ثم دخلت سنة إحدى وخمسين ومائة
পৃষ্ঠা - ৮০৩৭
আল-বিদায়া ওয়াননিহায়া ১৯৩
আবদুল্লাহ ইবন মুবারক (র) বলেন, যদি আল্লাহ্ তা জানা আমাদেরকে আবু হানীফাও
সুফিয়ান ছাওরী দ্বারা সহায়তা না করতেন তাহলে আমরাও অন্য সব লোকের ন্যায় অকর্মণ্য হয়ে ন্
যেতাম ৷
ইমাম শাফিঈ (র) বলেন, আমি এমন একটি লোক সম্বন্ধে আমার অভিমত পেশ করছি যদি
তিনি এ স্তম্ভটিার্ণে পরিণত করার জন্য কারো সাথে কথা বলেন, তাহলে তিনি তার দলীল
অবশ্যই উপস্থাপন করতে পারবেন ৷ ইমাম শাফিঈ (র) আরো বলেন, যিনি ফিকাহ শা স্ত্র শিখতে
ইচ্ছা করেন তিনি আবুহানীফা(র) এর পরিবারের লোক ৷ যিনি সীরাত শাস্ত্র শি খতে ইচ্ছা করেন
তিনি মুহাম্মাদ ইবন ইসহাকের পরিবারের লোক, যিনি হাদীস শাস্ত্র শিখতে ইচ্ছা করেন তিনি
ইমাম মালিক (র) এর পরিবারের লোক, যিনিতাফসীরা শাস্ত্র শিখতে ইচ্ছা করেন তিনি মুকাতাতিল
ইবন সুলায়মানের পরিবারের সদস্য ৷
আবদুল্লাহ ইবন দাউদ আল-হারীরী বলেন, মানুষের উচিত তাদের জন্য আবুহানীফার ফিকাহ
ও হাদীসেব হিফাযত করা ও তাদের সালাতের মধ্যে আবুহানীফার জন্য দু আ করা ৷ সুফিয়ান
ছাওরী (র) ও ইবনুল মুবা রক (র) বলেন, আবু হানীফা (র)ত তার যুগে দুনিয়া র সবচেয়ে বড় ফকীহ্
ছিলেন ৷ আবু নুআয়ম (র) বলেন, আবু হানীফা (র) ছিলেন মাসআ লাসমুহের সাগরের ডুবুরী ৷
মাকী ইবন ইব্রাহীম (র) বলেন, আবুহানীফা (র) ছিলেন দুনিয়ার সবচেয়ে বড় শিক্ষিত ৷
আল-খতীব (র) নিজ সনদে আসাদ ইবন আমর (র) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আবু
হানীফা (র) রাতে সালাত আদায় করতেন এবং সমস্ত রাতে কুরআন পাঠ করতেন ৷ সালাতে
এমন ক ন্নাকাটি করতেন যে প্ৰতিবেশীরা তার উপর দয়া দেখাতেন ৷ তিনি চল্লিশ বছর ইশার
সালাতের ওঘু দিয়ে ফজরের সালাত আদায় করেন ৷ যে জায়গায় তিনি ইনতিকাল করেন সেখানে
তিনি সত্তর হাজারবার কুরআন খতম করেন ৷ একশ পঞ্চাশ হিজরীর রজব মাসে তিনি ইনতিকাল
করেন ৷ ইবন মুঈন (র) বলেন, একশ একান্ন হিজরীতে আবার অন্যরা বলেন, একশ তিপ্পান্ন
হিজরীতে তিনি ইনতিকাল করেন ৷ প্রথম মত ৩টি সঠিক ৷ তবে জন্ম ছিল আশি হিজরীতে ৷ তার
বয়স হয়েছিল পুর্ণ সত্তর বছর ৷ বাগদাদে তার সালাতে জানায়া অত্যন্ত ভিড়ের কারণে ছয়বার পড়া
হয় ৷ আর সেখানে তিনি সমাহিত হন ৷ আল্লাহ তা“ জানা তার উপর রহমত ৩নাযিল করুন ৷
১৫১ হিজরীর আগমন
এ বছর মানসুর উমর ইবন হাফসকে সিন্ধু থেকে বরখাস্ত করেন এবং হিশাম ইবন আমর
আত-তাগিলিবীকে সেখানে নিযুক্ত করেন ৷ সেখান থেকে তাকে বরখাস্ত করার কারণ হল :
মুহাম্মাদ ইবন আবদুল্লাহ ইবন হাসান যখন আত্মপ্রকাশ করেন তার পুত্র আবদুল্লাহ্কে
আল-আশতা র উপাধি দিয়ে সিন্ধুতে উমর ইবন হাফস-এর কাছে প্রেরণ করেন ৷ত তার সাথে ছিল
একদল লোক, হাদিয়া, ঘোড়া ও গোলাম ৷ হাফ্স ইবন উমর এগুলো গ্রহণ করেন ৷ তখন
আবদুল্লাহ উমরকে তার পিতা মুহাম্মাদ ইবন আবদুল্লাহ ইবন হাসানের প্ৰতি গোপনে দাওয়াত
দিলেন ৷ তিনি তাদের দাওয়াতে সাড়া দেন এবং সাদা পোশাক পবি ধ ন করেন ৷ মদীনায় মুহাম্মাদ
ইবন আবদৃল্লাহ্র নিহত হওয়ার খবর পৌছলে তারা লজ্জিত হন এবং আবদুল্লাহ ইবন মুহাম্মাদের
কহ্বভ্রুছ ওমর পেশ করতে লাগলেন ৷ পতন আবদুল্লাহ বললেন, আমি নিজকে নিয়ে আশ ংষ্কায়
অ্যাং-বিদায়া ওহ্ন্ান্ নিস্ায়া ৷ ১ ৫ ম খধ্ ণ্শ্ন্ ৫
[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ إِحْدَى وَخَمْسِينَ وَمِائَةٍ]
[الْأَحْدَاثُ الَّتِي وَقَعَتْ فِيهَا]
فِيهَا عَزَلَ الْخَلِيفَةُ الْمَنْصُورُ عُمَرَ بْنَ حَفْصٍ عَنِ السِّنْدِ، وَوَلَّى عَلَيْهَا هِشَامَ بْنَ عَمْرٍو التَّغْلِبِيَّ، وَكَانَ سَبَبَ عَزْلِهِ عُمَرَ بْنَ حَفْصٍ عَنْ السِّنْدِ أَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَسَنٍ لَمَّا ظَهَرَ كَانَ بَعَثَ ابْنَهُ عَبْدَ اللَّهِ الْمُلَقَّبَ بِالْأَشْتَرِ وَمَعَهُ جَمَاعَةٌ بِهَدِيَّةٍ; خُيُولٍ عِتَاقٍ إِلَى عُمَرَ بْنِ حَفْصٍ بِالسِّنْدِ، فَقَبِلَهَا، فَدَعَوْهُ إِلَى دَعْوَةِ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَسَنٍ فِي السِّرِّ، فَأَجَابَهُمْ إِلَى ذَلِكَ وَبَايَعَ لَهُ مَنِ اسْتَطَاعَ مِنَ الْأُمَرَاءِ سِرًّا، فَأَجَابُوا إِلَى ذَلِكَ أَيْضًا، وَلَبِسُوا الْبَيَاضَ. فَلَمَّا جَاءَ الْخَبَرُ بِمَقْتَلِ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَسَنٍ بِالْمَدِينَةِ أُسْقِطَ فِي يَدِ عُمَرَ بْنِ حَفْصٍ وَأَصْحَابِهِ، وَأَخَذَ فِي الِاعْتِذَارِ إِلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدٍ، فَقَالَ لَهُ عَبْدُ اللَّهِ: إِنِّي أَخْشَى عَلَى نَفْسِي. فَقَالَ: إِنِّي سَأَبْعَثُكَ إِلَى مَلِكٍ مِنَ الْمُشْرِكِينَ فِي جِوَارِ أَرْضِنَا، وَإِنَّهُ مِنْ أَشَدِّ النَّاسِ تَعْظِيمًا لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَإِنَّهُ مَتَى عَرَفَكَ أَنَّكَ مِنْ سُلَالَتِهِ أَحَبَّكَ. فَأَجَابَهُ إِلَى ذَلِكَ، وَصَارَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ إِلَى ذَلِكَ الْمَلِكِ، فَكَانَ عِنْدَهُ آمِنًا، وَصَارَ عَبْدُ اللَّهِ يَرْكَبُ فِي مَوْكِبٍ مِنَ النَّاسِ، وَيَتَصَيَّدُ فِي جَحْفَلٍ مِنَ الْجُنُودِ، وَانْضَمَّ إِلَيْهِ وَوَفَدَ عَلَيْهِ طَوَائِفُ مِنَ الزَّيْدِيَّةِ.
وَأَمَّا الْمَنْصُورُ فَإِنَّهُ بَعَثَ يَعْتِبُ عَلَى عُمَرَ بْنِ حَفْصِ نَائِبِ السِّنْدِ، فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْأُمَرَاءِ: ابْعَثْنِي إِلَيْهِ، وَاجْعَلِ الْقَضِيَّةَ مُسْنَدَةً إِلَيَّ، فَإِنِّي سَأَعْتَذِرُ إِلَيْهِ مِنْ ذَلِكَ،
পৃষ্ঠা - ৮০৩৮
فَإِنْ سَلِمْتُ وَإِلَّا كُنْتُ فِدَاءَكَ وَفِدَاءَ مَنْ عِنْدَكَ مِنَ الْأُمَرَاءِ. فَأَرْسَلَهُ سَفِيرًا فِي الْقَضِيَّةِ، فَلَمَّا وَقَفَ بَيْنَ يَدَيِ الْخَلِيفَةِ أَمَرَ بِضَرْبِ عُنُقِهِ، وَكَتَبَ إِلَى عُمَرَ بْنِ حَفْصٍ بِعَزْلِهِ عَنِ السَّنَدِ، وَوَلَّاهُ بِلَادَ إِفْرِيقِيَّةَ عِوَضًا عَنْ أَمِيرِهَا. وَلَمَّا وَجَّهَ الْمَنْصُورُ هِشَامَ بْنَ عَمْرٍو إِلَى السِّنْدِ أَمَرَهُ أَنْ يَجْتَهِدَ فِي تَحْصِيلِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدٍ، فَجَعَلَ يَتَوَانَى فِي ذَلِكَ، فَبَعَثَ إِلَيْهِ الْمَنْصُورُ يَسْتَحِثُّهُ فِي ذَلِكَ، ثُمَّ اتَّفَقَ أَنَّ سَفَنَّجًا أَخَا هِشَامِ بْنِ عَمْرٍو لَقِيَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مُحَمَّدٍ فِي بَعْضِ الْأَمَاكِنِ، فَاقْتَتَلُوا فَقُتِلَ عَبْدُ اللَّهِ وَأَصْحَابُهُ جَمِيعًا، وَاشْتَبَهَ عَلَيْهِمْ مَكَانُهُ فِي الْقَتْلَى، فَلَمْ يَقْدِرُوا عَلَيْهِ. فَكَتَبَ هِشَامُ بْنُ عَمْرٍو إِلَى الْمَنْصُورِ يُعْلِمُهُ بِقَتْلِهِ، فَبَعَثَ يَشْكُرُهُ عَلَى ذَلِكَ وَيَأْمُرُهُ بِقِتَالِ الْمَلِكِ الَّذِي آوَاهُ، وَيُعْلِمُهُ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ كَانَ قَدْ تَسَرَّى بِجَارِيَةٍ هُنَالِكَ، وَأَوْلَدَهَا وَلَدًا أَسْمَاهُ مُحَمَّدًا، فَإِذَا ظَفِرْتَ بِالْمَلِكِ فَاحْتَفِظْ بِالْغُلَامِ. فَنَهَضَ هِشَامُ بْنُ عَمْرٍو إِلَى ذَلِكَ الْمَلِكِ، فَقَاتَلَهُ فَغَلَبَهُ وَقَهَرَهُ عَلَى بِلَادِهِ وَأَمْوَالِهِ وَحَوَاصِلِهِ، وَبَعَثَ بِالْفَتْحِ وَالْأَخْمَاسِ وَبِذَلِكَ الْغُلَامِ إِلَى الْمَنْصُورِ، فَفَرِحَ الْمَنْصُورُ بِذَلِكَ، وَبَعَثَ بِذَلِكَ الْغُلَامِ إِلَى الْمَدِينَةِ، وَكَتَبَ إِلَى نَائِبِهَا يُعْلِمُهُ بِصِحَّةِ نَسَبِهِ، وَيَأْمُرُهُ بِأَنْ يُلْحِقَهُ بِأَهْلِهِ يَكُونُ عِنْدَهُمْ لِئَلَّا يَضِيعَ نَسَبُهُ، فَهُوَ الَّذِي يُقَالُ لَهُ: أَبُو الْحَسَنِ ابْنُ الْأَشْتَرِ.
وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ قَدِمَ الْمَهْدِيُّ عَلَى أَبِيهِ مِنْ بِلَادِ خُرَاسَانَ، فَتَلَقَّاهُ أَبُوهُ وَالْأُمَرَاءُ وَالْأَكَابِرُ إِلَى أَثْنَاءِ الطَّرِيقِ، وَقَدِمَ نُوَّابُ الْبِلَادِ مِنَ الشَّامِ وَغَيْرِهَا لِلسَّلَامِ عَلَيْهِ وَتَهْنِئَتِهِ بِالسَّلَامَةِ وَالنَّصْرِ.
পৃষ্ঠা - ৮০৩৯
রয়েছি ৷ উমর বললেন, আমি তে ৷মাকে আমাদের প্রতিবেশী দেশে র ঘুশ ৷বিক৷ ব ৷দশা র নিকট প্রেরণ
করব ৷ তিনি রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে অত্যম্ভত তাযীম করেন ৷ আ র তিনি যখন তে তামাকে চিনবেন ও
জানতে পারবেন যে তুমি তার বংশের সন্তান, তখন তিনি তোমাকে তালবাসবেন ৷ তিনি তার
প্রস্তাবে সায় দিলেন এবং আবদুল্লাহ ইবন মুহাম্মাদ ঐ বাদশার কাছে চলে গেলেন ও তার কাছে
নিরাপদে বসবাস করতে লাগলেন ৷ আবদুল্লাহ যায়দীয়াদের সওয়ারীতে আরোহণ করতেন এবং
বিরাট সৈন্যদল নিয়ে শিকার করতে যেতেন ৷ জনগণ তার সাথে মিলিত হতেন এবং যায়দীয়াদের
বিভিন্ন দলও তার কাছে আসা যাওয়া করতেন ৷
অন্যদিকে মানসুর সিন্ধুর শাসক উমর ইবন হাফসকে তিরস্কার করেন ৷ তার কাছে লোক
প্রেরণ করেন ৷ আমীরদের একজন উমর ইবন হাফ্সকে বলেন, আমাকে মানসুরের কাছে প্রেরণ
করুন ৷ আ র ৷বিষয়টি আমার কাছে সমর্পণ করুন ৷ আমি এব্যাপারে তার কাছে ওযর পেশ করব ৷
যদি আমি নিরাপদে ফেরত আসিত তাহলে আপনি আমাকে দেখতে পাবেন ৷ আর যদি ফেরত না
আসিত তাহলে আমি আপনার ও আপনার কাছে যেসব আমীর রয়েছেনত তাদের জন্য আন্মোৎসর্গ
করলাম ৷ সুতরাৎত তিনি তাকে দুত হিসেবে মানসুরের কাছে প্রেরণ করেন যাতে বিষয়টি রফাদফা
হয়ে যায় ৷ দুতটি যখন মানসুরের সামনে দণ্ডায়মান হন, মানসুর তার গর্দান মেরে দেবার হুকুম
দেন ৷ আর মানসুর সিন্ধু থেকে বরখ৷ ৷স্ত করে উমর ইবন হাফসের নিকট একটি পত্র লিখেন এবং
আফ্রিকার শহরগুলোতে সেখানকার আমীরের পরিবর্তে তাকে নিয়োগ করেন ৷ মানসুর যখন
হিশ ৷৷ম ইবন আমরকে সিন্ধুর উদ্দেশে ৷৷ রওনা করেন তখন তাকে হুকুম দেন সে যেন আবদুল্লাহ
ইবন মুহাম্মাদকে ধরার জন্য প্ৰাণান্তকর চেষ্টা চালায় ৷ সে এব্যাপারে অক্লাস্ত প্রচেষ্টা চালাতে
লাগল ৷ মানসুর তাকে এ ব্যাপারে উৎসাহ দেবার জন্য তার কাছে লোক প্রেরণ করেন ৷ এরপর
ঘটনাচক্রে হিশাম ইবন আমরের ভাই সায়ফ কোন এক জায়গায় আবদুল্লাহ ইবন মুহাম্মাদের দেখা
পাই ৷ সাথীসহ তাদের দু’জনের মধ্যে যুদ্ধ বেধে যায় ৷ আবদুল্লাহ ও তার সকল সাথী নিহত হন ৷
তবে নিহত ব্যক্তিদের লাশের মধ্যে আবদুল্লা হ্র লাশ মিশে যায় ৷ তাই তারা তাকে সনাক্ত করতে
পারেনি ৷ হিশ ৷৷ম ইবন আমর, আবদুল্লাহ ইবন মুহাম্মাদের নিহত হবার স বাদ দিয়ে৷ ম৷ নসুরের
কাছে একটি পত্র লিখেন ৷ মানসুরও তার একাজের জন্য কৃতজ্ঞতা জ্ঞ ৷পনার্থে তার কাছে লোক
প্রেরণ করেন এবং সে বাদশাহ আবদুল্লাহ্কে আশ্রয় দিয়েছিলেন ৷ত তার ৷বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার আদেশ
দিলেন ৷ আর তাকে জ৷ ৷নিয়ে দিলেন আবদুল্লাহ সেখানে একত তরুণীকে বিবাহ ব্যভীত ত্রীরুপে
ব্যবহার করে ও একটি সন্তান জন্ম দেয় ৷ তার নাম রাখা হয় মুহাম্মাদ ৷ যখন তুমি বাদশা র উপর
জয়লাভ করবে তখন সন্তানটিকে নিজ হিফাযতে রাখবে ৷ হিশাম ইবন আমর তখন বাদশার
উদ্দেশ্যে ধাবমান হলেন এবং তার সাথে যুদ্ধ করলেন ও তাকে পরাজিত করলেন ৷ আর তার
শহর, সম্পদ ও উৎপাদিত বস্তসমুহ দখল করে নিলেন ৷ মানসুরের কাছে বিজয় সংবাদ,
এক পঞ্চমাৎশ গনীমত, সন্তান ও বাদশাকে প্রেরণ কারন ৷ এতে মানসুর খুব খুশী হন ৷
সন্তানটিকে মদীনায় প্রেরণ করেন এবং মদীনা ৷র প্রশাসককে একটি পত্র লিখে সন্তানঢির সঠিক
পরিচয় জা ৷নিয়ে দিলেন ৷ আর তাকে তার পরিবারের কাছে পৌছে দেওয়ার নির্দেশ দিলেন যাতে
তার ব ৎশধারা বিনষ্ট না হয় ৷ এ সন্তানটিকে পরবভীৰিত বলা হয় আবুল হাসান ইবন
আল আশতার ৷
[بِنَاءُ الرُّصَافَةِ]
قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ الْمُبَارَكَةِ شَرَعَ الْمَنْصُورُ فِي بِنَاءِ الرُّصَافَةِ لِابْنِهِ الْمَهْدِيِّ بَعْدَ مَقْدِمِهِ مِنْ خُرَاسَانَ، وَالرُّصَافَةُ فِي الْجَانِبِ الشَّرْقِيِّ مِنْ بَغْدَادَ، وَجَعَلَ لَهَا سُورًا وَخَنْدَقًا، وَعَمِلَ عِنْدَهَا مَيْدَانًا وَبُسْتَانًا، وَأَجْرَى إِلَيْهَا الْمَاءَ مِنْ نَهْرِ الْمَهْدِيِّ.
قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَفِيهَا جَدَّدَ الْمَنْصُورُ لِنَفْسِهِ الْبَيْعَةَ، وَلِوَلَدِهِ الْمَهْدِيِّ مِنْ بَعْدِهِ، وَلِعِيسَى بْنِ مُوسَى مِنْ بَعْدِهِمَا، وَجَاءَ الْأُمَرَاءُ وَالْخَوَاصُّ فَبَايَعُوا وَجَعَلُوا يُقَبِّلُونَ يَدَ الْمَنْصُورِ وَيَدَ ابْنِهِ الْمَهْدِيِّ، وَيَلْمَسُونَ يَدَ عِيسَى بْنِ مُوسَى، وَيُشِيرُونَ بِالتَّقْبِيلِ إِلَيْهَا وَلَا يُقَبِّلُونَهَا.
قَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَوَلَّى الْمَنْصُورُ مَعْنَ بْنَ زَائِدَةَ سِجِسْتَانَ.
وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِيهَا مُحَمَّدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ، وَهُوَ نَائِبُ مَكَّةَ وَالطَّائِفِ، وَعَلَى الْمَدِينَةِ الْحَسَنُ بْنُ زَيْدٍ، وَعَلَى الْكُوفَةِ مُحَمَّدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، وَعَلَى الْبَصْرَةِ جَابِرُ بْنُ تَوْبَةَ الْكِلَابِيُّ، وَعَلَى مِصْرَ يَزِيدُ بْنُ حَاتِمٍ. وَنَائِبُ خُرَاسَانَ
পৃষ্ঠা - ৮০৪০
حُمَيْدُ بْنُ قَحْطَبَةَ، وَنَائِبُ سِجْسْتَانَ مَعْنُ بْنُ زَائِدَةَ.
وَغَزَا الصَّائِفَةَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ عَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُحَمَّدٍ.
وَمِمَّنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ حَنْظَلَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَوْنٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ بْنِ يَسَارٍ، صَاحِبُ " السِّيرَةِ النَّبَوِيَّةِ " الَّتِي جَمَعَهَا فَجَعَلَهَا عِلْمًا يُهْتَدَى بِهِ، وَفَجْرًا يُسْتَجْلَى بِهِ، وَالنَّاسَ كُلُّهُمْ عِيَالٌ عَلَيْهِ فِي ذَلِكَ، كَمَا قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِدْرِيسَ الشَّافِعِيُّ وَغَيْرُهُ مِنْ أَئِمَّةِ الْإِسْلَامِ.