ثم دخلت سنة ست وسبعين ومائة
الأحداث التي وقعت فيها
পৃষ্ঠা - ৮১৯৬
কিছু বাকী থাকে ৷ একবার তিনি হজ্জ পালন করেন ৷ মা ৷লিক তার কাছে হাদিয়া প্রেরণ করেন ৷
তিনি একটি প ৷ত্র প্রেরণ করেন যার মধ্যে ছিল পাকা তাজা খেজুর ৷ তখন তিনি এক হাজার
দীনারসহ পাত্রটি ফেরত দেন ৷ তিনি তার সাথী আলিমদের প্রত্যেককে এক হাজ৷ র দীনার এবং
কোন কোন সময় প্রায় এক হাজার দীনার দান করতে ন ৷ তিনি নৌপথে আলেকজ৷ ৷ন্ডিয়ায় ভ্রমণ
করতেন ৷ তিনি ও তার সাথিগণ এক নৌযানে ভ্রমণ করতেন এবং অন্য নৌযানে থাকত তাদের
রান্নাবান্ন৷ র ব্যবস্থা ৷ ত ৷র কৃতািহ্পুর্ণ কার্যকলাপ ছিল অত ত্যভ বিশাল ৷ ইবন খাল্লিক৷ ৷ন বর্ণনা করেন
যে, যেদিন আল-লায়হু ইনতিকাল করেন তখন তিনি এক ব্যক্তিকে বলতে শুনেছেন :
অর্থাৎ “আল-লায়ছ চলে গেছেন তোমাদের জন্য আর আল-লায়ছ সৃষ্টি হবে না ৷ নিঃস্ব
অবস্থায় আল-লায়ছের ইল্ম কবরে চলে গেছে ৷”
ঘোষককে উপস্থিত ব্যক্তিবর্গ এদিক সেদিক খোজ করেন কিন্তু তারা কাউকে দেখতে
পেলেন না ৷
এ বছর আরো একজন ইনতিকাল করেন ৷ তিনি হলেন আল-মুনযার ইবন আবদুল্লাহ্ ইবন
আল-মুনযার ৷ তিনি ছিলেন কুরায়শ বংশের একজন সদস্য ৷ আল-মাহদী যখন তাকে কাষীর পদ
প্রদান করেন এবং বায়তুল সাল থেকে এক লাখ দিরহাম প্রদান করেন তখন তিনি বলেন, আমি
আল্লাহর কাছে শপথ করেছি যে, আমি কোন পদ গ্রহণ করব না ৷ আমি আমীরুল মু’মিনীন থেকে
আল্লাহর কাছে আশ্রয় হারু যেন আমি আমার শপথের খিয়ানত না করি ৷ মাহদী বলেন, তুমি কি
আল্লাহর শপথ করে বলছ ? তিনি বললেন, আল্লাহর শপথ করে বলছি ৷ মাহদী বললেন, চলে যাও,
আমি তোমাকে ক্ষমা করে দিলাম ৷
১ ৭৬ হিজরীর আগমন
এ বছর দায়লাম শ ৷হরে ইয়াহ্ইয়া ইবন আবদুল্লাহ ইবন হাসান ইবন আ ৷লী ইবন আবৃত তালির
আবির্ভুত তহন ৷ জনগণের একটি বিরাট দলও ত ৷র অনুস৷ ৷রী হলেন ৷ত তার শক্তি বৃদ্ধি পেতে লাগল ৷
বিভিন্ন পরগনা ও শহর থেকে লোকজন তার দিকে ধাবিত হতে লাগল ৷ আর-রশীদ এজন্য
অস্বস্তিত্তে নিপতিত হলেন এবং তার ব্যাপারে পেরেশান হয়ে পড়লেন ৷ পঞ্চাশ হাজার সৈন্যসহ
আল-ফযল ইবন ইয়াহ্ইয়া ইবন খ৷ লিদ ইবন বারমাককে তার বিরুদ্ধে প্রেরণ করেন এবং তাকে
কুরুল জাবাল, রায়, জুরজান, তাবারিস্তা ৷ন, কুমাস ও অন্যান্য জায়গায় শাসক নিযুক্ত করেন ৷
আল-ফযল ইবন ইয়াহ্ইয়া বড় শান-শওকতে ঐসব এলাকায় গমন করেন ৷ প্রতিটি মনযিলে
ডাকহরকর৷ মারফত আর-রশীদের উৎসাহ ব্যঞ্জক পত্রগুলাে ও বিভিন্ন রকমের উপচৌকন
পৌছতে থাকে ৷ দায়লামের শাসক ও আর-রশীদের লেখক, সেনাপতিকে এক কোটি দিরহাম
প্রদান করার অঙ্গীকার করেন যদি সে তাদের উপর ইয়াহ্ইয়ার বিদ্রোহ নিরাময় করতে পারে ৷
আল-ফযল ও ইয়াহ্ইয়া ইবন আবদুল্পাহ্র কাছে পত্র লিংথু তাকে নিরাপত্তার ওয়াদ৷ করে, উচ্চ
আশা দান করে, লোভ-লালস৷ দেখায় এবং যদি সে তার কাছে বের হয়ে আসে তাহলে
আর-রশীদের কাছে তার নিরাপত্তা ৷র ব্যবস্থা করবে বলে তা ত্গীক৷ ৷র করে ৷ তবে ইয়াহ্ইয়া তন্৷ ৷দের
কাছে বের হয়ে আ সতে অস্বীকা ৷র করেন যতক্ষণ না আরবশীদ নিজ হাতে তার জন্য নিরাপও নামা
[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ سِتٍّ وَسَبْعِينَ وَمِائَةٍ]
[الْأَحْدَاثُ الَّتِي وَقَعَتْ فِيهَا]
فِيهَا كَانَ ظُهُورُ يَحْيَى بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَسَنِ بْنِ حَسَنِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ بِبِلَادِ الدَّيْلَمِ، وَاتَّبَعَهُ خَلْقٌ كَثِيرٌ وَجَمٌّ غَفِيرٌ، وَقَوِيَتْ شَوْكَتُهُ، وَارْتَحَلَ إِلَيْهِ النَّاسُ مِنَ الْكُوَرِ وَالْأَمْصَارِ، فَانْزَعَجَ لِذَلِكَ الرَّشِيدُ، وَقَلِقَ مِنْ أَمْرِهِ، فَنَدَبَ إِلَيْهِ الْفَضْلَ بْنَ يَحْيَى بْنِ خَالِدِ بْنِ بَرْمَكَ فِي خَمْسِينَ أَلْفًا، وَوَلَّاهُ كُوَرَ الْجَبَلِ وَالرَّيَّ وَجُرْجَانَ وَطَبَرِسْتَانَ وَقُومَسَ وَالرُّويَانِ، وَغَيْرَ ذَلِكَ، فَسَارَ الْفَضْلُ بْنُ يَحْيَى إِلَى تِلْكَ النَّاحِيَةِ فِي أُبَّهَةٍ عَظِيمَةٍ، وَكُتُبُ الرَّشِيدِ تَلْحَقُهُ مَعَ الْبُرُدِ فِي كُلِّ مَنْزِلَةٍ، وَأَنْوَاعُ التُّحَفِ وَالْبِرِّ، وَكَاتَبَ الْفَضْلُ صَاحِبَ الدَّيْلَمِ، وَوَعَدَهُ بِأَلْفِ أَلْفِ دِرْهَمٍ إِنْ هُوَ سَهَّلَ خُرُوجَ يَحْيَى بْنِ عَبْدِ اللَّهِ إِلَيْهِمْ، وَكَتَبَ الْفَضْلُ إِلَى يَحْيَى بْنِ عَبْدِ اللَّهِ يَعِدُهُ وَيُمَنِّيهِ وَيُؤَمِّلُهُ وَيُرَجِّيهِ وَيَبْسُطُ أَمَلَهُ، إِنْ هُوَ خَرَجَ إِلَيْهِ أَنْ يُقِيمَ لَهُ الْعُذْرَ عِنْدَ الرَّشِيدِ، فَامْتَنَعَ يَحْيَى أَنْ يَخْرُجَ إِلَيْهِمْ حَتَّى يَكْتُبَ لَهُ الرَّشِيدُ كِتَابَ أَمَانٍ بِيَدِهِ، فَكَتَبَ الْفَضْلُ إِلَى الرَّشِيدِ بِذَلِكَ، فَفَرِحَ الرَّشِيدُ، وَوَقَعَ مِنْهُ مَوْقِعًا عَظِيمًا، وَكَتَبَ الْأَمَانَ بِيَدِهِ، وَأَشْهَدَ عَلَيْهِ الْقُضَاةَ وَالْفُقَهَاءَ وَمَشْيَخَةَ بَنِي هَاشِمٍ، مِنْهُمْ عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ عَلِيٍّ، وَبَعَثَ الْأَمَانَ، وَأَرْسَلَ مَعَهُ جَوَائِزَ وَتُحَفًا كَثِيرَةً جِدًّا، فَلَمَّا وَصَلَتْ إِلَى الْفَضْلِ بَعَثَهَا بِكَمَالِهَا إِلَى يَحْيَى بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، فَخَرَجَ يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللَّهِ إِلَيْهِمْ، فَسَارَ بِهِ الْفَضْلُ، فَدَخَلَ بِهِ بَغْدَادَ وَتَلْقَّاهُ الرَّشِيدُ، وَأَكْرَمَهُ وَأَجْزَلَ لَهُ الْعَطَاءَ، وَخَدَمَهُ آلُ بَرْمَكَ خِدْمَةً عَظِيمَةً، بِحَيْثُ إِنَّ يَحْيَى بْنَ خَالِدٍ كَانَ يَتَوَلَّى
পৃষ্ঠা - ৮১৯৭
লিখে দেন ৷ আল-ফযল আর ৷ব-রশীদের কাছে এ ব্যাপারে পত্র লিখেন ৷ তাতে আব-রশীদ খুশী হন
বংএটাকে একটি সুবর্ণ সুযোগ মনে করেন ৷ত তাই তিনি নিজ হাতে ৩নিরাপত্তানামা লিখে দেন
এবং তার মধ্যে বনু হাশি ৷মের মুরবৰী, কাযী ও ফকীহ্দের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন ৷ বনু হাশিমের
মুরবৰীদের মধ্যে আবদুস সামাদ ইবন আলীও ছিলেন ৷ হারুন লোক মারফত নিরাপত্তানামা প্রেরণ
করেন, তার সাথে বহু পুরস্কার ও উপটোকন প্রেরণ করেন যাতে এসবগুলাে তারা ভীকে প্রদান
করেন ৷ র্তারা তাকে এগুলো প্রদান করলেন ৷ তখন তিনি নিজে তাদের কাছে আত্মসমর্পণ
করলেন ৷ র্তারা তাকে নিয়ে বাগদাদ প্রবেশ করলেন ৷ তিনি আর-রশীদের সাথে সাক্ষাৎ করেন ৷
আর-রশীদ ভীকে য়থাযােগ্য সম্মান করেন এবং প্রচুর সম্পদ দান করেন ৷ বারমাকীরা
আর-রশীদের বহু খিদমত করেন এজন্য ইয়াহ্ইয়া ইবন খালিদ বলতেন, আমার সম্ভানরা এবং
আমি নিজে তার বহু খিদমত করেছি ৷৩ তাদের এরুপ খিদমতের কারণে আরশ্রশীদের কাছে
ফযলের মর্যাদা বৃদ্ধি পায় ৷ তিনি আব্বাসী এবং ফাতিমীদের মধ্যে মীমা ৷ৎসা করার চেষ্টা করেন ৷
এ সম্পর্কে আল-ফযল ইবন ইয়াহ্ইয়া এর প্রশংসা এবং তীর কাজের জন্য কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনার্থে
মারওয়ান ইবন আবুহাফ্স৷ বলেন :
৷ ’ ৷
§“)(“’“”-
র্টিা’প্রুট্রু,াহৃ ১ এ এ্যাভ্রু১
’ ’ : ) ষ্’ ’ ৷
ট্র১ান্া৷চ্াঢ়দ্বুমোঃএেহ্রণ্হ্রা
অর্থাৎ “তুমি সফলতা লাভ করেছ ৷৩ তারপর বারমার্কীদের হাত অচল হয়ে থাকবে না ৷
হাশিমীদের মাঝে যে বিদীর্ণ৩৷ দেখা দিয়েছিল তা তুমি তোমার প্রাণপণ চেষ্টায় এমন সময়
মেরামত করেছিলে ও ছিদ্র বন্ধ করে দিয়েছিলে যখন তার সংস্কারের বিষয়টি সৎস্কারকদেরকে
অক্ষম করে দিয়েছিল এবৎ৩ তারা পরে এ কাজ থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এবং৩ তারা
বলছিল এখন আর এটা সম্ভব ও সমীচীন নয় ৷৩ তারপর তোমার সদিচ্ছার দৃ হাত বিশ্বে যে মর্যাদা
সহকারে সাফল্য মণ্ডিত হল যার স্মৃতিচারণ হভৈজ্জর মওসুমে ও লোকের মুখে মুখে জারি থাকবে ৷
প্রতিযোগীদের তীরগুলাে যখন প্রতিযোগিতার জন্য মিলিত হয় তখন সম্রাটের তীরটিই তোমাদের
জন্য সফলতার সংবাদ বহন করে নিয়ে আসে ৷”
ঐতিহাসিকগণ বলেন, এরপর আর-রশীদ ইয়াহ্ইয়া ইবন আবদুল্লাহ ইবন হাসানের প্রতি
অসন্তুষ্ট হন ও তার প্রতি রাগান্বিত হন ৷ কেউ কেউ বলেন, তিনি তাকে কারাগারে নিক্ষেপ
করেন ৷ পরে তাকে নিজের কাছে তলব করেন এবং৩ তীর কাছে তখন ছিল হাশিমীদের বিভিন্ন
লোকজন ৷ আর-রশীদ যে নিরাপত্তানামাটি লোক মারফত প্রেরণ করেছিলেন তা চেয়ে পাঠা ৷ন ৷ এ
নিরাপত্তা ৷নামা সম্বন্ধে তিনি মুহাম্মদ ইবন হাসানকে জিজ্ঞাসা করেন এটা কি বিশুদ্ধ ? জবাবে তিনি
বলেন, হন ৷ আর রশীদ এতে৩ তার উপর রাগান্বিত হন ৷ আবুল বুখতারী বলেন, এ
নিরাপত্তানামাটির কে ন মুল্য নেই আপনি এটা সম্পর্কে যা ইচ্ছা হুকুম দিতে পারেন ৷ তিনি
নিরাপত্তা নামাটি ছিড়ে ফেলেন ৷ আর আবুল বুখতা ৩ারী তার মধ্যে থুথু নিক্ষেপ করেন ৷ আর ৷ব-রশীদ
خِدْمَتَهُ بِنَفْسِهِ، وَعَظُمَ الْفَضْلُ عِنْدَ الرَّشِيدِ جَدًّا بِهَذِهِ الْفِعْلَةِ; حَيْثُ سَعَى فِي الْإِصْلَاحِ بَيْنَ الْعَبَّاسِيِّينَ وَالْفَاطِمِيِّينَ.
فَفِي ذَلِكَ يَقُولُ مَرْوَانُ ابْنُ أَبِي حَفْصَةَ يَمْدَحُ الْفَضْلَ بْنَ يَحْيَى، وَيَشْكُرُهُ عَلَى سَعْيِهِ هَذَا:
ظَفِرْتَ فَلَا شُلَّتْ يَدٌ بَرْمَكِيَّةٌ ... رَتَقْتَ بِهَا الْفَتْقَ الَّذِي بَيْنَ هَاشِمٍ
عَلَى حِينِ أَعْيَا الرَّاتِقينَ الْتِئَامُهُ ... فَكَفُّوا وَقَالُوا لَيْسَ بِالْمُتَلَائِمِ
فَأَصْبَحَتْ قَدْ فَازَتْ يَدَاكَ بِخُطَّةٍ ... مِنَ الْمَجْدِ بَاقٍ ذِكْرُهَا فِي الْمَوَاسِمِ
وَمَا زَالَ قِدْحُ الْمُلِكِ يَخْرُجُ فَائِزًا ... لَكُمْ كُلَّمَا ضُمَّتْ قِدَاحُ الْمُسَاهِمِ
قَالُوا: ثُمَّ إِنَّ الرَّشِيدَ تَنَكَّرَ لِيَحْيَى بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَسَنٍ، وَتَغَيَّرَ عَلَيْهِ، وَيُقَالُ: إِنَّهُ سَجَنَهُ، ثُمَّ اسْتَحْضَرَهُ الرَّشِيدُ وَعِنْدَهُ الْقَاضِيَانِ مُحَمَّدُ بْنُ الْحَسَنِ وَأَبُو الْبَخْتَرِيِّ، وَعِنْدَهُ جَمَاعَاتٌ مِنَ الْهَاشِمِيِّينَ وَغَيْرِهِمْ، وَأَحْضَرَ الْأَمَانَ الَّذِي بَعَثَ بِهِ إِلَيْهِ، فَسَأَلَ الرَّشِيدُ مُحَمَّدَ بْنَ الْحَسَنِ عَنْ هَذَا الْأَمَانِ أَصَحِيحٌ هُوَ؟ قَالَ: نَعَمْ، فَتَغَيَّظَ الرَّشِيدُ عَلَيْهِ. وَقَالَ أَبُو الْبَخْتَرِيِّ: لَيْسَ هَذَا بِصَحِيحٍ، فَاحْكُمْ فِيهِ بِمَا شِئْتَ. وَمَزَّقَ الْأَمَانَ، وَبَصَقَ فِيهِ أَبُو الْبَخْتَرِيِّ، وَأَقْبَلَ الرَّشِيدُ عَلَى يَحْيَى بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، فَقَالَ: هِيهِ هِيهِ. وَهُوَ يَتَبَسَّمُ تَبَسُّمَ الْمُغْضَبِ، وَقَالَ إِنَّ النَّاسَ يَزْعُمُونَ أَنَّا سَمَمْنَاكَ. فَقَالَ لَهُ يَحْيَى: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، إِنَّ لَنَا قَرَابَةً وَرَحِمًا وَحَقًّا، فَعَلَامَ تُعَذِّبُنِي وَتَحْبِسُنِي؟ فَرَقَّ لَهُ الرَّشِيدُ، فَاعْتَرَضَ بَكَّارُ بْنُ مُصْعَبِ بْنِ ثَابِتِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، فَقَالَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ: لَا يُغْرُنَّكَ كَلَامُ هَذَا، فَإِنَّهُ عَاصٍ شَاقٌّ، وَإِنَّمَا هَذَا مِنْهُ مَكْرٌ وَخُبْثٌ، وَقَدْ أَفْسَدَ عَلَيْنَا مَدِينَتَنَا، وَأَظْهَرَ فِيهَا
পৃষ্ঠা - ৮১৯৮
ইয়াহইয়া ইবন আবদুল্লাহ্র পানে মুখ ফিরালেন এবং বললেন, আস আস ! এ কথা বলে তিনি
ক্রোধের হাসি হাসছিলেন ৷ তিনি আরো বললেন, কোন কোন লোক ধারণা করছেন যে, আমরা
তোমাকে বিষ পান করতে বাধ্য করেছি ৷ ইয়াহইয়৷ তখন বললেন, হে আমীরুল মু’মিনীন !
আপনার সাথে আমাদের রয়েছে ঘনিষ্ঠত ৷, আত্মীয়তা, সহমর্মিত৷ ও অধিকারে ৷ তাহলে আপনি
আমাকে কোন কথার উপর শাস্তি দেবেন এবং কয়েদ করবেন ? এতে তার প্রতি আর-রশীদের
অনুগ্রহ দেখা দিল কিন্তু এতে বাক্কার ইবন মুসআব ইবন ছাবিত ইবন আবদুল্লাহ ইবন যুৰায়র
প্রতিবাদ করলেন এবং বললেন, হেআমীরুল মু’মিনীন !, এ ব্যক্তির এরুপ ভাষ্যে আপনি যেন
প্রভাবিত না হন ৷ কেননা এ ব্যক্তি অবাধ্য ও অপরাধী ৷ আর এটা হলো তার থেকে প্রবঞ্চন৷ ও
অনাচার ৷ আমাদের শহরে সে বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে ও তার দরুন আইন ভঙ্গের প্রবণতা সাধারণের
মধ্যে বৃদ্ধি পেয়েছে ৷ ইয়াহ্ইয়া তাকে বললেন, তোমরা আবার কে ? আল্লাহ তোমাদের ক্ষমা
করুন ৷ নিঃসন্দেহে তোমার পিতা, আমাদের পিতা ও তার পিতার সাথে মদীনায় হিজরত করেন ৷
তারপর ইয়াহ্ইয়া বললেন, হে আমীরুল মু’মিনীন ! এ আমার কাছে এসেছে যখন আমার ভাই
মুহাম্মদ ইবন আবদুল্লাহ নিহত হয় ৷ তিনি বললেন, তার হত্যাকারীর উপর আল্লাহর অভিসম্পাত
বর্ষিত হোক ৷ তারপর তিনি আমার কাছে বিশ পঙক্তি কবিতা আবৃত্তি করেন এবং আমাকে বলেন,
যদি তুমি এ ব্যাপারে আন্দোলন কর তাহলে তুমি আমাকে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে পারে যে তোমার
হাতে বায়আত করবে এবং আমাদের সাহায্য তোমার সাথে থাকা অবস্থায় কে এমন আছে যে
বসরায় তোমার সাথে মিলিত তহওয়ার ব্যাপারে নিষেধ করতে তপারে ? বর্ণনাকা রী বলেন, এতে
আর-রশীদ ও আয-যুবায়রীর চেহারা বিবর্ণ হয়ে গেল ৷ আয-যুবায়রী দুঃখ গেলেন এবং কঠিন
শপথ সহকারে শপথ করতে লাগলেন যে, যে এ ব্যাপারে মিথ্যাবাদী ৷ অড়ার-রশীদ হয়রান ও
পেরেশান হয়ে পড়েন ৷ এরপর তিনি ইয়াহইয়াকে বললেন, তুমি কি শোক পাথার কিছু অংশ
সংরক্ষণ করে রেখেছ ? তিনি বললেন, হী৷ এবং কিছুটা আবৃত্তি করলেন ৷ আয-যুবায়রী তখন
আরো প্রচণ্ডভাবে অস্বীকার করতে লাগলেন ৷ তখন তাকে ইয়াহ্ইয়া ইবন আবদুল্লাহ বললেন,
তাহলে তুমি বল : যদি আমি মিথব্রাবাদী হই তাহলে আল্লাহর শক্তি সামর্থ্য থেকে আমি পৃথক হয়ে
গোলাম ৷ আর আল্লাহ যেন আমাকে আমার শক্তি সামর্থোর উপর সােপর্দ করেন ৷ কিন্তু সে এরুপ
শপথ করতে অস্বীকার করল ৷ তাই আর-রশীদ তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করার সংকল্প
নিলেন এবং তার উপর রাগাযিত হলেন ৷ তারপর সে শপথ করল কিন্তু আর-রশীদের দরবার
থেকে বের হবার সাথে সাথে আল্লাহ তার উপর পক্ষাঘাত রোগ নিক্ষেপ করে দিলেন ৷ আ র
তৎক্ষণাৎ সে মৃত্যুমুখে পতিত হল ৷ কেউ কেউ বলেন, তার ত্রী বালিশ ৷দ্বারা তার চেহারায়
মোরছিল ৷ এভাবে তাকে আল্লাহ মেরে ফেলেন ৷
তারপর আর-রশীদ ইয়াহইয়া ইবন আবদুল্লাহকে ছেড়ে দেন এবং তীকে এক লাখ দীনার
প্রদান করেন ৷ কেউ কেউ বলেন, দিনের কিছু অংশের জন্য তাকে বন্দী করা হয়েছিল ৷ আবার
কেউ কেউ বলেন,ত তিন দিনের জন্য বন্দী করেছিলেন ৷ আর-রশীদ থেকে যে সম্পদ তিনি
পেয়েছিলেন তার পরিমাণ হল চার লাখ দীনার ৷ এসব ঘটনার পর তিনি মাত্র এক মাস জীবিত
ছিলেন ৷ এরপর তিনি মারা যান ৷ আল্লাহ র্তাকে রহম করুন ৷
এ বছরই সিরিয়ার দৃই সম্প্রদায়ের মধ্যে বিরাট বিভ্রান্তি ও মতভেদ দেখা দেয় তারা হল
الْعِصْيَانَ. فَقَالَ لَهُ يَحْيَى: وَمَنْ أَنْتُمْ عَافَاكُمُ اللَّهُ؟ وَإِنَّمَا هَاجَرَ أَبُوكَ إِلَى الْمَدِينَةِ بِآبَائِي، وَآبَاءِ هَذَا. ثُمَّ قَالَ يَحْيَى: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، إِنَّمَا النَّاسُ نَحْنُ وَأَنْتُمْ، وَاللَّهِ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، لَقَدْ جَاءَ إِلَيَّ هَذَا حِينَ قُتِلَ أَخِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، فَقَالَ: لَعَنَ اللَّهُ قَاتِلَهُ. وَأَنْشَدَنِي فِيهِ مَرْثِيَّةً نَحْوًا مِنْ عِشْرِينَ بَيْتًا، وَقَالَ: إِنْ تَحَرَّكْتَ فِي هَذَا الْأَمْرِ فَأَنَا أَوَّلُ مَنْ يُبَايِعُكَ، وَمَا يَمْنَعُكَ أَنْ تَلْحَقَ بِالْبَصْرَةِ وَأَيْدِينَا مَعَ يَدِكَ؟ قَالَ: فَتَغَيَّرَ وَجْهُ الزُّبَيْرِيِّ، وَأَنْكَرَ وَشَرَعَ يَحْلِفُ بِالْأَيْمَانِ الْمُغَلَّظَةِ: إِنَّهُ لَكَاذِبٌ فِي ذَلِكَ. وَتَنَمَّرَ الرَّشِيدُ، وَقَالَ لِيَحْيَى: أَتَحْفَظُ شَيْئًا مِنَ الْمَرْثِيَّةِ؟ قَالَ: نَعَمْ. وَأَنْشَدَهُ مِنْهَا جَانِبًا. فَازْدَادَ الزُّبَيْرِيُّ فِي الْإِنْكَارِ، فَقَالَ لَهُ يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللَّهِ: فَقُلْ: إِنْ كُنْتُ كَاذِبًا فَقَدْ بَرِئْتَ مِنْ حَوْلِ اللَّهِ وَقُوَّتِهِ، وَوَكَلَنِي اللَّهُ إِلَى حَوْلِي وَقُوَّتِي. فَامْتَنَعَ مِنَ الْحَلِفِ بِذَلِكَ، فَعَزَمَ عَلَيْهِ الرَّشِيدُ، وَتَغَيَّظَ عَلَيْهِ، فَحَلَفَ بِذَلِكَ، فَمَا كَانَ إِلَّا أَنْ خَرَجَ مِنْ عِنْدِ الرَّشِيدِ فَرَمَاهُ اللَّهُ بِالْفَالِجِ فَمَاتَ مِنْ سَاعَتِهِ. وَيُقَالُ: إِنَّ امْرَأَتَهُ غَمَّتْ وَجْهَهُ بِمِخَدَّةٍ، فَقَتَلَتْهُ، فَاللَّهُ أَعْلَمُ.
ثُمَّ إِنَّ الرَّشِيدَ أَطْلَقَ يَحْيَى بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَسَنٍ، وَأَطْلَقَ لَهُ مِائَةَ أَلْفِ دِينَارٍ، وَيُقَالُ: إِنَّمَا حَبَسَهُ بَعْضَ يَوْمٍ. وَكَانَ جُمْلَةُ مَا وَصَلَهُ مِنَ الْمَالِ مِنَ الرَّشِيدِ أَرْبَعَمِائَةِ أَلْفِ دِينَارٍ مِنْ بَيْتِ الْمَالِ، وَعَاشَ بَعْدَ ذَلِكَ كُلِّهِ شَهْرًا وَاحِدًا، ثُمَّ مَاتَ، رَحِمَهُ اللَّهُ وَأَكْرَمَ مَثْوَاهُ.
وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ وَقَعَتْ فِتْنَةٌ عَظِيمَةٌ بِالشَّامِ بَيْنَ النِّزَارِيَّةِ - وَهُمْ قِيسٌ - وَالْيَمَانِيَّةِ، وَهَذَا كَانَ أَوَّلَ بَدُوِّ أَمْرِ الْعِشْرَيْنِ بِحُورَانَ، وَهُمْ قَيْسٌ وَيَمَنٌ، أَعَادُوا
পৃষ্ঠা - ৮১৯৯
مَا كَانُوا عَلَيْهِ فِي الْجَاهِلِيَّةِ فِي هَذَا الْأَوَانِ، فَقُتِلَ مِنْهُمْ بَشَرٌ كَثِيرٌ، وَكَانَ عَلَى نِيَابَةِ الشَّامِ كُلِّهَا مِنْ جِهَةِ الرَّشِيدِ ابْنُ عَمِّهِ مُوسَى بْنُ عِيسَى، وَقِيلَ: عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ عَلِيٍّ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَكَانَ عَلَى نِيَابَةِ دِمَشْقَ بِخُصُوصِهَا سِنْدِيُّ بْنُ شَاهَكَ أَحَدُ مَوَالِي أَبِي جَعْفَرٍ الْمَنْصُورِ، وَقَدْ هَدَمَ سُورَ دِمَشْقَ حِينَ هَاجَتْ هَذِهِ الْفِتْنَةُ; خَوْفًا مِنْ أَنْ يَتَغَلَّبَ عَلَيْهَا أَبُو الْهَيْذَامِ الْمُرِّيُّ رَأْسُ الْقَيْسِيَّةِ، وَقَدْ كَانَ سِنْدِيٌّ هَذَا دَمِيمَ الْخَلْقِ. قَالَ الْحَافِظُ: وَكَانَ لَا يُحَلِّفُ الْمُكَارِي وَلَا الْمَلَّاحَ وَلَا الْحَائِكَ، يَقُولُ: الْقَوْلُ قَوْلُهُمْ. وَيَسْتَخِيرُ اللَّهَ فِي الْجَمَّالِ وَمُعَلِّمِ الْكُتَّابِ. وَقَدْ تُوُفِّيَ سِنْدِيٌّ سَنَةَ أَرْبَعٍ وَمِائَتَيْنِ.
فَلَمَّا تَفَاقَمَ الْأَمْرُ بَعَثَ الرَّشِيدُ مِنْ جِهَتِهِ مُوسَى بْنَ يَحْيَى بْنِ خَالِدٍ، وَمَعَهُ جَمَاعَةٌ مِنَ الْقُوَّادِ وَرُءُوسِ الْكُتَّابِ فَأَصْلَحُوا بَيْنَ النَّاسِ، وَهَدَأَتِ الْفِتْنَةُ، وَاسْتَقَامَ أَمْرُ الشَّامِ، وَحَمَلُوا جَمَاعَاتٍ مِنْ رُءُوسِ الْفِتْنَةِ إِلَى مَدِينَةِ السَّلَامِ، فَرَدَّ الرَّشِيدُ أَمْرَهُمْ إِلَى يَحْيَى بْنِ خَالِدٍ، فَعَفَا عَنْهُمْ وَأَطَلْقَهُمْ، وَفِي ذَلِكَ يَقُولُ بَعْضُ الشُّعَرَاءِ:
قَدْ هَاجَتِ الشَّامُ هَيْجًا ... يُشِيبُ رَاسَ وَلِيدِهِ
فَصَبَّ مُوسَى عَلَيْهَا ... بِخَيْلِهِ وَجُنُودِهِ
পৃষ্ঠা - ৮২০০
নাযারিয়া ও ইয়ামানিয়া ৷ নাযারিয়া হল কায়স সম্প্রদায়ের লোক আর ইয়ামানিয়া হল ইয়ামানের ৷
হুরান নামক স্থানে দু’টি সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রথম বিরোধ প্রকাশ পায় ৷ জা ৷হিলী যুগে তা দের মধ্যে
যে অ্শ ৷৷স্তি ও বিশৃৎখল৷ বিরাজ করছিল তা আবার তারা ফিরিয়ে আসে ৷ তইি এ বছর এভাবে
তাদের বহু লোক মারা যায় ৷ খলীফা আর-রশীদের পক্ষ থেকে তার চাচা মুসা ইবন ঈস৷ সিরিয়ার
নায়িব ছিলেন ৷ কেউ কেউ বলেন,৩ তিনি ছিলেন আবদুস সামাদ ইবন আলী ৷ আল্লাহ্ অধিক
পরিজ্ঞাত ৷
-জাফর আল-মানসুরের আযাদকৃত পােলামদের একজন সানাদী ইবন সাহল ছিলেন শুধু
দামেশকের নায়িব ৷ যখন শহরে বিভ্রান্তি ও বিশৃৎখলা দেখা দেয় তখন কায়সিয়াদের সর্দার আবুল
হায়যড়াম আল-মযীর আধিপত্যের ভয়ে দামেশকের শহর প্রাচীর ধ্বংস করে দেয়া হয় ৷ আর এ
আল-মযী ছিলেন একজন কুৎসিত ও কুদর্শন ব্যক্তি ৷ জাহিয বলেন : তিনি ভাড়াটিয়া, মাঝি ও
র্তাতী থেকে শপথ নিতেন না এবং বলতেন, তাদের কথা কোন শপথ ব্যতীত্ইে গ্রহণীয় ৷ তিনি
ঘুটেরা ও শিক্ষকদের ব্যাপারে আল্লাহ্ প্রদত্ত কল্যাণের ধারণা করতেন ৷ তিনি দৃ’শ চার হিজরীতে
ইনতিকাল করেন ৷ ব্যাপারটি যখন প্রকট আকার ধারণ করে আর-রশীদ নিজের পক্ষ থেকে
সেনাপতি ও নেতৃস্থানীয় একটি দলসহ মুসা ইবন ইয়াহ্ইয়া ইবন খালিদকে প্রেরণ করেন ৷ তারা
জনগণের মধ্যে শান্তি স্থাপন করেন ,তাদের চেষ্টায় বিভ্রান্তি প্রশ ৷মিত হয় এবং প্রজা দের যাবতীয়
বিষয় স্থিতিশীল হয় ৷ আর-রশীদতা তাদের বিষয়টি ইয়াহ্ইয়া ইবন খালিদের কাছে সােপর্দ করেন ৷
তিনি তাদের ক্ষম৷ করেন ও তাদের মুক্ত করে দেন ৷ এ সম্পর্কে কোন করি বলেন :
০শ্,ষ্শ্,৷ , ,াশ্,ষ্ ণ্শ্াশ্ন্
(,
০ ,, ণ্ ৷ ৷, ব্লু
, , ণ্ , ষ্শ্
, , , : , , × : শ্ , : , , ন্
৷ , , , , #
ব্লু
অর্থাৎ “সিরিয়ার এমন যুদ্ধ বিপ্রহের আগুন জ্বলে উঠেছে ৷ যার কারণে বালকের মাথার চুল
থেকে যায় ৷ সেনাপতি মুসা তার সৈন্য সামম্ভ নিয়ে তা প্রশমিত করার জন্য ঝাপিয়ে পড়েন ৷
যখন তিনি তার অনন্য কল্যাণ ও বরকত নিয়ে আগমন করেন তখন সিরিয়া তার সামনে
فَدَانَتِ الشَّامُ لَمَّا ... أَتَى نَسِيجُ وَحِيدِهِ
هَذَا الْجَوَادُ الَّذِي بَذَّ ... كُلَّ جُودٍ بِجُودِهِ
أَعْدَاهُ جُودُ أَبِيهِ ... يَحْيَى وَجُودُ جُدُودِهِ
فَجَادَ مُوسَى بْنُ يَحْيَى ... بِطَارِفٍ وَتَلِيدِهِ
وَنَالَ مُوسَى ذُرَى الْمَجْ ... دِ وَهُوَ حَشْوُ مُهُودِهِ
خَصَصْتُهُ بِمَدِيحِي ... مَنْثُورِهِ وَقَصِيدِهِ
مِنَ الْبَرَامِكِ عُودٌ ... لَهُ فَأَكْرِمْ بَعُودِهِ
حَوَوْا عَلَى الشِّعْرِ طُرًّا ... خَفِيفِهِ وَمَدِيدِهِ
وَفِيهَا عَزَلَ الرَّشِيدُ الْغِطْرِيفَ بْنَ عَطَاءٍ عَنْ خُرَاسَانَ، وَوَلَّاهَا حَمْزَةَ بْنَ مَالِكِ بْنِ الْهَيْثَمِ الْخُزَاعِيَّ الْمُلَقَّبَ بِالْعَرُوسِ.
وَفِيهَا وَلَّى الرَّشِيدُ جَعْفَرَ بْنَ يَحْيَى بْنِ خَالِدِ بْنِ بَرْمَكَ نِيَابَةَ مِصْرَ، فَاسْتَنَابَ جَعْفَرٌ عَلَيْهَا عُمَرَ بْنَ مِهْرَانَ، وَكَانَ شَنِيعَ الشَّكْلِ، زَرِيَّ الْخَلْقِ، بَيِّنَ الْكِنْبَةِ، أَحْوَلَ، وَمَا كَانَ سَبَبَ وِلَايَةِ الرَّشِيدِ إِيَّاهُ الدِّيَارَ الْمِصْرِيَّةَ إِلَّا أَنَّ نَائِبَهَا مُوسَى بْنَ عِيسَى كَانَ قَدْ عَزَمَ عَلَى خَلْعِ الرَّشِيدِ، فَقَالَ: وَاللَّهِ لَأَعْزِلَنَّهُ وَلَأُوَلِّيَنَّ عَلَيْهَا أَخَسَّ النَّاسِ. فَاسْتَدْعَى عُمَرَ بْنَ مَهْرَانَ هَذَا، وَوَلَّاهُ عَلَيْهَا نِيَابَةً عَنْ جَعْفَرِ بْنِ يَحْيَى بْنِ خَالِدٍ الْبَرْمَكِيِّ، فَسَارَ إِلَيْهَا عُمَرُ بْنُ مِهْرَانَ عَلَى بَغْلٍ وَغُلَامُهُ أَبُو دُرَّةَ عَلَى بَغْلٍ آخَرَ، فَدَخَلَهَا كَذَلِكَ، فَانْتَهَى إِلَى مَجْلِسِ نَائِبِهَا مُوسَى بْنِ عِيسَى، فَجَلَسَ فِي
পৃষ্ঠা - ৮২০১
মস্তকাবনত হয়ে পড়ে ৷ তিনি এমন একজন দ ৷নশীল ব্যক্তি ছিলেন হার দাবুনর ফলে সকল দাবুনর
পুর্ণতা এসেছিল ৷ত তার পিতা ইয়াইেয়৷ র দান ও তার দাদার দান তাকে দান করতে উদ্বুদ্ধ করেছে ৷
এরপর মুসা ইবন ইয়াহ্ইয়৷ তার নিজ অর্জিত ও উত্তরাধিকার সুত্রে প্র৷ ৷প্ত সম্পদ দান করেন ৷ আর
এভ বুাব মুসা মান-মর্যাদার পাকা ফল অর্জন করেন যা তার দোলনা বা ৰিছান৷ র অবিচ্ছেদ্য অংশ
হিসেবে বিবেচিত ৷ করি ববুলন, আমার কানীদা (কবিতা) ও গদ্যের মাধ্যমে কৃত প্রশংসাকে তার
জন্যই নির্দিষ্ট করে নিঃবুয়ছি ৷ এমনি মর্যাদা বারমাকীদের থেকেই বারবার এসে থাকে ৷ আর
উচ্চতর রুপ নিবুয় এসে থাকে ৷ সংক্ষিপ্ত ও দীর্ঘ উভয় প্রকারের প্রশংসা কবিতাইনিবুজবুদর জন্যই
তারা সংগ্রহ করে নিয়েছে ৷
এ বছরই আর-রশীদ আল-গাতরীফ ইবন আতাবুক খুরাসান থেকে বরখাস্ত করেন এবং
আল-আরুস উপাধি প্রাপ্ত হামযা ইবন মালিক ইবন আল-হায়ছাম আল-খুযাঈকে তথায় নিযুক্ত
করেন ৷ এ বছরই আর-রশীদ জাফর ইবন ইয়াহ্ইয়া ইবন খালিদবুক মিসরের নায়িব নিযুক্ত
করেন ৷ এরপর জাফর, উমর ইবন মিহরানকে সেখানকার নাযিব নিযুক্ত করেন ৷ তিনি ছিলেন
ত্রুটিপুর্ণ অবয়ব, ত্রুটিপুর্ণ আকৃতি, পক্ষ ৷ঘাতগ্রস্ত ও বুটরা চক্ষু বিশিষ্ট ব্যক্তি ৷ তার না ৷য়িব হিবুসবুব
নিযুক্তি পাওয়ার কারণ ছিল নিম্নরুপ ং
মিসরের নায়িব মুসা ইবন ঈসা আর-রশীবুদর পদচ্যুতির দৃঢ় সংকল্প করেছিল ৷ খনত আর
রশীদ বলেন, আল্লাহর শপথ! আমি তাকে অবশ্যই বরখাস্ত করব এবং একজন উত্তম লোককে
মিসরের নায়িব নিযুক্ত করব ৷ খনত তিনি এ উমর ইবন মিহরানকে ডাকবুলন এবং আ ফর ইবন
ইয়াহ্ইয়৷ আ ৷ল-বারমাকী এর স্থবুলত তাকে মিসরের শাসক নিযুক্ত করলেন ৷ তখন তিনি একটি
খচ্চরে সওয়ার হয়ে রওনা হলেন এবং তার গোলাম আবু দ ৷রর৷ অন্য একটি খচ্চবুর স ওয় র ৷ছিল ৷
এইভাবে তিনি মিসবুর প্রবেশ করেন এবং মিসরের নায়িব মুসা ইবন ঈসার মজলিসে পৌবুছন ও
মানুষের পেছনে বসে পড়েন ৷ লোকজন যখন বিদায় নিলেন তখন তার দিকে মুসা ইবন ঈস৷ মুখ
ঘুরাবুলন কিন্তু তিনি তাকে চিনতে পারেননি যে তিনি কে ? সুতরাং নায়িব তাকে বলবুলন, বুহ
শায়খ ! আপন৷ ৷র কি কো ন প্রয়োজন আছে ৷৩ তিনি বলবুলন, হী৷ আমীরকে অ ৷ল্লাহ্ সৎ ও সদাচারী
করুন ৷ এরপর তিনি তাকে পত্রটি দিলেন ৷ যখন তিনি তা পাঠ করবুলন বললেন ভুমিই কি উমর
ইবন মিহরান ? তিনি বললেন, হী৷ ৷ আমীর বলবুলন, আল্লাহ ফিরআওবুনর উপর অভিশম্পাত
অবতীর্ণ করুন যখন সে ববুলছিল মিসরের সাম্রাজ্য কি আমার নয় ? এরপর তিনি তার কাছে
করেন ও কাজে আত্ানিয়ােগ কবুরন ৷ তিনি স্বর্ণ, রৌপ্য কিংবা কা প ও ব্যতীত অন্য কোন বস্তু
হাদিয়৷ গ্রহণ করবুতন না ৷ এরপর প্রত্যেকটি হাদিয়ার উপর হাদিয়াদাতা তার নাম লিখে রাখবুতন ৷
এরপর তিনি প্রজাদের থেকে রাজস্ব আদায় করবুতন এবং রাজস্ব আদায়ের ব্যাপারে তা ৷দের উপর
কঠোরতা অবলম্বন করতেন ৷ তাদের কেউ কেউ এ ব্যাপারে টালবাহান৷ করত ৷ তখন তিনি শপথ
কবুরবলতেন, কেউ যদি এ ব্যাপারে টালবাহ না কবুর তাহলে তাকে এরুপ শাস্তি দেয়৷ হবুব এবং
তা বুদয়াও হত ৷ এভ বুাব তিনি বহু সম্পদ সধ্গ্নহ করেছিলেন ৷ আর যা সংগ্রহ করা হত তাঃ৷ তিনি
বাগদাদে প্রেরণ করবুতন এবং যে ব্যক্তি তা আদাবুয় টালবা ৷ন৷ করত তাবুক ও বাগদাদে প্রেরণ
করবুতন ৷ এরপর লোকজন তার সাথে শিষ্টাচ৷ ৷র শিক্ষা করবুলন ৷ পরে দ্বিতীয় কিস্তির আদায়ের
أُخْرَيَاتِ النَّاسِ، فَلَمَّا انْفَضَّ النَّاسُ أَقْبَلَ عَلَيْهِ مُوسَى بْنُ عِيسَى وَهُوَ لَا يَعْرِفُ مَنْ هُوَ، فَقَالَ: أَلَكَ حَاجَةٌ يَا شَيْخُ؟ قَالَ: نَعَمْ، أَصْلَحَ اللَّهُ الْأَمِيرَ. ثُمَّ قَامَ بِالْكُتُبِ، فَدَفَعَهَا إِلَيْهِ، فَلَمَّا قَرَأَهَا قَالَ: أَنْتَ عُمَرُ بْنُ مِهْرَانَ؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: لَعَنَ اللَّهُ فِرْعَوْنَ حِينَ قَالَ: {أَلَيْسَ لِي مُلْكُ مِصْرَ} [الزخرف: 51] . ثُمَّ سَلَّمَ إِلَيْهِ الْعَمَلَ، وَارْتَحَلَ عَنْهَا، وَأَقْبَلَ عُمَرُ بْنُ مِهْرَانَ عَلَى عَمَلِهِ، فَكَانَ لَا يَقْبَلُ شَيْئًا مِنَ الْهَدَايَا إِلَّا مَا كَانَ ذَهَبًا أَوْ فِضَّةً أَوْ قُمَاشًا، وَيَكْتُبُ عَلَى ذَلِكَ اسْمَ مُهْدِيهِ، ثُمَّ إِنَّهُ طَالَبَ بِالْخَرَاجِ وَأَلَحَّ عَلَيْهِمْ فِي ذَلِكَ، فَشَرَعَ بَعْضُهُمْ فِي مُمَاطَلَتِهِ، فَأَقْسَمَ لَا يُمَاطِلُهُ أَحَدٌ فَيَقْبِضَ مِنْهُ شَيْئًا، وَإِنَّمَا يَبْعَثُهُ إِلَى بَغْدَادَ وَيَزِنُ خَرَاجَهُ بِهَا، وَيَأْتِي بِوَرَقَةِ الْقَبْضِ، وَفَعَلَ ذَلِكَ بِبَعْضِ النَّاسِ فَتَأَدَّبَ بَقِيَّتُهُمْ، ثُمَّ جَبَاهُمُ الْقِسْطَ الثَّانِي، فَلَمَّا كَانَ الثَّالِثُ عَجَزَ كَثِيرٌ مِنْهُمْ عَنِ الْأَدَاءِ، فَجَعَلَ يَسْتَحْضِرُ مَا كَانُوا أَهْدَوْا إِلَيْهِ; فَإِنْ كَانَ نَقْدًا أَدَّاهُ عَنْهُمْ، وَإِنْ كَانَ بُرًّا بَاعَهُ وَاعْتَدَّ بِهِ عَنْهُمْ، وَقَالَ: إِنِّي إِنَّمَا ادَّخَرْتُ هَذَا لَكْمْ إِلَى وَقْتِ حَاجَتِكُمْ. ثُمَّ أَكْمَلَ اسْتِخْرَاجَ جَمِيعَ الْخَرَاجِ بِدِيَارِ مِصْرَ، وَلَمْ يَفْعَلْ ذَلِكَ أَحَدٌ قَبْلَهُ، ثُمَّ انْصَرَفَ عَنْهَا; لِأَنَّهُ كَانَ قَدْ شَرَطَ عَلَى الرَّشِيدِ أَنَّهُ إِذَا مَهَّدَ الْبِلَادَ وَجَبَى الْخَرَاجَ، فَذَاكَ إِذْنُهُ فِي الِانْصِرَافِ. وَلَمْ يَكُنْ مَعَهُ بِالدِّيَارِ الْمِصْرِيَّةِ سِوَى مَوْلَاهُ أَبِي دُرَّةَ وَهُوَ حَاجِبُهُ، وَهُوَ مَنْفِذُ أُمُورِهِ.
وَغَزَا الصَّائِفَةَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ، فَفَتَحَ حِصْنًا.
وَحَجَّتْ زُبَيْدَةُ زَوْجَةُ الْخَلِيفَةِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ، وَمَعَهَا أَخُوهَا. وَكَانَ أَمِيرَ الْحَجِّ فِي هَذِهِ السَّنَةِ سُلَيْمَانُ ابْنَ أَبِي جَعْفَرٍ الْمَنْصُورِ عَمُّ الرَّشِيدِ.
পৃষ্ঠা - ৮২০২
সময় ঘনিয়ে আসল বিক্ষ্ম এবার তাদের বহু লোক এটা আদায়ে অক্ষম হয়ে পড়লেন ৷ তখন তারা
যা কিছু হাদিয়া আদায় করতে পারতেন তা তিনি হাযির করাতে ন যদি তা নগদ হত তা তিনি
তাদের থেকে আদায় করতেন আ র যদি তা গমের আকারে হত তখন তিনি তা বিক্রি করে দিতেন
এবং এভাবে রাজস্ব আদায় করতেন তিনি ৷ তিনি তাদেরকে বলতেন, আমি এগুলো তোমাদের
জন্য সৎগহ করছি তোমাদের প্রয়োজনে কাজে লাগবে ৷ এরপর মিসরের শহরগুলোর সমস্ত রাজস্ব
তিনি পরিপুর্ণভা বে আদায় করে নিলেন ৷৩ তার পুর্বে আর কেউ এরুপ করেননি ৷ এরপর তিনি মিসর
থেকে বিদায় নিলেন ৷ কেননা তিনি আর-রশীদের সাথে শত ৩করে ছিলেন যে যখন দেশে শাস্তি
ফিরে আসবে তখন তিনি রাজস্ব আদায় করে দেবেন ৷ আর এটাই তাৱ বিদায়ের অনুমতি হিসেবে
গণঢু ৷ মিসরের শহরগুলোতে তার সাথে কোন সৈন্য সামন্ত ছিল না ৷ তার সাথে শুধু ছিলেন তার
গোলাম আবু দারর৷ ও দারােয়ান ৷ দারোয়ানই তার যাবতীয় কাজ পরিচালনা করত ৷ এ বছর
আবদুর রহমান ইবন আবদুল মা ৷লিক গ্রীষ্মকালীন যুদ্ধ পরিচালনা করেন ও একটি দুর্গ জয় করেন ৷
এ বছর আর ৷ব-রশীদের শ্রী যুবায়দা হজ্জ পালন করেন ৷ তার সাথে ছিলেন তার ভাই ৷ আমীরে হজ্জ
ছিলেন রশীদের চাচা, সুলায়মান ইবন আবু জা ফর আল-মানসুর ৷ এ বছর য ৷রা ইনতিক৷ ৷ল করেন
তারা হলেন০ :
ইবরাহীম ইবন সালিহ ইবন আলী ইবন আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস ৷ তিনি মিসরের আমীর
ছিলেন ৷ শাবান মাসে তিনি ইনতিকাল করেন ৷
, ইবরাহীম ইবন হারমা ; তিনি ধ্লেন একজন কবি ৷ তিনি হলেন £ আবু ইসহাক ইবরাহীম
ইবন আলী ইবন সালামা ইবন আমির ইবন হারমা আল-ফিহ্রী আল-মাদানী ৷ মদীনায় বাসিন্দাদেৱ
প্রতিনিধি দল যখন আল-মানসুরের কাছে গমন করেছিলেন তখন তিনি প্রতিনিধিদলের প্রধান
হিসেবে মানসুরের কাছে গমন করেন ৷ মানসুরকে আড়াল করে একটি পর্দার পাশে এমনভাবে
তাদেরকে বসানো হল যাতে মানসুর লোকজনকে পেছন থেকে দেখতে পান কিন্তু তারা তাকে
দেখতে না পায় ৷ আবুল খাসীব দারোয়ান দী ড়িয়ে বলছিল হে আমীরুল মু’মিনীন ! ইনি অমুক
করি, এরপর তাকে হুকুম দেয়৷ হয় এবং তিনি কবিতা আবৃত্তি করেন ৷ এভাবে আবার সে বলে-
ইনি অমুক খতীব ৷ এরপর৩ তা ৷কে হুকুম দেয়৷ হয় এবৎত তিনি খুতব৷ দা ন করেন ৷ এভাবে করার
পর ইবন হারমা এর পালা আসল ৷ বর্ণনাকারী বলেন, তাকে আমি বলতে শুলনালম ং শুছুর্চুৰুা
-fl£ ; এ ধ্র্দু৷ ৷ ণ্ ৷ ৰুঙ্ >ান্ত্র ৷ ষ্ণু অর্থাৎ “কোন মারহাবা নেই, কোন আ হলান নেই আর
আল্লাহ যেন তোমাকে কোন সতর্ক প্রহারা দান না করেন ৷ ” বর্ণনাকারী বলেন, আমি বললাম তুই
ধ্বংস হয়ে গেছ ৷ এরপর আমাকে কবিতা ৷আবৃত্তি করতে বলা হল ৷ আমি আমার কাসীদা পাঠ
করলাম ৷ তার মধ্যে আমি বলতে লাগলাম
’ ) fl শ্ )
অর্থাৎ “তার কোমরে ছিল কাপড় বাধা, মৃদৃমন্দ সমীরণে দুলায়িত সকাল বেলায় এমন এক
শরীফের সান্নিধ্য ল৷ ৷ত করেন যিনি একদিন পৃথক হয়ে যাবেন ৷”
এরপর আমি আমার এ কথায় পৌছলাম :
وَمِمَّنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ:
إِبْرَاهِيمُ بْنُ صَالِحِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، كَانَ أَمِيرًا عَلَى مِصْرَ، تُوُفِّيَ فِي شَعْبَانَ، حَكَى عَنْهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ.
وَإِبْرَاهِيمُ بْنُ هَرْمَةَ، الشَّاعِرُ، وَهُوَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ سَلَمَةَ بْنِ عَامِرِ بْنِ هَرْمَةَ أَبُو إِسْحَاقَ الْفِهْرِيُّ الْمَدَنِيُّ، شَاعِرٌ مُفَلِّقٌ، وَفَدَ عَلَى الْمَنْصُورِ بَغْدَادَ فِي وَفْدٍ مِنْ أَهْلِ الْمَدِينَةِ حِينَ اسْتَوْفَدَهُمْ إِلَيْهِ، فَقَدِمُوا عَلَيْهِ، فَجَلَسُوا إِلَى سِتْرٍ دُونَ الْمَنْصُورِ، يَرَى النَّاسَ مِنْ وَرَائِهِ وَلَا يَرَوْنَهُ، وَأَبُو الْخَصِيبِ الْحَاجِبُ وَاقِفٌ يَقُولُ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، هَذَا فُلَانٌ الْخَطِيبُ. فَيَأْمُرُهُ فَيَخْطُبُ، وَيَقُولُ: هَذَا فُلَانٌ الشَّاعِرُ. فَيَسْتَنْشِدُهُ، حَتَّى كَانَ مِنْ آخِرِهِمْ ابْنُ هَرْمَةَ هَذَا، قَالَ: فَسَمِعْتُهُ يَقُولُ: لَا مَرْحَبًا وَلَا أَهْلًا، وَلَا أَنْعَمَ اللَّهُ بِهِ عَيْنًا. قَالَ: فَقُلْتُ: إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ، ذَهَبَتْ وَاللَّهِ نَفْسِي، ثُمَّ رَجَعَتْ إِلَيَّ نَفْسِي فَقُلْتُ: يَا نَفْسُ، هَذَا مَوْقِفٌ إِنْ لَمْ تَشْتَدِّي فِيهِ هَلَكْتِ. ثُمَّ اسْتَنْشَدَنِي، فَأَنْشَدْتُهُ قَصِيدَتِي الَّتِي أَقُولُ فِيهَا:
سَرَى ثَوْبَهُ عَنْكَ الصِّبَا الْمُتَخَايِلُ ... وَقَرَّبَ لِلْبَيْنِ الْخَلِيطُ الْمُزَايِلُ
পৃষ্ঠা - ৮২০৩
حَتَّى انْتَهَيْتُ إِلَى قَوْلِي:
فَأَمَّا الَّذِي أَمَّنْتَهُ يَأْمِنُ الرَّدَى ... وَأَمَّا الَّذِي حَاوَلْتَ بِالثُّكْلِ ثَاكِلُ
قَالَ: فَأَمَرَ بِرَفْعِ الْحِجَابِ، فَإِذَا وَجْهُهُ كَأَنَّهُ فِلْقَةُ قَمَرٍ، فَاسْتَنْشَدَنِي بَقِيَّةَ الْقَصِيدَةِ، وَأَمَرَنِي بِالْقُرْبِ إِلَيْهِ وَالْجُلُوسِ بَيْنَ يَدَيْهِ، ثُمَّ قَالَ: وَيْحَكَ يَا إِبْرَاهِيمُ! لَوْلَا ذُنُوبٌ بَلَغَتْنِي عَنْكَ لَفَضَّلْتُكَ عَلَى أَصْحَابِكَ، فَأَقِرَّ عَلَيَّ بِذُنُوبِكَ أَعْفُهَا عَنْكَ. فَقُلْتُ: هَذَا رَجُلٌ فَقِيهٌ عَالِمٌ، وَإِنَّمَا يُرِيدُ أَنْ يَقْتُلَنِي بِحُجَّةٍ تَجِبُ عَلَيَّ، فَقُلْتُ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، كُلُّ ذَنْبٍ بَلَغَكَ مِمَّا عَفَوْتَهُ عَنِّي فَأَنَا مُقِرٌّ بِهِ. فَتَنَاوَلَ الْمِخْصَرَةَ، فَضَرَبَنِي بِهَا ضَرْبَتَيْنِ وَأَمَرَ لِي بِعَشَرَةِ آلَافِ دِرْهَمٍ وَخِلْعَةٍ، وَعَفَا عَنِّي وَأَلْحَقَنِي بِنُظَرَائِي.
وَكَانَ مِنْ جُمْلَةِ مَا يَنْقِمُهُ الْمَنْصُورُ عَلَيْهِ قَوْلُهُ:
وَمَهْمَا أُلَامُ عَلَى حُبِّهِمْ ... فَإِنِّي أُحِبُّ بَنِي فَاطِمَهْ
بَنِي بِنْتِ مَنْ جَاءَ بِالْمُحْكَمَاتِ ... وَبِالدِّينِ وَالسُّنَّةِ الْقَائِمَهْ
فَلَسْتُ أُبَالِي بِحُبِّي لَهُمْ ... سِوَاهُمْ مِنَ النَّعْمِ السَّائِمَهْ
পৃষ্ঠা - ৮২০৪
চুাহ্রঢ়: শ্রো, ’ৰুত্র,া; ব্লু,:দ্ভা৷ ৷ট্রা, পু,দ্বু,৷ ৷ পু,;াব্লু ;;;;: ;;fl ৷ ৷র্দুরু;
অর্থাৎ “আমি যাকে নিরাপত্তা দিলাম সে নপণ্য বব্রুক্তিকেও নিরাপত্তা দিতে লাগল ৷ আর আমি
যাকে নিখোজ সংবাদ সংগ্রহ করার জন্য নিযুক্ত করেছি যে নিঃজ্জী হারিয়ে যাচ্ছে ৷”
বর্ণনাক৷ রী বলেন, এরপর পর্দা অপসারণের নির্দেশ দেয়৷ হল, দেখা গেল তার চেহার রা যেন
চদ্রের একটি টুকরা ৷ এরপর আমাকে কাসীদা এর বাকী অং শটুকু আবৃত্তি করতে বলা হল এবং
তার সামনের দিক্ দিয়ে নিকটবর্তী হওয়ার জন্য আমাকে নির্দেশ প্রদান করা হল ৷ আবার তার
কাছে বসার জন্য বলা হল ৷ এরপর তিনি বললেন : হে ইব্রাহীম ! তোমার দৃর্ডাগ্য, যদি তোমার
অপরাধের কথা আমার কাছে না পৌছত তাহলে আমি তোমাকে তোমার সাথীদের চেয়ে বেশী
মর্যাদা প্রদান করতাম ৷ তখন আমি বললাম , হে আমীরুল্ মু’মিনীন ৷ আপনার কাছে আমার যত
অপরাধের সংবাদ পৌছেছে আপনি তার কিছুই ক্ষমা করেননি ৷ আমি এখনও আমার অপরাধ
স্বীকার করছি ৷ বর্ণনাকারী বলেন, মানসুর তখন তার হাতের ছড়িটি উত্তোলন করলেন ও তা দ্বারা
আমাকে দু’টি আঘাত করলেন এবং আমাকে দশ হাজার দীনার ও পুরস্কার স্বরুপ প্রদত্ত পোশাক
অর্পণ করার জন্য নির্দো৷ দিলেন, আমাকে ক্ষমা করলেন এবং আমার সঙ্গিনীদের সাথে মিলিত
হবার অনুমতি প্রদান করলেন ৷ মানসুর তার উপর যে রাপাষিত হয়েছিলেন তার একটি নমুনা হল
তার মন্তব্য :
# ণ্
’
অর্থাৎ “যতদিন যাবৎ যা তাদের মহব্বতে নিয়োজিত থাকবেন ততদিন আমি অবশ্যই
ফাতিমার বং শধরকে মহব্বত করব ৷ তারা এমন লোকের কন্যার বংশধর যিনি আল্লাহর সুস্পষ্ট
আয়াতসমুহ, আল্পাহ্র দ্বীন ও সুদৃঢ় বন্ধন নিয়ে অবতীর্ণ হয়েছেন ৷ সুতরাং তাদের প্রতি আমার
মহ্ব্বত থাকার কারণে তাদের ব্যতীত অন্যসব বিচরণক৷ রী পশুদের মহব্বতের কোন চিন্তা ই
আমি করি না ৷
আল-আখফাশ বলেন, আমাদের ছালাব বলেছেন যে, আল-আসমাঈ বলেছেন : আমি ইবন
হারমর মাধ্যমে কবিদের বর্ণনার পরিসমাপ্তি ঘটালাম ৷ আবুল ফারাজ ইবন আল-জাওষী এ বছর
তার মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন ৷ এ বছরই ওয়াকী ইবন জাররা-এর পিতা আল-জাররা
ইবন মালীহ ইনতিকাল করেন ৷ আবার এ বছর আবু আবদুল্লাহ সাঈদ ইবন আবদুর রহমান ইবন
আবদুল্পাহ্ ইবন জামীল আল-মাদীনী ইনতিকাল করেন ৷ আল-মাহদীর সেনাবাহিনীর জন্য সতের
বছর তিনি বাগদাদের কাযীর দায়িত্ব পালন করেন ৷ ইবন মুঈন ও অন্যরা তাকে ছিকা বা
নির্ভরযোগ্য বলে উল্লেখ করেছেন ৷ এ বছর যারা ইনতিকাল করেন তাদের মধ্যে একজন হলেন
সা ৷লিহ ইবন বাশীর আল-মারী ৷
তিনি ছিলেন পরহেযপার বান্দাদের অন্যতম ৷ তিনি অ৩ ত্যন্ত ক্রন্দন করতেন ৷ তিনি ওয়ার-
قَالَ الْأَخْفَشُ: قَالَ لَنَا ثَعْلَبٌ: قَالَ الْأَصْمَعِيُّ: خُتِمَ الشُّعَرَاءُ بِابْنِ هَرْمَةَ، وَهُوَ آخِرُ الْحُجَجِ.
ذَكَرَ وَفَاتَهُ فِي هَذِهِ السَّنَةِ أَبُو الْفَرَجِ ابْنُ الْجَوْزِيِّ فِي " الْمُنْتَظِمِ ".
وَالْجَرَّاحُ بْنُ مَلِيحٍ، وَالِدُ وَكِيعِ بْنِ الْجَرَّاحِ. وَسَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَمِيلٍ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْمَدِينِيُّ، وَلِيَ قَضَاءَ بَغْدَادَ سَبْعَ عَشْرَةَ سَنَةً بِعَسْكَرِ الْمَهْدِيِّ، وَثَّقَهُ ابْنُ مَعِينٍ وَغَيْرُهُ.
صَالِحُ بْنُ بَشِيرٍ الْمُرِّيُّ
وَصَالِحُ بْنُ بَشِيرٍ الْمُرِّيُّ، أَحَدُ الْعُبَّادِ الزُّهَّادِ، كَانَ كَثِيرَ الْبُكَاءِ، وَكَانَ يَعِظُ، فَيَحْضُرُ مَجْلِسَهُ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ فَيَقُولُ: هَذَا نَذِيرُ قَوْمٍ. وَقَدِ اسْتَدْعَاهُ الْمَهْدِيُّ لِيَحْضُرَ عِنْدَهُ، فَجَاءَ رَاكِبًا عَلَى حِمَارٍ، فَدَنَا مِنْ بِسَاطِ الْخَلِيفَةِ، فَأَمَرَ الْمَهْدِيُّ ابْنَيْهِ - وَلِيَّيِ الْعَهْدِ; مُوسَى الْهَادِيَ وَهَارُونَ الرَّشِيدَ - فَابْتَدَرَا إِلَيْهِ لِيُنْزِلَاهُ عَنْ دَابَّتِهِ، فَأَقْبَلَ صَالِحٌ عَلَى نَفْسِهِ فَقَالَ: لَقَدْ خِبْتُ وَخَسِرْتُ إِنْ كُنْتُ عَمِلْتُ لِهَذَا الْيَوْمِ. ثُمَّ جَلَسَ إِلَى الْمَهْدِيِّ، فَوَعَظَهُ فَقَالَ لَهُ: اعْلَمْ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
পৃষ্ঠা - ৮২০৫
নসীহত করতেন ৷ সুফিয়ান অড়াস-সাওরী ও অন্য আলিমগণ তার মজলিসে উপস্থিত হতেন ৷ তিনি
বলতেন, এ সুফিয়ান হলেন সম্প্রদায়ের ভীতি প্রদর্শনকারী ৷ একদিন খলীফা আল-মাহদী তাকে
নিজের কাছে ডোকছিলেন ৷ তিনি গাধায় সওয়ার হয়ে তার কাছে আগমন করলেন ৷ নওয়াব
অবস্থায় তিনি খলীফার বিছানার অতি নিকটে পৌছে যান তখন খলীফা তার দৃ’পুত্রকে একজন
তার পরে যুবরাজ মুসা আল-হাদী ও অন্যজন হারুনুর রশীদ তাকে সাওয়ারী থেকে নামিয়ে
আনার জন্য এগিয়ে যাবার হুকুম দিলেন ৷ তারা এগিয়ে গেলেন ও তাকে নামিয়ে নিয়ে আসলেন ৷
তখন সালিহ নিজেকে লক্ষ্য করে বলতে লাগভৈলন, তুমি ধ্বংস হয়ে ৫গছ ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যদি
আজকে আমি তোষামােদের আশ্রয় নেই এবং আজকের দািন এ জায়গায় সত্য প্রকাশ না করি ৷
তারপর তিনি আল-মাহদীর কাছে উপবিষ্ট হন এবং তাকে উচ্চস্তরের নসীহত করেন এমনকি
তাকে ক্রন্দন করতে বাধ্য করলেন ৷ এরপর তাকে বললেন, “তুমি জেনে রেখো , উম্মতের মধ্যে
যে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর বিরোধিতা করে তাকে তিনি শত্রু মনে করেন ৷ যাকে ঘুহথোদুর রাসুলুল্লাহ্
(সা) শত্রু মনে করেন তাকে আল্লাহ্ তাআলা শত্রু মনে করেন ৷ সুতরাং আল্লাহর শত্রুতা ও
রাসুলের শত্রুতা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কয়েক বছর ধরে প্রস্তুতি নাও যা তোমার নাজাতের
জামিন হবে অন্যথায় ধ্বংসের জন্য প্রস্তুত হয়ে যাও ৷ জেনে রেখো, যদি শাস্তি বিলম্ব হয় যেমন
ৰিদআতে লিপ্ত শাস্তির যোগ্য ,ব্যক্তির ক্ষেত্রে হয়ে থাকে তাহলে আরো জেনে রেখো , নিশ্চয়ই
অহ্বল্লাহ্ তাআলা তার বান্দাদের উপর প্রতাপাম্বিত ৷ মানব জাতির মধ্যে সুদৃঢ় পদ ব্যক্তি হলেন
তারা যারা আল্লাহর কিতাব ও রাসুল (সা) এর সুন্নাতকে আকড়ে ধরেছেন ৷ এভাবে দীর্ঘ বক্তৃতা
করলেন ৷ তারপর আল-মাহদী ক্রন্দন করেন এবং এ বক্তব্য তার রেজিস্টার বইতে লিখে রাখার
জন্য নির্দেশ প্রদান করলেন ৷
এ বছরই আবদুল মালিক ইবন মুহাম্মদ ইবন মুহাম্মদ ইবন আবু বকর আমর ইবন হাযম
ইনতিকাল করেন ৷ তিনি ইরাকে কাযী হিসেবে আগমন করেন ৷ এ বছর ফারজ ইবন ফুযালা
আত-তানােখী আল-হিমসী ইনতিকাল করেন ৷ তিনি আর-রশীদের খিলাফতের আমলে ৰাগদাদে
বায়তৃল মালে কোষাধ্যক্ষ ছিলেন ৷ তার জন্ম ছিল ৮৮ সালে ৷ আর তিনি ৮৮ বছর বয়সে
ইনতিকাল করেন ৷ তার কৃতিত্পুর্ণ কার্যকলাপের অন্যতম হল : একদিন আল-মানসুর তার
সোনালী প্রাসাদে প্রবেশ করেন ৷ উপস্থিত সকলে র্দাড়ালেন কিন্তু ফারজ ইবন ফুযালা দীড়ালেন
না ৷ খলীফা রাগানিত হলেন এবং তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কেন দীড়ালে না ? তিনি বললেন,
আমি ভয় করছি আল্লাহ তাআলা আমাকে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবেন এবং আপনাকেও জিজ্ঞাসা
করবেন যে ভুমি এটাতে কেন রাষী ছিলে ? রাসুলুল্লাহ্ (সা) কারো জন্য জনগণের দীড়ানােকে
পসন্দ করতেন না ৷ বর্ণনাকারী বলেন, মানসুর তখন র্কাদলেন, তাকে নিকটে ডেকে নিলেন ও
তার প্রয়োজন পুর্ণ করলেন ৷ আবু সালামা আল-মুসায়্যাব ইবন যুহায়র ইবন আমর আদ-দাববী এ
বাগদাভৈদর পুলিশসৃপার ছিলেন ৷ তিনি একবার আল-মাহদীর যুগে খুরাসানের শাসনকর্তা ছিলেন ৷
তিনি ৯৬ বছর জীবিত ছিলেন ৷ আবুআওয়ানা আল-ওয়াদ্দাই ইবন আবদুল্লাহ আস-সারী ছিলেন
বর্ণনাকারী শায়খদের অন্যতম ইমাম ৷ তিনি এ বছরই ইনতিকাল করেন ৷ তিনি ৮০ বছর
অতিক্রম করেছিলেন ৷
আলবিদায়া ওয়ান নিহায়া ( ১ :ম খণ্ড) ৩৮
خَصَمَ مَنْ خَالَفَهُ فِي أُمَّتِهِ، وَمَنْ كَانَ مُحَمَّدٌ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَصْمَهُ كَانَ اللَّهُ خَصْمَهُ، فَأَعِدَّ لِمُخَاصَمَةِ اللَّهِ وَمُخَاصَمَةِ رَسُولِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حُجَجًا تَضْمَنُ لَكَ النَّجَاةَ، وَإِلَّا فَاسْتَسْلِمْ لِلْهَلَكَةِ، وَاعْلَمْ أَنَّ أَبْطَأَ الصَّرْعَى نَهْضَةً صَرِيعُ هَوًى يَدَّعِي إِلَى اللَّهِ قُرْبَةً، وَأَنَّ أَثْبَتَ النَّاسِ قَدَمًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ آخِذُهُمْ بِكِتَابِ اللَّهِ وَسُنَّةِ رَسُولِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فِي كَلَامٍ طَوِيلٍ، فَبَكَى الْمَهْدِيُّ، وَأَمَرَ بِكِتَابَةِ ذَلِكَ الْكَلَامِ فِي دَوَاوِينِهِ.
وَعَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ، قَدِمَ قَاضِيًا بِالْعِرَاقِ فَمَاتَ فِي هَذَا الْعَامِ.
فَرَجُ بْنُ فَضَالَةَ الْحِمْصِيُّ التَّنُّوخِيُّ، كَانَ عَلَى بَيْتِ الْمَالِ بِبَغْدَادَ فِي خِلَافَةِ الرَّشِيدِ، فَتُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ، وَكَانَ مَوْلِدُهُ سَنَةَ ثَمَانٍ وَثَمَانِينَ فَمَاتَ وَلَهُ ثَمَانٍ وَثَمَانُونَ سَنَةً.
وَمِنْ مَنَاقِبِهِ أَنَّ الْمَنْصُورَ دَخَلَ يَوْمًا إِلَى قَصْرِ الذَّهَبِ، فَقَامَ النَّاسُ إِلَّا الْفَرَجُ بْنُ فَضَالَةَ، فَقَالَ لَهُ وَقَدْ غَضِبَ عَلَيْهِ: لِمَ لَمْ تَقُمْ؟! فَقَالَ: خِفْتُ أَنْ يَسْأَلَنِي اللَّهُ عَنْ ذَلِكَ، وَيَسْأَلَكَ لِمَ رَضِيتَ بِذَلِكَ وَقَدْ كَرِهَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ قَالَ: فَبَكَى الْمَنْصُورُ، وَقَرَّبَهُ بِهِ وَقَضَى حَوَائِجَهُ.
পৃষ্ঠা - ৮২০৬
الْمُسَيَّبُ بْنُ زُهَيْرِ بْنِ عَمْرٍو أَبُو مُسْلِمٍ الضَّبِّيُّ، كَانَ وَالِيَ الشُّرْطَةِ بِبَغْدَادَ فِي أَيَّامِ الْمَنْصُورِ وَالْمَهْدِيِّ وَالرَّشِيدِ، وَوَلِيَ خُرَاسَانَ مَرَّةً لِلْمَهْدِيِّ. وَكَانَتْ وَفَاتُهُ فِي هَذِهِ السَّنَةِ عَنْ سِتٍّ وَسَبْعِينَ سَنَةً.
الْوَضَّاحُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ أَبُو عَوَانَةَ الْيَشْكُرِيُّ مَوْلَاهُمْ، كَانَ مِنْ أَئِمَّةِ الْمَشَايِخِ فِي الرِّوَايَةِ. تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ وَقَدْ جَاوَزَ الثَّمَانِينَ.