ثم دخلت سنة تسع وستين ومائة
পৃষ্ঠা - ৮১৫৬
১৬৯ হিজরীর আগম
এ বছরের মুহাররম মাংস আল-মাহদী ইবন আল-মানসুর মাসবাযান নামক স্থানে জ্ববে
আক্রান্ত হয়ে মারা যান ৷ কেউ কেউ বলেন, তাকে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছিল ৷ আবার কেউ কেউ
বলেন, তাকে ঘোড়া কামড় দেয় ৷ এরপর সে মারা যায় ৷
আর তার জীবনী হল নিম্নরুপ
তিনি ছিলেন আমীরুল মু’মিনীন আবুআবদুল্লাহ্ মুহাম্মদ ইবন আবদুল্লাহ ইবন মুহাম্মদ ইবন
আলী ইবন আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস আল-মাহদী ৷ তাকে আল-মাহদী উপাধি দেয়৷ হয়েছিল এ
প্রত্যাশায় যে হাদীসে উল্লিখিত ইমাম মাহদী তিনিই হবেন কিন্তু বাস্তবে তা আর হয়নি ৷ তারা
দু’জন নামে এক হলেও কাজে বিভিন্ন ৷ ইমাম মাহদী (আ) শেষ যামানায় দুনিয়ার অরাজকতা
চলাকালে আগমন করবেন ; পৃথিবীকে ন্যায় বিচারে ভরে দেবেন যেমন তা অন্যায় অবিচারে ভরে
রয়েছে ৷ কথিত আছে যে, তার যামানায় ঈসা ইবন মারইয়াম দামেশকে অবতরণ করবেন ৷
বিপদ-আপদ ও অরাজকতা সম্পর্কীয় হাদীসওলোর মধ্যে এ ব্যাপারে উল্লেখ রয়েছে ৷ উছমান
ইবন আফ্ফান (রা) এর মাধ্যমে হাদীস এসেছে যে, ইমাম মাহদী আসবেন বনু আব্বাস থেকে ৷
ইবন আব্বাস (রা) ও কাব আহবার থেকে বর্ণনা এসেছে যা শুদ্ধ নয় ৷ যদি শুদ্ধ ধরে নেয়া হয়
তাহলে এটাও নির্ধারিত হওয়ার প্রয়োজন পড়ে না ৷ অন হাদীসে এসেছে যে, ইমাম মাহদী
ফাতিম৷ (রা) এর বং শধর থেকে আবির্ভুত তহবেন ৷ এ বর্ণনাঢি পুর্বোক্ত বর্ণনা ৷র পরিপন্থী ৷ আল-
মাহদী ইবন মানসুরের মাত ত৷ হলেন উম্মু মুসা বিনত মানসুর ইবন আবদুল্লাহ আল হিমইয়ারী ৷
মাহদীর পিতা সুত্রে ত ৷র দাদা আবদুল্লাহ্ ইবন আব্বাস থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, র ৷৷সুলুল্ল হ্ (সা)
সাল লাভে ণ্ট্রু টঠুপু ৷ গ্লু টু৷ ৷ ণ্এ৷ ৷ ট্র প্রকাশ্যে পড়তেন ৷ দামেশকের কাযী ইয়াহ্ইয়৷ ইবন
হামযা আন নাহশা ৷লী ত ৷র থেকে বর্ণনা করেন এবং উল্লেখ করেন, যখন তিনি দামেশকে আগমন
কবেন আল-মাহদীর পেছনেত তিনি স ৷লাত আদায় করেন ৷ তিনিদ ণু’সুরার প্রথমে বিসমিল্লাহির
রাহমানির রাহীম প্রকাশ্যে পা ৷ঠ করতেন ৷ আর রাসুলুল্লাহ্ (সা) থেকে এটা ৷র সনদ বর্ণনা ৷করেন ৷
একা ৷ধিক বর্ণনাকা রী ইয়াহ্ইয়৷ ইবন হামযা থেকে বর্ণনা করেন ৷
আলষ্মাহদী আল-মুবারক ইবন ফুযালা থেকে বর্ণনা করেন ৷ জাফর ইবন সুলায়মান
আল-যাবঈ মুহাম্মদ ইবন আবদুল্লাহ আর-রুকাশী এবং আবু সুফিয়ান সাঈদ ইবন ইয়াহ্ইয়া ইবন
মাহদী ও তার থেকে বর্ণনা করেন ৷
আল-মাহদীর জন্ম ছিল একশ ছ৷ ৷ব্বিশ কিংবা সাতাশ অথবা একশ একুশ ন্থিজরী সালে ৷ তার
পিতার মৃত্যুর পর একশ আটান্ন হিজরীর যুলহাজ্জ মাসে খলীফ৷ নির্বাচিত হন ৷ তখন তার বয়স
ছিল তেত্রিশ ৷বছর ৷ বলকার ১ হামীম৷ নামক স্থানেত তিনি জন্মগ্রহণ করেন ৷ একশ উনসত্তর হিজরীর
মুহ৷ ররম মাসে তিনি তেত৷ ৷ল্লিশ কিৎব৷ আটচল্লিশ বছর বয়সে ইনতিকা ৷ল কবেন ৷ত তার খিলাফতের
সময়কাল ছিল দশ বছর এক মাস কয়েক দিন ৷ তিনি ছিলেন তামাটে রংয়ের, লম্ব৷ চওড়া ও
কোকড়৷ চুল বিশিষ্ট ব্যক্তি ৷ত তার এক চোখে ছিল সাদা একটি চিহ্ন ৷ কেউ কেউ বলেন, ডান
চোখে আবার কেউ কেউ বলেন, বাম চোখে ৷ দারোয়ান আর রাবী বলেন, আমি একদিন
১ বলকা পুর্ব জর্দানের দক্ষিণ অর্ধাৎশ ৷
আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়৷ ( ১ :ম খও)-৩৪
০০ ৷৷া
[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ تِسْعٍ وَسِتِّينَ وَمِائَةٍ]
[الْأَحْدَاثُ الَّتِي وَقَعَتْ فِيهَا]
فِي الْمُحَرَّمِ مِنْهَا تُوَفِّيَ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ الْمَهْدِيُّ ابْنُ الْمَنْصُورِ الْعَبَّاسِيُّ - رَحِمَهُ اللَّهُ - بِمَكَانٍ يُقَالُ لَهُ: مَاسَبَذَانُ. بِالْحُمَّى، وَقِيلَ: مَسْمُومًا. وَقِيلَ: بِعَضَّةِ فَرَسٍ، فَمَاتَ. كَمَا سَيَأْتِي بَيَانُهُ. وَهَذِهِ تَرْجَمَتُهُ:
مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ الْهَاشِمِيُّ، أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْمَهْدِيُّ، أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ، وَإِنَّمَا لُقِّبَ بِالْمَهْدِيِّ طَمَعًا أَنْ يَكُونَ هُوَ الْمَوْعُودَ بِهِ فِي الْأَحَادِيثِ، فَلَمْ يَكُنْ بِهِ، وَإِنِ اشْتَرَكَا فِي الِاسْمِ; لِأَنَّهُ لَمْ يُشْبِهْهُ فِي الْفِعْلِ، ذَاكَ يَأْتِي آخِرَ الزَّمَانِ وَعِنْدَ فَسَادِهِ، فَيَمْلَأُ الْأَرْضَ عَدْلًا كَمَا مُلِئَتْ جَوْرًا وَظُلْمًا. وَقَدْ قِيلَ: إِنَّ فِي أَيَّامِهِ يَنْزِلُ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ بِدِمَشْقَ. كَمَا سَيَأْتِي ذِكْرُ ذَلِكَ فِي أَحَادِيثِ الْفِتَنِ وَالْمَلَاحِمِ وَذِكْرِ الْمَهْدِيِّ وَنُزُولِ عِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ إِنْ شَاءَ اللَّهُ وَبِهِ الثِّقَةُ. وَقَدْ جَاءَ فِي حَدِيثٍ مِنْ طَرِيقِ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ أَنَّ الْمَهْدِيَّ مِنْ بَنِي الْعَبَّاسِ، وَقَدْ جَاءَ مَوْقُوفًا عَلَى ابْنِ عَبَّاسٍ وَكَعْبِ الْأَحْبَارِ، وَلَا يَصِحُّ
পৃষ্ঠা - ৮১৫৭
মাহদীকে চাদনী রাতে তার একটি শামিয়৷ ৷নায় সা লাত আদায় করতে দেখলাম ৷ তিনি ছিলেন সুন্দর
পোশাক পরিহিত ৷ আ ৷মি জানি না কোনটি বেশী সুন্দর,৩ তিনি, চাদ,শ ৷৷মিয়ানা না তার পোশাক ?
তিনি এরপর পাঠ করেন :
’ ’ ’
ন্ব্রাখু ৷ ৷০০া০০০এ ষ্০,১৷ ৷ ; ৷দ্বুাব্লু; ;,া ণ্ পুগ্লুপু ;,৷ ণ্;ন্পু; ষ্ঠাং
“অর্থাৎ ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হলে সম্ভবত তোমরা পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করবে এবং
আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করবে (সুরা মুহ৷ ম্মদ৪ ২২) ৷ তারপর তিনি আমাকে হুকুম দিলেন আমি
তার আত্মীয়দের মধ্য থেকে একজনকে হাযির করালাম ৷ সে ছিল বন্দী ৷ তখন তিনি তাকে ছেড়ে
দিলেন ৷ যখন মক্কায় তার পিতার ইনতিকালের খবর৩ তার কাছে পৌছে, খবরটি তিনি দু দিন
গোপন রাখেন ৷ এরপর বৃহস্পতিবার দিন ঘোষণা দেয়৷ হল ইট্রু ৷ন্ : ৷;ট্টপ্রু৷ ৷ লোকজন হাযির
হলেন ৷ তিনি তাদের মধ্যে খু৩ তব৷ দিলেন এবং৩ তার পিতার মৃত্যু সম্পর্কে তাদের অবহিত
করলেন ৷ তিনি বললেন, নিশ্চয়ই আমীরুল মু’মিনীনকে ডাকা হয়েছে ৷ সুতরাৎ৩ তিনি এ ডাকে
সাড়া দিয়েছেন ৷ অতএব আল্লাহ্র কাছে আমীরুল মু’মিনীনের পুণ্য ও প্ৰতিদানের আমি আশা
পোষণ করছি এবং মুসলমানদের খিলাফতের জন্য আ তার কাছে সাহায্য প্রার্থ্যা৷ করছি ৷ এরপর
সেদিন লোকজন তার হাতে খিলাফতের বায়আত গ্রহণ করেন ৷ করি আবু দালামাত তার প্রতি
সমবেদন৷ জ্ঞাপন করেন ও তার জন্য একটি শো কগাথা রচনা করেন ৷ তিনি বলেন০ ং
’
ঠুব্রপ্রু;;াঠু
ট্টা৷ ৷ ৷পুৰু৷ এেধ্০া
অর্থাৎ আমার দু’ চোখের একটিকে তার আমীরের খুশীর কারণে তুমি আনন্দিত অবস্থায়
দেখছ ৷ আর দ্বিতীয়টি অশ্রুপাত করছে ৷ চোখ একবার কাদে ও একবার হাসে ৷ চোখ যেটাকে
অপসন্দ করে সেটা তাকে দুং খ দেয় ৷ আর যেটাকে পসন্দ করে সেটা তাকে আনন্দ দেয় ৷
খলীফার মৃত্যু৩ তাকে নিরানন্দ করছে ৷ অন্য দিন এ আনন্দময় আশ্রয়ন্থল তাকে আনন্দ দিয়ে
থাকে ৷ তুমি যেমন দেখছ আমি সেরুপ দেখছি না ৷ এমন চুল আমি দেখছি না যা আমি বিন্যাস
করতে পারি ৷ অন্যগুলােও দেখছি না যা মুলসহ উৎপাটন করা হয় ৷ আহমদ (সা) এর উম্মত নিয়ে
খলীফ৷ ৷চলে গেছেন ৷ আর তার পরে তোমাদের কাছে তার প্রতিনিধি এসে গেছেন ৷ আল্লাহ্
তাআলা তাকে খিলাফতের মান-মর্যাদা দান করেছেন ৷ আর তার জন্য জা ন্নাতু ন্নাঈম সাজানো
হবে
আল-মাহদী একদিন খুতবায় বলেন, হে জনগণ ! তোমরা যেমন প্রকশ্যেভাবে আমাদের
ذَلِكَ، وَبِتَقْدِيرِ صِحَّةِ شَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ لَا يَلْزَمُ أَنْ يَكُونَ هَذَا عَلَى التَّعْيِينِ، وَقَدْ وَرَدَ فِي حَدِيثٍ آخَرَ: " «الْمَهْدِيُّ مِنْ وَلَدِ فَاطِمَةَ» " فَهُوَ يُعَارِضُ هَذَا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَأَمُّهُ أُمُّ مُوسَى بِنْتُ مَنْصُورِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْحِمْيَرِيِّ.
رَوَى عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ عَنْ أَبِيهِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، جَهَرَ بِ " بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ» . رَوَاهُ عَنْهُ يَحْيَى بْنُ حَمْزَةَ الْبَتْلَهِيُّ قَاضِي دِمَشْقَ، وَذُكِرَ أَنَّهُ صَلَّى خَلْفَ الْمَهْدِيِّ حِينَ قَدِمَ دِمَشْقَ فَجَهَرَ فِي السُّورَتَيْنِ بِالْبَسْمَلَةِ، وَأَسْنَدَ ذَلِكَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَرَوَاهُ غَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ يَحْيَى بْنِ حَمْزَةَ. وَرَوَى الْمَهْدِيُّ عَنِ الْمُبَارَكِ بْنِ فَضَالَةَ. وَرَوَى عَنْهُ أَيْضًا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ الضُّبَعِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الرَّقَاشِيُّ، وَأَبُو سُفْيَانَ سَعِيدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ مَهْدِيٍّ.
وَكَانَ مَوْلِدُ الْمَهْدِيِّ فِي سَنَةِ سِتٍّ أَوْ سَبْعٍ - وَقِيلَ: سَنَةَ إِحْدَى - وَعِشْرِينَ وَمِائَةٍ، بِالْحُمَيْمَةِ مِنْ أَرْضِ الْبَلْقَاءِ، وَاسْتُخْلِفَ بَعْدَ مَوْتِ أَبِيهِ فِي ذِي الْحِجَّةِ سَنَةَ ثَمَانٍ وَخَمْسِينَ وَمِائَةٍ، وَعُمْرُهُ إِذْ ذَاكَ ثَلَاثٌ وَثَلَاثُونَ سَنَةً، وَتُوُفِّيَ فِي الْمُحَرَّمِ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ، عَنْ ثَلَاثٍ أَوْ ثَمَانٍ وَأَرْبَعِينَ سَنَةً، وَكَانَتْ خِلَافَتُهُ عَشْرَ
পৃষ্ঠা - ৮১৫৮
سِنِينَ وَشَهْرًا وَبَعْضَ شَهْرٍ، وَكَانَ أَسْمَرَ طَوِيلًا، جَعْدَ الشَّعْرِ، عَلَى إِحْدَى عَيْنَيْهِ نُكْتَةٌ بَيْضَاءُ، فَقِيلَ: عَيْنُهُ الْيُمْنَى. وَقِيلَ: الْيُسْرَى.
قَالَ الرَّبِيعُ الْحَاجِبُ: رَأَيْتُ الْمَهْدِيَّ يُصَلِّي فِي لَيْلَةٍ مُقْمِرَةٍ فِي بَهْوٍ لَهُ، عَلَيْهِ ثِيَابٌ حِسَانٌ، فَمَا أَدْرِي هُوَ أَحْسَنُ أَمِ الْقَمَرُ، أَمْ بَهْوُهُ، أَمْ ثِيَابُهُ. فَقَرَأَ: {فَهَلْ عَسَيْتُمْ إِنْ تَوَلَّيْتُمْ أَنْ تُفْسِدُوا فِي الْأَرْضِ وَتُقَطِّعُوا أَرْحَامَكُمْ} [محمد: 22] . ثُمَّ أَمَرَنِي فَأَحْضَرْتُ رَجُلًا مِنْ قَرَابَتِهِ كَانَ مَسْجُونًا، فَأَطْلَقَهُ.
وَلَمَّا جَاءَهُ خَبَرُ مَوْتِ أَبِيهِ بِمَكَّةَ، وَهُوَ بِبَغْدَادَ مَعَ مَنَارَةَ الْبَرْبَرِيِّ مَوْلَاهُ، فِي السَّادِسَ عَشَرَ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ مِنْ سَنَةِ ثَمَانٍ وَخَمْسِينَ وَمِائَةٍ، وَكَانَ وَلِيَّ الْعَهْدِ مِنْ بَعْدِ أَبِيهِ، كَتَمَ الْأَمْرَ يَوْمَيْنِ، ثُمَّ نُودِيَ فِي النَّاسِ يَوْمَ الْخَمِيسِ: الصَّلَاةَ جَامِعَةً. فَقَامَ فِيهِمْ خَطِيبًا، فَأَعْلَمَهُمْ بِمَوْتِ أَبِيهِ، فَقَالَ: إِنَّ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ دُعِيَ فَأَجَابَ، وَقَدْ قُلِّدْتُ بَعْدَهُ جَسِيمًا، فَعِنْدَ اللَّهِ أَحْتَسِبُ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، وَأَسْتَعِينُهُ عَلَى خِلَافَةِ الْمُسْلِمِينَ. وَبَايَعَهُ النَّاسُ بِالْخِلَافَةِ يَوْمئِذٍ، وَقَدْ عَزَّاهُ أَبُو دُلَامَةَ وَهَنَّأَهُ فِي قَصِيدَتِهِ الَّتِي يَقُولُ فِيهَا:
عَيْنَايَ وَاحِدَةٌ تُرَى مَسْرُورَةً ... بِأَمِيرِهَا جَذْلَى وَأُخْرَى تَذْرِفُ
تَبْكِي وَتَضْحَكُ تَارَةً وَيَسُوءُهَا ... مَا أَنْكَرَتْ وَيَسُرُّهَا مَا تَعْرِفُ
فَيَسُوءُهَا مَوْتُ الْخَلِيفَةِ مُحْرِمًا ... وَيَسُرُّهَا أَنْ قَامَ هَذَا الْأَرْأَفُ
পৃষ্ঠা - ৮১৫৯
প্রতি আনুগত্য ব্লুদখাচ্ছ, অপ্ৰকাশ্যেও যেন এরুপ কর ৷ তাহলে তোমাদেরকে শান্তি ও নিরাপত্তা
স্বাগত জানাবে এবং পরিণাব্লুম প্রশংসা অর্জন করতে পারবে ৷ যে তোমাদের মধ্যে ন্যায় বিচার
ছড়িয়ে ব্লুদব্লুব তার জন্য তোমরা আনুগব্লুত্যর ডানা অবনত রাখব্লুব ৷ ওয়াদা ৷অঙ্গীকাব্লুরর পোশাক
তোমাদেরকে জড়িয়ে ধরব্লুব ৷ব্লু তোমাদের জন্য নিরাপত্তা তে ৷মাদের আত্মীব্লুয় পরিণত হয়ে ৷
আল্লাহর প্রদর্শিত পথে সহজ উপজীবিক৷ তোমাদের জন্য অর্জিত হবে ৷ মারা তোমাদের অগ্রে
চলে গিব্লুয়ব্লুছন তাদের কর্মধার৷ অনুযায়ী তোমরা এগিয়ে যাবে সম্মুখ পাব্লুন ৷ আল্লাহর শপথ! আমি
আমার জীবনে তোমাদেরকে শাস্তি থেকে অব্যাহতি দেব এবং তোমাদের প্রতি ইহসান করার জন্য
নিজেকে সর্বদা উদ্বুদ্ধ করব ৷ বর্ণনাকারী বলেন, তার এসব উত্তম কথাবার্তায় জনগণের চেহারা
উজ্জ্বল হয়ে উঠল ৷ এরপর তিনি তার পিতার জমাকৃত স্বর্ণ-রৌপ্য ইত্যাদির মাধ্যমে যে মুলধন
জমা হব্লুয়ছিল৷ বা ব কো ন সীমা পরিসীমা ছিল না এবংয ৷র ৷আধিক্যের বর্ণনা করা যায় না তা তিনি
জনগণের মধ্যে বণ্টন করে দেন ৷৩ তার পরিবারবর্গ ও দাসদেরকে তার মধ্য থেকে কিছুই দিলেন
না বরং তাদের জন্য তাদের প্রয়োজন মিটানাে ৷র পরিমাণ খাদ্য রায়তুল মাল থেকে বরাদ্দ করেন ৷
অন্যান্য দান ব্যতীত প্রতি মাসে জন প্রতি পাচশ দিরহাম নির্ধারণ করেন ৷ তার পিতা রায়তুল মাল
পরিপুর্ণ রাখাকে পসন্দ করতে তন ৷ তিনি প্রতিবছর উত্তম সম্পদ থেকে এক হাজ৷ র দিরহাম ব্যয়
করতেন ৷ আল-মাহদী মসজিদে আর-রুসাফা, দুর্গের চারপাশে গর্ত খনন ও শহরের চারপাশে
প্রাচীর নির্মাণ করেন এবং উল্লিখিত বিভিন্ন শহর নির্মাণের নির্দো৷ প্রদান করেন ৷
কাযী শুরায়ক ইবন আবদুল্লাহ সম্বন্ধে খলীফ৷ ৷র কাছে উল্লেখ করা হল যে, তিনি খলীফার
পেছনে সালাত আদায় করেন না ৷ তাই তাকে খলীফ৷ উপস্থিত হবার জন্য নির্দেশ দেন এ ং তার
সাথে কথা বলেন ৷ এরপর আল-মাহদী তাকে অন্যান্য কথার মধ্যে বললেন, হে ব্যভিচ৷ রিণীর
পুত্র! তখন শুরায়ক খলীফ৷ ৷কে বললেন, থামুন, থামুন, হে আমীরুল মু’মিনীন ! তিনি ছিলেন
সিয়াম পালনকারিণী ও ইবাদতগুযার ৷ তখন খলীফ৷ তাকে বললেন, হে যিনদীক (কাফির) ও
আমি তোমাকে অবশ্যই হত্যা করব ৷ শুরায়ক হাসি দিয়ে বললেন, হে আমীরুল ঘু’মিনীন ! যারা
যিনদীক তাদের কতগুলো চিহ্ন রয়েছে যা র দ্বারা তাদেরকে চেনা যায়, তারা মদ পান করে এবং
৷ তারা মদ পরিব্লুবশনক৷ রিণীদেরকে নিজের কা ব্লুছ রাখে ৷ আল-মাহদী তখন চুপ হয়ে গেলেন এবং
শুরায়ক ত ৷র সম্মুখ থেকে বের হয়ে চলে গেলেন ৷
ঐতিহাসিকগণ উল্লেখ করেন, একদিন বাতাস প্রচণ্ড গতিতে বইতে লাগল ৷ মাহদী তখন
তার বাড়ির একটি ঘরে প্রবেশ করেন এবং মাটির সাথে তার গ৷ ল ল৷ ৷গিব্লুয় বলতে লাগব্লুলনং :
র্টুএ্ঐা৷
গ্লু,াঠু ;১া৷ প্রু;শুা , ষ্টুাধ্ ১া৷ৰু, ষ্ট্রৰুান্ট্রুপুা৷
অর্থাৎ হে আল্লাহ ৷ এ শাস্তির যদি লক্ষ্যবন্তু আমিই হয়ে থাকি জনগণ নয় তাহলে আমি
তোমার সামনে একেবারে হাযির, তুমি যা ইচ্ছা কর ৷ হে আল্লাহ ! তুমি আমার সাথে এমন
আচরণ কর না যাতে বিভিন্ন ধর্মালম্বী আমাদের শত্রুরা আনন্দিত হয় ৷ এরুপ অবস্থা বহুক্ষণ
বিরাজ করে ও পরে আকাশ, পরিষ্কার হয়ে যায় ৷
একদিন এক ব্যক্তি আল-মাহদীর কাছে প্রবেশ করে ৷ তার সাথে ছিল এক জোড়া পাদুক৷ ৷
مَا إِنْ رَأَيْتُ كَمَا رَأَيْتُ وَلَا أَرَى ... شَعْرًا أُرَجِّلُهُ وَآخَرُ يُنْتَفُ
هَلَكَ الْخَلِيفَةُ يَالَأُمَّةِ أَحْمَدَ ... وَأَتَاكُمْ مِنْ بَعْدِهِ مَنْ يَخْلُفُ
أَهْدَى لِهَذَا اللَّهُ فَضْلَ خِلَافَةٍ ... وَلِذَاكَ جنَاتِ النَّعِيمِ تُزَخْرَفُ
وَقَدْ قَالَ الْمَهْدِيُّ يَوْمًا فِي خُطْبَتِهِ: أَيُّهَا النَّاسُ، أَسِرُّوا مِثْلَمَا تُعْلِنُونَ مِنْ طَاعَتِنَا تَهْنِكُمُ الْعَافِيَةُ، وَتَحْمَدُوا الْعَاقِبَةَ، وَاخْفِضُوا جَنَاحَ الطَّاعَةِ لِمَنْ نَشَرَ مِعْدِلَتَهُ فِيكُمْ، وَطَوَى ثَوْبَ الْإِصْرِ عَنْكُمْ، وَأَهَالَ عَلَيْكُمُ السَّلَامَةَ وَلِينَ الْمَعِيشَةِ مِنْ حَيْثُ أَرَاهُ اللَّهُ، مُقَدِّمًا ذَلِكَ فِعْلَ مَنْ تَقَدَّمَهُ، وَاللَّهِ لَأُفْنِيَنَّ عُمْرِي بَيْنَ عُقُوبَتِكُمْ وَالْإِحْسَانِ إِلَيْكُمْ. قَالَ: فَأَشْرَقَتْ وُجُوهُ النَّاسِ مِنْ حُسْنِ كَلَامِهِ.
ثُمَّ اسْتَخْرَجَ الْمَهْدِيُّ حَوَاصِلَ أَبِيهِ مِنَ الذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ الَّتِي كَانَتْ لَا تُحَدُّ وَلَا تُوصَفُ كَثْرَةً، فَفَرَّقَهَا فِي النَّاسِ، وَلَمْ يُعْطِ أَهْلَهُ وَمَوَالِيَهُ مِنْهَا، بَلْ أَجْرَى لَهُمْ أَرْزَاقًا بِحَسَبِ كِفَايَتِهِمْ مِنْ بَيْتِ الْمَالِ، لِكُلِّ وَاحِدٍ خَمْسُمِائَةٍ فِي الشَّهْرِ غَيْرَ الْأُعْطِيَّاتِ، وَقَدْ كَانَ أَبُوهُ الْمَنْصُورُ حَرِيصًا عَلَى تَوْفِيرِ بَيْتِ الْمَالِ، وَإِنَّمَا كَانَ يُنْفِقُ فِي السَّنَةِ أَلْفَيْ دِرْهَمٍ مَنْ مَالِ الشَّرَاةِ، وَأَمَرَ الْمَهْدِيُّ بِبِنَاءِ مَسْجِدِ الرُّصَافَةِ وَعَمَلِ خَنْدَقٍ وَسُورٍ حَوْلَهَا، وَبَنَى مُدُنًا قَدْ ذَكَرْنَاهَا فِيمَا تَقَدَّمَ.
وَقَدْ ذُكِرَ لَهُ عَنْ شَرِيكِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْقَاضِي أَنَّهُ لَا يَرَى الصَّلَاةَ خَلْفَهُ، فَأَحْضَرَهُ إِلَيْهِ فَتَكَلَّمَ مَعَهُ، ثُمَّ قَالَ لَهُ الْمَهْدِيُّ فِي كَلَامٍ: يَا ابْنَ الزَّانِيَةِ. فَقَالَ: مَهْ مَهْ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، فَلَقَدْ كَانَتْ صَوَّامَةً قَوَّامَةً. فَقَالَ لَهُ: يَا زِنْدِيقُ لَأَقْتُلَنَّكَ. فَضَحِكَ
পৃষ্ঠা - ৮১৬০
شَرِيكٌ، وَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، إِنَّ لِلزَّنَادِقَةِ عَلَامَاتٍ يُعْرَفُونَ بِهَا; شُرْبُهُمُ الْقَهَوَاتِ، وَاتِّخَاذُهُمُ الْقَيْنَاتِ. فَأَطْرَقَ الْمَهْدِيُّ، وَخَرَجَ شَرِيكٌ مِنْ بَيْنِ يَدَيْهِ.
وَذَكَرُوا أَنَّهُ هَاجَتْ رِيحٌ شَدِيدَةٌ فِي زَمَنِ الْمَهْدِيِّ فَدَخَلَ الْمَهْدِيُّ بَيْتًا فِي دَارِهِ، فَأَلْزَقَ خَدَّهُ بِالتُّرَابِ، وَقَالَ: اللَّهُمَّ إِنْ كُنْتُ أَنَا الْمَطْلُوبَ بِهَذِهِ الْجِنَايَةِ دُونَ النَّاسِ فَهَا أَنَا ذَا بَيْنِ يَدَيْكَ، اللَّهُمَّ لَا تُشْمِتْ بِيَ الْأَعْدَاءَ مِنْ أَهْلِ الْأَدْيَانِ. فَلَمْ يَزَلْ كَذَلِكَ حَتَّى انْجَلَتْ.
وَدَخَلَ عَلَيْهِ رَجُلٌ يَوْمًا وَمَعَهُ نَعْلٌ، فَقَالَ: هَذِهِ نَعْلُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ أَهْدَيْتُهَا لَكَ. فَقَالَ: هَاتِهَا. فَنَاوَلَهُ إِيَّاهَا، فَقَبَّلَهَا وَوَضَعَهَا عَلَى عَيْنَيْهِ، وَأَمَرَ لَهُ بِعَشَرَةِ الْآفِ دِرْهَمٍ. فَلَمَّا انْصَرَفَ الرَّجُلُ قَالَ الْمَهْدِيُّ، وَاللَّهِ إِنِّي لَأَعْلَمُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يَرَ هَذِهِ النَّعْلَ، فَضْلًا عَنْ أَنْ يَلْبَسَهَا، وَلَكِنْ لَوْ رَدَدْتُهُ لَذَهَبَ يَقُولُ لِلنَّاسِ: أَعْطَيْتُهُ نَعْلَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَرَدَّهَا عَلَيَّ. فَيُصَدِّقُهُ أَكْثَرُ النَّاسِ; لِأَنَّ الْعَامَّةَ تَمِيلُ إِلَى أَمْثَالِهَا، وَمِنْ شَأْنِهِمْ نَصْرُ الضَّعِيفِ عَلَى الْقَوِيِّ وَإِنْ كَانَ ظَالِمًا، فَاشْتَرَيْنَا لِسَانَهُ بِعَشَرَةِ آلَافِ دِرْهَمٍ، وَرَأَيْنَا هَذَا أَرْجَحَ وَأَنْجَحَ.
وَاشْتُهِرَ عَنْهُ أَنَّهُ كَانَ يُحِبُّ الْحَمَامَ وَالسِّبَاقَ بَيْنَهَا، فَدَخَلَ عَلَيْهِ جَمَاعَةٌ مِنَ الْمُحَدِّثِينَ، فِيهِمْ غِيَاثُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، فَحَدَّثَهُ بِحَدِيثِ أَبِي هُرَيْرَةَ: " «لَا سَبْقَ إِلَّا فِي خُفٍّ أَوْ نَصْلٍ أَوْ حَافِرٍ» ". وَزَادَ فِي الْحَدِيثِ: " أَوْ جَنَاحٍ ". فَأَمَرَ لَهُ بِعَشَرَةِ
পৃষ্ঠা - ৮১৬১
সে বলল, এগুলো রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর পাদুকা ৷ আমি এগুলো আপনাকে হাদিয়৷ দিলাম ৷ খলীফ৷
বললেন, এগুলো আমাকে দাও ৷ যে তাকে এগুলো দিল ৷ এগুলোতে তিনি চুমু খেলেন এবং তার
দৃ’ চে ৷খের উপর রাখলেন ৷৩ তাকে দশ হাজার দিরহাম প্রদান করার জন্য হুকুম দিলেন ৷ যখন
লো ৷কটি চলে গেল আ ৷ল-মাহদী বললেন, আল্লাহর শপথ আমি অবশ ৷ব্রই জা ৷নি যে, র ৷সুলুল্পা হ্ (সা)
এসব পাদৃকা পরিধান করাভাে দুরের কথা তিনি এগুলোর ইচ্ছা করেন নি ৷ কিভু যদি আমি
এগুলো ফেরত দিতাম তাহলে সে লোকজনকে বলত, আমি তাকে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর পাদুকা
মুবারক হাদিয়৷ দিয়েছিলাম কিভু তিনি তা আমাকে ফেরত দিয়েছেন ৷ আর লোকজনও তাকে
বিশ্বাস করত ৷ কেননা সাধারণ জনগণ এ ধরনের বিষয়াদির প্রতি ৩অত্যত আকৃষ্ট হয়ে থাকে ৷
তাদের অভ্যাস হল শক্তিশালীর বিরুদ্ধে দৃর্বলকে সাহায্য করা যদিও দুর্বল লোকটি যালিম হয়ে
থাকে ৷ তাই আমি তার মুখের ভাষা এ দশ হাজার দিরহাম দিয়ে খরিদ করে নিলাম ৷ আর এটইি
আমি আমার জন্য অধিক প্রহণীয় ও সঠিক বলে মনে করলাম ৷
এ কথা প্রসিদ্ধ আছে যে, তিনি কবুতরের খেলা ও প্রতিযোগিতা পসন্দ কর তন ৷ একদিন
তার কাছে মুহাদ্দিসগ ণে র একটি দল প্রবেশ করলেন ৷ তাদের মধ্যে ছিলেন ইতাব ইবরাহীম ৷
তিনি তখন তার কাছে আবু হুরায়রা (রা)-এর বর্ণিত একটি হাদীস বর্ণনা করেন ৷ হাদীসটি হল £
ৰুাও;ৰু ,াহু;া, , হৃ১, ,;াহ্র ,া ,া;১ ১৷ দুহ্র ষ্১ ’>া৷ হু; ন্; ৰু৷ অর্থাৎ প্রতিযোগিতা বৈধ
হচ্ছে উট কিৎব৷ নাল পরিধর্দুন করানো হয় এরুপ খুরযুত্ত চতৃষ্পদ জভু কিৎব ডানাযুক্ত পাখির ৷
তিনি তখন র্তাকে দশ হাজার দিরহহাম প্রদান করার নির্দেশ যেন ৷ যখন ব্যক্তিটি চলে যান তখন
তিনি বলেন , আল্লাহ্র শপথ, আমি অবশ্যই জানি যে, ইতাব রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর প্রতি মিথ্যা
আরোপ করেছেন ৷ এরপর কবুতরটিকে যবাহ করার হুকুম দেন ৷ পরে ইতাবের আর কোন কথা
উল্লেখ করেননি ৷
আল্লাম৷ ওয়াকিদী বলেন , একদিন আমি আল-মাহদীর কাছে প্রবেশ করলাম ৷ তীর কাছে
আমি কিছু হাদীস বর্ণনা করলাম ৷ তিনি এগুলো আমার নিকট থেকে লিখে নেয়ার ব্যবস্থা করেন ৷
এরপর তিনি দীড়ান এবং মহিলাদের ঘরে প্রবেশ করেন ৷ তারপর বের হয়ে আসেন ৷ তখন তিনি
ছিলেন অত্যন্ত রাপাম্বিত ৷ আমি বাংলায়, আপনার কী হয়েছে হে আমীরুল মু’মিনীন ? তিনি
বললেন, আমি খাইযুরানের ঘরে প্রবেশ করেছিলাম সে আমার কাছে দীড়াল এবং আমার
জা৷মা-ক পড় ছিড়ে ফেলল ৷ আ র সে বলছিল, আমি তােমা র মধ্যে কোন কল্যাণ খুজে পা ৷ইনি ৷ হে
ওয়াকিদী আল্লাহর শপথ আমি দাস-দা ৷সী বিক্রেত৷ থেকে তাকে খরিদ করেছিলাম এবং ঘরে
উঠিয়ে নিয়েছিলাম ৷ আর সে আমার কাছে যা মর্যাদা লাভ করার তা করেছে ৷ আমার পরে তার র
দুই সন্তানের জন্য আমীরুল মু’মিনীনের বড়ায়আত গ্রহণ করেছি ৷ হে আমীরুল মু’মিনীন !
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, তারা অনুপ্রহপরায়ণদের উপর প্রভাব বিস্তার করে থাকে আর ইতররা
তাদের উপর প্রভাব বিস্তার করে থাকে ৷ তিনি আরো বলেছেন, তোমাদের মধ্যে উত্তম হলেন ঐ
ব্যক্তি যিনি তীর পরিবারের জন্য উত্তম ৷ আর আমি নিজের পরিবারের জন্য তোমাদের মধ্যে
উত্তম ৷ মহিলাকে বাকা পাজরের হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে ৷ যদি তুমি তাকে পরিপুর্ণভ৷ বে
সোজা করতে চাও তাহলে তাকে ভুমি ভেঙ্গে ফেলবে ৷ আর এ সম্পর্কে তার নিকট আমার
বর্তমান মজুদ থেকে আমি হাদীস বর্ণনা করলাম ৷ খলীফ৷ আমাকে দৃহাজার দীনার প্রদান করার
آلَافٍ. وَلَمَّا خَرَجَ قَالَ: وَاللَّهِ إِنِّي لَأَرَى قَفَاكَ قَفَا كَذَّابٍ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. ثُمَّ أَمَرَ بِالْحَمَامِ فَذُبِحَ، وَلَمْ يَذْكُرْ غِيَاثًا بَعْدَهَا.
وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: دَخَلْتُ يَوْمًا عَلَى الْمَهْدِيِّ، فَحَدَّثْتُهُ بِأَحَادِيثَ، فَكَتَبَهَا عَنِّي ثُمَّ قَامَ فَدَخَلَ بُيُوتَ نِسَائِهِ، ثُمَّ خَرَجَ وَهُوَ مُمْتَلِئٌ غَيْظًا، فَقُلْتُ: مَا لَكَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ؟ فَقَالَ: دَخَلْتُ عَلَى الْخَيْزُرَانِ، فَقَامَتْ إِلَيَّ، وَمَزَّقَتْ ثَوْبِي، وَقَالَتْ: مَا رَأَيْتُ مِنْكَ خَيْرًا. وَإِنِّي وَاللَّهِ يَا وَاقَدِيُّ إِنَّمَا اشْتَرَيْتُهَا مِنْ نَخَّاسٍ، وَقَدْ نَالَتْ عِنْدِي مَا نَالَتْ، وَقَدْ بَايَعْتُ لِوَلَدَيْهَا بِإِمْرَةِ الْمُؤْمِنِينَ مِنْ بَعْدِي. فَقُلْتُ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّهُنَّ يَغْلِبْنَ الْكِرَامَ وَيَغْلِبُهُنَّ اللِّئَامُ» . وَقَالَ «خَيْرُكُمْ خَيْرُكُمْ لِأَهْلِهِ، وَأَنَا خَيْرُكُمْ لِأَهْلِي» . وَقَالَ «خُلِقَتِ الْمَرْأَةُ مِنْ ضِلْعٍ أَعْوَجَ إِنْ قَوَّمْتَهُ كَسَرْتَهُ» . وَحَدَّثْتُهُ فِي هَذَا الْبَابِ بِكُلِّ مَا حَضَرَنِي، فَأَمَرَ لِي بِأَلْفَيْ دِينَارٍ، فَلَمَّا وَافَيْتُ الْمَنْزِلَ إِذَا رَسُولُ الْخَيْزُرَانِ قَدْ لَحِقَنِي بِأَلْفَيْ دِينَارٍ إِلَّا عَشَرَةَ دَنَانِيرَ، وَإِذَا مَعَهُ أَثْوَابٌ أُخَرُ، وَبَعَثَتْ تَتَشَكَّرُ لِي وَتُثْنِي عَلَيَّ مَعْرُوفًا.
وَذَكَرُوا أَنَّ الْمَهْدِيَّ كَانَ قَدْ أَهْدَرَ دَمَ رَجُلٍ مِنْ أَهْلِ الْكُوفَةِ وَجَعَلَ لِمَنْ جَاءَ
পৃষ্ঠা - ৮১৬২
নির্দেশ দেন ৷ যখন আমি ঘরে পৌছলাম, দেখতে পেলাম খাইযুরানের দুত দশ দিরহাম কম
দৃ’হাজার দিরহাম নিয়ে আমার সাথে সাক্ষাৎ করতে এসেছে ৷ আর তার সাথে ছিল অন্যান্য
জামা-কাপড় ৷ সে আমার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের জন্য ও আমার প্রশংসা করার জন্য লোক
প্রেরণ করেছে ৷
ঐতিহাসিকণণ উল্লেখ করেন, আল-মাহদী একবার কুফার এক বাসিন্দার রক্ত হালাল ঘোষণা
করেন ৷ আর যে ব্যক্তি তাকে ধরিয়ে দেবে তার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করেন এক লাখ দিরহাম ৷
লোকটি বাগদাদে গোপনে প্রবেশ করল তখন তার সাথে এক লোকের সাক্ষাৎ হয় ৷ সে তখন
তার সমস্ত কাপড়-চােপড় জড়িয়ে ধরে ও ঘোষণা করে এটি আমীরুল মু’মিনীনের আসামী ৷
অন্য দিকে লোকটি তার থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে কিংছু সে সক্ষম হচ্ছিল না ৷ এ দু’জন
যখন একজন আরেকজনকে টানাটানি করছিল ৷ তাদের কাছে জনতা জমায়েত হয়েছিল ৷ শহরের
আমীর একটি আরোহীতে আরোহণ করে ঐ রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন ; আমীরের নাম ছিল মাআন
ইবন যায়িদা ৷ তখন লোকটি বলল, হে আবুল ওয়ালীদ ৷ আমি ভীত-সন্ত্রস্ত, আশ্রয়প্ৰার্থী ৷ মাআন
বললেন, তোমার দৃর্ভাগ্য ! তোমার ও তার মধ্যে কী ঘটনা ঘটেছে ? লোকটি বলল, এটা
আমীবপ্স মু’মিনীনের আসামী ৷ যে তাকে হাবিব করতে পারবে তার জন্য আমীরুল মু’মিনীন এক
লাখ দিরহাম পুরস্কার ঘোষণা করেছেন ৷ মাআন বললেন, তুমি কি জান না ? আমি তাকে নিরাপত্তা
দিয়েছি ৷ তাকে তুমি ছেড়ে দাও ৷ এরপর তিনি তার এক গোলামকে হুকুম দিলেন, যে তাকে
নামিয়ে নিল এবং অন্য একটি সওয়ারীতে আরোহণ করাল ৷ আর তাকে নিয়ে তার বাড়িতে চলে
গেল ৷ ঐ লোকটি খলীফার দরবারে গমন করল এবং সভাসদবর্গের কাছে এ খবরটি পৌছাল ৷
আল-মাহদীর কাছে যখন এ খবর পৌছল তিনি মাআনের কাছে এক লোককে প্রেরণ করে তাকে
ডেকে পাঠালেন ৷ মাআন খলীফার কাছে প্রবেশ করলেন ও তাকে সালাম করলেন ৷ কিংছু খলীফা
তার সালামের উত্তর দিলেন না এবং বললেন, হে মাআন ! আমার কাছে খবর পৌছেছে যে, তুমি
আমার বিরুদ্ধে কাউকে নিরাপত্তা দিয়েছ ? তিনি বললেন, “হ্যা” ৷ খলীফা বললেন, আবারও ছুদ্র৷ ?
তিনি বললেন, “হ্যা” ; আপনার রাজত্বে আমি চার হাজার মুসল্লীকে হত্যা করেছি, তার মধ্যে
আমি কি একজনকে নিরাপত্তা দিতে পারি না ? আল-মাহদী চুপ করে রইলেন ৷ তারপর তিনি তার
দিকে মাথা উঠায়ে নযর করলেন এবং বললেন, হে মাআন ! তুমি যাকে নিরাপত্তা দিয়েছে আমিও
তাকে নিরাপত্তা দিলাম ৷ তিনি তখন বললেন, হে আমীরুল মু’মিনীন ! লোকটি দুর্বল , তাকে ৩০
হাজার দিরহাম দেয়ার হুকুম দিন ৷ তিনি বললেন, তার জরিমানাটা হবে বড় আকারের ৷ আর
খলীফাদের পুরস্কার প্ৰজাদের অপরাধের মাত্রার উপর নির্ভর করে ৷ কাজেই আমি তার জন্য এক
লাখ দিরহামের হুকুম দিচ্ছি ৷ মাআনের সামনেই আমি এ লোকটির প্রতি হামলা করলাম তখন
তাকে মাআন বললেন, সম্পদ নিয়ে যাও, আমীরুল মু’মিনীনের জন্য দুঅ৷ কর এবং ভবিষ্যতের
জন্য তোমার নিয়ত সংশোধন করে নিও ৷
একবার আল-মাহদী বসরায় আগমন করলেন ৷ এরপর তিনি লোকজনকে নিয়ে সালড়াত
আদায় করার জন্য বের হলেন ৷ এমন সময় এক মরুবাসী আসেন এবং বলেন, হে আমীরুল
মু’মিনীন ৷ মুসল্লীরা চলে এসেছেন, আমির ওয়ু করা পর্যন্ত তারা যেন আমার জন্য অপেক্ষা
করেন ৷ খলীফা তখন তাদেরকে তার জন্য অপেক্ষা করার নির্দেশ দিলেন ৷ আলমাহদী মিহরাবে
بِهِ مِائَةَ أَلْفٍ، فَدَخَلَ الرَّجُلُ بَغْدَادَ مُتَنَكِّرًا، فَبَيْنَمَا هُوَ يَوْمًا فِي بَعْضِ أَزِقَّةِ بَغْدَادَ إِذْ لَقِيَهُ رَجُلٌ، فَأَخَذَ بِمَجَامِعِ ثَوْبِهِ وَنَادَى: هَذَا طِلْبَةُ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ. وَجَعَلَ الرَّجُلُ يُرِيدُ أَنْ يَنْفَلِتَ مِنْهُ فَلَا يَقْدِرُ، فَبَيْنَا هُمَا كَذَلِكَ إِذَا أَمِيرٌ فِي مَوْكِبِهِ قَدْ أَقْبَلَ وَإِذَا هُوَ مَعْنُ بْنُ زَائِدَةَ، فَقَالَ الرَّجُلُ: يَا أَبَا الْوَلِيدِ، خَائِفٌ مُسْتَجِيرٌ. فَقَالَ: وَيْحَكَ! مَا لَكَ وَلَهُ؟ فَقَالَ هَذَا طِلَبَةُ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ، جَعَلَ لِمَنْ جَاءَ بِهِ مِائَةَ أَلْفٍ. قَالَ مَعْنٌ: وَيْحَكَ! أَوَمَا عَلِمْتَ أَنِّي قَدْ أَجَرْتُهُ؟ أَرْسِلْهُ مِنْ يَدِكَ. ثُمَّ أَمَرَ بَعْضَ غِلْمَانِهِ فَتَرَجَّلَ وَأَرْكَبَهُ، وَذَهَبَ بِهِ إِلَى مَنْزِلِهِ، وَانْطَلَقَ ذَلِكَ الرَّجُلُ إِلَى بَابِ الْخَلِيفَةِ فَأَنْهَى إِلَيْهِ الْخَبَرَ، فَبَلَغَ الْمَهْدِيَّ. فَأَرْسَلَ إِلَى مَعْنِ بْنِ زَائِدَةَ فَدَخَلَ عَلَيْهِ، فَسَلَّمَ فَلَمْ يَرُدَّ الْمَهْدِيُّ. وَقَالَ: يَا مَعْنُ، أَبَلَغَ مِنْ أَمْرِكَ أَنْ تُجِيرَ عَلَيَّ؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: وَنَعَمْ أَيْضًا. قَالَ: نَعْمَ، قَدْ قَتَلْتُ فِي دَوْلَتِكُمْ أَرْبَعَةَ آلَافِ مُصَلٍّ، أَفَلَا يُجَارُ لِي رَجُلٌ وَاحِدٌ؟! فَأَطْرَقَ الْمَهْدِيُّ، ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ إِلَيْهِ وَقَالَ: قَدْ أَجَرْنَا مَنْ أَجْرْتَ يَا مَعْنُ. فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، إِنَّ الرَّجُلَ ضَعِيفٌ. فَأَمَرَ لَهُ الْمَهْدِيُّ بِثَلَاثِينَ أَلْفًا. فَقَالَ: إِنَّ جَرِيمَتَهُ عَظِيمَةٌ، وَإِنَّ جَوَائِزَ الْخُلَفَاءِ عَلَى قَدْرِ ذُنُوبِ الرَّعِيَّةِ. فَأَمَرَ لَهُ بِمِائَةِ أَلْفٍ، فَحُمِلَتْ بَيْنَ يَدَيْ مَعْنٍ إِلَى الرَّجُلِ، فَقَالَ لَهُ مَعْنٌ: ادْعُ لِلْخَلِيفَةِ وَأَصْلِحْ نِيَّتَكَ فِي الْمُسْتَقْبَلِ.
وَقَدِمَ الْمَهْدِيُّ مَرَّةً الْبَصْرَةَ، فَخَرَجَ لِيُصَلِّيَ بِالنَّاسِ، فَجَاءَ أَعْرَابِيٌّ، فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، مُرْ هَؤُلَاءِ فَلْيَنْتَظِرُونِي حَتَّى أَتَوَضَّأَ. فَأَمَرَهُمُ الْمَهْدِيُّ بِانْتِظَارِهِ، وَوَقَفَ الْمَهْدِيُّ فِي الْمِحْرَابِ حَتَّى قِيلَ لَهُ: هَذَا الْأَعْرَابِيُّ قَدْ جَاءَ، فَكَبَّرَ، فَتَعَجَّبَ النَّاسُ مِنْ سَمَاحَةِ أَخْلَاقِهِ.
পৃষ্ঠা - ৮১৬৩
وَقَدِمَ أَعْرَابِيٌّ وَمَعَهُ كِتَابٌ مَخْتُومٌ، فَجَعَلَ يَقُولُ: هَذَا كِتَابُ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ، أَيْنَ الرَّجُلُ الَّذِي يُقَالُ لَهُ: الرَّبِيعُ؟ فَدَلُّوهُ عَلَى الرَّبِيعِ الْحَاجِبِ، فَأَخَذَ الْكِتَابَ وَجَاءَ بِهِ إِلَى أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ، وَأَوْقَفَ الْأَعْرَابِيَّ، وَفَتَحَ الْكِتَابَ، فَإِذَا هُوَ قِطْعَةُ أَدِيمٍ، فِيهَا كِتَابَةٌ ضَعِيفَةٌ، وَالْأَعْرَابِيُّ يَزْعُمُ أَنَّ هَذَا خَطُّ الْخَلِيفَةِ، فَتَبَسَّمَ الْمَهْدِيُّ وَقَالَ: صَدَقَ الْأَعْرَابِيُّ هَذَا خَطِّي، إِنِّي خَرَجْتُ يَوْمًا إِلَى الصَّيْدِ، فَضِعْتُ مِنَ الْجَيْشِ، وَأَقْبَلَ اللَّيْلُ، فَتَعَوَّذْتُ بِتَعَوُّذِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَرُفِعُ لِي نَارٌ مِنْ بُعْدٍ، فَقَصَدْتُهَا فَإِذَا هُوَ الشَّيْخُ وَامْرَأَتُهُ فِي خِبَاءٍ يُوقِدَانِ نَارًا، فَسَلَّمْتُ، فَرَدَّ السَّلَامَ، وَفَرَشَ لِي كِسَاءً، وَسَقَانِي مِنْ مَذْقَةٍ مِنْ لَبَنٍ مَشُوبٍ بِمَاءٍ، فَمَا شَرِبْتُ شَيْئًا إِلَّا وَهِيَ أَطْيَبُ مِنْهُ، وَنِمْتُ نَوْمَةً عَلَى تِلْكَ الْعَبَاءَةِ مَا أَذْكُرُ أَنِّي نِمْتُ نَوْمَةً أَحْلَى مِنْهَا. فَقَامَ إِلَى شُوَيْهَةٍ لَهُ فَذَبَحَهَا، فَسَمِعْتُ امْرَأَتَهُ تَقُولُ لَهُ: عَمَدْتَ إِلَى مَعِيشَتِكَ وَمَعِيشَةِ أَوْلَادِكَ فَذَبَحْتَهَا؟! أَهْلَكْتَ نَفْسَكَ وَعِيَالِكَ. فَمَا الْتَفَتَ إِلَيْهَا، وَاسْتَيْقَظْتُ مِنَ النَّوْمِ فَاشْتَوَيْتُ مِنْ تِلْكَ الشُّوَيْهَةِ، وَقُلْتُ لَهُ: أَعْنَدَكَ شَيْءٌ أَكْتُبُ لَكَ فِيهِ كِتَابًا؟ فَأَتَانِي بِهَذِهِ الرُّقْعَةِ مِنَ الْأَدِيمِ فَكَتَبْتُ لَهُ بِعُودٍ مِنْ ذَلِكَ الرَّمَادِ خَمْسَمِائَةِ أَلْفٍ، وَإِنَّمَا أَرَدْتُ خَمْسِينَ أَلْفًا، وَاللَّهِ لَأُنْفِذَنَّهَا لَهُ كُلَّهَا وَلَوْ لَمْ يَكُنْ فِي بَيْتِ الْمَالِ سِوَاهَا. فَقَبَضَهَا الْأَعْرَابِيُّ، وَاسْتَمَرَّ مُقِيمًا فِي ذَلِكَ الْمَوْضِعِ وَهُوَ فِي طَرِيقِ الْحَاجِّ مِنْ نَاحِيَةِ الْأَنْبَارِ فَجَعَلَ يُقْرِي النَّاسَ فِي ذَلِكَ الْمَوْضِعِ، فَعُرِفَ بِمَنْزِلِ مُضِيفِ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ الْمَهْدِيِّ.
وَعَنْ سَوَّارٍ - صَاحِبِ رَحْبَةِ سَوَّارٍ - قَالَ: انْصَرَفْتُ يَوْمًا مِنْ عِنْدِ الْمَهْدِيِّ، فَجِئْتُ مَنْزِلِي فَوُضِعَ لِيَ الْغَدَاءُ، فَلَمْ تُقْبِلْ نَفْسِي عَلَيْهِ، فَدَخَلْتُ خَلْوَتِي لِأَنَامَ
পৃষ্ঠা - ৮১৬৪
দাড়িয়ে তার জন্য অপেক্ষা ৷করছিলেন ৷ যতক্ষণ পর্যন্ত না বলা হলো যে মরুবাসী এসেছেন
ততক্ষণ পর্যন্ত আল-মাহদী তাকবীরে তাহরীমা বলেননি ৷ এরপর তিনি তাকবীর বললেন ৷
লোকজন খলীফ৷ ৷র চরিত্র মাধুর্যে অবাক হলেন ৷ মরুব৷ ৷সী এগিয়ে আ সলেন , তার সাথে ছিল সীল
যােহরকৃত একটি পত্র ৷ আর তিনি বলছিলেন, এটা আমার কাছে আমীরুল মু’মিনীনের একটি প্
পত্র ৷ দারোয়ান আর-রাৰী যাকে বলা হয় তিনি কোথায় আছেন ৷’ আর-রাবী পত্রটি হাতে নিলেন
এবং এটা খলীফার কাছে নিয়ে আসলেন ৷ মরুবাসীও পাশে দাড়িয়ে ছিলেন ৷ তিনি পত্রটি
খুললেন, দেখা গেল চামড়ার একটি টুকরা ৷৩ তার মধ্যে দুর্বল হাতের লেখা ৷ মরুবাসী বলছিলেন,
এটা খলীফার হাতের লেখা ৷ আ ৷ল-মাহদী ঘুচকি হাসেন এবং বলেন, মরুবাসীটি সত্য বলেছেন,
এটা আমারই হাতের লেখা ৷ আমি একদিন শি ৷কারে বের হয়েছিলাম ৷ আমি আমার লোকজন
থেকে পৃথক হয়ে পড়লাম ৷ রাত ঘনিয়ে আসল ৷ আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর শেখানাে তা বীযের
শরণাপন্ন হলাম ৷ দুরে আগুন জ্বলতে দেখলাম ৷ এগিয়ে গেলাম; দেখি এ বৃদ্ধ লোকটি তার শ্রীর
সাথে একটি তাবুতে অবন্থ ন করছেন ৷ তারা দু জনে আগুন জ্বালিয়ে রেখেছেন ৷ আমি তাদেরকে
সালাম দিলাম ৷ তারা আমার সালামের উত্তর দিলেন ৷ আমাকে বলার জন্য একটি চাদর বিছিয়ে
দিলেন এবং পানি মিশ্রিত দুধ পান করালেন ৷ আমি যা পান করলাম তা ছিল আমার কাছে অত্যন্ত
সুস্বাদু ৷ ঐ জামা-কাপড়ে আমি সেখানে ঘুমালাম, এর থেকে উত্তম ঘুম আমি কোন দিন ঘুমইিনি
কিৎবা ঘুমিয়েছিলাম বলে স্মরণ হচ্ছিল না ৷ তিনি একটি ছোট বকরীর কাছে গেলেন এবং এটাকে
যবাহ করলেন ৷ তার ত্রীকে বলতে শুনছিলামং : তোমার অর্জিত বন ও তোমার ছেলেমেয়ের
উপজীবিকা, আর তুমি এটাকে যবাহ করলে ? তুমি তোমাকে ধ্বংস করলে এবং তোমার
পরিবার পরিজনকেও ধ্বংস করলো কিন্তু৩ তিনি৩ ৷ জ্বর ণ্ডুদিকে কো ন ভ্রাক্ষেপ করলেন না ৷ মহিলাটি
ঘুম থেকে জেগে উঠল এবং বকরীর গোশত ভুনা করল ৷ আমি তাকে বললাম , আপনার কাছে
কি কো ন বস্তু আছে আপনার জন্য আমি তার মাধ্যমে কিছু লিখে দেব ? তিনি আমার কাছে এ
চামড়া র টুকরাটি নিয়ে এসেছিলেন ৷৩ তার মধ্যে লোকটির জন্য ছাইয়ের কা ৷ঠি দিয়ে লিখেছিলাম
পাচ লাখ দিরহড়াম ৷ আ ৷মি অবশ্য ৷ইচ্ছা করেছিলাম পঞ্চাশ হাজারের ৷ আল্লাহর শপথ ৷ আ ৷মি তা ৷কে
সম্পুর্ণ পরিমাণ সম্পদই দান করব যদিও এ পরিমাণ ব্যতীত বায়তুল মালে অন্য কোন সম্পদ না
থাকে ৷ এরপর খলীফ৷ তাকে পাচ লাখ দিরহাম দেওয়ার হুকুম দিলেন ৷ মরুবাসী এ পরিমাণ
সম্পদ হস্তগত করলেন এবং আবার অঞ্চলের হরুজ্জর র ৷ন্তায় ঐখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে
লাগলেন ৷ ঐদিক দিয়ে যে কেউ যাতায়াত করত তাকে তিনি যেহমানদারী করতেন ৷ এভাবে তার
ঘরটি আমীরুল মুমিনীন আ ৷ল-মাহদীর যেহম ৷নখানা হিসেবে পরিচিত হতে থাকে ৷
সিওয়ার-সিরওয়ারের সাথী রাহবাত থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, একদিন আমি আল-মাহদীর
কাছ থেকে বিদায় হয়ে আসলাম ৷ আমার ঘরে পৌছলাম ৷ আমার সামনে খাবার রাখ হল কিভু
খাবার যেতে আমার মন চাইল না ৷ এরপর একা ঘরে প্রবেশ করলাম যাতে দুপুরে খাওয়ার পর
একটু ঘুমাতে ৩পারি কিভু ঘুম আসল না ৷ এরপর আমার দাসীদের কোন একজনকে ডাকনাম
যাতে তার সাথে চিত্ত বিনোদন করা যায় কিন্তু তার দিকেও মন আকৃষ্ট হল না ৷৩ তাই উঠে
দাড়ালাম, ঘর থেকে বের হলাম ৷ আমার খচ্চার সাওয়ার হলাম ৷ কিছু দুর যাওয়ার পর এক
ব্যক্তির সাথে সাক্ষাত হয় তার সাথে ছিল দৃহাজার দিরহাম ৷ আমি বললাম , এগুলো কার কাছ
فِي الْقَائِلَةِ، فَلَمْ يَأْخُذْنِي نَوْمٌ، فَاسْتَدْعَيْتُ بِبَعْضَ حَظَايَايَ لِأَتَلَهَّى بِهَا، فَلَمْ يَقِرَّ لِي قَرَارٌ، فَنَهَضْتُ فَخَرَجْتُ مِنَ الْمَنْزِلِ، وَرَكِبْتُ بَغْلَتِي، فَمَا جَاوَزْتُ الدَّارَ إِلَّا قَلِيلًا حَتَّى لَقِيَنِي رَجُلٌ وَمَعَهُ أَلْفَا دِرْهَمٍ، فَقُلْتُ: مَنْ أَيْنَ هَذِهِ؟ فَقَالَ: مِنْ مُلْكِكَ الْجَدِيدِ. فَاسْتَصْحَبْتُهُ مَعِي، وَسِرْتُ فِي أَزِقَّةِ بَغْدَادَ أَتَشَاغَلُ مِمَّا أَنَا فِيهِ مِنَ الضَّجَرِ، فَحَانَتْ صَلَاةُ الْعَصْرِ عِنْدَ مَسْجِدٍ فِي بَعْضِ الْحَارَاتِ، فَنَزَلْتُ لِأُصَلِّيَ فِيهِ، فَلَمَّا قَضَيْتُ الصَّلَاةَ إِذَا بِرَجُلٍ أَعْمَى قَدْ أَخَذَ بِثِيَابِي فَقَالَ: إِنَّ لِي إِلَيْكَ حَاجَةً. فَقُلْتُ: مَا حَاجَتُكَ؟ فَقَالَ: إِنِّي رَجُلٌ ضَرِيرٌ، وَلَكِنَّنِي لَمَّا شَمَمْتُ رَائِحَةَ طِيبِكَ ظَنَنْتُ أَنَّكَ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ النِّعْمَةِ وَالثَّرْوَةِ، فَأَحْبَبْتُ أَنْ أُفْضِيَ بِحَاجَتِي إِلَيْكَ. فَقُلْتُ: وَمَا هِيَ؟ فَقَالَ: إِنَّ هَذَا الْقَصْرَ الَّذِي تُجَاهَ الْمَسْجِدِ كَانَ لِأَبِي، فَسَافَرَ مِنْهُ إِلَى خُرَاسَانَ، وَبَاعَهَ وَأَخَذَنِي مَعَهُ وَأَنَا صَغِيرٌ، فَافْتَرَقْنَا هُنَاكَ، وَأَصَابَنِي الضَّرَرُ، فَرَجَعْنَا إِلَى بَغْدَادَ، فَجِئْتُ إِلَى صَاحِبِ هَذَا الْقَصْرِ أَطْلُبُ مِنْهُ شَيْئًا أَتَبَلَّغُ بِهِ لَعَلِّي أَجْتَمِعُ بِسَوَّارٍ، فَإِنَّهُ كَانَ صَاحِبًا لِأَبِي، فَلَعَلَّهُ أَنْ يَكُونَ عِنْدَهُ سِعَةٌ يَجُودُ مِنْهَا عَلَيَّ. فَقُلْتُ: وَمَنْ أَبُوكَ؟ فَذَكَرَ رَجُلًا كَانَ أَصْحَبَ النَّاسَ إِلَيَّ، فَقُلْتُ: إِنِّي أَنَا سَوَّارٌ صَاحِبُ أَبِيكَ، وَقَدْ مَنَعَنِي اللَّهُ فِي يَوْمِكَ هَذَا النَّوْمَ وَالْقَرَارَ وَالْأَكْلَ وَالرَّاحَةَ، حَتَّى أَخْرَجَنِي مِنْ مَنْزِلِي لِأَجْتَمِعَ بِكَ، وَأَجْلِسَ بَيْنَ يَدَيْكَ، وَأَمَرْتُ وَكِيلِي، فَدَفَعَ إِلَيْهِ الْأَلْفَيْنِ الَّتِي كَانَتْ مَعَهُ، وَقُلْتُ: إِذَا كَانَ الْغَدُ فَأْتِ مَنْزِلِي فِي مَكَانِ كَذَا وَكَذَا. وَرَكِبْتُ فَجِئْتُ دَارَ الْخِلَافَةِ وَقُلْتُ: مَا أُتْحِفَ الْمَهْدِيَّ اللَّيْلَةَ فِي السَّمَرِ بِأَغْرَبَ مِنْ هَذَا. فَلَمَّا قَصَصْتُ عَلَيْهِ
পৃষ্ঠা - ৮১৬৫
الْقِصَّةَ تَعَجَّبَ مِنْ ذَلِكَ جِدًّا، وَأَمَرَ لِلْأَعْمَى بِأَلْفَيْ دِينَارٍ، وَقَالَ لِي: عَلَيْكَ دَيْنٌ؟ قُلْتُ: نَعَمْ. قَالَ: كَمْ؟ قُلْتُ: خَمْسُونَ أَلْفَ دِينَارٍ. فَسَكَتَ وَحَادَثَنِي سَاعَةً، فَلَمَّا قُمْتُ مِنْ بَيْنِ يَدَيْهِ، فَوَصَلْتُ الْمَنْزِلَ إِذَا الْحَمَّالُونَ قَدْ سَبَقُونِي إِلَى الْمَنْزِلِ بِخَمْسِينَ أَلْفَ دِينَارٍ وَأَلْفَيْ دِينَارٍ لِلْأَعْمَى، فَانْتَظَرْتُ الْأَعْمَى أَنْ يَجِيءَ فِي ذَلِكَ الْيَوْمِ، فَتَأَخَّرَ، فَلَمَّا أَمْسَيْتُ جَلَسْتُ إِلَى الْمَهْدِيُّ فَقَالَ: قَدْ فَكَّرْتُ فِي أَمْرِكَ، فَوَجَدْتُكَ إِذَا قَضَيْتَ دَيْنَكَ لَمْ يَبْقَ مَعَكَ شَيْءٌ، وَقَدْ أَمَرْتُ لَكَ بِخَمْسِينَ أَلْفَ دِينَارٍ أُخْرَى. فَلَمَّا كَانَ الْيَوْمُ الثَّالِثُ جَاءَنِي الْمَكْفُوفُ فَقُلْتُ: قَدْ رَزَقَ اللَّهُ بِسَبَبِكَ خَيْرًا كَثِيرًا، وَدَفَعْتُ إِلَيْهِ الْأَلْفَيْ دِينَارٍ الَّتِي مِنْ عِنْدِ الْخَلِيفَةِ، وَزِدْتُهُ أَلْفَيْ دِينَارٍ مِنْ مَالِي أَيْضًا.
وَوَقَفَتِ امْرَأَةٌ لِلْمَهْدِيُّ فَقَالَتْ: يَا عَصَبَةَ رَسُولِ اللَّهِ، اقْضِ حَاجَتِي. فَقَالَ الْمَهْدِيُّ: مَا سَمِعْتُهَا مِنْ غَيْرِهَا، اقْضُوا حَاجَتَهَا وَأَعْطُوهَا عَشَرَةَ آلَافِ دِرْهَمٍ.
وَدَخَلَ ابْنُ الْخَيَّاطِ عَلَى الْمَهْدِيِّ، وَامْتَدَحَهُ فَأَمَرَ لَهُ بِخَمْسِينَ أَلْفَ دِرْهَمٍ، فَفَرَّقَهَا ابْنُ الْخَيَّاطِ، وَأَنْشَأَ يَقُولُ:
أَخَذْتُ بِكَفِّي كَفَّهُ أَبْتَغِي الْغِنَى ... وَلَمْ أَدْرِ أَنَّ الْجُودَ مِنْ كَفِّهِ يُعْدِي
فَلَا أَنَا مِنْهُ مَا أَفَادَ ذَوُو الْغِنَى ... أَفَدْتُ وَأَعْدَانِي فَبَدَّدْتُ مَا عِنْدِي
قَالَ: فَنَمَّى ذَلِكَ إِلَى الْمَهْدِيِّ، فَأَعْطَاهُ بَدَلَ كُلِّ دِرْهَمٍ دِينَارًا.
وَبِالْجُمْلَةِ فَلَهُ مَآثِرُ وَمَحَاسِنُ كَثِيرَةٌ، وَقَدْ كَانَتْ وَفَاتُهُ بِمَاسَبَذَانَ،
পৃষ্ঠা - ৮১৬৬
থেকে এসেছে ? তখন তিনি বললেন, এটা তোমার নতুন অড়ামীরের নিকট থেকে ৷ আমি তাকে
আমার সাথে নিয়ে নিলাম এবং বাগদাদের অলি-গলিতে চলতে লাগলাম যাতে আমি যে চিন্তাযুক্ত
ছিলাম তার থেকে কিছুটা মুক্তি পাওয়া যায় ৷ আসর নামায়ের সময় ঘনিয়ে আসল ৷ প্রস্তরময়
জায়গায় একটি মসজিদে আমরা পৌছলাম ৷ আমি নামায আদায় করার জন্য অবতরণ করলাম ৷
আমি যখন নামায শেষ করলাম একটি অন্ধ লোককে দেখতে পেলাম ৷ তিনি আমার কাপড় টেনে
ধরলেন এবং বললেন, আপনার কাছে আমার প্রয়োজন রয়েছে ৷ আমি বললাম , আপনার
প্রয়েড়াজনটা কী ? তিনি বললেন, আমি একজন অন্ধ লোক কিন্তু আমি যখন আপনার কাছ থেকে
সুগন্ধি পেলাম বুঝতে পারলাম আপনি একজন বিত্তশালী ব্যক্তি ৷ তইি আমি আপনার কাছে আমার
প্রয়োজনটি উপস্থাপন করতে চাই ৷ আমি বললাম , সেটা কী ? তিনি বললেন, মসজিদের বরাবর
যে প্রাসাদটি রয়েছে এটা ছিল আমার পিতার ৷ তিনি এখান থেকে থুরাসানে চলে যান ৷ আর
এটাকে বিক্রি করে দেন এবং আমাকে তার সাথে নিয়ে নেন ৷ তখন আমি ছিলাম খুব ছোট ৷
সেখানে আমরা পরে পৃথক হয়ে যাই ৷ আর আমি অন্ধও হয়ে যাই ৷ আমার পিতার মৃত্যুর পর
আমি বাগদাদে ফিরে আসি ৷ তখন আমি এ প্রাসাদের মালিকের কাছে আগমন করি ৷ তার থেকে
আমি কিছু অর্থ চাই যাতে তার দ্বারা চলাফেরা করতে পারি এবং সিওয়ার নামক ব্যক্তিটির সাথে
সাক্ষাৎ করতে পারি ৷ কেননা তিনি ছিলেন আমার পিতার বন্ধু ৷ তার কাছে হয়ত সম্পদ থাকতে ,
পারে এবং তিনি আমাকে তার থেকে কিছু দান করতে পারেন ৷ আমি বললাম, তোমার পিতা
কে? তখন যে এমন এক ব্যক্তির কথা উল্লেখ করে যিনি ছিলেন আমার কাছে অধিক প্রিয় ৷ তখন
আমি বললাম, আমিই সিওয়ার তোমার পিতার বন্ধু ৷ এ দিনে আল্লাহ তাআলা আমাকে ঘুম,
প্রশান্তি, খাওয়া-দাওয়া ও আরাম-আয়েশ থেকে বিরত রেখেছেন এমনকি আমাকে আমার ঘর
থেকে বের করে দিয়েছেনযাতে আমি তেমোর সাথে একত্র হতে পারি ৷ আর আল্লাহ আমাকে
তোমার সামনে উপবিষ্ট করে দিয়েছেন ৷ আমি আমার প্রতিনিধিকে হুকুম দিলাম তার সাথে যে
দু’হাজার দিরহাম রয়েছে তা যেন তাকে প্রদান করে ৷ আমি তাকে আরো বললাম, যখন
আপামীকাল আসবে তখন তুমি অমুক জায়গায় আমার ঘরে আসবে ৷ এরপর আমি সওয়ার হলাম
এবং রাজধানীতে চলে এলাম ও বলতে লাগলাম , আজ রাতে আল-মাহদীর কাছে রাতের গল্পের
ক্ষেত্রে এর থেকে অদ্ভুত কোন গল্প আছে বলে আমি মনে করি না ৷ আমি যখন তার কাছে এ
ঘটনাটি বর্ণনা করলাম তিনি তা অত্যন্ত পসন্দ করলেন এবং এ অন্ধঢিকে তিনি দু’হাজার দীনার
প্রদান করার নির্দেশ দিলেন ৷ আর আমাকে বললেন, তোমার কি কোন ঋণ আছে ? আমি বললাম,
হীড়া, তিনি বললেন, কত ? আমি বললাম, পঞ্চাশ হাজার দীনার ৷ তখন তিনি চুপ করে রইলেন ৷
কিছুক্ষণ আমার সাথে কথাবার্তা বললেন ৷ তারপর যখন আমি তার সম্মুখ থেকে উঠে দাড়ালাম
এবং আমার ঘরে পৌছে দেখলাম, মুটেরা আমার জন্য পঞ্চাশ হাজার দীনার এবং অন্ধের জন্য
দু’হাজার দীনার নিয়ে আমি ঘরে পৌছার পুর্বেই তারা আমার ঘরে পৌছে গেছে ৷ অন্ধ লোকটির
ঐদিন আমার ওখানে আসার জন্য আমি অপেক্ষা করতে লাগলাম ৷ সে পৌছতে একটু দেরী
করল ৷ তখন সল্যা হয় এবং আমি আবার আল-মাহদীর কাছে গেলাম ৷ তিনি আমাকে বললেন,
তোমার ব্যাপারে আমি চিন্তা করে দেখলাম, যদি তুমি তোমার ঋণ আদায় কর তাহলে তোমার
কাছে আর কোন সম্পদই থাকে না ৷ তাই আমি তোমার জন্য আরো পঞ্চাশ হাজার দীনার প্রদান ,
كَانَ قَدْ خَرَجَ إِلَيْهَا لِيَبْعَثَ إِلَى ابْنِهِ الْهَادِي لِيَحْضُرَ إِلَيْهِ مِنْ جُرْجَانَ حَتَّى يَخْلَعَهُ مِنْ وِلَايَةِ الْعَهْدِ، وَيَجْعَلَهُ بَعْدَ هَارُونَ الرَّشِيدِ، فَامْتَنَعَ الْهَادِي مِنْ ذَلِكَ، فَرَكِبَ الْمَهْدِيُّ مِنْ بَغْدَادَ قَاصِدًا إِحْضَارَهُ، فَلَمَّا كَانَ بِمَاسَبَذَانَ مَاتَ بِهَا عَلَى مَا سَنَذْكُرُهُ.
وَكَانَ قَدْ رَأَى فِي النَّوْمِ وَهُوَ بِقَصْرِهِ بِبَغْدَادَ - وَأَظُنُّهُ الْمُسَمَّى بِقَصْرِ السَّلَامَةِ - كَأَنَّ شَيْخًا وَقَفَ بِبَابِ الْقَصْرِ، وَيُقَالُ: إِنَّهُ سَمِعَ هَاتِفًا يَقُولُ:
كَأَنِي بِهَذَا الْقَصْرِ قَدْ بَادَ آهِلُهُ ... وَأَوْحَشَ مِنْهُ أَهْلُهُ وَمَنَازِلُهُ
وَصَارَ عَمِيدُ الْقَوْمِ مِنْ بَعْدِ بَهْجَةٍ ... وَمُلْكٍ إِلَى قَبْرٍ عَلَيْهِ جَنَادِلُهُ
وَلَمْ يَبْقَ إِلَّا ذِكْرُهُ وَحَدِيثُهُ ... يُنَادِي بِلَيْلٍ مُعْوِلَاتٍ حَلَائِلُهُ
فَمَا عَاشَ بَعْدَهَا إِلَّا عَشْرًا حَتَّى تُوُفِّيَ، رَحِمَهُ اللَّهُ وَسَامَحَهُ وَأَدْخَلَهُ الْجَنَّةَ بِرَحْمَتِهِ.
وَيُرْوَى أَنَّهُ لَمَّا قَالَ لَهُ الْهَاتِفَ:
كَأَنِّي بِهَذَا الْقَصْرِ قَدْ بَادَ آهِلُهُ ... وَقَدْ دَرَسَتْ أَعْلَامُهُ وَمَنَازِلُهُ
فَأَجَابَهُ الْمَهْدِيُّ:
كَذَاكَ أُمُورُ النَّاسِ يَبْلَى جَدِيدُهَا ... وُكُلُّ فَتًى يَوْمًا سَتَبْلَى فَعَائِلُهُ
পৃষ্ঠা - ৮১৬৭
করার হুকুম দিলাম ৷৩ ৩ভীয় দিলে ভাল লোকটি পুনরায় আগমন করল ৷ তখন আমি তাকে
বললাম, তোমার ওসীলায় অ ৷ল্লাহ্ তা আলা আমাকে বহু কল্যাণ দান করেছেন ৷ খলীফা যে
দু হাজার দীনার তাকে দিয়েছিলেন তা আমি ত কে প্রদান করলাম ৷ আবার আমার নিজের কাছ
থেকে আরো দৃ হাজার দীনারও তাকে প্রদান করলাম ৷
আল-মাহদীর ত্রী র্দা ড়িয়েছিলেন ৷ তিনি বললেন, হে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর আত্মীয় ! আমার
প্রয়োজনও পুর্ণ কর ৷ আল-মাহদী তখন বললেন, এ কথাটি অন্য ক ৷রো কাছে শুনিনি ৷৩ তাই তার
প্রয়োজন পুরণ কর এবং ত ৷কে দশ হাজার দিরহাম প্রদা ন কর ৷
একদিন ইবন খাইয়াত আল-মাহদীর কাছে প্রবেশ করেন এবং তার প্রশংসা করেন ৷ তিনি
তাকে পঞ্চাশ হাজার দিরহাম প্রদান করার জন হুকুম দেন ৷ ইবন খাইয়া৩ তা বিতরণ করে দেন
এবং নিম্নে উল্লিখিত কবিতাটি আবৃত্তি করেন :
ট্রু প্রু১ধ্ণ্র্মুর্বুৰু
শ্ ) ৷ষ্
অর্থাৎ আমি বিত্ত চেয়ে আমার হাত দিয়ে তার হাত ধরলাম আমি জানতাম না তার থেকে
দান এভাবে সীমা পেরিয়ে আসে ৷ আমি তার থেকে অ৩ তটুকু পাইনি যত টুকু বিত্তবানরা পেয়ে
থাকে ৷ আমাকে যা কিছু দান করা হয়েছে এবং আমার কাছে পুর্ব থেকে যা কিছু ছিল আ ৷মি সবই
বন্টন করে দিলাম’ ৷
বর্ণনাকারী বলেন, যখন এ কবিতাটি আল-মাহদীর কাছে পৌছল তখন তিনি তাকে প্রতিটি
দিরহামের পরিবর্তে দীনার প্রদান করলেন ৷ সামগ্রিকভ৷ ৷বে বিচার করতে গেলে দেখা যায় যে,
আল-মাহদীর কীর্তি ও অবদান অত্যন্ত প্রশংসনীয় ৷ মাসবাযানের তার মৃত্যু ঘটে ৷ তিনি
মাসবাযানের দিকে রওনা হয়েছিলেন তার পুত্র আ ৷ল-হাদীর৷ ক ৷ছে লোক প্রেরণ করে তা ৷কে জুরজান
থেকে ডেকে পাঠ৷ ৷নাে র জন্য ৷ যাতে তার পুত্রত তার কাছে হাযির হন এবংত ৷র থেকে খিলাফতের
নিযুক্তি পত্র বাতিল করে তার পরে হারুনুর রশীদকে তিনি যুবরাজ নিযুক্ত করতে পারেন ৷ বিক্ষ্ম
আল-হাদী ৷ থেকে বিরত থাকেন ও অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করেন ৷৩ তাই আল-মাহদী তাকে হাযির
করাবার জন্য ত ৷র ৷দিকে রওয়ান৷ হয়ে যান ৷ যখন তিনি মাসবাযানে পৌছেন তখন তিনি সেখানে
মৃত্যুবরণ করেন ৷ যখন তিনি বাগদাদে কাসরে সালামাতে অবস্থান করছিলেন তখন তিনি স্বপ্নে
দেখেছিলেন-একজন বৃদ্ধ লোক প্রসাদের দরজায় দণ্ডায়মান ৷ তিনি বলছিলেন কেউ কেউ বলেন,
একজন ঘোষককে তিনি ঘোষণা করতে শুনেছিলেন ৷ ঘোষক বলছিলেন ;;
) ) ণ্
ভুাব্রে
অর্থাৎ “আমি এ প্রাসাদে যেন দেখছি তার বাসিন্দা স্তিমিত হয়ে পড়েছে, প্রাসাদের এক-
চতুর্থাং শ ও ড ৷র ঘরগুলাে জন্যশুন্য হয়ে পড়েছে ৷ সম্প্রদায়ের প্রধান আড়ম্বরতা উপভাে ৷গ করার ও
فَقَالَ الْهَاتِفُ:
تَزَوَّدْ مِنَ الدُّنْيَا فَإِنَّكَ مَيِّتٌ ... وَإِنَّكَ مَسْئُولٌ فَمَا أَنْتَ قَائِلُهُ
فَأَجَابَهُ الْمَهْدِيُّ:
أَقُولُ بِأَنَّ اللَّهَ حَقٌّ شَهِدْتُهُ ... فَذَلِكَ قَوْلٌ لَيْسَ تُحْصَى فَضَائِلُهُ
فَقَالَ الْهَاتِفُ
تَزَوَّدْ مِنَ الدُّنْيَا فَإِنَّكَ رَاحِلٌ ... وَقَدْ أَزَفَ الْأَمْرُ الَّذِي بِكَ نِازِلُهُ
فَأَجَابَهُ الْمَهْدِيُّ:
مَتَى ذَاكَ خَبِّرْنِي هُدِيتَ فَإِنَّنِي ... سَأَفْعَلُ مَا قَدْ قُلْتَ لِي وَأُعَاجِلُهُ
فَقَالَ الْهَاتِفُ:
تَلَبَّثْ ثَلَاثًا بَعْدَ عِشْرِينَ لَيْلَةً ... إِلَى مُنْتَهَى شَهْرٍ وَمَا أَنْتَ كَامِلُهُ
قَالُوا: فَلَمْ يَعِشْ بَعْدَهَا إِلَّا تِسْعًا وَعِشْرِينَ يَوْمًا حَتَّى مَاتَ، رَحِمَهُ اللَّهُ تَعَالَى.
وَقَدْ ذَكَرَ ابْنُ جَرِيرٍ اخْتِلَافًا فِي سَبَبِ مَوْتِهِ، فَقِيلَ: إِنَّهُ سَاقَ خَلْفَ ظَبْيٍ وَالْكِلَابُ بَيْنَ يَدَيْهِ، فَدَخَلَ الظَّبْيُ إِلَى خَرِبَةٍ، فَدَخَلَتِ الْكِلَابُ وَرَاءَهُ، وَجَاءَ الْفَرَسُ، فَحَمَلَ بِهِ فِي مِشْوَارِهِ، فَدَخَلَ الْخَرِبَةَ، فَكُسِرَ ظَهْرُ الْخَلِيفَةِ فَكَانَ ذَلِكَ سَبَبَ وَفَاتِهِ. وَقِيلَ: إِنَّ بَعْضَ حَظَايَاهُ بَعَثَتْ إِلَى أُخْرَى لَبَنًا مَسْمُومًا، فَمَرَّ الرَّسُولُ بِالْمَهْدِيِّ، فَأَكَلَ مِنْهُ فَمَاتَ. وَقِيلَ: بَلْ بَعَثَتْ إِلَيْهَا بِصِينِيَّةٍ فِيهَا كُمِّثْرَى، وَفِي
পৃষ্ঠা - ৮১৬৮
أَعْلَاهَا وَاحِدَةٌ كَبِيرَةٌ فِيهَا سُمٌّ، وَكَانَ الْمَهْدِيُّ يُعْجِبُهُ الْكُمِّثْرَى، فَمَرَّتِ الْجَارِيَةُ تَحْمِلُ تِلْكَ الصِّينِيَّةَ فَرَآهَا فَاسْتَدْعَاهَا، فَأَخَذَ الَّتِي فِي أَعْلَاهَا، فَأَكَلَهَا فَمَاتَ مِنْ سَاعَتِهِ، فَجَعَلَتِ الْحَظِيَّةُ تَنْدُبُهُ، وَتَقُولُ: وَاأَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَاهُ، أَرَدْتُ أَنْ تَكُونَ لِي وَحْدِي، فَقَتَلْتُكَ.
وَكَانَتْ وَفَاتُهُ فِي الْمُحَرَّمِ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ - أَعْنِي سَنَةَ تِسْعٍ وَسِتِّينَ وَمِائَةٍ - وَلَهُ مِنَ الْعُمْرِ ثَلَاثٌ وَأَرْبَعُونَ سَنَةً عَلَى الْمَشْهُورِ، وَكَانَتْ خِلَافَتُهُ عَشْرَ سِنِينَ وَشَهْرًا وَكُسُورًا، وَقَدْ رَثَاهُ الشُّعَرَاءُ بِمَرَاثٍ كَثِيرَةٍ قَدْ أَوْرَدَ مِنْهَا الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ طَرَفًا وَكَذَلِكَ أَبُو جَعْفَرٍ ابْنُ جَرِيرٍ، رَحِمَهُمَا اللَّهُ.
وَفِيهَا تُوُفِّيَ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ إِيَادٍ، وَنَافِعُ بْنُ عُمَرَ الْجُمَحِيُّ، وَنَافِعُ بْنُ أَبِي نُعَيْمٍ الْقَارِئُ.
পৃষ্ঠা - ৮১৬৯
আল-বিদায়৷ ওয়াননিহায়৷ ২৭৩
রাজ্য শাসনের পর কবর পানে চলে যাচ্ছে যার উপর বড় বড় পাথর রাখা হবে ৷৩ তার স্মৃতি ও
সুনাম ব্যতীত আর কিছুই বাকী থাকছে না ৷ তার প্ৰতিবেশীর ঘোষকেরা তার মৃত্যুর সংবাদ
ঘোষণা দিয়ে যাচ্ছে ৷”
এ ঘটনার পর তিনি মাত্র দশ দিন বেচে ছিলেন ৷
এরপর তিনি মারা যান ৷ বর্ণিত রয়েছে যখন অদৃশ্য আহ্বানকারী তাকে বললেন :
’ৰুব্র
অর্থাৎ অড়ামি এ প্রাসাদে যেন দেখছি তার বাসিন্দা ধ্বংস হয়ে গেছে য র ৷চিহ্নগুলোও পৃহৃগুলো
যেন মিটে গেছে ৷
আল-মা ৷হ্দী৩৷ তার উত্তরে বললেন ং
অর্থাৎ “এরুপে মানবজাতির নতুন কাজগুলো পুরা৩ ন হয়ে যায় ৷ আর প্রতিটি যুবকের
কার্যকলাপ কোন একদিন পুরাতন হয়ে যা ৷বেই ৷”
অদৃশ্য আহ্বানকারী বলেন :
এ (; : ৷
অর্থাৎ “দুনিয়া থেকে পাথেয় সংগ্রহ কর কেননা তোমাকে মরতে ৩হবে ৷ আর নিশ্চয়ই
তোমাকে প্রশ্ন করা হবে তখন তুমি এ প্রশ্নের-উত্তরে কী বলবে ?
আল-মাহ্দী উত্তরে বললেন :
—
অর্থাৎ “আমি বলব আল্লাহ সত্য প্রকাশে করে দিয়েছেন আর আমি তার সাক্ষ্য দিচ্ছি ৷ এটা
এমন এক কথা যার সুন্দর বৈশিষ্ট্যগুলো বর্ণনা করে শেষ করা যায় না’ ৷
অদৃশ্য আহ্বানকারী বললেন :
অর্থাৎ “দুনিয়া থেকে পা থেয় সংগ্নহ কর ৷ কেননা তুমি রওনাক৷ ৷রী৫ ৷৫ তামার উপর যা অবতীর্ণ
হবে তার সময় নিকটবর্তী হয়েছে ৷”
আল-মা ৷হ্দী তার উত্তরে বললেন০ ং
অর্থাৎ “কখন হবে এ সময়টি, তুমি আমাকে সংবাদ দেবে তাহলে আমি হিদায়াতপ্রাপ্ত হব;
তুমি আমাকে যা বলেছ আমি অবশ্যই তা আঞ্জা ম দেব এবং অতিসতৃর তা আঞ্জাম দেব ৷”
অদৃশ্য আহ্বানকারী বললেন :
আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া ( ১০ম খগ্রাল্লোডাঃনাঃমোঃজ্যো
[خِلَافَةُ مُوسَى الْهَادِي ابْنُ الْمَهْدِيِّ]
تُوُفِّيَ أَبُوهُ فِي الْمُحَرَّمِ مِنْ أَوَّلِ سَنَةِ تِسْعٍ وَسِتِّينَ وَمِائَةٍ، وَكَانَ وَلِيَّ الْعَهْدِ مِنْ بَعْدِ أَبِيهِ، لَكِنْ كَانَ أَبُوهُ قَدْ عَزَمَ عَلَى تَقْدِيمِ أَخِيهِ هَارُونَ الرَّشِيدِ عَلَيْهِ فِي وِلَايَةِ الْعَهْدِ، فَلَمْ يَتَّفِقْ ذَلِكَ حَتَّى مَاتَ أَبُوهُ بِمَاسَبَذَانَ فِي شَهْرِ اللَّهِ الْمُحَرَّمِ، وَكَانَ الْهَادِي إِذْ ذَاكَ بِجُرْجَانَ، فَهَمَّ بَعْضُ الدَّوْلَةِ مِنْهُمُ; الرَّبِيعُ الْحَاجِبُ وَطَائِفَةٌ مِنَ الْقُوَّادِ عَلَى تَقْدِيمِ الرَّشِيدِ عَلَيْهِ وَالْمُبَايَعَةِ لَهُ، وَكَانَ حَاضِرًا بِبَغْدَادَ، وَعَزَمُوا عَلَى النَّفَقَةِ فِي الْجُنْدِ لِذَلِكَ تَنْفِيذًا لِمَا رَامَهُ الْمَهْدِيُّ مِنْ ذَلِكَ. فَأَسْرَعَ الْهَادِي السَّيْرَ مِنْ جُرْجَانَ إِلَى بَغْدَادَ حِينَ بَلَغَهُ الْخَبَرُ، فَسَاقَ مِنْهَا إِلَيْهَا فِي عِشْرِينَ يَوْمًا فَدَخَلَ بَغْدَادَ وَقَامَ فِي النَّاسِ خَطِيبًا، وَأَخَذَ الْبَيْعَةَ مِنْهُمْ فَبَايَعُوهُ، وَتَغَيَّبَ الرَّبِيعُ الْحَاجِبُ، فَتَطَلَّبَهُ الْهَادِي حَتَّى حَضَرَ بَيْنَ يَدَيْهِ، فَعَفَا عَنْهُ وَأَحْسَنَ إِلَيْهِ، وَأَقَرَّهُ عَلَى وَظِيفَةِ الْحُجُوبِيَّةِ، وَزَادَهُ الْوِزَارَةَ وَوِلَايَاتٍ أُخَرَ، وَشَرَعَ الْهَادِي فِي تَطَلُّبِ الزَّنَادِقَةِ مِنَ الْآفَاقِ، فَقَتَلَ مِنْهُمْ طَائِفَةً كَثِيرَةً، وَاقْتَدَى فِي ذَلِكَ بِأَبِيهِ، وَقَدْ كَانَ مُوسَى الْهَادِي مِنْ أَفْكَهِ النَّاسِ مَعَ أَصْحَابِهِ فِي الْخَلْوَةِ، فَإِذَا جَلَسَ فِي مَقَامِ الْخِلَافَةِ لَا يَسْتَطِيعُونَ النَّظَرَ إِلَيْهِ; لِمَا يَعْلُوهُ مِنَ الْمَهَابَةِ وَالرِّيَاسَةِ، وَكَانَ شَابًّا حَسَنًا وَقُورًا مَهِيبًا.
وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ - أَعْنِي سَنَةَ تِسْعٍ وَسِتِّينَ وَمِائَةٍ - خَرَجَ بِالْمَدِينَةِ الْحُسَيْنُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ الْحَسَنِ بْنِ الْحَسَنِ بْنِ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، وَذَلِكَ أَنَّهُ أَصْبَحَ
পৃষ্ঠা - ৮১৭০
يَوْمًا وَقَدْ لَبِسَ الْبَيَاضَ، وَجَلَسَ فِي الْمَسْجِدِ النَّبَوِيِّ، وَجَاءَ النَّاسُ إِلَى الصَّلَاةِ فَلَمَّا رَأَوْهُ وَلَّوْا رَاجِعِينَ، وَالْتَفَّ عَلَيْهِ جَمَاعَةٌ، فَبَايَعُوهُ عَلَى كِتَابِ اللَّهِ وَسُنَّةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالرِّضَا مِنْ أَهْلِ الْبَيْتِ. وَكَانَ سَبَبَ خُرُوجِهِ أَنَّ مُتَوَلِّيَهَا خَرَجَ مِنْهَا إِلَى بَغْدَادَ لِتَلَقِّي أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ وَتَهْنِئَتِهِ بِالْوِلَايَةِ، وَتَعْزِيَتِهِ فِي أَبِيهِ الْمَهْدِيِّ، فَجَرَتْ أُمُورٌ اقْتَضَتْ أَنْ خَرَجَ حُسَيْنٌ هَذَا، وَالْتَفَّ عَلَيْهِ جَمَاعَةٌ، وَجَعَلُوا مَأْوَاهُمُ الْمَسْجِدَ النَّبَوِيَّ، وَمَنَعُوا النَّاسَ مِنَ الصَّلَاةِ فِيهِ، وَلَمْ يُجِبْهُ أَهْلُ الْمَدِينَةِ، وَجَعَلُوا يَدْعُونَ عَلَيْهِ لِامْتِهَانِهِمُ الْمَسْجِدَ، حَتَّى ذُكِرَ أَنَّهُمْ كَانُوا يُقَذِّرُونَ فِي جَنْبَاتِ الْمَسْجِدِ، وَقَدِ اقْتَتَلُوا مَعَ الْمُسَوِّدَةِ مَرَّاتٍ، فَقَتَلُوا مِنْهُمْ وَقُتِلَ مِنْهُمْ، ثُمَّ ارْتَحَلَ إِلَى مَكَّةَ، فَأَقَامَ بِهَا إِلَى زَمَنِ الْحَجِّ، فَبَعَثَ إِلَيْهِ الْهَادِي جَيْشًا، فَقَاتَلُوهُ بَعْدَ فَرَاغِ النَّاسِ مِنَ الْمَوْسِمِ، فَقَتَلُوهُ وَقَتَلُوا طَائِفَةً مِنْ أَصْحَابِهِ، وَانْهَزَمَ بَقِيَّتُهُمْ، وَتَفَرَّقُوا شَذَرَ مَذَرَ، فَكَانَ مُدَّةُ خُرُوجِهُ إِلَى أَنْ قُتِلَ تِسْعَةَ أَشْهُرٍ وَثَمَانِيَةَ عَشَرَ يَوْمًا.
وَقَدْ كَانَ كَرِيمًا مِنْ أَجْوَدِ النَّاسِ; دَخَلَ يَوْمًا عَلَى الْمَهْدِيِّ، فَأَطْلَقَ لَهُ أَرْبَعِينَ أَلْفَ دِينَارٍ، فَفَرَّقَهَا فِي أَهْلِهِ وَأَصْدِقَائِهِ مِنْ أَهْلِ بَغْدَادَ وَالْكُوفَةِ، وَمَا خَرَجَ مِنْهَا وَعَلَيْهِ قَمِيصٌ، إِنَّمَا عَلَيْهِ فَرْوَةٌ لَيْسَ دُونَهَا قَمِيصٌ.
وَفِيهَا حَجَّ بِالنَّاسِ سُلَيْمَانُ ابْنُ أَبِي جَعْفَرٍ عَمُّ الْخَلِيفَةِ.
وَغَزَا الصَّائِفَةَ مِنْ طَرِيقِ دَرْبِ الرَّاهِبِ مَعْيُوفُ بْنُ يَحْيَى فِي جَحْفَلٍ كَثِيفٍ، وَقَدْ أَقْبَلَتِ الرُّومُ مَعَ بَطْرِيقِهَا فَبَلَغُوا الْحَدَثَ.
পৃষ্ঠা - ৮১৭১
অর্থাৎ “এ মাসের শেষ পর্যন্ত বিশ রাত পরে আরো তিন৷ রা৩ তুমি এ দুনিয়ার অবস্থান করবে
তবে তুমি তা পরিপুর্ণকরতে পারবে না ৷”
ঐতিহ৷ সিকগণ বলেন, এরপর তিনি উনত্রিশ দিন জীবিত ছিলেন ৷ এরপর মৃত্যুবরণ করেন ৷
আল্লাহ তার প্রতি রহম করুন ৷
ইবন জা ৷রীর (র) তার মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে মতবিরোধ উল্লেখ করেন ৷ কেউ কেউ বলেন,
“তিনি একটি হরিণের পিছু নিয়েছিলেন, কুকুরগুলাে ছিল তার সামনে ৷ তখন হরিণটি একটি
ধ্বংসাবশেষে প্রবেশ করল ৷ কৃকুরগুলাে তার পিছনে প্রবেশ করল ৷ আ ৷ল-মাহদীর ঘোড়া ৷টি এগিয়ে
আসল এবং তাকে ধ্বংসাবশেয়ের অভ্যন্তরে বহন করে নিল ৷ তিনি ধ্বং সাবশেষে প্রবেশ করলেন
তাতে তার পিঠের৷ হা ড় ভেঙ্গে যায় ৷ আর এ কারণে পরবর্তীতে তার মৃত্যু এসে যায় ৷ কেউ কেউ
বলেন, তার কোন একটি দা ৷সী অন্য একটি দাসীর কাছে বিষমিশ্রিত দুধ প্রেরণ করে ৷ দুধ মাহদীর
কাছ পর্যন্ত পৌছে যায় ৷ আর এ দুধ পান করার পর তার মৃত্যু সংঘটিত হয় ৷ কেউ কেউ বলেন ,
একটি দাসী অন্য একটি দাসীর কাছে একটি খাবার থালা প্রেরণ করে ৷ তাতে ছিল নাশপাতি ৷
সবগুলোর উপরে ছিল বড় একটি নাশপাতি যা ছিল বিষমিশ্রিত ৷ আর আল-মাহদী নাশপাতি খুব
পসন্দ করতেন ৷ তরুণীটি তার কাছে আগমন করল, তার হাতে ছিল খাবারের থালাটি ৷
আল-মাহদী উপরের নাশপাতিটি তুলে নিলেন এবং তা ভক্ষণ করেন ও তৎক্ষণাৎ মৃত্যুমুখে পতিত
হন ৷ দাসীটি তখন চীৎকার করে বলতে লাগল, হায় ! হার ! আমীরুল মু’মিনীনের কী হয়ে গেল !
তিনি যেন এককভাবে বেচে থাকেন এটা আমি চাই ৷ আমি কি নিজ হাতে তাকে হত্যা করলাম ?
তার মৃত্যু ছিল একশ উনসত্তর হিজরীর ঘুহড়াররম মাসে ৷ আর প্রসিদ্ধ মতে, তীর বয়স ছিল
ততাল্লিশ বছর ৷ত তার খিলাফতের সময়কাল ছিল দশ বছর এক মাস কয়েক দিন ৷
কবিরা তার মৃত্যুতে পােকগাথা প্রণয়ন করেন যা ইবন জড়ারীর ও ইবন আসাকির উল্লেখ
করেছেন ৷ এ বছর যারা মারা যান তারা হলেন : উবায়দুল্লাহ্ ইবন যিয়াদ, নাফি ইবন উমর
আল-জামহী এবং আল-কারী নাফি আবুনুআয়ম ৷
মুসা আল-হড়াদী ইবন মাহদীর খিলাফতকাল
একশ উনসত্তর হিজরীর প্রথম দিকে মুহাররম মাসে তার পিতার মৃত্যু হয় ৷ তার পিতার পর
তিনি ছিলেন যুবরাজ ৷ মৃত্যুর পুর্বেত তার পিতা, তার ভ৷ ৷ই হারুনুর রশীদকে যুবরাজ হিসেবে
অগ্ৰাধিকার দিতে ইচ্ছা করেছিলেন কিন্তু তা বাস্তবায়ন করা তার পক্ষে সম্ভবপর হয়ে উঠেনি বরং
তার পিতা আ ৷ল-মাহদী মাসবাযান নামক স্থানে ইনতিক৷ ৷ল করেন ৷ আর আ ল ৷ল-হাদী তখন ছিলেন
জুরজানে ৷ কিছু সংখ্যক সরকারী কর্মচারী যেমন দারোয়ান আর-রাবী এবং একদল সেনাপতি
হারুনুর রশীদকে খিলাফতের ক্ষেত্রে অগাধিকার দেয়৷ ও তার জন্যে বায়আত গ্রহণ করার পক্ষে
ছিলেন ৷ আর আর-রশীদও বাগদ৷ দে হাষির ছিলেন ৷ত তারা আল-মাহদীর মতামত বাস্তবায়নের জন্য
সেনা নিয়োগ করা র লক্ষে ব্যয়ের সংকল্প গ্রহণ করেছিলেন ৷ এদিকে আল-মাহদীর মৃত্যুর সংবাদ
শোনার সাথে সাথে আল-হাদী জুরজান থেকে দ্রুত বাগদাদ রওনা হয়ে আসেন ৷ তিনি একুশ
দিনের মধ্যে পৌছে যান ৷ তিনি বাগদাদে প্রবেশ করেন এবং জনগণের মাঝে খুতবা দেয়ার জন্য
[وَمِمَّنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ]
ِ: الْحُسَيْنُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ حَسَنِ بْنِ حَسَنِ بْنِ حَسَنِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، قُتِلَ فِي أَيَّامِ التَّشْرِيقِ، كَمَا ذَكَرْنَا. الرَّبِيعُ بْنُ يُونُسَ الْحَاجِبُ، مَوْلَى الْمَنْصُورِ وَحَاجِبُهُ وَوَزِيرُهُ، وَقَدْ وَزَرَ أَيْضًا لِلْهَادِي. وَقِيلَ: إِنَّهُ وَزَرَ أَيْضًا لِلْمَهْدِيِّ. وَكَانَ بَعْضُهُمْ يَطْعَنُ فِي نَسَبِهِ. وَقَدْ أَوْرَدَ الْخَطِيبُ فِي تَرْجَمَتِهِ حَدِيثًا مِنْ طَرِيقِهِ، وَلَكِنَّهُ مُنْكَرٌ، فِي صِحَّتِهِ عَنْهُ نَظَرٌ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ وَلِيَ الْحُجُوبِيَّةَ بَعْدَهُ وَلَدُهُ الْفَضْلُ بْنُ الرَّبِيعِ، وَلَّاهُ إِيَّاهَا الْخَلِيفَةُ الْهَادِي.