سنة أربع ومائتين
পৃষ্ঠা - ৮৪২১
প্রুএো
“আমাদের প্রত্যেকে জীবনের একটি বড় মেয়াদের আশাবাদী, কিন্তু৩ মৃতুার উপাদান এগুলো
সে আশার পথে কণ্টকস্বরুপ ৷ বাতিল ও অলীক রাসনাগুলো যেন তোমাকে প্রত৷ ৷রিত না করে,
মধ্যমপস্থা ও পরিমিতি’কে আকড়ে ধর ; অজুহাত প্রদর্শন ছেড়ে দাও ৷ দুনিয়া তো এক
অপসৃয়মান ছায়া ; কোন আরোহী যাতে (ক্ষণিক বিশ্রামের জন্য) অবতরণ করল, পরে চলে
গেল ৷”
২০৪ হিজরীর আগমন
এটি ছিল মামুনের ইরাক প্রত্যাগমনের বছর ৷ পথিমধ্যে তিনি জুরজানে একমাস অবস্থান
করেন এবং সেখান থেকে সফর শুরু করে প্রতি মনযিলে একদিন বা দুই দিন অবস্থান করেন ৷
নাহ্রাওয়ানে পৌছে তিনি সেখানে আট দিন অবস্থা ন করেন ৷ ইতিপুর্বে রাক্কা ৷য় অরস্থা৩ র৩ তাহির
ইবনুল হুসায়নকে নাহরাওয়ানে এসে তার সংগে সাক্ষাতে তর ফরমান পাঠিয়েছিলেন ৷ সে মতে
তাহির সেখানে উপস্থিত হলেন এবং তার বংশের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, সেনা পরিচালকবর্গ এবং
সৈনিকর৷ তার সাক্ষা ৷তে উপস্থিত হল ৷ পরবর্তী শনিবার সফর মাসের চৌদ্দ তারিখ প্রথম প্রহরের
সময় মামুন বাপদা দে প্রবেশ করলেন বিশ৷ ৷ল বাহিনী ও অত্যন্ত জাকজমক সহকারে ৷ তখন তার
পরিধানে এবং তার সহয়৷ ৷ত্রী রন্ধু-বান্ধব ও তার কর্মীবাহিনীর পরিধানে ছিল সবুজ বর্ণের পোশাক ৷
এ সময় বাগদাদবাসীরা ও বনু হ ৷শিমের সকলে সবুজ পােশ ৷ক পরিধান করল ৷ মামুন প্রথমে আর
রাসাফায় অবস্থান নিলেন এবং পরে স্থান পরিবর্তন করে দজলা ভীরের একটি ভবনে অবস্থানরত
হলেন ৷ তখন প্রচলিত রীতি ৩অনুসারে আমীর-উমা ৷রা ও রাবষ্ট্ৰর শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিরর্গ৷ প ৷লাক্রমে
তায় ভবনে উপস্থিত হতে থাকল ৷ ইতোমধ্যে বাগদাদরাসীদের পোশাক সবুজে রুপ৷ ৷ন্তরিত হয়ে
গেল এবং তারা যেখানে যে কাল কাপড় দেখতে পেল তা পুড়িয়ে দিল ৷ আটদিন এ অবস্থা
অব্যাহত রইল ৷
তারপর সবার আগে তাহির ইবনুল হুসায়নের আবেদন-আবদার পোষণ করার আদেশ দেওয়া
হল ৷ সে তার প্রথম দরখাস্তরুপে কাল পোশাকে প্রতাবর্তনের আবেদন পেশ করল ৷ কেননা, তা
ছিল তার পুর্ব পুরুষের এবং নবীগণের মীরাছ সুত্রের সম্পদ ৷ পরবর্তী শনিবার অর্থাৎ সফরের
আঠাশ তারিখ শনিবার মামুন জনসাধারণের সাক্ষাতের জন্য দরবারে উপবেশন করলেন ৷ ৩ খন
তার পরিধানে ছিল সবুজ পোশাক ৷ খনত তিনি কালো বর্ণের একটি খেলাফতের (জোড়া
পোশাক) আদেশ দিলেন এবং তা তাহিরকে পরিয়ে দিলেন ৷ পরে একদল উমারাকেও কাল
পোশাক পরিয়ে দিলেন ৷ তখন লোকেরা পুনরায় কাল পোশাকে প্রত্যাবর্তন করল এবং এর দ্বারা
তাদের আনুকুল্য ও আনুগত্যের বিষয়টি প্রকাশমান হল ৷ একটি বংনিামতে মামুন প্রত্যাগমনের
পর সাতাশ দিন পর্যন্ত সবুজ পোশাক পরিধান অব্যাহত রাখেন ৷ আল্লাহ্ই অধিক অবগত ৷
তবে চাচা ইব্রাহীম ইবনুল মাহদী ছয় বছর ও কয়েক মাস আত্মগােপন করে থাক ৷র পর তার
কাংছ উপস্থিত হলে মামুন তাকে বললেন, “আপনি কাল খলীফ৷ ৷৷ ইবরাহীম তার অপরাধ স্বীকার
[سَنَةُ أَرْبَعٍ وَمِائَتَيْنِ]
[الْأَحْدَاثُ الَّتِي وَقَعَتْ فِيهَا]
ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ أَرْبَعٍ وَمِائَتَيْنِ
فِيهَا كَانَ قُدُومُ الْمَأْمُونِ أَرْضَ الْعِرَاقِ، وَذَلِكَ أَنَّهُ مَرَّ بِجُرْجَانَ فَأَقَامَ بِهَا شَهْرًا، ثُمَّ سَارَ مِنْهَا، وَكَانَ يَنْزِلُ فِي الْمَنْزِلِ يَوْمًا أَوْ يَوْمَيْنِ، ثُمَّ جَاءَ إِلَى النَّهْرَوانِ فَأَقَامَ بِهَا ثَمَانِيَةَ أَيَّامٍ، وَقَدْ كَانَ كَتَبَ إِلَى طَاهِرِ بْنِ الْحُسَيْنِ وَهُوَ بِالرَّقَّةِ أَنْ يُوَافِيَهُ إِلَى النَّهْرَوانِ فَوَافَاهُ بِهَا وَتَلَقَّاهُ رُءُوسُ أَهْلِ بَيْتِهِ وَالْقُوَّادُ، وَجُمْهُورُ الْجَيْشِ. فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ السَّبْتِ الْآخَرِ دَخَلَ بَغْدَادَ ارْتِفَاعَ النَّهَارِ، لِأَرْبَعَ عَشْرَةَ لَيْلَةً بَقِيَتْ مِنْ صَفَرٍ، فِي أُبَّهَةٍ عَظِيمَةٍ وَجَيْشٍ عَظِيمٍ، وَعَلَيْهِ وَعَلَى جَمِيعِ أَصْحَابِهِ وَقُبَابِهِمْ وَجَمِيعِ لِبَاسِهِمُ الْخُضْرَةَ فَلَبِسَ أَهْلُ بَغْدَادَ وَبَنُو هَاشِمٍ أَجْمَعُونَ الْخُضْرَةَ، وَنَزَلَ الْمَأْمُونُ بِالرُّصَافَةِ ثُمَّ تَحَوَّلَ إِلَى قَصْرِهِ عَلَى دِجْلَةَ، وَجَعَلَ الْأُمَرَاءُ، وَوُجُوهُ الدَّوْلَةِ يَتَرَدَّدُونَ إِلَى دَارِهِ عَلَى الْعَادَةِ، وَقَدْ تَحَوَّلَ لِبَاسُ الْبَغَادِدَةِ إِلَى الْخُضْرَةِ، وَجَعَلُوا يَحْرِقُونَ كُلَّ مَا يَجِدُونَهُ مِنَ السَّوَادِ فَمَكَثُوا بِذَلِكَ ثَمَانِيَةَ أَيَّامٍ. ثُمَّ اسْتَعْرَضَ حَوَائِجَ طَاهِرِ بْنِ الْحُسَيْنِ فَكَانَ أَوَّلَ حَاجَةٍ سَأَلَهَا أَنْ يَرْجِعَ إِلَى لِبَاسِ السَّوَادِ فَإِنَّهُ لِبَاسُ آبَائِهِ مِنْ دَوْلَةِ وَرَثَةِ الْأَنْبِيَاءِ. فَلَمَّا كَانَ السَّبْتُ
পৃষ্ঠা - ৮৪২২
الْآخَرُ وَهُوَ الثَّالِثُ وَالْعِشْرُونُ مِنْ صَفَرٍ جَلَسَ الْمَأْمُونُ لِلنَّاسِ وَعَلَيْهِ الْخُضْرَةُ، ثُمَّ إِنَّهُ أَمَرَ بِخِلْعَةٍ سَوْدَاءَ، فَأَلْبَسَهَا طَاهِرًا، ثُمَّ أَلْبَسَ بَعْدَهُ جَمَاعَةً مِنَ الْأُمَرَاءِ السَّوَادَ فَلَبِسَ النَّاسُ السَّوَادَ وَعَادُوا إِلَى ذَلِكَ، بَعْدَ مَا عَلِمَ مِنْهُمُ الطَّاعَةَ وَالْمُوَافَقَةَ، وَقَدْ قِيلَ: إِنَّ الْمَأْمُونَ مَكَثَ يَلْبَسُ الْخُضْرَةَ بَعْدَ قُدُومِهِ بَغْدَادَ سَبْعًا وَعِشْرِينَ يَوْمًا. فَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَلَمَّا جَاءَ إِلَيْهِ عَمُّهُ إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمَهْدِيِّ بَعْدَ اخْتِفَائِهِ سِتَّ سِنِينَ وَشُهُورًا، قَالَ لَهُ الْمَأْمُونُ: أَنْتَ الْخَلِيفَةُ الْأَسْوَدُ. فَأَخَذَ فِي الِاعْتِذَارِ وَالِاسْتِغْفَارِ، ثُمَّ قَالَ لِلْمَأْمُونِ: أَنَا الَّذِي مَنَنْتَ عَلَيْهِ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ بِالْعَفْوِ. وَأَنْشَدَ الْمَأْمُونَ عِنْدَ ذَلِكَ:
لَيْسَ يُزْرِي السَّوَادُ بِالرَّجُلِ الشَّهْ ... مِ وَلَا بِالْفَتَى الْأَدِيبِ الْأَرِيبِ
إِنْ يَكُنْ لِلسَّوَادِ مِنْكَ نَصِيبُ ... فَبَيَاضُ الْأَخْلَاقِ مِنْكَ نَصِيبِي
قَالَ الْقَاضِي ابْنُ خِلِّكَانَ: وَقَدْ نَظَمَ هَذَا الْمَعْنَى بَعْضُ الْمُتَأَخِّرِينَ، وَهُوَ نَصْرُ اللَّهِ بْنُ قَلَاقِسَ الْإِسْكَنْدَرِيُّ فَقَالَ:
رُبَّ سَوْدَاءَ وَهِيَ بَيْضَاءُ فِعْلِ ... حَسَدَ الْمِسْكَ عِنْدَهَا الْكَافُورُ
مِثْلُ حَبِّ الْعُيُونِ يَحْسَبُهُ النَّا ... سُ سَوَادًا وَإِنَّمَا هُوَ نُورُ
পৃষ্ঠা - ৮৪২৩
করে ক্ষমা প্রার্থনা করতে লাগলেন ৷ পরে তিনি বললেন, হে আমীরুল মু মিনীন ! আমি তো সে
ব্যক্তি যাকে আপনি ক্ষমা দ্বারা অনুগৃহীত করেছেন ৷ এ সময় মামুনকে৩ তিনি এ কবিতা আবৃত্তি
করে শোনালেন-
;, ৷
“অভিজাত দৃঢ়চেত৷ ব্যক্তির জন্য কাল পোশাক অবমাননাকর নয় ; তদ্রুপ সুসাহিত্যিক
ভাগ্যবান পুরুষের জন্যও নয় ৷ কালো পোশাক যদি তোমার হাতে সৌভাগ্যমণ্ডিত হয় তবে শুভ্র
চরিত্র হচ্ছে আমার জন্য অনুদান ৷”
ইবন খাল্লিকান বলেন, উত্তরসুরীদের একজন নাসরুল্লাহ্ ইবন কালানিস ইসকান্দারী এ মর্মটি
ছন্দোবদ্ধ করেছেন ৷ তিনি বলেছেন :
’,প্রু১ হুট্রু,
“অনেক কৃষ্ণা, গুণগ বিামায় শ্বেত শুভ্রা; তার সকাশে কপুর হিংসা করে মিশৃককে ৷ যেমন
চেখের মণি, মানুষ যাকে কাল মনে করে, অথচ তাই হচ্ছে আলো ও দ্যুতি” ৷
মামুন তার চাচাকে হত্যা করার ব্যাপারে তার কোন কোন সভাষদের সংগে পরামর্শ
করেছিলেন ৷ তখন উযীর আহমদ ইবন খালিদ আল-আহ্ওয়াল তাকে বললেন, হে আমীরুল
মু মিনীন ! আপনি তাকে হত্যা করলে এ বিষয়ে আপনা যে অনেক নজির ও সমতল পাবেন ৷ আর
আপনি তাকে মাফ করে দিলে আপনি হবে নজিরবিহীন অত ট্রুলনীয় ৷
পরবর্তী পর্যায়ে মামুন দজল৷ তীরে তার ভবনের পাশে আরো অনেক ভবন নির্মাণের কাজ
শুরু করলেন ৷ তখন দেশ থেকে অশান্তি ও অরাজকতা তার পরিস্থিতি শান্ত হয়ে গেল ৷ খলীফা
সাওয়াদবাসীদের সংগে পঞ্চাশ তা ৷গের শর্তে রণ্টনচুক্তি করার আদেশ ৷দিলেন ৷ ইতোপুর্বে তার
অর্ধেকের ভিত্তিতে রণ্টন করতে ৷ তিনি পরিমাপের জন্য বড় মাপের পাত্রের প্রচলন ঘটালেন যা
ছিল আহওয়াযী মাক্কুকের দশ মাক্কুকের সমপরিমাণ ৷ তিনি বিভিন্ন অঞ্চলে প্রচলিত বিভিন্ন
ধরনের কর ও রাজস্ব রহিত করেন ৷ বহু স্থানে জনতার সংগে দয়র্দ্র আচরণ করেন ৷ তিনি কুফায়
৷ তার ভাই আবুঈসা ইবনৃর রশীদকে এবং বসরায় অপর তাই সালিহকে নিযুক্ত করেন ৷ উবায়দুল্লাহ্
ইবনৃল হুস৷ য়ন ইবন আবদৃল্লাহ্ ইবনৃল আব্বাস ইবন আ ৷লী ইবন আবু৩ তালিবকে তিনি দুই হারামের
(মক্কা-মদীনা) নায়িব পদে নিযুক্ত করেন এবং এ বছর ইনিই হব্লুজ্জর আমীরের দায়িত্ব; পালন
করেন ৷ মামুন ইয়াহ্ইয়৷ ইবন মুআয় বারাক আল খুররামীর সংগে সংঘর্ষে লিপ্ত পহন ৷ কিন্তু তাকে
করে করতে সক্ষম হননি ৷ এ বছর অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তির ইনতিকাল হয় ৷৩ তাদের মধ্যে বিশেষ
রুপে উল্লেখযোগ্য-
আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মদ ইবন ইদরীস ইমাম শাফিঈ (র) তাবাকুত শ্া৷ফিঈহ্দীনঃ নামক
কিতাবে আমি তার দীর্ঘ স্বতন্ত্র৬ জীবনী লিপিবদ্ধ করেছি ৷ এখানে তার সার সংক্ষেপ উল্লেখের
প্রয়াস পাওয়া হবে ৷ আল্লাহ্র কাছেই সাহায্য প্রার্থনা !
وَكَانَ الْمَأْمُونُ قَدْ شَاوَرَ فِي قَتْلِ عَمِّهِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْمَهْدِيِّ فَقَالَ لَهُ أَحْمَدُ بْنُ خَالِدٍ الْوَزِيرُ الْأَحْوَلُ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، إِنْ قَتَلْتَهُ فَلَكَ نُظَرَاءُ، وَإِنْ عَفَوْتَ عَنْهُ فَمَا لَكَ نَظِيرٌ. ثُمَّ شَرَعَ الْمَأْمُونُ فِي بِنَاءِ قُصُورٍ عَلَى دِجْلَةَ إِلَى جَانِبِ قَصْرِهِ بِهَا، وَسَكَنَتِ الْفِتَنُ وَانْزَاحَتِ الشُّرُورُ، وَأَمَرَ بِمُقَاسَمَةِ أَهْلِ السَّوَادِ عَلَى الْخُمْسَيْنِ، وَكَانُوا يُقَاسِمُونَ عَلَى النِّصْفِ، وَاتَّخَذَ الْقَفِيزَ الْمُلْجَمَ وَهُوَ عَشْرَةُ مَكَاكِيَّ بِالْمَكُّوكِ الْهَارُونِيِّ، وَوَضَعَ شَيْئًا كَثِيرًا مِنْ خَرَاجَاتِ بِلَادٍ شَتَّى، وَرَفَقَ بِالنَّاسِ فِي مَوَاضِعَ كَثِيرَةٍ.
وَوَلَّى أَخَاهُ أَبَا عِيسَى بْنَ الرَّشِيدِ الْكُوفَةَ وَوَلَّى أَخَاهُ صَالِحًا الْبَصْرَةَ وَوَلَّى عُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ الْحَسَنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْعَبَّاسِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ نِيَابَةَ الْحَرَمَيْنِ، وَهُوَ الَّذِي حَجَّ بِالنَّاسِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ، وَفِيهَا وَاقَعَ يَحْيَى بْنُ مُعَاذٍ بَابَكَ الْخُرَّمِيَّ فَلَمْ يَظْفَرْ بِهِ.
[مَنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ]
وَفِيهَا تُوُفِّيَ مِنَ الْأَعْيَانِ جَمَاعَةٌ مِنْهُمْ:
পৃষ্ঠা - ৮৪২৪
أَبُو عَبْدِ اللَّهِ مُحَمَّدُ بْنُ إِدْرِيسَ الشَّافِعِيُّ
وَقَدْ أَفْرَدْنَا لَهُ تَرْجَمَةً مُطَوَّلَةً فِي أَوَّلِ كِتَابِنَا " " طَبَقَاتِ الشَّافِعِيِّينَ " "، وَلْنَذْكُرْ هَاهُنَا مُلَخَّصًا مِنْ ذَلِكَ، وَبِاللَّهِ الْمُسْتَعَانُ.
هُوَ الْإِمَامُ الْعَالِمُ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ مُحَمَّدُ بْنُ إِدْرِيسَ بْنِ الْعَبَّاسِ بْنِ عُثْمَانَ بْنِ شَافِعِ بْنِ السَّائِبِ بْنِ عُبَيْدِ بْنِ عَبْدِ يَزِيدَ بْنِ هَاشِمِ بْنِ الْمُطَّلِبِ بْنِ عَبْدِ مَنَافِ بْنِ قُصَّيٍّ، الْقُرَشِيُّ الْمُطَّلِبيُّ، وَالسَّائِبُ بْنُ عُبَيْدٍ أَسْلَمَ يَوْمَ بَدْرٍ وَابْنُهُ شَافِعُ بْنُ السَّائِبِ مِنْ صِغَارِ الصَّحَابَةِ، وَأُمُّهُ أَزْدِيَّةٌ. وَقَدْ رَأَتْ حِينَ حَمَلَتْ بِهِ كَأَنَّ الْمُشْتَرِيَ خَرَجَ مِنْ فَرْجِهَا حَتَّى انْقَضَّ بِمِصْرَ، ثُمَّ وَقَعَ فِي كُلِّ بَلَدٍ مِنْهُ شَظِيَّةٌ. وَقَدْ وُلِدَ الشَّافِعِيُّ بِغَزَّةَ، وَقِيلَ: بِعَسْقَلَانَ. وَقِيلَ: بِالْيَمَنِ سَنَةَ خَمْسِينَ وَمِائَةٍ، وَمَاتَ أَبُوهُ وَهُوَ صَغِيرٌ، فَحَمَلَتْهُ أُمُّهُ إِلَى مَكَّةَ وَهُوَ ابْنُ سَنَتَيْنِ، لِئَلَّا يَضِيعَ نَسَبُهُ، فَنَشَأَ بِهَا، وَقَرَأَ الْقُرْآنَ وَهُوَ ابْنُ سبْعِ سِنِينَ، وَحَفِظَ " " الْمُوَطَّأَ " " وَهُوَ ابْنُ عَشْرٍ، وَأَفْتَى وَهُوَ ابْنُ خَمْسَ عَشْرَةَ سَنَةً، وَقِيلَ: ابْنُ ثَمَانِي عَشْرَةَ سَنَةً. أَذِنَ لَهُ شَيْخُهُ مُسْلِمُ بْنُ خَالِدٍ الزَّنْجِيُّ. وَعُنِيَ بِاللُّغَةِ وَالشِّعْرِ، وَأَقَامَ فِي هُذَيْلٍ نَحْوًا مِنْ عَشْرِ سِنِينَ، وَقِيلَ: عِشْرِينَ سَنَةً، فَتَعَلَّمَ مِنْهُمْ لُغَاتِ الْعَرَبِ وَفَصَاحَتَهَا، وَسَمِعَ الْحَدِيثَ الْكَثِيرَ عَلَى جَمَاعَةٍ مِنَ الْمَشَايِخِ وَالْأَئِمَّةِ، وَقَرَأَ بِنَفْسِهِ " " الْمُوَطَّأَ " " عَلَى مَالِكٍ مِنْ حِفْظِهِ فَأَعْجَبَتْهُ قِرَاءَتُهُ وَهِمَّتُهُ، وَأُخِذَ عَنْهُ عِلْمُ الْحِجَازِيِّينَ بَعْدَ أَخْذِهِ، عَنْ مُسْلِمِ
পৃষ্ঠা - ৮৪২৫
বংশ পরিচিতি : মুহাম্মদ ইবন ইদরীস ইবনুল আব্বাস ইবন উছমান ইবন শাফি ইবনুস সাইব
ইবন উবায়দ ইবন আবৃদ ইয়াযীদ ইবন হাশিম ইবন আবদুল মুত্তালির ইবন আবৃদ মানাফ ইবন
কুসাই আল-কুরাশী আল-মুত্তালিবী ৷ সাইব ইব্ উবায়দ (রা) বদরের যুদ্ধের দিন ইসলাম গ্রহণ
করেন ৷ তার পুত্র শাফি ইবনুস সাইব কনিষ্ঠ সাহাবী ছিলেন ৷ ইমাম শাফিঈর মায়ের নাম
আযদিয়া ৷ শাফিঈ (র) মাতৃগর্ভে থাকা অবস্থায় তার মাতা স্বপ্নে দেখেন যেন, বৃহস্পতি গ্রহ তার
পেট হতে বেরিয়ে মিসরে ভেৎগে পড়ল এবং প্রতিটি শহরে তার এক একটি ন্ফুলিংগ ছড়িয়ে
পড়ল ৷ শাফিঈ (র) গাজা য় জন্মগ্রহণ করেন ৷ মতাম্ভরে আসকালান অথবা ইয়ামানে ৷ তখন
হিজরী একশ পঞ্চাশ সন ৷ শৈশ বেই তার পিত ৷ইনতিকা ৷ল করেন ৷ দৃ’বছর বয়সেই৩ ৷ তার মাতা
তাকে মক্কায় নিয়ে আসেন ৷ যাতেত তার ৷বংশীয় ধারা বিনষ্ট৷ না হয় ৷ মক্কায় তিনি বড় হতে থাকেন ৷
সাত বছর বয়সে তিনি কুরআন শরীফ পড়ে ফেলেন এবং দশ বছর বয়সে মুআত্তা মুখন্থ করে
ফেলেন ৷ পনর বছর বয়সে মতা ভরে আঠার বছর বয়সে তিনি তার শায়খ মুসলিম ইবন খালিদ
জংপীর অনুমতিক্রমে ফাতওয়া প্রদান করেন ( পাঠদান করেন) ৷ প্রথমে তিনি অভিধান ও
কাব্যশাস্তে মনোযোগ নিবদ্ধ করেন ৷ তিনি হুযায়ল গোত্রে দশ বছর ও বর্ণনাম্ভরে বিশ বছর অবস্থান
করেন এবং সেখানে আরবী ভাষা-সাহিত্য ও তার অলংকার শিক্ষা করেন ৷ মাশাইখ ও ইমড়ামদের
এক বড় সংখ্যকের কাছে তিনি হাদীস শ্রবণ করেন ৷ তিনি ইমাম মালিককে নিজ মুখন্থ করা
মুঅধ্ড়াগাত্তা ৷পাঠ করে ৫ন্ ৷৷নান ৷ তার পাঠ ও হিষ্মাত ইমামকে অভিভৃত ৩করে ৷ মুসলিম ইবন খালিদ
গীহতে হিজা যবাসী বিদ্বা ৷নদের ইল্ম আহরণ করার পর তিনি তা ইমাম মালিক হতে আহরণ
করেন ৷ বহু লোক তার কাছে হাদীস অধ্যয়ন করেন ৷ যাদের বর্ণক্রমিক নামের তালিকা আমি
( পুবোক্ত কিভাবে) উল্লেখ করেছি ৷ তার কুরআন পাঠের (ইলমুল কিরাআতের)৷ ধ ৷রাবা ৷হিক সনদ
হচ্ছে শাফিঈ ইসমাঈল হতে ৷ তিনি কাস৩ানভীন হতে, তিনি শি ৷বৃল হতে, তিনি ইবন কাসীর
হতে,ত তিনি মুজ৷ ৷হিদ হতে, তিনি ইবন আব্বাস (বা) হতে৩ তিনি উব৷ ৷য় ইবন কা ব (রা) হতে
রাসুলুল্পাহ্ (সা) হতে ৷ তিনি জিবরীল (আ) হতে ৷ তিনি মহিয়ান গরিয়ান অ ৷ল্লাহ্ তা আলা হতেনি ৷
ইমাম শাফিঈ (র) ফিকাহ হাসিল করেছেন (সনদ) মুসলিম ইবন খালিদ হতে , তিনি জুরায়জ
হতে, তিনি আত৷ হতে, তিনি ইবন আব্বাস ও ইবনুল যুবায়ৱ (রা) প্রমুখ হতে ৷ তারা সাহাবীদের
জামাআত হতে, যাদের মধ্যে আমর ইবন আলী ১ , ইবন মাসউদ, যায়দ ইবন ছাবিত (বা) প্রমুখ
সবিশেষ উল্লেখযোগ্য এবং তারা সকলে রাসুলুল্লাহ্ হতে ৷ তার ফিকহের আর একটি সনদ মালিক
হতে ৷ তিনি তার মাশাইখ হতে ৷ একদল বিদ্বান তার কাছে ফিক্হ অর্জন করেন (যাদের
তালিকা যুগ পরম্পরায় আমাদের যুগ পর্যন্ত একটি পৃথক কিভাবে আমি উল্লেখ করেছি) ৷
ইবন আবু হাতিম আবু বিশর দাওলাবী সুত্রে, হুমায়দীর সাব ( ওয়াররাকুল হুমায়দী) মুহাম্মদ
ইবন ইদরীস সুত্রে শাফিঈ হতে বর্ণনা করেছেন যে, ইয়ামানের নাজরানে তিনি শাসন ক্ষমতায়
নিযুক্ত হয়েছিলেন ৷ পরে লোকেরা তার প্রতি পােত্রীয় বিদ্বেষে লিপ্ত হয়েত তার বিরুদ্ধে রশীদের
কাছে এ মমে কুটনামী করে যে,৩ তিনি খিলাফতের আকাক্ষো পােষণকারী ৷ তখন তাকে বেড়িতে
আবদ্ধ করে খচ্চরের পিঠে বসিয়ে বাগদাদে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ তিনি একশ চুরাশী হিজরী সনে তার
ত্রিশ (চৌত্রিশ) বছর বয়সের সময় বাগদাদে প্রবেশ করেন ৷ সেখানে তিনি খলীফার (হারুনুর
১ সম্ভবত মুদ্রণবিভ্র৷ ট ৷ আসলে হবে উমর ইবন উমর (রা) ৷
আল বিদায়৷ ওয়ান নিহায়া ( ১ :ম খণ্ড)ক্রো৫হু৫
بْنِ خَالِدٍ الزَّنْجِيِّ.
وَرَوَى عَنْهُ خَلْقٌ كَثِيرٌ قَدْ ذَكَرْنَا أَسْمَاءَهُمْ مُرَتَّبِينَ عَلَى حُرُوفِ الْمُعْجَمِ. وَقَرَأَ الْقُرْآنَ عَلَى إِسْمَاعِيلَ بْنِ قُسْطَنْطِينَ، عَنْ شِبْلٍ، عَنِ ابْنِ كَثِيرٍ عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، عَنْ جِبْرِيلَ، عَنِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ.
وَأَخَذَ الشَّافِعِيُّ الْفِقْهَ عَنْ مُسْلِمِ بْنِ خَالِدٍ الزَّنْجِيِّ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ عَنْ عَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَابْنِ الزُّبَيْرِ وَغَيْرِهِمَا، عَنْ جَمَاعَةٍ مِنَ الصَّحَابَةِ؛ مِنْهُمْ عُمَرُ، وَعَلِيٌّ، وَابْنُ مَسْعُودٍ، وَزَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ وَغَيْرُهُمْ، كُلُّهُمْ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَتَفَقَّهَ أَيْضًا عَلَى مَالِكٍ عَنْ مَشَايِخِهِ، وَتَفَقَّهَ بِهِ جَمَاعَةٌ قَدْ ذَكَرْنَاهُمْ وَمَنْ بَعْدَهُمْ إِلَى زَمَانِنَا فِي مُصَنَّفٍ مُفْرَدٍ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ.
وَقَدْ رَوَى ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ الدُّولَابِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِدْرِيسَ وَرَّاقٍ الْحُمَيْدِيِّ، عَنِ الْحُمَيْدِيِّ، عَنِ الشَّافِعِيِّ أَنَّهُ وَلِيَ الْحُكْمَ بِنَجْرَانَ مِنْ أَرْضِ الْيَمَنِ، ثُمَّ تَعَصَّبُوا عَلَيْهِ وَوَشَوْا بِهِ إِلَى الرَّشِيدِ هَارُونَ أَنَّهُ يَرُومُ الْخِلَافَةَ، فَحُمِلَ عَلَى بَغْلٍ فِي قَيْدٍ إِلَى بَغْدَادَ فَدَخَلَهَا فِي سَنَةِ أَرْبَعٍ وَثَمَانِينَ وَمِائَةٍ وَعُمُرُهُ ثَلَاثُونَ سَنَةً فَاجْتَمَعَ بِالرَّشِيدِ فَتَنَاظَرَ هُوَ وَمُحَمَّدُ بْنُ الْحَسَنِ بَيْنَ يَدَيْهِ، وَأَحْسَنَ الْقَوْلَ فِيهِ مُحَمَّدُ بْنُ الْحَسَنِ، وَتَبَيَّنَ لِلرَّشِيدِ بَرَاءَتَهُ مِمَّا نُسِبَ إِلَيْهِ، وَأَنْزَلَهُ مُحَمَّدُ بْنُ الْحَسَنِ عِنْدَهُ.
وَكَانَ أَبُو يُوسُفَ قَدْ مَاتَ قَبْلَ ذَلِكَ بِسَنَةٍ وَقِيلَ: بِسَنَتَيْنِ وَأَكْرَمَهُ
পৃষ্ঠা - ৮৪২৬
مُحَمَّدُ بْنُ الْحَسَنِ، وَكَتَبَ عَنْهُ الشَّافِعِيُّ وَقْرَ بَعِيرٍ. ثُمَّ أَطْلَقَ لَهُ الرَّشِيدُ أَلْفَيْ دِينَارٍ وَقِيلَ: خَمْسَةَ آلَافِ دِينَارٍ وَعَادَ الشَّافِعِيُّ إِلَى مَكَّةَ فَفَرَّقَ عَامَّةَ مَا حَصَلَ لَهُ فِي أَهْلِهِ وَذَوِي رَحِمِهِ مِنْ بَنِي عَمِّهِ، ثُمَّ عَادَ الشَّافِعِيُّ إِلَى بَغْدَادَ فِي سَنَةِ خَمْسٍ وَتِسْعِينَ وَمِائَةٍ فَاجْتَمَعَ بِهِ جَمَاعَةٌ مِنَ الْعُلَمَاءِ هَذِهِ الْمَرَّةَ؛ مِنْهُمْ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، وَأَبُو ثَوْرٍ، وَالْحُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ الْكَرَابِيسِيُّ، وَالْحَارِثُ بْنُ سُرَيْجٍ النَّقَّالُ، وَأَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ الشَّافِعِيُّ، وَالزَّعْفَرَانِيُّ وَغَيْرُهُمْ. ثُمَّ رَجَعَ إِلَى مَكَّةَ.
وَرَجَعَ إِلَى بَغْدَادَ أَيْضًا سَنَةَ ثَمَانٍ وَتِسْعِينَ وَمِائَةٍ، ثُمَّ انْتَقَلَ مِنْهَا إِلَى مِصْرَ فَأَقَامَ بِهَا إِلَى أَنْ مَاتَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ؛ سَنَةَ أَرْبَعٍ وَمِائَتَيْنِ، كَمَا سَيَأْتِي. وَصَنَّفَ بِهَا كِتَابَهُ " " الْأُمَّ " "، وَهُوَ مِنْ كُتُبِهِ الْجَدِيدَةِ؛ لِأَنَّهَا مِنْ رِوَايَةِ الرَّبِيعِ بْنِ سُلَيْمَانَ وَهُوَ مِصْرِيٌّ. وَقَدْ زَعَمَ إِمَامُ الْحَرَمَيْنِ وَغَيْرُهُ أَنَّهَا مِنَ الْقَدِيمِ. وَهَذَا بَعِيدٌ وَعَجِيبٌ مِنْ مِثْلِهِ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَقَدْ أَثْنَى عَلَى الشَّافِعِيِّ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنْ كِبَارِ الْأَئِمَّةِ، مِنْهُمْ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ وَسَأَلَهُ أَنْ يَكْتُبَ لَهُ كِتَابًا فِي الْأُصُولِ فَكَتَبَ لَهُ " " الرِّسَالَةَ " "، وَكَانَ يَدْعُو لَهُ فِي الصَّلَاةِ دَائِمًا، وَشَيْخُهُ مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ وَقَالَ: هُوَ إِمَامٌ، وَسُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، وَيَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ، وَكَانَ يَدْعُو لَهُ أَيْضًا فِي صَلَاتِهِ. وَأَبُو عُبَيْدٍ وَقَالَ: مَا رَأَيْتُ أَفْصَحَ وَلَا أَعْقَلَ وَلَا أَوْرَعَ مِنَ الشَّافِعِيِّ،
পৃষ্ঠা - ৮৪২৭
রশীদের) সংগে মিলিত হন ৷ খলীফা ৷র সামনে তিনি ইমাম মুহ৷ মদ ইবনুল হাসান বিতর্কে লিপ্ত হন
এবং মুহাম্মদ ইবনুল হাসান তার সম্পর্কে উত্তম মন্তব্য করেন ৷৩ তার নামে উথাপিত অভিযোগের
বিষয়টিও হ রুনুর রশীদের কাছে পরিষ্কার হয়ে যায় এবং তার নির্দোষ হওয়৷ ৷প্রমাণিত ৩হয় ৷ ইমাম
মুহাম্মদ ইবনুল হাসান তাকে নিজের যেহমানরুপে নিয়ে যান ৷ আবু ইউসুফ (র) এর এক বছর বা
দু’ বছর আগে ইনতিকাল করেছিলেন ৷ ইমাম মুহাম্মদ ইবনুল হাসান তাকে অতিশয় কদর
করলেন ৷ শাফিঈ তার নিকট হতে এক উটের বোঝা পরিমাণ ইলুম লিপিবদ্ধ করেন ৷ পরে
হারুনুর রশীদ৩৷াকে দুইাজ হাজ ৷র ৷দীনার, মতান্তরে পাচ হাজার দীন৷ ৷র অনুদান প্রদান করেন ৷ শা ৷ফিঈ
(র) মক্কায় ফিরে গিয়ে প্রাপ্ত অর্থের প্রায় সমুদয় অংশ তার পরিবার পরিজন এবং তার জ্ঞাতি ভাই
ও আ ৷ত্মীয়দের মাঝে বণ্টন করে দেন ৷ পরে একশ পচ৷ ৷নব্বই হিজরী সনে শাফিঈ (বা) দ্বিতীয়বার র
ইরাক আগমন করেন ৷ এবারে একদল আলীম মনীষী তার কাছে সমবেত হলেন ৷ যাদের মধ্যে
উল্লেখযোগ্য ছিলেন আহমদ ইবন হাম্বল , আবুছাওর, হুসায়ন ইবন আলী কারাবীসী , হারিছ ইবন
শুরায়হ আল-হাক্কাল , আবুআবদুর রহমান শাফিঈ ও যাফরানী প্রমুখ ৷ পরে তিনি মক্কায় ফিরে
আসেন এবং একশ আটানব্বই হিজরীতে আর একবার বাগদাদ গমন করেন ৷ পরে সেখান হতে
মিসরে চলে যান এবং মৃত্যু পর্যন্ত অর্থাৎ দুইশ চার হিজরী সন পর্যন্ত সেখানে বসবাস করেন ৷
এখানেই তিনি তার কালজয়ী গ্রন্থ কিতাবুল উম্ম লিপিবদ্ধ করেন যা তার নতুন (পরিবর্তিত
মতবাদের) কিতাবসমুহের অন্যতম ৷ যা তার মিসরীয়৷ ছ৷ ত্র রাবী ইবন সুলায়মান সুত্রে প্রচারিত
হয়েছে ৷ ইমামুল হারামায়ন প্রমুখ বলেছেন যে, এ কিতাব তার পুরাতন মতবাদের ৷ কিন্তু৷ তার
মত বিজ্ঞ মনীষীরে জন্য এ ধরনের বক্তব্য বিস্ময়কর ৷ আল্পাহ্ই সমধিক অবহিত ৷
প্রবীণ ও মহান ইমামদের অনেবেইি ইমাম শাফিঈর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন ৷ এদের
অন্যতম আবদুর রহমান ইবন মাহদী ৷ ইনি তার কাছে উসুল (মুলনীতি) শাভৈস্ত্র একটি কিতাব
লিখে দেয়ার আবেদন করলে তিনি তার জন্য আর-রিসালা লিখে দেন ৷ তিনি সব সময় তার
জন্য সালাতে দুআ করতেন ৷ প্রশংসাকারীদের মধ্যে রয়েছেন তার শায়খ মালিক ইবন আসাম ও
কুতায়বা ইবন সাঈদ ৷ কুতায়বা বলেছেন, তিনি ইমাম ৷ আরো রয়েছেন সুফিয়ান ইবন উয়ায়না,
ইয়াহ্ইয়া ইবন সাঈদ আল-কাত্তান ৷ ইনিও সালাতে তার জন্য দু’আ করতেন ৷ অনুরুপ আবু
উবায়দ ৷ তিনি বলেছেন, শাফিঈর চেয়ে অধিক বাশ্মী (অলংকারবিদ) অধিক জ্ঞানবান ও অধিক
আল্লাহ্ভীরু আর কাউকে আমি দেথিনি ৷ অনুরুপ (প্রশংসাকারী) কাযী ইয়াহ্ইয়া ইবন আকছাম ৷
ইসহাক ইবন রাহওয়ায়াহ্, মুহাম্মদ ইবনুল হাসান প্রমুখ এবং আরো অনেকে ৷ যাদের সকলের
নামোল্লেখ করলে ও বক্তব্যের বিবরণ প্রদান দীর্ঘ হয়ে যাবে ৷
আহমদ ইবন হাম্বল তো তার জন্য সালাতে চল্লিশ বছর যাবত দুআ করেছেন ৷ আবদুল্লাহ
ইবন ওয়াহ্ব সুত্রে সাঈদ ইবন আবু আইয়ুব হতে শারহীল ইবন ইয়াযীদ হতে আবু আলকাম৷ হতে
আবু হুবায়রা (রা) সনদে নবী (না) হতে আবুদাউদের বর্ণিত
ণ্ণ্ণ্ণ্ণ্
আল্লাহ প্রতি শত ৩বছরের মাথায় এ উম্মতের জন্য এমন ব্যক্তিকে পাঠাবেন যিনি উ তেব
জন্য দীনকে নবায়ন করে দিবুবন ৷ হাদীস প্রসংগে ইমাম আহমদ ইবন হাম্বল বলতেন, “উমর
وَيَحْيَى بْنُ أَكْثَمَ الْقَاضِي، وَإِسْحَاقُ بْنُ رَاهَوَيْهِ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْحَسَنِ، وَغَيْرُ وَاحِدٍ مِمَّنْ يَطُولُ ذِكْرُهُمْ وَشَرْحُ أَقْوَالِهِمْ.
وَكَانَ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ يَدْعُو لَهُ فِي صَلَاتِهِ نَحْوًا مِنْ أَرْبَعِينَ سَنَةً، وَكَانَ أَحْمَدُ يَقُولُ فِي الْحَدِيثِ الَّذِي رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ، مِنْ طَرِيقِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ وَهْبٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي أَيُّوبَ، عَنْ شَرَاحِيلَ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ أَبِي عَلْقَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ اللَّهَ يَبْعَثُ لِهَذِهِ الْأُمَّةِ عَلَى رَأْسِ كُلِّ مِائَةِ سَنَةٍ مَنْ يُجَدِّدُ لَهَا دِينَهَا» قَالَ: فَعُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ عَلَى رَأْسِ الْمِائَةِ الْأُولَى، وَالشَّافِعِيُّ عَلَى رَأْسِ الْمِائَةِ الثَّانِيَةِ. وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ: حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنِ النَّضْرِ بْنِ مَعْبَدٍ الْكِنْدِيِّ أَوِ الْعَبْدِيِّ، عَنِ الْجَارُودِ، عَنْ أَبِي الْأَحْوَصِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تَسُبُّوا قُرَيْشًا فَإِنَّ عَالِمَهَا يَمْلَأُ الْأَرْضَ عِلْمًا، اللَّهُمَّ إِنَّكَ أَذَقْتَ أَوَّلَهَا عَذَابًا - أَوْ وَبَالًا - فَأَذِقْ آخِرَهَا نَوَالًا» .
وَهَذَا غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ، وَقَدْ رَوَاهُ الْحَاكِمُ فِي " " مُسْتَدْرَكِهِ " "، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِنَحْوِهِ. قَالَ أَبُو نُعَيْمٍ، عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ مُحَمَّدٍ الْإِسْفَرَايِينِيُّ: لَا يَنْطَبِقُ هَذَا إِلَّا عَلَى مُحَمَّدِ بْنِ إِدْرِيسَ الشَّافِعِيِّ. حَكَاهُ
পৃষ্ঠা - ৮৪২৮
الْخَطِيبُ. وَقَالَ يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ عَنِ الشَّافِعِيِّ: هُوَ صَدُوقٌ لَا بَأْسَ بِهِ. وَقَالَ مَرَّةً: لَوْ كَانَ الْكَذِبُ لَهُ مُطْلَقًا لَكَانَتْ مُرُوءَتُهُ تَمْنَعُهُ أَنْ يَكْذِبَ. وَقَالَ ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ: سَمِعْتُ أَبِي يَقُولُ: الشَّافِعِيُّ فَقِيهُ الْبَدَنِ، صَدُوقُ اللِّسَانِ. وَحَكَى بَعْضُهُمْ عَنْ أَبِي زُرْعَةَ أَنَّهُ قَالَ: مَا عِنْدَ الشَّافِعِيِّ حَدِيثٌ غَلِطَ فِيهِ. وَحُكِيَ عَنْ أَبِي دَاوُدَ نَحْوَهُ.
وَقَالَ إِمَامُ الْأَئِمَّةِ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ بْنِ خُزَيْمَةَ، وَقَدْ سُئِلَ: هَلْ سُنَّةٌ لَمْ تَبْلُغِ الشَّافِعِيَّ؟ فَقَالَ: لَا. وَمَعْنَى هَذَا أَنَّهَا تَارَةً تَبْلُغُهُ بِسَنَدِهَا، وَتَارَةً مُرْسَلَةً، وَتَارَةً مُنْقَطِعَةً، كَمَا هُوَ الْمَوْجُودُ فِي كُتُبِهِ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَقَالَ حَرْمَلَةُ: سَمِعْتُ الشَّافِعِيَّ يَقُولُ: سُمِّيتُ بِبَغْدَادَ نَاصِرُ السُّنَّةِ. وَقَالَ أَبُو ثَوْرٍ: مَا رَأَيْنَا مِثْلَ الشَّافِعِيِّ، وَلَا رَأَى هُوَ مِثْلَ نَفْسِهِ. وَكَذَا قَالَ الزَّعْفَرَانِيُّ وَغَيْرُهُ.
وَقَالَ دَاوُدُ بْنُ عَلِيٍّ الظَّاهِرِيُّ فِي كِتَابٍ جَمَعَهُ فِي فَضَائِلِ الشَّافِعِيِّ: لِلشَّافِعِيِّ مِنَ الْفَضَائِلِ مَا لَمْ يَجْتَمِعْ لِغَيْرِهِ؛ مِنْ شَرَفِ نَسَبِهِ، وَصِحَّةِ دِينِهِ،
পৃষ্ঠা - ৮৪২৯
ইবন আবদুল আ ৷যীয ছিলেন প্রথম শত বছরের মাথায় (মুজাদ্দিদ), শাফিঈ হচ্ছেন দ্বিতীয় শতকের
মাথায় ৷ আবু দ ৷উদ তায়ালিসী বলেছেন, জা ফর ইবন সুলায়মান হতে নাসর ইবন মাবাদ
আল-কিন্দী অথবা আ ল আবদী হতে জারুদ হতে আবুল আহওয়াস হতে আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ
(রা) সনদে বর্ণিত ৷৩ তিনি বলেন, রা সুলুল্ল৷ হ্ (স ) বলেছেন,
াট্রুা;(: ৷ৰুখৃ, ৷ ট্রু;ট্র;া৷ ;৷ রু;!১৷ র্তা;দ্বুা৷ র্চু£; ৰু,; ,১৷ ৷ ১াট্রু ধ্া; ;,এে ৷ৰুৰু,টুও ৷,ট্রু;১া
ৰুা৷ ,১ ৷ঠুব্লু;দু ঙ্১ঞে ১া৷ৰুৰু,
-(তোমর৷ কুরায়শদের গালমন্দ করবে না ৷ কেননা, কুরায়শের একজন আলিম বিশ্বকে
ইলমে ভরে দিবে ৷ ইয়৷ আল্লাহ্ ! আপনি যেহেতু এদের প্রথম অংশকে আমার ও বিপদ ভোগ
করিয়েছেন, সুতরাং এদের শেষ অংশকে করুণা ভোগ করান ৷) উল্লিখিত সনদে এটি গরীব-
একক সুত্রীয় ৷ হাশিম ও তার মুসতাদরাকে আবু হুরায়রা (রা ) সুত্রে নবী (সা) হতে অনুরুপ
রিওয়ায়াত করেছেন ৷ আবু নুআয়ম আবদুল মালিক ইবন মুহাম্মদ ইসফ ৷রাঈনী বলেছেন ৷ এ
হাদীসের বিষয়বস্তু মুহাম্মদ ইবন ইদরীস শাফিঈ ব্যতীত অন্য কারো জন্য প্রযোজ্য হয় না ৷ খতীব
এ বর্ণনা উদ্ধৃত করেছেন ৷ ইয়াহ্ইয়৷ ইবন মঈন শাফিঈ প্ৰসং গে বলেছেন, “অতি সতাবাদী ৷
কোন আপত্তি নেই ৷” একবার এভাবে বলেছেন, “মিথ্যা বলাত বজন্য উন্মুক্ত ও নিঃশর্তরুপে
বৈধ হলেও তার ভদ্রতাই তাকে মিথ্যা বলা হতে বিরত রাখত ৷ ইবন আবু হাতিম বলেছেন, আমি
আমার পিতাকে বলতে শুনেছি, “শাফিঈ দেহে (আপাদমস্তক) ফকীহ্ এবং জিহ্বায় সত্যবাদী ৷”
আবুযুরআর বরাতে কেউ কেউ বলেছেন, “শা ফিঈর এমন কো ন হাদীস নেই যাতে তিনি ভুলের
শিকার হয়েছেন ৷ আবু দাউদ হতে তও অনুরুপ বর্ণিত হয়েছে ৷
ইমামুল আইম্মা মুহাম্মদ ইবন ইসহাক ইবন খুযায়মাকে এমন কো ন সুন্নাহ্ আছে কি যা
শাফিঈর কাছে পৌছে নি? ” প্রশ্ন করা হলে জবাবে তিনি বললেন, না ৷ তবে এর অর্থ এই যে,
কোন হাদীস তার কাছে সংযুক্ত সনদে (মুসনাদরুপে) পৌছেছে, কোনটি মুরসালরুপে এবং
কোনটি মুনকাতিরুপে যেরুপে তার কিতাবসমুহে বিদ্যমান রয়েছে ৷ (আল্লাহ্ই অধিক
অবহিত) ৷ হারমালা বলেছেন, শাফিন্ কে আমি বলতে শুনেছি, বাগদাদে আমাকে নাসিরুস
সুন্নাহ (য়ুপু ৷, সুন্নাহ হাদীসের সাহায্যকারী) নামে ভুষিত করা হয় ৷ আবু ছ ওর বলেছেন,
আমরা শা ৷ফিঈর সমতুল্য কাউকে দেখিনি এবং তিনিও তার সমতল কাউকে দেখেননি ৷ যাফরানী
প্ৰনুখও অনুরুপ বলেছেন ৷ শাফিঈ-র ফাযাইল ও গুণাবলী সৎকলনের একটি ক্লিতাবে দাউদ ইবন
আলী জাহিরী বলেছেন, “শাফিঈর মধ্যে এমন বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলীর সমাবেশ ঘটেছিল যা অন্যদের
মধ্যে ঘটেনি ৷ যেমন, তার বৎশধার৷ র আ ৷ভিজা ৷ত্য, ত ৷র ৷দীন ও আ ৷কীদ৷ বিশ্বাসের বিওদ্ধতা, তার
বদান্যতা, হাদীস সহীহ্ ও দুর্বল হওয়ার এবৎন নাসিয ও মানসুখের অভিজ্ঞতা তার কিতাব, সুন্ন৷ হ্ ও
থুলাফাদের সীরাত স্মরণ ও সংরক্ষণ করা, তার রচনা ৷বলীর সৌন্দর্য এবং অনুসারী বর্গ ও ছাত্রদের
শ্রেষ্ঠতৃ যেমন যুহ্দ-দুনিয়া বিমুখিতা, পরহেযপারী ও সুন্নাত ৩কায়েম রাখার ব্যাপারে অতুলনীয়
দৃঢ়চেতা আহমদ ইবন৷ হ ম্বলেব ন্যায় ছাত্র ৷ এ প্ৰসং পে তিনি যা ৷গদাদী ও মিসরী বিশিষ্ট৷ ছা ত্রদের
পুর্ণাৎগ তালিকা পেশ করেছেন ৷ অনুরুপ আবু দাউদ ও তার ফিকহে ছাত্রদেরত তালিকায় আহমদ
ইবন হাম্বলকে তালিকাভুক্ত করেছেন ৷
০০ ৷৷া
وَمُعْتَقَدِهِ، وَسَخَاوَةِ نَفْسِهِ، وَمَعْرِفَتِهِ بِصِحَّةِ الْحَدِيثِ وَسَقَمِهِ وَنَاسِخِهِ وَمَنْسُوخِهِ، وَحِفْظِهِ الْكِتَابَ وَالسُّنَّةَ وَسِيرَةَ الْخُلَفَاءِ، وَحُسْنِ التَّصْنِيفِ، وَجَوْدَةِ الْأَصْحَابِ وَالتَّلَامِذَةِ، مِثْلَ أَحْمَدَ بْنِ حَنْبَلٍ فِي زُهْدِهِ وَوَرَعِهِ، وَإِقَامَتِهِ عَلَى السُّنَّةِ. ثُمَّ سَرَدَ أَعْيَانَ أَصْحَابِهِ مِنَ الْبَغَادِدَةِ وَالْمِصْرِيِّينَ. وَكَذَا عَدَّ أَبُو دَاوُدَ مِنْ جُمْلَةِ تَلَامِيذِهِ فِي الْفِقْهِ أَحْمَدَ بْنَ حَنْبَلٍ.
وَقَدْ كَانَ رَحِمَهُ اللَّهُ مِنْ أَعْلَمِ النَّاسِ بِمَعَانِي الْقُرْآنِ وَالسُّنَّةِ، وَأَشَدِّ النَّاسِ انْتِزَاعًا لِلدَّلَائِلِ مِنْهُمَا، وَكَانَ مِنْ أَحْسَنِ النَّاسِ قَصْدًا وَإِخْلَاصًا، كَانَ يَقُولُ: وَدِدْتُ أَنَّ النَّاسَ تَعَلَّمُوا هَذَا الْعِلْمَ، وَلَا يُنْسَبُ إِلَيَّ شَيْءٌ مِنْهُ أَبَدًا، فَأُؤْجَرُ عَلَيْهِ وَلَا يَحْمَدُونِي. وَقَدْ قَالَ غَيْرُ وَاحِدٍ عَنْهُ: إِذَا صَحَّ عِنْدَكُمُ الْحَدِيثُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقُولُوا بِهِ وَدَعُوا قَوْلِي فَإِنِّي أَقُولُ بِهِ، وَإِنْ لَمْ تَسْمَعُوهُ مِنِّي. وَفِي رِوَايَةٍ: فَلَا تُقَلِّدُونِي. وَفِي رِوَايَةٍ: فَلَا تَلْتَفِتُوا إِلَى قَوْلِي. وَفِي رِوَايَةٍ: فَاضْرِبُوا بِقَوْلِي عُرْضَ الْحَائِطِ، فَلَا قَوْلَ لِي مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَقَالَ: لِأَنْ يَلْقَى اللَّهَ الْعَبْدُ بِكُلِّ ذَنْبٍ مَا خَلَا الشِّرْكَ بِاللَّهِ خَيْرٌ لَهُ مِنْ أَنْ يَلْقَاهُ بِشَيْءٍ مِنْ
পৃষ্ঠা - ৮৪৩০
الْأَهْوَاءِ. وَفِي رِوَايَةٍ: خَيْرٌ لَهُ مِنْ أَنْ يَلْقَاهُ بِعِلْمِ الْكَلَامِ. وَقَالَ: لَوْ عَلِمَ النَّاسُ مَا فِي عِلْمِ الْكَلَامِ مِنَ الْأَهْوَاءِ لَفَرُّوا مِنْهُ كَمَا يَفِرُّونَ مِنَ الْأَسَدِ. وَقَالَ أَيْضًا: حُكْمِي فِي أَهْلِ الْكَلَامِ أَنْ يُضْرَبُوا بِالْجَرِيدِ، وَيُطَافَ بِهِمْ فِي الْقَبَائِلِ وَيُنَادَى عَلَيْهِمْ: هَذَا جَزَاءُ مَنْ تَرَكَ الْكِتَابَ وَالسُّنَّةَ وَأَقْبَلَ عَلَى عِلْمِ الْكَلَامِ.
وَقَالَ الْبُوَيْطِيُّ: سَمِعْتُ الشَّافِعِيَّ يَقُولُ: عَلَيْكُمْ بِأَصْحَابِ الْحَدِيثِ؛ فَإِنَّهُمْ أَكْثَرُ النَّاسِ صَوَابًا.
وَكَانَ يَقُولُ: إِذَا رَأَيْتَ رَجُلًا مِنْ أَصْحَابِ الْحَدِيثِ، فَكَأَنَّمَا رَأَيْتَ رَجُلًا مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، جَزَاهُمُ اللَّهُ خَيْرًا، حَفِظُوا لَنَا الْأَصْلَ، فَلَهُمْ عَلَيْنَا الْفَضْلُ. وَمِنْ شِعْرِهِ فِي هَذَا الْمَعْنَى قَوْلُهُ:
كُلُّ الْعُلُومِ سِوَى الْقُرْآنِ مَشْغَلَةٌ ... إِلَّا الْحَدِيثَ وَإِلَّا الْفِقْهَ فِي الدِّينِ
الْعِلْمُ مَا كَانَ فِيهِ قَالَ حَدَّثَنَا ... وَمَا سِوَى ذَاكَ وَسْوَاسُ الشَّيَاطِينِ
وَكَانَ يَقُولُ: الْقُرْآنُ كَلَامُ اللَّهِ غَيْرُ مَخْلُوقٍ، وَمَنْ قَالَ: مَخْلُوقٌ، فَهُوَ كَافِرٌ.
وَقَدْ رَوَى عَنْهُ الرَّبِيعُ وَغَيْرُ وَاحِدٍ مِنْ رُءُوسِ أَصْحَابِهِ مَا يَدُلُّ عَلَى أَنَّهُ كَانَ
পৃষ্ঠা - ৮৪৩১
শাফিঈ (ব) কুরআন-সুন্নাহ্ এর পুঢ় মর্ম সম্বন্ধে সর্বশ্রেষ্ঠ আলিম ছিলেন এবং কুরআন-হাদীস
হতে দলীল আহরণে সবলত তম ব্যক্তি ছিলেন ৷ তিনি ছিলেন নিয়াত ও ইখলাসের ব্যাপারে
সুন্দরতম ব্যক্তিদের অন্যত তম ৷ তিনি বলতেন, আমার বাসনা হয় যে, লোকেরা যেন আমার কাছে
ইলম হ ৷সিল করেত ৷র কিছুই আমার প্রতি সম্বন্ধিত না করে ৷ ফলে আমি তার সওয়াব পেতাম
বংলোকেরা আমার প্ৰশ ×স৷ করত না ৷ একাধিক ব্যক্তি তার বরাতে বলেছেন, তোমাদের কাছে
র্চুকােন বিষয়ে) রাসুলুল্লাহ্ (না) হতে কোন হাদীস প্রামাণ্য সাব্যন্ত হলে তোমরা তা-ই গ্রহণ করবে
এবং আমার বক্তব্য বর্জন করবে ৷ কেননা, আমি ও তা-ই (যা হাদীস আছে) বলব, যদিও তোমরা
তা আমার কাছে গােননি ৷ একটি বর্ণনায় আছে, “তখন তোমরা আমার অনুগমন (তাকলীদ)
করবে না” ৷ অপর বর্ণনায় “তোমরা আমার উক্তির দিকে ভ্রক্ষেপণ করবে না ৷” আর এক বর্ণনায়
আছে “আমার বক্তব্য দেয়ালেও ওপাশে ছুড়ে দিবে ৷ কেননা, রাসুলুল্লাহ্ (সা)শ্এর সমান্তরালে
আমার কোন উক্তি-অভিমত নেই ৷” তিনি আরো বলেছেন, বান্দ৷ আল্লাহ্র সংগে শরীক করা
ব্যতীত সব পােনাহ নিয়ে সাক্ষাত করা ও কোন বিদআভী’ ভ্রান্ত আকীদা নিয়ে সাক্ষাত করার
চেয়ে উত্তম ৷ একটি বর্ণনা মতে ইলমুল কালাম অর্থাৎ ভ্রান্ত আকীদা-বিশ্বাস নিয়ে সাক্ষাত করার
চেয়ে উত্তম ৷ তিনি আরো বলেছেন, কালাম শাত্রে কী প্রবৃত্তি পুজা রয়েছে মানুষ যদি জানত তবে
তারা সিংহ হতে পলায়নের ন্যায় তা হতে পলায়ন করত ৷ তিনি বলেছেন, (ভ্রান্ত) কালাম
শাত্রীদের ব্যাপারে আমার ফায়সালা হচ্ছেত তাদের লাঠিপেট৷ করা এবং গো ত্রসমুহের নিবাসে চক্কর
দিয়ে এ ঘোষণা দিতে থাকা যে, এ হচ্ছে তাদের সাজা যারা কুরআন-সুন্নাহ্ বর্জন করে কালামে
শাস্তের প্রতি মনােয়োপী হয় ৷ বুওয়ায়তী বলেন, আমি শাফিঈ (র)-কেত বলতে শুনেছি, তোমরা
হাদীস শাস্ত্রবিদদের (মুহাদ্দিসদের) আনুগত্য করে চলবে ৷ কেননা, ৷রাই অধিক সঠিকপন্থী
মানুষ ৷ তিনি আরো বলেছেন,তু মি কোন হাদীসবিদ ব্যক্তিকে দেখলে যেন রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর
কোন সাহাবীকে দেখলে ৷ আল্লাহ তাদেরকে উত্তম জামা দান করুন ! তারা আমাদের জন্য
আসল (মুল) বিষয় হিফাজত করে রেখেছেন ৷ সুতরাং আমাদের উপর তাদের শ্রেষ্ঠতু (ও
অনুগ্নহ) রয়েছে ৷ এ বিষয়েত৷ তার কবিতায় আছে
“কুরআন ব্যতীত তসব ইল্ম অর্থহীন ব্যস্তত তা ,তবে হাদীস ব্যতীত এবং দীনের ফিকাহ ও
সমঝ ব্যতীত ৷ ইল্ম তো শুধুত তা ই যাতে আছে ;া এছাড়া যা কিছু সবই শয়তানের
ওয়াসওয়৷ ৷স৷ ও কুমন্ত্রণা” ৷
তিনি বলতেন, “কুরআন আল্লাহর কালাম, অসৃষ্ট ; যে তাকে সৃষ্ট বলবে সে কাফির ৷ রানী
সহ তার অন্যান্য বিশিষ্ট ছাত্রের বর্ণনায় বুঝা যায় যে, আল্লা তাআলার সিফাত ও গুণাবলী সংক্রান্ত
আয়াত ও হাদীস আলোচনার সময় তিনি সে সবের কোন প্রকার ধরনএকরণ, তুলনা-সাদৃশ্য বর্ণনা
না করে এবং তাকে অর্থহীন বা বিকৃত ব্যাখ্যা না করে সাবলীলভ৷ ৷বে পুর্বসুরী-সালফের পদ্ধতি
অনুসরণ করে এগিয়ে যেতেন ৷ ইবন খুযায়মা বলেছেন, মুযানী আমাকে কবিতা শুনিয়ে বলেছেন,
শাফিঈ (র) তার নিজেকে লক্ষ্য করে তার রচিত এ কবিতা আ৷মাদের শুনিয়েছেন-
يَمُرُّ بِآيَاتِ الصِّفَاتِ وَأَحَادِيثِهَا كَمَا جَاءَتْ مِنْ غَيْرِ تَكْيِيفٍ وَلَا تَشْبِيهٍ وَلَا تَعْطِيلٍ وَلَا تَحْرِيفٍ، عَلَى طَرِيقَةِ السَّلَفِ. وَقَالَ ابْنُ خُزَيْمَةَ: أَنْشَدَنِي الْمُزَنِيُّ، قَالَ: أَنْشَدَنَا الشَّافِعِيُّ لِنَفْسِهِ:
مَا شِئْتَ كَانَ وَإِنْ لَمْ أَشَأْ ... وَمَا شِئْتُ إِنْ لَمْ تَشَأْ لَمْ يَكُنْ
خَلَقْتَ الْعِبَادَ عَلَى مَا عَلِمْتَ ... فَفِي الْعِلْمِ يَجْرِي الْفَتَى وَالْمُسِنْ
فَمِنْهُمْ شَقِيٌّ وَمِنْهُمْ سَعِيدٌ ... وَمِنْهُمْ قَبِيحٌ وَمِنْهُمْ حَسَنْ
عَلَى ذَا مَنَنْتَ وَهَذَا خَذَلْتَ ... وَهَذَا أَعَنْتَ وَذَا لَمْ تُعِنْ
وَقَالَ الرَّبِيعُ: سَمِعْتُ الشَّافِعِيَّ يَقُولُ: أَفْضَلُ النَّاسِ بَعْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَبُو بَكْرٍ، ثُمَّ عُمَرُ، ثُمَّ عُثْمَانُ، ثُمَّ عَلِيٌّ.
وَعَنِ الرَّبِيعِ قَالَ: أَنْشَدَنِي الشَّافِعِيُّ:
قَدْ عَوِجَ النَّاسُ حَتَّى أَحْدَثُوا بِدَعًا ... فِي الدِّينِ بِالرَّأْيِ لَمْ تُبْعَثْ بِهَا الرُّسُلُ
حَتَّى اسْتَخَفَّ بِحَقِّ اللَّهِ أَكْثَرُهُمْ ... وَفِي الَّذِي حُمِّلُوا مِنْ حَقِّهِ شُغُلُ
وَقَدْ ذَكَرْنَا مِنْ شِعْرِهِ فِي السُّنَّةِ، وَكَلَامِهِ فِيهَا، وَفِي الْحِكَمِ وَالْمَوَاعِظِ طَرَفًا
পৃষ্ঠা - ৮৪৩২
صَالِحًا فِي الَّذِي كَتَبْنَاهُ فِي أَوَّلِ " طَبَقَاتِ الشَّافِعِيَّةِ ".
وَقَدْ كَانَتْ وَفَاتُهُ بِمِصْرَ يَوْمَ الْخَمِيسِ، وَقِيلَ: يَوْمَ الْجُمُعَةِ، فِي آخِرِ يَوْمٍ مِنْ رَجَبٍ سَنَةَ أَرْبَعٍ وَمِائَتَيْنِ، عَنْ أَرْبَعٍ وَخَمْسِينَ سَنَةً. وَكَانَ أَبْيَضَ جَمِيلًا طَوِيلًا مَهِيبًا، يُخَضِّبُ بِالْحِنَّاءِ مُخَالَفَةً لِلشِّيعَةِ، رَحِمَهُ اللَّهُ وَأَكْرَمَ مَثْوَاهُ، وَجَعَلَ الْجَنَّةَ مَأْوَاهُ.
وَمِمَّنْ تُوُفِّيَ فِيهَا أَيْضًا مِنَ الْأَعْيَانِ:
إِسْحَاقُ بْنُ الْفُرَاتِ. وَأَشْهَبُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ الْمِصْرِيُّ الْمَالِكِيُّ، وَالْحَسَنُ بْنُ زِيَادٍ اللُّؤْلُؤِيُّ الْكُوفِيُّ الْحَنَفِيُّ. وَأَبُو دَاوُدَ سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ. صَاحِبُ الْمُسْنَدِ وَأَحَدُ الْحُفَّاظِ. وَأَبُو بَدْرٍ شُجَاعُ بْنُ الْوَلِيدِ. وَأَبُو بَكْرٍ الْحَنَفِيُّ عَبْدُ الْكَبِيرِ. وَعَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ عَطَاءٍ الْخَفَّافُ. وَالنَّضْرُ بْنُ
পৃষ্ঠা - ৮৪৩৩
شُمَيْلٍ، أَحَدُ أَئِمَّةِ اللُّغَةِ. وَهِشَامُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ السَّائِبِ الْكَلْبِيُّ، أَحَدُ عُلَمَاءِ التَّارِيخِ.