আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ست عشرة ومائتين

পৃষ্ঠা - ৮৪৯১


অধীনস্থ প্রশাসনিক অঞ্চলসমুহের জন্য ইসহড়াক ইবন ইব্রাহীম ইবন মুসআবকে তীর স্থলবর্তী
নিয়োগ করেন ৷ মামুন যখন তিকরীতে পৌছেন তখন সেখানে মুহাম্মদ ইবন আলী ইবন মুসা
ইবন জাফর ইবন মুহাম্মদ ইবন আলী ইবন হুসায়ন ইবন আলী ইবন আবু তালিব মদীনা থেকে
আগমন করে তীর সাথে সাক্ষাৎ করেন ৷ তখন মামুন তীকে তীর কন্যা উম্মুল ফযল বিনৃত
মামুনের সাথে সাক্ষড়াতের অনুমতি প্রদান করেন ৷ আর মুহাম্মদ ইবন আলী তীর পিতা আলী ইবন
মুসার জীবদ্দশায় মামুন কন্যার সাথে পরিণয় সুত্রে আবদ্ধ হয়েছিলেন ৷ তখন মুহাম্মদ ইবন আলী
তীর ত্রীর সাথে একান্তে মিলিত হন এবং তাকে তার সাথে হিজাযে নিয়ে যান ৷ এছাড়া তীর ভাই
আবু ইসহাক ইবনুর রশীদ, তিনি মাওসিলে পৌছার পুর্বে মিসর ভুখণ্ড থেকে আগমন করে তীর
সাথে সাক্ষাত করেন ৷ এরপর বিপুল সংখ্যক ফৌজ নিয়ে খলীফা মামুন তারসুস অভিমুখে
অগ্রসর হন এবং জুমাদাল উলা মাসে সেখানে প্রবেশ করেন ৷ সেখানে তিনি বলপ্রয়ােগের মাধ্যমে
একটি দুর্গ জয় করেন এবং তা ধ্বংস করে ফেলার নির্দেশ প্রদান করেন ৷ এরপর তিনি দামেশকে
ফিরে আসেন এবং সেখানে অবস্থান গ্রহণ করেন ৷ এ সময় তিনি কাসিয়ুগ পাহাড়ের পাদদেশে
দায়রমারাত মহল্লা আবাদ করেন এবং বেশ কিছুদিন দামেশকে অবস্থান করেন ৷ এ বছর আবদৃল্লাহ্
ইবন উবায়দুল্লাহ ইবনুল আব্বাস আল আব্বাসী লোকদের নিয়ে হজ্জ আদায় করেন ৷

এছাড়া এবছর আবু যায়দ আল-আনসারী, মুহাম্মদ ইবনুল মুবারক আস-সুরী, কাবীসা ইবন
উকবা, আলী ইবন হাসান ইবন শাকীক এবং মাকী ইবন ইব্রাহীম ইনতিকাল করেন ৷

আবু যায়দ আল আনসারী

তিনি হলেন সাঈদ ইবন আওস ইবন ছাৰিত আল-বসরী , বিশিষ্ট ভাষাবিদ এবং অত্যন্ত
নির্ভরষেগ্যে ও আস্থাভাজন ব্যক্তি ৷ বলা হয়, তিনি লায়লাতুল কদর অর্থাৎ শবে কদর প্রত্যক্ষ
করতেন ৷ আবু উছুমান মাযিনী বলেন, আমি (এরপর) আসমাঈকে দেখলাম তিনি আবু যায়দের
কাছে আসলেন এবং তীর মাথা চুম্বন করে তীর সামনে বসে বললেন, পঞ্চাশ বছর যাবৎ আপনি
আমাদের নেতা ও প্রধান ৷ ইবন খাল্লিকান বলেন, তীর বহু রচনা বিদ্যমান, তন্মধ্যে মার্নবসৃষ্টি’ ,
উটের বই’ পানির বই’ পারসিকগণ ও যুদ্ধাস্তের বই’ এবং অন্যান্য বই রয়েছে ৷ তিনি এ বছর
ইনতিকাল করেন, অবশ্য একথাও বলা হয় যে, এর পুর্ববর্তী বছর কিংবা পরবর্তী বছর ৷ এসময়
তীর বয়স ছিল সত্তরের অধিক ৷ মতাম্ভরে একশর কাছাকাছি ৷ আর আবু সুলায়মান, তীর জীবন
চরিত আমরা পুর্বেই উল্লেখ করেছি ৷

২১৬ হিজরীর সুচনা

এ বছরই রােমসম্রাট মীখাইল পুত্র তৃফায়ল একদল মুসলমানের সাথে বাড়াবাড়ি করে ৷
তারসুস ভুখণ্ডে সে তীদের হত্যা করে ৷ তাদের সংখ্যা ছিল ষোলশর মতো ৷ এরপর সে নিজের
নাম দ্বারা পত্রের সুচনা করে খলীফা মা’মুনের কাছে পত্র প্রেরণ করে ৷ মা’মুন যখন তার পত্র পাঠ
করেন তখন তিনি কােনরু প যাত্রাবিরতি না করে তৎক্ষণাৎ রােমক ভুখণ্ডের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন ৷
এসময় তীর ভাই সিরিয়া ও মিসরের শাসক আবুইসহাক ইবন রশীদ তীকে সাহচর্য প্রদান করেন ৷
এ অভিযানে তিনি সন্ধির ভিত্তিতে এবং বল প্রয়োগের মাধ্যমে বহু শহর জয় করেন ৷ আর তীর
ভাই তিরিশটি দুর্গ জয় করেন ৷ এছাড়া তিনি ইয়াহ্ইয়া ইবন আকছামকে ঝটিকাবাহিনী দিয়ে


[سَنَةُ سِتَّ عَشْرَةَ وَمِائَتَيْنِ] [الْأَحْدَاثُ الَّتِي وَقَعَتْ فِيهَا] ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ سِتَّ عَشْرَةَ وَمِائَتَيْنِ فِيهَا عَدَا مَلِكُ الرُّومِ وَهُوَ تَوْفِيلُ بْنُ مِيخَائِيلَ فَقَتَلَ جَمَاعَةً مِنَ الْمُسْلِمِينَ فِي أَرْضِ طَرَسُوسَ؛ نَحْوًا مِنْ أَلْفٍ وَسِتِّمِائَةِ إِنْسَانٍ، وَيُقَالُ: إِنَّهُ أَيْضًا كَتَبَ إِلَى الْمَأْمُونِ فَبَدَأَ بِنَفْسِهِ فَلَمَّا قَرَأَ الْمَأْمُونُ كِتَابَهُ نَهَضَ مِنْ فَوْرِهِ، فَرَكِبَ فِي الْجُيُوشِ إِلَى بِلَادِ الرُّومِ عَوْدًا عَلَى بَدْءٍ، وَصُحْبَتُهُ أَخُوهُ أَبُو إِسْحَاقَ بْنُ الرَّشِيدِ نَائِبُ الشَّامِ وَمِصْرَ، فَافْتَتَحَ بُلْدَانًا كَثِيرَةً صُلْحًا وَعَنْوَةً، وَافْتَتَحَ أَخُوهُ ثَلَاثِينَ حِصْنًا، وَبَعَثَ الْمَأْمُونُ يَحْيَى بْنَ أَكْثَمَ فِي سَرِيَّةٍ إِلَى طُوَانَةَ فَافْتَتَحَ بِلَادًا كَثِيرَةً، وَأَسَرَ خَلْقًا مِنَ الذَّرَارِيِّ وَغَيْرِهِمْ، وَقَتَلَ خَلْقًا مِنْ الرُّومِ، وَحَرَقَ حُصُونًا عِدَّةً، ثُمَّ عَادَ سَالِمًا مُؤَيَّدًا إِلَى الْعَسْكَرِ. وَأَقَامَ الْمَأْمُونُ بِبِلَادِ الرُّومِ مِنْ نِصْفِ جُمَادَى الْآخِرَةِ إِلَى نِصْفِ شَعْبَانَ، ثُمَّ عَادَ إِلَى دِمَشْقَ وَقَدْ وَثَبَ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ: عُبْدُوسٌ الْفِهْرِيُّ فِي شَعْبَانَ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ بِبِلَادِ مِصْرَ، فَتَغَلَّبَ عَلَى نُوَّابِ أَبِي إِسْحَاقَ بْنِ الرَّشِيدِ، وَقَوِيَتْ شَوْكَتُهُ، وَاتَّبَعَهُ خَلْقٌ كَثِيرٌ، فَرَكِبَ الْمَأْمُونُ مِنْ دِمَشْقَ يَوْمَ الْأَرْبِعَاءِ لِأَرْبَعَ عَشْرَةَ خَلَتْ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ إِلَى الدِّيَارِ الْمِصْرِيَّةِ، فَكَانَ مِنْ أَمْرِهِ مَا سَنَذْكُرُهُ.
পৃষ্ঠা - ৮৪৯২
وَفِيهَا كَتَبَ الْمَأْمُونُ إِلَى إِسْحَاقَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ نَائِبِ بَغْدَادَ وَمَا وَالَاهَا مِنَ الْبِلَادِ، يَأْمُرُهُ أَنْ يَأْمُرَ النَّاسَ بِالتَّكْبِيرِ عَقِيبَ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسِ فَكَانَ أَوَّلَ مَا بُدِئَ بِهِ فِي جَامِعِ الْمَدِينَةِ وَالرُّصَافَةِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ لِأَرْبَعَ عَشْرَةَ لَيْلَةً خَلَتْ مِنْ رَمَضَانَ، أَنَّهُمْ لَمَّا قَضَوُا الصَّلَاةَ قَامَ النَّاسُ قِيَامًا فَكَبَّرُوا ثَلَاثَ تَكْبِيرَاتٍ، ثُمَّ اسْتَمَرُّوا عَلَى ذَلِكَ فِي بَقِيَّةِ الصَّلَوَاتِ، وَهَذِهِ بِدْعَةٌ أَحْدَثَهَا الْمَأْمُونُ بِلَا مُسْتَنَدٍ وَلَا دَلِيلٍ وَلَا مُعْتَمَدٍ فَإِنَّ هَذَا لَمْ يَفْعَلْهُ قَبْلَهُ أَحَدٌ وَلَكِنْ ثَبَتَ فِي " " الصَّحِيحِ " " عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ رَفْعَ الصَّوْتِ بِالذِّكْرِ كَانَ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ يَنْصَرِفُ النَّاسُ مِنَ الْمَكْتُوبَةِ. وَقَدِ اسْتَحَبَّ هَذَا طَائِفَةٌ مِنَ الْعُلَمَاءِ كَابْنِ حَزْمٍ وَغَيْرِهِ. وَقَالَ ابْنُ بَطَّالٍ: الْمَذَاهِبُ الْأَرْبَعَةُ وَغَيْرُهُمْ عَلَى عَدَمِ اسْتِحْبَابِهِ. قَالَ النَّوَوِيُّ: وَقَدْ رُوِيَ عَنِ الشَّافِعِيِّ أَنَّهُ قَالَ: إِنَّمَا كَانَ ذَلِكَ لِيَعْلَمَ النَّاسُ أَنَّ الذِّكْرَ بَعْدَ الصَّلَوَاتِ مَشْرُوعٌ، فَلَمَّا عُلِمَ ذَلِكَ لَمْ يَبْقَ لِلْجَهْرِ مَعْنًى. وَهَذَا كَمَا رُوِيَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّهُ كَانَ يَجْهَرُ بِالْفَاتِحَةِ فِي صَلَاةِ الْجِنَازَةِ لِيَعْلَمَ النَّاسُ أَنَّهَا سُنَّةٌ، وَلِهَذَا نَظَائِرُ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ৮৪৯৩

তুওয়ানা ভুখণ্ডে প্রেরণ করেন, তখন ইয়াহইয়া বহু শহর জয় করেন এবং বহুসংখ্যক শত্রুকে বন্দী
করেন এবং একাধিক শত্রুদুর্গ জ্বালিয়ে দেন ৷ এরপর তিনি সেনা চৌকিতে ফিরে আসেন ৷ খলীফা
মামুন জুমাদাল আখিরার মাঝামাঝিকাল থেকে শাবান মাসের মাঝামাঝি কা ল পর্যন্ত রোমকভুখণ্ডে
অবস্থান করেন ৷ এরপর তিনি দামেশকে ফিরে আসেন ৷ এদিকে আবদুস ফিহ্রী নামক জনৈক
ব্যক্তি এ বছরের শাবান মাসে মিসর দেশ আক্রমণ করে বলে এবং আবু ইসহাক ইবন রশীদের
প্রশাসকদের বিরুদ্ধে প্রবল হয়ে উঠে এবং বহুলোক৩ তাকে অনুসরণ করে ৷ তখন খলীফ৷ মা মুন
যিলহাজ্জ মাসের চৌদ্দ তারিখ বুধবার দামেশক থেকে মিসরীয় ভুখণ্ডের দিকে রওনা হন ৷
এরপরের ঘটনা আমরা অচিরেই উল্লেখ করব ৷

এ বছরই খলীফ৷ মা’মুন বাপদাদের প্রশাসক ইসহাক ইবন ইবরাহীমকে পত্রযােগে নির্দেশ
প্রদান করেন সােকদেরকে পাচ ওয়াক্ত নামাযের পর তাকবীর বলার জন্য আদেশ করতে ৷ এরপর
সর্বপ্রথম এই প্রথার প্রচলন হয় রমযানের চৌদ্দ তারিখ শুক্রবার বাগদাদ এবং রুসাফার জামে
মসজিদে ৷ এটা এভাবে করা হত যে, লোকজন যখন নামায শেষ করত তখন উঠে দীড়৷ ত এবং
তিনবার তিনটি তাকবীর বলত ৷ এরপর তারা অবশিষ্ট নামাযসমুহেও এ ধারা অব্যাহত রাখে ৷
এটিও খলীফ৷ মা মুনের মন্তিষ্কপ্রসুত বিদআত যা তিনি উদ্ভাবন করেন কোন দলীলপ্রমাণ কিংবা
নিভরযােগ্য ভিত্তি ব্যতীত ৷ কেননা তার পুর্বে কেউ এটা করেনি ৷৩ তবে সহীহ্ বুখারীতে ইবন
আব্বাস (রা) থেকে প্রমাণিত আছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সময়ে উচ্চস্বরে যিকিরের প্রচলন
ছিল যাতে করে লোকদের ফরয নামায থেকে প্রত্যাবর্তনের সময় জানা যেত ৷ এছাড়া একদল
আলিম এটাকে ঘুসৃতাহাব বলেছেন যেমন ইবন হাবৃম প্রমুখ ৷ ইবন বাততাল বলেন, মাযহাব
চতৃষ্টয়’ এটাকে ঘুসতাহাব গণ্য করে না ৷ ইমাম নববী বলেন, ইমাম শাফিঈ (র) থেকে বর্ণিত
আছে যে, তিনি বলেন, এটা ছিল মুলত লোকদের একথা জানার জন্য যে, নামাযের পর যিকির
অনুমোদিত শরীয়ত সম্মত ৷ এরপর যখন তা জানা হয়ে গেল তখন আর উভৈচ্চ:স্করে যিকিরের
কোন অর্থ থাকল না ৷ আর এটা হল যেমন ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি
জানাযার নামে উচ্চস্বরে সুরা ফাতিহ৷ পাঠ করতেন যেন মানুষ জানতে পারে যে, তা সুন্নাত ৷
এছাড়াও এর একাধিক দৃষ্টান্ত রয়েছে ৷ আর আল্লা ইে সর্বাধিক জানেন ৷

আর এই বিদআত যার নির্দেশ খলীফ৷ মা’মুন প্রদান করেছিলেন নিঃসন্দেহে নবউদ্ভাবিত
কুপ্রথ৷ সালফে সালেহীনের কেউই এর উপর আমল করেননি ৷ আর এ বছর প্রচণ্ড শীত পড়ে এবং
বিগত বছর যিনি হজ্জ পরিচালনা করেছিলেন এ বছরও তিনিই হজ্জ পরিচালনা করেন, মতান্তরে
অন্যজন, আর আল্লাহ সম্যক অবগত ৷ এছাড়া এ বছর হিবৃবান ইবন হিলাল ; ভাষা, ব্যাকরণ,
কবিতা ও অন্যান্য শাম্ভের বিশেষজ্ঞ আবদুল মালিক ইবন কুরায়ব আল-আসমাঈ , মুহাম্মদ ইবন
বাক্কার ইবন হিলাল এবং হাওয৷ ইবন খলীফ৷ ইনতিকাল করেন ৷

হারুনুর রশীদের শ্রী ও পিতৃব্যকন্য৷ যুবায়দা

ইনি হলেন জা ফর তনয়৷ উম্মুল আযীয আল-আবৃবাসিয়৷ আল ৷লা-হাদি মিয়া আল-কুরাশিয়্যা ৷
তার উপাধি হল যুবায়দ৷ আর তিনি জা ফর ইবন৷ ম ৷নসুরের কন্যা ৷ তিনি ছিলেন খলীফা৷ হা রুনুর
রশীদের প্রিয়তম মানুষ এবং অসামান্য রুপ ও পবিত্র সৌন্দর্যের অধিকা রিণী ৷৩ তার সাথে খলীফা


وَأَمَّا هَذِهِ الْبِدْعَةُ الَّتِي أَمَرَ بِهَا الْمَأْمُونُ؛ فَإِنَّهَا بِدْعَةٌ مُحْدَثَةٌ لَمْ يَعْمَلْ بِهَا أَحَدٌ مِنَ السَّلَفِ. وَفِيهَا وَقَعَ بَرْدٌ شَدِيدٌ جِدًّا. وَفِيهَا حَجَّ بِالنَّاسِ الَّذِي حَجَّ بِهِمْ فِي الْعَامِ الْمَاضِي، وَقِيلَ: غَيْرُهُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. [مَنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ] وَمِمَّنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ: حَبَّانُ بْنُ هِلَالٍ. وَعَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ قُرَيْبٍ الْأَصْمَعِيُّ. صَاحِبُ اللُّغَةِ وَالنَّحْوِ وَالشِّعْرِ وَغَيْرِ ذَلِكَ. وَمُحَمَّدُ بْنُ بَكَّارِ بْنِ بِلَالٍ. وَهَوْذَةُ بْنُ خَلِيفَةَ. زُبَيْدَةُ امْرَأَةُ هَارُونَ الرَّشِيدِ وَابْنَةُ عَمِّهِ وَهِيَ ابْنَةُ جَعْفَرٍ، أَمَةُ الْعَزِيزِ الْمُلَقَّبَةُ بِزُبَيْدَةَ بِنْتُ جَعْفَرِ بْنِ الْمَنْصُورِ
পৃষ্ঠা - ৮৪৯৪


হারুনুর রশীদের বহুসংখ্যক বীদী ও একাধিক ত্রী ছিল যেমন আমরা তার জীবন চরিতে উল্লেখ
করেছি ৷ আর তার যুবায়দা উপাধি লাভের কারণ, তার পিতামহ আবু জাফর মানসুর শৈশবে
তাকে আদর করে নাচাতেন এবং তার শুভ্রতার কারণে বলতেন তুমি হলে যুবায়দা’ > ৷ তখন
থেকে এই উপড়াধিতেই তার পরিচয় ৷ তার আসল নাম উম্মুল আযীয ৷ রুপ সৌন্দর্যে, ধন-সম্পদে,
ধার্মিকতায় , দান-সদােকায় এবং সদাচারে তিনি ছিলেন অনন্যা ৷

খতীব বর্ণনা করেছেন, (একবার) তিনি হজ্জ করেন ৷ তখন (হজ্জ সফরের) ষাট দিনে তার
ব্যয় হয় পাচ কোটি চল্লিশ লক্ষ দিরহাম ৷ তিনি যখন (তার সৎপুত্র) মা’মুনকে খিলড়াফত লাভের
অভিনন্দন জানান তখন বলেন , তোমাকে দেখার পুর্বে তোমার পক্ষ থেকে আমি নিজেকে
অভিনন্দিত করেছি ৷ আর আমি যদি (ইতিপুর্বে) আমার এক খলীফা পুত্রকে হারিয়ে থাকি তাহলে
(আজ আমি) তার পরিবর্তে আরেকজন খলীফা পুত্র লাভ করেছি যাকে আমি জন্ম দেইনি ৷ ২ আর
তোমার ন্যায় পুত্রকে যে বিনিময়ে লাভ করে তার কোন ক্ষতি নেই ৷ আর এমন মা সম্ভানহারা
হতে পারে না যায় হাত তোমার উপচৌকনে পুর্ণ ৷ আল্লাহ আমার থেকে যাকে সরিয়ে নিয়েছেন
তার জন্য আমি তার কাছে বিনিময় প্রার্থনা করছি আর তিনি তার পরিবর্তে যাকে দিয়েছেন তার
দীর্ঘাযু কামনা করছি ৷ দুইশ ষোল হিজরীর জুমাদাল উলা মাসে তিনি বাগদাদে ইনতিকাল করেন ৷

খতীব বলেন, তিনি হুসায়ন ইবন মুহাম্মদ আল-খাল্লাল সুত্রে মুহাম্মদ ইবন আবদুল্লাহ
আল-ওয়াসিতী থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি (ওয়াসির্তী) বলেন, আবদুল্লাহ ইবন মুবারক বলেন,
আমি যুবায়দাকে স্বপ্নে দেখে প্রশ্ন করলাম, আল্লাহ তোমার সাথে কেমন আচরণ করেছেন ? তিনি

বললেন, মক্কার পথে ৩ প্রথম যে কােদাল দ্বারা আঘাত করা হয়েছে তাতেই তিনি আমাকে ক্ষমা
করে দিয়েছেন ৷ তখন আমি (তার ৰিবর্ণ চেহারা দেখে) তাকে প্রশ্ন করলাম, তাহলে এই বিবর্ণতা
কিসের ? তিনি বললেন, বিশর আল-মুরায়সী নামক এক ব্যক্তিকে আমাদের মাঝে দাফন করা হয়
তখন জাহান্নাম তাকে গ্রাস করার জন্য সশব্দে দাউ দাউ করে জ্বলে উঠে ৷ এতে আতঙ্কে আমি
কস্পিত হই এবং এই বিবংতি৷ আমাকে ছেয়ে ফেলে ৷

ইবন খাল্লিকান উল্লেখ করেছেন, তার এমন একশ বীদী ছিল তাদের প্রত্যেকে সম্পুর্ণ
কুরআনের হাফিযা ছিল ৷ আর এরা ছাড়া যারা কুরআন পড়েনি কিংবা যারা আংশিক পড়েছে তারা
তো ছিলই ৷ তার প্রাসাদে এদের তিলাওয়াতের কারণে সবসময় মৌমাছির ণ্ডঞ্জুনের ন্যায় গুঞ্জন
শোনা যেত ৷ এদের প্রত্যেকের দৈনিক তিলাওয়াত ছিল কুরআনের দশভাগের একভাগ অর্থাৎ তিন
পারা পরিমাণ ৷ বর্ণিত আছে, কেউ তাকে স্বপ্রে দেখে তার দান-সাদাকা এবং হৰজ্জর পথ তিনি যা
করেছিলেন (অর্থাৎ নহর খনন) সে সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন ৷ তখন তিনি বলেন, এসব কিছুর

১ যুবায়দা’ শব্দটি আরবী যুবৃদ শব্দের ক্ষুদ্রতা জ্ঞাপক রুপ আর যুবৃদ অর্থ হল দুধের মাখন যা শুভ্রতার
প্রতীক ৷

২ তার নিজ গর্ভজাত পুত্র আমীনকে তার সৎপুত্র অর্থাৎ আমীনের সত্ভইি মামুন বিদ্রোহের কারণে হত্যা
করে পুর্ণ খলীফারুপে অভিষিক্ত হয় ৷ তখন তিনি তার অভিনন্দন পত্রে এরুপ দৃঢ় মনােবলের পরিচয়
দেন ৷

৩ হাজীদের পানি পানের সুব্যবন্থা করার জন্য যুবায়দা মক্কার পথে তার নিজ খরচে একটি নহর খনন
করান ৷ যা নহরে যুবায়দা নামে প্রসিদ্ধি লাভ করে ৷




الْقُرَشِيَّةُ الْهَاشِمِيَّةُ الْعَبَّاسِيَّةُ، امْرَأَةُ هَارُونَ الرَّشِيدِ وَأَحَبُّ النَّاسِ إِلَيْهِ فِي زَمَانِهَا، مَعَ مَا كَانَ مَعَهَا مِنَ الْحَظَايَا وَالزَّوْجَاتِ كَمَا ذَكَرْنَا ذَلِكَ فِي تَرْجَمَتِهِ، وَإِنَّمَا لُقِّبَتْ زُبَيْدَةَ؛ لِأَنَّ جَدَّهَا أَبَا جَعْفَرٍ الْمَنْصُورَ كَانَ يُلَاعِبُهَا وَيُرَقِّصُهَا وَهِيَ صَغِيرَةٌ، وَيَقُولُ: إِنَّمَا أَنْتِ زُبَيْدَةُ. لِبَيَاضِهَا، فَغَلَبَ ذَلِكَ عَلَيْهَا فَلَا تُعْرَفُ إِلَّا بِهِ، وَأَصْلُ اسْمِهَا أَمَةُ الْعَزِيزِ، كَانَتْ مِنَ الْجِمَالِ وَالْمَالِ وَالْخَيْرِ وَالدِّيَانَةِ عَلَى جَانِبٍ، وَلَهَا مِنَ الصَّدَقَاتِ وَالْأَوْقَافِ وَوُجُوهِ الْقُرُبَاتِ شَيْءٌ كَثِيرٌ، وَرَوَى الْخَطِيبُ أَنَّهَا حَجَّتْ، فَبَلَغَتْ نَفَقَتُهَا فِي سِتِّينَ يَوْمًا أَرْبَعَةً وَخَمْسِينَ أَلْفَ أَلْفِ دِرْهَمٍ، وَأَنَّهَا لَمَّا هَنَّأَتِ الْمَأْمُونَ بِالْخِلَافَةِ حِينَ دَخَلَ بَغْدَادَ قَالَتْ لَهُ: لَقَدْ هَنَّأْتُ نَفْسِي بِهَا عَنْكَ قَبْلَ أَنْ أَرَاكَ، وَلَئِنْ كُنْتُ فَقَدْتُ ابْنَا خَلِيفَةٍ لَقَدْ عُوِّضْتُ ابْنًا خَلِيفَةً لَمْ أَلِدْهُ، وَمَا خَسِرَ مَنِ اعْتَاضَ مِثْلَكَ، وَلَا ثَكِلَتْ أُمٌّ مَلَأَتْ يَدَهَا مِنْكَ، وَأَنَا أَسْأَلُ اللَّهَ أَجْرًا عَلَى مَا أَخَذَ، وَإِمْتَاعًا بِمَا عَوَّضَ. وَذَكَرَ أَنَّهَا تُوُفِّيَتْ بِبَغْدَادَ فِي جُمَادَى الْأُولَى سَنَةَ سِتَّ عَشْرَةَ وَمِائَتَيْنِ.
পৃষ্ঠা - ৮৪৯৫
ثُمَّ قَالَ الْخَطِيبُ: حَدَّثَنِى الْحُسَيْنُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْخَلَّالُ لَفْظًا قَالَ: وَجَدْتُ بِخَطِّ أَبِي الْفَتْحِ الْقَوَّاسِ: ثنا صَدَقَةُ بْنُ هُبَيْرَةَ الْمَوْصِلِيُّ، ثنا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْوَاسِطِيُّ، قَالَ: قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ الزَّمِنُ: رَأَيْتُ زُبَيْدَةَ فِي الْمَنَامِ، فَقُلْتُ: مَا فَعَلَ اللَّهُ بِكِ؟ فَقَالَتْ: غَفَرَ لِي فِي أَوَّلِ مِعْوَلٍ ضُرِبَ فِي طَرِيقِ مَكَّةَ. قُلْتُ: فَمَا هَذِهِ الصُّفْرَةُ فِي وَجْهِكِ؟ قَالَتْ: دُفِنَ بَيْنَ ظَهْرَانِينَا رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ بِشْرٌ الْمَرِيسِيُّ زَفَرَتْ عَلَيْهِ جَهَنَّمُ زَفْرَةً فَاقْشَعَرَّ لَهَا جَسَدِي، فَهَذِهِ الصُّفْرَةُ مِنْ تِلْكَ الزَّفْرَةِ، وَذَكَرَ الْقَاضِي ابْنُ خِلِّكَانَ أَنَّهُ كَانَ لَهَا مِائَةُ جَارِيَةٍ كُلُّهُنَّ يَحْفَظْنَ الْقُرْآنَ الْعَظِيمَ، وَوِرْدُ كُلِّ وَاحِدَةٍ عُشْرُ الْقُرْآنِ، وَكَانَ يُسْمَعُ لَهُنَّ فِي الْقَصْرِ دَوِيٌّ كَدَوِيِّ النَّحْلِ.