ثم دخلت سنة تسع وثلاثين ومائة
পৃষ্ঠা - ৭৯৪৮
তাকে উমাবী বলা হয় ৷ মুলত তিনি আবদুল্লাহ ইবন আলী ইবন আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস থেকে
পলায়ন করে মরোক্কোতে প্রবেশ করেন ৷ এসময় পথিমধ্যে তিনি এবং তার পলায়নরত সঙ্গীরা
এমন এক সম্প্রদায়ের সংস্পর্শে আসেন ৷ যারা ইয়ামানী ও মুয়ায়ী সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে
পরস্পর যুদ্ধে লিপ্ত ৷ তিনি তার মাওলা বদরকে তাদের কাছে পাঠ্য নি এবং নিজের দিকে তাদেরকে
আকৃষ্ট করেন ৷ তারা তার হাতে আনুগত্যের বায়আত গ্রহণ করে ৷ এরপর তিনি তাদেরকে নিয়ে
আন্দা লুস জয় করেন ৷ এ সময়ও তিনি সেরা ৷৷নক র তৎকা ৷লীন শাসক ইউসুফ ইবন আবদুর রহমান
ইবন হাবীব ইবন আবু উবায়দ৷ ইবন উকবা ইবন নাফি আল-ফিহরী থেকে তার শাসন কর্তৃতৃ
ছিনিয়ে তা জবরদখল করেন এবং তাকে হত্যা করেন ৷ আবদুর রহমান কর্ডোণ্ড তাকে তার প্রশাসন
কেন্দ্র বানান ৷ সে দেশে তিনি ঐ বছর থেকে একশ বাহাত্তর হিজরী পর্যন্ত নিজের শাসন কর্তৃত্ব বা
খিলাফত বজায় রাখেন ৷ চৌত্রিশ বছর কয়েক মাস শাসন পরিচালনার পর তিনি সেখানেই
মৃত্যুবরণ করেন ৷ এরপর তার ছেলে হিশাম ছয় বছর কয়েক মাস শাসন পরিচালনা করেন ৷ তার
মৃত্যু হলে তারপর শাসনভার গ্রহণ করেন আল-হাকাম ইবন হিশাম ৷ ইনি ছাব্বিশ বছরের অধিক
সময় স্ব পদে বহাল থাকেন ৷ তারপর তার মৃত্যু হয় ৷ তারপরে তার ছেলে আবদুর রহমান ইবন
হাকাম তেত্রিশ বছর শাসন কার্য পরিচালনা করেন ৷ তারপর ইনতিকাল করেন ৷ এদের পরবর্তী
শাসক ছিলেন মুহাম্মাদ ইবন আবদুর রহমান ইবন হাকাম ৷ তার শাসনকাল ছিল ছাব্বিশ বছর ৷
তার মৃত্যুর পর তার ছেলে মুনযির ইবন মুহাম্মদ শাসনকর্তৃতৃ লাভ করেন ৷ এরপর তার ভাই
আবদুল্লাহ ইবন মুহাম্মাদ ইবন মুনযির ৷ তার শাসনকাল ছিল তিনশ হিজরীর কিছুকাল পর ৷ এরপর
এই উমাবী শাসনের অবসান ঘটে ৷ যেমনটি আমরা সে সময়ের লোকদের ব্যাপারে শীঘ্রই
আলোচনা করব ৷ তারা সেখানে কি সুখ-স্বাচ্ছন্দা ও ভোগ বিলাসের উপায় উপকরণ লা৷ভ
করেছিল ৷৩ তারপর সেই যুগ ও তার অধিবাসীরা এমনভাবে বিলুপ্ত হল যেন তারা তাদের
প্ৰতিশ্রুতকাল পুর্ণ করল ৷ এরপর তাদের অবস্থা এমন মনে হল যেন তারা শুষ্কতা ও পুবালী
তাসে নিশ্চিহ্ন হয়ে যা ৷ওয়৷ কোন শুকনো পাতা ৷
১ ৩ ৯ হিজরীর সুচনা
এবছরই সালিহ ইবন আলী মালতিয়৷ শহরের পুনঃনির্মাণ সম্পন্ন করেন ৷ এরপর তিনি সাইফা
আক্রমণ করেন এবং রোমক ভুখণ্ডের গভীরে প্রবেশ করেন ৷ এসময় তার ভগ্নিদ্বয় আলী তনয়া
উম্মু ঈস৷ ও লুবাবা তার সাথে যুদ্ধাতিযানে বের হন ৷ তারা দু’জন মানত করেছিলেন বনুউমায়্যার
শাসনাবসান হলে তারা আল্লাহর রাহে জিহাদে বের হবেন ৷ এবছরেই খলীফা মানসুর ও রোম
সম্রাটের মধ্যে বন্দী বিনিময় (সৎ ঘটিত) হয় ৷ এ সময় তিনি উল্পেখযাে ৷গ্য সংখ্যক বন্দী মুসলমান
যোদ্ধাকে উদ্ধার করতে সক্ষম হন ৷ এরপর আর এ বছর থেকে শুরু করে একশ ছেচল্লিশ হিজরী
পর্যন্ত কোন গ্রীষ্মকালীন অভিযান সংঘটিত হয়নি ৷ আর এর কারণ ছিল এসময় খলীফ৷ মানসুর
আবদুল্লাহ ইবন হাসানের ছেলে দু’টির বিষয় নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন ৷ যেমন আমরা শীঘ্রই উল্লেখ
করব ৷ কিন্তু কোন কোন ঐতিহাসিক উল্লেখ করেছেন যে একশ চল্লিশ হিজরীতে হাসান ইবন
কাহতারা ইমাম আবদুল ওয়াহ্হাব ইবন ইবরাহীমের সাথে স ইফা আক্রমণ করেন ৷ আল্লাহ
অধিক জানেন ৷
[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ تِسْعٍ وَثَلَاثِينَ وَمِائَةٍ]
فِيهَا أَكْمَلَ صَالِحُ بْنُ عَلِيٍّ بِنَاءَ مَلَطْيَةَ، ثُمَّ غَزَا الصَّائِفَةَ عَلَى طَرِيقِ الْحَدَثِ، فَوَغَلَ فِي بِلَادِ الرُّومِ، وَغَزَا مَعَهُ أُخْتَاهُ أُمُّ عِيسَى وَلُبَابَةُ ابْنَتَا عَلِيٍّ، وَكَانَتَا نَذَرَتَا إِنْ زَالَ مُلْكُ بَنِي أُمَيَّةَ أَنْ تُجَاهِدَا فِي سَبِيلِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ.
وَفِيهَا كَانَ الْفِدَاءُ الَّذِي حَصَلَ بَيْنَ الْمَنْصُورِ وَمَلِكِ الرُّومِ، فَاسْتَنْقَذَ بَعْضَ أَسْرَى الْمُسْلِمِينَ، ثُمَّ لَمْ يَكُنْ لِلنَّاسِ صَائِفَةٌ فِي هَذِهِ السَّنَةِ إِلَى سَنَةِ سِتٍّ وَأَرْبَعِينَ، وَذَلِكَ لِاشْتِغَالِ الْمَنْصُورِ بِأَمْرِ ابْنَيْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَسَنٍ، كَمَا سَنَذْكُرُهُ، وَلَكِنْ ذَكَرَ بَعْضُهُمْ أَنَّ الْحَسَنَ بْنَ قَحْطَبَةَ غَزَا الصَّائِفَةَ مَعَ عَبْدِ الْوَهَّابِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ الْإِمَامِ سَنَةَ أَرْبَعِينَ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَفِيهَا وَسَّعَ الْمَنْصُورُ الْمَسْجِدَ الْحَرَامَ، وَكَانَتْ هَذِهِ السَّنَةُ خِصْبَةً جِدًّا، فَكَانَ
পৃষ্ঠা - ৭৯৪৯
يُقَالُ لَهَا: سَنَةُ الْخِصْبِ.
وَفِيهَا عَزَلَ الْمَنْصُورُ عَمَّهُ سُلَيْمَانَ بْنَ عَلِيٍّ عَنْ إِمْرَةِ الْبَصْرَةِ - وَقِيلَ: إِنَّمَا كَانَ ذَلِكَ فِي سَنَةِ أَرْبَعِينَ وَمِائَةٍ - فَاخْتَفَى عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَلِيٍّ وَأَصْحَابُهُ خَوْفًا عَلَى أَنْفُسِهِمْ، فَبَعَثَ الْمَنْصُورُ إِلَى نَائِبِهِ عَلَى الْبَصْرَةِ، وَهُوَ سُفْيَانُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، يَسْتَحِثُّهُ فِي إِحْضَارِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَلِيٍّ إِلَيْهِ، فَبَعَثَهُ فِي أَصْحَابِهِ، فَقَتَلَ بَعْضَهُمْ، وَسَجَنَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَلِيٍّ، وَبَعَثَ بَقِيَّةَ أَصْحَابِهِ إِلَى أَبِي دَاوُدَ نَائِبِ خُرَاسَانَ، فَقَتَلَهُمْ هُنَاكَ.
وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ الْعَبَّاسُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ.
وَفِيهَا تُوُفِّيَ عَمْرُو بْنُ مُهَاجِرٍ، وَيَزِيدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْهَادِ، وَيُونُسُ بْنُ عُبَيْدٍ، أَحَدُ الْعُبَّادِ وَصَاحِبُ الْحَسَنِ الْبَصْرِيِّ.