سنة ثنتين وتسعين ومائة
পৃষ্ঠা - ৮৩০১
মুহাম্মদ ইবনুল হুসায়ন আল মিসসীসী ৷ আন্থাভাজন দুনিয়া ত্যাগী সাধকদেব অন্য৩ ম ৷ যিনি
বলতেন, বিগত পঞ্চাশ বছর ধরে আমি এমন কোন কথা বলিনি যার জন্য আমার ক্ষমা প্রার্থনাব র
প্রয়োজন হবে ৷ এ বছরে মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে অন্য৩ ম ছিলেন যা মার আ র রাক্কী ৷
১৯২ হিজরীর আগমন
এ বছরে হারছামা ইবন আয়্যান খুরাসানের শাসনকর্তারুপে সেখানে গমন করে পুর্ববর্তী
শাসনকর্তা আ ৷লী ইবন ঈসাকে গ্রেফতার করেন এবং তার সব সম্পদ ও মুল্যবান সংগহ বাজেয়াপ্ত
করেন ৷ পরে তাকে উটের পিঠে উন্টোমুখাে বসিয়ে সমগ্র খুরাসান অঞ্চলে তার কুকীর্তি’ র
বিবরণ প্রচার করা হয় ৷ হারছামা এসব বিষয়ে পত্র লিখে খলীফাকে অবহিত করলে খলীফ৷ ৷এতে
সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন ৷ পরে হারছামা আলীকে খলীফার দরবারে পাঠিয়ে দিলে তিনি তাকে তার
বাগদাদের বাড়িতে অন্তরীণ করে রাখেন ৷ এ বছর হারুনুর রশীদ ছাৰিত ইবন নাসৃর ইবন
মালিককে সীমান্তবর্তী অঞ্চলের শাসনকর্তা নিয়োগ করেন ৷ ছাৰিত রোম অঞ্চলে অভিযান
পরিচালনা করে মাতমুর৷ জয় করেন নেন ৷ এ বছর ছাবিতের মাধ্যমে মুসলমান ও রোমানদের
মধ্যে সন্ধি সম্পাদিত হয় ৷
এ বছর যুরর৷ ৷সিয়া (ভ্রান্ত ধর্যদ্রো হী) সম্প্রদ৷ য় জুব্ব৷ ল ও আযারবায়জান অঞ্চলে বিদ্রোহ করলে
হারুনুর রশীদ তাদের দমন করার জন্য আবদুল্লাহ্ ইবন মালিক ইবনুল হায়ছাম খুযাঈকে দশ
হাজার অশ্বারোহী সেনাসহ প্রেরণ করেন ৷ আবদুল্লাহ বিদ্রো হীদের বিপুল সংখ্যককে হত্যা ও বন্দী
করেন এবং তাদের নারী ও সন্তানদের বন্দী করে সকল বন্দী বাগদাদে পাঠিয়ে দেন ৷ খলীফা
তাদের পুরুষদের হত্যা করার এবং নারী ও সন্তানদের বাগদাদে বিক্রয়ের আদেশ প্রদান করেন ৷
খুযায়মা ইবন খাযিমও ইতোপুর্বে এ ধর্মদ্রোহীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলেন ৷
এ বছরের রবীউল আউয়ালে৷ হ রুনুব রশীদ রাক্ক৷ হতে নৌপথে বাগদাদ আগমন করেন ৷
রাক্কায় তিনি পুত্র ক৷ ৷সিম ইবনুর রশীদকে তার স্থলাভিষিক্ত করেন ৷ তিনি খুযায়ম৷ ইবন খাযিমকে
আগেই পাঠিয়ে দিয়েছিলেন ৷ তার মনের ইচ্ছা ছিল খুরাসানে রাফি ইবন লায়ছের বিরুদ্ধে
অভিযান পরিচালনা করা ৷ কেননা, রাফি বিদ্রোহ করে সমরকন্দ ও পার্শ্ববর্তী বিশাল অঞ্চলে কর্তৃত্ব
প্রতিষ্ঠা করেছিল ৷ শাবান মাসে হারুনুর রশীদ খুরাসান অভিমুখে রওনা করেন ৷ বাগদাদে তিনি
পুত্র মুহাম্মদ আল-আমীনকে তার স্থলাভিষিক্ত নিয়োগ করেন ৷ অপর পুত্র মামুন তার ভাই
আমীনের বিশ্বাসঘাতকতার ভয়ে পিতার সংগে যাওয়ার অনুমতি প্রার্থনা করলে তিনি তাকে
অনুমতি প্রদান করেন এবং মামুন খলীফ৷ ৷র সফর সঙ্গী হন ৷
পথিমধ্যে হারুন তার জনৈক আমীরের কাছেও তার তিন পুত্রের দুর্মতি ও অসদাচরণের
অভিযোগ করেন ৷ অথচ তিনি তাদের যুবরাজ’ ঘোষণা করে রেখেছিলেন ৷ তিনি আমীরকে তার
দেহের একটি ব্যধির অবস্থা দেখিয়ে বলেন, আমীন, মামুন ও কাসিমণ্ এ তিনজনের প্রত্যেকেই
আমার কাছে গোয়েন্দা নিয়োগ করে রেখেছে ৷ তারা আমার শ্বাসপ্রশ্বাস গণনা করছে এবং আমার
সময় ফুরিয়ে যাওয়ার বাসনা পোষণ করছে ৷ এ অবস্থা তাদের জন্য অকল্যাণকর ৷ হয়ে যদি তারা
বুঝত ৷ ! তখন আমীর৩ তার জন্য দু আ করলেন এবং খলীফা তাকে তার কর্যস্থুলে ফিরে৷ যা ওয়ার
আদেশ প্রদান করে তাকে বিদ৷ ৷য় জানালেন ৷ এটাই ছিল তাদের শেষ দেখা ৷
[سَنَةُ ثِنْتَيْنِ وَتِسْعِينَ وَمِائَةٍ]
[الْأَحْدَاثُ الَّتِي وَقَعَتْ فِيهَا]
ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ ثِنْتَيْنِ وَتِسْعِينَ وَمِائَةٍ
فِيهَا دَخَلَ هَرْثَمَةُ بْنُ أَعْيَنَ إِلَى خُرَاسَانَ نَائِبًا عَلَيْهَا، وَقَبَضَ عَلَى عَلِيِّ بْنِ عِيسَى، فَأَخَذَ أَمْوَالَهُ وَحَوَاصِلَهُ، وَأَرْكَبَهُ عَلَى رَاحِلَةٍ، وَنَادَى عَلَيْهِ بِبِلَادِ خُرَاسَانَ وَكَتَبَ إِلَى الرَّشِيدِ بِذَلِكَ، فَشَكَرَهُ عَلَى ذَلِكَ، ثُمَّ سَيَّرَهُ إِلَى الرَّشِيدِ بَعْدَ ذَلِكَ، فَحُبِسَ بِدَارِهِ بِبَغْدَادَ.
وَفِيهَا وَلَّى الرَّشِيدُ ثَابِتَ بْنَ نَصْرِ بْنِ مَالِكٍ نِيَابَةَ الثُّغُورِ فَدَخَلَ بِلَادَ الرُّومِ، وَفَتَحَ مَطْمُورَةَ.
وَفِيهَا كَانَ الْفِدَاءُ بَيْنَ الْمُسْلِمِينَ وَالرُّومِ عَلَى يَدَيْ ثَابِتِ بْنِ نَصْرٍ.
وَفِيهَا خَرَجَتْ الْخُرَّمِيَّةُ بِالْجَبَلِ وَبِلَادِ أَذْرَبِيجَانَ فَوَجَّهَ الرَّشِيدُ إِلَيْهِمْ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مَالِكِ بْنِ الْهَيْثَمِ الْخُزَاعِيَّ فِي عَشَرَةِ آلَافِ فَارِسٍ فَقَتَلَ مِنْهُمْ خَلْقًا كَثِيرًا، وَأَسَرَ وَسَبَى ذَرَارِيهِمْ، وَقَدِمَ بِهِمْ بَغْدَادَ فَأَمَرَ الرَّشِيدُ بِقَتْلِ الرِّجَالِ مِنْهُمْ، وَبِالذُّرِّيَّةِ فَبِيعُوا بِهَا، وَكَانَ قَدْ غَزَاهُمْ قَبْلَ ذَلِكَ خُزَيْمَةُ بْنُ خَازِمٍ.
وَفِي رَبِيعٍ الْأَوَّلِ مِنْهَا قَدِمَ الرَّشِيدُ مِنَ الرَّقَّةِ إِلَى بَغْدَادَ فِي السُّفُنِ، وَقَدْ
পৃষ্ঠা - ৮৩০২
এ বছর হারুরীরো (খারিজী) বসরার প্রান্ত বিদ্রোহ ছড়িয়ে দেয় এবং থলীফার আমিলকে হত্যা
করে ৷ হারুনুর রশীদ এ বছর হায়সাম ইয়ামড়ানীকেদু, হত্যা করেন ৷ ঈসা ইবন জাফর হারুনুর
রশীদের সংগে সাক্ষাতের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করলে পথিমধ্যে তার মৃত্যু হয় ৷ এ বছর হবুজ্জ্বর
আমীর ছিলেন আব্বাস ইবন আবদুল্লাহ ইবন জাফর ইবন আবুজাফর আল-মানসুর ৷
এ বছরে মৃত্যুবরণকারী বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ
এদের মধ্যে অন্যতম ছিল আবুল কাসিম ইসমাঈল ইবন জামি ইবন ইসমাঈল ইবন
আবদুল্লাহ ইবনুল মুত্তালিব ইবন আবু ওয়াদাআ ৷ সে ছিল বিখ্যাত পীতি শিল্পী ৷ তার পীতি প্রতিভা
ছিল প্রবাদতুল্য ৷ প্রথম দিকে যে কুরআন হিফ্জ করতে শুরু করেছিল ৷ পরে পীতি শিক্ষার প্রতি
আকৃষ্ট হয়ে কুরআন বর্জন করে ৷
আল মাপানী-র গ্রস্থুকার আবুল ফারজ ইবন আলী ইবনুল হুসায়ন তার সম্পর্কে বিস্ময়কর
কাহিনী বর্ণনা করেছেন ৷ আবুল কাসিম বলেছেন, আমি একদিন হাররানে একটি কুঠরীর উপর
থেকে নিচে রাস্তার দৃশ্য দেখছিলাম ৷ তখন সেখানে একটি কাল দাসী এল ৷ তার সংগে ছিল পানি
বহনের জন্য একটি মশক ৷ সে মশকটি রেখে বসে পড়ল এবং উচ্ছাসের সংগে গাইলে লাগল-
মোঃ গ্লুা৷ ৷ ষ্া৷
আল্লাহ্র কাছেই অভিযোগ করি তার কৃপণতা ও আমার দান-বদান্যতার ৷ আমি তাকে দিয়ে
যাচ্ছি মধু, সে আমাকে দান’ করছে তিক্ত মাকাল ৷ প্রেমের আহতকে ফিরিয়ে দাও তৃমিই
তাকে করেছ খুন ; তাকে করে রেখ না দিশাহারা চিত্ত, আসক্তিতে নিমজ্জমান ৷
আবুল কাসিম বলেন, আমার কান এমন কিছু শুনল যা আমাকে ধৈর্যহারা করে দিল ৷ আমি
তা দাসীর মুখে আর একবার ণ্শানার প্রতীক্ষায় রইলাম ৷ কিন্তু সে দাড়িয়ে চলতে শুরু করল ৷
আমি দ্রুত উপর হতে নেমে তার পিছনে ছুটলাম এবং তাকে কলি দু’টি আবার শোনাতে বললাম ৷
সে বলল, আমাকে প্রতিদিন আমার উপরে মালিকের বরাদ্দকৃত থারাজ’ দুই দিরহাম উপার্জন
করে দিতে হয় ৷ তখন আমি তাকে দুই দিরহাম দিয়ে দিলে কলি দু’টি আবার গোনাল ৷ আমি তা
মুখস্ত করে নিলাম এবং সেদিন সারা দিন আমি তা আবৃত্তি করতে লাগলাম ৷ কিন্তু সকাল হলে তা
আমি তুলে গেলাম ৷ সে দিনও কাল দাসী এলে আমি তাকে তা পুনরায় শোনাতে বললাম ৷ আজও
যে দুই দিরহাম নিয়েই তা আমাকে শোনাল ৷ পরে বলল, তোমার কাছে চার দিরহাম ভারী মনে
হচ্ছে মনে হয় ৷ কিন্তু, আমার তাে মনে হয়, এ দিয়ে তুমি চার হাজার দীনার উপার্জন করবে ৷
আবুল কাসিম বলেন, পরে এক রাতে আমি কলি দু’টি হারুনুর রশীদকে গেয়ে শুনালাম ৷
তিনি আমাকে এক হাজার দীনার দান করলেন এবং পরপর তিনবার তিনি আমাকে তা পুনরায়
শোনাতে বললেন ও আমাকে তিন হাজার দীনার দিলেন ৷ তখন আমার মুখে মৃদু হাসি দেখে
খলীফা জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি হাসলে কেন ? তখন আমি বীদীর ঘটনাটি গােনালাম ৷ তিনি হাসি
দিয়ে এক হাজারের দীনারের একটি থলে আমার দিকে ছুড়ে দিলেন এবং বললেন, কাল র্বাদীকে
মিথ্যাবাদী বানাতে চাই না ৷ তার অপর একটি ঘটনা এই আবুল কাসিম বলেন, একদিন সকালে
আমার কাছে মাত্র তিনটি দিরহাম ছিল ৷ আমি দেখলাম, এক বীদী ঘাড়ে বলেসী নিয়ে কুপের দিকে
যাচ্ছে এবং ছুটতে ছুটতে বেদনা ভরা কণ্ঠে সুর করে গাইছে-
اسْتَخْلَفَ عَلَى الرَّقَّةِ ابْنَهُ الْقَاسِمَ، وَبَيْنَ يَدَيْهِ خُزَيْمَةُ بْنُ خَازِمٍ وَمِنْ نِيَّةِ الرَّشِيدِ الذَّهَابُ إِلَى خُرَاسَانَ لِغَزْوِ رَافِعِ بْنِ لَيْثٍ؛ الَّذِي كَانَ قَدْ خَلَعَ الطَّاعَةَ، وَاسْتَحْوَذَ عَلَى بِلَادٍ كَثِيرَةٍ مِنْ بِلَادِ سَمَرْقَنْدَ وَغَيْرِهَا، ثُمَّ خَرَجَ الرَّشِيدُ فِي شَعْبَانَ قَاصِدًا خُرَاسَانَ وَاسْتَخْلَفَ عَلَى بَغْدَادَ ابْنَهُ مُحَمَّدًا الْأَمِينَ، وَسَأَلَ الْمَأْمُونُ مِنْ أَبِيهِ أَنْ يَخْرُجَ مَعَهُ خَوْفًا مِنْ غَدْرِ أَخِيهِ الْأَمِينِ، فَأَذِنَ لَهُ، فَسَارَ مَعَهُ وَقَدْ شَكَا الرَّشِيدُ فِي أَثْنَاءِ الطَّرِيقِ إِلَى بَعْضِ أُمَرَائِهِ جَفَاءَ بَنِيهِ الثَّلَاثَةِ الَّذِينَ جَعَلَهُمْ وُلَاةَ الْعَهْدِ مِنْ بَعْدِهِ، وَأَرَاهُ دَاءً فِي جَسَدِهِ، وَقَالَ: إِنَّ لِكُلِّ وَاحِدٍ مِنَ الْأَمِينِ وَالْمَأْمُونِ وَالْقَاسِمِ عِنْدِي عَيْنًا عَلَيَّ، وَهُمْ يَعُدُّونَ أَنْفَاسِي، وَيَتَمَنَّوْنَ انْقِضَاءَ أَيَّامِي وَذَلِكَ شَرٌّ لَهُمْ لَوْ كَانُوا يَعْلَمُونَ. فَدَعَا لَهُ ذَلِكَ الْأَمِيرُ، ثُمَّ أَمَرَهُ الرَّشِيدُ بِالِانْصِرَافِ إِلَى عَمَلِهِ وَوَدَّعَهُ، وَكَانَ آخِرَ الْعَهْدِ بِهِ.
وَفِيهَا تَحَرَّكَ ثَرْوَانُ الْحَرُورِيُّ، وَقَتَلَ عَامِلَ السُّلْطَانِ بِطَفِّ الْبَصْرَةِ. وَفِيهَا قَتَلَ الرَّشِيدُ الْهَيْصَمَ الْيَمَانِيَّ. وَمَاتَ عِيسَى بْنُ جَعْفَرٍ وَهُوَ يُرِيدُ اللَّحَاقَ بِالرَّشِيدِ.
وَفِيهَا حَجَّ بِالنَّاسِ الْعَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرِ بْنِ أَبِي جَعْفَرٍ الْمَنْصُورِ.
[مَنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ]
وَمِمَّنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ:
إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَامِعِ بْنِ إِسْمَاعِيلَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُطَّلِبِ بْنِ أَبِي وَدَاعَةَ
পৃষ্ঠা - ৮৩০৩
৷ ৰু)১৷ এা;৷এ
া
ন্ ৷
“বন্ধুদের কাছে আমাদের রাত সুদীর্ঘ হওয়ার দুঃখের কথা বললাম ৷ তারা বলল, আমাদের
রাত যে কত ছোট ! (দ্রুত ফুরিয়ে যায় ৷) এ অবস্থা এ কারণে যে, সুখ নিদ্রা দ্রুত তাদের
চোখগুলােকে আচ্ছাদিত করে ৷ বিক্ষ্ম সে নিদ্রা আমাদের চোখ আচ্ছাদিত করে না ৷ জ্বালাতনকারী
রাত যখন প্রেমিকের নিকটবর্তী হয় তখন তার অস্থিরতা বাড়তে থাকে ৷ আর রাতের নিকট
আগমনে ওরা হয় (সুখ ন্ডি৷ ৷র খেয়ালে) আনন্দিত৷ আমাদের যে দুরবন্থায় রাত কা ৷টেত রা৷ও যদি
সে অবস্থার সম্মুখীন৩ হত , তবে অবশ্যই শয্যায় তা ৷দেৱ অবস্থা আমাদের মতই৩ হত
আবুল কাসিম বলেন, আমার দিরহাম তিনটি তাকে দিয়ে দিলাম এবং গানটি আর একবার
গােনাতে বললাম ৷ সে বলল, তুমি তো এর বিনিময়ে এক হাজার দীনার, এক হাজার দীনার , এক
হাজার দীনার উসুল করবে ৷ পরে এক রাতে হারুনুর রশীদ এ গানটির জন্য আমাকে তিন হাজার
দীনার দান করলেন ৷
বক্র ইবনুন নাততাহ্
এ বছরে মৃত্যুবরণকারী বিশিষ্টদের অন্যতম আবু ওয়াইল বকর ইবনুন ন ৷ততাহ্ আল লহা ৷নাফী
আল-বসরী ৷ খ্যা: তমান করি, হারুনুর রশীদের যুগে বাগদাদে বসবাস করেন ৷ করি আবুল
আতাহিয়্যার সংে গে উঠা-বসা ছিল ৷ আবুআফ্ফান বলেছেন, মুহাদ্দিসদের মধ্যে সুরুচিপুর্ণ কাব্য
প্রতিভা ৷য় খ্যাতিমান ছিলেন৷ চ ৷রজন ৷ত তাদের প্রথমজন বক্র ইবনুন নাততাহ্ ৷ মুবাররাদ বলেছেন,
আমি হাসান ইবন রাজাকে বলতে ৩শুনেছি, একদল করি কাব্যচর্চ৷ র আসবে সমবেত হল ৷ তাদের
অন্যতম ছিলেন বকর ইবনুস নাততাহ্ ৷ কবিরা তাদের দীর্ঘ কৰিত ৷ শুনিয়ে শেষ করলে বকর
ইবনুন নাততাহ্ তার স্বরচিত কবিতা পা ৷ঠ করলেনং :
গ্ : ×
ণ্পু
“যদি সে ত ৷র সষ্মতির্টুকু লিখে দিত এবং৩ তাতে চোখের পাতা (চলমান ত্রুন্দন হতে) শুকিয়ে
যেত কিত্বা চোখের পাতা নির্মিলিত হত (নিদ্বা এসে যেত), তাতে তার কোন ক্ষতি হয়ে যেত
না অর্থাৎ এমন এক প্রেমিকের ব্যাপারে সুপারিশ যার বাসন৷ , আর যদি নিঃশেয হয়ে যেত ৷ যে
সুপারিশ তার কাছে প্রত্যাখ্যাতই হত ৷ (হ মন ধৈর্যধ্ারণ করে বার, আর জেনে রাখ, তার
কাছে তেমনই আলা রাখা যায় যেমন বিগত দিনে হয়েছে ৷ দৃষ্টিবানে হত্যাকারীর কারণে চোখের
পাতাগুলো ব্যাথিংাস্ত হয়েছে শুধু এ কারণে যেন আমি ব্যাধিগ্রস্ত হই ৷”
أَبُو الْقَاسِمِ، أَحَدُ الْمَشَاهِيرِ بِالْغِنَاءِ، وَمِمَّنْ يُضْرَبُ بِهِ الْمَثَلُ فِيهِ، فَيُقَالُ: غِنَاءُ بْنُ جَامِعٍ. وَقَدْ كَانَ أَوَّلًا يَحْفَظُ الْقُرْآنَ ثُمَّ صَارَ إِلَى صِنَاعَةِ الْغِنَاءِ، وَذَكَرَ عَنْهُ أَبُو الْفَرَجِ عَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ الْأَصْبَهَانِيُّ صَاحِبُ الْأَغَانِي حِكَايَاتٍ غَرِيبَةً؛ مِنْ ذَلِكَ أَنَّهُ قَالَ: كُنْتُ يَوْمًا مُشْرِفًا فِي غُرْفَةٍ بِحَرَّانَ إِذْ أَقْبَلَتْ جَارِيَةٌ سَوْدَاءُ مَعَهَا قِرْبَةٌ تَسْتَقِي فِيهَا مِنْ مَشْرَعَةٍ فَجَلَسَتْ وَوَضَعَتْ قِرْبَتَهَا وَانْدَفَعَتْ تُغَنِّي.
إِلَى اللَّهِ أَشْكُو بُخْلَهَا وَسَمَاحَتِي ... لَهَا عَسَلٌ مِنِّي وَتَبْذُلُ عَلْقَمَا
فَرُدِّي مُصَابَ الْقَلْبِ أَنْتِ قَتَلْتِهِ ... وَلَا تُبْعِدِي فِيمَا تَجَشَّمْتِ كُلْثُمَا
قَالَ: فَسَمِعْتُ مَا لَا صَبْرَ لِي عَنْهُ، وَرَجَوْتُ أَنْ تُعِيدَهُ، فَقَامَتْ وَانْصَرَفَتْ، فَنَزَلْتُ وَانْطَلَقْتُ وَرَاءَهَا وَسَأَلْتُهَا أَنْ تُعِيدَهُ، فَقَالَتْ: إِنَّ عَلَيَّ خَرَاجًا كُلَّ يَوْمٍ دِرْهَمَانِ. فَأَعْطَيْتُهَا دِرْهَمَيْنِ فَأَعَادَتْهُ فَحَفِظْتُهُ وَسَلَكْتُهُ يَوْمِي ذَلِكَ، فَلَمَّا أَصْبَحْتُ أُنْسِيتُهُ، فَأَقْبَلَتِ السَّوْدَاءُ فَسَأَلْتُهَا أَنْ تُعِيدَهُ فَلَمْ تَفْعَلْ إِلَّا بِدِرْهَمَيْنِ، ثُمَّ قَالَتْ: كَأَنَّكَ تَسْتَكْثِرُ أَرْبَعَةَ دَرَاهِمَ، كَأَنِّي بِكَ وَقَدْ أَخَذْتَ بِهِ أَرْبَعَةَ آلَافِ دِينَارٍ. قَالَ ابْنُ جَامِعٍ: فَغَنَّيْتُهُ لَيْلَةً لِلرَّشِيدِ فَأَعْطَانِي أَلْفَ دِينَارٍ، ثُمَّ
পৃষ্ঠা - ৮৩০৪
اسْتَعَادَنِيهِ ثَلَاثًا أُخْرَى وَأَعْطَانِي ثَلَاثَةَ آلَافِ دِينَارٍ، فَتَبَسَّمْتُ فَقَالَ: مِمَّ تَتَبَسَّمُ؟ فَذَكَرْتُ لَهُ الْقِصَّةَ، فَضَحِكَ وَأَلْقَى إِلَيَّ كِيسًا آخَرَ فِيهِ أَلْفُ دِينَارٍ، وَقَالَ: لَا تُكْذِبِ السَّوْدَاءَ.
وَحُكِيَ عَنْهُ أَيْضًا قَالَ: أَصْبَحْتُ يَوْمًا بِالْمَدِينَةِ وَلَيْسَ مَعِي إِلَّا ثَلَاثَةُ دَرَاهِمَ، فَإِذَا جَارِيَةٌ عَلَى رَقَبَتِهَا جَرَّةٌ تُرِيدُ الرَّكِيَّ، وَهِيَ تَسْعَى وَتَتَرَنَّمُ بِصَوْتٍ شَجِيٍّ، وَتَقُولُ:
شَكَوْنَا إِلَى أَحْبَابِنَا طُولَ لَيْلِنَا ... فَقَالُوا لَنَا مَا أَقْصَرَ اللَّيْلَ عِنْدَنَا
وَذَاكَ لِأَنَّ النَّوْمَ يَغْشَى عُيُونَهُمْ ... سِرَاعًا وَلَا يَغْشَى لَنَا النَّوْمُ أَعْيُنَا
إِذَا مَا دَنَا اللَّيْلُ الْمُضِرُّ لِذِي الْهَوَى ... جَزِعْنَا وَهُمْ يَسْتَبْشِرُونَ إِذَا دَنَا
فَلَوْ أَنَّهُمْ كَانُوا يُلَاقُونَ مِثْلَ مَا ... نُلَاقِي لَكَانُوا فِي الْمَضَاجِعِ مِثْلَنَا
قَالَ: فَاسْتَعَدْتُهُ مِنْهَا وَأَعْطَيْتُهَا الثَّلَاثَةَ دَرَاهِمَ، فَقَالَتْ: لَتَأْخُذَنَّ بَدَلَهَا أَلْفَ دِينَارٍ، وَأَلْفَ دِينَارٍ، وَأَلْفَ دِينَارٍ. فَأَعْطَانِي الرَّشِيدُ ثَلَاثَةَ آلَافِ دِينَارٍ فِي لَيْلَةٍ عَلَى ذَلِكَ الصَّوْتِ.
بَكْرُ بْنُ النَّطَّاحِ أَبُو وَائِلٍ الْحَنَفِيُّ الْبَصْرِيُّ، الشَّاعِرُ الْمَشْهُورُ، نَزَلَ بَغْدَادَ فِي زَمَنِ الرَّشِيدِ، وَكَانَ يُعَاشِرُ أَبَا الْعَتَاهِيَةِ.
পৃষ্ঠা - ৮৩০৫
বর্ণনাক৷ রী বলেন, উপস্থিত কবিগণ তার এ কবিতা লুফে নিল এবং সকলে ছুটে এসে তার
মাথায় চুমু খেতে লাগল ৷
ইবনুন নাতৃত৷ হেব মৃত্যুতে আ বুল আাহিয়৷ তার শোকগাথায় বললেন ং
া
আবু ওয়াইল বক্র ইবনুন নাত্ত তাহ ইনতিকা ল করল কবিতাও বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল (ঘুমিয়ে
পড়ল) ৷
বাহলুল পাগল
এ বছরে মৃত্যুবরণকারীদের অন্যতম ছিলেন (আল্লাহর, পাগল বাহলুল মজনুন ৷ বাহলুল
সাধারণত কুফার কবরস্থানে অবস্থান করতেন ৷ তার বাণী-বক্তব্য ছিল অতি মুল্যবান ৷ হারুনুর
রশীদ ও অন্যান্যদের তার উপদেশ দেয়ার বিষয়টি পুর্বে আলোচিত হয়েছে ৷
আবদুল্লাহ ইবন ইদরীস
এ বছর র্যাদের ইনতিকাল হয় তাদের অন্যতম বিশিষ্ট ব্যক্তি ছিলেন আবদুল্লাহ ইবন ইদরীস
আল-আওফী আল-কুফী ৷ তিনি আমাশ , ইবন জুরায়জ, শুবা , মালিক ও আরও অনেকের নিকট
হতে হাদীস আহরণ করেছেন ৷ তার নিকট হতে হাদীস শাত্রের ইমামগণেয় একদল হাদীস
রিওয়য৷ যাত করেছেন ৷
হারুনুর রশীদ ও ৷কে কাযী নিয়োগ করার জন্য আহ্বান করেছিলেন ৷ তিনি আমি এর উপযোগী
নই’ বলে কঠোর রুপে আত্মরক্ষ৷ করলেন ৷ তার পুর্বে ওয়াকী (র) কে এ পদের প্রস্তাব দেয়া
হয়েছিল এবং তিনিও তা গ্রন্ রুণে অস্বীকৃতি ৩জানা লেন ৷ পরে হাফস ইবন গিয়াছকে প্রস্তাব দেয়৷ হলে
তিনি তা গ্রহণ করলেন ৷ খলীফা তাদের প্রত্যেককে সফর করে আমার কষ্ট স্বীকারেব সুত্রে পাচ
হাজার করে যাতায়াত ভাতা’ প্রদানের আদেশ দিলে ওয়াকী ও ইবন ইদরীস তা ৷ও গ্রহণ করলেন
না ৷ হাফ্স তা গ্রহণ করলেন ৷ এ কারণে ইবন ইদরীস আজীবন তার সংগে কথা না বলার কসম
করলেন ৷ কোন এক হাজ্জর সফরে হারুনুর রশীদেৱ স ৎগে তা ৷র দুই পুত্র আমীন ও মামুন এবং
কাযী (ইমাম) আবু ইউসুফ তার সংগে ছিলেন ৷ কুফার পৌছে খলীফ৷ সেখানকার মুহা ৷দ্দিসগণকে
সমবেত হওয়ার আদেশ দিলেন ৷ উদ্দেশ্য ছিল তার পুত্রদ্বয়ের জন্য হাদীস আহ্রণের ব্যবস্থা করা ৷
মুহা ৷দ্দিসগণ সকলে উপান্থত হলেন ৷ কিন্তু ইবন ইদরীস ও ঈস৷ ইবন ইউনুস উপস্থিত হলেন না ৷
সমবেত মাশায়খগণের নিকট হতে হাদীস শ্রবণ সম্পন্ন করার পর আযীন ও মামুন ইবন ইদরীসের
কাছে গেলেন ৷ তিনিওাদের একশ হাদীস শোন নালেন ৷ তখন মামুন বললেন, চাচা, আপনি চাইলে
আমি হাদীসগুলে৷ এখনই মুখস্থ শুনিয়ে দিতে পারি ৷ শায়খ অনুমতি দিলে মামুন৩ তা হুবহু শুনিয়ে
দিলেন ৷ শায়খ তার মেধা ও মুখন্থ শক্তিতে অভিভুত হলেন ৷ পরে মামুন৩ তাকে কিছু সম্পদ
৫ দয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলে৩ তিনি তার কিছুই গ্রহণ করলেন না ৷
পরে দুই ভাই ঈস৷ ইবন ইউনুসের কাছে গিয়ে তার কাছেও হাদীস ওনলেন ৷ মামুন শায়খকে
দশ হাজার হুড্রা দেয়ার ইচ্ছা করলে তিনি তা গ্রহণে সম্মতি দিলেন না ৷শ্ ৷৷য়খ পরিমাং ৷টি কম মনে
করেছেন এ ধারণার মামুন পরিমাণ দ্বিগুণ করার কথা বললে শায়খ বললেন, আল্লাহর কসম ! ছাদ
পর্যন্ত এ মসজিদ পুর্ণ করে মাল দেয়৷ হলেও আমি তার কিছুই রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর হাদীসের
বিনিময়ে গ্রহণ করব না ৷
আলবিদায়া ওয়ান নিঃহায়৷ ( ১ :ম খণ্ড ৷ ——$ ৬
قَالَ أَبُو هِفَّانَ: أَشْعَرُ أَهْلِ الْغَزَلِ مِنَ الْمُحْدَثِينَ أَرْبَعَةٌ؛ أَوَّلُهُمْ بَكْرُ بْنُ النَّطَّاحِ.
وَقَالَ الْمُبَرِّدُ: سَمِعْتُ الْحَسَنَ بْنَ رَجَاءٍ يَقُولُ: اجْتَمَعَ جَمَاعَةٌ مِنَ الشُّعَرَاءِ وَمَعَهُمْ بَكْرُ بْنُ النَّطَّاحِ يَتَنَاشَدُونَ، فَلَمَّا فَرَغُوا مِنْ طِوَالِهِمْ أَنْشَدَ بَكْرُ بْنُ النَّطَّاحِ لِنَفْسِهِ:
مَا ضَرَّهَا لَوْ كَتَبَتْ بِالرِّضَا ... فَجَفَّ جَفْنُ الْعَيْنِ أَوْ أُغْمِضَا
شَفَاعَةٌ مَرْدُودَةٌ عِنْدَهَا ... فِي عَاشِقٍ تَنْدَمُ لَوْ قَدْ قَضَى
يَا نَفْسُ صَبْرًا وَاعْلَمِي أَنَّ مَا ... يُأْمَلُ مِنْهَا مِثْلَ مَا قَدْ مَضَى
لَمْ تَمْرَضِ الْأَجْفَانُ مِنْ قَاتِلٍ ... بِلَحْظِهِ إِلَّا لِأَنْ أَمْرَضَا
قَالَ: فَابْتَدَرُوهُ يُقَبِّلُونَ رَأْسَهُ.
وَلَمَّا مَاتَ رَثَاهُ أَبُو الْعَتَاهِيَةِ فَقَالَ:
مَاتَ ابْنُ نَطَّاحٍ أَبُو وَائِلٍ ... بَكْرٌ فَأَمْسَى الشِّعْرُ قَدْ بَانَا
بُهْلُولٌ الْمَجْنُونُ كَانَ يَأْوِي إِلَى مَقَابِرِ الْكُوفَةِ وَكَانَ يَتَكَلَّمُ بِكَلِمَاتٍ حَسَنَةٍ، وَقَدْ لَقِيَ الرَّشِيدَ وَهُوَ ذَاهِبٌ إِلَى الْحَجِّ، فَوَعَظَهُ، وَذَلِكَ فِي سَنَةِ ثَمَانٍ وَثَمَانِينَ، كَمَا تَقَدَّمَ.
পৃষ্ঠা - ৮৩০৬
عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ الْأَزْدِيُّ الْكُوفِيُّ، سَمِعَ الْأَعْمَشَ وَابْنَ جُرَيْجٍ، وَشُعْبَةَ، وَمَالِكًا، وَخَلْقًا سِوَاهُمْ.
وَرَوَى عَنْهُ جَمَاعَاتٌ مِنَ الْأَئِمَّةِ، وَقَدِ اسْتَدْعَاهُ الرَّشِيدُ لِيُوَلِّيَهُ الْقَضَاءَ، فَقَالَ: لَا أَصْلُحُ. وَامْتَنَعَ أَشَدَّ الِامْتِنَاعِ، وَكَانَ قَدْ سَأَلَ قَبْلَهُ وَكِيعًا، فَامْتَنَعَ أَيْضًا، فَطَلَبَ حَفْصَ بْنَ غِيَاثٍ فَقَبِلَ.
وَأَطْلَقَ لِكُلِّ وَاحِدٍ خَمْسَةَ آلَافِ دِرْهَمٍ؛ عِوَضًا عَنْ كُلْفَةِ السَّفَرِ، فَلَمْ يَقْبَلْ وَكِيعٌ، وَلَا ابْنُ إِدْرِيسَ، وَقَبِلَ ذَلِكَ حَفْصٌ، فَحَلَفَ ابْنُ إِدْرِيسَ لَا يُكَلِّمُهُ أَبَدًا.
وَحَجَّ الرَّشِيدُ فِي بَعْضِ السِّنِينَ فَاجْتَازَ بِالْكُوفَةِ وَمَعَهُ الْقَاضِي أَبُو يُوسُفَ وَالْأَمِينُ وَالْمَأْمُونُ، فَأَمَرَ الرَّشِيدُ بِجَمْعِ شُيُوخِ الْحَدِيثِ لِيُسْمِعُوا وَلَدَيْهِ، فَاجْتَمَعُوا إِلَّا ابْنَ إِدْرِيسَ هَذَا، وَعِيسَى بْنَ يُونُسَ، فَرَكِبَ الْأَمِينُ وَالْمَأْمُونُ بَعْدَ فَرَاغِهِمَا مِنْ سَمَاعِهِمَا إِلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ إِدْرِيسَ فَأَسْمَعَهُمَا مِائَةَ حَدِيثٍ، فَقَالَ لَهُ الْمَأْمُونُ: يَا عَمِّ، إِنْ أَذِنْتَ لِي أَعَدْتُهَا مِنْ حِفْظِي. فَأَذِنَ لَهُ، فَأَعَادَهَا مِنْ حِفْظِهِ كَمَا سَمِعَهَا، فَتَعَجَّبَ لِحِفْظِهِ ابْنُ إِدْرِيسَ، ثُمَّ أَمَرَ لَهُ الْمَأْمُونُ بِمَالٍ، فَلَمْ
পৃষ্ঠা - ৮৩০৭
ইবন ইদরীসের মৃত্যুর সন্নিকট হলে তার মেয়ে র্কাদতে লাগল ৷ তিনি বললেন, তুমি র্কাদছ
কেন ? মেয়ে বলল, আপনি এ ঘরে পাচ হাজারবার কুরআন শরীফ খতম করেছেন (আপনার
মৃত্যুতে আমরা এর বরকত হতে মাহরুম হয়ে যাব) ৷
সা সা আ ইবন সাল্লাম
এ বছর মৃত্যুবরণকারী বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্পের অন্যতম ছিলেন আবু আবদুল্লাহ সা সা আ ইবন
সাল্লাম মত তবে ইবন আবদুল্লাহ্- আদ-দামেশ কী ৷ পরে তিনি আন্দালুসিয়৷ ( স্পেনে) বসবাস
করেন ৷ সেটি ছিল আবদুল মালিক ও তার পুত্র হিশামের শাসনকাল ৷ সাসাআ-ই প্রথম ব্যক্তি
যার মাধ্যমে ইলমে হাদীস ও আওয৷ ৷ঈর মাযহাব স্পেনে পৌছে ৷ তিনি কর্ডোতা জামি মসজিদের
ইমামের দায়িত্ব পালন করেন ৷৩ তার সময়েই জামি মসজিদের (কর্ডোভা) চতুরে গাছ লাগানো
হয় ৷ যা আওযাঈ শামী ফকীহদের মাযহাবের অনুকুল এবং ইমাম মা ৷লিক ও তার অনুসা ৷রীদের
মতে মাকরুহ ৷
না যা ৷আ ইমাম মা ৷লিক, আ ওয়৷ ৷ঈ ও সাঈদ ইবন আবদুল আযীয প্রমুখ হতে হাদীস রিওয়ায়াত
করেছেন এবং আবদুল মা ৷লিক ইবন হাৰীব৷ আ ল ফ৷ কীাহ-এর ন্যায় একদল৩ তার নিকট হতে হাদীস
বর্ণনা করেছেন ৷ আবদুল মালিক তাকে ফকীহ্ তালকার অন্তর্ভুক্ত করেছেন ৷ ইবন ইউনুস তার
ইতিহাস গ্রন্থ৩ তারীখু মিসর এ৩ তার আলোচনা করেছেন এবং হুমায়দী তারীথুল উন্দুলুসে৩৷া
আলোচনা সন্নিবেশিত করেছেন ৷ ইউনুসের বর্ণনায় এ বছরে৩ তার মৃত্যু হয় ৷ তিনি তার শায়খ
ইবন হাঘৃমের বরাতে উল্লেখ করেছেন যে, সা সা আ ৷ই স্পেনে আওযাঈর মাযহাব প্রচারক৷ ৷রী প্রথম
ব্যক্তি ৷ ইবন ইউনুস বলেছেন, সাসাআ প্রথম ব্যক্তি যিনি স্পেনে ইলমুল হাদীসের বিস্তার ঘটান ৷
তার বর্ণনামতে সাসাআর মৃত্যু হয়েছিল একশ আশি হিজবীর কাছাকাছি সময়ে ৷ হুমায়দীর
বর্ণনায় একশ বিরানব্বই হিজরীতে সাসড়াআ ইনতিকাল করেন এবং এটি অধিক প্রামাণ্য ৷
আলী ইবন জুবয়ান
এ বছর মৃত্যুবরণকারী উল্লেথযােগ্যদের অন্যতম আবুল হাসান আলী ইবন জুবয়ান আল-
আবসী ৷ বাগদাদের পুর্বাঞ্চলের জন্য হারুনুর রশীদের নিযুক্ত কাযী ছিলেন ৷ তিনি ছিলেন আবু
হানীফ৷ (র)-এর অন্যতম ছাত্র এবং আস্থাভ জান আলিম ৷ খলীফ৷ পরে তাকে কাযিউল কুযাত’
(প্রধান বিচারপতি) নিয়োগ করেন ৷ তিনি হারুনুর রশীদের দরবার হতে বের হওয়ার সময়
থলীফাও তার সংগে বের হতেন ৷ তিনি এ বছর কাওমীসীন নামক স্থানে ইনতিকাল করেন ৷
আব্বাস ইবনুল আহমাদ
এ বছর মৃত্যুবরণক৷ ৷রী বিশিষ্টদের অন্যতম ছিলেন বিখ্যাত কবি আ ল-আব্বাস ইবনুল আহমদ
ইবনুল আসওয়াদ ৷৩ তার জন্ম হয়েছিল খুরাসানের আরব অধ্যুষিত অঞ্চলে এবং তিনি প্রতিপ৷ লিত
হন বাগদাদে ৷ তিনি ছিলেন সুভা ৷ষী, অমায়িক ও পাঠক নন্দিত সরস কাব্য রচনাকারী ৷ আবুল
আব্বাস বলেন, আবদুল্লাহ ইবনুল মুতায বলেছেন, আমাকে যদি জিজ্ঞাসা করা হয় যে, আপনার
জানামতে কাব্য বিচারে সর্বোত্তম ব্যক্তি ও শ্রেষ্ঠ করি কে ? আমি অবশ্যই বলব, আল-আব্বাস ৷
তিনি বলেছেন ;; ধ্
ষ্ শ্
يَقْبَلْ مِنْهُ شَيْئًا، ثُمَّ سَارَا إِلَى عِيسَى بْنِ يُونُسَ، فَسَمَّعَا عَلَيْهِ، ثُمَّ أَمَرَ لَهُ الْمَأْمُونُ بِعَشَرَةِ آلَافٍ، فَلَمْ يَقْبَلْهَا، فَظَنَّ أَنَّهُ اسْتَقَلَّهَا فَأَضْعَفَهَا، فَقَالَ: وَاللَّهِ وَلَا إِهْلِيلَجَةَ، لَوْ مَلَأْتَ لِي الْمَسْجِدَ مَالًا إِلَى سَقْفِهِ مَا قَبِلْتُ مِنْهُ شَيْئًا عَلَى حَدِيثِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
وَلَمَّا احْتُضِرَ ابْنُ إِدْرِيسَ بَكَتِ ابْنَتُهُ، فَقَالَ: لَا تَبْكِي فَقَدْ خَتَمْتُ الْقُرْآنَ فِي هَذَا الْبَيْتِ أَرْبَعَةَ آلَافِ خَتْمَةٍ.
صَعْصَعَةُ بْنُ سَلَّامٍ وَيُقَالُ: ابْنُ عَبْدِ اللَّهِ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الدِّمَشْقِيُّ، ثُمَّ تَحَوَّلَ إِلَى الْأَنْدَلُسِ فَاسْتَوْطَنَهَا فِي زَمَنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مُعَاوِيَةَ وَابْنِهِ هِشَامٍ، وَهُوَ أَوَّلُ مَنْ أَدْخَلَ عِلْمَ الْحَدِيثِ وَمَذْهَبَ الْأَوْزَاعِيِّ إِلَى الْأَنْدَلُسِ، وَوَلِيَ الصَّلَاةَ بِقُرْطُبَةَ، وَفِي أَيَّامِهِ غُرِسَتِ الْأَشْجَارُ بِالْمَسْجِدِ الْجَامِعِ هُنَاكَ، كَمَا يَرَاهُ الْأَوْزَاعِيُّ وَالشَّامِيُّونَ، وَيَكْرَهُهُ مَالِكٌ وَأَصْحَابُهُ.
وَقَدْ رَوَى عَنْ مَالِكٍ وَالْأَوْزَاعِيِّ، وَسَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ.
وَرَوَى عَنْهُ جَمَاعَةٌ؛ مِنْهُمْ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ حَبِيبٍ الْفَقِيهُ، وَذَكَرَهُ فِي كِتَابِ
পৃষ্ঠা - ৮৩০৮
“লোকেরা আমাদের সম্পর্কে ধারণার জাল বিস্তা র করে চলেছে এবং তারা আমাদের সম্পর্কে
বিভিন্নমুখী কথা ছড়িয়েছে ৷৩ তাদের কেউ মিথ্যাবাদী, যে কুধারণার জন্য অন্যকে দােষারোপ
করেছে; কেউ স৩ বােদী, কিন্তু সে জানে না যে, সে স৩ তাবাদী ৷”
হারুনুর রশীদ একবার গভীর রাতের সময়ে তাকে তলর করে পাঠালে তিনি অস্থির হয়ে
পড়লেন এবং ঘরের না ৷রীরা অমংগল আশংক ৷য় ভীত হল ৷ দরবারে উপস্থিত হয়ে খলীফার সামনে
দাড়ালে তিনি বললেন, দৃর্ভাগ৷ ? আমার মনে এক ৰ্বাদী সম্পর্কে একটি পংক্তির উদয় হয়েছে, আমি
চইিলাম যে, তুমি তার ও মর্ম রক্ষা করে সেটির মোড় তৈরি করে দিবে ৷ করি বললেন, আমীরুল
ঘু’মিনীন ! আজ রাতের মত এত অধিক ভয় আমি আর কোন দিন পাইনি ৷ খলীফ৷ বললেন,
কেনঃ করি তখন গভীর রাতে তার বাড়িতে পুলিশের হানা দেয়ার বিষয়টি উল্লেখ করলেন ৷
পরে তিনি আসন গ্রহণ করলেন এবং বুকের কম্পন দুর হয়ে শান্ত হওয়ার পরে বললেন,
আমীরুল ঘু’মিনীন ! আপনার পংক্তিটি বলুন ৷ খলীফ৷ বললেন :
ষ্
ষ্ট্রু১
“মম৩াময়ী ! তাকে দেখলাম, তার মত কোন মানুষ দেখিনি; তার মুখের দিকে যতবার
তুমি দেখবে,৩ তার সৌন্দর্য তোমার চোখে বৃদ্ধি পাে৩ই থাকবে’ ৷’
হারুনুর রশীদ বললেন, এখন এর জোড় মিলিয়ে দাও ৷ আল-আব্বাস বললেন :
শ্শ্শ্শ্শ্
“রাত যখন তার আ ধার নিয়ে তােম৷ র দিকে এগিয়ে আসে এবং ক্রমান্বয়ে সে আধা র গভীর
হয় ও জমাট বেধে যায় এবং তুমি ভোরের ক্ষীণ আলোও দেখতে পাওনা; তখন তাকে উন্মুক্ত
কর ৷ তুমি (আধারের মাঝে) র্চ ৷দ দেখতে পাবে ৷”
হারুনুর রশীদ বললেন, আমি তা-ই দেখেছি ; এখন তোমার জন্য দশ হাজার দিরহামের
আদেশ দিচ্ছি ৷
৷ তার যে কবিতার জন্য রাখা ৷৷র ইবন বুবৃদ৩ তার কাব্য প্রতিভার স্বীকৃতি ৩প্রদান করেছিল এবং
যে কবিতার কারণে তা ৷কে স্বীকৃত কবিদের৩ালিকাতুক্ত করা হয়েছিল তাতে আছে
ষ্ শ্শ্ # শ্শ্শ্শ্শ্ শ্
৷ ) ৷ ৷ ’ ৷ ) শ্ ৷ × :
াআম ব কান্ন৷ তাদের কারণে যারা আমাকে তাদের ভালবাসার স্বাদ আস্বাদন করিয়েছিল এবং
যখন তারা আমাকে প্রেমানুরাগের জন্য জগ্রোত’ করে দিল তখন তারা ঘুমিয়ে পড়ল (আমাকে
উষ্ণ করে দিয়ে শীতল হয়ে গেল) ৷
আমাকে ত ৷রা উঠে৷ দ ৷ড়াতে উদ্বুদ্ধ করল এর যখন আ ৷মি সটান দাড়িয়ে গেলাম তাদের তুলে
দেয়৷ বোঝার তার বহন করে (প্রেম সাগরে ঝাপ দিলাম) তখন তারা বসে গেল (নিথর হয়ে
গেল) ৷
" الْفُقَهَاءِ " وَذَكَرَهُ ابْنُ يُونُسَ فِي تَارِيخِهِ " " تَارِيخِ مِصْرَ " " وَالْحُمَيْدِيُّ فِي " " تَارِيخِ الْأَنْدَلُسِ " " وَحَرَّرَ وَفَاتَهُ فِي هَذِهِ السَّنَةِ أَعْنِي سَنَةَ ثِنْتَيْنِ وَتِسْعِينَ وَمِائَةٍ.
وَحَكَى عَنْ شَيْخِهِ ابْنِ حَزْمٍ أَنَّ صَعْصَعَةَ هَذَا أَوَّلُ مَنْ أَدْخَلَ مَذْهَبَ الْأَوْزَاعِيِّ إِلَى الْأَنْدَلُسِ.
وَقَالَ ابْنُ يُونُسَ هُوَ أَوَّلُ مَنْ أَدْخَلَ عِلْمَ الْحَدِيثِ إِلَيْهَا. وَذَكَرَ أَنَّهُ تُوُفِّيَ قَرِيبًا مِنْ سَنَةِ ثَمَانِينَ وَمِائَةٍ، وَالَّذِي حَرَّرَهُ الْحُمَيْدِيُّ فِي هَذِهِ السَّنَةِ أَثْبَتُ.
عَلِيُّ بْنُ ظَبْيَانَ، أَبُو الْحَسَنِ الْعَبْسِيُّ الْكُوفِيُّ، قَاضِي الشَّرْقِيَّةِ مِنْ بَغْدَادَ زَمَنَ الرَّشِيدِ، كَانَ ثِقَةً عَالِمًا مِنْ أَصْحَابِ أَبِي حَنِيفَةَ، ثُمَّ وَلَّاهُ الرَّشِيدُ قَاضِيَ الْقُضَاةِ، وَكَانَ الرَّشِيدُ يَخْرُجُ مَعَهُ إِذَا خَرَجَ مِنْ عِنْدِهِ، مَاتَ بِقَرْمِيسِينَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ.
الْعَبَّاسُ بْنُ الْأَحْنَفِ بْنِ الْأَسْوَدِ بْنِ طَلْحَةَ، الشَّاعِرُ الْمَشْهُورُ كَانَ مِنْ
পৃষ্ঠা - ৮৩০৯
عَرَبِ خُرَاسَانَ وَنَشَأَ بِبَغْدَادَ، وَكَانَ لَطِيفًا ظَرِيفًا مَقْبُولًا، حَسَنَ الشَّعْرِ.
قَالَ أَبُو الْعَبَّاسِ: قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُعْتَزِّ: لَوْ قِيلَ لِي مَنْ أَحْسَنُ النَّاسِ شِعْرًا تَعْرِفُهُ؟ لَقُلْتُ: الْعَبَّاسُ
قَدْ سَحَّبَ النَّاسُ أَذْيَالَ الظُّنُونِ بِنَا ... وَفَرَّقَ النَّاسُ فِينَا قَوْلَهُمْ فِرَقَا
فَكَاذِبٌ قَدْ رَمَى بِالْحُبِّ غَيْرَكُمْ ... وَصَادِقٌ لَيْسَ يَدْرِي أَنَّهُ صَدَقَا
وَقَدْ طَلَبَهُ الرَّشِيدُ ذَاتَ لَيْلَةٍ فِي أَثْنَاءِ اللَّيْلِ، فَانْزَعَجَ لِذَلِكَ وَخَافَ نِسَاؤُهُ، فَلَمَّا وَقَفَ بَيْنَ يَدَيِ الرَّشِيدِ قَالَ لَهُ: وَيْحَكَ، إِنَّهُ قَدْ عَنَّ لِي بَيْتٌ فِي جَارِيَةٍ لِي، فَأَحْبَبْتُ أَنْ تَشْفَعَهُ بِمِثْلِهِ. فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، مَا خِفْتُ قَطُّ أَعْظَمَ مِنْ هَذِهِ اللَّيْلَةِ. فَقَالَ: وَلِمَ؟ فَذَكَرَ لَهُ دُخُولَ الْحَرَسِ عَلَيْهِ فِي اللَّيْلِ، ثُمَّ جَلَسَ حَتَّى سَكَنَ رَوْعُهُ، ثُمَّ قَالَ: مَا قُلْتَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ؟ فَقَالَ:
جِنَانٌ قَدْ رَأَيْنَاهَا ... فَلَمْ نَرَ مِثْلَهَا بَشَرَا
فَقَالَ الْعَبَّاسُ:
يَزِيدُكَ وَجْهُهَا حُسْنًا ... إِذَا مَا زِدْتَهُ نَظَرَا
فَقَالَ الرَّشِيدُ: زِدْ. فَقَالَ:
إِذَا مَا اللَّيْلُ مَالَ عَلَيْ ... كَ بِالْإِظْلَامِ وَاعْتَكَرَا
وَدَجَّ فَلَمْ تَرَ قَمَرًا ... فَأَبْرِزْهَا تَرَى قَمَرَا
পৃষ্ঠা - ৮৩১০
অন্য এক কবিতায় আছে —
“হে সাদ ! তুমি আমার কাছে তার কথা বলেছ এবং বসে বসে পাগলামী বাড়িয়ে দিয়েছ ;
হে সাদ তোমার কথা আরও বেশী করে বল ৷ তার প্রেমই আমার জন্য প্রেমের অংকুরোদগম,
হৃদয় তাকে ব্যতীত আর কাউকে চিভ্রুননি ; সুতরাং তার নেই পুর্ববর্তী, নেই তার পরবর্তীও ৷
আসমাঈ বলেছেন, আমি বসরার আব্বাস ইবনুল আহমাদের কাছে গেলাম ৷ তখন তিনি মৃত্যু
শয্যায় মরণাপন্ন ; তখন তিনি বলছিলেন-
মোঃ
নিজের দেশ হতে দুর দেশে অবন্থা৷নক ৷রী হে নিঃসং গ; যে তার যখমের জন্য ক্রন্দন করছে;
যখনই দুঃখ ভরা ক ৷ন্নার চিৎকার তীব্র হয় তখন তার দেহের রাে ৷গ ব্যাধি বৃদ্ধি পেতে থাকে ৷
এরপর করি অচেতন হয়ে গেলেন এবং গাছের উপরে বসা এক পাখির ডাকে চেতনা ফিরে
পেয়ে বললেন :
ষ্শ্শ্শ্
অন্তরের ক্ষত বেড়েই চলছে; শাখায় বসছে করুণ সুরে বাদছে অদৃশ্য ধ্বনিদাত৷ ৷ যা
আমাকে উদ্বেলিত করেছে তা-ই তাকেও উদ্বেলিত করেছে, তাই সে কেদ্যেছ ৷ আমাদের
প্রত্যেকেই ক ৷দছেত তার নিবাসের আকর্ষণে ৷
আসমাঈ বলেন, এখন যে আর একবার চেতনা হারিয়ে ফেলল ৷ আমি তার দেহে নাড়া
দিলাম ৷ দেখলাম প্রাণ পাখি উড়ে গিয়েছে ৷
আসসুলী বলেছেন : আল আব্বাস এ বছর (১৯৩ হি) ইনতিকাল করেন ৷ কারো মতে
এর পরে এবং অন্য কারো এর আগে একশ অটাশি হিজরীতে তার ইনতিকাল হয় ৷ আল্লাহ্
সমধিক অবগত ৷ কেউ কেউ এমনও বলেছেন যে, আল-আব্বাস হারুনুর রশীদের ইনতিকালের
পরেও জীবিত ছিলেন ৷
ঈসা ইবন জা ফর
এ বছরে মৃত্যুবরণক৷ ৷রীদের অন্যত ম মহীয়ষী যুবায়দার ভাই ঈসা ইবন জা ফর ইবন আবু
জা ফর আল মানসুর ৷ হারুনুর রশীদের শাসনামলে তিনি বসরার নায়িব ছিলেন ৷ এ বছরের
মধ্যবর্তী কোন সময়ে তার মৃত্যু হয় ৷
ফাযল ইবন ইয়াহ্ইয়া
এ বছর মৃত্যুবরণকা কারী বিশিষ্টদের তালিকায় অন্যতম ছিলেন উযীর জা ফর প্রমুখের ভাই
ফাযল ইবন ইয়াহ্ইয়৷ ইবন খালিদ ইবন ব ৷রমাক আল-ব৷ রমা ৷কী ৷ ফ৷ যল ও হা রুনুর রশীদ ছিলেন
فَقَالَ: إِنَّا قَدْ رَأَيْنَاهَا وَقَدْ أَمَرْنَا لَكَ بِعَشَرَةِ آلَافِ دِرْهَمٍ.
وَمِنْ شَعْرِهِ الَّذِي أَقَرَّ لَهُ بِهِ بَشَّارُ بْنُ بُرْدٍ وَأَثْبَتَهُ فِي سِلْكِ الشُّعَرَاءِ بِسَبَبِهِ قَوْلُهُ:
أَبْكَي الَّذِينَ أَذَاقُونِي مَوَدَّتَهُمْ ... حَتَّى إِذَا أَيْقَظُونِي لِلْهَوَى رَقَدُوا
وَاسْتَنْهَضُونِي فَلَمَّا قُمْتُ مُنْتَصِبًا ... بِثِقْلِ مَا حَمَّلُونِي مِنْهُمْ قَعَدُوا
وَلَهُ أَيْضًا:
وَحَدَّثْتَنِي يَا سَعْدُ عَنْهَا فِزِدْتَنِي ... جُنُونًا فَزِدْنِي مِنْ حَدِيثِكَ يَا سَعْدُ
هَوَاهَا هَوًى لَمْ يَعْرِفِ الْقَلْبُ غَيْرَهُ ... فَلَيْسَ لَهُ قَبْلٌ وَلَيْسَ لَهُ بَعْدُ
قَالَ الْأَصْمَعِيُّ: دَخَلْتُ عَلَى الْعَبَّاسِ بْنِ الْأَحْنَفِ بِالْبَصْرَةِ وَهُوَ طَرِيحٌ عَلَى فِرَاشِهِ يَجُودُ بِنَفْسِهِ وَهُوَ يَقُولُ:
يَا بَعِيدَ الدَّارِ عَنْ وَطَنِهِ ... مُفْرَدًا يَبْكِي عَلَى شَجَنِهْ
كُلَّمَا شَدَّ النُّجَاءُ بِهِ ... زَادَتِ الْأَسْقَامُ فِي بَدَنِهْ
ثُمَّ أُغْمِيَ عَلَيْهِ ثُمَّ انْتَبَهَ بِصَوْتِ طَائِرٍ عَلَى شَجَرَةٍ فَقَالَ:
পৃষ্ঠা - ৮৩১১
وَلَقَدْ زَادَ الْفَؤَادَ شَجًى ... هَاتِفٌ يَبْكِي عَلَى فَنَنِهْ
شَاقَهُ مَا شَاقَنِي فَبَكَى ... كُلُّنَا يَبْكِي عَلَى سَكَنِهْ
قَالَ: ثُمَّ أُغْمِيَ عَلَيْهِ أُخْرَى، فَحَرَّكْتُهُ، فَإِذَا هُوَ قَدْ مَاتَ.
قَالَ الصُّولِيُّ: كَانَتْ وَفَاتُهُ فِي هَذِهِ السَّنَةِ.
وَحَكَى الْقَاضِي ابْنُ خِلِّكَانَ أَنَّهُ تُوُفِّيَ بَعْدَهَا.
وَقِيلَ: سَنَةَ ثَمَانٍ وَثَمَانِينَ وَمِائَةٍ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَزَعَمَ بَعْضُهُمْ أَنَّهُ بَقِيَ بَعْدَ الرَّشِيدِ
عِيسَى بْنُ جَعْفَرِ بْنِ أَبِي جَعْفَرٍ الْمَنْصُورِ، أَخُو زُبَيْدَةَ، كَانَ نَائِبًا عَلَى الْبَصْرَةِ فِي أَيَّامِ الرَّشِيدِ، فَمَاتَ فِي أَثْنَاءِ هَذِهِ السَّنَةِ.
الْفَضْلُ بْنُ يَحْيَى بْنِ خَالِدِ بْنِ بَرْمَكَ، أَخُو جَعْفَرٍ وَإِخْوَتِهِ، كَانَ هُوَ وَالرَّشِيدُ يَتَرَاضَعَانِ، أَرْضَعَتِ الْخَيْزُرَانُ فَضْلًا هَذَا وَأَرْضَعَتْ أُمُّ الْفَضْلِ - وَهِيَ زُبَيْدَةُ بِنْتُ سِنِينَ بَرْبَرِيَّةٌ - هَارُونَ الرَّشِيدَ وَكَانَتْ زُبَيْدَةُ هَذِهِ مِنْ
পৃষ্ঠা - ৮৩১২
পরস্পর দুধ ভাই ৷ (হারুনুর রশীদের মাতা) খায়যুরান ফাযলকে স্তন্য পান করিয়েছেন ৷ আবার
ফাযলের মাতা যুবায়দা বিনৃত ইবন বুরা য়হ হারুন আর-রশীদকে স্তন্য পা ৷ন করিয়েছেন ৷ এ যুব ৷য়দা
ছিল৷ বা৩ তবীন মরু অঞ্চলের শংকর ব ৎশজাত ৷
এ প্রসৎগে কবি বলেছেনং
াতােম ৷র জন্য (হে ফ ৷যল !) এ ফযীলাত ও মাহাত্ম্য যথেষ্ট যে, শ্রেষ্ঠ মহীয়ষী নারী তোমাকে
ও খলীফ৷ (হারুন) কে একই স্তনের দুধ পান করিয়েছে ৷ সব কীর্তি অবদানেই তুমি (পিতা)
ইয়াহ্ইয়৷ ৷র সমতুল্য ৷ যেমন কীর্তি অবদানে ইয়াহ্ইয়াও ছিলেন (তার পিতা)৷ খা লিদের সমতুল্য
(ও সুযােগ্য উত্তরসুরী)’ ৷
ঐতিহাসিকগণ বলেছেন, ফাযল ছিলেন তার ভাই জাফরের তুলনায় বড় দ৷ ৷নবীর ৷ তবে তার
মধ্যে প্রচণ্ড আত্মম্ভরি৩ ৷ ছিল এবং স্বভাব আচরণে ছিলেন রুঢ় প্রকৃতির ও গোমড়া মুখো ৷ তার
তুলনায় জা ফর ছিলেন অমায়িক সদাচারী ও হাসিমুখ এবং দান-দক্ষিণায় ফাযলের চেয়ে পিছনে ৷
মানুষের আকর্ষণ ছিল তার প্ৰতি অধিক ৷ বিক্ষ্ম দানের স্বভাব এমন একটি গুণ যা সব ঘোষ ও
অসুন্দরকে ঢেকে দেয় ৷ ফাযলের ক্ষেত্রে তার দান তার মন্দ স্বভাবকে আচ্ছাদিত করে রেখেছিল ৷
ফাযল একবার তার বাবুর্চিকে এক লাখ দিরহাম দান করলে পিতা এ ব্যাপারে তাকে ভর্ধসনা
করলেন ৷ তিনি বললেন, আব্বা, এ লোকট৷ তাে সুখে-দুঃখে ৷ সচ্ছলতায় ও সৎকটে এবং
অভাব-অনটনের জীবনের সময়ও আমাকে সৎগ দিয়েছে ৷ সর্বাবন্থায় সে আমার সংগে রয়েছে
এবং উঃম সৎগ দিয়েছে ৷ কোন কবি বলেছেন :
ষ্
শরীফ লোকেরা জীবনে সচ্ছলত৷ লাভ করলে তাদের স্মরণে রাখে যারা জীবনের কঠিন
পরিস্থিতিতে তাদের সুসৎগ দিয়েছিল’ ৷
একদিন তিনি কোন সাহিত্যসেবীকে দশ হাজার দীনার দান করলে সে লোকটি কেদে
ফেলল ৷ ফাযল তাকে বললেন, র্কাদছ কেন ? পরিমাণট৷ ৰু কি কম হয়েছে ? সে বলল, না ৷
আল্লাহর কসম ! আমি র্কাদছি এ জন্য যে, পৃথিবী আপনার মত লোকদের খেয়ে ফেলে কিংবা গুম
করে দেয় ৷
আলী ইবনুল জ ৷হাম তার পিতা হতে বর্ণনা করেন ৷ একদিন আমার অবস্থা এমন হল যে,
আমি একটি কপর্দকেরও মালিক ছিলাম না ৷ এমনকি আমার বাহনের জন্য পশুখাদ্য ক্রয়ের
ব্যবন্থাও ছিল না ৷ এ অবস্থায় আমি ফাযল ইবন ইয়াহ্ইয়ার উদ্দেশ্যে বের হলাম ৷ পথে দেখলাম
তিনি খিলাফত৩ ৩ভবন থেকে দলবল পরিবৃত্ত হয়ে বেরিয়ে আসছেন ৷ আমাকে দেখে মারহাবা
(স্বাগতম) জা ৷নিয়ে বললেন, এসো আমার সৎষ্ক গে ৷ আমি তার সৎষ্ক গে চলতে লাগলাম ৷ পথিমধ্যে
একস্থানে৩ তিনি শুনতে পেলেন যে, এক গোলাম একটি বাড়ির সামনে এক বাদীকে ডাকছে ৷
গোলাম-বাদীকে যে নামে ডাকছিল ফাযলেরও সে নামের এক বীদী ছিল যাকে তিনি
مُوَلَّدَاتِ الْمَدِينَةِ وَقَدْ قَالَ فِي ذَلِكَ بَعْضُ الشُّعَرَاءِ:
كَفَى لَكَ فَضْلًا أَنَّ أَفْضَلَ حُرَّةٍ ... غَذَتْكَ بِثَدِيٍ وَالْخَلِيفَةَ وَاحِدِ
لَقَدْ زِنْتَ يَحْيَى فِي الْمَشَاهِدِ كُلِّهَا ... كَمَا زَانَ يَحْيَى خَالِدًا فِي الْمَشَاهِدِ
قَالُوا: وَكَانَ الْفَضْلُ أَكْرَمَ مِنْ أَخِيهِ جَعْفَرٍ، وَلَكِنْ كَانَ فِيهِ كِبْرٌ شَدِيدٌ، وَكَانَ عَبُوسًا، وَكَانَ جَعْفَرٌ أَحْسَنَ بِشْرًا مِنْهُ، وَأَطْلَقَ وَجْهًا، وَأَقَلَّ عَطَاءً، وَكَانَ النَّاسُ إِلَيْهِ أَمْيَلَ.
وَقَدْ وَهَبَ الْفَضْلُ لِطَبَّاخِهِ مِائَةَ أَلْفِ دِرْهَمٍ، فَعَاتَبَهُ أَبُوهُ فِي ذَلِكَ، فَقَالَ: يَا أَبَتِ، إِنَّ هَذَا كَانَ يَصْحَبُنِي فِي الْعُسْرِ وَالْعَيْشِ الْخَشِنِ، وَاسْتَمَرَّ مَعِي فِي هَذَا الْحَالِ فَأَحْسَنَ صُحْبَتِي، وَقَدْ قَالَ الشَّاعِرُ:
إِنَّ الْكِرَامَ إِذَا مَا أُسْهَلُوا ذَكَرُوا ... مَنْ كَانَ يُؤْنِسُهُمْ فِي الْمَنْزِلِ الْخَشِنِ
وَوَهَبَ يَوْمًا لِبَعْضِ الْأُدَبَاءِ عَشَرَةَ آلَافِ دِينَارٍ، فَبَكَى الرَّجُلُ، فَقَالَ لَهُ: مِمَّ تَبْكِي، أَسْتَقْلَلْتَهَا؟ قَالَ: لَا وَاللَّهِ؛ وَلَكِنِّي أَبْكِي أَسَفًا أَنَّ الْأَرْضَ تُوَارِي مِثْلَكَ!
পৃষ্ঠা - ৮৩১৩
ভালবাসতেন ৷ এতে তিনি অস্থির হয়ে গেলেন এবং তার মনের অবস্থা আমাকে অবহিত
করলেন ৷ আমি বললাম, আপনার দৃরবস্থা তো বনু আমিকের সে ব্যক্তির দৃরবস্থার ন্যায় যে
বলছিলঃ
১৷ ৷হুড় ব্লুাড়ট্রু
৷;ড়
“আমরা যখন মিনার পর্বত পাদদেশে ছিলাম তখন এক আহ্বানকারী ভাকল সে তার
অজ্ঞতাসারে হৃদয়ের দুঃখগুলোকে উসৃকে দিল ৷ সে ডাকল লায়ল৷ ! এ আমার লায়লা ব্যতীত
অন্য কোন লায়লাই হবে ৷ কিন্তু লায়ল৷ ডাক দিয়ে আমার বুকে অবস্থানকারী পাখিকে উড়িয়ে নিয়ে
গেল ৷ ”
ফাযল বললেন, কবিতার লাইন দু’টি আমাকে লিখে দাও ৷ বর্ণনা কারী (জাহম) বলেন, আমি
এক দোকানদারের কা ছেগ্ গিয়ে এক পাতা কাগজের মুল্যের বিনিময়ে আমার আষ্ টিটি তার কাছে
বন্ধক রাখলাম এবং লাইন দু’টি তাকে লিখে দিলাম ৷ ফ ৷তযল তা নিয়ে নিলেন এবং সুখে থাক !
বলে আমাকে বিদায় করে দিলেন ৷ আমি বাড়িতে ফিরে এলে আমার গোলাম আমাকে বলল,
আপনার আত্টিটি দিন, সেটি বন্ধক রেখে আমাদের খাবার ও ঘোড়ার দানা পানির ব্যবস্থা করি ৷
আমি বললাম, আমিই সেটি বন্ধক রেখে এসেছি ৷
সেদিন সন্ধ্য৷ হওয়ার পুর্বেই৷ ফ৷ যল ত্রিশ হাজ৷ র স্বর্ণ মুদ্রা ও দশ হাজার রৌপ্যমুদ্রা পাঠিয়ে
দিলেন ৷ এ পরিমাণ অর্থ আমার জন্য মাসিক বরাদ্দ করলেন এবং এক মাসের বরাদ্দ অগ্রিম
পাঠিয়ে দিলেন ৷
কোন শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তি একদিন ফাযলের কাছে আগমন করলে ফাযল তাকে নিজের সংগে
পালংকে বসালেন এবং যথাযগাে৷ সম্মান প্রদর্শন করলেন ৷ যে ব্যক্তি তার ঋণগ্রস্ত হওয়ার কথা
জানিয়ে এ বিষয়ে আমীরুল ঘু’মিনীনের সংগে আলাপ করার অনুরোধ জানালেন ৷ ফাযল বললেন,
ঠিক আছে, তা তোমার ঋণ কত ? তিনি বললেন, তিন লাখ দিরহাম ৷ তার এ দায়সারা ও দুর্বল
জবাবে আহত ও মনঃক্ষুগ্ন হয়ে তিনি বেরিয়ে গেলেন এবং মনের দুঃখে বা ৷ড়িতে নাগ্ গিয়ে কোন
বন্ধুর বাড়িতে গিয়ে সেখানে বিশ্রাম করলেন ৷ পরে বাড়িতে গিয়ে দেখলেন তার পৌছ৷ ৷র আগেই
ফাযলের পাঠানো অর্থ তার বাড়িতে পৌছে গিয়েছে ৷
ফাযলের ন্তুতিতে কোন করি অতি সুন্দর বলেছেন
ট্রুাপ্রুট্র
এ্যাৰু ন্াট্রু
হে ফাযল ইবন ইয়াহ্ইয়া ইব ন খালিদ ! তোমার জন্যই সাব্যস্ত রয়েছে ফাযল’
(ফষীলত-মাহাত্ম্য) ; কারো নাম ফায্ল হলেই সে ফাযল ও সাহায্যের অধিকারী হয়ে যায় না ৷
আল্লাহ্ মানবকুলের মধ্যে তোমার ভিতরে ফাযল মাহাত্ম্য দেখতে পেয়ে তোমাকে নাম দিলেন
ফাযল ৷ ফলে (নাম ও কায-বিশেষ্য ও ক্রিয়া) সম্মিলিত হয়ে গেল ৷
وَقَالَ عَلِيُّ بْنُ الْجَهْمِ عَنْ أَبِيهِ: أَصْبَحْتُ يَوْمًا لَا أَمْلِكُ شَيْئًا وَلَا عَلَفَ الدَّابَّةِ، فَقَصَدْتُ الْفَضْلَ بْنَ يَحْيَى فَإِذَا هُوَ قَدْ أَقْبَلَ مِنْ دَارِ الْخِلَافَةِ فِي مَوْكِبٍ مِنَ النَّاسِ، فَلَمَّا رَآنِي رَحَّبَ بِي، وَقَالَ: هَلُمَّ. فَسِرْتُ مَعَهُ، فَلَمَّا كَانَ بِبَعْضِ الطَّرِيقِ سَمِعَ غُلَامًا يَدْعُو جَارِيَةً مِنْ دَارٍ، وَإِذَا هِيَ بَاسِمِ جَارِيَةٍ لَهُ يُحِبُّهَا، فَانْزَعَجَ لِذَلِكَ وَشَكَا إِلَيَّ مَا لَقِيَ مِنْ ذَلِكَ، فَقُلْتُ: أَصَابَكَ مَا أَصَابَ أَخَا بَنِي عَامِرٍ حَيْثُ يَقُولُ:
وَدَاعٍ دَعَا إِذْ نَحْنُ بِالْخَيْفِ مِنْ مِنًى ... فَهَيَّجَ أَحْزَانَ الْفُؤَادِ وَلَا يَدْرِي
دَعَا بِاسْمِ لَيْلَى غَيْرَهَا فَكَأَنَّمَا ... أَطَارَ بِلَيْلَى طَائِرًا كَانَ فِي صَدْرِي
فَقَالَ: اكْتُبْ لِي هَذَيْنَ الْبَيْتَيْنِ. قَالَ: فَذَهَبْتُ إِلَى بَقَّالٍ، فَرَهَنْتُ عِنْدَهُ خَاتِمِي عَلَى ثَمَنِ وَرَقَةٍ، وَكَتَبْتُهُمَا لَهُ فَأَخَذَهُمَا وَقَالَ: انْطَلِقْ رَاشِدًا. فَرَجَعْتُ إِلَى مَنْزِلِي، فَقَالَ لِي غُلَامِي: هَاتِ خَاتِمَكَ حَتَّى نَرْهَنَهُ عَلَى طَعَامٍ لَنَا وَعَلَفٍ لِلدَّابَّةِ. فَقُلْتُ: إِنِّي رَهَنْتُهُ. فَمَا أَمْسَيْنَا حَتَّى أَرْسَلَ إِلَيَّ الْفَضْلُ بِثَلَاثِينَ أَلْفًا، وَعَشَرَةَ آلَافِ دِرْهَمٍ سَلَفًا لِشَهْرَيْنِ مِنْ رِزْقٍ أَجْرَاهُ عَلَيَّ.
وَدَخَلَ عَلَيْهِ بَعْضُ الْأَكَابِرِ، فَأَكْرَمَهُ الْفَضْلُ وَأَجْلَسَهُ مَعَهُ عَلَى السَّرِيرِ،
পৃষ্ঠা - ৮৩১৪
فَشَكَا إِلَيْهِ الرَّجُلُ دَيْنًا عَلَيْهِ، وَسَأَلَهُ أَنْ يُكَلِّمَ فِي ذَلِكَ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، فَقَالَ: نَعَمْ، وَكَمْ دَيْنُكَ؟ قَالَ: ثَلَاثُمِائَةِ أَلْفِ دِرْهَمٍ. فَخَرَجَ مِنْ عِنْدِهِ وَهُوَ مَهْمُومٌ لِضَعْفِ رَدِّهِ عَلَيْهِ، ثُمَّ مَالَ إِلَى بَعْضِ إِخْوَانِهِ، فَاسْتَرَاحَ عِنْدَهُ، ثُمَّ رَجَعَ إِلَى مَنْزِلِهِ فَإِذَا الْمَالُ قَدْ سَبَقَهُ إِلَيْهِ، وَمَا أَحْسَنَ مَا قَالَ فِيهِ بَعْضُ الشُّعَرَاءِ:
لَكَ الْفَضْلُ يَا فَضْلُ بْنُ يَحْيَى بْنِ خَالِدٍ ... وَمَا كُلُّ مَنْ يُدْعَى بِفَضْلٍ لَهُ الْفَضْلُ
رَأَى اللَّهُ فَضْلًا مِنْكَ فِي النَّاسِ وَاسِعًا ... فَسَمَّاكَ فَضْلًا فَالْتَقَى الِاسْمُ وَالْفِعْلُ
وَقَدْ كَانَ الْفَضْلُ أَكْبَرَ رُتْبَةً مِنْ جَعْفَرٍ، وَلَكِنَّ جَعْفَرًا أَحْظَى عِنْدَ الرَّشِيدِ مِنْهُ وَأَخَصُّ. وَقَدْ وَلِيَ الْفَضْلُ أَعْمَالًا كِبَارًا، مِنْهَا نِيَابَةُ خُرَاسَانَ وَغَيْرُهَا.
فَلَمَّا قَتَلَ الرَّشِيدُ جَعْفَرًا وَحَبَسَ الْبَرَامِكَةَ، جَلَدَ الْفَضْلَ بْنَ يَحْيَى بْنِ خَالِدٍ مِائَةَ سَوْطٍ، وَخَلَّدَهُ فِي السِّجْنِ حَتَّى مَاتَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ، قَبْلَ الرَّشِيدِ بِشُهُورٍ خَمْسَةٍ بِالرَّقَّةِ، وَصَلَّى عَلَيْهِ بِالْقَصْرِ الَّذِي مَاتَ فِيهِ أَصْحَابُهُ، ثُمَّ أُخْرِجَتْ جِنَازَتُهُ، فَصَلَّى عَلَيْهَا النَّاسُ، وَدُفِنَ هُنَاكَ وَلَهُ خَمْسٌ وَأَرْبَعُونَ سَنَةً، وَكَانَ سَبَبُ مَوْتِهِ ثِقَلٌ أَصَابَهُ فِي لِسَانِهِ اشْتَدَّ بِهِ يَوْمَ الْخَمِيسِ وَيَوْمَ الْجُمُعَةِ وَتُوُفِّيَ قَبْلَ أَذَانِ الْغَدَاةِ مِنْ يَوْمِ السَّبْتِ.
قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَذَلِكَ فِي الْمُحَرَّمِ مِنْ سَنَةِ ثَلَاثٍ وَتِسْعِينَ وَمِائَةٍ.
পৃষ্ঠা - ৮৩১৫
তিনি খলীফা হারুনুর রশীদের দৃষ্টিতে জাফরের তুলনায় অধিক মর্যাদার অধিকারী ছিলেন ৷
তবে জাফর খলীফার সুনজর ও বিশেষ অন্যুাহ ভাইয়ের চেয়ে অধিক লাভ করেছিলেন ৷ তিনি
ফাযলকে ও বড় বড় দায়িত্বের পদে নিয়োজিত করতেন ৷ যেমন খুরাসান ও অন্যান্য অঞ্চলের
প্রশাসকের পদ ৷
হারুনুর রশীদ যখন বা ৷রর্মাকীদের প্রতি ৩ক্ষুব্ধ হয়েত তাদের হত্যা করছিলেন তখন ফাযলকে
একশ বেত্রাঘাতের দণ্ড দিলেন এবং য়াবজ্জীবন৷ ক ৷রাদণ্ড দিলেন ৷ রাক্কায় হ রুনুব রশীদের মৃত্যুর
কয়েক মাস আগে কা ৷রাগারেই এ বছর (১৯২ হি )৩ ৷ তার মৃত্যু হল ৷ যে ভবনেত তার মৃত্যু হয়েছিল
তার সেখানকার সৎগী-সাথীরা ত ৷র জানায৷ আদায় করল ৷ পরে লাশ কারাগারের বাইরে নিয়ে
আসা হলে জনতা ত ৷র জানায৷ পড়ল এবং সেখানে দাফন করা হল ৷ মৃত্যুকালে তার বয়স
হয়েছিল পয়তা ৷ল্লিশ বছর ৷ত তার মৃত্যুর কারণ ছিল জিহ্বার ব্যাধি যা বৃহস্পতি ও শুক্রবার অত্যন্ত
কঠিন রুপ ধারণ করেছিল ৷ শনিবার ফজরের আযানের পুর্বক্ষণেত তার মৃত্যু হয় ৷ ইবন জাবীরের
বর্ণনায় তার মৃত্যু হয়েছিল একশ তিরানব্বই হিজরীর যুহাররাম মাসে এবং ইবনুল জাওযীর মতে
একশ বিরানব্বই হিজরীতে ৷ আল্লাহ্ই সম্যক অবহিত ৷
ইবন খাল্পিকান বিশদ পরিসরে তার জীবন বৃত্তান্ত লিখেছেন এবং তার কীর্তি অবদানের দীর্ঘ
ফিরিস্তি উল্লেখ করেছেন ৷ তিনি লিখেছেন খুরাসানের গভর্নর থাকা অবস্থায় তিনি একবার বলখ
পবিদর্শনে গিয়েছিলেন ৷ সেখানে অগ্নিপুজা ৷রীদের একটি মন্দির ছিল এবং৩ ৷ তবে পুর্বপুরুষ বা রমাক
এ মন্দিরের অন্য৩ ম সেবায়েত ছিল ৷ ফ ৷যল সেটি আৎশিক বসিয়ে সেখানে আল্লাহর নামে একটি
মসজিদ নির্মাণ করলেন ৷ মন্দিরের প৷ খুনি অত্যন্ত মজবুত হওয়ার কারণে সম্পুর্ণ মন্দির ধ্বং স করা
সম্ভব হয়নি ৷
ইবন খাল্লিকান বর্ণনা করেছেন ৷ ফাযল কারাগারে নিম্নের পংক্তিগুলে৷ আবৃত্তি করতেন ও
র্কাদতে থাকতেন —
া
চুা১ধুন্ ধুপুগ্
া১া
“আমাদের উপরে নেমে আসা দৃর্যোগে ফরিয়াদ শুধু আল্লাহর কাছেই, কেননা, তার
ক্ষমতায়ই রয়েছে দুঃখকষ্ট ও বিপদ বিদুরীত করা ৷ আমরা দুনিয়ার বাসিন্দা হয়েও সেখান হতে
বহিষ্কৃত ; এখন মৃতদের অন্তর্ত্যরুও নই আবার ব্জীবতদেরও নয় ৷”
কোন দিন কোন প্রয়োজনে জেল দারোগ৷ আমাদের কাছে এলে আমরা আশ্চর্যান্বিত হয়ে বলি,
এ লোকটি দুনিয়ার জগত হতে এসেছে ৷
করি মুহাম্মদ ইবন উমায়্যা
এ বছর মৃত্যুবরণকা ৷রীদের অন্যতম ছিলেন ৷ কবি ও সাহিত্যিক মুহ৷ ম্মা৷ ইবন উমায়্যা ৷৩ তিনি ’
এমন এক পরিবারের সদস্য যাদের সকলেই কবি ছিলেন ৷ তবে তাদের একজনের কবিতা
অপরজনের সংগে মিশ্রিত হয়ে গিয়েছে ৷
وَقَالَ ابْنُ الْجَوْزِيِّ فِي " الْمُنْتَظَمِ ": كَانَ ذَلِكَ فِي سَنَةِ ثِنْتَيْنِ وَتِسْعِينَ وَمِائَةٍ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَقَدْ أَطَالَ ابْنُ خِلِّكَانَ تَرْجَمَتَهُ، وَذَكَرَ طَرَفًا صَالِحًا مِنْ مَحَاسِنِهِ وَمَكَارِمِهِ، مِنْ ذَلِكَ أَنَّهُ وَرَدَ بَلْخَ حِينَ كَانَ نَائِبًا عَلَى خُرَاسَانَ وَكَانَ بِهَا بَيْتُ النَّارِ الَّتِي كَانَتْ تَعْبُدُهَا الْمَجُوسُ، وَقَدْ كَانَ جَدُّهُ بَرْمَكُ مِنْ خُدَّامِهَا، فَهَدَمَ بَعْضَهُ وَلَمْ يَتَمَكَّنْ مِنْ هَدْمِهِ كُلِّهِ؛ لِقُوَّةِ إِحْكَامِهِ وَبَنَى مَكَانَهُ مَسْجِدًا لِلَّهِ تَعَالَى. وَذَكَرَ أَنَّهُ كَانَ يَتَمَثَّلُ فِي السِّجْنِ بِهَذِهِ الْأَبْيَاتِ:
إِلَى اللَّهِ فِيمَا نَالَنَا نَرْفَعُ الشَّكْوَى ... فَفِي يَدِهِ كَشْفُ الْمَضَرَّةِ وَالْبَلْوَى
خَرَجْنَا مِنَ الدُّنْيَا وَنَحْنُ مِنْ أَهْلِهَا ... فَلَا نَحْنُ فِي الْأَمْوَاتِ فِيهَا وَلَا الْأَحْيَا
إِذَا جَاءَنَا السَّجَّانُ يَوْمًا لِحَاجَةٍ ... عَجِبْنَا وَقُلْنَا جَاءَ هَذَا مِنَ الدُّنْيَا
وَمُحَمَّدُ بْنُ أُمَيَّةَ، الشَّاعِرُ الْكَاتِبُ، وَهُوَ مِنْ بَيْتٍ كُلُّهُمْ شُعَرَاءُ، وَقَدِ اخْتَلَطَ أَشْعَارُ بَعْضِهِمْ فِي بَعْضٍ وَلَهُ شِعْرٌ رَائِقٌ، وَمَدِيحٌ فَائِقٌ.
পৃষ্ঠা - ৮৩১৬
مَنْصُورُ بْنُ الزِّبْرِقَانِ بْنِ سَلَمَةَ، أَبُو الْفَضْلِ النُّمَيْرِيُّ، الشَّاعِرُ، امْتَدَحَ الرَّشِيدَ. وَأَصْلُهُ مِنَ الْجَزِيرَةِ وَأَقَامَ بِبَغْدَادَ، وَيُقَالُ لِجَدِّهِ: مُطْعِمُ الْكَبْشِ الرَّخَمَ. وَذَلِكَ أَنَّهُ أَضَافَ قَوْمًا، فَجَعَلَتِ الرَّخَمُ تُحَمْلِقُ حَوْلَهُمْ، فَأَمَرَ بِكَبْشٍ يُذْبَحُ لِلرَّخَمِ حَتَّى لَا يَتَأَذَّى بِهَا أَضْيَافُهُ، فَقِيلَ لَهُ ذَلِكَ لِذَلِكَ، وَلِهَذَا قَالَ الشَّاعِرُ:
أَبُوكَ زَعِيمُ بَنِي قَاسِطٍ ... وَخَالُكَ ذُو الْكَبْشِ يَقْرِي الرَّخَمَ
وَلَهُ أَشْعَارٌ حَسَنَةٌ، وَكَانَ يَرْوِي عَنْ كُلْثُومِ بْنِ عَمْرٍو، وَكَانَ شَيْخَهُ الَّذِي أَخَذَ عَنْهُ الْغِنَاءَ.
يُوسُفُ بْنُ الْقَاضِي أَبِي يُوسُفَ يَعْقُوبَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، سَمِعَ الْحَدِيثَ مِنَ السَّرِيِّ بْنِ يَحْيَى، وَيُونُسَ بْنِ أَبِي إِسْحَاقَ، وَنَظَرَ فِي الرَّأْيِ، وَتَفَقَّهَ، وَوَلِيَ قَضَاءَ الْجَانِبِ الشَّرْقِيِّ بِبَغْدَادَ فِي حَيَاةِ أَبِيهِ، وَصَلَّى بِالنَّاسِ الْجُمُعَةَ بِجَامِعِ الْمَنْصُورِ، عَنْ أَمْرِ الرَّشِيدِ. تُوُفِّيَ فِي رَجَبٍ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ وَهُوَ قَاضٍ بِبَغْدَادَ.