আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة تسع وعشرين ومائتين

পৃষ্ঠা - ৮৫৯৩

আবৃসী, আবুল জাহ্ম, ঘুসাদ্দাদ, দাউদ ইবন আমর আঘৃযবৃবী, ইয়াহ্ইয়৷ ইবন আবদুল হামীদ
আল-হাম্মানী ৷

২২৯ হিজরীর সুচনা
এ বছর খলীফা ওয়াছিক রাজ-কোষাগারের হিসাব রক্ষকদের খিয়ানত ও অপচয় প্রকাশ
পাওয়ার পর তাদেরকে দৈহিক শাস্তি প্রদান এবং তাদের কবল থেকে সকল রঞ্জীয় ধন-সষ্পদ
উদ্ধারের নির্দেশ ৷দেন ৷ এদের মধ্যে কাউকে কাউকে এক হাজার কিৎবা তার চেয়ে অধিক
বেত্রাঘাত করা হয়, আবার কাউকে কম ৷ আবার কারও থেকে এক লক্ষ দীনার উসুল করা হয় ৷
কারও থেকে তার চেয়ে কম ৷ ওযীর মুহাম্মদ ইবন আবদুল মালিক সকল সিপাহী প্রধানদের
বিরুদ্ধে প্রকাশ্য শত্রুতায় প্রবৃত্ত হন ফলে তারা নির্ষা৩ ন ও বব্দীত্বের শিাকর হয় এবং মহা-আপদ
ও বিরাট সংকটে নিপতিত ৩হ্য় ৷ এ সময় ইসহাক ইবন ইবরাহীম তাদের বিষয় তদন্ত করার জন্য
বলেন, আর তাদেরকে এবং কােষাপাররক্ষকদেরকে জনসমক্ষে ভীষণভাবে অপদস্থু ও লাঞ্ছিত
করা হয় ৷ আর তার কারণ ছিল একরাতে খলীফা ওয়া ৷ছিক দারুল খিলাফতে তার সহচরদের সাথে
ভৈনশ আলাপচারি৩ায় মশগুল হন ৷ তখন তিনি বলেন, তোমাদের মধ্যে কি এমন কেউ আছে যে
আমার পিতামহ রশীদ কর্তৃক বা ৷রমাকীদের শাস্তি প্রদানের কারণ জা নে ৷ তখন উপস্থিতদের
একজন বলে হী৷ আমিরুল মু’মিনীন ! তার কারণ ছিল এই যে, খলীফা রশীদের সামনে জনৈকা
বাদীকে উপস্থিত করা হয় ৷ তখন তার সৌন্দর্য তাকে মুগ্ধ করে এবং তিনি তার ব্যাপারে তার
মনিবের সাথে দরদাম করেন ৷ তখন সে (র্বাদীর মালিক) বলে, হে আমীরুল মু’মিনীন ! আমি
সকল প্রকার শপথ করেছি যে, তাকে এক লক্ষ দীনারের কমে বিক্রি করব না ৷ তখন রশীদ এই
(বিশাল মুল্যের বিনিময়েই) তার থেকে তাকে ক্রয় করেন এবং তার ওযীর ইয়াহইয়া ইবন
খালিদের কাছে দুত পাঠান যেন তিনি বায়তু ল সাল থেকে এ পরিমা ৷ণ অর্থ তার কাছে পাঠিয়ে
দেন ৷ কিন্তু ওযীর তার কাছে নেই বলে এ ব্যাপারে অপারগত৷ প্রকাশ করেন ৷ এরপর রশীদ
তাকে তিরস্কার করে বলে পাঠান বায়ঙু ল মানে কি এক লক্ষ দীনার নেই ? একথা বলে তিনি
আরও কঠােরভ৷ ৷বে তা চেয়ে পাঠান ৷ তখন ইয়াহইয়৷ ইবন খালিদ তার অধীনস্থদের বলেন
সমমুল্যের দিরহাম তার কাছে পাঠ৷ ৷ও তাহলে৩ তিনি তা অধিক গণ্য করে বাদীটি তার মনিবকে
ফিরিয়ে দেবেন ৷ তখন তারা একলক্ষ দীনার সমমুল্যের দিরহাম প্রেরণ করে খলীফা রশীদের
নামাযে যাওয়ার পথে তা তুপীকৃত করে রাখে ৷ এরপর খলীফা যখন তা অতিক্রম করে যান তখন
সেখানে দিরহামের তুপসমুহ দেখতে পান ৷ এসময়৩ তিনি প্রশ্ন করেন এগুলো কী ? তখন অন্যরা
বলল, বাদীর মুল্য’ ৷ তখন তিনি তা অধিক গণ্য করেন এবংদ দারুল খিলড়াফতে তার জনৈক
প্রেরকের কাছে তা সঞ্চিত রাখার নির্দেশ ৷দেন এবং তার আয়ত্তে অর্থ সঞ্চিত রাখা তাকে মুগ্ধ
করে ৷ এরপর তিনি বায়তল মক্টলের থে৷ ৷জ খবর নিতে গিয়ে দেখেন বা ৷রমাকীরা তা নিঃশে ষ করে
ফেলেছে ৷ তখন তিনি একবার তাদেরকে এর শাস্তিস্বরুপ কঠোরভাবে পাকডাও করে হত্যা
করতে উদ্যত হন, আরেকবার তা থেকে বিরত থাকত মনন্থির করেন ৷ অবশেষে কোন এক
, যস্তে তার কাছে আবুল আ ওদ নামক জনৈক ব্যক্তি নৈশ আলাপে শরীক হয় ৷ তখন তিনি তাকে
র্জিরশ হাজ৷ র দিরহ্াম প্রদানের নির্দেশ দেন ৷ এরপর ঐ ব্যক্তি ওযীর ইয়াহ্ইয়া ইবন খ৷ লিদ ইবন
২ ণ্াকীর কাছে গিয়ে তার প্রাপ্য চায়, কিন্তু তিনি দীর্ঘসময তা আদড়ায়ে গড়িমসি করেন ৷ এরপর
ন্সাল চ্বদায়৷ ওহ্া লে ৷নহায়৷ (১০ম খণ্ড) -৬৫


[سَنَةُ تِسْعٍ وَعِشْرِينَ وَمِائَتَيْنِ] [الْأَحْدَاثُ الَّتِي وَقَعَتْ فِيهَا] ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ تِسْعٍ وَعِشْرِينَ وَمِائَتَيْنِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ أَمَرَ الْوَاثِقُ بِاللَّهِ بِضَرْبِ الدَّوَّاوِينِ، وَاسْتِخْلَاصِ الْأَمْوَالِ مِنْهُمْ، فَمِنْهُمْ مَنْ ضُرِبَ أَلْفَ سَوْطٍ، وَمِنْهُمْ مَنْ أُخِذَ مِنْهُ أَلْفُ أَلْفِ دِينَارٍ، وَدُونَ ذَلِكَ، وَجَاهَرَ الْوَزِيرُ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ لِسَائِرِ وُلَاةِ الشُّرَطِ بِالْعَدَاوَةِ فَكُشِفُوا، وَحُبِسُوا، وَلَقُوا جَهْدًا عَظِيمًا وَجَلَسَ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ لِلنَّظَرِ فِي أَمْرِهِمْ، وَأُقِيمُوا لِلنَّاسِ، وَافْتُضِحُوا فَضِيحَةً بَلِيغَةً، وَكَانَ سَبَبَ ذَلِكَ أَنَّ الْوَاثِقَ جَلَسَ لَيْلَةً فِي دَارِ الْخِلَافَةِ فَسُمِرَ عِنْدَهُ، فَقَالَ: هَلْ مِنْكُمْ أَحَدٌ يَعْرِفُ سَبَبَ عُقُوبَةِ جَدِّي الرَّشِيدِ لِلْبَرَامِكَةِ؟ فَقَالَ بَعْضُ الْحَاضِرِينَ: نَعَمْ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، كَانَ سَبَبَ ذَلِكَ أَنَّ الرَّشِيدَ عُرِضَتْ عَلَيْهِ جَارِيَةٌ، فَأَعْجَبَهُ جَمَالُهَا، فَسَاوَمَ سَيِّدَهَا فِيهَا، فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، إِنِّي أَقْسَمْتُ بِكُلِّ يَمِينٍ أَنْ لَا
পৃষ্ঠা - ৮৫৯৪
أَبِيعَهَا بِأَقَلَّ مِنْ مِائَةِ أَلْفِ دِينَارٍ، فَاشْتَرَاهَا مِنْهُ بِهَا، وَبَعَثَ إِلَى يَحْيَى بْنِ خَالِدٍ الْوَزِيرِ لِيَبْعَثَ بِهَا إِلَيْهِ مِنْ بَيْتِ الْمَالِ، فَاعْتَلَّ بِأَنَّهَا لَيْسَتْ عِنْدَهُ فَأَرْسَلَ الرَّشِيدُ يُؤَنِّبُهُ، وَيَقُولُ: أَلَيْسَ فِي بَيْتِ مَالِي مِائَةُ أَلْفِ دِينَارٍ؟ ! وَأَلَحَّ فِي طَلَبِهَا، فَقَالَ يَحْيَى بْنُ خَالِدٍ: أَرْسِلُوهَا إِلَيْهِ دَرَاهِمَ لِيَسْتَكْثِرَ ذَلِكَ، وَلَعَلَّهُ يَرُدُّ الْجَارِيَةَ. فَبَعَثُوا بِمِائَةِ أَلْفِ دِينَارٍ دَرَاهِمَ، وَوَضَعُوهَا فِي طَرِيقِ الرَّشِيدِ، وَهُوَ خَارِجٌ إِلَى الصَّلَاةِ، فَلَمَّا اجْتَازَ بِهَا رَأَى كَوْمًا مِنْ دَرَاهِمَ. فَقَالَ: مَا هَذَا؟ قَالُوا: ثَمَنُ الْجَارِيَةِ. فَاسْتَكْثَرَ ذَلِكَ، وَأَمَرَ بِخَزْنِهَا عِنْدَ بَعْضِ خَدَمِهِ فِي دَارِ الْخِلَافَةِ، وَأَعْجَبَهُ جَمْعُ الْمَالِ فِي حَوَاصِلِهِ، ثُمَّ شَرَعَ فِي تَتَبُّعِ أَمْوَالِ بَيْتِ الْمَالِ فَإِذَا الْبَرَامِكَةُ قَدِ اسْتَهْلَكُوهُ، فَجَعَلَ يَهُمُّ بِأَخْذِهِمْ تَارَةً وَيُحْجِمُ أُخْرَى، حَتَّى كَانَ فِي بَعْضِ اللَّيَالِي سَمَرَ عِنْدِهِ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ: أَبُو الْعُودِ. فَأَطْلَقَ لَهُ ثَلَاثِينَ أَلْفَ دِرْهَمٍ فَذَهَبَ إِلَى الْوَزِيرِ يَحْيَى بْنِ خَالِدِ بْنِ بَرْمَكَ، فَمَاطَلَهُ بِهَا مُدَّةً طَوِيلَةً، فَلَمَّا كَانَ فِي بَعْضِ اللَّيَالِي فِي السَّمَرِ عَرَّضَ أَبُو الْعُودِ فِي ذَلِكَ لِلرَّشِيدِ بِقَوْلِ عُمَرَ بْنِ أَبِي رَبِيعَةَ: وَعَدَتْ هِنْدٌ وَمَا كَادَتْ تَعِدْ ... لَيْتَ هِنْدًا أَنْجَزَتْنَا مَا تَعِدْ وَاسْتَبَدَّتْ مَرَّةً وَاحِدَةً ... إِنَّمَا الْعَاجِزُ مَنْ لَا يَسْتَبِدْ فَجَعَلَ الرَّشِيدُ يُكَرِّرُ قَوْلَهُ: إِنَّمَا الْعَاجِزُ مَنْ لَا يَسْتَبِدْ
পৃষ্ঠা - ৮৫৯৫
وَيُعْجِبُهُ ذَلِكَ، فَلَمَّا كَانَ الصَّبَاحُ دَخَلَ عَلَيْهِ يَحْيَى بْنُ خَالِدٍ، فَأَنْشَدَهُ الرَّشِيدُ هَذَيْنِ الْبَيْتَيْنِ، وَهُوَ يَسْتَحْسِنُهُمَا فَفَهِمَ ذَلِكَ يَحْيَى بْنُ خَالِدٍ، وَخَافَ، وَسَأَلَ عَنْ مَنْ أَنْشَدَ ذَلِكَ لِلرَّشِيدِ؟ فَقِيلَ لَهُ: أَبُو الْعُودِ. فَبَعَثَ إِلَيْهِ فَأَنْجَزَ لَهُ الثَّلَاثِينَ أَلْفًا، وَأَعْطَاهُ مِنْ عِنْدِهِ عِشْرِينَ أَلْفًا، وَكَذَلِكَ وَلَدَاهُ الْفَضْلُ، وَجَعْفَرٌ، فَمَا كَانَ عَنْ قَرِيبٍ حَتَّى أَخَذَ الرَّشِيدُ الْبَرَامِكَةَ، وَكَانَ مِنْ أَمْرِهِ وَأَمْرِهِمْ مَا كَانَ. فَلَمَّا سَمِعَ ذَلِكَ الْوَاثِقُ أَعْجَبَهُ ذَلِكَ، وَجَعَلَ يُكَرِّرُ قَوْلَ الشَّاعِرِ: إِنَّمَا الْعَاجِزُ مَنْ لَا يَسْتَبِدْ ثُمَّ بَطَشَ بِالْكُتَّابِ عَلَى إِثْرِ ذَلِكَ، وَأَخَذَ مِنْهُمْ أَمْوَالًا عَظِيمَةً جِدًّا. وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ مُحَمَّدُ بْنُ دَاوُدَ، وَهُوَ أَمِيرُ الْحَجِيجِ فِي السِّنِينَ الْمَاضِيَةِ. [مَنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ] وَمِمَّنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ: خَلَفُ بْنُ هِشَامٍ الْبَزَّارُ. أَحَدُ مَشَاهِيرِ الْقُرَّاءِ. وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ الْمُسْنَدِيُّ.
পৃষ্ঠা - ৮৫৯৬
وَنُعَيْمُ بْنُ حَمَّادٍ الْخُزَاعِيُّ. أَحَدُ أَئِمَّةِ السُّنَّةِ بَعْدَ أَنْ كَانَ مِنْ أَكَابِرِ الْجَهْمِيَّةِ، وَلَهُ الْمُصَنَّفَاتُ الْمَشْهُورَةُ فِي الْفِتَنِ وَغَيْرِهَا. وَدِينَارُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ. الْمَنْسُوبُ إِلَيْهِ النُّسْخَةُ الْمَكْذُوبَةُ عَنْهُ أَوْ مِنْهُ، وَهِيَ عَالِيَةُ الْإِسْنَادِ إِلَيْهِ، وَلَكِنَّهَا مَوْضُوعَةٌ.