আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة ست وستين ومائة

পৃষ্ঠা - ৮১৪৩


তখন আল-মাহদী শিল্পপতি ইয়াকভীনের উপর রাগাযিত হলেন এবং যেখান থেকে ফেরত
এসেছিলেন সেখান থেকে আল-মুহাল্লাব ইবন সালিহ ইবন আবু জাফরকে লোকজন নিয়ে হজ্জ
করার জন্য প্রেরণ করেন ৷ তিনি তাদেরকে নিয়ে এ বছর হজ্জ আদায় করেন ৷ এ বছর যারা
ইনতিক৷ ৷ল করেন তাদের মধ্যে প্রসিদ্ধ হলেন ; শা ৷৷ায়য ন ইবন আবদুর রহমান আ ন-ন ৷হবী, আবদুল

আযীয ইবন আবু সালড়াম৷ আল-মাজিশুন এবং আল-হাসান আল-বসরীর সাথী মুবারক ইবন
ফুযালা প্রমুখ ৷

১৬৫ হিজরীর আগমন

ইবন জারীর (র) বলেন, এ বছর আল-মাহদী স্বীয় পুত্র আর রশীদকে গ্রীষ্মকালীন যুদ্ধের জন্য
তৈরি করেন এবং পচ৷ নব্বই হাজার সাতশ ত তিরানব্বই জন সৈন্য সংগ্রহ করে দেন ৷ তার সাথে
ছিল এক লাখ চুরানব্বই হাজার চারশত পঞ্চাশ দীনারের ব্যয় সামগ্রী ৷৩ তার সাথে রৌপ্য ছিল ২
কোটি ১৪ লক্ষ ১৪ হাজার আ ৷টশ দিরহাম ৷ এ সৈন্যদল নিয়ে তিনি ইস্তাম্বুলের উপসাগরে
পৌছেন ৷ ঐ সময় রোমের সম্রাজী ছিলেন ইউনের ত্রী আপাসতা ৷ তীর কোলে ছিল তার প্রয়াত
স্বামী স্যাটের ঔরসজাত সন্তান ৷ তখন সম্রাজী প্রতি ৩বছর সত্তর হ জোর দীন৷ ৷র কর প্রদানের শর্তে
হারুনুর রশীদের সাথে সন্ধি করার প্রস্তাব দেন ৷ হারুনুর রশীদ তা গ্রহণ করেন ৷ বিভিন্ন ঘটনার
রোমের ৫৪ হাজার ব্যক্তি নিহত, তাদের জীবিত ৫ হাজর ৬ শ ৷ত ৪৪ জন সন্তানসন্ততি বন্দী ৷
কয়েদীদের দু হ জারকে হত্যা, যুদ্ধ সাযগ্রীসহ ২০ হাজার ঘোড়া গনীমত হিসেবে অর্জন, এক লাখ
গরু ও বকরী যবাহ্ হয়ে যাওয়া, ১০ দিরহামের কম মুল্যে প্রতিটি হ্াচ্চর ও টাট্রু ঘোড়া বিক্রি, যুদ্ধ
বর্ষ এক দিরহ৷ ভ্রুামর কমে এবং এক দিরহড়ামে বিশটি তলোয়ার বিক্রি হওয়া ইত্যাদি অবস্থায় সন্ধির
প্রস্তাব করা হয় ৷ এ সম্পর্কে করি মারওয়ান ইবন আবুহাফসা বলেন০


;ৰুত্র,া

অর্থাৎ “রোমের সম্র৷ ৷জী ইস্তা ৷ম্বুলে প্রজ্বলিত যুদ্ধাগ্নিকে নির্বাপিত করলেন যখন তার রাজ্যের
দেয়ালে দেয়ালে অবমাননা বিরাজ করছিল ৷ যুদ্ধের আগুন সর্বত্র সরগরম ছিল ৷ সম্রাজী বার্ষিক
প্রদেয় কর ঘোষণা করার যুদ্ধ যুদ্ধ রব বিদুরিত হয়ে গেল ৷”

সালিহ ইবন আবুজাফর আল-মানসুর লোকজনকে নিয়ে হজ্জ আদায় করেন ৷ আর এ বছর
যারা ইনতিকাল করেন তাদের মধ্যে কয়েকজন হলেন : সুলায়মান ইবন আল-মুগীরা আবদুল্লাহ্
ইবন আল-আল৷ ইবন দুবার, আবদুর রহমান ইবন নায়িব ইবন ছাওবান এবং ওহাব ইবন খালিদ ৷

১৬৬ হিজরীর আগমন

এ বছরে ঘুহাররম মাসে আর রশীদ রোমের শহরগুলো থেকে আগমন করেন ৷ বড়
শান-শওকতের সাথে তিনি বাগদ৷ দে প্রবেশ করেন ৷৩ তার সাথে ছিল রোমের লোকজন যারা স্বর্ণ
ও অন্যান্য বস্তুর কর বহন করছিল ৷ এ বছরই আল-মাহদী মুসা আল হাদীর পর তার পুত্র হারুনুর
রশীদের বায়আত গ্রহণ করেন এবংঅ ৷র রশীদ বলে৩ তার উপাধি প্রদান করেন ৷


[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ سِتٍّ وَسِتِّينَ وَمِائَةٍ] فِي الْمُحَرَّمِ مِنْهَا قَدِمَ الرَّشِيدُ مِنْ بِلَادِ الرُّومِ، فَدَخَلَ بَغْدَادَ فِي أُبَّهَةٍ عَظِيمَةٍ، وَمَعَهُ الرُّومُ يَحْمِلُونَ الْجِزْيَةَ مِنَ الذَّهَبِ وَغَيْرِهِ. وَفِيهَا أَخَذَ الْمَهْدِيُّ الْبَيْعَةَ لِوَلَدِهِ هَارُونَ مِنْ بَعْدِ مُوسَى الْهَادِي، وَلَقَّبَ هَارُونَ بِالرَّشِيدِ. وَفِيهَا سَخِطَ الْمَهْدِيُّ عَلَى يَعْقُوبَ بْنِ دَاوُدَ، وَكَانَ قَدْ حَظِيَ عِنْدَهُ حَتَّى اسْتَوْزَرَهُ، وَارْتَفَعَتْ مَنْزِلَتُهُ فِي الْوِزَارَةِ حَتَّى فُوِّضَ إِلَيْهِ جَمِيعُ أَمْرِ الْخِلَافَةِ، وَفِي ذَلِكَ يَقُولُ بَشَّارُ بْنُ بُرْدٍ: بَنِي أُمَيَّةَ هُبُّوا طَالَ نَوْمُكُمُ ... إِنَّ الْخَلِيفَةَ يَعْقُوبُ بْنُ دَاوُدَ ضَاعَتْ خِلَافَتُكُمْ يَا قَوْمُ فَاطَّلِبُوا ... خَلِيفَةَ اللَّهِ بَيْنَ الدُّفِّ وَالْعُودِ فَلَمْ تَزَلِ السُّعَاةُ وَالْوُشَاةُ بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْخَلِيفَةِ حَتَّى أَخْرَجُوهُ عَلَيْهِ، وَكُلَّمَا سَعَوْا بِهِ إِلَيْهِ، دَخَلَ إِلَيْهِ فَأَصْلَحَ أَمْرَهُ عِنْدَهُ، حَتَّى وَقَعَ مِنْ أَمْرِهِ مَا سَأَذْكُرُهُ; وَهُوَ أَنَّهُ دَخَلَ ذَاتَ يَوْمٍ عَلَى الْمَهْدِيِّ فِي مَجْلِسٍ عَظِيمٍ قَدْ فُرِشَ بِأَنْوَاعِ الْفُرُشِ وَأَلْوَانِ الْحَرِيرِ، وَحَوْلَ ذَلِكَ الْمَكَانِ أَشْجَارٌ مُزْهِرَةٌ بِأَنْوَاعِ الْأَزَاهِيرِ، فَقَالَ: يَا يَعْقُوبُ،
পৃষ্ঠা - ৮১৪৪

এ বছর আল-মাহদী ইয়াকুব ইবন দাউদেব উপর নারায হন ৷ তিনি তাকে পুর্বে খুব মর্যাদা
দিয়েছিলেন ৷ এমনকি তাকে ওযীর নিযুক্ত করেছিলেন ও ওযীরদের মধ্যে তাকে উচ্চত তম মর্যাদা
দান করেছিলেন ৷ ৷খলাফতের যাবতীয় কাজকর্ম তার কাছে সমর্পং৷ করেছিলেন ৷ এ সম্পর্কে করি
বাশৃশ৷ র ইবন বৃরদ বলেনং

শ্ষ্ : ’ !শ্ষ্াশ্ শ্
পুষ্দ্বু ৰু১ য়ুএেদৃঙ্গে

’ :


অর্থাৎ “বনু উমাইয়াকে স্মরণ করছি , তারা মরে গেছে তাই তোমাদের ঘুমও দীর্ঘায়িত
হয়েছে ৷ কার্যত খলীফ৷ হলেন এখন ইয়াকুব ইবন দাউদ ৷ হে আমার সম্প্রদায় ! তোমাদের

খিলাফত ধ্বংস হয়ে গেছে ৷ এখন তোমরা অ ৷ল্লাহ্র খলীফ৷ ৷কে ঘোজ করে পাচ্ছ মদ ও সুগন্ধির
মধ্যে বিভাের ৷”

তার মধ্যে ও খলীফ৷ ৷র মধ্যে যোগ্য৩ ৷ ও দুর্নামের লড়াই চলতে থাকে ৷ সভা ৷সদবর্গ তীকে
খলীফা ৷র বিরুদ্ধে বিদ্রোহী করে৫ তালে কিন্তু পরে আবার এটা মীমাং ×সা হয়ে যায় ৷ এভাবে যখনই
তারা বিভিন্ন পন্থায় দৃ জনের মধ্যেও তিক্ত অবস্থার সুচনা করে তখনই দুরীভুত হয়ে যায় ৷ শেষ
পর্যন্ত এমন এক ঘটনা ঘটল যার মীমা০ ×সা আর হলো না ৷ ইয়াকুব একদিন আল-মাহদীর কাছে
প্রবেশ করেন ৷ তিনি ছিলেন একটি জ কাজমকপুর্ণ মজলিসে উপবিষ্ট সেটাকে বিভিন্ন রংয়ের ও
রকমের ফুল-ফুলাদি দ্বারা সুশো৩ ৷ভিতময় করা হয়েছিল ৷ খলীফ৷ বললেন, হে ইয়াকুব ! আমাদের
এ মজলিসটিকে তুমি কেমন মনে করছ ? ইয়াকুব বললেন, হে আমীরুল মু ’মিনীন ! এর থেকে
উত্তম মজলিস আর আমি কোন দিনও দেখিনি ৷ তখন তিনি বললেন, এ মজলিসে যা কিছু আছে
সবই তোমার আনন্দের জন্য নিবেদিত ৷ এ তরুণীটিকে রাখা হয়েছে তোমার আনন্দের ও
বিনোদনের সমাপ্তি হিসেবে ৷ তোমার কাছে আমার একটি প্রয়োজন রয়েছে, আমি চাই তু
আমার জন্য আঞ্জাম দেবে ৷ ইয়াকুব বললেন, সেটা কী ? হে আযীরুল মু’মিনীন ! তিনি বললেন,
আমি এটার কথা বলবো না যতক্ষণ না তুমি বলবে হীা’ ৷ তাই আমি বললাম , হীা, আপনার হুকুম
শিরোধার্য ৷ তিনি বললেন, বল আল্লাহ্র শপথ ৷ আমি বললাম, আল্লাহর শপথ ৷ তিনি বললেন, বল
আমার আয়ুর শপথ! আমি বললাম , আমার আয়ুর শপথ ৷ তিনি বললেন, তোমার হাতট৷ আমার
মাথার উপর রাখ এবং তা আবার বল, আমি তাও বললাম ৷ এরপর তিনি বললেন, এখানে
একজন আলাবী অর্থাৎ আলী (রা)-এর বংশধর রয়েছে, আমি চাই তু তাকে আমার জন্য নিপাত
করে দেবে ৷ এটা প্রকাশ থাকে যে, তিনি হলেন অল ল-হ ৷সান ইবন ইবরাহীম ইবন আবদুল্লাহ্ ইবন
হাসান ইবন হাসান ইবন আলী ইবন আবুত তালিব ৷ তখন আমি বললাম, হী৷ ৷ তিনি বললেন,
তাড়াতাড়ি করবে ৷ এরপর এ মজলিসে যা কিছু ছিল তা আমার ঘরে স্থানান্তর করার জন্য হুকুম
দিলেন ৷ আর আমাকে এক লাখ দিরহাম ও ঐ তরুণীটিকে প্রদান করার জন্য নির্দেশ প্রদান
করলেন ৷
আমি এ তরুণীটিকে পেয়ে এত খুশী হয়েছিলাম যে, আর অন্য কিছুতে আমি এত খুশী
হইনি ৷ যখন সে আমার ঘরে এসে গেল তখন আমি তাকে ঘরের এক পার্শে পর্দায় ঢেকে
নিলাম ৷ পরে আমি আলাবীকে আ ৷র জন্য হুকুম দিলাম ৷ তাকে আনা হলো ৷ তিনি আমার কাছে


كَيْفَ رَأَيْتَ مَجْلِسَنَا هَذَا؟ فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، مَا رَأَيْتُ شَيْئًا أَحْسَنَ مِنْهُ. فَقَالَ: هُوَ لَكَ بِمَا فِيهِ، وَهَذِهِ الْجَارِيَةُ لِيَتِمَّ بِهَا سُرُورُكَ، وَلِي إِلَيْكَ حَاجَةٌ أُحِبُّ أَنْ تَقْضِيَهَا لِي. قَالَ: وَمَا هِيَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ؟ فَقَالَ: حَتَّى تَقُولَ: نَعَمْ. فَقُلْتُ: يَأْمُرُ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ، وَعَلَيَّ السَّمْعُ وَالطَّاعَةُ. فَقَالَ: آللَّهِ؟ فَقُلْتُ: آللَّهِ. قَالَ: وَحَيَاةُ رَأْسِي. قُلْتُ: وَحَيَاةُ رَأْسِكَ. فَقَالَ: ضَعْ يَدَكَ عَلَى رَأْسِي وَقُلْ ذَلِكَ. فَفَعَلْتُ، فَقَالَ: إِنَّ هَاهُنَا رَجُلًا مِنَ الْعَلَوِيِّينَ أُحِبُّ أَنْ تَكْفِيَنِيهِ - وَالظَّاهِرُ أَنَّهُ الْحَسَنُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَسَنِ بْنِ حَسَنِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ - فَقُلْتُ: نَعَمْ. فَقَالَ: وَعَجَّلَ عَلَيَّ. ثُمَّ أَمَرَ بِتَحْوِيلِ مَا فِي ذَلِكَ الْمَجْلِسِ إِلَى مَنْزِلِي، وَأَمَرَ لِي بِمِائَةِ أَلْفِ دِرْهَمٍ وَتِلْكَ الْجَارِيَةِ، فَمَا فَرِحْتُ بِشَيْءٍ فَرَحِي بِهَا، فَلَمَّا صَارَتْ إِلَى مَنْزِلِي حَجَبْتُهَا مِنْ جَانِبِ الدَّارِ فِي الْخِدْرِ، فَأَمَرْتُ بِذَلِكَ الْعَلَوِيِّ فَجِيءَ بِهِ، فَجَلَسَ إِلَيَّ فَتَكَلَّمَ، فَمَا رَأَيْتُ أَعْقَلَ مِنْهُ وَلَا أَفْهَمَ، ثُمَّ قَالَ لِي: يَا يَعْقُوبُ، تَلْقَى اللَّهَ بِدَمِي وَأَنَا رَجُلٌ مَنْ وَلَدِ فَاطِمَةَ بِنْتِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟! فَقُلْتُ: لَا وَاللَّهِ، وَلَكِنِ اذْهَبْ حَيْثُ شِئْتَ. فَقَالَ: إِنِّي أَخْتَارُ بِلَادَ كَذَا وَكَذَا. فَقُلْتُ: اذْهَبْ كَيْفَ شِئْتَ، وَلَا يَظْهَرَنَّ عَلَيْكَ الْمَهْدِيُّ فَتَهْلِكُ وَأَهْلِكُ. فَخَرَجَ مِنْ عِنْدِي وَجَهَّزْتُ مَعَهُ رَجُلَيْنِ يُسَفِّرَانِهِ وَيُوَصِّلَانِهِ بَعْضَ الْبِلَادِ، وَلَمْ أَشْعُرْ بِأَنَّ الْجَارِيَةَ قَدْ أَحَاطَتْ عِلْمًا بِمَا جَرَى، وَبَعَثَتْ بِخَادِمِهَا إِلَى الْمَهْدِيِّ فَأَعْلَمَهُ بِذَلِكَ، وَقَالَتْ لَهُ: هَذَا الَّذِي آثَرْتَهُ بِي قَدْ فَعَلَ كَذَا وَكَذَا. فَغَضِبَ الْمَهْدِيُّ وَبَعَثَ إِلَى تِلْكَ الطَّرِيقِ، فَرَدُّوا الْعَلَوِيَّ، فَحَبَسَهُ عِنْدَهُ فِي بَيْتٍ مِنْ دَارِ
পৃষ্ঠা - ৮১৪৫
الْخِلَافَةِ، وَأَرْسَلَ إِلَيَّ فِي الْيَوْمِ الثَّانِي، فَذَهَبْتُ وَأَنَا لَا أَسْتَشْعِرُ أَمْرَ الْعَلَوِيِّ، فَلَمَّا دَخَلْتُ عَلَيْهِ قَالَ: مَا فَعَلَ الْعَلَوِيُّ؟ قُلْتُ: مَاتَ. قَالَ: آللَّهِ؟ قُلْتُ: آللَّهِ. قَالَ: فَضَعْ يَدَكَ عَلَى رَأْسِي، وَاحْلِفْ بِحَيَاتِهِ. فَفَعَلْتُ، فَقَالَ: يَا غُلَامُ أَخْرِجْ مَا فِي هَذَا الْبَيْتِ. فَخَرَجَ الْعَلَوِيُّ، فَأُسْقِطَ فِي يَدِي، فَقَالَ الْمَهْدِيُّ: دَمُكَ لِي حَلَالٌ. ثُمَّ أَمَرَ بِهِ فَأُلْقِيَ فِي بِئْرٍ فِي الْمُطْبِقِ. قَالَ يَعْقُوبُ: فَكُنْتُ فِي مَكَانٍ لَا أَسْمَعُ فِيهِ وَلَا أُبْصِرُ، فَذَهَبَ بَصَرِي، وَطَالَ شَعْرِي حَتَّى صِرْتُ مِثْلَ الْبَهَائِمِ، ثُمَّ مَضَتْ عَلَيَّ مُدَدٌ مُتَطَاوِلَةٌ، فَبَيْنَمَا أَنَا ذَاتَ يَوْمٍ إِذْ دُعِيتُ فَخَرَجْتُ مِنَ الْبِئْرِ الَّتِي فِي ذَلِكَ الْمُطْبِقِ، فَقِيلَ لِي: سَلِّمْ عَلَى أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ. فَسَلَّمْتُ وَأَنَا أَظُنُّهُ الْمَهْدِيَّ، فَلَمَّا ذَكَرْتُ الْمَهْدِيَّ فِي كَلَامِي، قَالَ رَحِمَ اللَّهُ الْمَهْدِيَّ. فَقُلْتُ: الْهَادِي؟ فَقَالَ: رَحِمَ اللَّهُ الْهَادِي. فَقُلْتُ: الرَّشِيدُ؟ قَالَ: نَعَمْ. فَقُلْتُ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، قَدْ رَأَيْتَ مَا حَلَّ بِي مِنَ الضَّعْفِ وَالْعِلَّةِ، فَإِنْ رَأَيْتَ أَنْ تُطْلِقَنِي. فَقَالَ: أَيْنَ تُرِيدُ تَذْهَبُ؟ قُلْتُ: مَكَّةُ. فَقَالَ: اذْهَبْ رَاشِدًا. فَسَارَ إِلَى مَكَّةَ، فَمَا لَبِثَ بِهَا إِلَّا قَلِيلًا حَتَّى مَاتَ، رَحِمَهُ اللَّهُ تَعَالَى. وَقَدْ كَانَ يَعْقُوبُ هَذَا يَعِظُ الْمَهْدِيَّ فِي تَعَاطِيهِ شُرْبَ النَّبِيذِ بَيْنَ يَدَيْهِ، وَكَثْرَةِ سَمَاعِ الْغِنَاءِ، وَيَلُومُهُ عَلَى ذَلِكَ وَيَقُولُ: مَا عَلَى هَذَا اسْتَوْزَرْتَنِي، وَلَا عَلَى هَذَا صَحِبْتُكَ، أَبَعْدَ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسِ فِي الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ يُشْرَبُ عِنْدَكَ النَّبِيذُ وَيُسْمَعُ السَّمَاعُ بَيْنَ يَدَيْكَ؟ فَيَقُولُ: فَقَدْ سَمِعَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ. فَقَالَ: إِنَّ ذَلِكَ لَمْ يَكُنْ مِنْ حَسَنَاتِهِ، وَلَوْ كَانَ هَذَا قُرْبَةً لَكَانَ كُلَّمَا دَاوَمَ عَلَيْهِ الْعَبْدُ كَانَ
পৃষ্ঠা - ৮১৪৬


বসলেন ৷ এরপর কথা বললেন ৷ আমি তার মত এত বুদ্ধিমান ও সমঝদার আর কাউকে দেখিনি ৷
এরপর তিনি আমাকে বললেন, হে ইয়াকুব ! তুমি কি আমার রক্ত নিয়ে আল্লাহর সাথে ঘুলাকাত
করবে ? আর আমি হলাম রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কন্যা ফাতিমা (রা) এর একজন বংশধর ৷ তখন
আমি বললাম, না’ ৷ আল্লাহর শপথ করে বলছি, তুমি যেখানে ইচ্ছা, যখন ইচ্ছা তখন তৃমি
সেখানে চলে যেতে পার ৷ তিনি বললেন, আমি অমুক অমুক শহর পসন্দ করি ৷ আমি তখন
বললাম, যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে আপনি চলে যান ৷ আল-মাহদী যেন এ কথা জানতে না পারে ৷
যদি তিনি জেনে যায় তাহলে আপনি ধ্বংস হয়ে যাবেন আর আমিও ধ্বংস হয়ে যাব ৷ তখন তিনি
আমার নিকট থেকে বের হয়ে পড়লেন ৷ আমি তার সাথে দু’জন লোককে সৎপী করে দিলাম
যাতে তারা জফ্রে ভ্রমণ করাতে পারে এবংতার কাজ্জিত কোন একটি শহরে তাকে পৌছেদিতে
পারে ৷ কিন্তু আমি জানতাম না ঐ তরুণীটি যাবতীয় ঘটনা জেনে নিয়েছে এবং সে আমার ক্ষেত্রে
গুপ্তচরের কাজ করেছে ৷ সুতরাং তরুণীটি তার সেবককে আল-মাহদীর কাছে প্রেরণ করল এবং
যাবতীয় ঘটনা সম্বন্ধে অবহিত করল ৷ আলমাহদী রাস্তায় লোক প্রেরণ করলেন এবং ঐ
আলাবীকে ফেরত নিয়ে আসলেন ৷ তিনি তাকে তার কাছে রাজধানীর কোন একটি ঘরে বন্দী
করে রাখলেন ৷ দ্বিতীয় দিন, আমার কাছে খলীফা লোক পাঠান ৷ আমি কিন্তু আলাবী সম্বন্ধে কিছুই
জানতে পারিনি ৷ যখন আমি তার কাছে প্রবেশ করলাম তখন তিনি আমাকে বললেন, আলাবী কী
করছে ? আমি বললাম, যে মরে গেছে ৷ তিনি বললেন, আল্লাহর শপথ ? আমি বললাম, আল্লাহর
শপথ ৷ তিনি বললেন, তোমার হাতটি আমার মাথায় রাখ এবং তোমার আযুর ন্পপথ কর ৷ আমি
তা করলাম ৷ এরপর তিনি বললেন, হে যুবক ! এ ঘরে যে আছে তাকে বের কর ৷ তখন ঐ
আলাবী বের হয়ে আসলেন এবং আমি লজ্জিত হয়ে পড়লাম ৷ আল-মাহদী বললেন, এখন তোমার
রক্ত আমার জন্য হালাল ৷ এরপর তিনি হুকুম জারি করলেন এবং মাটির নিচে কারাগারে আমাকে
নিক্ষেপ করলেন ৷ ইয়াকুব বলেন, আমি এমন এক জায়গায় ছিলাম যেখানে কিছু শুনতে ও
দেখতে পেতাম না ৷ আমার দৃষ্টিশক্তি নষ্ট এবং চুল লম্বা হয়ে যায়, এমনকি আমি চতুষ্পদ ত্তস্থের
মতো হয়ে গেলাম ৷ এরপর অনেকদিন চলে যায় ৷ একদিন আমাকে ডাকা হলো ৷ আমি মাটির
নিচের কারাগার থেকে বের হলাম ৷ আমাকে বলা হল, আমীরুল মুমিনীনকে সালাম কর ৷ আমি
তীকে সালাম করলাম এবং আমি ধারণা করলাম যে, তিনি আল-মাহদী ৷ এরপর যখন আমি
আল-মাহদীর কথা উল্লেখ করলাম খলীফা বললেন, আল-মাহদীর উপর আল্লাহ রহম করেছেন ৷
তখন আমি বললাম , আপনি কি আল-হাদী ? তখন তিনি বললেন, আল-হাদীয় উপর আল্লাহ রহম
করেছেন ৷ তখন আমি বললাম , আপনি কি আর-রশীদ ! তিনি বললেন, ইা’ , তখন আমি
বললাম, হে আমীরুল মুমিনীন ৷ আপনি তো দেখতে পাচ্ছেন আমার দৃর্বলতা ও অসুস্থতা ৷ যদি
আপনি আমাকে ছেড়ে দিতে ইচ্ছা করেন তাহলে ভাল হয় ৷ তিনি বললেন, তুমি কোথায় যেতে
চাও ? আমি বললাম, মক্কায় ৷ তিনি বললেন, সোজাসুজি চলে যাও ৷ এরপর তিনি মক্কায় চলে
গেলেন এবং কিছুদিন পরে সেখানে ইনতিকাল করেন ৷ আল্লাহ তাআলা তার উপর রহম করুন ৷

এ ইয়াকুব আল-মাহদীকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নসীহত করতেন ৷ তার সামনে পানীয় পরিবেশন,
করা ও বিভিন্ন সময়ে বেশী বেশী গান শুনার ব্যাপারে তিনি তাকে তিরস্কার করতেন এবং বলতেন,
এ জন্যই কি আপনি আমাকে ওযীর নিযুক্ত করেছেন ? এ জন্যই কি আমি আপনার সংস্পর্শে


أَفْضَلَ لَهُ. وَفِي ذَلِكَ يَقُولُ بَعْضُ الشُّعَرَاءِ: فَدَعْ عَنْكَ يَعْقُوبَ بْنَ دَاوُدَ ... جَانِبًا وَأَقْبِلْ عَلَى صَهْبَاءَ طَيِّبَةِ النَّشْرِ وَفِيهَا ذَهَبَ الْمَهْدِيُّ إِلَى قَصْرِهِ الْمُسَمَّى بِقَصْرِ السَّلَامِ بِعِيسَابَاذْ - بُنِيَ لَهُ بِالْآجُرِّ بَعْدَ الْقَصْرِ الْأَوَّلِ الَّذِي بَنَاهُ بِاللَّبِنِ - فَسَكَنَهُ وَضَرَبَ هُنَاكَ الدَّرَاهِمَ وَالدَّنَانِيرَ. وَفِيهَا أَمَرَ الْمَهْدِيُّ بِإِقَامَةِ الْبَرِيدِ بَيْنَ مَكَّةَ وَالْمَدِينَةِ وَالْيَمَنِ، وَلَمْ يُفْعَلْ هَذَا قَبْلَ هَذِهِ السَّنَةِ. وَفِيهَا خَرَجَ مُوسَى الْهَادِي إِلَى جُرْجَانَ، وَقَدْ جَعَلَ عَلَى الْقَضَاءِ أَبَا يُوسُفَ يَعْقُوبَ بْنَ إِبْرَاهِيمَ صَاحِبَ أَبِي حَنِيفَةَ رَحِمَهُمُ اللَّهُ. وَفِيهَا حَجَّ بِالنَّاسِ إِبْرَاهِيمُ بْنُ يَحْيَى بْنِ مُحَمَّدٍ عَامِلُ الْكُوفَةِ، وَلَمْ يَكُنْ فِي هَذِهِ السَّنَةِ صَائِفَةٌ; لِلْهُدْنَةِ الَّتِي كَانَتْ بَيْنَ الرَّشِيدِ وَبَيْنَ الرُّومِ.
পৃষ্ঠা - ৮১৪৭
وَفِيهَا تُوُفِّيَ صَدَقَةُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ السَّمِينُ، وَأَبُو الْأَشْهَبِ الْعُطَارِدِيُّ، وَأَبُو بَكْرٍ النَّهْشَلِيُّ، وَعُفَيْرُ بْنُ مَعْدَانَ.