আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة مائتين من الهجرة النبوية

পৃষ্ঠা - ৮৪০৫

প্রতিপত্তি সরল হল ৷ পরিস্থিতির অবনতি হাসান ইবন সাহ্লকে ভাবিয়ে তুলল ৷ হাসান আবুস
সারিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার আহ্বান জানিয়ে হারছামার কাছে পত্র লিখলেন ৷ হারছাম৷ প্রথমে
তাতে সাড়া দিলেন না ৷ তবে পরে আগমন করে বারবার আবুস সারায়াকে পরাস্ত করে তাকে
কুফ৷ প্রত্যাবর্তনে বাধ্য করলেন ৷ তালিবী বিদ্রোহীরা কুফায় আব্বাসীদের বাড়ি-ঘরে আক্রমণ
চালিয়ে লুটতরাজ করল ৷ তাদের সহায় সম্পদ ধ্বংস করল এবং বহু নিকৃষ্ট কাজ করল ৷ আবুস
সারায়া মাদায়িনে তার দুত পাঠালে তারা তার আহ্বানে সাড়া দিল ৷ অনুরুপ মওসুম অর্থাৎ হভ্রুজ্জর
নেতৃত্ব দেয়ার জন্য হুসায়ন ইবন হাসান আফতাসকে মক্কাবাসীদের কাছে প্রেরণ করেন ৷ মক্কার
নায়িব (শাসক) দাউদ ইবন ঈসা ইবন মুসা ইবন আলী ইবন আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (বা) এ

ৎবাদ অবহিত হয়ে ইরাকের উদ্দেশ্যে মক্কা হতে পলায়ন করলেন ৷ তখন মক্কার লোকেরা
ইমামবিহীন অবস্থায় থেকে গেল ৷ মক্কার বাসিন্দাদের পক্ষ হতে মক্কার মুআযযিন আহমদ ইবন
মুহাম্মদ ইবনুল ওয়ালীদ আযবাকীকে (আরাফাত ময়দানের) সালাতে ইমামতির অনুরোধ করা হলে
তিনি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করলেন ৷ পরে মক্কার কাযী মুহাম্মদ ইবন আবদুর রহমান মাখযুমীকে বলা
হলে তিনিও স্বীকৃত হলেন না ৷ তিনি বললেন, আমি কার জন্য দু’অ৷ করব ! যেখানে দেশের
শাসনকর্তা পলাতক ! তখন লোকেরা বাধ্য হয়ে তাদের মধ্যকার একজনকে অগ্রবর্তী করে দিলে
সে তাদের যুহর ও আসর সালাতে ইমামতি করল ৷ হুসায়ন আফতাস এ সংবাদ অবগত হলে মাত্র
দশজন লোক নিয়ে মাগরিবের পুর্ববর্তী সময়ে মক্কায় প্রবেশ করলেন এবং বায়তৃল্লাহ তওয়াফ
করে রাতে মুযদালিফায় অবস্থান করলেন ৷ পরে মুযদালিফায় ফজংর সালাতের ইমামতি করলেন
এবং মিনার দিনগুলির অবশিষ্ট হরুজ্জর আমলের নেতৃতৃ দিলেন ৷ মােটকথ৷ , এ বছর হাজীগণ
আরাফাত হতে ইমামবিহীন অবস্থায় মুযদালিফায় গমন করলেন ৷ এ বছরে মৃত্যুররণকারী বিশিষ্ট
ও বরেণ্যদের তালিকায় রয়েছেন ইসহাক ইবন সুলায়মান, ইবন নুমায়র, ইবন সাবুর , আঘৃর
আল-আমবারী, মুতী বালখীর পিতা ও ইউনুস ইবন বুকায়র প্রমুখ ৷

২০০ হিজরীর আগমন

এ বছরের প্রথম দিনে হুসায়ন ইবন হাসান আফ্ত সে একটি ত্রিকে৷ ণ চাট৷ ই বিছিয়ে মাকামে
(ইররাহীমে)-র পিছনে উপবেশন করলেন এবং কা বা পাত্র হতে আব্বাসীয়দের পরানাে গিলাফ
তুলে নেয়ার আদেশ ৷দািলন ৷ সে রললো, আমরা এটাকে তাদের গিলাফ হতে পবিত্র করছি ৷ যে
নতুন করে দু টি হলুদ বর্ণের লম্ব৷ চাদর পরিয়ে দিলেন যাতে আবুস সারায়ার নাম অংকিত ছিল ৷
পরে সে কাবার ভাণ্ডারে রক্ষিত ধনভাণ্ডার দখল করে নিলেন এবং আব্বাসীয়দের গচ্ছিত সম্পদ
তল্লাশী করে দখল করলেন ৷ এমনকি সে সকল ধনবানের মাল সম্পদ তা মুসওয়াদ্দা’র সম্পদ
হওয়ার অভিযোগে দখল করে নিল ৷ মানুষত তার ভয়ে পালিয়ে পাহাড়ে আশ্রয় নিল ৷ সে থামের
মাথা ৷য় বিদ্যমান সাে ৷নাও গলিয়ে বের করল ৷ তাতে অনেক যেহনতের পর সামান্য পরিমাণ পাওয়া
যেত ৷ সে মাসজিদুল হারামের জানালাগুলাে তুলে ফেলে অতি সস্তায় বিক্রি করে দিল ৷ এ ছাড়াও
অত্যন্ত নিকৃষ্ট চরিত্রের পরিচয় দিল ৷ পরে তার কাছে আবুস সারায়ার নিহত হওয়ার সংবাদদদ
পৌছলে যে তা গোপন করল এর অতি তবৃদ্ধ একত তালিবীকে আমীর মনোনীত করে নিজের কুকর্ম
অব্যাহত রাখল ৷ পরে মুহ৷ ৷ররামের ষো ল তারিখে মক্কা হতে পা ৷লিয়ে গেল ৷


[سَنَةُ مِائَتَيْنِ مِنَ الْهِجْرَةِ النَّبَوِيَّةِ] [الْأَحْدَاثُ الَّتِي وَقَعَتْ فِيهَا] ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ مِائَتَيْنِ مِنَ الْهِجْرَةِ النَّبَوِيَّةِ فِي أَوَّلِ يَوْمٍ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ جَلَسَ حُسَيْنُ بْنُ حَسَنٍ الْأَفْطَسُ عَلَى طِنْفِسَةٍ مُثَلَّثَةٍ خَلْفَ الْمَقَامِ، وَأَمَرَ بِتَجْرِيدِ الْكَعْبَةِ مِمَّا عَلَيْهَا مِنْ كَسَاوِي بَنِي الْعَبَّاسِ، وَقَالَ: نُطَهِّرُهَا مِنْ كَسَاوِيهِمْ. وَكَسَاهَا مُلَاءَتَيْنِ صَفْرَاوَيْنِ عَلَيْهِمَا اسْمُ أَبِي السَّرَايَا، ثُمَّ أَخَذَ مَا فِي كَنْزِ الْكَعْبَةِ مِنَ الْأَمْوَالِ، وَتَتَبَّعَ وَدَائِعَ بَنِي الْعَبَّاسِ فَأَخَذَهَا، حَتَّى إِنَّهُ لَيَأْخُذُ مَالَ ذِي الْمَالِ، وَيُلْزِمُهُ بِإِقْرَارٍ لِلْمُسَوِّدَةِ فَيَأْخُذُهُ. وَهَرَبَ مِنْهُ النَّاسُ إِلَى الْجِبَالِ وَحَكَّ مَا عَلَى رُءُوسِ الْأَسَاطِينِ مِنَ الذَّهَبِ، فَكَانَ يَنْزِلُ مِنَ السَّارِيَةِ مِقْدَارٌ يَسِيرٌ بَعْدَ جُهْدٍ جَهِيدٍ، وَقَلَعُوا مَا فِي الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ مِنَ الشَّبَابِيكِ، وَبَاعُوهَا بِالْأَثْمَانِ الْبَخْسَةِ، وَأَسَاءُوا السِّيرَةَ جِدًّا. فَلَمَّا بَلَغَهُ مَقْتَلُ أَبِي السَّرَايَا كَتَمَ ذَلِكَ، وَأَمَّرَ رَجُلًا مِنَ الطَّالِبِيِّينَ شَيْخًا كَبِيرًا، وَاسْتَمَرَّ عَلَى سُوءِ السِّيرَةِ. وَفِي سَادِسَ عَشَرَ الْمُحَرَّمِ مِنْهَا، قَهَرَ هَرْثَمَةُ بْنُ أَعْيَنَ أَبَا السَّرَايَا وَهَزَمَ جَيْشَهُ،
পৃষ্ঠা - ৮৪০৬


এর মুল ঘটনা ছিল এই যে, হারছামা আবুস সারায়াকে পরাভুত করলে এবং তার বাহিনীকে
পরাস্ত করলে এবং তার সহযোগী তালিবী শীআদের কুফা হতে বহিস্কার করে হারছামা ও মানসুর
ইবনুল মাহদী সেখানে প্রবেশ করে সেখানকার সাধারণ বাসিন্দাদের নিরাপত্তা দিলেন এবং কাউকে
কােনরুপ জিজ্ঞাসাবাদ করলেন না ৷ আবুস সারায়া তার সহযােগীদের নিয়ে কাদিসিয়ার দিকে চলে
গেল এবং পরে সেখান হতে বের হলে মামুনের একটি বাহিনী তাদের পথ রোধ করল এবং
তাদের পরাস্ত করল ৷ এতে আবুস সারায়া অভ্যস্ত মারাত্মকরুপে আহত হল ৷ তারা রাসুল আয়নে
অবস্থিত আবুস সারায়া-র বাড়ির উদ্দেশ্যে আল-জাষীরা অভিমুখে পলায়ন করল ৷ কিন্তু এ পথেও
মামুনের বাহিনী তাদের প্রতিরাে ধ করে তাকে বন্দী করে ফেলল এবং আল-হারৰিয়ার আক্রমণে
বিপর্যস্ত হয়ে নাহরাওয়ানে অবস্থানকারী হাসান ইবন সাহলের কাংছ উপস্থিত করল ৷ হাসান আবুস
সারায়া-র গর্দান উড়িয়ে দেয়ার আদেশ দিলে সে অত্যন্ত অস্থির ও সন্ত্রস্ত হয়ে পড়া ৷ তার কর্তিত
মাথা জনসমক্ষে ঘুরানাে হল ৷ তার দেহ দুইখণ্ড করে বাগদাদের দুই পুলে লটকে রাখার আদেশ
দেয়া হল ৷ মােটকথা আবুস সারায়া-র বিদ্রোহের সুচনা ও তাকে হত্যার মাধ্যমে এর পরিসমাপ্তির
ঘন্টার মধ্যে সময়ের ব্যবধান ছিল দশ মাস ৷ পরে হাসান ইবন সাহল (ইবন মুহাম্মদ) আবুস
সারায়ার মাথা মামুনের দরবারে পাঠিয়ে দিলেন ৷ এ প্রসংগে কোন করি বলেছেন :



আপনি কি দেখেননি হে আমীরুল মু’মিনীন ! আপনার তরবারি দিয়ে হাসান ইবন সাহলের
আঘাত হানা

ষ্ট্রঠুাড্রুা

মার্ভ আবুস সারায়ার মাথা ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখাল এবং জগদ্বাসীর জন্য রেখে দিল শিক্ষার
উপকরণ ৷

এ সময় বসরায় তালিৰীদের পক্ষে দখলদারিৎ প্রতিক্ষা করেছিল যায়দ ইবন মুসা ইবন
জাফর ইবন মুহাম্মদ ইবন আলী ইবনুল হুসায়ন ইবন আলী (রা) ৷ তার সমধিক পরিচিতি ছিল
যায়দ আনৃনার’ (আগুনে যায়দ) নামে ৷ সে মুসাওয়াদ্দা কালো পতাকাধারীদের ঘর-বাড়ি
অধিকহারে পুড়িয়ে দেয়ার কারণে এ নামে অভিহিত হয়েছিল ৷ আলী ইবন সাঈদ তাকে বন্দী করে
তাকে নিরাপত্তা প্রদান করেন এবং তার অনুগামী সেনাকর্তাদেরসহ তাকে ইয়ড়ামড়ানের বিদ্রোহী
তালিবী শীআদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য পাঠিয়ে দেন ৷

এ বছরই ইয়ামানে বিদ্রোহ করেন ইবরাহীম ইবন মুসা ইবন জাফর ইবন মুহাম্মদ ইবন আলী
ইবন হুসায়ন ইবন আলী (রা ) ৷ তার সমধিক পরিচিত ছিল জায্যার ( কসাই ) নামে ৷
ইয়ামানবাসী বহু লোককে হত্যা ও তাদের সম্পদ লুণ্টন করার কারণে ৷ এ লােকই মক্কায়
অবস্থানকালে বহু অপকর্ম করেছিল যা পুর্বে বর্ণিত হয়েছে ৷ আবুস সারয়া নিহত হওয়ার সংবাদ
অবগত হয়ে সে ইয়ামানে পালিয়ে গেল ৷ ইয়ামানের (মামুনের নিয়েজিত) নায়ির তার আগমন
খবর পেয়ে ইয়ামড়ান ত্যাগ করল এবং খুরাসান যাওয়ার পথে মক্কা হতে তার মাকে সংগে নিয়ে

গেল ৷ এদিকে ইবরাহীম ইয়ামানের অঞ্চলসমুহে তার প্রতিপত্তি বিস্তার করল ৷ সেখানে অনেক
যুদ্ধ সংঘটিত হল, যার বিবরণ অনেক দীর্ঘ ৷


وَأَخْرَجَهُ وَمَنْ مَعَهُ مِنَ الطَّالِبِيِّينَ مِنَ الْكُوفَةِ وَدَخَلَهَا هَرْثَمَةُ، وَمَنْصُورُ بْنُ الْمَهْدِيِّ فَأَمَّنُوا أَهْلَهَا، وَلَمْ يَتَعَرَّضُوا لِأَحَدٍ، وَسَارَ أَبُو السَّرَايَا بِمَنْ مَعَهُ إِلَى الْقَادِسِيَّةِ ثُمَّ سَارَ مِنْهَا فَاعْتَرَضَهُمْ بَعْضُ جُيُوشِ الْمَأْمُونِ فَهَزَمُوهُمْ أَيْضًا، وَجُرِحَ أَبُو السَّرَايَا جِرَاحَةً مُنْكَرَةً جِدًّا، وَهَرَبُوا يُرِيدُونَ الْجَزِيرَةَ إِلَى مَنْزِلِ أَبِي السَّرَايَا بِرَأْسِ الْعَيْنِ، فَاعْتَرَضَهُمْ بَعْضُ الْجُيُوشِ أَيْضًا فَأَسَرُوهُمْ، وَأَتَوْا بِهِمُ الْحَسَنَ بْنَ سَهْلٍ وَهُوَ بِالنَّهْرَوَانِ حِينَ طَرَدَتْهُ الْحَرْبِيَّةُ، فَأَمَرَ بِضَرْبِ عُنُقِ أَبِي السَّرَايَا، فَجَزِعَ مِنْ ذَلِكَ جَزَعًا شَدِيدًا جِدًّا، وَطِيفَ بِرَأْسِهِ، وَأَمَرَ بِجَسَدِهِ أَنْ يُقَطَّعَ بِاثْنَيْنِ، فَيُنْصَبَ عَلَى جِسْرِ بَغْدَادَ فَكَانَ بَيْنَ خُرُوجِهِ وَقَتْلِهِ عَشَرَةُ أَشْهُرٍ، فَبَعَثَ الْحَسَنُ بْنُ سَهْلٍ مُحَمَّدَ بْنَ مُحَمَّدٍ إِلَى الْمَأْمُونِ مَعَ رَأْسِ أَبِي السَّرَايَا. وَقَدْ قَالَ بَعْضُ الشُّعَرَاءِ: أَلَمْ تَرَ ضَرْبَةَ الْحَسَنِ بْنِ سَهْلٍ ... بِسَيْفِكَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَا أَدَارَتْ مَرْوَ رَأْسَ أَبِي السَّرَايَا ... وَأَبْقَتْ عِبْرَةً لِلْعَابِرِينَا وَكَانَ الَّذِي فِي يَدِهِ الْبَصْرَةُ مِنَ الطَّالِبِيِّينَ زَيْدُ بْنُ مُوسَى بْنِ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ بْنِ عَلِيٍّ، وَيُقَالُ لَهُ: زَيْدُ النَّارِ. لِكَثْرَةِ مَا حَرَّقَ مِنَ الْبُيُوتِ الَّتِي لِلْمُسَوِّدَةِ، فَأَسَرَهُ عَلِيُّ بْنُ أَبِي سَعِيدٍ، وَأَمَّنَهُ، وَبَعَثَ بِهِ وَبِمَنْ مَعَهُ مِنَ الْقُوَّادِ إِلَى الْيَمَنِ، لِقِتَالِ مَنْ هُنَاكَ مِنْ الطَّالِبِيِّينَ الَّذِينَ قَدْ خَرَجُوا بِهَا.
পৃষ্ঠা - ৮৪০৭
وَفِيهَا خَرَجَ بِالْيَمَنِ إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى بْنِ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ بْنِ عَلِيٍّ، وَيُقَالُ لَهُ: الْجَزَّارُ. لِكَثْرَةِ مَنْ قَتَلَ مِنْ أَهْلِ الْيَمَنِ، وَأَخَذَ مِنْ أَمْوَالِهِمْ. وَقَدْ كَانَ مُقِيمًا بِمَكَّةَ، فَلَمَّا بَلَغَهُ خَبَرُ أَبِي السَّرَايَا، وَظُهُورُهُ بِأَرْضِ الْكُوفَةِ طَمِعَ فَسَافَرَ إِلَى أَهْلِ الْيَمَنِ، فَلَمَّا بَلَغَ نَائِبَهَا قُدُومُهُ تَرَكَ لَهُ الْيَمَنَ وَسَارَ إِلَى خُرَاسَانَ إِلَى أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ، وَاجْتَازَ بِمَكَّةَ، وَأَخَذَ أَمَّهُ مِنْهَا، وَاسْتَحْوَذَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى عَلَى بِلَادِ الْيَمَنِ، وَجَرَتْ حُرُوبٌ كَثِيرَةٌ وَخُطُوبٌ كَبِيرَةٌ يَطُولُ ذِكْرُهَا، وَرَجَعَ مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ الْعَلَوِيُّ الَّذِي ادَّعَى الْخِلَافَةَ بِمَكَّةَ عَمَّا كَانَ يَزْعُمُهُ، وَقَالَ: كُنْتُ أَظُنُّ أَنَّ الْمَأْمُونَ قَدْ مَاتَ كَمَا سَمِعَ ذَلِكَ، وَقَدْ تَحَقَّقَتْ حَيَاتُهُ، وَأَنَا أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ مِمَّا كُنْتُ ادَّعَيْتُ مِنْ ذَلِكَ، وَقَدْ رَجَعْتُ إِلَى بَيْعَتِهِ، وَإِنَّمَا أَنَا رَجُلٌ مِنْ عُرْضِ الْمُسْلِمِينَ. وَهَزَمَ أَبُو السَّرَايَا وَأَصْحَابُهُ، وَمُحَمَّدُ بْنُ مُحَمَّدٍ الَّذِي تَأَمَّرَ بِالْكُوفَةِ وَادَّعَى الْخِلَافَةَ، وَتَفَرَّقَ أَصْحَابُهُمَا عَلَى يَدِ هَرْثَمَةَ بْنِ أَعْيَنَ فَوَشَى بَعْضُ النَّاسِ إِلَى الْمَأْمُونِ أَنَّ هَرْثَمَةَ لَوْ شَاءَ مَا ظَهَرَ أَبُو السَّرَايَا وَأَصْحَابُهُ، فَاسْتَدْعَى بِهِ إِلَى مَرْوَ فَأَمَرَ بِهِ فَضُرِبَ بَيْنَ يَدَيْهِ، وَوُطِئَ بَطْنُهُ، ثُمَّ رُفِعَ إِلَى الْحَبْسِ، ثُمَّ قُتِلَ بَعْدَ ذَلِكَ بِأَيَّامٍ، وَانْطَوَى خَبَرُهُ بِالْكُلِّيَّةِ، وَلَمَّا وَصَلَ خَبَرُ قَتْلِهِ إِلَى بَغْدَادَ سَعَتِ الْعَامَّةُ وَالْحَرْبِيَّةُ بِالْحَسَنِ بْنِ سَهْلٍ نَائِبِ الْعِرَاقِ وَغَيْرِهَا، وَقَالُوا: لَا نَرْضَى بِهِ، وَلَا بِعُمَّالِهِ بِبِلَادِنَا. وَأَقَامُوا إِسْحَاقَ بْنَ مُوسَى بْنِ الْمَهْدِيِّ نَائِبًا، فَاجْتَمَعَ أَهْلُ الْجَانِبَيْنِ عَلَى ذَلِكَ،
পৃষ্ঠা - ৮৪০৮

অপরদিকে মুহাম্মদ ইবন জা ফার আলাবী তার দাবী হতে ফিরে গেল ৷ সে মক্কা য় খিলাফতের
দাবী করেছিল, যে বলল, আমার ধারণা হয়েছিল যে, মামুনের মৃত্যু হয়েছে ৷ এখন তার জীবিত
থাকা নিশ্চিতরুপে সাব্যস্ত হওয়ায় আমি আমার কৃত দাবীর ব্যাপারে আল্লাহর কাছে ইসতিগফার ও
তওবা করছি ৷ আমি এখন একজন সাধারণ মুসলিম নাগরিকরুপে আনুগতে প্রত্যাবর্তন করলাম ৷

আর হারছামা যখন আবুস সারায়া ও তার পক্ষাবলম্বনকারী খিলাফতের নায়িব মুহাম্মদ ইবন
মুহাম্মদ প্রমুখকে পরাজিত করল তখন কেউ মানুষের কাছে এই বলে কুটনামী করল যে, হারছামা
আবুস সারায়ার সং ৎগে (গোপন) পত্র যোগাযোগ রাখত এবং সোই তাকে বিদ্রোহে উদ্বুদ্ধ
করেছিল ৷ মামুনত ৷কে মার্ভে ডেকে পাঠালেন ৷৩ তাকে উপস্থিত করে খলীফার সামনে তাকে
প্রহার করা হল এবং তার পেট মাড়ানাে হল ৷ পরে জেলখানায় পাঠিয়ে দেয়৷ হল এবং কয়েকদিন
করে তাকে হত্যা করা হল এবং বিষয়টি সম্পুর্ণ চেপে যাওয়া হল ৷ বাগদ৷ দে৩ তার নিহত হওয়ার
সৎবা দ পৌছলে জনসাধা রণ ও যুদ্ধবা জর৷ ইরাকের নায়িব হাসা ন ইবন সাহ্লকে অস্থির পরিস্থিতির
সম্মুখীন করল ৷ তার বলল, আমাদের অঞ্চলে আমরা এ লোককে এবং এর নিয়োজিত শাসকদের
সহ্য করব না ৷ তারা ইসহাক ইবন মুসা আল মাহদীকে নায়িব ঘোষণা করল ৷ এ বিষয়টি নিয়ে
উভয় পক্ষের সমর্থকরা সমবেত হতে লাগল ৷ আমীর ও সৈনিকদের একটি দল হাসান ইবন
সাহলের বিরুদ্ধে ঐকাবদ্ধ হল এবং আমীরদের মধ্যে এ বিষয়ে যারা জনসাধারণের পক্ষে ছিল
তাদের কাছে পত্র পাঠিয়ে তাদের যুদ্ধে অংশ গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করল ৷ এ বছর শাবান মাসে তিন দিন
ধরে এই দুই দলের মধ্যে যুদ্ধ চলতে থাকল ৷ পরে এই মর্মে একটি সমঝোতা হল যে, তাদের
প্রাপ্য ভাতার কিছু অ শ তাদের দেয়৷ হবে যা দিয়ে রমাযানে তারা তাদের ব্যয় নির্বাহ করবে ৷
কিন্তু হাসান যিলকাদ মাসে ফসল পাকা পর্যন্ত তাদের সংগে টালবাহান৷ করতে থাকল ৷ যিলকাদে
যায়দ ইবন মুসা অর্থাৎ যায়দ আননার (অগ্নি যায়দ) নামে অভিহিত আবুস সারায়া-র ভাই বিদ্রোহ
করল ৷ তার এবারের বিদ্রোহ ছিল আমুবার অঞ্চলে ৷ তাকে দমন করার জন্য বাপদাদে হাসান
ইবন সাহলের নায়িব আ ৷লী ইবন হিশাম বাহিনী পাঠালেন ৷ হাসান এ সময় মাদ৷ ৷য়িনে অবস্থান
করছিলেন ৷ এ বা ৷হিনী৩৷ ৷কে গ্রেফত ৷র করে আলী ইবন হিশামের কাছে নিয়ে এল এবং এভাবে

াল্লাহ্ তার বিদ্রো ৷হ প্ৰশ ৷তমি ৩করে দিলেন ৷

মামুন এ বছর অবশিষ্ট আব্বাসীয়দের সন্ধানে বিভিন্ন অঞ্চলে লোক পাঠালেন ৷
আব্বাসীয়দের শুমারী ও স ৎথ্যা গণনা করা হল ৷ দেখা গেল নারী পুরুষ মিলিয়ে তাদের মোট
সংখ্যা তেত্রিশ হাজার ৷ এ বছর রোমানরা তাদের সম্রাট আলয়ুনকে হত্যা করে ৷ সে সাত বছর
তাদের সম্রাট ছিল ৷৩ তারা সম্রাটের নায়িব মীখ৷ ঈলকে তার স্থলাভিষিক্ত সম্র৷ ৷ট ঘোষণা করল ৷ এ
বছর মামুন ইয়াহ্ইয়৷ ইবন আমির ইবন ইসমা ঈলকে হত্যা করেন ৷ কেননা, সে মামুনকে ইয়া
আমীরুল কা ৷ফিরীন’ (হে কা ৷ফিরদের নেতা ও শাসক ) বলে সম্বোধন করেছিল ৷৩ ৩াকে বন্দী
অবস্থায় তার সামনে হত্যা করা হল ৷ এ বছর পবিত্র হস্তুজ্জ্বর আমীর ছিলেন মুহাম্মদ ইবনুল
মুতাসিম ইবন হারুনুর রশীদ ৷ এ বছর মৃত্যুবরণকা কারী শীর্ষ ব্যক্তিবশ্চেবি তালিকায় রয়েছেন
আসবাত ইবন মুহাম্মদ, আবু যামর৷ আনাস ইবন ইয়ায, মুসলিম ইবন কুতায়বা, উমর ইবন
আবদুল ওয়াহিদ, ইবনআবুফুদায়ক, মুবাশৃশির ইবন ইসমাঈল, মুহাম্মদ ইবন যুবায়র এবং
মুআয ইবন হিশাম প্রমুখ ৷

আল বিদায়৷ ওয়ান নিহায়া ( ১ :ম খণ্ড)-৫৪


وَالْتَفَّتْ عَلَى الْحَسَنِ بْنِ سَهْلٍ جَمَاعَةٌ مِنَ الْقُوَّادِ وَالْأَجْنَادِ، وَرَاسَلَ مَنْ وَافَقَ الْعَامَّةَ عَلَى ذَلِكَ مِنَ الْقُوَّادِ يُحَرِّضُهُمْ عَلَى الْقِتَالِ، وَوَقَعَتِ الْحَرْبُ بَيْنَهُمْ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ فِي شَعْبَانَ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ، ثُمَّ اتَّفَقَ الْحَالُ عَلَى أَنْ يُعْطِيَهُمْ شَيْئًا مِنْ أَرْزَاقِهِمْ يُنْفِقُونَهَا فِي شَهْرِ رَمَضَانَ، فَمَا زَالَ يَمْطُلُهُمْ إِلَى ذِي الْقَعْدَةِ حَتَّى يُدْرِكَ الزَّرْعَ، فَخَرَجَ فِي ذِي الْقَعْدَةِ زَيْدُ بْنُ مُوسَى بْنِ جَعْفَرٍ الَّذِي يُقَالُ لَهُ: زَيْدُ النَّارِ، وَقَدْ كَانَ خُرُوجُهُ هَذِهِ الْمَرَّةَ بِنَاحِيَةِ الْأَنْبَارِ فَبَعَثَ إِلَيْهِ عَلِيُّ بْنُ هِشَامٍ نَائِبُ بَغْدَادَ عَنِ الْحَسَنِ بْنِ سَهْلٍ وَالْحَسَنُ بِالْمَدَائِنِ إِذْ ذَاكَ فَأُخِذَ وَأُتِيَ بِهِ إِلَى عَلِيِّ بْنِ هِشَامٍ، وَأَطْفَأَ اللَّهُ نَائِرَتَهُ. وَبَعَثَ الْمَأْمُونُ فِي هَذِهِ السَّنَةِ يَطْلُبُ جَمَاعَةً مِنَ الْعَبَّاسِيِّينَ، وَأَحْصَى كَمِ الْعَبَّاسِيُّونَ؟ فَبَلَغُوا ثَلَاثَةً وَثَلَاثِينَ أَلْفًا، مَا بَيْنَ ذَكَرٍ وَأُنْثَى. وَفِيهَا قَتَلَتِ الرُّومُ مَلِكَهُمْ إِلْيُونَ، وَقَدْ مَلَكَهُمْ سَبْعَ سِنِينَ، وَمَلَّكُوا عَلَيْهِمْ مِيخَائِيلَ نَائِبَهُ. وَفِيهَا قَتَلَ الْمَأْمُونُ يَحْيَى بْنَ عَامِرِ بْنِ إِسْمَاعِيلَ؛ وَذَلِكَ لِأَنَّهُ قَالَ لِلْمَأْمُونِ: يَا أَمِيرَ الْكَافِرِينَ فَقُتِلَ صَبْرًا بَيْنَ يَدَيْهِ. وَفِيهَا حَجَّ بِالنَّاسِ أَبُو إِسْحَاقَ مُحَمَّدٌ الْمُعْتَصِمُ بْنُ هَارُونَ الرَّشِيدِ. [مَنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ] وَفِيهَا تُوُفِّيَ مِنَ الْأَعْيَانِ:
পৃষ্ঠা - ৮৪০৯
أَسْبَاطُ بْنُ مُحَمَّدٍ، وَأَبُو ضَمْرَةَ أَنَسُ بْنُ عِيَاضٍ وَسَلْمُ بْنُ قُتَيْبَةَ، وَعُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْوَاحِدِ، وَابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ، وَمُبَشِّرُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ حِمْيَرَ، وَمُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ.