আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة تسع وتسعين ومائة

পৃষ্ঠা - ৮৪০১

দলটি সমবেত ও দলবদ্ধ হয়েত তাহিরের কিছু আসবাব লুর্টে নিল এবং হে মুসা ! হে মানসুর !
বলে ধ্বনি তুলল ৷৩ তাদের ধারণা ছিল যে, আমীনের পুত্র মুসা-যাকে আন-নাতিক উপাধি দেয়া
হয়েছিল সেখানে রয়েছে ৷ অথচ তাহির আগেই তাকে তার চাচার কাছে পাঠিয়ে দিয়েছিল ৷ এ
পরিস্থিতিতে তাহির ও তার সমর্থক সেনা নায়কদের নিয়ে একদিকে সমবেত হলেন এবং তার
সমর্থকদের নিয়ে বিদ্রোহীদের সং গে যুদ্ধ করার সৎক ল্প গ্রহণ করলেন ৷ কিন্তু পরে তারা তার
কাছে ফিরে এসে ভুল স্বীকার করে অনুতাপ প্রকাশ করলে তাহির কারো নিকট হতে বিশ
হাজার দীনার ধার গ্রহণ করে সৈনিকদের চার মাসের ভাতা দিয়ে দিলেন ৷ এতে পরিস্থিতি শান্ত
হয়ে গেল ৷

এছাড়া ইব্রাহীম ইবনুল মাহদী যুবায়দার সন্তান মুহাম্মদ আল-আমীনের নিহত হওয়ার
আক্ষেগ প্রকাশ করে তার স্মরণে শোক কাব্য রচনা করলেন ৷ মামুনের কাছে এ স বাদ পৌছলে
তিনি তাকে কঠোরভ ৷ষায় তিরস্কার করলেন ও সতর্ক করে দিলেন ৷ ইবন জ বীর আমীনের
মৃত্যুতে রচিত অনেক মানুষের শোককাব্য উদ্ধৃত করেছেন এবং তাকে ব্যাৎগ করে রচিত
কবিতারও কিছু কিছু উদ্ধৃত করেছেন ৷ অনুরুপ আমীনকে হত্যা করার সময়ে তাহির ইবন
হুসায়নের কবিতা হতে এ লাইন দু’টি উল্লেখ করেছেন-

৷ , এে ৷ ; fl ’
শু১াশু৷ ৷ ’;ছুট্রুরুঠুস্
“জোর জবরদস্তি ও ক্ষমতা বলে তুমি মানুষের মালিক হয়েছিলে এবং বড় বড় দুর্ধর্ষদের হত্যা

করেছিলে ৷ (অবশেষে) খিলাফতের মসনদ মার্ভ অভিমুখে মামুনের কাছে পাঠিয়ে দিলে অত্যন্ত
ব্যস্ততার সংগে ৷

হারুনুর রশীদের পুত্র আবদুল্লাহ আন-মামুনের খিলাফত

মামুনের ভাই মুহাম্মদ (আমীন) একশ আটানব্বই হিজরী সনের ৪ঠা সফর (মতান্তরে)
ঘুহাররমে নিহত হলে পুর্ব হতে পশ্চিমে সর্বত্র মামুনের জন্য নিরৎকুশ বায়আত সম্পন্ন হল ৷ মামুন
হাসান ইবন সাহলকে ইরাক, ফ বিস ইরান, আহওয়ায় কুফা, বসরা, হিজায় ও ইয়ামানের
শাসনকর্তা নিয়োগ করলেন এবং এসব অঞ্চলে নায়িব মনোনীত করে পাঠ৷ ৷লেন ৷ত তাহির ইবনুল
হুসায়নকে নাসৃর ইবন৷ শ্ ৷৷বছের স ন্গে যুদ্ধ করার জন্য রাক্কায় ফিরে আসার ফরমান পাঠালেন
এবং তাকে আল-জাযীরা , শাম , মাওসিল ও আল-মাগরিবের নায়িব নিযুক্ত করলেন ৷ হারছামাকে
খুরাসানের প্রশাসক হওয়ার ফরমান পাঠালেন ৷ এ বছর হাজীদের হরুজ্জ নেতৃত্ব দিলেন
আল-আব্বাস ইবন ঈস৷ হা ৷শিমী ৷ এ বছর সুফিয়ান ইবন উয়ায়ন৷ আবদুর রহমান ইবন মাহদী ও
ইয়াহ্য়৷ আল কাত্ত ৷ন হাদীস, ফিক্হ ও রিজা ৷ল শ ৷৷স্তে এই দিকপাল ও সমকালীন সর্বজন বরেণ্য
আলিম-ইমড়াম ইনতিকা ৷ল করেন ৷

১৯৯ হিজরীর আগমন
এ বছর মামুনের নিয়োজিত নায়িব শাসনকর্তারুপে হাসান ইবন সাহল বাগদাদে আগমন


[سَنَةُ تِسْعٍ وَتِسْعِينَ وَمِائَةٍ] [الْأَحْدَاثُ الَّتِي وَقَعَتْ فِيهَا] ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ تِسْعٍ وَتِسْعِينَ وَمِائَةٍ فِيهَا قَدِمَ الْحَسَنُ بْنُ سَهْلٍ بَغْدَادَ نَائِبًا عَلَيْهَا مِنْ جِهَةِ الْمَأْمُونِ وَوَجَّهَ نُوَّابَهُ إِلَى بَقِيَّةِ أَعْمَالِهِ، وَتَوَجَّهَ طَاهِرٌ إِلَى نِيَابَةِ الْجَزِيرَةِ وَالشَّامِ وَمِصْرَ وَبِلَادِ الْمَغْرِبِ، وَسَارَ هَرْثَمَةُ إِلَى نِيَابَةِ خُرَاسَانَ. وَكَانَ قَدْ خَرَجَ فِي أَوَاخِرِ السَّنَةِ الْمَاضِيَةِ فِي ذِي الْحِجَّةِ مِنْهَا الْحَسَنُ الْهِرْشُ يَدْعُو إِلَى الرِّضَا مِنْ آلِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَجَبَى الْأَمْوَالَ، وَانْتَهَبَ الْأَنْعَامَ، وَعَاثَ فِي الْبِلَادِ فَسَادًا، فَبَعَثَ إِلَيْهِ الْمَأْمُونُ جَيْشًا، فَقَتَلُوهُ فِي الْمُحَرَّمِ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ. وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ خَرَجَ بِالْكُوفَةِ مُحَمَّدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ إِسْمَاعِيلَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْحَسَنِ بْنِ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، يَوْمَ الْخَمِيسِ لِعَشْرٍ خَلَوْنَ مِنْ جُمَادَى الْآخِرَةِ، يَدْعُو إِلَى الرِّضَا مِنْ آلِ مُحَمَّدٍ، وَالْعَمَلِ بِالْكِتَابِ وَالسُّنَةِ، وَهُوَ الَّذِي يُقَالُ لَهُ: ابْنُ طَبَاطَبَا. وَكَانَ الْقَائِمُ بِأَمْرِهِ وَتَدْبِيرِ الْحَرْبِ بَيْنَ يَدَيْهِ أَبُو السَّرَايَا السَّرِيُّ بْنُ مَنْصُورٍ الشَّيْبَانِيُّ، وَقَدْ أَصْفَقَ أَهْلُ الْكُوفَةِ عَلَى وِفَاقِهِ وَاجْتَمَعُوا عَلَيْهِ مِنْ كُلِّ فَجٍّ عَمِيقٍ، وَوَفَدَتْ إِلَيْهِ الْأَعْرَابُ مِنْ ضَوَاحِي الْكُوفَةِ وَكَانَ النَّائِبُ عَلَيْهَا مِنْ جِهَةِ الْحَسَنِ بْنِ سَهْلٍ سُلَيْمَانَ بْنَ أَبِي جَعْفَرٍ الْمَنْصُورِ، فَبَعَثَ الْحَسَنُ بْنُ سَهْلٍ إِلَى سُلَيْمَانَ يَلُومُهُ وَيُؤَنِّبُهُ عَلَى ذَلِكَ، وَأَرْسَلَ إِلَيْهِ بِعَشَرَةِ آلَافِ فَارِسٍ
পৃষ্ঠা - ৮৪০২
صُحْبَةَ زُهَيْرِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، فَتَقَاتَلُوا خَارِجَ الْكُوفَةِ فَهَزَمُوا زُهَيْرًا وَاسْتَبَاحُوا جَيْشَهُ وَنَهَبُوا مَا كَانَ مَعَهُ، وَذَلِكَ يَوْمَ الْأَرْبِعَاءَ سَلْخَ جُمَادَى الْآخِرَةِ، فَلَمَّا كَانَ الْغَدُ مِنَ الْوَقْعَةِ تُوُفِّيَ ابْنُ طَبَاطَبَا أَمِيرُ الشِّيعَةِ فَجْأَةً يُقَالُ: إِنَّ أَبَا السَّرَايَا سَمَّهُ، وَأَقَامَ مَكَانَهُ غُلَامًا أَمْرَدَ يُقَالُ لَهُ: مُحَمَّدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ زَيْدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. وَانْعَزَلَ زُهَيْرٌ بِمَنْ بَقِيَ مَعَهُ مِنْ أَصْحَابِهِ إِلَى قَصْرِ ابْنِ هُبَيْرَةَ وَأَرْسَلَ الْحَسَنُ بْنُ سَهْلٍ مَعَ عُبْدُوسِ بْنِ مُحَمَّدٍ أَرْبَعَةَ آلَافِ فَارِسٍ مَدَدًا لِزُهَيْرٍ فَاتَّقَعُوا وَأَبُو السَّرَايَا، فَهَزَمَهُمْ أَبُو السَّرَايَا وَلَمْ يُفْلِتْ مِنْ أَصْحَابِ عُبْدُوسٍ أَحَدٌ وَانْتَشَرَ الطَّالِبِيُّونَ فِي تِلْكَ الْبِلَادِ وَضَرَبَ أَبُو السَّرَايَا الدَّرَاهِمَ وَالدَّنَانِيرَ فِي الْكُوفَةِ وَنَقَشَ عَلَيْهَا {إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الَّذِينَ يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِهِ صَفًّا كَأَنَّهُمْ بُنْيَانٌ مَرْصُوصٌ} [الصف: 4] الْآيَةَ [الصَّفِّ: 4] ، ثُمَّ بَعَثَ أَبُو السَّرَايَا جُيُوشَهُ إِلَى الْبَصْرَةِ وَوَاسِطٍ وَالْمَدَائِنِ، فَهَزَمُوا مَنْ فِيهَا وَدَخَلُوهَا قَهْرًا، وَقَوِيَتْ شَوْكَتُهُمْ فَاهْتَمَّ لِذَلِكَ الْحَسَنُ بْنُ سَهْلٍ وَكَتَبَ إِلَى هَرْثَمَةَ مِنْ خُرَاسَانَ يَسْتَدْعِيهِ لِحَرْبِ أَبِي السَّرَايَا، فَتَمَنَّعَ، ثُمَّ قَدِمَ عَلَيْهِ، فَخَرَجَ إِلَى أَبِي السَّرَايَا، فَهَزَمَ أَبَا السَّرَايَا غَيْرَ مَرَّةٍ وَطَرَدَهُ حَتَّى رَدَّهُ إِلَى الْكُوفَةِ وَوَثَبَ الطَّالِبِيُّونَ عَلَى دَورِ بَنِي الْعَبَّاسِ بِالْكُوفَةِ فَنَهَبُوهَا، وَخَرَّبُوا ضِيَاعَهُمْ، وَفَعَلُوا فِعَالًا قَبِيحَةً وَبَعَثَ أَبُو السَّرَايَا إِلَى أَهْلِ الْمَدِينَةِ فَاسْتَجَابُوا لَهُ، وَبَعَثَ إِلَى أَهْلِ مَكَّةَ حُسَيْنَ بْنَ حَسَنٍ الْأَفْطَسِ
পৃষ্ঠা - ৮৪০৩


করলেন এবং তার অধিভুক্ত অঞ্চলসমুহে সহকারী প্রশাসকদের পাঠিয়ে দেন ৷ তাহির ইবনুল
হুসায়ন তার অধিভুক্ত আল-জাষীরা, শাম, মিসর ও পশ্চিমাঞ্চলের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন এবং
হারছামা খুরাসানের শাসনকর্তারুপে সেখান গমন করেন ৷ পুর্ববর্তী বছরের শেষ দিকে যিলহাজ্জ
মাসে মুহাম্মদ (নফসে যাকিয়্যার) বংশধর রিযা-র ইমামতের আহ্বান জানিয়ে হাসান আল-হারশ
বিদ্রোহের পতাকা উত্তোলন করেছিল এবং রাজস্ব আদায় ও পশুপাল লুটতরাজ করে বিভিন্ন অঞ্চলে
দাৎগা ছড়িয়ে দিয়েছিল ৷ মামুন তাকে শায়েস্তা করার জন্য বাহিনী পাঠালেন এবং এ বাহিনী চলমান
বছরের মুহাররামে তাকে (হাসান আল-হারশকে) হত্যা করলে এ বিদ্রোহ প্রশমিত হল ৷
এ বছরের জুমাদাল উখরা মাসের দশ তারিখ বৃহস্পতিবার মুহাম্মদ (নফসে যাকিয়্যা)-এর
ৎশধ্র রিযা-র ইমামত এবং কিতাব ও সুন্নাহ্ অনুসারে আমলের আহ্বান জানিয়ে মুহাম্মদ ইবন
ইব্রাহীম ইবন ইসমাঈল ইবন ইবরাহীম ইবন হাসান ইবন হাসান ইবন আলী ইবন আবুতালিব
কুফায় বিদ্রোহের পতাকা উত্তোলন করেন ৷ এ মুহাম্মদই ইবন তাবাতাবা নামে সমধিক পরিচিত ৷
তার প্রধান সহযোগী ও তার পক্ষে সমরাধিনায়কের দায়িত্ব পালনকারী ছিল আকুস সারায়া
আসৃ-সারিয়ুব্র ইবন মানসুর শায়ৰানী ৷ কুফাবাসীরা তাকে সহায়তা ও সহযোগিতা প্রদানে ঐকমত্য
পোষণ করল এবং সমগ্র দুর-দুরান্তের অঞ্চল হতে তার পাশে সমবেত হল ৷ কুফায় প্রত্যন্ত
অঞ্চলের পল্লীবাসীরা ও তার কাছে তাদের প্রতিনিধি দল পাঠিয়ে আনুগত্য প্রকাশ করল ৷ কুফায়
তখন হাসান ইবন সাহলের নিযুক্ত শাসক ছিলেন সুলায়মান ইবন আবু জাফর আল-মানসুর ৷
হাসান ইবন সাহ্ল এ পরিস্থিতির জন্য তাকে দােষারোপ করে কঠোর ভাষায় তিরস্কার করলেন
এবং বিদ্রোহ দমনের জন্য যাহির ইবন যুহায়র ইবনুল মুয়ায়্যাবের পরিচালনার দশ হাজার
অশ্বারোহীর একটি বাহিনী পাঠালেন ৷ দুই দল কুফায় বহিরাঞ্চলে যুদ্ধে লিপ্ত হল এবং বিদ্রোহী
যাহিরকে পরাজিত করে তার বাহিনীকে পাইকারী হারে হত্যা করল এবং বিদ্রোহী বাহিনীর সব
সম্পদ লুট করে নিল ৷ এটি ছিল জুমাদাল উখরা মাসের শেষ দিনের ঘটনা ৷ এ ঘটনার পরের
দিনই শীআ দলের আমীর ইবন তাবাতাবাৱ (মুহাম্মদ) আকস্মিক মৃত্যু হয়ে গেল ৷ কথিত মতে
আবুস সারায়া-ই বিষ প্রয়োগে তাকে হত্যা করে মুহাম্মদ ইবন মুহাম্মদ ইবন যায়দ ইবন আলী
ইবনুল হুসায়ন ইবন আলী ইবন আবুতালিব নামের এক অপ্রাপ্ত বয়স্ক কিশোরকে তার স্থলাভিষিক্ত
মনোনীত করল ৷ যাহির তার বেচে যাওয়া সৈনিকদের নিয়ে ইবন হুবায়রা ভবনে আশ্রয় নিল ৷
হাসান ইবন সাহ্ল চার হাজার ঘোড় সওয়ার দিয়ে আবদুস ইবন মুহাম্মদকে পাঠালেন ৷ যা বাহ্যত
ছিল যাহিরের সাহায্যকারী বাহিনী ৷ নবাগত বাহিনী ও আবুল সারায়ার মাঝে যুদ্ধ সংঘটিত হল এবং
আকুস সারায়া এ বাহিনীকেও পরাস্ত করল ৷ এমনকি আবদুসের বাহিনীর একজনও জীবন নিয়ে
ফিরে যেতে পারল না ৷
এ পরিস্থিতিতে তালিবী (শীঅড়া বিদ্রোহী)রা এসব অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ল ৷ আকুস সারায়া
কুফায় দিরহাম-দীনার (রৌপ্য মুদ্রা ও স্বর্ণমুদ্রা) ঢালাই করল এবং তাতে ;,;;é: ৷ ন্ৰুা৷ ৷ :, ৷
যুদ্ধ করে আল্পাহ্ তাদের ভালবাসেন) আঘাতের ছাপ ব্যবহার করল ৷ পরে আবুল সারায়া বসরা ,
ওয়াসিত, মাদায়িন ও অন্যান্য অঞ্চল অভিমুখে তার বাহিনী প্রেরণ করল এবং যেসব স্থানের
(মামুনের নিয়োজিত) শাসকদের পরাস্ত করে জবর দখল প্রতিষ্ঠা করল ৷ এভাবে বিদ্রোহীদের


بْنِ عَلِيِّ بْنِ عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، لِيُقِيمَ لَهُمُ الْمَوْسِمَ، فَتَهَيَّبَ أَنْ يَدْخُلَهَا جَهْرَةً، وَلَمَّا سَمِعَ نَائِبُ مَكَّةَ وَهُوَ دَاوُدُ بْنُ عِيسَى بْنِ مُوسَى بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ بِقُدُومِهِ هَرَبَ مِنْ مَكَّةَ طَالِبًا أَرْضَ الْعِرَاقِ، وَبَقِيَ النَّاسُ بِلَا إِمَامٍ، فَسُئِلَ مُؤَذِّنُهَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ الْوَلِيدِ الْأَزْرَقِيُّ أَنْ يُصَلِّيَ بِهِمْ فَأَبَى، فَقِيلَ لِقَاضِيهَا مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمَخْزُومِيِّ فَامْتَنَعَ، وَقَالَ: لِمَنْ أَدْعُو وَقَدْ هَرَبَ نُوَّابُ الْبِلَادِ. فَقَدَّمَ النَّاسُ رَجُلًا مِنْ عُرْضِهِمْ، فَصَلَّى بِهِمُ الظُّهْرَ وَالْعَصْرَ، وَبَلَغَ الْخَبَرُ إِلَى حُسَيْنِ بْنِ الْحَسَنِ الْأَفْطَسِ، فَدَخَلَ مَكَّةَ فِي عَشَرَةِ رَهْطٍ قَبْلَ الْغُرُوبِ فَطَافَ بِالْبَيْتِ، ثُمَّ وَقَفَ بِعَرَفَةَ لَيْلًا وَصَلَّى بِالنَّاسِ الْفَجْرَ بِمُزْدَلِفَةَ وَدَفَعَ بِهِمْ، وَأَقَامَ بَقِيَّةَ الْمَنَاسِكِ فِي أَيَّامِ مِنًى لِلنَّاسِ، فَدَفَعَ النَّاسُ مِنْ عَرَفَةَ بِغَيْرِ إِمَامٍ. [مَنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ] وَمِمَّنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ: إِسْحَاقُ بْنُ سُلَيْمَانَ، وَابْنُ نُمَيْرٍ، وَابْنُ شَابُورَ، وَعَمْرٌو
পৃষ্ঠা - ৮৪০৪
الْعَنْقَزِيُّ، وَأَبُو مُطِيعٍ الْبَلْخِيُّ، وَيُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ.