আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة خمس وأربعين ومائة

পৃষ্ঠা - ৭৯৭১


“কুরায়শ বংশীয় নিখুত ফর্সড়া ব্যক্তিকে আমরা পেয়েছি যিনি হলেন রাসুলের এবং খলীফায়
অধস্তন যুবা পুরুষ ৷”



“সর্বদিক থেকে মর্যাদা আপনার কাছে এসেছে, আর আপনি ছিলেন মর্যাদা প্লাবণেয়’
মিলনন্থল ৷”

৷ শ্ ৷ শ্ — ৷ ’ ৷ ৷ শ্ শ্ ৷ ষ্ ৷ শ্ — ৷ ’

“আপনি ব্যতীত মর্যাদার বা মহত্বের কোন ঠাই নেই, আপনি ব্যতীত তার কোন আশ্রয়
নেই ৷ ”

শ্শ্শ্শ্শ্


“আপনার পশ্চাতে সে তার সন্ধানে ঘুরে বেড়ায় না আর না যে আপনার কোন বিকল্প গ্রহণে
সম্মত ৷”

১৪ ৫ হিজরীয় সুচনা

এবছর যে সকল উল্লেখযোগ্য ঘটনা সংঘটিত হয় ত ৷র অন্যতম হল পবিত্র মদীনায় মুহাম্মাদ
ইবন আবদুল্লাহ ইবন হাসানের এবং বসরায় তা রে ভাই ইবরাহীম ইবন আবদুল্লাহ্ব বিদ্রোহ ৷
অচিরেই আমরা এর বিবরণ তুলে ধরছি ৷

খলীফ৷ আবু জা ফর মানসুর হলো ৷নী পরিবারের সদস্যদের পুর্বোল্লিখিতভাবে পবিত্র মদীনা
থেকে ইরাকে স্থানান্তরিত করার পরপরই মুহাম্মাদ ইবন আবদুল্লাহ ইবন হাসান বিদ্রোহ করেন ৷
এসময় মানসুয় এদেরকে এমন কয়েদখানায় বন্দী করেন যেখানে তারা কোন আযান শুনতে
পেতেন না এবং যিকির ও তিলাওয়াতেয় মাধ্যম ছাড়া নামায়ের সময় বুঝতে পারতেন না ৷

তাদের অধিকাংশ প্রবীণগণ এই কয়েদখানাতেই ইনতিকাল করেন ৷ আল্লাহ তাদেরকে য়হম
করুন ৷ এসব ঘটনা যখন ঘটছিল তখন মুহাম্মদ ইবন আবদুল্লাহ্ পবিত্র মদীনায় আত্মগােপন
করেছিলেন ৷ এমনকি কখনও কখনও তিনি কোন কোন কুপে নেমে মাথা ব্যতীত গোটা শরীর
পানিতে নিমজ্জিত করে রাখা তন ৷ তিনি তা রে ভাই ইবরাহীমের সাথে একটি সময় নির্ধারণ করে
রেখেছিলেন যে সময়ে তিনি পবিত্র মদীনায় এবং৩ তার ভাই ইবরাহীম বসরায় আত্মপ্রকাশ
করবেন ৷ এদিকে পবিত্র মদীনাবাসী এ অন্যান্য লোকেরা মুহাম্মদ ইবন আবদুল্পাহ্কে
আত্মগােপনেয় কারণে এবং আত্মপ্রকাশ না করার কারণে তিয়স্কায় করতে থাকেন ৷ অবশেষে তিনি
বিদ্রোহের সৎকল্প চুড়ান্ত করেন ৷ কেননা, তিনি আত্মগােপনের কঠোরত৷ এবং পবিত্র মদীনায়
গভর্নর রিয়াহ-এর রাতদিনেয় সার্বক্ষণিক গুপ্তচর নিয়ােগে কোণঠাসা হয়ে পড়েন ৷ এরপর যখন
অবস্থার আরও অবনতি ঘটে তখন তিনি নির্ধারিত একরাত্রে বিদ্রো ৷হেয় ব্যাপারে তার সমর্থকদেয়
থেকে প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করেন ৷ এরপর সেই নির্ধারিত রাত আসলে জনৈক গুপ্তচর এসে পবিত্র
মদীনায় গভর্নয়কে বিষয়টি অবহিত করে ৷ তখন সে ভীষণ বিচলিত ও উৎকষ্ঠিত হয়ে পড়ে ৷
এরপর সে তার সিপাহীদল পরিবেষ্টিত হয়ে পবিত্র মদীনায় চতৃর্দিকে টহল দেয় এবং মায়ওয়ানের


[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ خَمْسٍ وَأَرْبَعِينَ وَمِائَةٍ] [الْأَحْدَاثُ الَّتِي وَقَعَتْ فِيهَا] فَمِمَّا كَانَ فِيهَا مِنَ الْأَحْدَاثِ مَخْرَجُ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَسَنٍ بِالْمَدِينَةِ وَأَخِيهِ إِبْرَاهِيمَ بِالْبَصْرَةِ، عَلَى مَا سَنُبَيِّنُهُ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى. أَمَّا مُحَمَّدٌ فَإِنَّهُ خَرَجَ عَلَى إِثْرِ ذَهَابِ أَبِي جَعْفَرٍ الْمَنْصُورِ بِبَنِي حَسَنٍ مِنَ الْمَدِينَةِ إِلَى الْعِرَاقِ عَلَى الصِّفَةِ وَالنَّعْتِ الَّذِي تَقَدَّمَ ذِكْرُهُ، وَسَجَنَهُمْ فِي مَكَانٍ سَاءَ مُسْتَقَرًّا وَمُقَامًا، لَا يَسْمَعُونَ فِيهِ التَّأْذِينَ وَلَا يَعْرِفُونَ دُخُولَ أَوْقَاتِ الصَّلَوَاتِ إِلَّا بِالْأَذْكَارِ وَالتِّلَاوَاتِ. وَقَدْ مَاتَ أَكْثَرُ أَكَابِرِهِمْ هُنَالِكَ، رَحِمَهُمُ اللَّهُ. هَذَا كُلُّهُ وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَسَنٍ مُخْتَفٍ بِالْمَدِينَةِ، حَتَّى إِنَّهُ فِي بَعْضِ الْأَحْيَانِ اخْتَفَى فِي بِئْرٍ; نَزَلَ فِيهَا فَلَمْ يَبْقَ مِنْهُ سِوَى رَأْسِهِ، وَبَاقِيهِ مَغْمُورٌ بِالْمَاءِ، وَقَدْ تَوَاعَدَ هُوَ وَأَخُوهُ وَقْتًا مُعَيَّنًا يَظْهَرَانِ فِيهِ، هَذَا بِالْمَدِينَةِ وَإِبْرَاهِيمُ بِالْبَصْرَةِ، وَلَمْ يَزَلِ النَّاسُ مِنْ أَهْلِ الْمَدِينَةِ يُؤَنِّبُونَ مُحَمَّدَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ فِي اخْتِفَائِهِ وَعَدَمِ ظُهُورِهِ حَتَّى عَزَمَ عَلَى الْخُرُوجِ، وَذَلِكَ لَمَّا أَضَرَّ بِهِ شِدَّةُ الِاخْتِفَاءِ مِنْ كَثْرَةِ إِلْحَاحِ رِيَاحٍ نَائِبِ الْمَدِينَةِ فِي طَلَبِهِ لَيْلًا وَنَهَارًا، فَلَمَّا اشْتَدَّ الْأَمْرُ وَضَاقَ الْحَالُ، وَاعَدَ مُحَمَّدٌ أَصْحَابَهُ عَلَى الظُّهُورِ فِي اللَّيْلَةِ الْفُلَانِيَّةِ، فَلَمَّا كَانَتْ تِلْكَ اللَّيْلَةُ جَاءَ بَعْضُ الْوُشَاةِ إِلَى مُتَوَلِّي الْمَدِينَةِ فَأَعْلَمَهُ بِذَلِكَ فَضَاقَ ذَرْعًا بِذَلِكَ وَانْزَعَجَ انْزِعَاجًا شَدِيدًا، وَرَكِبَ فِي جَحَافِلَ، فَطَافَ الْمَدِينَةَ وَحَوْلَهَا لِيَسْتَعْلِمَ مَكَانَ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَسَنٍ
পৃষ্ঠা - ৭৯৭২


বাড়ির’ চারপাশে ঘুরে আসে ৷ আর এসময় আবদুল্লাহ ইবন হাসান ও তার সমর্থকরা সেখানে
সমবেত ছিলেন ৷ কিন্তু সে তাদের সম্পর্কে কিছু আচ করতে পারেনি ৷ এরপর সে গৃহে ফিরে
হুসাইন ইবন আলী পরিবারের সদস্যদের ডেকে পাঠায় এবং তাদের সাথে কুরায়শ ও অন্যান্য
গোত্রের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের সমবেত করে ৷ প্রথমে তাদেরকে উপদেশ দেয় ৷ তারপর ভর্চুসনা
করে বলে, হে পবিত্র মদীনাবাসী ! খলীফা এই ব্যক্তিকে পৃথিবীর আনাচে-কানাচে খুজে ফিরছেন,
অথচ সে তোমাদের মাঝে অবস্থান করছে ৷ এতটুকু করেই তোমরা ক্ষান্ত হওনি ৷ এমনকি
তোমরা তার হাতে আনুগত্যের বায়আত করেছ ৷ আল্লাহর কসম৷ তোমাদের কেউ যদি তার
সাথে বিদ্রোহ করেছ বলে আমার কাছে সংবাদ পৌছে তাহলে আমি তার গর্দস্বন উড়িয়ে দেব ৷
তখন সেখানে উপস্থিত ব্যক্তিগণ তাদের কাছে এ সম্পর্কিত কোন কোন তথ্য বা অবপতি থাকার
কথা অস্বীকার করেন ৷ এরপর তারা গিয়ে একদল সশস্ত্র লোক নিয়ে উপস্থিত হন এবং তাদেরকে
তার সাক্ষাতে প্রবেশ করানোর অনুমতি প্রার্থনা করেন ৷ কিন্তু সে তখন বলে, তাদের সে অনুমতি
নেই, আমার আশক্ষে৷ এটা কোন কৌশল হতে পারে ৷ তখন এই সশস্ত্র ব্যক্তিরা তার গৃহদ্বারে
বসে থাকে ৷ এরপর ঐ সকল ব্যক্তি আমীরের চারপাশে বসে থাকে আর আমীর নিজেও বিষগ্ন ও
প্রায় নির্বাক অবস্থায় বসে থাকে ৷ এমনকি রাতের একপ্রহর অতিবাহিত হয় ৷ এরপর অকম্মাৎ
মুহাম্মদ ইবন আবদুল্লাহ ও তার সমর্থকগণ উভৈচ্চ:স্বরে তাকবীর ধ্বনি দিয়ে আত্মপ্রকাশ করেন ৷
তখন রাতের অন্ধকারে লোকজন আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে এবং কেউ কেউ আমীরকে পরামর্শ দেয়
হুসাইনীদের গর্দড়ান উড়িয়ে দিতে ৷ তখন তাদেরই একজন বলেন, কিসের ভিত্তিতে আমাদেরকে
হত্যা করা হবে ৷ আমরা তো খলীফার আনুগত্য স্বীকার করেই নিয়েছি ৷ এদিকে উদ্ভুত পরিস্থিতি
তাদের ব্যাপারে আমীরকে উদাসীন করে দেয় ৷ তখন তারা এই সুযোগে দ্রুত উঠে পড়েন এবং
বাড়ির দেওয়ান টপকে সেখানকার এক আস্তাকুড়ে লাফিয়ে পড়েন ৷

এদিকে মুহাম্মাদ ইবন আবদুল্লাহ ইবন হাসান অড়োইশো সমর্থক যোদ্ধা নিয়ে আঃসর হন ৷
প্রথমে তিনি পথিমধ্যে জেলখড়ানার কয়েদিদের মুক্ত করেন এরপর গভর্নর গৃহে অবরোধ করেন ৷
এরপর তিনি তাতে প্রবেশ করে আমীর রিয়াহ ইবন উছমানকে আটক করেন এবং তাকে
মারওয়ড়ানের গৃহে বন্দী করেন ৷ তার সাথে তিনি ইবন মুসলিম ইবন উক্বাকেও বন্দী করেন ৷ এই
ব্যক্তিই এই রাত্রের প্রথমাংশে হুসাইনীদের হত্যার পরামর্শ দেয় ৷ কিন্তু, তারা রক্ষা পান আর সে
বন্দী হয় ৷ এদিকে পরদিন প্রভাতে মুহাম্মাদ ইবন আবদুল্লাহ ইবন হাসান পবিত্র মদীনায় কর্তৃত্ব গ্রহণ
করেন এবং তার অধিবাসীরা তাকে মেনে নেয় ৷ এ দিন তিনি ফজরের নামায়ে ইমামতি করেন
এবং তাতে সুরা ফাত্হ ৷ যা পবিত্র মক্কা বিজয়ের সুসংবাদ
সম্বলিত তিলাওয়াত করেন ৷ আর এটা ছিল এ বছরের রৰুজব মাসের প্রথম রাত্রি বা তারিখ ৷
এদিন মুহাম্মাদ ইবন আবদুল্লাহ পবিত্র মদীনাবাসীর উদ্দেশ্যে খুৎবা প্রদান করেন ৷ ১ তিনি
আব্বাসীদের ব্যাপারে কথা বলেন এবং তাদের সমালোচনাযােগ্য একাধিক বিষয় উল্লেখ করেন ৷
তিনি পবিত্র মদীনাবাসীকে অবহিত করেন যে, যে শহরেই তিনি অবস্থান করেছেন সেখানকার
অধিবাসীরা তার আনুপত্যের বায়আত করেছে ৷ তখন সামান্য সংখ্যক ব্যতীত পবিত্র মদীনাবাসী
সকলেই তার হাতে বায়আত করে ৷

১ এই থুৎবার ভাষ্য ইবনুল আহীর (৫খ৪ ৫৩১ পৃ) এবং তারীথুত্-তাবারীতে (৯খঃ ২০৪ ২০৫ পৃ)এ বিদ্যমান
অক্ষুলবিদশ্বয়ষ্ক ওয়শৃন নিৰ্হায়ত্ত্ব (১০ম মোঃত্ন্দ্রচীম্ভখিম্রা-০ওেড়াড়া



فَأَعْيَاهُ ذَلِكَ، وَقَدْ مَرَّ فِي رُجُوعِهِ عَلَى دَارِ مَرْوَانَ وَهُمْ بِهَا مُجْتَمِعُونَ، فَلَمْ يَشْعُرْ بِهِمْ، فَلَمَّا رَجَعَ إِلَى مَنْزِلِهِ بَعَثَ إِلَى بَنِي حُسَيْنِ بْنِ عَلِيٍّ، فَجَمَعَهُمْ وَمَعَهُمْ رُءُوسٌ مِنْ سَادَاتِ قُرَيْشٍ وَغَيْرِهِمْ، فَوَعَظَهُمْ وَأَنَّبَهُمْ، وَقَالَ: يَا مَعْشَرَ أَهْلِ الْمَدِينَةِ، أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ يَتَطَلَّبُ هَذَا الرَّجُلَ فِي الْمَشَارِقِ وَالْمَغَارِبِ، وَهُوَ بَيْنَ أَظْهُرِكُمْ، ثُمَّ مَا كَفَاكُمْ كِتْمَانُهُ حَتَّى بَايَعْتُمُوهُ عَلَى السَّمْعِ وَالطَّاعَةِ؟ وَاللَّهِ لَا يَبْلُغُنِي عَنْ أَحَدٍ مِنْكُمْ أَنَّهُ خَرَجَ مَعَهُ إِلَّا ضَرَبْتُ عُنُقَهُ. فَأَنْكَرَ الَّذِينَ هُمْ هُنَالِكَ أَنْ يَكُونَ عِنْدَهُمْ عِلْمٌ أَوْ شُعُورٌ بِشَيْءٍ مِمَّا وَقَعَ مِمَّا يَقُولُهُ، وَقَالُوا: نَحْنُ نَأْتِيكَ بِرِجَالٍ مُتَسَلِّحِينَ يُقَاتِلُونَ دُونَكَ إِنْ وَقَعَ شَيْءٌ مِنْ ذَلِكَ. وَنَهَضُوا فَجَاءُوهُ بِجَمَاعَةٍ مُتَسَلِّحِينَ، فَاسْتَأْذَنُوهُ فِي دُخُولِهِمْ عَلَيْهِ، فَقَالَ: لَا إِذَنْ لَهُمْ، إِنِّي أَخْشَى أَنْ يَكُونَ ذَلِكَ خَدِيعَةً. فَجَلَسَ أُولَئِكَ عَلَى الْبَابِ، وَمَكَثَ النَّاسُ جُلُوسًا حَوْلَ الْأَمِيرِ وَهُوَ وَاجِمٌ لَا يَتَكَلَّمُ إِلَّا قَلِيلًا، حَتَّى ذَهَبَتْ طَائِفَةٌ مِنَ اللَّيْلِ، ثُمَّ مَا فُجِئَ النَّاسُ إِلَّا وَأَصْحَابُ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَدْ ظَهَرُوا وَأَعْلَنُوا بِالتَّكْبِيرِ، فَانْزَعَجَ النَّاسُ فِي جَوْفِ اللَّيْلِ، وَأَشَارَ بَعْضُ الْحَاضِرِينَ عَلَى الْأَمِيرِ بِضَرْبِ أَعْنَاقِ بَنِي الْحُسَيْنِ، فَقَالَ أَحَدُهُمْ: عَلَامَ وَنَحْنُ مُقِرُّونَ بِالسَّمْعِ وَالطَّاعَةِ؟ وَاشْتَغَلَ الْأَمِيرُ عَنْهُمْ بِمَا فَجَأَهُ مِنَ الْأَمْرِ، فَاغْتَنَمُوا الْغَفْلَةَ، وَنَهَضُوا سِرَاعًا فَتَسَوَّرُوا جِدَارَ الدَّارِ، وَأَلْقَوْا أَنْفُسَهُمْ عَلَى كُنَاسَةٍ هُنَالِكَ. وَأَقْبَلَ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَسَنٍ فِي مِائَتَيْنِ وَخَمْسِينَ فَارِسًا، فَأَقْبَلَ بِمَنْ مَعَهُ، فَمَرَّ بِالسِّجْنِ فَأَخْرَجَ مَنْ فِيهِ، وَجَاءَ دَارَ الْإِمَارَةِ، فَحَاصَرَهَا فَافْتَتَحَهَا، وَأَمْسَكَ عَلَى رِيَاحِ بْنِ عُثْمَانَ نَائِبِ الْمَدِينَةِ فَسَجَنَهُ فِي دَارِ مَرْوَانَ، وَسَجَنَ مَعَهُ
পৃষ্ঠা - ৭৯৭৩


ইবন জারীর ইমাম মালিক থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি (মাসিক) এসময় মুহাম্মাদ ইবন
আবদুল্লাহ্র বায়আতের সপক্ষে ফাত্ওয়৷ প্রদান করেন ৷ তাকে বলা হয়ে, আমাদের র্কাধে তাে
মানসুরের বায়আতের দায়বদ্ধতা রয়েছে ৷ তিনি বলেন, তোমরা তো বা ধ্য ছিলে আর বাধ্যকৃতের
কোন বায়আত নেই ৷ তখন ইমাম মালিকের সিদ্ধান্তে লোকজন তার কাছে বায়আত করে ৷
এসময় ইমাম মালিক তার গৃহে অবস্থান গ্রহণ করেন ৷ মুহাম্মাদ ইবন আবদুল্লাহ ইবন হাসান যখন
ইসমাঈল ইবন আবদুল্লাহ ইবন জাফরকে তার বায়আতে আহ্বান করেন ৷ তখন তিনি তাকে
বলেন, তা ৷তিজা ! তোমাকে তো হত্যা করা হবে ৷ তখন কোন কোন লোক তার বায়আত থেকে
নিবৃত্ত থাকে ৷ তবে তাদের অধিকা শ তার সমর্থনে অবিচল থাকে ৷ এসময় মুহাম্মাদ, উছমান
ইবন মুহাম্মাদ ইবন খালিদ ইবনুয ষুবায়রকে পবিত্র মদীনায় নাযির বা প্রশাসক নিয়োগ করেন ৷
আর আবদুল আযীয ইবন মুত্তালিব ইবন আবদুল্লাহ আল-মাখয়ুমীকে বিচারকের দায়িতৃ , উছমান
ইবন আবদুল্লাহ১ ইবন উমর ইবনুল খাত্তাবকে সিপাহী প্রধানের দায়িত্ব এবং আবদুল্লাহ ইবন
জাফর ইবন আবদুল্লাহ ইবন মিসওয়ার ইবন মাখরামাকে ২ ভাতা প্রদানের তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ
করেন ৷ এসময় তিনি আল-মাহদী’ উপাধি গ্রহণ করেন এই প্রত্যাশায় যে তিনি হয়তবা হাদীসের
উল্লেখিত সেই মাহদী’ কিন্তু তা হয়নি এবং তার এই প্রত্যাশার পুরণ হয়নি ৷ ইন্নালিল্লাহ্

এদিকে মুহাম্মাদ ইবন আবদুল্লাহ ইবন হাসান যে রাত্রিতে পবিত্র মদীনায় কর্তৃতু লাভ করেন
এবং সে রাত্রেই র্জ্যনক পবিত্র মদীনাবাসী৩ খলীফা মানসুরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যায় ৷ এই
দীর্ঘপথ সে দ্রুতগতিতে চলে সাতদিনে অতিক্রম করে ৷ সে যখন (রাত্রিবেলায়) খলীফার কাছে
পৌছে তখন তিনি ঘুমন্ত ৷ তখন সে দ্বাররক্ষী রাবীআকে বলে, আমাকে খলীফার সাথে
সাক্ষাতের অনুমতি দিন ৷ তখন দ্বাররক্ষী বলে, এসময় তো তাকে জাপানাে হয় না ৷ তখন
আগন্তুক বলে, এছাড়া কোন বিকল্প নেই ৷ তখন দ্বাররক্ষী খলীফাকে বিষয়টি অবহিত করলে তিনি
আগভুকের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে আসেন ৷ তিনি তাকে প্রশ্ন করেন, হতভাগা তুমি ৷ কী সংবাদ এনেছ
বল ? তখন সে বলে মুহাম্মদ ইবন আবদুল্লাহ ইবন হাসান পবিত্র মদীনায় বিদ্রোহ করেছেন ৷
এসময় খলীফা মানসুর এ সৎবাদে কােনরুপ উদ্বেগ উৎকষ্ঠা প্রকাশ না করে তাকে প্রশ্ন করেন,
তুমি নিজে তাকে দােখছ ? সে বলে হ্যা ৷ তখন মানসুর বলেন, (স নিজেও ধ্বংস হয়েছে এবং
বা তার অনুসারীদেরও ধ্বংস করেছে ৷ এরপর খলীফা ৷র নির্দেশে ঐ ব্যক্তিকে বন্দী করে রাখা হয় ৷
এরপর এ বিষয়ে একাধিক নির্ভরযোগ্য সংবাদ পৌছে ৷ তখন মানসুর ঐ ব্যক্তিকে মুক্ত করে দেন
এবং সাতরাত্রির সফরের জন্য তাকে প্রত্যেক রাত্রের বিনিময়ে এক হাজার দিরহাম অর্থাৎ
সর্বমোট সাতহ্াজার দিরহাম প্রদান করেন ৷ :

এরপর খলীফা মানসুর যখন মুহাম্মাদ ইবন আবদুল্লাহ ইবন হাসানের বিদ্রোহ সম্পর্কে নিশ্চিত



১ ভাবা ৷রী ও ইবনুল আহীরে উবায়দুল্লাহ্ রয়েছে ৷

২ তার ৷রী ও ইবনুল আহীরে৷ অ ৷বদৃর রহমান রয়েছে ৷

৩ এই ব্যক্তি হল উয়ায়স ইবন আবু স ৷রাহ আল-আ ৷মিরী আমির ইবন লুওয়াই তার নাম ৷মহুসাইন ইবন সা ৷খর ইবনুল
আহীর (৫ খঙ্ক ৫৩৩ পৃ) আ ৷ত্-তাবারী (৯ খং ২০৮ পৃ ) ৷

৪ তাবারী ও ইবনুল আহীরে রয়েছে, নয় হাজার দিরহাম , প্রতি রাতের বিনিময়ে এক হাজার দিরহাম ৷ কেননা
পবিত্র মদীনা থেকে মানসুরের কাছে যাওয়া পর্যন্ত সে মোট নয় রাত অতিবাহিত করেছিল ৷


ابْنَ مُسْلِمِ بْنِ عُقْبَةَ وَهُوَ الَّذِي أَشَارَ بِقَتْلِ بَنِي حُسَيْنٍ فِي أَوَّلِ هَذِهِ اللَّيْلَةِ، فَنَجَوْا وَأُحِيطَ بِهِ، فَأَصْبَحَ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَسَنٍ وَقَدِ اسْتَظْهَرَ عَلَى الْمَدِينَةِ وَدَانَ لَهُ أَهْلُهَا، فَصَلَّى بِالنَّاسِ الصُّبْحَ، وَقَرَأَ فِيهَا: {إِنَّا فَتَحْنَا لَكَ فَتْحًا مُبِينًا} [الفتح: 1] . وَأَسْفَرَتْ هَذِهِ اللَّيْلَةُ عَنْ مُسْتَهَلِّ رَجَبٍ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ. وَقَدْ خَطَبَ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَسَنٍ أَهْلَ الْمَدِينَةِ فِي هَذَا الْيَوْمِ، فَتَكَلَّمَ فِي بَنِي الْعَبَّاسِ، وَذَكَرَ عَنْهُمْ أَشْيَاءَ ذَمَّهُمْ بِهَا، وَأَخْبَرَ أَنَّهُ لَمْ يَنْزِلْ بَلَدًا مِنَ الْبُلْدَانِ إِلَّا وَقَدْ دَخَلَهَا، وَأَنَّهُمْ قَدْ بَايَعُوهُ عَلَى السَّمْعِ وَالطَّاعَةِ، فَبَايَعَهُ أَهْلُ الْمَدِينَةِ كُلُّهُمْ إِلَّا الْقَلِيلَ. وَقَدْ رَوَى ابْنُ جَرِيرٍ عَنِ الْإِمَامِ مَالِكٍ أَنَّهُ أَفْتَى بِمُبَايَعَتِهِ، فَقِيلَ لَهُ: إِنَّ فِي أَعْنَاقِنَا بَيْعَةَ الْمَنْصُورِ. فَقَالَ: إِنَّمَا كُنْتُمْ مُكْرَهِينَ وَلَيْسَ لِمُكْرَهٍ بَيْعَةٌ. فَبَايَعَهُ النَّاسُ عِنْدَ ذَلِكَ عَنْ قَوْلِ مَالِكٍ، وَلَزِمَ مَالِكٌ بَيْتَهُ. وَقَدْ قَالَ لَهُ إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرٍ حِينَ دَعَاهُ إِلَى بَيْعَتِهِ: يَا ابْنَ أَخِي إِنَّكَ مَقْتُولٌ. فَارْتَدَعَ بَعْضُ النَّاسِ عَنْهُ، وَاسْتَمَرَّ جُمْهُورُهُمْ مَعَهُ، فَاسْتَنَابَ عَلَيْهِمْ عُثْمَانَ بْنَ مُحَمَّدِ بْنِ خَالِدِ بْنِ الزُّبَيْرِ، وَعَلَى قَضَائِهَا عَبْدَ الْعَزِيزِ بْنَ الْمُطَّلِبِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْمَخْزُومِيَّ، وَعَلَى شُرْطَتِهَا عُثْمَانَ بْنَ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، وَعَلَى دِيوَانِ الْعَطَاءِ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ جَعْفَرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْمِسْوَرِ بْنِ مَخْرَمَةَ. وَتَلَقَّبَ بِالْمَهْدِيِّ; طَمَعًا أَنْ يَكُونَ هُوَ الْمَوْعُودَ بِهِ فِي الْأَحَادِيثِ الَّتِي سَنُورِدُهَا
পৃষ্ঠা - ৭৯৭৪


হন ৷ তখন তিনি বিচলিত হন ৷ এসময় জনৈক জ্যে!তিষী তাকে নির্ভর দিয়ে বলে, হে আমীরুল
মু’মিনীন ! তার পক্ষ থেকে আপনার কোন বিপদের আশঙ্কা নেই ৷ আল্লাহর কসম ! সে যদি
গো !ট! পৃথিবীর স!ম্রাজ্যও লাভ করেত তবুও সে সত্তর দিনের বেশী ন্থ!য়ী হতে পারবে ন! ৷ তারপর
ম!নসুর তা !র নেতৃস্থানীয় সকল উম!রাদের নির্দেশ দেন জেলখ!নায় গিয়ে মুহাম্মাদ-এর পিতা
আবদুল্লাহ ইবন হাসানের কাছে সমবেত হয়ে তাকে তার ছেলের বিদ্রো !হেব ঘটনা অবহিত করতে
এবং তার প্রতিক্রিয়া শ্রবণ করতে ! এরপর তার! সকলে গিয়ে যখন তাকে বিষয়টি অবহিত করে
তখন তিনি বলেন, ইবন! স !লাম! (মানসুব) কী করবে বলে তোমরা মনে কর ? তখন তার! বলে,
আমরা ত! জ নি ন! ৷ তখন তিনি বলেন, আল্লাহর কসম! কৃপণতাই৩ তোমাদের এই ব্যক্তিকে
বরবাদ করেছে ৷ তার উচিত অর্থ-সম্পদ ব্যয় করে যোগ লোকদের কাজে লাগান ৷ যে ব্যক্তি
বিনয়ী হয় তাহলে তার ব্যয়কৃত অর্থ ফিরিয়ে নেওয়া অতি সহজ ৷ অন্যথায় সরকারি কােয!গারে
তোমাদের খলীফ!র কোন হিস্স! নেই ৷ সে য! সঞ্চয় করেছে ত! অন্যের জন্য ৷ তখন এসকল
উম!রা খলীফ!র কাছে ফিরে গিয়ে তাকে এ বিষয়ে অবহিত করল ৷ এসময় কেউ কেউ খলীফ!কে
তার (মুহাম্মদের) বিরুদ্ধে যুদ্ধের পরামর্শ দেয় ৷ তখন তিনি ঈস! ইবন মুসাকে ডেকে তাকে এ
বিষয়ে উৎসাহিত করেন ৷ তারপর বলেন, তার বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ার পুর্বে আমি তার
কাছে একটি পত্র প্রেরণ করব ৷ এসময় তিনি তার বরাবর লিখেন-
আমীরুল মু মিনীন আবদুল্লাহ ইবন অ !বদুল্লাহ্র পক্ষ থেকে মুহাম্মদ ইবন আবদুল্লাহর প্রতি-

(fl :

যারা আল্লাহ ও তার র!সুলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং দুনিয়ার ধ্বংস স!ত্মক কাজ করে বেভায়
তাদের শাস্তি এই যে, তাদেরকে হত্যা কর! হবে অথবা ক্রুশ !বিদ্ধ কর! হবে অথবা বিপরীত দিক
থেকে তাদের হাত ও প! কেটে ফেলা হবে অথবা তাদেরকে দেশ থেকে নির্বাসিত কর! হবে ৷
দুনিয়ার এটাই তাদের লাঞ্চুন! ও পরকালে তাদের জন্য মহ!শ!ন্তি রয়েছে ৷ তবে তোমার
অ!য়ত্তাধীনে আসার পুর্বে যারা তাওব! করে তাদের জন্য নয় ৷ কাজেই জেনে রাখ যে, আল্লাহ
ক্ষমাশীল , পরম দয়!লু (সুরা ম!ইদ! : ৩৩-৩৪ ) ৷ এরপর তিনি বলেন, তুমি যদি আমার আনৃগত্যে
প্রত্যাবর্তন কর তাহলে তোমার জন্য রয়েছে আল্লাহর নির্ধারিত অঙ্গীকার ও প্রতিশ্রুতি ৩এবং তার
যিম্ম! ও যে র!সুলের যিম্ম! ৷ আর অ! !মি তোমাকে এবং তোম মার অনৃস!রীদেবকে জীবনের নিরাপত্তা
প্রদান করব, তোমাকে দশ লক্ষ দিরহাম প্রদান করব ৷ তোমার প্রিয়তম ভুখণ্ডে বসবাস করার
অবাধ স্ব! !ধীনতা দান করব, তোমার সকল প্রয়োজন!দি পুরণ করব ৷ এভাবে তিনি এক দীর্ঘ পত্র
প্রেরণ করেন ৷ তখন মুহ!ম্ম!দ ইবন আবদুল্লাহ্৩ তার পত্রের জবাবে লিখেন

আল্লাহর বান্দ! !ম!হদী মুহাম্মাদ ইবন আবদুল্লাহ ইবন আবদুল্লাহ ইবন হাসানের পক্ষ থেকে

ৰু;,;,াঠুপু৷ ! ণ্ট্রু,দু; ন্ট্রুঠু ত! সীন মীম ! এই অ!য়!তওলে! সুস্পষ্ট কিত!বের ৷ আমি তোমার
নিকট মুসা ও ফিরঅ!ওনের কিছু বৃত্তান্ত যথাযথভাবে বিবৃত করছি, মু মিন সম্প্রদা য়ের উদ্দেশ্যে ৷
ফিরঅ!ওন দেশে পরাক্রমশালী হয়েছিল এবং তথাকার অধিব!সীবৃন্দকে বিভিন্ন শ্রেণীতে বিভক্ত
করে তাদের একটি গ্রেণীকে সে হীনবল করেছিল ৷ তাদের ছেলেগণকে সে হত্যা করত এবং
ন!রিগণকে জীবিত রাখত ৷ সে তে! ছিল বিপর্যয় সৃষ্টিক!ম্বী ৷ আমি ইচ্ছা করলাম, সে দেশে


فِي الْفِتَنِ وَالْمَلَاحِمِ، فَلَمْ يَكُنْ إِيَّاهُ، وَلَا تَمَّ لَهُ مَا تَمَنَّاهُ. وَقَدِ ارْتَحَلَ بَعْضُ أَهْلِ الْمَدِينَةِ لَيْلَةَ دَخَلَهَا ابْنُ حَسَنٍ، فَطَوَى الْمَرَاحِلَ الْبَعِيدَةَ إِلَى الْمَنْصُورِ فِي سَبْعِ لَيَالٍ، فَوَرَدَ عَلَيْهِ، فَوَجَدَهُ نَائِمًا فِي اللَّيْلِ، فَقَالَ لِلرَّبِيعِ الْحَاجِبِ: اسْتَأْذِنْ لِي عَلَى الْخَلِيفَةِ. فَقَالَ: إِنَّهُ لَا يُوقَظُ فِي هَذِهِ السَّاعَةِ. فَقَالَ: إِنَّهُ لَا بُدَّ مِنْ ذَلِكَ. فَأَخْبَرَ الْخَلِيفَةَ، فَخَرَجَ فَقَالَ: وَيْحَكَ! مَا وَرَاءَكَ؟ فَقَالَ: إِنَّهُ خَرَجَ ابْنُ حَسَنٍ بِالْمَدِينَةِ. فَلَمْ يُظْهِرْ لِذَلِكَ اكْتِرَاثًا وَلَا انْزِعَاجًا، بَلْ قَالَ: أَنْتَ رَأَيْتَهُ؟ قَالَ: نَعَمْ. فَقَالَ: هَلَكَ وَاللَّهِ، وَأَهْلَكَ مَنِ اتَّبَعَهُ. ثُمَّ أَمَرَ بِالرَّجُلِ فَسُجِنَ، ثُمَّ جَاءَتِ الْأَخْبَارُ بِذَلِكَ وَتَوَاتَرَتْ، فَأَطْلَقَهُ الْمَنْصُورُ، وَأَطْلَقَ لَهُ عَنْ كُلِّ لَيْلَةٍ أَلْفَ دِرْهَمٍ، فَأَعْطَاهُ سَبْعَةَ آلَافِ دِرْهَمٍ. وَلَمَّا تَحَقَّقَ الْمَنْصُورُ الْأَمْرَ مِنْ خُرُوجِهِ ضَاقَ ذَرْعًا بِذَلِكَ، فَقَالَ لَهُ بَعْضُ الْمُنَجِّمِينَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، لَا عَلَيْكَ مِنْهُ، فَوَاللَّهِ لَوْ مَلَكَ الْأَرْضَ بِحَذَافِيرِهَا فَإِنَّهُ لَا يُقِيمُ أَكْثَرَ مِنْ سَبْعِينَ يَوْمًا. ثُمَّ أَمَرَ الْخَلِيفَةُ جَمِيعَ رُءُوسِ الْأُمَرَاءِ أَنْ يَذْهَبُوا إِلَى السِّجْنِ، فَيَجْتَمِعُوا بِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَلِيٍّ، فَيُخْبِرُوهُ بِمَا وَقَعَ وَبِخُرُوجِ مُحَمَّدٍ، وَيَسْمَعُوا مَا يَقُولُ لَهُمْ، فَلَمَّا دَخَلُوا عَلَيْهِ أَخْبَرُوهُ بِذَلِكَ فَقَالَ: مَا تَرَوْنَ ابْنَ سَلَامَةَ فَاعِلًا؟ - يَعْنِي الْمَنْصُورَ - قَالُوا: لَا نَدْرِي. فَقَالَ: وَاللَّهِ لَقَدْ قَتَلَ صَاحِبَكُمُ الْبُخْلُ، يَنْبَغِي لَهُ أَنْ يُنْفِقَ الْأَمْوَالَ، وَيَسْتَخْدِمَ الرِّجَالَ، فَإِنْ ظَهَرَ فَاسْتِرْجَاعُ مَا أَنْفَقَ مِنَ الْأَمْوَالِ عَلَيْهِ سَهْلٌ،
পৃষ্ঠা - ৭৯৭৫

১৫৬ আল-বিদায়া ওয়াননিহায়া

তাদেরকে হীনবল করা হয়েছিল, তাদের প্রতি অনুগ্রহ করতে, তাদেরকে নেতৃতৃ দান করতে ও
দেশের কর্তৃতুাাধিক রী করতে (সুরা কাসাসং ১ ৫) ৷

তারপর তিনি বলেন, আমি তোমাকে সেরুপ নিরাপত্তা প্রদা ন করছি যেরুপ নিরাপত্তা তুমি
আমাকে প্রদান করেছ ৷ আর আমি এ বিষয়ে তোমাদের চেয়ে অধিক হকদার ৷ আমাদের

মাধ্যমেই তোমরা তা লাভ করেছ ৷ কেননা, আলীই ছিলেন ওয়াসি১ ইমাম ৷ কাজেই তার
সভানগণ জীবিত থাকতে তোমরা কিভাবে তার কর্তত্নে র উত্তরাধিকারী হলে ৷ আর আমরা হলাম
পৃথিবীর গ্রেষ্ঠতম বংশের সন্তান ৷ আমাদের নানা হলেন আল্লাহর রাসুল ৷ যিনি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম
মানব ৷ আ র নানী হলেন খাদীজা (রা) যিনি৩ার গ্রেষ্ঠ৩ ম শ্রী, আমাদের আম্মা ফাতিমা হলেন
তাদের সবচেয়ে আদরের কন্যা ৷ আর হাশিম হলেন আলীর পরদা দা ৷ তদ্রাপ আবদুল মুত্তা লিাব
হলেন হাসানের পরদাদার দাদা ৷ আর তিনি ও তার ভাই হলেন জান্নাতবাসী যুবকদের সরদার ৷
আল্লাহ্র রাসুল হলেন আমার নানা ৷ আর আমি হলাম বনু হাশিমের মধ্যমণি, পিতার বিচারে
সবচেয়ে থীটি আমার মাঝে অনারব রক্তের কোন মিশ্রণ নেই এবং দাসী বাদীদের কোন অংশ
নেই ৷ আমি হলাম জ ন্নাবু সর্বোচ্চ মর্যাদার অধিকারী এবং জ হান্নামে লঘু৩ তম শাস্তিপ্রাপ্ত
ব্যক্তিদ্বয়ের অধস্তন ৷ কাজেই আমিও আমার চেয়ে এ বিষয়ের অধিক হকদা র এবং তোমার চেয়ে
অঙ্গীকার রক্ষায় অধিক উপযুক্ত এবং অধিক বিশস্ত ৷ কেননা,তু মি অঙ্গীকার প্রদান করে তা ভঙ্গ
কর, রক্ষা কর না ৷ যেমন তুমি ইবন হুবায়রার সাথে করছ ৷ কেননা, তুমি তাকে প্রথমে প্রতিশ্রুতি
দিয়েছ তারপর তাকে বোকা দিয়েছ ৷ আর বোকাবাজ শাসক হল কঠিনতম শাস্তির উপযুক্ত ৷ ড্ডাপ
তুমি তোমা র চাচা আবদুল্লাহ ইবন আালীর সাথে এবং আবু মুসলিম খুরাসানীর সাথে একই আচরণ
করেছ আমি যদি বিশ্বাস করতাম যে তুমি সত্য বলছ তাহলে তোমার আহ্বানে সাড়া দিতাম ৷
কিন্তু, তোমার ন্যায় ব্যক্তির পক্ষ থেকে আমার ন্যায় ব্যক্তির অনুকুলে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা সুদুর
পরাহত ৷ সা লাম রইল ৷

তখন খলীফা মানসুর এক দীর্ঘপত্রে এর জবাব লিখে পাঠান যার সারাৎশ হল পরকথা হল
আমি তোমার এই পত্র পাঠ করেছি ৷ তা বুাত দেখলাম তোমার অধিকাংশ বড়াই রয়েছে যা দ্বারা
তুমি রুক্ষাভা ব ও ই৩ র শ্রেণীর লোকজনকে বিভ্রান্ত করছ ৷ কিন্তু , আল্লাহ মাতসম্পর্কে
পি ট্রুসম্পর্কের মর্যাদা দেননি ৷ আর আল্লাহ্৩ তা আলা নাযিল করেছে াপ্রু ৷ , ১ ৷ ,
টু ষ্ন্ট্টম্ৰুওৰু৷া তোমার নিকট আত্মীয়বর্পকে সতর্ক করে দাও (সুরা শুআরাশু ং ২১৪) ৷ এসময় তার
চারজন চাচা ছিল ৷ এসময় দৃ’ জন৩ তার আহ্বানে সাড়া দেন যাদের একজন হলেন আমাদের
পরদাদা আ র দৃ জন আীকার করে ৷ তাদের একজন হল তোমার পরদাদা (অর্থাৎ আবৃত লি৩াব) ৷
তখন আল্লাহ্ তার থেকে তাদের অভিভাবকতৃ বিচ্ছিন্ন করে দেন এবং তাদের জন্য কোন
প্রতিশ্রুতি কিৎবা দায়প্রহণ করেননি ৷ আবু৩া তালিবের ইসলাম গ্রহণ না করার ব্যাপারে আল্লাহ
তা’ অালা নাযিল করেন-

“তুমি যাকে ভালবাস ইচ্ছা করলেই৩া ৩াকে সৎপথে আনাতে পারবে না ৷ তবে আাল্লাহ্ই যাকে
ইচ্ছা সৎপথে আনেন এব×৩ তিনিই৩াল জানেন সৎপথ অনুসারীদের (সুরা কাসাসং ৫৬)” ৷
১ ওয়াসি শব্দটি দ্ব্যর্থবােধক, এখানে অর্থ হল যার অনুকুলে অসিয়ত করা হয়েছে ৷




وَإِلَّا لَمْ يَكُنْ لِصَاحِبِكُمْ شَيْءٌ فِي الْخَزَائِنِ، فَرَجَعُوا إِلَى الْخَلِيفَةِ، فَأَخْبَرُوهُ بِذَلِكَ. وَأَشَارَ النَّاسُ عَلَى الْخَلِيفَةِ بِمُنَاجَزَتِهِ، وَاسْتَدْعَى عِيسَى بْنَ مُوسَى، فَنَدَبَهُ إِلَى ذَلِكَ، ثُمَّ قَالَ: إِنِّي سَأَكْتُبُ إِلَيْهِ كِتَابًا أُنْذِرُهُ بِهِ قَبْلَ قِتَالِهِ. فَكَتَبَ إِلَيْهِ: بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ، مِنْ عَبْدِ اللَّهِ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ، إِلَى مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ: {إِنَّمَا جَزَاءُ الَّذِينَ يُحَارِبُونَ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَيَسْعَوْنَ فِي الْأَرْضِ فَسَادًا أَنْ يُقَتَّلُوا أَوْ يُصَلَّبُوا أَوْ تُقَطَّعَ أَيْدِيهِمْ وَأَرْجُلُهُمْ مِنْ خِلَافٍ أَوْ يُنْفَوْا مِنَ الْأَرْضِ ذَلِكَ لَهُمْ خِزْيٌ فِي الدُّنْيَا وَلَهُمْ فِي الْآخِرَةِ عَذَابٌ عَظِيمٌ إِلَّا الَّذِينَ تَابُوا مِنْ قَبْلِ أَنْ تَقْدِرُوا عَلَيْهِمْ فَاعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَحِيمٌ} [المائدة: 33] [الْمَائِدَةِ: 33، 34] . ثُمَّ قَالَ: فَلَكَ عَهْدُ اللَّهِ وَمِيثَاقُهُ وَذِمَّتُهُ وَذِمَّةُ رَسُولِهِ، لَئِنْ أَقْلَعْتَ وَرَجَعْتَ إِلَى الطَّاعَةِ لَأُؤَمِّنَنَّكَ وَمَنِ اتَّبَعَكَ، وَلَأُعْطِيَنَّكَ أَلْفَ أَلْفِ دِرْهَمٍ وَلَأَدَعَنَّكَ تُقِيمُ فِي أَحَبِّ الْبِلَادِ إِلَيْكَ، وَلَأَقْضِيَنَّ جَمِيعَ حَوَائِجِكَ. فِي كَلَامٍ طَوِيلٍ. فَكَتَبَ إِلَيْهِ مُحَمَّدٌ: مِنْ عَبْدِ اللَّهِ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَسَنٍ: {طسم تِلْكَ آيَاتُ الْكِتَابِ الْمُبِينِ نَتْلُوا عَلَيْكَ مِنْ نَبَإِ مُوسَى وَفِرْعَوْنَ بِالْحَقِّ لِقَوْمٍ يُؤْمِنُونَ إِنَّ فِرْعَوْنَ عَلَا فِي الْأَرْضِ وَجَعَلَ أَهْلَهَا شِيَعًا يَسْتَضْعِفُ طَائِفَةً مِنْهُمْ يُذَبِّحُ أَبْنَاءَهُمْ وَيَسْتَحْيِي نِسَاءَهُمْ إِنَّهُ كَانَ مِنَ الْمُفْسِدِينَ وَنُرِيدُ أَنْ نَمُنَّ عَلَى الَّذِينَ اسْتُضْعِفُوا فِي الْأَرْضِ وَنَجْعَلَهُمْ أَئِمَّةً وَنَجْعَلَهُمُ الْوَارِثِينَ} [القصص: 1] [الْقِصَصِ: 1 - 5] . ثُمَّ قَالَ: وَإِنِّي أَعْرِضُ عَلَيْكَ مِنَ الْأَمَانِ مِثْلَ مَا عَرَضْتَ عَلَيَّ، فَأَنَا أَحَقُّ بِهَذَا الْأَمْرِ مِنْكُمْ، وَأَنْتُمْ إِنَّمَا وَصَلْتُمْ إِلَيْهِ بِنَا، فَإِنَّ عَلِيًّا كَانَ الْوَصِيَّ، وَكَانَ الْإِمَامَ، فَكَيْفَ وَرَثْتُمْ وِلَايَتَهُ وَوَلَدُهُ أَحْيَاءٌ؟ وَنَحْنُ أَشْرَفُ أَهْلِ الْأَرْضِ نَسَبًا، فَرَسُولُ اللَّهِ
পৃষ্ঠা - ৭৯৭৬


তুমি তাকে নিয়ে গর্ব করেছ যে, তিনি জাহান্নামে লঘুতম শাস্তিপ্রাপ্ত ব্যক্তি ৷ অথচ মন্দের
কোন গ্রেষ্ঠতৃ নেই ৷ আ র কোন মু ’মিনের জন্য জাহান্নামবাসীকে নিয়ে গর্ব করা শোভা পায় না ৷
তুমি আরও বড়ইি করেছ যে হাশিম হলেন আলীর পরদাদা এবং আবদুল মুত্তালিব হলেন হাসানের
পরদাদা অথচ আল্লাহর রাসুল তার পিতা হলেন আবদুল্লাহ ইবন আবদুল ঘুত্তালিব ৷

আর তোমার একথা যে কোন দাসী বীদী তোমাকে জন্য দেয়নি ৷ তাহলে দেখ, আল্লাহর
রাসুলের ছেলে ইব্রাহীম মা ৷রিয়৷ কিবতিয়াব গর্ভজাত ৩৷ অথচ তিনি তোমার চেয়ে উত্তম ৷ তদ্র্যপ
আলী ইবন হুসা ৷ইন তিনিও উম্মু ওয়ালাদের গর্ভজা৩ ত৷ আর তিনিও তোমার চেয়ে শ্রেষ্ঠ ৷ তন্ধ্রপ
তার ছেলে ঘুহাম্মাদ ইবন আলী এবং যুহাম্মাদের ছেলে জা ফর এদের দা ৷দিগণ সব উম্মু ওয়ালাদ ৷
আর এরা দু’জন তোমার চেয়ে উত্তম ৷ আর তোমার দাবী আল্লাহ রাসুলের সন্তানঃগণ এ সম্পর্কে
আল্লাহ্তা’আলা বলেছেন : ন্£া৷ৰুও ত্রুাট্রুৰু ৷ট্রু!ংার্দু;ন্র্দু টু ,াব্র র্চুশ্ “মুহাম্মাদ তোমাদের
মাঝে কোন পুরুষের পিতা নন (সুরা আযহাব : ৪০) ৷”

যে সুন্নাহ এর ব্যাপারে মুসলমানদের কারও দ্বিমত ৫নই তা হল, নানী, মামা এবং খালার
উত্তরাধিকার লাভ করা যায় না ৷ হাদীসের ভাষ্য দ্বারা হযরত তফাতিমা আ ল্লাহ্র রাসুলের কোন যীরাছ
পান নি ৷ আর তা ল্লা৷হ্র রাসুল (সা) যখন ইনতিক৷ ৷ল করেন তখন তোমার দাদা সেখ৷ ৷নে উপস্থিত ৷
কিন্তু তাকে নামাযে ইমামতির নির্দেশ দেননি বরং অন্যকে দিয়েছেন ৷ এরপর তিনি যখন ওফাত
লাভ করেন, তখন কেউ আবু বকর উমারের সমকক্ষ ক৷ ৷উকে গণ্য করেনি ৷ তারপর শুরা ও
খিলাফতের ক্ষেত্রে লোকেরা তার চেয়ে হযরত উছমানকে অগ্রবর্তী করেছেন ৷ এরপর উছমান
যখন শহীদ হন, তখন কেউ কেউ তাকে অভিযুক্ত করে এবং এ কারণে হযরত তালহ৷ ও যুবায়র
তা তার বিরুদ্ধে লড়াই করেন ৷ এছাড়া প্রথমে সাদ এবং পরে মুআবিয়া তার বায়আত গ্রহণ করা
থেকে বিরত থাকেন ৷ তারপর তোমার দাদা তা দাবী করেন এবং তার কারণে অস্ত্রধারণ করেন ৷
তারপর তাহকীমের ব্যাপারে সমঝোতায় উপনীত হন ৷ কিন্তু পরবর্তীতে ত৷ পুর্ণ করেননি ৷ এরপর
এই কর্তৃতু যখন হযরত হাসানের কাছে স্থানা ৷ন্তরিত হয়, তখন তিনি তৃচ্ছ প্রাপ্তির বিনিময়েত
বিসর্জন দেন ৷ এসময় তিনি হিজাযে অবস্থান করে অনৈতিকভাবে অর্থগ্রহণ করতে থাকেন এবং
মুসলমানদের৷ শ্ ৷৷সন কর্তৃত্ব অপাত্রে সমর্পণ করেন ৷ আর নিজের সমর্থক ও অনুসার ৷রীদের ঘুআবিয়া

ইতিপুর্বেই তোমরা ত৷ ত্যাগ করেছ এবং তুচ্ছ মুল্যে বিসর্জন দিয়েছ ৷ তারপর তোমার চাচা
হুসাইন ইবন মারজানার ইেয়াযীদ) বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে, তখন অধিকাংশ লোক ইবন মারজানার
সাথে তার বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করে এমনকি তারা তাকে হত্যা করে তার কর্তিত মস্তক তার
কাছে উপস্থিত করে ৷ এরপর তোমরা যখন বনু উমায়্যার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ কর, তখন তারা
তোমাদেরকে হত্যা করে, শুলবিদ্ধ করে এবং আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করে ৷ এমনকি তোমাদের
পরিবারের নারীদেরকেও উষ্ট্ৰারোহিণী করে যুদ্ধবন্দিনীর ন্যায় শামে উপস্থিত করে ৷ অবশেষে
আমরা তাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করি, তখন আমরা তোমাদের জন্য প্রতিশোধ গ্রহণ করি,
তোমাদের রক্তের বদল৷ নিই এবৎ৩ তাদের ভুখণ্ড ও বাড়িঘরের উত্তরসুরী তোমাদেরকে বানাই এবং
তোমাদের পুর্বসুরীদের শ্রেষ্ঠতৃ উল্লেখ করি ৷ এখন তুমি তাকেই আমাদের বিরুদ্ধে প্রমাণরুপে
উপস্থিত করেছ ৷ তুমি ধারণা করেছ যে হামযা, আব্বাস ও জ৷ ফরের উপর তার এই শ্রেষ্ঠাতৃর


صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَيْرُ النَّاسِ، وَهُوَ جَدُّنَا، وَجَدَّتُنَا خَدِيجَةُ، وَهِيَ أَفْضَلُ زَوْجَاتِهِ، وَفَاطِمَةُ أُمُّنَا، وَهِيَ أَكْرَمُ بَنَاتِهِ، وَإِنَّ هَاشِمًا وَلَدَ عَلِيًّا مَرَّتَيْنِ، وَإِنَّ حَسَنًا وَلَدَهُ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ مَرَّتَيْنِ، وَهُوَ وَأَخُوهُ سَيِّدَا شَبَابِ أَهْلِ الْجَنَّةِ، وَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَدَنِي مَرَّتَيْنِ، فَإِنِّي أَوْسَطُ بَنِي هَاشِمٍ نَسَبًا، وَأَصْرَحُهُمْ نَسَبًا، فَأَنَا ابْنُ أَرْفَعِ النَّاسِ دَرَجَةً فِي الْجَنَّةِ، وَأَخَفِّهِمْ عَذَابًا فِي النَّارِ، فَأَنَا أَوْلَى بِالْأَمْرِ مِنْكَ، وَأَوْفَى بِالْعَهْدِ، فَإِنَّكَ أَعْطَيْتَ ابْنَ هُبَيْرَةَ الْعَهْدَ وَنَكَثْتَهُ، وَكَذَلِكَ بِعَمِّكَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَلِيٍّ، وَبِأَبِي مُسْلِمٍ الْخُرَاسَانِيِّ. فَكَتَبَ إِلَيْهِ أَبُو جَعْفَرٍ جَوَابَ ذَلِكَ فِي كِتَابٍ طَوِيلٍ، حَاصِلُهُ: أَمَّا بَعْدُ، فَقَدْ بَلَغَنِي كَلَامُكَ، وَقَرَأْتُ كِتَابَكَ، فَإِذَا جَلَّ فَخْرُكَ بِقَرَابَةِ النِّسَاءِ لِتُضِلَّ بِهِ الْجُفَاةَ وَالْغَوْغَاءَ، وَلَمْ يَجْعَلِ اللَّهُ النِّسَاءَ كَالْعُمُومَةِ وَالْآبَاءِ، وَلَا كَالْعَصْبَةِ وَالْأَوْلِيَاءِ، وَقَدْ أَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَأَنْذِرْ عَشِيرَتَكَ الْأَقْرَبِينَ} [الشعراء: 214] . وَكَانَ لَهُ حِينَئِذٍ أَرْبَعَةُ أَعْمَامٍ، فَاسْتَجَابَ لَهُ اثْنَانِ أَحَدُهُمَا أَبِي وَكَفَرَ اثْنَانِ أَحَدُهُمَا أَبُوكَ فَقَطَعَ اللَّهُ وِلَايَتَهُمَا مِنْهُ، وَلَمْ يَجْعَلْ بَيْنَهُمَا إِلًّا وَلَا ذِمَّةً، وَقَدْ أَنْزَلَ اللَّهُ، عَزَّ وَجَلَّ، فِي عَدَمِ إِسْلَامِ أَبِي طَالِبٍ: {إِنَّكَ لَا تَهْدِي مَنْ أَحْبَبْتَ} [القصص: 56] . وَقَدْ فَخَرْتَ بِهِ; لِأَنَّهُ أَخَفُّ أَهْلِ النَّارِ عَذَابًا، وَلَيْسَ فِي الشَّرِّ خِيَارٌ، وَلَا يَنْبَغِي لِمُؤْمِنٍ الْفَخْرُ بِأَهْلِ النَّارِ، وَفَخَرْتَ بِأَنَّ عَلِيًّا وَلَدَهُ هَاشِمٌ مَرَّتَيْنِ، وَأَنَّ حَسَنًا وَلَدَهُ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ مَرَّتَيْنِ، فَهَذَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَيْرُ الْأَوَّلِينَ وَالْآخَرِينَ، إِنَّمَا
পৃষ্ঠা - ৭৯৭৭
وَلَدَهُ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ وَهَاشِمٌ مَرَّةً وَاحِدَةً، وَقَوْلُكَ: إِنَّكَ لَمْ تَلِدْكَ أُمَّهَاتُ الْأَوْلَادِ. فَهَذَا إِبْرَاهِيمُ ابْنُ رَسُولِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ مَارِيَةَ، وَهُوَ خَيْرٌ مِنْكَ، وَعَلِيُّ بْنُ الْحَسَنِ مِنْ أُمِّ وَلَدٍ، وَهُوَ خَيْرٌ مِنْكَ، وَكَذَلِكَ ابْنُهُ مُحَمَّدُ بْنُ عَلِيٍّ، وَابْنُهُ جَعْفَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ جَدَّتُهُمَا أُمُّ وَلَدٍ، وَهُمَا خَيْرٌ مِنْكَ، وَأَمَّا قَوْلُكَ: إِنَّكُمْ بَنُو رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَقَدْ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {مَا كَانَ مُحَمَّدٌ أَبَا أَحَدٍ مِنْ رِجَالِكُمْ} [الأحزاب: 40] . وَقَدْ جَاءَتِ السُّنَّةُ الَّتِي لَا خِلَافَ فِيهَا بَيْنَ الْمُسْلِمِينَ أَنَّ الْجَدَّ أَبَا الْأُمِّ وَالْخَالَ وَالْخَالَةَ لَا يُوَرَّثُونَ، وَلَمْ يَكُنْ لِفَاطِمَةَ مِيرَاثٌ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِنَصِّ الْحَدِيثِ، وَقَدْ مَرِضَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبُوكَ حَاضِرٌ، فَلَمْ يَأْمُرْهُ بِالصَّلَاةِ بِالنَّاسِ، بَلْ أَمَرَ غَيْرَهُ، وَلَمَّا تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يَعْدِلِ النَّاسُ بِأَبِي بَكْرٍ ثُمَّ عُمَرَ; ثُمَّ قَدَّمُوا عَلَيْهِ عُثْمَانَ فِي الشُّورَى; ثُمَّ وَلَّوْهُ بَعْدَ مَقْتَلِ عُثْمَانَ، وَاتَّهَمَهُ بَعْضُهُمْ بِهِ، وَقَاتَلَهُ طَلْحَةُ وَالزُّبَيْرُ، وَامْتَنَعَ سَعْدٌ مِنْ مُبَايَعَتِهِ، ثُمَّ بَايَعَ بَعْدَ ذَلِكَ مُعَاوِيَةَ، ثُمَّ طَلَبَهَا أَبُوكَ، وَقَاتَلَ عَلَيْهَا الرِّجَالُ، ثُمَّ اتَّفَقَ عَلَى التَّحْكِيمِ، فَلَمْ يَفِ بِهِ، ثُمَّ صَارَتْ إِلَى الْحَسَنِ فَبَاعَهَا بِخِرَقٍ وَدَرَاهِمَ، وَأَقَامَ بِالْحِجَازِ يَأْخُذُ مَالًا مِنْ غَيْرِ حِلِّهِ، وَسَلَّمَ الْأَمْرَ إِلَى غَيْرِ أَهْلِهِ، وَتَرَكَ شِيعَتَهُ فِي أَيْدِي مُعَاوِيَةَ، فَإِنْ كَانَتْ لَكُمْ فَقَدْ تَرَكْتُمُوهَا وَبِعْتُمُوهَا بِثَمَنِهَا، ثُمَّ خَرَجَ عَمُّكَ حُسَيْنٌ عَلَى ابْنِ مَرْجَانَةَ، فَكَانَ النَّاسُ مَعَهُ عَلَيْهِ حَتَّى قَتَلُوهُ، وَأَتَوْا بِرَأْسِهِ إِلَيْهِ، ثُمَّ خَرَجْتُمْ عَلَى بَنِي أُمَيَّةَ، فَقَتَّلُوكُمْ وَصَلَّبُوكُمْ عَلَى جُذُوعِ النَّخْلِ، وَحَرَّقُوكُمْ بِالنِّيرَانِ وَحَمَلُوا نِسَاءَكُمْ عَلَى الْإِبِلِ كَالسَّبَايَا إِلَى الشَّامِ، حَتَّى خَرَجْنَا عَلَيْهِمْ، فَأَخَذْنَا بِثَأْرِكُمْ، وَأَدْرَكْنَا بِدِمَائِكُمْ، وَأَوْرَثْنَاكُمْ أَرْضَهُمْ وَدِيَارَهُمْ، وَذَكَرْنَا فَضْلَ سَلَفِكُمْ، فَجَعَلْتَ ذَلِكَ حُجَّةً عَلَيْنَا، وَظَنَنْتَ أَنَّا إِنَّمَا ذَكَرْنَا فَضْلَهُ تَقْدِمَةً مِنَّا لَهُ عَلَى حَمْزَةَ وَالْعَبَّاسِ وَجَعْفَرٍ، وَلَيْسَ الْأَمْرُ
পৃষ্ঠা - ৭৯৭৮

কথা উল্লেখ করছি ৷ কিন্তু ন্মি যেমন দাবী করেছ বিষয়টি তেমন নয় ৷ কেননা, ফিতনার শিকার
হওয়ার পর্বেই এরা দুনিয়া থেকে গত হয়েছেন এবং দুনিয়া থেকে নিরাপদে প্রস্থান করেছেন, ফলে
দুনিয়া তাদের কোন লেক আমল হ্রাস করতে পারেনি ৷ এভাবে তারা তাদের সকল পুণব্রত্ৰুণ্র্মের
পরিপুর্ণ বিনিময় অর্জন করে নিয়েছেন ৷ বিত্তু তোমার দাদা পরীক্ষার সম্মুখীন হয়েছেন ৷ বনুউমায়্যা
তাকে এমনভাবে লানত করত, যেমন লানত করা হয় কাফিরদের ফরয নামাযে ৷ এরপর আমরা
তার আলোচনাকে প্রাণবন্ত করি, তার ওপর শ্রেষ্ঠত্নে র কথা উল্লেখ করি এবং বনু উমায়্যা তার যে
মানহানি করেছিল ৷ তবে প্রতিক৷ ৷র করি ৷ আর স্বামিত জান, হাজীদের পানি পান করানো এবং
যমযমের তত্ত্ব৷ বধান ছিল জাইিলিয়াতে আমাদের মর্যাদা র প্রতীক ৷ আর পরবভীকািলেও আল্লাহ্র
রাসুল আমাদের অনুকুলেই তার ফায়সালা করেন ৷ উমরের থিলাফতকালে যখন অনাবৃষ্টি দেখা
দেয় তখন তিনি আমাদের দাদা আব্বাসের দােহাই দিয়ে বৃষ্টি প্রার্থনা করেন এবং তাকে মাধ্যম
বানিয়ে তার প্রতিপালককে আহ্বান করেন, তখন তোমার পিতামহ সেখানে উপস্থিত ৷ আর তুমি
এত জান যে আল্লাহর রাসুলের ওফাতের পর আব্বাস ব্যতীত আবদুল মুত্তালিবের আর কোন
ছেলে জীবিত ছিল না ৷ কাজেই, হাজীদের পান করানোর তিনিই কতন্টুহ্াধিকারী এবং আল্লাহর
নবীর উত্তা রাধিকারী এবং খিলাফত তা ৷র সন্তানদের জন্য নির্ধারিত ৷ কেননা, জাহিলিয়াতের এবং
ইসলামের এমন কোন মর্যাদা ৷নেই আব্বাস যার উত্তরসুরী ও পুর্বসুরী নন ৷ এভাবে তিনি এক
সুদীর্ঘ পত্র রচনা করেন যাতে রয়েছে বিশ্লেষণ, বিওদ্ধতা ও যুক্তিখওন ৷ ইবন জারীর তার পুর্ণ ভাষ্য
ৎরক্ষণ ও উল্লেখ করেছেন ৷ আল্লাহ্ পবিত্র তিনি সর্বাধিক জানেন ৷

মুহাম্মাদ ইবন আবদুল্লাহ ইবন হাসানের হত্যাকাণ্ড

এদিকে মুহাম্মাদ ইবন আবদুল্লাহ ইবন হাসান তার বায়আত ও খিলাফওে র দিকে আহ্বান
করে শ্ ৷৷মবাসীদের কাছে দুত প্রেরণ করেন ৷ তখন তারা তা গ্রহণে অস্বীকৃতি জা ৷নিয়ে বলে, যুদ্ধ
ৰিপ্রহে আমরা অতিষ্ঠ হয়ে পডেছি ৷ এসময় এই দুত শহরের স্ন্তুাম্ভ ও নেতৃস্থানীয়দের আকৃষ্ট
করতে তৎপর হয় ৷ তখন তাদের কেউ কেউত ৷র আহ্বানে সাড়া দেয় আর কেউ বিরত থ৷ ৷কে ৷
আর জনৈক ব্যক্তি তাকে বলে কিভাবে আমি আপনার হাতে বায়আত করব, অথচ আপনি এমন
শহরে আত্মপ্রকাশ করেছেন যেখানে লোক নিয়ােগের জন্য পর্যাপ্ত অর্থের মজুদ নেই ৷ এসময় এই
ণ্নতৃন্থানীয়দের কেউ কেউ মুহাম্মাদ ইবন আবদুল্লাহ নিহত হওয়ার পুর্বে নিজ গৃহে অবস্থান করে ৷
এরপর মুহাম্মাদ সত্তরজন পদাতিক ও দশজন অশ্বারোহী যোদ্ধার নেতৃতৃ দিয়ে হুসাইন ইবন
মুআবিয়াকে পবিত্র মক্কার প্রশাসক নিয়োগ করে পাঠান, এই আশায় যে যে তা জয় করবে ৷ তখন
এই বাহিনী পবিত্র মক্কাভিমুখে রওনা হয়ে যায় ৷ এরপর পবিত্র মক্কাবাসী যখন তাদের আগমনের
সংবাদ জানতে পারে তখন তাদের কয়েক হাজার যোদ্ধর্শ্বতাদের মুকাবিলায় অগ্রসর হয় ৷
মুখোমুখি হওয়ার পর হুসাইন ইবন ঘুঅ৷ ৷বিয়া তাদেরকে বলেন, কিসের ভিত্তিতে তোমরা আমাদের
বিরুদ্ধে লড়াই করছে৷ অথচ আবু জা ফর ইতিমধ্যেই মৃত্যুবরণ করেছে ৷ তখন পবিত্র মক্কা-
বাসীদের নেতা আসৃ সাররী ইবন অ ৷বদুল্লাহ্ বলে প্রতি চারদিন অন্তর ত ৷র ডা ৷কদুত আমাদের কাছে
পৌছে ৷ ইতিমধ্যেই আমি তার বরাবর পত্র প্রেরণ করেছি, চারদিন পর্যন্ত আমিত ৷র উত্তরের
অপেক্ষা করব ৷ যদি তোমাদের দাবী সত্য হয় তাহলে আমি তোমাদের হাতে শহরের কর্তৃতু
অর্পণ করব ৷ আর (এ চ ৷রদিন) তোমাদের পদাতিক ও অশ্বারােহী বাহিনীর রসদ যোগান দেওয়ার র


كَمَا زَعَمْتَ، فَإِنَّ هَؤُلَاءِ مَضَوْا وَلَمْ يَدْخُلُوا فِي الْفِتَنِ، وَسَلِمُوا مِنَ الدُّنْيَا، وَابْتُلِيَ بِذَلِكَ أَبُوكَ، وَكَانَتْ بَنُو أُمَيَّةَ تَلْعَنُهُ كَمَا تَلْعَنُ الْكَفَرَةَ فِي الصَّلَوَاتِ الْمَكْتُوبَاتِ، فَذَكَرْنَا فَضْلَهُ وَعَنَّفْنَاهُمْ بِمَا نَالُوا مِنْهُ، وَقَدْ عَلِمْتَ أَنَّ مَكْرَمَتَنَا فِي الْجَاهِلِيَّةِ سِقَايَةُ الْحَجِيجِ الْأَعْظَمِ، وَخِدْمَةُ زَمْزَمَ، وَحَكَمَ لَنَا بِهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْإِسْلَامِ. وَلَمَّا قَحَطَ النَّاسُ زَمَنَ عُمَرَ اسْتَسْقَى بِأَبِينَا الْعَبَّاسِ، وَتَوَسَّلَ بِهِ إِلَى رَبِّهِ وَأَبُوكَ حَاضِرٌ، وَقَدْ عَلِمْتَ أَنَّهُ لَمْ يَبْقَ أَحَدٌ مِنْ بَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ بَعْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَّا الْعَبَّاسُ فَالسِّقَايَةُ سِقَايَتُهُ، وَالْوِرَاثَةُ وِرَاثَتُهُ، وَالْخِلَافَةُ فِي وَلَدِهِ، فَلَمْ يَبْقَ شَرَفٌ فِي الْجَاهِلِيَّةِ وَالْإِسْلَامِ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ إِلَّا وَالْعَبَّاسُ وَارِثُهُ وَمُوَرِّثُهُ. فِي كَلَامٍ طَوِيلٍ فِيهِ بَحْثٌ وَمُنَاظَرَةٌ وَفَصَاحَةٌ وَبَلَاغَةٌ. وَقَدِ اسْتَقْصَاهُ ابْنُ جَرِيرٍ بِطُولِهِ. [فَصْلٌ فِي ذِكْرِ مَقْتَلِ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَسَنٍ] بَعَثَ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَسَنٍ فِي غُبُونِ ذَلِكَ رُسُلًا إِلَى أَهْلِ الشَّامِ يَدْعُونَهُمْ إِلَى بَيْعَتِهِ وَخِلَافَتِهِ، فَأَبَوْا قَبُولَ ذَلِكَ مِنْهُ، وَقَالُوا: قَدْ ضَجِرْنَا مِنَ الْحُرُوبِ، وَمَلِلْنَا مِنَ الْقِتَالِ. وَلَمْ يَكْتَرِثُوا بِأَصْحَابِهِ، فَرَجَعُوا إِلَيْهِ بَعْدَ مَا خَافُوا عَلَى أَنْفُسِهِمْ، وَجَعَلَ يَسْتَمِيلُ رُءُوسَ أَهْلِ الْمَدِينَةِ فَمِنْهُمْ مَنْ أَجَابَهُ، وَمِنْهُمْ مَنِ امْتَنَعَ عَلَيْهِ، وَقَدْ قَالَ لَهُ بَعْضُهُمْ: كَيْفَ أُبَايِعُكَ وَقَدْ ظَهَرْتَ فِي بَلَدٍ لَيْسَ فِيهِ مَالٌ
পৃষ্ঠা - ৭৯৭৯


দছুতৃ আমার ৷ কিন্তু হাসান ইবন মুআবিয়৷ অপেক্ষা করতে সম্মত হয় না ৷ সে শপথ করে বলে
সে প্ণ্ষিত্র মক্কায়ই রাত্রিযাপন করবে ৷ অন্যথায় লড়াই করে মরে যাবে ৷ সে তখন সাররীর কাছে
এই বলে দুত পাঠায়, হারাম এলাকা ছেড়ে বেরিয়ে এস যাতে সেখানে রক্তপাত না হয় ৷ কিন্তু সে
বের হয় না ৷ তখন হাসান ইবন মুআবিয়ার বাহিনী তাদের দিকে অগ্রসর হয় এবং তাদের
মুবুখদ্বমুাখ হয়ে সাবিবদ্ধভাবে অবস্থান গ্রহণ করে ৷ এরপর তারা তাদের প্ৰতিপক্ষের বিরুদ্ধে
একযোগে আক্রমণ করে এবং তাদেরকে পরাজিত করে ৷ এসময় তারা তাদের সাতজনকে হত্যা
করে এবং পবিত্র মক্কায় প্রবেশ করে ৷ পরদিন সকালে হাসান ইবন মুআবিয়৷ লোকদের উদ্দেশ্যে
ৰুৎৰা প্রদান করে এবং তাদেরকে আবু জাফরের বিরুদ্ধে উত্তেজিত করে এবং তাদেরকে
ম হস্মাদ ইবন আবদুল্লাহ ইবনাহাসান অ৷ ৷ল-মাহদীর বায়আ৩ রুত র দিকে আহ্বান করে ৷

ইব্রাহীম ইবন আবদুল্লাহ ইবন হাসানের বিদ্রোহ

এই এবইি সময়ে ইবরাহীম ইবন আবদুল্লাহ ইবন হাসান বসরায় আত্মপ্রকাশ করেন ৷ ডাকদুত
তব্ তাই মুহাম্মদের কাছে রাত্রিকালে এসে উপস্থিত হয়, তখন তার কাছে দুতের সাক্ষাতের
র্লো চাওয়া হয় ৷ এসময় তিনি মারওয়ানের গৃহে’ অবস্থানরত ছিলেন ৷ তার দরজায় যখন
ঠক্ঠক করা হয়, তখন তিনি বলেন, আয় আল্লাহ্ ! হে রহমান, কল্যাণ নিয়ে আগত আগত্তুক
ব,ড়াউত আমি রাত ও দিনের সকল আগত্তুকের অনিষ্ট থেকে আপনার আশ্রয় গ্রহণ করছি ৷ তারপর
তিনি বের হয়ে যান এবং তার সমর্থকদের নিজভাই সম্পর্কে অবহিত করেন ৷ তখন তারা একে
ন্ন্হুবাদরুপে গ্রহণ করে অত্যন্ত খুশী হয় ৷ তিনি এসময় ফজর ও মাপবিবের নামায়ের পর
:-কৰুদর রলরুতন তোমরা তোমাদের বসরাবাসী ভাইদের জন্য দৃঅ৷ কর এবং পবিত্র মক্কায়
ভ্রবন্থষ্মরত হুসাইন ইবন মুআবিয়ার জন্য দুঅ৷ কর এবং তোমাদের শত্রুদের বিরুদ্ধে বিজয়
হন: কর ৷
আর এই বিদ্রোহের বিরুদ্ধে খলীফা মানসুর যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেন তা হল, তিনি দশ
হজব নির্বাচিত বীর অশ্বারোহীর নেতৃত্ব প্রদান করে ঈস৷ ইবন মুসাকে মুহাম্মাদ ইবন আবদুল্লাহ্র
ই ব্ৰুপুদ্ধ প্রেরণ করেন ৷ এদের অন্যতম হল, মুহাম্মাদ ইবন আবুল আব্বাস আসশ্সাফ্ফাহ জাফর
বন্ হানযালা আল-বুহরানী, হুমায়দ ইবন ক হ তাব৷ ৷ এই হুমায়দের কাছেই খলীফা মানসুর
ৰু ষ্ন্ষ্দ ইবন আবদুল্লাহ্র ব্যাপারে পরামর্শ চান ৷ সে বলে, হে আমীরুল মু’মিনীন! আপনার
ও স্থতজন মাওলাদের মধ্য থেকে যাদেরকে ইচ্ছা ডেকে নিন, তা ৷রপর তাদেরকে ওয়াদিউল
কুরত প্রেরণ করুন ৷ তারা তাদেরকে শামের থোরাক ও রসদ থেকে বঞ্চিত রাখবে ৷ তাহলে
সে এবং ৷ তবে সঙ্গীরা ক্ষুধায় মৃত্যুমুখে পতিত হবে ৷ কেননা, যে এমন এক শ ৷হরে অবস্থান করছে
যে < অর্থবল, লোকবল এবং যুদ্ধের বাহন ও অস্ত্র শস্ত্র কিছু নেই ৷ একথা বলে সে খলীফার
সামনে কুছায়য়ির ইবন হাসীনকে পেশ করে ৷ আর মানসুর ঈস৷ ইবন মুসাকে ৰিদ৷ য়াকালে বলেন,
হে তন্ৰু আমি তোমাকে আমার এই নির্দেশ দিচ্ছি যদি তুমি ঐ ব্যক্তিকে আয়ত্তে পাও তাহলে
তেদ্র তরর৷ ৷বি যাচাই করে৷ ৷ আর লোকদের মাঝে নিরাপত্তার ঘোষণা প্রদান করে৷ ৷ অ৷ র ৷যদি
সে তগােপন করে তাহলে তাদেরকে ত ৷র ৷যামিন জ ৷নাবে যতক্ষণ না তারা তাকে তোমার কাছে
উপ্ স্থত করে ৷ কেননা, তা ৷র গমনস্থুল সম্পর্কে তারাই অধিক অবগত ৷ এছাড় ডাখলীফ৷ মানসুর
এসময় তার সাথে পবিত্র মদীনাবাসী নেতৃস্থানীয় কুরায়শ ৷ও আনসারগণের বরাবর একাধিক পত্র


تَسْتَعِينُ بِهِ عَلَى اسْتِخْدَامِ الرِّجَالِ؟ وَلَزِمَ مَنْزِلَهُ، فَلَمْ يَخْرُجْ حَتَّى قُتِلَ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَسَنٍ. وَبَعَثَ مُحَمَّدٌ الْحَسَنَ بْنِ مُعَاوِيَةَ فِي سَبْعِينَ رَجُلًا وَنَحْوًا مِنْ عَشَرَةِ فَوَارِسَ وَاسْتَنَابَهُ عَلَى مَكَّةَ إِنْ هُوَ دَخَلَهَا، فَسَارُوا إِلَيْهَا، فَلَمَّا بَلَغَ أَهْلَهَا قُدُومُهُمْ خَرَجُوا إِلَيْهِمْ فِي أُلُوفٍ مِنَ الْمُقَاتِلَةِ، فَقَالَ لَهُمُ الْحَسَنُ بْنُ مُعَاوِيَةَ: عَلَامَ تُقَاتِلُونَ وَقَدْ مَاتَ أَبُو جَعْفَرٍ الْمَنْصُورُ؟ فَقَالَ السَّرِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ زَعِيمُ أَهْلِ مَكَّةَ: إِنَّ بُرُدَهُ جَاءَتْنَا مِنْ أَرْبَعِ لَيَالٍ، وَقَدْ أَرْسَلْتُ إِلَيْهِ، فَأَنَا أَنْتَظِرُ جَوَابَهُ إِلَى أَرْبَعٍ، فَإِنْ كَانَ مَا تَقُولُونَ حَقًّا سَلَّمْتُكُمُ الْبَلَدَ، وَعَلَيَّ مُؤْنَةُ رِجَالِكُمْ وَخَيْلِكُمْ. فَامْتَنَعَ الْحَسَنُ بْنُ مُعَاوِيَةَ مِنَ الِانْتِظَارِ وَأَبَى إِلَّا الْمُنَاجَزَةَ، وَحَلَفَ لَا يَبِيتُ اللَّيْلَةَ إِلَّا بِمَكَّةَ إِلَّا أَنْ يَمُوتَ. وَأَرْسَلَ إِلَى السَّرِيِّ أَنِ ابْرُزْ مِنَ الْحَرَمِ إِلَى الْحِلِّ حَتَّى لَا تُرَاقَ الدِّمَاءُ فِي الْحَرَمِ. فَلَمْ يَخْرُجْ، فَتَقَدَّمُوا إِلَيْهِمْ فَصَافُّوهُمْ، فَحَمَلَ عَلَيْهِمُ الْحَسَنُ وَأَصْحَابُهُ حَمْلَةَ رَجُلٍ وَاحِدٍ، فَهَزَمُوهُمْ وَقَتَلُوا مِنْهُمْ نَحْوَ سَبْعَةٍ، وَدَخَلُوا مَكَّةَ، فَلَمَّا أَصْبَحُوا خَطَبَ الْحَسَنُ بْنُ مُعَاوِيَةَ النَّاسَ، وَعَزَّاهُمْ فِي أَبِي جَعْفَرٍ، وَدَعَا لِمُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَسَنٍ الْمُلَقَّبِ بِالْمَهْدِيِّ. [خُرُوجُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَسَنٍ] وَظَهَرَ بِالْبَصْرَةِ أَيْضًا إِبْرَاهِيمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَسَنٍ، وَجَاءَ الْبَرِيدُ إِلَى أَخِيهِ
পৃষ্ঠা - ৭৯৮০


লিখে পাঠান যাতে তিনি তাদেরকে তার আনুগত্যে প্রত্যাবর্তনের আহ্বান জানান এবং তিনি
ঈসাকে নির্দেশ প্রদান করেন, পত্রগুলো তাদের কাছে গোপনে পৌছে দিতে ৷ এরপর ঈসা ইবন
মুসা যখন পবিত্র মদীনায় নিকটবর্তী হন, তখন তিনি জনৈক ব্যক্তির মাধ্যমে পত্রগুলো প্রেরণ
করেন ৷ কিন্তু মুহাম্মাদ ইবন আবদুল্লাহ ইবন হাসানের প্রহরীরা তাকে ধরে ফেলে এবং তার সাথে
সেই পত্রগুলাে পায় ৷ তখন তারা সেই পত্রগুলো মুহাম্মাদ ইবন আবদুল্লাহ্র হাতে দেয় ৷ এরপর
তিনি এদের একটি দলকে উপস্থিত করে শাস্তি প্রদান করেন ৷ বেদম প্রহায় করেন তিনি তাদেরকে
ভারী শৃগ্রলে আবদ্ধ করে জেলখানায় বন্দী করে রাখেন ৷ তারপর মুহাম্মাদ তার সঙ্গীদের পরামর্শ
চান ঈসা ইবন মুসা অগ্রসর হয়ে তাদেরকে অবরোধ করা পর্যন্ত তারা কি পবিত্র মদীনাতেই
অবস্থান করবেন, নাকি তিনি তার সঙ্গীদের নিয়ে অগ্রসর হয়ে ইরাকরাসীদের বিরুদ্ধে লড়াই
করবেন ৷ তখন তাদের কেউ পরামর্শ দেয় পবিত্র মদীনায় অবস্থানের পক্ষে কেউ বা পরামর্শ দেয়
অগ্রসর হয়ে আক্রমণের ৷ পরিশেষে পবিত্র মদীনায় অবস্থানের ব্যাপারে সকলের ঐকমত্য
প্রতিষ্ঠিত হয় ৷ কেননা, উহুদ যুদ্ধের দিন রাসুলুল্লাহ (সা) পবিত্র মদীনা ছেড়ে বেরিয়ে আসার
অনুতপ্ত হয়েছিলেন ৷ এরপর সকলে একমত হন পবিত্র মদীনায় চারপাশে পরিখা খননের ব্যাপারে
যেমনটি করেছিলেন রাসুলুল্লাহ (সা) আহযাব যুদ্ধের দিন ৷ তখন মুহাম্মাদ ইবন আবদুল্লাহ এসকল
পরামর্শে ইতিবাচক সাড়া দেন এবং আল্লাহর রাসুলের অনুকরণে নিজ হাতে সকলে সাথে পরিখা
খননে অংশ নেন ৷ এসময় তাদের সামনে রাসুলুল্লাহ (সা) এর খননকৃত পরিখার একটি কাচা ইট
বেরিয়ে আসে ৷ তখন সকলে তাতে খুশ্যিত আল্লাহ আকরার বলে উঠে এবং মুহাম্মাদকে বিজয়ের
সুসংবাদ প্রদান করে ৷ মুহাম্মাদ ইবন আবদুল্লাহ এসময় উপস্থিত ছিলেন ৷ তার পরনে ছিল একটি
সাদা আলখেল্লা যার মধ্যস্থুল ফিতা দিয়ে বাধা ৷ তিনি ছিলেন বিশালদেহী ঈষৎ বাদামী বর্ণের লালাভ
ফর্সা এবং বিশাল মস্তকের অধিকারী ৷ ঈসা ইবন মুসা যখন আওয়াসে অবস্থান গ্রহণ করেন এবং
পবিত্র মদীনায় নিকটবর্তী হন তখন মুহাম্মাদ ইবন আবদুল্লাহ মিম্বরে আরোহর্ণ করে লোকদের
উদ্দেশ্যে খুৎবা প্রদান করেন এবং তাদেরকে জিহাদে উদ্বুদ্ধ করেন ৷ আর তাদের সংখ্যা ছিল প্রায়
একলক্ষ এসময় তিনি তাদেরকে যা বলেন তার মাঝে একথাও বলে বলেন, তোমরা আমরা
রায়আত থেকে দায়মুক্ত ৷ তোমাদের মধ্যে যে তাতে বহাল থাকতে চায় যে তাতে বহাল থাকবে,
আর যে তা বর্জন করতে চায় যে তা বর্জন করবে ৷ তার একথা শোনার পর শ্রোতাদের অনেকে
অথবা তাদের অধিকাংশ তাকে ত্যাগ করে চলে যায় এবং অতি অল্পসংখ্যক লোকই তার সাথে
অবশিষ্ট থাকে ৷ অধিকাংশ পবিত্র মদীনাবাসী তাদের স্বজন-পরিজন নিয়ে পবিত্র মদীনা থেকে
বেরিয়ে যান যেন তাদেরকে সেখানে লড়াই প্রত্যক্ষ করতে না হয় ৷ এসময় তারা বিভিন্ন পাহাড়ের
পাদদেশে ও চুড়ায় আশ্রয় গ্রহণ করে ৷ এসময় মুহাম্মাদ ইবন আবদুল্লাহ তাদেরকে পবিত্র মদীনা
আগে নিবৃত্ত করার জন্য আবুল লায়ছকে পাঠান ৷ কিন্তু তার পক্ষে তাদের অধিকাৎশকে নিবৃত্ত
করা সম্ভব হয়নি ৷ আর তাদের পবিত্র মদীনা ত্যাগ অব্যাহত থাকে ৷ তখন মুহাম্মাদ এক ব্যক্তিকে
বলেন, তুমি কি একটি তরবড়ারি ও বর্শা নিয়ে যারা পবিত্র মদীনা ত্যাগ করেছে তাদেরকে ফিরিয়ে
আনতে পারবে না ৷ তখন যে ব্যক্তি উত্তর দেয়, হী৷ পারব ৷ যদি আপনি আমাকে এমন একটি বর্শা
দেন যা দ্বারা আমি তাদেরকে পাহাড়ের পাদদেশে থাকা অবস্থায় আঘাত করতে পারি এবং এমন
একটি তরবড়ারি দেন যা দ্বারা তাদেরকে পাহাড়ের চুড়ায় আশ্রয় নেওয়া অবস্থায় আঘাত করতে


مُحَمَّدٍ بِذَلِكَ، فَانْتَهَى إِلَيْهِ لَيْلًا، فَاسْتُؤْذِنَ لَهُ عَلَيْهِ وَهُوَ بِدَارِ مَرْوَانَ، فَطَرَقَ بَابَهَا، فَقَالَ: اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ طَوَارِقِ اللَّيْلِ إِلَّا طَارِقًا يَطْرُقُ بِخَيْرٍ. ثُمَّ خَرَجَ فَأَخْبَرَهُ عَنْ أَخِيهِ بِذَلِكَ، فَاسْتَبْشَرَ جِدًّا، وَفَرِحَ كَثِيرًا، وَكَانَ يَقُولُ لِلنَّاسِ بَعْدَ صَلَاتَيِ الصُّبْحِ وَالْمَغْرِبِ: ادْعُوا اللَّهَ لِإِخْوَانِكُمْ أَهْلِ الْبَصْرَةِ وَلِلْحَسَنِ بْنِ مُعَاوِيَةَ بِمَكَّةَ، وَاسْتَنْصِرُوهُ عَلَى أَعْدَائِكُمْ. وَأَمَّا أَبُو جَعْفَرٍ، فَإِنَّهُ جَهَّزَ الْجُيُوشَ إِلَى مُحَمَّدٍ صُحْبَةَ عِيسَى بْنِ مُوسَى أَرْبَعَةَ آلَافِ فَارِسٍ مِنَ الشُّجْعَانِ الْمُنْتَخَبِينَ، مِنْهُمْ; مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي الْعَبَّاسِ السَّفَّاحِ، وَحُمَيْدُ بْنُ قَحْطَبَةَ، وَجَعْفَرُ بْنُ حَنْظَلَةَ الْبَهْرَانِيُّ، وَكَانَ الْمَنْصُورُ قَدِ اسْتَشَارَهُ فِيهِ فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، ادْعُ مَنْ شِئْتَ مِمَّنْ تَثِقُ بِهِ مِنْ مَوَالِيكَ، فَيَنْزِلُ وَادِيَ الْقُرَى فَيَمْنَعُهُ مِيرَةَ الشَّامِ، فَيَمُوتُ هُوَ وَمَنْ مَعَهُ جُوعًا، فَإِنَّهُ بِبَلَدٍ لَيْسَ فِيهِ مَالٌ وَلَا رِجَالٌ وَلَا كُرَاعٌ وَلَا سِلَاحٌ. وَقَدَّمَ بَيْنَ يَدَيْهِ كُثَيِّرَ بْنَ الْحُصَيْنِ الْعَبْدِيَّ، وَقَدْ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ الْمَنْصُورُ لِعِيسَى بْنِ مُوسَى حِينَ وَدَّعَهُ: يَا عِيسَى، إِنِّي أَبْعَثُكَ إِلَى مَا بَيْنَ جَنْبَيَّ هَذَيْنِ، فَإِنْ ظَفِرْتَ بِالرَّجُلِ، فَشِمْ سَيْفَكَ، وَنَادِ فِي النَّاسِ بِالْأَمَانِ، وَإِنْ تَغَيَّبَ فَضَمِّنْهُمْ إِيَّاهُ حَتَّى يَأْتُوكَ بِهِ، فَإِنَّهُمْ أَعْلَمُ بِمَذَاهِبِهِ. وَكَتَبَ مَعَهُ كِتَابًا إِلَى رُؤَسَاءِ قُرَيْشٍ وَالْأَنْصَارِ مِنْ أَهْلِ الْمَدِينَةِ يَدْفَعُهَا إِلَيْهِمْ خُفْيَةً، يَدْعُوهُمْ إِلَى الرُّجُوعِ إِلَى الطَّاعَةِ، فَلَمَّا اقْتَرَبَ
পৃষ্ঠা - ৭৯৮১
عِيسَى بْنُ مُوسَى مِنَ الْمَدِينَةِ بَعَثَهَا مَعَ رَجُلٍ، فَأَخَذَهُ حَرَسُ مُحَمَّدٍ فَوَجَدُوا مَعَهُ تِلْكَ الْكُتُبَ، فَدَفَعُوهَا إِلَى مُحَمَّدٍ فَاسْتَحْضَرَ جَمَاعَةً مِنْ أُولَئِكَ، فَعَاقَبَهُمْ ضَرْبًا شَدِيدًا، وَقُيُودًا ثِقَالًا، وَأَوْدَعَهُمُ السِّجْنَ، ثُمَّ إِنَّ مُحَمَّدًا اسْتَشَارَ أَصْحَابَهُ فِي الْمُقَامِ بِالْمَدِينَةِ حَتَّى يَأْتِيَ عِيسَى بْنُ مُوسَى، فَيُحَاصِرَهُمْ بِهَا، أَوْ أَنْ يَخْرُجَ بِمَنْ مَعَهُ فَيُقَاتِلَ أَهْلَ الْعِرَاقِ، فَمِنْهُمْ مَنْ أَشَارَ بِهَذَا، وَمِنْهُمْ مَنْ أَشَارَ بِذَاكَ، ثُمَّ اتَّفَقَ الرَّأْيُ عَلَى الْمُقَامِ بِالْمَدِينَةِ - لِأَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَأَسَّفَ يَوْمَ أُحُدٍ عَلَى الْخُرُوجِ مِنْهَا - وَعَلَى حَفْرِ خَنْدَقٍ حَوْلَ الْمَدِينَةِ، كَمَا فَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ الْأَحْزَابِ، فَأَجَابَ إِلَى ذَلِكَ كُلِّهِ، وَحَفَرَ مَعَ النَّاسِ فِي الْخَنْدَقِ بِيَدِهِ اقْتِدَاءً بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقَدْ ظَهَرَ لَهُمْ لَبِنَةٌ مِنَ الْخَنْدَقِ الَّذِي كَانَ حَفَرَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَفَرِحُوا بِذَلِكَ وَاسْتَبْشَرُوا وَكَبَّرُوا وَبَشَّرُوهُ بِالنَّصْرِ. وَكَانَ مُحَمَّدٌ حَاضِرًا عَلَيْهِ قَبَاءٌ أَبْيَضُ، وَفِي وَسَطِهِ مِنْطَقَةٌ، وَكَانَ شَكِلًا ضَخْمًا، أَسْمَرَ عَظِيمَ الْهَامَةِ. وَلَمَّا نَزَلَ عِيسَى بْنُ مُوسَى الْأَعْوَصُ، وَاقْتَرَبَ مِنَ الْمَدِينَةِ، صَعِدَ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَسَنٍ الْمِنْبَرَ، فَخَطَبَ النَّاسَ، وَحَثَّهُمْ عَلَى الْجِهَادِ وَنَدَبَهُمْ إِلَيْهِ - وَكَانُوا قَرِيبًا مِنْ مِائَةِ أَلْفٍ - فَقَالَ لَهُمْ فِي جُمْلَةِ مَا قَالَ: إِنِّي جَعَلْتُكُمْ فِي حِلٍّ مِنْ بَيْعَتِي، فَمَنْ أَحَبَّ أَنْ يُقِيمَ عَلَيْهَا فَلْيَفْعَلْ، وَمَنْ أَحَبَّ أَنْ يَتْرُكَهَا فَلْيَفْعَلْ. فَتَسَلَّلَ كَثِيرٌ مِنْهُمْ أَوْ أَكْثَرُهُمْ، وَلَمْ يَبْقَ إِلَّا شِرْذِمَةٌ مِنَ النَّاسِ، وَخَرَجَ أَكْثَرُ أَهْلِ الْمَدِينَةِ
পৃষ্ঠা - ৭৯৮২


পারি ৷ একথা শুনে মুহাম্মাদ নির্বাক হয়ে যান ৷ তারপর আমাকে বলেন, দুর্ভাগ্য তোমার ৷ শামবাসী
ইরাকবাসী এবং খুরাসানবাসী আমার আনুগত্য বুমবুন নিবুয় কাল পাগড়ি খুলে সাদা পাগড়ি পরিধান
করেছে ৷ তখন তিনি বলেন, দুনিয়া যযদি শুভ্রমাখবুনর ন্যায় হয় তাহলে তা আমার কী কাজে
আসবে ৷ আর এই যে ঈসা ইবন মুসা আওয়াসে অবতরণ করেছে ৷ এরপর ঈসা ইবন মুসা তার
বাহিনী নিবুয় অগ্রসর হয়ে পবিত্র মদীনা র উপকবুণ্ঠ এক মইিল দুবুর শিবির স্থাপন করে ৷ তখন তার
পখপ্ৰদর্থাং সমরবিদ ইবনুল আসম তাবুক বলে আমি আশক্ষো করছি আপনারা যখন তাদেরকে
পরাজিত করবেন, তখন অশ্ব৷ ৷রােহী দলতাদের নাগাল পাওয়া র পুর্বেই৩ ৷ ৷র৷ তা ৷দের বুসনাছাউনিবুত
ফিরে যেতে সক্ষম হবুব ৷ এরপর সে ঈসা ইবন মুসাবুক নিবুয় পবিত্র মদীনার চার মাইল দুবুর
অবস্থিত সুলায়মান ইবন আব্দুল মালিকের সিকায়া আল-জারাবুফ গমন কবুর ৷ আর এটা ছিল
এবছবুরর রমযান মাসের বার তারিখ শনিবার সকালে ৷ আর এসময় সে এই অবস্থাবুনর কারণ
উল্লেখ কবুর বলে, পদাতিক যোদ্ধ৷ পলায়নকাবুল দুই বা তিন মাইবুলর অধিক দুরতু অতিক্রম
করার পুর্বে অশ্বারােহীদল তাদের নাগাল পেয়ে যায় ৷

এদিকে ঈসা ইবন মুসা পাচশ অশ্বারোহীকে পৃথক করে প্রেরণ করেন এবৎত তারা এবুস পবিত্র
মক্কার পথে বায়আতৃৱ রিযওয়াবুনর বৃক্ষের নিকট অবতরণ করে ৷ এসময় তিনি তা ৷দেরবুক বলেন,
এই ব্যক্তি যদি পলায়ন করতে চায় তাহবুল সে পবিত্র মক্কাবুতই আশ্রয় গ্রহণ করবুব ৷ কাজেই,
তোমরা তাকে সে পথ থেকে বাধা দিবুব ৷ এরপর ঈসা ইবন মুসা, মুহাম্মাদ ইবন আবদৃল্লাহ্ ইবন
হাসানের কাছে দুত পাঠান তাবুক আমীরুল মু’মিনীন মানসুরের আনুগত্যের আহ্বান জা ৷নিবুয় ৷
তিনি তাবুক দুত মা রফত জানান যে তার এই আহ্বাবুন সাড়৷ ৷দিলে খলীফ৷ ৷তাকে এবং তার স্বজন
পরিজন সকলকে পুর্ণ নিরাপত্তা প্রদান করবেন ৷ কিন্তু এর জবাবে মুহাম্মাদ দুতকে বলেন, দুত
হত্যা না করার রীতি যদি না থাকত, তাহলে আমি অবশ্যই তোমাকে হত্যা করতাম ৷ এরপর
মুহাম্মাদ ইবন আবদুল্লাহ্ ঈসা ইবন মুসা র কাছে এই মর্মে বাত ৷ প্রেরণ করেন, আমি তোমাকে
কিতা ৷বুল্লাহ্ ও সৃন্নাহ্র দিকে আহ্বান করছি ৷ কাজেই, তুমি সতর্ক হও, আ ৷মি যদি তোমাকে হত্যা
করিত তাহবুল তুমি হবুব নিকৃষ্টতম নিহত ৷ আর তুমি যদি আমাকে হত্যা কর তাহবুল তুমি হবুব
আল্লাহ ও রাসুলের দিকের আহ্বায়ককে হত্যাকারী ৷ এরপর তিনদিন পর্যন্ত তাদের উভয়ের মাঝে
দুত বিনিময় চলতে থাকে এবং তারা একে অপরবুক নিজের প্রতি ৩আহ্বান করতে থাকেন ৷ আর
এই ঈসা ইবন মুসা এই তিন দিনের প্রতিদিন সালা’ পাহাড়ের ৰ্বাকে দাড়িয়ে ঘোষণা করেন, হে
পবিত্র মদীনাবাসী তোমাদের রক্তপাত আমাদের জন্য নিষিদ্ধ৷ হ বাম ৷ কা ৷জেই যে আমাদের কাছে
এবুস আমার ঝাণ্ডাতলে আশ্রয় নিবুব সে নিরাপদ ৷ বুত আমাদের মধ্যে যে পবিত্র মদীনা থেবুক
বেরিয়ে যাবে সেও নিরাপদ ৷ যেতার নিজগৃহে অবস্থান করবুব বুসও নিরাপদ ৷ যে তার অস্ত্র
সমর্পণ কারবুব সেও নিরাপদ ৷ তোমাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমাদের কো ন ইচ্ছা নেই ৷ আমরা
শুধু মুহা ৷ম্মাদবুক চইি ৷ তাকে আমরা খলীফার কাছে নিয়ে যাব ৷ তখন (উপস্থিত) মদীনাবা সীত ৷ তাবুক
গালমন্দ করতে শুরু কবুর , তার মাবুয়র সম্পর্কে কটুক্তি করবুত থাকে এবং কদর্য কথা বলবুত
থাবুক এবং তাবুক বিশ্ৰীভাবুব সম্বোধন করতে থাবুক ৷ এসময় তারা তাবুক বলে, ইনি হবুলন
আল্লাহর রাসুলে দৌহিত্র, আমাদের সাথে রয়েছেন, আর আমরাও তার সাথে রবুয়ছি ৷ আমরা তার
পক্ষে লড়াই করব ৷

ন্সাল-বিদায়৷ ওয়ান নিহায়া (১০ম খণ্ড) ২১


بِأَهْلِيهِمْ مِنْهَا لِئَلَّا يَشْهَدُوا الْقِتَالَ بِهَا، فَنَزَلُوا الْأَعْرَاضَ وَرُءُوسَ الْجِبَالِ، وَقَدْ بَعَثَ مُحَمَّدٌ أَبَا الْقَلَمَّسِ لِيَرُدَّهُمْ عَنِ الْخُرُوجِ، فَلَمْ يُمْكِنْهُ ذَلِكَ فِي أَكْثَرِهِمْ، وَاسْتَمَرُّوا ذَاهِبِينَ. وَقَدْ قَالَ مُحَمَّدٌ لِرَجُلٍ: أَتَأْخُذُ سَيْفًا وَرُمْحًا وَتَرُدُّ هَؤُلَاءِ الَّذِينَ خَرَجُوا مِنَ الْمَدِينَةِ؟ فَقَالَ: نَعَمْ، إِنْ أَعْطَيْتَنِي رُمْحًا أَطْعَنُهُمْ بِهِ وَهُمْ بِالْأَعْرَاضِ، وَسَيْفًا أَضْرِبُهُمْ بِهِ وَهُمْ فِي رُءُوسِ الْجِبَالِ فَعَلْتُ. فَسَكَتَ مُحَمَّدٌ، ثُمَّ قَالَ: وَيْحَكَ! إِنَّ أَهْلَ الشَّامِ وَالْعِرَاقِ وَخُرَاسَانَ قَدْ بَيَّضُوا - يَعْنِي لَبِسُوا الْبَيَاضَ - مُوَافَقَةً لِي وَخَلَعُوا السَّوَادَ. فَقَالَ: وَمَا يَنْفَعُنِي أَنْ لَوْ بَقِيَتِ الدُّنْيَا زُبْدَةً بَيْضَاءَ وَأَنَا فِي مِثْلِ صُوفَةِ الدَّوَاةِ، وَهَذَا عِيسَى بْنُ مُوسَى نَازِلٌ بِالْأَعْوَصِ؟ ! ثُمَّ جَاءَ عِيسَى بْنُ مُوسَى، فَنَزَلَ بِجَيْشِهِ قَرِيبًا مِنَ الْمَدِينَةِ، عَلَى مِيلٍ مِنْهَا، فَقَالَ لَهُ دَلِيلُهُ ابْنُ الْأَصَمِّ: إِنِّي أَخْشَى إِذَا كَشَفْتُمُوهُمْ أَنْ يَرْجِعُوا إِلَى مُعَسْكَرِهِمْ سَرِيعًا قَبْلَ أَنْ تُدْرِكَهُمُ الْخَيْلُ. ثُمَّ ارْتَحَلَ بِهِ فَأَنْزَلَهُ الْجَرْفَ عَلَى سِقَايَةِ سُلَيْمَانَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ عَلَى أَرْبَعَةِ أَمْيَالٍ مِنَ الْمَدِينَةِ، وَذَلِكَ يَوْمَ السَّبْتِ لِصُبْحِ ثِنْتَيْ عَشْرَةَ لَيْلَةً خَلَتْ مِنْ رَمَضَانَ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ، وَقَالَ: إِنَّ الرَّاجِلَ إِذَا هَرَبَ لَا يَقْدِرُ عَلَى الْهَرْوَلَةِ أَكْثَرَ مِنْ مِيلَيْنِ أَوْ ثَلَاثَةٍ، فَتُدْرِكُهُ الْخَيْلُ. وَأَرْسَلَ عِيسَى بْنُ مُوسَى خَمْسَمِائَةِ فَارِسٍ فَنَزَلُوا عِنْدَ الشَّجَرَةِ فِي طَرِيقِ مَكَّةَ، وَقَالَ لَهُمْ: إِنَّ هَذَا الرَّجُلَ إِنْ هَرَبَ فَلَيْسَ لَهُ مَلْجَأٌ إِلَّا مَكَّةَ فَاقْتُلُوهُ وَحُولُوا
পৃষ্ঠা - ৭৯৮৩

১৬২ আল-বিদায়৷ ওয়ান নিহায়া

তারপর যখন তৃতীয় দিন হয়, তখন ঈসা ইবন মুসা এমন অস্ত্র-শ্ ৷স্ত্র সজ্জিত অশ্বারোহী ও
পদ৷ ৷তিক সৈন্য নিয়ে তাদের সামনে উপস্থিত হন যে, পুর্বে এমনটি কেউ দােখনি ৷ তখন তিনি
মুহাম্মাদ ইবন আবদুল্লাহকে উদ্দেশ্য করে বলেন, হে মুহাম্মাদ আযীরুল মু ’মিনীন আমাকে নির্দেশ
দিয়েছেন তোমাকে তার আনুগত্যের দিকে আহ্বান করার পুর্বে৫ত তোমার বিরুদ্ধে লড়াই না
করতে ৷ যদি তুমি তা করত তাহলে তিনি তোমাকে নিরাপত্তা দিবেন, তোমার ঋণ ৷সমুহ পরিশোধ
করবেন, তোমাকে ধন-সম্পত্তি ও তুসম্পত্তি দান করবেন ৷ আর যদি তুমি অম্বীকা ৷র কর তাহলে
আমি তোমার বিরুদ্ধে লড়াই করব ৷ কেননা, ইতিমধ্যে আমি তোমাকে একাধিকবার তার
আনুগত্যের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি ৷ তখন মুহাম্মাদ ইবন আবদুল্লাহ তাকে ডেকে বলেন,
তোমাদের জন্য আমাদের কাছে লড়াই ছাড়া এর কোন জবাব নেই ৷ তখন উভয় দলের মাঝে
যুদ্ধের সুচনা হয় ৷ ঈস৷ ইবন মুসার সৈন্য সংখ্যা ছিল চার হাজারের অধিক, এদের অগ্রবর্তী
বাহিনীর নেতৃত্বে ছিল হুমায়দ ইবন কাহতাবা দক্ষিণ বাহুর নেতৃত্বে ছিল মুহাম্মাদ ইবন সাফ্ফাহ,
উত্তর বাহু বা বামপাশ্বেরি নেতৃত্বে ছিল দাউদ ইবন কাররার, আর পশ্চাদতাগের নেতৃত্বে ছিল
হায়ছাম ইবন শু’ বা ৷৩ তাদের ছিল অভুতপুর্ব সমরসজ্জা ৷ ঈস৷ ইবন মুসা তার সহযোদ্ধাদের সকল
ক্ষেত্রে বিভক্ত করে বিনম্ভে করেন ৷ আর মুহাম্মদ ইবন আব্দুল্লাহর যােদ্ধাদের সং খ্যা ছিল বদর
যোদ্ধাদের কয়েকগুণ ৷ এরপর উভয় বাহিনী প্রচণ্ড সংঘষে লিপ্ত হয় ৷ এসময় মুহ ম্মা৷দ তার বাহন

থেকে নেমে যুদ্ধে অগ্রসর হন ৷ বর্ণিত আছে৩ তিনি একাই ঈস৷ ইবন মুসা র বাহিনীর সতরজন বীর
যোদ্ধাকে হত্যা করেন ৷ এদিকে ইরাকী ফৌজ তাদেরকে ঘিরে ফেলে এবং মুহাম্মাদ ইবন
আবদুল্লাহ ইবন হাসানের একদল যোদ্ধাকে হত্যা করে ৷ তারা এদের খননকৃত পরিখ৷ অতিক্রম
করে আক্রমণ করে যাতে এরা কয়েকটি প্রবেশ দ্বারও নির্ধারণ করেছিল ৷ বর্ণিত আছে ইরাকীরা
তাদের উটের হাওদ৷ দিয়ে পরিখার গ্র্ত পুর্ণকার সে স্থান অতিক্রম করে ৷ অবশ্য এও হতে পারে
যে তারা একন্থানে এরুপ এবং অন্যস্থানে সেরুপ করেছিল ৷ আল্লাহই অধিক জানেন ৷

এভাবে যুদ্ধ চলতে থাকে এমনকি আসরের নামায পড়া হয় ৷ এরপর মুহাম্মাদ ও তার
সহযোদ্ধারা যখন আসরের নামায পড়েন, তখন তারা সালা’ পাহাড়ের উপত্যাকার প্রবাহস্থুলে
অবস্থান গ্রহণ করেন ৷ এসময় তিনি তার তরবারির খাপ ভেঙ্গে ফেলেন এবং তার ঘোড়াকে হত্যা
করেন ৷ আর তার অনুকরণে তার সহ্য়ােদ্ধারাণ্ড তা করে এবং নিজেদেরকে লড়াইয়ের জন্য
ধৈর্যশীল করে তোলেন ৷ এরপর প্রচণ্ড ও চুড়ান্ত লড়াই শুরু হয় এবং ইরাকী ফৌজ বিজয় লাভ
করে ৷ তখন তারা সালা’ পাহাড়ের চুড়ায় কাল ঝাও৷ ৷াউত্তে ৷লন করে ৷ এরপর ত ৷র৷ পবিত্র মঙ্গীন
নিকটবর্তী হয় এবং সেখানে প্রবেশ করে মসজিদে নববীর উপর কা ল ঝাও ৷উত্তোলন করে

মুহা স্ম ৷ দেব সহযােদ্ধারা যখন এই অবস্থা প্রত্যক্ষ করে, তখন তা ৷রা ঘোষণা করে পবিত্র মদীন
আমাদের হাতছাড়৷ হয়েছে এবং পলায়ন করে ৷ আর মুহাম্মাদ সামান্য সং খ্যক সহযােদ্ধ৷ নিঃয়
লড়তে থাকেন ৷ এরপর তিনি সম্পুর্ণ নিঃসঙ্গ হয়ে পড়েন ৷ এসময় তার হা তে ছিল একটি ধ ৰ্বা
ও মসৃণ তরবারি যা দিয়ে তিনি তার দিকে অগ্রসরমান প্রত্যেককে আঘাত করেছিলেন ৷ যেই তার
সামনে দীড়ায় তাকেই তিনি চিররুিদায় শায়িত করে দেন ৷ এভাবে তিনি বেশ কয়েকজন ইরর্ধ্বন্নী
বীরকে হত্যা করেন ৷ বর্ণিত আছে এদিন তার হাতে ছিল যুলফিকার ১ ৷ এরপর ক্রমান্বয়ে তার

১ হযরত আলী ইবন আবুতালিবের তরবারির নাম ৷




بَيْنَهُ وَبَيْنَهَا. ثُمَّ أَرْسَلَ عِيسَى إِلَى مُحَمَّدٍ يَدْعُوهُ إِلَى السَّمْعِ وَالطَّاعَةِ وَالرُّجُوعِ إِلَى الْمُبَايَعَةِ لِأَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ; فَإِنَّهُ قَدْ أَعْطَاهُ الْأَمَانَ لَهُ وَلِأَهْلِ بَيْتِهِ إِنْ هُوَ أَجَابَ إِلَى ذَلِكَ. فَقَالَ مُحَمَّدٌ لِلرَّسُولِ: لَوْلَا أَنَّ الرُّسُلَ لَا تُقْتَلُ لَقَتَلْتُكَ. ثُمَّ بَعَثَ إِلَى عِيسَى بْنِ مُوسَى يَقُولُ لَهُ: إِنِّي أَدْعُوكَ إِلَى كِتَابِ اللَّهِ وَسُنَّةِ رَسُولِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَاحْذَرْ أَنْ تَمْتَنِعَ فَأَقْتُلَكَ فَتَكُونَ شَرَّ قَتِيلٍ، أَوْ تَقْتُلَنِي فَتَكُونَ قَدْ قَتَلْتَ مَنْ دَعَاكَ إِلَى كِتَابِ اللَّهِ وَسُنَّةِ رَسُولِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. ثُمَّ جَعَلَتِ الرُّسُلُ تَتَرَدَّدُ بَيْنَهُمَا ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ، يَدْعُوهُ فِيهَا عِيسَى بْنُ مُوسَى إِلَى السَّمْعِ وَالطَّاعَةِ وَالرُّجُوعِ إِلَى الْجَمَاعَةِ، وَجَعَلَ عِيسَى يَقِفُ فِي كُلِّ يَوْمٍ مِنْ هَذِهِ الْأَيَّامِ الثَّلَاثَةِ عَلَى الثَّنِيَّةِ عِنْدَ سَلْعٍ فَيُنَادِي: يَا أَهْلَ الْمَدِينَةِ، إِنَّ دِمَاءَنَا عَلَيْنَا حَرَامٌ، فَمَنْ جَاءَ فَوَقَفَ تَحْتَ رَايَتِنَا فَهُوَ آمِنٌ، وَمَنْ دَخَلَ مَسْجِدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَهُوَ آمِنٌ، وَمَنْ دَخَلَ دَارَهُ فَهُوَ آمِنٌ، وَمَنْ خَرَجَ مِنَ الْمَدِينَةِ فَهُوَ آمِنٌ، وَمَنْ أَلْقَى سِلَاحَهُ فَهُوَ آمِنٌ، فَلَيْسَ لَنَا فِي قِتَالِكُمْ أَرَبٌ، وَإِنَّمَا نُرِيدُ مُحَمَّدًا وَحْدَهُ لِنَذْهَبَ بِهِ إِلَى الْخَلِيفَةِ. فَجَعَلُوا يَسُبُّونَهُ وَيَنَالُونَ مِنْ أُمِّهِ، وَيَتَكَلَّمُونَ مَعَهُ بِكَلَامٍ شَنِيعٍ، وَيُخَاطِبُونَهُ مُخَاطَبَةً فَظِيعَةً، وَقَالُوا: هَذَا ابْنُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَعَنَا وَنَحْنُ مَعَهُ، وَنُقَاتِلُ دُونَهُ. فَلَمَّا كَانَ الْيَوْمُ الثَّالِثُ أَتَاهُمْ فِي خَيْلٍ وَرِجَالٍ وَسِلَاحٍ وَرِمَاحٍ لَمْ يُرَ مِثْلُهَا، فَنَادَاهُ: يَا مُحَمَّدُ، إِنَّ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ أَمَرَنِي أَنْ لَا أُقَاتِلَكَ حَتَّى أَدْعُوَكَ إِلَى السَّمْعِ وَالطَّاعَةِ، فَإِنْ فَعَلْتَ أَمَّنَكَ، وَقَضَى دَيْنَكَ، وَأَعْطَاكَ أَمْوَالًا وَأَرَاضِيَ، وَإِنْ أَبَيْتَ قَاتَلْتُكَ، فَقَدْ دَعَوْتُكَ غَيْرَ مَرَّةٍ. فَنَادَاهُ مُحَمَّدٌ: إِنَّهُ لَيْسَ لَكُمْ عِنْدِي إِلَّا الْقِتَالُ.
পৃষ্ঠা - ৭৯৮৪
فَنَشِبَتِ الْحَرْبُ حِينَئِذٍ بَيْنَهُمْ، وَكَانَ جَيْشُ عِيسَى بْنِ مُوسَى فَوْقَ الْأَرْبَعَةِ آلَافٍ، عَلَى الْمُقَدِّمَةِ حُمَيْدُ بْنُ قَحْطَبَةَ، وَعَلَى مَيْمَنَتِهِ مُحَمَّدٌ ابْنُ السَّفَّاحِ، وَعَلَى الْمَيْسَرَةِ دَاوُدُ بْنُ كَرَّازٍ، وَعَلَى السَّاقَةِ الْهَيْثَمُ بْنُ شُعْبَةَ، وَمَعَهُمْ عُدَدٌ لَمْ يُرَ مِثْلُهَا، وَفَرَّقَ عِيسَى أَصْحَابَهُ، فِي كُلِّ قُطْرٍ طَائِفَةً، وَكَانَ مُحَمَّدٌ وَأَصْحَابُهُ عَلَى عِدَّةِ أَهْلِ بَدْرِ وَاقْتَتَلَ الْفَرِيقَانِ قِتَالًا شَدِيدًا جِدًّا، وَتَرَجَّلَ مُحَمَّدٌ إِلَى الْأَرْضِ فَيُقَالُ: إِنَّهُ قَتَلَ بِيَدِهِ مِنْ أُولَئِكَ سَبْعِينَ رَجُلًا، وَأَحَاطَ بِهِمْ أَهْلُ الْعِرَاقِ، فَقَتَلُوا طَائِفَةً مِنْ أَصْحَابِ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَسَنٍ، وَاقْتَحَمُوا عَلَيْهِمُ الْخَنْدَقَ الَّذِي كَانُوا حَفَرُوهُ، وَعَمِلُوا أَبْوَابًا عَلَى قَدْرِهِ، وَقِيلَ: إِنَّهُمْ رَدَمُوهُ بِحَدَائِجِ الْإِبِلِ حَتَّى أَمْكَنَهُمْ أَنْ يَجُوزُوهُ، وَقَدْ يَكُونُ هَذَا فِي مَوْضِعٍ مِنْهُ، وَهَذَا فِي مَوْضِعٍ آخَرَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَلَمْ يَزَلِ الْقِتَالُ نَاشِبًا بَيْنَهُمْ مِنْ بُكْرَةِ النَّهَارِ حَتَّى صُلِّيَتِ الْعَصْرُ، فَلَمَّا صَلَّى مُحَمَّدٌ الْعَصْرَ نَزَلَ إِلَى مَسِيلِ الْوَادِي بِسَلْعٍ، فَكَسَرَ جَفْنَ سَيْفِهِ، وَعَقَرَ فَرَسَهُ، وَفَعَلَ أَصْحَابُهُ مِثْلَهُ، وَصَبَّرُوا أَنْفُسَهُمْ لِلْقِتَالِ وَحَمِيَتِ الْحَرْبُ حِينَئِذٍ جِدًّا، فَاسْتَظْهَرَ أَهْلُ الْعِرَاقِ، وَرَفَعُوا رَايَةً سَوْدَاءَ فَوْقَ سَلْعٍ، ثُمَّ دَنَوْا إِلَى الْمَدِينَةِ فَدَخَلُوهَا وَنَصَبُوا رَايَةً سَوْدَاءَ فَوْقَ مَسْجِدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا رَأَى ذَلِكَ أَصْحَابُ مُحَمَّدٍ تَنَادَوْا: دُخِلَتِ الْمَدِينَةُ. وَهَرَبُوا وَبَقِيَ مُحَمَّدٌ فِي شِرْذِمَةٍ قَلِيلَةٍ جِدًّا. ثُمَّ بَقِيَ وَحْدَهُ وَفِي يَدِهِ سَيْفٌ صَلْتٌ يَضْرِبُ بِهِ مَنْ تَقَدَّمَ
পৃষ্ঠা - ৭৯৮৫


বিরুদ্ধে সমবেত যােদ্ধার সংখ্যা বৃদ্ধি পায় ৷ তখন এক ব্যক্তি অগ্রসর হয়ে তার ডানদিকের
কানপট্টির নীচে তরবারি দিয়ে আঘাত করে, তখন তিনি ন্হীটু থেড়ে বসে পড়েন এবং আত্মরক্ষা
করা অবস্থায় বলতে থাকেন, তোমাদের দুর্ভাগ্য ! তোমাদের আঘাতে তোমাদের নবী দৌহিত্র
আজ ক্ষতবিক্ষত ৷ আর এসময় হুমায়দ ইবন কাহতাবা অন্যদেরকে তাকে হত্যা করতে নিষেধ
করে ৷ তখন সকলে পিছিয়ে আসে ৷ এই ফাকে হুমায়দ নিজে অগ্রসর হয়ে তরবারির আঘাতে
তার মাথা বিচ্ছিন্ন করে এরপর তা নিয়ে এসে ঈসা ইবন মুসার সামনে উপস্থিত করে ৷ আর
ইতিপুর্বে হুমায়দ শপথ করেছিল যে তাকে দেখামাত্র সে তাকে হত্যা করবে ৷ ঘটনাক্রমে আহত
অবন্থায়ই সে তার সাক্ষাৎ পায় ৷ যদি সে অক্ষত অবস্থায় তার সাক্ষাত পেত তাহলে হুমায়দ কিংবা
অন্য কারও পক্ষেও তাকে হত্যা করা সম্ভব হত না ৷

মুহাম্মাদ ইবন আবদুল্লাহ ইবন হাসানের এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয় আহজারুয যায়ত নামক
স্থানে একশ পয়তাল্লিশ হিজরীর রমযান মাসের চৌদ্দ তারিখ রবিবার ৷ ঈসা ইবন মুসার সামনে
যখন মুহাম্মাদ ইবন আবদুল্লাহ ইবন হাসানের মাথা রাখা হয়, তখন তিনি তার সহচরদের বলেন,
তার ব্যাপারে তোমরা কী বল ৷ কয়েক ব্যক্তি তার সম্পর্কে মানহানিমুলক কথা বলে ৷ এক ব্যক্তি
বলে, আল্লাহর কসম ! তোমরা মিথ্যা বলেছ, তিনি তো পরহেযগার ও ইবাদতগুযার ছিলেন, তবে
তিনি আমীরুল মু’মিনীনের বিরোধিতা করে মুসলমানদের ঐক্য নষ্ট করেছেন, তাই আমরা তাকে
হত্যা করেছি ৷ তারা সকলে নির্বাক হয়ে যায় ৷ আর তার তরবারি যুলফিকার আব্বাসীয়দের হস্তগত
হয় এবং তারা বংশ পরম্পরায় তার উত্তরাধিকারী হতে থাকে এমনকি তাদের কেউ একজনতা
পরখ করে দেখে, যে তা দ্বারা একটি কুকুরকে আঘাত করে তখন তা কর্তিত হয় ৷ ইবন জারীর
ও অন্যান্যরা তা উল্লেখ করেছেন, এই অভিযানের বর্ণনা প্রসঙ্গে খলীফা মানসুরের কাছে এ সংবাদ
পৌছে যে মুহাম্মাদ ইবন আবদুল্লাহ ইবন হাসান যুদ্ধের ময়দান থেকে পলায়ন করেন ৷ তিনি
বলেন, এটা হতে পারে না ৷ কেননা, আমরা আহলে বায়ত পলায়ন করি না ৷

ইবন জারীর বর্ণনা করেছেন আবদুল্লাহ ইবন রাশিদ সুত্রে আবুল হাজ্জাজ থেকে ৷ তিনি বলেন,
(একবার) আমি খলীফা মানসুরের শিয়রে দীড়িয়ে ছিলাম আর তিনি আমাকে মুহাম্মাদ ইবন
আবদুল্লাহ ইবন হাসানের বিদ্রোহ সম্পর্কে প্রশ্ন করছেন ৷ এমন সময় তার কাছে সংবাদ পৌছে যে
ঈসা ইবন মুসা পরাস্ত হয়েছেন ৷ এসময় মানসুর হেলান দিয়ে বলেছিলেন একথা শুনে তিনি সেজাে
হয়ে বলেন এবং তার হাতের ছড়ি বা দণ্ড দিয়ে তার জায়নামায়ে আঘাত করে বলেন, এটা কখনও
হতে পারে না ৷

এদিকে ঈসা ইবন মুসা কাসিম ইবন হাসানকে সুসংবাদ বাহকরুপে এবং ইবন আবুল
কিরামকে মুহাম্মাদ ইবন আবদুল্লাহ ইবন হাসানের মস্তকবহনকারীরুগে খলীফা মানসুরের কাছে
পাঠান ৷ এরপর তার নির্দোশ মুহাম্মাদের অবশিষ্ট দেহ জান্নাতৃল বাকীতে দাফন করা হয় ৷ আর
তার সাথে নিহতদের পবিত্র মদীনায় উপকণ্ঠে তিনদিন শুলবিদ্ধ করে রাখা হয় ৷ তিনদিন পর
সেগুলি সালা’ পাহাড়ের পাদদেশে ইয়াহদীদের সমাধিন্থলে ফেলে রাখা হয় ৷ তারপর সেখান
থেকে সেখানকার এক পরিথায় স্থানান্তরিত করা হয় ৷ ঈসা ইবন মুসা হাসানী পরিবারের সকল
অর্থ-সষ্পদ করায়ত্ত করলে খলীফা মানসুর তার জন্য তাকে অনুমোদন করেন ৷ বর্ণিত আছে, তিনি
পরবর্তীতে তাদেরকে তা ফিরিয়ে দেন ৷ ইবন জারীর তা বংনাি করেছেন ৷ এসময় পবিত্র

ধ্ শ্

إِلَيْهِ، فَلَا يَقُومُ لَهُ شَيْءٌ، وَيُقَالُ: إِنَّهُ كَانَ فِي يَدِهِ يَوْمَئِذٍ ذُو الْفَقَارِ. ثُمَّ تَكَاثَرَ عَلَيْهِ النَّاسُ، فَتَقَدَّمَ إِلَيْهِ رَجُلٌ، فَضَرَبَهُ بِسَيْفِهِ تَحْتَ شَحْمَةِ أُذُنِهِ الْيُمْنَى فَسَقَطَ مُحَمَّدٌ لِرُكْبَتَيْهِ، وَجَعَلَ يَحْمِي نَفْسَهُ، وَيَقُولُ: وَيْحَكُمُ ابْنُ نَبِيِّكُمْ مَجْرُوحٌ مَظْلُومٌ. وَجَعَلَ حُمَيْدُ بْنُ قَحْطَبَةَ يَقُولُ: وَيْحَكُمْ دَعُوهُ لَا تَقْتُلُوهُ. فَأَحْجَمَ عَنْهُ النَّاسُ، وَتَقَدَّمَ إِلَيْهِ حُمَيْدُ بْنُ قَحْطَبَةَ، فَاحْتَزَّ رَأْسَهُ، وَذَهَبَ بِهِ إِلَى عِيسَى بْنِ مُوسَى، فَوَضَعَهُ بَيْنَ يَدَيْهِ، وَكَانَ حُمَيْدٌ قَدْ حَلَفَ أَنْ يَقْتُلَهُ مَتَى رَآهُ، فَمَا أَدْرَكَهُ إِلَّا كَذَلِكَ. وَكَانَ مَقْتَلُ مُحَمَّدٍ عِنْدَ أَحْجَارِ الزَّيْتِ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ بَعْدَ الْعَصْرِ، لِأَرْبَعَ عَشْرَةَ لَيْلَةً خَلَتْ مِنْ رَمَضَانَ سَنَةَ خَمْسٍ وَأَرْبَعِينَ وَمِائَةٍ، وَقَدْ قَالَ عِيسَى بْنُ مُوسَى لِأَصْحَابِهِ حِينَ وُضِعَ رَأْسُهُ بَيْنَ يَدَيْهِ: مَا تَقُولُونَ فِيهِ؟ فَنَالَ مِنْهُ أَقْوَامٌ وَتَكَلَّمُوا فِيهِ، فَقَالَ رَجُلٌ مِنْهُمْ: كَذَبْتُمْ وَاللَّهِ، لَقَدْ كَانَ صَوَّامًا قَوَّامًا، وَلَكِنَّهُ خَالَفَ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، وَشَقَّ عَصَا الْمُسْلِمِينَ، فَقَتَلْنَاهُ عَلَى ذَلِكَ. فَسَكَتُوا حِينَئِذٍ. وَأَمَّا سَيْفُهُ ذُو الْفَقَارِ فَإِنَّهُ صَارَ إِلَى بَنِي الْعَبَّاسِ يَتَوَارَثُونَهُ بَيْنَهُمْ حَتَّى جَرَّبَهُ بَعْضُهُمْ، فَضَرَبَ بِهِ كَلْبًا، فَانْقَطَعَ السَّيْفُ. ذَكَرَهُ ابْنُ جَرِيرٍ وَغَيْرُهُ. وَقَدْ بَلَغَ الْمَنْصُورَ فِي غُبُونِ هَذَا الْأَمْرِ أَنَّ مُحَمَّدًا فَرَّ مِنَ الْحَرْبِ، فَقَالَ: لَا، إِنَّا أَهْلُ بَيْتٍ لَا نَفِرُّ.
পৃষ্ঠা - ৭৯৮৬


মদীনাবাসীকে নিরাপত্তার ঘোষণা শোনান হয়, ফলে লোকজন (স্বাভাবিক জীবনে ফিরে) সকালে
(ক্রয় বিক্রয়েয় উদ্দেশ্যে) বাজারে সমবেত হয় ৷ আর মুহাম্মাদ ইবন আবদুল্লাহ যেদিন নিহত হন,
৫এসদিন বৃষ্টির কারণে ঈসা ইবন মুসা৩ায় ৷ফৌজ নিয়ে অপেক্ষাকৃত উচুস্থা ন জারাফে গমন করেন
বংজারাফ থেকে মসজিদে আসা-যাওয়৷ করতে থাকেন ৷ এসময়৩ তিনি য়মযান মাসেয় উনিশ
তারিখ পর্যন্ত পবিত্র মদীনায় অবস্থান করেন ৷ তারপর তিনি পবিত্র মক্কাভিমুখে বের হন ৷ সেখানে
তখন মুহাম্মাদ ইবন আবদুল্লাহ্য় পক্ষ থােক হাসান ইবন মুআবিয়৷ নিহত হবার পুর্বে মুহাম্মাদ ইবন
আবদুল্লাহ তাকে তার কাছে আগমনের জন্য পত্র লিখেন ৷ এরপর সে যখন পবিত্র মক্কাতিমুখে
বের হয়ে কিছু পথ অতিক্রম করে তখন তার কাছে মুহাম্মাদেয় নিহত হওয়ার সংবাদ পৌছে ৷ সে
তখন মুহাম্মাদ ইবন আবদুল্লাহয় ভইি ইবরাহীম ইবন আবদুল্লাহ্র কাছে বসরায় পলায়ন করে ৷ যিনি
বসরায় বিদ্রোহ করেছিলেন ৷ এরপর এবছর তিনিও নিহত হন যেমন আমরা শীঘ্রই উল্লেখ করব ৷

খলীফা৷ মা নসুরের কাছে যখন মুহাম্মাদ ইবন আবদুল্ল৷ হ ৷ইবনাস হাস ৷নেয় মাথ৷ উপস্থিত করা হয়,

তিনি নির্দেশ প্রদান করেন, ফলে একটি সাদা তশতরীতে রেখে তাকে প্রদক্ষিণ করানো হয় ৷
এরপর তাকে বিভিন্ন অঞ্চলে প্রদক্ষিণ করানো হয় ৷ এরপর খলীফ৷ ৷মানসুর মুহাম্মাদ ইবন
আবদুল্লাহ ইবন হাসানের সাথে বিদ্রোহকারী সস্রাম্ভ ও নেতৃস্থানীয় পবিত্র মদীনাবাসীদের ডেকে
পাঠান ৷ এসময় তিনি তাদের কতককে হত্যা করেন, কতককে নির্দয়ভাবে প্রহায় করেন ৷ আর
কতককে ক্ষমা করেন ৷ এদিকে ঈসা ইবন মুসা যখন পবিত্র মক্কাভিমুখে রওনা হন, তখন তিনি
কাহীয় ইবন হাসীনকে পবিত্র মদীনায় প্রশাসক নিযুক্ত করেন ৷ মাসখানেক দ ৷য়িতু পালনের পর
খলীফা৷ ম৷ নসুর আবদুল্লাহ ইবন রাবীআকে তার গভর্নর নিয়োগ করে পাঠানত ৷৩ ৷র নেতৃত্বাধীন
সৈন্যরা এসে পবিত্র মদীনায় ভৈনরাজ্য সৃষ্টি করে ৷৩ তারা পণ্যদ্রব্য কিনে তার মুল্য পরিশোধ করত
না, তাদের কাছে মুল্য চাওয়া হলে তারা পাওনাদায়কে প্রহার করত এবং হত্যার ভয় দেখাত ৷ এ
অবস্থায় হঠাৎ একদিন কৃষ্ণাঙ্গদেয় একটি দল তাদের বিরুদ্ধে সমবেত হয়েত তাদের শিক্ষা ৷য় কুক
দেয় ৷ তখন এই সৎকেতে পবিত্র মদীনাবাসী সকল কৃষ্ণাঙ্গ একত্রিত হয়ে কাহীর ইবন হাসীন ও
তার সৈন্যদের উপর একযোগে আক্রমণ করে যখন তারা জুমুআ র উদ্দেশ্যে রওনা হয় ৷ আ য় এই
আক্রমণ সংঘটিত হয় এ বছরের যুলহাজ্জ জ্জামাসের তেইশ তারিখ, কা রও মতে এবছরের শ ৷৷ওয়াল

মাসের পচিশ৩ ৷রিখ ৷ এই আক্রমণে কৃষ্ণাঙ্গর৷ ক্ষুদ্রকায় বর্শা ইত্যাদি৷ দ্ব ৷র৷ বহু সং খ্যক সৈন্যকে
হত্যা করে আ য় আমীর আবদুল্লাহ ইবন রাবীআ জুমুআ র ৷নামায ছেড়ে পলায়ন করে ৷ আর এসময়
কৃষ্ণাঙ্গদেয় নেতা ছিল, ওয়াহীক, ইয়াকাল, রুমাকা, হুদায়স, উনকুদ, মিসআয় ও আবুনৃনার ৷
এরপর আবদুল্লাহ ইবন রাবীআ তার নিয়মিত যােদ্ধাবাহিনী নিয়ে বের হয় এবং কৃষ্ণাঙ্গদের
মুখোমুখি হয় ৷ কিন্তু এবারও তারা তাকে পরাজিত করে এবং বাকী পর্যন্ত তার পশ্চাদবন করে
তখন সে তাদেরকে লক্ষ্য করে তার পরিধেয় মুল্যবান চাদর নিক্ষেপ করে তাদেরকে হস্তগত
করার জন্য ব্যস্ত করে ফলে সে নিজে এবং তার সহযোদ্ধারা রক্ষা পায় ৷ ঐসময় সে গিয়ে পবিত্র
মদীনা থেকে দুই দিনের দুরত্বে বাতন নাখল নামক স্থানে আশ্রয় গ্রহণ করে ৷ এদিকে কৃষ্ণাঙ্গয়া
সমুদ্রপথে আমদানীকৃত মারওয়ান গৃহে রক্ষিত খলীফ৷ মানসুরেব খাদ্যভাণ্ডারেয় সন্ধান পেয়ে তা
লুণ্ঠন করে ৷ এছাড়া তারা পবিত্র মদীনায় অবস্থানরত সৈনিকদেয় জন্য বরাদ্দকৃত আট৷ ও ময়দা ও
অন্যান্য দ্রব্য লুট করে এবং তা অতি সস্তা মুলে বিক্রি করে ৷ এরপর খলীফ৷ মানসুরেব কাছে যখন


وَقَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَاشِدٍ، حَدَّثَنِي أَبُو الْحَجَّاجِ قَالَ: إِنِّي لَقَائِمٌ عَلَى رَأْسِ الْمَنْصُورِ، وَهُوَ مُسَائِلِي عَنْ مَخْرَجِ مُحَمَّدٍ، إِذْ بَلَغَهُ أَنَّ عِيسَى قَدْ هُزِمَ - وَكَانَ مُتَّكِئًا فَجَلَسَ - فَضَرَبَ بِقَضِيبٍ مَعَهُ مُصَلَّاهُ وَقَالَ: كَلَّا، فَأَيْنَ لَعِبُ صِبْيَانِنَا بِهَا عَلَى الْمَنَابِرِ وَمَشُورَةُ النِّسَاءِ؟ مَا أَنَى لِذَلِكَ بَعْدُ! وَبَعَثَ عِيسَى بِالْبِشَارَةِ إِلَى الْمَنْصُورِ مَعَ الْقَاسِمِ بْنِ الْحَسَنِ، وَبِالرَّأْسِ مَعَ ابْنِ أَبِي الْكِرَامِ، ثُمَّ أَذِنَ فِي دَفْنِ جُثَّةِ مُحَمَّدٍ فَدُفِنَ بِالْبَقِيعِ، وَأَمَرَ بِأَصْحَابِهِ الَّذِينَ قُتِلُوا مَعَهُ فَصُلِبُوا صَفَّيْنِ ظَاهِرَ الْمَدِينَةِ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ، ثُمَّ طُرِحُوا عَلَى مَقْبَرَةِ الْيَهُودِ عِنْدَ سَلْعٍ، ثُمَّ نُقِلُوا إِلَى خَنْدَقٍ هُنَاكَ، وَأَخَذَ أَمْوَالَ بَنِي حَسَنٍ كُلَّهَا، فَسَوَّغَهَا لَهُ الْمَنْصُورُ، وَيُقَالُ: إِنَّهُ رَدَّهَا بَعْدَ ذَلِكَ إِلَيْهِمْ. حَكَاهُ ابْنُ جَرِيرٍ. وَنُودِيَ فِي أَهْلِ الْمَدِينَةِ بِالْأَمَانِ، فَأَصْبَحَ النَّاسُ فِي أَسْوَاقِهِمْ، وَتَرَفَّعَ عِيسَى بْنُ مُوسَى إِلَى الْجَرْفِ مِنْ مَطَرٍ أَصَابَ النَّاسَ يَوْمَ قَتْلِ مُحَمَّدٍ، وَجَعَلَ يَنْتَابُ الْمَسْجِدَ مِنَ الْجَرْفِ، وَأَقَامَ بِالْمَدِينَةِ إِلَى الْيَوْمِ التَّاسِعَ عَشَرَ مِنْ رَمَضَانَ، ثُمَّ خَرَجَ مِنْهَا قَاصِدًا مَكَّةَ، وَكَانَ بِهَا الْحَسَنُ بْنُ مُعَاوِيَةَ مِنْ جِهَةِ مُحَمَّدٍ، وَكَانَ قَدْ كَتَبَ إِلَيْهِ لِيَقْدَمَ عَلَيْهِ، فَلَمَّا خَرَجَ مِنْ مَكَّةَ وَكَانَ بِبَعْضِ الطَّرِيقِ، تَلَقَّتْهُ الْأَخْبَارُ بِقَتْلِ مُحَمَّدٍ، فَاسْتَمَرَّ فَارًّا إِلَى الْبَصْرَةِ إِلَى إِبْرَاهِيمَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، الَّذِي كَانَ قَدْ خَرَجَ بِهَا، ثُمَّ قُتِلَ بَعْدَ أَخِيهِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ عَلَى مَا سَنَذْكُرُهُ.
পৃষ্ঠা - ৭৯৮৭
وَلَمَّا جِيءَ الْمَنْصُورُ بِرَأْسِ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَسَنٍ فَوُضِعَ بَيْنَ يَدَيْهِ، أَمَرَ فَطِيفَ بِهِ فِي طَبَقٍ أَبْيَضَ، ثُمَّ طِيفَ بِهِ فِي الْأَقَالِيمِ بَعْدَ ذَلِكَ. ثُمَّ شَرَعَ الْمَنْصُورُ فِي اسْتِدْعَاءِ مَنْ خَرَجَ مَعَ مُحَمَّدٍ مِنْ أَشْرَافِ أَهْلِ الْمَدِينَةِ فَمِنْهُمْ مَنْ قَتَلَهُ، وَمِنْهُمْ مَنْ يَضْرِبُهُ ضَرْبًا مُبَرِّحًا، وَمِنْهُمْ مَنْ يَعْفُو عَنْهُ. وَلَمَّا تَوَجَّهَ عِيسَى بْنُ مُوسَى إِلَى مَكَّةَ اسْتَنَابَ عَلَى الْمَدِينَةِ كُثَيِّرَ بْنَ حُصَيْنٍ، فَاسْتَمَرَّ شَهْرًا حَتَّى بَعَثَ الْمَنْصُورُ عَلَى نِيَابَتِهَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الرَّبِيعِ فَعَاثَ جُنْدُهُ فِي الْمَدِينَةِ فَسَادًا، وَاشْتَرَوْا مِنَ النَّاسِ أَشْيَاءَ لَا يُعْطُونَهُمْ ثَمَنَهَا، وَإِنْ طُولِبُوا بِذَلِكَ ضَرَبُوا الْمُطَالِبَ، وَخَوَّفُوهُ بِالْقَتْلِ، فَثَارَ عَلَيْهِمْ طَائِفَةٌ مِنَ السُّودَانِ; وَاجْتَمَعُوا وَنَفَخُوا فِي بُوقٍ لَهُمْ، فَاجْتَمَعَ عَلَى صَوْتِهِ كُلُّ أَسْوَدٍ فِي الْمَدِينَةِ وَحَمَلُوا عَلَيْهِمْ حَمْلَةً وَاحِدَةً وَهُمْ ذَاهِبُونَ إِلَى الْجُمْعَةِ، لِسَبْعٍ بَقِينَ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ - وَقِيلَ: لِخَمْسٍ بَقِينَ مِنْ شَوَّالٍ مِنْهَا - فَقَتَلُوا مِنْهُمْ طَائِفَةً كَثِيرَةً وَهَرَبَ نَائِبُ الْمَدِينَةِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الرَّبِيعِ، وَتَرَكَ صَلَاةَ الْجُمْعَةِ، وَكَانَ رُؤَسَاءُ السُّودَانِ; وَثِيقٌ، وَيَعْقِلُ، وَرُمْقَةُ، وَحَدْيَا، وَعُنْقُودٌ، وَمِسْعَرٌ وَأَبُو قَيْسٍ، وَأَبُو النَّارِ، فَرَكِبَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الرَّبِيعِ فِي جُنُودِهِ وَالْتَقَى مَعَ السُّودَانِ فَهَزَمُوهُ، وَمَضَى فَلَحِقُوهُ بِالْبَقِيعِ، فَأَلْقَى لَهُمْ دَرَاهِمَ شَغَلَهُمْ بِهَا، حَتَّى نَجَا بِنَفْسِهِ وَمَنِ اتَّبَعَهُ، فَلَحِقَ بِبَطْنِ نَخْلٍ عَلَى لَيْلَتَيْنِ مِنَ الْمَدِينَةِ، وَوَقَعَ السُّودَانُ عَلَى طَعَامٍ لِلْمَنْصُورِ كَانَ
পৃষ্ঠা - ৭৯৮৮

কৃষ্ণাঙ্গ দাসদের এই বিদ্রোহের ও কর্মকাণ্ডের খবর পৌছে তখন পবিত্র মদীনাবাসীরা এর পরিণাম
ভেবে শঙ্কিত হয়ে পড়ে ৷ এসময় তারা সমবেত হলে ইবন আবু মুররা তাদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য
রাখেন উল্লেখ্য যে, তিনি এসময় কারারুদ্ধ ছিলেন পায়ের শৃগ্রল নিয়ে তিনি মিম্বরে আরোহণ
করেন এবং সমবেত সকলকে খলীফ৷ মানসুরের আনুগত্যে উদ্বুদ্ধ করেন এবং তাদেরকে তাদের
কৃষ্ণাঙ্গ গোলামদের কৃতকর্মের পরিণতির ব্যাপারে সতর্ক করেন ৷ তখন তারা এই সম্মিলিত
সিদ্ধ ৷ন্ত গ্রহণ করেন যে তারা তাদের গােলামদের বিচ্ছিন্ন করে তা ৷দেরকে নিবৃত্ত করবে এবং তারা

তাদের আমীরের কাছে গিয়ে তাকে তার পদে ফিরিয়ে আনবে ৷ খনত তারা ত ই করে ৷ এরপর
পরিস্থিতি শান্ত হয় এবং লোকজন আশ্বস্ত হয় এবং নৈরাজ্য ও অনিষ্টের অবসান ঘটে ৷ আর
আবদুল্লাহ ইবন রাবীআ পবিত্র মদীনায় ফিরে আসেন এবং এই বিদ্রোহের শাস্তিস্বরুপ তিনি
ওয়াহীক, আবুনৃনার, ইয়া’কল ও মিসতাবের হাত কেটে দেন ৷

বসরায় ইবরাহীম ইবন আবদৃল্লাহ্র বিদ্রোহ

ইবরাহীম ইবন আবদুল্লাহ ইবন হাসান বসরায় পলায়ন করেন এবং সেখানে বনু যাবীআর
মাঝে হারিছ ইবন ঈসার গৃহে অবস্থান করেন ৷ দিনের আলোতে তাকে দেখা যেত না ৷ বহুদেশ
পরিভ্রমণ করে বহু কঠিন পরিস্থিতির শিকার হয়ে এবং একাধিক বার মৃত্যুর মুখোমুখি হওয়ার পর
তিনি এখানে আগমন করেন ৷ এরপর পরিশেষে একশ তিতাল্লিশ হিজরীর হজ্জমৌসুম শেষে তিনি
বসরায় স্থায়ীভাবে অবস্থান গ্রহণ করেন ৷ কারও কারও মতে তিনি বসরায় আগমন করেন একশ
পয়তাল্লিশ হিজরীর রমযান মাসের শুরুতে ৷ তার ভাই মুহাম্মাদ নিজে পবিত্র মদীনায় আত্মপ্রকাভৈশর
পর তাকে বসরায় প্রেরণ করেন ৷ এমত হল ওয়৷ ৷কিদীর ৷ তিনি আ রও বলেন, তিনি গোপনে তার
ভাইয়ের অ ৷তনুগরু ব্রর প্রতি আহ্বান জানাতে থাকেন ৷ এরপর তা রে ভাই যখন নিহত ৩হন তখন তিনি
এ বছরের শ ৷৷ওয়ালে নিজের প্রতি ৩আহ্বান করতে শুরু করেন ৷ তবে প্রসিদ্ধ মত হল, তিনি তার
ভাইয়ের জীবদ্দশায় বসরায় আগমন করেন এবং শুরু থেকে তার নিজের আনুগত্যের প্রতি
আহ্বান জানাতে থাকেন ৷ যেমন বিগত হয়েছে ৷ আল্লা হই সর্বাধিক জানেন ৷

বসরায় আগমন করে তিনি প্রথমে ইয়াহ্ইয়৷ ইবন যিয়াদ ইবন হাস্সান ১ আন-নাবাতীর
আতিথ্য গ্রহণ করেন, এই সম্পুর্ণ সময় তিনি তার কাছে আত্মগােপন করে থাকেন ৷ অবশেষে
আবুফাওয়ার গৃহে এ বছর আত্মপ্রকাশ করেন ৷ এসময়ে সর্বপ্রথম যারা তার হাতে বায়আত করেন
তারা হলেন, নুমায়ল৷ ইবন মুররা , আবদুল্লাহ ইবন সুফিয়ান, আবদুল ওয়াহিদ ইবন যিয়াদ উমর
ইবন সালাম৷ আল-হুজায়মী, উবায়দুল্লাহ্ ইবন ইয়াহ্ইয়৷ ইবন হাসান আর্রক্কাশী ৷ এরা সকলে
ইবরাহীম ইবন আবদুল্লাহ্র আনুগত্যের প্রতি লোকদেরকে উদ্বুদ্ধ করেন ৷ তখন বহুলােক তার
আহ্বানে সাড়া দেয় ৷ তিনি বসরায় কেন্দ্রস্থলে আবুমারওয়ানের গৃহে স্থানান্তরিত হন ৷ এসময় তার
বিষয়টি গুরুতর রুপ ধারণ করে এবং বহুলােক তার হাতে বায়আত গ্রহণ করে ৷ এভাবে তার
বিষয়টি প্রবল ও অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠে ৷ আ র খলীফা মানসুরের কাছে যখনতার ৷বিদ্রো ৷হের খবর
পৌছে, তখন তিনি আরও অধিক দৃশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েন ৷ কেননা, তার ভাই মুহাম্মাদ ইবন
আবদৃল্লাহ্র বিদ্রোহের ক বণে তিনি পুর্ব থেবেইি দুশ্চিম্ভাগ্রস্ত ছিলেন ৷৩ তাই তার ভাই নিহত
হওয়ার পুর্বেই তার আত্মপ্রকাশ ৷খলীফাকে বিচলিত করে ৫ত ৷লে ৷ আর ইবরাহীমের দ্রুত

১ ইবনুল আহীরে (৫ খ : ৫৬৩ পৃ ) তারা ৷রীতে হায়্যান ৷




مَخْزُونًا فِي دَارِ مَرْوَانَ قَدْ قُدِمَ بِهِ فِي الْبَحْرِ لِأَجْلِ الْجُنْدِ الَّذِينَ بِالْمَدِينَةِ; مِنْ دَقِيقٍ وَسَوِيقٍ وَزَيْتٍ وَقَسْبٍ، فَانْتَهَبُوهُ، وَبَاعُوهُ بِأَرْخَصِ ثَمَنٍ، وَذَهَبَ الْخَبَرُ إِلَى الْمَنْصُورِ بِمَا كَانَ مِنْ أَمْرِ السُّودَانِ، وَخَافَ أَهْلُ الْمَدِينَةِ مِنْ مَعَرَّةِ ذَلِكَ، فَاجْتَمَعُوا فِي الْمَسْجِدِ وَخَطَبَهُمُ ابْنُ أَبِي سَبْرَةَ - وَكَانَ مَسْجُونًا - فَصَعِدَ الْمِنْبَرَ وَفِي رِجْلَيْهِ الْقُيُودُ، فَحَثَّهُمْ عَلَى السَّمْعِ وَالطَّاعَةِ لِأَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ الْمَنْصُورِ، وَخَوَّفَهُمْ شَرَّ مَا صَنَعَهُ مَوَالِيهِمْ، فَاتَّفَقَ رَأْيُهُمْ عَلَى أَنْ يَكُفُّوا مَوَالِيَهُمْ وَيُفَرِّقُوهُمْ وَأَنْ يَذْهَبُوا إِلَى أَمِيرِهِمْ، فَيَرُدُّوهُ إِلَى عَمَلِهِ، فَفَعَلُوا ذَلِكَ، فَسَكَنَ الْأَمْرُ، وَهَدَأَ النَّاسُ، وَانْطَفَأَتِ الشُّرُورُ، وَرَجَعَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الرَّبِيعِ إِلَى الْمَدِينَةِ، فَقَطَعَ يَدَ وَثِيقٍ وَأَبِي النَّارِ وَيَعْقِلَ وَمِسْعَرٍ. [ذِكْرُ خُرُوجِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَسَنٍ بِالْبَصْرَةِ وَكَيْفِيَّةِ مَقْتَلِهِ] كَانَ إِبْرَاهِيمُ قَدْ نَزَلَ فِي بَنِي ضُبَيْعَةَ مِنَ الْبَصْرَةِ، فِي دَارِ الْحَارِثِ بْنِ عِيسَى، وَكَانَ لَا يُرَى بِالنَّهَارِ، وَكَانَ قُدُومُهُ إِلَيْهَا بَعْدَ أَنْ طَافَ بِلَادًا كَثِيرَةً جِدًّا، وَجَرَتْ عَلَيْهِ وَعَلَى أَخِيهِ خُطُوبٌ شَدِيدَةٌ هَائِلَةٌ، وَانْعَقَدَ أَسْبَابُ هَلَاكِهِمَا فِي أَوْقَاتٍ مُتَعَدِّدَةٍ، ثُمَّ كَانَ آخِرَ مَا اسْتَقَرَّ أَمْرُهُ بِالْبَصْرَةِ فِي سَنَةِ ثَلَاثٍ
পৃষ্ঠা - ৭৯৮৯

আত্মপ্ৰকাশের কারণ ছিল৩ তার প্রতি৩ তার ভাইয়ের প্রেরিত পত্র ৷ তিনি ভাইয়ের নির্দেশ পালন
করেন এবং তা র নিজের আনুণত্যের আহ্বান জানান ৷ এভাবে রসরায় তার কতৃতৃ প্রতিষ্ঠিত হয় ৷
এ সময় খলীফ৷ মানসুরের পক্ষ থেকে বসরার প্রশাসক ছিলেন সুফিয়ান ইবন মুআবিয়৷ ৷ গোপনে
তিনি এই ইবরাহীমের সমর্থক ছিলেন ৷ তার কাছে তার বিদ্রোহের খবরা-খবর পৌছলে তিনি তার
কোন পরােয়৷ করতেন না ৷ যে তাকে এসংক্রান্ত সংবাদ সরবরাহ করত, তাকে তিনি অবিশ্বাস
করতেন এবং মনে মনে কামনা করতেন যেন ইবরাহীমের কর্তৃতৃ সুস্পষ্টভাবে প্রকাশিত হয় ৷
এসময় খলীফ৷ মানসুর খুরাসানবাসী দৃই সহস্র অশ্বারোহী ও পদাতিক যোদ্ধাসহ দু’জন আমীর দ্বারা
তার সমরশক্তি বৃদ্ধি করেন ৷ তিনি তাদের দৃ’জনকে তার কাছে অবস্থান করান যাতে তিনি তাদের
দৃ’জনের মাধ্যমে ইবরাহীমের বিরুদ্ধে লড়ইিয়ে শক্তি অর্জন করতে পারেন ৷ আর খলীফ৷ মানসুর
তা তার তত্ত্ব৷ বধা নে নির্মাণ ৷ধীন বাগদা দ থেকে কুফায় স্থান৷ ৷নান্তরিত হন ৷ এসময়৩ তিনি কৃফ৷ ৷বাসীর৷ যা কে
ইবরাহীম ইবন আবদুল্লাহ্র ব্যাপারে অভিযুক্ত মনে করেন রাত্রিক৷ ৷৩লে তাদেরকে নিজগৃহে হত্যার
জন্য গুপ্তঘাতক প্রেরণ করেন আর ফুরাফিস৷ আল আজা ৷লী কুফার কততু লাভের চেষ্টা করে ৷
কিন্তু খলীফ৷ মানসুরের সেখানে অবস্থানের কার ৷বণে তার পক্ষে তা সম্ভব হয়নি ৷ এদিকে লোকেরা
দলে দলে ইবরাহীম ইবন আবদুল্লাহ্র হাতে বায়আতের উদ্দেশ্যে বসর৩ ৷ভিমুখে রওনা হয় ৷ আর
খলীফ৷ মানসুর তাদেরকে হত্যা করার জন্য পথিমধ্যে সশস্ত্র ঘা৩ ক নিয়োজিত করেন, যারা
পথিমধ্যে তাদেরকে হত্যা করে তার কাছে তাদের মাথা নিয়ে আসত ৩৷ তখন মানসুর এই সকল
কর্তিত মস্তক কুফায় শুলবিদ্ধ করে রাখতেন যাতে লোকজন তা থেকে শি ক্ষ৷ গ্রহণ করে ৷ এসময়
খলীফ৷ মানসুর হারব রাওয়ানদীকে কুফায় লতব করেন ৷ উল্লেখ্য যে, এসময় সে খাবিজীদের
বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য দৃই সহস্র অশ্ব৷ ৷রােহী নিয়ে আল জা ৷যির৷ সীমান্তে অবস্থান করছিল ৷ তখন
সে তার সহযোদ্ধাদের নিয়ে রওনা হয় ৷ পথিমধ্যে তারা এমন শহরে উপনীত হয় যেখানে
ইবরাহীম ইবন আবদৃল্লাহ্র সমর্থকরা ছিল ৷ তখন তারা তাকে বলে, আমরা তোমাকে এস্থান
ত্যাগ করতে দিব না ৷ কেননা, খলীফ৷ মানসুর তে তামাকে তলব করেছে ইবরাহীম ইবন
আবদৃল্লাহ্র বিরুদ্ধে লড়াই করা র জন্য ৷ তখন সে বলে, হতভাগারা আমাকে যেতে দা ও ৷ কিন্তু
তারা তার পথ ছাড়তে অস্বীকার করে ৷ তখন সে৩ তাদের বিরুদ্ধে লড৷ ৷ই করে ৷ এসময় সে
তাদের পাচশজনকে হত্যা করে এবং তাদের মাথাসমুহ মানসুরের কাছে পাঠিয়ে দেয় ৷ তখন
মানসুর বলেন এটা হল বিজয়ের সুচনা ৷

এরপর এয়ছরের রমযান নামের দুই তারিখ রাত্রে ইবরাহীম ইবন আবদুল্লাহ দশে র আধক
অশ্বারােহী নিয়ে বনুইয়াশকুবের সমাধিন্থলে যান ৷ এদিকে এই রাতে সুফিয়ান ইবন মুআ ৷বিয়ার
সাহায্যার্থে আবু হাম্মাদ আল-আবরাস দুই সহস্র অশ্বারোহী নিয়ে কুফায় আগমন করে ৷ তখন
আমীর সুফিয়ান তাদেরকে তার বাসভবনে আপ্যায়ন করেন ৷ এসময় সুযোগ বুঝে ইবরাহীম ও
তার সঙ্গীর৷ ঐ বাহিনীর বাহন ও অস্ত্র-শস্ত্র করায়ত্ত করেন এবং এভাবে তারা তাদের সমরশক্তি
বৃদ্ধি করেন ৷ আর এটা ছিল শত্রুদের বিরুদ্ধে তাদের প্রথম অর্জন বা সাফল্য ৷ আর পরদিন প্রভাত
হতে না হতেই তিনি অনেকখানি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেন ৷ এমনকি এদিন প্ৰতাতে তিনি জা ৷মে
মসজিদে ফজর নামাযে ইমামতি করেন ৷ এসময় বহু দর্শক ও সাহায্যক৷ ৷রী সমর্থক৩ ৷র চারপাশে
সমবেত হয় ৷ আর খলীফ৷ ৷র নায়িব সুফিয়ান ইবন মুআবিয়া ৩ ৷র প্রাসাদে আত্মরক্ষা করেন এবং


وَأَرْبَعِينَ وَمِائَةٍ، بَعْدَ مُنْصَرَفِ الْحَجِيجِ. وَقِيلَ: إِنَّ أَوَّلَ قُدُومِهِ إِلَيْهَا كَانَ فِي مُسْتَهَلِّ رَمَضَانَ، سَنَةَ خَمْسٍ وَأَرْبَعِينَ وَمِائَةٍ، بَعَثَهُ أَخُوهُ إِلَيْهَا بَعْدَ ظُهُورِهِ بِالْمَدِينَةِ النَّبَوِيَّةِ. قَالَهُ الْوَاقِدِيُّ. قَالَ: وَكَانَ يَدْعُو فِي السِّرِّ إِلَى أَخِيهِ، فَلَمَّا قُتِلَ أَخُوهُ أَظْهَرَ الدَّعْوَةَ إِلَى نَفْسِهِ وَمُخَالَفَةَ الْمَنْصُورِ فِي شَوَّالٍ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ. وَالْمَشْهُورُ أَنَّهُ قَدِمَهَا قَبْلَ ذَلِكَ وَأَنَّهُ أَظْهَرَ الدَّعْوَةَ فِي حَيَاةِ أَخِيهِ، كَمَا قَدَّمْنَا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَلَمَّا دَخَلَ الْبَصْرَةَ أَوَّلَ قُدُومِهِ إِلَيْهَا نَزَلَ عِنْدَ يَحْيَى بْنِ زِيَادِ بْنِ حَسَّانَ النَّبَطِيِّ، وَكَانَ مُخْتَفِيًا عِنْدَهُ هَذِهِ الْمُدَّةَ كُلَّهَا، حَتَّى ظَهَرَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ، وَكَانَ أَوَّلُ ظُهُورِهِ فِي دَارِ أَبِي فَرْوَةَ، وَكَانَ أَوَّلُ مَنْ بَايَعَهُ نُمَيْلَةَ بْنَ مُرَّةَ، وَعَفْوَ اللَّهِ بْنَ سُفْيَانَ، وَعَبْدَ الْوَاحِدِ بْنَ زِيَادٍ، وَعَمْرَو بْنَ سَلَمَةَ الْهُجَيْمِيَّ، وَعُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ يَحْيَى بْنِ حُضَيْنٍ الرَّقَاشِيَّ، وَنَدَبُوا النَّاسَ إِلَيْهِ، فَاسْتَجَابَ لَهُ خَلْقٌ كَثِيرٌ، فَتَحَوَّلَ إِلَى دَارِ أَبِي مَرْوَانَ فِي وَسَطِ الْبَصْرَةِ، وَاسْتَفْحَلَ أَمْرُهُ، وَبَايَعَهُ فِئَامٌ مِنَ النَّاسِ، وَتَفَاقَمَ الْخَطْبُ بِهِ، وَبَلَغَ خَبَرُهُ إِلَى أَبِي جَعْفَرٍ الْمَنْصُورِ، فَازْدَادَ غَمًّا إِلَى غَمِّهِ بِأَخِيهِ مُحَمَّدٍ; وَذَلِكَ لِأَنَّهُ ظَهَرَ قَبْلَ مَقْتَلِ أَخِيهِ، كَمَا ذَكَرْنَا وَإِنَّمَا كَانَ السَّبَبُ فِي تَعْجِيلِهِ الظُّهُورَ بِالْبَصْرَةِ كِتَابَ أَخِيهِ إِلَيْهِ بِذَلِكَ، فَامْتَثَلَ أَمْرَهُ، وَدَعَا إِلَى نَفْسِهِ، فَانْتَظَمَ أَمْرُهُ بِالْبَصْرَةِ، وَكَانَ نَائِبُهَا لِلْمَنْصُورِ سُفْيَانَ بْنَ مُعَاوِيَةَ، وَكَانَ مُمَالِئًا لِإِبْرَاهِيمَ فِي الْبَاطِنِ وَيُبْلِغُهُ أَخْبَارَهُ، فَلَا يَكْتَرِثُ لَهَا، وَيُكَذِّبُ
পৃষ্ঠা - ৭৯৯০


তার সাহার্য্যার্থে প্রেরিত সৈন্যদলকে তার কাছে আবদ্ধ করে রাখেন ৷ ইবরাহীম ইবন আবদুল্লাহ
তাদেরকে অবরোধ করেন ৷ সুফিয়ান ইবন মুআবিয়৷ ইবরাহীমের কাছে নিরাপত্তা চাইলে তিনি
তাকে নিরাপত্তা প্রদান করেন ৷ আর ইবরাহীম যখন আমীরের প্রাসাদে প্রবেশ করেন, তখন তার
বসার জন্য প্রাসাদের সম্মুখ চত্বরে মুল্যবান ফরাশ বিছানাে হয় ৷ হঠাৎ বায়ু প্রবাহিত হলে ফরাশটি
সম্পুর্ণরুপে উন্টে যায় ৷ লোকজন তা অশুভ লক্ষণরুপে গণ্য করে ৷ তখন ইবরাহীম বলেন,
আমরা কোন কিছু থেকে অশুভ লক্ষণ গ্রহণ করি না ৷ এরপর তিনি সেই ফরাশে বলেন এবং
সুফিয়ান ইবন মুআবিয়াকে শৃভখলিত অবস্থায় বন্দী করার নির্দো৷ দেন ৷ এছাড়া তিনি খলীফার
কাছে তাকে নির্দোষ প্রমাণিত করতে চেয়েছিলেন ৷ এ দ্বারা এসময় তিনি সেখানকার সরকারী
কােষাপারের সকল অর্থ-সম্পদ হস্তগত করেন ৷ সেখানে তখন ছয় লক্ষ মতাম্ভরে দশ লক্ষ
দিরহাম পরিমাণ অর্থ ছিল ৷ এভাবে তিনি শক্তি অর্জন করেন ৷

এসময় বসরায় সুলায়মান ইবন আলীর দুই ছেলে জাফব ও মুহাম্মাদ বসা ছিলেন ৷ তারা
খলীফ৷ মানসুরের চাচাতাে ভাই ৷ এরা দু’জন ছয়শত অশ্বারোহী নিয়ে ইবরা হীমেব মুক৷ ৷বিলায়
অগ্রসর হন ৷ ইবরাহীম তাদের দু’ জনকে পরাজিত করেন ৷ এসময় ইবরাহীম মাত্র আঠাবজন
অশ্বারোহী এবং৩ তিবিশজন পদ৷ ৷তিক যোদ্ধাসহ আল ল-মাযযা ইবন কাসিমকে প্রেরণ করেন, তারা
জাফব ও মুহাম্মাদের নেতৃত্বাধীন ছয়শ অশ্বারোহীকে পরাজিত করেন এবং তাদের অবশিষ্টদের
নিরাপত্তা প্রদান করেন ৷ এছাড়া ইবরাহীম আহ্ওয়াঘৃবাসীর নিকট দুত প্রেরণ করেন ৷ তারা তার
অনুকুলে বায়আত করে ৷ তদুপ৩ তিনি মুগীরার নেতৃত্বে আহওয়াযেব নায়িব৷ বা প্রশাসকের বিরুদ্ধে
দু শ অশ্বারোহী প্রেরণ করেন ৷ তখন সে দেশের প্রশাসক মুহাম্মাদ ইবনুল হাসীন চার হা জাব
অশ্বারোহী নিয়ে তার মুক৷ ৷বিলায় অগ্রসর হন ৷ কিন্তু মুপীর৷ তাকে পরাজিত করে আহওয়ায়ের
কর্ততু লাভ করেন ৷ এছাড় ডাইবরাহীম৩ তার ৷সমর্থক যোদ্ধা প্রেরণ করে ফ৷ ৷বিস, ওয়াসিত মাদ৷ বিন
ও আসণ্সাওয়াদ দখল করেন এবং তার বিষয়টি অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠে ৷ কিন্তু, তার কাছে যখন
তার ভাইয়ের মৃত্যু সংবাদ পৌছে তখন তিনি মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েন ৷ এইভগ্ন হৃদয় নিয়েই
তিনি ঈদের নামায়ে ইমামতি করেন ৷ এসময় কোন কোন ব্যক্তি মন্তব্য করে, আল্লাহর কসমা
খুৎব৷ প্রদানকালে তিনি যখন লোকদের কাছে তার সহোদরের মৃত্যু সংবাদ প্রচার করেন আমি
তখন তার মুখমণ্ডল মৃতুা-ছাপ প্রত্যক্ষ করেছি ৷ তখন সকলে মানসুরের বিরুদ্ধে আরও ক্রুদ্ধ
হয় ৷ পরদিন প্রত্যুষে তিনি সৈন্যসমাবেশ ঘটান এবং বসরায় নুমায়লাকে তার স্থলবর্তী নিয়োগ
করেন এবং তার ছেলে হাসানকে তার সাথে রেখে যান ৷

এদিকে খলীফা মানসুরের কাছে যখন ইবরাহীম ইবন আবদুল্লাহ্র তৎপরতার খবর পৌছে,
তখন তিনি হতবুদ্ধি হয়ে পড়েন এবং সাম্রাজ্যের বিভিন্ন স্থা নে ফৌজকে বিক্ষিপ্ত করার কারণে
অনুশোচন৷ করতে থাকেন ৷ কেননা এসময় তিনি৩ তার ছেলে মাহদীর নেতৃত্বে তিরিশ হাজার
সৈনিককে রায় অঞ্চলে প্রেরণ করেছিলেন ৷ আর মুহাম্মাদ ইবনুল আশআছের সাথে আফ্রিকায়
প্রেরণ করেছিলেন চল্লিশ হাজ৷ র সৈন্য ৷ এছাড় ডাঅবশি ষ্টর৷ ছিল ঈসা ইবন মুসার সাথে হিজ৷ ৷য়ে ৷
ফলে তা ৷র সাথে ছিল৷ ম৷ এ দু হাজার অশ্বারোহী ৷ এসযয়৩ তার ৷নির্দেশে রাত্রে অধিক পরিমাণ আগুন
প্রজ্বলিত করা হত যাতে আগুন দেখে সকলে ভাবে সেখানে বহু সং খ্যক সৈনিক রয়েছে ৷ এরপর
খলীফ৷ ৷মানসুর ঈস৷ ইবন মুসাকে ৷লখেন আমার এই পত্র পাঠ করা যা এত তুমি (তামা র সব কিছু


بِمَا يُخْبَرُ بِهِ مِنْهَا وَيَوَدُّ أَنْ لَوْ صَحَّ أَمْرُ إِبْرَاهِيمَ، وَقَدْ أَمَدَّهُ الْمَنْصُورُ بِأَمِيرَيْنِ مِنْ أَهْلِ خُرَاسَانَ مَعَهُمَا أَلْفَا فَارِسٍ وَرَاجِلٍ، فَأَنْزَلَهُمَا عِنْدَهُ لِيَتَقَوَّى بِهِمَا عَلَى مُحَارَبَةِ إِبْرَاهِيمَ، وَتَحَوَّلَ الْمَنْصُورُ مِنْ بَغْدَادَ - وَكَانَ قَدْ شَرَعَ فِي عِمَارَتِهَا - إِلَى الْكُوفَةِ وَجَعَلَ كُلَّمَا اتَّهَمَ رَجُلًا مِنْ أَهْلِ الْكُوفَةِ فِي أَمْرِ إِبْرَاهِيمَ، بَعَثَ إِلَيْهِ مَنْ يَقْتُلُهُ فِي اللَّيْلِ فِي مَنْزِلِهِ، وَكَانَ الْفُرَافِصَةُ الْعِجْلِيُّ قَدْ هَمَّ بِالْوُثُوبِ بِالْكُوفَةِ، فَلَمْ يُمْكِنْهُ ذَلِكَ لِمَكَانِ الْمَنْصُورِ بِهَا، وَجَعَلَ النَّاسُ يَقْصِدُونَ الْبَصْرَةَ مِنْ كُلِّ فَجٍّ عَمِيقٍ لِمُبَايَعَةِ إِبْرَاهِيمَ، وَيَفِدُونَ إِلَيْهَا جَمَاعَاتٍ وَفُرَادًى، وَجَعَلَ الْمَنْصُورُ يَرْصُدُ لَهُمُ الْمَسَالِحَ، فَيَقْتُلُونَهُمْ فِي الطُّرُقَاتِ، وَيَأْتُونَهُ بِرُءُوسِهِمْ فَيَصْلُبُهَا بِالْكُوفَةِ لِيَتَّعِظَ بِهَا النَّاسُ، وَأَرْسَلَ الْمَنْصُورُ إِلَى حَرْبٍ الرَّاوَنْدِيِّ - وَكَانَ مُرَابِطًا بِالْجَزِيرَةِ فِي أَلْفَيْ فَارِسٍ لِقِتَالِ الْخَوَارِجِ - يَسْتَدْعِيهِ إِلَى الْكُوفَةِ، فَأَقْبَلَ بِمَنْ مَعَهُ، فَلَمَّا اجْتَازَ بِبَلْدَةٍ بِهَا أَنْصَارٌ لِإِبْرَاهِيمَ، فَقَالُوا لَهُ: لَا نَدَعُكَ تَجْتَازُ; لِأَنَّكَ إِنَّمَا طَلَبَكَ لِيُحَارِبَ إِبْرَاهِيمَ. فَقَالَ: وَيْحَكُمْ! دَعُونِي. فَأَبَوْا فَقَاتَلَهُمْ، فَقَتَلَ مِنْهُمْ خَمْسَمِائَةٍ، وَأَرْسَلَ بِرُءُوسِهِمْ إِلَى الْمَنْصُورِ، فَقَالَ: هَذَا أَوَّلُ الْفَتْحِ. وَلَمَّا كَانَتْ لَيْلَةُ الْاِثْنَيْنِ مُسْتَهَلَّ رَمَضَانَ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ، خَرَجَ إِبْرَاهِيمُ فِي اللَّيْلِ إِلَى مَقْبَرَةِ بَنِي يَشْكُرَ فِي بِضْعَةَ عَشَرَ فَارِسًا، وَقَدِمَ فِي هَذِهِ اللَّيْلَةِ أَبُو حَمَّادٍ الْأَبْرَصُ فِي أَلْفَيْ فَارِسٍ مِدَادًا لِسُفْيَانَ بْنِ مُعَاوِيَةَ، فَأَنْزَلَهُمُ الْأَمِيرُ
পৃষ্ঠা - ৭৯৯১
فِي الْقَصْرِ، وَمَالَ إِبْرَاهِيمُ وَأَصْحَابُهُ وَمَنِ الْتَفَّ عَلَيْهِ وَصَارَ إِلَيْهِ إِلَى دَوَابِّ أُولَئِكَ الْعَسْكَرِ وَأَسْلِحَتِهِمْ، فَأَخَذُوهَا جَمِيعًا، فَكَانَ هَذَا أَوَّلَ مَا أَصَابَ، وَمَا أَصْبَحَ الصَّبَاحُ إِلَّا وَقَدِ اسْتَظْهَرَ جِدًّا، فَصَلَّى بِالنَّاسِ صَلَاةَ الصُّبْحِ فِي الْمَسْجِدِ الْجَامِعِ، وَالْتَفَّتِ الْخَلَائِقُ عَلَيْهِ مَا بَيْنَ نَاظِرٍ وَنَاصِرٍ، وَتَحَصَّنَ سُفْيَانُ بْنُ مُعَاوِيَةَ نَائِبُ الْخَلِيفَةِ بِقَصْرِ الْإِمَارَةِ، وَجَلَسَ عِنْدَهُ الْجُنُودُ، فَحَاصَرَهُمْ إِبْرَاهِيمُ بِمَنْ مَعَهُ، فَطَلَبَ سُفْيَانُ بْنُ مُعَاوِيَةَ الْأَمَانَ، فَأَعْطَاهُ الْأَمَانَ، وَدَخَلَ إِبْرَاهِيمُ قَصْرَ الْإِمَارَةِ، فَبُسِطَتْ لَهُ حَصِيرٌ لِيَجْلِسَ عَلَيْهَا فِي مُقَدَّمِ إِيوَانِ الْقَصْرِ، فَهَبَّتِ الرِّيحُ، فَقَلَبَتِ الْحَصِيرَ ظَهْرًا لِبَطْنٍ، فَتَطَيَّرَ النَّاسُ بِذَلِكَ، فَقَالَ: إِنَّا لَا نَتَطَيَّرُ. وَجَلَسَ عَلَى ظَهْرِ الْحَصِيرِ، وَأَمَرَ بِحَبْسِ سُفْيَانَ بْنِ مُعَاوِيَةَ مُقَيَّدًا، وَأَرَادَ بِذَلِكَ أَنْ يُبَرِّئَ سَاحَتَهُ عِنْدَ أَبِي جَعْفَرٍ الْمَنْصُورِ، وَاسْتَحْوَذَ عَلَى مَا كَانَ فِي بَيْتِ الْمَالِ، فَإِذَا فِيهِ سِتُّمِائَةِ أَلْفٍ، وَقِيلَ: أَلْفَا أَلْفٍ. فَقَوِيَ بِذَلِكَ جِدًّا. وَكَانَ بِالْبَصْرَةِ جَعْفَرٌ وَمُحَمَّدٌ ابْنَا سُلَيْمَانَ بْنِ عَلِيٍّ، وَهُمَا ابْنَا عَمِّ الْخَلِيفَةِ الْمَنْصُورِ، فَرَكِبَا فِي سِتِّمِائَةِ فَارِسٍ، فَأَرْسَلَ إِلَيْهِمَا إِبْرَاهِيمُ الْمَضَّاءَ بْنَ الْقَاسِمِ فِي ثَمَانِيَةَ عَشَرَ فَارِسًا وَثَلَاثِينَ رَاجِلًا، فَهَزَمَ بِهَؤُلَاءِ سِتَّمِائَةِ فَارِسٍ، وَأَمَّنَ مَنْ بَقِيَ مِنْهُمْ، وَبَعَثَ إِبْرَاهِيمُ إِلَى أَهْلِ الْأَهْوَازِ، فَبَايَعُوا لَهُ وَأَطَاعُوهُ، وَأَرْسَلَ إِلَى نَائِبِهَا مِائَتَيْ فَارِسٍ عَلَيْهِمُ الْمُغِيرَةُ، فَخَرَجَ إِلَيْهِ مُحَمَّدُ بْنُ الْحُصَيْنِ نَائِبُ الْبِلَادِ فِي أَرْبَعَةِ آلَافٍ، فَهَزَمَهُ الْمُغِيرَةُ، وَاسْتَحْوَذَ عَلَى الْبِلَادِ، وَبَعَثَ إِبْرَاهِيمُ إِلَى بِلَادِ فَارِسَ فَأَخَذَهَا، وَكَذَلِكَ وَاسِطُ وَالْمَدَائِنُ وَالسَّوَادُ، وَاسْتَفْحَلَ أَمْرُهُ جِدًّا، وَلَكِنْ لَمَّا جَاءَهُ نَعْيُ أَخِيهِ مُحَمَّدٍ انْكَسَرَ جِدًّا، وَصَلَّى بِالنَّاسِ يَوْمَ الْعِيدِ وَهُوَ مَكْسُورٌ،
পৃষ্ঠা - ৭৯৯২

ত্যাগ করে, আমার কাছে উপস্থিত হও ৷ ফলে ঈসা অত্যন্ত দ্রুত তার কাছে উপস্থিত হন ৷ মানসুর
তাকে বলেন, তুমি এবার ইবরাহীমের বিরুদ্ধে বসরায় রওনা হয়ে যাও ৷ তার সমর্থকদের

আধিক্যে ঘাবড়ে যেও না ৷ কেননা, তারা দৃ’ভাই বনুহাশিমের নিহত ১ দৃই ব্যক্তি ৷ কাজেই তু
তোমার হাত প্রসারিত কর এবং তোমার কাছে যা আছে তার প্রতি আস্থা যায় ৷ আর আমি
তোমাকে যা বলেছি তা তুমি অচিরেই স্মরণ করবে ৷ আর ঘটনা তেমনটি ঘটেছিল যেমন মানসুর
বলেছিলেন ৷ এছাড়া এসময় মানসুর তার ছেলে মাহদীকে নির্দেশ দেন চার হাজার সৈন্যের নেতৃত্ব
দিয়ে খাযিম ইবন থুযায়মাকে আহ্ওয়াষের উদ্দেশ্যে প্রেরণ করতে ৷ খাযিম সেখানে নিয়ে
ইবরাহীমের নায়িব মুগীরাকে সেখান থেকে বহিষ্কার করেন এবং তিনদিন সেখানে হত্যাযজ্ঞ
চালান ৷ এদিকে মুপীরা বসরায় ফিরে আসেন ৷ এভাবে খলীফড়া মানসুর তার বায়আত
প্রত্যাহারকারী প্রত্যেক অঞ্চলে ফৌজ পাঠান যারা সেখানের অধিবাসীদের তার অড়ানুগত্যে ফিরিয়ে
আসে ৷ ঐতিহাসিকগণ বলেন, এসময় খলীফা মানসুর তার জায়নামায়ে সার্বক্ষণিক অবস্থান গ্রহণ
করেন ৷ রাত দিন তিনি নােৎরা ও অতিসাধারণ পেশোকে জায়নামায়ে পড়ে থাকেন ৷ এভাবে তিনি
পঞ্চাশ দিনের অধিক সময় সেখানে অতিবাহিত করেন অবশেষে আল্লাহ্তাকে বিজয় দান করেন ৷
এ সময়ের মাঝে তাকে একবার বলা হয়, আপনার অনুপস্থিতির কারণে আপনার দ্রীদের মন
খারাপ, তিনি কথককে তিরস্কার করে বলেন, হতভাগা ৷ এই দিনগুলাে তো স্তীদের মনোরঞ্জনের
সময় নয় ৷ আমি কিছুতেই এই অবস্থান ত্যাগ করব না ৷ যতক্ষণ না আমার সামনে ইবরাহীমের
মাথা দেখতে পাই অথবা আমার মাথা তার কাছে নিয়ে যাওয়া হয় ৷

জনৈক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, আমি খলীফা মানসুরের সাক্ষাতে প্রবেশ করে দেখি তিনি বিদ্রোহ
ও নৈরাজ্যের আধিক্যের কারণে দুশ্চিন্তআেস্ত ৷ অত্যধিক দৃশ্চিন্তা এবং বিরোধ বিচ্ছিন্নতার কারণে
তিনি দীর্ঘক্ষণ কথা বলতে পারছেন না ৷ তার এই মানসিক বিপর্যয় সত্বেও সকল প্রতিকুল
পরিস্থিতি সামাল দেন ৷ ইতিমধ্যেই বসরা, আহওয়ায , ফারিস, মাদায়িন ও সাওয়াদ ভুখণ্ড তার
হড়াতছাড়া হয়ে যায় ৷ এমনকি তার অবস্থানস্থুল কুফাতেও তখন এমন একলক্ষ তরবারি কােষবদ্ধ
ছিল যা একটি মাত্র অড়াহ্বানে ইবরাহীমের সাথে তার বিরুদ্ধে উথিত হত ৷ এতদ্সত্বেও তিনি
সকল বিপর্যয় ও প্রতিকুলতা সড়ামাল দেন এবং অক্ষম ও অপারপ হয়ে পড়েননি ৷ তার দৃষ্টান্ত যেমন
করি বলেন :

র্চুষ্াট্রুন্১া৷’এ টুব্র৷ ৷ ছুপুপুঠুণ্ট্রু র্চুাট্রু ঠু ঠু;ট্রট্রু; ’ণ্£; ট্রু,ট্রুশু১
“ইমাম নিজেই নিজেকে নেতৃত্বের যোগ্য করেছে এবং নিজেকে যে যুদ্ধ-কৌশল ও
সাহসিকতা শিক্ষা দিয়েছে ৷”
“ফলে সে নিজেকে বীর ও বদান্য বাদশা করেছে ৷”

এদিকে ইব্রাহীম একলক্ষ যোদ্ধা নিয়ে বসরা থেকে কুফার দিকে অগ্রসর হন্ৰু ৷ তখন খলীফা
মানসুর পনের হাজার যােদ্ধার নেতৃত্ব দিয়ে ঈসা ইবন মুসাকে তার বিরুদ্ধে প্রেরণ করেন, যাদের



১ অর্থাৎ যাদের নিহত হওয়া নিশ্চিত ৷


فَقَالَ بَعْضُهُمْ: وَاللَّهِ لَقَدْ رَأَيْتُ الْمَوْتَ فِي وَجْهِهِ وَهُوَ يَخْطُبُ النَّاسَ، فَنَعَى إِلَى النَّاسِ أَخَاهُ مُحَمَّدًا، فَازْدَادَ النَّاسُ حَنَقًا عَلَى الْمَنْصُورِ، وَأَصْبَحَ فَعَسْكَرَ بِالنَّاسِ، وَاسْتَنَابَ عَلَى الْبَصْرَةِ نُمَيْلَةَ، وَخَلَّفَ ابْنَهُ حَسَنًا مَعَهُ. وَلَمَّا بَلَغَ الْمَنْصُورَ خَبَرُهُ تَحَيَّرَ فِي أَمْرِهِ، وَجَعَلَ يَتَأَسَّفُ عَلَى مَا فَرَّقَ مِنْ جُنْدِهِ فِي الْمَمَالِكِ، وَكَانَ قَدْ بَعَثَ مَعَ ابْنِهِ الْمَهْدِيِّ ثَلَاثِينَ أَلْفًا إِلَى الرَّيِّ، وَبَعَثَ مُحَمَّدَ بْنَ الْأَشْعَثِ إِلَى إِفْرِيقِيَّةَ فِي أَرْبَعِينَ أَلْفًا، وَالْبَاقُونَ مَعَ عِيسَى بْنِ مُوسَى بِالْحِجَازِ، وَلَمْ يَبْقَ مَعَهُ فِي مُعَسْكَرِهِ سِوَى أَلْفَيْ فَارِسٍ فَكَانَ يَأْمُرُ بِالنِّيرَانِ الْكَثِيرَةِ، فَتُوقَدُ لَيْلًا، فَيَحْسَبُ النَّاظِرُ أَنَّ هُنَاكَ جُنُودًا كَثِيرَةً، ثُمَّ كَتَبَ الْمَنْصُورُ إِلَى عِيسَى بْنِ مُوسَى وَهُوَ بِالْحِجَازِ بَعْدَ قَتْلِ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَسَنٍ: إِذَا قَرَأْتَ كِتَابِي هَذَا، فَأَقْبِلْ مِنْ فَوْرِكَ، وَدَعْ كُلَّ مَا أَنْتَ فِيهِ. فَلَمْ يَنْشَبْ أَنْ أَقْبَلَ إِلَيْهِ، فَقَالَ لَهُ: اذْهَبْ إِلَى إِبْرَاهِيمَ بِالْبَصْرَةِ وَلَا يَهُولَنَّكَ كَثْرَةُ مَنْ مَعَهُ، فَإِنَّهُمَا جَمَلَا بَنِي هَاشِمٍ الْمَقْتُولَانِ جَمِيعًا، فَابْسُطْ يَدَكَ، وَثِقْ بِمَا عِنْدَكَ، وَسَتَذْكُرُ مَا أَقُولُ لَكَ، فَكَانَ الْأَمْرُ كَمَا قَالَ الْمَنْصُورُ. وَكَتَبَ الْمَنْصُورُ إِلَى ابْنِهِ الْمَهْدِيِّ أَنْ يُوَجِّهَ خَازِمَ بْنَ خُزَيْمَةَ فِي أَرْبَعَةِ آلَافٍ إِلَى الْأَهْوَازِ، فَذَهَبَ إِلَيْهَا، فَأَخْرَجَ مِنْهَا نَائِبَ إِبْرَاهِيمَ - وَهُوَ الْمُغِيرَةُ - وَأَبَاحَهَا ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ، وَرَجَعَ الْمُغِيرَةُ إِلَى الْبَصْرَةِ، وَكَذَلِكَ بَعَثَ إِلَى كُلِّ كُورَةٍ مِنْ هَذِهِ الْكُوَرِ الَّتِي خَلَعَتْ يَرُدُّونَهُمْ إِلَى الطَّاعَةِ. قَالُوا: وَلَزِمَ الْمَنْصُورُ مَوْضِعَ مُصَلَّاهُ، فَلَا يَبْرَحُ فِيهِ لَيْلًا وَلَا نَهَارًا فِي بِذْلَةِ ثِيَابٍ عَلَيْهِ قَدِ اتَّسَخَتْ، فَلَمْ يَزَلْ مُقِيمًا هُنَاكَ
পৃষ্ঠা - ৭৯৯৩

অগ্রবর্তী বাহিনীর নেতৃত্বে ছিল হুমায়দ ইবন কাহতাবা যার নেতৃত্বাধীন ছিল তিন হাজার যোদ্ধা ৷

এদিকে ইব্রাহীম এসে ব ৷৷খৃম ৷রী নামক৷ স্থানে বিশা ল বিপুল ফৌজের মাঝে অবস্থান গ্রহণ করেন ৷
তখন জনৈক আমীর তাকে বলেন, আপনি মানসুরের অতি নিকটে পৌছেছেন ৷ আপনি যদি
আপনার ফৌজের একদল সৈন্য নিয়ে তাকে আক্রমণ করতেন তাহলে তার মাথা নিয়ে ফিরতে
পারতেন ৷ কেননা তার বিরুদ্ধে আক্রমণ প্রতিহত করার মত সৈন্য বর্তমানে তার কাছে নেই ৷
আর অন্যরা বলেন, আমাদের প্রথম কর্তব্য হল যারা আমাদের সামনাসামনি রয়েছে তাদের
বিরুদ্ধে লড়৷ ৷ই করা ৷ এরপর তো এমনিতেই যে আমাদের আয়ত্তে এসে যাবে ৷ তখন
পরবর্তীদের এই মত ৩াদেরকে প্রথম জনের মত থেকে নিবৃত্ত করে ৷ যদি তিনি (ইবরাহীম)
প্রথম মত অনুযায়ী কাজ করতেন তাহলে তার কর্তৃতু লাভ চুড়ান্ত হত ৷ কেউ আবার তাকে
পরামর্শ দেয় ফৌজের চতৃর্দিকে পরিখ৷ খনন করতে, আর অন্যরা বলে, এই বিশাল পৃথিবীর জন্য
কোন পরিখ৷ খননের প্রয়োজন নেই ৷ তখন তিনি ইবরাহীম তা বর্জন করেন ৷ তারপর কোন কোন
আমীর তাকে পরামর্শ দেয়৩ তার ফৌজকে কয়েকটি স্বতন্ত্র ভাগে বিনস্তে করতে ৷ এতে যদি
একভাপ পরাস্ত হয় তাহলে অন্যভ প অবিচল থ৷ ৷কবে ৷ কিত্তু, অন্যরা বলে, একসাথে সারিবদ্ধ হয়ে
লড়াই করাই হল সর্বোত্তম আল্লাহ তাআল৷ বলেন :

ণ্শ্ :এদুশ্ষ্
যার৷ আল্লাহর পথে সংগ্রাম করে স রিবদ্ধ৩াবে সুদৃঢ় প্রাচীরের মত আল্লাহ তাদেরকে
ভালবাসেন (সুরা সাফ্ফ০ ং ৪) ৷”

আসলে চুড়ান্ত কতৃতু আল্লাহ্র৩ তিনি যা ইচ্ছা করেন, তই করেন ৷ যদি ইবরামীম ও৩
অনুসা ৷রীরা কুফাভিমুখে অগ্রসর হতেন এবংব বাত্রিকালে কুফা বাহিনীকে আক্রমণ করতেন অথবা
তাদের ফৌজকে স্বতন্ত্র কয়েক ভাগে বিন্যস্ত করতেন তাহলে (হয়ত) আল্লাহর কুদরতে তাদের
বিজয় অর্জিত হত ৷

এরপর উভয় বাহিনী অগ্রসর হয় এবং কুফ৷ থেকে ষোল ক্রোশ দুরবর্তী বাখমারা নামক স্থানে

সারিবদ্ধভ৷ ৷বে অবস্থান গ্রহণ করে ৷ সেখানে উভয় বাহিনীর সাথে প্রচণ্ড লড়াই সংঘটিত হয়, তখন
হুমায়দ ইবন ক ৷হতাব ৷র নে৩ তুাধীন আংবর্তী বাহিনী পরাজিত হয় ৷ এ অবস্থা দেখে ঈস৷ ইবন মুসা
তাদেরকে আল্লাহর দো ৷হাই দিয়ে প্রত্যাবর্তনের এবং পুনঃ আক্রমণের জন্য উদ্বুদ্ধ করতে থাকেন ৷
কিন্তু কেউ তার দিকে ফিরে তাকায় না ৷ এসময় ঈসা তার স্বজন শ্রেণীর একশজন যোদ্ধা নিয়ে
অবিচলতা ৷বে লড়াই করতে থাকেন ৷ এসময় তাকে বলা হয়, আপনি এস্থান থেকে সরে যান
অন্যথায় ইবরাহীমের বাহিনী আপনাকে গুড়িয়ে দিবে ৷ তখন তিনি বলেন, আল্লাহর কসম ! আমি
এ স্থান ত্যাগ করব না ৷ যতক্ষণ না আল্লাহ আমাকে বিজয় দান করেন অথবা আমি এখানে নিহত
হই ৷ এদিকে খলীফ৷ মানসুর তার দিকে অগ্রসর হন জনৈক জ্যোতিষীর এই ভবিষ্যদ্বাণীর উপর
ভিত্তি করে যে, এই যুদ্ধে প্রথমে যােদ্ধারা ঈসা ইবন মুসাকে ত্যাগ করে যাবে তারপর পুনরায়
তার কাছে ফিরে আসবে এবং চুড়ান্ত বিজয় তারাই লাভ করবে ৷ এসময় ঈসা ইবন মুসার
নেতৃত্বাধীন পরাজিত সৈনিকপণ পলায়ন করতে থাকে এবং পরিশেষে তারা দুই পাহাড়ের মধ্যবর্তী
একটি নদীর সামনে উপনীত হয় ৷ তখন তারা যে নদী অতিক্রম করতে না পেরে সকলেই ফিরে

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (১ :ম খণ্ড)ন্-২২


بِضْعًا وَخَمْسِينَ يَوْمًا، حَتَّى فَتَحَ اللَّهُ عَلَيْهِ، وَقَدْ قِيلَ لَهُ فِي غُبُونِ ذَلِكَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، إِنَّ نِسَاءَكَ قَدْ خَبُثَتْ أَنْفُسُهُنَّ لِغَيْبَتِكَ عَنْهُنَّ. فَانْتَهَرَ الْقَائِلَ، وَقَالَ: وَيْحَكَ! لَيْسَتْ هَذِهِ أَيَّامَ نِسَاءٍ حَتَّى أَرَى رَأْسَ إِبْرَاهِيمَ بَيْنَ يَدَيَّ أَوْ يُحْمَلَ رَأْسِي إِلَيْهِ. وَقَالَ بَعْضُهُمْ: دَخَلْتُ عَلَى الْمَنْصُورِ وَهُوَ مَهْمُومٌ مِنْ كَثْرَةِ مَا وَقَعَ مِنَ الشُّرُورِ وَالْفُتُوقِ وَالْخُرُوقِ وَهُوَ لَا يَسْتَطِيعُ أَنْ يُتَابِعَ الْكَلَامَ مِنْ شِدَّةِ كَرْبِهِ وَهَمِّهِ، وَهُوَ مَعَ ذَلِكَ قَدْ أَعَدَّ لِكُلِّ أَمْرٍ مَا يَسُدُّ خَلَلَهُ، وَقَدْ خَرَجَتْ عَنْ يَدِهِ الْبَصْرَةُ وَالْأَهْوَازُ وَأَرْضُ فَارِسَ وَوَاسِطُ وَالْمَدَائِنُ وَأَرْضُ السَّوَادِ، وَفِي الْكُوفَةِ عِنْدَهُ مِائَةُ أَلْفِ سَيْفٍ مُغْمِدَةٌ، تَنْتَظِرُ بِهِ صَيْحَةً وَاحِدَةً، فَيَثِبُونَ عَلَيْهِ مَعَ إِبْرَاهِيمَ، وَهُوَ مَعَ ذَلِكَ يَعْرُكُ النَّوَائِبَ وَيَمْرُسُهَا، وَلَمْ تَقْعُدْ بِهِ نَفْسُهُ، وَهُوَ كَمَا قَالَ الشَّاعِرُ: نَفْسُ عِصَامٍ سَوَّدَتْ عِصَامَا ... وَعَلَّمَتْهُ الْكَرَّ وَالْإِقْدَامَا فَصَيَّرَتْهُ مَلِكًا هُمَامَا وَأَقْبَلَ إِبْرَاهِيمُ قَاصِدًا مَنَ الْبَصْرَةِ إِلَى الْكُوفَةِ فِي مِائَةِ أَلْفِ مُقَاتِلٍ، فَأَرْسَلَ إِلَيْهِ الْمَنْصُورُ عِيسَى بْنَ مُوسَى فِي خَمْسَةَ عَشَرَ أَلْفًا، وَعَلَى مُقَدِّمَتِهِ حُمَيْدُ بْنُ قَحْطَبَةَ فِي ثَلَاثَةِ آلَافٍ، وَجَاءَ إِبْرَاهِيمُ فَنَزَلَ فِي بَاخَمْرَا فِي جَحَافِلَ عَظِيمَةٍ، فَقَالَ لَهُ بَعْضُ الْأُمَرَاءِ: إِنَّكَ قَدِ اقْتَرَبْتَ مِنَ الْمَنْصُورِ، فَلَوْ أَنَّكَ سِرْتَ إِلَيْهِ بِطَائِفَةٍ مِنْ جَيْشِكَ هَذَا لَأَخَذْتَ بِقَفَاهُ; فَإِنَّهُ لَيْسَ عِنْدَهُ مِنَ الْجُيُوشِ أَحَدٌ يَرُدُّونَ عَنْهُ. فَقَالَ آخَرُونَ مِنْهُمْ: إِنَّ الْأَوْلَى أَنْ نُنَاجِزَ هَؤُلَاءِ الَّذِينَ بِإِزَائِنَا، ثُمَّ هُوَ فِي قَبْضَتِنَا. فَثَنَاهُمْ
পৃষ্ঠা - ৭৯৯৪


শত্রুদের উপর আক্রমণ করে ৷ সর্ব প্রথম পরাজয়বরণকারী হুমায়দ ইবন কাহতাবাই সর্ব প্রথম
ফিরে আসে ৷ তারপর তারা এবং তাদের শত্রু ইবরাহীমের সমর্থক যােদ্ধারা সাহসিকতার পরিচয়
দেয় এবং প্রচণ্ড লড়াইয়ে লিপ্ত হয় ৷ এসময় উভয় পক্ষের বহু যোদ্ধা নিহত হয় ৷ তারপর ইব্রাহীম
ইবন আবদৃল্লাহ্র সমর্থক যােদ্ধারা পরাজিত হল, আর তিনি নিজে পাচশ যোদ্ধা নিয়ে দৃঢ়পদে
লড়াই করতে থাকেন ৷ কারও কারও মতে তার সঙ্গী যােদ্ধারা সংখ্যা ছিল চার’শ ৷ আবার কারও
মতে নব্বইজন ৷ এরপর ঈসা ইবন মুসা এবং তার সহযোদ্ধারাজয়লাত করে এবং ইব্রাহীম
ইবন আবদুল্লাহ অন্যান্য যােদ্ধাদের সাথে নিহত হন ৷ তার মাথা তার সহযোদ্ধাদের (কর্ভিত)
মাথার সাথে মিশে যায় ৷ তখন হুমায়দ ঈসা ইবন মুসার কাছে সব মাথা এনে জড়ো করে
অবশেষে লোকজন ইবরাহীমের মাথা সনাক্ত করে এবং তা বিজয়ের সুসংবাদ বাহকের সাথে
খলীফা মানসুরের কাছে পাঠিয়ে দেয় ৷ এদিকে গণক নীবখত ইব্রাহীম ইবন আবদুল্লাহ্র মাথা
পৌছার পুর্বেই খলীফা মানসুরের সাক্ষাতে প্রবেশ করে ৷ সে তাকে অবহিত করে যে ইব্রাহীম
নিহত হয়েছেন ৷ কিন্তু মানসুর তার কথা অবিশ্বাস করেন ৷ তখন সে বলে হে আমীরুল মু’মিনীন !
আমার কথা বিশ্বাস না হলে আমাকে আটকে রাখুন ৷ আর যদি ঘটনা তেমন না ঘটে থাকে যেমন
আমি আপনাকে অবহিত করেছি তাহলে আপনি আমাকে হত্যা করবেন ৷ এমনি সময় সুসংবাদ
বাহক ফৌজের পরাজয়ের সংবাদ নিয়ে আসে ৷ এরপর যখন ইব্রাহীম ইবন আবদুল্লাহ্র মাথা
আনা হয়, তখন মানসুর করি মৃআক্কির ইবন আওস ইবন হিমার আলবারিকীর এই কবিতা পঙ্ক্তি
আবৃত্তি করেন :

ঠুঞক্রো ’ ং ৷ াঠুহু৷ ৷ন্ র্চুঠুড্রু; :; £ব্র প্রুদ্বুএে ৷ fl টুব্লু;ন্াৰু, £শুঘু ট্রু; ংথ্রেদ্বুঢুষ্

“এরপর যে তা সফর শেষ করে সুন্থির হল যেমন প্রবাসী স্বদেশে ফিরে প্রিয়জনের দর্শনে
চোখ জুড়ায় ৷”

বর্ণিত আছে খলীফা মানসুর যখন ইব্রাহীম ইবন আবদুল্লাহ্র মাথা দেখেন, তখন তিনি
কেদে ফেলেন ৷ এমনকি তার চোখের অশ্রু ঐ মাথার উপর গড়িয়ে পড়ে ৷ এসময় তিনি বলেন,

আল্লাহর কসম ! আমি এটা অপসন্দ করতাম ৷ কিন্তু আমার দ্বারা তুমি পরীক্ষায় পতিত হয়েছ,
আর তোমার দ্বারা আমি পরীক্ষায় পতিত হয়েছি ৷ এরপর তার নির্দোশ উক্ত মাথা বাজারে ঝুলিয়ে

দেওয়া হয় আর তিনি গণক নীব্খৎ মিথ্যাবাদীকে দৃহাজার জারীর ১ শস্য প্রদান করেন ৷

খলীফা মানসুরের মাওলা (আষাদকৃত দাস) সালিহ উল্লেখ করে বলেন, যখন ইব্রাহীম ইবন
আব্দুল্লাহ্র মাথা উপস্থিত করা হয়, তখন খলীফা মানসুর সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত মজলিসে
বসেন ৷ তখন লোকজন তার সাক্ষাতে প্রবেশ করে তাকে অভিনন্দন জানাতে থাকে এবং তার
সন্তুষ্টির প্রত্যাশায় ইবরাহীমের সমালোচনা করতে থাকে এবং তার সম্পর্কে কটু ও কুৎসিত কথা
বলতে থাকে ৷ এ সময় মানসুর নির্বাক নিশ্চুপ ও বিবর্ণ অবস্থায় উপবিষ্ট ছিলেন ৷ অবশেষে তার
সাক্ষাতে জাফর ইবন হানযালা আর বুহরানী প্রবেশ করেন ৷ তিনি থেমে দাড়িয়ে খলীফাকে
সালাম করে বলেন, হে আমীরুল মুমিনীন! আপনার চাচাভ্রুতা ভাইয়ের এই দুঃখজনক
পরিণতিতে আল্লাহ আপনার (ধৈর্যের) বিনিময়কে বিপুল করুন ৷ আর আপনার হকের ব্যাপারে



১ ন্ শ্াসট্ পরিমাপের পরিমাণ পাত্র বিশেষ ৷


ذَلِكَ عَنِ الرَّأْيِ الْأَوَّلِ، وَلَوْ فَعَلُوهُ لَتَمَّ لَهُمُ الْأَمْرُ، ثُمَّ قَالَ بَعْضُهُمْ: خَنْدِقْ حَوْلَ الْجَيْشِ. فَقَالَ آخَرُونَ: إِنَّ هَذَا الْجَيْشَ لَا يَحْتَاجُ إِلَى خَنْدَقٍ حَوْلَهُ. فَتَرَكَ ذَلِكَ، ثُمَّ أَشَارَ بَعْضُهُمْ بِأَنْ يُبَيِّتَ جَيْشَ عِيسَى بْنِ مُوسَى، فَقَالَ إِبْرَاهِيمُ: إِنَّى لَا أَرَى ذَلِكَ. فَتَرَكَهُ، ثُمَّ أَشَارَ آخَرُونَ بِأَنْ يَجْعَلَ جَيْشَهُ كَرَادِيسَ، فَإِنْ غُلِبَ كُرْدُوسٌ ثَبَتَ الْآخَرُ، فَقَالَ آخَرُونَ: إِنَّ الْأَوْلَى أَنْ نُقَاتِلَ صُفُوفًا; لِقَوْلِهِ تَعَالَى: {إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الَّذِينَ يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِهِ صَفًّا كَأَنَّهُمْ بُنْيَانٌ مَرْصُوصٌ} [الصف: 4] . وَأَقْبَلَ الْجَيْشَانِ، فَتَصَافُّوا فِي بَاخَمْرَا، وَهِيَ عَلَى سِتَّةَ عَشَرَ فَرْسَخًا مِنَ الْكُوفَةِ فَاقْتَتَلُوا بِهَا قِتَالًا شَدِيدًا، فَانْهَزَمَ حُمَيْدُ بْنُ قَحْطَبَةَ بِمَنْ مَعَهُ مِنَ الْمُقَدِّمَةِ، فَجَعَلَ عِيسَى يُنَاشِدُهُمُ اللَّهَ فِي الرُّجُوعِ وَالْكَرَّةِ، فَلَا يَلْوِي عَلَيْهِ أَحَدٌ، وَثَبَتَ عِيسَى بْنُ مُوسَى فِي مِائَةِ رَجُلٍ مِنْ أَهْلِهِ، فَقِيلَ لَهُ: لَوْ تَنَحَّيْتَ مِنْ مَكَانِكَ هَذَا لِئَلَّا يَحْطِمَكَ جَيْشُ إِبْرَاهِيمَ. فَقَالَ: وَاللَّهِ لَا أَزُولُ عَنْهُ حَتَّى يَفْتَحَ اللَّهُ لِي أَوْ أُقْتَلَ هَاهُنَا. وَكَانَ الْمَنْصُورُ قَدْ تَقَدَّمَ إِلَيْهِ بِمَا أَخْبَرَهُ بِهِ بَعْضُ الْمُنَجِّمِينَ; أَنَّ النَّاسَ يَكُونُ لَهُمْ جَوْلَةٌ مَعَ عِيسَى بْنِ مُوسَى، ثُمَّ يَقُومُونَ إِلَيْهِ وَتَكُونُ الْعَاقِبَةُ لَهُ، فَاسْتَمَرَّ الْمُنْهَزِمُونَ ذَاهِبِينَ فَانْتَهَوْا إِلَى نَهْرٍ بَيْنَ جَبَلَيْنِ، فَلَمْ يُمْكِنْهُمْ خَوْضُهُ فَكَّرُوا رَاجِعِينَ بِأَجْمَعِهِمْ، فَكَانَ أَوَّلَ رَاجِعٍ حُمَيْدُ بْنُ قَحْطَبَةَ الَّذِي كَانَ أَوَّلَ مَنِ انْهَزَمَ، ثُمَّ اجْتَلَدُوا هُمْ وَأَصْحَابُ إِبْرَاهِيمَ، فَاقْتَتَلُوا قِتَالًا شَدِيدًا، وَقُتِلَ مِنْ كِلَا الْفَرِيقَيْنِ خَلْقٌ كَثِيرٌ، ثُمَّ انْهَزَمَ أَصْحَابُ إِبْرَاهِيمَ، وَثَبَتَ هُوَ فِي خَمْسِمِائَةٍ، وَقِيلَ: فِي أَرْبَعِمِائَةٍ. وَقِيلَ: فِي سَبْعِينَ رَجُلًا. وَاسْتَظْهَرَ عِيسَى بْنُ مُوسَى وَأَصْحَابُهُ، وَقُتِلَ إِبْرَاهِيمُ فِي جُمْلَةِ مَنْ قُتِلَ، وَاخْتَلَطَ رَأْسُهُ مَعَ رُءُوسِ أَصْحَابِهِ، فَجَعَلَ حُمَيْدٌ
পৃষ্ঠা - ৭৯৯৫
يَأْتِي بِالرُّءُوسِ فَيَعْرِضُهَا عَلَى عِيسَى بْنِ مُوسَى حَتَّى عَرَفُوا رَأْسَ إِبْرَاهِيمَ، فَبَعَثُوهُ مَعَ الْبَشِيرِ إِلَى الْمَنْصُورِ، وَكَانَ نِيبُخْتُ الْمُنَجِّمُ قَدْ دَخَلَ قَبْلَ مَجِيءِ الْبَشِيرِ عَلَى الْمَنْصُورِ فَقَالَ لَهُ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، أَبْشِرْ فَإِنَّ إِبْرَاهِيمَ مَقْتُولٌ. فَلَمْ يُصَدِّقْهُ، فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، إِنْ لَمْ تُصَدِّقْنِي فَاحْبِسْنِي، فَإِنْ لَمْ يَكُنِ الْأَمْرُ كَمَا ذَكَرْتُ لَكَ فَاقْتُلْنِي. فَبَيْنَا هُوَ عِنْدَهُ إِذْ جَاءَ الْبَشِيرُ بِهَزِيمَةِ إِبْرَاهِيمَ، وَلَمَّا جِيءَ بِالرَّأْسِ تَمَثَّلَ الْمَنْصُورُ بِبَيْتِ مُعَقِّرِ بْنِ حِمَارٍ الْبَارِقِيِّ: فَأَلْقَتْ عَصَاهَا وَاسْتَقَرَّ بِهَا النَّوَى ... كَمَا قَرَّ عَيْنًا بِالْإِيَابِ الْمُسَافِرُ وَيُقَالُ: إِنَّ الْمَنْصُورَ لَمَّا نَظَرَ إِلَى الرَّأْسِ بَكَى حَتَّى جَعَلَتْ دُمُوعُهُ تَسْقُطُ عَلَى الرَّأْسِ، وَقَالَ: وَاللَّهِ لَقَدْ كُنْتُ لِهَذَا كَارِهًا، وَلَكِنَّكَ ابْتُلِيتَ بِي وَابْتُلِيتُ بِكَ. ثُمَّ أَمَرَ بِالرَّأْسِ، فَنُصِبَ لِلنَّاسِ بِالسُّوقِ. وَأَقْطَعُ نِيبُخْتَ الْمُنَجِّمَ أَلْفَيْ جَرِيبٍ. وَذَكَرَ صَالِحٌ مَوْلَى الْمَنْصُورِ قَالَ: لَمَّا جِيءَ بِرَأْسِ إِبْرَاهِيمَ جَلَسَ الْمَنْصُورُ مَجْلِسًا عَامًّا، وَجَعَلَ النَّاسُ يَدْخُلُونَ عَلَيْهِ فَيُهَنِّئُونَهُ، وَيَنَالُونَ مِنْ إِبْرَاهِيمَ،
পৃষ্ঠা - ৭৯৯৬

তিনি যে অবহেলা করেছেন তা ক্ষমা করুন ৷ সালিহ বলেন, তখন মানসুরের রং হুলুদ হল
(অর্থাৎ তা ৷র স্বাভাবিকতা তিনি ফিরে পেলেন) এবং তিনি তা র দিকে মনােযােগী হয়ে বললেন, হে
আবু খালিদ ! তোমাকে অভিনন্দন ও স্বাগতম ! তুমি এখানে রস ৷ খনত সকলে বুঝতে পারল
জা ফরের অভিব্যক্তি তার পসন্দ হয়েছে ৷ এরপর যারা আসতে লাগল তা ৷র৷ সকলেই জা ফরের
ন্যায় বলতে লাগল ৷ আবু নুআয়ম ফযল ইবন দাকীন বলেন, ইররাহীম ইবন আবদুল্লাহ ইবন
হাসানের হত্যাক সংঘটিত হয় এ বছরের যুলুহাজ্জ জ্জামাসের পচিশ তারিখ বৃহস্পতিবার ৷

এবছর যে সব বিশিষ্টজন ইনতিকাল করেন

এবছর আহলে বায়তের যেসকল বিশিষ্টজন ইননিক ল করেন, তাদের অন্যতম হলেন,
আবদুল্লাহ ইবন হাসান এবং তার দুই ছেলে মুহাম্মাদ ও ইব্রাহীম, তার সহোদর ভইি হাসান ইবন
হাসান এবং তার বৈপিত্রেয় ভাই মুহাম্মাদ ইবন আবদুল্লাহ ইবন আমর ইবন উছমান ইবন
আফ্ফান ৷ এর উপাধি ছিল দীবাজ’ ৷ ১ আ র ত ৷র ৷জীবনী পুর্বে উল্লিখিত হয়েছে ৷

আর তার ভাই আবদুল্লা হ্ ইবন৷ হাস ৷ন ইাবৃন৷ হাস ৷ন ৷ইবন আলী ইবন আ বুত তালিব আল কুরায়শী
আল-হাশিমী হলেন ত ৷বিঈ ৷ তিনি তার পিতা থেকে এবং মাতা ফা৩ ৷তিম৷ বিনৃত হুসা ৷ইন থেকে,
বিশিষ্ট সাহাবী আবদুল্লাহ ইবন জা ফর ইবন আবু৩ তালিব থেকে এক অন্যান্যদের থেকে হাদীস
বিওয়ায়া ৷ত করেছেন ৷ আর তার থেকে য ৷রা বি ওয়ায়া৩ করেছেন তাদের অন্যতম হলেন, সুফিয়ান
আছু-ছাওরী, অ৷ দ দ ৷রাওয়৷ ৷রদী ও মা ৷লিক (র) ৷৩ তিনি আলিম-উলামাগণে ৷র শ্রদ্ধা র পাত্র ছিলেন এবং
উচ্চন্তরের আবিদ ছিলেন ৷ ইয়াহ্ইয়া ইবন মঈন বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য ও মতাবাদী ৷ ইনি
হযরত উমর ইবন আবদুল আযীযের (খিলাফতকালে) সাক্ষ৷ তে গমন করেন, উমর তাকে সমাদর
সম্মান করেন ৷ এছাড়া তিনি যখন সাফ্ফাহ-এর দরবারে গমন করেন খনত তিনিতার ৷প্রতি সম্মান
প্রদর্শন করেন এবং তাকে দশ লক্ষ দিরহাম প্রদান করেন ৷ কিন্তু এরপর মানসুর যখন খলীফ৷ হন
তখন তিনিতার সাথে এর বিপরীত আচরণ করেন ৷ ড্ডাপ তার সন্তান ও স্বজনদের সাথেও ৷ তার
সকলেই মহান আল্লাহর সান্নিধ্যে গত ৩হয়েছেন ৷ খলীফ৷ মানসুর তাকে এবং তার স্বজনদের
শৃওখল ও বেড়ি পরিহিত অবস্থায় অপমানিত করে পবিত্র মদীনা থেকে হাশিমিয়াতে প্রেরণ করেন
এবং সেখানে তাদেরকে সংকীর্ণ পরিসরের এক কয়েদখানায় বন্দী করে রাখেন ৷ পরবর্তীতে
তাদের অধিকা ংশ্ ৷ই সেখানে মৃত্যুমুখে পতিত হন ৷ আবদুল্লাহ্ ইবন হাসানই৩ ৷ তার ছেলে মুহ ৷ম্মাদ
পবিত্র মদীনায় বিদ্রোহ করার পর তাদের মাঝে প্রথম ইনতিক৷ ৷ল করেন ৷ কারও কারও মতে
জেলখানায় তাকে ইচ্ছা ৷কৃতভ৷ বে হত্যা করা হয় ৷ মৃতুকােলে তার বয়স ছিল, পচাত্তর বছর ৷৩ তা
জানায৷ পড়লে তা ৷র বৈপিত্রেয় ভাই হাসান ইবন হাসান ইবন আলী ৷ এরপর৩ার ভাই হাসান ও
ইনতিক৷ ৷ল করেন ৷ তার জানায৷ পড়া ন তার বৈপিত্রেয় ভাই মুহাম্মাদ ইবন আবদুল্লাহ ইবন আমর
ইবন উছুমান ইবন সাফ্ফান ৷৩ তারপর তিনি নিহত হন এবং তার মাথ৷ খুরাসানে নিয়ে যাওয়া হয় ৷
যেমন পুর্বে গত হয়েছে ৷

আর তার ছেলে মুহা ম্মাদ ইবন আবদুল্লাহ যিনি পবিত্র মদীনায় বিদ্রোহ করেন ৷৩ তিনিতার ৷পিতা
থেকে বি ওয়ায়া৩ করেছেন ৷ এছাড়াও তিনি নাফি থেকে এবং আবুঘৃ-যিনাদ থেকে আ রাজ সুত্রে
১ দীবাজের শাব্দিক অর্থ রেশমী কাপড় ৷




وَيُقَبِّحُونَ الْكَلَامَ فِيهِ ابْتِغَاءَ مَرْضَاةِ الْمَنْصُورِ، وَالْمَنْصُورُ وَاجِمٌ مُتَغَيِّرُ اللَّوْنِ لَا يَتَكَلَّمُ، حَتَّى دَخَلَ جَعْفَرُ بْنُ حَنْظَلَةَ الْبَهْرَانِيُّ، فَوَقَفَ فَسَلَّمَ، ثُمَّ قَالَ: أَعْظَمَ اللَّهُ أَجْرَكَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ فِي ابْنِ عَمِّكَ، وَغَفَرَ لَهُ مَا فَرَّطَ مِنْ حَقِّكَ. قَالَ: فَاصْفَرَّ لَوْنُ الْمَنْصُورِ، وَأَقْبَلَ عَلَيْهِ، وَقَالَ: أَبَا خَالِدٍ، مَرْحَبًا وَأَهْلًا، هَاهُنَا؟! فَعَلِمَ النَّاسُ أَنَّ ذَلِكَ قَدْ وَقَعَ مِنْهُ فَجَعَلَ كُلُّ مَنْ جَاءَ يَقُولُ كَمَا قَالَ جَعْفَرُ بْنُ حَنْظَلَةَ. قَالَ أَبُو نُعَيْمٍ الْفَضْلُ بْنُ دُكَيْنٍ: كَانَ ذَلِكَ فِي لَيْلَةِ الثُّلَاثَاءِ لِخَمْسٍ بَقِينَ مِنْ ذِي الْقِعْدَةِ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ. يَعْنِي سَنَةَ خَمْسٍ وَأَرْبَعِينَ وَمِائَةٍ. [ذِكْرُ مَنْ تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ] وَقَدْ قُتِلَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ جَمَاعَةٌ مِنْ أَعْيَانِ أَهْلِ الْبَيْتِ، مِنْهُمْ; عَبْدُ اللَّهِ بْنُ حَسَنٍ وَابْنَاهُ إِبْرَاهِيمُ وَمُحَمَّدٌ، وَأَخُوهُ حَسَنُ بْنُ حَسَنٍ، وَأَخُوهُ لِأُمِّهِ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ الْمُلَقَّبُ بِالدِّيبَاجِ، وَقَدْ تَقَدَّمَتْ تَرْجَمَتُهُ فِي آخِرِ الْجُزْءِ الَّذِي قَبْلَهُ. فَأَمَّا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ حَسَنِ بْنِ حَسَنِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ الْقُرَشِيُّ الْهَاشِمِيُّ
পৃষ্ঠা - ৭৯৯৭
فَتَابِعِيٌّ، رَوَى عَنْ أَبِيهِ وَأُمِّهِ فَاطِمَةَ بِنْتِ الْحُسَيْنِ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرِ بْنِ أَبِي طَالِبٍ - وَهُوَ صَحَابِيٌّ جَلِيلٌ - وَغَيْرِهِمْ. وَعَنْهُ جَمَاعَةٌ مِنْهُمْ; سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ وَالدَّرَاوَرْدِيُّ، وَمَالِكٌ. وَكَانَ مُعَظَّمًا عِنْدَ الْعُلَمَاءِ مُبَجَّلًا، وَكَانَ عَابِدًا كَبِيرَ الْقَدْرِ. قَالَ يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ: كَانَ ثِقَةً مَأْمُونًا. وَفَدَ عَلَى عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، فَأَكْرَمَهُ، وَوَفَدَ عَلَى السَّفَّاحِ فَعَظَّمَهُ وَأَعْطَاهُ أَلْفَ أَلْفِ دِرْهَمٍ، فَلَمَّا وَلِيَ الْمَنْصُورُ عَكَسَ هَذَا الْإِكْرَامَ، وَأَخَذَهُ وَأَهْلَ بَيْتِهِ مُقَيَّدِينَ مَغْلُولِينَ مُهَانِينَ مِنَ الْمَدِينَةِ إِلَى الْهَاشِمِيَّةِ، فَأَوْدَعَهُمُ السِّجْنَ الضَّيِّقَ كَمَا قَدَّمْنَا، فَمَاتَ أَكْثَرُهُمْ فِيهِ، فَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ حَسَنٍ هَذَا أَوَّلَ مَنْ مَاتَ فِيهِ، وَذَلِكَ بَعْدَ خُرُوجِ وَلَدِهِ مُحَمَّدٍ بِالْمَدِينَةِ، وَقَدْ قِيلَ: إِنَّهُ قُتِلَ عَمْدًا. وَقِيلَ: بَلْ مَاتَ حَتْفَ أَنْفِهِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَكَانَ عُمْرُهُ يَوْمَ مَاتَ خَمْسًا وَسَبْعِينَ سَنَةً. وَصَلَّى عَلَيْهِ أَخُوهُ الْحَسَنُ بْنُ الْحَسَنِ بْنِ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ.
পৃষ্ঠা - ৭৯৯৮
ثُمَّ مَاتَ بَعْدَهُ أَخُوهُ حَسَنٌ، فَصَلَّى عَلَيْهِ أَخُوهُ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ. ثُمَّ قُتِلَ بَعْدَهُ، وَحُمِلَ رَأْسُهُ إِلَى خُرَاسَانَ، كَمَا قَدَّمْنَا. وَأَمَّا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَسَنِ بْنِ حَسَنِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ فَرَوَى عَنْ أَبِيهِ، وَنَافِعٍ، وَعَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الْأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ فِي كَيْفِيَّةِ الْهُوِيِّ إِلَى السُّجُودِ، وَحَدَثَّ عَنْهُ جَمَاعَةٌ، وَوَثَّقَهُ النَّسَائِيُّ وَابْنُ حِبَّانَ، وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: لَا يُتَابَعُ عَلَى حَدِيثِهِ. وَقَدْ ذُكِرَ أَنَّ أُمَّهُ حَمَلَتْ بِهِ أَرْبَعَ سِنِينَ. وَكَانَ طَوِيلًا سَمِينًا أَسْمَرَ ضَخْمًا، مُفَخَّمًا ذَا هِمَّةٍ سَامِيَّةٍ، وَسَطْوَةٍ عَالِيَةٍ، وَكَانَ مَقْتَلُهُ بِالْمَدِينَةِ فِي مُنْتَصَفِ رَمَضَانَ سَنَةَ خَمْسٍ وَأَرْبَعِينَ وَمِائَةٍ، وَلَهُ خَمْسٌ وَأَرْبَعُونَ سَنَةً. وَقَدْ حُمِلَ رَأْسُهُ إِلَى الْمَنْصُورِ، وَطَيْفَ بِهِ فِي الْأَقَالِيمِ. وَأَمَّا أَخُوهُ إِبْرَاهِيمُ فَكَانَ ظُهُورُهُ بِالْبَصْرَةِ بَعْدَ ظُهُورِ أَخِيهِ بِالْمَدِينَةِ، وَكَانَتْ وَفَاتُهُ بَعْدَ وَفَاتِهِ فِي ذِي الْقِعْدَةِ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ، وَلَيْسَ لَهُ شَيْءٌ فِي الْكُتُبِ السِّتَّةِ، وَقَدْ حَكَى أَبُو دَاوُدَ السِّجِسْتَانِيُّ، عَنْ أَبِي عَوَانَةَ أَنَّهُ قَالَ: كَانَ إِبْرَاهِيمُ
পৃষ্ঠা - ৭৯৯৯


আবু হুরায়রার উদ্ধৃতিতে সিজদা য় যাওয়ার অবস্থা’ সম্পর্কে হাদীছ রিওয়ায়াত করেছেন ৷ এছাড়া
তার থেকেও একদল রাবী রিওয়ায়াত করেছেন ৷ আর নাসাঈ ও ইবন হিব্বান তাকে নির্ভরযোগ্য
আখ্যা দিয়েছেন ৷ আ র ইমাম বৃখ৷ ৷রী মন্তব্য করেন তার হাদীছের কোন সমর্থক রিওয়ায়া ৷ত নেই ৷

উল্লেখ করা হয়েছে যে, তিনি চ র বছর মাতৃগর্ভে ছিলেন ৷ তিনি ছিলেন দীর্ঘকায়, ফর্সা,
বাদামী বর্ণ বিশাল দেহী ৷ উচ্চমনােবল, প্রচণ্ড দাপট এবং অনন্য বীরতৃ ছিল তার অন্যতম বৈশিষ্ট্য ৷
একশ পয়তা ৷ল্লিশ হিজরীর রমযা ন মাসের মধ্যবর্তী সময়ে৩ তিনি পবিত্র মদীনায় নিহত হন ৷ এসময়
তার বয়স পয়তাল্লিশ বছর ৷৩ তার কর্তি৩ মস্তক খলীফ৷ মানসুরের কাছে বহন করে নেওয়া হয়
এবং বিভিন্ন অঞ্চলে৩ তাকে প্রদক্ষিণ করানো হয় ৷

আর৩ ৷ রে ভাই ইব্রাহীম পবিত্র মদীনায় আত্মপ্রকাশ করার পর তার ভাই বসরায় আত্মপ্রকাশ
করেন ৷ এ বছরের যুল্হাজ্জা সালে তার ভাই নিহত ৩হওয়ার পর তিনিও নিহত হন ৷ সিহাহ
সিত্তাহয় তার কোন রিওয়ায়াত নেই ৷ আবু দাউদ সিজিস্ত ৷নী আবু আওয়ানা র সুত্রে বর্ণনা করেন
যে, তিনি আবু আওয়ান৷ বলেন, ইব্রাহীম ইবন আবদুল্লাহ ৩৩ তার ভাই মুহাম্মাদ খারিজী ছিলেন ৷
দাউদ বলেন,৩ তার মন্তব্য সঠিক নয় ৷ এটা হল যায়দীয়্যাদের রায় ৷ আ ৷ল-বিদায় যার প্রস্থুকার বলেন,
একদল আলিম ও ইমাম থেকে বর্ণিত আছে যে, তারা যায়দিয়্যার৷ তাদের আত্মপ্রকা শের প্রতি

আকৃষ্ট হয়েছিল ৷

এবছর যে সব প্রসিদ্ধ ও বিশিষ্ট ব্যক্তি ইনতিকাল করেন

এবছর যে সকল প্রসিদ্ধ ও বিশিষ্ট ব্যক্তি ইনতিকাল করেন তাদের অন্যতম আজলাহ ইবন
আবদুল্লাহ, ইসমাঈল ইবন আবু খালিদ (একমতানুয়ায়ী) হাবীব ইবনুশ-শাহীদ, আবদুল মালিক
ইবন আবু সুলায়মান, আফরাব মাওলা আমর, ইয়াহইয়৷ ইবন হারিছ আঘৃ-যিম৷ রী, ইয়াহইয়া ইবন
সাঈদ আবুহায়্যান আ৩ ৩ায়সী, রু ব৷ ইবনুল আজ্বজা জ যার নাম হল আবু শ ৷৷ ছা আবদুল্লাহ ইবন
রু ’ব৷ আর আজজ৷ জ তার উপাধি, আবু মুহাম্মাদ আ৩ ষ্তামীমী আল-বাসরী, আর রাজিব ইবন

রাজিব ৷ আর এদের প্রত্যেকের রাজয্ ১ ছন্দের একটি করে কাব্য সমগ্র রয়েছে ৷ এদের
প্রত্যেত্তুকা কাব্যশাদ্রে অপ্রতিদ্বন্দী, এবং ভাষাজ্ঞানী ৷ এছাড়া রয়েছেন বিশিষ্ট লেখক আবদুল্লাহ
ইবনুল মুকাফ্ফা, যিনি সাফ্ফ৷ ৷হ ও ম ৷নসুরের চাচা ঈস৷ ইবন আলীর হাতে ইসলাম গ্রহণ করেন
এবং তার পত্র লিখক বা সং কলকের দ ৷য়িতৃ পালন করেন ৷৩ তার রচিত বহু পত্র রয়েছে ৷ তিনি

নাস্তিকতার অভিযোগে অভিযুক্ত ছিলেন ৷ তিনি কা ৷লীলা ও দিমনা’ গ্রন্থের গ্রন্থকার ৷ আ র এও বলা
হয় যে, তিনি পারসিক৩ যা থেকে তা আরবীতে অনুবাদ করেছেন, মাহদী বলেন, নাস্তিকতা

ৎক্রান্ত যে কোন গ্রন্থের উৎস ইবনুল মুকাফ্ফ৷ , মুভী’ ইবন ইয়াস এবং ইয়াহ্ইয়া ইবন যিয়াদ ৷
ঐতিহাসিকগণ বলেন, মাহদী জাহিযের কথা বিস্মৃত হয়েছেন ৷ অথচ যে এদের চতৃর্থজন ৷ এসব
সত্বেও ইবনুল মুকাফ্ফ৷ বিশুদ্ধ ভাষী ও গুণী ব্যক্তি ৷ আসমাঈ বলেন, (একবার) ইবনুল
মুকাফ্ফাকে প্রশ্ন করা হয়, কে আপনাকে শিষ্টাচার শিক্ষা দিয়েছে ? সে বলে আমি নিজেই আমার
শিক্ষক ৷ অন্য কারও থেকে আমি যখন কোন মন্দকর্ম দেখতাম, তখন তা বর্জন করতাম আর
যদি কোন সুকর্ম দেখতাম তা হলে তা অর্জন করতাম ৷ তার নির্বাচিত কথামালার একাৎ আমি



১ আরবী কাব্যের ছন্দ বিশেষ ৷


وَأَخُوهُ مُحَمَّدٌ خَارِجِيِّينَ. ثُمَّ قَالَ أَبُو دَاوُدَ: وَبِئْسَمَا قَالَ، هَذَا رَأْيُ الزَّيْدِيَّةِ. قُلْتُ: وَقَدْ حُكِيَ عَنْ جَمَاعَةٍ مِنَ الْأَئِمَّةِ أَنَّهُمْ مَالُوا إِلَى ظُهُورِهِمَا وَفِي هَذَا نَظَرٌ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَمِمَّنْ تُوُفِّيَ فِيهَا أَيْضًا مِنَ الْمَشَاهِيرِ: الْأَجْلَحُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، وَإِسْمَاعِيلُ ابْنُ أَبِي خَالِدٍ فِي قَوْلٍ، وَحَبِيبٌ ابْنُ الشَّهِيدِ، وَعَبْدُ الْمَلِكِ ابْنُ أَبِي سُلَيْمَانَ، وَعُمَرُ مَوْلَى عَفْرَةَ، وَيَحْيَى
পৃষ্ঠা - ৮০০০
بْنُ الْحَارِثِ الذِّمَّارِيُّ، وَيَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ أَبُو حَيَّانَ التَّيْمِيُّ، وَرُؤْبَةُ بْنُ الْعَجَّاجِ - وَالْعَجَّاجُ لَقَبٌ، وَاسْمُهُ أَبُو الشَّعْثَاءِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رُؤْبَةَ - أَبُو مُحَمَّدٍ التَّمِيمِيُّ الْبَصْرِيُّ، الرَّاجِزُ ابْنُ الرَّاجِزِ، وَلِكُلٍّ مِنْهُمَا دِيوَانُ رَجَزٍ، وَكُلٌّ مِنْهُمَا بَارِعٌ فِي فَنِّهِ، لَا يُجَارَى وَلَا يُمَارَى، عَالِمٌ بِاللُّغَةِ. وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُقَفَّعِ الْكَاتِبُ الْمُفَوَّهُ، أَسْلَمَ عَلَى يَدِ عِيسَى بْنِ عَلِيٍّ عَمِّ السَّفَّاحِ وَالْمَنْصُورِ، وَكَتَبَ لَهُ، وَلَهُ رَسَائِلُ وَأَلْفَاظٌ فَصِيحَةٌ، وَكَانَ يُتَّهَمُ بِالزَّنْدَقَةِ، وَهُوَ الَّذِي صَنَّفَ كِتَابَ " كَلَيْلَةَ وَدِمْنَةَ "، وَيُقَالُ: بَلْ هُوَ الَّذِي عَرَّبَهَا مِنَ الْمَجُوسِيَّةِ إِلَى الْعَرَبِيَّةِ. قَالَ الْمَهْدِيُّ ابْنُ الْمَنْصُورِ: مَا وَجَدْتُ كِتَابَ زَنْدَقَةٍ إِلَّا وَأَصْلُهُ مِنِ ابْنِ الْمُقَفَّعِ. قَالَ الْجَاحِظُ: الزَّنَادِقَةُ ثَلَاثَةٌ; ابْنُ الْمُقَفَّعِ، وَمُطِيعُ بْنُ إِيَاسٍ، وَيَحْيَى بْنُ زِيَادٍ. قَالُوا: وَنَسِيَ الْجَاحِظُ نَفْسَهُ، وَهُوَ رَابِعُهُمْ. وَكَانَ مَعَ هَذَا فَاضِلًا بَارِعًا فَصِيحًا.
পৃষ্ঠা - ৮০০১
قَالَ الْأَصْمَعِيُّ: قِيلَ لِابْنِ الْمُقَفَّعِ: مَنْ أَدَّبَكَ؟ قَالَ: نَفْسِي; إِذَا رَأَيْتُ مِنْ غَيْرِي قَبِيحًا أَبَيْتُهُ، وَإِذَا رَأَيْتُ حَسَنًا أَتَيْتُهُ. وَمِنْ كَلَامِهِ: شَرِبْتُ مِنَ الْخُطَبِ رَيًّا، وَلَمْ أَضْبُطْ لَهَا رَوِيًّا، فَغَاضَتْ ثُمَّ فَاضَتْ، فَلَا هِيَ هِيَ نِظَامًا، وَلَيْسَتْ غَيْرَهَا كَلَامًا. وَكَانَ قَتْلُهُ عَلَى يَدِ سُفْيَانَ بْنِ مُعَاوِيَةَ بْنِ يَزِيدَ بْنِ الْمُهَلَّبِ ابْنِ أَبِي صُفْرَةَ نَائِبِ الْبَصْرَةِ، وَذَلِكَ أَنَّهُ كَانَ يَعْبَثُ بِهِ، وَيَسُبُّ أُمَّهُ، وَإِنَّمَا كَانَ يُسَمِّيهِ ابْنَ الْمُغْتَلِمَةِ، وَكَانَ كَبِيرَ الْأَنْفِ، وَكَانَ إِذَا دَخَلَ عَلَيْهِ يَقُولُ: السَّلَامُ عَلَيْكُمَا. عَلَى سَبِيلِ التَّهَكُّمِ. وَقَالَ سُفْيَانُ مَرَّةً: مَا نَدِمْتُ عَلَى سُكُوتٍ قَطُّ. فَقَالَ: صَدَقْتَ، الْخَرَسُ خَيْرٌ لَكَ. فَاتَّفَقَ أَنَّ الْمَنْصُورَ تَغَضَّبَ عَلَى ابْنِ الْمُقَفَّعِ، فَكَتَبَ إِلَى نَائِبِهِ سُفْيَانَ بْنِ مُعَاوِيَةَ هَذَا أَنْ يَقْتُلَهُ، فَأَخَذَهُ فَأَحْمَى لَهُ تَنُّورًا، وَجَعَلَ يُقَطِّعُهُ إِرَبًا إِرَبًا، وَيُلْقِيهِ فِي ذَلِكَ التَّنُّورِ حَتَّى أَحْرَقَهُ كُلَّهُ، وَهُوَ يَنْظُرُ إِلَى أَطْرَافِهِ كَيْفَ تُقْطَعُ، ثُمَّ تُحْرَقُ. وَقِيلَ غَيْرُ ذَلِكَ فِي صِفَةِ قَتْلِهِ. قَالَ ابْنُ خِلِّكَانَ: وَمِنْهُمْ مَنْ يَقُولُ: ابْنُ الْمُقَفَّعِ نِسْبَةً إِلَى بَيْعِ الْقِفَاعِ،
পৃষ্ঠা - ৮০০২
وَهِيَ مِنَ الْجَرِيدِ كَالزِّنْبِيلِ بِلَا آذَانٍ، وَالصَّحِيحُ أَنَّهُ ابْنُ الْمُقَفَّعِ، وَهُوَ أَبُوهُ دَاذَوَيْهِ، كَانَ الْحَجَّاجُ قَدِ اسْتَعْمَلَهُ عَلَى الْخَرَاجِ، فَخَانَ فَعَاقَبَهُ حَتَّى تَقَفَّعَتْ يَدَاهُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَفِيهَا خَرَجَتِ التُّرْكُ وَالْخَزَرُ بِبَابِ الْأَبْوَابِ، فَقَتَلُوا مِنَ الْمُسْلِمِينَ بِأَرْمِينِيَّةَ جَمَاعَةً كَثِيرَةً. وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ السَّرِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ عَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ نَائِبُ مَكَّةَ، وَكَانَ نَائِبَ الْمَدِينَةِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الرَّبِيعِ الْحَارِثِيُّ، وَعَلَى الْكُوفَةِ عِيسَى بْنُ مُوسَى، وَعَلَى الْبَصْرَةِ سَلْمُ بْنُ قُتَيْبَةَ، وَعَلَى مِصْرَ يَزِيدُ بْنُ حَاتِمٍ.