আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة سبع وأربعين ومائة

পৃষ্ঠা - ৮০২২


সাতচল্লিশ হিজরীতে সুসম্পন্ন হয় ৷ খলীফ৷ মানসুর বাগদাদের পরিধি বৃদ্ধি ও নির্মাণকাজে সৌন্দর্য
বৃদ্ধি করতে থাকেন যতক্ষণ না তিনি আল-খুলদ নামী অট্টালিকার কাজ সমাপ্ত করেন ৷ তিনি ধারণা
করেন, তিনি সব সময় এ অট্টালিকায় বাস করতে পারবেন কিংবা অট্টালিকাটি সব সময় থাকবে ৷
সুতরাং এটা কোন সময় নষ্ট হয়ে না ৷ বাগদাদের নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হওয়ার পর তিনি মৃত্যুমুখে
পতিত হন ৷ আর বাগদাদও কয়েকবার ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় ৷ যার বর্ণনা পরে আসছে ৷

ইবন জারীর (র) বলেন, এবছরেই খলীফ৷ মানসুর সালাম ইবন কুতায়বাকে বসরা থেকে
বরখাস্ত করেন এবং তার স্থলে মুহাম্মাদ ইবন সুলায়মান ইবন আলীকে বসরার শাসক নিযুক্ত
করেন ৷ মানসুর সালামের কাছে পত্র লিখে ঐ সব লোকের ঘরবাড়ি ধ্বংস করার হুকুম
দিয়েছিলেন য়৷ ৷র৷ ইবরাহীম ইবন আবদুল্লাহ ইবন৷ হ ৷সানের হাতে বায়আত করে ছিলেন ৷ এ হুকুম
তামীল করতে সালাম ইবন কু৩ ৩ায়বা বিলম্ব করেছিল৩াই তিনি তাকে বরখাস্ত করেন এবং তার
স্থলে তা ৷র চাচাত ভাই মুহ ৷ম্মাদ ইবন সুলায়মানকে প্রেরণ করেন ৷ এরপর যে সেখানে বিশৃৎখলা
সৃষ্টি করে এবং বহু ঘরবাড়ি ধ্বংস করে দেয় ৷ খলীফ৷ মনসুর মদীনায় শাসকের পদ থেকে
আস-সারী ইবন আবদুল্লাহ্কে বরখাস্ত করেন এবং তার স্থলে আবদুস সামাদ ইবন আলীকে
নিয়োগ প্রদান করেন ৷
আল্লামা ওয়াকিদী ও অন্যরা বলেন, এ বছরেই আবদুল ওয়াহাব ইবন ইবরাহীম ইবন মুহাম্মাদ
ইবন আলী লোকজনকে নিয়ে হজ্জ আদায় করেন ৷ বর্ণনাকারী বলেন, এবছরেই জাফর ইবন
হানযাল৷ আল-বাহরানী রোমের শহরগুলােতে গ্রীষ্মকালীন যুদ্ধ পরিচালনা করেন ৷ এবছরেই
নিম্নবর্ণিত বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ইনতিকাল করেন ৷ আশআছ ইবন আবদুল মালিক, হিশাম ইবন
আস-সায়িব আল-কালবী, হিশাম ইবন উরওয়৷ এবং এক বর্ণনায় ইয়াযীদ ইবন আবু উবায়দ ৷

১৪ ৭ হিজরীর প্রারম্ভ

এ বছরেই আর্মেনিয়ার এক প্রান্তে তুর্কীদের একটি সেনাবাহিনী নিয়ে আশতার খান আল-
খাওয়ারিযমী লুন্ঠন কার্য পরিচালনা করে এবং তিফলীসে প্রবেশ করে তারা বহু লোককে হত্যা
করে এবং বহু মুসলিম ও যিন্নীদেরকে বন্দী করে ৷ ঐদিন হারা নিহত হয়েছিলেন তাদের মধ্যে
ছিলেন হারব ইবন অ ৷বদুল্লাহ্ আর-রাওয়ান্দি ৷ বাগদ৷ দের যুদ্ধ-কািহ ছিল তারই সাথে সম্পৃক্ত ৷
তিনি খারিজীদের মুক৷ ৷বিল৷ করার জন্য দুই হাজার সৈন্য নিংয় মাওসিলে অবস্থান নিয়েছিলেন ৷
এরপর খলীফ৷ মানসুর৩ তাকে আর্মেনিয়ার শহরগুলোতে মুসলমানদের সাহায্যের জন্য প্রেরণ
করেন ৷ তিনি ছিলেন জিবরা ঈল ইবন ইয়াহ্ইয়ার সৈন্যদলে ৷ জিবরা ঈল পরাজিত হন এবং হারব
(র) নিহত হন ৷

এ বছরই খলীফ৷ ৷মানসুরের চাচা আবদুল্লাহ ইবন আ লীনিহত হন ৷ তিনি বনু উম৷ ইয়৷ থেকে
সিরিয়া দখল করেছিলেন ৷ আস-সাফ্ফ৷ র মৃত্যু পর্যন্ত তিনি তথাকার শাসক ছিলেন ৷ আস-
সাফ্ফাহ্ যখন মারা যান তখন তিনি জনগণকে নিজের দিকে আহ্বান করেন ৷ তাকে দমন করার
জন্য আল-মানসুর আবুমুসলিম আল থুরাসানীকে প্রেরণ করেন ৷ আবু মুসলিম তাকে পরাজিত
করেন এবং আবদুল্লাহ্ তখন তার তা ৷ই বসরার শাসক সুলায়মান ইবন আলী এর কাছে পালিয়ে
যান ৷ তার কাছে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্যও তিনি লুকিয়ে থাকেন ৷ এরপর তার ব্যাপারটি


[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ سَبْعٍ وَأَرْبَعِينَ وَمِائَةٍ] فِيهَا أَغَارَ إِسْتَرْخَانَ الْخَوَارِزْمِيُّ فِي جَيْشٍ مِنَ الْأَتْرَاكِ عَلَى نَاحِيَةِ أَرْمِينِيَّةَ، فَدَخَلُوا تَفْلِيسَ، وَقَتَلُوا خَلْقًا، وَأَسَرُوا كَثِيرًا مِنَ الْمُسْلِمِينَ وَأَهْلِ الذِّمَّةِ، وَمِمَّنْ قُتِلَ يَوْمَئِذٍ حَرْبُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الرَّاوَنْدِيُّ الَّذِي تُنْسَبُ إِلَيْهِ الْحَرْبِيَّةُ بِبَغْدَادَ، وَكَانَ مُقِيمًا بِالْمَوْصِلِ فِي أَلْفَيْنِ لِمُقَابَلَةِ الْخَوَارِجِ، فَسَيَّرَهُ الْمَنْصُورُ لِمُسَاعِدَةِ الْمُسْلِمِينَ بِبِلَادِ أَرْمِينِيَّةَ، فَكَانَ فِي جَيْشِ جَبْرَئِيلَ بْنِ يَحْيَى، فَهُزِمَ جَبْرَئِيلُ، وَقُتِلَ حَرْبٌ، رَحِمَهُ اللَّهُ. وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ كَانَ مَهْلِكُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَلِيٍّ عَمِّ الْمَنْصُورِ، الَّذِي أَخَذَ الشَّامَ، مِنْ أَيْدِي بَنِي أُمَيَّةَ، ثُمَّ كَانَ عَلَيْهَا حَتَّى مَاتَ السَّفَّاحُ، فَدَعَا إِلَى نَفْسِهِ، فَبَعَثَ إِلَيْهِ الْمَنْصُورُ أَبَا مُسْلِمٍ الْخُرَاسَانِيَّ، فَهَزَمَهُ، وَهَرَبَ عَبْدُ اللَّهِ إِلَى عِنْدِ أَخِيهِ سُلَيْمَانَ بْنِ عَلِيٍّ بِالْبَصْرَةِ، فَاخْتَفَى عِنْدَهُ مُدَّةً، ثُمَّ ظَهَرَ الْمَنْصُورُ عَلَى أَمْرِهِ، فَاسْتَدْعَاهُ وَسَجَنَهُ، فَلَمَّا كَانَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ عَزَمَ الْمَنْصُورُ عَلَى الْحَجِّ، فَطَلَبَ ابْنَ عَمِّهِ عِيسَى بْنَ مُوسَى - وَكَانَ وَلِيَّ الْعَهْدِ مِنْ بَعْدِ الْمَنْصُورِ عَنْ وَصِيَّةِ السَّفَّاحِ - وَسَلَّمَ إِلَيْهِ عَمَّهُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَلِيٍّ، وَقَالَ لَهُ: إِنَّ هَذَا عَدُوِّي وَعَدُوُّكَ، فَاقْتُلْهُ فِي غَيْبَتِي عَنْكَ وَلَا تَتَوَانَ. وَسَارَ الْمَنْصُورُ إِلَى الْحَجِّ، وَجَعَلَ يَكْتُبُ إِلَيْهِ مِنَ الطَّرِيقِ يَسْتَحِثُّهُ فِي ذَلِكَ وَيَقُولُ لَهُ: مَاذَا صَنَعْتَ فِيمَا أَوْعَزْتُ إِلَيْكَ فِيهِ؟ مَرَّةً بَعْدَ مَرَّةٍ.
পৃষ্ঠা - ৮০২৩


আল-মানসুরের নিকট প্রকাশ হয়ে পড়ে ৷ তখন তিনি তাকে ডেকে পাঠ্য নি এবং তাকে কারাগারে
নিক্ষেপ করেন ৷ এ বছরটি আগমনের পর মানসুর হ্যজ্জ যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেন এবং তার
চাচা ঈস৷ ইবন মুসাকেত তলব করেন ৷ আর তিনি ছিলেন আস-সাফফাহ এর ওসিয়ত অনুযায়ী
আল-মানসুরের পরে যুবরাজ ৷ তিনি তার চাচা অ ৷বদুল্লাহ্ ইবন আলীকে তার কাছে সমর্থন করেন
এবং বলেন, এ ব্যক্তি তোমার ও আমার উভয়ের শত্রু ৷৩ তাই আমি যখন থাকব না৩ তাকে
আমার অনুপন্থিতিতে হত্যা করবে এবং এব্যাপারে বিলম্ব করবে না ৷ আল-মানসুর হক্কজ্জ্ব চলে
গেলেন এবং এ কাজে তাকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য রাস্তা থেকে তার কাছে পত্র লিখেন এবং তাকে
বলতে থাকেন তোমাকে যে দায়িত্ব দেয়৷ হয়েছে এ দ ৷য়িতু পালনে কতটুকু অগ্রসর হলে ৷ বারবার
তিনি এরুপ পত্র লিখতে লাগলেন ৷ এদিক দিয়ে ঈস৷ ইবন মুসা র কা ছে যখন তার৷ চ ৷চ৷ আবদুল্লাহ
ইবন আলীকে সমর্পণ করা হল তখন তার সম্বন্ধে তিনি তার পরিবারের কিছু সদস্যের সাথে
পরামর্শ করেন ৷ তখন তাদের মধ্যে য ৷রা ছিলেন বুদ্ধিমান তারা তাকে পরামর্শ দিলেন বুদ্ধিমত্তা
কাজ হল যেন তাকে হত্যা না করা হয় বরং তাকে তোমার কাছে জীবিত রেখে দাও ৷ আর অন্য
দিকে প্রকাশ কর যে৩ তাকে হত্যা করেছ ৷ কেননা আমাদের আশংকা হচ্ছে যে, তিনি
তোমার কাছে প্রকাশ্যভাবে তাকে তলব করবেন যখন তুমি বলবে আমি তাকে হত্যা করেছি ৷
তখন তিনি কিসাসের হুকুম দেবেন তুমি অবশ্য বলবে যে তিনি তোমাকে গোপনে হুকুম
দিয়েছেন যেন তুমি তাকে হত্যা কর ৷ আর যেহেতু এই তোমারও তার মধ্যে গোপন তথ্য,
কাজেই ৩মি তা প্রমাণ করতে পারবে না ৷ তখন তিনি তোমাকে তার কিসাসে হত্যা করবেন ৷
মানসুর তোমাকে এবং তাকে হত্যা করতে চায় তাহলে তিনি তোমাদের থেকে নিরাপত্তা ৷বােধ
করতে পারবেন ৷ এ পরামর্শ শোনার পর ঈসা ইবন মুসার মধ্যে পরিবর্ত্য৷ এসে গেল ৷ তিনি তার
চাচাকে লুকিয়ে রাখবেন এবং প্রকাশ করলেন যে তিনি তাকে হত্যা করেছেন ৷ মানসুর যখন হজ্জ
থেকে প্রত্যাবর্তন করলেন তখন তিনি তার চাচার পরিবারবর্গকে তার কাছে আগমন করে তার
চাচা আবদুল্লাহ ইবন আলী সম্বন্ধে সুপারিশ করার হুকুম দিলেন ৷ তারা এসে এব্যাপারে তাকে বার
বার অনুরোধ করতে লাগল ৷ তিনি তাদের আবেদন গ্রহণ করেন এবং ঈসা ইবন মুসাকে ডাকেন
ও তাকে বলেন, এরা আবদুল্লাহ ইবন আলী সম্পর্কে সুপারিশ নিয়ে এসেছে এবং আমি তাদের
সুপারিশ গ্রহণ করেছি ৷ সুতরাং তুমি তাকে তাদের নিকট সমর্পণ কর ৷ তখন ঈসা বললেন,
আবদুল্লাহ্ কোথায় ? তাকে তে৷ আমি হত্যা করেছি যখন ৩মি আমাকে এ কাজের হুকুম
দিয়েছিলে ৷ মানসুর বললেন, আমিতাে তোমাকে এ কাজের জন্য নির্দেশ দেইনি ৷ এভাবে তিনি
তা সম্পুর্ণ অস্বীকার করেন ৷ আর এ ব্যাপারে তিনি কো ন প্রকার পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে অস্বীকার
করেন ৷ মানসুর এ সম্পর্কে যে পত্রটি বার বার লিখেছিলেন তা ঈসা ৩পন্থাপন করেন ৷ মানসুর
তখন এ ব্যাপারে তার ইচ্ছা থাক কে অস্বীকা ৷র করেন এবং অস্বীকারের উপর দৃঢ় থাকেন ৷ আর
ঈসা ইবন মুসাও এ কথার উপর দৃঢ় থাকেন যে তিনি তাকে হত্যা করেছেন ৷ তখন আবদুল্লাহ্র
পরিবর্তে কিসাস হিসেবে ঈসা ইবনমুসাকে হত্যা করার জন্য মানসুর হুকুম জারি করেন ৷ বনু
হাশিম তাকে হত্যা করার জন্য তাকে নিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে আসলেন ৷ যখন তারা তরবারি
নিয়ে আসলেন খনত ঈস৷ ইবন মুসা৩ তাদেরকে বললেন, আমাকে তোমরা খলীফ৷ ৷র নিকট নিয়ে
চল ৷ তখন তারা তাকে খলীফার নিকট নিয়ে গেলেন ৷ ঈসা ইবন মুসা খলীফ৷ ৷কে বললেন,


وَأَمَّا عِيسَى بْنُ مُوسَى فَإِنَّهُ لَمَّا تَسَلَّمَ عَمَّهُ حَارَ فِي أَمْرِهِ، وَشَاوَرَ بَعْضَ أَهْلِهِ، فَأَشَارَ بَعْضُهُمْ مِمَّنْ لَهُ رَأْيٌ أَنَّ الْمُصْلِحَةَ تَقْتَضِي أَنْ لَا تَقْتُلَهُ وَأَخْفِهِ عِنْدَكَ، وَأَظْهِرْ قَتْلَهُ; فَإِنَّا نَخْشَى أَنْ يُطَالِبَكَ بِهِ جَهْرَةً، فَتَقُولَ: قَتَلْتُهُ. فَيَأْمُرُ بِالْقَوْدِ، فَتَدَّعِي أَنَّهُ أَمَرَكَ بِقَتْلِهِ فِي السِّرِّ، فَتَعْجِزُ عَنْ إِثْبَاتِ ذَلِكَ فَيَقْتُلُكَ بِهِ، وَإِنَّمَا يُرِيدُ الْمَنْصُورُ قَتْلَهُ وَقَتْلَكَ لِيَسْتَرِيحَ مِنْكُمَا مَعًا. فَتَبَصَّرَ عِيسَى بْنُ مُوسَى عِنْدَ ذَلِكَ، وَأَخْفَى عَمَّهُ، وَأَظْهَرَ أَنَّهُ قَتَلَهُ، فَلَمَّا رَجَعَ الْمَنْصُورُ مِنَ الْحَجِّ أَمَرَ أَهْلَهُ أَنْ يَدْخُلُوا عَلَيْهِ، وَيَشْفَعُوا فِي عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَلِيٍّ، فَجَاءُوا كُلُّهُمْ فَدَخَلُوا عَلَيْهِ، وَشَفَعُوا فِي عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَلِيٍّ وَأَلَحُّوا فِي ذَلِكَ، فَأَجَابَهُمْ إِلَيْهِ، وَاسْتَدْعَى عِيسَى بْنَ مُوسَى وَقَالَ لَهُ: إِنَّ هَؤُلَاءِ قَدْ شَفَعُوا عَلَيَّ فِي عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَلِيٍّ، وَقَدْ أَجَبْتُهُمْ إِلَى مَا طَلَبُوا، فَسَلِّمْهُ إِلَيْهِمْ. فَقَالَ عِيسَى: وَأَيْنَ عَبْدُ اللَّهِ؟ ذَاكَ قَتَلْتُهُ مُنْذُ أَمَرْتَنِي. فَقَالَ الْمَنْصُورُ: لَمْ آمُرْكَ بِذَلِكَ. وَجَحَدَ أَنْ يَكُونَ تَقَدَّمَ إِلَيْهِ مِنْهُ أَمْرٌ فِي ذَلِكَ، فَأَحْضَرَ عِيسَى الْكُتُبَ بِاسْتِحْثَاثِهِ فِي ذَلِكَ مَرَّةً بَعْدَ مَرَّةٍ، فَأَنْكَرَ أَنْ يَكُونَ أَرَادَ ذَلِكَ، وَصَمَّمَ عَلَى الْإِنْكَارِ، وَصَمَّمَ عِيسَى بْنُ مُوسَى أَنَّهُ قَدْ قَتَلَهُ، فَأَمَرَ الْمَنْصُورُ عِنْدَ ذَلِكَ بِقَتْلِهِ قِصَاصًا بِعَبْدِ اللَّهِ، فَخَرَجَ بِهِ بَنُو هَاشِمٍ لِيَقْتُلُوهُ، فَلَمَّا جَاءُوا بِالسَّيْفِ قَالَ: رَدُّونِي إِلَى الْخَلِيفَةِ. فَرَدُّوهُ إِلَيْهِ، فَقَالَ لَهُ: إِنَّ عَمَّكَ حَاضِرٌ، وَلَمْ أَقْتُلْهُ. فَقَالَ: هَلُمَّ بِهِ. فَأَحْضُرُهُ، فَسُقِطَ فِي يَدِ الْخَلِيفَةِ، وَأَمَرَ بِسَجْنِهِ فِي دَارٍ جُدْرَانُهَا مَبْنِيَّةٌ عَلَى مِلْحٍ، فَلَمَّا كَانَ مِنَ اللَّيْلِ أُرْسِلَ عَلَى جُدْرَانِهَا الْمَاءُ، فَسَقَطَ عَلَيْهِ الْبِنَاءُ، فَهَلَكَ، رَحِمَهُ اللَّهُ.
পৃষ্ঠা - ৮০২৪
ثُمَّ إِنَّ الْمَنْصُورَ خَلَعَ عِيسَى بْنَ مُوسَى عَنْ وِلَايَةِ الْعَهْدِ، وَقَدَّمَ عَلَيْهِ ابْنَهُ الْمَهْدِيَّ، فَكَانَ يُجْلِسُهُ فَوْقَ عِيسَى عَنْ يَمِينِهِ، ثُمَّ كَانَ بَعْدَ ذَلِكَ لَا يَلْتَفِتُ إِلَى عِيسَى بْنِ مُوسَى، وَيُهِينُهُ فِي الْإِذْنِ وَالْمَشُورَةِ وَالدُّخُولِ عَلَيْهِ وَالْخُرُوجِ مِنْ عِنْدِهِ، بَعْدَ مَا كَانَ حَظِيًّا عِنْدَهُ قَبْلَ ذَلِكَ جِدًّا، ثُمَّ مَا زَالَ يُقْصِيهِ وَيُبْعِدُهُ وَيَتَهَدَّدُهُ وَيَتَوَعَّدُهُ، حَتَّى خَلَعَ نَفْسَهُ بِنَفْسِهِ وَبَايَعَ لِمُحَمَّدٍ ابْنِ الْمَنْصُورِ، وَأَعْطَاهُ الْمَنْصُورُ عَلَى ذَلِكَ نَحْوًا مِنَ اثَّنَى عَشَرَ أَلْفَ أَلْفِ دِرْهَمٍ، وَانْصَلَحَ أَمْرُ عِيسَى بْنِ مُوسَى وَبَنِيهِ عِنْدَ الْمَنْصُورِ، وَأَقْبَلَ عَلَيْهِ بَعْدَمَا كَانَ قَدْ أَعْرَضَ عَنْهُ، وَكَانَ قَدْ جَرَتْ بَيْنَهُمَا مُكَاتَبَاتٌ كَثِيرَةٌ جِدًّا، وَمُرَاوِضَاتٌ فِي تَمْهِيدِ الْبَيْعَةِ لِابْنِهِ الْمَهْدِيِّ وَخَلْعِ عِيسَى نَفْسَهُ، وَأَنَّ الْعَامَّةَ لَا يَعْدِلُونَ بِالْمَهْدِيِّ أَحَدًا، وَكَذَلِكَ الْأُمَرَاءُ وَالْخَوَاصُّ، وَلَمْ يَزَلْ بِهِ حَتَّى أَجَابَ إِلَى ذَلِكَ مُكْرَهًا، فَعَوَّضَهُ عَنْ ذَلِكَ مَا ذَكَرْنَا، وَسَارَتْ بَيْعَةُ الْمَهْدِيِّ فِي الْآفَاقِ شَرْقًا وَغَرْبًا، وَبُعْدًا وَقُرْبًا، وَفَرِحَ الْمَنْصُورُ بِذَلِكَ فَرَحًا شَدِيدًا، وَاسْتَقَرَّتِ الْخِلَافَةُ فِي ذُرِّيَّتِهِ إِلَى زَمَانِنَا هَذَا، فَلَمْ يَكُنْ خَلِيفَةٌ مِنْ بَنِي الْعَبَّاسِ إِلَّا مِنْ سُلَالَتِهِ، ذَلِكَ تَقْدِيرُ الْعَزِيزِ الْعَلِيمِ. وَفِيهَا تُوُفِّيَ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ الْعُمَرِيُّ، وَهَاشِمُ بْنُ هَاشِمٍ، وَهِشَامُ بْنُ حَسَّانَ صَاحِبُ الْحَسَنِ الْبَصْرِيِّ.