আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة إحدى وسبعين ومائة

পৃষ্ঠা - ৮১৮২

একদিন আমি তাকে বললাম, এ করিতাটিকে তুমি কেমন করে উলঘুল উরুক্রুদর বিভিন্ন ওযনে
চিহ্নিত করবে ?

৷ ৰুা
অর্থাৎ “যখন তুমি কো ন একটি বস্তু বা কা জ সম্পাদন করতে না পার তখন তা ছেড়ে দাও ৷
আর ৷যেটা তুমি সম্পাদন করতে পারবে সেটার দিকে ধ ৷বিত হও ৷”

তখন তিনি তার জ্ঞান অনুযায়ী এটাকে চিহ্নিত করার জন্য আমার সাথে বসে গেলেন ৷
এরপর আমার কাছ থেকে উঠে গেলেন আর ফিরে আসলেন না ৷ মনে হয় যেন আমি যেটার
দিকে ইঙ্গিত করেছি সেট৷ তিনি বুঝতে পেরােছন ৷ আরো কথিত আছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (না) এর
পর আজ পর্যন্ত তার পিতা ব্যতীত অন্য কারো নাম আহমদ রাখ৷ হয়নি ৷ এ তথ্যটি আহমদ ইবন
আবু খায়ছামা থেকে বর্ণিত হয়েছে ৷ আল্লাহ্ অধিক পরিজ্ঞাত ৷

আল খলীল ১০০ হিজরীতে জন্মগ্রহণ করেন এবং প্রসিদ্ধ মতে ১৭০ হিজরীতে বসরায়
ইনতিকা ৷ল করেন ৷ কেউ কেউ বলেন, ১৬০ হিজরীতে ৩৷ ইবনুল জাওযী শুযুরুল উকুদ নামক তরা
কিভাবে লিখেন যে, তিনি ১৩০ হিজরীতে ইননিক ল করেন ৷ এ মতটি অত্যন্ত অভিনব ৷ আর
প্রথমটি প্রসিদ্ধ ৷

এ বছরই আর-রাবী ইবন সুলায়মান ইবন আবদুল জব্বার ইবন কামিল আল মুরাদী
আল-মিসরী ইনতিকাল করেন ৷ তিনি একজন সুসাহিত্যিক ছিলেন ৷ ইমাম শাফিঈ (র) থেকে
বর্ণনা করেন ৷ তিনিই ছিলেন শেষ ব্যক্তি যিনি ইমাম শাফিঈ (র) থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি
একজন সৎ ব্যক্তি ছিলেন ৷ ইমাম শাফিঈ (র) তীর সম্বন্ধে উচ্চ ধারণা পোষণ করতেন ৷
আল-বুওয়ায়ভী, আল-মুযানী এবং ইবন আবদুল হাকাম সম্বন্ধেও ইমাম শাফিঈ (র) উচ্চ ধারণা
পোষণ করতেন ৷ আর বাস্তবেও তার৷ জ্ঞানের আধার ছিলেন ৷ আর-রাবীর কবিতা থেকে নিম্নের
উদ্ধৃতিটি প্রণিধ৷ ৷নযােগ্য :


অর্থাৎ “পরম ধৈর্য ক৩ইি না দ্রুত মুসীবত হতে মুক্তি দান করে ৷ যে ব্যক্তি তার যাবতীয়
ব্যাপারে আল্লাহ্র প্রতি বিশ্বাস রাখে সে পরিত্রাণ পায় ৷ আর যে ব্যক্তি অ ৷ল্লাহ্কে ভয় করে তাকে
কোন দুঃখ-কষ্ট স্পর্শ করতে পারে না ৷ যে আল্লাহ্র প্রতি আশা ভরসা করে সে তার আশা ভরসা
পরিপুর্ণ পায় ৷”

আর-রাবী ইবন সুলায়মান ইবন দাউদ আল-জীসী ইমাম শাফিঈ (র) থেকেও বর্ণনা করেন ৷
তিনি দু’শত ছাপ্পান্ন হিজরীতে ইনতিকাল করেন ৷ আল্লাহ অধিক পরিজ্ঞাত ৷

১ ৭১ হিজরীর আগমন
এ বছর আর-রশীদ ইয়াহ্ইয়৷ ইবন খালিদকে ওযীর নিয়োগ করেন ৷ আর এ বছর খলীফা


[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ إِحْدَى وَسَبْعِينَ وَمِائَةٍ] فِيهَا أَضَافَ الرَّشِيدُ الْخَاتَمَ إِلَى يَحْيَى بْنِ خَالِدٍ مَعَ الْوِزَارَةِ. وَفِيهَا قَتَلَ الرَّشِيدُ أَبَا هُرَيْرَةَ مُحَمَّدَ بْنَ فَرُّوخٍ نَائِبَ الْجَزِيرَةِ صَبْرًا فِي قَصْرِ الْخُلْدِ بَيْنَ يَدَيْهِ. وَفِيهَا خَرَجَ الْفَضْلُ بْنُ سَعِيدٍ الْحَرُورِيُّ فَقُتِلَ. وَفِيهَا قَدِمَ رَوْحُ بْنُ حَاتِمٍ إِفْرِيقِيَّةَ. وَخَرَجَتْ أُمُّ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ الْخَيْزُرَانُ إِلَى مَكَّةَ، فَأَقَامَتْ بِهَا حَتَّى شَهِدَتِ الْحَجَّ، وَكَانَ الَّذِي حَجَّ بِالنَّاسِ عَمُّ الْخُلَفَاءِ عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، رَحِمَهُ اللَّهُ، وَأَكْرَمَهُ، وَتَقَبَّلَ مِنْهُ.