ثم دخلت سنة تسع وخمسين ومائة
পৃষ্ঠা - ৮০৯৩
আল-মাহদী ইবন আল-মানসুরের খিলাফতকাল
একশ আটান্ন হিজরীর যুলহাজ্জ্ব মাসের সাত তারিখ কিংবা ছয় তারিখ যখন তার পিতা মক্কায়
ইনতিকাল করেন তখন তার দাফনের পুর্বে, মানসুরের সাথে হজ্জ্বব্রত পালনকারী নেতাদের থেকে
ও বনুহাশিমের সর্দারদের থেকে আল-মাহদীর জন্য বায়আত গ্রহণ করা হয় ৷ দারোয়ান রাৰী
ডাক-হরকরা মারফত বাগদাদে অবস্থানরত আল-মাহদীর কাছে বায়আতনামা প্রেরণ করেন ৷
ডাক-হরকরা বায়আতনামা নিয়ে যুলহাজ্জ্ব মাসের ১৫ তারিখ মঙ্গলবার দিন তার কাছে প্রবেশ
করেন ৷ ডাক-হরকরা খিলড়াফতের দায়-দায়িতু তার কাছে অর্পণ করেন এবং বায়আতনামাও তার
সোপর্দ করেন ৷ বাগদাদের বাসিন্দাগণ তার হাতে বায়আত করেন ৷ রাজ্যের সব কয়টি অঞ্চলে
বায়আতনামা জারি করা ইবন জারীর (র) বর্ণনা করেন, মানসুর তীর মৃত্যুর এক দিন পুর্বে
আমীরদেরকে ডাকলেন, তাদের কাছে কষ্টকর দায়িত্ব অর্পণ করেন, তাদের উপর নির্ভরতা প্রকাশ
করলেন এবং নিজের পুত্র আল-মাহদীর জন্য বায়আত নবায়ন করলেন ৷ আযীরগণ তার কাছে
অজ্যিত আগমন করেন ও দায়িত্ব গ্রহণের ব্যাপারে তৎক্ষণাৎ প্রতি উত্তর প্রদান করেন ৷
এ বছর ইব্রাহীম ইবন ইয়াহ্ইয়া ইবন মুহাম্মাদ ইবন আলী ইবন আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস
নিজের চাচা আল-মানসুরের ওসিয়ত মুতাবিক ণ্লাকজনকে নিয়ে হজ্জব্রত পালন করেন ৷ তিনিই
তার জানাযার নামায পড়ান ৷ কেউ কেউ বলেন, আল-মাহদীর পর ঘোষিত যুবরাজ ঈসা ইবন
মুসা তার জনোযার নামায পড়ান ৷ প্রথম অভিমতটিই শুদ্ধ ৷ কেননা তিনি ছিলেন মক্কা ও তাইফের
নায়িব ৷ মদীনায় শাসক ছিলেন আবদুস সামাদ ইবন আলী ৷ কুফার শাসনকর্তা ছিলেন খলীফার
পুলিশ অফিসার আল-ঘুসাইয়ার ইবন যুহায়রের ভাই আমর ইবন যুহায়র আদ-দাতী ৷ থুরাসানের
শাসক ছিলেন হুমায়দ ইবন কাহতাবা ৷ বসরার ভুমি ও কর আদায়ে নিয়োজিত ছিলেন আম্মারা ইবন
হামযা , সড়ালাত আমার ও বিচার বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন আবদুল্লাহ ইবন আল-হাসান
আল-আনবারী এবং সাধারণ কার্যাবলীর দায়িত্বে ছিলেন সাঈদ ইবন দালাজ ৷
আল্লামা আল-ওয়াকিদী বলেন, এ বছর জনগণের মধ্যে মারাত্মক মহামারী দেখা দেয় এবং
বহু লোক মৃত্যুমুখে পতিত হয় ৷ তাদের মধ্যে প্রসিদ্ধ হলেন : আফলাহ ইবন হুমায়দ, হায়াত
ইবন শুরড়ায়হ ; মক্কায় মুআবিয়া ইবন সালিহ ; যুফার ইবন আল-হুযায়ল ইবন কায়স ইবন
সুলায়ম ৷ এরপর তীর বংশধারা সাদ ইবন আদনান পর্যন্ত পৌছে ৷ তাকে বলা হত আত-তামীমী,
আল আমবারী আল কুফী আল-ফকীহ হানীফী ৷ মৃত্যুর দিক দিয়ে তিনি হযরত আবু হানীফা
(র)-এর প্রবীণতম সাথী ৷ তিনি সকলের চেয়ে বেশী কিয়াসকে ব্যবহার করতেন ৷ তিনি
ছিলেন উচ্চ ধরনের আবিদ ৷ প্রথমত তিনি ইলম হাদীস অধ্যয়নে আত্ম নিয়োগ করেন ৷ এরপর
তীর উপর ফিক্হ্ ও কিয়াস প্রভাব বিস্তার করে ৷ তিনি একশ ষোল হিজরীতে জন্মগ্রহণ করেন
এবং ৪২ বছর বয়সে একশ আটান্ন হিজরীতে ইনতিকাল করেন ৷ আল্লাহ তার ও আমাদের উপর
রহমত নাযিল করুন ৷
[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ تِسْعٍ وَخَمْسِينَ وَمِائَةٍ]
اسْتَهَلَّتْ هَذِهِ السَّنَةُ وَخَلِيفَةُ النَّاسِ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْمَهْدِيُّ ابْنُ أَبِي جَعْفَرٍ الْمَنْصُورِ، فَبَعَثَ فِي أَوَّلِهَا الْعَبَّاسَ بْنَ مُحَمَّدٍ إِلَى بِلَادِ الرُّومِ فِي جَيْشٍ كَثِيفٍ، وَرَكِبَ مَعَهُمْ مُشَيِّعًا لَهُمْ، فَسَارُوا إِلَيْهَا، فَافْتَتَحُوا مَدِينَةً عَظِيمَةً لِلرُّومِ وَمَطْمُورَةَ، وَغَنِمُوا غَنَائِمَ كَثِيرَةً، وَرَجَعُوا سَالِمِينَ، لَمْ يُفْقَدْ مِنَ الْمُسْلِمِينَ أَحَدٌ.
وَفِيهَا تُوُفِّيَ حُمَيْدُ بْنُ قَحْطَبَةَ نَائِبُ خُرَاسَانَ، فَوَلَّى الْمَهْدِيُّ مَكَانَهُ أَبَا عَوْنٍ عَبْدَ الْمَلِكِ بْنَ يَزِيدَ، وَوَلَّى حَمْزَةَ بْنَ مَالِكٍ سِجِسْتَانَ، وَوَلَّى جَبْرَئِيلَ بْنَ يَحْيَى سَمَرْقَنْدَ.
وَفِيهَا بَنَى الْمَهْدِيُّ مَسْجِدَ الرُّصَافَةِ وَخَنْدَقَهَا.
وَفِيهَا جَهَّزَ الْمَهْدِيُّ جَيْشًا كَثِيفًا إِلَى بِلَادِ الْهِنْدِ، فَوَصَلُوا إِلَيْهَا فِي السَّنَةِ الْآتِيَةِ، وَكَانَ مِنْ أَمْرِهِمْ مَا سَنَذْكُرُهُ.
وَفِيهَا تُوُفِّيَ نَائِبُ السِّنْدِ مَعْبَدُ بْنُ الْخَلِيلِ، فَوَلَّى الْمَهْدِيُّ مَكَانَهُ رَوْحَ بْنَ حَاتِمٍ بِمَشُورَةِ وَزِيرِهِ أَبِي عُبَيْدِ اللَّهِ.
وَفِيهَا أَطْلَقَ الْمَهْدِيُّ مَنْ كَانَ فِي السُّجُونِ إِلَّا مَنْ كَانَ مَحْبُوسًا عَلَى
পৃষ্ঠা - ৮০৯৪
دَمٍ، أَوْ مِمَّنْ يَسْعَى فِي الْأَرْضِ فَسَادًا، أَوْ عِنْدَهُ حَقٌّ لِأَحَدٍ، فَكَانَ مِنْ جُمْلَةِ مَنْ أَخْرَجَ مِنَ الْمُطْبِقِ يَعْقُوبُ بْنُ دَاوُدَ مَوْلَى بَنِي سُلَيْمٍ، وَالْحُسْنُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَسَنٍ، وَأَمَرَ الْخَلِيفَةُ بِصَيْرُورَةِ الْحَسَنِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ إِلَى نُصَيْرٍ الْخَادِمِ لِيَحْتَرِزَ عَلَيْهِ.
وَكَانَ الْحَسَنُ قَدْ عَزَمَ عَلَى الْهَرَبِ مِنَ السِّجْنِ قَبْلَ خُرُوجِهِ مِنْهُ، فَلَمَّا خَرَجَ يَعْقُوبُ بْنُ دَاوُدَ مِنَ السِّجْنِ، نَاصَحَ الْخَلِيفَةَ بِمَا كَانَ عَزَمَ عَلَيْهِ الْحَسَنُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، فَنَقَلَهُ الْخَلِيفَةُ مِنَ السِّجْنِ، وَأَوْدَعَهُ عِنْدَ نُصَيْرٍ الْخَادِمِ لِيَحْتَاطَ عَلَيْهِ، وَحَظِيَ يَعْقُوبُ بْنُ دَاوُدَ عِنْدَ الْمَهْدِيِّ جَدًّا حَتَّى صَارَ يَدْخُلُ عَلَيْهِ فِي اللَّيْلِ بِلَا اسْتِئْذَانٍ، وَجَعَلَهُ الْخَلِيفَةُ عَلَى أُمُورٍ كَثِيرَةٍ فَوَّضَهَا إِلَيْهِ، وَأَطْلَقَ لَهُ مِائَةَ أَلْفِ دِرْهَمٍ، وَمَا زَالَ عِنْدَهُ كَذَلِكَ حَتَّى تَمَكَّنَ الْمَهْدِيُّ مِنَ الْحَسَنِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، فَسَقَطَتْ مَنْزِلَةُ يَعْقُوبَ عِنْدَ الْمَهْدِيِّ. وَقَدْ عَزَلَ الْمَهْدِيُّ نُوَّابًا كَثِيرَةً عَنِ الْبِلَادِ، وَوَلَّى بَدَلَهُمْ عَلَيْهَا.
وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ تَزَوَّجَ الْمَهْدِيُّ بِابْنَةِ عَمِّهِ أُمِّ عَبْدِ اللَّهِ بِنْتِ صَالِحِ بْنِ عَلِيٍّ، وَأَعْتَقَ جَارِيَتَهُ الْخَيْزُرَانَ، وَتَزَوَّجَهَا أَيْضًا، وَهِيَ أُمُّ الرَّشِيدِ.
وَفِيهَا وَقَعُ حَرِيقٌ عَظِيمٌ فِي السُّفُنِ الَّتِي بِدِجْلَةَ بَغْدَادَ.
وَلَمَّا وَلِيَ الْمَهْدِيُّ سَأَلَ عِيسَى بْنَ مُوسَى - وَكَانَ وَلِيَّ الْعَهْدِ مِنْ بَعْدِ الْمَهْدِيِّ - أَنْ يَخْلَعَ نَفْسَهُ مِنَ الْأَمْرِ، فَامْتَنَعَ عَلَى الْمَهْدِيِّ، وَسَأَلَ أَنْ يُقِيمَ بِأَرْضِ الْكُوفَةِ فِي ضَيْعَةٍ لَهُ، فَأَذِنَ لَهُ، وَكَانَ قَدِ اسْتَقَرَّ عَلَى إِمْرَةِ الْكُوفَةِ رَوْحُ بْنُ حَاتِمٍ، فَكَتَبَ إِلَى الْمَهْدِيِّ: إِنَّ عِيسَى بْنَ مُوسَى لَا يَأْتِي الْجُمْعَةَ وَلَا الْجَمَاعَةَ مَعَ النَّاسِ إِلَّا
পৃষ্ঠা - ৮০৯৫
১৫৯ হিজরীর আগমন
এ বছরটি শুরু হয় যখন জনগণের খলীফা ছিলেন আবুঅড়াবদুল্লাহ্ মুহাম্মাদ ইবন আল-মানসুর
আল -মাহদী ৷ এ বছরের প্রথম দিকেই তিনি এক বিরাট সেনাদলসহ আল-অড়াব্বাস ইবন
মুহাম্মদকে রোমীয় শহরে প্রেরণ করেন ৷ তিনি সেনাবাহিনীর পেছনে পেছনে অনেক দুর পর্যন্ত
গমন করে তাদেরকে বিদায় জানান ৷ তারা রােমীয়দের শহরে গমন করেন এবং রোমের একটি
বড় শহর জয় করেন ৷ বহু গনীমত অর্জন করেন এবং সেনাদলের কাউকে না হারিয়ে নিরাপদে
স্বদ্যেশ প্রত্যাবর্তন করেন ৷
এ বছর খুরাসানের নায়িব হুমড়ায়দ ইবন কাহতারা ইনতিকাল করেন ৷ আল-মাহদী তার স্থলে
আবু আউন আবদুল মালিক ইবন ইয়াযীদকে নিয়োগ করেন ৷ তিনি হামযা ইবন মালিককে
সিজিস্তানের শাসনকর্তা নিয়োগ করেন ৷ জিবরীল ইবন ইয়াহ্ইয়াকে সমরকন্দের শাসক নিয়োগ
করেন ৷ এ বছর আল-মড়াহদী আর-রুসাফায় মসজিদ তৈরি ও দুর্গের চারপাশে গভীর খাদ খনন
করেন ৷ আবার এ বছর হিন্ন্ডোনে প্রেরণের জন্য একটি বিরাট সৈন্যদল সংগহ করা হয় ৷ পরবর্তী
বছর তারা সেখানে পৌছে ৷ তাদের ঘটনা যথাস্থুড়ানে বর্ণনা করা হবে ৷
এ বছর সিন্ধুর নায়িব মাবড়াদ ইবন খালীল ইনতিকাল করেন ৷ তার স্থলে আল্-মাহদী স্বীয়
মত্রীর অড়াবুআবদুল্লড়াহ্র পরামর্শে রাওহ ইবন খাতিমকে নিয়োগ করেন ৷ এ বছরই আল-মাহদী
খুনের কারণে কারাবন্দী, দেশে সন্ত্যস সৃষ্টির প্রচেষ্টাকারী এবং অন্যের হক আত্মসাৎকারী ব্যতীত
বহু কয়েদীকে ছেড়ে দেন ৷ ভুপৃষ্ঠের নীচে অবস্থিত কয়েদখানা থেকে যাদেরকে যুক্তি দেন তাদের
মধ্যে প্রসিদ্ধ হলেন : বনু সুলায়মের বন্ধু ইয়াকুব ইবন দাউদ ও হাসান ইবন ইব্রাহীম ইবন
আবদুল্লাহ ইবন হুসায়ন ৷ এ হড়াসানকে খাদিমের নিরাপত্তার ব্যাপারে তাকে সাহায্যকারী নিয়োগ
করা হয় ৷ হাসান কারাগর থেকে বের হওয়ার পুর্বে কারাগার থেকে পলায়ন করার সিদ্ধান্ত
নিয়েছিলেন ৷ য়খন ইয়াকুব ইবন দাউদ কারাগার থেকে বের হয়ে আসলেন তখন হাসড়ানের
সিদ্ধান্ত সম্বন্ধে তিনি খলীফাকে অবগত করলেন ৷ খলীফা তাকে কারাগার থেকে স্থানান্তর করেন
এবং খড়াদিমকে দেখা-শুনার জন্য তার সাহায্যকারী হিসেবে তার কাছে দায়িতু ন্যস্ত করেন ৷
ইয়াকুব ইবন দাউদ খলীফ৷ আল-মড়াহদীর কাছে মহান মর্যাদার অধিকারী হন, এমনকি তিনি
অনুমতি ব্যতীত রাতের বেলায়ও খলীফার ঘরে প্রবেশ করতেন ৷ তিনি অনেক কিছু কার্যকলাপের
দায়িতৃ গ্রহণ করেছিলেন ৷ খলীফা তাকে এক লাখ দিরহাম দান করেন ৷ এরুপ অবস্থায়
আল-মাহ্দী আল-হাসান ইবন ইবৃরাহীমকে মর্যাদা দান করেন ৷ তাতে খলীফার কাছে ইয়াকুবের
মর্যাদা কিছুটা হ্রাস পায় ৷ আল-স্খাহদী দেশের বিভিন্ন নায়িবকে বরখাস্ত করেন এবং তাদের
পরিবর্তে নতুন নায়িব নিয়োগ করেন ৷ এ বছর আল-মাহদী স্বীয় চাচাত বোন উম্মু আবদুল্লাহ বিনৃত
সালিহ ইবন আলীকে বিয়ে করেন এবং স্বীয় দাসী আল-খাইযুরানকে আযাদ করে দেন ও পরে
তাকে বিয়ে করেন ৷ আর তিনি হলেন হারুনুর রশীদের মাতা ৷ এ বছরই বাগদাদের দাজলা নদীতে
জাহাজে বিরাট অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হয় ৷ মাহদী যখন খলীফা হন তখন তার পরবর্তী যুবরাজ ঈসড়া
ইবন মুসড়াকে খিলাফত থেকে সরে দীড়াবার জন্য নির্দেশ দেন ৷ তিনি মাহদীর কথার বিরোধিতা
করেন এবং মাহদীকে বলেন যেন তাকে কুফায় অবস্থিত তার একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত জায়গায় বসবাস
করার অনুমতি দেন ৷ তখন তিনি তাকে এরুপ অনুমতি প্রদান করেন ৷ মড়াহদী রাওহ ইবন
شَهْرَيْنِ مِنَ السَّنَةِ، وَإِنَّهُ إِذَا جَاءَ يَدْخُلُ بِدَوَابِّهِ إِلَى دَاخِلِ بَابِ الْمَسْجِدِ، فَتَرُوثُ دَوَابُّهُ حَيْثُ يُصَلِّي النَّاسُ. فَكَتَبَ إِلَيْهِ الْمَهْدِيُّ أَنْ يَعْمَلَ خَشَبًا عَلَى أَفْوَاهِ السِّكَكِ; حَتَّى لَا يَصِلَ النَّاسُ إِلَى الْجَامِعِ إِلَّا مُشَاةً، فَعَلِمَ بِذَلِكَ عِيسَى بْنُ مُوسَى، فَاشْتَرَى قَبْلَ الْجُمْعَةِ دَارَ الْمُخْتَارِ بْنِ أَبِي عُبَيْدٍ مِنْ وَرَثَتِهِ، وَكَانَتْ مُلَاصِقَةَ الْمَسْجِدِ، فَكَانَ يَأْتِي إِلَيْهَا مِنْ يَوْمِ الْخَمِيسِ، فَإِذَا كَانَ وَقْتُ الْجُمْعَةِ رَكِبَ حِمَارًا إِلَى بَابِ الْمَسْجِدِ، فَنَزَلَ عَنْهُ، وَشَهِدَ الصَّلَاةَ مَعَ النَّاسِ، وَأَقَامَ بِالْكُلِّيَّةِ فِي الْكُوفَةِ بِأَهْلِهِ، ثُمَّ أَلَحَّ الْمَهْدِيُّ عَلَى عِيسَى بْنِ مُوسَى فِي أَنْ يَخْلَعَ نَفْسَهُ مِنْ وِلَايَةِ الْعَهْدِ، وَتَوَعَّدَهُ إِنْ لَمْ يَفْعَلْ، وَوَعَدَهُ إِنْ فَعَلَ، فَأَجَابَهُ إِلَى ذَلِكَ، فَأَعْطَاهُ أَقْطَاعًا عَظِيمَةً، وَجَعَلَ لَهُ مِنَ الْمَالِ عَشَرَةَ آلَافِ أَلْفِ دِرْهَمٍ، وَقِيلَ: عِشْرِينَ أَلْفَ أَلْفٍ. وَبَايَعَ الْمَهْدِيُّ لِوَلَدَيْهِ مِنْ بَعْدِهِ; مُوسَى الْهَادِي، ثُمَّ لِهَارُونَ الرَّشِيدِ، كَمَا سَيَأْتِي.
وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ يَزِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ خَالُ الْمَهْدِيِّ، وَكَانَ نَائِبًا عَلَى الْيَمَنِ، فَوَلَّاهُ الْمَوْسِمَ، وَاسْتَقْدَمَهُ عَلَيْهِ شَوْقًا إِلَيْهِ.
وَغَالِبُ نُوَّابِ الْبِلَادِ قَدْ تَغَيَّرُوا فِي هَذِهِ السَّنَةِ، غَيْرَ أَنَّ إِفْرِيقِيَّةَ مَعَ يَزِيدَ بْنِ حَاتِمٍ، وَعَلَى مِصْرَ مُحَمَّدُ بْنُ سُلَيْمَانَ أَبُو ضَمْرَةَ، وَعَلَى خُرَاسَانَ أَبُو عَوْنٍ، وَعَلَى السِّنْدِ بِسِطَامُ بْنُ عَمْرٍو، وَعَلَى الْأَهْوَازِ وَفَارِسَ عُمَارَةُ بْنُ حَمْزَةَ، وَعَلَى الْيَمَنِ رَجَاءُ بْنُ رَوْحٍ، وَعَلَى الْيَمَامَةِ بِشْرُ بْنُ الْمُنْذِرِ، وَعَلَى الْجَزِيرَةِ الْفَضْلُ بْنُ صَالِحٍ، وَعَلَى الْمَدِينَةِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَفْوَانَ الْجُمَحِيُّ، وَعَلَى مَكَّةَ وَالطَّائِفِ إِبْرَاهِيمُ بْنُ يَحْيَى بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ صَفْوَانَ الْجُمَحِيُّ، وَعَلَى أَحْدَاثِ الْكُوفَةِ إِسْحَاقُ بْنُ الصَّبَّاحِ الْكِنْدِيُّ، وَعَلَى خَرَاجِهَا ثَابِتُ بْنُ مُوسَى، وَعَلَى قَضَائِهَا شَرِيكُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ النَّخَعِيُّ، وَعَلَى أَحْدَاثِ الْبَصْرَةِ عُمَارَةُ بْنُ حَمْزَةَ، وَعَلَى صَلَاتِهَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ
পৃষ্ঠা - ৮০৯৬
أَيُّوبَ بْنِ ظَبْيَانَ النُّمَيْرِيُّ، وَعَلَى قَضَائِهَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ الْحَسَنِ الْعَنْبَرِيُّ.
وَمِمَّنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ: عَبْدُ الْعَزِيزِ ابْنُ أَبِي رَوَّادٍ، وَعِكْرِمَةُ بْنُ عَمَّارٍ، وَمَالِكُ بْنُ مِغْوَلٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ الْمَدَنِيُّ، نَظِيرُ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ فِي الْفِقْهِ، وَرُبَّمَا أَنْكَرَ عَلَى مَالِكٍ فِي تَرْكِهِ الْأَخْذَ بِبَعْضِ الْأَحَادِيثِ; لِمَآخِذَ كَانَ يَرَاهَا مَالِكٌ مِنْ إِجْمَاعِ أَهْلِ الْمَدِينَةِ وَغَيْرِ ذَلِكَ مِنَ الْمَسَالِكِ.