আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة عشر ومائتين

পৃষ্ঠা - ৮৪৬৮


সালারকে গ্রেফতার করলে মুসলমানদের কাছে বিষয়টি মারাত্মকরুপে প্রতিভাত হয় ৷ এ বছর
হরুজ্জর আমীর ছিলেন সালিহ ইবনুল আব্বাস ইবন মুহাম্মদ ইবন আলী ইবন আবদুল্লাহ ইবন
আব্বাস (রা) ; যিনি তখন মক্কার প্রশাসক ছিলেন ৷ এ বছর রোম সম্রাট মীখাঈল ইবন নিককুর

(জরজিস) এর মৃত্যু হলে রোমানরা তার পুত্র তাওফীল ইবন মীখাঈলকে রাজা মনোনীত করে ৷
মীখাঈলের রাজতৃকাল ছিল নয় বছর ৷

এ বছর হাদীসের মাশাইখের মধ্যে ইনতিকাল করেন হাসান ইবন মুসা আল-আশয়াব , আবু

আলী হানাফী, নিশাপুরের কাযী হাফস ইবন আবদুল্লাহ, উছমান ইবন উমর ইবন ফারিস ও ইয়ালা
ইবন উবায়দ তানাফিসী ৷

২১০ হিজরীর আগমন

এ বছরের সফর মাংস নাসর ইবন শাবছ বাগদাদে আগমন করেন ৷ আবদুল্লাহ ইবন তাহির
তাকে পাঠিয়েছিলেন ৷ নাস্রের সংগে সেনা সদস্যদের কোন লোক ছিল না ৷ তিনি একাকী
বাগদাদে প্রবেশ করেন ৷ প্রথমে তাকে আবুজাফর উপাহরে অবস্থান করানো হয় ৷ পরে সেখান
হতে অন্যত্র স্থানান্তর করা হয় ৷ এ মাসেই মামুন ইবরাহীম ইবনুল মাহদীর হাতে বায়আত
গ্রহণক৷ ৷রীদের মধ্যে শীর্ষস্থানীয়দের একটি দলকে কয়েদ করতে সক্ষম হন ৷৩ তাদের শান্তি দেয়া
হয় এবং তাদের ভুগর্ভস্থ রুদ্ধ কক্ষে আবদ্ধ করে রাখেন ৷ রবীউছ ছ নী মাসের তের৩ তারিখ
রবিবা ৷র ছয় বছর ও কয়েক মাসের আত্মগোপন অবস্থা হতে বের হয়ে ইবরাহীম রাতের বেলা
নারীর ছদ্মবেশ ৷নিয়ে অপর দু’জন নারীর সংগে বাগদাদের কোন সড়ক অতিক্রম করার চেষ্টা
করছিলেন ৷ পাহা রাদ৷ ৷র দাড়িয়ে৩ তাদের থামিয়ে দিল এবং বলল, এ মুহুর্তে কো ৷থায় যাওয়া হচ্ছে ?
কোথা হতে আসা হয়েছে ? পরে তাদের থামিয়ে রাখতে চাইলে ইবরাহীম তার হাতে বিদ্যমান
একটি ইয়াকুতের (পাল্লা) আৎটি খুলে পাহারাদারের হাতে ৩দিলেন ৷ পাহারাদার সন্দেহের দৃষ্টিতে
সেটি দেখতে থাকলে ইবরাহীম বললেন, এটি একজন উচু স্তরের বিশিষ্ট ব্যক্তির আৎটি ৷
পাহারাদার তাদের নৈশ তত্ত্বাবধায়কের (পুলিশ প্রধান) ) নিয়ে গেলে তিনি এদের চেহারা অনাবৃত
করার আদেশ দিলেন ৷ ইবরাহীম সে আদেশ পালনে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করলেন ৷ তারা তার চেহারা
অনাবৃত করে দেখতে পেল যে, এ তো তিনিই’ ৷ পাহারাদায়রা তাকে প্রধান পুল রক্ষীর কাছে
নিয়ে গেল এবং শে ৷ষোক্ত ব্যক্তি তাকে খলীফা ৷র ভবনের ফটকে পৌছে দিল ৷ সুতরাং অবস্থা এই

দাড়াল যে, ইবরাহীমকে মাথায় নিকাবে ও শরীরে ওডন৷ পেচ৷ নো অবস্থায় সকালে খিলাফত ভবনে
পৌছানাে হল ৷ যাতে লোকেরা তাকে দেখতে পায় এবং তার গ্রেফতার হওয়ার অবস্থা জানতে
পারে ৷ মামুন কিছু দিন তাকে শ্ ক্ত পাহ৷ ৷রা ও কঠোর হিফ৷ ৷জতে রাখার আদেশ দিলেন এবং পরে

তাকে মুক্তি দিলেন ও তার প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেন ৷ অপরদিকে তার কারণে যাদের কার ৷রুদ্ধ
করা হয়েছিল৩ তাদের একদলকে শুলীবিদ্ধ করা হল ৷ তারা (জলখানা র রক্ষীদের অতর্কিতঅ ৷ক্রমণ
করার চক্রান্ত করেছিল ৷ এ অপরাধে তাদের চার জন ক শুলী দেয়া হয় ৷

বর্ণিত আছে যে, ইবরাহীমকে মামুনের সামনে উপস্থিত করা হলে মামুন তাকে তার কৃতকর্ম
স্মরণ করিয়ে দিলেন ৷ এতে মামুনের প্রতি চাচা ইবরাহীমের মমতা উদ্বেলিত হয়ে উঠলে তিনি
বললেন, হে আমীরুল মু’মিনীন ! শাস্তি দিলে তা আপনার অধিকা ৷রে আর ক্ষমা করলে তা আপনার


[سَنَةُ عَشْرٍ وَمِائَتَيْنِ] [الْأَحْدَاثُ الَّتِي وَقَعَتْ فِيهَا] ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ عَشْرٍ وَمِائَتَيْنِ فِي صَفَرٍ مِنْهَا دَخَلَ نَصْرُ بْنُ شَبَثٍ إِلَى بَغْدَادَ حِينَ بَعَثَهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ طَاهِرٍ مِنَ الرَّقَّةِ فَدَخَلَهَا وَلَمْ يَتَلَقَّهُ أَحَدٌ مِنَ الْجُنْدِ بَلْ دَخَلَهَا وَحْدَهُ فَأُنْزِلَ فِي مَدِينَةِ أَبِي جَعْفَرٍ، ثُمَّ حُوِّلَ إِلَى مَوْضِعٍ آخَرَ، وَفِي هَذَا الشَّهْرِ ظَفِرَ الْمَأْمُونُ بِجَمَاعَةٍ مِنْ كُبَرَاءِ مَنْ كَانَ بَايَعَ إِبْرَاهِيمَ بْنَ الْمَهْدِيِّ فَعَاقَبَهُمْ وَحَبَسَهُمْ فِي الْمُطْبِقِ. [ظُهُورُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْمَهْدِيِّ بَعْدَ اخْتِفَائِهِ] وَلَمَّا كَانَ لَيْلَةُ الْأَحَدِ لِثَلَاثَ عَشْرَةَ لَيْلَةً بَقِيَتْ مِنْ رَبِيعٍ الْآخِرِ مِنْهَا اجْتَازَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمَهْدِيِّ وَكَانَ مُخْتَفِيًا مُدَّةَ سِتِّ سِنِينَ وَشُهُورٍ مُنْتَقِبًا فِي زِيِّ امْرَأَةٍ وَمَعَهُ امْرَأَتَانِ فِي بَعْضِ دُرُوبِ بَغْدَادَ فِي أَثْنَاءِ اللَّيْلِ، فَقَامَ الْحَارِسُ فَقَالَ: إِلَى أَيْنَ هَذِهِ السَّاعَةَ؟ وَمِنْ أَيْنَ؟ ثُمَّ أَرَادَ أَنْ يُمْسِكَهُنَّ، فَأَعْطَاهُ إِبْرَاهِيمُ خَاتَمًا كَانَ فِي يَدِهِ مِنْ يَاقُوتٍ، فَلَمَّا نَظَرَ إِلَيْهِ الْحَارِسُ اسْتَرَابَ وَقَالَ: إِنَّمَا هَذَا خَاتَمُ رَجُلٍ كَبِيرِ الشَّأْنِ. فَذَهَبَ بِهِنَّ إِلَى مُتَوَلِّي اللَّيْلِ، فَأَمَرَهُنَّ أَنْ يُسْفِرْنَ عَنْ وُجُوهِهِنَّ، فَتَمَنَّعَ
পৃষ্ঠা - ৮৪৬৯
إِبْرَاهِيمُ فَكَشَفُوا عَنْ وَجْهِهِ فَإِذَا هُوَ هُوَ، فَعَرَفَهُ فَذَهَبَ بِهِ إِلَى صَاحِبِ الْحَرَسِ فَسَلَّمَهُ إِلَيْهِ، فَرَفَعَهُ الْآخَرُ إِلَى بَابِ الْمَأْمُونِ فَأَصْبَحَ فِي دَارِ الْخِلَافَةِ وَنِقَابُهُ عَلَى رَأْسِهِ وَالْمِلْحَفَةُ فِي صَدْرِهِ لِيَرَاهُ النَّاسُ، وَلِيَعْلَمُوا كَيْفَ أُخِذَ. فَأَمَرَ الْمَأْمُونُ بِالِاحْتِفَاظِ بِهِ وَالِاحْتِرَاسِ عَلَيْهِ مُدَّةً، ثُمَّ أَطْلَقَهُ وَرَضِيَ عَنْهُ. هَذَا وَقَدْ صَلَبَ جَمَاعَةً مِمَّنْ كَانَ سَجَنَهُمْ بِسَبَبِهِ لِكَوْنِهِمْ أَرَادُوا الْفَتْكَ بِالْمُوَكَّلِينَ بِالسِّجْنِ، فَصَلَبَ مِنْهُمْ أَرْبَعَةً. وَقَدْ ذَكَرُوا أَنَّ إِبْرَاهِيمَ بْنَ الْمَهْدِيِّ لَمَّا أُوقِفَ بَيْنَ يَدَيِ الْمَأْمُونِ شَرَعَ فِي تَأْنِيبِهِ، فَتَرَقَّقَ لَهُ عَمُّهُ إِبْرَاهِيمُ كَثِيرًا، وَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، إِنْ تُعَاقِبْ فَبِحَقِّكَ، وَإِنْ تَعْفُ فَبِفَضْلِكَ. فَقَالَ: بَلْ أَعْفُو يَا إِبْرَاهِيمُ، إِنَّ الْقُدْرَةَ تُذْهِبُ الْحَفِيظَةَ، وَالنَّدَمُ تَوْبَةٌ، وَبَيْنَهُمَا عَفْوُ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ، وَهُوَ أَكْبَرُ مِمَّا تَسْأَلُهُ. فَكَبَّرَ إِبْرَاهِيمُ وَسَجَدَ شُكْرًا لِلَّهِ عَزَّ وَجَلَّ. وَقَدِ امْتَدَحَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمَهْدِيِّ ابْنَ أَخِيهِ الْمَأْمُونَ بِقَصِيدَةٍ بَالَغَ فِيهَا، فَلَمَّا سَمِعَهَا الْمَأْمُونُ قَالَ: أَقُولُ كَمَا قَالَ يُوسُفُ لِإِخْوَتِهِ: {لَا تَثْرِيبَ عَلَيْكُمُ الْيَوْمَ يَغْفِرُ اللَّهُ لَكُمْ وَهُوَ أَرْحَمُ الرَّاحِمِينَ} [يوسف: 92] وَذَكَرَ الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ أَنَّ الْمَأْمُونَ لَمَّا عَفَا عَنْ عَمِّهِ إِبْرَاهِيمَ أَمَرَهُ أَنْ يُغَنِّيَهُ شَيْئًا، فَقَالَ: إِنِّي تَرَكْتُهُ. فَأَمَرَهُ فَأَخَذَ الْعُودَ فِي حِجْرِهِ، وَقَالَ: هَذَا مَقَامُ مُسَوَّدٍ ... خَرِبَتْ مَنَازِلُهُ وَدُورُهْ
পৃষ্ঠা - ৮৪৭০

মহানুভব্ত৷ ৷ মামুন বললেন, বরং ৫হ ইব্রাহীম ! আমি ক্ষমা করে দিচ্ছি ৷ কেননা, ক্ষমতা ৫ক্রাধ
প্ৰশমিত করে দেয় ৷ আর অনুতপ্ততাই তওবা এবং এ দৃই৫য়র মাঝে রয়েছে মহিয়ান গরিয়ান
আল্লড়াহ্র ক্ষমা, যা আপনার প্রার্থাংার চেয়ে অনেক বড় ৷ এ কথা শুনে ইব্রাহীম তাকবীর ধ্বনি
দিলেন এবং মহিয়ান গরিয়ান আল্লাহর উদ্দেশ্যে সিজদাবনত হলেন ৷

ইব্রাহীম তার একটি কবিতায় ভ্রাতৃম্পুত্র মামু৫নর অতিশয় প্রশংসা করেছেন ৷ মামুন সেটি
শোনার পর বললেন, আ তা-ই বলব যা বলেছিলেন ইউসুফ (আ)৩ তার ভাইদের বলেছিলেন :

# ষ্ ষ্ ) ’ ৷

১া
“আজ ৫৩ামাদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ ৫নই; আল্লাহ ৫তামা৫দর ক্ষমা করুন ৷ তিনি
সর্বশ্রেষ্ঠ দয়াবা ন ৷”)

ইবন আসাকির উল্লেখ করেছেন, মামুন তার চাচা ৷ইবরাহীম৫ক ক্ষমা করার পর৩ তাকে একটি
গান গেয়ে ৫শানাব্ার আবদার করলে ইব্রাহীম তাকে বললেন, আমি তো গান গাওয়া ছেড়ে
দিয়েছি ৷ পুনরায় ত ৷৫ক আবদ৷ র করলে তিনি সারিন্দ৷ কোলে নিয়ে গা ৷ই৫লন-

এতে৷ সে আনন্দের স্থান যার নিবাস ও বাড়ি-ঘর বিরান হয়ে গিয়েছে ; তার শত্রুরা তার

ব্যাপারে মিথ্যা কুটনড়ামী করেছেন ৷৩ তাই তার আমীর তাকে সাজা দিয়েছে ৷
পুনরায় গাইতে লাপ৫লন

×

;, ৷,
১,;;

আমিও দুনিয়াকে বিদ৷ ৷য় দিয়েছি ৷ দৃনিয়াও আমাকে বিদায় দিয়েছে, কা ল আমাকে দুনিয়া হতে

মুখ ঘুরি৫য় দিয়েছে এবৎ৩ তা৫কও আমার থেকে দুরে সরিয়ে দিয়েছে ৷ এখন আমি নিজের সত্তার

জন্য র্কাদলে এক প্রিয় মুল্যবান সত্তার জন্য কাদব; আর তাকে হেয় তৃচ্ছ করলে বিদ্বে৫ষর

ৎ৫গই তৃচ্ছ করব ৷ আর যদি আমি তার চোখে মন্দ কর্মচারী হয়ে থাকি ৷৩ ৩বুও আমি আমার

পালনকতার মালিকের প্রতি ৩সুধ ৷রণ৷ ৫ পাষণকায়ী দৃঢ় বিশ্ব৷ ৷স ন্থাপনকারী ৷ আ ৷মি আমার নিজের প্রতি

যুলুম করেছি ; তিনি আমাকে পুনঃপুনঃ ক্ষমা করেছেন ৷ সুতরাং ক্ষমা অনুগ্নহের পর অনুগ্নহের
রুপ ধারণ করেছে ৷’

গান শুনে মামুন বললেন, ৫হ আমীরুল মৃ মিনীন ! স তাই সুন্দর বলেছেন, ইব্রাহীম এ কথা
শুনে সারিন্দাটি ছু৫ড় ফেলে দিলেন এবং সন্ত্রস্ত হয়ে লাফিয়ে উঠ৫লন ৷ মামুন তাকে বললেন,
বসুন৷ শান্ত হোন ৷ স্বাগতম আপনাকে ! আপনি তো আপনজ৫নর কাছে রয়েছেন ৷ আপনি যা
সন্দেহ করেছেন তার জন্য এসব করা হয়নি ৷ আল্লাহর কসম ! আমার সময়কাল ধরে আপনি


نَمَّتْ عَلَيْهِ عِدَاتُهُ كَذِبًا فَعَاقَبَهُ أَمِيرُهْ ثُمَّ عَادَ فَقَالَ: ذَهَبْتُ مِنَ الدُّنْيَا وَقَدْ ذَهَبَتْ مِنِّى ... لَوَى الدَّهْرُ بِي عَنْهَا وَوَلَّى بِهَا عَنِّي فِإِنْ أَبْكِ نَفْسِي أَبْكِ نَفْسًا عَزِيزَةً ... وَإِنْ أَحْتَقِرْهَا أَحْتَقِرْهَا عَلَى ضَنِّ وَإِنِّي وَإِنْ كُنْتُ الْمُسِيءَ بِعَيْنِهِ ... بِرَبِّي تَعَالَى جَدُّهُ حَسَنُ الظَّنِّ عَدَوْتُ عَلَى نَفْسِي فَعَادَ بِعَفْوِهِ ... عَلَيَّ فَعَادَ الْعَفْوُ مَنًّا عَلَى مَنِّ فَقَالَ الْمَأْمُونُ: أَحْسَنْتَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ حَقًّا. فَرَمَى بِالْعُودِ مِنْ حِجْرِهِ، وَوَثَبَ قَائِمًا فَزِعًا مِنْ هَذَا الْكَلَامِ، فَقَالَ لَهُ الْمَأْمُونُ: اقْعُدْ وَاسْكُنْ، مَرْحَبًا بِكَ، لَمْ يَكُنْ ذَلِكَ لِشَيْءٍ تَتَوَهَّمُهُ، وَوَاللَّهِ لَا رَأَيْتَ طُولَ أَيَّامِي شَيْئًا تَكْرَهُهُ، وَتَغْتَمُّ بِهِ، ثُمَّ أَمَرَ لَهُ بِرَدِّ جَمِيعِ مَا كَانَ مِنَ الْأَمْوَالِ وَالضِّيَاعِ وَالدُّورِ، فَرُدَّتْ إِلَيْهِ، وَأَمَرَ لَهُ بِعَشَرَةِ آلَافِ دِينَارٍ وَخَلَعَ عَلَيْهِ، وَخَرَجَ مِنْ عِنْدِهِ مُكْرَمًا مُعَظَّمًا.
পৃষ্ঠা - ৮৪৭১
[عُرْسُ بُورَانَ بِنْتِ الْحَسَنِ] عُرْسُ بُورَانَ وَفِي رَمَضَانَ مِنْهَا بَنَى الْمَأْمُونُ بِبُورَانَ بِنْتِ الْحَسَنِ بْنِ سَهْلٍ، وَقِيلَ: إِنَّهُ خَرَجَ مِنْ بَغْدَادَ فِي رَمَضَانَ إِلَى مُعَسْكَرِ الْحَسَنِ بْنِ سَهْلٍ بِفَمِ الصِّلْحِ، وَكَانَ الْحَسَنُ قَدْ عُوفِيَ مِنْ مَرَضِهِ فَنَزَلَ الْمَأْمُونُ عِنْدَهُ بِمَنْ مَعَهُ مِنْ وُجُوهِ الْأُمَرَاءِ وَالرُّؤَسَاءِ وَأَكَابِرِ بَنِي هَاشِمٍ، فَدَخَلَ بِبُورَانَ فِي شَوَّالٍ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ فِي لَيْلَةٍ عَظِيمَةٍ، وَقَدْ أُشْعِلَتْ بَيْنَ يَدَيْهِ شُمُوعُ الْعَنْبَرِ، وَنُثِرَ عَلَى رَأْسِهِ الدُّرُّ وَالْجَوْهَرُ، فَوْقَ حُصْرٍ مَنْسُوجَةٍ بِالذَّهَبِ الْأَحْمَرِ. وَكَانَ عَدَدُ الْجَوْهَرِ مِنْهُ أَلْفَ دُرَّةٍ، فَأَمَرَ بِهِ فَجُمِعَ فِي صِينِيَّةٍ مِنْ ذَهَبٍ كَانَ الْجَوْهَرُ فِيهَا، فَقَالُوا: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، إِنَّا نَثَرْنَاهُ لِتَتَلَقَّطَهُ الْجَوَارِي. فَقَالَ: لَا، أَنَا أُعَوِّضُهُنَّ خَيْرًا مِنْ ذَلِكَ. فَجَمَعَ ذَلِكَ كُلَّهُ، فَلَمَّا جَاءَتِ الْعَرُوسُ وَمَعَهَا جَدَّتُهَا وَزُبَيْدَةُ أُمُّ أَخِيهِ الْأَمِينِ مِنْ جُمْلَةِ مَنْ جَاءَ مَعَهَا فَأُجْلِسَتْ إِلَى جَانِبِهِ فَصَبَّ فِي حِجْرِهَا ذَلِكَ
পৃষ্ঠা - ৮৪৭২

এমন কিছু দেখেননি যা আপনার অপসন্দনীয় ৷ পরে তাকে দশ হাজার দীনার প্রদানের আদেশ
দিলেন এবং তাকে শড়াহী থেলাত দিলেন ৷ পরে তার যাবতীয় স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ও ভবনসমুহ
ফিরিয়ে দেয়ার আদেশ দিলে সে সব তাকে ফিরিয়ে দেয়া হল এবং তিনি খলীফার নিকট হতে
সম্মানিত ও শ্রদ্ধার পাত্ররুপে বের হলেন ৷

বুরানের মালয় ও বৌ-ভাত অনুষ্ঠান

এ বছরে রমাযানে মামুন বুরান বিনতুল হাসান ইবন সাহলের সংগে বাসর যাপন করলেন ৷
অন্য একটি বর্ণনা হতে তিনি রমাযানে ফামুস সুল্হ্ নামক স্থানে হাসান ইবন সাহলের
সেনানিবাস পরিদর্শনে গমন করেন ৷ হাসান তখন তার অসুস্থতা হতে আরোগ্য লাভ করেছিলেন ৷
মামুন তার সহযাত্রী শীর্ষস্থানীয় আমীর-উমারা বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং বনু হাশিমের গণ্যমান্য
ব্যক্তিদের নিয়ে হাসানের কাছে অবতরণ করলেন এবং এ বছরের শাওযাল মাসের এক মহান
রাতে বুরানের সংগে বাসর যাপন করলেন ৷ বরের সামনে আম্বরের মােম দ্বারা আলোকসজ্জা করা
হল এবং তার মাথায় মণিঘুক্তা হড়ানাে হল ৷ তাকে উপবেশন করানো হল লাল সোনার পাত দিয়ে
তৈরি মাদুরে ৷ তাতে ছিল এক হাজার মুক্তা দানা ৷ খলীফার হুকুমে সেগুলো সোনার তৈরি একটি
চীনা পাত্রে যাতে পুর্বে তা ছিল একত্রিত করা হল ৷ লোকেরা বলল, হে অড়ামীরুল মু’মিনীন ৷
আমরা এগুলো ছড়িয়ে দিলাম দাসী-র্বাদীদের তুলে নেয়ার উদ্দেশ্যে ৷ তিনি বললেন, না, আমি
তাদের এগুলোর বিনিময় দিয়ে দিব ৷ সুতরাং সবগুলো একত্রিত করা হল ৷

এরপর নববধুর আগমন হল ৷ তার সংগে আগমনকারীদের মধ্যে ছিলেন তার নানী মামুনের
ভাই আমীনের মা মহিয়সী যুবায়দা ৷ তাকে বরের পাশে বসানো হল ৷ এর মুক্তাওল্যে নববধুর
কোলে ছিটিয়ে দিয়ে বললেন, এগুলো তোমার উপহার ৷ এখন তোমার আর কি কি বাসনা আছে
বল ৷ নববধু লজ্জায় মাথা নিচু কলে থাকলে তার নানী তাকে বললেন, তোমার মালিকের’ সংগে
কথা বল এবং তোমার বাসনা প্রকাশ কর ৷ তিনি তো তোমাকে হুকুম দিয়েছেন ৷ তখন নববধু
বলল, হে আমীরুল মু’মিনীন ! আপনার কাছে আমার প্রার্থনা, আপনি আপনার চাচা ইব্রাহীম
ইবনুল মাহদীর প্ৰতি সন্তুষ্ট হয়ে যাবেন এবং তাকে তার পুর্ববর্তী মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত
করাবেন ৷ মামুন বললেন, তাই হবে ৷ বুরান বললেন, আর জাফরের মা অর্থাৎ যুবড়ায়দাকে হরুজ্জ
যাওয়ার অনুমতি দিবেন ৷ মামুন বললেন, তইি হবে ৷ তখন যুবায়দা তার শাহী সাজ-পােশাক
নববধুকে উপহাররুপে প্রদান করলেন এবং একটি সমৃদ্ধ গ্রাম তাকে অনুদানরুপে বরাদ্দ করলেন ৷
কনের পিতা বিভিন্ন চিরকুটে তার মালিকানাধীন গ্ৰামসমুহ, ভু-সম্পত্তি ও অন্যান্য মালিকানার নাম
লিখে চিরকুটগুলো উপস্থিত আমীর-উমারা ও গণ্যমান্যদের মধ্যে ছড়িয়ে দিলেন ৷ যার হাতে যে
গ্রাম বা স্থানের নাম লিখা চিরকুট পড়ল সে গ্রামের দায়িত্বশীল নায়িবের কাছে পত্র পাঠিয়ে তার
নিরংকুশ মালিকানা চিরকুট প্রাপকের নামে হস্তান্তর করা হল ৷ মামুন ও তার সহযাত্রী বিশিষ্টবর্গ ও

সেনাবাহিনীর সতের দিন অবস্থানকালে কনের পিতা যা ব্যয় করেছিলেন তা ছিল পড়াচ কোটি
দিরহাম ৷

মামুন যখন বাগদাদ প্রত্যাবর্তনের ইচ্ছা করলেন তখন শ্বশুরের জন্য এক কোটি টাকার
মঞ্জুরীসহ তার অবস্থান ক্ষেত্র অর্থাৎ হাসানের শাসনাধীন অঞ্চল ফাঘুস সুলহ ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট


الْجَوْهَرَ، وَقَالَ لَهَا: هَذَا نِحْلَةٌ مِنِّي لَكِ، وَسَلِي حَاجَتِكَ. فَأَطْرَقَتْ حَيَاءً، فَقَالَتْ جَدَّتُهَا: كَلِّمِي سَيِّدَكِ وَسَلِيهِ حَاجَتَكِ فَقَدْ أَمَرَكِ. فَقَالَتْ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، أَسْأَلُكَ أَنْ تَرْضَى عَنْ عَمِّكَ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْمَهْدِيِّ وَأَنْ تَرُدَّهُ إِلَى مَنْزِلَتِهِ الَّتِي كَانَ فِيهَا قَبْلَ ذَلِكَ. فَقَالَ: نَعَمْ. قَالَتْ: وَأُمُّ جَعْفَرٍ تَعْنِي زُبَيْدَةَ تَأْذَنُ لَهَا فِي الْحَجِّ. قَالَ: نَعَمْ. فَخَلَعَتْ عَلَيْهَا زُبَيْدَةُ بِذْلَتَهَا الْأُمَوِيَّةَ، وَأَطْلَقَتْ لَهَا قَرْيَةً مُقَوَّرَةً. وَأَمَّا وَالِدُ الْعَرُوسِ الْحَسَنُ بْنُ سَهْلٍ فَإِنَّهُ كَتَبَ أَسْمَاءَ قُرَاهُ وَضِيَاعَهُ وَأَمْلَاكَهُ فِي رِقَاعٍ وَنَثَرَهَا عَلَى الْأُمَرَاءِ وَوُجُوهِ النَّاسِ، فَمَنْ وَقَعَتْ فِي يَدِهِ مِنْهَا رُقْعَةٌ، بَعَثَ إِلَى الْقَرْيَةِ الَّتِي فِيهَا نُوَّابُهُ فَسَلَّمَهَا إِلَيْهِ مِلْكًا خَالِصًا. وَأَنْفَقَ عَلَى الْمَأْمُونِ وَمَنْ كَانَ مَعَهُ مِنَ الْجَيْشِ فِي مُدَّةِ مُقَامِهِ عِنْدَهُ سَبْعَةَ عَشَرَ يَوْمًا مَا يُعَادِلُ خَمْسِينَ أَلْفَ أَلْفِ دِرْهَمٍ. وَلَمَّا أَرَادَ الْمَأْمُونُ الِانْصِرَافَ مِنْ عِنْدِهِ، أَطْلَقَ لَهُ عَشَرَةَ آلَافِ أَلْفِ دِرْهَمٍ، وَأَقْطَعَهُ الْبَلْدَةَ الَّتِي هُوَ نَازِلٌ بِهَا، وَهُوَ إِقْلِيمُ فَمِ الصِّلْحِ مُضَافًا إِلَى مَا بِيَدِهِ مِنَ الْإِقْطَاعَاتِ. وَرَجَعَ الْمَأْمُونُ إِلَى بَغْدَادَ فِي أَوَاخِرِ شَوَّالٍ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ. وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ رَكِبَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ طَاهِرٍ إِلَى مِصْرَ فَاسْتَنْقَذَهَا بِأَمْرِ الْمَأْمُونِ مِنْ يَدِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ السَّرِيِّ بْنِ الْحَكَمِ، الْمُتَغَلِّبِ عَلَيْهَا، وَاسْتَعَادَهَا مِنْهُ بَعْدَ
পৃষ্ঠা - ৮৪৭৩
حُرُوبٍ يَطُولُ ذِكْرُهَا. [مَنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ] وَفِيهَا تُوُفِّيَ مِنَ الْأَعْيَانِ: أَبُو عَمْرٍو الشَّيْبَانِيُّ اللُّغَوِيُّ. وَاسْمُهُ إِسْحَاقُ بْنُ مِرَارٍ. وَمَرْوَانُ بْنُ مُحَمَّدٍ الطَّاطَرِيُّ. وَيَحْيَى بْنُ إِسْحَاقَ. وَاللَّهُ سُبْحَانَهُ أَعْلَمُ.