আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

এবং সে যা বলে তার মর্ম অনুধাবন করে ৷ হঠকারিত৷ করে কোন গুরুতৃপুর্ণ বিষয়ের প্রতি সে
উদাসীনতা প্রদর্শনকারী নয় ; যখন উদাসীনত৷ প্রবণ ব্যক্তি কোন কাজকে নষ্ট করে দেয় ৷”

এদিকে আমীনের অবস্থা তখন অত্যন্ত শে ৷৷চনীয় ৷ সেনাব ৷৷র্হিনীর ব্যয় নির্বাহ তো দুরের কথা,
তার নিজের জন্য ব্যয় কর র অর্থও খনত তার কাছে ছিল না ৷ অধিকাংশ ৷সৎগী-বন্ধু খনত তাকে
ছেড়ে চলে গিয়েছে ৷ তখন তিনি এক ক্লিষ্ট ও লাঞ্ছিত ব্যক্তি ৷ পুর্ণ বছরটি এরুপ অরাজকত৷ ও
ভৈনর৷ ৷জ্যের মধ্যে অতিবাহিত হল ৷ চ৷ ৷রদিকে চলছিল খুনা খুনি জ্বা-লাও পােড় ই চুরি ছিনতাই ৷
বাগদাদ তখন এক অভিশপ্ত নগরী যেখানে কেউ কারো জন্য সাহায্য-সহায়তা দিয়ে এগিয়ে আসে
না যা ফিতনা ও দাৎপা-হাৎগামাব স্বাভাবিক ধর্ম ৷

এ বছর হাজীদের হরুজ্জ নেতৃতৃ দিলেন মানুষের পক্ষে নিয়োজিত আব্বাস ইবন মুসা হা ৷শিমী ৷
এ বছরে মৃত্যুবরণ কারী বিশিষ্টদের তালিকায় রয়েছেন অন্যতম বিশিষ্ট যাহিদ (দুনিয়াত্যাপী
দরবেশ) শুআয়ব ইবন হারব , মিসরবাসীদের ইমাম৷ অ ৷বদুল্লাহ্ ইবন ওয়াহ্ব ৷ আ ৷লী ইবন মুসা ৷হির
(প্রখ্যাত হাদীসবিদ) এর ভাই আবদুর রহমান ইবন মুসহির, ওয়ারশ উপাধিধারী প্রখ্যাত কারীদের
অন্যতম, নাফি ইবন আবুনুআয়মের কিরাঅ ৷ত রিওয়ায়াতক৷ রী উছমান ইবন সাঈদ এবং বিদ্বান
মুহাদ্দিস তালিকা ৷র অন্যতম ব্যক্তিতু ওয়াকী ইবনুল৷ জ ৷ররাহ আর-রুওয়াসী ৷ যিনি ছিষট্টি বছর
বয়সে ইনতিকাল করেন ৷

১৯৮ হিজরীর আগমন

এ বছর থুযায়ম৷ ইবন খা ৷যিম তাহিরের নিকট হতে নিরাপত্তা ৷গ্রহণ করার নামে খলীফা ৷৷ঘুহম্মদ
আলআমীনের সং গে প্রতারণামুলক আচরণ করল ৷ হ বছামা ইবন আয়ান নগরের পুর্বদিক হতে
প্রবেশ করল ৷ ঘুহাররমের আট তারিখ বুধবার খুযায়মা ইবন খাযিম ও মুহাম্মদ ইবন আলী ইবন
ঈসা অতর্কিতে বাগদ৷ ৷দ পুলের উপর ঝাপিয়ে পড়ল এবং তা বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে সেখানে তাদের
প৩৷ ৷কা স্থাপন কর ল ৷ তায়৷ জন তাকে মুহাম্মদ আল-আমীনের বায়আত প্রত্যাহার করে আবদুল্লাহ
আল-মামুনের বায়আত গ্রহণের আহ্বান জন ৷ল ৷ বৃহস্পতিবার৩৷ তাহির নিজে নগরীর পুর্ব প্রান্তে
ঢুকে পড়ল এবং নিজেই যুদ্ধে নেতৃতৃ দিতে লাগল ৷ নিজ বাড়িতে অবস্থানকারীদের জন্য
নিরাপত্তার ঘোষণা প্রচার করা হল ৷ দা ৷রুর-রাকীক ও অল ৷ল-কারখ এর সন্নিকটে অনেক হা ৷হানির
ঘটনা সং ঘটিত হল ৷ত তাহিরের বাহিনী আবু জ ফর উপশহর, আ ল খুলদ ভবন ও কসরে যুবায়দা
অবরোধ করল ৷ তারা কসরে যুবায়দার দিকে লক্ষ্য স্থির করে প্রাচীরের চারদিক যানজ৷ নীাক
(কামান) স্থাপন করল এবং গোলাবর্ষণ করতে লাগল ৷ তখন আমীন তার মা ও সন্তানকে নিয়ে
আবু জা ফর উপশ ৷হরের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে গেলেন ৷ পথে সাধারণ জনতা তার কাছ হতে বিচ্ছিন্ন
হয়ে গেল ৷ কেউ কারো দিকে নজর দেয়ার ফুরসত ছিল না ৷ এভাবে তা ৷রা খুলদভবন হতে আবু
জাফর উপশহরে প্রস্থান করল ৷ কেননা, ণ্গাল৷ আধিক্যের কারণে সেখানে টিকে থাকা সম্ভব ছিল
না ৷ এসব ভবনে বিদ্যমান আসবাব পত্র, কাপড়-চোপড় ও মুল্যবান সামগী জ্বালিয়ে দেয়ার আদেশ
দেয়া হল ৷ পরে অবরোধ আরো কঠোর ও সৎকীর্ণ করা হল ৷ এরুপ কঠিন পরিস্থিতি মহা সংকট
ও ধ্বংসের দ্বারপ্রাস্তে পৌছার পরও এক র্চাদনী রাতে আমীন দজলার পাড়ে গেলেন এবং নাবীয ও
গায়িকা দাসীকে নিয়ে আমার হুকুম দিলেন ৷ কিন্তু গায়িকার কণ্ঠে তখন বিরহ বিচ্ছেদ মুলক পান

০০ ৷৪া৷ ৷$

৪ ১৬ আল-বিদায়৷ ওয়ান নিহায়া

ও মৃত্যুর আলোচনা বিষয়ক গান ব্যতীত অন্য কোন গন উচ্চারিত হচ্ছিল না ৷ এ অবস্থায় আমীন
অন্য গানের আদেশ দিচ্ছিলেন এবং বীদী এবইি ধরনের গান গেয়ে চলছিল ৷ সর্বশেষ যে পান যে
পাইল তা ছিল-

এ্যা৷ ষ্১
৷ এে ১৷ ৷

“গােন ! সার্বিক স্পন্দন দো ল ও ন্থিরতার মালিকের কসম ! মৃত্যুর রয়েছে বহু বহু দড়ি
(ফিতা) ৷ রাত ও দিনের বিবর্ত্য৷ এবং আকাশের নক্ষত্র পঞ্জীর মহাকাশে পরিভ্রমণ শুধুই বাদশার
ক্ষমতা প্রতিপত্তি স্থান ম্ভবেব উদ্দেশ্যেই, যার রাজতৃ তামামী হয়ে অন্য রাজার প্রতি ধাবিত

হয়েছে ৷ অ ৷রশ অধিপতির রাজতৃই শুধু চিরন্তন স্থির, বা কখনো বিলুপ্ত হবে না, যাতে নেই কোন
অংশীদ৷ রিতৃ৷ ”

বর্ণনাক৷ রী বলেন, গান শুনে আসীন বাদীকে পালি দিলেন এবং তার সামনে হতে উঠিয়ে
দিলেন ৷ এ সময় বাদী আমীনের একটি (সুটীকের) পেয়ালায় আছাড় খেয়ে সেটি ভেৎগে ফেললে
আমীন এতে কুলক্ষণ দেখতে পেলেন ৷ বীদী চলে গেলে আসীন এক চিৎকারকারীকে ধ্বনি দিতে
শুনল ব্লু, ৷ ৰু এ ৰু <এে ৷ ঠুষ্ ১৷ ৷ র্সে;;ও (তোমরা দু’জন যে বিষয়ের সিদ্ধান্ত (সমাধান)
প্রার্থনা করছ তার শেষ ফায়সালা দিয়ে দেয়াহল-) তখন আমীর তার পাশে উপবিষ্ট বন্ধুকে বলল,
দুর্ভাপা ! শুনতে পাচ্ছ না ? তখন সে মনোযোগ দিয়ে শোনার চেষ্টা করেও কিছু শুনতে পেল না ৷
পুনরায় ধ্বনিটির পুনরাবৃত্তি শোনা গেল ৷ এর এক বা দুই রাত পরেই ৪ঠ৷ সফর রবিবার আমীন
নিহত হলেন ৷ অবরুদ্ধ অবস্থায় আমীনের জীবন এতই কঠিন ও স ৎকটপুর্ণ হয়ে গিয়েছিল যে,
জীবন রক্ষার জন্য তার ন্যুনতম খাদ্য ও পানীয়ের ব্যবস্থাও ছিল না ৷ এমনকি এক রাতে তার
ক্ষুধার্ত হওয়ার পরেও অনেক সাধ্য সাধনার পর তার জন্য রুটি ও মুরগীর ব্যবস্থা করা সম্ভব
হয়েছিল ৷ কিন্তু পরে পানি সন্ধান করা হলে তা পাওয়া গেল না ৷ সুতরাং তাকে পিপাসার্ত

অবস্থায়ই রাত কাটাতে হল এবং সকালে পানি পান করার সুযোগ পাওয়ার পুর্বেই তাকে হত্যা
করা হল ৷

আমীনের নিহত হওয়ার বিবরণ

অবস্থা সংগিন হয়ে পড়লে অবশিষ্ট আমীর পরিচারক ও সৈন্যরা তার কাছে সমবেত হয়ে এ
সংকট উত্তরণের ব্যাপারে পরামর্শ করল ৷ একদল বলল, যারা এখনও আপনার সংগে আছে
আপনি তাদের নিয়ে আল জাযীরা অথবা শামে চলে যাবেন এবং সম্পদ সংগ্রহ করে শক্তি সঞ্চয়
করবেন এবং জনতার সহায়তা গ্রহণ করবেন ৷ অন্যরা বলল, আপনি তাহিরের কাছে আশ্রয় নিয়ে
নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন এবং ভাইয়ের বায়আত আনুগত্য গ্রহণ করবেন ৷ এরুপ করলে নিশ্চয়
আপনার তাই আপনার জন্য এবং আপনার পরিবারশ্পরিজনের জন্য প্রয়োজন মিটানে৷ পরিমাণ

সম্পদের আদেশ দিয়ে দিবেন ৷ আপনার শেষ চাওয়া পাওয়া তো একটু শান্তি ও নিরাপত্তা, তা
আপনি পরিপুর্ণরুপে পেয়ে যাবেন ৷ কেউ কেউ বলল, ভইিয়ের কাছ হতে নিরাপত্তা লাভের কাজে
হাবছ মাই উত্তম হবে ৷ কেননা, সে আপনাদের মাওলা এবং আপনার প্রতি অধিক স্নেহ প্রবণ ৷
অবশেষে খলীফ৷ এ শেষ প্রস্তাবটির প্রতি ৩আকৃষ্ট হলেন ৷ সফর মাসের চার তারিখ রবিবা র রাতে
ইশ ৷র পরে হারছামার কাছে যাওয়ার কথ বাের্তা স্থির হল ৷ খলীফা খিলাফতের পোশাক ও রাজকীয়
মুকুট৩ (৩ায়লামান) পরিধান করলেন ৷ তিনি তার দুই সন্তানকে ড৷ ৷কিয়ে এনে তাদের ঘ্রাণ নিলেন
(নাকে মুখে লাগালেন) এবং বুকে জড়িয়ে ধরে বললেন, তোমাদের দু জনকে আমি তা ৷ল্লাহ্র
হাওযালা করছি ? এ সময় তিনি (আস্তিন) দিয়ে চোখের পানি মুছলেন ৷ পরে একটি কাল
ঘোড়ার পিঠে সওয়ার হলেন ৷ তখন তার সামনে ছিল একটি মোমরাতি ৷ হারছামার কাছে
পৌছলে৷ হ ৷রছামা মর্যাদা ও সম্মানের স ×গে তাকে গ্রহণ করলেন ৷ পরে তারা দু’জন দজলা ৷নদীতে
একটি হ বাবাকায় (যুদ্ধে আগুন লাগাবার জন্য ব্যবহার্য নৌযান) আরোহণ করলেন ৷৩ তাহির এ

ৎবাদ অব ত হয়ে ক্রো ৷তধানি ৩হল ৷ সে বলল, আমিই এসব কিছু করলাম, আর এখন তা
অন্যের ভাণ্ডারে সঞ্চিত হচ্ছে এবং সব কিছু হ বছামাব নামে সম্পৃক্ত হবে ? কাজেই হাররাকা
থাকা অবস্থায় তাহির তাদের কাছে পৌছে গেল ৷ এ সময় তাহিরের সংগের লোকেরা নৌযানটি
কাত করে দিলে ভিতরের লোকেরা ডুবে গেল ৷৩ তবে আমীন সাতরে অপর পাড়ে উঠলে কোন
সৈনিক তাকে বন্দী করল এবং সে এসে বিষয়টি তাহিরকে অব ত করলে তাহির একদল অনারব
ফৌজ সেদিকে পাঠিয়ে দিল ৷ এ বাহিনী সে বাড়িতে পৌছল যেখানে আমীন (বন্দী) ছিলেন ৷
খনত আমীন তার কাছের অবস্থানরত সংপীকে বলতে লাগলেন, আমার নিকটে সরে এস, আমি
অত্যন্ত ভীতি অনুভব করছি ৷ তিনি অত্যন্ত শক্ত করে নিজের কাপড় চাে ৷পড় শরীরে জড়িয়ে
নিচ্ছিলেন এবং তার হৃদপি ৷ণ্ড তীব্র গতিতে স্পন্দিত হচ্ছিল ৷ যেন তার বুকের পাজর হতে রেবাি,য়
পড়ার উপক্রম করছিল ৷ শত্রু বাহিনীতা ৷র কাছে ঢুকে পড়লে তিনি বলেন ইন্ন৷ লিল্লাহি ওয়৷ ইন্না
ইলায়হি রাজিউন ! তখন তাদের একজন কাছে এগিয়ে গিয়ে তার মাথার সিথি বরাবরে তরববি
দিয়ে আঘাত করল ৷ তখন আমীন বলতে লাগলেন ৷ হে দুর্ভ ৷পারা ৷ আমি রাসুালর চাচার
বংশ ধর ৷ আমি খলীফ৷ ৷হারুনুর রশীদের ছেলে ! আ ৷মি তো মামুনের ভাই ৷ আমার থুনের ব্যাপাভ্রুর
আল্লাহ্কে ভয় কর ৷ আল্লাহ্কে ভয় কর ৷ ! আক্রমণকারী এ সবের কোন ৷রছু ঢ৷ ৩ ;নাক্ষপ্৷ রন্ৰুগু:ল
না ৷ বর× সকলে মিলে তাকে আঘাত করল এবং উপুত অবস্থায় ঘাড়ের পাি পছন হতে ৩াকে যব৷
করল ৷ আরা তার মাথা তাহিরের কাছে নিয়ে গেল এবং বড় সেখানে ফেরুর র ৷খল ৷ পরে
সকালে এসে ধরটি একটি ঘোড়ার ণদীতে জড়িয়ে নিয়ে পেল ৷ এটি ছিল এ রছকুরর লব১র মা৷স্৪
চার তারিখ রবিবার রাতে র ঘটনা৷

খলীফা মুহাম্মদ আলআমীনের জীবনপঞ্জী
আবু আবদুল্লাহ মতান্তরে আবু মুসা মুহাম্মদ আল আমীন ট্টবৃ;ৰু হ্রন্র বণ্
আল-মাহদী ইবনুল মানসুর আল-হাশিমী আল আব্বাসী ৷ তা রনাতা ছি৷ ধ্ , প্
ৰিনৃত জাফর হবৃন আবুজাফা আল-মানসুর ৷ আমীন একশত সন্ন্ত্র ব ১ণ্ংন্ন্থঘুৰুশ্ং৷ “?:?® বৃন্ ন্ন্ণ্’ন্ ন্াচু হরু
করেন ৷ (আবু র কর ইবন এ ন্ র ৮৷ দৃনয়া বলেছেন আইয়াশ ইবন হিশাষ্ তার ৷প্ৰ্ত ন্৷ ৩ান৮ত্রু
কাছে বর্ণনা ৷করেরু ন ৷ তিান বালা,ছন লহম্মেল আল-জ আইত্বন ইবন ন্ন্দার রশীদ , এ এবৰুন্শ্ভু সৰুব্রন্র





ধ্বখ্যাঃ