আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة سبعين ومائة من الهجرة النبوية

পৃষ্ঠা - ৮১৭২


আল-হাদাছ পর্যন্ত পৌছে যায় ৷ এ বছর যীরড়া ইনতিকাল করেন তাদের কয়েকজন হলেন : আল
হুসায়ন ইবন আলী ইবন হাসান ইবন হাসান ইবন হাসান ইবন আলী ইবন আবু তালিব-
তাশরীকের দিনগুলােতে তিনি নিহত হন ; আল-মানসুরের আযড়াদকৃত গোলাম ও দারােয়ান
আর-রাবী ইবন ইউনুস ৷ তিনি খলীফার ওযীরও ছিলেন আবার দারোয়ানও ছিলেন ৷ তিনি
আল-মাহদী ও আল-হাদী উভয়ের দপ্তরে কাজ করেন ৷ কেউ কেউ তার বংশধারায় অপবাদ দেয় ৷
আল-খাতীব তার জীবনীতে তার বর্ণিত একটি হাদীস উপস্থাপন করেন ৷ তবে এটা মুনকার হাদীস
হিসেবে গণ্য ৷ যার শুদ্ধতায়সন্দেহ পোষণ করা হয়ে থাকে ৷ তারপরে দারােয়ানের দায়িত্ব পায়
তীর সন্তান আল-ফযল ইবন রাবী ৷ আল-হাদী তাকে এ পদে নিযুক্ত করেন ৷

১ ৭০ হিজ়রীর আগমন

এ বছর আল-হাদী তার ভাই হারুনুর রশীদকে খিলাফত থেকে বাদ দিয়ে তার পুত্র জাফর
ইবন আল-হাদীকে যুবরাজ নিয়োগ করার জন্য সংকল্প করেন ৷ হারুন এ ব্যাপারে আনুগত্য স্বীকার
করেন ৷ তিনি কোন প্রকার বিরোধিতা প্রকাশ করেননি বরং তিনি হীবােচক উত্তর দেন ৷ আল-হাদী
আমীরদের একটি দলকে এ ব্যাপারে আহ্বান করেন ৷ তারা এ ব্যাপারে তার ডাকে সাড়া দেন
কিন্তু তাদের মাতা আল-খায়যুরান তা মানতে অস্বীকার করেন ৷ তিনি তার পুত্র হারুনুর রশীদের
প্রতি স্বীয় পুত্র মুসা থেকে অধিক আকৃষ্ট ছিলেন ৷ কিন্তু আল-হাদী খিলাফতের প্রাথমিক অবস্থায়
নিজ পক্ষ সুদৃঢ় করার পর তাকে রাজ্য শাসনের ব্যাপারে কোন প্রকার মধ্যন্থতা করতে নিষেধ
করেছিলেন ৷ রাজ্যগুলো ও আমীরগণের মধ্যে পরিবর্তন সাধিত হয়েছে ৷ এরপর আলহাদী শপথ
করেন যদি কোন আমীর তার পদ ছেড়ে দিয়ে রাজধানীতে ফিরে আসে তাহলে তাকে হত্যা করা
হবে ৷ আর তার ব্যাপারে কোন প্রকার সুপারিশ কবুল করা হবে না ৷ আল-খড়ায়যুরান এ ব্যাপারে
কোন কথা বলা থেকে বিরত রইলেন আর শপথ করলেন, আল-হাদীর সাথে কখনও কথা বলবেন
না ৷ তিনি তার নিকট থেকে অন্য এক বাসন্থানে চলে গেলেন ৷ আর এদিকে আল-হাদী তার ভইি
হারুনের পদচ্যুতির ব্যাপারে জেদ ধরলেন ৷ ইয়াহ্ইয়া ইবন খালিদ ইবন রারমাকের কাছে লোক
প্রেরণ করেন ৷ তিনি ছিলেন ঐ প্রবীণ আমীরদের অন্যতম যারা ছিলেন আর রশীদের কাতারের
লোক ৷ তিনি তাকে জিজ্ঞাসা করেন, হারুনের পদচ্যুতি ও আমার পুত্র জাফরের নিযুক্তির ব্যাপারে
তোমার অভিমত কী ? খালিদ তাকে বললেন, আমার আশংকা হচ্ছে আপনি জনগণের উপর
নিরাপত্তাকে সহজ করতে পারবেন তবে কল্যাণকর মনে হচ্ছে যে আপনি জাফরকে হারুনের পর
যুবরাজ করেন ৷ আর এটাও আমি আশংকা করছি যে অধিকাংশ ণ্লাকা জাফরের বায়আতে সাড়া
দেবে না ৷ কেননা তিনি এখন বড়ালেগ হননি ৷ ব্যাপারটি জটিল আকার ধারণ করবে এবং জনগণ
মতবিরোধের আশ্রয় নেবে ৷ এরপর তিনি কিছুক্ষণ চুপ করে রইলেন ৷ আর এটা ছিল রাতের
বেলা ৷ এরপর তিনি তাকে কারাগারে নিক্ষেপ করার হুকুম দেন ৷ পরে তাকে ছেড়ে দেন ৷

একদিন আল-হাদীর কাছে তার ভইি হারুন আগমন করলেন এবং তার ডান পাশে দুরে
বললেন ৷ আল-হাদী তার পানে কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইলেন ৷ এরপর বললেন, হে হারুন ৷ তুমি কি
প্রকৃতপক্ষে যুবরাজ হওয়ার আশা পোষণ করছ ? তিনি বলেন, ছুদ্রড়া, আল্লাহর শপথ ! যদি এটা
আমার জন্য বাস্তবায়িত হয় তাহলে আপনি যার সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করেছেন আমি তার সাথে
অবশ্যই ঘনিষ্টতা রক্ষা করব ৷ আপনি যদি কারো উপর যুলুম করে থাকেন তাহলে আমি তার


[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ سَبْعِينَ وَمِائَةٍ مِنَ الْهِجْرَةِ النَّبَوِيَّةِ] [الْأَحْدَاثُ الَّتِي وَقَعَتْ فِيهَا] فِيهَا عَزَمَ الْهَادِي عَلَى خَلْعِ أَخِيهِ هَارُونَ مِنَ الْخِلَافَةِ، وَوِلَايَةِ الْعَهْدِ مِنْ بَعْدِهِ وَمُبَايَعَةِ ابْنِهِ جَعْفَرٍ ابْنِ الْهَادِي، فَانْقَادَ هَارُونُ لِذَلِكَ، وَلَمْ يُظْهِرِ الْمُنَازَعَةَ بَلِ الْمُطَاوَعَةَ، وَاسْتَدْعَى الْهَادِي جَمَاعَةٌ مِنَ الْأُمَرَاءِ، فَأَجَابُوهُ إِلَى ذَلِكَ، وَأَبَتْ ذَلِكَ أُمُّ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ الْخَيْزُرَانُ، وَكَانَتْ أَمْيَلَ إِلَى ابْنِهَا هَارُونَ الرَّشِيدِ، وَكَانَ الْهَادِي قَدْ مَنَعَهَا التَّصَرُّفَ فِي شَيْءٍ مِنَ الْمَمْلَكَةِ، بَعْدَ مَا كَانَتْ قَدِ اسْتَحْوَذَتْ عَلَيْهِ فِي أَوَّلِ وِلَايَتِهِ، وَانْقَلَبَتِ الدُّوَلُ إِلَى بَابِهَا، وَالْأُمَرَاءُ إِلَى جَانِبِهَا فَحَلَفَ الْهَادِي لَئِنْ عَادَ أَمِيرٌ يَلُوذُ بِبَابِهَا لَيَضْرِبَنَّ عُنُقَهُ، وَلَا يَقْبَلُ لَهَا شَفَاعَةً أَبَدًا، فَامْتَنَعَتْ مِنَ الْكَلَامِ فِي ذَلِكَ، وَحَلَفَتْ لَا تُكَلِّمُهُ أَبَدًا، وَانْتَقَلَتْ عَنْهُ إِلَى مَنْزِلٍ آخَرَ، وَأَلَحَّ هُوَ عَلَى أَخِيهِ هَارُونَ فِي الْخَلْعِ، وَبَعَثَ إِلَى يَحْيَى بْنِ خَالِدِ بْنِ بَرْمَكَ - وَكَانَ مِنْ أَكَابِرَ الْأُمَرَاءِ الَّذِينَ هُمْ فِي صَفِّ الرَّشِيدِ - فَقَالَ لَهُ: مَاذَا تَرَى فِيمَا أُرِيدُ مَنْ خَلْعِ الرَّشِيدِ، وَتَوْلِيَةِ ابْنِي جَعْفَرٍ؟ فَقَالَ لَهُ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، إِنِّي أَخْشَى أَنْ تَهُونَ الْأَيْمَانُ عَلَى النَّاسِ، وَلَكِنْ مِنَ الْمَصْلَحَةِ أَنْ تَجْعَلَ جَعْفَرًا وَلِيَّ الْعَهْدِ مِنْ بَعْدِ هَارُونَ، وَأَيْضًا يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، فَإِنِّي أَخْشَى أَنْ لَا يُجِيبَ أَكْثَرُ النَّاسِ إِلَى الْبَيْعَةِ لِجَعْفَرٍ; وَهُوَ دُونُ الْبُلُوغِ، فَيَتَفَاقَمَ الْأَمْرُ وَيَخْتَلِفَ النَّاسُ فَيَنَالَهَا بَعْضُ أَهْلِكَ، لَا هَذَا وَلَا هَذَا.
পৃষ্ঠা - ৮১৭৩
فَأَطْرَقَ مَلِيًّا - وَكَانَ ذَلِكَ لَيْلًا - ثُمَّ أَمَرَ بِسَجْنِهِ، ثُمَّ أَطْلَقَهُ. وَجَاءَ يَوْمًا إِلَيْهِ أَخُوهُ هَارُونُ الرَّشِيدُ، فَجَلَسَ عَنْ يَمِينِهِ بَعِيدًا عَنْهُ، فَجَعَلَ الْهَادِي يَنْظُرُ إِلَيْهِ مَلِيًّا ثُمَّ قَالَ: يَا هَارُونُ، أَتَطْمَعُ أَنْ تَكُونَ رُؤْيَا الْمَهْدِيِّ حَقًّا؟ فَقَالَ: إِي وَاللَّهِ، وَوَاللَّهِ لَئِنْ كَانَ ذَلِكَ لَأَصِلَنَّ مَنْ قَطَعْتَ، وَلَأُنْصِفَنَّ مَنْ ظَلَمْتَ، وَلَأُزَوِّجَنَّ بَنِيكَ مِنْ بَنَاتِي. فَقَالَ: ذَاكَ الظَّنُّ بِكَ. فَقَامَ إِلَيْهِ هَارُونُ لِيُقَبِّلَ يَدَهُ، فَحَلَفَ الْهَادِي لَيَجْلِسَنَّ مَعَهُ عَلَى السَّرِيرِ، فَجَلَسَ مَعَهُ، ثُمَّ أَمَرَ لَهُ بِأَلْفِ أَلْفِ دِينَارٍ، وَأَنْ يَدْخُلَ الْخَزَائِنَ فَيَأْخُذَ مِنْهَا مَا أَرَادَ، وَإِذَا جَاءَ الْخَرَاجُ فَلْيُدْفَعْ إِلَيْهِ نِصْفُهُ. فَفُعِلَ ذَلِكَ كُلُّهُ، وَرَضِيَ الْهَادِي عَنِ الرَّشِيدِ. ثُمَّ سَافَرَ إِلَى حَدِيثَةِ الْمَوْصِلِ بَعْدَ ذَلِكَ، ثُمَّ عَادَ مِنْهَا، فَمَاتَ بِعِيسَابَاذَ لَيْلَةَ الْجُمْعَةِ لِلنِّصْفِ مِنْ رَبِيعٍ الْأَوَّلِ - وَقِيلَ: الْآخَرُ - سَنَةَ سَبْعِينَ وَمِائَةٍ. وَلَهُ مِنَ الْعُمْرِ ثَلَاثٌ وَعِشْرُونَ سَنَةً، وَكَانَتْ خِلَافَتُهُ سَنَةً وَشَهْرًا وَثَلَاثَةً وَعِشْرِينَ يَوْمًا. وَكَانَ طَوِيلًا جَمِيلًا أَبْيَضَ بِشَفَتِهِ الْعُلْيَا تَقَلُّصٌ. وَقَدْ تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ اللَّيْلَةِ خَلِيفَةٌ، وَهُوَ الْهَادِي، وَوَلِيَ خَلِيفَةٌ، وَهُوَ الرَّشِيدُ، وَوُلِدَ خَلِيفَةٌ، وَهُوَ الْمَأْمُونُ ابْنُ الرَّشِيدِ. وَقَدْ كَانَتِ الْخَيْزُرَانُ أُمُّ الْخَلِيفَةِ قَالَتْ فِي أَوَّلِ اللَّيْلِ: إِنَّهُ بَلَغَنِي أَنَّهُ يُولَدُ اللَّيْلَةَ خَلِيفَةٌ، وَيَمُوتُ خَلِيفَةٌ، وَيَتَوَلَّى خَلِيفَةٌ. يُقَالُ: إِنَّهَا سَمِعَتْ ذَلِكَ مِنَ الْأَوْزَاعِيِّ قَبْلَ ذَلِكَ بِمُدَّةٍ، وَقَدْ سَرَّهَا ذَلِكَ جِدًّا. وَيُقَالُ: إِنَّهَا سَمَّتِ وَلَدَهَا الْهَادِيَ خَوْفًا عَلَى ابْنِهَا الرَّشِيدِ مِنْهُ، وَأَيْضًا فَإِنَّهُ
পৃষ্ঠা - ৮১৭৪


সাথে ন্যায্য আচরণ করব ৷ আমার মেয়েদের সাথে আপনার পুত্রের বিয়ের অনুমতি দেব ৷
আল-হাদী বললেন, এটা তোমার খেয়াল মাত্র ৷ তখন হারুন তার হাতে চুম্বন করার জন্য তার
দিকে এগিয়ে গেলেন ৷ তখন আল-হাদী শপথ করেন যেন হারুন তার সাথে সিংহাসনে বসেন ৷
তখন তিনি তার সাথে বসেন ৷ এরপর তাকে দশ লক্ষ দীনার প্রদানের নির্দেশ দেন ৷ আর তাকে
অনুমতি ম্পো৫দন তিনি যেন বায়তৃল মালে প্রবেশ করে সেখান থেকে যা ইচ্ছা সংগ্রহ করেন ৷ আর এ
নির্দেশও জারি করা হয় যে, যখন সরকারের আদায়কৃত শুল্ক ও কর রাজধানীতে পৌছবে তখন
অর্ধেক পরিমাণ যেন তাকে প্রদান করা হয় ৷ এসব হুকুমের সবট ই পালন করা হল এবং
আল-হাদী ও আর রশীদের প্রতি সন্তুষ্ট আছেন বলে প্রকাশ করলেন ৷ মীমাৎস ৷র পর আধুনিক
মাওসিলে আল-হাদী ভ্রমণ করেন ৷ এরপর সেখান থেকে ৫ফবত আসেন এবং রবীউল আউয়াল
মাসের ১৫ তারিখ জ্যাআর রাত ঈসাবাদে তিনি ইনতিকা ৷ল করেন ৷ কেউ কেউ বলেন, একশ
সত্তর হিজরীর ৫শ্ ৷ংষা শে তিনি ইনতিকা ৷ল করেন ৷ তখন তার বয়স ছিল ২৩ বছর ৷ ৷খলাফ৫তর
সময়কাল ছিল ছয় মাস ৫তইশ দিন ৷ তিনি ছিলেন লম্বা ,সুন্দর ও সাদা ৷৩ তার উপরের ৫ঠীট ছিল
পাতলা ৷ এ রাতে একজন খলীফ৷ ৷(আ ল-হাদী) ইনতিকা ৷ল করেন , একজন খলীফ৷ (আর-রশীদ)
নিয়োগপ্রাপ্ত হন এবং একজন খলীফ৷ জন্মগ্রহণ করেন ৷ তিনি হলেন আল-মামুন ইবন
আর-রশীদ ৷ তাদের মাতা আল খায়যুরান রাতের প্রথম ভাগে বলেন, আমার কাছে স ৎরাদ
পৌছেছে যে একজন খলীফ৷ জন্ম ৫নবে, একজন খলীফ৷ মৃতু ত্যুমুখে পতিত হবে এবং একজন
খলীফ৷ নিয়ােগপ্রাপ্ত হবেন ৷ কথিত আছে যে,৩ তা তিনি বহু পুর্বে আল আওযাঈ (র) থেকে
শু৫নন ৷ আর তিনি তা অত্যন্ত গোপন রাখেন ৷ বর্ণনাকারী বলেন, নিশ্চয়ই তিনি তার যে সন্তানের
নাম ৫রখেছিলেন আল-হাদী তাকে তার অন্য পুত্রের জন্য ভয় করতেন ৷ আর তিনিও তাকে দুরে
রাখতেন এবং তার থেকে দুরে থাকতেন ৷ তার র্বীদী খালিসাকে নৈকট্য দান করতেন ও তার
নিকটে থাকতেন ৷

আল-হাদীর জীবনীর কিছু অংশ
তিনি ছিলেন আবু মুহাম্মদ মুসা ইবন মুহাম্মদ আল-মাহদী ইবন আবদুল্লাহ্ আল-মানসুর ইবন
মুহাম্মদ ইবন আলী ইবন আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস আল-হাদী ৷ একশ উনসত্তর হিজরীর মুহাররম
মাসে তিনি খিলাফতের শাসনভার গ্রহণ করেছিলেন এবং একশ সত্তর হিজরীর রবীউল আউয়াল
কিংবা রবীউছ ছানী মাসের ১৫ তারিখ ইনতিকাল করেন ৷ তার বয়স ছিল ৫তইশ বছর ৷ কেউ
কেউ বলেন, চব্বিশ বছর ৷ আবার কেউ কেউ বলেন, ছাব্বিশ বছর ৷ প্রথম মত টি বিশুদ্ধ ৷
কথিত আছে যে, তার মতো এত কম বয়সে৩ তার পুর্বে কেউ ৷খলাফ৫তর৷ দ ৷য়িতুভ৷ ৷র গ্রহণ করতে
পারেনি ৷৩ তিনি ছিলেন লম্বা চওড়া, খুব সুন্দর ও সাদা ৷৩ তিনি ছিলেন প্রচুর শক্তির অধিকারী ৷ যখন
তিনি কোন জানােয়ারের উপর সওয়ার হতেন৩ তার গায়ে দুটো বর্ষ থাকত ৷ তার পিতা তার নাম
৫রখেছিলেন রায়হানা ৷নাতী ৷
ঈসা ইবন দাব উল্লেখ করেন ৷ তিনি বলেন, একদিন আমি আল-হাদীর কাছে ছিলাম ৷ তার
সামনে একটি চিলমচি আনা হল, তার মধ্যে ছিল দুটি তরুণীর মাথা ৷ তাদেরকে যবাহ করা

হয়েছে এবং মাথাগু৫লা ৫ক৫ট আনা হয়েছে ৷ এর থেকে অধিক সুন্দর ছবি আর ৫দখিনি ৷ তাদের

চুলের মত এত সুন্দর চুলও আর ৫দখিনি ৷ তাদের দু’জনের চুলে ছিল মুক্ত৷ ও মুল্যবান পাথর

০০ ৷৷া



كَانَ قَدْ أَبْعَدَهَا وَأَقْصَاهَا، وَقَرَّبَ حَظِيَّتَهُ خَالِصَةَ وَأَدْنَاهَا. فَاللَّهُ الْمُسْتَعَانُ. [وَهَذَا ذِكْرُ شَيْءٍ مِنْ تَرْجَمَةِ الْهَادِي] هُوَ مُوسَى بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، أَبُو مُحَمَّدٍ الْهَادِي أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ ابْنُ الْمَهْدِيِّ ابْنِ الْمَنْصُورِ. وَلِيَ الْخِلَافَةَ - كَمَا ذَكَرْنَا - فِي مُحَرَّمٍ سَنَةَ تِسْعٍ وَسِتِّينَ وَمِائَةٍ. وَكَانَتْ وَفَاتُهُ فِي النِّصْفِ مِنْ رَبِيعٍ الْأَوَّلِ أَوِ الْآخِرِ سَنَةَ سَبْعِينَ وَمِائَةٍ، وَلَهُ مِنَ الْعُمْرِ ثَلَاثٌ - وَقِيلَ أَرْبَعٌ. وَقِيلَ: سِتٌّ - وَعِشْرُونَ سَنَةً. وَالصَّحِيحُ الْأَوَّلُ، وَيُقَالُ: إِنَّهُ لَمْ يَلِ الْخِلَافَةَ أَحَدٌ قَبْلَهُ فِي سِنِّهِ. وَكَانَ حَسَنًا جَمِيلًا طَوِيلًا أَبْيَضَ، فِي شَفَتِهِ الْعُلْيَا تَقَلُّصٌ، وَكَانَ قَوِيَّ الْبَأْسِ يَثِبُ عَلَى الدَّابَّةِ وَعَلَيْهِ دِرْعَانِ، وَكَانَ أَبُوهُ يُسَمِّيهِ رَيْحَانَتِي. وَذَكَرَ عِيسَى بْنُ دَأَبٍ قَالَ: كُنْتُ يَوْمًا عِنْدَ الْهَادِي، إِذْ جِيءَ بِطَسْتٍ فِيهِ رَأْسَا جَارِيَتَيْنِ، لَمْ أَرَ أَحْسَنَ مِنْهُمَا، وَلَا مِثْلَ شُعُورِهِمَا، وَفِي شُعُورِهِمَا اللَّآلِئُ وَالْجَوَاهِرُ مُنَضَّدَةً، وَلَا مِثْلَ طِيبِ رِيحِهِمَا، فَقَالَ: أَتَدْرُونَ مَا شَأْنُ هَاتَيْنِ؟ قُلْنَا: لَا. فَقَالَ: إِنَّهُ ذُكِرَ لِي عَنْهُمَا أَنَّهُمَا يَرْتَكِبَانِ الْفَاحِشَةَ، فَأَمَرْتُ الْخَادِمَ، فَرَصَدَهُمَا ثُمَّ جَاءَنِي فَقَالَ: إِنَّهُمَا مُجْتَمِعَتَانِ. فَجِئْتُ فَوَجَدْتُهُمَا فِي لِحَافٍ وَاحِدٍ وَهُمَا عَلَى
পৃষ্ঠা - ৮১৭৫


স্তরে স্তরে সাজানো ৷ আর এ দু’জনের সুগন্ধির ন্যায়ও সুগন্ধি আমি আর কোন দিন দেখিনি ৷
আমাকে খলীফ৷ বললেন, তুমি কি এ দু’জনের অবস্থা সম্পর্কে জান ? আমি বললাম, না’ ৷ তিনি
বললেন, উল্লেখ করা হয়েছে যে, তাদের একজন অন্যজনের উপরে চড়েছিল ৷ তারা দু’জনে
অশ্লীল কাজ করছিল ৷ আমি আমার খাদিমকে হুকুম দিলাম, সে যেন তাদের ওৎ পেতে দেখে ৷
খাদিম বলল, ত ৷রা দু জলে মিলিত ৩হয়ে রয়েছে ৷ আমি এগিয়ে পেলাম; তাদেরকে একই লেপের
ভিতর দেখতে পেলাম তা রা৷ অশ্লীল কাজে লিপ্ত ছিল ৷ তাই আমি তাদের দুজনের গর্দান কর্তনের
হুকুম দিলাম ৷ এরপর তাদের মাথাগুলো তার সামনে থেকে নিয়ে যাওয়ার জন্য হুকুম দিলেন ৷
তিনি তার পুর্বের কথায় ফিরে আসলেন ৷ মনে হল যেন ই৩ ত্যবসরে কিছুই ঘটেনি ৷ তিনি ছিলেন
বুদ্ধিমান, দেশ সম্পর্কে পারদর্শী ও দা ৷নশীল ৷ তিনি বলতেন, অপরাধীর শান্তি ছুরান্বিত করা ও

পদস্থালনকে ক্ষমার চোখে দেখা একজন শাসকের জন্য কতই না উত্তম ৷ এতে করে রাষ্ট্র
পরিচ৷ ৷লনার লোড কমে যায় ৷

একদিন তিনি এক ব্যক্তির উপর রাপাম্বিত হন ৷ তখন ণ্লাকটি খলীফ৷ ৷কে রাযী করার প্ৰ৷ ণপংা
চেষ্টা করল ৷ অবশেষে খলীফ৷ রাযী হলেন ৷ লোকটি অজুহাত পেশ করতে লাগল ৩ খন
আল-হড়াদী বললেন, রাযী হয়ে যাওয়াই অজুহাতের গ্রহণযোগ্যতা হিসেবে তোমার জন্য যথেষ্ট ৷
তিনি একদিন এক ব্যক্তিকে তার পুত্র সম্পর্কে সান্তুন৷ প্ৰদানকালে বললেন, যে বস্তুটি তোমাকে
সন্তুষ্ট করে সেটা তোমার দুশমন ও ফিতন৷ ৷ আর যে বস্তুঢি তোমার কাছে খারাপ সাথে তা হল
সাল ৷ত ও আল্লাহর রহমত ৷

আয-যুবায়র ইবন৷ ব ৷ক্কার বর্ণনা করেনং মা রওয়৷ ন ৷ইবন আবুহাফসা আ ল হা ৷দীর জন্য একটি
কাসীদ৷ প্রণয়ন করেন ৷ তার মধ্য থেকে একটি পঙক্তি এরুপ ং

শ্রো’
অর্থাৎ একদিন তা ৷র প্রদত্ত শান্তি ও বখশিশ তুলনা করা হল ৷ এরপর কোন ব্যক্তিই জানে না
এ দু ’টোর মধ্যে কো ৷নটি গ্রেষ্ঠ ৷

আল-হাদী তাকে বললেন, কোনটা তোমার কাছে অধিক প্রিয় ? ত্রিশ ৷হাজ৷ র যা হবে নগদ
কিংবা এক লাখ যা দপ্তর ঘুরে আসবে ? তিনি বললেনং : হে আমীরুল্ মু মিনীন ! এর থেকেও কি
উত্তম হয় না ? তিনি বললেন, সেটা কী? তিনি বললেন, এক হাজার হবে নগদ আর এক লাখ দপ্তর
ঘুরে আসবে ৷ আল-হড়াদী বললেন, এর থেকেও কি উত্তম হয় না ? আর তা হল সম্পুংটিাই তোমার
জন্য নগদ ৷ এরপর তিনি তার জন্য এক লাখ ত্রিশ হাজার নগদ অনুদান ঘোষণা করলেন ৷

আল-খাতীব বাগদাদী বলেন, আল-আযহারী (র) সাহল ইবন আহমদ দীবাজী সুত্রে
আল-মুত্তালিব ইবন উকাশ৷ আল-ঘুযালী (র) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আমরা একদিন
আমাদের এক লোকের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেয়ার জন্য আবু মুহাম্মদ আল-হাদীর কাছে আগমন
করলাম ৷ লোকটি কুরায়শ বংশকে গালি-গালাজ করেছে এবং রাসুলুল্লাহ্ (সা) পর্যন্ত র্কাধ ডিঙ্গিয়ে
গেছে ৷ আল-হাদী আমাদের জন্য একটি মজলিস ডাকলেন ৷ যুগের ফর্কীহ্দেরকে ঐ মজলিসে
হাযির করানো হল ৷ খলীফার দরবারের আশপাশে র সকলে হাযির হল ৷ সােকটি হাযির হল এবং
আমরাও হাযির হলাম ৷ আমরা তার থেকে যা শুনেছি৩৷ ৷সাক্ষ্য দিলাম ৷ আ ৷ল-হাদীর চেহারা বিবর্ণ


الْفَاحِشَةِ، فَأَمَرْتُ بِحَزِّ رِقَابِهِمَا. ثُمَّ أَمَرَ بِرَفْعِ رُءُوسِهِمَا مِنْ بَيْنِ يَدَيْهِ، وَرَجَعَ إِلَى حَدِيثِهِ الْأَوَّلِ، كَأَنْ لَمْ يَصْنَعْ شَيْئًا. وَكَانَ شَهْمًا خَبِيرًا بِالْمُلْكِ كَرِيمًا. وَمِنْ كَلَامِهِ: مَا أُصْلِحَ الْمُلْكُ بِمِثْلِ تَعْجِيلِ الْعُقُوبَةِ لِلْجَانِي، وَالْعَفْوِ عَنِ الزَّلَّاتِ الْقَرِيبَةِ، لِيَقِلَّ الطَّمَعُ عَنِ الْمُلْكِ. وَغَضِبَ يَوْمًا مِنْ رَجُلٍ، فَاسْتُرْضِيَ عَنْهُ فَرَضِيَ، فَشَرَعَ الرَّجُلُ يَعْتَذِرُ، فَقَالَ الْهَادِي: إِنَّ الرِّضَا قَدْ كَفَاكَ مُؤْنَةَ الِاعْتِذَارِ. وَعَزَّى الْهَادِي رَجُلًا فِي وَلَدٍ لَهُ تُوُفِّيَ: فَقَالَ لَهُ: أَسَرَّكَ وَهُوَ عَدُوٌّ وَفِتْنَةٌ، وَأَحْزَنَكَ وَهُوَ صَلَاةٌ وَرَحْمَةٌ. وَرَوَى الزُّبَيْرُ بْنُ بَكَّارٍ أَنَّ مَرْوَانَ بْنَ أَبِي حَفْصَةَ أَنْشَدَ الْهَادِي قَصِيدَةً لَهُ، مِنْهَا: تَشَابَهَ يَوْمًا بَأْسُهُ وَنَوَالُهُ ... فَمَا أَحَدٌ يَدْرِي لِأَيِّهِمَا الْفَضْلُ فَقَالَ لَهُ الْهَادِي: أَيُّمَا أَحَبُّ إِلَيْكَ؟ ثَلَاثُونَ أَلْفًا مُعَجَّلَةً أَوْ مِائَةُ أَلْفٍ تَدُورُ فِي الدَّوَاوِينِ؟ فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، أَوَأَحْسَنُ مِنْ ذَلِكَ؟ قَالَ: وَمَا هُوَ؟ قَالَ: تَكُونُ ثَلَاثُونَ أَلْفًا مُعَجَّلَةً وَمِائَةُ أَلْفٍ تَدُورُ بِالدَّوَاوِينِ. فَقَالَ الْهَادِي: أَوْ أَحْسَنُ مِنْ ذَلِكَ; نُعَجِّلُ الْجَمِيعَ لَكَ. فَأَمَرَ لَهُ بِمِائَةِ أَلْفٍ وَثَلَاثِينَ أَلْفًا مُعَجَّلَةً.
পৃষ্ঠা - ৮১৭৬
وَقَالَ الْخَطِيبُ الْبَغْدَادِيُّ: حَدَّثَنِي الْأَزْهَرِيُّ، ثَنَا سَهْلُ بْنُ أَحْمَدَ الدِّيبَاجِيُّ، ثَنَا الصُّولِيُّ، ثَنَا الْغَلَابِيُّ، حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ التَّيْمِيُّ الْمَكِّيُّ، حَدَّثَنِي الْمُطَّلِبُ بْنُ عُكَّاشَةَ الْمُزَنِيُّ قَالَ: قَدِمْنَا عَلَى أَبِي مُحَمَّدٍ الْهَادِي شُهُودًا عَلَى رَجُلٍ مِنَّا شَتَمَ قُرَيْشًا، وَتَخَطَّى إِلَى ذِكْرِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَجَلَسَ لَنَا مَجْلِسًا أَحْضَرَ فِيهِ فُقَهَاءَ أَهْلِ زَمَانِهِ، وَمَنْ كَانَ بِالْحَضْرَةِ عَلَى بَابِهِ، وَأَحْضَرَ الرَّجُلَ وَأَحْضَرَنَا، فَشَهِدْنَا عَلَيْهِ بِمَا سَمِعْنَا مِنْهُ، فَتَغَيَّرَ وَجْهُ الْهَادِي، ثُمَّ نَكَّسَ رَأْسَهُ، ثُمَّ رَفَعَهُ، فَقَالَ: إِنِّي سَمِعْتُ أَبِي الْمَهْدِيَّ يُحَدِّثُ عَنْ أَبِيهِ الْمَنْصُورِ، عَنْ أَبِيهِ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ عَنْ أَبِيهِ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: مَنْ أَرَادَ هَوَانَ قُرَيْشٍ أَهَانَهُ اللَّهُ، وَأَنْتَ يَا عَدُوَّ اللَّهِ لَمْ تَرْضَ بِأَنْ أَرَدْتَ ذَلِكَ مِنْ قُرَيْشٍ حَتَّى تَخَطَّيْتَ إِلَى ذِكْرِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ! اضْرِبُوا عُنُقَهُ. فَمَا بَرِحْنَا حَتَّى قُتِلَ. تُوُفِّيَ الْهَادِي فِي رَبِيعٍ الْأَوَّلِ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ، وَصَلَّى عَلَيْهِ أَخُوهُ هَارُونُ وَلِيُّ الْعَهْدِ، وَدُفِنَ فِي قَصْرٍ بَنَاهُ وَسَمَّاهُ الْأَبْيَضَ بِعِيسَابَاذَ مِنَ الْجَانِبِ الشَّرْقِيِّ مِنْ بَغْدَادَ. وَكَانَ لَهُ مِنَ الْوَلَدِ تِسْعَةٌ; سَبْعَةٌ ذُكُورٌ وَابْنَتَانِ، فَالذُّكُورُ; جَعْفَرٌ - وَهُوَ الَّذِي كَانَ قَدْ رَشَّحَهُ لِلْخِلَافَةِ - وَعَبَّاسٌ، وَعَبْدُ اللَّهِ وَإِسْحَاقُ وَإِسْمَاعِيلُ وَسُلَيْمَانُ وَمُوسَى الْأَعْمَى الَّذِي وُلِدَ بَعْدَ وَفَاتِهِ فَسُمِّيَ بِاسْمِ أَبِيهِ، وَالْبِنْتَانِ هُمَا أُمُّ عِيسَى الَّتِي تَزَوَّجَهَا الْمَأْمُونُ، وَالْأُخْرَى أُمُّ
পৃষ্ঠা - ৮১৭৭


হয়ে গেল ৷ এরপর তিনি মাথা নীচু করলেন ৷ কিছুক্ষণ পর মাথা উঠালেন ৷ আর বললেন, আমি
আমার পিতা আল-মাহদীকে তার পিতা আল-মানসুর থেকে হাদীস বর্ণনা করতে শুনেছি ৷ তিনি
তার পিতা আলী ইবন আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, যে
কুরায়শকে অপমান করবে তাকে আল্লাহ্ অপমান করবেন ৷ আর তুমি হে আল্লাহর দৃশমন ৷ কেন
কুরায়শকে কষ্ট দিতে সম্মত হলে এমনকি রাসুলুল্লাহ্ (সা) পর্যন্ত কী ধ ডিঙ্গিয়ে গেলে ? তার গর্দান
কর্তন করে৷ ৷ এরপর কিছুক্ষণের মধ্যে তাকে হত্যা করা হল ৷

এ বছর রবীউল আউয়াল মাসে আল-হাদী ইনতিকাল করেন ৷ তার ভাই হারুন তার সালাতে
জানায৷ পড়ান ৷ যে প্রাসাদ তিনি বাগদাদের পুর্ব দিকে ঈসাবাদে নির্মাণ করেছিলেন এবং তার নাম
রেখেছিলেন আল-আবইয়াদ, সেখানেই তাকে দাফন করা হয় ৷ তার ছেলে মেয়ের সংখ্যা ছিল
নয়জন, সাতজন পুত্র ও দু’জন কন্যা ৷ জাফর, আব্বাস, আবদুল্লাহ, ইসহাক, ইসমাঈল,
সুলায়মান, মুসা (অন্ধ) যিনি পিতার মৃত্যুর পর জন্মঃাহণ করেন ৷৩ তইি পিতার৷ না যে তার নাম রাখা
হয়েছিল ৷ কন্যা সন্তান দু জন হলেন৪ উম্মু ঈসা৷ যা কে আল ল-মামুন বিয়ে করেন ৷ উম্মু আব্বাস যাব র
উপাধি ছিল তাওবা ৷

হারুনুর রশীদ ইবন আল-মাহদীর খিলাফতকাল

যে রাতে তার ভাই মারা যান সেই রাতেই তার খিলাফতের বায়আত গ্রহণ করা হয় ৷ আর

তা ছিল একশ সত্তর হিজরীর রবীউল আউয়াল মাসের ১ ৫ তারিখ বৃহস্পতিবার রাত ৷ তখন
রশীদের বয়স ছিল বা ৷ইশ বছর ৷৩ তিনি ইয়াহ্ইয়৷ ইবন খ৷ লিদ ইবন বার নাকের কাছে লোক প্রেরণ
করেন ও তাকে কারাগার থেকে বের করে আনেন ৷ এ রাতেই আল-হাদী তাকে এবং হারুনুর
রশীদকে হত্যা করার দৃঢ় সংকল্প করেছিল ৷ আর রশীদ ছিলেন তার বিদায়ী (দৃগ্ধ পোষ্য) পুত্র ৷
তা তাকে ঐ সময় মন্তীতৃ প্রদা ন করেন ৷ ইউসুফ ইবন আল-কা ৷সিম ইবন সাবহীকে রাষ্টীয় যোগাযোগ
দপ্তরের প্রশাসক নিযুক্ত করেন ৷ তিনি খলীফার সামনে খভীব হিসেবে দণ্ডায়মান হন এবং
ইসাবাদে মিম্বরের উপর র্দাড়িয়ে তার জন্য বায়আত গ্রহণ করেন ৷ কথিত আছে যে, যে রাতে
আল-হাদী মারা যায় তখন ইয়াহ্ইয়৷ ইবন খালিদ ইবন বারমাক আর-রশীদের কাছে আগমন
করেন ৷ তিনি তাকে নিদ্রিত দেখতে পান তখন তিনি বলেন, হে আমীরুল মু’মিনীন ! উঠুন ৷
আর-রশীদ তখন তাকে বললেন, তুমি আমাকে আর কতবার ভয় দেখাবে ? যদি তোমাকে এই
ব্যক্তিটি একথা বলতে শুনে তাহলে এটা হবে তার কাছে আমার সবচেয়ে বড় গুনাহ ৷ ইয়াহ্ইয়া
বলেন, এই লোকটি ইতোমধ্যে মারা গেছে ৷ হারুন ৩ খন উঠে বললেন এবং বললেন, বিভিন্ন
প্রদেশে প্রশাসক নিযুক্তির ব্যাপারে তুমি আমাকে পরামর্শ প্ৰদা ন কর ৷ তখন ইয়াহ্ইয়৷ বিভিন্ন
প্রদেশের শাসকের নাম উল্লেখ করতে লাগলেন এবং রশীদও তাদেরকে নিয়োগ প্রদান করতে
লাগলেন ৷ তারা দু’জন একাজে ব্যস্ত থাকা অবস্থায় অন্য একজন হিতাকাত্তক্ষী আগমন করেন এবং
বললেন, হে আমীরুল মু’মিনীন ৷ আপনি শুভ সংবাদ গ্রহণ করুন ৷ এক্ষণি আপনার একটি পুত্র
সন্তান জন্ম নিয়েছে ৷ তখন তিনি বললেন, তার নাম হবে আবদুল্লাহ এবং তাকেই বলা হবে
আল-মড়ামুন ৷ এরপর ভোর বেলায় তিনি তার ভাই আল-হাদীর সালাতে জানায৷ আদায় করেন এবং
তাকে ঈসাবাদে দাফন করেন ৷ আর তিনি শপথ করেন যে, বাগদাদে গিয়ে তিনি সালাতে যুহর


الْعَبَّاسِ تُلَقَّبُ نُوتَةَ. [خِلَافَةُ هَارُونَ الرَّشِيدِ ابْنِ الْمَهْدِيِّ] بُويِعَ لَهُ بِالْخِلَافَةِ لَيْلَةَ مَاتَ أَخُوهُ الْهَادِي، وَذَلِكَ لَيْلَةَ الْجُمْعَةِ لِلنِّصْفِ مِنْ رَبِيعٍ الْأَوَّلِ سَنَةَ سَبْعِينَ وَمِائَةٍ، وَكَانَ عُمْرُ الرَّشِيدِ يَوْمَئِذٍ ثِنْتَيْنِ وَعِشْرِينَ سَنَةً، فَبَعَثَ إِلَى يَحْيَى بْنِ خَالِدِ بْنِ بَرْمَكَ، فَأَخْرَجَهُ مِنَ السِّجْنِ، وَقَدْ كَانَ الْهَادِي عَزَمَ فِي تِلْكَ اللَّيْلَةِ عَلَى قَتْلِهِ وَقَتْلِ هَارُونَ الرَّشِيدِ، فَأَخْرَجَهُ الرَّشِيدُ، وَكَانَ ابْنَهُ مِنَ الرَّضَاعَةِ، وَوَلَّاهُ حِينَئِذٍ الْوِزَارَةَ، وَوَلَّى يُوسُفَ بْنَ الْقَاسِمِ بْنِ صُبَيْحٍ كِتَابَةَ الْإِنْشَاءِ، وَكَانَ هُوَ الَّذِي قَامَ خَطِيبًا بَيْنَ يَدَيْهِ حِينَ أُخِذَتِ الْبَيْعَةُ لَهُ عَلَى الْمِنْبَرِ بِعِيسَابَاذَ، وَيُقَالُ: إِنَّهُ لِمَا مَاتَ الْهَادِي فِي اللَّيْلِ جَاءَ يَحْيَى بْنُ خَالِدِ بْنِ بَرْمَكَ إِلَى الرَّشِيدِ فَوَجَدَهُ نَائِمًا، فَقَالَ لَهُ: قُمْ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ. فَقَالَ: كَمْ تُرَوِّعُنِي، وَلَوْ سَمِعَ بِهَذَا الْكَلَامِ هَذَا الرَّجُلُ لَكَانَ ذَلِكَ أَكْبَرَ ذُنُوبِي عِنْدَهُ. فَقَالَ لَهُ يَحْيَى: قَدْ مَاتَ الرَّجُلُ. فَجَلَسَ هَارُونُ فَقَالَ: أَشِرْ عَلَيَّ. فَجَعَلَ يَذْكُرُ لَهُ وِلَايَاتِ الْأَقَالِيمِ لِرِجَالٍ يُسَمِّيهِمْ، فَيُوَلِّيهِمُ الرَّشِيدُ، فَبَيْنَمَا هُمْ كَذَلِكَ إِذْ جَاءَ آخَرُ فَقَالَ: أَبْشِرْ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ; فَقَدْ وُلِدَ لَكَ السَّاعَةَ غُلَامٌ. فَقَالَ هُوَ عَبْدُ اللَّهِ، وَهُوَ الْمَأْمُونُ ثُمَّ أَصْبَحَ فَصَلَّى عَلَى أَخِيهِ الْهَادِي، وَدَفَنَهُ بِعِيسَابَاذَ، وَحَلَفَ لَا يُصَلِّي الظُّهْرَ إِلَّا بِبَغْدَادَ، فَلَمَّا فَرَغَ مِنَ الْجِنَازَةِ أَمَرَ بِضَرْبِ عُنُقِ أَبِي عِصْمَةَ الْقَائِدِ; لِأَنَّهُ
পৃষ্ঠা - ৮১৭৮


আদায় করবেন ৷ যখন তিনি সালাতে জানাযা থেকে অবসর গ্রহণ করেন তখন তিনি নেতা আবু
আসামাকে হত্যা করার নির্দেশ দেন ৷ কেননা তিনি জাফর ইবন হাদীর পক্ষের লোক ছিলেন ৷
কোন এস সময় বাগদাদের সেতুর কাছে রশীদ মানুষের ভিড়ে পতিত হন ৷ তখন আবু আসামা
র্তাকে বলেন, তুমি ধৈর্য ধর এবং দীড়াও যতক্ষণ না যুবরাজ অতিক্রম করে যায় ৷ রশীদ তখন
বলেছিলেন, আমীরের হুকুম শিরোধার্য ৷ জাফর ও আবু আসামা সেতু পার হয়ে গেলেন কিন্তু
রশীদ ভগ্ন হৃদয়ে চুপচাপ দীড়িয়ে রইলেন ৷ রশীদ যখন খলীফা হন তখন তিনি আবু আসামাকে

হত্যা করার হুকুম দেন ৷ এরপর তিনি বাণদাদের দিকে ভ্রমণ শুরু করেন ৷ যখনতিনি বাগদাদের
সেতু পর্যন্ত পৌছেন তখন তিনি ভুবুরীদেরকে ডাকেন এবং বলেন, আমার থেকে একটি আত্টি
এখানে পড়ে গিয়েছে আমার পিতা আল-মাহদী এক লাখ দীনার দিয়ে এটা আমার জন্য খরিদ
করেছিলেন ৷ যখন কিছু দিন অতিবাহিত হল ঐ জিনিসটির খোজে আল-হাদী আমার কাছে লোক
প্রেরণ করেন ৷ তখন আমি এটা দুতের কাছে নিক্ষেপ করলাম এবং এটা এখানে পড়ে যায় ৷
ডুবুরীরা সেখানে ভুব দিতে থাকে এবং বহু চেষ্টায় পর তারা এটা পেয়ে যায় ৷ তাতে রশীদ অত্যন্ত
আনন্দিত হন ৷ রশীদ যখন ইয়াহ্ইয়া ইবন খালিদকে মগ্রী নিয়োগ করেন তখন তিনি তাকে
বলেন, আমি তোমার কাছে প্রজাদের ব্যাপারটি ছেড়ে দিলাম, এটা আমার ঘাড় থেকে খুলে নিলাম
এবং তোমার ঘাড়ে তা সােপর্দ করলাম ৷ তুমি যাকে ইচ্ছা আমীর নিয়োগ কর এবং যাকে ইচ্ছা
বরখাস্ত কর ৷ এ সম্বন্ধে কবি ইব্রাহীম ইবন আল-মাওসিলী বলেন :


অর্থাৎ “তুমি কি দেখ না ৷ সুর্যটি ছিল রুগ্ন ৷ আর যখন হারুন শাসনভার গ্রহণ করেন তখনই
তার জ্যোতি উজ্জ্বল রুপ ধারণ করল ৷ আর এটা হচ্ছে আল্লাহ্র বিশ্বন্ত দানশীল বন্দো হারুনের
বরকতে ৷ কেননা হারুনই এ সুর্যের অভিভাবক আর ইয়াহ্ইয়া হলেন তার ওযীর ৷

এরপর হারুন ইয়াহ্ইয়াহ ইবন খালিদকে হুকুম দিলেন কোন কাজের সিদ্ধান্ত তার জননী
আল-খায়যুরানের পরামর্শ ব্যতীত যেন না নেয়া হয় ৷ তিনি প্রতিটি কাজে পরামর্শ প্রদান করতেন ৷
তিনি সিদ্ধান্ত দিতেন, মীমাংসা করতেন, পরিচালনা করতেন এবং হুকৃম জারি করতেন ৷

এ বছর হারুনুর রশীদ আত্মীয়-স্বজনের জন্য নির্ধারিত অংশ বনু হাশিমের সদস্যদের মধ্যে
বরাবর বন্টন করার নীতি প্রবর্তন করেন ৷ এ বছর হারুন যিনদীকদের অনেককে খুজে বের করেন
এবং তাদের মধ্য থেকে একটি বিরাট দলকে হত্যা করেন ৷ এ বছর আহলে বায়তের কিছু সদস্য
তীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন ৷ আর এ বছরই মুহাম্মদ ইবন রশীদ ইবন যুবায়দা জন্মগ্রহণ করেন ৷
তিনি আল-আমীন হিসেবে পরিচিত ছিলেন ৷ তার জন্মের তারিখ হল এ বছরের শাওয়াল মসের
১৬ তারিখ জুমআর দিন ৷ এ বছরই তুর্কী খাদিম ফারাজের হাতে তারসুস শহরের নির্মাণ কাজ
সমাপ্ত হয় ৷ আর লোকজন তা ব্যবহার করতে শুরু করে ৷ এ বছরই আ মীরুল মু’মিনীন
আর-রশীদ লোকজনকে নিয়ে হজ্জ পালন করেন এবং হারামাইনবাসীদেরকে প্রচুর সম্পদ প্রদান
করেন ৷ কথিত আছে যে , এ বছর তিনি যুদ্ধও করেন ৷ এ সম্পর্কে কবি দাউদ ইবন রাযীন বলেনঃ


كَانَ مَعَ جَعْفَرٍ ابْنِ الْهَادِي فَزَاحَمُوا هَارُونَ عَلَى جِسْرٍ، فَقَالَ أَبُو عِصْمَةَ: قِفْ حَتَّى يَجُوزَ وَلِيُّ الْعَهْدِ. فَقَالَ الرَّشِيدُ: السَّمْعُ وَالطَّاعَةُ لِلْأَمِيرِ. فَجَازَ جَعْفَرٌ وَوَقَفَ الرَّشِيدُ، فَلَمَّا وَلِيَ أَمَرَ بِقَتْلِ أَبِي عِصْمَةَ، ثُمَّ سَارَ إِلَى بَغْدَادَ فَلَمَّا انْتَهَى إِلَى جِسْرِ بَغْدَادَ اسْتَدْعَى بِالْغَوَّاصِينَ فَقَالَ: إِنِّي سَقَطَ مِنِّي هَاهُنَا خَاتَمٌ، كَانَ وَالِدِي الْمَهْدِيُّ قَدِ اشْتَرَاهُ لِي بِمِائَةِ أَلْفٍ، فَلَمَّا كَانَ مِنْ أَيَّامٍ بَعَثَ وَرَائِي الْهَادِي يَطْلُبُهُ، فَأَلْقَيْتُهُ إِلَى الرَّسُولِ، فَسَقَطَ هَاهُنَا. فَغَاصُوا وَرَاءَهُ فَوَجَدُوهُ، فَسُرَّ بِهِ الرَّشِيدُ سُرُورًا كَثِيرًا. وَلَمَّا وَلَّى الرَّشِيدُ يَحْيَى بْنَ خَالِدٍ الْوِزَارَةَ قَالَ لَهُ: قَدْ فَوَّضْتُ إِلَيْكَ أَمْرَ الرَّعِيَّةِ، وَخَلَعْتُ ذَلِكَ مِنْ عُنُقِي، وَجَعَلْتُهُ فِي عُنُقِكَ، فَوَلِّ مَنْ رَأَيْتَ، وَاعْزِلْ مَنْ رَأَيْتَ. فَفِي ذَلِكَ يَقُولُ إِبْرَاهِيمُ الْمَوْصِلِيُّ: أَلَمْ تَرَ أَنَّ الشَّمْسَ كَانَتْ سَقِيمَةً ... فَلَمَّا وَلِيَ هَارُونُ أَشْرَقَ نُورُهَا بِيُمْنِ أَمِينِ اللَّهِ هَارُونَ ذِي النَّدَى ... فَهَارُونُ وَالِيهَا وَيَحْيَى وَزِيرُهَا وَكَانَتِ الْخَيْزُرَانُ هِيَ الْمُشَاوَرَةَ فِي الْأُمُورِ كُلِّهَا، لَا يَقْطَعُ يَحْيَى بْنُ خَالِدٍ أَمْرًا حَتَّى يُشَاوِرَهَا فِيمَا يُبْرِمُهُ وَيَحِلُّهُ وَيُمْضِيهِ وَيُحْكُمُهُ. وَفِيهَا أَمَرَ الرَّشِيدُ بِسَهْمِ ذِي الْقُرْبَى أَنْ يُقَسَّمَ فِي بَنِي هَاشِمٍ عَلَى السَّوَاءِ. وَفِيهَا تَتَبَّعَ الرَّشِيدُ خَلْقًا مِنَ الزَّنَادِقَةِ، فَقَتَلَ مِنْهُمْ طَائِفَةً كَثِيرَةً. وَفِيهَا خَرَجَ عَلَيْهِ بَعْضُ أَهْلِ الْبَيْتِ. فِيهَا وُلِدَ الْأَمِينُ مُحَمَّدٌ ابْنُ الرَّشِيدِ مِنْ زُبَيْدَةَ، وَذَلِكَ يَوْمَ الْجُمْعَةِ لِسِتَّ
পৃষ্ঠা - ৮১৭৯
عَشْرَةَ لَيْلَةً خَلَتْ مِنْ شَوَّالَ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ. وَفِيهَا كَمُلَ بِنَاءُ مَدِينَةِ طَرَسُوسَ عَلَى يَدَيْ فَرَجٍ الْخَادِمِ التُّرْكِيِّ، وَنَزَلَهَا النَّاسُ. وَفِيهَا حَجَّ بِالنَّاسِ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ هَارُونُ الرَّشِيدُ، وَأَعْطَى أَهْلَ الْحَرَمَيْنِ أَمْوَالًا كَثِيرَةً جِدًّا، وَيُقَالُ: إِنَّهُ غَزَا فِي هَذِهِ السَّنَةِ أَيْضًا. وَفِي ذَلِكَ يَقُولُ دَاوُدُ بْنُ رَزِينٍ الشَّاعِرُ: بِهَارُونَ لَاحَ النُّورُ فِي كُلِّ بَلْدَةٍ ... وَقَامَ بِهِ فِي عَدْلِ سِيرَتِهِ النَّهْجُ إِمَامٌ بِذَاتِ اللَّهِ أَصْبَحَ شُغْلُهُ ... وَأَكْثَرُ مَا يُعْنَى بِهِ الْغَزْوُ وَالْحَجُّ تَضِيقُ عُيُونُ النَّاسِ عَنْ نُورِ وَجْهِهِ ... إِذَا مَا بَدَا لِلنَّاسِ مَنْظَرُهُ الْبَلْجُ وَإِنَّ أَمِينَ اللَّهِ هَارُونَ ذَا النَّدَى ... يُنِيلُ الَّذِي يَرْجُوهُ أَضْعَافَ مَا يَرْجُو وَغَزَا الصَّائِفَةَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ سُلَيْمَانُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْبَكَّائِيُّ. ذِكْرُ مَنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ الْخَلِيلُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ عَمْرِو بْنِ تَمِيمٍ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْفَرَاهِيدِيُّ - وَيُقَالُ الْفُرْهُودِيُّ - الْأَزْدِيُّ الْيَحْمَدِيُّ، شَيْخُ النُّحَاةِ، وَعَنْهُ أَخَذَ سِيبَوَيْهِ وَالنَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ، وَغَيْرُ وَاحِدٍ مِنْ أَكَابِرِهِمْ، وَهُوَ الَّذِي اخْتَرَعَ عِلْمَ الْعَرُوضِ، قَسَّمَهُ إِلَى
পৃষ্ঠা - ৮১৮০


৷ শ্০ :× ৷ ×; — ! ৷ গু ষ্, শ্
’ড্রাট্রুা৷


’ ৷

৷ ’ : #



অর্থাৎ “হ রুনের মাধ্যমেই প্রতিটি শহরে আলো ছড়িয়ে পড়েছে ৷ আ তার দ্বারাই ইনসাফের
নিয়মনীতি প্রবর্তিত হয়েছে ৷ তিনি একজন ইমাম য়ার কর্মকাণ্ড আল্লাহর আদেশ নিষেধের সাথে
সম্পৃক্ত ৷ তার অধিকাংশ কাজই হল যুদ্ধ ও হহুজ্জর সাথে সম্পৃক্ত ৷৩ তার ঢেহারার জোাতিতে
অন্যদের চোখ ঝলসে গিয়েছে যখন মানুষের সামনে তার জ্যোতিময় দৃশ্য উদ্ভাসিত হয় ৷
নিঃসন্দেহে আল্লাহর ৰিশ্বস্ত হারুন হচ্ছেন দানশীল যে তার থেকে দান প্রত্যাশা করে তার
কয়েকগুণ বেশী সে পেয়ে থাকে ৷” এ বছর সুরায়মান ইবন আবদুল্লাহ আল-বাককাঈ গ্রীষ্মকালীন
যুদ্ধ পরিচালনা করেন ৷

এ বছর যে সব গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ইনতিকাল করেন তার একটি খতিয়ান৪ আবুআবদুর
রহমান আল খলীল ইবন আহমদ ইবন আমর ইবন তামীম আল ফারহীদী ৷ আবার ৫কউ কেউ
বলেন, আল-ফ ৷রহুদী আল ইযদী ৷ তিনি ছিলেন নাহুৰিদদের উস্তাণ্দ্ ৷ তার থেকে শিক্ষা গ্রহণ
করেন সীবাওয়ায়হ, আন-নদর ইবন শুমায়ল ও একা ৷ধিক বুযুর্গ ব্যক্তি ৷ তিনিই ইলমুল উরুদ
আবিষ্কার করেন ৷ এ বিদ্যাটিকে তিনি পাচটি ভাগে বিভক্ত করেন এবং পরে ১৫টি শাখা প্রশাখা
যুক্ত করেন ৷ আল-আখফাশ তীর মধ্যে আরো একটি শাখা বৃদ্ধি করেন যার নাম দেয়৷ হয়
আল-খাৰায ৷ কোন এক করি বলেন :

অর্থাৎ “আল খলীল কবিতার জগতে বা সৃষ্টি করেছেন তার পুর্বে এ সৃষ্ট জগতের কবিতা
বিশুদ্ধই ছিল ৷ ”

সংগীত বিদ্যার সাথেও তার কিছুটা পরিচিতি ছিল ৷ এ সম্বন্ধে তার রচনাও পাওয়া যায় ৷
অভিধান সম্পর্কে তার একটি সংকলন পাওয়া যায় ৷ যার নাম হল ণ্ ;ইা৷ ৷ ষ্১ ;,পুা’ ৷ ষ্ চুধু

তিনি তা শুরু করেছিলেন ৷ পরে আন-নদর ইবন শুমায়ল ও আল-খলীলের অন্য সাথীরা তা
পরিপুর্ণ করেন যেমন ঘুয়াররাজুস সাদুসী এবং সময় ইবন আলী আল জাহদামী ৷ তার তারা
আল-খলীল যা লিখেছিলেন তার সাথে পুরোপুরি সামঞ্জস্য বিধান করতে পারেননি ৷ ইবন
দারসভৃইয়৷ একটি কিতাব লিখেন এবং এটাতে যাবতীয় ত্রুটিগুলাে উল্লেখ করেন ও তার সমাধান
লিখে দেন ৷ আল-খলীল ছিলেন একজন সৎ, বুদ্ধিমান ও রাশভারী লোক ৷ তিনি একটি পরিপুর্ণ
জ্ঞানের ভাণ্ডার ছিলেন ৷ তিনি দুনিয়ার সম্পদ খুবই কম ব্যবহার করতেন ৷ তিনি কঠিন ও সংকীর্ণ
জীবন যাপনে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন ৷ তিনি বলতেন, আমার সাধ্যের বাইরে আমার চিন্তাধারা
অতিক্রম করে না ৷ তিনি ছিলেন চতুর ও বিনম্র স্বভাবের অধিকারী ৷ কথিত আছে যে, এক ব্যক্তি
ইলমুল উরুদ এ আত্মনিয়োগ করেন কিন্তু এ সম্বন্ধে তিনি তত দক্ষ ছিলেন না ৷ তিনি বলেন,

অষ্কৃলবিদশ্বয়ত্ত্ব ওয়ড়ান নিহত্ত্বয়ক্ষু (১০ম খণ্ডষ্টুক্রেম্ভীগ্রঙুমাম্রা-০ওেপ্লে

خَمْسِ دَوَائِرَ، وَفَرَّعَهُ إِلَى خَمْسَةَ عَشَرَ بَحْرًا، وَزَادَ الْأَخْفَشُ فِيهِ بَحْرًا آخَرَ، وَهُوَ الْخَبَبُ، وَقَدْ قَالَ بَعْضُ الشُّعَرَاءِ: قَدْ كَانَ شِعْرُ الْوَرَى صَحِيحًا ... مِنْ قَبْلُ أَنْ يُخْلَقَ الْخَلِيلُ وَقَدْ كَانَ لَهُ مَعْرِفَةٌ بِعِلْمِ النَّغَمِ، وَلَهُ فِيهِ تَصْنِيفٌ أَيْضًا، وَلَهُ كِتَابُ " الْعَيْنِ " فِي اللُّغَةِ، ابْتَدَأَهُ وَأَكْمَلَهُ النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ وَأَضْرَابُهُ مِنْ أَصْحَابِهِ، كَمُؤَرِّجٍ السَّدُوسِيِّ، وَنَصْرِ بْنِ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيِّ. فَلَمْ يُنَاسِبُوا مَا وَضَعَهُ الْخَلِيلُ، رَحِمَهُ اللَّهُ. وَقَدْ وَضَعَ ابْنُ دَرَسْتَوَيْهِ كِتَابًا بَيَّنَ فِيهِ مَا وَقَعَ لَهُمْ مِنَ الْخَلَلِ، فَأَفَادَ. وَقَدْ كَانَ الْخَلِيلُ رَجُلًا صَالِحًا عَاقِلًا كَامِلًا حَلِيمًا وَقُورًا، وَكَانَ مُتَقَلِّلًا مِنَ الدُّنْيَا، صَبُورًا عَلَى الْعَيْشِ الْخَشِنِ الضَّيِّقِ، وَكَانَ يَقُولُ: لَا يُجَاوِزُ هَمِّي مَا وَرَاءَ بَابِي. وَكَانَ ظَرِيفًا حَسَنَ الْخُلُقِ. وَذُكِرَ أَنَّهُ اشْتَغَلَ عَلَيْهِ رَجُلٌ فِي الْعُرُوضِ، قَالَ: وَكَانَ بَعِيدَ الْفَهْمِ، قَالَ: فَقُلْتُ لَهُ يَوْمًا: كَيْفَ تُقَطِّعُ هَذَا الْبَيْتَ؟ إِذَا لَمْ تَسْتَطِعْ شَيْئًا فَدَعْهُ ... وَجَاوِزْهُ إِلَى مَا تَسْتَطِيعُ فَشَرَعَ مَعِي فِي تَقْطِيعِهِ عَلَى قَدْرِ مَعْرِفَتِهِ، ثُمَّ إِنَّهُ نَهَضَ مِنْ عِنْدِي فَلَمْ يَعُدْ إِلَيَّ، وَكَأَنَّهُ فَهِمَ مَا أَشَرْتُ إِلَيْهِ. وَيُقَالُ: إِنَّهُ لَمْ يُسَمَّ أَحَدٌ بَعْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِأَحْمَدَ سِوَى أَبِيهِ. رُوِيَ ذَلِكَ عَنْ أَحْمَدَ بْنِ أَبِي خَيْثَمَةَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ৮১৮১
وُلِدَ الْخَلِيلُ سَنَةَ مِائَةٍ مِنَ الْهِجْرَةِ، وَمَاتَ بِالْبَصْرَةِ سَنَةَ سَبْعِينَ وَمِائَةٍ عَلَى الْمَشْهُورِ، وَقِيلَ: سَنَةَ سِتِّينَ، وَزَعَمَ ابْنُ الْجَوْزِيِّ فِي كِتَابِهِ " شُذُورِ الْعُقُودِ " أَنَّهُ تُوُفِّيَ سَنَةَ ثَلَاثِينَ وَمِائَةٍ، وَهَذَا غَرِيبٌ جِدًّا. وَالْمَشْهُورُ الْأَوَّلُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. الرَّبِيعُ بْنُ سُلَيْمَانَ بْنِ عَبْدِ الْجَبَّارِ بْنِ كَامِلٍ الْمُرَادِيُّ مَوْلَاهُمُ، الْمِصْرِيُّ الْمُؤَذِّنُ، رَاوِيَةُ الشَّافِعِيِّ، وَآخِرُ مَنْ رَوَى عَنْهُ. وَكَانَ رَجُلًا صَالِحًا تَفَرَّسَ فِيهِ الشَّافِعِيُّ، وَفِي الْبُوَيْطِيِّ وَالْمُزَنِيِّ وَابْنِ عَبْدِ الْحَكَمِ، فَوَافَقَ ذَلِكَ مَا وَقَعَ فِي نَفْسِ الْأَمْرِ، رَحِمَهُ اللَّهُ. وَمِنْ شِعْرِ الرَّبِيعِ هَذَا: صَبْرًا جَمِيلًا مَا أَسْرَعَ الْفَرَجَا ... مَنْ صَدَقَ اللَّهَ فِي الْأُمُورِ نَجَا مَنْ خَشِيَ اللَّهَ لَمْ يَنَلْهُ أَذَى ... وَمَنْ رَجَا اللَّهَ كَانَ حَيْثُ رَجَا فَأَمَّا الرَّبِيعُ بْنُ سُلَيْمَانَ بْنِ دَاوُدَ الْجِيزِيُّ، فَإِنَّهُ رَوَى عَنِ الشَّافِعِيِّ أَيْضًا. وَقَدْ مَاتَ فِي سَنَةِ سِتٍّ وَخَمْسِينَ وَمِائَتَيْنِ، رَحِمَهُمَا اللَّهُ.