আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة أربع وخمسين ومائة

أشعب الطامع

পৃষ্ঠা - ৮০৪৬


অর্থাৎ : আমরা আমাদের ইমাম (খলীফা) থেকে কিছুটা সমৃদ্ধি আশা করেছিলাম ৷
আমাদের কাজ্যিত ইমাম আমাদেরকে টুপিতে সমৃদ্ধি দান করলেন ৷ জনগণের মাথায় পরি ত

টুপিগুলােকে দেখবে যেমন ইয়াহুদী অজ্ঞ ব্যক্তিরা উচু টুপি পরিধান করে নিজেদেরকে সম্মানিত
মনে করে থাকে ৷ ’

এ বছর মাইউফ ইবন ইয়াহ্ইয়া আ ল-হাজুরী গ্রীষ্মকালীন যুদ্ধ পরিচালনা করেন এবং বহু
রোমান ব্যক্তিকে বন্দী করেন ৷৩ তাদের সংখ্যা প্রায় ছয় লাখ ৷ আর প্রচুর সম্পদ গনীমত হিসেবে
লাভ করেন ৷ এ বছর যুবরাজ ম৷ ৷হদী ইবন ম ৷নসুর লোকজনকে নিয়ে হজ্জব্রত পালন করেন ৷ মক্কা
ও তাইফের আমীর ছিলেন মুহাম্মাদ ইবন ইব্রাহীম ; মদীনার নায়িব ছিলেন আল-হাসান ইবন
য়ায়দ ; কুফার নায়িব ছিলেন মুহাম্মাদ ইবন সুলায়মান ; বসরার নায়িব ছিলেন ইয়াযীদ ইবন মানসুর
এবং মিম্বরের নায়িব ছিলেন মুহাম্মাদ ইবন সাঈদ ৷ আল-ওয়াকিদী উল্লেখ করেন, মানসুর এ বছর
ইয়াযীদ ইবন মানসুরকে ইয়ামানের৷ শ্ ৷৷সক নিযুক্ত করেন ৷ আল্লাহ সম্যক অবগত ৷

এ বছর হার৷ ইনতিক৷ ৷ল করেন তাদের মধ্যে প্রসিদ্ধ হলেনং আবান ইবন সামআ, উসামা
ইবন য়ায়দ আল-লায়হী,৷ ছ৷ ওর ইবন ইয়াযীদ৷ আ ল হিমসী,৷ আল লাস-হ ৷ন ইবন আম্মা রা , কুতুর ইবন
খালীফা, মামার এবং হিশাম ইবন গাযী ৷ আল্লাহ সম্যক অবগত ৷

১৫৪ হিজরীর আগমন

এ বছর মানসুর সিরিয়ার শহরপ্তালাভে প্রবেশ করেন ৷ বায়তুল মুকাদ্দাস যিয়ারত করেন ৷
পঞ্চাশ হাজার সৈন্য সহকারে ইয়৷ যীদ ইবন হাতিমকে তৈ রি করেন এবৎ৩ র্তাকে আফ্রিকান
শহরগুলাের শাসনকর্তা নিয়োগ করেন ৷ আর খারিজীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার নির্দেশ দেন ৷ তিনি
এ সেনাবাহিনীর জন্য প্রায় তেষট্টি হাজার দিরহাম খরচ করেন ৷ যুফার ইবন আসিম আলশ্হিলালী
গ্রীষ্মকালীন যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন ৷ এ বছর মুহাম্মাদ ইবন ইব্রাহীম সোকজনকে নিয়ে হজ্জ
আদায় করেন ৷ বিভিন্ন শহর ও প্রদেশের নবাবগণ তাদের পুর্ববর্তী পদে বহাল ছিলেন ৷ তবে
বসরার আবদুল মালিক ইবন আইয়ুব ইবন যুবইয়ানকে শাসনকর্তা নিয়োগ করা হয় ৷ এ বছরই
আবু আইয়ুব লেখক ইনতিকাল করেন এবং তার ভাই খালিদও ইনতিকাল করেন ৷ মানসুর নির্দেশ
দেন যেন তার ভাইয়ের ছেলেদের হাত-পা কেটে ফেলা হয় ৷ এরপর তাদের গর্দান উড়িয়ে দেয়া
হয় ৷ তাদের সাথে অনুরুপ ব্যবহার করা হয় ৷ এ বছর হারা মৃত্যুবরণ করেন :

আশআব আত্-তামি

তার পুর্ণ নাম ছিল আবুল আল৷ আশআব ইবন যুবায়র ৷ কেউ কেউ বলেন, তার উপনাম ছিল
আবুইসহাক আল-মাদীনী ৷ আবার কেউ কেউ বলেন, তার উপন৷ ৷ম ছিল আবুহুমা য়দ৷ তার ৷পিতা
ছিলেন আলে যুবায়রের আযাদকৃত গোলাম ৷ মুখতার ৩াক হত্যা করেছিলেন ৷ তিনি ছিলেন
তা আ-ল ওয়া ৷কিদীর মামা ৷৩ তিনি আবদৃল্লাহ্ ইবন জাফ৷ থেকে বর্ণনা করেন ৷৩ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্
(সা) ডান হাতে আং টি পরতে তন ৷ তিনি জানান ইবন উছমান, সালিম ও ইকরামা (র) থেকেও
বর্ণনা করেন ৷ তিনি ছিলেন চতৃর ও কৌ কপ্রিয় ৷ তাকে তার যুগের লোকেরা ৩ার
অমিতব্যায়িত৷ ও (লাভ লালসার জন্য পসন্দ করতেন ৷৩ তার প্রাচুর্য ছিল প্রশংসনীয় ৷ আল ওয়া ৷লীদ
ইবন ইয়াযীদের৷ কা ছে দামেশকে প্রতিনিধি হিসেবে তিনি গমন করেছিলেন ৷ ইবন আ ৷সাকির তার


[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ أَرْبَعٍ وَخَمْسِينَ وَمِائَةٍ] فِيهَا دَخَلَ الْمَنْصُورُ بِلَادَ الشَّامِ، وَزَارَ بَيْتَ الْمَقْدِسِ، وَجَهَّزَ يَزِيدَ بْنَ حَاتِمٍ فِي خَمْسِينَ أَلْفًا، وَوَلَّاهُ بِلَادَ إِفْرِيقِيَّةَ، وَأَمَرَهُ بِقِتَالِ الْخَوَارِجِ، وَأَنْفَقَ عَلَى هَذَا الْجَيْشِ نَحْوًا مِنْ ثَلَاثَةٍ وَسِتِّينَ أَلْفَ أَلْفِ دِرْهَمٍ. وَغَزَا الصَّائِفَةَ زُفَرُ بْنُ عَاصِمٍ الْهِلَالِيُّ. وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِيهَا مُحَمَّدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ. وَنُوَّابُ الْأَقَالِيمِ هُمُ الْمَذْكُورُونَ فِي الَّتِي قَبْلَهَا، سِوَى الْبَصْرَةِ فَعَلَيْهَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ أَيُّوبَ بْنِ ظَبْيَانَ. وَفِيهَا تُوُفِّيَ أَبُو أَيُّوبَ الْمُورِيَانِيُّ الْكَاتِبُ وَأَخُوهُ خَالِدٌ، فَأَمَرَ الْمَنْصُورُ فِي بَنِي أَخِيهِ أَنْ تُقَطَّعَ أَيْدِيهِمْ وَأَرْجُلُهُمْ، ثُمَّ تُضْرَبَ بَعْدَ ذَلِكَ أَعْنَاقُهُمْ، فَفُعِلَ ذَلِكَ. [أَشْعَبُ الطَّامِعُ] ، هُوَ ابْنُ جُبَيْرٍ أَبُو الْعَلَاءِ، وَيُقَالُ: أَبُو إِسْحَاقَ الْمَدَنِيُّ. وَيُقَالُ لَهُ: ابْنُ أُمِّ حُمَيْدَةَ. وَكَانَ أَبُوهُ مَوْلًى لِابْنِ الزُّبَيْرِ، قَتَلَهُ الْمُخْتَارُ، وَهُوَ خَالُ الْوَاقِدِيِّ.
পৃষ্ঠা - ৮০৪৭

এমন জীবনী লিখেন যেখানে তিনি বিভিন্ন প্রকারের রঙ্গরসের কথা উল্লেখ করেছেন ৷ তার থেকে
দু টি হাদীস বণ্টা৷ করা হয়েছে ৷৩ তার থেকে বণ্টা৷ করা হয়েছে যে, একদিন তাকে হাদীস বর্ণনার
জন্য অনুরোধ করা হল, তখন তিনি বললেন, “ইকরাম৷ আমাকে আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা)
থেকে হ ৷দীস বর্ণনা করেছেন ৷৩ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, দু’টো ক জ যদি কেউ করে ন্
তাহলে সে জ ৷ন্নাতে প্রবেশ করবে ৷ এরপর তিনি চুপ রইলেন ৷ তখন তাকে জিজ্ঞ৷ সা৷ করা হল,

এগুলো কী ? তিনি বললেন, ইকরাম৷ একটির কথা ভুলে গিয়েছেন ৷ আ র ৷অন্যটি ভুলে গিয়েছি
আমি ৷ ”

সালিম ইবন আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা) তাকে হেয় মনে করতেন ৷৩ তাকে নিয়ে আনন্দ
করতেন ও তার সাথে কৌতুক করতেন, তাকে নিয়ে জঙ্গলে যেতে ন ৷ শীর্ষ পর্যায়ের লোকদের
মধ্য থেকে অন্যরাও এরুপ করতেন ৷ ইমাম শ্া৷ফিঈ (র) বলেন, একদিন ছেলেরা আশআবকে
নিয়ে মজা করছিল ৷ তিনি ৩ খন তাদের বললেন, সেখানে কিছু লোক রয়েছেন য় ৷রা আখরো ট
বি৩ রণ করছেন ৷ উদ্দেশ্য হল তাদেরকে তার নিকট থেকে বিতাড়িত করা ৷ ঐদিকে তখন
ছেলেরা দ্রুত দৌড়াতে লাগল ৷ তিনি যখন তাদেরকে দৌডাতে দেখলেন তখন বললেন, হয়ত
এটা সত্য হতে পারে ৷৩ তাই তিনিও তাদের অনুসরণ করতে লাপলেন ৷ এক ব্যক্তি ওন্ত ৷কে একদিন
বললেন, বল৩ , ভোমার ল্যেভ লালসার পরিধি কী ? তিনি বললেন, মদীনায় কোন বাসর ঘর
উদযাপিত হলে আমি আশা করতে থাকি যে আমার এখানে বাসর ঘর উদযাপিত হবে ৷ আমার
ঘরটি আমি ঝাডু দেব, আমার দরজা পরিষ্কার করব এবং আমার সমস্ত বাড়িটাকেও ঝাডু দেব ৷
একদিন তিনি এক ব্যক্তির নিকট দিয়ে অতিক্রম করছিলেন, দেখলেন, লোকটি খড়-কুট৷ দিয়ে
রেকাৰি তৈরি করছে ৷ তখন তিনি তাকে বললেন, এর মধ্যে একটি বি ৰুব৷ দু’টি উপাদান বৃ ৷ট্রু
করে দাও হয়ত কো ন দিনি আমাদের জন্য এটার মধ্যে হাদিয়া রাখা হবে ৷ ইবন আসাকির (র)
বলেন, আশআব একদিন সালিম ইবন আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা)-এর সামনে কোন কবির কবিতা
দ্বারা গান গায় :

৷ ’ ’ ৷শ্
(; ষ্ ; (,;

মোঃ শ্লো
১;৪এে
অর্থাৎ “প্রেমিকার কাছ দিয়ে অন্যান্য মহিলারা গমন করছিল ৷ প্রেমিকার চেহারা চৌদ্দ
তারিখের চন্দ্র সদৃশ, সে পাক পবিত্র ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন বস্ত্র পরিহিত৷ ৷ তার ধর্ম প্রতিপালনে
রয়েছে পুর্ণতা ৷৩ তার রয়েছে যথেষ্ট পবিত্রতা এবং সমুন্নত মান সম্মান ৷ প্রতিটি মন্দ কা জ থেকে
বিরত থাকার প্রেরণা রয়েছে তার মধ্যে ৷ সে শুভ্র বসন পরিহিত৷ লজ্জা ৷শীলাদের অন্তর্ভুক্ত , তার

স্বচ্ছতায় কোন সন্দেহের অবকাশ নেই ৷ কোন করি তার আল্লাহ ভীতির ব্যাপারে বিমর্ষবােধ
করে না ৷

সালিম তাকে বললেন, “উত্তম বলেছ, আরো একটু বল” তখন তিনি আরো গা ইলেন ং

শ্ : ষ্ ষ্ শ্শ্
ঢুন্ ;ন্শ্৷ ৷


رَوَى عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرٍ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَتَخَتَّمُ فِي الْيَمِينِ» . وَرَوَى عَنْ أَبَانِ بْنِ عُثْمَانِ، وَسَالِمٍ، وَعِكْرِمَةَ. وَكَانَ ظَرِيفًا مَاجِنًا يُحِبُّهُ أَهْلُ زَمَانِهِ لِخَلَاعَتِهِ وَطَمَعِهِ، وَكَانَ يُجِيدُ الْغِنَاءَ. وَقَدْ وَفَدَ عَلَى الْوَلِيدِ بْنِ يَزِيدَ دِمَشْقَ. فَتَرْجَمَهُ ابْنُ عَسَاكِرَ بِتَرْجَمَةٍ فِيهَا أَشْيَاءُ مُضْحِكَةٌ، وَأَسْنَدَ عَنْهُ حَدِيثِينَ. وَرُوِيَ عَنْهُ أَنَّهُ سُئِلَ يَوْمًا أَنْ يُحَدِّثَ فَقَالَ: حَدَّثَنِي عِكْرِمَةُ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «خَصْلَتَانِ مَنْ عَمِلَ بِهِمَا دَخَلَ الْجَنَّةَ» ثُمَّ سَكَتَ، فَقِيلَ لَهُ: وَمَا هُمَا؟ فَقَالَ: نَسِيَ عِكْرِمَةُ الْوَاحِدَةَ، وَنَسِيتُ أَنَا الْأُخْرَى. وَكَانَ سَالِمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ يَسْتَخِفُّهُ وَيَسْتَخْلِيهِ، وَيَضْحَكُ مِنْهُ، وَيَأْخُذُهُ مَعَهُ إِلَى الْغَابَةِ، وَكَذَلِكَ كَانَ غَيْرُهُ مِنْ أَكَابِرِ النَّاسِ. وَقَالَ الشَّافِعِيُّ: عَبَثَ الْوُلْدَانُ يَوْمًا بِأَشْعَبَ، فَقَالَ: إِنَّ هَاهُنَا أُنَاسًا يُفَرِّقُونَ الْجَوْزَ. فَتَسَارَعُوا إِلَى ذَلِكَ، فَلَمَّا رَآهُمْ مُسْرِعِينَ قَالَ: لَعَلَّهُ حَقٌّ. فَتَبِعَهُمْ.
পৃষ্ঠা - ৮০৪৮
وَقَالَ لَهُ بَعْضُهُمْ: مَا بَلَغَ مِنْ طَمَعِكَ؟ فَقَالَ. مَا زُفَّتْ عَرُوسٌ بِالْمَدِينَةِ إِلَّا رَجَوْتُ أَنْ تُزَفَّ إِلَيَّ فَكَسَحْتُ دَارِي وَنَظَّفَتْ ثِيَابِي. وَاجْتَازَ يَوْمًا بِرَجُلٍ يَصْنَعُ طَبَقًا مِنْ قَشٍّ، فَقَالَ: زِدْ فِيهِ طَوْرًا أَوْ طَوْرَيْنِ لَعَلَّهُ يُهْدَى لَنَا فِيهِ يَوْمًا هَدِيَّةٌ. وَرَوَى الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ أَنَّ أَشْعَبَ غَنَّى يَوْمًا لِسَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ قَوْلَ بَعْضِ الشُّعَرَاءِ: مُغِيرِيَّةٌ كَالْبَدْرِ سُنَّةُ وَجْهِهَا ... مُطَهَّرَةُ الْأَثْوَابِ وَالدِّينُ وَافِرُ لَهَا حَسَبٌ زَاكٍ وَعِرْضٌ مُهَذَّبٌ ... وَعَنْ كُلِّ مَكْرُوهٍ مِنَ الْأَمْرِ زَاجِرُ مِنَ الْخَفِرَاتِ الْبِيضِ لَمْ تَلْقَ رِيبَةً ... وَلَمْ يَسْتَمِلْهَا عَنْ تُقَى اللَّهِ شَاعِرُ فَقَالَ لَهُ سَالِمٌ: أَحْسَنْتَ، زِدْنَا. فَغَنَّاهُ: أَلَمَّتْ بِنَا وَاللَّيْلُ دَاجٍ كَأَنَّهُ ... جَنَاحُ غُرَابٍ عَنْهُ قَدْ نَفَضَ الْقَطْرَا فَقُلْتُ أَعَطَّارٌ ثَوَى فِي رِحَالِنَا ... وَمَا حَمَلَتْ لَيْلَى سِوَى رِيحِهَا عِطْرًا فَقَالَ لَهُ: أَحْسَنْتَ، وَلَوْلَا أَنْ يَتَحَدَّثَ النَّاسُ لَأَجْزَلْتُ لَكَ الْجَائِزَةَ، وَإِنَّكَ مِنَ الْأَمْرِ بِمَكَانٍ. وَفِيهَا تُوُفِّيَ جَعْفَرُ بْنُ بُرْقَانَ، وَالْحَكَمُ بْنُ أَبَانٍ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ
পৃষ্ঠা - ৮০৪৯



অর্থাৎ “ প্রেমিকা আমাদের কাছে আগমন করেছে আর অন্ধকার রাত যেন কাকের পালক যা
বৃষ্টির ফৌটা বোড়ে ফেলেছে, তখন আমি বললাম, মনে হয় যেন কোন আতর বিক্রেত৷ আমাদের
আস্তানায় অবস্থান করছে, তার সুগন্ধি ব্যতীত এ রাতে আমি অন্য কোন সুগন্ধির খবরই রাখি
না ৷” তিনি তাকে বললেন, তুমি উত্তম বলেছ ৷ জনগণ যদি বলাবলি না করত তাহলে আমি
তোমাকে পুরস্কার প্রদান করতাম ৷ আর তুমি আরো একটি উচ্চ আসান অধিষ্ঠিত হতে ৷

এ বছর যারা ইনতিকাল করেন ভীদের কয়েকজন হলেন ও জাফর ইবন বারকান ; হাকাম
ইবন আবান ও আবদুর রহমান ইবন যায়দ ইবন জাবির ; কুবরাহ্ ইবন খালিদ, কিরাআত
বিশেষজ্ঞদের অন্যতম আবুআমর ইবনুল আলা ৷ র্তার উপনামই র্তার নাম ৷ আবার কেউ কেউ
বলেন, তীর নাম রাইয়ান ৷ প্রথমটিই বিশুদ্ধ ৷

’ তীর পুর্ণ নাম ছিল আবুআমর ইবনুল আলা ইবন আমার ইবনুল উরইয়ান ইবন আবদুল্লাহ্

ইবনুল হুসায়ন আত-তামীমী আল-মাযিনী আল-বসরী ৷ কেউ কেউ বলেণ্ , তার বংশধারা
অন্যরুপ ৷ তিনি ফিকাহ্ , মাছ ও কিরাআত শাস্তে নিজ যুগের বড় পণ্ডিত ব্যক্তি ছিলেন ৷ তিনি
বস্বীয়িান বাস্তবধর্মী আলিমদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন ৷ কথিত আছে যে, তিনি আরবী ভাষায় লিখিত
কিতাব দিয়ে ঘর ভরে ফেলেছিলেন ৷ এরপর তিনি আল্লাহ্র ইবহ্দত ও বন্দেপীতে মগ্ন হন এবং
এগুলোর সব কিছু জ্বালিয়ে দেন ৷ এরপর তিনি পুৰ্বাবন্থহ্বয় ফিরে আসেন ৷ আরবী ভাষায় লিখিত
গ্রন্থাদি যা কিছু মুখস্থু ছিল তা ব্যতীত তার কাছে কিছুই অবশিষ্ট রইল না ৷ আর জাহিলী যুগের
আরব মনীষীদের অনেকের সাথে তিনি সাক্ষাৎ করেছিলেন ৷ হাসান বসরীর যুগেও র্তার পরের
যুগে তিনি ছিলেন অগ্রগামী ৷ আরবী ভাষায় তীর গ্রহণীয় ব্যাখ্যার মধ্যে একটি হল গর্ভস্থু বাচ্চাদের
ক্ষেত্রে ;প্রু৷ ৷ শব্দটির তাফসীর ৷ এ শব্দটির গ্রহণীয় অর্থ হল সুভ্র শিশুটি বালক হোক কিংবা
বালিকা ৷ এ অর্থটি রাসুলুল্লাহ্ খুসা) এর বাণী থেকে সংগৃহীত ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন ; হু ,ছু
হুঠুৰু ,৷ ;; যদি যে কোন বালক কিংবা বালিকা উদ্দেশ্য হত তাহলে ও >£; বলে বিশেষিত করা
ইত না ৷ ৰুঠুটু অর্থ শুভ্রতাই ৷ ইবন খাল্লিকান বলেন, এ তাফসীরটি অভিনব বা একক বর্ণনা ৷
মুজাহিদ (র) বলেন, ইমামদের মাঝে কারো কথার সাথে এ তাফসীরের কোন সামঞ্জস্য আছে
বলে আমার জানা নেই ৷ তীর থেকে উল্লেখ রয়েছে যে, যখন রমাযান মাস শুরু হত তখন তিনি
মাস শেষ না হওয়া পর্যন্ত কবিতা আবৃত্তি করতেন না ৷ তিনি কুরআন তিলাওয়াত করতেন এবং
প্রতিদিন নতুন নতুন পানপাত্র ও তাজা পুদিনা পাতা (সুগন্ধি) খরিদ করতেন ৷ আল;আসমাঈ প্রায়
দশ বছর তীর সাহচর্যে ছিলেন ৷

এ বছরই তিনি ইনতিকাল করেন ৷ কেউ কেউ বলেন, তিনি একশ ছাপ্পান্ন হিজরীতে
ইনতিকাল করেন ৷ আবার কেউ কেউ বলেন, তিনি একশ উনষাট হিজরীতে ইনতিকাল করেন ৷
আল্লাহ্ সম্যক অবগত ৷ তিনি প্রায় নব্বই বছর জীবিত ছিলেন ৷ আবার কেউ কেউ বলেন, তিনি
নব্বই বছর অতিক্রম করেছিলেন ৷ সিরিয়ায় তার কবর অবস্থিত ৷ কেউ কেউ বলেন, কুফায় তার
কবর অবস্থিত ৷ আল্লাহ্ সম্যক অবগত ৷

সালিহ্ ইবন আলী ইবন আবদুল্লাহ্ ইবন আব্বাস-এর জীবনীতে ইবন আসাকির তার পিতা
থেকে, তিনি তীর দাদা আবদুল্লাহ্ ইবন আব্বাস থেকে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেন ৷


يَزِيدَ بْنِ جَابِرٍ، وَقُرَّةُ بْنُ خَالِدٍ، وَأَبُو عَمْرِو بْنُ الْعَلَاءِ، أَحَدُ أَئِمَّةِ الْقُرَّاءِ، وَاسْمُهُ كُنْيَتُهُ، وَقِيلَ: اسْمُهُ زَبَّانُ. وَالصَّحِيحُ الْأَوَّلُ. وَهُوَ أَبُو عَمْرِو بْنُ الْعَلَاءِ بْنِ عَمَّارِ بْنِ الْعُرْيَانِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحُصَيْنِ التَّمِيمِيُّ الْمَازِنِيُّ الْبَصَرِيُّ، وَقِيلَ غَيْرُ ذَلِكَ فِي نَسَبِهِ، كَانَ عَلَّامَةَ زَمَانِهِ فِي اللُّغَةِ وَالنَّحْوِ وَعِلْمِ الْقُرْآنِ، وَمِنْ كِبَارِ الْعُلَمَاءِ الْعَامِلِينَ، يُقَالُ: إِنَّهُ كَتَبَ مِلْءَ بَيْتٍ مِنْ كَلَامِ الْعَرَبِ، ثُمَّ تَزَهَّدَ، فَأَحْرَقَهُ ثُمَّ رَاجَعَ الْأَمْرَ الْأَوَّلَ، فَلَمْ يَكُنْ عِنْدَهُ سِوَى مَا كَانَ يَحْفَظُهُ مِنْ كَلَامِ الْعَرَبِ، وَكَانَ قَدْ لَقِيَ خَلْقًا مِنْ أَعْرَابِ الْجَاهِلِيَّةِ، وَكَانَ مُقَدَّمًا أَيَّامَ الْحَسَنِ الْبَصْرِيِّ وَبَعْدَهُ. وَمِنِ اخْتِيَارَاتِهِ الْغَرِيبَةِ قَوْلُهُ فِي تَفْسِيرِ الْغُرَّةِ فِي الْجَنِينِ: إِنَّهَا لَا يُقْبَلُ فِيهَا إِلَّا أَبْيَضُ غُلَامًا كَانَ أَوْ جَارِيَةً. وَفَهِمَ ذَلِكَ مِنْ قَوْلِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ: «غُرَّةٌ عَبْدٌ أَوْ أَمَةٌ» قَالَ: وَلَوْ أُرِيدَ أَيُّ عَبْدٍ كَانَ أَوْ جَارِيَةٍ لَمَا قَيَّدَهُ بِالْغُرَّةِ، وَإِنَّمَا الْغُرَّةُ الْبَيَاضُ. قَالَ الْقَاضِي ابْنُ خِلِّكَانَ: وَهَذَا غَرِيبٌ، وَلَا أَعْلَمُ هَلْ يُوَافِقُ قَوْلَ أَحَدٍ مِنَ الْأَئِمَّةِ الْمُجْتَهِدِينَ أَمْ لَا.
পৃষ্ঠা - ৮০৫০
وَذَكَرُوا أَنَّهُ كَانَ إِذَا دَخَلَ شَهْرُ رَمَضَانَ لَا يُنْشِدُ فِيهِ بَيْتًا مِنَ الشِّعْرِ حَتَّى يَنْسَلِخَ، وَأَنَّهُ كَانَ يَشْتَرِي لَهُ كُلَّ يَوْمٍ كُوزًا جَدِيدًا وَرَيْحَانًا طَرِيًّا، وَقَدْ صَحِبَهُ الْأَصْمَعِيُّ نَحْوًا مِنْ عَشْرِ سِنِينَ. كَانَتْ وَفَاتُهُ فِي هَذِهِ السَّنَةِ، وَقِيلَ: فِي سَنَةِ سِتٍّ وَخَمْسِينَ. وَقِيلَ: سَبْعٍ وَخَمْسِينَ وَمِائَةٍ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَبْرُهُ بِالشَّامِ. وَقِيلَ: بِالْكُوفَةِ. وَقَدْ قَارَبَ التِّسْعِينَ، وَقِيلَ: إِنَّهُ جَاوَزَهَا. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ رَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ فِي تَرْجَمَةِ صَالِحِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْعَبَّاسِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، مَرْفُوعًا: «لَأَنْ يُرَبِّي أَحَدُكُمْ بَعْدَ أَرْبَعٍ وَخَمْسِينَ وَمِائَةٍ جِرْوَ كَلْبٍ خَيْرٌ لَهُ مِنْ أَنْ يُرَبِّيَ وَلَدًا لِصُلْبِهِ» . وَهَذَا مُنْكَرٌ جِدًّا، وَفِي إِسْنَادِهِ نَظَرٌ. ذَكَرَهُ مِنْ فَوَائِدِ تَمَّامٍ، عَنْ خَيْثَمَةَ بْنِ سُلَيْمَانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَوْفٍ الْحِمْصِيِّ، عَنْ أَبِي الْمُغِيرَةِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ السِّمْطِ، عَنْ صَالِحٍ، بِهِ. وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ السِّمْطِ هَذَا لَا أَعْرِفُهُ، وَقَدْ ذَكَرَهُ شَيْخُنَا الْحَافِظُ الذَّهَبِيُّ فِي كِتَابِهِ " الْمِيزَانِ "، وَقَالَ: رَوَى عَنْ صَالِحِ بْنِ عَلِيٍّ حَدِيثًا مَوْضُوعًا.