আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ثمان عشرة ومائتين

পৃষ্ঠা - ৮৪৯৮


সাওয়াব তার উপযুক্ত ব্যক্তিদের কাছে চলে গিয়েছে, আ র আমার উপকা ৷র করেছে ঐ নামায যা
আমি শেষ রাতে পড়তাম ৷ এছাড়া এ বছর একাধিক উল্লেখযাে ৷গ্য ঘটনা ও বিষয় সংঘটিত হয়
যার বিবরণ বেশ দীর্ঘ ৷

২১ ৭ হিজরীর সুচনা

এ বছরের ঘুহাররাম মাসে খলীফ৷ মামুন মিসরে প্রবেশ করেন এবং আবদুস ফিহ্রীকে
আয়ত্তে এসে তাকে পাকড়াও করেন ৷ এরপর তার নির্দেশে আবদুসের গর্দান উড়িয়ে দেয়৷ হয় ৷
তারপর তিনি (বিজয়ী বেশে) সিরিয়ায় ফিরে আসেন ৷ এ বছরই মা’মুন রােমক ভুখণ্ড অভিমুখে
যাত্রা করেন এবং একশ দিন লু লু’ আ শহর অবরোধ করে রাখেন ৷ এরপর তিনি সেখান থেকে
প্রস্থুান করেন এবং তার অবরোধের ব্যাপারে আজীফকেওার স্থলবর্তী করেন ৷ এসময় রােমকরা
তার সাথে প্রতারণা করে তাকে বন্দী করে ফেললে৩ তিনি আ ৷ট দিন তাদের হাতে ৩বন্দী থাকেন
এরপর কৌশলে তাদের হাত থেকে পালিয়ে আসেন এবং তাদের বিরুদ্ধে অবরোধ অব্যাহত
রাখেন ৷ এসময় স্বয়× রোম সম্রাট আগমন করেন এবং তার ফৌজ নিয়ে আজীফকে পশ্চাৎদিক
থেকে ঘিরে ফেলেন ৷ এ সংবাদ যখন খলীফ৷ মামুনের কাছে পৌছে তখন তিনি তার দিকে
অগ্রসর হন ৷ এরপর রোম সম্র৷ ৷ট র্তুফায়ল যখন খলীফ৷ ৷মামুনের আ গমনের আভাস পান তখন
তিনি নিজে পলায়ন করেত তার মন্থী সানপালকে পাঠ ন ৷ সে তখন পত্র যোগে মামুনের কাছে
নিরাপত্তা ও সন্ধি প্রাৎনাি ৷করে, কিন্তু পত্রের সুচনায় খলীফ৷ মামুনের নামের পরিবতে নিজের নাম
ব্যবহার করে ৷ খনত মা ’মুন তার এই পত্রের জবাবে একটি অলঙ্কারপুর্ণ পত্র রচনা করেন যার
বিষয়বস্তু হল শাণিত তিরস্কার ও ভর্চুসনা “আর আমি শুধু তোমার কাছ থেকে এটা গ্রহণ করতে
পারি যে ভুমি দীন ইসলামে প্রবেশ করবে ৷ অন্যথায় তরবারি ও হত্যাযজ্ঞের মুখোমুখি হতে হবে
তোমাকে ৷ আর শান্তি বর্ধিত হোক হিদায়াস্তুত র অনুসারীদের উপর” ৷ এ বছর হজ্জ পরিচালনা
করেন সুলায়মান ইবন আবদুল্লাহ্ ইবন সুলায়মান ইবন আলী ৷ এ বছর যারা ইনতিকাল করেন
তাদের অন্যতম হলে হাজ্জাজ ইবন মিনহাল, শুরায়হ ইবন নুমান ও মুসা ইবন দাউদ আঘৃযাববী ৷
আল্লাহ পবিত্র, তিনি সম্যক জ্ঞাত ৷

২১৮ হিজরীর সুচনা

জুমাদাল উলা মাসের প্রথম দিকে খলীফ৷ মা’মুন তার পুত্র আব্বাসকে তুওয়ানা’ পুন৪
নির্মাণের ও তার ভবন সংস্কারের জন্য প্রেরণ করেন ৷ এ সময় তিনি সকল অঞ্চলে ফরমান প্রেরণ
করেন যেন সকল দেশ অর্থাৎ মিসর, সিরিয়া ও ইরাক থেকে সেখানে কর্মী প্রেরণ করা হয় ৷ ফলে
সেখানে বহু মানুষের সমাবেশ ঘটে ৷ তিনি নির্দেশ প্রদান করেন যেন শহরটি দৈর্যো এক মাইল
এবং গ্রন্থে এক মাইল হয় এবং তার বেষ্টনী প্রাচীর হয় তিন ফারসাখ : এবং৩ তাতে তিনটি
প্রবেশদ্বার থাকে ৷

সংকট ও বিভ্রাস্তির সুচনা

এ বছরই খলীয-ণ ম৷ মুন বাপদ ৷:দ তার নযুক্ত৷ গত ণ্া<৷ ইসহ ত্বক ইবন প্ইবরাহীম ইবন
মুসআবকে লিখিত নির্দেশ প্রেরণ করেন (সেখানকার) কাষী (বিচারক) ও মুহাদ্দিসদের “কুরআন
১ এক ফারসাখ হল৩ তিন মাইলের সমান ৷



#

আলন্যেন্সয়েন্ ওহ্া”৷ “ন্ভ্রুছুছুট্রু ১ é“: হ্ত্ত্বলোঃত্ট্রুাক্টাপ্ম্রা-০ওোড়া

[سَنَةُ ثَمَانِ عَشْرَةَ وَمِائَتَيْنِ] [الْأَحْدَاثُ الَّتِي وَقَعَتْ فِيهَا] ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ ثَمَانِ عَشْرَةَ وَمِائَتَيْنِ فِي أَوَّلِ يَوْمٍ مِنْ جُمَادَى مِنْهَا وَجَّهَ الْمَأْمُونُ ابْنَهُ الْعَبَّاسَ إِلَى بِلَادِ الرُّومِ لِبِنَاءِ الطُّوَانَةِ، وَتَجْدِيدِ عِمَارَتِهَا، وَبَعَثَ إِلَى سَائِرِ الْأَقَالِيمِ وَالْآفَاقِ فِي تَجْهِيزِ الْفَعَلَةِ مِنْ كُلِّ بَلَدٍ إِلَيْهَا؛ مِنْ مِصْرَ وَالشَّامِ وَالْعِرَاقِ وَغَيْرِ ذَلِكَ، فَاجْتَمَعَ عَلَيْهَا خَلْقٌ كَثِيرٌ لَا يَعْلَمُهُمْ إِلَّا اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ وَأَمَرَهُ أَنْ يَجْعَلَهَا مِيلًا فِي مِيلٍ، وَأَنْ يَجْعَلَ سُورَهَا ثَلَاثَةَ فَرَاسِخَ، وَأَنْ يَجْعَلَ لَهَا ثَلَاثَةَ أَبْوَابٍ عِنْدَ كُلِّ بَابٍ حِصْنٌ. [مِحْنَةُ الْإِمَامِ أَحْمَدَ] ذِكْرُ أَوَّلِ الْمِحْنَةِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ كَتَبَ الْمَأْمُونُ إِلَى نَائِبِهِ بِبَغْدَادَ إِسْحَاقَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُصْعَبٍ يَأْمُرُهُ أَنْ يَمْتَحِنَ الْقُضَاةَ وَالْمُحَدِّثِينَ بِالْقَوْلِ بِخَلْقِ الْقُرْآنِ، وَأَنْ يُرْسِلَ إِلَيْهِ جَمَاعَةً مِنْهُمْ إِلَى الرَّقَّةِ وَنُسْخَةَ كِتَابِ الْمَأْمُونِ إِلَى نَائِبِهِ مُطَوَّلَةٌ، قَدْ سَرَدَهَا ابْنُ
পৃষ্ঠা - ৮৪৯৯


সৃষ্ট’ এই মত প্রকাশের জন্য যাচাই ও পরীক্ষা করতে এবৎ৩ তাদের একটি দলকে তার কাছে
প্রেরণ করতে ৷ তিনি তাকে একটি দীর্ঘ এবং আরও কয়েকটি পত্রের মাধ্যমে এ ব্যাপারে
উৎসাহিত করেন ৷ ইবন জারীর এই পত্রগুলাের সবকটির উল্লেখ করেছেন ৷ যার সারকথা হল, এ
বিষয় প্রমাণিত করা যে কুরআন হল ণ্:ৰুাপু; (অর্থাৎ আল্লাহ্ তাআলার সত্তার ন্যায় ণ্ৰুাদ্বু যা
অনাদি নয় ; এর সৃষ্টির সুচনা রয়েছে) আর প্রত্যেক (¢;: হল মাখলুক বা সৃষ্ট ৷ আর এটা
এমন যুক্তি যে ব্যাপারে বহু মুতাকাল্পিমই তার সাথে একমত নন, ঘুহাদ্দিসগণতে৷ দুরের কথা ৷
কেননা যারা একথা বলেন যে ইচ্ছা নির্ভাব্ ক্রিয়াসমুহ আল্লাহ্ তাআলার সত্তাকে আশ্রয় করে
অস্তিত্ব লাভ করে তারা একথা বলেন না যে, আল্লাহ্ তাআল৷ ৷র ঐ ক্রিয়া যা তার পবিত্র সত্তাকে
আশ্রয় করে অস্তিত্ব লাভ করে৩ তা মাখলুক বা সৃষ্ট, বরং তা মাখলুক নয় ৷ বরং তারা বলেন,
কুরআন মুহদাছ’ মাখলুক নয় ৷ বরং তা আল্লাহ্র কালাম যা তার পবিত্র সত্তাকে আশ্রয় করে
অস্তিত্ব লাভকারী ৷ আর যা আল্লাহ্র সত্তা কে আশ্রয় করে অন্তিত্ব৷ লা ৩ করে তা মাখলুক’ নয় ৷ আর

৷ fl

আল্লাহ্তাআলা স্বয়ং বলেছেন, যখনই
তাদের নিকট তাদের প্রতিপালকের কো ন নতুন উপদেশ ৷আসে




ণ্ঢ়১৷ ৷ ; ৷ হদ্বু:১র্চুৰুৰু৷ মোঃ ণ্: ণ্হ্রাঠুএেপুন্ ন্ ণ্হ্রমোঃ (ম্বু ,
আর আ ৷মিই তােমাদেরকে সৃষ্টি করেছি, এরপর তোমাদের আকৃতি ৩দান করেছি এবং তারপর
ফিরিশত৷ ৷দেরকে আদমকে সিজদ৷ করতে বলেছি২

অর্থাৎ অ ৷ল্লাহ্ তা জানা থেকে সিজদার নির্দেশ প্রকাশ পেয়েছে আদম (আ) কে সৃষ্টি করার
পর ৷ সুতরাং আল্লাহ্ তা জানার সত্তা কে আশ্রয় করে অস্তিত্ব লাভকারী কলাম , মাখলুক নয় ৷ আর
এ ব্যাপারে বিশদ আলোচনার ক্ষেত্র ভিন্ন ৷ ইমাম বুখারী এই বিষয়ে একটি গ্রন্থ রচনা করেছেন
যার নাম দিয়েছেন বান্দাদের ক্রিয়াসমুহের সৃষ্টি ৷

এদিকে খলীফা মামুনের ফরমান যখন বাগদাদে পৌছে তখন তা লোকদেরকে পাঠ করে
শোনান হয় ৷ ইতিপুর্বে মা মুন তার কাছে উপস্থিত করার জন্য একদল মুহাদ্দিসকে নির্ধারণ করে
দিয়েছিলেন, তারা হলেন ওয়াকিদীর শ্রুতিলিপিকার মুহাম্মদ ইবন সাদ, আবু মুসলিম আল-

মুসতামলী, ইয়াষীদ ইবন হারুন, ৩ ইয়াহ্ইয়৷ ইবন মুঈন , আবু খায়ছাম৷ , যুহায়র ইবন হারব,
ইসমাঈল ইবন আবু মাসউদ এবং আহমদ ইবন দাওরাকী ৷ এরপর ইসহাক তাদেরকে রাক্কায়
অবস্থানরত মা’মুনের কাছে পাঠান ৷ তখন তিনি তাদেরকে কুরআন সৃষ্টি’ এ বিষয়ে পরীক্ষা
করেন ৷ তারা তার আহ্বানে সাড়া দেন এবৎ অনিচ্ছাসত্বেও তীর সাথে ঐকমত্য প্রকাশ করেন ৷
এরপর তিনি তাদেরকে বাগদাদে ফেরত পাঠান এবৎত ৷দের বিষয়টি ফকীহদের মাঝে রাষ্ট্র করার
জন্য ইসহাককে নির্দেশ প্রদান করেন ৷ তখন ইসহাক তাই করেন ৷ এরপর তিনি একদল
১ সুরা আম্বিয়৷ ও ২

১১

৩ গ্রন্থকার দৃইশ ছয় (২০৬) হিজরীর আলোচনায় ইয়াষীদ ইবন হারুনের মৃত্যুর কথা উল্লেখ করেছেন ৷ এরপর

এখানে পুনরায় তার কথা উল্লেখ করেছেন ৷ এ থেকে প্রমাণিত হয় যে, তিনি সেখানে কিংবা এখানে ভুল
করেছেন ৷




جَرِيرٍ وَمَضْمُونُهُا الِاحْتِجَاجُ عَلَى أَنَّ الْقُرْآنَ مُحْدَثٌ وَلَيْسَ بِقَدِيمٍ، وَعِنْدَهُ أَنَّ كُلَّ مُحْدَثٍ فَهُوَ مَخْلُوقٌ، وَهَذَا أَمْرٌ لَا يُوَافِقُهُ عَلَيْهِ كَثِيرٌ مِنَ الْمُتَكَلِّمِينَ وَلَا الْمُحَدِّثِينَ، فَإِنَّ الْقَائِلِينَ بِأَنَّ اللَّهَ تَعَالَى تَقُومُ بِهِ الْأَفْعَالُ الِاخْتِيَارِيَّةُ لَا يَقُولُونَ بِأَنَّ فِعْلَهُ تَعَالَى الْقَائِمَ بِذَاتِهِ الْمُقَدَّسَةِ - بَعْدَ أَنْ لَمْ يَكُنْ - مَخْلُوقٌ، بَلْ يَقُولُونَ: هُوَ مُحْدَثٌ وَلَيْسَ بِمَخْلُوقٍ. بَلْ هُوَ كَلَامُ اللَّهِ تَعَالَى الْقَائِمُ بِذَاتِهِ الْمُقَدَّسَةِ، وَمَا كَانَ قَائِمًا بِذَاتِهِ لَا يَكُونُ مَخْلُوقًا، وَقَدْ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {مَا يَأْتِيهِمْ مِنْ ذِكْرٍ مِنْ رَبِّهِمْ مُحْدَثٍ} [الأنبياء: 2] وَقَالَ تَعَالَى: {وَلَقَدْ خَلَقْنَاكُمْ ثُمَّ صَوَّرْنَاكُمْ ثُمَّ قُلْنَا لِلْمَلَائِكَةِ اسْجُدُوا لِآدَمَ} [الأعراف: 11] فَالْأَمْرُ بِالسُّجُودِ لِآدَمَ صَدَرَ مِنْهُ تَعَالَى بَعْدَ خَلْقِ آدَمَ، فَالْكَلَامُ الْقَائِمُ بِالذَّاتِ لَيْسَ مَخْلُوقًا، وَهَذَا لَهُ مَوْضِعٌ آخَرُ. وَقَدْ صَنَّفَ الْبُخَارِيُّ - رَحِمَهُ اللَّهُ - كِتَابًا فِي هَذَا الْمَعْنَى سَمَّاهُ " " خَلْقُ أَفْعَالِ الْعِبَادِ " ". وَالْمَقْصُودُ: أَنَّ كِتَابَ الْمَأْمُونِ لَمَّا وَرَدَ بَغْدَادَ قُرِئَ عَلَى النَّاسِ، وَقَدْ عَيَّنَ الْمَأْمُونُ جَمَاعَةً مِنَ الْمُحَدِّثِينَ لِيُحْضِرَهُمْ إِلَيْهِ، وَهُمْ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ كَاتِبُ الْوَاقِدِيِّ، وَأَبُو مُسْلِمٍ مُسْتَمْلِي يَزِيدَ بْنِ هَارُونَ وَيَحْيَى بْنُ مَعِينٍ، وَأَبُو خَيْثَمَةَ زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَإِسْمَاعِيلُ بْنُ دَاوُدَ، وَإِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي مَسْعُودٍ، وَأَحْمَدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ
পৃষ্ঠা - ৮৫০০
الدَّوْرَقِيُّ. فَبَعَثَ بِهِمْ إِلَى الْمَأْمُونِ إِلَى الرَّقَّةِ فَامْتَحَنَهُمْ بِالْقَوْلِ بِخَلْقِ الْقُرْآنِ، فَأَجَابُوهُ إِلَى ذَلِكَ وَأَظْهَرُوا مُوَافَقَتَهُ، وَهُمْ كَارِهُونَ، فَرَدَّهُمْ إِلَى بَغْدَادَ وَأَمَرَ بِإِشْهَارِ أَمْرِهِمْ بَيْنَ الْفُقَهَاءِ، فَفَعَلَ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ ذَلِكَ، وَأَحْضَرَ خَلْقًا مِنْ مَشَايِخِ الْحَدِيثِ وَالْفُقَهَاءِ، وَالْقُضَاةِ وَأَئِمَّةِ الْمَسَاجِدِ وَغَيْرِهِمْ، فَدَعَاهُمُ الى ذَلِكَ عَنْ أَمْرِ الْمَأْمُونِ وَذَكَرَ لَهُمْ مُوَافَقَةَ أُولَئِكَ الْمُحَدِّثِينَ لَهُ عَلَى ذَلِكَ، فَأَجَابُوا بِمِثْلِ جَوَابِ أُولَئِكَ مُوَافَقَةً لَهُمْ، وَوَقَعَتْ بَيْنَ النَّاسِ فِتْنَةٌ عَظِيمَةٌ فَإِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ. ثُمَّ كَتَبَ الْمَأْمُونُ كِتَابًا ثَانِيًا إِلَى إِسْحَاقَ يَسْتَدِلُّ فِيهِ عَلَى الْقَوْلِ بِخَلْقِ الْقُرْآنِ بِشُبَهٍ مِنَ الدَّلَائِلِ لَا تَحْقِيقَ تَحْتَهَا، وَلَا حَاصِلَ لَهَا بَلْ هِيَ مِنَ الْمُتَشَابِهَاتِ، وَأَوْرَدَ مِنَ الْقُرْآنِ آيَاتٍ هِيَ حُجَّةٌ عَلَيْهِ لَا لَهُ وَقَدْ أَوْرَدَهُ ابْنُ جَرِيرٍ بِطُولِهِ وَأَمَرَهُ أَنْ يَقْرَأَ ذَلِكَ عَلَى النَّاسِ، وَأَنْ يَدْعُوَهُمْ إِلَيْهِ وَإِلَى الْقَوْلِ بِخَلْقِ الْقُرْآنِ، فَأَحْضَرَ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ جَمَاعَةً مِنَ الْأَئِمَّةِ؛ وَهُمْ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، وَقُتَيْبَةُ، وَأَبُو حَسَّانَ الزِّيَادِيُّ، وَبِشْرُ بْنُ الْوَلِيدِ الْكِنْدِيُّ، وَعَلِيُّ بْنُ أَبِي مُقَاتِلٍ، وَسَعْدَوَيْهِ الْوَاسِطِيُّ، وَعَلِيُّ بْنُ الْجَعْدِ، وَإِسْحَاقُ بْنُ أَبِي إِسْرَائِيلَ، وَابْنُ الْهَرْشِ، وَابْنُ عُلَيَّةَ الْأَكْبَرُ، وَيَحْيَى بْنُ عَبْدِ الْحَمِيدِ الْعُمَرِيُّ، وَشَيْخٌ آخَرُ مِنْ سُلَالَةِ عُمَرَ
পৃষ্ঠা - ৮৫০১


মুহাদ্দিস, ফকীহ্, মসজিদের ইমাম ও অন্যদের হাযির করেন এবং খলীল মা’মুনের পক্ষ থেকে

তাদেরকে যে দিকে আহ্বান করেন এবং এ ব্যাপারে তার মতের সাথে ঐসকল মুহাদ্দিসের
ঐকমত্যের কথা উল্লেখ করেন ৷ তখন এরা পুর্ববর্তী ঘুহা ৷দ্দিসদের সাথে একমত হওয়া র উদ্দেশ্যে
তাদেব জবাবের ন্যায় জবাব দেন ৷ এভাবে লোকদের মাঝে বিরাট ফিত্নার মহাবিশৃগ্রলার সৃষ্টি
হয় ৷ ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্ন৷ ইলায়হি রাজিউন ৷

এরপর খলীফা মামুন ইসহাকের কাছে দ্বিতীয় একটি পত্র প্রেরণ করেন যা দ্বারা তিনি খালকে
কুরআনের স্বপক্ষে এমন কতক সংশয় নির্ভর প্রমাণ তুলে ধরেন যা তিত্তিহীন ও অনর্থক ৷ বরং
সেই প্রমাণগুলো হল মুতাশাবিহ বা দ্ব্যর্থবোধক ৷ এছাড়াও তিনি কুরআনের এমন কতক আয়াত
উল্লেখ করেন যা তার বিপক্ষে প্রমাণ ৷ ইবন জারীর তার সবগুলো উল্লেখ করেছেন ৷ এসময়
মামুন তার নায়িবকে লোকদেরকে তা পড়ে শে নাতে এবং তার দিকে এবং খালকে কুরআনে র
মতবাদের দিকে আহ্বান করতে নির্দেশ দেন ৷

এমতাবস্থায় আবু ইসহাক একদল ইমাম উপস্থিত করেন ৷ যারা হলেন, আহমদ ইবন হাম্বল,
কুতায়ব৷ , আবুহায়্যান আয্যিয়াদী, বিশর ইবন ওয়ালীদ আল-কিনদী, আলী ইবন আবু মুকাতিল,
সা’দাওয়ায়াই আল-ওয়াসিতী, আলী ইবনুল জাদ, ইসহাক ইবন আবু ইসরাঈল , ইবনুল হারিশ ,
ইবন উলায়্যা আল-আক্বার, ইয়াহ্ইয়৷ ইবন আবদুল হামীদ আলৰুউমুরী, হযরত উমরের অধস্তন
জনৈক শায়খ যিনি রাক্কার কাযী ছিলেন, আবু নাসর আতৃতাম্মাম্ম, আবু মামার আল কুতায়ঈ,
মুহাম্মদ ইবন হাতিম ইবন মায়মুন, মুহাম্মদ ইবন নুহ জুদীসাপুরী , ইবনুল ফারখান, নযর ইবন
শুমায়ল, আবু আলী ইবন আ ৷সিম, আবুল আওয়াম আ ল-ব৷ ৷রিদ, আবু শুজা ৷’ ,আবদুর রহম৷ ন ৷ইবন
ইসহ ক এবং এদের সাথের একটি দল ৷ এরা যখন আবু ইসহাকের নিকট প্রবেশ করেন তখন
তিনি তাদেরকে খলীফা মামুনের ফরমান সম্বলিত পত্র পাঠ করে শোনান ৷ এরপর তারা যখন
বিষয়টি উপলব্ধি করতে সক্ষম হন তখন ইসহাক বিশর ইবন ওয়ালীদকে প্রশ্ন করেন, আপনি
কুরআনের ব্যাপারে কী বলেন ? তিনি উত্তর দেন তা হল আল্লাহর কালাম ৷ তখন ইসহাক বলেন,
আমি আপনাকে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করছি না ৷ আমি জানতে চাচ্ছি তা কি মাখলুক (সৃষ্ট) ? তখন
বিশর বলেন, তা খালিক (স্রষ্টা) নয় ৷ তিনি ইসহাক বলেন, এ সম্পর্কেও আমার জিজ্ঞাসা নয় ৷
তখন বিশর বলেন, এছাড়া অন্য বিষয় কত উত্তম ৷ এরপর তিনি এ মতবাদে অবিচল থাকেন ৷
তখন ইসহাক প্রশ্ন করেন, আপনি কি সাক্ষ্য দেন যে, আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই, তিনি এক
ও একক সত্তা, তার পুর্বে কোন কিছুর অস্তিত্ব ছিল না এবং৩ তার পরেও কোন কিছুর অস্তিত্ব
থাকবে না ৷ তার কোন সৃষ্টি কোন দিক থেকে এবং কোন তা কৃাবই তার সদৃশ হতে পারে না ?
তিনি বললেন, হী৷ ! তখন ইসহাকওার কেরানীকে বললেন,ত তার বক্তব্য লিখে নাও ৷ তখন যে
তা লিখে নেয় ৷ এরপর৩ তিনিতাদের এক এক জনকে পরীক্ষা করেন, আর তাদের অধিকাৎ শই
কুরআনের মাখলুক হওয়া র পক্ষে মত প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকেন ৷ আর যখন তাদের কেউ
বিরত থাকছিলেন তখন তিনি তাকে ঐ পত্র দিয়ে পরীক্ষা করছিলেন যার ব্যাপারে বিশর ইবন
ওয়া ৷লীদ মত প্রকাশ করেছিলেন, যে তা ৷র কো ন সৃষ্টিই কোন অর্থে এবং কো ৷ন তা ৷বে৩ই ৷ তার সদৃশ
নয় ৷ তখন ঐ ব্যক্তি বলদুত তন যেমন বিশর বলেছেন ৷ এভাবে পর্যায়ক্রমে আহমদ ইবন৷ হ ম্বলেব
পরীক্ষার পালা আসল ৷ তখন ইসহাক তাকে বললেন, আপনি কি বলেন যে, কুরআন মাখলুক বা


كَانَ قَاضِيًا عَلَى الرَّقَّةِ وَأَبُو نَصْرٍ التَّمَّارُ، وَأَبُو مَعْمَرٍ الْقَطِيعِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمِ بْنِ مَيْمُونٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ نُوحٍ الْجُنْدَيْسَابُورِيُّ الْمَضْرُوبُ، وَابْنُ الْفَرُّخَانِ، وَالنَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ، وَابْنُ عَلِيِّ بْنِ عَاصِمٍ، وَأَبُو الْعَوَّامِ الْبَزَّازُ، وَأَبُو شُجَاعٍ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِسْحَاقَ وَجَمَاعَةٌ. فَلَمَّا دَخَلُوا عَلَى إِسْحَاقَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ قَرَأَ عَلَيْهِمْ كِتَابَ الْمَأْمُونِ فَلَمَّا فَهِمُوهُ قَالَ لِبِشْرِ بْنِ الْوَلِيدِ: مَا تَقُولُ فِي الْقُرْآنِ؟ فَقَالَ: هُوَ كَلَامُ اللَّهِ. قَالَ: لَيْسَ عَنْ هَذَا أَسْأَلُكَ، وَإِنَّمَا أَسْأَلُكَ أَهُوَ مَخْلُوقٌ؟ قَالَ: لَيْسَ بِخَالِقٍ. قَالَ: وَلَا عَنْ هَذَا أَسْأَلُكَ. فَقَالَ: مَا أُحْسِنُ غَيْرَ هَذَا. وَصَمَّمَ عَلَى ذَلِكَ. فَقَالَ: أَتَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ أَحَدًا فَرْدًا لَمْ يَكُنْ قَبْلَهُ شَيْءٌ وَلَا بَعْدَهُ شَيْءٌ وَلَا يُشْبِهُهُ شَيْءٌ مِنْ خَلْقِهِ فِي مَعْنًى مِنَ الْمَعَانِي وَلَا وَجْهٍ مِنَ الْوُجُوهِ؟ قَالَ: نَعَمْ. فَقَالَ لِلْكَاتِبِ: اكْتُبْ بِمَا قَالَ. فَكَتَبَ، ثُمَّ امْتَحَنَهُمْ رَجُلًا رَجُلًا، فَأَكْثَرُهُمُ امْتَنَعَ مِنَ الْقَوْلِ بِخَلْقِ الْقُرْآنِ، فَكَانَ إِذَا امْتَنَعَ الرَّجُلُ مِنْهُمْ يَمْتَحِنُهُ بِمَا فِي الرُّقْعَةِ الَّتِي وَافَقَ عَلَيْهَا بِشْرُ بْنُ الْوَلِيدِ الْكِنْدِيُّ، مِنْ أَنَّهُ تَعَالَى لَا يُشْبِهُهُ شَيْءٌ مِنْ خَلْقِهِ فِي مَعْنًى مِنَ الْمَعَانِي وَلَا وَجْهٍ مِنَ الْوُجُوهِ فَيَقُولُ: نَعَمْ. كَمَا قَالَ بِشْرٌ.
পৃষ্ঠা - ৮৫০২
وَلَمَّا انْتَهَتِ النَّوْبَةُ إِلَى امْتِحَانِ أَحْمَدَ بْنِ حَنْبَلٍ، فَقَالَ لَهُ: أَتَقُولُ إِنَّ الْقُرْآنَ مَخْلُوقٌ؟ فَقَالَ: الْقُرْآنُ كَلَامُ اللَّهِ، لَا أَزِيدُ عَلَى هَذَا. فَقَالَ لَهُ: مَا تَقُولُ فِي هَذِهِ الرُّقْعَةِ؟ فَقَالَ: أَقُولُ {لَيْسَ كَمِثْلِهِ شَيْءٌ وَهُوَ السَّمِيعُ الْبَصِيرُ} [الشورى: 11] فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْمُعْتَزِلَةِ: إِنَّهُ يَقُولُ سَمِيعٌ بِأُذُنٍ بَصِيرٌ بِعَيْنٍ. فَقَالَ لَهُ إِسْحَاقُ: مَا أَرَدْتَ بِقَوْلِكَ سَمِيعٌ بَصِيرٌ؟ فَقَالَ: أَرَدْتُ مِنْهَا مَا أَرَادَهُ اللَّهُ مِنْهَا، وَهُوَ كَمَا وَصَفَ نَفْسَهُ، وَلَا أَزِيدُ عَلَى ذَلِكَ. فَكَتَبَ جَوَابَاتِ الْقَوْمِ رَجُلًا رَجُلًا، وَبَعَثَ بِهَا إِلَى الْمَأْمُونِ. فَصْلٌ: قَدْ تَقَدَّمَ أَنَّ إِسْحَاقَ بْنَ إِبْرَاهِيمَ نَائِبَ بَغْدَادَ لَمَّا امْتَحَنَ الْجَمَاعَةَ فِي الْقَوْلِ بِخَلْقِ الْقُرْآنِ، وَنَفَى التَّشْبِيهَ، فَأَجَابُوا كُلُّهُمْ إِلَى نَفْيِ الْمُمَاثَلَةِ، وَأَمَّا الْقَوْلُ بِخَلْقِ الْقُرْآنِ فَامْتَنَعُوا مِنْ ذَلِكَ وَقَالُوا كُلُّهُمْ: الْقُرْآنُ كَلَامُ اللَّهِ. قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: وَلَا أَزِيدُ عَلَى هَذَا حَرْفًا أَبَدًا وَقَرَأَ فِي نَفْيِ الْمُمَاثَلَةِ قَوْلَهُ تَعَالَى {لَيْسَ كَمِثْلِهِ شَيْءٌ وَهُوَ السَّمِيعُ الْبَصِيرُ} [الشورى: 11] فَقَالُوا: مَا أَرَدْتَ بِقَوْلِكَ السَّمِيعُ الْبَصِيرُ؟ فَقَالَ: أَرَدْتُ مِنْهَا مَا أَرَادَهُ اللَّهُ مِنْهَا، وَكَانَ مِنَ الْحَاضِرِينَ مَنْ أَجَابَ إِلَى الْقَوْلِ بِخَلْقِ الْقُرْآنِ مُصَانَعَةً مُكْرَهًا؛ لِأَنَّهُمْ كَانُوا يَعْزِلُونَ مَنْ لَا يُجِيبُ عَنْ وَظَائِفِهِ، وَإِنْ كَانَ لَهُ رِزْقٌ عَلَى بَيْتِ الْمَالِ قُطِعَ، وَإِنْ كَانَ مُفْتِيًا مُنِعَ مِنَ الْإِفْتَاءِ، وَإِنْ كَانَ شَيْخَ حَدِيثٍ رُدِعَ عَنِ الْإِسْمَاعِ وَالْأَدَاءِ، وَوَقَعَتْ فِتْنَةٌ صَمَّاءُ وَمِحْنَةٌ شَنْعَاءُ وَدَاهِيَةٌ دَهْيَاءُ، فَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ الْعَلِيِّ الْعَظِيمِ الْعَزِيزِ الْحَكِيمِ.
পৃষ্ঠা - ৮৫০৩


সৃষ্ট ? তখন তিনি বললেন, ষ্কুরআন আল্লাহর কালাম, আমি এর বেশী কিছু বলব না ৷ তখন তিনি
বললেন, এই পত্রের ব্যাপারে আপন র বক্তব্য কী ?৩ তিনি বললেন, আমার চুড়াম্ভ কথা হল ;,ঠু এ

× : fl ৷ §

স্পো ৷ স্পো কোন কিছুই তার মত নয়, আর তিনি হলেন সর্ব
শ্রোতা, সন্দ্রষ্টা১ ৷
তখন জনৈক ঘুতাযিলী বলে উঠল, নিশ্চয় সে বলছে যে তিনি কর্ণ৷ দ্ব ৷রা শ্রোতা এবং চক্ষু

দ্বারা দ্রষ্ট৷ ৷ তখন ইসহাক তাকে প্রশ্ন করলেন, আপনি ঠুঠুন্ঠু এ ’৫ন্ৰু দ্বারা কী বোঝাতে
চেয়েছেন ৷ তখন ইমাম আহমদ (র) বললেন, অ ৷ল্লাহ্ তা দ্বারা যা বোঝাতে চেয়েছেন আমিওত
দ্বারা ত ই বোঝাতে চেয়েছি, আর তিনি তেমন যেমন তিনি নিজেকে বর্ণনা করেছেন ৷ এর বেশী
কিছু আমি বলব ন ৷ তখন প্ররুত তাকের জবাব পৃথক পৃথক করে লিখিয়ে ইসহাক তা মামুনের
কাছে প্রেরণ করেন ৷ উল্লেখ্য যে, এসময় উপস্থিত দের অনেকে অনিচ্ছাসত্বেও মৌখিকভাবে

খালকে কুরআনের’ পক্ষে মত দিয়েছিলেন ৷ কেননা তারা (শ ৷৷সকবর্গ) যিনি তাদের এই মতরাদে
সাড়া দিতেন না ৷ তাকে তার পদ থেকে অপসারণ করত, বায়তুল সালে তার ভাতা রেশন
থাকলে তা বন্ধ করে দিত, তিনি মুফর্তী হলেত তার উপর ফাত ওয়া প্রদানের নিষেধ জ্ঞা৷ আরোপ
করত, হাদীসের শায়খ হলে ত কে হ ৷দীস বর্ণা৷ ও শ্রবণ থেকে বাধা দিত ৷ এভাবে একটি ফিতনা,
জঘন্য বিপর্যয় এৎ ঘৃণ্য বিপদ সংঘটিত হয় ৷ সুতরাং বলতে হচ্ছে লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা
ইল্ল৷ বিল্লাহ্ অর্থাৎ৷ অ ল্লা৷হ্র সাহায্য ব্যতীত কারও কো ন শক্তি কিংবা সামর্থ্য নেই ৷

এরপর যখন সকলের জবাব মা’ মুনের কাছে পৌছে তখন তিনি সে ব্যাপাবে তার নায়িবের
প্রশংসা করে দুত পাঠান এবং প্রেরিত একটি পত্রে প্রত্যেকের বক্তব্যের উত্তর লিখে পাঠান ৷
এসময় তিনি তাদেরকে পুনরায় পরীক্ষা ৷র সম্মুখীন করতে নির্দেশ ৷দেন, তিনি লিখে পাঠান তাদের
মধ্যে যে আমাদের আহ্বানে সাড়া দেয়, তার বিষয়টি লোকদের মাঝে প্রকাশ করে দাও, আর যে
বিরত থাকে তাকে বেড়ি পড়িয়ে প্রহরাধীন অবস্থায় আমীরুল ঘু’মিনীনের ফৌজে পাঠিয়ে৷ না ও ৷
তার ব্যাপারে তিনি নিজে সিদ্ধা ৷ম্ভ গ্রহণ করবেন আর তার মত হল যে ব্যক্তি এই মতবাদকে
গ্রহণ করবে না তার গর্দান উড়িয়ে দেয়৷ ৷ এ সময় নায়িব ইসহাক বাপদাদে আরেকটি মজলিস
আহ্বান করেন এবং তাদেরকে সমবেত করেন, তাদের মাঝে (এবার) ইবরাহীম ইবনুল মাহদীও
ছিলেন, যিনি ছিলেন বিশর ইবন ওয়ালীদ কিনদীর শিষ্য ৷ আর তৎক্ষণিক সাড়া না দিলে মা’মুন
এদেরকে হত্যা করার কথা ৷স্পষ্ট উল্লেখ করেছিলেন ৷

এরপর ইসহাক য়খনত তাদেরকে পুনরায় পরীক্ষা করেনত তারা সকলে নিরুপায় হয়ে এতে
সাড়া দেন ৷ এ ব্যাপারে তারা আল্লাহ্ তা অ ৷লার নিম্নোক্ত কথা রুাক অ ৷শ্রয়রুপে গ্রহণ করেন ষ্টু ,, হু৷ ৷

× ৷ ণ্

;, £;§ ; সৌং ৰুএ’, ,£হু ৷ তবে তার জন্য নয় যাকে কুফরীর জন্য বাধ্য করা হয়,

কিন্তু তার চিত্ত ঈমানে অবিচলিত ৷ ২ তবে চ৷ র ৷ব্যক্তি এতে সাড়া দেননি , তারা হলেন আহমদ
ইবন হাম্বল, মুহাম্মদ ইবন নুহ, হাসান ইবন হাম্মাদ আজ্জাদৃহ এবং উবায়দুল্লাহ্ ইবন উমর
আল-কাওয়ারীরী ৷ তখন ইসহাক তাদেরকে শৃঙখলাব্দ করে মামুনের কাছে প্রেরণের জন্য বন্দী

১ সুরা শুর৷ ও ১১
২ সুরানাহল £; ১০৬




فَصْلٌ وَأَمَرَ النَّائِبُ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْكَاتِبَ، فَكَتَبَ عَنْ كُلِّ وَاحِدٍ مِنْهُمْ جَوَابَهُ بِعَيْنِهِ، وَبَعَثَ بِهِ إِلَى الْمَأْمُونِ فَجَاءَ الْجَوَابُ بِمَدْحِ النَّائِبِ عَلَى مَا فَعَلَ، وَالرَّدِّ عَلَى كُلِّ فَرْدٍ، فَرَدَّ مَا قَالَ فِي كِتَابٍ أَرْسَلَهُ، وَأَمَرَ نَائِبَهُ أَنْ يَمْتَحِنَهُمْ أَيْضًا، فَمَنْ أَجَابَ مِنْهُمْ شُهِرَ أَمْرُهُ فِي النَّاسِ، وَمَنْ لَمْ يُجِبْ مِنْهُمْ إِلَى الْقَوْلِ بِخَلْقِ الْقُرْآنِ، فَابْعَثْ بِهِ إِلَى عَسْكَرِ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ مُقَيَّدًا، مُحْتَفَظًا بِهِ حَتَّى يَصِلَ إِلَى أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ فَيَرَى فِيهِ رَأْيَهُ، وَمِنْ مَذْهَبِهِ أَنْ يَضْرِبَ عُنُقَ مَنْ لَمْ يَقُلْ بِخَلْقِ الْقُرْآنِ. فَعَقَدَ الْأَمِيرُ بِبَغْدَادَ مَجْلِسًا آخَرَ، وَأَحْضَرَ أُولَئِكَ وَفِيهِمْ إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمَهْدِيِّ وَكَانَ صَاحِبًا لِبِشْرِ بْنِ الْوَلِيدِ الْكِنْدِيِّ، وَقَدْ نَصَّ الْمَأْمُونُ عَلَى قَتْلِهِمَا إِنْ لَمْ يُجِيبَا عَلَى الْفَوْرِ، فَلَمَّا امْتَحَنَهُمْ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ ثَانِيًا بَعْدَ قِرَاءَةِ كِتَابِ الْخَلِيفَةِ أَجَابُوا كُلُّهُمْ مُكْرَهِينَ مُتَأَوِّلِينَ قَوْلَهُ تَعَالَى {إِلَّا مَنْ أُكْرِهَ وَقَلْبُهُ مُطْمَئِنٌّ بِالْإِيمَانِ} [النحل: 106] إِلَّا أَرْبَعَةً؛ وَهُمْ: أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ نُوحٍ، وَالْحَسَنُ بْنُ حَمَّادٍ سَجَّادَةُ، وَعُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ الْقَوَارِيرِيُّ. فَقَيَّدَهُمْ وَأَرْصَدَهُمْ لِيَبْعَثَ بِهِمْ إِلَى الْمَأْمُونِ ثُمَّ اسْتَدْعَى بِهِمْ فِي الْيَوْمِ الثَّانِي فَامْتَحَنَهُمْ، فَأَجَابَ سَجَّادَةُ إِلَى الْقَوْلِ بِخَلْقِ الْقُرْآنِ، فَأَطْلَقَ قَيْدَهُ وَأَطْلَقَهُ، ثُمَّ امْتَحَنَهُمْ فِي
পৃষ্ঠা - ৮৫০৪
الْيَوْمِ الثَّالِثِ فَأَجَابَ الْقَوَارِيرِيُّ إِلَى ذَلِكَ، فَأَطْلَقَ قَيْدَهُ أَيْضًا وَأَطْلَقَهُ، وَأَصَرَّ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ وَمُحَمَّدُ بْنُ نُوحٍ الْجُنْدَيْسَابُورِيُّ عَلَى الِامْتِنَاعِ مِنْ ذَلِكَ فَأَكَّدَ قُيُودَهُمَا وَجَمَعَهُمَا فِي الْحَدِيدِ، وَبَعَثَ بِهِمَا إِلَى الْخَلِيفَةِ وَهُوَ بِطَرَسُوسَ، وَكَتَبَ مَعَهُمَا كِتَابًا بِإِرْسَالِهِمَا إِلَيْهِ، فَسَارَا مُقَيَّدَيْنِ فِي مَحَارَةٍ عَلَى جَمَلٍ مُتَعَادِلِينَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، وَجَعَلَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ يَدْعُو اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ أَنْ لَا يَجْمَعَ بَيْنَهُمَا وَبَيْنَ الْمَأْمُونِ وَأَنْ لَا يَرَيَاهُ وَلَا يَرَاهُمَا. وَجَاءَ كِتَابُ الْمَأْمُونِ إِلَى نَائِبِهِ؛ أَنَّهُ قَدْ بَلَغَنِي أَنَّ الْقَوْمَ إِنَّمَا أَجَابُوا مُكْرَهِينَ، مُتَأَوِّلِينَ قَوْلَهُ تَعَالَى {إِلَّا مَنْ أُكْرِهَ وَقَلْبُهُ مُطْمَئِنٌّ بِالْإِيمَانِ} [النحل: 106] وَقَدْ أَخْطَئُوا فِي ذَلِكَ خَطَأً كَبِيرًا فَأَرْسِلْهُمْ كُلَّهُمْ إِلَى أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ. فَاسْتَدْعَاهُمْ إِسْحَاقُ وَأَلْزَمَهُمْ بِالْمَسِيرِ إِلَى طَرَسُوسَ فَسَارُوا إِلَيْهَا، فَلَمَّا كَانُوا بِبَعْضِ الطَّرِيقِ بَلَغَهُمْ مَوْتُ الْمَأْمُونِ فَرُدُّوا إِلَى الرَّقَّةِ ثُمَّ أُذِنَ لَهُمْ فِي الرُّجُوعِ إِلَى بَغْدَادَ. وَكَانَ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، وَابْنُ نُوحٍ قَدْ سَبَقَا النَّاسَ، وَلَكِنْ لَمْ يَجْتَمِعَا بِهِ حَتَّى مَاتَ، وَاسْتَجَابَ اللَّهُ سُبْحَانَهُ دُعَاءَ عَبْدِهِ وَوَلِيِّهِ الْإِمَامُ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، رَحِمَهُ اللَّهُ، فَلَمْ يَجْتَمِعُوا بِالْمَأْمُونِ، وَرُدُّوا إِلَى بَغْدَادَ وَسَيَأْتِي تَمَامُ مَا وَقَعَ مِنَ الْأَمْرِ الْفَظِيعِ فِي أَوَّلِ وِلَايَةِ الْمُعْتَصِمِ بْنِ الرَّشِيدِ، وَتَمَامُ الْكَلَامِ عَلَى ذَلِكَ فِي تَرْجَمَةِ الْإِمَامِ أَحْمَدَ بْنِ حَنْبَلٍ، عِنْدَ ذِكْرِ وَفَاتِهِ فِي سَنَةِ إِحْدَى وَأَرْبَعِينَ وَمِائَتَيْنِ، وَبِاللَّهِ الْمُسْتَعَانُ.
পৃষ্ঠা - ৮৫০৫

করে রাখেন ৷ এরপর তিনি দ্বিতীয় দিন পুনরায়ত তাদেরকে ডেকে পাঠান এবং পরীক্ষামুলক

জিজ্ঞাসাবাদ করেন তখন সাজ্জাদুহ তার মত পরিবর্তন করে তার আহ্বানে সাড়া দেন ৷ তখন
ত ৷বুক মুক্ত করে দেয়া হয় ৷ এরপর ইসহাক তৃতীয় দিন আবার তাদেরকে পরীক্ষামুলক
জিজ্ঞাসাবাদ করেন, তখন কাওয়ারীরী তার আহ্বাবুন সাড়া দেন এবং তিনি তাকে মুক্ত করে দেন ৷
আর এসময় তিনি আহমদ ইবন হাস্কৃল এবং মুহাম্মদ ইবন নুহ বিলন্বিত করেন ৷ কেননা, তারা
দু’জন তাদের বক্তব্য প্রত্যাহার না করার ব্যাপারে অনঢ় ছিলেন ৷ তখন ইসহাক তাদের দু’জবুনর
রেড়িবুক আরও শক্ত করে অভিন্ন শৃঙাবুল আবদ্ধ করে তারসুসে অবস্থানরত খলীফার কাছে প্রেরণ
করেন এবং তাদের দু’জনবুক প্রেরণের ব্যাপারে তার কাছে একটি পত্র লিখে পাঠান ৷ তখন তারা
দু’জন রেড়ি পরিহিত অবস্থায় একটি উবুটর দু’ পাশে আরোহণ করে রওয়ানা হন ৷ এসময় ইমাম
আহমদ দুঅ৷ করতে থাকেন যেন আল্লাহ্ তাদের দু’জনবুক মা’মুবুনর মুখোমুখি না করেন এবং
তারা যেন তাকে না দেখেন এবং তিনিও যেন তাদের দুজনবুক না দেখেন ৷ এরপর এই মর্মে
মা’মুবুনর পত্র তার নায়িবুবর কাছে পৌছে যে, আমার কাছে সংবাদ পৌছেছে যে, লোকেরা
নিরুপায় হয়ে এবং নিম্নোক্ত আয়াতকে আশ্রয় করে আমাদের আহ্বাবুন সাড়া দিবুয়বুছ ;;; ৰু৷ ৷

) ) ৷

;, £ঠু১৷ @ ৰু ১ঠুাঠু এেট্রু ,হ্র ৷ কিন্তু তা ৷র৷ তো এই আয়াবুত র ব্যাখ্যার বিরাট ভ্রান্তির শিকার
হয়েছে ৷ তুমি তাদের সকলকে আমীরুল মুমিনীবুনর কাছে প্রেরণ কর ৷ তখন ইসহাক তাবুদর
সকলকে ডেকে পাঠান এবং তাদেরকে ত ৷রসুস যাত্রা ৷য় বাধ্য করেন ৷ তখন তারা সে অভিমুখে
রওনা হন ৷ পথিমধ্যে তাদের কাছে যা মুবুনর মৃত্যু সং বাদ পৌছে ৷ তখন তাদেরকে রাক্কায়
ফিরিবু আনা হয় ৷ এরপর তাদেরকে বাগদাদ প্রত্যাবর্তবুনর অনুমতি প্রদান করা হয় ৷ এদিকে
আহমদ ইবন হান্বাল এবং ইবন নুহ এদের পুর্বে রওনা হন কিন্তু তারাও তার সাথে মিলিত
হননি ৷ বরহু তারা দু’ জন তার কাছে পৌছার পুর্বেই অ ল্লাহ্ তাকে মৃত্যুমুখে পতিত করেন ৷
আল্লাহ তার বান্দ৷ ও প্রিয়পাত্র আহমদ ইবন হাম্ববুলর দুঅ৷ কবুল করেন, ফলে তারা দুজন
ম৷ মুনবুক দেখেননি এবং মা মুন ও তাদেরকে দেখেননি ৷ বরং তারা বাপদাদে প্ৰতাবর্তি৩ হন ৷
আর৷ তারা যে ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হন৩ তারা পুর্ণ বিবরণ আর-রশীদ৩ তনয় খলীফা
মু’তাসিবুমর ৷খলাফতকাবুলর সুচনা পর্বে আসন্ন ৷ আর অবশিষ্ট আলোচনা পুর্ণ করা হবে ইমাম
আহমদ ইবন হাম্বল ওফাতের আলোচনায় দৃইশ একচল্লিশ হিজরীবুত ৷ আর সাহায্য আল্লাহ্র পক্ষ
থেকেই এসে থাকে ৷

আবদুল্লাহ আল-মামুন
তিনি হলেন আবদুল্লাহ আলমা’মুন ইবন হারুনুর রশীদ আল-আব্বাসী আল কুবাশী আল-
হাজশপ্ আমীরুল মু মিনীন আবু জা ফর ৷ তার মা উম্মু ওযালাদ ১ তার নাম মুরাজিল আল-
বায্পীনিঃয়া৷ ৷৩ তার জন্ম একশ সত্তর হিজরীর রবীউল আওয়াল মাসের ঐ রাতে যে রাতে তার
পিতৃব৷ হু খলাফা) আল-হাদী ইনতিক৷ ৷ল করেন এবং৩ ৷ তার পিতা৷ হা রুনুর রশীদ খিলাফতের দ৷ ৷তুয়ি
গ্রহণ করেন ৷ পুর্বে বর্ণিত হয়েছে এটা ছিল শুক্রবারের রাত ৷ ইবন আসাকির বলেন , মামুন হাদীস
বর্ণনা করেছেন তার পিতা থেকে এবং হাশিম ইবন ৰিশর অন্ধ আবু মুআবিয়৷ , ইউসুফ ইবন



১ অর্থাৎ মুলত বাদী পরবর্তীতে তার ঔরসজাত সন্তানের জন্ম দেওয়ার শ্ৰীর মর্যাদা প্রাপ্ত ৷


[تَرْجَمَةُ عَبْدِ اللَّهِ الْمَأْمُونِ] وَهَذِهِ تَرْجَمَةُ الْمَأْمُونِ هُوَ عَبْدُ اللَّهِ الْمَأْمُونُ بْنُ هَارُونَ الرَّشِيدِ بْنِ مُحَمَّدٍ الْمَهْدِيِّ بْنِ أَبِي جَعْفَرٍ الْمَنْصُورِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْعَبَّاسِ، الْقُرَشِيُّ الْهَاشِمِيُّ الْعَبَّاسِيُّ، أَبُو جَعْفَرٍ، أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ. وَأُمُّهُ أُمُّ وَلَدٍ اسْمُهَا مَرَاجِلُ الْبَاذَغِيسِيَّةُ، وَكَانَ مَوْلِدُهُ فِي رَبِيعٍ الْأَوَّلِ سَنَةَ سَبْعِينَ وَمِائَةٍ لَيْلَةَ تُوُفِّيَ عَمُّهُ الْهَادِي، وَوَلِيَ أَبُوهُ هَارُونُ الرَّشِيدُ وَكَانَ ذَلِكَ لَيْلَةَ الْجُمُعَةِ كَمَا تَقَدَّمَ قَالَ ابْنُ عَسَاكِرٍ: رَوَى الْحَدِيثَ عَنْ أَبِيهِ، وَهُشَيْمِ بْنِ بِشْرٍ، وَأَبِي مُعَاوِيَةَ الضَّرِيرِ، وَيُوسُفَ بْنِ عَطِيَّةَ، وَعَبَّادِ بْنِ الْعَوَّامِ، وَإِسْمَاعِيلَ بْنِ عُلَيَّةَ، وَحَجَّاجِ بْنِ مُحَمَّدٍ الْأَعْوَرِ.
পৃষ্ঠা - ৮৫০৬


কাহতাবা, আবৃবাদ ইবনুল আওআম, ইসমাঈল ইবন উলায়্যা ও হজ্জ জ ইবন মুহাম্মদ থেকে ৷
আর তা র থেকে রিওয়ায়াত করেছেন আবু হুযায়ফা ইসহাক ইবন বিশর-যিনি তার চেয়ে বয়স্ক,
কাযী ইয়াহ্ইয়া আল ল-আকছাম, ত র পুত্র ফযল ইবন মা মুল, মা’ মা র ইবন শাবীব, কাষী আবু
ইউসুফ, জাফর ইবন আবু উছমান আত্তয়ালিসী, আহমদ ইবনুল হারিছ আশশাবী অথবা
আল ইয়াষীদী, আমর ইবন মাসআ দা, অাবদুল্লাহ্ ইবন৩াহির ইবন হুসায়ন, মুহাম্মদ ইবন ইবরা হীম
আস্সুলামী এবং দি বল ইবন আলী আস-খুযাঈ ৷ ইবন আসাকির বলেন, খলীফা মা’ মুন
একা ধিাকবারা দামেশকে আগমন করেন এবং বেশ কিছুকাল সেখানে অবস্থান করেন ৷
এরপর ইবন আসা কির আবুল কাসিম বাগাবীর সুত্রে বি ওযায করেন আহমদ ইবন ইবরা হীম
আল-মাওসিলীর বরাতে ৷ তিনি বলেন,শ্াামাসিয়াতে আমি খলীফা মা মুনকে বলতে শুনেছি, যখন
তিনি সেখানে ঘোড় দৌড়ের ব্যবস্থা করার পর সমবেত মানুষের আধিক্যে উৎফুল্ল হয়ে ইয়াহ্ইয়া
ইবন আকছামকে বলেন, আপনি কি মানুষের ভিড়ের প্রতি লক্ষ্য করেছেন ? তখন ইয়াহ্ইয়া

তাকে বলেন, আমাদেরকে ইউসুফ ইবন আতিয়্যা বর্ণনা করেছেন ছাবিত থেকে, তিনি আনাস
থেকে যে নবী (সা) ইবশাদ করেছেন-

fl ’ ’ # ষ্ ’ ” ’


সকল সৃষ্টি অাল্লাহ্র আশ্রয়ী, তাই তার কাছে সে সবচেয়ে প্রিয় যে৩ার আশ্রয়ীদের সবচেয়ে
অধিক উপকাবী ৷ এছাড়াআবুবকর আ ল মুনায়িহীর অন্যতম হ দীস যা তিনি হুসায়ন ইবন আহমদ
আল-মালিকী থেকে বিওয়ায়াত করেছেন, আর তিনি তা বর্ণনা করেছেন কাযী ইয়াহ্ইয়া ইবন
আকছা ম থেকে,৩ তিনি মা’ মুন থেকে,৩ তিনি হুশায়ম থেকে,৩ তিনি মানসুর থেকে,৩ তিনি আবুবাক্রা
থেকে যে, রাসুলুল্লাহ্ (না) বলেছেন ড্রুাহুট্রুর্শ্ব৷ ট্রু,; টুথ্রো ’লজ্জা হল ঈমানের অংগ’ ৷
জা ফর ইবন আবু উছমান আ৩ তয়ালিসীর অনা৩ তম বর্ণনা যে তিনি আরাফার দিন রুসাফাতে
মা মুনের পিছনে আসারর নামায পড়েন ৷ তিনি যখন নামায শেষে সালাম ফেরান ৩খন লোকেরা
তাকবীর পড়তে শুরু করে তখন তিনি (মামুন) বলতে থাকেন, না হে শোরগোলকারীরা না
হে ণ্শারগোালকারীরা ! তাকবীর আগামীকাল; সেটাই হল আবুল কাসিম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া
সাল্লামের সুন্নাত ৷ পরদিন তিনি মিম্বরে আরোহণ করে তাকবীর বলেন, এরপর বলেন, হুশায়ম
ইবন বাশীর বর্ণনা করেছেন ইবন শুবরামা থেকে, তিনি শা ’বী থেকে, তিনি বারা’ ইবন আযিব
(না) থেকে, তিনি আবুবৃরদা ইবন দীনার থেকে ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (না) ইরশাদ করেছেন-

যে ব্যক্তি (ফজরের) নামায পড়ার পুর্বে পশু যবাহ করল তাহলে যে তা করল তার

পরিবার-পরিজনকে পােশত খাওয়ানাের জন্য আর যে ব্যক্তি ফজরের নামাযের পর যবাহ করল যে
সঠিকভাবে সুন্নাত পালন করল ৷ এরপর খলীফা মা’মুন পড়েন-

াশ্ fl ণ্ fl ’
৷ হুা৷ ৷
ষ্ ’
র্দীএ্যাএ র্দীএ


وَرَوَى عَنْهُ أَبُو حُذَيْفَةَ إِسْحَاقُ بْنُ بِشْرٍ وَهُوَ أَسَنُّ مِنْهُ وَيَحْيَى بْنُ أَكْثَمَ الْقَاضِي، وَابْنُهُ الْفَضْلُ بْنُ الْمَأْمُونِ، وَمَعْمَرُ بْنُ شَبِيبٍ، وَأَبُو يُوسُفَ الْقَاضِي، وَجَعْفَرُ بْنُ أَبِي عُثْمَانَ الطَّيَالِسِيُّ، وَأَحْمَدُ بْنُ الْحَارِثِ الشِّيعِيُّ، وَالْيَزِيدِيُّ، وَعَمْرُو بْنُ مَسْعَدَةَ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ طَاهِرِ بْنِ الْحُسَيْنِ، وَمُحَمَّدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ السُّلَمِيُّ، وَدِعْبِلُ بْنُ عَلِيٍّ الْخُزَاعِيُّ. قَالَ: وَقَدِمَ دِمَشْقَ دُفَعَاتٍ، وَأَقَامَ بِهَا مُدَّةً. ثُمَّ رَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ مِنْ طَرِيقِ أَبِي الْقَاسِمِ الْبَغَوِيِّ، حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْمَوْصِلِيُّ قَالَ: سَمِعْتُ الْمَأْمُونَ فِي الشَّمَّاسِيَّةِ، وَقَدْ أَجْرَى الْحَلْبَةَ، فَجَعَلَ يَنْظُرُ إِلَى كَثْرَةِ النَّاسِ، فَقَالَ لِيَحْيَى بْنِ أَكْثَمَ: أَمَا تَرَى كَثْرَةَ النَّاسِ؟ ثُمَّ قَالَ: حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ عَطِيَّةَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «الْخَلْقُ كُلُّهُمْ عِيَالُ اللَّهِ فَأَحَبُّهُمْ إِلَيْهِ أَنْفَعُهُمْ لِعِيَالِهِ»
পৃষ্ঠা - ৮৫০৭
وَمِنْ حَدِيثِ أَبِي بَكْرٍ الْمَيَانَجِيِّ، عَنِ الْحُسَيْنِ بْنِ أَحْمَدَ الْمَالِكِيِّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَكْثَمَ الْقَاضِي، عَنِ الْمَأْمُونِ عَنْ هُشَيْمٍ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أَبِي بَكْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «الْحَيَاءُ مِنَ الْإِيمَانِ» . وَمِنْ حَدِيثِ جَعْفَرِ بْنِ أَبِي عُثْمَانَ الطَّيَالِسِيِّ أَنَّهُ صَلَّى الْعَصْرَ يَوْمَ عَرَفَةَ خَلْفَ الْمَأْمُونِ بِالرُّصَافَةِ، فَلَمَّا سَلَّمَ كَبَّرَ النَّاسُ، فَجَعَلَ يَقُولُ: لَا يَا غَوْغَاءُ، لَا يَا غَوْغَاءُ، عَدَا سُنَّةِ أَبِي الْقَاسِمِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَلَمَّا كَانَ الْغَدُ صَعِدَ الْمِنْبَرَ فَكَبَّرَ، ثُمَّ قَالَ: أَنْبَأَ هُشَيْمُ بْنُ بَشِيرٍ، ثنا ابْنُ شُبْرُمَةَ عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ عَنْ أَبِي بُرْدَةَ بْنِ نِيَارٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ ذَبَحَ قَبْلَ أَنْ يُصَلِّيَ فَإِنَّمَا هُوَ لَحْمٌ قَدَّمَهُ لِأَهْلِهِ، وَمَنْ ذَبَحَ بَعْدَ أَنْ يُصَلِّيَ فَقَدْ أَصَابَ السُّنَّةَ» اللَّهُ أَكْبَرُ كَبِيرًا، وَالْحَمْدُ لِلَّهِ كَثِيرًا، وَسُبْحَانَ اللَّهِ بُكْرَةً وَأَصِيلًا، اللَّهُمَّ أَصْلِحْنِي، وَاسْتَصْلِحْنِي، وَأَصْلِحْ عَلَى يَدَيَّ.
পৃষ্ঠা - ৮৫০৮


আল্লাহ্ অতিমহান, সকল প্রশংসা তার, প্রভাতে ও সন্ধ্যায় আমি তার পবিত্রতা বর্ণনা করছি ৷
হে আল্লাহ্ ! আপনি আমাকে সংশোধন করুন এবং আমার সংশোধনের ব্যবস্থা করুন এবং
আমার হাতে অন্যদের সংশোধন নির্ধারণ করুন ৷

একশ আটানব্বই হিজরীর মুহাররম মাসের পচিশ তারিখে মামুন তার সৎভাই (আমীন)-কে
হত্যার পর খিলাফতের দায়িত্ব গ্রহণ করেন ৷ এরপর তিনি বিশ বছর পাচ মাস খিলাফতের দায়িত্ব
পালন করেন ৷ তিনি আৎশিক শীঅ৷ ও মু’তাযিলী ছিলেন এবং বিশুদ্ধ সুন্নাহ্ সম্পর্কে তার অজ্ঞতা
ছিল ৷ দৃইশ এগার হিজরীতে তিনি তার পরবর্তী (ভারী) খলীফ৷ রুপে আলী আর রেযা ইবন মুসা
আল ক ৷যিম ইবন জাফর আস-সাদিক ইবন মুহাম্মদ আল-বাকির ইবন আলী ইবন যায়নুল
আবেদীন ইবন হুসায়ন ইবন আলী ইবন আবুতা ৩ালিবের অনুকুলে বায়আত গ্রহণ করেন এবং কালো
পরিধেয়ের পরিবর্তে সবুজ পরিধেয় পরিধান করেন ৷ এ বিষয় পুবে বর্ণিত হয়েছে ৷ তখন বাপদাদে
অবস্থানরত এবং অন্য আব্বাসীয়রা তাকে গুরুতর ব্যাপাররুপে গণ্য করে এবং খলীফ৷ মা’মুনের
আনুগতের বায়আত প্রত্যাহার করে ইব্রাহীম ইবনুল মাহদীকে তাদের কর্তৃতু অর্পণ করে ৷
এরপর মাহ্মুন তাদেরকে বন্দী করেন এবং খিলাফতের কর্তৃত্ব তার অনুকুলে সুসংহত হয় ৷ তিনি
ঘুতাযিলী মতবাদের অনুসা ৷রী ছিরেন ৷ কেননা তিনি এমন একটি দলের সংগে মিলিত হন যাদের
অন্যতম সদস্য ছিলেন বিশৃর ইবন সিয়াদ আল-মুরায়সী ৷ তখন তারা তাকে (নিজেদের চুতরতা
দ্বারা) প্রভাবিত করতে সক্ষম হয় এবং তিনি তাদের থেকে এই ভ্রান্ত মতবাদ গ্রহণ করেন ৷
খলীফ৷ মা’মুন ইল্ম বা জ্ঞা ৷নানুরা৷ ৷গী ছিলেন তবে তাতে তার কোন কার্যকর দখল ও বিচক্ষণতা
ছিল না যার ফলে তার মধ্যে এ ৷ন্ত আকীদার অনুপ্রবেশ ঘটে এবং বাতিল মতবাদের প্রসার ঘটে ৷
এরপর তিনি এর প্রচারে লিপ্ত হন এবং জােরপুর্বক লোকজনকে তাতে বাধ্য করেন ৷ আর এটা
ছিল তার থিলাফচত তর সমাপ্তিপর্বে এব×ত তার জীবন সায়াহ্ন-কালে ৷

ইবন আবুদ্ দুনিয়া বলেন, খলীফ৷ মামুন ছিলেন ফর্স৷ , মধ্যম গড়নের এবং সুশ্ৰী মুখাবয়বের
অধিকা রী, তার মাঝে বার্ধক্যেয় চিহ্ন ব্যাপকভাবে প্রকাশ পেয়েছিল এবং তার গা ৷ত্রবর্ণে হলুদ আতা
প্রকাশ পেত ৷ এছাড়া তিনি ছিলেন আয়াত কার টানাটানা চোখ, দীর্ঘ ও অঘন দাড়ি এবং অপ্রশস্ত
ললাটের অধিকারী ৷ তার ণণ্ডদেশ ছিল তিলকৰিশিষ্ট ৷ তার মা ছিলেন উম্মু ওয়ালাদ যাকে
মুরাজিল’ বলে ডাকা হত ৷ খভীব বাগদাদী কাসিম ইবন মুহাম্মদ ইবন আবৃবাদ থেকে রিওয়ড়ায়ড়াত
করেছেন ৷ কাসিম বলেন, খলীফ৷ ৷দের মধ্যে হযরত উছমান ইবন আফ্ফ৷ ন (বা) এবং মা’মুন
ব্যতীত কেউ পুর্ণ কুরআন মুখস্থ করেননি ৷ কিন্তু এটা অত ম্ভে অভিনব’ বর্ণনা, এর সাথে
ঐকমত তা পোষণ করা সম্ভব নয় ৷ কেননা (নির্ভরযোগ্য বর্ণনামতে) একাধিক খলীফ৷ পুর্ণ কুরআন
মুখস্থু করেছিলেন ৷ খলীফ৷ মা মুন রমযান মাসে কুরআন তেত্রিশ ৷বার খত তম করতেন ৷ একদিন
তিনি হাদীসেব শ্রুতিলিপি লেখানাের জন্য বসেন ৷ তখন তার চারপাশে কাযী ইয়াহ্ইয়া ইবন
আকছাম এবং শ্রোতাদের একটি দল সমবেত হয় ৷ তখন তিনি তার মুখস্থু হাদীস থেকে ত্রিশটি
হাদীসেব শ্রুতিলিপি লেখান ৷ এছাড়া একাধিক পারে তার পারদর্শিতা ছিল যেমন ফিকহ্, চিকিত্সা
বিদ্যা, কাব্য শাস্ত্র, সম্পত্তি বণ্টন বিদ্যা, কালামশাস্ত্র, নাহু বা ব্যাকরণ শাস্ত্র, হাদীস শাস্ত্র এবং
জ্যেড়াতির্বিদ্যা ৷ “মা’মুনী জোাতিষী পঞ্জিকা” তারই সাথে সন্বন্ধযুক্ত করা হয়ে থাকে ৷ তিনি তার
নিজ দেশে সানজারে ডিগ্রীর পরিমাপ’ ষাচইি করেন তখন তার ফলাফল পুর্ববর্তী ফকীহ্দের
ফলাফল থেকে ভিন্ন হয়ে দেখা দেয় ৷


تَوَلَّى الْمَأْمُونُ الْخِلَافَةَ فِي الْمُحَرَّمِ لِخَمْسٍ بَقِينَ مِنْهُ بَعْدَ مَقْتَلِ أَخِيهِ سَنَةَ ثَمَانٍ وَتِسْعِينَ وَمِائَةٍ، وَاسْتَمَرَّ فِي الْخِلَافَةِ عِشْرِينَ سَنَةً وَخَمْسَةَ أَشْهُرٍ. وَقَدْ كَانَ فِيهِ تَشَيُّعٌ وَاعْتِزَالٌ، وَجَهْلٌ بِالسُّنَّةِ الصَّحِيحَةِ، وَقَدْ بَايَعَ فِي سَنَةِ إِحْدَى وَمِائَتَيْنِ بِوِلَايَةِ الْعَهْدِ مِنْ بَعْدِهِ لَعَلِيٍّ الرِّضَا بْنِ مُوسَى الْكَاظِمِ بْنِ جَعْفَرٍ الصَّادِقِ بْنِ مُحَمَّدٍ الْبَاقِرِ بْنِ عَلِيٍّ زَيْنِ الْعَابِدِينَ بْنِ الْحُسَيْنِ الشَّهِيدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، وَخَلَعَ السَّوَادَ وَلَبِسَ الْخُضْرَةَ كَمَا قَدَّمْنَا، فَأَعْظَمَ ذَلِكَ الْعَبَّاسِيُّونَ مِنَ الْبَغَادِدَةِ، وَغَيْرِهِمْ، وَخَلَعُوا الْمَأْمُونُ وَوَلَّوْا عَلَيْهِمْ إِبْرَاهِيمَ بْنَ الْمَهْدِيِّ كَمَا تَقَدَّمَ ثُمَّ ظَفِرَ الْمَأْمُونُ بِهِمْ، وَاسْتَقَامَ أَمْرُهُ فِي الْخِلَافَةِ، وَذَلِكَ بَعْدَ مَوْتِ عَلِيٍّ الرِّضَا بِطُوسَ، وَعَفَا عَنْ عَمِّهِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْمَهْدِيِّ كَمَا تَقَدَّمَ بَسْطُ ذَلِكَ فِي مَوْضِعِهِ. أَمَّا كَوْنُهُ عَلَى مَذْهَبِ الِاعْتِزَالِ؛ فَإِنَّهُ اجْتَمَعَ بِجَمَاعَةٍ؛ مِنْهُمْ بِشْرُ بْنُ غِيَاثٍ الْمَرِيسِيُّ، فَأَخَذَ عَنْهُمْ هَذَا الْمَذْهَبَ الْبَاطِلَ، وَكَانَ يُحِبُّ الْعِلْمَ، وَلَمْ يَكُنْ لَهُ بَصِيرَةٌ نَافِذَةٌ فِيهِ، فَدَخَلَ عَلَيْهِ بِسَبَبِ ذَلِكَ الدَّاخِلُ، وَرَاجَ عِنْدَهُ
পৃষ্ঠা - ৮৫০৯


ইবন আসাকির বর্ণনা করেন, একদিন খলীফ৷ ৷মা মুন প্রজ৷ সাক্ষাণ্ডে র জন্য মজলিসে বসেন ৷
এসময় তা ৷র মজলিসে আ ৷মির-উমারা এবংঅ আলিম-উলামা উপ তছিলেন ৷ তখন জনৈক শ্ৰীলোক
তার কাছে এসে অভিযোগ করে যে, সে অন্যায়-অবিচারের শিকার ৷ সে বলে, তার ভাই
মৃভ্যুকালে ছয়শ দীনার রেখে গেছে কিন্তু সে মাত্র একটি দীনার ব্যতীত কিছুই পায়নি ৷ তখন
মা’মুন তৎক্ষণাৎ তাকে বলেন, তোমার প্রাপ্য তাে তোমার হাতে পৌছে গেছে ৷ তোমার ভাই
মৃত্যুকালে দুই কন্যা, মা, শ্রী, বার ভাই এবং এক বোন রেখে গিয়েছে, আর সেই বোন হল
তুমি ৷ তখন সে বলে হীা, আমীরুল মু’মিনীন ! (আপনি ঠিকই বলেছেন ৷) তখন মামুন তার
কথার ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, কন্যাদ্বয়ের প্রাপ্য হল দুই তভীয়াৎশ অর্থাৎ চারশ দীন৷ ৷ র মায়ের হল
এক-ষষ্ঠাংশ একশ দীনার, ত্রীর হল এক-অষ্টমাংশ পর্চাত্তর দীনার ৷ এরপর বাকী থাকল পচিশ
দীনার প্রাত্যক ভাইয়ের দুই দীনার করে চব্বিশ দীনার আর অবশিষ্ট বাকী এক দীনার তোমার ৷
তখন উপ ৩আলিমগণ খলীফ৷ মামুনের এই বুদ্ধিমত্তা, শৃতিশক্তির প্ৰখরত৷ এবং প্রতৃৎপন্ন
মতিত্বে অবাক হলেন ৷ হযরত আলী ইবন আবু৩ তালিব সম্পর্কেও অনুরুপ ঘটনা বর্ণিত আছে

(একবার) জনৈক করি খলীফ৷ ৷মা মুনের কাছে প্রবেশ করে ৷ সে তার প্ৰশংসায় এমন একটি
কবিতা পঙ্ক্তি রচন৷ করেছিল যা তাব দৃষ্টিতে ৩বিরাট প্রশংসা ছিল ৷ কিন্তু সে যখন মা মুনকে তা
আবৃত্তি করে সে ৷৷নায় তখন তিনি৩ ৷ ভৈ১াত চমৎকৃত হননি ৷ ফলে সে৩ তার দরবার থেকে খালি হাতে
ফিরে আসে ৷ তখন তার সাথে আরেক কবির সাক্ষা ৎ হলে সে তাকে বলে গোন আমি কি
তোমাকে অবাক করব না ? খলীফ৷ মা’মুনকে আমি নিম্নোক্ত পঙ্ক্তি আবৃত্তি করে গােনালাম কিন্তু
তিনি তার প্রতি কোন আগ্রহ দেখালেন না ৷ তখন সে বলে, তা কী ? তখন সে বলে আমি তার

ত্সায় বলেছি-


হিদায়াতের অগ্নপথিক খলীফ৷ মা মুন দীন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন, আর অন্য লোকেরা
দুনিয়াতে মশগুল হয়ে আসে ৷
তখন সেই কবি তাকে বলে, মি তাে তাকে প্রকোষ্ঠে অবস্থানরত (অক্ষম ) বৃদ্ধা বানিয়ে

ফেলেছ ৷ কেন তুমি তার প্রশংসায় তেমন কিছু বললে না যেমন জারীর বলেছে আবদুল আযীয
ইবন৷ ম ৷রওয়ানের প্রশংসায়-

fl ষ্


তিনি তার পার্থিব জীবনের প্রাপ্যকে বরবাদ করেন না, তবে পার্থিব কোন সামগ্রী তাকে দীন
থেকে পাফিল করে না ৷

একদিন খলীফ৷ মা’মুন তার এক সভাসদকে বলেন, দুই কবির দুটি কবিতা পঙ্ক্তির কোনো
তুলনা নেই ৷ একটি হল আবুনুওয়াসের, ং


কো ন বুদ্ধিমান ব্যক্তি যদি দুনিয়ার প্রকৃত অবস্থা যাচ৷ ৷ই করে, তাহলে তার সামনে প্রকাশিত
হয় বন্ধুর পরিধেয় ছদ্মবেশী এক শত্রু ৷


الْبَاطِلُ، وَدَعَا إِلَيْهِ وَحَمَلَ النَّاسَ قَهْرًا عَلَيْهِ، وَذَلِكَ فِي آخِرِ أَيَّامِهِ وَانْقِضَاءِ دَوْلَتِهِ. وَقَالَ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي الدُّنْيَا: كَانَ الْمَأْمُونُ أَبْيَضَ رَبْعَةً حَسَنَ الْوَجْهِ، قَدْ وَخَطَهُ الشَّيْبُ تَعْلُوهُ صُفْرَةٌ، أَعْيَنَ طَوِيلَ اللِّحْيَةِ رَقِيقَهَا، ضَيِّقَ الْجَبِينِ، عَلَى خَدِّهِ خَالٌ. أُمُّهُ أُمُّ وَلَدٍ يُقَالُ لَهَا: مَرَاجِلُ. وَرَوَى الْخَطِيبُ الْبَغْدَادِيُّ عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَبَّادٍ، قَالَ: لَمْ يَحْفَظِ الْقُرْآنَ أَحَدٌ مِنَ الْخُلَفَاءِ غَيْرُ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ وَالْمَأْمُونِ. وَهَذَا غَرِيبٌ جِدًّا. قَالُوا: كَانَ يَتْلُو فِي شَهْرِ رَمَضَانَ ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ خَتْمَةً. وَجَلَسَ يَوْمًا لِإِمْلَاءِ الْحَدِيثِ، فَاجْتَمَعَ حَوْلَهُ الْقَاضِي يَحْيَى بْنُ أَكْثَمَ وَجَمَاعَةٌ، فَأَمْلَى عَلَيْهِمْ مِنْ حِفْظِهِ ثَلَاثِينَ حَدِيثًا، وَكَانَتْ لَهُ بَصِيرَةٌ بِعُلُومٍ مُتَعَدِّدَةٍ؛ مِنْ فِقْهٍ، وَطِبٍّ، وَشِعْرٍ، وَفَرَائِضَ، وَكَلَامٍ، وَنَحْوٍ، وَعَرَبِيَّةٍ،
পৃষ্ঠা - ৮৫১০
وَغَرِيبٍ، وَعِلْمِ النُّجُومِ، وَإِلَيْهِ يُنْسَبُ الزِّيجُ الْمَأْمُونِيُّ، وَقَدِ اخْتَبَرَ مِقْدَارَ الدَّرَجَةِ فِي وَطْأَةِ سِنْجَارَ فَاخْتَلَفَ عَمَلُهُ وَعَمَلُ الْأَوَائِلِ مِنَ الْقُدَمَاءِ. وَرَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ أَنَّ الْمَأْمُونَ جَلَسَ يَوْمًا لِلنَّاسِ، وَفِي مَجْلِسِهِ الْعُلَمَاءُ وَالْأُمَرَاءُ، فَجَاءَتِ امْرَأَةٌ تَتَظَلَّمُ إِلَيْهِ، فَذَكَرَتْ أَنَّ أَخَاهَا تُوُفِّيَ، وَتَرَكَ سِتَّمِائَةِ دِينَارٍ، فَلَمْ يَحْصُلْ لَهَا سِوَى دِينَارٍ وَاحِدٍ. فَقَالَ لَهَا عَلَى الْبَدِيهَةِ: قَدْ وَصَلَ إِلَيْكِ حَقُّكِ، كَأَنَّ أَخَاكِ قَدْ تَرَكَ بِنْتَيْنِ، وَأُمَّا، وَزَوْجَةً، وَاثْنَيْ عَشَرَ أَخًا، وَأُخْتًا وَهِيَ أَنْتِ. قَالَتْ: نَعَمْ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ. فَقَالَ: لِلْبِنْتَيْنِ الثُّلُثَانِ أَرْبَعُمِائَةِ دِينَارٍ، وَلِلْأُمِّ السُّدُسُ مِائَةُ دِينَارٍ، وَلِلزَّوْجَةِ الثُّمُنُ خَمْسَةٌ وَسَبْعُونَ دِينَارًا، يَبْقَى خَمْسَةٌ وَعِشْرُونَ دِينَارًا؛ لِكُلِّ أَخٍ دِينَارَانِ، وَلَكِ دِينَارٌ. فَعَجِبَ النَّاسُ مِنْ فِطْنَتِهِ وَسُرْعَةِ جَوَابِهِ. وَقَدْ رُوِيَتْ هَذِهِ الْحِكَايَةُ عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. وَدَخَلَ بَعْضُ الشُّعَرَاءِ عَلَى الْمَأْمُونِ وَقَدْ قَالَ فِيهِ بَيْتًا مِنَ الشِّعْرِ يَرَاهُ
পৃষ্ঠা - ৮৫১১


আরেকটি হল করি শুরায়হ-এর নিম্বো ৷ক্ত পঙ্ক্তি-


১ট্টস্র্চুণ্ক্ট্রা

দুনিয়ার জন্য তিরস্কার ভৎসন৷ সহনীয় হয়, কেননা যে তাকে ভৎসন৷ করে সে তার
সংশোধনের ব্যাপারে আগ্রহী ৷

মা’মুন বলেন, একদিন রাজকীয় শোতাযাত্রায় বের হয়ে ভিড়ের কারণে বাধ্য হয়ে আমি
নিম্নন্তরের লোকদের সাথে মিশে গেলাম ৷ তখন আমি জীর্ণ কাপড় পরিহিত এক ব্যক্তিকে তার
দোকানে দেখতে পেলাম ৷ লোকঢি আমার দিকে কৃপার দৃষ্টি কিৎব৷ আমার বিষয়ে আচর্যবােধক
দৃষ্টিতে তাকিয়ে আবৃত্তি করল,

চুাহ্র ঞ ৷

যখনই এক বছর অতিবাহিত হয় তখনই আমি দেখতে পাই প্রত্যেক প্রভাবিত দাম্ভিককে
তার নফ্স পরবর্তী বছরের নিরাপত্তার আশ্বাস দেয় ৷

ইয়াহ্ইয়৷ ইবন আকছাম বলেন, কোন এক ঈদের দিন আমি খলীফ৷ ৷মান্মুনকে লোকদের
উদ্দেশ্যে খুৎব৷ দিতে শুনলাম ৷ তিনি হামদ, ছানা ও দরুদের পর বললেন হে আল্লাহর বান্দার৷ !
হওকাল পরকালের বিষয় বিশাল আকার ধারণ করেছে এবত্অ অ ৷ল ও জ্ঞানীদের প্রতিদান
সমুন্নত হয়েছে এবং উভয়দলের অবস্থানক৷ ল সুদীর্ঘ (সাব্যস্ত) হয়েছে ৷ সুতরাৎ আল্লাহর কসম !
নিশ্চয়তা গুরুতর বিষয়, ঠ ট্ট৷ বিদ্রাপ নয়, সত্য বিষয়, মিথ্যা নয় ৷ আর তার পরিণতি ৩মৃত্যু,
পুণরুথান, হিসাব নিকম্পো চুড়৷ ম্ভ ফায়সা লা, মীযা ৷ন (র্দাড়িপাল্লা) এবং পুলসিরাত৷ ছাড় ৷কিছু নয় ৷
এরপর রয়েছে তিরস্কার (শান্তি) কিৎব৷ পুরস্কা র ৷ সুতরাং যে দিন যে রক্ষা পারে যে সন্দেহাভীত
ভাবে সফল হবে ৷ আর সেদিন যার প৩ ন হবে যে সন্দেহভীতভ ৷বে ব্যর্থ হয়ে ৷ সমস্তকল্যান
জান্নাতে আর সমস্ত অকল্যাণ হল জাহান্নামে ৷

ইবন আসাকির নযর ইবন শুমায়ল সুত্রে বংনাি করেছেন ৷ তিনি বলেন, (একদিন) আমি
খলীফ৷ মা’মুংনর কাছে প্রবেশ করি ৷ তখন তিনি আমাকে প্রশ্ন করেন হে নযর ৷ তোমার সকাল
কেমন কাটল ? আমি ব লি হে আমীরুল মু’মিনীন ! তা ৷ল অবস্থায় ৷ তখন তিনি আমাকে প্রশ্ন
করেন ৷; ; ১৷ ৷ (ইরজা) ১ কী ? আমি তখন বলি,ত ৩াহলে ধম দীন ( ধমম৩) যা রাজা-বাদশাদের
মনঃপুত ৷ তা ৷দ্বারা তারা তাদের পা ৷র্থিব জীবনের প্রা ৷প্তি অর্জন করে থাকে এবৎত তাদের প্রকৃত দীন
হ্রাস করে থাকে ৷ তখন তিনি বলেন, তুমি সত্য বলেছ ৷৩ রতাপর তিনি বলেন, যে নযর তুমি কি
জান আজ সকালে আমি কী বলেছি ? আ ৷মি বলি, অদৃশ্যের জ্ঞান থেকে আমার অবস্থান থেকে
বহুদুরে ৷ তখন তিনি বলেন, আমি কয়েকটি কবিতা পঙ্ক্তি রচনা করেছি, তা হল-

া,১ট্রুঠুগ্ছু ষ্াএ ৷ ’;ত্রষ্ ণ্ান্ র্দু;ঠুম্৷ প্রুা৷ ৷ র্ত্যট্রুন্ প্লু;ছু;া
আমি যে দীনের অনুসরণ করি আর আমি এই প্রভ৷ তে তা থেকে কোন অজুহাত গো করি
১ ভ্রান্ত মতবাদ বিশেষ যার মুল কথা হল ঈমান থাকা অবস্থায় কোন পাপে ক্ষতি নেই, ড্ডাপ কাফির
অবস্থায় কোন ন পুণ্যে লাভ নেই ৷
আল-বিনেয়শু ওয়ান্ নিত্য়া ( ১ :ম খণ্ড ) ৬০




عَظِيمًا، فَلَمَّا أَنْشَدَهُ إِيَّاهُ لَمْ يَقَعْ مِنْهُ هَذَا الْبَيْتُ مَوْقِعًا طَائِلًا، فَخَرَجَ مِنْ عِنْدِهِ، فَلَقِيَهُ شَاعِرٌ آخَرُ، فَقَالَ: أَلَا أُعَجَّبُكَ؟ أَنْشَدْتُ الْمَأْمُونَ هَذَا الْبَيْتَ فَلَمْ يَرْفَعْ بِهِ رَأْسًا. فَقَالَ: وَمَا هُوَ؟ قَالَ: قُلْتُ فِيهِ: أَضْحَى إِمَامُ الْهُدَى الْمَأْمُونُ مُشْتَغِلًا ... بِالدِّينِ وَالنَّاسُ بِالدُّنْيَا مَشَاغِيلُ فَقَالَ لَهُ ذَلِكَ الشَّاعِرُ الْآخَرُ: مَا زِدْتَ عَلَى أَنْ جَعَلْتَهُ عَجُوزًا فِي مِحْرَابِهَا، فَهَلَّا قُلْتَ كَمَا قَالَ جَرِيرٌ فِي عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ الْوَلِيدِ: فَلَا هُوَ فِي الدُّنْيَا مُضَيِّعٌ نَصِيبَهُ ... وَلَا عَرَضُ الدُّنْيَا عَنِ الدِّينِ شَاغِلُهُ وَقَالَ الْمَأْمُونُ يَوْمًا لِبَعْضِ جُلَسَائِهِ: بَيْتَانِ لِاثْنَيْنِ مَا لَحِقَهُمَا أَحَدٌ؛ قَوْلُ أَبِي نُوَاسٍ: إِذَا اخْتَبَرَ الدُّنْيَا لَبِيبٌ تَكَشَّفَتْ ... لَهُ عَنْ عَدُوٍّ فِي لِبَاسِ صَدِيقِ وَقَوْلُ شُرَيْحٍ تَهُونُ عَلَى الدُّنْيَا الْمَلَامَةُ إِنَّهُ ... حَرِيصٌ عَلَى اسْتِصْلَاحِهَا مَنْ يَلُومُهَا قَالَ الْمَأْمُونُ: وَقَدْ أَلْجَأَنِي الزِّحَامُ يَوْمًا وَأَنَا فِي الْمَوْكِبِ حَتَّى خَالَطْتُ
পৃষ্ঠা - ৮৫১২


তাহল নবীর পর আলীর মহব্ব৩, তবে আমি সিদ্দীক এবং উমবকে মন্দ বলি না

াস্পে

এরপর রয়েছেন ইবন আফফান, তার অবস্থান হল জ ৷ন্নাতে নেক্কারদের সাথে, তিনি হলেন
ঐ শহীদ যাকে স্থির মন্তিস্কে হত্যা করা হয়েছে ৷

১াট্রু ৰুা৷
শুনে রাখ, আমি যুবায়রকে কিত্ব৷ তালহাকে গালমন্দ করি না যদিও কোন কথক তা বলে
তবে সে প্রতারণা করল ৷

৷ #

আর যা আইশাকে আমি অসম্মান করি না, যে তার বিরুদ্ধে কুৎসা পায় আমরা তার সাথে
সম্পর্কহীন ৷

এই মাযহাব বা ম৩ ৷দর্শ হল দ্বিতীয় স্তরের শীআ ম৩ বাদ ৷ এতে হযরত আলীকে সকল
সাহাবীর তুলনা য় শ্রেষ্ঠ বিবেচনা করা হয় ৷ একদল সালাফে সালেহীন এবং দারা কুতনী বলেন, যে
ব্যক্তি আলী (রা) কে উছমান (বা) এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ গণ্য করল, যে সকল মুহাজির ও আনসারকে
অবজ্ঞা করল ৷ অর্থাৎ উমরের শাহাদা৩ ণ্ডে র পর তিনদিন পর্যন্ত তাদের খলীফ৷ মনোনয়নের চেষ্টা
এরপর হযরত উছমানের ব্যাপারে এবং তাকে হযরত আ ৷লীর চেয়ে অগ্নবভী গণ্য করার ব্যাপারে
একমত হওয়া ৷ এই স্তরের পর শীআ মতবাদের আরও ষোলটি স্তর বিদ্যমান, যার ভিত্তি হল ঐ
সকল তথ্য বা আলবালাগুল আকবার’ ও আন-নামুসুল আযাম’-গ্রন্থের লেখক উল্লেখ
করেছেন ৷ আর তা হল এমন এক গ্রন্থ যা তাকে জঘন্যতম কুফরীতে পৌছে দিয়েছে ৷ আর
ইতিপুর্বে আমরা আমীরুল মু ’মিনীন আলী ইবন আবু৩ তালিবের সম্পর্কে বর্ণনা করেছি যে তিনি
বলেছেন, আমার কাছে যখনই এমন ক ৷উকে আনা হবে যে আমাকে আবুবকর ও উমরের উপর
গ্রেষ্ঠতৃ দান করে তখনই আমি তাকে মিথ্যা অপবাদ আরােপকা ৷রী শাস্তি প্রদান করব ৷ এছাড়াও
সন্দেহাভীতভাবে তার থেকে বর্ণিত আছে,৩ তিনি বলেছেন, নবী (সা)-এর পর সর্বোত্তম মানুষ
হলেন হযরত আবু বকর এরপর হযরত উমর ৷ সুতরাং খলীফ৷ মা’মুন সকল সাহাবীর বিরোধিতা
করেছেন এমনকি হযরত আলী ইবন আবুতালিবেরও উপরভু তিনি সকল মুহাজির ও আনসার
সাহাবীদের প্ৰতি অবজ্ঞাসুচক এই বিদআতের সাথে সেই অপর বিদআত এবং মহাআপদ বৃদ্ধি
করেন ৷ আর তাহলো খ৷ ৷লকে কুরআনের মতবাদ ৷ এছাড়া নেশাজা ৷ভীয় পানীয়ে এবং একা ৷ধিক
গর্হিত কর্মে তার আসক্তি ছিল ৷ অবশ্য যুদ্ধে শত্রু অবরােধে বিশেষত রোমকদের বিরুদ্ধে গৃ৩
যুদ্ধৃকৌশলে, যোদ্ধা নিধনে ও বন্দীকরণে তিনি বিরাট মনােবল ও বিপুল শক্তিমত্তার পরিচয় দেন ৷

খলীফা মা’মুন বলতেন, উমর ইবন আবদুল আযীয এবং আবদুল মালিকের দ্বাররক্ষী ছিল ৷
কিন্তু আমার দ্বাররক্ষী আমি নিজেই ৷ আর খলীফা মা’মুন ন্যায়বিচারের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা
করতেন এবং নিজেই ৫লাকদের মাঝে বিচার ও চুড়ান্ত ফায়সালা করতেন ৷ একবার এক অসহায়


السُّوقَةَ، فَرَأَيْتُ رَجُلًا فِي دُكَّانٍ عَلَيْهِ أَثْوَابٌ خَلِقَةٌ، فَنَظَرَ إِلَيَّ نَظَرَ مَنْ يَرْحَمُنِي أَوْ يَتَعَجَّبُ مِنْ أَمْرِي، فَقَالَ: أَرَى كُلَّ مَغْرُورٍ تُمَنِّيهِ نَفْسُهُ ... إِذَا مَا مَضَى عَامٌ سَلَامَةَ قَابِلِ وَقَالَ يَحْيَى بْنُ أَكْثَمَ سَمِعْتُ الْمَأْمُونَ يَوْمَ عِيدٍ خَطَبَ النَّاسَ فَحَمِدَ اللَّهَ، وَأَثْنَى عَلَيْهِ وَصَلَّى عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ قَالَ: عِبَادَ اللَّهِ، عَظُمَ أَمْرُ الدَّارَيْنِ، وَارْتَفَعَ جَزَاءُ الْعَامِلِينَ، وَطَالَتْ مُدَّةُ الْفَرِيقَيْنِ، فَوَاللَّهِ إِنَّهُ لَلْجِدُّ لَا اللَّعِبُ، وَإِنَّهُ لَلْحَقُّ لَا الْكَذِبُ، وَمَا هُوَ إِلَّا الْمَوْتُ، وَالْبَعْثُ وَالْحِسَابُ، وَالْفَصْلُ وَالصِّرَاطُ، ثُمَّ الْعِقَابُ وَالثَّوَابُ، فَمَنْ نَجَا يَوْمَئِذٍ فَقَدْ فَازَ، وَمَنْ هَوَى يَوْمَئِذٍ فَقَدْ خَابَ، الْخَيْرُ كُلُّهُ فِي الْجَنَّةِ، وَالشَّرُّ كُلُّهُ فِي النَّارِ. وَرَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ مِنْ طَرِيقِ النَّضْرِ بْنِ شُمَيْلٍ قَالَ: دَخَلْتُ عَلَى الْمَأْمُونِ فَقَالَ: كَيْفَ أَصْبَحْتَ يَا نَضْرُ؟ قُلْتُ: بِخَيْرٍ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ. فَقَالَ: مَا الْإِرْجَاءُ؟ فَقُلْتُ: دِينٌ يُوَافِقُ الْمُلُوكَ، يُصِيبُونَ بِهِ مِنْ دُنْيَاهُمْ، وَيَنْقُصُونَ مِنْ دِينِهِمْ. قَالَ: صَدَقْتَ. ثُمَّ قَالَ: يَا نَضْرُ، أَتَدْرِي مَا قُلْتُ فِي صَبِيحَةِ هَذَا الْيَوْمِ؟ قُلْتُ:
পৃষ্ঠা - ৮৫১৩
أَنَّى لِي بِعِلْمِ الْغَيْبِ؟ فَقَالَ: قُلْتُ: أَصْبَحَ دِينِي الَّذِي أَدِينُ بِهِ ... وَلَسْتُ مِنْهُ الْغَدَاةَ مُعْتَذِرَا حُبُّ عَلِيٍّ بَعْدَ النَّبِيِّ وَلَا ... أَشْتِمُ صِدِّيقًا وَلَا عُمَرَا ثُمَّ ابْنُ عَفَّانَ فِي الْجِنَانِ مَعَ الْ ... أَبْرَارِ ذَلِكَ الْقَتِيلُ مُصْطَبِرَا لَا وَلَا أَشْتِمُ الزُّبَيْرَ وَلَا ... طَلْحَةَ إِنْ قَالَ قَائِلٌ غَدَرَا وَعَائِشَ الْأُمُّ لَسْتُ أَشْتِمُهَا ... مَنْ يَفْتَرِيهَا فَنَحْنُ مِنْهُ بَرَا وَهَذَا الْمَذْهَبُ ثَانِي مَرَاتِبِ التَّشَيُّعِ، وَفِيهِ تَفْضِيلُ عَلِيٍّ عَلَى عُثْمَانَ. وَقَدْ قَالَ بَعْضُ السَّلَفِ وَالدَّارَقُطْنِيُّ: مَنْ فَضَّلَ عَلِيًّا عَلَى عُثْمَانَ فَقَدْ أَزْرَى بِالْمُهَاجِرِينَ وَالْأَنْصَارِ، يَعْنِي فِي اجْتِهَادِهِمْ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ، ثُمَّ اتَّفَقُوا عَلَى تَقْدِيمِ عُثْمَانَ عَلَى عَلِيٍّ بَعْدَ مَقْتَلِ عُمَرَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ. وَبَعْدَ ذَلِكَ سِتَّ عَشْرَةَ مَرْتَبَةً فِي التَّشَيُّعِ عَلَى مَا ذَكَرَهُ صَاحِبُ كِتَابِ " " الْبَلَاغِ الْأَكْبَرِ وَالنَّامُوسِ الْأَعْظَمِ " " تَنْتَهِي إِلَى أَكْفَرِ الْكُفْرِ. وَقَدْ رَوَيْنَا عَنْ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّهُ قَالَ:
পৃষ্ঠা - ৮৫১৪


নারী তার কাছে এসে তার (খলীফার) পুত্র আব্বাসের বিরুদ্ধে যুলুমের অভিযোগ দায়ের করে
অথচ আব্বাস তখন তার পিতার শিয়রে দণ্ডায়মান ৷ তখন তিনি দ্বাররক্ষীকে নির্দেশ দেন এবং সে
তখন আব্বাসের হাত ধরে অভিযােগকারিণীর পাশে তার সামনে বসিয়ে দেয় ৷ এরপর সেই
ত্রীলোক দাবী করে যে, খলীফ৷ পুত্র আব্বাস তার একখণ্ড জমি জবর দখল করেছেন ৷ এরপর বাদী
বিবাদী দীর্ঘক্ষণ বাদা ৷৷নুব দে লিপ্ত হয় এবং ক্রমশ ত্রীলােকটির কঠস্বর আ ৷ব্বাসের কষ্ঠস্বরের বিরুদ্ধে
প্রবল হয়ে উঠে ৷ তখন উপস্থিতদের কেউ তাকে ভৎসন৷ করলে মা’ মুন তাকে উদ্দেশ্য করে
বলেন, তুমি চুপ কর ৷ প্রাপ্য হক তাকে সবাক করেছে আর অন্যায় দাবী তাকে নির্বাক করেছে ৷
এরপর তিনি ত্রীলো কটির অনুকুলে তার প্রাপ্য হকের ফায়সালা করেন এবং তার পুত্রের উপর দশ
হাজ জার ৷দিরহাম জরিমানা আরোপ করেন ৷

খলীফ৷ ম৷ মুন৩ তার জনৈক প্ৰশ ৷৷সককে লিখেন এটা কোন কীর্তি নয় যে, তোমার বাড়ি-ঘর
হয়ে স্বর্ণ ও রৌপ্য নির্মিত আর তোমার ঋণগ্নহীতা ৷হবে বস্ত্রহীন, প্রতিবেশী হবে অভুক্ত এবং দরিদ্র
হবে ক্ষুধার্ত ৷ একবার জনৈক ব্যক্তি খলীফ৷ মামুনের সামনে দাড়ায় তখন তিনি তাকে (তার
অপরাধের কারণে) বলেন, আল্লাহর কসম ! অবশ্যই আমি তোমাকে হত্যা করব ৷ তখন সে বলে
হে আমীরুল মু’মিনীন ! আমার সাথে কোমল আচরণ করুন, কেননা কোমলতা হল অর্ধ-ক্ষম৷ ৷
তখন তিনি বলেন, তোমার দুর্ভোগ ও দুর্দশা অনিবার্য ৷ আমি তো শপথ করে ফেলেছি যে,
অবশ্যই আমি তোমাকে হত্যা করব ৷ তখন ল্যেকটি বলে, হে আমিরুল ঘু’মিনীন ! কসম
ভঙ্গক৷ ৷রী অবস্থায় আল্লাহর সাথে আপনার সাক্ষাৎ করা হত্যাক৷ ৷রী অবস্থায় সাক্ষাৎ করার চেয়ে
উত্তম ৷ তখন তিনি লোকটিকে ক্ষমা করে দেন ৷ তিনি বলরু তন, হায় ! অপরাধীরা যদি জ৷ নত যে
আমার আদর্শ হল ক্ষমা তাহলে তাদের ভীতি তদুর হত এবং তাদের মন আনন্দে উৎফুল্প হত ৷
একদিন তিনি একটি নৌকায় আরোহণ করে তার মাঝিকে তার সঙ্গী দেব উদ্দেশ্যে বলতে
শোনেন, তোমরা দেখতে পাচ্ছ এই মা’ মুন তার ভাই আমীনকে হত ত্যা করেও আমার দৃষ্টিতে
মহান ও মর্যাদাবান ল্যেকটি যখন একথা বলে তখন সে মা মুনের অবস্থান অনুভব করেনি ৷ তখন
মামুন মৃদু হেসে বলেন, তোমরা সেই কৌশলকেধ্ কী মনে কর যার মাধ্যমে আমি এই বিশিষ্ট’
ব্যক্তির দৃষ্টিতে মর্যাদাবান ও মহান হলাম ? একবার হুদবা ইবন খালিদ ম ধ্যাহ্ন ভোজনের উদ্দেশ্যে
মানুষের কাছে উপস্থিত হন ৷ আহার শেষে যখন দস্তরখান উঠিয়ে নেয়া হয় তখন হুদবা দস্তর খান
থেকে ছড়িয়ে পড়া খাদ্যের দান৷ কুড়িয়ে খেতে থাকেন ৷ তখন মাদ্বুমুন তাকে বলেন, হে শায়খ !
আপনি কি তৃপ্ত হননি ? তখন তিনি বলেন, অবশ্যই ! তবে হা ৷ম্মাদ ইবন সালাম৷ আমাকে হাদীস
বর্ণনা করেছেন ছ৷ ৷বিত থেকে, তিনি আনাস থেকে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন-

ব্যক্তি তার দস্তরখানের (নীচের)
খাব৷ র খুটে যায় সে দাবিদ্য থেকে নিরাপদ খ৷ ৷কবে ৷ বর্ণা৷কা রী বলেন, তখন মা মুন হুদবাকে এক
হাজার দীনার প্রদানের নির্দেশ দেন ৷

ইবন আসাকির বর্ণনা করেছেন, একদিন খলীফ৷ মা’মুন মুহাম্মদ ইবন আব্বাদ ইবন
মুহাল্লাবকে বলেন ! হে আবু আবদুল্লাহ ! (মনে করুন) ইতিপুর্বে আমি আপনাকে তিরিশ লক্ষ
দীনার প্রদান করেছি আর এখন এক দীনার প্রদান করব ৷ তখন তিনি বলেন, হে আমীরুল
মু ’মিনীন ! নিঃসন্দেহে যা বিদ্যমান তা দান না করা মা বুদের প্রতি মন্দ ধারণা করা ৷ তখন তিনি


لَا أُوتَى بِأَحَدٍ فَضَّلَنِي عَلَى أَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ إِلَّا جَلَدْتُهُ جَلْدَ الْمُفْتَرِي. وَتَوَاتَرَ عَنْهُ أَنَّهُ قَالَ: خَيْرُ النَّاسِ بَعْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَبُو بَكْرٍ، ثُمَّ عُمَرُ ثُمَّ عَثْمَانُ. فَقَدْ خَالَفَ الْمَأْمُونُ بْنُ الرَّشِيدِ فِي مَذْهَبِهِ الصَّحَابَةَ كُلَّهُمْ، حَتَّى عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. وَقَدْ أَضَافَ الْمَأْمُونُ إِلَى بِدْعَتِهِ هَذِهِ الَّتِي أَزْرَى فِيهَا عَلَى الْمُهَاجِرِينَ وَالْأَنْصَارِ وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ، الْبِدْعَةَ الْأُخْرَى، وَالطَّامَّةَ الْعُظْمَى، وَهِيَ الْقَوْلُ بِخَلْقِ الْقُرْآنِ مَعَ مَا فِيهِ مِنَ الِانْهِمَاكِ عَلَى تَعَاطِي الْمُسْكِرِ، وَغَيْرِ ذَلِكَ مِنَ الْأَفْعَالِ الَّتِي تَعَدَّدَ فِيهَا الْمُنْكَرُ، وَلَكِنْ كَانَ فِيهِ شَهَامَةٌ عَظِيمَةٌ، وَقُوَّةٌ جَسِيمَةٌ وَلَهُ هِمَّةٌ فِي الْقِتَالِ، وَحِصَارِ الْأَعْدَاءِ، وَمُصَابَرَةِ الرُّومِ، وَحَصْرِهِمْ فِي بُلْدَانِهِمْ، وَقَتْلِ فُرْسَانِهِمْ، وَأَسْرِ ذَرَارِيهِمْ وَوِلْدَانِهِمْ. وَكَانَ يَقُولُ: كَانَ مُعَاوِيَةُ بِعَمْرِهِ، وَعَبْدُ الْمَلِكِ بِحَجَّاجِهِ، وَأَنَا بِنَفْسِي. وَكَانَ يَقْصِدُ الْعَدْلَ، وَيَتَوَلَّى بِنَفْسِهِ الْحُكْمَ بَيْنَ النَّاسِ وَالْفَصْلَ؛ جَاءَتْهُ امْرَأَةٌ ضَعِيفَةٌ فَتَظَلَّمَتْ عَلَى ابْنِهِ الْعَبَّاسِ وَهُوَ وَاقِفٌ عَلَى رَأْسِهِ، فَأَمَرَ الْحَاجِبَ
পৃষ্ঠা - ৮৫১৫


বলেন, হে আবু আবদুল্লাহ ৷ আপনি চমৎকার বলেছেন ৷ (এরপর মা’মুন নির্দেশ দিয়ে বলেন,)
তাকে তিরিশ লক্ষ দীনার প্রদা ন কর ৷

খলীফা মা’ মুন যখন (৩ তার নবপরিণিতা ত্রী) বুরান বিনৃত হাসান ইবন সাহলের সাথে বাসর
অনুষ্ঠান করতে চাইলেন খনত লোকজন কন্যার পিতাকে মুল্যবান সামগ্রী উপহার দিতে লাগল ৷
এসব উপটোকন সামগ্রী সরবারাহকারীদের একজন ছিলেন তীর সমর্থক এক সাহিত্যিক ৷ তিনি
তাকে একটি খলেতে কিছু সুগন্ধি লবণ এবং আরেকটি থলেতে কিছু সুগন্ধি ঘাস উপহার দিলেন
এবং তার কাছে পত্রযােগে লিখলেন এটা আমার অপসন্দ যে, আমার উল্লেখ ছাড় ই সজ্জনদের

নামের তালিকা গুটিয়ে ফেলা হবে ৷৩ তাই আামি আপন র কাছে সুচনা উপকরণ প্রেরণ করলাম তা

বরকত ও কল্যাণের কারণে এবং সমাপ্তি উপকরণ প্রেরণ করলামত তারাসুগন্ধি পরিচ্ছন্নতার কারণে
এবং৩ তিনি তার কা ছে লিখে পাাঠালেন-

# ’ ’ ষ্ ষ্ ষ্ ষ্ ’ , : # ং

ষ্পুৰুপ্

আমার (প্রেরিত) সামগ্রী আমার মনােবলের নাগাল পায় না, আর আমার মনােবল ও আমার
সম্পদের নাপাল পায় না ৷

ং,এ্র্চুট্রুর্মু৷ fl;
সুতরাং হে জনাব, লবণ ও উশনান ঘাস-ই হল আমার ন্যায় ব্যক্তিদের পক্ষ থেকে দেয়া
সর্বোৎাৎকৃষ্ট উপহার ৷

বর্ণনাকারী বলেন, এরপর হাসান ইবন সাহল তা নিয়ে মা’ মুনের সাক্ষাতে প্রবেশ করেন,
তখন এই (অভিনব) উপহার সামগ্রী তাকে চমৎকৃত করে এবং তার নির্দেশে থলে দু’টি খালি
করে দীনার পুর্ণ করে ঐ সাহিত্যিক ব্যক্তির কাছে পাঠিয়ে দেয়া হয় ৷

মা’মুন পুত্র জাফরের যখন জন্য হয় তখন লোকজন তার সাক্ষাতে প্রবেশ করে তাকে
বিভিন্নভাবে অভিনন্দন জ নাম ৷ এসময় জনৈক করি তীর দরবারে প্রবেশ করে তাকে তার
পিতা তুর জন্য অভিনন্দন জানিয়ে আবৃত্তি করেন :


আল্লাহ আপনাকে দীর্ঘজীবী করুন, আপনি যেন আপনার এই পুত্রধনকে ৷পতামহ’ হতে
দেখতে পান ৷

; ৷ ;


এরপর তার জন্য যেন সকল প্রা ণ উৎসর্পিত হয় যেমন আপনার জন্য হয়, সে যেন আপনার
প্রতিচ্ছবি যখন সে প্রকাশ পায় ৷


অবয়ব আকৃতি ও দেহ কাঠামােতে আপনা র সদৃশ এবং সে মর্যাদার শক্তিতে শক্তিহ্বান ৷
ইবন আসাকির বলেন তখন তিনি ঐ ব্যক্তিকে দশ হাজা র দিরহাম প্রদাভ্রু নর নির্দেশ দিলেন ৷


فَأَخَذَهُ بِيَدِهِ فَأَجْلَسَهُ مَعَهَا بَيْنَ يَدَيْهِ، فَادَّعَتْ عَلَيْهِ أَنَّهُ أَخَذَ ضَيْعَةً لَهَا وَاسْتَحْوَذَ عَلَيْهَا، فَتَنَاظَرَا سَاعَةً فَجَعَلَ صَوْتُهُا يَعْلُو عَلَى صَوْتِهِ فَزَجَرَهَا بَعْضُ الْحَاضِرِينَ، فَقَالَ لَهُ الْمَأْمُونُ: اسْكُتْ فَإِنَّ الْحَقَّ أَنْطَقَهَا، وَالْبَاطِلَ أَسْكَتَهُ. ثُمَّ حَكَمَ لَهَا بِحَقِّهَا وَأَغْرَمَ لَهَا وَلَدَهُ بِعَشَرَةِ آلَافِ دِرْهَمٍ، وَكَتَبَ إِلَى بَعْضِ الْأُمَرَاءِ: لَيْسَ مِنَ الْمُرُوءَةِ أَنْ يَكُونَ آنِيَتُكَ مِنْ ذَهَبٍ وَفِضَّةٍ، وَغَرِيمُكَ عَارٍ، وَجَارُكَ طَاوٍ. وَوَقَفَ رَجُلٌ بَيْنَ يَدَيْهِ، فَقَالَ لَهُ الْمَأْمُونُ: وَاللَّهِ لَأَقْتُلَنَّكَ. فَقَالَ لَهُ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، تَأَنَّ عَلَيَّ فَإِنَّ الرِّفْقَ نِصْفُ الْعَفْوِ. فَقَالَ: وَيْلَكَ وَيْحَكَ! قَدْ حَلَفْتُ لَأَقْتُلَنَّكَ. فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، أَنْ تَلْقَ اللَّهَ حَانِثًا خَيْرٌ مِنْ أَنْ تَلْقَاهُ قَاتِلًا. فَعَفَا عَنْهُ. وَكَانَ يَقُولُ: لَيْتَ أَهْلَ الْجَرَائِمِ يَعْرِفُونَ أَنَّ مَذْهَبِي الْعَفْوُ، حَتَّى يَذْهَبَ الْخَوْفُ عَنْهُمْ وَيَدْخُلَ السُّرُورُ إِلَى قُلُوبِهِمْ، وَرَكِبَ يَوْمًا فِي حَرَّاقَةٍ فَسَمِعَ مَلَّاحًا يَقُولُ لِأَصْحَابِهِ: تَرَوْنَ هَذَا الْمَأْمُونُ يَنْبُلُ فِي عَيْنِي، وَقَدْ قَتَلَ أَخَاهُ الْأَمِينَ؟ يَقُولُ ذَلِكَ، وَهُوَ لَا يَشْعُرُ بِمَكَانِ الْمَأْمُونِ فَجَعَلَ الْمَأْمُونُ يَتَبَسَّمُ وَيَقُولُ: كَيْفَ تَرَوْنَ الْحِيلَةَ حَتَّى أَنْبُلَ فِي عَيْنِ هَذَا الرَّجُلِ الْجَلِيلِ؟ وَحَضَرَ عِنْدَ الْمَأْمُونِ هُدْبَةُ بْنُ خَالِدٍ لِيَتَغَدَّى عِنْدَهُ، فَلَمَّا رُفِعَتِ الْمَائِدَةُ جَعَلَ هُدْبَةُ يَلْتَقِطُ مَا تَنَاثَرَ مِنْهَا، فَقَالَ لَهُ الْمَأْمُونُ: أَمَا شَبِعْتَ يَا شَيْخُ؟ فَقَالَ بَلَى،
পৃষ্ঠা - ৮৫১৬
وَلَكِنْ حَدَّثَنِي حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ أَكَلَ مَا تَحْتَ مَائِدَتِهِ أَمِنَ مِنَ الْفَقْرِ» قَالَ: فَأَمَرَ لَهُ الْمَأْمُونُ بِأَلْفِ دِينَارٍ. وَرَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ أَنَّ الْمَأْمُونَ قَالَ يَوْمًا لِمُحَمَّدِ بْنِ عَبَّادِ بْنِ عَبَّادِ بْنِ الْمُهَلَّبِ: يَا أَبَا عَبْدِ اللَّهِ، قَدْ أَعْطَيْتُكَ أَلْفَ أَلْفٍ، وَأَلْفَ أَلْفٍ، وَأَلْفَ أَلْفٍ، وَأَنَّ عَلَيْكَ دَيْنًا. فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، إِنَّ مَنْعَ الْمَوْجُودِ سُوءُ ظَنٍّ بِالْمَعْبُودِ. فَقَالَ: أَحْسَنْتَ يَا أَبَا عَبْدِ اللَّهِ، أَعْطُوهُ أَلْفَ أَلْفٍ وَأَلْفَ أَلْفٍ. وَلَمَّا أَرَادَ الْمَأْمُونُ أَنْ يَدْخُلَ بِبُورَانَ بِنْتِ الْحَسَنِ بْنِ سَهْلٍ، جَعَلَ النَّاسُ يُهْدُونَ لِأَبِيهَا الْأَشْيَاءَ النَّفِيسَةَ، وَكَانَ مِنْ جُمْلَةِ مَنْ يَعْتَزُّ بِهِ رَجُلٌ مِنَ الْأُدَبَاءِ، فَأَهْدَى إِلَيْهِ مِزْوَدًا فِيهِ مِلْحٌ طَيِّبٌ، وَمِزْوَدًا فِيهِ أُشْنَانٌ جَيِّدٌ، وَكَتَبَ إِلَيْهِ: إِنِّي كَرِهْتُ أَنْ تُطْوَى صَحِيفَةُ أَهْلِ الْبِرِّ وَلَا أُذْكَرُ فِيهَا فَوَجَّهْتُ إِلَيْكَ بِالْمُبْتَدَأِ بِهِ، لِيُمْنِهِ، وَبَرَكَتِهِ، وَبِالْمَخْتُومِ بِهِ، لِطِيبِهِ وَنَظَافَتِهِ، وَكَتَبَ إِلَيْهِ: بِضَاعَتِي تَقْصُرُ عَنْ هِمَّتِي ... وَهِمَّتِي تَقْصُرُ عَنْ مَالِي فَالْمِلْحُ وَالْأُشْنَانُ يَا سَيِّدِي ... أَحْسَنُ مَا يُهْدِيهِ أَمْثَالِي
পৃষ্ঠা - ৮৫১৭


(একবার) তিনি দামেশকে অবস্থানকালে তার কাছে বিপুল পরিমাণ সম্পদ আসে ৷ আর এরপুর্বে
তিনি রিক্ত হস্ত হয়ে পড়েন এবং তার ভাই ঘু’তাসিমের কাছে তার অভিযোগ করেন ৷ এরপর তার
কাছে খুরাসানের কােষাগার থেকে তিনকােটি দিরহাম আসে ৷ তখন তিনি এর প্রদর্শনীর জন্য এ
সম্পদ বহনকারী সুসজ্জিত বাহনসমুহ নিয়ে (গো তাযাত্রায়) বের হন ৷ এসময়৩ তার সাথে ছিলে
কাযী ইয়াহ্ইয়া ইবন আকছাম ৷৩ তারপর যখন এই শোতাযাত্রা শহরে প্রবেশ করে তখন তিনি
বলেন, এটা তো মনুষ্যত্বের কাজ হতে পারে না যে আমার এগুলো সব সংরক্ষণ করে রাখব আর
লোকেরা শুধু তাকিয়ে দেখবে ৷ এরপর তিনি তা থেকে দুই কোটি চল্লিশ লক্ষ দিরহাম সকলের
মাঝে বণ্টন করে দেন অথচ তার পা তখনো রেকাবিতে (পাদানিতে) তিনি তার ঘোড়া থেকেও
নামেননি ৷৩ তার নিজের রচিত হৃদয়স্পর্শীকবিতার অংশ হল০ ং


) ’


আমার জিহ্বা তোমাদের ভেদ রহস্য গোপন করে রাখে, কিন্তু আমার অশ্রু আমার নিজের
ভেদ প্রকাশ করে দেয় ৷ আমার অশ্রু যদি না হত ৩তাহলে আমি আমার আসক্তি গোপন বাখ৩ ৷া
অ আর ৷য়দি আমা র আসক্তি না থা কত আমার তো ৷খে অশ্রুও থাকত না ৷

কোন এক রাতে তিনি তার এক খা দিম পাঠান (তার) এক রাদীকেত তার কাছে নিয়ে আমার
জন্য ৷ তখন সেই খ৷ দিন দীর্ঘক্ষণ তার কাছে অবস্থান করে কিন্তু বাদীঢি তার কাছে আসা থেকে
বিরত থাকে যাতে খলীফ৷ মা মুন নিজেই তার কাছে আসেন ৷ তখন মা’ মুন আবৃত্তি করতে
থাকেন :

তোমাকে আমি সাচ্াহে প্রেরণ করেছি ফলে আমার অগোচরে তুমি তার প্ৰতি দৃষ্টিপতের
সুযোগ লাভ করেছে৷ এমনকি আমি তোমার প্রতি মন্দ ধারণা পোষণ করেছি ৷

ষ্ # ৩ ষ্ # # ষ্ ষ্ ষ্ ’



আমার কথা ল ! য়দি আমি৩ জানতে পা রতাম তোমা র ম্পেভৈনকটোর ব্যাপারে তা কী কাজে এসেছে ৷

ৰু:র্দু১ট্টট্রুটু
তার সুশ্ৰী মুখাবয়বে৩ তমি বারবার দৃষ্টি বুলিয়েছ এবং তার সুরেলা কণ্ঠে তোমার শ্রবণ তৃষ্ণা
তৃপ্ত করেছা
াঠু;৷ প্রু,া
আমি তোমার উভয় চােখে তার সুস্পষ্ট চিহ্ন দেখতে পাচ্ছি আর তোমার চক্ষুদ্বয় তার
চক্ষুযুগল থেকে সৌন্দর্য হরণ করেছে ৷


قَالَ: فَدَخَلَ بِهِمَا الْحَسَنُ بْنُ سَهْلٍ عَلَى الْمَأْمُونِ فَأَعْجَبَهُ ذَلِكَ، وَأَمَرَ بِالْمُزْوَدَيْنِ فَفُرِّغَا، وَمُلِئَا دَنَانِيرَ، وَبَعَثَ بِهِمَا إِلَى ذَلِكَ الْأَدِيبِ. وَوُلِدَ لِلْمَأْمُونِ ابْنُهُ جَعْفَرٌ فَدَخَلَ عَلَيْهِ النَّاسُ يُهَنِّئُونَهُ بِصُنُوفِ التَّهَانِي، وَدَخَلَ عَلَيْهِ بَعْضُ الشُّعَرَاءِ، فَقَالَ لَهُ يُهَنِّئُهُ بِوَلَدِهِ: مَدَّ لَكَ اللَّهُ الْحَيَاةَ مَدًّا ... حَتَّى تَرَى ابْنَكَ هَذَا جَدَّا ثُمَّ يُفَدِّي مِثْلَ مَا تَفَدَّى ... كَأَنَّهُ أَنْتَ إِذَا تَبَدَّى أَشْبَهُ مِنْكَ قَامَةً وَقَدًّا ... مُؤْزَرًا بِمَجْدِهِ مُرَدَّا قَالَ: فَأَمَرَ لَهُ بِعَشَرَةِ آلَافِ دِرْهَمٍ. وَقَدِمَ عَلَيْهِ، وَهُوَ بِدِمَشْقَ مَالٌ جَزِيلٌ بَعْدَ مَا كَانَ قَدْ أَفْلَسَ وَشَكَى إِلَى أَخِيهِ الْمُعْتَصِمِ ذَلِكَ، فَوَرَدَتْ عَلَيْهِ خَزَائِنُ مِنْ خُرَاسَانَ وَبِهَا ثَلَاثُونَ أَلْفَ أَلْفِ دِرْهَمٍ، فَخَرَجَ يَسْتَعْرِضُهَا وَقَدْ زُيِّنَتِ الْجِمَالُ وَالْأَحْمَالُ وَمَعَهُ يَحْيَى بْنُ أَكْثَمَ الْقَاضِي، فَلَمَّا دَخَلَتِ الْبَلَدَ، قَالَ: لَيْسَ مِنَ الْمُرُوءَةِ أَنْ نَحُوزَ نَحْنُ هَذَا كُلَّهُ، وَالنَّاسُ يَنْظُرُونَ. ثُمَّ فَرَّقَ مِنْهُ أَرْبَعَةً وَعِشْرِينَ أَلْفَ أَلْفِ دِرْهَمٍ وَرِجْلُهُ فِي الرِّكَابِ لَمْ يَنْزِلْ عَنْ فَرَسِهِ. وَمِنْ لَطِيفِ شِعْرِهِ قَوْلُهُ: لِسَانِي كَتُومٌ لِأَسْرَارِكُمْ ... وَدَمْعِي نَمُومٌ لِسِرِّي مُذِيعْ
পৃষ্ঠা - ৮৫১৮


খলীফ৷ মা মুন যখন মু ত ৷যিল৷ ও শীআদের বিদআ তকে সমর্থ্য৷ করেন তখন মা মুনের শায়খ
বিশ র আ ৷ল-যুরায়সী উৎফুল্ল হয়ে আবৃত্তি করেন :


ৰুা৷া
আমাদের নেতা, আমাদের মা মুন এমন কথা বলেন, কিতৰু ৷বে যা র সত্যায়ন রয়েছে

, ’ শ্

আর তা হল আ ৷লী অর্থাৎ আবুল হাসান হলেন সর্বে৷ ত্তম উষ্ট্ৰ৷ ৷রাে হী ৷

ষ্ :

হিদায়েতের নবীর পর, আর আমাদের কর্ম আমাদের জন্য, আর কুরআন হল মাখলুক’ ৷
এরপর জনৈক আহলে সুন্নাত এর উত্তরে রচনা করেন :

পু;১াৰুণ্ :এ ৷ ’ণ্১াব্র পুা;ওহ্র পু>খৃ াণ্ ৰুা১’দুাপুন্ওন্৷ ’এ ৷ণ্গ্র৷ ও
হে লোকসকল ৷ (শুনে রাখ) ঐ ব্যক্তির কোন কথা বা কাজ গ্রহণযোগ্য নয় যে বলে, আল্লাহর
কালাম ’মাখলুক’ ৷


আবু বকর, উমর কেউই৩ ৷বলেননি, আর না বলেছেন আল্লাহর নবী আর না তা উল্লেখ
করেছেন কো ন সিদ্দীক ৷


একমাত্র রাসুলদ্রে৷ ৷হী বিদআ ভী এবংঅ আল্লাহ্দ্রোহী নাস্তিক ব্যভীত কেউত ৷বলেনি ৷

শ্ ৷


বিশর আসলে তাদের দীনকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছে, কেননা আল্লাহ্র কসম, তাদের দীন
অচিরেই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে ৷

হে লোকসকল ! তোমাদের খলীফ৷ যিনি, তার আকল-বুদ্ধি আবদ্ধ হয়ে পড়েছে আর তিনি
শৃগ্রল৷ বদ্ধ হয়ে পড়েছেন ৷

এসময় বিশ ৷র খলীফ৷ ৷মা’ মুনের কাছে দাবী জানায় এই পঙ্ক্তিসমুহের রচিয়তা ৩াকে খুজে বের
করে শায়েস্তা করার জন্য ৷ তখন মা’ মুন তাকে বলেন আপনি কী বলেন ? যদি সে ফকীহ্ হত
তাহলে আমি তাকে শায়েস্তা করতাম ৷ কিন্তু সে তো করি ৷ সুতরাং আমি তার পিছু (নব না ৷
খলীফ৷ মা মুন যখন শেষবারের মত তারসুস সফরের প্রস্তুতি গ্রহণ করেন এবং তিনি তার
প্রিয়পাত্রী জনৈকা বীদীকে ডেকে পাঠান যাকে তিনি শেষ বয়সে খরিদ করেছিলেন ৷ এরপর তিনি


فَلَوْلَا دُمُوعِي كَتَمْتُ الْهَوَى وَلَوْلَا الْهَوَى لَمْ تَكُنْ لِي دُمُوعْ وَقَدْ بَعَثَ خَادِمًا لَيْلَةً مِنَ اللَّيَالِي لِيَأْتِيَهُ بِجَارِيَةٍ، فَأَطَالَ الْخَادِمُ عِنْدَهَا الْمُكْثَ، وَتَمَنَّعَتِ الْجَارِيَةُ مِنَ الْمَجِيءِ إِلَيْهِ حَتَّى يَأْتِيَ إِلَيْهَا الْمَأْمُونُ بِنَفْسِهِ، فَأَنْشَأَ الْمَأْمُونُ يَقُولُ: بَعَثْتُكَ مُشْتَاقًا فَفُزْتُ بِنَظْرَةٍ ... وَأَغْفَلْتَنِي حَتَّى أَسَأْتُ بِكَ الظَّنَّا وَنَاجَيْتُ مَنْ أَهْوَى وَكُنْتُ مُقَرَّبًا ... فَيَا لَيْتَ شِعْرِي عَنْ دُنُوِّكَ مَا أَغْنَى وَرَدَّدْتَ طَرْفًا فِي مَحَاسِنِ وَجْهِهَا ... وَمَتَّعْتَ بِاسْتِسْمَاعِ نَغَمَتِهَا أُذُنَا أَرَى أَثَرًا فِي صَحْنِ خَدِّكَ لَمْ يَكُنْ ... لَقَدْ سَرَقَتْ عَيْنَاكَ مِنْ حُسْنِهَا حُسْنَا وَلَمَّا ابْتَدَعَ الْمَأْمُونُ مَا ابْتَدَعَ مِنَ التَّشَيُّعِ وَالِاعْتِزَالِ، فَرِحَ بِذَلِكَ بِشْرٌ الْمَرِيسِيُّ وَكَانَ بِشْرٌ هَذَا شَيْخَ الْمَأْمُونِ فَأَنْشَأَ الْمَرِيسِيُّ يَقُولُ: قَدْ قَالَ مَأْمُونُنُا وَسَيِّدُنَا ... قَوْلًا لَهُ فِي الْكِتَابِ تَصْدِيقُ إِنَّ عَلِيًّا أَعْنِي أَبَا حَسَنٍ ... أَفْضَلُ مَنْ أَرْقَلَتْ بِهِ النُّوقُ
পৃষ্ঠা - ৮৫১৯
بَعْدَ نَبِيِّ الْهُدَى وَإِنَّ لَنَا أَعْمَالَنَا وَالْقُرْآنُ مَخْلُوقُ فَأَجَابَهُ بَعْضُ الشُّعَرَاءِ مِنْ أَهْلِ السُّنَّةِ، فَقَالَ: يَا أَيُّهَا النَّاسُ لَا قَوْلٌ وَلَا عَمَلُ ... لِمَنْ يَقُولُ كَلَامُ اللَّهِ مَخْلُوقُ مَا قَالَ ذَاكَ أَبُو بَكْرٍ وَلَا عُمَرُ ... وَلَا النَّبِيُّ وَلَمْ يَذْكُرْهُ صِدِّيقُ وَلَمْ يَقُلْ ذَاكَ إِلَّا كُلُّ مُبْتَدِعٍ ... عَلَى الْإِلَهِ وَعِنْدَ اللَّهِ زِنْدِيقُ عَمْدًا أَرَادَ بِهِ إِمْحَاقَ دِينِكُمْ ... لِأَنَّ دِينَهُمْ وَاللَّهِ مَمْحُوقُ أَصَحُّ يَا قَوْمُ عَقْلًا مِنْ خَلِيفَتِكُمْ ... يُمْسِي وَيُصْبُحُ فِي الْأَغْلَالِ مَوْثُوقُ وَقَدْ سَأَلَ بِشْرٌ مِنَ الْمَأْمُونِ أَنْ يَطْلُبَ قَائِلَ هَذَا فَيُؤَدِّبَهُ عَلَى ذَلِكَ، فَقَالَ: وَيْحَكَ! لَوْ كَانَ فَقِيهًا لَأَدَّبْتُهُ وَلَكِنَّهُ شَاعِرٌ فَلَسْتُ أَعْرِضُ لَهُ. وَلَمَّا تَجَهَّزَ الْمَأْمُونُ لِلْغَزْوِ فِي آخِرِ سَفْرَةٍ سَافَرَهَا إِلَى طَرَسُوسَ اسْتَدْعَى بِجَارِيَةٍ كَانَ يُحِبُّهَا، وَقَدِ اشْتَرَاهَا فِي آخِرِ عُمُرِهِ، فَضَمَّهَا إِلَيْهِ، فَبَكَتِ الْجَارِيَةُ وَقَالَتْ: قَتَلْتَنِي يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ بِسَفَرِكَ هَذَا، ثُمَّ أَنْشَأَتْ تَقُولُ: سَأَدْعُو دَعْوَةَ الْمُضْطَرِّ رَبًّا ... يُثِيبُ عَلَى الدُّعَاءِ وَيَسْتَجِيبُ
পৃষ্ঠা - ৮৫২০

আল-বিদায়া ওয়াননিহায়া ৪৭৯

তাকে জড়িয়ে ধরেন তখন ৰীদীটি কেদে বলে, হে আমীরুল মু’মিনীন ! আপনি তো আমাকে
আপনার সফর দ্বারা শেষ করে দিয়েছেন ৷ এরপর সে আবৃত্তি করে,

আমি আপনাকে আহ্বান করব যেমনভাবে নিরুপায় ব্যক্তি তার রবকে আহ্বান করে, যিনি
আহ্বা নের সাড়া দেন এবং প্রতিদা ন দেন ৷

’ ৷ ;

তাহলে আল্লাহ্ আপনাকে যুদ্ধ থেকে রক্ষা করবেন এবং আমাদেরকে মনের আকাঙক্ষা ও
আকৃতি মাফিক একত্র করবেনা
তখন তিনি৩ তাকে পুনরায় জড়িয়ে ধরে আবৃত্তি করেন-

৷ ’ ’ ব্লু


তার সেই সৌন্দর্যের কি কোন তুলনা আছে যখন তার অশ্রু তার চোখের সুরমা ধুয়ে দিচ্ছিল
আর যখন সে তার আঙ্গুলের অগ্রভাগ দিয়ে অশ্রু সরিয়ে নিচ্ছিল ৷


শ্

ঐ সকালে যখন সে৩ তিরস্কার করে আমাকে বলল, আপনি তাে আমাকে শেষ করে দিয়েছেন,
অথচ সেখানে সে যা বলেছে তা দ্বারা সে আমাকে শেষ করার চেষ্টা করছিল ৷

এরপর তিনি তার খাদিম মাসরুরকে তিনি ফিরে না আসা পর্যন্ত তার সাথে সদাচারের এবং
তাকে দেখাশুনা করার নির্দেশ দেন ৷৩ তারপর তিনি বলেন, আমাদের অবস্থা হল, আখতাল যেমন
বলেছে :
া১াব্ চুও
তারা এমন সম্প্রদায় যারা যুদ্ধকালে সম্পুর্ণরুপে ন্নী-সাহ্চর্য এড়িয়ে চলে যদিও তাতে কোন
প্ৰতিবন্ধকতা না থাকো

এরপর তিনি বাদীটিকে বিদায় জানিয়ে সফরে রওনা হয়ে যান আর এদিকে বাদীঢি তার এই
অনুপন্থিতিতে অসুস্থ হয়ে পড়ে আর খলীফা মা মুন ও উার এই অনুপস্থিতিকালে মৃত্যুবরণ
করেন ৷ এরপর যখন খলীফার মৃত্যু সংবাদ তার কাছে আসে যে তখন এমন দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে যে
তার মৃত্যুকাল ঘনিয়ে আসে এবং মৃত্যু যন্ত্রণা শুরু হওয়ার পর সে আবৃত্তি করে

াট্রাঠুটুদুৰু;র্চুাব্ল ঙৰু১এে ৷ ট্রু,া
কাল আমাদেরকে তার মিষ্টতার পর তিক্ততার বহুগ্নাস পান করিয়ে তৃপ্ত পরিতৃপ্ত করেছো
াট্রুাব্রদুব্র ষ্,ছু’া হুঠুাট্রু
একবার যে আমাদের প্ৰতি প্রসন্ন হয়ে আমাদেরকে আনন্দিত করেছে, আরেকবার বিরুপ
হয়ে আমাদেরকে ব্যথিত করেছে ৷

০০াা

لَعَلَّ اللَّهَ أَنْ يَكْفِيَكَ حَرْبًا وَيَجْمَعَنَا كَمَا تَهْوَى الْقُلُوبُ فَضَمَّهَا إِلَيْهِ وَأَنْشَأَ يَقُولُ مُتَمَثِّلًا: فَيَا حُسْنَهَا إِذْ يَغْسِلُ الدَّمْعُ كُحْلَهَا ... وَإِذْ هِيَ تَذْرِي الدَّمْعَ مِنْهَا الْأَنَامِلُ صَبِيحَةَ قَالَتْ فِي الْعِتَابِ قَتَلْتَنِي ... وَقَتْلِي بِمَا قَالَتْ هُنَاكَ تُحَاوِلُ ثُمَّ أَمَرَ مَسْرُورًا الْخَادِمَ بِالْإِحْسَانِ إِلَيْهَا وَالِاحْتِفَاظِ عَلَيْهَا حَتَّى يَرْجِعَ، ثُمَّ قَالَ: نَحْنُ كَمَا قَالَ الْأَخْطَلُ: قَوْمٌ إِذَا حَارَبُوا شَدُّوا مَآزِرَهُمْ ... دُونَ النِّسَاءِ وَلَوْ بَاتَتْ بِأَطْهَارِ ثُمَّ وَدَّعَهَا وَسَارَ فَمَرِضَتِ الْجَارِيَةُ فِي غَيْبَتِهِ هَذِهِ، وَمَاتَ الْمَأْمُونُ أَيْضًا، فَلَمَّا جَاءَ نَعْيُهُ إِلَيْهَا تَنَفَّسَتِ الصُّعَدَاءَ وَحَضَرَتْهَا الْوَفَاةُ، وَأَنْشَأَتْ تَقُولُ وَهِيَ فِي السِّيَاقِ: إِنَّ الزَّمَانَ سَقَانَا مِنْ مَرَارَتِهِ ... بَعْدَ الْحَلَاوَةِ أَنْفَاسًا فَأَرْوَانَا أَبْدَى لَنَا تَارَةً مِنْهُ فَأَضْحَكَنَا ... ثُمَّ انْثَنَى تَارَةً أُخْرَى فَأَبْكَانَا إِنَّا إِلَى اللَّهِ فِيمَا لَا يَزَالُ بِنَا ... مِنَ الْقَضَاءِ وَمِنْ تَلْوِينِ دُنْيَانَا دُنْيَا تَرَاهَا تُرِينَا مِنْ تَصَرُّفِهَا ... مَا لَا يَدُومُ مُصَافَاةً وَأَحْزَانَا وَنَحْنُ فِيهَا كَأَنَّا لَا يُزَايِلُنَا ... لِلْعَيْشِ أَحْيَاؤُنَا يَبْكُونَ مَوْتَانَا
পৃষ্ঠা - ৮৫২১


া১া

আমরা যে সার্বক্ষণিক ভাগ্যলিপি এবং আমাদের দুনিয়া র বৈচিত্রোর মাঝে আ ৷ছি সে ব্যাপারে
আমরা আ ল্লাহ সুখী ৷

শ্

া’;াট্রুশুা,
দুনিয়া আমাদেরকে তার এমন আনন্দ-বেদনার পরিবর্তা দেখায় বা ব কো ৷নটি স্থা ৷য়ী হয় না ৷
াগৃন্পু ন্১ ’;,হ্র;,
আর আমরা তাতে এমন অবস্থায় রয়েছি যেন জীবন ধারণের ক্ষেত্রে জীবি৩ র৷ কােনদিন
আমাদের থেকে পৃথক হবে না আর আমাদের মৃতদের গােকে তারাক কাদবেও না ৷

খলীফ৷ মা মুনের ইনতিকাল হয় ২১৮ (দৃইশ আঠার) হিজরীর রজব মাসের ১৭ (মতের)
তারিখ বৃহস্পতিবার দ্বিপ্ৰহরে ম৩াম্ভরে অপরাহ্নে ত ৷রসুস নগরীতে ৷ এ সময় তার বয়স ছিল ৪৮
(আটচল্লিশ) বছর ৷ তার খিলাফ৷ ৷৩কাল ছিল ২০ (বিশ) বছর কয়েক মাস ৷ তার জানাযার নামায
পড়ান তার তাই তার সিংহাসনের পুর্বঘোষিত উত্তরাধিকারী মু’তাসিম ৷ র্তাকে তারসুসের দারে
খাকান আ ল থাদিমে সমাধিন্থ করা হয় ৷ কারও কারও মতে তার ইনতিকা ৷ল হয় মঙ্গলবার, আর ৷র
কারও মতে বুধবার ২২ (বাইশ) তারিখ ৷ কেউ কেউ বলেন, তিনি তারসুসের বা ৷ইরে চার মনযিল
বা চারদিনের দুরত্বে ইনতিকাল করেন ৷ এরপর তাকে তারসুসে বহন করে আনা হয় এবং
সেখানে সমাধিস্থ করা হয় ৷ আবার কারও কারও মতে তাকে রমযান মাসে উঘৃনায় স্থান৷ ৷ন্তরিত
করা হয় এবং সেখানে দাফন করা হয় ৷ আর আল্লাহ তা জানা সর্বাধিক জানেন ৷ আবু সাঈদ
মাখঃযুমী বলেন-

ষ্ ষ্ #

াশ্ :শ্ ষ্ # ৷শ্শ্ষ্শ্ষ্গু শ্ :শ্ @;

র্গো“

তুমি কি তারকারাজিকে দেখছ যে, তারা খলীফ৷ ৷’মা মুনের কিংবা তার প্রতিষ্ঠিত সাম্রাজ্যের
কোন কাজে এসেছে ৷ লোকেরা তাকে তা ৷রসুস শহরের উপকণ্ঠে রেখে এসেছে যেমন তারা তার
পিতাকে তুস নগরীতে রেখে এভৈসছিল ৷
খলীফ৷ মা’মুন তার ভাই মু’তাসিমের কাছে ওসিয়ত করে যান এবং তিনি তার
(মু’তাসিমের) উপস্থিতিতে এবং তার পুত্র আব্বাস এবং একদল কাযী, উমারা, ওযীর এবং
জীবি৩ দের উপস্থিতিতে তার ওসিয়৩ নামা লিখে যান ৷ এতে তিনি খা ৷ল্কে কুরআনের মতবাদ
ব্যক্ত করেন, তা থেকে তিনি তখনও তওবা করেননি বরং এই আ ৷কীদ৷ নিয়েই মৃত্যুবরণ করেন ৷
আর এই বিশ্বাসে বিশ্বাসী হয়ে তওবা না করা অবস্থায় তার দুনিয়াবী আমল নিঃশেষ হয়ে যায় ৷
এছাড়া ৷তিনি পাচ তাকবীরে তার জ না৷যার নামায পডানাের জন্য ওসিয়ত করে যান ৷ তার তা ৷ই
মু’তাসিমকে আল্লাহ ভীতি এর ৎ প্ৰজাপ্রীতির উপদেশ দিয়ে যান এবং৩ তাকে ওসিয়ত করেন
একুবরআনের’ (খালকের) ব্যাপারে ঐ আকীদ৷ পোষণ করতে যা তার ভাই মা’মুন পোষণ করত
ৎল্যেকদেরকে সেদিকে আহ্বান করতে ৷ এছাড়৷ তিনি তাকে আবদুল্লাহ ইবন তাহির আহমদ


وَكَانَتْ وَفَاةُ الْمَأْمُونِ بِطَرَسُوسَ فِي يَوْمِ الْخَمِيسِ وَقْتَ الظُّهْرِ وَقِيلَ: بَعْدَ الْعَصْرِ لِثَلَاثَ عَشْرَةَ لَيْلَةً بَقِيَتْ مِنْ رَجَبٍ مِنْ سَنَةِ ثَمَانِي عَشْرَةَ وَمِائَتَيْنِ، وَلَهُ مِنَ الْعُمُرِ نَحْوٌ مِنْ ثَمَانٍ وَأَرْبَعِينَ سَنَةً، وَكَانَتْ مُدَّةُ خِلَافَتِهِ عِشْرِينَ سَنَةً وَأَشْهُرًا وَصَلَّى عَلَيْهِ أَخُوهُ الْمُعْتَصِمُ؛ وَهُوَ وَلِيُّ الْعَهْدِ مِنْ بَعْدِهِ، وَدُفِنَ بِطَرَسُوسَ فِي دَارِ خَاقَانَ الْخَادِمِ. وَقِيلَ: كَانَتْ وَفَاتُهُ يَوْمَ الثُّلَاثَاءِ. وَقِيلَ: يَوْمَ الْأَرْبِعَاءِ لِثَمَانٍ خَلَوْنَ مِنْ رَجَبٍ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ، وَقِيلَ: إِنَّهُ مَاتَ خَارِجَ طَرَسُوسَ بِأَرْبَعِ مَرَاحِلَ، فَحُمِلَ إِلَيْهَا فَدُفِنَ بِهَا. وَقِيلَ: إِنَّهُ نُقِلَ بَعْدَ ذَلِكَ إِلَى أَذَنَةَ فِي رَمَضَانَ فَدُفِنَ بِهَا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ قَالَ أَبُو سَعِيدٍ الْمَخْزُومِيُّ: مَا رَأَيْتُ النُّجُومَ أَغْنَتْ عَنِ الْمَأْ ... مُونِ فِي عِزِّ مُلْكِهِ الْمَأْسُوسِ خَلَّفُوهُ بِعَرْصَتَيْ طَرَسُوسَ ... مِثْلَ مَا خَلَّفُوا أَبَاهُ بِطُوسِ
পৃষ্ঠা - ৮৫২২
وَقَدْ كَانَ أَوْصَى إِلَى أَخِيهِ أَبِي إِسْحَاقَ الْمُعْتَصِمِ، وَكَتَبَ وَصِيَّتَهُ بِحَضْرَةِ ابْنِهِ الْعَبَّاسِ، وَجَمَاعَةِ الْقُضَاةِ وَالْأُمَرَاءِ وَالْوُزَرَاءِ وَالْكُتَّابِ، وَفِيهَا الْقَوْلُ بِخَلْقِ الْقُرْآنِ، وَلَمْ يَتُبْ مِنْ ذَلِكَ حَتَّى أَدْرَكَهُ أَجَلُهُ وَانْقَضَى عَمَلُهُ، وَهُوَ عَلَى ذَلِكَ لَمْ يَرْجِعْ عَنْهُ وَلَمْ يَتُبْ مِنْهُ، وَأَوْصَى أَنْ يُكَبِّرَ عَلَيْهِ الَّذِي يُصَلِّي عَلَيْهِ خَمْسًا، وَأَوْصَى أَخَاهُ أَبَا إِسْحَاقَ الْمُعْتَصِمَ بِتَقْوَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ وَالرِّفْقِ بِالرَّعِيَّةِ، وَأَنْ يَعْتَقِدَ مَا كَانَ يَعْتَقِدُهُ أَخُوهُ الْمَأْمُونُ فِي الْقُرْآنِ، وَأَنْ يَدْعُوَ النَّاسَ إِلَى ذَلِكَ، وَأَوْصَاهُ بِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ طَاهِرٍ، وَإِسْحَاقَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، وَأَحْمَدَ بْنِ أَبِي دَاوُدَ الْقَاضِي، وَقَالَ: شَاوِرْهُ فِي أُمُورِكَ كُلِّهَا وَلَا تُفَارِقْهُ، وَحَذَّرَهُ مِنْ يَحْيَى بْنِ أَكْثَمَ وَنَهَاهُ عَنْهُ وَذَمَّهُ، وَقَالَ: خَانَنِي وَنَفَّرَ النَّاسَ عَنِّي، فَفَارَقْتُهُ غَيْرَ رَاضٍ عَنْهُ، ثُمَّ أَوْصَاهُ بِالْعَلَوِيِّينَ خَيْرًا؛ أَنْ يَقْبَلَ مِنْ مُحْسِنِهِمْ، وَيَتَجَاوَزَ عَنْ مُسِيئِهِمْ، وَأَنْ يُوَاصِلَهُمْ بِصِلَاتِهِمْ فِي كُلِّ سَنَةٍ. وَقَدْ ذَكَرَ ابْنُ جَرِيرٍ لِلْمَأْمُونِ تَرْجَمَةً حَافِلَةً، أَوْرَدَ فِيهَا أَشْيَاءَ كَثِيرَةً لَمْ يَذْكُرْهَا الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ مَعَ كَثْرَةِ مَا يُورِدُهُ، وَفَوْقَ كُلِّ ذِي عِلْمٍ عَلِيمٌ.
পৃষ্ঠা - ৮৫২৩


ইবন ইবরাহীম, আহমদ ইবন আবু দাউদ-এদের ব্যাপারে ওসিয়ত করেন এবং শেষেড়াক্তজনের
ব্যাপারে বলেন, তোমার বিষয়াদিতে তার সাথে পরামর্শ করবে এবং তাকে ত্যাগ করবে না ৷ আর
ইয়াহ্ইয়া ইবন আকছামের সাহচর্য থেকে সাবধান থাকবে ৷ একথার পর তিনি তার (ইয়াহ্ইয়ার)
নিন্দা করে তাকে তার সাথে সম্পর্কের ব্যাপারে নিষেধ করেন এবং তার সম্পর্কে বলো, সে তো
আমার সাথে খিয়ানত করে লেড়াকজনকে আমার থেকে দুরে সরিয়ে দিয়েছে ৷ ফলে আমি
অসন্তুষ্ট হয়ে তাকে বর্জন করেছি ৷ এরপর তিনি তাকে আলাবীদের ব্যাপারে সদাচড়ারের ওসিয়ত
করেন ৷ তাদের স্বজনদের সাদরে গ্রহণ করতে, অপরাধীদের মার্জনা করতে এবং প্রতিবছর
তাদেরকে তাদের প্রাপ্য অনুদানের মাধ্যমে সম্পর্কের বন্ধনে বেধে রাখতে বলেন ৷

এছাড়া ইবন জারীর খলীফা মামুনের এক বর্ণাঢা জীবন চরিত উল্লেখ করেছেন, তাতে তিনি
এমন অনেক বিষয় উল্লেখ করেছেন যা ইবন আসাকির তার বহু তথ্যের মধ্যে ও উল্লেখ করেন
নি ৷ আর প্রত্যেক জ্ঞানীর উপর রয়েছেন এক মহাজ্ঞানী ৷

আবু ইসহাক ইবন হারুন মুতাসিম বিল্লাহ্র খিলাফত

তার ভাই খলীফা মা’মুন যেদিন তারসুসে মৃত্যুবরণ করেন, সেদিনই তার খিলাফতের
অনুকুলে বায়আত গৃহীত হয় ৷ এ সময় তিনি অসুস্থ ছিলেন ৷ আর তিনিই তার ভাই মা’মুনের
জানযাের নামায পড়ান ৷ এসময় কোন কোন আমীর আব্বাস ইবন মা’মুনকে কর্তৃত্ব প্রদানের জন্য
সচেষ্ট হয় কিন্ত আব্বাস তাদের সে চেষ্টায় বিরোধিতা করে বলেন, এই শীতল বিশ্বাসভঙ্গের
তাৎপর্য কী ? আমিতো আমার পিতৃব্য মু’তাসিমের হাতে বায়আত গ্রহণ করেছি ৷ তখন লোকজন
শান্ত হয়, ফিতনা ও বিশৃগ্রলার আগুন স্তিমিত হয় এবং দুতগণ মুতাসিমের অনুকুলে বায়আত
গ্রহণের জন্য এবং খলীল মা’মুনের মৃত্যুলোকের সান্তুনা প্রচারের জন্য ইসলামী সাম্রাজ্যের
দুর-দুরান্তে রওয়ানা হয়ে যান ৷ এরপর খলীফা মু’তাসিম তার ভইি মামুন তুওয়ড়ানা শহরে যা কিছু
নির্মাণ করেন তা ভেঙ্গে ফেলার এবং সেখানে যে সকল অস্ত্রশস্ত্র ও সামগ্রী স্থানান্তরিত করা হয় তা
মুসলমানদের দুর্গসমুহে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন ৷ আর তিনি সকল নির্মাণ কর্মীকে স্ব স্ব
দেশে ফিরে যাওয়ার অনুমতি প্রদান করেন ৷ এরপর তিনি ভ্রাতৃম্পুত্র আব্বাস ইবন মামুনকে নিয়ে
সৈন্যসহ বাপদাদের উদ্দেশ্যে রওনা হন এবং রমযান মাসের শুরুতে শনিবার দিন পুর্ণ সাজসজ্জা ও
বিপুল জাকজমকের সাথে সেখানে প্রবেশ করেন ৷

এদিকে এ বছর হামদান, ইসপাহান, মাসবাযান এবং মিহরজােন অঞ্চলের বহু সংখ্যক লোক
খুররমী ধর্মে ধর্মান্তরিত হয় এবং তাদের এক বিশাল ণ্জাট গঠিত হয় ৷ তখন মুতাসিম তাদের
বিরুদ্ধে বহুসংখ্যক সৈন্য প্রেরণ করেন যাদের সর্বশেষে বিশাল এক বাহিনীর সাহচর্যে প্রেরণ
করেন ইসহাক ইসহাক ইবন ইবরাহীম ইবন মুসঅড়াবকে এবং তাকে আলজিবাল’ (অর্থাৎ সকল
পার্বত্য) অঞ্চলের কর্তৃতু অর্পণ করেন ৷ ইসহাক অভিযানে বের হন যিলকদ মাসে আর তার
বিজয়পত্র পাঠ করা হয় যিলহাজ্জ্ব মাসের আট তারিখে এই মর্মে যে তিনি খুররমীদের পরাজিত
করেছেন, তাদের বহুজনকে হত্যা করেছেন এবং অবশিষ্টরা রােমকভৃখণ্ডে পলায়ন করেছে ৷
এছাড়া এই খলীফার সামনেই ইমাম আহমদ ইবন হাম্বল সেই নির্যাতনমুলক ফিতনা ও পরীক্ষার
শিকার হন এবং তাকে তার সামনে উপ ত করে ভীষণ প্রহড়ার করা হয় ৷ যার বিশদ বিবরণ

আল-বিদায়া ওয়ৰুননিহায়৷ (১৩ম খণ্ড)-৬১

০০ ৷৷া



[خِلَافَةُ الْمُعْتَصِمِ بِاللَّهِ بْنِ هَارُونَ الرَّشِيدِ] خِلَافَةُ الْمُعْتَصِمِ بِاللَّهِ أَبِي إِسْحَاقَ مُحَمَّدِ بْنِ هَارُونَ الرَّشِيدِ بُويِعَ لَهُ بِالْخِلَافَةِ يَوْمَ مَاتَ أَخُوهُ الْمَأْمُونُ بِطَرَسُوسَ يَوْمَ الْخَمِيسِ الثَّامِنَ عَشَرَ مِنْ رَجَبٍ مِنْ سَنَةِ ثَمَانِي عَشْرَةَ وَمِائَتَيْنِ وَكَانَ إِذْ ذَاكَ مَرِيضًا، وَهُوَ الَّذِي صَلَّى عَلَى أَخِيهِ الْمَأْمُونِ وَقَدْ شَغَبَ بَعْضُ الْجُنْدِ فَأَرَادُوا أَنْ يُوَلُّوا الْعَبَّاسَ بْنَ الْمَأْمُونِ فَخَرَجَ عَلَيْهِمُ الْعَبَّاسُ فَقَالَ لَهُمْ: مَا هَذَا الْحُبُّ الْبَارِدُ؟ أَنَا قَدْ بَايَعْتُ عَمِّي الْمُعْتَصِمَ. فَسَكَنَ النَّاسُ وَخَمَدَتِ الْفِتْنَةُ، وَرَكِبَ الْبُرُدُ بِالْبَيْعَةِ لِلْمُعْتَصِمِ إِلَى الْآفَاقِ، وَبِالتَّعْزِيَةِ بِالْمَأْمُونِ. فَأَمَرَ الْمُعْتَصِمُ بِهَدْمِ مَا كَانَ بَنَاهُ الْمَأْمُونُ فِي مَدِينَةِ طَوَانَةَ وَأَمَرَ بِإِبْطَالِ ذَلِكَ، وَنَقْلِ مَا كَانَ حَوَّلَ إِلَيْهَا مِنَ السِّلَاحِ وَغَيْرِ ذَلِكَ، وَأَذِنَ لِلْفَعَلَةِ بِالِانْصِرَافِ إِلَى بُلْدَانِهِمْ وَأَقَالِيمِهِمْ، ثُمَّ رَكِبَ الْمُعْتَصِمُ فِي الْجُنُودِ قَاصِدًا بَغْدَادَ وَصُحْبَتُهُ الْعَبَّاسُ بْنُ الْمَأْمُونِ فَدَخَلَهَا يَوْمَ السَّبْتِ مُسْتَهَلَّ شَهْرِ رَمَضَانَ فِي أُبَّهَةٍ عَظِيمَةٍ وَتَجَمُّلٍ تَامٍّ.
পৃষ্ঠা - ৮৫২৪


ইমাম আহমদ ইবন হাম্বল (র)-এর জীবনীতে ২৪ ১ (দুইশ একচল্লি ) ন্থিক্তই স্ষ্ন্ণ্ র্ভর্ভুল্চন্হ্

শীঘ্রই আসছে ৷

এছাড়া এ বছর অন্য যে সকল বিশিষ্টজন মৃত্যুবরণ করেন র্তাদের অন্যতম হলো

ৰিশর আল-মুরায়সী

এই ব্যক্তির পুর্ণ নাম হল বিশর ইবন গিয়াছ ইবন আবু কারীমা আবু আবদুর রহমান
আল-মুরায়সী কালাম শাস্ত্রবিদ এবং মু’তাযিলীদের গুরু, খলীফা মা’মুনকে যারা বিভ্রান্ত করেছিলে
এ হল তাদের অন্যতম ৷ প্রথম জীবনে এই ব্যক্তি কিঞ্চিৎ ফিকাহশাস্ত্র চর্চা করত এবং তখন সে
কাযী আবু ইউসুফ থেকে ইলুম ফিকাহ শিক্ষা করে ৷ তার থেকে হস্ফোদ ইবন সালামা থেকে,
সুফিয়ান ইবন উয়ায়না থেকে এবং অন্যদের থেকে হাদীস রিওয়ায়াত করে ৷ এরপর তার উপর
ইলমুল কালাম শাস্তের তীব্র প্রভাব দেখা দেয় ৷ আর ইতিপুর্বে ইমাম শাফিঈ (র) তাকে তা
শিখতে এবং তার চর্চা করতে নিষেধ করেন ৷ কিভু সে তার কথা গ্রহণ করেনি ৷ আর (ইলমুল
কালাম সম্পর্কে) ইমাম শাফিঈ বলেন, শিরক ব্যতীত আর সকল পাপ নিয়ে বান্দার আল্লাহর সাথে
সাক্ষাৎ করা আমার কাছে ইলমুল কালাম নিয়ে সাক্ষাৎ করার চেয়ে আন্ক পসন্দনীয় ৷ ইমাম
শাফিঈ (র) যখন বাগদাদে আসেন তখন ৰিশর তার সাথে মিলিত হয় ৷

ইবন খাল্লিকান বলেন, যে (মিশর) নতুনভাবে থালকে কুরআনের মতবাদের উদ্ভব ঘটায়
এবং তার সম্পর্কে কদর্য মতামত বর্ণিত আছে ৷ আর সে মুরজিয়া এবং মুরজিয়াদের শাখা
মুরায়সিয়াকে তারই দিকে সম্পৃক্ত করা হয় ৷ সে বলত, চন্দ্র সুর্যকে সিজদা বা প্রমান করা কুফরী
নয় ৷ তা হল কুফরীর চিহ্ন মাত্র ৷ সে ইমাম শাফিঈর সাথে বিতর্কে লিপ্ত হত ৷ আর নাহু বা আরই
ব্যাকরণ শাদ্রে তার দুর্বলতা ছিল ফলে সে গুরুতর ব্যাকরণগত ত্রুটির শিকার হত ৷ বলা হয় তর
পিতা ছিল কুফার জনৈক ইয়াহ্রদী রঞ্জক কর্মী ৷ আর সে বাস করত বাপদাদের মুরায়সী পলিক্রুত ৰু
আর মুরায়স’ হল ঘি ও খেজুর মিশ্রিত চাপাতি (পাতলা) রুটি বিশেষ ৷ ইবন খাল্লিকান বলেন
মুরায়স হল নাওব৷ অঞ্চলের একটি ভুখণ্ড যেখানে শীত মৌসুমে হিরুণ্ণ্ল বায়ু প্রবাহিত হয় ৷

এছাড়া এ বছর আবদুল্লাহ ইবন ইউসুফ আশ-শায়বী, আবু মুসহির আবদুল আ’লা ইবন
ঘুস্হির আলপাসসানী আদ-দামেশকী এবং ইয়াহ্ইয়া ইবন আবদুল্লাহ আল-বাবলতি মৃত্যুবরণ
করেন ৷ আরো যারা মৃত্যুবরণ করে ন্



আবু মুহাম্মদ আবদুল মালিক ইবন হিশাম ইবন আইয়ুব আল-মুআফিরী

ইনি ছিলেন যিয়াদ ইবন আবদুল্লাহ্ আল-বাকালঈ সুত্রে (নবী জীবনী গ্রন্থ) আস-সীরাতএর
বর্ণনড়াকারী তার মুল লেখক ইবন ইসহাক থেকে ৷ এই সীরাত গ্নন্থকে তার দিকে সম্পৃক্ত র্ভর
সীরাতে ইবন হিশাম বলা হয় ৷ কেননা তিনিই এর পরিমার্জন , পরিবর্ধন ও সংকোচন এবং ন্ন্থন্
বিশেষে সম্পাদনা ও অনেক কিছু সংযোজন করেছেন ৷ ইনি ছিলেন আরবী তথ্যে ও ব্যাকরণ শত্বম্ভের
পুরোধা ৷ ইনি মিসরে অবস্থান করতেন ৷ ইমাম শাফিঈ যখন সেখানে যান তখন ৷ট্রনি তার সঙ্গে;
মিলিত হন এবং তারা উভয়ে একে অন্যকে বহু ত্খভ্রক আরবী কবিতা আবৃত্তি করে শেদ্ন্
ইবন হিশাম এ বছরের রবীউল আখির মাসের তের তাস্কিখ স্নিসরে ইনতিকাল করেন ৷ তইন্দুহ্


وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ دَخَلَ خَلْقٌ كَثِيرٌ مِنْ أَهْلِ هَمَذَانَ وَأَصْبَهَانَ وَمَاسَبَذَانَ، وَمِهْرَجَانَ فِي دِينِ الْخُرَّمِيَّةِ، فَتَجَمَّعَ مِنْهُمْ بَشَرٌ كَثِيرٌ فَجَهَّزَ إِلَيْهِمِ الْمُعْتَصِمُ جُيُوشًا كَثِيرَةً، آخِرُ مَنْ جَهَّزَ إِلَيْهِمْ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُصْعَبٍ فِي جَيْشٍ عَظِيمٍ، وَعَقَدَ لَهُ عَلَى الْجِبَالِ فَخَرَجَ مِنْ بَغْدَادَ فِي ذِي الْقَعْدَةِ، وَقُرِئَ كِتَابُهُ بِالْفَتْحِ يَوْمَ التَّرْوِيَةِ، وَأَنَّهُ قَهَرَ الْخُرَّمِيَّةَ، وَقَتَلَ مِنْهُمْ خَلْقًا كَثِيرًا، وَهَرَبَ بَقِيَّتُهُمْ إِلَى بِلَادِ الرُّومِ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ. وَعَلَى يَدَيْهِ جَرَتْ فِتْنَةُ الْإِمَامِ أَحْمَدَ بْنِ حَنْبَلٍ وَضُرِبَ بَيْنَ يَدَيْهِ كَمَا سَيَأْتِي بَسْطُ ذَلِكَ فِي تَرْجَمَةِ أَحْمَدَ عِنْدَ ذِكْرِ وَفَاتِهِ فِي سَنَةِ إِحْدَى وَأَرْبَعِينَ وَمِائَتَيْنِ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ وَبِهِ الثِّقَةُ. وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ صَالِحُ بْنُ الْعَبَّاسِ بْنِ مُحَمَّدٍ وَضَحَّى أَهْلُ مَكَّةَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ، وَأَهْلُ بَغْدَادَ ضَحَّوْا يَوْمَ السَّبْتِ. [مَنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ] وَمِمَّنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْمَشَاهِيرِ وَالْأَعْيَانِ: بِشْرٌ الْمَرِيسِيُّ. وَهُوَ بِشْرُ بْنُ غِيَاثِ بْنِ أَبِي كَرِيمَةَ، أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمَرِيسِيُّ
পৃষ্ঠা - ৮৫২৫
الْمُتَكَلِّمُ شَيْخُ الْمُعْتَزِلَةِ، وَأَحَدُ مَنْ أَضَلَّ الْمَأْمُونَ وَقَدْ كَانَ هَذَا الرَّجُلُ يَنْظُرُ أَوَّلًا فِي شَيْءٍ مِنَ الْفِقْهِ، وَأَخَذَ عَنِ الْقَاضِي أَبِي يُوسُفَ، وَرَوَى الْحَدِيثَ عَنْهُ، وَعَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ وَسُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ وَغَيْرِهِمْ، ثُمَّ غَلَبَ عَلَيْهِ عِلْمُ الْكَلَامِ، وَقَدْ نَهَاهُ الشَّافِعِيُّ عَنْ تَعَلُّمِهِ وَتَعَاطِيهِ فَلَمْ يَقْبَلْ مِنْهُ، وَقَالَ الشَّافِعِيُّ: لَأَنْ يَلْقَى اللَّهَ الْعَبْدُ بِكُلِّ ذَنْبٍ مَا عَدَا الشِّرْكَ بِاللَّهِ أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ أَنْ يَلْقَاهُ بِعِلْمِ الْكَلَامِ. وَقَدِ اجْتَمَعَ بِشْرٌ بِالشَّافِعِيِّ عِنْدَمَا قَدِمَ الشَّافِعِيُّ بَغْدَادَ. وَقَالَ الْقَاضِي ابْنُ خِلِّكَانَ: جَرَّدَ الْقَوْلَ بِخَلْقِ الْقُرْآنِ، وَحُكِيَ عَنْهُ أَقْوَالٌ شَنِيعَةٌ، وَكَانَ مُرْجِئِيًّا، وَإِلَيْهِ تُنْسَبُ الْمَرِيسِيَّةُ مِنَ الْمُرْجِئَةِ، وَكَانَ يَقُولُ: إِنَّ السُّجُودَ لِلشَّمْسِ وَالْقَمَرِ لَيْسَ بِكُفْرٍ، وَإِنَّمَا هُوَ عَلَامَةُ الْكُفْرِ، وَكَانَ يُنَاظِرُ الْإِمَامَ الشَّافِعِيَّ، وَكَانَ لَا يُحْسِنُ النَّحْوَ، وَكَانَ يَلْحَنُ لَحْنًا فَاحِشًا، وَيُقَالُ: إِنَّ أَبَاهُ كَانَ يَهُودِيًّا صَبَّاغًا بِالْكُوفَةِ. وَكَانَ يَسْكُنُ دَرْبَ الْمَرِيسِ بِبَغْدَادَ، وَالْمَرِيسُ عِنْدَهُمْ هُوَ الْخُبْزُ الرُّقَاقُ يُمْرَسُ بِالسَّمْنِ وَالتَّمْرِ. قَالَ: وَمَرِيسُ نَاحِيَةٌ بِبِلَادِ النُّوبَةِ تَهُبُّ عَلَيْهَا فِي الشِّتَاءِ رِيحٌ بَارِدَةٌ. قُلْتُ: ثُمَّ رَاجَ بِشْرٌ الْمَرِيسِيُّ عِنْدَ الْمَأْمُونِ وَحَظِيَ
পৃষ্ঠা - ৮৫২৬
عِنْدَهُ، وَقُدِّمَ فِي حَضْرَتِهِ، وَنَفَقَ سُوقُهُ الْكَاسِدُ، وَاسْتُجِيدَ ذِهْنُهُ الْبَارِدُ. وَلَمَّا تُوُفِّيَ فِي ذِي الْحِجَّةِ مِنْ هَذَا الْعَامِ أَوِ الَّذِي قَبْلَهُ فِي قَوْلٍ - صَلَّى عَلَيْهِ رَجُلٌ مِنَ الْمُحَدِّثِينَ يُقَالُ لَهُ: عُبَيْدٌ الشُّونِيزِيُّ. فَلَامَهُ بَعْضُ الْمُحَدِّثِينَ، فَقَالَ لَهُمْ: أَلَا تَسْمَعُونَ كَيْفَ دَعَوْتُ لَهُ فِي صَلَاتِي؟ قُلْتُ: اللَّهُمَّ إِنَّ عَبْدَكَ هَذَا كَانَ يُنْكِرُ عَذَابَ الْقَبْرِ، اللَّهُمَّ فَأَذِقْهُ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ، وَكَانَ يُنْكِرُ شَفَاعَةَ نَبِيِّكَ فَلَا تَجْعَلْهُ مِنْ أَهْلِهَا، وَكَانَ يُنْكِرُ رُؤْيَتَكَ فِي الدَّارِ الْآخِرَةِ فَاحْجُبْ وَجْهَكَ الْكَرِيمَ عَنْهُ. فَقَالُوا لَهُ: أَصَبْتَ. وَهَذَا الَّذِي نَطَقَ بِهِ بَعْضُ السَّلَفِ حَيْثُ قَالُوا: مَنْ كَذَّبَ بِكَرَامَةٍ لَمْ يَنَلْهَا. وَفِي هَذَا الْعَامِ تُوُفِّيَ: عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ التِّنِّيسِيُّ. وَأَبُو مُسْهِرٍ عَبْدُ الْأَعْلَى بْنُ مُسْهِرٍ الْغَسَّانِيُّ الدِّمَشْقِيُّ. وَيَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْبَابْلُتِّيُّ. وَأَبُو مُحَمَّدٍ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ هِشَامِ بْنِ أَيُّوبَ الْحِمْيَرِيُّ الْمَعَافِرِيُّ. رَاوِي
পৃষ্ঠা - ৮৫২৭
السِّيرَةِ عَنْ زِيَادِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْبَكَّائِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ مُصَنِّفِهَا، وَإِنَّمَا تُنْسَبُ إِلَيْهِ فَيُقَالُ: سِيرَةُ ابْنِ هِشَامٍ لِأَنَّهُ هَذَّبَهَا وَزَادَ فِيهَا وَنَقَصَ مِنْهَا، وَحَرَّرَ أَمَاكِنَ، وَاسْتَدْرَكَ أَشْيَاءَ. وَكَانَ إِمَامًا فِي اللُّغَةِ وَالنَّحْوِ، وَكَانَ مُقِيمًا بِمِصْرَ، وَقَدِ اجْتَمَعَ بِهِ الشَّافِعِيُّ حِينَ وَرَدَهَا، وَتَنَاشَدَا مِنْ أَشْعَارِ الْعَرَبِ شَيْئًا كَثِيرًا. وَكَانَتْ وَفَاتُهُ بِمِصْرَ لِثَلَاثَ عَشْرَةَ خَلَتْ مِنْ رَبِيعٍ الْآخِرِ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ، قَالَهُ ابْنُ يُونُسَ فِي " " تَارِيخِ مِصْرَ " ". وَزَعَمَ السُّهَيْلِيُّ أَنَّهُ تُوُفِّيَ فِي سَنَةِ ثَلَاثَ عَشْرَةَ كَمَا تَقَدَّمَ فَاللَّهُ أَعْلَمُ.