আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ثلاث وعشرين ومائتين

পৃষ্ঠা - ৮৫৩৯


হয় এবং ইবন সানবাত আমীরদ্বয়ের কাছে এই মর্মে বা৩ ৷ পাঠান, দিনের অমুক সময়ে তোমরা
অমুক স্থানে থাকবে ৷ এরপর তারা দু’ জন (বাবক্ এবং সাহল ইবন সানবা৩ ) উক্তস্থানে পৌছে
তখন আমীরদ্বয় তাদের অধীনস্থ সিপাহীদেৱ নিয়ে বাবক্কে ঘিরে ৫ফলেন আর ইবন সানবাত
তখন পলায়ন করেন ৷ এরপর তারা তখন তাকে দেখতে পায় তখন তার কাছে এসে তাকে বলে,
তুমি তোমার বাহন থেকে নাম ৷ বাবক তখন প্রশ্ন করেন তোমরা দু’জন কে ? তখন তারা বলে

তারা হল আফসীনের প্রেরিত দুত ৷ তখন সে তার বাহন থেকে নামে, আর এসময় তার
পরনে ছিল সাদা পশমী জুব্ব৷ এবং (পায়ে) সংক্ষিপ্ত চামড়ার সোজা , আর হাতে ছিল শিকারী
রাজ ৷ এরপর সে ইবন সানবাতের দিকে ফিরে বলে, আল্লাহ তোমাকে লাঞ্ছিত করুন ! কেন
তুমি আমার কাছে তোমার ইচ্ছামাফিক অর্থ-সম্পদ চাওনি, এরা তোমাকে যা দিয়েছে আমি
তােমাদেরকে তার চেয়ে বেশী দিতাম ৷ এরপর তারা তাকে বাহনে আরোহণ করার এবং
আমীরদ্বয়ের সাথে তাকে আফসীনের কাছে নিয়ে যায় ৷ এরা যখন আফসীনের নিকটবর্তী হয়
তখন তিনি বেরিয়ে এসে তার সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং লোকদের বা ৷স্তার দু’ পাশে সারিবদ্ধভাবে
র্দাড়৷ ৷নাের নির্দো৷ দেন ৷ এরপর তিনি বাবক্কে বাহন থেকে নেমে পায়ে হেটে লোকদের মাঝে
প্রবেশ করা র ৷নির্দেশ দেন ৷ তখন সে তইি করে ৷ আর এটা ছিল, অতি স্মরণীয় একটি দিন ৷ আর
এ ঘটনা সংঘটিত ৩হয় এ বছরের শাওয়াল মাসে ৷ এরপর আফসীন তাকে নিজ হিফাযতে বন্দী
করে রাখেন ৷ এরপর এ বিষয়ে খলীফা মুতাসিমের কাছে পত্র প্রেরণ করেন ৷ তখন খলীফা
তাকে নির্দো৷ দেন তাকে (বাবক্) ও তার ভাইকে নিয়ে আসতে ৩৷ উল্লেখ্য এ সময় আফশীন
বাবকের ভাইকেও বন্দী করেন ৷ বাবকের এই ভাইয়ের নাম ছিল আবদুল্লাহ ৷ (খলীফার নির্দেশ
পালনার্থে) আমীর আফসীন তাদের দু জনকে নিয়ে এ বছরের সমাপ্তিকালে বাপদাদ অভিমুখে
রওয়ানা হন ৷ কিন্তু তিনি তাদেরকে নিয়ে বাগদাদ পৌছার পুর্বেই বছর শেষ হয়ে যায় ৷ আর এ
বছর হজ্জ পরিচালনা করেন পুর্বোল্লিখিত আমীর যার আলোচনা বিগত বছরের আলোচনায়
অতিবাহিত হয়েছে ৷ এছাড়া এ বছর যারা ইনতিকাল করেন তাদের অন্যতম হলেন, আল হাকাম
ইবন নাফি , উমর ইবন হাফস ইবন আয়্যাশ, মুসলিম ইবন ইব্রাহীম, ইয়াহ্ইয়৷ ইবন সালিহ
আল-ওয়াহাত্তী ৷

২২৩ হিজরীর আগমন

এ বছর সফর মাসের তিন তারিখে আমীর আফসীন রাবক্কে সঙ্গে নিয়ে সাঘিরা’ তে
খলীফা ঘুতাসিমের সাথে সাক্ষাৎ করেন ৷ এ সময় তার সাথে বাবকের ভাইও ছিল বিপুল
সাজসজ্জ সহ ৷ এদিকে মুতাসিম তার পুত্র হারুন আল ওয়াছিককে নির্দেশ দেন আফসীনকে
অভ্যর্থনা জানাতে ৷ খলীফা মু’তাসিম বাবকের ব্যাপারে অতি গুরুতু আরোপের কারণে প্রতিদিন
তার খবর তার কাছে পৌছত ৷ বাবকের পৌছার দুদিন পুর্বে খলীফা মুতাসিম ডাক বিভাগের
বাহনে আরোহণ করে বাবকের অজান্তে তার সাক্ষাতে প্রবেশ করেন এবং তাকে দর্শন করে ফিরে
আসেন ৷ এরপর যখন তার সাথে বাবকের সাক্ষাতের দিন উপস্থিত হয় তখন মুতাসিম তার জন্য
প্রস্তুতি ৩গ্রহণ করেন ৷ এ সময় লোকজন দুই সারিতে দত্ত ৷য়মান হয় ৷ এছাড়া তিনি বাবকের বিষয়টি
প্রচার করার জন্য সংশ্রিষ্টদের নির্দেশ দেন৩ তাকে হাতির পিঠে আরোহণ করাতে এবং রেশমী
জুব্বা এবং বিশেষ ধরনের গোলাকার টুপি পরিধান করাতে ৷ আর খলীফার নির্দেশে তারা


[سَنَةُ ثَلَاثٍ وَعِشْرِينَ وَمِائَتَيْنِ] [الْأَحْدَاثُ الَّتِي وَقَعَتْ فِيهَا] ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ ثَلَاثٍ وَعِشْرِينَ وَمِائَتَيْنِ فِي يَوْمِ الْخَمِيسِ ثَالِثِ صَفَرٍ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ دَخَلَ الْأَفْشِينُ عَلَى الْمُعْتَصِمِ سَامَرَّاءَ وَمَعَهُ بَابَكُ الْخُرَّمِيُّ وَأَخُوهُ عَبْدُ اللَّهِ فِي تَجَمُّلٍ عَظِيمٍ، وَقَدْ أَمَرَ الْمُعْتَصِمُ ابْنَهُ هَارُونَ الْوَاثِقَ أَنْ يَتَلَقَّى الْأَفْشِينَ وَكَانَتْ أَخْبَارُهُ تَفِدُ إِلَى الْمُعْتَصِمِ فِي كُلِّ يَوْمٍ مِنْ شِدَّةِ اعْتِنَاءِ الْمُعْتَصِمِ بِأَمْرِ بَابَكَ، وَقَدْ رَكِبَ الْمُعْتَصِمُ قَبْلَ وُصُولِ بَابَكَ بِيَوْمَيْنِ عَلَى الْبَرِيدِ حَتَّى دَخَلَ إِلَى بَابَكَ وَهُوَ لَا يَعْرِفُهُ، فَنَظَرَ إِلَيْهِ ثُمَّ رَجَعَ، فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ دُخُولِهِ عَلَيْهِ تَأَهَّبَ الْمُعْتَصِمُ وَاصْطَفَّ النَّاسُ سِمَاطَيْنِ، وَأَمَرَ بَابَكَ أَنْ يَرْكَبَ عَلَى فِيلٍ لِيَشْتَهِرَ أَمْرُهُ وَيَعْرِفُوهُ، وَعَلَيْهِ قَبَاءُ دِيبَاجٍ وَقَلَنْسُوَةُ سَمُّورٍ مُدَوَّرَةٌ، وَقَدْ هُيِّئَ الْفِيلُ، وَخُضِّبَتْ أَطْرَافُهُ، وَأُلْبِسَ مِنَ الْحَرِيرِ وَالْأَمْتِعَةِ الَّتِي تَلِيقُ بِهِ كَثِيرًا، وَقَدْ قَالَ فِيهِ بَعْضُهُمْ:
পৃষ্ঠা - ৮৫৪০


হাতিটিকে সেভাবে প্রস্তুত করে, তার বিভিন্ন অঙ্গ প্র৩ ত্যঙ্গকে মেহেদী বঞ্জিত করে এবং তাকে

রেশমী কাপড় ও অন্যান্য বহু মুল্যবান পরিধেয় ও সজ্জাপােকরণ দ্বারা সৃসজ্জিত করে ৷ এ প্রসঙ্গে
জনৈক করি আবৃত্তি করেন ও

ট্রুগ্লুা)ছুট্রু; £াট্রু টুৰুট্রুাব্লুশুট্রু :াট্রুষ্ভ্রুদ্বুট্রুাপু ৷ মোঃ ;ট্র
হাতিটিকে মেহেদী রঞ্জিত করা হয়েছে তার প্রথামত; সে খুরাসানের শয়তানকে বহন করবে ৷
ৰু৷ ট্রুাপু;;ট্রুা৷টু
আর অতি বিশে ষা’ কারও জন্যই হ স্পি অঙ্গপ্রত ত্যঙ্গকে ৫মহেদী রঞ্জিত করা হয় ৷
এরপর বাবক্কে যখন খলীফ৷ মুন্নাসিমের সামনে উপস্থিত করা হয় তখন তিনি তার
হাতপা কর্তনের , মাথা বিচ্ছিন্নকরণের এবং পেট চিরে ফেলার নির্দেশ ৷দেন ৷ তারপর তিনি তার
কর্ভিত মস্তক খুরাসানে নিয়ে যাওয়ার এবং বড় সামিরাতে শুলবিদ্ধ করে রাখার নির্দেশ দেন ৷

বাবক্কে যে রাতে হত্যা করা হয় সে রাতে সে মদপান করেছিল ৷ আর তা ছিল এ বছরের
রবীউল আখির মাসের তের৩ বিতাখ বৃহস্পতিবার রাত ৷

এই অভিশও ণ্রু ব্যক্তি তা বিশ বছরের প্রভাব প্রতিপত্তিকালে ২ ৫৫, ৫০০ (দুই লক্ষ পঞ্চান্ন
হাজার পাচশ) লোককে হত্যা করে ৷ ইবন জ বীর বর্ণনা করেছেন ৷ এছাড়া যে অগণিত
মানুষকে বন্দী করে ৷৩ তার বন্দীতৃ থেকে আফসীন যাদেরকে উদ্ধার করেন তাদের সংখ্যাই প্রায়
৭৬০০ (সাত হাজার ছয়শ জন) ৷ এসময় আমীর আফসীন তার (বাবকের) সন্তানদের মধ্য থেকে
সতেরজন পুরুষ এবং তার ও তার পুত্রদের শ্রীদের মধ্য থেকে ২৩ তেইশজন স্ন্তুান্ত নারীকে
বন্দী করেন ৷ (বর্ণিত আছে যে) অতি কুৎসিত আকৃতির এক ৰীদী মায়ের গর্ভে বাবকের জন্ম ৷
পরবভীকািলে তার সার্বিক অবস্থুা৩ তাকে সেখানে পৌছানোর সেখানে পৌছায় ৷৩ তারপর বিপুল
থেকে মানুষ এবং বহু সংখ্যক নিম্ন শ্রেণীর লোকজন তার দ্বারা বিভ্রান্ত হওয়ার পর আল্লাহ
তা আল৷ মুসলমানদেরকে তার অনিষ্ট ও অকল্যাণ থেকে স্বস্তি৷ দা ন করেন ৷

মু’তাসিম যখন তাকে হত্যা করেন তখন আফসীনকে রাজকীয় মুকুট পবিয়ে দেন এবং দুটি
রতুখচিত পদক দান করেন এবং তাকে নগদ দুই কোটি দিরহাম প্রদান করেন ৷ এছাড়াও তিনি
তাকে সিন্ধু অঞ্চলের কর্ততু অর্পণ করেন এবং কবিদের নির্দেশ দেন তার সাক্ষাতে প্রবেশ করে
তার প্রশংসায় কবিতা আবৃত্তি করতে ৷ কেননা (বাবক্কে হত্যা করে)৩ তিনি মুসলমানদের বিরাট
কল্যাণ সাধন করেন এবং৩ তার বায্ন নামক শহর তছনছ করে তা বিরান প্রান্তর বানিয়ে ফেলেন ৷
তখন কবিরা এ বিষয়ে অনেক উৎকৃষ্ট কাব্য রচনা করেন ৷ এদের অন্যতম হলেন আবুতাম্মাম ৷
ইবন জা ৷রীর৩ার সম্পুর্ণ কবিতা উল্লেখ করেছেন, নিয়ে তা প্রদত্ত হল

জাল্লাদ (তার) শহরকে পদানত করেছে ফলে যে আজ মৃত্যুপুরী ৷ সেখানে আজ শুধু
ন্ম্বা৷পদকুলের বাস ৷

# শ্ষ্ন্ধ্র শ্ণ্ষ্ান্ শ্শ্ শু শ্ষ্শ্



قَدْ خُضِّبَ الْفِيلُ كَعَادَاتِهِ ... يَحْمِلُ شَيْطَانَ خُرَاسَانَ وَالْفِيلُ لَا تُخَضَّبُ أَعْضَاؤُهُ ... إِلَّا لِذِي شَأْنٍ مِنَ الشَّانِ وَلَمَّا أُحْضِرَ بَيْنَ يَدَيِ الْمُعْتَصِمِ أَمَرَ بِقَطْعِ يَدَيْهِ وَرِجْلَيْهِ وَحَزِّ رَأْسِهِ، وَشِقِّ بَطْنِهِ، ثُمَّ أَمَرَ بِحَمْلِ رَأْسِهِ إِلَى خُرَاسَانَ وَصَلْبِ جُثَّتِهِ عَلَى خَشَبَةٍ بِسَامَرَّا، وَكَانَ بَابَكُ قَدْ شَرِبَ الْخَمْرَ فِي لَيْلَةٍ أَسْفَرَ صَبَاحُهَا عَنْ قَتْلِهِ، وَهِيَ لَيْلَةُ الْخَمِيسِ لِثَلَاثَ عَشْرَةَ خَلَتْ مِنْ رَبِيعٍ الْآخِرِ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ. وَكَانَ هَذَا الْمَلْعُونُ قَدْ قَتَلَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ فِي مُدَّةِ ظُهُورِهِ - لَعَنَهُ اللَّهُ - وَهِيَ عِشْرُونَ سَنَةً مِائَتَيْ أَلْفٍ وَخَمْسَةً وَخَمْسِينَ أَلْفًا وَخَمْسَمِائَةِ إِنْسَانٍ قَالَهُ ابْنُ جَرِيرٍ وَأَسَرَ خَلْقًا لَا يُحْصَوْنَ كَثْرَةً، وَكَانَ مِنْ جُمْلَةِ مَنِ اسْتَنْقَذَهُ الْأَفْشِينُ مِنْ أَسْرِهِ نَحْوٌ مِنْ سَبْعَةِ آلَافٍ وَسِتِّمِائَةِ إِنْسَانٍ، وَأَسَرَ مِنْ أَوْلَادِهِ سَبْعَةَ عَشَرَ رَجُلًا، وَمِنْ حَلَائِلِهِ وَحَلَائِلِ أَوْلَادِهِ ثَلَاثًا وَعِشْرِينَ امْرَأَةً مِنَ الْخَوَاتِينِ، وَقَدْ كَانَ أَصْلُ بَابَكَ ابْنَ جَارِيَةٍ زَرِيَّةِ الشَّكْلِ جِدًّا، فَآلَ بِهِ الْحَالُ إِلَى مَا آلَ بِهِ إِلَيْهِ، ثُمَّ أَرَاحَ اللَّهُ الْمُسْلِمِينَ مِنْ شَرِّهِ بَعْدَمَا افْتَتَنَ بِهِ خَلْقٌ كَثِيرٌ، وَجَمٌّ غَفِيرٌ مِنَ الطَّغَامِ وَلَمَّا قَتَلَهُ الْمُعْتَصِمُ تَوَّجَ الْأَفْشِينَ وَقَلَّدَهُ وِشَاحَيْنِ مِنْ جَوْهَرٍ، وَأَطْلَقَ لَهُ عِشْرِينَ أَلْفَ أَلْفِ دِرْهَمٍ، وَكَتَبَ لَهُ بِوِلَايَةِ السِّنْدِ وَأَمَرَ الشُّعَرَاءَ أَنْ يَدْخُلُوا عَلَيْهِ فَيَمْدَحُوهُ
পৃষ্ঠা - ৮৫৪১


যখনই কোন যুদ্ধে এই তরবারি এই ধৈর্য-সঞ্চয় করেছে তখনই এই দীনের বিজয় ঘটেছে ৷
ট্রু,ঠু র্টক্কৰুণ্াটুণ্

তা (বায্ শহর) ছিল (বাবকের) নেতৃত্বের সতীচ্ছদ যা পুর্বাঞ্চলের বীর্যবান আফসীন তরবারি
দ্বারা ছিন্ন করেছেন ৷

! ৷ ষ্ শ্

£ঢ়ভ্রু;দু;
তিনি তাকে এমন অবস্থায় ফিরিয়ে দিয়েছেন যে তার মধ্যস্থুলে শেয়ালের ডাক শোনা যায়
অথচ গতকালও তা ছিল সিংহ নিবাস ৷

ঞট্;ন্র্ধপ্ ষ্ত্রষ্ শুা৷এটু£ৰু৷ ট্রুন্হুগ্লু ৷ৰুাপুধ্৷ র্টি; ;, ৷ , ৷ ; ংা৷, ,
তার অধিবাসীদের খুনি থেকে তার উপর প্রবল বর্ষণ হয়েছে যার চিহ্ন হল সেই রক্তের প্রবাহ
পখসমুহ ৷


বিজয়ের পুবে তা ছিল পাষাণ ও নিম্ফলা আর এখন তা পরিণত হয়েছে তার ঝরণাধারায় ৷

এ বছর অর্থাৎ দৃইশ তেইশ হিজরীতে সম্রাট তৃফায়ল ইবন মীখাইল মালতিয়া ও তার সংলগ্ন
এলাকাসমুহের মুসলমানদের বিরুদ্ধে বিরাট যুদ্ধের অবতারণা করে ৷ এ যুদ্ধে সে বহু সংখ্যক
মুসলমান হত্যা করে এবং অগণিত মুসলমানকে বন্দী করে ৷ তার বন্দীদের মধ্যে ছিল এক হাজার
মুসলিম নারী ৷ তার হাতে বন্দী মুসলমানদের নাক-কান কেটে এবং দৃষ্টিশক্তি লষ্ট করে সে অঙ্গ
বিকৃতি ঘটায় ৷ আল্লাহ্ তাকে লাঞ্ছিত করুন ৷ আর তার এই আক্রমণের কারণ ছিল নিম্নরুপ ৷
বাবককে যখন বায্ শহরে সেনা বেষ্টিত করা হয় এবং তার চারপাশ মুসলিম ফৌজ সমবেত হয়,
সে তখন রোম সম্রাটকে এই মর্মে পত্র প্রেরণ করে আরবের খলীফা (এই মুহুর্তে) তার
অধিকাংশ ফৌজ আমার বিরুদ্ধে প্রেরণ করেছেন ৷ সীমান্ত রক্ষার জন্য পর্যাপ্ত সেনা এখন তার
সীমান্তে নেই ৷ সুতরাং আপনি যদি বিজয় ও পনীমতে লাভ করতে চান তাহলে আপনার সাম্রাজ্য
সংলগ্ন ভুখণ্ডের দিকে দ্রুত অ্যাসর হয়ে তা দখল করে নিন, কেননা, তা থেকে আপনাকে বা বা
দেয়ার কেউ নেই ৷ তখন তৃফায়ল এক লক্ষ সৈন্যসহ অগ্রসর হয় এবং তার সাথে মাহমারাগণ
মিলিত হয় যারা পার্বত্য অঞ্চলে ইতিপুর্বে বিদ্রোহ করে এবং ইসহাক ইবন ইব্রাহীম ইবন
মুসআব তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেন ৷ কিন্তু তাদেরকে পরাজিত করতে সক্ষম হননি, কেননা
তারা ঐ সকল পাহাড়ে আশ্রয় গ্রহণ করে ৷ এরপর যখন রোম স্ম্রটি আগমন করে, তখন তারা
মুসলমানদের বিরুদ্ধে তার সাথে মিলিত হয় ৷ এরপর এই সম্মিলিত বাহিনী যখন মালতিয়া পৌছে
তখন তারা সেখানকার বহু সংখ্যক অধিবাসীকে হত্যা করে এবং তাদের নারীদেরকে বন্দী করে ৷

এ সংবাদ যখন খলীফা মুতাসিমের কাছে পৌছে তখন তিনি (মুসলমানদের এই বিপদে)
অত্যন্ত বিচলিত হন এবং তার প্রাসাদে যুদ্ধে যাত্রার উচ্চ কণ্ঠে ঘোষণা দেন এবং তৎক্ষণাৎ তিনি
উঠে ফৌজ প্রন্তুতির নির্দেশ দেন ৷ এ সময় তিনি কাষী এবং সাক্ষীদের ডেকে পাঠান এবং
তাদেরকে এই মর্মে সাক্ষী রাখেন যে, তিনি যে ভু-সম্পত্তির মালিক তার এক-তৃভীয়াংশ হল সন


عَلَى مَا فَعَلَ مِنَ الْخَيْرِ إِلَى الْمُسْلِمِينَ، وَعَلَى تَخْرِيبِهِ بَلَدَ بَابَكَ الَّتِي يُقَالُ لَهَا الْبَذُّ وَتَرْكِهِ إِيَّاهَا يَبَابًا خَرَابًا، فَقَالُوا فِي ذَلِكَ فَأَحْسَنُوا، وَكَانَ مِنْ جُمْلَتِهِمْ أَبُو تَمَامٍ الطَّائِيُّ، وَقَدْ أَوْرَدَ قَصِيدَتَهُ بِتَمَامِهَا الْإِمَامُ أَبُو جَعْفَرٍ رَحِمَهُ اللَّهُ فِي " " تَارِيخِهِ " "، وَهِيَ قَوْلُهُ: بَذَّ الْجِلَادُ فَهُوَ دَفِينُ ... مَا إِنْ بِهِ إِلَّا الْوُحُوشَ قَطِينُ لَمْ يُقْرَ هَذَا السَّيْفُ هَذَا الصَّبْرَ فِي ... هَيْجَاءَ إِلَّا عَزَّ هَذَا الدِّينُ قَدْ كَانَ عُذْرَةَ سُؤْدَدٍ فَافْتَضَّهَا بِالسَّيْفِ فَحْلُ الْمَشرِقِ الْأَفْشِينُ ... فَأَعَادَهَا تَعْوِي الثَّعَالِبُ وَسْطَهَا وَلَقَدْ تُرَى بِالْأَمْسِ وَهِيَ عَرِينُ ... هَطَلَتْ عَلَيْهَا مِنْ جَمَاجِمِ أَهْلِهَا دِيَمٌ أَمَارَتْهَا طُلًى وَشُئُونُ ... كَانَتْ مِنَ الْمُهْجَاتِ قَبْلَ ذَاكَ مَفَازَةً عَسِرًا فَأَمْسَتْ وَهِيَ مِنْهُ مَعِينُ وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ أَعْنِي سَنَةَ ثَلَاثٍ وَعِشْرِينَ وَمِائَتَيْنِ أَوْقَعَ مَلِكُ الرُّومِ تَوْفِيلُ بْنُ مِيخَائِيلَ لَعَنَهُ اللَّهُ بِأَهْلِ مَلَطْيَةَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ وَمَا وَالَاهَا مَلْحَمَةً عَظِيمَةً قَتَلَ فِيهَا مِنْهُمْ خَلْقًا كَثِيرًا مِنَ الْمُسْلِمِينَ، وَأَسَرَ مَا لَا يُحْصَوْنَ كَثْرَةً، وَكَانَ مِنْ
পৃষ্ঠা - ৮৫৪২
جُمْلَةِ مَنْ أَسَرَ أَلْفَ امْرَأَةٍ مِنَ الْمُسْلِمَاتِ، وَمَثَّلَ بِمَنْ وَقَعَ فِي أَسْرِهِ مِنَ الْمُسْلِمِينَ فَقَطَّعَ آذَانَهُمْ وَآنَافَهُمْ وَسَمَلَ أَعْيُنَهُمْ، قَبَّحَهُ اللَّهُ. وَكَانَ سَبَبَ ذَلِكَ أَنَّ بَابَكَ لَعَنَهُ اللَّهُ لَمَّا أُحِيطَ بِهِ مِنْ كُلِّ جَانِبٍ فِي مَدِينَتِهِ الْبَذِّ وَاسْتَوْسَقَتِ الْجُنُودُ حَوْلَهُ، كَتَبَ إِلَى مَلِكِ الرُّومِ يَقُولُ لَهُ: إِنَّ مِلْكَ الْعَرَبِ قَدْ جَهَّزَ إِلَيَّ جُمْهُورَ جَيْشِهِ وَلَمْ يُبْقِ فِي أَطْرَافِ بِلَادِهِ مَنْ يَحْفَظُهَا، فَإِنْ كُنْتَ تُرِيدُ الْغَنِيمَةَ فَانْهَضْ سَرِيعًا إِلَى مَا حَوْلَكَ مِنْ بِلَادِهِ فَخُذْهَا، فَإِنَّكَ لَا تَجِدُ أَحَدًا يُمَانِعُكَ عَنْهَا، فَرَكِبَ تَوْفِيلُ - لَعَنَهُ اللَّهُ - فِي مِائَةِ أَلْفٍ، وَانْضَافَ إِلَيْهِ الْمُحَمِّرَةُ الَّذِينَ كَانُوا قَدْ خَرَجُوا فِي الْجِبَالِ وَقَاتَلَهُمْ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُصْعَبٍ فَلَمْ يَقْدِرْ عَلَيْهِمْ، وَتَحَصَّنُوا بِتِلْكَ الْجِبَالِ فَلَمَّا قَدِمَ مَلِكُ الرُّومِ صَارُوا مَعَهُ عَلَى الْمُسْلِمِينَ، فَوَصَلُوا إِلَى زِبَطْرَةَ فَقَتَلُوا مِنْ رِجَالِهَا خَلْقًا كَثِيرًا وَأَسَرُوا مِنْ حَرِيمِهَا أُمَّةً كَثِيرَةً، فَبَلَغَ ذَلِكَ الْمُعْتَصِمَ فَانْزَعَجَ لِذَلِكَ جِدًّا، وَصَرَخَ فِي قَصْرِهِ بِالنَّفِيرِ، وَنَهَضَ مِنْ فَوْرِهِ، فَأَمَرَ بِتَعْبِئَةِ الْجُيُوشِ، وَاسْتَدْعَى بِالْقَاضِي، وَالْعُدُولِ، فَأَشْهَدَهُمْ أَنَّ مَا يَمْلِكُهُ مِنَ الضِّيَاعِ ثُلُثُهُ صَدَقَةٌ، وَثُلُثُهُ لِوَلَدِهِ، وَثُلُثُهُ لِمَوَالِيهِ.
পৃষ্ঠা - ৮৫৪৩


এক তৃতীয়াৎশ হলত তার সন্তান-সন্ততির এবং অপর এক-তৃতীয়ড়াৎশ হল তার মাওলা বা
আযাদকৃতদা ৷স-দাসীর ৷ এরপর তিনি বাগদাদ থেকে বেরিয়ে পড়েন এবং জুমাদাল উল৷ মাসের

দুই তারিখ রবিবার দজল৷ নদীর পশ্চিম প্রান্তে সৈন্য সমাবেশ ঘটান এবংত তার অগ্রবর্তী
বাহিনীরুপে আজীফকে একদল আমীর-উমারা ও সৈন্যসহ যাবতা ৷রাবাসীদের সহযোগিতার জন্য
পাঠান ৷ তারা দ্রুত অগ্রসর হয়ে দেখেন রোম সম্রাট তার কুকর্ম সম্পন্ন করে নিজ দেশে সটকে
পড়েছে এবং পরিস্থিতি তখন আয়ত্তের বইিরে চলে গিয়েছে এবং তার ক্ষতি পুষিয়ে উঠা আর
সম্ভব নয় ৷ তখন তারা সং ঘটিত বিষয় সম্পর্কে খলীফাকে অবহিত করার জন্যত তার কাছে ফিরে
আসেন ৷ খলীফ৷ তখন তার আমীরদের প্রশ্ন করেন, রোমকদের কোন শহর সবচেয়ে দৃর্ভেদ্যএ ৷

তারা বললেন, আমুরিয়৷ ৷ ইসলামের সুচনা থেকে আজ পর্যন্ত ণ্কউত ৷আক্রমণ করেননি এবং
শহর তাদের কাছে ইস্তাম্বুলের চেয়ে অধিক সম্ম৷ ৷নিত ৷

খলীফ৷ মু তাসিমের হাতে আমুরিয়৷ জয়

খলীফ৷ মুতাসিম তখন বাবক্কে হত্যা এবং তার শহর জয় সম্পন্ন করেন তখন তিনি তার
ফৌজসমুহ নিজের কাছে তলব করে পাঠা নি এবং এমন বিপুল যুদ্ধ সরঞ্জাম প্রস্তুত করেন যা তার

পুর্বে কোন খলীফ৷ করেননি ৷ এ সময়৩ তিনি এত পরিমাণ যুদ্ধোপকরণ, বোমা, উট, মশক, বাহন,
জ্বালানী তেল, ঘোড়া ও খচ্চর সাথে নেন যে ইতিপুর্বেত তা কেউ শোনেনি ৷ আর তিনি পর্বতসম
রুজ্বফীর্জী বহর নিয়ে আমুরিয়৷ র দিকে অগ্রসর হন ৷ এ সময়৩ তিনি আফসীন হায়দার ইবন কাওসকে
প্রেরণ করেন সারুজ প্রান্ত থেকে এবং এমন ব্যাপক ভাবে তার ফৌজকে প্রস্তুত করেন যা কেউ
কখনও শোনেনি ৷ তিনি যুদ্ধে পারদর্শী আমীরদেরকে তার অগ্রভাগে প্রেরণ করেন ৷ এরপর তিনি
তারসুসের নিকটবর্তী লাস৷ নদীর তীরে এসে পৌছেন ৷ আর তখন ছিল এ বছরের রজব মাস ৷
এদিকে রোম সম্রাটও তার বাহিনী নিয়ে খলীফ৷ মুতাসিম অভিমুখে রওনা হন ৷ এরপর তারা
একে অন্যের নিকটবর্তী হন এমনকি উভয় বাহিনীর মাঝে মাত্র চার ফ ৷রসাখ’ পরিমাণ দুরত্ব
থাকে ৷ আর আফসীন অন্যদিক দিয়ে রোমক ভুখণ্ডে প্রবেশ করেন এবং তার বাহিনী রোম
সম্রাটের পশ্চাদভাগে এসে পৌছে ফলে রোম স্ম্রাট উভয় সং কটে পতিত হন ৷৩ তা হল৩ তিনি যদি
খলীফার মুকাবিলায় অগ্রসর হন তাহলে আফসীন পশ্চাদ দিক থেকে আক্রমণ করবেন ৷ তখন
তিনি উভয় শত্রুবাহিনীর মাঝে থেকে ধ্বংস হবেন ৷ আর যদি তিনি যে কোন এক বাহিনীর দিকে
মনোনিবেশ ৷করেন তা হলেও অন্যটি তাকে পশ্চাদ দিক থেকে আক্রমণ করবে ৷ পরিশেষে তিনি
আফসীনের নিকটবর্তী হন ৷ আর রোম স্ম্রাট তার ফৌজের অল্প সং খ্যক সৈন্য নিয়ে আফসীনের
দিকে অগ্রসর হন এবং৩ তিনি তার জনৈক নিকট আত্মীয়কে অবশিষ্ট ফৌজে৩ তার স্থুলবর্তী নিয়োগ
করেন ৷ তারপর এ বছরের শ৷ বান মাসের পচিশ তারিখ বৃহস্পতিবার উভয় বাহি মুখোমুখি হয় ৷
এ যুদ্ধে আফসীন শেষ পর্যায়ে অবিচলতার পরিচয় দেন এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রোমক
সৈন্যকে হতাহত করেন এবং রোম সম্রাটদের বিরুদ্ধে বিজয় লাভ করেন ৷ এ সময় রোম
সম্রাটের কাছে সংবাদ পৌছে যে,ত তার ৷অবশিষ্ট বা ৷হিনী তার স্থুলবর্তী নিকট আত্মীয়কে ত্যাগ করে
বিশৃম্ভখল হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে, তখন তিনি দ্রুত ফিরে আসেন কিন্তু এসে দেখেন সেখানে ফৌজী
ব্যবস্থাপনা বিপর্যস্ত ৷ তখন তিনি ভীষণ ক্রুদ্ধ হয়ে তার নিকট আত্মীয়ের গর্দান উড়িয়ে দেন ৷ এসব
সৎবাদ যখন খলীফামু ৩াসিমের কাছে পৌছে তখন তিনি আনন্দিত হন এবং তৎক্ষণাৎ রওয়ানা

আল-বিদায়া ওয়শৃন দিধ্বহত্বয়ড়া (১০ম খৃপ্তেতাঃত্দ্রণ্ড্রা৷ছুা-০ওোড়া

وَخَرَجَ مِنْ بَغْدَادَ فَعَسْكَرَ غَرْبَيْ دِجْلَةَ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ لِلَيْلَتَيْنِ خَلَتَا مِنْ جُمَادَى الْأُولَى، وَوَجَّهَ بَيْنَ يَدَيْهِ عُجَيْفًا، وَطَائِفَةً مِنَ الْأُمَرَاءِ وَمَعَهُمْ خَلْقٌ مِنَ الْجَيْشِ إِعَانَةً لِأَهْلِ زِبَطْرَةَ فَأَسْرَعُوا السَّيْرَ، فَوَجَدُوا مَلِكَ الرُّومِ قَدْ فَعَلَ مَا فَعَلَ وَانْشَمَرَ إِلَى بِلَادِهِ رَاجِعًا، وَتَفَارَطَ الْحَالُ وَلَمْ يُمْكِنِ الِاسْتِدْرَاكُ فِيهِ، وَرَجَعُوا إِلَى الْخَلِيفَةِ لِإِعْلَامِهِ بِمَا وَقَعَ مِنَ الْأَمْرِ، فَقَالَ لِلْأُمَرَاءِ: أَيُّ بِلَادِ الرُّومِ أَمْنَعُ؟ قَالُوا: عَمُّورِيَةُ لَمْ يَعْرِضْ لَهَا أَحَدٌ مُنْذُ كَانَ الْإِسْلَامُ، وَهِيَ أَشْرَفُ عِنْدَهُمْ مِنَ الْقُسْطَنْطِينِيَّةِ. [فَتْحُ عَمُّورِيَةَ عَلَى يَدَيِ الْمُعْتَصِمِ] ذِكْرُ فَتْحِ عَمُّورِيَةَ عَلَى يَدِ الْمُعْتَصِمِ لَمَّا تَفَرَّغَ الْمُعْتَصِمُ مِنْ شَأْنِ بَابَكَ لَعَنَهُ اللَّهُ وَقَتَلَهُ وَأَخَذَ بِلَادَهُ، اسْتَدْعَى بِالْجُيُوشِ إِلَى بَيْنِ يَدَيْهِ، وَتُجَهَّزَ جِهَازًا لَمْ يَتَجَهَّزْهُ أَحَدٌ كَانَ قَبْلَهُ مِنَ الْخُلَفَاءِ، وَأَخَذَ مَعَهُ مِنْ آلَاتِ الْحَرْبِ وَالْأَحْمَالِ وَالْجِمَالِ وَالْقِرَبِ وَالدَّوَابِّ وَالنِّفْطِ وَالْخَيْلِ وَالْبِغَالِ شَيْئًا لَمْ يُسْمَعْ بِمِثْلِهِ، وَسَارَ إِلَيْهَا، فِي جَحَافِلَ كَالْجِبَالِ، وَبَعَثَ الْأَفْشِينُ خَيْذَرَ بْنَ كَاوَسَ مِنْ نَاحِيَةِ سَرُوجَ وَعَبَّأَ الْخَلِيفَةُ جَيْشَهُ تَعْبِئَةً لَمْ يُسْمَعْ بِمِثْلِهَا، وَقَدَّمَ بَيْنَ يَدَيْهِ الْأُمَرَاءَ الْمَعْرُوفِينَ بِالْحَرْبِ، فَانْتَهَى فِي سَيْرِهِ إِلَى نَهْرِ اللَّمِسِ وَهُوَ قَرِيبٌ مِنْ طَرَسُوسَ وَذَلِكَ فِي رَجَبٍ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ
পৃষ্ঠা - ৮৫৪৪
الْمُبَارَكَةِ. وَقَدْ رَكِبَ مَلِكُ الرُّومِ فِي جَيْشِهِ، فَقَصَدَ نَحْوَ الْمُعْتَصِمِ، فَتَقَارَبَا حَتَّى كَانَ بَيْنَ الْجَيْشَيْنِ نَحْوٌ مِنْ أَرْبَعَةِ فَرَاسِخَ، وَدَخَلَ الْأَفْشِينُ بِلَادَ الرُّومِ مِنْ نَاحِيَةٍ أُخْرَى، فَجَاءَ مِنْ وَرَاءِ مَلِكِ الرُّومِ، فَحَارَ فِي أَمْرِهِ وَضَاقَ ذَرْعُهُ بِسَبَبِ ذَلِكَ؛ إِنْ هُوَ نَاجَزَ الْخَلِيفَةَ جَاءَهُ الْأَفْشِينُ مِنْ خَلْفِهِ، فَالْتَقَيَا عَلَيْهِ فَيَهْلَكُ، وَإِنْ سَارَ إِلَى أَحَدِهِمَا، وَتَرَكَ الْآخَرَ أَخَذَهُ مِنْ وَرَائِهِ، ثُمَّ اقْتَرَبَ مِنْهُ الْأَفْشِينُ فَسَارَ إِلَيْهِ مَلِكُ الرُّومِ فِي شِرْذِمَةٍ مِنَ الْجَيْشِ، وَاسْتَخْلَفَ عَلَى بَقِيَّتِهِ قَرِيبًا لَهُ، فَالْتَقَى هُوَ وَالْأَفْشِينُ فِي يَوْمِ الْخَمِيسِ لِخَمْسٍ بَقِينَ مِنْ شَعْبَانَ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ، فَثَبَتَ الْأَفْشِينُ فِي ثَانِي الْحَالِ، وَقَتَلَ مِنَ الرُّومِ خَلْقًا، وَجُرِحَ آخَرِينَ، وَتَفَلَّتَ فِئَةُ مَلِكِ الرُّومِ، وَبَلَغَهُ أَنَّ بَقِيَّةَ الْجَيْشِ قَدْ شَرَدُوا عَنْ قَرَابَتِهِ وَذَهَبُوا عَنْهُ وَتَفَرَّقُوا عَلَيْهِ، فَأَسْرَعَ الْأَوْبَةَ، فَإِذَا نِظَامُ الْجَيْشِ قَدِ انْحَلَّ، فَغَضِبَ عَلَى قَرَابَتِهِ وَضَرَبَ عُنُقَهُ، وَجَاءَتِ الْأَخْبَارُ بِذَلِكَ كُلِّهِ إِلَى الْمُعْتَصِمِ، فَسَرَّهُ ذَلِكَ جِدًّا، فَرَكِبَ مِنْ
পৃষ্ঠা - ৮৫৪৫


হয়ে আঙ্কারায় এসে উপস্থিত হন ৷ এদিকে আফসীন তার সহযোদ্ধাদের নিয়ে সেখানে গিয়ে তার
সাথে মিলিত হন ৷ তারা সেখানে পৌছে দেখতে পান যে, তার অধিবাসীরা সেখান থেকে পলায়ন
করেছে ৷ ফলে তারা সেখানে খাদ্য ও রসদ লাভ করে তা দ্বারা বাড়তি শক্তি অর্জন করেন ৷
তারপর খলীফ৷ মুতাসিম তার ফৌজকে তিনভাগে বিভক্ত করেন, দক্ষিণ বাহুর দায়িত্ব অর্পণ
করেন আফসীনকে, বাম বাহুর দায়িত্ব অর্পণ করেন আশনাসকে আর তিনি নিজে মধ্যবর্তী বাহিনীর
পরিচালন-দায়িত্ব গ্রহণ করেন ৷ প্রত্যেক বাহিনীর মাঝে দুই ফারসাখ’ পরিমাণ দুরত্ব ছিল ৷ এছাড়া
তিনি আফসীন এবং আশনাস উভয় সেনাপতিকে নির্দেশ দেন যে, তারা তাদের বাহিনীকে দক্ষিণ
প্রান্ত, বাম প্রান্ত মধ্যবর্তী অ্যাবর্তী ও পশ্চাদবর্তী এই পাচ ভাগে বিভক্ত করবে এবং চলার পথে
যে বসতি ও জনপদ তারা অতিক্রম করবে তা জ্বালিয়ে পুড়িয়ে বিরান করবে এবং তার
অধিবাসীদেরকে বন্দী করবে এবং সম্ভাব্য সকল গনীমত হা ৷সিল করবে ৷ এভ ৷৩বে তিনি তাদেরকে
নিয়ে আমুরিয়ার উদ্দেশ্যে অগ্রসর হন ৷ আর এ জনপদ ও আঙ্কারার মাঝে ছিল সাত মারহাল৷ বা
সাত দিনের দুরত্ব ৷ মুল বাহিনীর বাম বাহুর সেনাপতি আশনাস তার ফৌজ নিয়ে এ বছরের
রমযান মাসের পাচ তারিখ বৃহস্পতিবার পুর্বাহ্নে সর্বপ্রথম সেখানে পৌছেন ৷ এরপর তিনি এর
চতুর্দিক একবার প্রদক্ষিণ করে তার দু ’মাইল দুরবর্তী একটি স্থানে শিবির স্থাপন করেন ৷ এরপর
শুক্রবার সকালে খলীফ৷ যু তাসিম সেখানে পৌছেন ৷ তিনিও শহরটি একবার প্রদক্ষিণ করে তার
নিকটবর্তী একটি স্থানে শিবির স্থাপন করেন ৷ এদিকে আমুরিয়াবাসীরা সুদৃঢ় আত্মরক্ষার ব্যবস্থা
গ্রহণ করে এবং তার দুর্গ চুড়াসমুহ যোদ্ধা ও অস্ত্র দ্বার ৷পুর্ণ করে ফেলে ৷ আর আমুারয়৷ ছিল
দৃর্ভেদ্য নগর প্রাচীর এবং বহু সংখ্যক বিশালকায় য় দর্গ বিশিষ্ট এক বিশাল শহর ৷ খলীফ৷ মু তালিম
তার সেনাপতিদের মাঝে এই দৃর্গণ্ডাল৷ বণ্টন করে দেন ৷ তখন প্রত্যেক সেনাপতি ঐস্থান বরাবর
অবস্থান গ্রহণ করেন যা মু’তাসিম তার জন্য নির্ধারণ করেন ৷ আর মু’তাসিম নিজে সেখানকার
একটি নির্দেশিত স্থানে অবস্থান গ্রহণ করেন ৷ সেখানে অবস্থানরত জনৈক মুসলমান৩ তাকে এই
স্থান নির্দেশ করে ৷ এই ব্যক্তি আমুরিয়াবাসীদের কাছে খৃক্টধর্ম গ্রহণ করেছিল এবং তাদের সাথে
বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন করেছিল ৷ এরপর সে যখন স্বয়ং আমীরুল মু’মিনীনকে দেখতে পায় তখন
ইসলামের দিকে ফিরে আসে ৷ সেখান থেকে বের হয়ে সে খলীফার কাছে এসে পুনরায় ইসলাম
গ্রহণ করে এবং তাকে নগর প্রাচীরের এমন একটি দুর্বল অংশের কথা জানায় যা ইতিপুর্বে বন্যায়
ধসে পড়েছিল , এরপর তেমন কোন ভিত্তি ছাড়া দুর্বলভাবে তা পুণনির্মান করা হয় ৷ এসময় খলীফা
মুতাসিম আমুরিয়ার চারপাশে ৷৷মিনজ নিক বা প্রস্তর নিক্ষেপণ যন্ত্রসমুহ স্থাপন করেন ৷ এরপর
(মিনজানিকের আঘাতে) সর্বপ্রথম ঐ স্থানটিই ধসে পড়ে যার সন্ধান দিয়েছিল ঐ বন্দী ব্যক্তি ৷
তখন শহরবাসারা দ্রুত ;সই অত্শ বড় বড় কাঠের গুড়ি ফেলে বন্ধ করে ৷ এদিকে মিনজ৷ নিক
ক্রমাগত সে স্থা ন আঘাত করতে থাকে ৷ এ সময় পাথরের আঘাতের তীব্রতা প্রতিহত করার
জন্য তারা সেস্থান জিন বা গদিসমুহের দ্ভুপ গড়ে৫৩ তোলে, কিন্তু তাতে কোন কাজ হয় না এবং
শেযপর্যম্ভ সেই দিক থেকে নগর প্রাচীর ধসে পড়ে, সে স্থান অরক্ষিত হয়ে পড়ে ৷ তখন শহর
প্রশাসক ণ্রামসম্রাটকে তা জানিয়ে পত্রগ্রেরণ করে ৷ নিজ সম্প্রদায়ের দুই তরুণের কাছে সে এই
পত্র অর্পণ করে ৷ এরা দুজন যখন পথিমধ্যে মুসলিম বাহিনীকে আক্রমণ করে তখন
মুসলমানদের কাছে তাদের গতিৰিধি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় তারা তাদেরকে প্রশ্ন করে
তোমরা কাদের লোক ? তখন তারা বলে অমুক ব্যক্তির এ সময় তারা জনৈক স্ন্ষ্




فَوْرِهِ وَجَاءَ إِلَى أَنْقِرَةَ وَوَافَاهُ الْأَفْشِينُ بِمَنْ مَعَهُ إِلَى هُنَالِكَ، فَوَجَدُوا أَهْلَهَا قَدْ هَرَبُوا مِنْهَا وَتَفَرَّقُوا عَنْهَا فَتَقْوَّوْا مِنْهَا بِطَعَامٍ وَعُلُوفَةٍ كَثِيرَةٍ، ثُمَّ فَرَّقَ الْمُعْتَصِمُ جَيْشَهُ ثَلَاثَ فِرَقٍ؛ فَالْمَيْمَنَةُ عَلَيْهَا الْأَفْشِينُ وَالْمَيْسَرَةُ عَلَيْهَا أَشْنَاسُ وَالْمُعْتَصِمُ فِي الْقَلْبِ، وَبَيْنَ كُلِّ عَسْكَرَيْنِ فَرْسَخَانِ، وَأَمَرَ كُلَّ أَمِيرٍ مِنَ الْأَفْشِينِ وَأَشْنَاسَ أَنْ يَجْعَلَ لِجَيْشِهِ مَيْمَنَةً وَمَيْسَرَةً وَقَلْبًا وَمُقَدِّمَةً وَسَاقَةً، وَأَنَّهُمْ مَهْمَا مَرُّوا عَلَيْهِ مِنَ الْقُرَى حَرَّقُوا، وَخَرَّبُوا، وَأَسَرُوا، وَغَنِمُوا، وَسَارَ بِهِمْ كَذَلِكَ قَاصِدًا إِلَى عَمُّورِيَةَ وَكَانَ بَيْنَهَا وَبَيْنَ أَنْقِرَةَ سَبْعُ مَرَاحِلَ، فَأَوَّلُ مَنْ وَصَلَ إِلَيْهَا مِنَ الْجُيُوشِ أَشْنَاسُ أَمِيرُ الْمَيْسَرَةِ ضَحْوَةَ يَوْمِ الْخَمِيسِ لِخَمْسٍ خَلَوْنَ مِنْ رَمَضَانَ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ، فَدَارَ حَوْلَهَا دَوْرَةً، ثُمَّ نَزَلَ عَلَى مِيلَيْنِ مِنْهَا، ثُمَّ قَدِمَ الْمُعْتَصِمُ صَبِيحَةَ يَوْمِ الْجُمُعَةِ بَعْدَهُ، فَدَارَ حَوْلَهَا دَوْرَةً، ثُمَّ نَزَلَ قَرِيبًا مِنْهَا، ثُمَّ قَدِمَ الْأَفْشِينُ يَوْمَ السَّبْتِ فَدَارَ حَوْلَهَا دَوْرَةً ثُمَّ نَزَلَ قَرِيبًا مِنْهَا وَقَدْ تَحَصَّنَ أَهْلُهَا، وَمَلَئُوا أَبْرَاجَهَا بِالرِّجَالِ وَالسِّلَاحِ، وَهِيَ مَدِينَةٌ عَظِيمَةٌ كَبِيرَةٌ جِدًّا ذَاتُ سُورٍ مَنِيعٍ، وَأَبْرَاجٍ عَالِيَةٍ كَبِيرَةٍ، وَقَسَّمَ الْمُعْتَصِمُ الْأَبْرَاجَ عَلَى الْأُمَرَاءِ، فَنَزَلَ كُلُّ أَمِيرٍ تُجَاهَ الْمَوْضِعِ الَّذِي أَقْطَعُهُ، وَعَيَّنَهُ لَهُ، وَنَزَلَ الْمُعْتَصِمُ قُبَالَهُ بِمَكَانٍ هُنَاكَ قَدْ أَرْشَدَهُ إِلَيْهِ بَعْضُ مَنْ كَانَ فِيهَا مِنَ الْمُسْلِمِينَ الْأُسَرَاءِ، وَكَانَ قَدْ تَنَصَّرَ عِنْدَهُمْ، وَتَزَوَّجَ مِنْهُمْ، فَلَمَّا رَأَى أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ
পৃষ্ঠা - ৮৫৪৬
وَالْمُسْلِمِينَ مَعَهُ رَجَعَ إِلَى الْإِسْلَامِ، وَخَرَجَ إِلَى الْخَلِيفَةِ، فَأَسْلَمَ وَأَعْلَمَهُ بِمَكَانٍ فِي السُّورِ كَانَ قَدْ هَدَمَهُ السَّيْلُ وَبُنِيَ بِنَاءً فَاسِدًا بِلَا أَسَاسٍ، فَنَصبَ الْمُعْتَصِمُ الْمَجَانِيقَ حَوْلَ عَمُّورِيَةَ فَكَانَ أَوَّلُ مَوْضِعٍ انْهَدَمَ ذَلِكَ الْمَوْضِعَ الَّذِي نَصَحَ فِيهِ ذَلِكَ الْأَسِيرُ، فَبَادَرَ أَهْلُ الْبَلَدِ، فَسَدُّوهُ بِالْخَشَبِ الْكِبَارِ الْمُتَلَاصِقَةِ، فَأَلَحَّ عَلَيْهَا الْمَنْجَنِيقُ فَكَسَرَهَا فَجَعَلُوا فَوْقَهَا الْبَرَادِعُ؛ لِيَرُدُّوا حِدَّةَ الْحَجَرِ، فَلَمَّا أَلَحَّ عَلَيْهَا الْمَنْجَنِيقُ لَمْ تُغْنِ شَيْئًا، وَانْهَدَمَ السُّورُ مِنْ ذَلِكَ الْجَانِبِ، وَتَفَسَّخَ، فَكَتَبَ نَائِبُ الْبَلَدِ إِلَى مَلِكِ الرُّومِ يُعْلِمُهُ بِذَلِكَ، وَبَعَثَ ذَلِكَ مَعَ غُلَامَيْنِ مِنْ قَوْمِهِمْ، فَلَمَّا اجْتَازُوا بِالْجَيْشِ فِي طَرِيقِهِمْ أَنْكَرُوا أَمْرَهُمَا، فَسَأَلُوهُمَا مِمَّنْ أَنْتُمَا؟ فَقَالَا: مِنْ أَصْحَابِ فُلَانٍ، لِرَجُلٍ مِنَ الْمُسْلِمِينَ فَحُمِلَا إِلَى الْمُعْتَصِمِ فَقَرَّرَهُمَا، فَإِذَا مَعَهُمَا كِتَابُ يَاطَسَ نَائِبِ عَمُّورِيَةَ إِلَى مَلِكِ الرُّومِ يُعْلِمُهُ بِمَا حَصَلَ لَهُمْ مِنَ الْحِصَارِ، وَأَنَّهُ عَازِمٌ عَلَى الْخُرُوجِ مِنْ أَبْوَابِ الْبَلَدِ بِمَنْ مَعَهُ بَغْتَةً فَيُنَاجِزُ الْمُسْلِمِينَ كَائِنًا فِي ذَلِكَ مَا
পৃষ্ঠা - ৮৫৪৭


সেনাপতির নাম উল্লেখ করে ৷ এরপর তাদেরকে মু তাসিমের কাছে উপস্থিত কর হয় ৷ তিনি
তাদেরকে প্রকৃত পরিচয় প্রকাশে বাধ্য করেন ৷ তখন দেখা গেল তাদের কাছে রয়েছে আমুরিয়
প্রশাসক মানাতিসের পত্র রোম সম্রাট বরাবর ৷ পত্রে সে তাকে মুসলমানদের অবরোধ সম্পর্কে
অবহিত করেছে এবং একথাও অবহিত করেছে যে, সে নগর দ্বারসমুহ দিয়ে তার সহযােদ্ধাদের
নিয়ে অকম্মাৎ বের হয়ে মুসলমানদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক আক্রমণে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ, ফলাফল যাই হোক
না কেন ৷ খলীফ৷ মু তা ৷সিম যখন এই বিষয় অবগত হন তখন যুবকদ্বয়ের তলব করে পাঠ৷ নি এবং
তাদেরকে তার মুল্যবান পরিধেয় দান করেন এবৎ যুবকদ্বয়ের প্রতে তককে একটি করে স্বর্ণমুদ্রার
থলে প্রদানের নির্দেশ প্রদান করেন ৷ তৎক্ষণাৎ তারা ইসলাম গ্রহণ করে ৷ এরপর খলীফার নিদেশে
সেই মুল্যবান পোশাক পরিহিত অবস্থায় তাদেরকে শহরের চারপাশ ৷প্রদক্ষিণ করানো হয় এবং
তাদেরকে মানাতিসের দুর্গের নিচে থামিয়ে তাদের উপর সেই মুল্যবান পোশাক ও রৌপমুদ্রা
ছড়িয়ে দেয়৷ হয়, এসময় তাদের সাথে ঐ পত্রটিও ছিল যা মানাতিস রোম সম্রাট বরাবর
লিখেছিল ৷ এ অবস্থা প্র৩ ক্ষ করে রোমকরা তাদের দৃ’ জনকে অভিসম্পাত করতে এবং পালি
দিতে থাকে ৷ এরপর খলীফা মুতাসিম রোমকদের অত র্কিত আক্রমণের আশঙ্কায় প্রহরা,
সতর্কতা ও সংরক্ষণ ব্যবস্থাকে নবায়নের নির্দেশ ৷প্রদান করেন ৷ এভাবে রোমকরা বিচলিত হয়ে
পড়ে এবং মুসলমানগণ তাদের বিরুদ্ধে অবরোধ ভীব্রতর করে ৷ এছাড়া মুতাসিম এসময়

মিনজানিক, দ ব্বাব৷ ১ ও অন্যান্য যুদ্ধ উপকরণের সংখ্যা বৃদ্ধি করেন ৷ তিনি যখন আমুরিয়্যার
চতুর্পাশ্বের পরিখার গভীরতা এবং নগর প্রাচীরের উচ্চতা প্রত তক্ষ করেন তখন নগর প্রাচীরের
মুকা ৷৷বলায় জন্য মিন জ ৷নিক কাজে লাগান ৷ এই অভিযানে পথিমধ্যে তিনি বিপুলসৎখ্যক মেয ও
ছাগল লাভ করেন, এরপর তিনি যোদ্ধাদের মাঝে তা বণ্টন করে দেন এবং প্রত্যেককে একটি
একটি করে যেন ভক্ষণ করে তার চামড়া মাটিতে পুর্ণ করে সেই পরিখায় নিক্ষেপ করতে ৷ তখন
সকলে তাই করে, ফলে নিক্ষিপ্ত মেয চামড়া র মাটিতে পরিখ৷ পুর্ণ হয়ে মাটির সমান হয়ে যায় ৷
এরপর তার নির্দেশে তার উপর পুনরায় মাটি ফেলা হলেত তা চলাচলের উপযোগী পথে পরিণত
হয় ৷ এরপর তিনি যে স্থানে “দাব্বাবা’ স্থাপনের নির্দেশ দেন কিন্তু আল্লাহ্ তার প্রয়োজন পুরণ
করে দেন ৷ মুসলিম বাহিনী যখন মেরামতকৃত ঐ পুলের উপর অবস্থানরতত ৩তখনই মিনজা নিকের
আঘাতে নগরপ্রাচীরের দুর্বল ও ত্রুটিযুক্ত অংশ বলে পড়ে ৷ত তারপর দুই দৃর্পচুড়ার মধ্যবর্তী প্রাচীর
যখন ধসে পড়ে তখন লোকজন পতনের ভয়াবহ শব্দ শুনতে পায় ৷ তখন যারা ত৷ দেখেনি তারা
ধারণা করে যে রোমকরা মুসলমানদের বিরুদ্ধে অত র্কিত আক্রমণ করেছে ৷ এই ভুল ধারণা দুর
করার জন খলীফ৷ মুতাসিম ঘোষক প্রেরণ করেন, (যে লোকদের মাঝে ঘোষণা করতে থাকে)
এটা হল নগর প্রাচীর ধসে পড়ার শব্দ ৷ তখন মুসলমানরা এ তথ্য জেনে অত্যন্ত খুশী হয় ৷ কিন্তু
নগরপ্রা ৷চীরের সেই তগ্ন৷ ৎশ অশ্বারোহী ও পদাতিক যোদ্ধা দের প্রবেশের জন্য যথেষ্ট প্রশস্ত ছিল না ৷
এদিকে অবরোধ তীব্রতর হয় আর রোমকরা নগর প্রাচীরের প্রত্যেক বুর্জ (পিলার, থাম) এ
একজন সেনাপতিকে রক্ষণাবেক্ষ্যণর দায়িতৃ প্রদান করে ৷ এসময় নগর প্রাটী রর তগ্নাৎশের
দায়িত্বে নিয়োজিত সেনাপতি তার বিরুদ্ধে গৃহীত অবরোধ মুক৷ ৷বিলায় দুর্বলতা অনুভব করে ৷
তখন সে মানাতিসের কাছে গিয়ে সাহায্য প্র৷ ৷র্থন৷ করে ৷ কিন্তু কোন রোম সেনাপতি তাকে



১ য়্দ্ধপোকরণ বিশেষ যা বর্তমান ট্যাৎকের আদি সংস্করণ ৷


كَانَ. فَلَمَّا وَقَفَ الْمُعْتَصِمُ عَلَى ذَلِكَ أَمَرَ بِالْغُلَامَيْنِ، فَخَلَعَ عَلَيْهِمَا، وَأَنْ يُعْطَى كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا بِدُرَّةٍ، فَأَسْلَمَا مِنْ فَوْرِهِمَا، فَأَمَرَ الْخَلِيفَةُ أَنْ يُطَافَ بِهِمَا حَوْلَ الْبَلَدِ، وَعَلَيْهِمَا الْخُلَعُ، وَأَنْ يُوقَفَا تَحْتَ الْحِصْنِ الَّذِي فِيهِ يَاطَسُ، فَيُنْثَرَ عَلَيْهِمَا الدَّرَاهِمُ وَالْخُلَعُ، وَمَعَهُمَا الْكِتَابُ الَّذِي كَتَبَ بِهِ يَاطَسُ مَعَهُمَا إِلَى مَلِكِ الرُّومِ، فَجَعَلَتْ الرُّومُ تَلْعَنُهُمَا وَتَسُبُّهُمَا. ثُمَّ أَمَرَ الْمُعْتَصِمُ عِنْدَ ذَلِكَ بِتَجْدِيدِ الْحَرَسِ وَالِاحْتِفَاظِ فِيهِ مِنْ خُرُوجِ الرُّومِ بَغْتَةً، فَضَاقَتْ الرُّومُ ذَرْعًا بِذَلِكَ، وَأَلَحَّ عَلَيْهِمُ الْمُسْلِمُونَ فِي الْحِصَارِ، وَقَدْ أَعَدَّ الْمُعْتَصِمُ عَلَيْهَا الْمَجَانِيقَ الْكَثِيرَةَ وَالدَّبَّابَاتِ وَغَيْرَ ذَلِكَ مِنْ آلَاتِ الْحَرْبِ. وَلَمَّا رَأَى الْمُعْتَصِمُ عُمْقَ خَنْدَقِهَا، وَارْتِفَاعَ سُورِهَا عَمِلَ الْمَجَانِيقَ فِي مُقَاوَمَةِ سُورِهَا، وَكَانَ قَدْ غَنِمَ فِي الطَّرِيقِ غَنَمًا كَثِيرًا جِدًّا فَفَرَّقَهَا فِي النَّاسِ، وَقَالَ: لِيَأْكُلِ الرَّجُلُ الرَّأْسَ، وَلْيَجِىءْ بِمِلْءِ جِلْدِهِ تُرَابًا فَيَطْرَحُهُ فِي الْخَنْدَقِ. فَفَعَلَ النَّاسُ ذَلِكَ، فَتَسَاوَى الْخَنْدَقُ بِوَجْهِ الْأَرْضِ مِنْ كَثْرَةِ مَا طُرِحَ فِيهِ مِنَ الْأَغْنَامِ، ثُمَّ أَمَرَ بِالتُّرَابِ، فَوُضِعَ فَوْقَ ذَلِكَ حَتَّى صَارَ طَرِيقًا مُمَهَّدًا، وَأَمَرَ بِالدَّبَّابَاتِ أَنْ تُوضَعَ فَوْقَهُ، فَلَمْ يُحْوِجِ اللَّهُ إِلَى ذَلِكَ، وَبَيْنَمَا النَّاسُ فِي الْحَرَسِ إِذْ هَدَمَ الْمَنْجَنِيقُ ذَلِكَ
পৃষ্ঠা - ৮৫৪৮
الْمَوْضِعَ الْمَعِيبَ مِنَ السُّورِ، فَلَمَّا سَقَطَ مَا بَيْنَ الْبُرْجَيْنِ سَمِعَ النَّاسُ هَدَّةً عَظِيمَةً، فَظَنَّهَا مَنْ لَمْ يَرَهَا أَنَّ الرُّومَ قَدْ خَرَجُوا عَلَى النَّاسِ بَغْتَةً، فَبَعَثَ الْمُعْتَصِمُ مَنْ يُنَادِي فِي النَّاسِ: إِنَّمَا ذَلِكَ سُقُوطُ السُّورِ، فَفَرِحَ الْمُسْلِمُونَ بِذَلِكَ فَرَحًا شَدِيدًا لَكِنْ لَمْ يَكُنْ يَتَّسِعُ أَنْ يَدْخُلَ مِنْهُ الْجَيْشُ لِضِيقِهِ عَنْهُمْ، فَأَمَرَ الْمُعْتَصِمُ بِالْمَجَانِيقِ الْمُتَفَرِّقَةِ فَجُمِعَتْ هُنَالِكَ وَنُصِبَتْ حَوْلَ ذَلِكَ الْمَوْضِعِ الَّذِي سَقَطَ، لِيُضْرَبَ بِهَا مَا حَوْلَهُ لِيَتَّسِعَ لِدُخُولِ الْخَيْلِ وَالرِّجَالِ. وَقَوِيَ الْحِصَارُ هُنَالِكَ جِدًّا، وَقَدْ وَكَّلَتِ الرُّومُ لِكُلِّ بُرْجٍ مِنْ أَبْرَاجِ السُّورِ أَمِيرًا يَحْفَظُهُ، وَاتَّفَقَ أَنَّ ذَلِكَ الْأَمِيرَ الَّذِي انْهَدَمَ مَا عِنْدَهُ مِنَ السُّورِ ضَعُفَ عَنْ مُقَاوَمَةِ مَا يَلْقَاهُ مِنَ الْمُسْلِمِينَ، فَذَهَبَ إِلَى يَاطَسَ، فَسَأَلَهُ النَّجْدَةَ، فَامْتَنَعَ أَحَدٌ مِنَ الرُّومِ أَنْ يُنْجِدَهُ، وَقَالُوا: لَا نَتْرُكُ مَا نَحْنُ بِصَدَدِهِ مِنْ حِفْظِ أَمَاكِنِنَا الَّتِي عُيِّنَتْ لَنَا. فَلَمَّا يَئِسَ مِنْهُمْ خَرَجَ إِلَى الْمُعْتَصِمِ لِيَجْتَمِعَ بِهِ، فَلَمَّا وَصَلَ إِلَيْهِ أَمَرَ الْمُعْتَصِمُ الْمُسْلِمِينَ أَنْ يَدْخُلُوا الْبَلَدَ مِنْ تِلْكَ الثَّغْرَةِ الَّتِي قَدِ انْهَدَمَتْ وَخَلَتْ مِنْ
পৃষ্ঠা - ৮৫৪৯
الْمُقَاتِلَةِ، فَرَكِبَ الْمُسْلِمُونَ نَحْوَهَا، فَجَعَلَتِ الرُّومُ يُشِيرُونَ إِلَيْهِمْ لَا تَحْيَوْا، وَلَا يَقْدِرُونَ عَلَى دِفَاعِهِمْ، فَلَمْ يَلْتَفِتْ إِلَيْهِمُ الْمُسْلِمُونَ، ثُمَّ تَكَاثَرُوا عَلَيْهِمْ وَدَخَلُوا الْبَلَدَ قَهْرًا وَتَتَابَعَ الْمُسْلِمُونَ إِلَيْهَا يُكَبِّرُونَ، وَتَفَرَّقَتِ الرُّومُ عَنْ أَمَاكِنِهَا، فَجَعَلُوا يَقْتُلُونَهُمْ فِي كُلِّ مَكَانٍ حَيْثُ وَجَدُوهُمْ وَأَيْنَ ثَقِفُوهُمْ، وَقَدْ حَصَرُوهُمْ فِي كَنِيسَةٍ لَهُمْ هَائِلَةٍ، فَفَتَحُوهَا قَسْرًا وَقَتَلُوا مَنْ فِيهَا قَهْرًا، وَأَحْرَقُوا عَلَيْهِمْ بَابَ الْكَنِيسَةِ فَأُحْرِقُوا عَنْ آخِرِهِمْ، وَلَمْ يَبْقَ فِيهَا مَوْضِعٌ مُحَصَّنٌ سِوَى الْمَكَانِ الَّذِي فِيهِ النَّائِبُ وَهُوَ يَاطَسُ، فِي حِصْنٍ مَنِيعٍ، فَرَكِبَ الْمُعْتَصِمُ فَرَسَهُ وَجَاءَ حَتَّى وَقَفَ بِحِذَاءِ الْحِصْنِ الَّذِي فِيهِ يَاطَسُ، فَنَادَاهُ الْمُنَادِي: وَيْحَكَ يَا يَاطَسُ، هَذَا أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ وَاقِفٌ تُجَاهَكَ. فَقَالَ: لَيْسَ يَاطَسُ هَاهُنَا. مَرَّتَيْنِ. فَغَضِبَ الْمُعْتَصِمُ مِنْ ذَلِكَ وَوَلَّى، فَنَادَى يَاطَسُ: هَذَا يَاطَسُ، هَذَا يَاطَسُ. فَرَجَعَ الْخَلِيفَةُ وَنَصَبَ السَّلَالِمَ عَلَى الْحِصْنِ، وَطَلَعَتِ الرُّسُلُ إِلَيْهِ، فَقَالُوا لَهُ: وَيْحَكَ، انْزِلْ عَلَى حُكْمِ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ. فَتَمَنَّعَ، ثُمَّ نَزَلَ مُتَقَلِّدًا سَيْفًا، فَوَضَعَ السَّيْفَ مِنْ
পৃষ্ঠা - ৮৫৫০


সাহায্য করতে সম্মত হয়নি ৷ত তারা বলে, আমাদের দায়িত্বে যার রক্ষণাবেক্ষণ ন্যস্ত করা হয়েছে
আমরা তা ত্যাগ করতে পারি না ৷
এই ব্যক্তি যখন তাদের সাহায্যের ব্যাপারে নিরাশ হয় সে তখন খলীফ৷ মুত৷ তাসিমের সাথে
মিলিত হওয়ার জন্য তার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে যায় ৷ সে যখন খলীফ৷ ৷র কাছে পৌছে তখন খলীফা
মুসলিম বাহিনীকে সেই অরক্ষিত যােদ্ধাশুন্য স্থান দিয়ে শহরে প্রবেশের নির্দেশ প্রদান করেন ৷
তখন মুসলিম অশ্বারােহিগণ সেদিকে অগ্রসর হয় আর রোমক যোদ্ধার৷ সেদিকে ইঙ্গিত করতে
থাকে কিন্তু কোন প্রতিরোধে সক্ষম হয় না ৷ মুসলিম যােদ্ধারা তাদের দিকে কোন ভ্রক্ষেপ না করে
অগ্রসর হতে থাকে ৷ এরপর শত্রুর বিরদ্ধে তাদের সং খ্য৷ বৃদ্ধি পায় এবং তারা জোরপুর্বক শহরে
প্রবেশ করতে সক্ষম হয় ৷ এ সময় একের পর এক মুসলিম সৈন্যরা তাকবীর ধ্বনি দিতে দিতে
সেদিকে অগ্রসর হয় আর রোমক যোদ্ধারা তাদের প্রতিরক্ষামুলক অবস্থান থেকে বিক্ষিপ্ত হয়ে যায়,
তখন মুসলমান যােদ্ধারা তাদেরকে ব্যাপকভাবে হত্যা করতে থাকে ৷ তারা তাদেরকে এক বিশাল
গির্জার সমবেত করে এবং জোরপুর্বক তা উন্মুক্ত করে ৷ তারপর সেখান অবস্থানরতদের হত্যা
করে এবং তাদেরকে ভিতরে রেখে গির্জার দরজায় আগুন লাগিয়ে দেয় ৷ ফলে গির্জাটি পুড়ে যায়
এবং তাদের শেষ ব্যক্তি পর্যন্ত জ্বলম্ভ দগ্ধ হয় ৷ এরপর আমুরিয়্যা শহরে শহর প্রশাসক মানাতিসের
ন্থানব্যতীত আর কোন সুরক্ষিত স্থান ছিল না ৷ আর সে আশ্রয় নেয় একটি দুর্ভেদ্য দুর্গে ৷ এসময়
খলীফ৷ মুতাসিম তার অশ্বে আরোহণ করে ঐ দুর্গ বরাবর এসে থামেন যেখানে মানাতিসের
অবস্থান ৷ তখন জনৈক ঘোষক তাকে আহ্বান করে বলে ! হতভাগা মানাতিস ! এই দেখ স্বয়ং
আযীরুল মু’মিনীন তােমা র বরাবর উপস্থিত হয়েছেন ৷ তখন তারা দুবার একথা বলে, এখানে
মানাতিস নেই ৷ এমত তবস্থায় মুতাসিম ক্রব্ধ হয়ে সেস্থান ত্যাগ করতে উদ্যত হন ৷ তখন
মানাতিস নিজেই বলে উঠে এই যে মানা ৷তিস, এই যে মানাতিস, তখন খলীফ৷ ফিরে আসেন ৷
এরপর দুর্গে সিড়ি স্থাপন করা হয় এবং দুতগণ তাতে আরোহণ করে তার কাছে গিয়ে বলেন,
হতভ৷ পা ! আমীরুল মু’মিনীনের হুকুম মেনে নেমে আস ৷ কিন্তু প্রথমে সে বিরত থাকে এরপর
তরবারি কা ধে ঝুলিয়ে নেমে আসে ৷ তখন তার পর্দানে তববা ৷রি রেখে তাকে মু তাসিমের সামনে
দাড় করানো হয় ৷ এসময় খলীফাত ৷র মাথায় চাবুক দিয়ে আঘাত করেন ৷ এরপর তিনি নির্দেশ
দেন তাকে খলীফ৷ ৷র অবন্থানন্থল পর্যন্ত অপদস্থ অবস্থায় হেটে যেতে ৷ তারপর তাকে সেখানে
বেধে রাখা হয় ৷ এই যুদ্ধাভিযানে মুসলমানগণ আমুবিয়্যা থেকে বিপুল ও বর্ণনাতীত পরিমাণ
ধন সম্পদ লাভ করেন ৷ যতটুকু সম্ভব তারা বহন করে নিয়ে যান ৷ আর খলীফ৷ ৷মু তা ৷সিম অবশিষ্ট
ধ্ন-সম্পদ এবং সেখানে বিদ্যমা ৷ন মিনজানিক ও অন্য সকল যুদ্ধাপোকরণ জ্ব৷ ৷লিয়ে ফেলার নির্দেশ
প্রদান করেন যাতে রোমকর৷ তা ৷র কোন কিছু দ্বারা মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে শক্তি অর্জন করতে বু
না পারে ৷ এরপর খলীফ৷ মুতাসিম এই বছরের শাওয়াল মাসের যে যে তারসুসের দিকে ফিরে
আসেন ৷ আর আমুরিয়াতে তার অবস্থানকাল ছিল পচিশ দিন ৷

আব্বাস ইবন মামুনের হত্যাকাণ্ড
আমুরিয়া অভিযানে আব্বাস তার পিতৃব্য মু’তাসিমের সাথে ছিলেন ৷ আর ইতিপুর্বে তার
পিতা মা’মুন যখন তারসুসে মৃত্যুবরণ করেন তখন খিলাফতের কর্তৃতৃ গ্রহণ না করার জন্য
আর্জীফ ইবন আনবাস৷ তাকে লজ্জা দেয় এবং তার পিতৃব্য মু’তাসিমের হাতে বায়আত করার


عُنُقِهِ، ثُمَّ جِيءَ بِهِ حَتَّى أُوْقِفَ بَيْنَ يَدَيِ الْمُعْتَصِمِ، فَضَرَبَهُ بِالسَّوْطِ عَلَى رَأْسِهِ، ثُمَّ أَمَرَ بِهِ أَنْ يَمْشِيَ إِلَى مَضْرِبِ الْخَلِيفَةِ، فَمَشَى مُهَانًا إِلَى الْوِطَاقِ الَّذِي فِيهِ الْخَلِيفَةُ نَازِلٌ، فَأُوثِقَ هُنَاكَ، وَأَخَذَ الْمُسْلِمُونَ مِنْ عَمُّورِيَةَ أَمْوَالًا عَظِيمَةً وَغَنَائِمَ لَا تُحَدُّ وَلَا تُوَصَفُ، فَحَمَلُوا مَا أَمْكَنَ حَمْلُهُ، وَأَمَرَ الْمُعْتَصِمُ بِإِحْرَاقِ مَا بَقِيَ مِنْ ذَلِكَ، وَبِإِحْرَاقِ مَا هُنَالِكَ مِنَ الْمَجَانِيقِ وَالدَّبَّابَاتِ وَآلَاتِ الْحَرْبِ؛ لِئَلَّا يَتَقَوَّى بِهَا الرُّومُ عَلَى شَيْءٍ مِنْ حَرْبِ الْمُسْلِمِينَ، وَانْصَرَفَ رَاجِعًا عَنْهَا إِلَى نَاحِيَةِ طَرَسُوسَ فِي أَوَاخِرِ شَوَّالٍ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ، وَكَانَتْ إِقَامَتُهُ عَلَى عَمُّورِيَةَ خَمْسَةً وَخَمْسِينَ يَوْمًا. [مَقْتَلُ الْعَبَّاسِ بْنِ الْمَأْمُونِ] ذِكْرُ مَقْتَلِ الْعَبَّاسِ بْنِ الْمَأْمُونِ كَانَ الْعَبَّاسُ بْنُ الْمَأْمُونِ مَعَ عَمِّهِ الْمُعْتَصِمِ فِي غَزَاةِ عَمُّورِيَةَ وَكَانَ عُجَيْفُ بْنُ عَنْبَسَةَ قَدْ نَدَّمَهُ إِذْ لَمْ يَأْخُذِ الْخِلَافَةَ بَعْدَ أَبِيهِ الْمَأْمُونِ حِينَ مَاتَ بِطَرَسُوسَ، وَلَامَهُ عَلَى مُبَايَعَتِهِ عَمَّهُ الْمُعْتَصِمَ، وَلَمْ يَزَلْ بِهِ حَتَّى أَجَابَهُ إِلَى الْفَتْكِ بِعَمِّهِ الْمُعْتَصِمِ، وَأَخَذَ الْبَيْعَةَ مِنَ الْأُمَرَاءِ لَهُ، وَجَهَّزَ رَجُلًا يُقَالُ لَهُ: الْحَارِثُ السَّمَرْقَنْدِيُّ، وَكَانَ نَدِيمًا لِلْعَبَّاسِ، فَأَخَذَ لَهُ الْبَيْعَةَ مِنْ جَمَاعَةٍ مِنَ الْأُمَرَاءِ فِي الْبَاطِنِ، وَاسْتَوْثَقَ مِنْهُمْ، وَتَقَدَّمَ إِلَيْهِمْ أَنَّهُ يَلِي مَتَى مَا فَتَكَ بِعَمِّهِ، فَلْيَقْتُلْ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمْ مَنْ يَقْدِرُ عَلَيْهِ مِنْ رُءُوسِ أَصْحَابِ الْمُعْتَصِمِ؛ كَالْأَفْشِينِ وَأَشْنَاسَ وَغَيْرِهِمْ مِنَ الْكِبَارِ، فَلَمَّا كَانُوا بِدَرْبِ الرُّومِ وَهُمْ قَاصِدُونَ إِلَى أَنْقِرَةَ وَمِنْهَا إِلَى عَمُّورِيَةَ أَشَارَ عُجَيْفٌ
পৃষ্ঠা - ৮৫৫১


কারণে তাকে ভৎসনা করে ৷ আর এই ব্যাপারে আজীফ সর্বক্ষণ তার পিছে লেগে থাকে ৷
অবশেষে তিনি তার পিতৃব্যকে হত্যা করা এবং নিজের অনুকুলে আমীরদের থেকে বায়আত
গ্রহণের ব্যাপারে তার আহ্বানে সাড়া দেন ৷ এ উদ্দেশ্যে আব্বাস তার জনৈক ঘনিষ্ঠ বন্ধু হারিছ
আস-সমরকান্দী নামক এক ব্যক্তিকে প্রস্তুত করেন ৷ সে তখন গোপনে একদল আমীর থেকে
আব্বাসের অনুকুলে বায়আত গ্রহণ করে এবং তাদের থেকে দৃঢ় অঙ্গীকার গ্রহণ করে এবং
তাদেরকে অবহিত করে যে আব্বাস তার পিতৃব্যকে হত্যা করবেন ৷ এরপর মুসলিম ফৌজ যখন
প্রথমত আঙ্কারা এবং সেখান থেকে আমুরিয়ার অভিমুখে রোমক ভুখণ্ডের গিরিপথে তখন আজীফ
আব্বাসকে পরামর্শ দেয় তার পিত তব্যকে এই গিরিপথে হত্যা করে তার অনুকুলে বায়আত গ্রহণের
পর বাগদা দে ফিরে যেতে ৷ তখন আব্বাস বলেন, লোকদের এই যুদ্ধাভিয়ানকে আমি নষ্ট করতে
চাই না ৷ এরপর যখন মুসলমানগণ আমুরিয়৷ জয় করেন এবং লোকজন গনীমত নিয়ে ব্যস্ত হয়ে
পড়ে তখন আজীফ পুনরায়৩ তাকে পিতৃব্য হত্যার পরামর্শ দেয় ৷ তখন তিনি তাকে প্রতিশ্রুতি ৩দেন
যে, ফৌজের প্রত্যাবত ’fi$!?fl গিরিপথে তিনি পিতৃব্য মু তাসিমকে হত্যা করবেন ৷

এদিকে প্রত্যাবত নকালে খলীফা মু তালিম বিষয়টি জাচ করতে পারেন ৷ খনত তিনি
আব্বাসকে সর্বক্ষণিক হিফায়ত ও প্রহরায় রাখার নির্দেশ দেন এবং দৃঢ়প্রত তায়ী হয়ে দুরদর্শিতার
সাথে বিষয়টি নিয়ে অগ্রসর হন ৷ প্রথমে তিনি হারিছ সমরকন্দীকে ডেকে পাঠান এবং তার কাছে
বিষয়টির সভ্যতার স্বীকৃতি চান, তখন সে তার সামনে সম্পুর্ণ বিষয়টি স্বীকার করে এবং একথাও
স্বীকার করে যে, সে আব্বাস ইবন মামুনের অনুকুলে একদল আমীর থেকে বড়ায়আত গ্রহণ
করেছে ৷ এসময় সে সকল আমীরদের নামও তার কাছে উল্লেখ করে ৷ তখন মু’তাসিম তাদের
ৎখ্যা অধিক দেখতে পান এবং ভ্রাতৃম্পুত্র আব্বাসকে ডেকে পাঠিয়ে বন্দী করেন ৷ এ সময় তিনি
তার প্রতি ৩ক্রুদ্ধ হন এবৎ৩ তাকে অপমানিত করেন ৷ত তারপর তিনি এমনতাব প্রকাশ করেন যে,
তিনি যেনত তার প্রতি ৩প্রসন্ন হয়েছেন এবং তাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন ৷ তখন তিনি তাকে বন্দীতৃ
থেকে মুক্ত করে দেন ৷ এরপর রাতের বেলা তিনি তাকে তার পান-আসরে ডেকে পাঠান এবং
তাকে নির্জ্যন পান করিয়ে তার পরিকল্পিত বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন ৷ তখন আব্বাস তাকে
বিষয়টি ব্যাখ্যা করে , প্রকৃত ঘটনা খুলে বলে ৷ খলীফা দেখতে পান বিষয়টি হুবহু তেমনই যেমন
হারিছ সমরকন্দী উল্লেখ করেছে ৷ এরপর সকাল বেলা তিনি হারিছকে পুনরায় ডেকে পাঠান এবং
নির্জ্যন তার সাথে সাক্ষাত করে তাকে দ্বিতীয়বার বিষয়টি জিজ্ঞাসা ৷করেন ৷ ৩ খন হারিছ তাকে
প্রথম যেমন বলেছিল তেমনই বলে ৷ তখন তিনি বলেন, দুর্ভ ৷গ্য তোমার ৷ আমি তার ব্যাপারে
আগ্রহী ছিলাম, কিন্তু এই ঘটনায় আমার সাথে তোমার সত্য বলার কারণে আমি তার কো ন ৷উপায়
পেলাম না ৷ তারপর মু তাসিমের নিদ্যেশ তার ভ্রাতুম্পুত্র আব্বাসকে বন্দী করে আমীর আফসীনের
হাতে তুলে দেয়৷ হয় এবং তার নির্দেশে আজীফ এবং অন্য আমীরদেরকে সার্বক্ষণিক হিফায়তে
রাখা হয় ৷ তারপর তার প্রভাব অনুযায়ী তাদেরকে বিভিন্ন প্রকার শান্তি প্রদান করা হয় ৷ ফলে
তাদের প্রত্যেককে ভিন্ন ভিন্ন পন্থায় হত্যা করা হয় ৷ আব্বাস ইবন ম৷ মুন মানবাযে মৃত্যুবরণ
করলে তাকে সেখানেই দাফন করা হয় ৷ তার মৃত্যুর কারণ ছিল নিম্নরুপ প্রথমত তাকে
ভীষণতা ৷বে ক্ষুধার্ত করা হয়, তারপর তার কাছে প্রচুর পরিমাণ খাব৷ ৷র আনা হয়, তখন তিনি তা
থেকে খাওয়ার পর পানি পান করত চান কিন্তু তাকে পানি দেয়৷ হয় না, ফলে তিনি পিপাসায়


عَلَى الْعَبَّاسِ أَنْ يَقْتُلَ عَمَّهُ فِي هَذَا الْمَضِيقِ، وَيَأْخُذَ لَهُ الْبَيْعَةَ، وَيَرْجِعَ إِلَى بَغْدَادَ فَقَالَ الْعَبَّاسُ: إِنِّي أَكْرَهُ أَنْ أُعَطِّلَ عَلَى النَّاسِ هَذِهِ الْغَزْوَةَ. فَلَمَّا فَتَحُوا عَمُّورِيَةَ وَاشْتَغَلَ النَّاسُ بِالْمَغَانِمِ أَشَارَ عَلَيْهِ أَنْ يَفْتِكَ، فَوَعَدَهُ مَضِيقَ الدَّرْبِ إِذَا رَجَعُوا، فَلَمَّا رَجَعُوا فَطِنَ الْمُعْتَصِمُ بِالْخَبَرِ، فَأَمَرَ بِالِاحْتِفَاظِ وَقُوَّةِ الْحَرَسِ، وَأَخَذَ بِالْحَزْمِ وَاجْتَهَدَ فِي الْعَزْمِ، وَاسْتَدْعَى بِالْحَارِثِ السَّمَرْقَنْدِيِّ، فَاسْتَقَرَّهُ فَأَقَرَّ لَهُ بِجَلِيَّةِ الْأَمْرِ، وَأَنَّهُ أَخَذَ الْبَيْعَةَ لِلْعَبَّاسِ بْنِ الْمَأْمُونِ مِنْ جَمَاعَةٍ مِنَ الْأُمَرَاءِ أَسْمَاهُمْ لَهُ، فَاسْتَكْثَرَهُمُ الْمُعْتَصِمُ، وَاسْتَدْعَى بِابْنِ أَخِيهِ الْعَبَّاسِ بْنِ الْمَأْمُونِ فَقَيَّدَهُ وَغَضِبَ عَلَيْهِ وَأَهَانَهُ، ثُمَّ أَظْهَرَ لَهُ أَنَّهُ قَدْ رَضِيَ عَنْهُ وَعَفَا عَنْهُ، فَأَرْسَلَهُ مِنَ الْقَيْدِ وَأَطْلَقَ سَرَاحَهُ، فَلَمَّا كَانَ مِنَ اللَّيْلِ اسْتَدْعَاهُ إِلَى حَضْرَتِهِ فِي مَجْلِسِ شَرَابِهِ، وَاسْتَخْلَاهُ حَتَّى سَقَاهُ وَاسْتَحْكَاهُ عَنِ الَّذِي كَانَ قَدْ دَبَّرَهُ مِنَ الْأَمْرِ، فَشَرَحَ لَهُ الْقَضِيَّةَ وَأَنْهَى لَهُ الْقِصَّةَ، فَإِذَا الْأَمْرُ كَمَا ذَكَرَ الْحَارِثُ السَّمَرْقَنْدِيُّ، فَلَمَّا أَصْبَحَ اسْتَدْعَى بِالْحَارِثِ، فَأَخْلَاهُ وَسَأَلَهُ عَنِ الْقَضِيَّةِ ثَانِيًا، فَذَكَرَهَا لَهُ كَمَا ذَكَرَهَا أَوَّلَ مَرَّةٍ، فَقَالَ: وَيْحَكَ، إِنِّي كُنْتُ حَرِيصًا عَلَى ذَلِكَ، فَلَمْ أَجِدْ إِلَى ذَلِكَ سَبِيلًا بِصِدْقِكَ إِيَّايَ فِي هَذِهِ الْقِصَّةِ. ثُمَّ أَمَرَ الْمُعْتَصِمُ حِينَئِذٍ بِابْنِ أَخِيهِ الْعَبَّاسِ، فَقُيِّدَ وَسَلَّمَهُ إِلَى الْأَفْشِينِ وَأَمَرَ بِعُجَيْفٍ وَبَقِيَّةِ مَنْ ذَكَرَ مِنَ الْأُمَرَاءِ، فَاحْتِيطَ عَلَيْهِمْ وَأُحِيطَ بِهِمْ، ثُمَّ أَخَذَ فِي أَنْوَاعِ النِّقْمَاتِ يَقْتَرِحُهَا لَهُمْ، فَقَتَلَ كُلَّ إِنْسَانٍ مِنْهُمْ بِنَوْعٍ مِنَ الْقِتْلَاتِ، وَمَاتَ الْعَبَّاسُ بْنُ الْمَأْمُونِ بِمَنْبِجَ فَدُفِنَ هُنَاكَ، وَكَانَ سَبَبَ
পৃষ্ঠা - ৮৫৫২
مَوْتِهِ أَنَّهُ جَاعَ جُوعًا شَدِيدًا، ثُمَّ جِيءَ بِأَكْلٍ كَثِيرٍ، فَأَكَلَ وَطَلَبَ الْمَاءَ، فَمُنِعَ مِنْهُ حَتَّى مَاتَ، وَأَمَرَ الْمُعْتَصِمُ بِلَعْنِهِ عَلَى الْمَنَابِرِ، وَسَمَّاهُ اللَّعِينَ، وَقَتَلَ جَمَاعَةً مِنْ وَلَدِ الْمَأْمُونِ أَيْضًا. وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ مُحَمَّدُ بْنُ دَاوُدَ، وَفُتِحَتْ فِيهَا عَمُّورِيَةُ كَمَا تَقَدَّمَ. [مَنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ] وَتُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ: بَابَكُ الْخُرَّمِيُّ قُتِلَ وَصُلِبَ كَمَا قَدَّمْنَا ذَلِكَ مَبْسُوطًا. وَخَالِدُ بْنُ خِدَاشٍ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ، كَاتِبُ اللَّيْثِ بْنِ سَعْدٍ وَمُحَمَّدُ بْنُ سِنَانٍ الْعَوَقِيُّ، وَمُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ.