ كَمَا أَشَارَ إِلَيْهِ الْبُخَارِيُّ رَحِمَهُ اللَّهُ.
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا الْأَعْمَشُ، وَابْنُ نُمَيْرٍ
পৃষ্ঠা - ১২০
أَخْبَرَنَا الْأَعْمَشُ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ نَفَّسَ عَنْ مُؤْمِنٍ كُرْبَةً مِنْ كُرَبِ الدُّنْيَا، نَفَّسَ اللَّهُ عَنْهُ كُرْبَةً مِنْ كُرَبِ يَوْمِ الْقِيَامَةِ، وَمَنْ سَتَرَ مُسْلِمًا، سَتَرَهُ اللَّهُ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ، وَمَنْ يَسَّرَ عَلَى مُعْسِرٍ، يَسَّرَ اللَّهُ عَلَيْهِ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ، وَاللَّهُ فِي عَوْنِ الْعَبْدِ، مَا كَانَ الْعَبْدُ فِي عَوْنِ أَخِيهِ، وَمَنْ سَلَكَ طَرِيقًا يَلْتَمِسُ فِيهِ عِلْمًا، سَهَّلَ اللَّهُ لَهُ بِهِ طَرِيقًا إِلَى الْجَنَّةِ، وَمَا اجْتَمَعَ قَوْمٌ فِي بَيْتٍ مِنْ بُيُوتِ اللَّهِ يَتْلُونَ كِتَابَ اللَّهِ، وَيَتَدَارَسُونَهُ بَيْنَهُمْ إِلَّا نَزَلَتْ عَلَيْهِمُ السِّكِينَةُ، وَغَشِيَتْهُمُ الرَّحْمَةُ، وَحَفَّتْهُمُ الْمَلَائِكَةُ، وَذَكَرَهُمُ اللَّهُ فِيمَنْ عِنْدَهُ، وَمَنْ بَطَّأَ بِهِ عَمَلُهُ لَمْ يُسْرِعْ بِهِ نَسَبُهُ» . وَكَذَا رَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ أَبِي مُعَاوِيَةَ.
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْأَغَرِّ أَبِي مُسْلِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، وَأَبِي سَعِيدٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَا اجْتَمَعَ قَوْمٌ يَذْكُرُونَ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ إِلَّا حَفَّتْهُمُ الْمَلَائِكَةُ، وَتَغَشَّتْهُمُ الرَّحْمَةُ، وَنَزَلَتْ عَلَيْهِمُ السِّكِينَةُ، وَذَكَرَهُمُ اللَّهُ فِيمَنْ عِنْدَهُ» . وَكَذَا رَوَاهُ أَيْضًا مِنْ حَدِيثِ إِسْرَائِيلَ، وَسُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ، وَشُعْبَةَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ بِهِ نَحْوَهُ. وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ. وَالتِّرْمِذِيُّ مِنْ حَدِيثِ الثَّوْرِيِّ، وَقَالَ: حَسَنٌ صَحِيحٌ. وَرَوَاهُ ابْنُ مَاجَهْ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي شَيْبَةَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ آدَمَ، عَنْ عَمَّارِ بْنِ رُزَيْقٍ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ بِإِسْنَادِهِ
পৃষ্ঠা - ১২১
অর্থাৎ কোথাও একদল লোক একত্রিত হয়ে আল্লাহর যিকর করলে ফেরেশতাগণ
তাদেরকে বেষ্টন করে নেন, রহমত তাদেরকে আচ্ছন্ন করে ফেলে, তাদের উপর প্রশান্তি নাযিল
হয় এবং আল্লাহ তার নিকটে যারা আছেন তাদের সাথে তাদের সম্পর্কে আলোচনা করেন ৷
মুসলিম, তিরমিযী, ইবন মাজাহ্ (র) ভিন্ন ভিন্ন সুত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷ ইমাম
তিরমিঘী (র) হাদীসটি হাসান সহীহ বলে মন্তব্য করেছেন ৷ এ মর্মে আরো বহু হাদীস রয়েছে ৷
মুসনাদে ইমাম আহমদ ও সুনানের গ্রন্থ চভুষ্টয়ে আবুদ্দারদা (না) থেকে বর্ণিত আছে যে ,
রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন :
৷ ৰু,ন্াগ্লু
অর্থাৎ “ইল্ম অন্বেষণকারীর কাজে সন্তুষ্টি প্রকাশের জন্য ফেরেশতাগণ তাদের ডানা
বিছিয়ে দেন ৷” অর্থাৎ তারা তাদের প্রতি বিনয় প্রকাশ করেন ৷ যেমন আল্লাহ তাআলা বলেন :
ন্-^-শ্এ (মেং এগ্রা রুএি-শ্ ক্রো শুণ্১এ-প্লন্এ
মমতাবশে তাদের (পিতা-মাতার) জন্য নম্রতার পক্ষপুট অবনমিত করবে ৷ ’ (১ ৭ : ২৪)
অন্য আয়াতে আল্লাহ তা আলা বলেন
শুদ্বুঠু;ৰুহ্রট্রুপু৷ পু,ন্ ৰুাৰুৰু৷ ;,দ্বু৷া;র্চুহু ণ্যোদ্বু
যারা তোমার অনুসরণ করে সেসব মুমিনদের প্ৰতি তুমি বিনয়ী হও ৷’ (২৬৪ ২১৫)
ইমাম আহমদ (র) বর্ণনা করেন যে, ইবন মাসউদ (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন :
া
অর্থাৎ “আল্লাহর এমন কিছু ফেরেশ৩ ৷ আছেন যারা আমার নিকট আমার উম্মতের
সালাম পৌছানাের জন্য পৃথিবীময় ঘুরে বেড়ান ৷ ইমাম নাসাঈ (র) হাদীসটি ভিন্ন সুত্রে বর্ণনা
করেছেন ৷
ইমাম আহমদ (র) বর্ণনা করেন যে, আয়েশা (রা) বলেন, রড়াসুলুল্লাহ (যা) বলেছেন :
মোঃ এ্যাএ১
ণ্হ্রা
“ণ্ফারশতাগণকে সৃষ্টি করা হয়েছে নুর থােক, জিন জাতিকে সৃষ্টি করা হয়েছে ঘেড়ায়াবিহীন
আগুন থােক আর আদমকে সৃষ্টি করা হয়েছে তা দ্বারা যা তােমাদেরকে বলা হয়েছে ৷ ইমাম
মুসলিম (র) ও ভিন্ন সুত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷
বলা বাহুল্য যে, ণ্ফরেশতাগণের আলোচনা সম্পর্কিত বিপুল সং খ্যক হাদীস রয়েছে ৷
এখানে আমরা ঠিক৩ ততর্টুকু উল্লেখ করলাম, যতটুকুর আল্লাহ তা ৷ওফীক দান করেছেন ৷ প্ৰশংস
সব র্তা ৷রই প্রাপ্য ৷
نَحْوَهُ. وَفِي هَذَا الْمَعْنَى أَحَادِيثُ كَثِيرَةٌ.
وَفِي مُسْنَدِ الْإِمَامِ أَحْمَدَ، وَالسُّنَنِ، عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ مَرْفُوعًا: «وَإِنَّ الْمَلَائِكَةَ لَتَضَعُ أَجْنِحَتَهَا لِطَالِبِ الْعِلْمِ ; رِضًا بِمَا يَصْنَعُ» . أَيْ: تَتَوَاضَعُ لَهُ كَمَا قَالَ تَعَالَى: {وَاخْفِضْ لَهُمَا جَنَاحَ الذُّلِّ مِنَ الرَّحْمَةِ} [الإسراء: 24] . وَقَالَ تَعَالَى: {وَاخْفِضْ جَنَاحَكَ لِمَنِ اتَّبَعَكَ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ} [الشعراء: 215] . وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ زَاذَانَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ لِلَّهِ مَلَائِكَةً سَيَّاحِينَ فِي الْأَرْضِ يُبَلِّغُونِي عَنْ أُمَّتِي السَّلَامَ» . وَهَكَذَا رَوَاهُ النَّسَائِيُّ مِنْ حَدِيثِ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ، وَسُلَيْمَانَ الْأَعْمَشِ، كِلَاهُمَا عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ السَّائِبِ بِهِ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «خُلِقَتِ الْمَلَائِكَةُ مِنْ نُورٍ، وَخُلِقَتِ الْجَانُّ
পৃষ্ঠা - ১২২
পরিচ্ছেদ
মানব জাতির উপর ফেরেশতাগণের গ্রেষ্ঠত্বে র ব্যাপারে আলিমগণের মতভেদ রয়েছে ৷
কালাম শাস্তের বিভিন্ন কিতারেই এ মাস আলাটি বেশি পা ওয়া যায় ৷ এ মাস অ ৷লায় মতবিরোধ
হলো, মুতাযিল৷ ও তাদের সমমন৷ লোকদের সঙ্গে ৷
এ ব্যাপারে সর্বপ্রাচীন আলোচনা হাফিজ ইবন আসাকির-এর ইতিহাস গ্রন্থে আমি লক্ষ্য
করেছি ৷ তিনি উমায়্যা ইবন আমর ইবন সাঈদ ইবন আস-এর জীবনীতে উল্লেখ করেছেন যে,
তিনি একদিন উমর ইবন আবদুল আযীয (র)-এর কোন এক মজলিসে উপ ত হন ৷ তার
নিকট তখন একদল লোক উপ ত ছিল ৷ কথা প্রসঙ্গে খলীফ৷ উমর (রা) বললেন, সচ্চরিত্র
আদম সন্তান অপেক্ষা আল্লাহর নিকট সম্মানিত আর কেউ নেই এবং নিচের আয়াত টি দ্বারা তিনি
প্রমাণ পেশ করেন ং
অর্থাৎ যারা ঈমান আসে ও সৎকর্য করে তারা ৷ই সৃষ্টির গ্রেষ্ঠ ৷ (৯৮ং : ৭)
উমায়্যা ইবন আমর ইবন সাঈদ (র) তার সঙ্গে একমত পোষণ করেন ৷ শুনে ইরাক ইবন
মালিক বললেন, আল্লাহর নিকট তার ফেরেশতাদের চেয়ে সম্মানিত আর কেউ নেই ৷ তারা
উভয় জগতের সেবক এবং আল্লাহর নবীগণের নিকট প্রেরিত তার দুত ৷ নিচের আয়াত টি দ্বারা
তিনি এর দলীল প্রদান করেন ং
ঠু০
অর্থাৎ পাছে তোমরা ফেরেশতা হয়ে যাও কিৎবা ওে তামরা স্থায়ী হও এ জন্যই তোমাদের
প্ৰতিপালক এ বৃক্ষ সম্বন্ধে তােমাদেরকে নিষেধ করেছেন ৷ ( ৭ : ২০ )
তখন উমর ইবন আবদুল আযীয (র) মুহাম্মদ ইবন কাব কুরাষীকে বললেন, হে আবু
হামযা! আপনি এ ব্যাপারে কী বলেন ? জবাবে তিনি বললেন০ আল্লাহ আদম (আ )-কে
সম্মানিত করেছেন ৷৩ তাকে তিনি নিজ কুদরতী হাতে সৃষ্টি করেছেন তার মধ্যে রুহ সঞ্চার
করেছেন, তার সামনে ফেরেশতাদেরকে সিজদাবনত করিয়েছেন এবং তার সন্তানদের থেকে
নবী-রাসুল বানিয়েছেন এবং যাদের কাছে ফেরেশতাগণ সাক্ষাৎ মানসে উপস্থিত হন ৷
مِنْ مَارِجٍ مِنْ نَارٍ، وَخُلِقَ آدَمُ مِمَّا وُصِفَ لَكُمْ» . وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ رَافِعٍ، وَعَبْدِ بْنِ حُمَيْدٍ، كِلَاهُمَا عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ بِهِ.
وَكَذَلِكَ الْحَدِيثُ الَّذِي رُوِيَ أَنَّ لِلْمَلَكِ لَمَّةً بِقَلْبِ الْعَبْدِ، وَلِلشَّيْطَانِ لَمَّةً بِقَلْبِهِ فَلَمَّةُ الْمَلَكِ إِيعَادٌ بِالْخَيْرِ وَتَصْدِيقٌ بِالْحَقِّ، وَلَمَّةُ الشَّيْطَانِ إِيعَادٌ بِالْفَقْرِ وَفِي رِوَايَةٍ: بِالشَّرِّ، وَتَكْذِيبٌ بِالْحَقِّ. وَكَذَلِكَ الْحَدِيثُ الَّذِي رُوِيَ: «إِذَا أَصْبَحَ الْعَبْدُ ابْتَدَرَهُ الشَّيْطَانُ وَالْمَلَكُ. فَيَقُولُ الْمَلَكُ: افْتَحْ بِخَيْرٍ. وَيَقُولُ الشَّيْطَانُ: افْتَحْ بِشَرٍّ. فَإِذَا ذَكَرَ اللَّهَ وَحَمِدَهُ، تَوَلَّاهُ الْمَلَكُ، وَطَرَدَ عَنْهُ الشَّيْطَانَ إِلَى اللَّيْلِ. فَإِذَا جَاءَ اللَّيْلُ قَالَ الْمَلَكُ: اخْتِمْ بِخَيْرٍ، وَيَقُولُ الشَّيْطَانُ: اخْتِمْ بِشَرٍّ. فَإِنْ خَتَمَ نَهَارَهُ بِخَيْرٍ، تَوَلَّاهُ الْمَلَكُ حَتَّى يُصْبِحَ. وَطَرَدَ عَنْهُ الشَّيْطَانَ» . وَكَذَلِكَ إِذَا خَرَجَ الْعَبْدُ مِنْ مَنْزِلِهِ فَقَالَ: «بِسْمِ اللَّهِ تَوَكَّلْتُ عَلَى اللَّهِ وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ. قَالَ لَهُ الْمَلَكُ: هُدِيتَ وَكُفِيتَ وَوُقِيتَ. ثُمَّ يَتَنَحَّى عَنْهُ الشَّيْطَانُ» . إِلَى آخِرِهِ. وَالْأَحَادِيثُ فِي ذِكْرِ الْمَلَائِكَةِ كَثِيرَةٌ جِدًّا. وَقَدْ ذَكَرْنَا مَا يَسَّرَهُ اللَّهُ تَعَالَى وَلَهُ الْحَمْدُ.
পৃষ্ঠা - ১২৩
মােটকথা, আবু হামযা (র) মুল বিষয়ে উমর ইবন আবদুল আযীয (র) এর সঙ্গে একমত
হয়ে ভিন্ন দলীল পেশ করেন এবং আয়াত দ্বারা তিনি যে দলীল পেশ করেছেন তাকে দুর্বল
আখ্যা দেন ৷ তাহলো : ৷
এ আঘাতের মর্য হলো, ঈমান ও সৎকর্ম শুধু মানুষেরই বৈশিষ্ট্য নয় ৷ কারণ, আল্লাহ
তা অড়ালা ধ্ fi,§’;,§ ,§ বলে ফেরেশতাগণকেও ঈমানের সাথে সম্পৃক্ত করেছেন ৷ অরুপ জিন
জাতিও ঈমানের গুণে গুণড়াষিত ৷ যেমন তারা ড়াংবলেছিল : ধ্ শুপু০ ৷ হেধ্ ! !শুপু এে fi’ ৷ এ
অর্থাৎ-আমরা যখন পথ-নির্দেশক বাণী শুনলাম, তাতে ঈমান আনলাম ৷ ( ৭২ : ১৩)
০
র্চু ,মোঃ ৮ &§ অর্থাৎ আমাদের কতক মুসলিম ৷ (৭২ ১৪ )
আমার মতে, আবদুল্লাহ ইবন আমর (রা) থেকে উসমান ইবন সাঈদ দারেমী (র) কর্তৃক
বর্ণিত মারকু হাদীসটি এ মাসআলার সর্বাপেক্ষা উত্তম দলীল এবং হাদীসটি সহীহও বটে
তাহলো রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন : আল্লাহ তাআলা জান্নাত সৃষ্টি করার পর ফেরেশতাগণ
বললেন : হে আমাদের প্রতিপালক ৰু আমাদের জন্যও এমনটি বানিয়ে দিন, তা থেকে আমরা
পানাহার করব ৷ কারণ, আদম সন্তানের জন্য আপনি দুনিয়া সৃষ্টি করেছেন ৷ জবাবে আল্লাহ
তড়াআলা বললেন : আমি মাঝে আমার নিজ কুদরতী হাতে সৃষ্টি করেছি তার পুণ্যবড়ান
সন্তানদেরকে কিছুতেই ওদের ন্যায় করব না, যাকে বলেছি, হও আর সে হয়ে গেছে ৷
নতুন নতুন বড়াং লায় ইসলাযীক বই ডাউনলোড করতে ইসলামী বই ওয়েব সাইট ভিজিট করুণ
নতুন নতুন বাং লায় ইসলাযীক বই ডাউনলোড করতে ইসলামী বই ওয়েব সাইট ভিজিট করুণ
[فَصْلُ اخْتِلَافِ النَّاسِ فِي تَفْضِيلِ الْمَلَائِكَةِ عَلَى الْبَشَرِ]
فَصْلٌ
وَقَدِ اخْتَلَفَ النَّاسُ فِي تَفْضِيلِ الْمَلَائِكَةِ عَلَى الْبَشَرِ عَلَى أَقْوَالٍ: فَأَكْثَرُ مَا تُوجَدُ هَذِهِ الْمَسْأَلَةُ فِي كُتُبِ الْمُتَكَلِّمِينَ، وَالْخِلَافُ فِيهَا مَعَ الْمُعْتَزِلَةِ، وَمَنْ وَافَقَهُمْ. وَأَقْدَمُ كَلَامٍ رَأَيْتُهُ فِي هَذِهِ الْمَسْأَلَةِ مَا ذَكَرَهُ الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ فِي تَارِيخِهِ فِي تَرْجَمَةِ أُمَيَّةَ بْنِ عَمْرِو بْنِ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ: أَنَّهُ حَضَرَ مَجْلِسًا لِعُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ وَعِنْدَهُ جَمَاعَةٌ. فَقَالَ عُمَرُ: مَا أَحَدٌ أَكْرَمُ عَلَى اللَّهِ مِنْ كِرِيمِ بَنِي آدَمَ. وَاسْتَدَلَّ بِقَوْلِهِ تَعَالَى: {إِنَّ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ أُولَئِكَ هُمْ خَيْرُ الْبَرِيَّةِ} [البينة: 7] . وَوَافَقَهُ عَلَى ذَلِكَ أُمَيَّةُ بْنُ عَمْرِو بْنِ سَعِيدٍ. فَقَالَ عِرَاكُ بْنُ مَالِكٍ: مَا أَحَدٌ أَكْرَمُ عَلَى اللَّهِ مِنْ مَلَائِكَتِهِ هُمْ خَدَمَةُ دَارَيْهِ وَرُسُلُهُ إِلَى أَنْبِيَائِهِ. وَاسْتَدَلَّ بِقَوْلِهِ تَعَالَى: {مَا نَهَاكُمَا رَبُّكُمَا عَنْ هَذِهِ الشَّجَرَةِ إِلَّا أَنْ تَكُونَا مَلَكَيْنِ أَوْ تَكُونَا مِنَ الْخَالِدِينَ} [الأعراف: 20] . فَقَالَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ لِمُحَمَّدِ بْنِ كَعْبٍ الْقُرَظِيِّ: مَا تَقُولُ أَنْتَ يَا أَبَا حَمْزَةَ؟ فَقَالَ: قَدْ أَكْرَمَ اللَّهُ آدَمَ فَخَلَقَهُ بِيَدِهِ، وَنَفَخَ فِيهِ مِنْ رُوحِهِ، وَأَسْجَدَ لَهُ الْمَلَائِكَةَ، وَجَعَلَ مِنْ ذُرِّيَّتِهِ الْأَنْبِيَاءَ وَالرُّسُلَ، وَمَنْ يَزُورُهُ الْمَلَائِكَةُ. فَوَافَقَ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ فِي الْحُكْمِ، وَاسْتَدَلَّ بِغَيْرِ دَلِيلِهِ، وَأَضْعَفَ دَلَالَةَ مَا صَرَّحَ بِهِ مِنَ الْآيَةِ، وَهُوَ قَوْلُهُ: {إِنَّ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ} [البقرة: 277] .
পৃষ্ঠা - ১২৪
مَضْمُونُهُ أَنَّهَا لَيْسَتْ بِخَاصَّةٍ بِالْبَشَرِ فَإِنَّ اللَّهَ قَدْ وَصَفَ الْمَلَائِكَةَ بِالْإِيمَانِ فِي قَوْلِهِ: {وَيُؤْمِنُونَ بِهِ} [غافر: 7] . وَكَذَلِكَ الْجَانُّ {وَأَنَّا لَمَّا سَمِعْنَا الْهُدَى آمَنَّا بِهِ} [الجن: 13] . {وَأَنَّا مِنَّا الْمُسْلِمُونَ} [الجن: 14] . قُلْتُ: وَأَحْسَنُ مَا يُسْتَدَلُّ بِهِ فِي هَذِهِ الْمَسْأَلَةِ مَا رَوَاهُ عُثْمَانُ بْنُ سَعِيدٍ الدَّارِمِيُّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو مَرْفُوعًا، وَهُوَ أَصَحُّ قَالَ: «لَمَّا خَلَقَ اللَّهُ الْجَنَّةَ قَالَتِ الْمَلَائِكَةُ: يَا رَبَّنَا اجْعَلْ لَنَا هَذِهِ نَأْكُلُ مِنْهَا وَنَشْرَبُ فَإِنَّكَ خَلَقْتَ الدُّنْيَا لِبَنِي آدَمَ. فَقَالَ اللَّهُ: لَنْ أَجْعَلَ صَالِحَ ذَرِّيَّةِ مَنْ خَلَقْتُ بِيَدِي كَمَنْ قُلْتُ لَهُ: كُنْ. فَكَانَ» .