আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة إحدى وتسعين ومائة

পৃষ্ঠা - ৮২৯৭


;বুপ্
“বহু সম্প্রদায় দীর্ঘকাল প্রাচুর্যে কালাতিপাত করে ৷ সময় তখন প্রবল বর্যণে পরিতৃপ্ত (বিধায়

কোন স কট দেখা দেয় ন ) ৷ সময় দীর্ঘদিন তাদের ব্যাপারে নীরবতা অবলম্বন করে থাকে, পরে
যখন সে মুখ খুলে তখন তাদের রক্ত কান্না কাদিয়ে দেয় ৷”

ইয়াহ্ইয়া ইবন খালিদ ই সুফিয়ান ইবন উয়ায়না ৷(র) এর জন্য মাসিক এক হাজার
দিরহামের অনুদান বরাদ্দ করে রেখেছিলেন ৷ এ কা ৷রণে সুফিয়ান সিজদায় পড়ে ত ৷র জন্য দু আ
করতেন ও বলতেন, ইয়৷ আল্লাহ্ ! সে আমার দুনিয়ার ঝামেলা মিটিয়ে দিয়েছে এবং আমাকে
ইবাদ৷ ৷তের জন্য অবসরযুক্ত করে দিয়েছে ৷ সুতরাং আপনি তার আখিরাতের সমস্যা মিটিয়ে দিন ৷
ইয়াহ্ইয়ার মৃত্যু হলে তার কে ন বন্ধু তাকে স্বপ্নে দেখে বলল, তোমার পালনকর্তা তোমার সংগে
কী আচরণ করেছেন ? ইয়াহ্ইয়া বললেন, সুফিয়ানের দুআর ররকতে আমাকে মাফ করে
দিয়েছেন ৷
ইয়াহ্ইয়া রাফিকা কারাগারে অম্ভরীণ থাকা অবস্থায় এ বছরের মুহাররম মাসের তিন তারিখে
ইনতিকাল করেন ৷ নৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল সত্তর বছর ৷ পুত্রে ফযল তীর জানাযার সালাতে

ইমামতী করেন এবং ফোরাত তীরে তাকে দাফন করা হয় ৷ তার পকেটে একটি চিরকুট পাওয়া
গিয়েছিল যাতে তার নিজ হস্তাক্ষরে লেখা ছিল :




প্রতিপক্ষ (বাদী) আগে চলে গিয়েছে ৷ বিবাদী পিছনে পিছনে চলছে ৷ ৰিচা রপতি ৩হবেন সে
ন্যায় বিচারক যিনি যুলুম করেন না এবং যার সাক্ষ্য গ্রহণের প্রয়োজন হয় না ৷ চিরকুটটি হারুনুর
রশীদের কাছে পৌছানাে হল ৷ তিনি সেটি পাঠ করলেন এবং সেদিন দিনভর র্কাদহ্রলন ৷ পরে
দীর্ঘদিন পর্যন্ত তার মুখাবয়বে মর্মবেদন৷ প্রস্ফুটিত ছিল ৷

ইয়াহ্ইয়ার ন্তুতিতে জনৈক করি বলেছেন :
fl“;
;াও;গু
“আমি দান ন৩-বদান্য ৷কে জিজ্ঞাসা করলাম ৷ তুমি কি স্বাধীন ? সে বলল, না, ৷আমি তো

ইয়াহ্ইয়া ইবন মালিকের গোলাম ৷ আমি বাংলায়, ক্রয়সুত্রে ? সে বলল, না বরং সে মীরাছ
সুত্রে ৷ প্রজন্ম পরম্পরায় পুরুষানুক্রমে আমার গোলাম সত্তার মীরাছ লাভ করেছে ৷ ”

১৯১ হিজরীর আগমন

এ বছরের উল্লেখযোগ্য ঘটনাসমুহ : ছারাওয়ান ইবন সায়ফ নামের এক ব্যক্তি ইরাকের
শ্যামল সমভুমি অঞ্চলে বিদ্রোহ করে এবং নগর হতে নগরে ঘুরে ঘুরে বিদ্রোহ ছড়িয়ে দেয় ৷


[سَنَةُ إِحْدَى وَتِسْعِينَ وَمِائَةٍ] [الْأَحْدَاثُ الَّتِي وَقَعَتْ فِيهَا] بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ إِحْدَى وَتِسْعِينَ وَمِائَةٍ فِيهَا خَرَجَ رَجُلٌ بِسَوَادِ الْعِرَاقِ يُقَالُ لَهُ: ثَرْوَانُ بْنُ سَيْفٍ وَجَعَلَ يَتَنَقَّلُ فِيهَا مِنْ بَلَدٍ إِلَى بَلَدٍ فَوَجَّهَ إِلَيْهِ الرَّشِيدُ طَوْقَ بْنَ مَالِكٍ فَهَزَمَهُ، وَجُرِحَ ثَرْوَانُ وَقُتِلَ عَامَّةُ أَصْحَابِهِ، وَكُتِبَ بِالْفَتْحِ إِلَى الرَّشِيدِ. وَفِيهَا خَرَجَ بِالشَّامِ أَبُو النِّدَاءِ، فَوَجَّهَ إِلَيْهِ الرَّشِيدُ يَحْيَى بْنَ مُعَاذٍ وَاسْتَنَابَهُ عَلَى الشَّامِ. وَفِيهَا وَقَعَ الثَّلْجُ بِبَغْدَادَ. وَفِيهَا غَزَا بِلَادَ الرُّومِ يَزِيدُ بْنُ مَخْلَدٍ الْهُبَيْرِيُّ فِي عَشَرَةِ آلَافٍ، فَأَخَذَتْ عَلَيْهِ الرُّومُ الْمَضِيقَ فَقَتَلُوهُ فِي خَمْسِينَ مِنْ أَصْحَابِهِ عَلَى مَرْحَلَتَيْنِ مِنْ طَرَسُوسَ فَانْهَزَمَ الْبَاقُونَ، وَوَلَّى الرَّشِيدُ غَزْوَ الصَّائِفَةِ لِهَرْثَمَةَ بْنِ أَعْيَنَ، وَضَمَّ إِلَيْهِ ثَلَاثِينَ أَلْفًا فِيهِمْ مَسْرُورٌ الْخَادِمُ، وَإِلَيْهِ النَّفَقَاتُ.
পৃষ্ঠা - ৮২৯৮
وَخَرَجَ الرَّشِيدُ إِلَى الْحَدَثِ لِيَكُونَ قَرِيبًا مِنْهُمْ، وَأَمَرَ الرَّشِيدُ بِهَدْمِ الْكَنَائِسِ بِالثُّغُورِ، وَأَلْزَمَ أَهْلَ الذِّمَّةِ بِتَمْيِيزِ لِبَاسِهِمْ وَهَيْئَاتِهِمْ فِي بَغْدَادَ وَغَيْرِهَا مِنَ الْبِلَادِ. وَفِيهَا عَزَلَ الرَّشِيدُ عَلِيَّ بْنَ عِيسَى عَنْ إِمْرَةِ خُرَاسَانَ وَوَلَّاهَا هَرْثَمَةَ بْنَ أَعْيَنَ وَفِيهَا فَتَحَ الرَّشِيدُ هِرَقْلَةَ فِي شَوَّالٍ، وَخَرَّبَهَا وَسَبَى أَهْلَهَا، وَبَثَّ الْجُيُوشَ وَالسَّرَايَا بِأَرْضِ الرُّومِ، وَخَرَجَتِ الرُّومُ إِلَى عَيْنِ زَرْبَى، وَالْكَنِيسَةِ السَّوْدَاءِ. وَكَانَ خَرَاجُ هِرَقْلَةَ فِي كُلِّ يَوْمٍ مِائَةَ أَلْفٍ وَخَمْسَةً وَثَلَاثِينَ أَلْفَ مَرْفُوقٍ. وَوَلَّى حُمَيْدَ بْنَ مَعْيُوفٍ سَوَاحِلَ الشَّامِ إِلَى مِصْرَ، وَدَخَلَ جَزِيرَةَ قُبْرُصَ، فَسَبَى أَهْلَهَا وَحَمَلَهُمْ حَتَّى بَاعَهُمْ بِالرَّافِقَةِ، فَبَلَغَ ثَمَنُ الْأُسْقُفِّ أَلْفَيْ دِينَارٍ، بَاعَهُمْ أَبُو الْبَخْتَرِيِّ الْقَاضِي وَفِيهَا أَسْلَمَ الْفَضْلُ بْنُ سَهْلٍ عَلَى يَدَيِ الْمَأْمُونِ. وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِيهَا الْفَضْلُ بْنُ عَبَّاسِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ، وَكَانَ وَالِيَ مَكَّةَ
পৃষ্ঠা - ৮২৯৯

তাকে দমন করার জন্য হারুনুর রশীদ তাওক ইবন মড়ালিককে অভিযানে প্রেরণ করেন ৷ তাওক

তাকে পরাস্ত করে ৷ ছারাওয়ান আহত হয় এবং তার অনুসারীরা ব্যাপকহারে নিহত হয় ৷ তাওক
খলীফার কাছে বিজয়বাতা প্রেরণ করেন ৷

শামে আবুল নিদা বিদ্রোহের পতাকা উত্তোলন করলে খলীফা তাকে দমন করার জন্য

ইয়াহ্ইয়া ইবন মুআযকে প্রেরণ করেন এবং তাকে শামের নায়েব নিযুক্ত করেন ৷ এবছর বাগদাদে
প্রচণ্ড বরফপাত হয় ৷

এ বছর ইয়াষীদ ইবন মাখলাদ হুবায়রী দশ হাজার যােদ্ধাসহ রোমানদের বিরুদ্ধে অভিযান
পরিচালনা করেন ৷ রোমানরা তাকে সংকীর্ণ পরিসরে কোণঠাসা করে তৃরসুস হতে দুই মনযিল
দুরবর্তী স্থানে পঞ্চাশজন সহযোদ্ধাসহ তাকে হত্যা করে ৷ অবশিষ্টরা পরাজিত হয় ৷ হারুনুর রশীদ
সাইকা (গ্রীষ্মকালীন) অভিযানের দায়িতু প্রদান করণ হারছামা ইবন আয়্যানকে ৷ তার সহযােদ্ধা

তালিকাভুক্ত করা হয় ত্রিশ হাজার ৷ এদের অন্যতম ছিলেন ব্যয় নির্বাহের দায়িত্ব প্রাপ্ত মড়ানসুর
আল-খাদিম ৷

হারুনুর রশীদ নিজেও কাছাকাছি অবস্থানের উদ্দেশ্যে হড়াদাছের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়েন ৷
তিনি সব গির্জা ও যাজকদের ঝুপড়ি নিবাস ধ্বংস করার আদেশ দেন এবং বাণদাদ ও অন্য সব
নগরের যিস্বীদের পোশাক ও বেশভুষায় পার্থাং রক্ষার আদেশ জারী করেন ৷ এ বছরেই খলীফা
আলী ইবন মুসাকে থুরাসানের শানসকর্তার পদ হতে বরখাস্ত করে তার স্থলে হারছামা ইবন
আয়্যানকে সেখানকার শাসনকর্তা নিয়োগ করেন ৷ এ বছরের শাওয়াল মাসে হারুনুর রশীদ
হিরাকাল জয় করে তা ধ্বংস করে দেন এবং সেখানকার বাসিন্দাদের বন্দী করেন ৷ রোমের
প্রত্যন্ত অঞ্চলে আয়ান যারবাে ও আল কানীসাতৃস সাওযা (কৃষ্ণ পীর্জা) অভিমুখে ক্ষুদ্র বাহিনী প্রেরণ
করেন এবং সমগ্র অঞ্চলে বাহিনী ছড়িয়ে দেন ৷ এ সময় হিরাকালায় প্রতিদিন এক লাখ পয়ত্রিশ
হাজার তাতাভােগী লোকের (ভারাটে সৈনিকের) প্রবেশ ঘটেছিল ৷

খলীফা হুমায়দ ইবন মায়ুফকে শামের উপকুলবর্তী অঞ্চলসমুহ হতে মিসর পর্যন্ত এলাকার
শাসনকর্তা নিয়োগ করেন এবং কুবরুস (সাইপ্রাস) দ্বীপে প্রবেশ করে সেখানকার বাসিন্দাদের
বন্দী করে তাদের রাশিয়ার নিয়ে আসেন এবং সেখানে দাস-দাসীরুপে তাদের বিক্রয় করা হয় ৷
এমনকি আজকের মুল্য দৃই হাজার দীনারে উঠেছিল ৷ তাদের বিক্রয় সম্পাদন করেন কাযী আবুল
বুখতারী ৷

এ বছরে ফাযল ইবন সাহ্ল মানুষের হাতে ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ এ বছর হহ্রজ্জর আমীর
ছিলেন ফাযল ইবন আব্বাস ইবন মুহাম্মদ ইবন আলী আব্বাসী ৷ তিনি ছিলেন মক্কার প্রশাসক ৷ এ
বছর হতে দৃইশ পনের হিজরী সন পর্যন্ত লোকেরা গ্রীষ্মকালীন ভাতা পায়নি ৷

এ বছরে যীদের ইনতিকাল হয় তাদের শীর্ষস্থানীয়দের মধ্যে রয়েছেন সালামা ইবনুল ফাযল
আল-আবরাশ, আবদুর রহমান ইবনুল কাসিম ফার্কীহ ৷ যিনি মালিক ইবন ইউনুস ইবন আবু
ইসহাক হতে হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি হারুনুর রশীদের কাছে আগমন করলে খলীফা তাকে
বিপুল অর্থ প্রায় পঞ্চাশ হাজার প্রদানের আদেশ দিয়েছিলেন ৷ কিন্তু তিনি তা গ্রহণ করতে সম্মত
হননি ৷ (উল্লেখযােগ্যদের মধ্যে আরও ছিলেন) ফাযল ইবন মুসা শায়বানী , মুহাম্মদ ইবন সালামা ৷


وَلَمْ يَكُنْ لِلنَّاسِ بَعْدَ هَذِهِ السَّنَةِ صَائِفَةٌ إِلَى سَنَةِ خَمْسَ عَشْرَةَ وَمِائَتَيْنِ. [مَنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ] ذِكْرُ مَنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ: سَلَمَةُ بْنُ الْفَضْلِ الْأَبْرَشُ. وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْقَاسِمِ. الْفَقِيهُ الرَّاوِي عَنْ مَالِكٍ؛ الَّذِي هُوَ الْعُمْدَةُ فِي مَذْهَبِ مَالِكٍ فِيمَا يَرْوِيهِ عَنِ الْإِمَامِ مَالِكٍ، وَكَانَ مِنْ كِبَارِ الصَّالِحِينَ. وَعِيسَى بْنُ يُونُسَ بْنِ أَبِي إِسْحَاقَ. قَدِمَ عَلَى الرَّشِيدِ فَأَمَرَ لَهُ بِمَالٍ جَزِيلٍ؛ نَحْوًا مِنْ خَمْسِينَ أَلْفًا، فَلَمْ يَقْبَلْهُ. وَالْفَضْلُ بْنُ مُوسَى السِّينَانِيُّ. وَمُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ. وَمَخْلَدُ بْنُ الْحُسَيْنِ الْمِصِّيصِيُّ أَحَدُ
পৃষ্ঠা - ৮৩০০
الزُّهَّادِ الثِّقَاتِ، قَالَ: لَمْ أَتَكَلَّمْ بِكَلِمَةٍ أَحْتَاجُ إِلَى الِاعْتِذَارِ مِنْهَا مُنْذُ خَمْسِينَ سَنَةً. وَمُعَمَّرٌ الرَّقِّيُّ