ثم دخلت سنة خمسين ومائة من الهجرة
পৃষ্ঠা - ৮০৩০
আল-জাওহারী একটি ঘটনা উল্লেখ করেন ৷ তিনি বলেন, একদিন ঈসা ইবন উমর গাধার উপর
থেকে নীচে পড়ে যান তখন লোকজন তার চতুর্দিকে জমায়েত হন ৷ তিনি বলেন, !ব্র; ন্হুট্রু৷ ৷ছু
ৰু দ্বু; ন্:ইব্র অর্থাৎ তােমাদের কী , ; ৷ ছুষ্টুওট্র , ৎ ;ষ্টু ; র্চু ;ব্লু৷ ণ্ভ্রুৰু ণ্ছুটুব্রাব্র; হল, তোমরা
আমার চতুর্দিকে জমায়েত হয়েছে যেমন তোমরা একজন পাগলের চতুদািক জমায়েত হয়েছ ৷
তোমরা আমার এখান থেকে সরে যাও ৷ ’ অন্য একজন বলেন, তার ছিল শ্বাস-কষ্টের রোগ ৷ এ
কারণে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে যায় ৷ লোকজন মনে করতে লাগল যে, তিনি মৃগী রোগপ্রস্ত ৷ তারা
তার সেবা করতে লাগল ও ঝাড়কুক করতে লাগল ৷ যখন তিনি চেতনা ফিরে পেলেন তখন
তিনি যা বলার তা বললেন ৷ কেউ কেউ বলেন, আমার মনে হয় যে, তিনি ফার্শী ভাষায় কথা
বলতেন ৷ ইবন খাল্লিকান উল্লেখ করেন তিনি আবু আমর ইবনুল আলার সাথী ছিলেন ৷ একদিন
ঈসা ইবন উমর আবুআমর ইবনুল আলাকে বললেন, আমি মাআদ ইবন আদনান থেকে অধিক
শুদ্ধ কথা বলি ৷ আবু আমর র্তাকে বললেন, তুমি নিম্নবর্ণিত কবিতাটি কেমন গড় ? :,’$াব্ল
প্লু অর্থাৎ “মইিলাগুলাে পর্দার খাতিরে
মুখণ্ডালাকে ঢেকে রাখত; আজকাল তারা দৃষ্টি নিক্ষেপকারীর জন্য তা প্রকাশ করে দিয়েছে ৷”
কিংবা গ্লু,ৰুা হবে ? তিনি বললেন, হা ;,;;; হবে ৷ আবুআমর বললেন, তুমি ভুল করেছ, যদি
;,:’£ বলতেন তাহলেও ভুল হত ৷ আবু আমর র্তাকে ভ্রাস্তিতে ফেলার ইচ্ছা করেছিলেন ৷ শুদ্ধ
হবে ট্রুণ্ ; ৷’াঠু থেকে, অর্থ হবে প্রকাশ করা কিংবাাড়ুঠু থেকে অর্থ হবে কোন কাজ
শুরু করা ৷
১৫০ হিজরীর প্রারস্ত্র
এ বছর উস্তাদ সীস নাযী একজন কাফির থুরাসানের শহরণ্ডালাতে বিদ্রোহ ঘোষণা করে ৷ সে
অধিকাৎশ বাসিন্দাদের প্রভাবিত করে ৷ তার সাথে প্রায় তিন লক্ষ লোক মিলিত হয় ৷ তারা
সেখানকার মুসলমানদের বহু লোককে হত্যা করে ৷ আর ঐসব শহরে যে সকল সৈন্য ছিল
তাদেরকে তারা পরাজিত করে ৷ আবার বহু লোককে তারা বন্দী করে ৷ তাদের কারণে এলাকাময়
ৰিশৃৎখলা ছড়িয়ে পড়ে এবং তাদের বিষয়টি প্রকট আকার ধারণ করে ৷ মানসুর খাযিম ইবন
খুযায়মাকে তার পুত্র মাহদীর কাছে প্রেরণ করেন যাতে সে তাকে এসব শহরে যুদ্ধ করার জন্য
সাহায্য করতে পারে এবং যেসব সৈন্য দ্বারা তার পুত্র তাদের মুকাবিলা করবে তাদের সাথে যোগ
দিতে পারে ৷ মাহদী তখন হাশিমী গোর্য-বীর্যে উদ্দীপ্ত হলেন এবং খাযিম ইবন খুযায়মাকে এসব
শহর ও সৈন্য দলের কর্তৃত্ব প্রদান করেন ৷ আর চল্লিশ হাজার সৈন্যসহ তাকে শত্রুর মুকাবিলায়
প্রেরণ করেন ৷ তিনি তাদের উদ্দেশ্যে রওনা হলেন এবং সেখানে পৌছে বিভিন্ন রকমের কৌশল
অবলম্বন করেন ও অতর্কিতে তাদের উপর হামলা করেছেন ৷ আর তরবারি ও তীর-ধনুকের
সাহায্যে তাদের মুকাবিলা করতে লাগলেন ৷ শত্রু পক্ষের সত্তর হাজার সৈন্য নিহত হয় ও তাদের
চৌদ্দ হাজার বন্দী হয় ৷ তাদের নেতা উন্তাদ সীস পলায়ন করে ও পাহাড়ে আশ্রয় নেয় ৷ খাযিম
পাহাড়ের নীচে আগমন করেন এবং সমস্ত কয়েদীকে হত্যা করেন ৷ বাকী সৈন্যদেরকে ঘেরাও
করে রাখেন ৷ তখন তারা কোন এক আমীরের আদেশ মান্য করার স্বীকৃতি ঘোষণা করে ৷ আমীর
[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ خَمْسِينَ وَمِائَةٍ مِنَ الْهِجْرَةِ]
[الْأَحْدَاثُ الَّتِي وَقَعَتْ فِيهَا]
فِيهَا خَرَجَ رَجُلٌ مِنَ الْكَفَرَةِ يُقَالُ لَهُ: أُسْتَاذِسِيسُ. فِي بِلَادِ خُرَاسَانَ، فَاسْتَحْوَذَ عَلَى أَكْثَرِهَا، وَالْتَفَّ مَعَهُ نَحْوُ ثَلَاثِمِائَةِ أَلْفٍ، وَقَتَلُوا مِنَ الْمُسْلِمِينَ هُنَالِكَ خَلْقًا كَثِيرًا، وَهَزَمُوا الْجُيُوشَ الَّتِي فِي تِلْكَ الْبِلَادِ، وَسَبَوْا خَلْقًا، وَاسْتَحْكَمَ الْفَسَادُ بِسَبَبِهِمْ، وَتَفَاقَمَ أَمْرُهُمْ، فَوَجَّهَ الْمَنْصُورُ خَازِمَ بْنَ خُزَيْمَةَ إِلَى ابْنِهِ الْمَهْدِيِّ لِيُوَلِّيَهُ حَرْبَ تِلْكَ الْبِلَادِ، وَيَضُمَّ إِلَيْهِ مِنَ الْأَجْنَادِ مَا يُقَاوِمُ أُولَئِكَ، فَنَهَضَ الْمَهْدِيُّ فِي ذَلِكَ نَهْضَةَ رَجُلٍ هَاشِمِيٍّ، وَجَمَعَ لِخَازِمِ بْنِ خُزَيْمَةَ الْإِمْرَةَ عَلَى تِلْكَ الْجُيُوشِ، وَبَعَثَهُ فِي نَحْوٍ مِنْ أَرْبَعِينَ أَلْفًا، فَسَارَ إِلَيْهِمْ، وَمَا زَالَ يُرَاوِغُهُمْ وَيُمَاكِرُهُمْ، وَيَعْمَلُ الْخَدِيعَةَ حَتَّى فَاجَأَهُمْ بِالْحَرْبِ، وَوَاجَهَهُمْ بِالضَّرْبِ، فَقَتَلَ مِنْهُمْ نَحْوًا مِنْ سَبْعِينَ أَلْفًا، وَأَسَرَ أَرْبَعَةَ عَشَرَ أَلْفًا، وَهَرَبَ مَلِكُهُمْ أُسَتَاذْسِيسُ، فَتَحَرَّزَ فِي جَبَلٍ، فَجَاءَ خَازِمٌ إِلَى تَحْتِ الْجَبَلِ، وَقَتَلَ أُولَئِكَ الْأَسَارَى كُلَّهُمْ; ضَرَبَ أَعْنَاقَهُمْ، وَلَمْ يَزَلْ يُحَاصِرُهُ حَتَّى نَزَلَ عَلَى حُكْمِ بَعْضِ الْأُمَرَاءِ، فَحَكَمَ أَنْ يُقَيَّدَ بِالْحَدِيدِ هُوَ وَأَهْلُ بَيْتِهِ، وَأَنْ يُعْتَقَ مَنْ مَعَهُ مِنَ الْأَجْنَادِ; وَكَانُوا ثَلَاثِينَ أَلْفًا، فَفَعَلَ خَازِمٌ ذَلِكَ كُلَّهُ، وَأَطْلَقَ لِكُلِّ وَاحِدٍ مِمَّنْ كَانَ مَعَ أُسْتَاذِسِيسَ ثَوْبَيْنِ، وَكَتَبَ بِمَا وَقَعَ مِنَ الْفَتْحِ إِلَى الْمَهْدِيِّ، فَكَتَبَ الْمَهْدِيُّ بِذَلِكَ إِلَى أَبِيهِ الْمَنْصُورِ.
وَفِيهَا عَزَلَ الْخَلِيفَةُ عَنْ إِمْرَةِ الْمَدِينَةِ جَعْفَرَ بْنَ سُلَيْمَانَ، وَوَلَّاهَا الْحَسَنَ بْنَ
পৃষ্ঠা - ৮০৩১
আদেশ করলেন যেন বিদ্রোহী নেতা ও তার পরিবারবর্পকে শিকল দ্বারা বন্দী করা হয় এবং তার
সাথে যেসব সৈন্য ছিল তাদেরকে মুক্ত করে দেয়৷ হয় ৷ তারা ছিল সং খ্যায় ত্রিশ হাজার ৷ খা যিম এ
সিদ্ধ৷ ৷ন্ত অনুযায়ী সমস্ত কর্মকাণ্ড সম্পাদন করেন ৷ উস্তাদ সীসের৷ স ৷থে যার বাতাছিল দের প্রত্যেককে
দুটো করে কাপড় দিয়ে ছেড়ে দেন ৷ তিনি বিজয়ের কথা জানিয়ে মাহদীর কাছে পত্র লিখেন ৷
মাহদী আবার এ ব্যাপারেত ৷র ৷পি৩ ৷ মানসুরের কাছে পত্র লিখেন ৷ এ বছরের খলীফ৷ মানসুর
জাফর ইবন সুলায়মানকে মদীনা ৷র শাসকের পদ থেকে বরখাস্ত করেন এবং হাসান ইবন যায়দ
ইবন হাসান ইবন হাসান ইবন আলী ইবন আবু৩ তালিবকে নিয়োগ দান করেন ৷ এ বছরে
লোকজনকে নিয়ে খলীফ৷ র চাচা আবদুস সামাদ ইবন আলী হজ্জব্রত পালন করেন ৷ এ বছরই
জাফর ইবন আমীরুল মু’মিনীন মানসুর ইনতিকাল করেন ৷ তাকে প্রথমত বাগদাদে অবস্থিত বনু
হাশিমের কবরস্থানে দাফন করা হয় ৷ এরপর অন্য জায়গায় তার লাশ স্থানান্তর করা হয় ৷ এ বছরে
হিজায়বাসীদের একজন ইমাম আবদুল মালিক ইবন আবদুল আযীয ইবন জুরায়জ ইনতিকাল
করেন ৷ কেউ কেউ বলেন, তিনিই প্রথম ব্যক্তি যিনি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর হাদীসগুলােকে একত্র
করেছেন ৷ এবছরে আরো র্ষারা ইনতিকাল করেন তারা হলেন : উছমান ইবন আল আসওয়াদ,
উমর ইবন মুহাম্মাদ ইবন যায়দ এবং হযরত ইমাম আবুহানীফা (র) ৷
ইমাম আবু হানীফা (র)এর জীবনী
ইমাম আবু হানীফা (র) এর নাম হল আন-নু মান ইবন ছা ৷বিত আত তায়মী আল ল-কুফী ৷
তিনি ইরাকের ফকীহ ছিলেন ৷ ইসলামের ইমামদের অন্যতম জ্ঞানী ও নেতৃস্থানীয় আলিমদের
একজন সদস্য এবং৩ তিনি ছিলেন বিভিন্ন মাযহাবের সেরা চার মাযহাবের চা র ৷ইমামের একজন ৷
তিনি৩ তাদের সকলের আগে ইনতিক৷ ৷ল করেন ৷ কেননা তিনি সাহাবীদের যুগ পেয়েছিলেন ৷৩ তিনি
জানান ইবন মালিক (রা) কে দেখেছেন ৷ কেউ কেউ বলেন, অন্যকেও দেখেছিলেন ৷ আবার
কেউ উল্লেখ করেন, তিনি৷ সা ভজন সাহ৷ ৷বী থেকে হা ৷দীস বর্ণনা করেছেন ৷
তিনি একদল৩ তাবিঈ থেকে হাদীছ বর্ণনা করেন ৷৩ তাদের মধ্যে প্রসিদ্ধ হলেন আল ল-হাকাম,
হ ৷ম্মাদ ইবন আবু সুলায়মান, সালাম৷ ইবন ফুহায়ল, আ ৷মির আশশ ৷৷ বী, ইকরামা, আ৩৷ , কা৩ ৷দ ৷,
আয-যুহরী, ইবন উমর (রা)-এর আযাদকৃত গোলাম নাফি , ইয়াহ্ইয়৷ ইবন সাঈদ আল-আনসারী,
আবুইসহাক আস-সাবীঈ ৷ তার থেকে একদল আলিম হাদীস বর্ণনা করেন ৷ তাদের মধ্যে প্রসিদ্ধ
হলেন : তার পুত্র হাম্মাদ, ইব্রাহীম ইবন তাহমান, ইসহাক ইবন ইউসুফ আল-আযরাক, কাষী
আসাদ ইবন আমর, আল-হাসান ইবন যিয়াদ আল-লুলুঈ, হামযা আয-যইিয়াত, দাউদ আত-তায়ী,
ঘুখার, আবদুর রায্যাক, আবুনুআয়ম, মুহাম্মাদ ইবন আল-হাসান আশ-শায়বানী, হশায়ম, ওয়াকী,
কাষী আবু ইউসুফ ৷
ইয়াহ্ইয়৷ ইবন মুঈন বলেন, তিনি ছিলেন ছিকা বা বিশ্বস্ত-নির্ভরযােগ্য ৷ তিনি ছিলেন
সত্যবাদীদের অন্তর্ভুক্ত ৷ তাকে কখনও মিথ্যার সাথে অপবাদ দেয়৷ হয়নি ৷ কা ৷যীর পেশা গ্রহণ না
করার ইবন হুবায়রা তাকে প্রহার করেন, তবুও৩ তিনি কাষী হতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করেন ৷
ইয়াহ্ইয়৷ ইবন সাঈদ তার কথাকে ফ৷ ৷তওয়া হিসেবে গ্রহণ করতেন ৷ ইয়াহ্ইয়৷ বলতেন আমরা
আল্লাহর প্রতি ভুল ধারণা করব না ৷ আবুহানীফার মতামত থেকে উত্তম মতামতের কথা আমরা
আর শুনিনি ৷ আমরা তার অধিকাংশ মতকেই গ্রহণ করেছি ৷
زَيْدِ بْنِ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ. وَفِيهَا حَجَّ بِالنَّاسِ عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ عَلِيٍّ عَمُّ الْخَلِيفَةِ.
وَتُوُفِّيَ فِيهَا جَعْفَرٌ ابْنُ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ أَبِي جَعْفَرٍ الْمَنْصُورِ، وَدُفِنَ لَيْلًا بِمَقَابِرِ بَنِي هَاشِمٍ مِنْ بَغْدَادَ. وَفِيهَا تُوُفِّيَ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ جُرَيْجٍ أَحَدُ أَئِمَّةِ أَهْلِ الْحِجَازِ، وَيُقَالُ: إِنَّهُ أَوَّلُ مَنْ جَمَعَ السُّنَنَ. وَعُثْمَانُ بْنُ الْأَسْوَدِ، وَعُمَرُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ زَيْدٍ.
[وَفَاةُ الْإِمَامِ أَبِي حَنِيفَةَ وَذِكْرُ تَرْجَمَتِهِ]
وَفِيهَا تُوُفِّيَ الْإِمَامُ أَبُو حَنِيفَةَ.
ذِكْرُ تَرْجَمَتِهِ
هُوَ الْإِمَامُ أَبُو حَنِيفَةَ، وَاسْمُهُ النُّعْمَانُ بْنُ ثَابِتٍ التَّيْمِيُّ، مَوْلَاهُمُ الْكُوفِيُّ،
পৃষ্ঠা - ৮০৩২
فَقِيهُ الْعِرَاقِ، وَأَحَدُ أَئِمَّةِ الْإِسْلَامِ، وَالسَّادَةِ الْأَعْلَامِ، وَأَحَدُ أَرْكَانِ الْعُلَمَاءِ، وَأَحَدُ الْأَئِمَّةِ الْأَرْبَعَةِ أَصْحَابِ الْمَذَاهِبِ الْمُتَّبَعَةِ، وَهُوَ أَقْدَمُهُمْ وَفَاةً; لِأَنَّهُ أَدْرَكَ عَصْرَ الصَّحَابَةِ، وَرَأَى أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، قِيلَ: وَغَيْرَهُ. وَذَكَرَ بَعْضُهُمْ أَنَّهُ رَوَى عَنْ سَبْعَةٍ مِنَ الصَّحَابَةِ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَهُمْ أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، وَجَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ أُنَيْسٍ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي أَوْفَى، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْحَارِثِ بْنِ جَزْءٍ الزُّبَيْدِيُّ، وَمَعْقِلُ بْنُ يَسَارٍ، وَوَاثِلَةُ بْنُ الْأَسْقَعِ، وَعَائِشَةُ بِنْتُ عَجْرَدٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ. وَقَدْ رُوِّينَا عَنْ أَبِي حَنِيفَةَ عَنْ هَؤُلَاءِ عِدَّةَ أَحَادِيثَ، فِي صِحَّتِهَا إِلَى أَبِي حَنِيفَةَ نَظَرٌ; فَإِنَّ فِي الْإِسْنَادِ إِلَيْهِ مَنْ لَا يُعْرَفُ، وَفِي مَتْنِ بَعْضِهَا نَكَارَةٌ شَدِيدَةٌ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَأَخْبَرَنَا شَيْخُنَا الرُّحْلَةُ أَبُو الْعَبَّاسِ الْحَجَّارُ، عَنِ الزُّبَيْدِيِّ، وَهُوَ الْحُسَيْنُ بْنُ الْمُبَارَكِ الْبَغْدَادِيُّ، عَنْ وَالِدِهِ، عَنْ أَبِي الْمَكَارِمِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ الْحُسَيْنِ الشِّعْرِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ مَنْصُورٍ، عَنِ الْخَطِيبِ أَبِي الْحَسَنِ عَلِيِّ بْنِ أَحْمَدَ، عَنِ الْقَاضِي أَبِي سَعِيدٍ صَاعِدِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِي مَالِكٍ نَصْرَوَيْهِ بْنِ أَحْمَدَ الْبَلْخِيِّ، عَنِ الْحُسَيْنِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ الْعِيَانِيِّ، عَنْ أَبِي الْحُسَيْنِ عَلِيٍّ بْنِ الْخَطِيبِ، عَنْ أَبِي الْحَصِرِ عَلِيِّ بْنِ بَدْرٍ عَنْ هِلَالِ بْنِ الْعَلَاءِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي حَنِيفَةَ، عَنْ أَنَسٍ مَرْفُوعًا: «مَنْ قَالَ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ. خَالِصًا مُخْلِصًا مِنْ قَلْبِهِ دَخَلَ الْجَنَّةَ، وَلَوْ تَوَكَّلْتُمْ عَلَى اللَّهِ حَقَّ تَوَكُّلِهِ لَرَزَقَكُمْ كَمَا يَرْزُقُ الطَّيْرَ; تَغْدُو خِمَاصًا وَتَعُودُ بِطَانًا» .
وَعَنْ جَابِرٍ: بَايَعْنَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى السَّمْعِ وَالطَّاعَةِ وَالنُّصْحِ لِكُلِّ مُسْلِمٍ
পৃষ্ঠা - ৮০৩৩
وَمُسْلِمَةٍ.
وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُنَيْسٍ مَرْفُوعًا: «رَأَيْتُ فِي عَارِضَتَيِ الْجَنَّةِ مَكْتُوبًا ثَلَاثَةُ أَسْطُرٍ بِالذَّهَبِ الْأَحْمَرِ، لَا بِمَاءِ الذَّهَبِ; السَّطْرُ الْأَوَّلُ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ. الثَّانِي: الْإِمَامُ ضَامِنٌ وَالْمُؤَذِّنُ مُؤْتَمَنٌ، فَأَرْشَدَ اللَّهُ الْأَئِمَّةَ وَغَفَرَ لِلْمُؤَذِّنِينَ. الثَّالِثُ: وَجَدْنَا مَا عَمِلْنَا، رَبِحْنَا مَا قَدَّمْنَا، خَسِرْنَا مَا خَلَّفْنَا، قَدِمْنَا عَلَى رَبٍّ غَفُورٍ» .
وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي أَوْفَى، سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «حُبُّكَ لِلشَّيْءِ يُعْمِي وَيُصِمُّ، وَالدَّالُّ عَلَى الْخَيْرِ كَفَاعِلِهِ، وَإِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ إِغَاثَةَ الْمَلْهُوفِ» . وَفِي لَفْظٍ: " اللَّهْفَانِ ".
وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ جَزْءٍ مَرْفُوعًا: «إِغَاثَةُ الْمَلْهُوفِ فَرْضٌ عَلَى كُلِّ مُسْلِمٍ، وَمَنْ تَفَقَّهَ فِي دِينِ اللَّهِ كَفَاهُ اللَّهُ هَمَّهُ، وَرَزَقَهُ مِنْ حَيْثُ لَا يَحْتَسِبُ» .
وَعَنْ مَعْقِلِ بْنِ يَسَارٍ مَرْفُوعًا: «عَلَامَةُ الْمُؤْمِنِ ثَلَاثٌ; إِذَا قَالَ صَدَقَ، وَإِذَا وَعَدَ وَفَى، وَإِذَا حَدَّثَ لَمْ يَخُنْ» .
وَعَنْ وَاثِلَةَ مَرْفُوعًا: «لَا يَظْنُنَّ أَحَدُكُمْ أَنَّهُ يَتَقَرَّبُ إِلَى اللَّهِ بِأَقْرَبَ مِنْ هَذِهِ الرَّكَعَاتِ» . يَعْنِي الصَّلَوَاتِ الْخَمْسَ.
وَعَنْ عَائِشَةَ بِنْتِ عَجْرَدٍ مَرْفُوعًا: «الْجَرَادُ أَكْثَرُ جُنُودِ اللَّهِ فِي الْأَرْضِ، لَا آكُلُهُ» .
وَرَوَى عَنْ جَمَاعَةٍ مِنَ التَّابِعِينَ مِنْهُمْ; الْحَكَمُ، وَحَمَّادُ بْنُ أَبِي سُلَيْمَانَ،
পৃষ্ঠা - ৮০৩৪
وَسَلَمَةُ بْنُ كُهَيْلٍ، وَعَامِرٌ الشَّعْبِيُّ، وَعِكْرِمَةُ، وَعَطَاءٌ، وَقَتَادَةُ، وَالزُّهْرِيُّ، وَنَافِعٌ مَوْلَى ابْنِ عُمَرَ، وَيَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْأَنْصَارِيُّ، وَأَبُو إِسْحَاقَ السَّبِيعِيُّ.
وَرَوَى عَنْهُ جَمَاعَةٌ مِنْهُمُ; ابْنُهُ حَمَّادٌ، وَإِبْرَاهِيمُ بْنُ طَهْمَانَ، وَإِسْحَاقُ بْنُ يُوسُفَ الْأَزْرَقُ، وَأَسَدُ بْنُ عَمْرٍو الْقَاضِي، وَالْحَسَنُ بْنُ زِيَادٍ اللُّؤْلُؤِيُّ، وَحَمْزَةُ الزَّيَّاتُ، وَدَاوُدُ الطَّائِيُّ، وَزُفَرُ، وَعَبْدُ الرَّزَّاقِ، وَأَبُو نُعَيْمٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْحَسَنِ الشَّيْبَانِيُّ، وَهُشَيْمٌ، وَوَكِيعٌ، وَأَبُو يُوسُفَ الْقَاضِي.
قَالَ يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ: كَانَ ثِقَةً، وَكَانَ مِنْ أَهْلِ الصِّدْقِ، وَلَمْ يُتَّهَمْ بِالْكَذِبِ، وَلَقَدْ ضَرَبَهُ ابْنُ هُبَيْرَةَ عَلَى الْقَضَاءِ فَأَبَى أَنْ يَكُونَ قَاضِيًا. قَالَ: وَقَدْ كَانَ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ يَخْتَارُ قَوْلَهُ فِي الْفَتْوَى، وَكَانَ يَحْيَى يَقُولُ: لَا نَكْذِبُ اللَّهَ، مَا سَمِعْنَا أَحْسَنَ مِنْ رَأْيِ أَبِي حَنِيفَةَ، وَقَدْ أَخَذَ بِأَكْثَرِ أَقْوَالِهِ.
وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ: لَوْلَا أَنَّ اللَّهَ أَغَاثَنِي بِأَبِي حَنِيفَةَ وَسُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ لَكُنْتُ كَسَائِرِ النَّاسِ.
وَقَالَ الشَّافِعِيُّ عَنْ مَالِكٍ: رَأَيْتُ رَجُلًا لَوْ كَلَّمَكَ فِي هَذِهِ السَّارِيَةِ أَنْ يَجْعَلَهَا ذَهَبًا لَقَامَ بِحُجَّتِهِ.
পৃষ্ঠা - ৮০৩৫
وَقَالَ الشَّافِعِيُّ: مَنْ أَرَادَ الْفِقْهَ فَهُوَ عِيَالٌ عَلَى أَبِي حَنِيفَةَ، وَمَنْ أَرَادَ السِّيرَةَ فَهُوَ عِيَالٌ عَلَى مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، وَمَنْ أَرَادَ الْحَدِيثَ فَهُوَ عِيَالٌ عَلَى مَالِكٍ، وَمَنْ أَرَادَ التَّفْسِيرَ فَهُوَ عِيَالٌ عَلَى مُقَاتِلِ بْنِ سُلَيْمَانَ.
وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دَاوُدَ الْخُرَيْبِيُّ: يَنْبَغِي لِلنَّاسِ أَنْ يَدْعُوا فِي صَلَاتِهِمْ لِأَبِي حَنِيفَةَ; لِحِفْظِهِ الْفِقْهَ وَالسُّنَنَ عَلَيْهِمْ.
وَقَالَ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ: كَانَ أَبُو حَنِيفَةَ أَفْقَهَ أَهْلِ الْأَرْضِ فِي زَمَانِهِ.
وَقَالَ أَبُو نُعَيْمٍ: كَانَ صَاحِبَ غَوْصٍ فِي الْمَسَائِلِ.
وَقَالَ مَكِّيُّ بْنُ إِبْرَاهِيمَ: كَانَ أَعْلَمَ أَهْلِ الْأَرْضِ.
وَرَوَى الْخَطِيبُ الْبَغْدَادِيُّ بِسَنَدِهِ عَنْ أَسَدِ بْنِ عَمْرٍو، أَنَّ أَبَا حَنِيفَةَ كَانَ يُصَلِّي فِي اللَّيْلِ، وَيَقْرَأُ الْقُرْآنَ فِي كُلِّ لَيْلَةٍ، وَيَبْكِي حَتَّى يَرْحَمَهُ جِيرَانُهُ، وَمَكَثَ أَرْبَعِينَ سَنَةً يُصَلِّي الصُّبْحَ بِوُضُوءِ الْعِشَاءِ، وَأَنَّهُ خَتَمَ الْقُرْآنَ فِي الْمَوْضِعِ الَّذِي تُوُفِّيَ فِيهِ سَبْعَةَ آلَافِ مَرَّةٍ، وَكَانَتْ وَفَاتُهُ فِي رَجَبٍ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ - أَعْنِي سَنَةَ
পৃষ্ঠা - ৮০৩৬
خَمْسِينَ وَمِائَةٍ - وَعَنِ ابْنِ مَعِينَ: سَنَةَ إِحْدَى وَخَمْسِينَ وَمِائَةٍ. وَقَالَ غَيْرُهُ: سَنَةَ ثَلَاثٍ وَخَمْسِينَ. وَالصَّحِيحُ الْأَوَّلُ.
وَكَانَ مَوْلِدُهُ فِي سَنَةِ ثَمَانِينَ، فَتَمَّ لَهُ مِنَ الْعُمْرِ سَبْعُونَ سَنَةً، وَصُلِّيَ عَلَيْهِ بِبَغْدَادَ سِتَّ مَرَّاتٍ; لِكَثْرَةِ الزِّحَامِ، وَقَبْرُهُ هُنَاكَ، رَحِمَهُ اللَّهُ.