আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ثمان ومائتين

পৃষ্ঠা - ৮৪৬০

ইয়াহ্ইয়া ইবন যিয়ড়াদ ইবন আবদুল্লাহ ইবন মানসুর আল-ফাররা

কুনিয়াত : আবু যাকারিয়া , কুফ৷ নিবাসী, বাগদাদ প্রবাসী ; বনু সাদের মাওলা (আযাদকৃত
দাস), ফাররা নামে সমধিক প্রসিদ্ধ ৷ নাহুৰিদ, অভিধানবিদ ও কারীদের শায়খ, যিনি আমীরুল
মু’মিনীন ফিন নাহু’ (নাহু শাদ্রের প্রধান ইমাম) অভিধায় ভুষিত ছিলেন ৷ হাযিম ইবনুল হাসান বসরী
হতে মালিক ইবন দীনার হতে আনাস ইবন মালিক (রা) সনদে হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন ৷
আনাস (রা) বলেন রাসুলুল্লাহ্ (সা) আবুবকর (রা), উমর (রা) ও উছমান (রা) ১ ,ছু এা
টু,ন্ ১৷ ! আয়াতের এ শব্দে আলিফ সহযোগে পাঠ করেছেন ৷ খতীব এটি রিওয়ায়াত
করেছেন ৷ তিনি বলেছেন, ফ ৷বৃরা ছিকা (হাদীসে আস্থা ভাজন) ইমাম ছিলেন ৷ বর্ণিত আছে যে,
খলীফ৷ মামুন তাকে নাহু শা৷স্ত্রর একটি কিতাব প্রণয়নের নির্দেশ দিয়েছিলেন ৷ যে উদ্দেশ্যে তিনি
বলতে থাকেন এবং লোকেরা তা শ্রুতি লিখনরুপে লিখে নেয় ৷ মামুন সরকারী কােষাগারে তা
ৎরক্ষণের আদেশ দেন ৷ ইমাম ফাররা খলীফা মামুনের দৃই পুত্র এবং তার পরবর্তী মুবরাজদের
শিক্ষাদানের দায়িত্ব পালন করেন ৷ একদিন তিনি র্দাড়ালে মামুনের দুই পুত্র উসৃতাদের জুতা
এগিয়ে দেয়ার জন্য ছুটে যায় এবং তা নিয়ে ত ৷রা কলহে লিপ্ত হয় ৷ পরে তারা প্রত্যেকে এক
একটি জুতা এগিয়ে দেয়ার আপোষে উপনীত তহয় ৷ এ অবস্থায় সত্তুষ্ট হয়েত তাদের পিতা তাদের
দু’জনকে বিশ হাজার দীনার এবং ফাবৃরাকে দশ হাজার দিরহাম প্রদান করেন ৷ তখন মামুন বলেন,
আপনার চেয়ে অধিক সম্মানী কেউ নেই ৷ কেননা, আমীরুল মু’মিনীনের দুই পুত্র ও তার পরবর্তী
দুই যুবরাজ আপনার জুতা এগিয়ে দেয় ৷ বর্ণিত আছে, ৰিশৃর আল মুরায়সী অথবা ইমাম মুহাম্মদ
ইবনুল হাসান ফাবৃরাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, কেউ সিজদায় সাহুতে ভুল করলে তার হুকুম কি ?
ফাররা বললেন, তাকে কিছুই করতে হবে না ৷ প্রশ্নকারী বললেন, কেন ? ফাবৃরা’ বললেন, কারণ
আমাদের মনীষিগণ বলেছেন, মুসা ৷প্গার’ (অর্থাৎ ব্যাকরণ বিধি অনুসারে কো ন কিছুর ক্ষুদ্রে রুপ
বুঝারার জন্য ব্যবহৃত শব্দ পরিমাপ যা তাসগীর নামে অভিহিত) এর পুনংত তাসগীর (ক্ষুদে রুপ)
করা যায় না ৷ প্রশ্নক৷ ৷রী অভিভৃত হয়ে বললেন, আ ৷মি মনে করি না যে, কো ন নারী আপনার তৃলনীয়
কাউকে প্রসব করবে ৷ প্রসিদ্ধি অনুসারে ইমাম মুহাম্মদই ছিলেন প্রশ্নকর্তা এবং তিনি ছিলেন
ফাবৃরা’র খালাত ভাই ৷ আবু বাকর ইবন মুহাম্মদ ইবন ইয়াহ্ইয়া আসৃসুলী বলেছেন, ফাবৃরা’
দৃইশ সাত হিজ্বরী সনে ইনতিকাল করেন ৷ খতীব বলেছেন, ফাবৃরা’ বাগদাদে ইনতিকাল করেন ৷
মতান্তরে মক্কার পথে ৷ লোকের৷ তার প্রণীত প্রন্থসমুহের ভুয়সী প্রশংসা করেছে ৷

২০৮ হিজরীর আগমন

এ বছর তাহির ইবনুল হুসায়নের৬ ভইি হাসান ইবনুল হুসায়ন ইবন মুসআব খুরাসান হতে
পালিয়ে কিরমানে চলে যায় এবং সেখানে বিদ্রে৷ ৷হ করে ৷ আহমদ ইবন আবু খালিদত ৷র ৷বিরুদ্ধে
অভিযান চা ৷লিয়ে তাকে অবরুদ্ধ করেন এবং সে আত্মসমর্পণে বাধ্য হয় ৷ তাকে মানুষের কাছে
নিয়ে আসা হলেও তিনি তাকে ক্ষমা করে দেন ৷ খলীফার এ আচরণকে প্রশংসনীয় মনে করা হয় ৷
এ বছর কাযী মুহাম্মদ ইবন সামাআ বিচারপতি পদে ইস তফা দিলে মামুনত তাকে অব্যাহতি দিয়ে
তার স্থলে ইসমা ঈল ইবন হাম্মাদ ইবন আবু হানীফাকে নিয়োগ করেন ৷ এ বছরে মামুন মুহ ৷ররাম
মাসে আল মাহদী সেনানিবাসে মুহাম্মদ ইবন আবদুর রহমান মাখয়ুমীকে কাযী পদে নিয়োগ দান


[سَنَةُ ثَمَانٍ وَمِائَتَيْنِ] [الْأَحْدَاثُ الَّتِي وَقَعَتْ فِيهَا] ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ ثَمَانٍ وَمِائَتَيْنِ فِيهَا ذَهَبَ الْحَسَنُ بْنُ الْحُسَيْنِ بْنِ مُصْعَبٍ أَخُو طَاهِرٍ فَارًّا مِنْ خُرَاسَانَ إِلَى كَرْمَانَ فَعَصَى بِهَا، فَسَارَ إِلَيْهِ أَحْمَدُ بْنُ أَبِي خَالِدٍ فَحَاصَرَهُ حَتَّى نَزَلَ قَهْرًا، فَذَهَبَ بِهِ إِلَى الْمَأْمُونِ فَعَفَا عَنْهُ فَاسْتَحْسَنَ ذَلِكَ مِنْهُ. وَفِيهَا اسْتَعْفَى مُحَمَّدُ بْنُ سَمَاعَةَ مِنَ الْقَضَاءِ، فَأَعْفَاهُ الْمَأْمُونُ وَوَلَّى مَكَانَهُ إِسْمَاعِيلَ بْنَ حَمَّادِ بْنِ أَبِي حَنِيفَةَ. وَفِيهَا وَلَّى الْمَأْمُونُ مُحَمَّدَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمَخْزُومِيَّ الْقَضَاءَ بِعَسْكَرِ الْمَهْدِيِّ فِي شَهْرِ الْمُحَرَّمِ، ثُمَّ عَزَلَهُ عَنْ قَرِيبٍ وَوَلَّى مَكَانَهُ بِشْرَ بْنَ الْوَلِيدِ الْكِنْدِيَّ فِي شَهْرِ رَبِيعٍ الْأَوَّلِ مِنْهَا. فَقَالَ الْمَخْزُومِيُّ فِي ذَلِكَ: يَا أَيُّهَا الْمَلِكُ الْمُوَحِّدُ رَبَّهُ ... قَاضِيكَ بِشْرُ بْنُ الْوَلِيدِ حِمَارُ يَنْفِي شَهَادَةَ مَنْ يَدِينُ بِمَا بِهِ ... نَطَقَ الْكِتَابُ وَجَاءَتِ الْأَخْبَارُ وَيَعُدُّ عَدْلًا مَنْ يَقُولُ بِأَنَّهُ ... شَيْخٌ يُحِيطُ بِجِسْمِهِ الْأَقْطَارُ
পৃষ্ঠা - ৮৪৬১


করেন এবং অনতিবিলন্বে তাকে বরখাস্ত করে রবীউল আওয়াল সালে তার স্থানে বিশর ইবন

সাঈদ ইবনুল ওয়ালীদ আল-কিন্দীকে নিযুক্ত করেন ৷ এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে মাখয়ুমী কবিতা
রচনা করেন-

র্মী
ঠুৰুৰুশুষ্’ ফুএন্;রুএ ’ ন্াৰুহ্রা৷ ফ্রোষ্ <াৰু :শু১ছু ;১ণ্ষ্ ওঞা ষ্কুট্টশ্ছু
“শুনুন হে সম্রাট, নিজ প্রতিপা ৷লককে এক সাব্যস্তকারী ! আপনার কাযী বিশ ৷র ইবনুল ওয়া ৷লীদ
একটা গাধা ৷ যারা কিতাব (কুরআন) যা বলেছে এবং হাদীস যা বিবৃত করতে তার প্রতি ৩অনুগত

সে তাদের সাক্ষ্য রদ করে দেয় ৷ আর যারা বলে যে, সে একজন শা ৷য়খ দিগ দিগন্ত যাকে বেষ্টন
করে রয়েছে যে তাদের বিশ্বস্ত মনে করে ৷ ”

এ বছর সালিহ ইবন হারুন আর রশীদ ভাই মামুনের আদেশে হাজ্জর নেতৃত্ব প্রদান করেন ৷

এ বছর মৃত্যুবরণকারী বিশিষ্টদের তালিকায় রয়েছেন আসওয়াদ ইবন আমির, সাঈদ ইবন
আমির, অন্যতম শ্া৷য়খুল হাদীস আবদুল্লাহ ইবন বাকর ৷ হাজির (আমীনের সচিব) ফাযল
ইবনুর রাবী, মুহাম্মদ ইবন মুসআব, মুসা ইবন মুহাম্মদ আল-আমীন যাকে আমীন তার পরের
যুবরাজ ঘোষণা করেছিলেন এবং আন-নাতিক উপাধিতেণ্ডু ষি ষিতকরেছিলেন ৷ বিক্ষ্ম তার পিতা
নিহত হয়ে যাওয়ায় তার ক্ষমতা ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয়নি (যা পুর্বে বর্ণিত হয়েছে) ৷ ইয়াহ্ইয়া ইবন
আবু বকর, ইয়াহ্ইয়া ইবন হাস্সান, ইয়াকুব ইবন ইব্রাহীম যুহরী এবং ইউনুস ইবন মুহাম্মাদ
আল-মুসাদ্দিব প্রমুখ ৷

সায়িদাে নাফীসা (র)-এর ওফাত

ইনি হলেন নাফীসা বিবৃত আবুঘুহাম্মদ আল-হাসান ইবন যায়দ ইবনুল হাসান ইবন আলী ইবন
আবুতা ৷লিব (রা) কুরায়শী, হাশিমী, তার পিতা (আবু মুহাম্মদ হাসান) মদীনায় পাচ বছর খলীফা
মানসুরের না ৷য়িব ছিলেন ৷ পরে কোন কারণে মানসুর৩ তার প্রতি অসস্তুষ্ট হলে র্ত ৷কে বরখাস্ত করেন
এবং তার যাবতীয় ন্থাবর অন্থাবর সম্পত্তি ও সঞ্চয় বাজেয়াপ্ত করলেন এবং তাকে বাগদাদে
কারারুদ্ধ করে রাখলেন ৷ মানসুরের মৃত্যু পর্যন্ত তিনি কারা রুদ্ধ রইলেন ৷ পরে (পরবর্তী খলীফা)
মাহদী তাকে মুক্তি দিলেন এবং তার সকল সম্পদও তাকে ফিরিয়ে দিলেন এবং একশ আটষট্টি
হিজরীতে তাকে সংে গে নিয়ে হাজ্জর উদ্দেশ্যে রওনা করলেন ৷ হাজির নামক স্থানে পৌছলে তিনি
ইনতিকাল করলেন ৷ খনত তার বয়স হয়েছিল পচাশি বছর ৷ নাস ৷সাঈ ইকরিমা সুত্রে ইবন আব্বাস
(বা) হতে তার এ হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) ইহরাম অবন্থায় শিংগা
লাগিয়েছেন ৷ ইবন মঈন ও ইবন আদী তাকে দুর্বল বলেছেন এবং ইবন হিব্বান তাকে ছিকা
প্রতায়ন করেছেন ৷ যুবায়র ইবন বাক্কার তার কথা আলোচনা করেছেন এবং তার
মাহাত্ম্য-অভিজা ৷ত্যের প্রশংসা করেছেন ৷

এখানে আমাদের মুখ্য বিষয় এই যে, এ আবুঘুহাম্মদের কন্যা নাফীসা তার স্বামী ইসহাক
আল-বিদায়৷ ওয়ান নিহায়৷ ( ১ :ম খণ্ড)-৫ ৭


وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ صَالِحُ بْنُ هَارُونَ الرَّشِيدِ عَنْ أَمْرِ أَخِيهِ الْمَأْمُونِ. [مَنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ] وَفِيهَا تُوُفِّيَ مِنَ الْأَعْيَانِ: الْأَسْوَدُ بْنُ عَامِرٍ. وَسَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ. وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ بَكْرٍ. أَحَدُ مَشَايِخِ الْحَدِيثِ. وَالْفَضْلُ بْنُ الرَّبِيعِ الْحَاجِبُ. وَمُحَمَّدُ بْنُ مُصْعَبٍ. وَمُوسَى بْنُ مُحَمَّدٍ الْأَمِينِ. الَّذِي كَانَ قَدْ وَلَّاهُ الْعَهْدَ مِنْ بَعْدِهِ وَلَقَّبَهُ بِالنَّاطِقِ بِالْحَقِّ، فَلَمْ يَتِمَّ لَهُ أَمْرُهُ حَتَّى قُتِلَ أَبُوهُ وَكَانَ مَا كَانَ. وَيَحْيَى بْنُ أَبِي بُكَيْرٍ. وَيَحْيَى بْنُ حَسَّانَ. وَيَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ
পৃষ্ঠা - ৮৪৬২
الزُّهْرِيُّ. وَيُونُسُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْمُؤَدِّبُ. وَفَاةُ السَّيِّدَةِ نَفِيسَةَ وَهِيَ نَفِيسَةُ بِنْتُ أَبِي مُحَمَّدٍ الْحَسَنِ بْنِ زَيْدِ بْنِ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، الْقُرَشِيَّةُ الْهَاشِمِيَّةُ كَانَ أَبُوهَا نَائِبًا لِلْمَنْصُورِ عَلَى الْمَدِينَةِ النَّبَوِيَّةِ خَمْسَ سِنِينَ، ثُمَّ غَضِبَ عَلَيْهِ أَبُو جَعْفَرٍ الْمَنْصُورُ فَعَزَلَهُ عَنْهَا، وَأَخَذَ مِنْهُ كُلَّ مَا كَانَ جَمَعَهُ مِنْهَا، وَأَوْدَعَهُ السِّجْنَ بِبَغْدَادَ، فَلَمْ يَزَلْ بِهِ حَتَّى تُوُفِّيَ الْمَنْصُورُ، فَأَطْلَقَهُ الْمَهْدِيُّ وَأَطْلَقَ لَهُ كُلَّ مَا كَانَ أُخِذَ مِنْهُ، وَخَرَجَ مَعَهُ إِلَى الْحَجِّ فِي سَنَةِ ثَمَانٍ وَسِتِّينَ وَمِائَةٍ، فَلَمَّا كَانَ بِالْحَاجِرِ تُوُفِّيَ الْحَسَنُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ خَمْسٍ وَثَمَانِينَ سَنَةً. وَقَدْ رَوَى لَهُ النَّسَائِيُّ حَدِيثَهُ، عَنْ عِكْرِمَةَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «احْتَجَمَ وَهُوَ مُحْرِمٌ» . وَقَدْ ضَعَّفَهُ ابْنُ مَعِينٍ وَابْنُ عَدِيٍّ، وَوَثَّقَهُ
পৃষ্ঠা - ৮৪৬৩


ইবন জাফর আল-মু’তামানের সংগে মিসরে গমন করেছিলেন ৷ তিনি সেখানে বসবাস করতে
থাকেন ৷ তিনি ধনবতী ছিলেন এবং মানুষকে সাহায্য-সহযোগিতা করতেন ৷ কুষ্ঠরোপী ,বিকলাৎগ ,
প্ৰতিবন্ধী রোগাক্রান্ত নির্বিশেষে সাধারণ মানুষের প্ৰতি সাহায্যের হাত প্রসারিত করে রাখতেন ৷
অপরদিকে তিনি ছিলেন অধিক ইবাদা৩ কারিণী, দৃনিয়াত্যাপী ও অধিক পুণ্যবভী ৷ শাফিঈ (র)
মিসরে পৌছলে তিনি তার প্রতি ৩াগ্সহয়ে ৷গিত৷ ৷র হাত প্রসারিত করেন ৷ অনেক সময় শাফিঈ (র)
রমযানে তাকে নিয়ে সাল ৷ত আদায় করতেন ৷শ্ ৷৷ফি ঈ (র) এর ইনতিকা ৷ল হলে সায়িাদা নাফীসা
তার জানাযা নিয়ে আসতে বলেন এবং ত ৷র ৷বাড়িতে নিয়ে যাওয়া ৷হলে৩ তিনি তার জ ৷নায৷ পড়েন ৷
পরে নাফীসা ৷র মৃত্যু হলে৩ তার স্বামী ইসহাক ইবন জা ফর তাকে মদীনা শরীকৃফ নিয়ে দাফন করা
ইচ্ছা করেন ৷ তখন মিসরবাসী তাকে বাধা প্রদান করে এবং সেখানে তাকে দাফন করার আবেদন
করে ৷ তখন তাকে তার বসত বাড়িতেই দাফন করা হয় ৷ এটি মিসর ও কায়রোর মধ্যবর্তী স্থানে
প্রাচীন কাল হতে দারবুস সিবা নামে পরিচিত একটি মহল্লা ৷৩ তিনি এ বছরের রমায৷ নে ইনতিকাল
করেন ৷ এ বর্ণনা ইবন খ ৷ল্লিক৷ ৷নের ৷ তিনি আরো বলেছেন, মিসরবাসীরাও তার ৷প্ৰতি অতিশয় ভক্তি
আপুত ৷ আমার (গ্রস্থুকারের) বক্তব্যং : সাধারণ মানুষ আজ পর্যন্ত তার প্রতি এবং এ ধরনের
অন্যান্য বুযুর্গদের ভক্তি আতিশয্যে সীমালংঘন করে চলছে ৷ বিশেষত মিসরবাসীরা ৷ তারা তার
সম্পর্কে সীমালংঘনকারী অনুমান নির্ত্যা এমন অনেক অলীক কথা বলে যা শিবৃক ও কুফরী পর্যন্ত
পৌছে দেয় ৷ তাদের ব্যবহৃত অনেক শব্দ ও বাক্য জাইয হওয়ার কোন সুত্র নেই ৷
কেউ কেউ তার বংশধা রা যায়নুল আবিদীন (আলী ইবনুল হুসায়ন (বা) এর স০ গে সম্পৃক্ত
করেছেন ; বাস্তবে তিনি এ ব০ শধারার (অর্থাৎ হুসায়নী) নন ৷ (তিনি হাসানী) এবংত র সম্পর্কেও
তেমনই পরিসীমিত সৃধারণ৷ পোষণ করা কর্তব্য বা তবে অনুরুপ অন্যান্য নেক্ক৷ র নারীদের
সম্পর্কে পোষণ করা হয় ৷ কেননা, মুর্তিপুজার মুল সুএই হচ্ছে কবর ও তার বাসিন্দাদের ব্যাপারে
ভজিং আতিশয্য ৷ অথচ নবী করীম (সা) কবর সমতল করে রাখার এবং চিহ্ন বিহীন করে রাখার
আদেশ দিয়েছেন ৷ ছাড়া মানুষের ব্যাপারে অতি ভক্তি ওে ৷ হারাম ৷ আর যে দাবী করে যে, তিনি
কাঠখণ্ডের আবদ্ধত৷ হতে ৩মুক্তি দেয়ার অথবা আল্লাহর ইচ্ছা ও মর্ষী ব্যতীত কে ৷ন লাভক্ষতি

করার ক্ষমতা রাখেন ৷ সে তৌ ঘুশরিক ৷ (আল্লাহ্ এ পুণ্যবভী নারীকে রহম করুন ও মর্যাদা
মণ্ডিত করুন !)

উযীর ফাযল ইবনুর রাবী

বংশধারা : ফাযল ইবনুর রাবী ইবন ইউনুস ইবন মুহাম্মদ ইবন আবদুল্লাহ ইবন আবু
ফারওয়া; কায়সান উছমান ইবন আফ্ফান (রা)-এর মাওল৷ (আযাদকৃত দাস) ৷ ফাযল হারুনুর
রশীদের দৃষ্টিতে যোগ্যত,ার পাত্র ছিলেন ৷ বারমাকীদের প্রতিপত্তি তার হাতেই নিঃশেষ হয়েছিল ৷
কিছু দিন তিনি৷ হ৷ রুনুর রশীদের উযীরও ছিলেন ৷৩ তিনি ও বা ৷রমাকীরা পরস্পরের আচার আচরণের
অনুকরণ ও সাদৃশ্য অর্জনে যত্ববান ছিলেন ৷ তিনি অৰিরাম তাদের হটিয়ে দেয়ার চেষ্টা অব্যাহত
রাখেন এবং এক সময় তারা নিঃশেষ হয়ে যায় (যা পুবে বর্ণিত হয়েছে) ৷ ইবন খাল্লিকান উল্লেখ
করেছেন, একদিন এ ফাযল ইয়াহ্ইয়৷ ইবন খালিদ বারমাকীর কাছে গেলেন ৷ তখন তার পুত্র
জাফর তার সামনে বসে স্বাক্ষর করিয়ে নিচ্ছিলেন ও সীলমােহর করছিলেন ৷ ফাযলের সংগে ছিল
দশটি আবেদন পত্র ৷ তিনি এগুলোর একটিরও কাজ সমাধ৷ করলেন না ৷ তখন ফাযল সেগুলো


ابْنُ حِبَّانَ، وَذَكَرَهُ الزُّبَيْرُ بْنُ بَكَّارٍ وَأَثْنَى عَلَيْهِ فِي رِيَاسَتِهِ وَشَهَامَتِهِ. وَالْمَقْصُودُ أَنَّ ابْنَتَهُ نَفِيسَةَ دَخَلَتِ الدِّيَارَ الْمِصْرِيَّةَ مَعَ زَوْجِهَا الْمُؤْتَمَنِ، إِسْحَاقَ بْنِ جَعْفَرٍ الصَّادِقِ، فَأَقَامَتْ بِهَا، وَكَانَتْ ذَاتَ مَالٍ وَإِحْسَانٍ إِلَى النَّاسِ وَالْجَذْمَى وَالزَّمْنَى وَالْمَرْضَى وَعُمُومِ النَّاسِ، وَكَانَتْ عَابِدَةً زَاهِدَةً كَثِيرَةَ الْخَيْرِ، وَلَمَّا وَرَدَ الشَّافِعِيُّ مِصْرَ أَحْسَنَتْ إِلَيْهِ، وَكَانَ رُبَّمَا صَلَّى بِهَا فِي شَهْرِ رَمَضَانَ، وَحِينَ مَاتَ أَمَرَتْ بِجِنَازَتِهِ فَأُدْخِلَتْ إِلَيْهَا الْمَنْزِلَ فَصَلَّتْ عَلَيْهِ، وَلَمَّا تُوُفِّيَتْ عَزَمَ زَوْجُهَا إِسْحَاقُ بْنُ جَعْفَرٍ أَنْ يَنْقُلَهَا إِلَى الْمَدِينَةِ النَّبَوِيَّةِ، فَمَنَعَهُ أَهْلُ مِصْرَ مِنْ ذَلِكَ، وَسَأَلُوهُ أَنْ يَتْرُكَهَا عِنْدَهُمْ، فَدُفِنَتْ فِي الْمَنْزِلِ الَّذِي كَانَتْ تَسْكُنُهُ بِمَحِلَّةٍ كَانَتْ تُعْرَفُ قَدِيمًا بِدَرْبِ السِّبَاعِ بَيْنَ مِصْرَ وَالْقَاهِرَةِ الْيَوْمَ، وَقَدْ بَادَتْ تِلْكَ الْمَحِلَّةُ فَلَمْ يَبْقَ سِوَى قَبْرِهَا. وَكَانَتْ وَفَاتُهُا فِي شَهْرِ رَمَضَانَ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ فِيمَا ذَكَرَهُ الْقَاضِي شَمْسُ الدِّينِ ابْنُ خَلِّكَانَ فِي " " وَفِيَّاتِ الْأَعْيَانِ " "، قَالَ: وَلِأَهْلِ مِصْرَ فِيهَا اعْتِقَادٌ. قُلْتُ: وَإِلَى الْآنِ، وَقَدْ بَالَغَ الْعَامَّةُ فِي أَمْرِهَا كَثِيرًا جِدًّا، وَيُطْلِقُونَ فِيهَا عِبَارَاتٍ بَشِعَةً فِيهَا مُجَازَفَةٌ تُؤَدِّي إِلَى الْكُفْرِ وَالشِّرْكِ، وَأَلْفَاظًا كَثِيرَةً يَنْبَغِي أَنْ يَعْرِفُوا بِأَنَّهَا لَا تَجُوزُ إِطْلَاقُهَا فِي مِثْلِ أَمْرِهَا، وَرُبَّمَا
পৃষ্ঠা - ৮৪৬৪
نَسَبَهَا بَعْضُهُمْ إِلَى زَيْنِ الْعَابِدِينَ، وَلَيْسَتْ مِنْ سُلَالَتِهِ، وَالَّذِي يَنْبَغِي أَنْ يُعْتَقَدَ فِيهَا مِنَ الصَّلَاحِ مَا يَلِيقُ بِأَمْثَالِهَا مِنَ النِّسَاءِ الصَّالِحَاتِ، وَأَصْلُ عِبَادَةِ الْأَصْنَامِ مِنَ الْمُغَالَاةِ فِي الْقُبُورِ وَأَصْحَابِهِا، وَقَدْ أَمَرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِتَسْوِيَةِ الْقُبُورِ وَطَمْسِهَا. وَالْمُغَالَاةُ فِي الْبَشَرِ حَرَامٌ. وَمَنْ زَعَمَ أَنَّهَا تَفُكُّ مِنَ الْخَشَبِ، أَوْ أَنَّهَا تَنْفَعُ أَوْ تَضُرُّ بِغَيْرِ مَشِيئَةِ اللَّهِ فَهُوَ مُشْرِكٌ. رَحِمَهَا اللَّهُ وَأَكْرَمَهَا وَجَعَلَ الْجَنَّةَ مَنْزِلَهَا. الْفَضْلُ بْنُ الرَّبِيعِ بْنِ يُونُسَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي فَرْوَةَ كَيْسَانَ. مَوْلَى عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ الَّذِي كَانَ زَوَالُ دَوْلَةِ الْبَرَامِكَةِ عَلَى يَدَيْهِ، وَقَدْ وَزَرَ مَرَّةً لِلرَّشِيدِ، وَقَدْ كَانَ مُتَمَكِّنًا مِنَ الرَّشِيدِ، وَكَانَ شَدِيدَ التَّشَبُّهِ بِالْبَرَامِكَةِ، وَكَانُوا يَسْتَهِينُونَ بِهِ فَلَمْ يَزَلْ يَعْمَلُ جُهْدَهُ فِيهِمْ حَتَّى هَلَكُوا كَمَا تَقَدَّمَ. وَذَكَرَ الْقَاضِي ابْنُ خَلِّكَانَ أَنَّ الْفَضْلَ هَذَا دَخَلَ يَوْمًا عَلَى يَحْيَى بْنِ خَالِدٍ، وَابْنُهُ جَعْفَرٌ، يُوَقِّعُ بَيْنَ يَدَيْهِ، وَمَعَ الْفَضْلِ بْنِ الرَّبِيعِ عَشْرُ قِصَصٍ، فَلَمْ يَقْضِ لَهُ مِنْهَا وَاحِدَةً بَلْ يَتَعَلَّلُ عَلَيْهِ فِي كُلِّ وَاحِدَةٍ مِنْهَا، فَجَمَعَهُنَّ الْفَضْلُ بْنُ الرَّبِيعِ وَقَالَ: ارْجِعْنَ خَائِبَاتٍ خَاسِئَاتٍ. ثُمَّ نَهَضَ وَهُوَ يَقُولُ: عَسَى وَعَسَى يَثْنِي الزَّمَانُ عِنَانَهُ ... بِتَصْرِيفِ حَالٍ وَالزَّمَانُ عَثُورُ فَتُقْضَى لُبَانَاتٌ وَتُشْفَى حَسَائِفُ ... وَتَحْدُثُ مِنْ بَعْدِ الْأُمُورِ أُمُورُ
পৃষ্ঠা - ৮৪৬৫
فَسَمِعَهُ الْوَزِيرُ يَحْيَى بْنُ خَالِدٍ فَقَالَ لَهُ: أَقْسَمْتُ عَلَيْكَ لَمَا رَجَعْتَ. فَأَخَذَ مِنْ يَدِهِ الْقِصَصَ فَوَقَّعَ عَلَيْهَا. ثُمَّ لَمْ يَزَلْ يَحْفِرُ خَلْفَهُمْ حَتَّى تَمَكَّنَ مِنْهُمْ، وَتَوَلَّى الْوَزَارَةَ بَعْدَهُمْ، وَفِي ذَلِكَ يَقُولُ أَبُو نُوَاسٍ: مَا رَعَى الدَّهْرُ آلَ بَرْمَكَ لَمَّا ... أَنْ رَمَى مُلْكَهُمْ بِأَمْرٍ فَظِيعِ إِنَّ دَهْرَاً لَمْ يَرْعَ عَهْدًا لِيَحْيَى ... غَيْرُ رَاعٍ ذِمَامَ آلِ الرَّبِيعِ ثُمَّ وَزَرَ مِنْ بَعْدِ الرَّشِيدِ لِابْنِهِ الْأَمِينِ، فَلَمَّا دَخَلَ الْمَأْمُونُ بَغْدَادَ اخْتَفَى، فَأَرْسَلَ لَهُ الْمَأْمُونُ أَمَانًا فَخَرَجَ، وَلَمْ يَزَلْ خَامِلًا حَتَّى مَاتَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ، وَلَهُ ثَمَانٍ وَسِتُّونَ سَنَةً، رَحِمَهُ اللَّهُ.