ثم دخلت سنة ثمان وخمسين ومائة
পৃষ্ঠা - ৮০৭৩
ইবন ক সীব (র) বলেন, এতে কে ন মতবিরোধ নেই যে, তিনি বৈরুতে পরহেযগার ও
সীমান্ত প্রহরীর ন্যায় ইনতিক৷ ৷ল করেন ৷ ভারত তার বয়স ও ইনতিকালের বছর নিয়ে ম৩ বিরোধ
রয়েছে ৷ ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান (র) স ৷লামা (র) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, ইমাম আহমাদ
(র) আমি আল-আওযাঈ (র)-কে স্বচক্ষে দেখেছি ৷ তিনি একশ পঞ্চাশ হিজরীতে ইনতিকাল
করেন ৷ আল আব্বাস ইবন আল ওয়া ৷লীদ বৈরুতী বলেন, একশ সাতান্ন হিজবী সালের সফর
মাসের আটাশ তারিখ রবিবার দিনের প্রথম দিকে তিনি ইনতিক৷ ল করেন ৷ এটা অধিকাৎশ
আলিমের অভিমত ৷ আ র এটাই বিশুদ্ধ অভিমত ৩৷ এটা ই আবু মিশহ৷ রুহিশাম ইবন আমার এবং
আল-ওয়ালীদ ইবন মুসলিমের অভিমত ৷ এটাই শুদ্ধতম মতামত ৷ রইয়াহ্ইয়া ইবন মুঈন ইবন
আবদুল আযীয ও আরো অনেকের এরুপ অভিমত ৷ আল-আব্বাস ইবন আল-ওয়ালীদ (র) বলেন,
তিনি সত্তর বছরে উপনীত হননি ৷ অন্যরা বলেন, সত্তর বছর অতিক্রম করেছেন ৷ শুদ্ধ হল
সাতাত্তর বছর ৷ কেননা তার জন্ম হল শুদ্ধ মতে অষ্টাশি হিজরীতে ৷ কেউ কেউ বলেন, তিনি
তিয়াত্তর হিজরীতে জন্মগ্রহণ করেন ৷ এ মত টি দুর্বল ৷ কো ন এক ব্যক্তি তাকে স্বপুে দেখেন ৷
তিনি তাকে বলেন, আমাকে এমন একটি আমলের কথা বলুন যা আমাকে আল্লাহ তা জানার
নিকটবর্তী করে দেবে ৷ তিনি উত্তরে বলেন, জান্নাতে আমি ইলমকে বাস্তবে রুপদানকারী
আলিমের মর্যাদা থেকে অধিক মর্যাদাবান আর কাউকে দেখিনি ৷ এরপর ক্ষতিগ্রস্তদের মর্যাদা ৷
১৫৮ হিজরীর প্রারম্ভ ষ্
এ বছরই মানসুরের আ ল খুলদ নামী৷ প্র৷ সাদের নির্মাণ কাজ সুসম্পন্ন হয় ৷ এতে তিনি সামান্য
কিছুদিন বসবাস করেন ৷ এরপর ইনতিক৷ ৷ল করেন ও তা ছেড়ে চিরদিনের মত চলে যান ৷ এ
বছরেই রোমের অত্যাচারী শাসক মা ৷র৷ যায় ৷ এ বছরই মানসুর নিজের ছেলে আলমাহদীকে
আর-রিক্কা এ প্রেরণ করেন এবং তাকে হুকুম দেন যেন মুসা ইবন কাবকে মাওসিল থেকে
বরখাস্ত করা হয় ও তথায় খালিদ ইবন বারমাককে শাসক নিয়োগ করা হয় ৷ এটা হয়েছিল
বিস্ময়কারী একটি ঘটনা ঘটার পর ৷ ইয়াহ্ইয়া ইবন খালিদের জন্য এ ঘটনাটি ঘটেছিল ৷ তা হল
নিম্নরুপ :
মানসুর একবার খালিদ ইবন বারমাকের উপর রাপাষিত হলেন এবং ত্রিশ লক্ষ দিরহাম
জরিমানা করলেন ৷ এতে তিনি দৃর্দশগ্রোস্ত হয়ে পড়েন ৷ তার কোন সম্পদই আর বাকী রইল না ৷
অধিকাৎশ জরিমানা আদায় করতে তিনি ছিলেন অক্ষম ৷ তবে সময় দেয়৷ হয়েছিল মাত্র তিন
দিন ৷ এ তিন দিনের মধ্যে সম্পুর্ণ অর্থ আদায় করতে হবে নচেৎ ত ৷র রক্ত মুবাহ হয়ে যাবে অর্থাৎ
তাকে হত্যা করা হবে ৷ ত ই তিনি তার পুত্র ইয়াহ্ইয়াকে তার আমীর সাথীদের কাছে প্রেরণ
করলেন যাতে সে তাদের থেকে ঋণ গ্রহণ করে ৷ তাদের মধ্যে কেউ তাকে এক লাখ দিরহাম
ঋণ দিল ৷ কেউ তার থেকে কম দিল ৷ আবার কেউ তার থেকে বেশী দিল ৷ ইয়াহ্ইয়া ইবন
খালিদ বলেন, এ তিন দিনের মধ্য থেকে একদিন আমি বাগদাদের সেতুর উপর অবস্থান
করছিলাম, আর আমাদের সাধ্যের বাইরে অর্থ সংগ্রহের জন্য আমি ছিলাম অত্যন্ত চিন্তিত ৷ এমন
সময় সেতুর কিনারায় যেসব লোক অবস্থান করে তাদের মধ্য থেকে একজন ধমক প্রদানকারী
আমার উপর বা৷ গিয়ে পড়ল এবং আমাকে বলল, সুসৎ বাদ গ্রহণ কর ৷ আমি৩ তার ৷দিকে তাকালাম
না ৷ তখন সে আমার দিকে এগিয়ে আসল এবং আমার ঘোড়ার লাগাম টেনে ধরে আমাকে বলল,
[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ ثَمَانٍ وَخَمْسِينَ وَمِائَةٍ]
[الْأَحْدَاثُ الَّتِي وَقَعَتْ فِيهَا]
فِيهَا تَكَامَلَ بِنَاءُ قَصْرِ الْمَنْصُورِ الْمُسَمَّى بِالْخُلْدِ، وَسَكَنَهُ أَيَّامًا يَسِيرَةً، ثُمَّ مَاتَ وَتَرَكَهُ.
وَفِيهَا مَاتَ طَاغِيَةُ الرُّومِ.
وَفِيهَا وَجَّهَ الْمَنْصُورُ ابْنَهُ الْمَهْدِيَّ إِلَى الرَّقَّةِ، وَأَمَرَهُ بِعَزْلِ مُوسَى بْنِ كَعْبٍ عَنِ الْمَوْصِلِ، وَأَنْ يُوَلِّيَ عَلَيْهَا خَالِدَ بْنَ بَرْمَكَ، وَكَانَ ذَلِكَ بَعْدَ نُكْتَةٍ غَرِيبَةٍ اتَّفَقَتْ لِيَحْيَى بْنِ خَالِدٍ; وَذَلِكَ أَنَّ الْمَنْصُورَ كَانَ قَدْ تَغَضَّبَ عَلَى خَالِدِ بْنِ بَرْمَكَ، وَأَلْزَمَهُ بِحَمْلِ ثَلَاثَةِ آلَافِ أَلْفٍ، فَضَاقَ ذَرْعًا بِذَلِكَ، وَلَمْ يَبْقَ لَهُ مَالٌ وَلَا حَالٌ، وَعَجَزَ عَنْ أَكْثَرِ مَا طُلِبَ مِنْهُ، وَقَدْ أَجَّلَهُ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ، فَإِنْ لَمْ يَحْمِلْ ذَلِكَ فِي هَذِهِ الْأَيَّامِ فَدَمُهُ هَدْرٌ، فَجَعَلَ يُرْسِلُ ابْنَهُ يَحْيَى إِلَى أَصْحَابِهِ مِنَ الْأُمَرَاءِ يَسْتَقْرِضُ مِنْهُمْ، فَكَانَ مِنْهُمْ مَنْ أَعْطَاهُ الْمِائَةَ أَلْفٍ، وَمِنْهُمْ أَقَلَّ وَأَكْثَرَ.
قَالَ يَحْيَى بْنُ خَالِدٍ: فَبَيْنَا أَنَا ذَاتَ يَوْمٍ مِنْ تِلْكَ الْأَيَّامِ عَلَى جِسْرِ بَغْدَادَ، وَأَنَا مَهْمُومٌ فِي تَحْصِيلِ مَا طُلِبَ مَنَّا وَلَا طَاقَةَ لَنَا بِهِ، إِذْ وَثَبَ إِلَيَّ زَاجِرٌ - يَعْنِي مِنْ أُولَئِكَ الَّذِينَ يَكُونُونَ عِنْدَ الْجِسْرِ مِنَ الطُّرُقِيَّةِ - فَقَالَ لِي: أَبْشِرْ. فَلَمْ أَلْتَفِتْ إِلَيْهِ، فَتَقَدَّمَ حَتَّى أَخَذَ بِلِجَامِ فَرَسِي، ثُمَّ قَالَ لِي: أَنْتَ مَهْمُومٌ، وَاللَّهِ لَيُفَرِّجَنَّ اللَّهُ
পৃষ্ঠা - ৮০৭৪
هَمَّكَ، وَلَتَمُرَّنَّ غَدًا فِي هَذَا الْمَوْضِعِ وَاللِّوَاءُ بَيْنَ يَدَيْكَ، فَإِنْ كَانَ مَا قُلْتُ حَقًّا فَلِي عَلَيْكَ خَمْسَةُ آلَافٍ. فَقُلْتُ: نَعَمْ. وَلَوْ قَالَ: خَمْسُونَ أَلْفًا. لَقُلْتُ: نَعَمْ. لِبُعْدِ ذَلِكَ عِنْدِي. قَالَ: وَذَهَبْتُ لِشَأْنِي، وَقَدْ بَقِيَ عَلَيْنَا مِنَ الْحِمْلِ ثَلَاثُمِائَةِ أَلْفٍ، فَوَرَدَ الْخَبَرُ إِلَى الْمَنْصُورِ بِانْتِقَاضِ الْمَوْصِلِ وَانْتِشَارِ الْأَكْرَادِ بِهَا، فَاسْتَشَارَ الْأُمَرَاءَ مَنْ يَصْلُحُ لِلْمَوْصِلِ؟ فَأَشَارَ بَعْضُهُمْ بِخَالِدِ بْنِ بَرْمَكَ، فَقَالَ لَهُ الْمَنْصُورُ: وَيْحَكَ! أَوَيُصْلِحُ لِذَلِكَ بَعْدَمَا فَعَلْنَا بِهِ مَا فَعَلْنَا؟ فَقَالَ: نَعَمْ، وَأَنَا الضَّامِنُ أَنَّهُ يَصْلُحُ لَهَا. فَأَمَرَ بِإِحْضَارِهِ، فَوَلَّاهُ إِيَّاهَا، وَوَضَعَ عَنْهُ بَقِيَّةَ مَا كَانَ عَلَيْهِ، وَعَقَدَ لَهُ اللِّوَاءَ، وَوَلَّى ابْنَهُ يَحْيَى بْنَ خَالِدٍ أَذْرَبِيجَانَ، وَخَرَجَ النَّاسُ فِي خِدْمَتِهِمَا. قَالَ يَحْيَى: فَمَرَرْنَا بِالْجِسْرِ، فَثَارَ إِلَيَّ ذَلِكَ الزَّاجِرُ فَطَالَبَنِي بِمَا وَعَدْتُهُ بِهِ فَأَمَرْتُ لَهُ بِهِ، فَقَبَضَ خَمْسَةَ آلَافٍ.
وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ خَرَجَ الْمَنْصُورُ إِلَى الْحَجِّ، فَسَاقَ الْهَدْيَ مَعَهُ، فَلَمَّا جَاوَزَ الْكُوفَةَ بِمَرَاحِلَ أَخَذَهُ وَجَعُهُ الَّذِي مَاتَ فِيهِ، وَكَانَ عِنْدَهُ سُوءُ مِزَاجٍ، فَاشْتَدَّ عَلَيْهِ مِنْ شِدَّةِ الْحَرِّ وَرُكُوبِهِ فِي الْهَوَاجِرِ، وَأَخَذَهُ إِسْهَالٌ وَأَفْرَطَ بِهِ، فَقَوِيَ مَرَضُهُ، وَدَخَلَ مَكَّةَ، فَتُوُفِّيَ بِهَا لَيْلَةَ السَّبْتِ لِسِتٍّ مَضَيْنَ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ، وَصُلِّيَ عَلَيْهِ، وَدُفِنَ بِكَدَاءٍ عِنْدَ ثَنِيَّةِ الْمُعَلَّى الَّتِي بِأَعْلَى مَكَّةَ، وَكَانَ عُمْرُهُ يَوْمَئِذٍ ثَلَاثًا - وَقِيلَ: أَرْبَعًا. وَقِيلَ: خَمْسًا - وَسِتِّينَ سَنَةً. وَقِيلَ: إِنَّهُ بَلَغَ ثَمَانِيًا وَسِتِّينَ سَنَةً. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ كَتَمَ الرَّبِيعُ مَوْتَهُ حَتَّى أَخَذَ الْبَيْعَةَ لِلْمَهْدِيِّ، مِنَ الْقُوَّادِ وَرُءُوسِ بَنِي هَاشِمٍ، ثُمَّ دُفِنَ. وَكَانَ الَّذِي صَلَّى عَلَيْهِ إِبْرَاهِيمُ بْنُ يَحْيَى بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ، وَهُوَ الَّذِي أَقَامَ لِلنَّاسِ الْحَجَّ فِي هَذِهِ السَّنَةِ.
পৃষ্ঠা - ৮০৭৫
তুমি চিম্ভগ্রস্ত, আল্লাহ তোমার চিন্তা দুর করে দেবেন ৷ আগামী দিন তুমি এ জায়গা দিয়ে
অতিক্রম করে যাবে আর তোমার সাথে থাকবে পতাকা ৷ আমি তোমাকে য় বললম যদি
সত্য হয়, তাহলে তু আমাকে পচ হজর দিরহম দেবে,৩ তাই না ? আ মি বললাম, হী, সে যদি
বলত পঞ্চাশ হাজার তাহলে আমি হী বলতম, অবশ্য এট দেয় আমার পক্ষে অসম্ভব ছিল
তারপর আমি আমার কাজে চলে গেলাম ৷ আর আমাদের দায়িত্বে ছিল তিন লক্ষ দিবহম ৷
তারপর মনসুবের কাছে মওসিলের বিদ্রোহের ও কুর্দীদের বিভিন্ন দলে বিভক্ত হওয়ার সংবাদ
পৌছল ৷ মনসুর তখন আমিরদের সাথে পরামর্শ করলেন যে, মওসিলের বিদ্রোহ দমন করার
উপযুক্ত ব্যক্তি কে ? তাদের কেউ বললেন, খলিদ ইবন বরমক ৷ মনসুর তাকে বললেন, তার
সাথে আমাদের এরুপ আচরণ করার পর কি সে এ কাজে নিজেকে উত্তমরুপে নিয়োগ করবে ?
ঐ ব্যক্তি বললেন, হী, আমি এটার দ য়িতৃ নিচ্ছি ৷ তিনিই এ কাজের উপযুক্ত ৷ মনসুর তখন
তাকে হযির হতে ৩নির্দেশ দিলেন ৷ এরপর তিনি৩ কে সেখনের জন্য নিয়ে গপত্র দিলেন ৷ আর
তার বাকী জরিমানা মওকুফ করে দিলেন এবং তার জন্য ঝণ্ড বেধে দিলেন ৷ তার পুত্র
ইয়হ্ইয়কে আযরবায়যনের নিয়েগপত্র প্রদান করলেন ৷৩ তাদের দুজনের খিদমতে লোকজন
বেরিয়ে আসলেন ৷ ইয়হ্ইয় বলেন, আমি ঐ সেতুর কাছ দিয়ে গমন করছিলম ৷ ঐ ধমক
প্রদনক রী আমাকে ধাওয় করল এবং আমি তাকে য দেবার অঙ্গীকার করেছিলাম সে৩ ত দায়ী
করল ৷ আমি৩ কে পচ হাজার দিরহম প্রদান করলাম ৷
এ বছর ম নসুর হভ্রুজ্জর জন্য রওনা হন ৷ নিজের সাথে কুরবনীর আনোয়ার নিয়ে যান ৷ যখন
তিনি কুফ অতিক্রম করে কয়েক মনযিল এগিয়ে যান তখন তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেই
অসুস্থতার তিনি মৃত্যুবরণ করেন ৷ তার শরীরের অবস্থা, খারাপ হয়ে যায় এবং প্রচণ্ড নরম ও প্রচণ্ড
গরমে ভ্রমণের কারণে অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে ৷ তার দাস্তশুরু হয় ও ত প্রকট আকার
ধারণ করে ৷ এভাবে তার অসুস্থতা বৃদ্ধি পেতে থাকে ৷ মক্কা প্রবেশ করার পর যুলহজ্জা মাসের
ছয় তারিখ শনিবার রাতে সেখানে তিনি ইনতিকল করেন ৷ তার সলাতে জানায় আদায় কর হয়
এবং মক্কার উচু ভুমিতে অবস্থিত ববুল মুআল্লার নিকটের উচু ভুমিতে তাকে দাফন কর হয়
মৃত্যুর দিন তার বয়স হয়েছিল তেষট্টি বছর ৷ আবার কেউ কেউ বলেন, তিনি আটষট্টি বছর বয়স
পেয়েছিলেন ৷ অল্লহ্ অধিক পরিজ্ঞত দরোয়ন রবী তার মৃত্যুকে গোপন রেখেছিলেন যতক্ষণ
ন মহদীর জন্য বিভিন্ন বাহিনীর সেনাপতি ও বনুহশিমের সর্দরদের তরফ থেকে বয়আত গ্রহণ
কর হয় ৷ এরপর তাকে দাফন কর হয় ৷ তার সলতে জানায় যিনি পড়িয়েছিলেন তিনি ছিলেন
ইবরাহীম ইবন ইয়হ্ইয় ইবন মুহাম্মাদ ইবন আলী আবার তিনিই এ বছর লেকজনকে নিয়ে
হজ্জ আদায় করেন
মানসুরেব জীবন কাহিনী
তিনি হলেন আবু জাফর আবদুল্লাহ ইবন মুহাম্মাদ ইবন “আলী ইবন আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস
ইবন আবদুল মুত্তা লিব ইবন হশি ম আল-ম নসুর ৷৩ তিনি তা র ভাই আবুল আব্বাস অস-সফ্ফাহ
থেকে বয়সে বড় ছিলেন ৷ তার ম ছিলেন উম্মু ওয়া লাদ ৷ ১ তার ন ম ছিল সালাম
১ উম্মু ওয়লদণ্ সেই দাসী যে মালিকের ঔরসে সন্তান জন্ম দিয়েছে ৷
[تَرْجَمَةُ أَبِي جَعْفَرٍ الْمَنْصُورِ]
وَهَذِهِ تَرْجَمَةُ أَبِي جَعْفَرٍ الْمَنْصُورِ
هُوَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ بْنِ هَاشِمٍ، أَبُو جَعْفَرٍ الْمَنْصُورُ. وَكَانَ أَكْبَرَ مِنْ أَخِيهِ أَبِي الْعَبَّاسِ السَّفَّاحِ، وَأُمُّهُ أُمُّ وَلَدٍ، اسْمُهَا سَلَّامَةُ.
رَوَى عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «كَانَ يَتَخَتَّمُ فِي يَمِينِهِ» . أَوْرَدَهُ الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ مِنْ طَرِيقِ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ السُّلَمِيِّ عَنِ الْمَأْمُونِ، عَنِ الرَّشِيدِ، عَنِ الْمَهْدِيِّ، عَنْ أَبِيهِ الْمَنْصُورِ بِهِ.
بُويِعَ لَهُ بِالْخِلَافَةِ بَعْدَ أَخِيهِ فِي ذِي الْحِجَّةِ، سَنَةَ سِتٍّ وَثَلَاثِينَ وَمِائَةٍ، وَعُمُرُهُ يَوْمَئِذٍ إِحْدَى وَأَرْبَعُونَ سَنَةً; لِأَنَّهُ وُلِدَ فِي سَنَةِ خَمْسٍ وَتِسْعِينَ عَلَى الْمَشْهُورِ فِي صَفَرٍ مِنْهَا بِالْحُمَيْمَةِ، وَكَانَتْ خِلَافَتُهُ ثِنْتَيْنِ وَعِشْرِينَ سَنَةً إِلَّا أَيَّامًا.
وَكَانَ أَسْمَرَ اللَّوْنِ، مَوْفُورَ اللِّمَّةِ، خَفِيفَ اللِّحْيَةِ، رَحْبَ الْجَبْهَةِ، أَقْنَى الْأَنْفِ بَيِّنَ الْقَنَا، أَعْيَنَ كَأَنَّ عَيْنَيْهِ لِسَانَانِ نَاطِقَانِ، تُخَالِطُهُ أُبَّهَةُ الْمُلْكِ، وَتَقْبَلُهُ الْقُلُوبُ وَتَتْبَعُهُ الْعُيُونُ يُعْرَفُ الشَّرَفُ فِي تَوَاضُعِهِ، وَالْعِتْقُ فِي صُورَتِهِ، وَاللُّبُّ فِي مِشْيَتِهِ. هَكَذَا وَصَفَهُ بَعْضُ مَنْ رَآهُ.
পৃষ্ঠা - ৮০৭৬
তিনি৩ তার দাদা সুত্রে আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (না) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন
রাসুলুল্লাহ্ (সা)ডান হাতে আ ষ্টি পরতেন ৷ এ হাদীসটি ইবন আসাকির মুহ ৷ম্মাদ ইবন ইব্রাহীম
আস-সালামী (র) থেকে বর্ণনা করেন ৷ যিনি আল-মামুন থেকে, তিনি আ ব-রশীদ থেকে, তিনি
আল-মাহদী থেকে, তিনি তার পিতা আল-মানসুর থেকে বর্ণনা করেন ৷৩ তার ভাইয়ের পর এক শ
ছত্রিশ হিজরীর যুলহাজ্জা মাসে তার বায়আত গ্রহণ করা হয় ৷ তখন৩ ৷ র বয়স ছিল একচল্লিশ
বছর ৷ কেননা প্রসিদ্ধ বর্ণনা অনুযায়ী তিনি বালকা শহরের আল-হামীমা নামক স্থানে পচানব্বই
হিজরীর সফর মাসে জন্মগ্রহণ করেন ৷ আর তার খিলাফতের সময়কাল ছিল কয়েকদিন কম বাইশ
বছর ৷ তিনি ছিলেন তামাটে, তার চুল ছিল কানের নীচ পর্যন্ত লম্বা, দাড়ি ছিল পাতলা, কপাল ছিল
প্রশস্ত, নাক ছিল খাড়া, তার চোখ দু’টি ছিল যেন বাকশক্তি সম্পন্নদ দু’টি জিহ্বা, রাজ্য শাসনের
শান-শওকত যেন তার মধ্যে মিশে ছিল ৷ জনগণের অন্তর যেন তাকে গ্রহণ ৷করেছিল,৩ তাদের দৃষ্টি
যেন তা ব দিকে ছিল নিবদ্ধ ৷৩ তার অবতরণের বিভিন্ন মহলে তার মান মর্যাদ দাছিল যেন সুপরিচিত;
তার চেহারা সুরতে ছিল কঠে৷ ৷রতর, তার চ ৷লচলন ছিল সিংহ ভাবাপন্ন; য ৷রা তাকে দেখেছিলেন
তাদের মধ্য থেকে কেউ কেউ উপরোক্ত বর্ণনা পেশ করেছেন ৷
আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা) থেকে বিশুদ্ধরুপে বর্ণিত রয়েছে যে, তিনি বলেন, আমাদের
থেকেই আস-সাফ্ফাহ ন্ণ্ ও আ ল-মানসুর আবির্ভুত হবে ৷ অন্য এক বর্ণনায় রয়েছে, যতক্ষণ না
আমরা তাদেরকে ঈস৷ ইবন মারয়ামের কাছে সোপর্দ করব অর্থাৎ তারা ঐরুপ ৷মর্যাদায় ভুষিত
হবে ৷ মারফু হিসেবে বর্ণিত রয়েছে যে, এ বর্ণনাটি ঠিক নয় এবং এটা সম্বন্ধে৩ তিনি অবহিত নন ৷
আল খাতীব (র) উল্লেখ করেন৩ তার মাতা সালামা বলেছেন, যখন আমি তাকে পােট৷ ধ৷ রণ ৷করি
একদিন দেখি যেন একটি গর্জ্যাশীল সিংহ আমার ভিতর থেকে বের হয়ে এসেছে,৩ তার সামনে
অবস্থানরত প্রতিটি সিংহই তার সামনে এল এবং তাকে সিজদা করল এবং এ থেকে একটিও বাদ
রইল না ৷ মানসুর বাল্যকালে একটি বিস্ময়কার স্বপ্ন দেখেন ৷ তিনি বলতেন, এটা স্বর্ণাক্ষরে লিখে
রাখা উচিত এবং শিশুদের গলায় লটকিয়ে রাখা উচিত ৷ তিনি বলেন, আমি দেখলাম, আমি যেন
মসজিদুল হারামে আছি আর রাসুলুল্লাহ্ (না) রয়েছেন কাবা শরীফে ৷ জনগণ সমবেত হয়েছেন
কাবা শরীফের চারপাশে ৷ একজন ঘোষক বের হয়ে আসলেন এবং বললেন, আবদুল্লাহ্ কোথায়?
আমার ভাই আসশ্সাফ্ফাহ লোকজনের কীধ ডিঙ্গিয়ে সামনের দিকে গেলেন এবং বাবা শরীফের
দরজায় পৌছেনঃ ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না) তার হাত ধ্রলেন এবং তাকে কাব৷ ঘরে প্রবেশ করালেন ৷
আর তার সাথে ছিল একটি কালো ঝাণ্ডা ৷ এরপর পুনরায় ঘোষণা করা হল আবদুল্লাহ্ কোথায় ?
তখন আমি দ৷ ৷ড়ালাম এবং আমার চ ৷চ৷ আবদুল্লাহ ইবন আলীও র্দাড়ালেন ৷ আমরা দৃ’জনে অগ্রসর
হওয়ার ব্যাপারে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হলাম ৷ আমি৩ার পুর্বেই বা বা শরীফের দরজায় পৌছে
গেলাম ৷ এরপর আমি কা ব৷ শরীফের ভেতরে প্রবেশ করলাম ৷ সেখানে আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)
আবু বকর (রা), উমর (রা) ও বিল্লা ৷ল (রা) কে দেখতে পেলাম ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমার জন্য
ঝাণ্ডা বাধ্লেন এবং আমাকে তা ৷র উম্মত সম্পর্কে ওসিয়ত করলেন ৷ আমাকে এমন একটি পাগড়ি
পবিয়ে দিলেন যার প্যাচ ছিল তেইশটি ৷ তিনি বললেন, হে খলীফাদের পিতা ৷ এ পাগড়িটি
কিয়ামত পর্যন্ত তোমার বংশধরদের জন্য গ্রহণ করে৷ ৷
বনু উমাইয়ার যুগে মানসুর একবার কারাভােগ করেন ৷ কারাগারে তার সাথে জ্যোতির্বিদ
وَقَدْ صَحَّ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّهُ قَالَ: مِنَّا السَّفَّاحُ وَالْمَنْصُورُ وَالْمَهْدِيُّ. وَفِي رِوَايَةٍ: حَتَّى يُسَلِّمَهَا إِلَى عِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ، عَلَيْهِ السَّلَامُ. وَقَدْ رُوِيَ مَرْفُوعًا، وَلَا يَصِحُّ رَفْعُهُ.
وَذَكَرَ الْخَطِيبُ الْبَغْدَادِيُّ أَنَّ أُمَّهُ سَلَّامَةَ قَالَتْ: رَأَيْتُ حِينَ حَمَلْتُ بِهِ كَأَنَّهُ خَرَجَ مِنِّي أَسَدٌ، فَزَأَرَ وَأَقْعَى عَلَى يَدَيْهِ، فَمَا بَقِيَ أَسَدٌ حَتَّى جَاءَ فَسَجَدَ لَهُ.
وَقَدْ رَأَى الْمَنْصُورُ فِي صِغَرِهِ مَنَامًا غَرِيبًا، فَكَانَ يَقُولُ: يَنْبَغِي أَنْ يُكْتَبَ فِي أَلْوَاحِ الذَّهَبِ، وَيُعَلَّقَ فِي أَعْنَاقِ الصِّبْيَانِ. قَالَ: رَأَيْتُ كَأَنِّي فِي الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ، وَإِذَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْكَعْبَةِ، وَالنَّاسُ مُجْتَمِعُونَ حَوْلَهَا، فَخَرَجَ مِنْ عِنْدِهِ مُنَادٍ فَنَادَى: أَيْنَ عَبْدُ اللَّهِ؟ فَقَامَ أَخِي السَّفَّاحُ يَتَخَطَّى الرِّجَالَ حَتَّى جَاءَ بَابَ الْكَعْبَةِ، فَأَخَذَ بِيَدِهِ، فَأَدْخَلَهُ إِيَّاهَا، فَمَا لَبِثَ أَنْ خَرَجَ وَمَعَهُ لِوَاءٌ أَسْوَدُ. ثُمَّ نُودِيَ: أَيْنَ عَبْدُ اللَّهِ؟ فَقُمْتُ أَنَا وَعَمِّي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَلِيٍّ نَسْتَبِقُ، فَسَبَقْتُهُ إِلَى بَابِ الْكَعْبَةِ، فَدَخَلْتُهَا، فَإِذَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَبِلَالٌ، فَعَقَدَ لِي لِوَاءً، وَأَوْصَانِي بِأُمَّتِهِ، وَعَمَّمَنِي عِمَامَةً كَوَّرَهَا ثَلَاثَةً وَعِشْرِينَ كَوْرًا، وَقَالَ: خُذْهَا إِلَيْكَ أَبَا الْخُلَفَاءِ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ.
وَقَدِ اتَّفَقَ سِجْنُ الْمَنْصُورِ فِي أَيَّامِ بَنِي أُمَيَّةَ، فَاجْتَمَعَ بِهِ فِي السِّجْنِ نُوبَخْتُ
পৃষ্ঠা - ৮০৭৭
নীবখত সাক্ষাৎ করে এবং তার মধ্যে নেতৃত্বের চিহ্ন দেখতে পায় ৷ সে মানসুরকে জিজ্ঞাসা
করল, আপনি কে ? তিনি বললেন, আল আব্বাসের বংশধর ৷ যখন সে তার বংশধারা ও উপনাম
সম্পর্কে অবগত হল তখন সে বলল, আপনিই খলীফা হবেন যিনি পৃথিবী শাসন করবেন ৷ তিনি
তাকে বললেন, দুর, তুমি কি বলছ ? সে বলল, আমি আপনার জন্য যা বলছি তাই হবে ৷ এ ছোট
কাগজের টুকরাটিতে লিখে দিন যখন আপনি শাসক হবেন তখন আপনি আমাকে কী দেবেন ৷
মানসুর তার জন্য লিখে দিলেন ৷ যখন মানসুর শাসক হলেন তখনতার ৷প্রতি সম্ম৷ ন প্রদর্শন করেন
এবং তাকে প্রতিশ্রুত অর্থ প্রদান করেন ৷ মানসুরের হাতে নীবখত ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ পুর্বে
তিনি ছিলেন মাজুসী (অগ্নিপুজক) ৷ এরপর তিনি মানসুরের বিশিষ্ট সাথীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে
গেলেন ৷ একশ চল্লিশ হিজরীতে লোকজনকে নিয়ে মানসুর হজ্জ পালন করেন ৷ তিনি হীরা থেকে
ইহ্রাম বেধে ছিলেন ৷ তিনি চুয়াল্লিশ হিজরী, সাতচল্লিশ হিজরী , বায়ান্ন হিজরী, এরপর সেই
হিজরীতে যাতে তিনি ইনতিকাল করেন, হজ্জ পালন করেন ৷ তিনি বাগদাদ, আর রুসাফ৷ , আর
রাফিকা আল-খুলদ প্রাসাদর্সমুহ তৈরি করেন ৷
দারোয়ান রাবী ইবন ইউনুস বলেন, আমি মানসুরকে বলতে শুনেছি : খলীফ৷ ছিলেন চারজনঃ
আবু বকর (রা), উমর (রা) , উছমান (রা) ও আলী (রা), আর বাদশাহ হলাম চারজন : মুআবিয়া
(রা) , আবদুল মালিক ইবন মারওয়ান, হিশাম ইবন আবদুল মালিক এবং আমি ৷ মালিক (র)
বলেন, একদিন আমাকে মানসুর বললেন, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর পরে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি কে ?
আমি বললাম : আবু বকর (রা) ও উমর (বা), তিনি বললেন, আপনি সঠিক উত্তর দিয়েছেন ;
আপনাদের আমীরুল মু’মিনীনেরও একইরুপ অভিমত ৷
ইসমাঈল আলবাহরী (র) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, একবার আরাফ৷ র দিন আরাফার
মিম্বরের উপর মানসুরকে বলতে শুনেছি০ ং হে মানবজ নি আমি আল্লাহর যঘীনে আল্লাহর
বাদশ ৷৷হ ৷ আল্লাহ প্রদত্ত ক্ষমতা ও হিদায়াতে তর মাধ্যমে আমি তোমাদের শ ৷৷সন করছি, আমি তার
ভও৷ ৷রের রক্ষক; তার ইচ্ছা ও হুকুম মুতা ৷বিক বণ্টন করছি ও লোকজনকে দা ন করছি ৷ এ মানের
জন্য আল্লা হ তা আল৷ আমাকে তালা স্বরুপ সৃষ্টি করেছেন ৷ যদি তিনিও তামাদের উপজীবিকা বণ্টন
করার জন্য ও তােমাদেরকে দান খয়রাত করার লক্ষে তা আমার জন্য খুলে দেয়৷ র ইচ্ছা করেন
তাহলে তিনি তা খুলে দেন ৷ আ র যখন তিনি তা বন্ধ করে দিতে চান তখন তা আমার কাছে বন্ধ
করে দেন ৷ সুতরাং হে মানবগােষ্ঠি তোমরা অ ৷ল্লাহ্র দিকে আকৃষ্ট হও এবং এ পবিত্র দিনে
আল্লাহর কাছে প্রার্থনা কর ৷ এ সম্পর্কে তিনি তােমাদেরকে তার কিতাবের মাধ্যমে অবগত করে
দিয়েছেন ৷ আল্লাহ তাআল৷ বলেন :
অর্থাৎ আজ তে তামাদের জন্য তোমাদের দীন পুর্ণাৎ গ করলাম ও তোমাদের প্রতি আমার
অনুগ্নহ সম্পুর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দীন মনাে ৷নীত করলাম (সুরা মায়িদ৷ ং ৩) ৷ ’
আল্লাহ যেন আমাকে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার ও উত্তম আচরণ করার তাওফীক দেন ৷ আমার
অম্ভরে তোমাদের প্রতি ইহসান ও সদাচরণের অভ্যাস সৃষ্টি করে দেন ৷ তোমাদের মধ্যে
ইনসাফের ভিত্তিতে সরকারী সম্পদ সুচারুরুপে বন্টন করার এবং তােমাদেরকে দান হিসেবে
الْمُنَجِّمُ، وَتَوَسَّمَ فِيهِ الرِّيَاسَةَ، فَقَالَ لَهُ: مِمَّنْ تَكُونُ؟ فَلَمَّا عَرَفَ نَسَبَهُ وَكُنْيَتَهُ قَالَ: أَنْتَ الْخَلِيفَةُ الَّذِي يَلِي الْأَرْضَ. فَقَالَ لَهُ: وَيْحَكَ! مَاذَا تَقُولُ؟ فَقَالَ: هُوَ مَا أَقُولُ لَكَ، فَضَعْ لِي خَطَّكَ فِي هَذِهِ الرُّقْعَةِ أَنْ تُعْطِيَنِي شَيْئًا إِذَا وَلِيتَ. فَكَتَبَ لَهُ، فَلَمَّا وَلِيَ أَكْرَمَهُ الْمَنْصُورُ، وَأَعْطَاهُ وَأَسْلَمَ نُوبَخْتُ عَلَى يَدَيْهِ، وَكَانَ قَبْلَ ذَلِكَ مَجُوسِيًّا، ثُمَّ كَانَ مِنْ أَخَصِّ أَصْحَابِ الْمَنْصُورِ عِنْدَهُ.
وَقَدْ حَجَّ الْمَنْصُورُ بِالنَّاسِ سَنَةَ أَرْبَعِينَ وَمِائَةٍ، أَحْرَمَ مِنَ الْحِيرَةِ، وَفِي سَنَةِ أَرْبَعٍ وَأَرْبَعِينَ، وَفِي سَنَةِ سَبْعٍ وَأَرْبَعِينَ، وَفِي سَنَةِ ثِنْتَيْنِ وَخَمْسِينَ، ثُمَّ فِي هَذِهِ السَّنَةِ الَّتِي كَانَتْ فِيهَا وَفَاتُهُ. وَبَنَى مَدِينَةَ السَّلَامِ بَغْدَادَ، وَالرَّافِقَةَ، وَقَصْرَ الْخُلْدِ.
قَالَ الرَّبِيعُ بْنُ يُونُسَ الْحَاجِبُ: سَمِعْتُ الْمَنْصُورَ يَقُولُ: الْخُلَفَاءُ أَرْبَعَةٌ; أَبُو بَكْرٍ، وَعُمَرُ، وَعُثْمَانُ، وَعَلِيٌّ، وَالْمُلُوكُ أَرْبَعَةٌ; مُعَاوِيَةُ، وَعَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ مَرْوَانَ، وَهِشَامُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ، وَأَنَا.
وَقَالَ مَالِكٌ: قَالَ لِي الْمَنْصُورُ: مَنْ أَفْضَلُ النَّاسِ بَعْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ فَقُلْتُ: أَبُو بَكْرٍ، وَعُمَرُ. فَقَالَ: أَصَبْتَ، وَذَلِكَ رَأْيُ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ.
وَعَنْ إِسْمَاعِيلَ الْفِهْرِيِّ قَالَ: سَمِعْتُ الْمَنْصُورَ عَلَى مِنْبَرِ عَرَفَةَ يَوْمَ عَرَفَةَ يَقُولُ: أَيُّهَا النَّاسُ، إِنَّمَا أَنَا سُلْطَانُ اللَّهِ فِي أَرْضِهِ، أَسُوسُكُمْ بِتَوْفِيقِهِ وَرُشْدِهِ، وَخَازِنُهُ عَلَى مَالِهِ، أُقَسِّمُهُ بِإِرَادَتِهِ، وَأُعْطِيهِ بِإِذْنِهِ، وَقَدْ جَعَلَنِي اللَّهُ عَلَيْهِ
পৃষ্ঠা - ৮০৭৮
প্রদ ৷ন করা র ৷শক্তি দেন ৷৩ তিনিই সর্বশ্রে৷ তা এবং আহ্বানে সাড়া৷প্রদানক ৷রী ৷
একদিন তিনি খু৩ তবা দিচ্ছিলেন ৷ তখন এক ব্যক্তি তার প্রতিবাদ করল যে আল্লাহ তাআলার
ৎসা করতে লাগল এবং বলল, হে আমীরুল মু’মিনীন ! তুমি যাকে স্মরণ করার তাকে স্মরণ
কর ৷ যেটা তুমি গ্রহণ করছ কিংবা বর্জন করছ তার সম্বন্ধে আল্লাহ্কে ভয় কর ৷ লোকটির কথা
শেষ হওয়া পর্যন্ত মানসুর চুপ করে রইলেন ৷ এরপর বললেন, আমি আল্লাহর কাছে এমন ব্যক্তির
মত হওয়া থেকে আশ্রয় চাই যার সম্বন্ধে আল্লাহ তাআলা বলেন :
অর্থাৎ যখন তাকে বলা হয় তুমি আল্লাহ্কে ভয় কর খনত তার আত্মাতিমান তাকে
পাপানুষ্ঠানে লিপ্ত করে (সুরা বাক্য বা : ২০৬) ৷ ’কিৎব৷ আধিপত্য বিস্তারক৷ রী ও ণ্গুনাহপার হওয়া
থেকে আশ্রয় চাই ৷ হে মানব জাতি নিশ্চয়ই ওয়ায-নসীহত আমাদের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে এবং
আমাদের থেকে নসীহত উদ্দাত হয়েছে ৷৩ তারপর তিনি লোকটিকে বললেনষ্ক “আমি৷ ধ ৷রণ৷ ৷করছি
না যে, তৃমিণ্ আমার এ বক্তব্যে আল্লাহ্র সন্তুষ্টি লা ও করা র মনন্থ করেছ বরৎ তুমি ইচ্ছা করেছ
যে, তোমার জন্য আমীরুল ঘু’মিনীন নসীহত বন্ধ করে দিয়েছেন ৷ হে মানব জাতি ! এ আচরণটা
যেন তােমাদেরকে প্রভাবিত না করে তাহলে তোমরাও তার মত করতে থাকবে ৷ এরপর তার
সম্বন্ধে নির্দেশ জারি করা হল ও তাকে গ্রেফতার করা হল ৷ পুনরায় মানসুর খুতবা আ রম্ভ করেন ৷
তারপর তিনি খুতবা সমাপ্ত করেন ৷ এরপর যারা তার কাছে ছিলেন তাদের উদ্দেশ্যে তিনি
বললেন, তার কাছে দুনিয়া পেশ কর, যদি যে তা গ্রন্থ ছুণ করে আমাকে জা ৷নাবে ৷ আ র ৷যদি গ্রহণ না
করে তাও আমাকে জানাবে ৷ এরপর লো ৷কটি সম্পদ গ্রহণ করল এবং দুনিয়ার প্রতি ৩ঝুকে পড়ল ৷
সে তার কর্মের প্রতিফল প্রা ৷প্তির আশা করতে লাগল এবং যুলুমেরও আশ্রয় নিল ৷৩ তার এ দৃষ্টিভঙ্গি
তাকে খলীফ৷ ৷র কাছে উত্তম পােশাক আশাক, রুচি সম্মত বেশভুষা এবং পার্থিব জ৷ কজমক পুর্ণ
অবস্থার উপস্থাপন করল ৷ খলীফ৷ তয়ন তাকে বললেন, তোমার দৃর্ভাগ৷ ! যদি তুমি লোকজনের
কাছে যা কিছু ব্যক্ত করেছ এ ব্যাপারে তুমি সঠিক হতে এবং তার দ্বারা আল্লাহ্র সন্তুষ্টি লাভের
ইচ্ছা ৷করতে তাহলে আমি যা কিছু দেখছি তার কিছুই তুমি গ্রহণ করতে না ৷ fi§ তুমি ইচ্ছা
করেছ যাতে বলা হতে থাকে যে তুমি আমীরুল মু’মিনীনকে নসীহত করেছ, তু তার বিরুদ্ধে
আন্দোলন করেছ ৷ এরপর তার ব্যাপারে নির্দেশ জারি করা হল এবং তাকে হত্যা করা হল ৷
মানসুর তার পুত্র মাহদীকে বললেন, খলীফার তাকওয়া ব্যতীত অন্য কিছুতে মানায় না, বাদশাহর
আনুগত্য ছাড়া অন্য কিছুতে পেট ভরে না, প্রজার ইনসাফ ব্যতীত অন্য কিছুতে পােষায় না, মানব
জাতির মধ্যে ক্ষমা করার বেশী উপযুক্ত হচ্ছেন তিনি যিনি শাস্তি প্রদানের ব্যাপারে অধিক
শক্তিশালী ৷ আবার মানব জাতির মধ্যে বিবেক-বৃদ্ধির দিক থেকে হীনতর হচ্ছে ঐ ব্যক্তি যে তার
অধীনন্থদের প্রতি ৩যুলুম করে ৷৩ তিনি আরো বললেন, হে আমার বৎস ! কৃতজ্ঞতা র মাধ্যমে কল্যাণ
সাধন, ক্ষমার মাধ্যমে শক্তি অর্জন, সখ্য৩ ৷র মাধ্যমে আনুগত্য, বিনয়ের মাধ্যমে সাহায্য বৃদ্ধি কর
এবং জনগণের প্ৰতি দয়া কর ৷ তোমার দুনিয়ার অৎ শ ভুলে যেও না এবং আল্লাহর অনৃগ্রহে
তোমার অংশের কথাও ভুলে যেও না ৷
আল-বিদায়৷ ওয়ান নিহায়া ( ১ :ম খণ্ড)-২৮
قُفْلًا، إِذَا شَاءَ أَنْ يَفْتَحَنِي لِإِعْطَائِكُمْ وَقَسْمِ أَرْزَاقِكُمْ فَتَحَنِي، وَإِذَا شَاءَ أَنْ يُقْفِلَنِي عَلَيْهِ أَقْفَلَنِي، فَارْغُبُوا إِلَى اللَّهِ أَيُّهَا النَّاسُ، وَسَلُوهُ - فِي هَذَا الْيَوْمِ الشَّرِيفِ الَّذِي وَهَبَ لَكُمْ فِيهِ مِنْ فَضْلِهِ مَا أَعْلَمَكُمْ بِهِ فِي كِتَابِهِ، إِذْ يَقُولُ: {الْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ وَأَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِي وَرَضِيتُ لَكُمُ الْإِسْلَامَ دِينًا} [المائدة: 3] . أَنْ يُوَفِّقَنِي لِلصَّوَابِ، وَيُسَدِّدَنِي لِلرَّشَادِ، وَيُلْهِمَنِي الرَّأْفَةَ بِكُمْ، وَالْإِحْسَانَ إِلَيْكُمْ، وَيَفْتَحَنِي لِإِعْطَائِكُمْ، وَقَسْمِ أَرْزَاقِكُمْ بِالْعَدْلِ عَلَيْكُمْ، فَإِنَّهُ سَمِيعٌ مُجِيبٌ.
وَقَدْ خَطَبَ يَوْمًا، فَاعْتَرَضَهُ رَجُلٌ وَهُوَ يُثْنِي عَلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ، فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، اذْكُرْ مَنْ أَنْتَ ذَاكِرُهُ، وَاتَّقِ اللَّهَ فِيمَا تَأْتِيهِ وَتَذَرُهُ. فَسَكَتَ الْمَنْصُورُ حَتَّى انْتَهَى كَلَامُ الرَّجُلِ، فَقَالَ: أَعُوذُ بِاللَّهِ أَنْ أَكُونَ مِمَّنْ قَالَ اللَّهُ، عَزَّ وَجَلَّ، فِيهِ: {وَإِذَا قِيلَ لَهُ اتَّقِ اللَّهَ أَخَذَتْهُ الْعِزَّةُ بِالْإِثْمِ} [البقرة: 206] . أَوْ أَنْ أَكُونَ جَبَّارًا عَصِيًّا، أَيُّهَا النَّاسُ، إِنَّ الْمَوْعِظَةَ عَلَيْنَا نَزَلَتْ، وَمِنْ عِنْدِنَا بُيِّنَتْ. ثُمَّ قَالَ لِلرَّجُلِ: مَا أَظُنُّكَ فِي مَقَالَتِكَ هَذِهِ تُرِيدُ وَجْهَ اللَّهِ، وَإِنَّمَا أَرَدْتَ أَنْ يُقَالَ: وَعَظَ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ. أَيُّهَا النَّاسُ، لَا يَغُرَّنَّكُمْ هَذَا فَتَفْعَلُوا كَفِعْلِهِ. ثُمَّ أَمَرَ بِهِ فَاحْتُفِظَ بِهِ، وَعَادَ إِلَى خُطْبَتِهِ فَأَكْمَلَهَا، ثُمَّ قَالَ لِمَنْ هُوَ عِنْدَهُ: اعْرِضْ عَلَيْهِ الدُّنْيَا فَإِنْ قَبِلَهَا فَأَعْلِمْنِي، وَإِنْ رَدَّهَا فَأَعْلِمْنِي. فَمَا زَالَ بِهِ الرَّجُلُ الَّذِي هُوَ عِنْدَهُ حَتَّى أَخَذَ الْمَالَ وَالْجَوَارِيَ، وَوَلَّاهُ الْحِسْبَةَ وَالْمَظَالِمَ، وَأَدْخَلَهُ عَلَى الْخَلِيفَةِ فِي بِزَّةٍ حَسَنَةٍ، وَثِيَابٍ وَشَارَةٍ حَسَنَةٍ، فَقَالَ لَهُ الْخَلِيفَةُ: وَيْحَكَ! إِنَّكَ لَوْ كُنْتَ مُحِقًّا لَمَا قَبِلْتَ شَيْئًا مِمَّا أَرَى، وَلَكِنْ أَرَدْتَ أَنْ يُقَالَ عَنْكَ: إِنَّكَ وَعَظْتَ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، وَخَرَجْتَ عَلَيْهِ.
পৃষ্ঠা - ৮০৭৯
একদিন মানসুরের কাছে ঘুবারক ইবন ফুযালা উপস্থিত হন, এমন সময় মানসুর এক ব্যক্তির
প্রাণহানির আদেশ দেন এবং যে বিছানায় রেখে মানুষ হত্যা করা হয় তা এবং তরবারি হাযির করার
হুকুম দেন ৷ তখন মুবারক তাকে বললেন, আমি হুসায়ন (রা) কে বলতে শুনেছি : রাসুলুল্লাহ্
(যা) বলেছেন, যখন কিয়ামতের দিন উপস্থিত হবে একজন যােষক ঘোষণা দেবেন, আল্লাহর
কাছে যার মজুরী পাওনা রয়েছে সে যেন দাড়ায় তখন যে ব্যক্তি অন্যকে ক্ষমা করে দিতেন তিনিই
দীড়াবেন তখন তাকে ক্ষমা করে দেয়ার ঘোষণা দেয়া হবে ৷ এরপর তার সাথীদের কাছে তার বড়
বড় গুনাহের তালিকা পেশ করা হবে এবং তিনি কি কি করেছিলেন সব কিছুই পেশ করা হবে ৷
আল-আসমাঈ (র) বলেন, মানসুরের কাছে এক ব্যক্তিকে শাস্তি দেয়ার জন্য আনা হল
লোকটি বলল, হে আমীরুল মু’মিনীন ৷ প্রতিশোধ নেয়াটা ইনসাফ কিভু ক্ষমা করে দেয়ার্টা
অনুগ্রহ ৷ আমীরুল মু’মিনীন আল্লাহর শরণ নিলেন দুনিয়া ও আখিরাতের অংশ দুয়ের নিকৃষ্টতর
অংশ থেকে, দু’টি স্তরের উচ্চতরটি থেকে নয় ৷ বর্ণনাকারী বলেন, এরপর মানসুর তাকে ক্ষমা
করে দেন ৷
আল-আনমাঈ (র) বলেন, মানসুর একদিন সিরিয়ার এক ব্যক্তিকে বললেন, হে আমীরুল
মু’মিনীন ! তুমি আল্লাহর প্রশংসা কর যিনি আমাদের শাসনের মাধ্যমে তোমাদের থেকে প্লেগ
রোগের প্রাদৃর্ডাব দুর করেছেন ৷ মানসুরকে ঐ মরুবাসী বলল, নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা আমাদের
মাঝে খারাপ খেজুর ও মাপেকম এ দু’টি ত্রুটি একত্রে দেবেন না অর্থাৎ দু’টি খারাপ জিনিস
দেবেন না যেমন তোমার শাসন ও প্লেগ রোগ ৷ এ কথা শুনে মানসুর ধৈর্য ধরেন ৷ এ ধরনের তার
ধৈর্য ও ক্ষমার বহু ঘটনা দেখতে পাওয়া যায় ৷
কোন এক পরহিযপার ব্যক্তি একদিন মনসুরের কাছে প্রবেশ করলেন এবং বললেন, নিশ্চয়ই
আল্লাহ তাআলা তোমাকে পরিপুর্ণভাবে দুনিয়াটা দিয়েছেন ৷ কাজেই তুমি কিছু অংশ দিয়ে নিজের
আআকে খরিদ করে নাও ৷ তুমি কবরে রাত যাপনকে ভয় করো ৷ কেননা এর পুর্বে কোন দিন
তুমি করবে রাত যাপন করনি ৷ তুমি এমন রাতকে স্মরণ কর যে রাত এমন দিনের সংবাদ দেয়
যার পরে আর কোন রাত হবে না ৷ বর্ণনাকারী বলেন, মানসুর তার কথার মুল্যায়ন করেন এবং
তাকে প্রচুর সম্পদ প্রদান করার জন্য হুকুম দিলেন ৷ তখন তিনি বললেন, যদি আমি তোমার
সস্পদেরই মুথাপেক্ষী হতাম তাহলে আমি তোমাকে নসীহত করতাম না ৷
একদিন আমর ইবন উবায়দ আল-কাদরী (র) মানসুরের কাছে প্রবেশ করেন ৷ তিনি তার
সম্মান করেন, সমাদর করেন, তাকে নিকটে বসান এবং তার পরিবার-পরিজনের কৃশল সংবাদ
নেন ৷ এরপর র্তাকে বললেন, আমাকে কিছু নসীহত করুন ৷ তিনি তার কাছে সুরায়ে ফজরের
কিছু আয়াত তিলাওয়াত করেন ৷ যখন তিনি তিলাওয়াত করলেন ও ৷
অর্থাৎ তােমার প্রতিপালক অবশ্যই সতর্ক দৃষ্টি রাখেন (সুরা ফাজর : ১ : ) ৷ ’ এ আয়াত শুনৈ
মানসুর এত অধিক কান্নাকাঢি করেন যে মনে হলো তিনি তাকে বললেন, আরো বলুন ৷ তখন
তিনি বললেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ তাঅড়ালা আপনাকে পরিপুর্ণডাবে দুনিয়াটা দিয়েছেন ৷ কাজেই
আপনি কিছু অংশ দিয়ে নিজের আত্মড়াকে খরিদ করে নিন ৷ এ শাসন ক্ষমতার মালিক ছিলেন
আপনার পুর্ববর্তী লোকজন ৷ এরপর আপনি মলিক হন ৷ এরপর এটার মালিক হবেন যারা আপনার
পরবর্তীতে আসবেন ৷ আপনি এ রাতটিকে স্মরণ করুন যা আপনার কাছে কিয়ামতের দিনকে
ثُمَّ أَمَرَ بِهِ فَضُرِبَتْ عُنُقُهُ.
وَقَدْ قَالَ الْمَنْصُورُ لِابْنِهِ الْمَهْدِيِّ: إِنَّ الْخَلِيفَةَ لَا يُصْلِحُهُ إِلَّا التَّقْوَى، وَالسُّلْطَانَ لَا يُصْلِحُهُ إِلَّا الطَّاعَةُ، وَالرَّعِيَّةَ لَا يُصْلِحُهَا إِلَّا الْعَدْلُ، وَأَوْلَى النَّاسِ بِالْعَفْوِ أَقْدَرُهُمْ عَلَى الْعُقُوبَةِ، وَأَنْقَصُ النَّاسِ عَقْلًا مَنْ ظَلَمَ مَنْ هُوَ دُونَهُ.
وَقَالَ أَيْضًا: يَا بُنَيَّ، اسْتَدِمِ النِّعْمَةَ بِالشُّكْرِ، وَالْقُدْرَةَ بِالْعَفْوِ، وَالطَّاعَةَ بِالتَّأْلِيفِ، وَالنَّصْرَ بِالتَّوَاضُعِ وَالرَّحْمَةِ لِلنَّاسِ، وَلَا تَنْسَ نَصِيبَكَ مِنَ الدُّنْيَا وَنَصِيبَكَ مِنْ رَحْمَةِ اللَّهِ.
وَحَضَرَ عِنْدَهُ مُبَارَكُ بْنُ فَضَالَةَ يَوْمًا، وَقَدْ أَمَرَ بِرَجُلٍ أَنْ تُضْرَبَ عُنُقُهُ، وَأَحْضَرَ النِّطْعَ وَالسَّيْفَ، فَقَالَ لَهُ مُبَارَكٌ: سَمِعْتُ الْحَسَنَ يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا كَانَ يَوْمُ الْقِيَامَةِ نَادَى مُنَادٍ: لِيَقُمْ مَنْ أَجْرُهُ عَلَى اللَّهِ. فَلَا يَقُومُ إِلَّا مَنْ عَفَا» . فَأَمَرَ بِالْعَفْوِ عَنْ ذَلِكَ الرَّجُلِ. ثُمَّ أَخَذَ يُعَدِّدُ عَلَى جُلَسَائِهِ عَظِيمَ جَرَائِمِهِ وَمَا كَانَ صَنَعَهُ.
وَقَالَ الْأَصْمَعِيُّ: أُتِيَ الْمَنْصُورُ بِرَجُلٍ لِيُعَاقِبَهُ فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، الِانْتِقَامُ عَدْلٌ، وَالْعَفْوُ فَضْلٌ، وَنُعِيذُ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ بِاللَّهِ أَنْ يَرْضَى لِنَفْسِهِ بِأَوْكَسِ النَّصِيبَيْنِ، دُونَ أَنْ يَبْلُغَ أَرْفَعَ الدَّرَجَتَيْنِ. قَالَ: فَعَفَا عَنْهُ.
পৃষ্ঠা - ৮০৮০
সুস্পষ্ট করে দেবে ৷ এবার মানসুর প্রথমবার থেকে অধিক র্কাদলেন এমনকি তাতে তার চোখের
পাতাগুলো জড়িয়ে গেল ৷ সুলায়মান ইবন মুজালিদ বললেন, আমীরুল ঘু’মিনীনের প্রতি আপনারা
রহম করুন ৷ তখন আমর বললেন, আল্লাহ্ ভীতিৱ কারণে র্কাদা ব্যতীত তঅন্য কিছুই আমীরুল
ঘু ’মি নীনের জন্য সেই ৷ এরপর মানসুরত তাকে দশ হাজার দিরহাম প্রদান করার নির্দেশ দিলেন ৷
তিনি বললেন, এটাতে আম৷ ৷র কো ন প্রয়োজন নেই ৷ মানসুর বললেন, আল্লাহর শপথ আপনাকে
তা অবশ্যই নিতে তহবে ৷ তিনি বললেন, আল্লাহর শপথ! আমি এটা নিব না ৷ মানসুরের পুত্র
আলশ্মাহদী শক্তি-সড়াহসের প্রতীক হিসেবে পিতার নিকটে উপবিষ্ট অবস্থায় তাকে বললেন,
আমীরুল ঘু’মিনীন শপথ করছেন আর আপনিও কি শপথ করছেন ? আমর মানসুরের দিকে
তাকলেন এবং বললেন, এটা কে ? তিনি বললেন, এটা আমার পুত্র মুহাম্মাদ, আমার পরে
যুবরাজ ৷ আমর বললেন, আপনি তার এমন নাম রেখেছেন যে, সে তার আমলের কারণে এ
নামের উপযুক্ত নয় ৷ তাকে এমন পোশাক পরতে দিয়েছেন যা নেক্কারদের পোশাক নয় ৷ তার
জন্য খিলাফতের কাজটি গুছিয়ে দিয়েছেন ফলে যা তার দ্বারা সহজে সম্পন্ন হয়ে তার দিকে যে
আগ্রহী আর যা হবে না তার প্রতি সে অনাথহী ৷ এরপর তিনি মাহদীর দিকে মুখ ফিরালেন এবং
বললেন, হে আমার ভাতিজ৷ ! যখন তোমার পিতা ও তোমার চাচা শপথ করেন তখন এ শপথ
ভঙ্গ করা তোমার চাচার চেয়ে তোমার পিতার জন্যে সহজতর ৷ কেননা তোমার পিতা তোমার
চাচা র চেয়ে কাফ্ফারা আদায়ে অধিক সক্ষম ৷ এরপর মানসুর বললেন, হে আবুউছমান ! তোম ৷র
কি কোন প্রয়োজন আছে ? তিনি বললেন, হ্যা’ ৷ মানসুর বললেন, সেটা কী ? তিনি বললেন,
যত মন্চ্৷ পর ন্ত্র আমি নিজে না আমি ততক্ষণ পর্যন্ত আপনি আমার জন্য কা ৷উকে পাঠাবেন না ৷ আর
আমি না চাওয়া পর্যন্ত আমাকে কিছু দান করবেন না ৷ মানসুর বললেন, আল্লাহ্র শপথ তাহলে
আমাদের মধ্যে আর কোন সাক্ষাৎ হবে না ৷ তখন আমর বললেন, আপনি অ মাব প্রয়োজন
সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছেন৩ তাই কথাটা বললাম ৷ এরপর তিনিত ৷র থেকে বিদায় নিলেন ও চলে
গেলেন ৷ যখন তিনি চলে যান তখন মানসুরত তার দৃষ্টিত তার দিকে নিবদ্ধ রেখে বলতে লাগলেন,
ধীরে ধীরো তামরা সকলেই চলে যাবে ৷ আমর ইবন উবায়দ ব্যতীত তোমরা সকলেই শিক৷ ৷ারর
খোজে রয়েছ ৷
কথিত আছে যে, আমর ইবন উবায়দ মানসুরকে নসীহ্ত করার সময় মানসুরের কাছে নিম্ন
বর্ণিত কাসীদাটি পেশ করেন ৷ তিনি বলেন :
শ্শ্শ্ ষ্ ৷ন্ হুণ্ ণ্শ্৷ শ্ !শ্শ্ষ্!ন্শ্ শ্াহ্র শ্ধ্ব্লুশ্শ্
৷ ৷;ৰুৰু৷ ৷র্শ্ব
৩ # ন্ শ্ শ্শ্ : শ্ # # # শ্ £ শ্ হৃশ্ × শ্ শ্
ান্’াঝু১ন্এ ৷ ৷ ৰু;প্রু: দ্ব৷ ৷
৷ ,( শ্ শ্ ষ্
াৰুট্রহ্রা ৷:৷াধ্ষ্টুা৷ন্ ব্লুঠুছু; র্দুা৷;;
এেষ্কে
قَالَ الْأَصْمَعِيُّ: قَالَ الْمَنْصُورُ لِرَجُلٍ مِنْ أَهْلِ الشَّامِ: احْمَدِ اللَّهَ يَا أَعْرَابِيُّ الَّذِي رَفَعَ عَنْكُمُ الطَّاعُونَ بِوِلَايَتِنَا. فَقَالَ: إِنَّ اللَّهَ لَا يَجْمَعُ عَلَيْنَا حَشَفًا وَسُوءَ كَيْلٍ ; وِلَايَتَكُمْ وَالطَّاعُونَ. وَالْحِكَايَاتُ فِي ذِكْرِ حِلْمِهِ وَعَفْوِهِ كَثِيرَةٌ جِدًّا.
وَدَخَلَ بَعْضُ الزُّهَّادِ عَلَى الْمَنْصُورِ، فَقَالَ: إِنَّ اللَّهَ أَعْطَاكَ الدُّنْيَا بِأَسْرِهَا، فَاشْتَرِ نَفْسَكَ بِبَعْضِهَا، وَاذْكُرْ لَيْلَةً تَبِيتُ فِي الْقَبْرِ لَمْ تَبِتْ قَبْلَهَا لَيْلَةً، وَاذْكُرْ لَيْلَةً تَمَخَّضُ عَنْ يَوْمٍ لَا لَيْلَةَ بَعْدَهُ. قَالَ: فَأَفْحَمَ الْمَنْصُورَ قَوْلُهُ، وَأَمَرَ لَهُ بِمَالٍ فَقَالَ: لَوِ احْتَجْتُ إِلَى مَالِكَ لَمَا وَعَظْتُكَ.
وَقَدْ رُوِيَ عَنْ عَمْرِو بْنِ عُبَيْدٍ الْقَدَرِيِّ أَنَّهُ دَخَلَ عَلَى الْمَنْصُورِ، فَأَكْرَمَهُ وَعَظَّمَهُ وَأَدْنَاهُ، وَسَأَلَهُ عَنْ أَهْلِهِ وَعِيَالِهِ، ثُمَّ قَالَ لَهُ، عِظْنِي. فَقَرَأَ عَلَيْهِ أَوَّلَ سُورَةِ " الْفَجْرِ " إِلَى قَوْلِهِ تَعَالَى {إِنَّ رَبَّكَ لَبِالْمِرْصَادِ} [الفجر: 14] . قَالَ: فَبَكَى الْمَنْصُورُ بُكَاءً شَدِيدًا حَتَّى كَأَنَّهُ لَمْ يَسْمَعْ بِهَذِهِ الْآيَاتِ قَبْلَ تِلْكَ السَّاعَةِ ثُمَّ قَالَ: زِدْنِي. فَقَالَ: إِنَّ اللَّهَ قَدْ أَعْطَاكَ الدُّنْيَا بِأَسْرِهَا، فَاشْتَرِ نَفْسَكَ بِبَعْضِهَا، وَإِنَّ هَذَا الْأَمْرَ كَانَ لِمَنْ قَبْلَكَ. ثُمَّ صَارَ إِلَيْكَ، ثُمَّ هُوَ صَائِرٌ لِمَنْ بَعْدَكَ، وَاذْكُرْ لَيْلَةً تُسْفِرُ عَنْ يَوْمِ الْقِيَامَةِ. فَبَكَى الْمَنْصُورُ أَشَدَّ مِنْ بُكَائِهِ الْأَوَّلِ حَتَّى اخْتَلَفَ جَفْنَاهُ. فَقَالَ لَهُ سُلَيْمَانُ بْنُ مُجَالِدٍ: رِفْقًا بِأَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ. فَقَالَ عَمْرٌو: وَمَاذَا عَلَى أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ أَنْ
পৃষ্ঠা - ৮০৮১
র্চাষ্শ্ , : ৷শ্ শ্শ্ষ্ষ্ন্গ্ষ্শ্ শ্াষ্ষ্শ্ষ্ শ্০ন্ৰ্টষ্ শ্ শ্ষ্ ; শ্
ঞ১
অর্থাৎ “হে ঐ ব্যক্তি যাকে আশা-আক৷ ৷ক্ষো প্রত৷ ৷রিত করেছে ৷ বা ব কেউ আকাক্ষো করে না
তা হলো ব্যর্থত৷ ও মৃত্যু ৷ তুমি কি দেখ না, দুনিয়া ও তার শোভা-সৌন্দর্য সওয়ারীর মনযিলের
ন্যায় যেখানে সওয়ারীগুলো আসে আবার চলে যায় ৷ দুনিয়ার মৃত্যু ওৎ পেতে বসে রয়েছে ৷
দুনিয়ার জীবন কঠোর, তার আলো অস্পষ্ট এবংত তার বাদশাহি পৈতৃক সম্পত্তির ন্যায় এখন
বিবেচিত ৷ দুনিয়া সব সময় তার বাসিন্দাদেরকে ভয়-ভীতির স০ কেত দিচ্ছে ৷ত তাই দুনিয়াদার
কােমলতা ও সুদৃঢ় চিন্তা শক্তির অধিকারী হয় না ৷ কেননা সে যেন মৃত্যু ও ধ্বংসের লক্ষ্যবন্তু ৷
সর্বদা দুনিয়ার ঘুসীবতসমুহ তাকে ন্থানান্তরে বাধ্য করে থাকে ৷ দুনিয়ার সমস্যাসমুহ নিজ আবর্তনে
তাদের আবর্তন করার ৷ সমস্যাদির মধ্যে কিছু কিছু রয়েছে ন্যায় সংগত আবার কিছু কিছু রয়েছে
নিরেট বিভ্রান্তি ৷ মানুষের আত্মা সর্বদা পলায়ণরত এবং মৃত্যু তাকে খুজে বেড়াচ্ছে ৷ মানুষের
প্রতিটি কষ্টের সাথে রয়েছে স্বস্তি ৷ মানুষত তার ওয়ারিছের জন্য সেরুপ চেষ্টা করে যেরুপ যে
নিজের জন্য চেষ্টা করে ৷ আসলে কবরই ওয়ারিছ কিষ্কৃ তার জন্য কেউ চেষ্টা করে না ৷”
ইবন দা ৷রীদ (র) আর ৷ব-রিয়ড়াশীর মাধ্যমে মুহাম্মাদ ইবন৷ স ৷লাম (র) থেকে বর্ণনা ৷করেন ৷ তিনি
বলেন, একদিন একটি তরুণী মানসুরেরত ৷ তালিযুক্ত একটি কাপড় দেখে বলল, এটা কি পুরাতন
এবং তা ৷লিযুক্ত জামা ?৩ তিনি উত্তরে বললেন, তোর জন্য ধ্বংস, তুই কি শুনছিস না ইবন হ ৷রম৷ কী
বলেছেন ?
অর্থাৎ কোন কোন সময় যুবকটি মর্যাদার মর্যাদার ৷ন হয় অথচ তা ৷র চা ৷দরটি হয় পুরাতন এবং
তার জ্ঞান মার কিছু অংশ হয়ত তালিযুক্ত’ ৷
কোন একজন পরহেযপার লোক মানসুরকে বললেনং তুমি ঐ রা ৷তটির কথা স্মরণ কর যে
রাতটি তুমি কবরে অতিবাহিত করবে ৷ কেননা এ ধরনের রাত মি আর কখনও যাপন করনি ৷
এমন রাতটির কথা স্মরণ কর যা৫ তামাকে কিয়ামতের এমন একটি দিনের সৎবাদ দেবে যার
পরে আর কোন রাত হবে না ৷ মানসুর তার কথাটির অত তন্ত গুরুতু দিলেন এবং তাকে প্রচুর
সম্পদ প্রদানের নির্দেশ দিলেন ৷ তিনি বললেন, তোমার সম্পদের যদি আমার প্ৰয়োজনই থা ৷কত
তাহলে আমি তামাকে নসীহত প্রদান করতাম না ৷
মানসুর যখন আবু মুসলিমকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয় তখন যে কয়েকটি কবিতা আবৃত্তি
করে ৷ নীচে কয়েকটি উল্লেখ করা হল ৪
ণ্ শ্ ষ্ ন্
’ শ্
অর্থাৎ “যদি মি সুচিন্তিত রায়ের অধিকারী হও তাহলে দৃঢ় সংকল্প গ্রহণকড়া ড়াবী হও ৷ কেননা
يَبْكِيَ مِنْ خَشْيَةِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ. ثُمَّ أَمَرَ لَهُ الْمَنْصُورُ بِعَشَرَةِ آلَافِ دِرْهَمٍ، فَقَالَ: لَا حَاجَةَ لِي فِيهَا. فَقَالَ الْمَنْصُورُ: وَاللَّهِ لَتَأْخُذَنَّهَا. فَقَالَ: وَاللَّهِ لَا آخُذَنَّهَا. فَقَالَ لَهُ الْمَهْدِيُّ وَهُوَ جَالِسٌ فِي سَوَادِهِ وَسَيْفِهِ، إِلَى جَنْبِ أَبِيهِ: أَيَحْلِفُ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ وَتَحْلِفُ أَنْتَ؟! فَالْتَفَتَ إِلَى الْمَنْصُورِ، فَقَالَ: وَمَنْ هَذَا؟ فَقَالَ: هَذَا ابْنِي مُحَمَّدٌ الْمَهْدِيُّ وَلِيُّ الْعَهْدِ مِنْ بَعْدِي. فَقَالَ: أَسْمَيْتَهُ اسْمًا لَمْ يَسْتَحِقَّهُ بِعَمَلِهِ هَذَا، وَأَلْبَسْتَهُ لَبُوسًا مَا هُوَ لَبُوسُ الْأَبْرَارِ، وَلَقَدْ مَهَّدْتَ لَهُ أَمْرًا أَمْتَعَ مَا يَكُونُ بِهِ، أَشْغَلَ مَا تَكُونُ عَنْهُ. ثُمَّ الْتَفَتَ إِلَى الْمَهْدِيِّ فَقَالَ: يَابْنَ أَخِي، إِذَا حَلَفَ أَبُوكَ حَلَفَ عَمُّكَ; لِأَنَّ أَبَاكَ أَقْدَرُ عَلَى الْكَفَّارَةِ مِنْ عَمِّكَ. ثُمَّ قَالَ الْمَنْصُورُ: يَا أَبَا عُثْمَانَ، هَلْ مِنْ حَاجَةٍ؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: وَمَا هِيَ؟ قَالَ: لَا تَبْعَثْ إِلَيَّ حَتَّى آتِيَكَ. فَقَالَ: إِذًا وَاللَّهِ لَا نَلْتَقِي. فَقَالَ: عَنْ حَاجَتِي سَأَلْتَنِي. فَوَدَّعَهُ وَانْصَرَفَ، فَلَمَّا وَلَّى أَبَدَّهُ بَصَرَهُ وَهُوَ يَقُولُ:
كُلُّكُمْ يَمْشِي رُوَيْدْ ... كُلُّكُمْ يَطْلُبُ صَيْدْ
غَيْرَ عَمْرِو بْنِ عُبَيْدْ
وَيُقَالُ: إِنَّ عَمْرَو بْنَ عُبَيْدٍ أَنْشَدَ الْمَنْصُورَ قَصِيدَةً فِي مَوْعِظَتِهِ إِيَّاهُ، وَهِيَ قَوْلُهُ:
يَا أَيُّهَذَا الَّذِي قَدْ غَرَّهُ الْأَمَلُ ... وَدُونَ مَا يَأْمَلُ التَّنْغِيصُ وَالْأَجَلْ
أَلَا تَرَى أَنَّمَا الدُّنْيَا وَزِينَتُهَا ... كَمَنْزِلِ الرَّكْبِ حَلُّوا ثُمَّتَ ارْتَحَلُوا
حُتُوفُهَا رَصَدٌ وَعَيْشُهَا نَكَدٌ ... وَصَفْوُهَا كَدَرٌ وَمُلْكُهَا دُوَلٌ
تَظَلُّ تَقْرَعُ بِالرَّوْعَاتِ سَاكِنَهَا ... فَمَا يَسُوغُ لَهُ لِينٌ وَلَا جَدَلُ
পৃষ্ঠা - ৮০৮২
كَأَنَّهُ لِلْمَنَايَا وَالرَّدَى غَرَضٌ
تَظَلُّ فِيهِ بَنَاتُ الدَّهْرِ تَنْتَضِلُ ... تُدِيرُهُ مَا أَدَارَتْهُ دَوَائِرُهَا
مِنْهَا الْمُصِيبُ وَمِنْهَا الْمُخْطِئُ الزَّلِلُ ... وَالنَّفْسُ هَارِبَةٌ وَالْمَوْتُ يَطْلُبُهَا
وَكُلُّ عَثْرَةِ رَجُلٍ عِنْدَهَا جَلَلُ ... وَالْمَرْءُ يَسْعَى بِمَا يَسْعَى لِوَارِثِهِ
وَالْقَبْرُ وَارِثُ مَا يَسْعَى لَهُ الرَّجُلُ
وَقَالَ ابْنُ دُرَيْدٍ، عَنِ الرِّيَاشِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سَلَامٍ قَالَ: رَأَتْ جَارِيَةٌ لِلْمَنْصُورِ ثَوْبَهُ مَرْقُوعًا فَقَالَتْ: خَلِيفَةٌ وَقَمِيصُهُ مَرْقُوعٌ؟! فَقَالَ: وَيْحَكِ! أَمَا سَمِعْتِ مَا قَالَ ابْنُ هَرْمَةَ:
قَدْ يُدْرِكُ الشَّرَفَ الْفَتَى وَرِدَاؤُهُ ... خَلَقٌ وَجَيْبُ قَمِيصِهِ مَرْقُوعُ
وَمِنْ شَعْرِهِ لَمَّا عَزَمَ عَلَى قَتْلِ أَبِي مُسْلِمٍ الْخُرَاسَانِيِّ:
إِذَا كُنْتَ ذَا رَأْيٍ فَكُنْ ذَا عَزِيمَةٍ ... فَإِنَّ فَسَادَ الرَّأْيِ أَنْ تَتَرَدَّدَا
وَلَا تُمْهِلِ الْأَعْدَاءَ يَوْمًا بِقُدْرَةٍ ... وَبَادِرْهُمْ أَنْ يَمْلِكُوا مِثْلَهَا غَدَا
وَلَمَّا قَتَلَهُ وَرَآهُ طَرِيحًا بَيْنَ يَدَيْهِ قَالَ:
قَدِ اكْتَنَفَتْكَ خَلَّاتٌ ثَلَاثٌ ... جَلَبْنَ عَلَيْكَ مَحْتُومَ الْحِمَامِ
خِلَافُكَ وَامْتِنَاعُكَ مِنْ يَمِينِي ... وَقَوْدُكَ لِلْجَمَاهِيرِ الْعِظَامِ
পৃষ্ঠা - ৮০৮৩
ব্রুটপুর্ণ রায়ের অধিকারী নিজ সংকল্পে সন্দেহ পােষণকারী হয় ৷ বিশ্বাস ভঙ্গ করার কালে
দ্বুশমনকে একদিনও অবকাশ দেবে না ৷ তাদের প্রতি তুরিত ব্যবস্থা নেবে নচেৎ তার৷ আপামীতে
ক্যু র্বর ন্যায় বিশ্বা স ভন্সের অপরাধটি সংঘটিত করবে ৷”
যখন তাকে হত্যা করা হল এবং মানসুরের সামনে তাকে রাখা হল তখন মানসুর কবিতা পাঠ
করেন :
ব্লুাশুন্ ৷ ;ট্র
অর্থাৎ “ তোমাকে তিনটি স্বভ৷ ব পরিবেষ্টন করে রেখেছিল যা তোমার অবশ্যম্ভ৷ ৷বী মৃভ্যুকে
:ড্কে এন্যেছ ৷ আর তা হচ্ছে তোমার বিরুদ্ধাচরণ, আমার সাহায্যকারী হতে তােম৷ ৷র অসম্মতি
এবং জনসাধা রণে র ৷বিরুদ্ধে তোমার অস্ত্রধারণ ৷ ”
তার আরো কিছু কবিতা :
এ ন্শু এ শ্ শ্ এ এ এ এ এ ৮ এ
১
এ ,’ এ এ এ
এ ’ এ এ
এ
অর্থাৎ “মানুষ বহুদিন বেচে থাকার আকাস্ফো করে কিন্ত অধিক বয়স৩ার ক্ষতি করে থ৷ কে ৷
তার হাসি মুখ ফ্যাকা সে হয়ে যায় এবং সুখ স্বাচ্ছন্দময় জীবন যাপনের পর তিক্ত স্বা দযুক্ত জীবন
বিরাজ করে ৷ কালের চক্র যেন তার সাথে প্রতারণা করছে এমনকি সে যেন কো ন একটি কা জকে
তার জন্য আর আনন্দদায়ক মনে করতে পারছে না ৷ যদি আ ৷মি ধ্বংস হয়ে যাই তা ৷হলে দেখা যাবে
কত লোকই না সুখ অনুভব করছে এবং সংবাদদাতাকে বলছে, তুমি কতইন৷ ভাল কথা বলেছ ৷ ”
ঐতিহাসিকগণ বলেন,
মানসুর দিনের প্রথম ভাগে সৎকাজের নির্দেশ দান, অসৎ কাজ থেকে ধারণ করা, বিভিন্ন
প্রদেশে শাসনকর্তা নিয়োগ, নিয়োগ বাতিল (বহিষ্কার বরখান্তকরণ) সম্পর্কিত দায়িত্ব সম্পাদন
করতেন এবং জনকল্যাণমুলক কার্যসমুহের প্রতি তীক্ষ্ণ নযর দিতেন ৷ যুহরের সালাত শেষ করে
ঘরে প্রবেশ করতেন ও আসরের সালাত পর্যন্ত বিশ্রাম করতেন ৷ আসরের সালাত আদায় করার
পর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বসতেন এবং তাদের বিশেষ বিশেষ প্রয়োজন নিয়ে পর্যালোচনা
করতেন ৷ ইশার সালাতের পর বইপত্র পড়তেন এবং বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত চিঠিপত্রের
খোজ খবর নিতেন ও প্রয়োজনীয় নির্দেশ প্রদান করতেন ৷ এরপর রাতের এক তৃতীয়াত্শ পর্যন্ত
র্তার কাছে এমন লোক অবস্থান করতেন যিনি তা র সাথে গল্পগুজব করতেন ৷ এরপর তিনি তার
পরিবারের কাছে গমন করতেন এবং দৃই-তৃতীয়াৎশ রাত পর্যন্ত তিনি বিছানায় ঘুমাতেন ৷ এরপর
وَمِنْ شَعْرِهِ أَيْضًا:
الْمَرْءُ يَأْمُلُ أَنْ يَعِي ... شِ وَطُولُ عُمْرٍ قَدْ يَضُرُّهْ
تَبْلَى بَشَاشَتُهُ وَيَبْ ... قَى بَعْدَ حُلْوِ الْعَيْشِ مُرُّهْ
وَتَخُونُهُ الْأَيَّامُ حَتَّ ... ى لَا يَرَى شَيْئًا يَسُرُّهْ
كُمْ شَامِتٍ بِي إِنْ هَلَكْ ... تُ وَقَائِلٍ لِلَّهِ دَرُّهْ
قَالُوا: وَكَانَ الْمَنْصُورُ فِي أَوَّلِ النَّهَارِ يَتَصَدَّى لِلْأَمْرِ بِالْمَعْرُوفِ وَالنَّهْيِ عَنِ الْمُنْكَرِ، وَالْوِلَايَاتِ وَالْعَزْلِ، وَالنَّظَرِ فِي الْمَصَالِحِ الْعَامَّةِ، فَإِذَا صَلَّى الظُّهْرَ دَخَلَ مَنْزِلَهُ، وَاسْتَرَاحَ مِنْ بَعْدِ ذَلِكَ إِلَى الْعَصْرِ، فَإِذَا صَلَّاهَا جَلَسَ لِأَهْلِ بَيْتِهِ وَمَصَالِحِهِمُ الْخَاصَّةِ، فَإِذَا صَلَّى الْعَشَاءَ نَظَرَ فِي الْكُتُبِ وَالرَّسَائِلِ الْوَارِدَةِ مِنَ الْآفَاقِ، وَجَلَسَ عِنْدَهُ مَنْ يُسَامِرُهُ إِلَى ثُلُثِ اللَّيْلِ، ثُمَّ يَقُومُ إِلَى أَهْلِهِ، فَيَنَامُ فِي فِرَاشِهِ إِلَى الثُّلُثِ الْآخِرِ، فَيَقُومُ إِلَى وَضُوئِهِ وَصَلَاتِهِ حَتَّى يَتَفَجَّرَ الصَّبَاحُ، ثُمَّ يَخْرُجُ فَيُصَلِّي بِالنَّاسِ، ثُمَّ يَدْخُلُ فَيَجْلِسُ فِي إِيوَانِهِ.
وَقَدْ وَلَّى بَعْضَ الْعُمَّالِ عَلَى بَلَدٍ، فَبَلَغَهُ أَنَّهُ قَدْ تَصَدَّى لِلصَّيْدِ، وَأَعَدَّ لِذَلِكَ الْكِلَابَ وَالْبُزَاةَ، فَكَتَبَ إِلَيْهِ الْمَنْصُورُ: ثَكِلَتْكَ أُمُّكَ وَعَدِمَتْكَ عَشِيرَتُكَ، وَيْحَكَ! إِنَّا إِنَّمَا اسْتَكْفَيْنَاكَ أُمُورَ الْمُسْلِمِينَ، وَلَمْ نَسْتَكْفِكَ أُمُورَ الْوُحُوشِ، فَسَلِّمْ مَا كُنْتَ تَلِي مِنْ عَمَلِنَا إِلَى فُلَانٍ، وَالْحَقْ بِأَهْلِكَ مَلُومًا مَدْحُورًا.
وَأُتِيَ يَوْمًا بِخَارِجِيٍّ قَدْ هَزَمَ جُيُوشَ الْمَنْصُورِ غَيْرَ مَرَّةٍ، فَلَمَّا أُوقِفَ بَيْنَ يَدَيْهِ
পৃষ্ঠা - ৮০৮৪
তিনি ঘুম থেকে উঠতেন ৷ ওয়ুর পর ফজরের সালাত পর্যন্ত রাতের সালাতে মশগুল থাকতেন ৷
ফজর ডদয়ের পর ঘর থেকে মসজিদে বের হতেন এবং লোকজনকে নিয়ে সালাত আদায়
করতেন ৷ এরপর সরকারী প্রাসাদে প্রবেশ করে সেখানে বসে যেতেন ৷ একবার তিনি কোন
একজন কর্মচ৷ ৷রীকে কো ন এক শহরের শাসনকর্তা হিসেবে প্রেরণ করেন ৷ এরপর তার কাছে
ৎবাদ এল যে, তিনি শিকা কাংরর প্রতি মনোযোগ দিয়েছেন আ র এ জন্য তিনি কুকুর ও বাজপাখী
তৈরি করেছেন ৷ মানসুর৩ তার কাছে পত্র লিখলেন এবং বললেন, দুর্ভ ৷৫গ্য তামার ! আমি
তোমাকে এককভাবে মুসলমানদের যাবতীয় কার্যকলাপ দেখাশুনা করার জন্য কর্মচ৷ ৷রী নিযুক্ত
করেছি ৷ আর দেশের ন্থলত৷ ৷গের জস্তু-জা নে ৷য়ারের বিষয়াদি তদারক করার জন্য তোমাকে নিযুক্ত
করিনি ৷ সুতরাং যে কাজে তোমাকে নিযুক্ত করা হয়েছিল সে কাজের সম্পুর্ণ দ ৷য়দায়িতৃ অমুকের
কাছে সমর্পণ কর এবং শুন্য হাতে তুমি তোমার পরিবারের সাথে মিলিত হও ৷
একদিন মানসুরের কা ছে একজন খ ৷রিজীকে আনা হল ৷ সে কয়েকবার মানসুরের সৈন্যদের
পরাজিত করেছিল ৷ যখন সে মানসুরের সামনে দীড়াল মানসুর তাকে বললেন, দুর্ভাগ্য তোমার হে
কর্ম সম্পাদনকারীর পুত্র ! তোমার মত লোকই কি আমাদের সৈন্যদের পরাজিত করে আসছে ?
খারিজী লোকটি বলল, তোমার দুর্ভ৷ ৷ গ্য ও লজ্জাকর ব্যাপার হল এই যে, আমার ও তোমার মধ্যে
পুর্বে সম্পর্ক ছিল তরবারি ও হত্যার, আর বর্তমানে সম্পর্ক হচ্ছে ব্যভিচারের অপবাদ ও অশ্লীল
পালি গালাজের ৷ আমাকে তোমার কাছে নিয়ে আসাতে তোমার নিরাপত্তা লাত হয়নি ৷ আমি
আমার জীবন থেকে নিরাশ হয়ে গিয়েছি ৷ আমি আর কখনও এটাকে স্বাগত জানার না ৷ বর্ণনাকারী
শ্ বলেন, মানসুর তার থেকে লজ্জাবােধ করলেন এবং তাকে ছেড়ে দিলেন ৷ এক বছর পর্যন্ত
তাদের মধ্যে আর দেখা সাক্ষাৎ হয়নি ৷
মানসুরের পুত্র মাহদী যুবরাজ হওয়ার পর মানসুর তাকে বললেন, হে আমার বৎস ৷
কৃতজ্ঞতার মাধ্যমে নিআমতকে, ক্ষমার মাধ্যমে শক্তিকে, বিষয়ের মাধ্যমে সাহায্য ও বিজয়কে
এবং আনুগতোর মাধ্যমে বন্ধুতৃকে ন্থায়িতৃ দান কর ৷ তোমার পার্থিব অংশ ও আল্লাহর রহমতের
ৎশ ভুলে যেও না ৷
তিনি আরো বললেন, হে আমার বৎস ! ঐ ব্যক্তি বুদ্ধিমান নয় যে কোন বিপদ আপদে পতিত
হওয়ার পর তার থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য কোন না কোন পন্থা অবলম্বন করে বরৎ বুদ্ধিমান
হচ্ছে এমন ব্যক্তি যে কোন আপদ বিপদে পতিত হওয়ার পুর্বেই তার থেকে রক্ষা পাওয়ার পন্থা
অবলম্বন করে থাকে ৷ মানসুর বলেন, হে আমার বৎস ! তুমি এমন মজলিসে উঠাবস৷ করবে না
যেখানে হাদীসবিশারদদের কেউ তোমার কাছে হাদীস বর্ণনা করেন না ৷ কেননা ইমাম ঘুহরী (র)
বলেছেন, হাদীসের ইলম হল পুরুষ ৷ তাই জনগণের মধ্যে পুরুষরাই এটাকে পসন্দ করেন ৷
জনগণের মধ্যে মহিলারাই এটাকে অপসন্দ করে ৷ যুহর৷ গোত্রের ভাই যথার্থ বলেছেন ৷ মানসুর
তার যৌবনকালে ইলমের সম্ভাব্য জায়গা থেকে ইলম অম্বেষণ করেন ৷ তিনি হাদীছ ও ফিকাহ্
শাস্ত্র অধ্যয়ন করেন, তাতে তিনি বেশ দক্ষতা ও প্রভু৩ বুৎপত্তি লাভ করেন ৷ র্তাকে একদিন বলা
হয়, হে আমীরুল যু মিনীন ! আপনার জন্য কি কোন স্বাদ বা ৷কী আছে যা আপনি এখনও আস্বাদন
করেননি তিনি উত্তরে বলেন, একটি জিনিসের স্বাদ বাকী রয়েছে ৷ সতাসদবর্গ বললেন, সেটা
কী? তিনি বললেন, মুহাদ্দিস যখন তার উস্তাদ বলেন, অ ৷ল্লাহ্ আপনার
قَالَ لَهُ الْمَنْصُورُ: وَيْحَكَ! يَا ابْنَ الْفَاعِلَةِ، مِثْلُكُ يَهْزِمُ الْجُيُوشَ؟ فَقَالَ الْخَارِجِيُّ: وَيْلَكَ، سَوْءَةٌ لَكَ! بَيْنِي وَبَيْنَكَ أَمْسِ السَّيْفُ وَالْقَتْلُ، وَالْيَوْمَ الْقَذْفُ وَالسَّبُّ! وَمَا يُؤَمِّنُكَ أَنْ أَرُدَّ عَلَيْكَ وَقَدْ يَئِسْتُ مِنَ الْحَيَاةِ، فَلَا تَسْتَقِيلُهَا أَبَدًا؟! قَالَ: فَاسْتَحْيَا مِنْهُ الْمَنْصُورُ وَأَطْلَقَهُ. فَمَا رَأَى لَهُ وَجْهًا إِلَى الْحَوْلِ.
وَقَالَ أَيْضًا: يَا بُنَيَّ، لَيْسَ الْعَاقِلُ مَنْ يَحْتَالُ لِلْأَمْرِ الَّذِي وَقَعَ فِيهِ حَتَّى يَخْرُجَ مِنْهُ، وَلَكِنَّهُ الَّذِي يَحْتَالُ لِلْأَمْرِ الَّذِي غَشِيَهُ حَتَّى لَا يَقَعَ فِيهِ.
وَقَالَ الْمَنْصُورُ أَيْضًا يَوْمًا لِابْنِهِ الْمَهْدِيِّ: يَا بُنَيَّ، لَا تَجْلِسْ مَجْلِسًا إِلَّا وَعِنْدَكَ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ مَنْ يُحَدِّثُكَ; فَإِنَّ الزُّهْرِيَّ قَالَ: عِلْمُ الْحَدِيثِ لَا يُحِبُّهُ إِلَّا ذُكْرَانُ الرِّجَالِ، وَلَا يَكْرَهُهُ إِلَّا مُؤَنَّثُوهُمْ، وَصَدَقَ أَخُو زُهْرَةَ.
وَقَدْ كَانَ الْمَنْصُورُ فِي شَبِيبَتِهِ يَطْلُبُ الْعِلْمَ مِنْ مَظَانِّهِ وَالْحَدِيثَ وَالْفِقْهَ، فَنَالَ مِنْ ذَلِكَ جَانِبًا جَيِّدًا، وَطَرَفًا صَالِحًا، وَقَدْ قِيلَ لَهُ يَوْمًا: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، هَلْ بَقِيَ شَيْءٌ مِنَ اللَّذَّاتِ لَمْ تَنَلْهُ؟ قَالَ: لَا، سِوَى شَيْءٍ وَاحِدٍ. قَالُوا: وَمَا هُوَ؟ فَقَالَ: قَوْلُ الْمُحَدَّثِ لِلشَّيْخِ: مَنْ ذَكَرْتَ، رَحِمَكَ اللَّهُ؟ فَاجْتَمَعَ وُزَرَاؤُهُ وَكُتَّابُهُ، وَجَلَسُوا حَوْلَهُ، وَقَالُوا: لِيُمْلِ عَلَيْنَا أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ شَيْئًا مِنَ الْحَدِيثِ. فَقَالَ: لَسْتُمْ بِهِمْ، إِنَّمَا هُمُ الدَّنِسَةُ ثِيَابُهُمْ، الْمُشَقَّقَةُ أَرْجُلُهُمْ، الطَّوِيلَةُ شُعُورُهُمْ، بُرُدُ الْآفَاقِ، وَنَقْلَةُ الْحَدِيثِ.
পৃষ্ঠা - ৮০৮৫
উপর রহম করুন, আপনি তাকে উল্লেখ করেছেন ? তারপর একদিন তার উষীরবৃন্দ ও ?,লখকবর্গ
একত্র হলেন এবং তার চতুদািক উপবেশন করলেন এবং বললেন, আমীরুল মু’মিনীন কি
আমাদেরকে কিছু হাদীস লিখিয়ে দেবেন ? মানসুর বললেন, তোমরা ঐসব লোকের অন্তর্ভুক্ত নও
হাদের পোশাক হয়ে যেত ময়লা, পাগুলো ফেটে যেত ,চুলগুলো বিলম্বিত হয়ে যেত ,বিভিন্ন
অঞ্চলে তারা পরিভ্রমণে রত থাকতেন ,বহুদুরত্বের রাস্তা তারা অতিক্রম করতেন; কোন সময়ে
ইরাক, কো ন সময়ে হিজায, কো ন সময়ে সিরিয়া আবার কোন সময়ে ইয়ামান সফর করতেন ৷
তারইি ছিলেন হাদীসের বর্ণনাকারী ৷
মানসুর তার পুত্র আল-মাহদীকে একদিন বললেন? তোমার কতগুলো জস্তু রয়েছে ? তিনি
বললেন, “আমি জানি না মানসুর বললেন, এটাই ত্রুটি ৷ তুমি খিলাফতের অত্যন্ত অপচয় বা
বিনষ্টকা রী ৷ সুতরাং হে আমার বৎস ! আল্লাহ্কে ভয় কর ৷ আল-মাহদীর খালিসা নামী এক দাসী
বলে, “একদিন আমি মানসুরের ঘরে প্রবেশ করলাম, তিনি তখন ড়াশ্ইাতের ব্যথায় ভুগছিলেন এবং
তার দুহ্াত ছিল তার কপালের পর্গোদশে রাখা ৷ তিনি আমাকে বললেন, হে খালিসা ! তোমার
কাছে কী পরিমাণ সম্পদ রয়েছে ? আমি বললাম, এক হাজার দিরহাম ৷ তিনি বললেন ;? আমার
মাথায় তোমার হাত রেখে শপথ করে বল, তখন আমি বললাম, আমার কাছে দশ হাজার দীনারা
রয়েছে ৷ মানসুর বললেন, যাও ওগুলো আমার কাছে নিয়ে এস ৷ দাসী বলল, আামি তখন সেখান
থেকে চলে গেলাম এবং আমার মনীব মাহদীর কাছে প্রবেশ করলাম ৷ তিনি তখনত তার ত্রী
আল-খাইযুরানের সা থে অবস্থান করছিলেন ৷ আামি তার কাছে ঘটনা টি খুলে বললাম ৷ তখন তিনি
পা দিয়ে আমাকে একটি লাথিা মা বলেন এবং বললেন, দুর্ভাগ্য তোমার, তার কোন প্রকার ব্যথা
নেই ৷ তবে গতক ল আমিতার কাছে কিছু অর্থ চেয়েছিলাম ৷ তখন থেকে তিনি অসুস্থ হয়ে
পড়েছেন ৷ আর তোমাকে তিনি যা হুকুম করেছেন৩ তার ব্যতিক্রম করা তোমার পক্ষে সম্ভব হবে
না ৷ সুতরাৎখা খালিসা তার নিকট গমন করল আর তার সাথে ছিল দশ হাজার দীনার ৷ এরপর তিনি
মাহদীকে ভাকলেন এবং তাকে বললেন, তুমি তোমার প্রয়োজনের কথা বলেছ অথচ খালিসার
কাছে এর সম্পুর্ণটা মজুদ রয়েছে ৷ মানসুর তার কােষাধ্যক্ষকে বললেন, যখন তুমি মাহদীর
আগমনের কথা জানতে পারবে তখন তার আগমনের পুর্বে আমাকে পুরাতন কাপড় এনে দিবে ৷
কোষাধ্যক্ষ তা নিয়ে আসলেন এবং মানসুরের সামনে রেখে দিলেন ৷ মাহদী প্রবেশ করলেন আর
মানসুর পুরাতন কাপড়টি উলট পালট করছিলেন ৷ এ দিকে মাহদী হাসছিলেন ৷ তখন মানসুর
বললেন, হে আমার বৎস যার পুরাতন কাপড় নেই তার নতুন কাপড়ও নেই ৷ এক দিকে শীত
প্রায় সমাগত ৷ অন্য দিকে আমরা আমাদের ছেলে মেয়ে ও পরিবা রবর্গ নিয়ে তার প্রয়োজন বোধ
করছি ৷ মাহদী বললেন, আমীরুল মু ’মিনীন ও৩ তার পরিবারের কাপড় সংগ্রহের দায়িত্ব আমার
উপর রয়েছে ৷ মানসুর বললেন, নাও এগুলো নাও এবং ব্যবস্থা কর ৷
ইবন জারীর আল-হায়ছাম (র) থেকে বর্ণাা করেন ৷ তিনি উল্লেখ করেছেন,মানসুর একদিন
তার কতিপয় চাচাদেরকে দশ লক্ষ দিরহাম দান করেন ৷ আর একই দিন নিজের ঘরে দশ হাজার
দিরহাম বন্টন করেন ৷ আর কোন দিন এত অধিক পরিমাণ বণ্টন করতে খলীফাকে দেখা যায়নি ৷
০০াা
وَقَالَ الْمَنْصُورُ يَوْمًا لِلْمَهْدِيِّ: كَمْ عِنْدَكَ رَايَةً؟ فَقَالَ: لَا أَدْرِي. فَقَالَ: هَذَا هُوَ التَّقْصِيرُ، أَنْتَ لِأَمْرِ الْخِلَافَةِ أَشَدُّ تَضْيِيعًا، فَاتَّقِ اللَّهَ يَا بُنَيَّ.
وَقَالَتْ خَالِصَةُ إِحْدَى حَظِيَّاتِ الْمَهْدِيِّ: دَخَلْتُ يَوْمًا عَلَى الْمَنْصُورِ وَهُوَ يَشْتَكِي ضِرْسَهُ، وَيَدَاهُ عَلَى صُدْغَيْهِ، فَقَالَ لِي: كَمْ عِنْدَكِ مِنَ الْمَالِ يَا خَالِصَةُ؟ فَقُلْتُ: أَلْفُ دِرْهَمٍ. فَقَالَ: ضَعِي يَدَكِ عَلَى رَأْسِي وَاحْلِفِي. فَقُلْتُ: عِنْدِي عَشَرَةُ آلَافِ دِينَارٍ. قَالَ: اذْهَبِي فَاحْمِلِيهَا إِلَيَّ. قَالَتْ: فَذَهَبْتُ حَتَّى دَخَلْتُ عَلَى سَيِّدِي الْمَهْدِيِّ وَهُوَ مَعَ وَزَوْجَتِهِ الْخَيْزُرَانِ، فَشَكَوْتُ إِلَيْهِ مَا قَالَ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ، فَرَكَلَنِي بِرِجْلِهِ، وَقَالَ: وَيْحَكِ! إِنَّهُ لَيْسَ بِهِ وَجَعٌ، وَلَكِنِّي سَأَلْتُهُ بِالْأَمْسِ مَالًا، فَتَمَارَضَ وَإِنَّهُ لَا يَسَعُكِ إِلَّا مَا أَمَرَكِ بِهِ. فَذَهَبَتْ إِلَيْهِ خَالِصَةُ وَمَعَهَا عَشَرَةُ آلَافِ دِينَارٍ، فَاسْتَدْعَى بِالْمَهْدِيِّ، فَقَالَ لَهُ: تَشْكُو الْحَاجَةَ وَهَذَا كُلُّهُ عِنْدَ خَالِصَةَ؟ !
وَقَالَ الْمَنْصُورُ لِخَازِنِهِ: إِذَا عَلِمْتَ بِمَجِيءِ الْمَهْدِيِّ فَائْتِنِي بِخُلْقَانِ الثِّيَابِ قَبْلَ أَنْ يَجِيءَ. فَجَاءَ بِهَا فَوَضَعَهَا بَيْنَ يَدَيْهِ، وَدَخَلَ الْمَهْدِيُّ وَالْمَنْصُورُ يُقَلِّبُهَا، فَجَعَلَ الْمَهْدِيُّ يَضْحَكُ، فَقَالَ لَهُ: يَا بُنَيَّ، مَنْ لَيْسَ لَهُ خَلَقٌ مَا لَهُ جَدِيدٌ، وَقَدْ حَضَرَ الشِّتَاءُ فَنَحْتَاجُ نُعِينُ الْعِيَالِ وَالْوَلَدَ. فَقَالَ الْمَهْدِيُّ: عَلَيَّ كُسْوَةُ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ وَعِيَالِهِ. فَقَالَ: دُونَكَ فَافْعَلْ.
وَذَكَرَ ابْنُ جَرِيرٍ عَنِ الْهَيْثَمِ، أَنَّ الْمَنْصُورَ أَطْلَقَ فِي يَوْمٍ وَاحِدٍ لِبَعْضِ أَعْمَامِهِ أَلْفَ أَلْفِ دِرْهَمٍ. وَفِي هَذَا الْيَوْمِ فَرَّقَ فِي أَهْلِ بَيْتِهِ عَشَرَةَ آلَافِ دِرْهَمٍ، وَلَا يُعْلَمُ
পৃষ্ঠা - ৮০৮৬
কোন এক ক ৷৷রী স হেব মানসুরের কাছে নিম্নে উল্লিখিত আয় তটি পাঠ করছিলেনং :
ষ্
া,
অর্থাৎ “যারা কৃপণতা করে এবং মানুষকে কৃপণতার নির্দেশ দেয় এবং আল্লাহ নিজ অনুগ্নহে
তাদেরকে যা দিয়েছেন তা গোপন করে আর আমি আখিরাতে কাফিরদের জন্য লাঞ্চুনাদায়ক শাস্তি
প্রস্তুত করে রেখেছি (সুরা নিসা : ৩৭) ৷”
তখন তিনি বললেন, আল্লাহ্র শপথ, যদি সম্পদ বাদশাহর জন্য দৃর্পস্বরুপ না হত এবং দীন ও
দুনিয়ার জন্য খুটি স্বরুপ না হত ৷ আর দীন ও দুনিয়ার৷ ম৷ ন-মর্যাদার কারণ না হত, আমি তার
থেকে এক দীনার কিত্ব৷ এক দিরহাম জমা রেখে কোন রাতই নিদ্র৷ যেত তাম না ৷ যখনই সুযোগ
হত৩ তিনি উত্তম মা ল খরচ করতেন ৷ কেননা তিনি জানতেন, মাল দান করার মধ্যে রয়েছে প্রভুত
সওয়াব ও প্রতিদা ৷ন ৷ অন্য এক কারী সাহেব একদিনত তার কাছে নিম্নের আয়ার্ভ৩ টি তিলাওয়াত
করেন :
প্লেশ্রিষ্ষ্শ্ষ্ৰ্শ্ এড্রুণ্শ্ষ্চুশ্ষ্বুও
৷ §
অর্থাৎণ্ডু “মি মিতােমার হাত তোমার গ্রীবায় আবদ্ধ করে রেখে৷ না এবং তা সম্পুর্ণ প্রসারিত
করে৷ না ৷ তাহলে তুমি তিরস্কৃত ও নিঃস্ব হয়ে পড়বে (সুরা বনী ইসরাঈল : ২৯) ৷ ”
মানসুর বললেন, আমাদের মহান প্রতিপালক আমাদেরকে কতইনা সুন্দর আদর শিক্ষা
দিয়েছেন ৷ মানসুর আরো বললেন, আমার পিতাকে বলতে শুনেছি ৷ আমি আলী ইবন
আবদুল্লাহ্কে বলতে শুনেছি৪ দুনিয়ার দুনিয়াবাসীদের সর্দার হলেন দানশীল ব্যক্তিবর্গ ৷ আর
আখিরাতে আখিরাতবাসীদের সর্দার হবেন মুত্তাকী পরহিযগারগণ ৷
মানসুর এ বছর যখন হজ্জ পালনের সংকল্প করেন তীর পুত্র মাহদীকে ডেকে কাছে আনেন
এবং তাকে তার একান্ত নিজের ব্যাপারে, পরিবারের সদ্যদের ব্যাপারে এবং সকল মুসলমানের
কল্যাণ সাধনের ব্যাপারে দীর্ঘ ওসিয়ত করেন এবং তাকে শিক্ষা দেন কিভাবে কার্যাবলী সম্পাদন
করতে ও সীমান্ত রক্ষা করতে হবে এবং তাকে অঙ্গীকার করান যাতে সে তার মৃত্যু সম্বন্ধে
নিশ্চিত না হয়ে মুসলমানদের সরকারীভা ৷ণ্ডারের কোন কিছু বের না করে ৷ কেননা সেখানে এত
সম্পদ রয়েছে যে, মুসলমানদের উপর কোন ট্যাক্স ধার্য করা ব্যতীত দশ বছর সরকার চলতে
পারবে ৷ তার কাছে আরো অঙ্গীকার নেন যে, সে যেন তার ব্যক্তিগত ঋণ তিন লক্ষ দিরহাম নিজ
তহবিল থেকে আদায় করে দেয় ৷ তিনি বায়তুল সাল থেকে এ ঋণ পরিশোধ করা পসন্দ করেন
না ৷ মাহদী সবগুলো অঙ্গীকার যথাযথ পালন করেন ৷ মানসুর হজ্জ ও উমরার ইহ্রাম রুসাফা
থেকে বীধেন এবং কুরবানীর উট কাবা পানে প্রেরণ করেন ৷ আর বলেন, হে আমার বৎস ! আমি
যুলহাজ্জ সালে জন্ম নিয়েছি এবং আমাকে আবার যুলহাজ্জ মাসেই ইনতিকাল করতে হবে ৷ এ
خَلِيفَةٌ فَرَّقَ مِثْلَ هَذَا فِي يَوْمٍ وَاحِدٍ.
وَقَرَأَ بَعْضُ الْقُرَّاءِ عِنْدَ الْمَنْصُورِ: {الَّذِينَ يَبْخَلُونَ وَيَأْمُرُونَ النَّاسَ بِالْبُخْلِ} [الحديد: 24] . فَقَالَ: وَاللَّهِ لَوْلَا أَنَّ الْمَالَ حِصْنٌ لِلسُّلْطَانِ وَدِعَامَةٌ لِلدِّينِ وَالدُّنْيَا وَعِزُّهُمَا وَزِينَتُهُمَا مَا بِتُّ لَيْلَةً وَاحِدَةً وَأَنَا أُحْرِزُ مِنْهُ دِينَارًا وَلَا دِرْهَمًا; لِمَا أَجِدُ لِبَذْلِ الْمَالِ مِنَ اللَّذَاذَةِ، وَلِمَا أَعْلَمُ فِي إِعْطَائِهِ مِنْ جَزِيلِ الْمَثُوبَةِ.
وَقَرَأَ عِنْدَهُ قَارِئٌ آخَرُ: {وَلَا تَجْعَلْ يَدَكَ مَغْلُولَةً إِلَى عُنُقِكَ وَلَا تَبْسُطْهَا كُلَّ الْبَسْطِ} [الإسراء: 29] . فَقَالَ: مَا أَحْسَنَ مَا أَدَّبَنَا رَبُّنَا عَزَّ وَجَلَّ!
وَقَالَ الْمَنْصُورُ: سَمِعْتُ أَبِي يَقُولُ: سَمِعْتُ أَبِي; عَلِيَّ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ يَقُولُ: سَادَةُ النَّاسِ فِي الدُّنْيَا الْأَسْخِيَاءُ، وَفِي الْآخِرَةِ الْأَتْقِيَاءُ.
وَلَمَّا عَزَمَ الْمَنْصُورُ عَلَى الْحَجِّ فِي هَذِهِ السَّنَةِ - أَعْنِي سَنَةَ ثَمَانٍ وَخَمْسِينَ وَمِائَةٍ - دَعَا وَلَدَهُ الْمَهْدِيَّ وَلِيَّ عَهْدِهِ مِنْ بَعْدِهِ فَأَوْصَاهُ فِي خَاصَّةِ نَفْسِهِ وَفِي أَهْلِ بَيْتِهِ وَبِسَائِرِ الْمُسْلِمِينَ خَيْرًا، وَعَلَّمَهُ كَيْفَ يَفْعَلُ الْأَشْيَاءَ، وَيَسُدُّ الثُّغُورَ بِوَصَايَا يَطُولُ بَسْطُهَا، وَحَرَّجَ عَلَيْهِ أَنْ لَا يَفْتَحَ شَيْئًا مِنْ خَزَائِنِ الْمُسْلِمِينَ حَتَّى يَتَحَقَّقَ وَفَاتَهُ; فَإِنَّ بِهَا مِنَ الْأَمْوَالِ مَا يَكْفِي الْمُسْلِمِينَ لَوْ لَمْ يُجْبَ إِلَيْهِمْ مِنَ الْخَرَاجِ دِرْهَمٌ عَشْرَ سِنِينَ، وَعَهِدَ إِلَيْهِ أَنْ يَقْضِيَ مَا عَلَيْهِ مِنَ الدَّيْنِ، وَهُوَ ثَلَاثُمِائَةِ أَلْفِ دِينَارٍ،
পৃষ্ঠা - ৮০৮৭
তথ্যটি আমাকে এ বছর হজ্জ পালন করার জন্য উদ্বুদ্ধ করেছে ৷ মাহদী থেকে মানসুর বিদায়
নিলেন এবং ভ্রমণ শুরু করলেন ৷ রাস্তা স্তার মধ্যেই ত ৷র মৃত্যু রে ৷গ দেখা দিল ৷৩ তাই যখন তিনি
মক্কায় প্রবেশ করেন তখন তিনি ছিলেন অ৩ ও অসুস্থ ৷ যখন তিনি মক্কার কাছে শেষ মনযিলে
অবতরণ করেন তার ঘরের সদর দরজা য় লিখা ছিল :
ট্রঠু ণ্টুপু ৷ প্লু,ঠুহ্রটুএ ৷ <া৷ ৷ ব্লুট্রুগ্লু
ৰ্টষ্ # শ্শ্ ,াশ্শ্ণ্াষ্শ্ :শ্ ,,,,,,, শ্শ্ শ্ষ্শ্ শ্শ্
অর্থাৎ “দয়ালু ও পরম দয়াময় আল্লাহর নামে; হে আবু জ ফর ৷ তোমার মৃত্যু নিকটবর্তী
হয়েছে, তোমার বয়স শেষ হয়ে গিয়েছে, আল্লাহ্র হুকুম অবশ্যই কার্যকর হবে ৷ হে আবু
জাফর! অদ্য কি এমন কোন পণক কিংবা জ্যোতির্বিদ আছে যে তোমাকে মৃত্যু যন্ত্রণ৷ থেকে
রক্ষা করতে পারে ? ” মানসুর দারোয়া ৷নদেরকে ডাকলেন এবং তাদেরকে দিয়ে এটা পড়াতে ইচ্ছা
করেন কিন্তুত রা৷ কিছুই দেখতে গেল না ৷ তইি মানসুর বুঝতে পারলেন যে, তা ৷রই মৃত্যু সব
তাকে দেয়া হয়েছে ৷
ঐতিহাসিকগণ বলেন, মানসুর স্বপ্নে দেখেছিলেন ৷ আবার কেউ কেউ বলেন ও একজন
ঘোষক এরুপ ঘোষণা দিয়েছিলেন ৷ তিনি বলছিলেন :
ন্ ণ্ শ্ষ্শ্শ্শ্শ্ষ্ষ্ :£ ব্রশ্শ্ ষ্ণ্
শ্শ্ শ্শ্ শ্ষ্ শ্শ্ ৷শ্ষ্শ্ ৷শ্ ৷শ্শ্৷ ! ৷ শ্ৰ্শ্শ্াশ্শ্
¢“ এ
fl শ্ শ্শ্৷ শ্
০
এা১
অর্থাৎ “জেনে রেথো, গতি ও ন্থিতির প্রতিপালকের শপথ, নিশ্চয়ই মৃত্যুর পরিধি অতি
বিন্তুত ৷ হে আত্মা তুমি খারাপ কা জ কর কিংবা ভাল কা জ কর ৷ হে আত্মা তােম৷ ৷র জন্য মৃত্যু
অবধা ৷রিত ৷ রাত ও দিনের পরিবর্তন এবং আকাশের তারকা রাজির নিজ নিজ কক্ষ পথে পরিভ্রমণ
এমন শক্তির বদৌলতে সংঘটিত হয় যীর দেয়৷ রাজতৃ এক রাজার সমাপ্তিতে অন্য রাজার কাছে
স্থান৷ তারিত হও ও শেষ পর্যন্ত এমন রাজার কাছে পৌছে যীর রাজত্বে কো ন অংশীদার নেই ৷ তিনি
হলেন আসমান যমীনের সৃষ্টিকর্তা, পর্বতের প্রে৷ ৷থিতকা রী ও কক্ষপথের মহানিয়স্ত্রক ৷”
মানসুর মনে মনে বলেন, এটাই আমার মৃত্যুর উপস্থিত হবার সময় ও আমার বয়সের
সমাপ্তি ৷ এর পুর্বে৩ তিনি যখন তার সুরম্য কারুকার্য খচিত আল খুলদ রাজ প্রাসাদে স্বপ্ন
দেখেছিলেন ত৷ তাকে ভীত সন্ত্রস্ত্র করে তুলেছিল ৷ তিনি তার দ ৷রোয়ান রাবীকে বলেছিলেন,
আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (১০ম খণ্ড)-ন্২৯
فَإِنَّهُ لَمْ يَرَ قَضَاءَهَا مِنْ بَيْتِ الْمَالِ. فَامْتَثَلَ الْمَهْدِيُّ ذَلِكَ كُلَّهُ، وَأَحْرَمَ الْمَنْصُورُ بِحَجٍّ وَعُمْرَةٍ مِنَ الرُّصَافَةِ، وَسَاقَ بُدُنَهُ، وَقَالَ: يَا بُنَيَّ، إِنِّي وُلِدْتُ فِي ذِي الْحِجَّةِ، وَقَدْ وَقَعَ لِي أَنِّي أَمُوتُ فِي ذِي الْحِجَّةِ، وَهَذَا هُوَ الَّذِي حَدَانِي عَلَى الْحَجِّ عَامِي هَذَا. وَوَدَّعَهُ وَسَارَ، وَاعْتَرَاهُ مَرَضُ الْمَوْتِ فِي أَثْنَاءِ الطَّرِيقِ، فَمَا دَخَلَ مَكَّةَ إِلَّا وَهُوَ مُثْقَلٌ جِدًّا، فَلَمَّا كَانَ بِآخِرِ مَنْزِلٍ نَزَلَهُ دُونَ مَكَّةَ إِذَا فِي صَدْرِ مَنْزِلِهِ مَكْتُوبٌ: بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ.
أَبَا جَعْفَرٍ حَانَتْ وَفَاتُكَ وَانْقَضَتْ ... سُنُوكَ وَأَمْرُ اللَّهِ لَا بُدَّ وَاقِعُ
أَبَا جَعْفَرٍ هَلْ كَاهِنٌ أَوْ مُنَجِّمٌ ... لَكَ الْيَوْمَ مِنْ كَرْبِ الْمَنِيَّةِ مَانِعُ
فَدَعَا بِالْحَجَبَةِ، فَأَمَرَهُمْ بِقِرَاءَةِ ذَلِكَ، فَلَمْ يَرَوْا شَيْئًا، فَعَرَفَ أَنَّ أَجْلَهُ قَدْ نُعِيَ إِلَيْهِ.
قَالُوا: وَرَأَى الْمَنْصُورُ فِي مَنَامِهِ، وَيُقَالُ: بَلْ هَتَفَ بِهِ هَاتِفٌ، وَهُوَ يَقُولُ:
أَمَا وَرَبِّ السُّكُونِ وَالْحَرَكْ ... إِنَّ الْمَنَايَا كَثِيرَةُ الشَّرَكْ
عَلَيْكِ يَا نَفْسُ إِنْ أَسَأْتِ وَإِنْ ... أَحْسَنْتِ يَا نَفْسُ كَانَ ذَاكَ لَكْ
مَا اخْتَلَفَ اللَّيْلُ وَالنَّهَارُ وَلَا ... دَارَتْ نُجُومُ السَّمَاءِ فِي الْفَلَكْ
إِلَّا بِنَقْلِ السُّلْطَانِ عَنْ مَلِكٍ ... إِذَا انْقَضَى مُلْكُهُ إِلَى مَلِكْ
حَتَّى يَصِيرَا بِهِ إِلَى مَلِكٍ ... مَا عَزَّ سُلْطَانُهُ بِمُشْتَرَكِ
পৃষ্ঠা - ৮০৮৮
সর্বনাশ হে রাবী ! আমি একটি স্বপ্ন , দেখেছি যা আমাকে ভীত সন্ত্রস্ত্র করে তুলেছে ৷ এ প্রাসাদের
দরজায় দণ্ডায়মান একজন ঘোষককে আমি দেখেছি যে বলছিল :
’ ’ ৷
ৰুাট্রএট্রুষ্ট্রত্র৷ ৷;এ্ৰুৰু এৰুব্লে
অর্থাৎ “আমি যেন এমন এক রাজ প্রাসাদে অবস্থান করছি যাব বাসিন্দা ধ্বংস হয়ে গেছে ;
তার বাসিন্দা ও ঘরগুলাে যেন ভীত সন্ত্রস্ত্র হয়ে পড়েছে ৷ প্রসাদের প্রধান আনন্দিত হওয়ার পর
এমন কবরের দিকে ধাবিত হচ্ছে বা বড় বড় পাথর দ্বারা প্রস্তুত করা হয়েছে ৷”
মানসুর এক বছরের কম সময় এ আল-থুলদ রাজ প্রাসাদে অবস্থান করেছিলেন ৷ এরপর হজ্জ
আদায়কালে রাস্তায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন ৷ গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তিনি মক্কায় প্রবেশ করেন ৷
তীর মৃত্যু ছিল শনিবার রাত ৬ই যুলহাজ্জ ৷ আবার কেউ কেউ বলেন, ৭ই জুলহাজ্জ ৷ সর্বশেষ
তিনি যে কথাটি বলেছিলেন তা হল এ:াও৷ ; এ৷ এএ ৷ ন্ৰুা; ৷ হে আল্লাহ ! তোমার
সাক্ষাতের সময় আমাকে বরকত দান কর ৷’ কেউ কেউ বলেন, তিনি বলেছিলেন, হে আমার
প্ৰতিপালক ! যদিও বহু কাজে আমি ৫৩ মোর নাফরমানী করে থাকি কিন্তু তোমার অত্যন্ত প্রিয়
কালেমার «fl ! ১৷ ৷ <৷ ৷ ১৷ এর সাক্ষ্য দানে আমি ছিলাম নিষ্ঠাবান ৷ এরপর তিনি মৃত্যুমুখে পতিত
হন ৷ তীর সীলের নকশা ছিলএষ্এ’; প্রু’এ ৷ অর্থাৎ অ ৷ল্লাহ্, আবদুল্লাহ্র
আশ্রয়স্থুল এবং তীর প্রতি যে র্বিশ্বাস রড়াট্থ ৷ মৃত্যুর দিন প্রসিদ্ধ মতে, তা ৷র বয়স ছিল ৬৩ বছর ৷
তার মধ্যে ২২ বছর তিনি খলীফা ছিলেন ৷ বাবুল মুআল্পাহ্র কাছে তাকে দাফন করা হয় ৷ আল্লাহ্
তার প্রতি রহম করুন ৷
ইবন জারীর বলেন, করি সালাম আল-খাসির তীর শোকগাথায় বলেন :
০ঞা
,
এাএপ্রুট্রু
এ;া
শ্ )ষ্
৷ এ;র্দুহু
) প্ ;
ذَاكَ بَدِيعُ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ وَاَلْ ... مُرْسِي الْجِبَالَ الْمُسَخِّرُ الْفَلَكِ
فَقَالَ الْمَنْصُورُ: هَذَا وَاللَّهِ أَوَانُ حُضُورِ أَجَلِي وَانْقِضَاءِ عُمْرِي.
وَكَانَ قَدْ رَأَى قَبْلَ ذَلِكَ فِي قَصْرِهِ الْخُلْدِ الَّذِي بَنَاهُ وَتَأَنَّقَ فِيهِ، مَنَامًا أَفْزَعَهُ، فَقَالَ لِلرَّبِيعِ: وَيْحَكَ يَا رَبِيعُ! لَقَدْ رَأَيْتُ مَنَامًا هَالَنِي; رَأَيْتُ قَائِلًا وَقَفَ فِي بَابِ هَذَا الْقَصْرِ، وَهُوَ يَقُولُ:
كَأَنِّي بِهَذَا الْقَصْرِ قَدْ بَادَ آهِلُهُ ... وَعُرِّيَ مِنْهُ أَهْلُهُ وَمَنَازِلُهُ
وَصَارَ رَئِيسُ الْقَوْمِ مِنْ بَعْدِ بَهْجَةٍ ... إِلَى جَدَثٍ تُبْنَى عَلَيْهِ جَنَادِلُهُ
فَمَا أَقَامَ فِي الْخُلْدِ إِلَّا أَقَلَّ مِنْ سَنَةٍ حَتَّى خَرَجَ إِلَى الْحَجِّ عَامَهُ هَذَا، وَمَرِضَ فِي طَرِيقِ مَكَّةَ، فَدَخَلَهَا مُدْنَفًا ثَقِيلًا. وَكَانَتْ وَفَاتُهُ لَيْلَةَ السَّبْتِ لِسِتٍّ - وَقِيلَ: لِسَبْعٍ - مَضَيْنَ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ.
وَكَانَ آخَرَ مَا تَكَلَّمَ بِهِ أَنْ قَالَ: اللَّهُمَّ بَارِكْ لِي فِي لِقَائِكَ. وَيُقَالُ: إِنَّهُ قَالَ: يَا رَبِّ، إِنْ كُنْتُ عَصَيْتُكَ فِي أُمُورٍ كَثِيرَةٍ فَقَدْ أَطَعْتُكَ فِي أَحَبِّ الْأَشْيَاءِ إِلَيْكَ; شَهَادَةِ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ مُخْلِصًا. ثُمَّ مَاتَ.
وَكَانَ نَقْشُ خَاتَمِهِ: اللَّهُ ثِقَةُ عَبْدِ اللَّهِ، وَبِهِ يُؤْمِنُ.
وَكَانَ عُمْرُهُ يَوْمَ وَفَاتِهِ ثَلَاثًا وَسِتِّينَ سَنَةً عَلَى الْمَشْهُورِ; مِنْهَا ثِنْتَانِ وَعِشْرُونَ
পৃষ্ঠা - ৮০৮৯
سَنَةً فِي الْخِلَافَةِ، وَدُفِنَ بِبَابِ الْمُعَلَّى، رَحِمَهُ اللَّهُ.
قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ ابْنُ جَرِيرٍ: وَمِمَّا رُثِيَ بِهِ أَبُو جَعْفَرٍ الْمَنْصُورُ، رَحِمَهُ اللَّهُ، قَوْلُ سَلْمٍ الْخَاسِرِ الشَّاعِرِ:
عَجَبًا لِلَّذِي نَعَى النَّاعِيَانِ ... كَيْفَ فَاهَتْ بِمَوْتِهِ الشَّفَتَانِ
مَلِكٌ إِنْ غَدَا عَلَى الدَّهْرِ يَوْمًا ... أَصْبَحَ الدَّهْرُ سَاقِطًا لِلْجِرَانِ
لَيْتَ كَفًّا حَثَتْ عَلَيْهِ تُرَابًا ... لَمْ تَعُدْ فِي يَمِينِهَا بَبَنَانُ
حِينَ دَانَتْ لَهُ الْبِلَادُ عَلَى الْعَسْ ... فِ وَأَغْضَى مِنْ خَوْفِهِ الثَّقَلَانِ
أَيْنَ رَبُّ الزَّوْرَاءِ قَدْ قَلَّدَتْهُ الْ ... مُلْكَ عِشْرُونَ حِجَّةً وَاثْنَتَانِ
إِنَّمَا الْمَرْءُ كَالزِّنَادِ ... إِذَا مَا أَخَذَتْهُ قَوَادِحُ النِّيرَانِ
لَيْسَ يَثْنِي هَوَاهُ زَجْرٌ وَلَا يَقْ ... دَحُ فِي حَبْلِهِ ذَوُو الْأَذْهَانِ
قَلَّدَتْهُ أَعِنَّةَ الْمُلْكِ حَتَّى ... قَادَ أَعْدَاءَهُ بِغَيْرِ عَنَانٍ
يُكْسَرُ الطَّرْفُ دُونَهُ وَتُرَى الْأَيْ ... دِي مِنْ خَوْفِهِ إِلَى الْأَذْقَانِ
ضَمَّ أَطْرَافَ مُلْكِهِ ثُمَّ أَضْحَى ... خَلْفَ أَقْصَاهُمْ وَدُونَ الدَّانِي
هَاشِمِيُّ التَّشْمِيرِ لَا يَحْمِلُ الثِّقْ ... لَ عَلَى غَارِبِ الشَّرُودِ الْهِدَانِ
ذُو أَنَاةٍ يَنْسَى لَهَا الْخَائِفُ الْخَوْ ... فَ وَعَزْمٍ يَلْوِي بِكُلِّ جَنَانِ
ذَهَبَتْ دُونَهُ النُّفُوسُ حِذَارًا ... غَيْرَ أَنَّ الْأَرْوَاحَ فِي الْأَبْدَانِ
وَقَدْ دُفِنَ الْمَنْصُورُ بِثَنِيَّةِ الْمُعَلَّى عِنْدَ بَابِ مَكَّةَ، وَلَا يُعْرَفُ قَبْرُهُ; لِأَنَّهُ عُمِّيَ قَبْرُهُ; فَإِنَّ الرَّبِيعَ حَفَرَ مِائَةَ قَبْرٍ، وَدَفَنَهُ فِي غَيْرِهَا لِئَلَّا يُعْرَفَ.
পৃষ্ঠা - ৮০৯০
ক্লেশ্;াএ
;,
৷ ৷ট্রুৰু পুেন্ব্লুঠুওাছুাঠুৰুও
অর্থাৎ “অবাক হতে হয় এমন সত্তার জন্য যীর মৃত্যুর সংবাদদাতারা তার মৃত্যু সংবাদ
পরিবেশন করেছে, কেমন করে তার মৃত্যুর ব্যাপারে দুটো ঠোট সংবাদ পরিবেশন করল ? তিনি
এমন এক বাদশা ছিলেন যদি তিনি কোন একদিন তার সমকালীন লোকদের প্রতি শত্রুত৷ পোষণ
করতেন তাহলে সমকালীন ব্যক্তিবর্গ উপত্যকায় পতিত হয়ে যেত ৷ আহ৷ যদি কোন একটি হাত
তার উপর ধুলিমাটি নিক্ষেপ করত তাহলে তার ডান হাতের আব্দুল নিয়ে ফিরে আসতে পারত না ৷
জিন ও ইনসান তার ভয়ে ভীত সন্ত্রস্ত্র হয়ে পড়ত ৷ কোথায় আছেন যাওরা (বাগদাদের একটি
শহর) এর মালিক যিনি র্তাকে বাইশ বছরের খিলাফতের মালা পরিয়েছিলেন ৷ মানুষ তাে চকমকি
পাথরের ন্যায়, যখন তাকে অগ্নি প্রজ্বলনকারীরা পরিচালনা করে থাকে ৷ মানুষের প্রবৃত্তি ধমক ও
তিরল্কারকে পসন্দ করে না আর বুদ্ধিমানরা তাকে বিনা কারণে তার কাজে বাধা দেয় না ৷
খিলাফতের লাপাম তার গলায় হার হিসেবে শোভা পায় ৷ ফলে তিনি তার শত্রু দেরকে বিনা
লাগামে পরিচালনা করেন ৷ তার সামনে এলে দৃষ্টি নিম্নগামী হয় আর তার ভয়ে দেখবে দুশমনের
হাত গুলাে থুতনিতে ঠেকে রয়েছে ৷ রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলকে তিনি একত্র করেছিলেন ৷ এরপর
তিনি তাদের প্রত্যন্ত অঞ্চলের পেছনে অতিঃাবকের ন্যায় অবস্থান করেছিলেন, অতি নিকটে নয় ৷
তিনি ছিলেন হাশিমী বহুদর্শী ব্যক্তি ৷ তিনি পলায়নপর, বেয়াকুফ ধরনের লোকের কাধে বোঝা
চাপাতেন না ৷ তিনি ছিলেন ধৈর্যের প্রতীক ৷ ভীত সন্ত্রস্ত্র ব্যক্তি ও তীর এ ধৈর্যের জন্য ভয় ভুলে
যেত ৷ আর প্রতিটি অন্তরে দৃঢ়তা সমুজ্জ্বল ছিল ৷ তার সামনে লোকজন সতর্কতার সাথে আগমন
করতেন তবে যেন শরীরের মধ্যে রুহগুলাে স্বাচ্ছন্দো বিচরণ করত ৷ ”
তাকে মক্কার বারে মুআল্লাহ্র নিকট দাফন করা হয়েছিল ৷ তবে তার কবরকে নিদিষ্টতাবে
কেউ জানত না ৷ কেননা তার চিহ্ন মিটিয়ে দেয়৷ হয়েছিল ৷ অধিকন্তু দারােয়ান রাবী একশটি কবর
খনন করেছিল এবং তাকে অন্য একটি কবরে দাফন করেছিল যাতে কেউ কবরটি চিনতে না
পারে ৷
মানসুরের সন্তান-সন্ততি
মুহাম্মাদ আল-মাহদী ছিলেন যুবরাজ ; জাফর আল-আকবার , তিনি মানসুরের জীবদ্দশায়
ইনতিকাল করেন ৷ এ দুই সন্তানের মতো ছিলেন আরওয়৷ বিনৃত মানসুর ; ঈসা ; ইয়াকুব ;
সুলায়মান তাদের মাতা ছিলেন ফাতিমা বিনৃত মুহাম্মাদ, তালহা ইবন উবায়দৃল্লাহ্ (রা)-এর
বংশধর জাফর আল-আসগর , তিনি ছিলেন কুর্দী উম্মু ওয়ালাদের সন্তান; সালিহ আল-মিসকিন,
তিনি ছিলেন রােমী উম্মু ওয়ালাদের সন্তান, তাকে কালীউল ফরাসাহ বলা হত ; আল-কাসিম,
তিনিও উম্মু ওয়ালাদের সন্তান ছিলেন ; আল-আলিয়া, তিনি ছিলেন বনু উমাইয়ার এক মহিলার
সন্তান ৷
[ذِكْرُ أَوْلَادِ الْمَنْصُورِ]
مُحَمَّدٌ الْمَهْدِيُّ، وَكَانَ وَلِيَّ عَهْدِهِ مِنْ بَعْدِهِ، وَجَعْفَرٌ الْأَكْبَرُ، مَاتَ فِي حَيَاتِهِ، وَأُمُّهُمَا أَرْوَى بِنْتُ مَنْصُورٍ، وَعِيسَى، وَيَعْقُوبُ، وَسُلَيْمَانُ، وَأُمُّهُمْ فَاطِمَةُ بِنْتُ مُحَمَّدٍ، مِنْ وَلَدِ طَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، وَجَعْفَرٌ الْأَصْغَرُ مِنْ أُمِّ وَلَدٍ كُرْدِيَّةٍ، وَصَالِحٌ الْمِسْكِينُ مِنْ أُمِّ وَلَدٍ رُومِيَّةٍ يُقَالُ لَهَا: قَالِي الْفَرَّاشَةُ. وَالْقَاسِمُ مِنْ أُمِّ وَلَدٍ أَيْضًا. وَالْعَالِيَةُ مِنِ امْرَأَةٍ مِنْ بَنِي أُمَيَّةَ.
[ذِكْرُ خِلَافَةِ الْمَهْدِيِّ ابْنِ الْمَنْصُورِ]
لَمَّا مَاتَ أَبُوهُ الْمَنْصُورُ بِمَكَّةَ لِسِتٍّ - وَقِيلَ: لِسَبْعٍ - مَضَيْنَ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ مِنْ سَنَةِ ثَمَانٍ وَخَمْسِينَ وَمِائَةٍ، أُخِذَتْ لَهُ الْبَيْعَةُ بِمَكَّةَ مِنْ رُءُوسِ بَنِي هَاشِمٍ وَالْقُوَّادِ الَّذِينَ هُمْ مَعَ الْمَنْصُورِ فِي الْحَجِّ قَبْلَ دَفْنِهِ، وَبُعِثَ بِالْبَيْعَةِ وَبِالْبُرْدَةِ وَالْقَضِيبِ مَعَ الْبَرِيدِ إِلَى الْمَهْدِيِّ وَهُوَ بِبَغْدَادَ، فَوَصَلَهُ الْبَرِيدُ يَوْمَ الثُّلَاثَاءِ لِلنِّصْفِ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ، فَسَلَّمَ عَلَيْهِ بِالْخِلَافَةِ، وَأَعْطَاهُ الْكُتُبَ بِالْبَيْعَةِ، وَبَايَعَهُ أَهْلُ مَدِينَةِ السَّلَامِ، وَنَفَذَتِ الْبَيْعَةُ إِلَى سَائِرِ الْآفَاقِ وَالْأَقَالِيمِ، وَقَدْ كَانَ وَلِيَّ الْعَهْدِ مِنْ بَعْدِ أَبِيهِ.
وَذَكَرَ ابْنُ جَرِيرٍ أَنَّ الْمَنْصُورَ قَبْلَ وَفَاتِهِ بِيَوْمٍ تَحَامَلَ وَتَسَانَدَ، وَاسْتَدْعَى
পৃষ্ঠা - ৮০৯১
بِالْأُمَرَاءِ، فَجَدَّدَ لَهُمُ الْبَيْعَةَ لِابْنِهِ الْمَهْدِيِّ، فَتَسَارَعُوا إِلَى ذَلِكَ وَتَبَادَرُوا إِلَيْهِ.
وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ إِبْرَاهِيمُ بْنُ يَحْيَى بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ وَصِيَّةِ عَمِّهِ إِلَيْهِ فِي ذَلِكَ، وَهُوَ الَّذِي صَلَّى عَلَيْهِ، وَقِيلَ: إِنَّ الَّذِي صَلَّى عَلَى الْمَنْصُورِ عِيسَى بْنُ مُوسَى وَلِيُّ الْعَهْدِ مِنْ بَعْدِ الْمَهْدِيِّ. وَالصَّحِيحُ الْأَوَّلُ; لِأَنَّهُ كَانَ نَائِبَ مَكَّةَ وَالطَّائِفِ.
وَعَلَى إِمْرَةِ الْمَدِينَةِ عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ عَلِيٍّ، وَعَلَى الْكُوفَةِ عَمْرُو بْنُ زُهَيْرٍ الضَّبِّيُّ، أَخُو الْمُسَيِّبِ بْنِ زُهَيْرٍ أَمِيرِ الشُّرْطَةِ لِلْخَلِيفَةِ، وَعَلَى خُرَاسَانَ حُمَيْدُ بْنُ قَحْطَبَةَ، وَعَلَى خَرَاجِ الْبَصْرَةِ وَأَرْضِهَا عُمَارَةُ بْنُ حَمْزَةَ، وَعَلَى صَلَاتِهَا وَقَضَائِهَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ الْحَسَنِ الْعَنْبَرِيُّ، وَعَلَى أَحْدَاثِهَا سَعِيدُ بْنُ دَعْلَجٍ.
قَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَأَصَابَ النَّاسَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ وَبَاءٌ شَدِيدٌ. فَتُوُفِّيَ فِيهِ خَلْقٌ كَثِيرٌ وَجَمٌّ غَفِيرٌ، مِنْهُمْ أَفْلَحُ بْنُ حُمَيْدٍ، وَحَيْوَةُ بْنُ شُرَيْحٍ، وَمُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ بِمَكَّةَ، وَزُفَرُ بْنُ الْهُذَيْلِ بْنِ قَيْسِ بْنِ سُلَيْمِ بْنِ قَيْسِ بْنِ مُكَمِّلِ بْنِ ذُهْلِ بْنِ ذُؤَيْبِ بْنِ جُذَيْمَةَ بْنِ عَمْرِو بْنِ حُنْجُودِ بْنِ جُنْدَبِ بْنِ الْعَنْبَرِ بْنِ عَمْرِو بْنِ تَمِيمِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৮০৯২
مُرِّ بْنِ أُدِّ بْنِ طَابِخَةَ بْنِ إِلْيَاسِ بْنِ مُضَرِ بْنِ نِزَارِ بْنِ مَعَدِّ بْنِ عَدْنَانَ التَّمِيمِيُّ الْعَنْبَرِيُّ الْكُوفِيُّ الْفَقِيهُ الْحَنَفِيُّ. أَقْدَمُ أَصْحَابِ أَبِي حَنِيفَةَ وَفَاةً، وَأَكْثَرَهُمُ اسْتِعْمَالًا لِلْقِيَاسِ، وَكَانَ عَابِدًا اشْتَغِلْ أَوَّلًا بِعِلْمِ الْحَدِيثِ، ثُمَّ غَلَبَ عَلَيْهِ الْفِقْهُ وَالْقِيَاسُ. وُلِدَ سَنَةَ سِتَّ عَشْرَةَ وَمِائَةٍ، وَتُوَفِّي سَنَةَ ثَمَانٍ وَخَمْسِينَ عَنْ ثِنْتَيْنِ وَأَرْبَعِينَ سَنَةً، رَحِمَهُ اللَّهُ.