আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

باب ذكر جماعة من أنبياء بني إسرائيل بعد موسى عليه السلام

পৃষ্ঠা - ৭৯৩
ষ্ষ্

হিয্কীল (আ) এর বিবরণ

আল্লাহ্র বাণী :

টা৷
তুমি কি তাদেরকে দেখনি যারা মৃত্যু-তয়ে হাজারে-হাজারে তাদের আবাস তুমি ত্যাগ
করেছিল? তারপর আল্লাহ্ তাদেরকে বলেছিলেন, “ণ্তামাদের মৃত্যু হোক ৷ তারপর আল্লাহ
তাদেরকে জীবিত করেছিলেন ৷ নিশ্চয়ই আল্লাহ মানুষের প্রতি অনুগ্রহশীল ; কিন্তু অধিকাৎশ
লোক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না ৷ (২ বাকারা : ২৪৩)

মুহাম্মদ ইবন ইসহাক ওহার ইবন মুনড়াব্বিহ্ সুত্রে বর্ণনা করেছেন : ইউশার মৃত্যুর পর
ন্ কালিব ইবন ইউফান্ন৷ রনী-ইসরাঈলের নেতা হন এবং তার ইন্তিকালের পর হিঘৃকীল ইবন
ইউযী রনী ইসরাঈলের পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন ৷ এই হিযকীল ইরনুল আজুয তথা
বৃদ্ধার পুত্ররুপে পরিচিত, যার দােয়ায় আল্লাহ্ সে সব মৃত সোকদেরকে জীবিত করে
দিয়েছিলেন, যাদের ঘটনা পুর্বোক্ত আয়াতে উল্লেখিত হয়েছে ৷

ইবন ইসহাক বলেন, এসব লোক মহামাৰীর ভয়ে ঘর-বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় এবং এক
প্রাম্ভরে উপনীত হয় ৷ আল্লাহ বললেন, তোমাদের মৃত্যু হোক ৷ ফলে তারা সকলেই তথায় মারা
যায় ৷ অবশ্য তাদের লাশগুলো হিংস্র জন্তুর করল থেকে রক্ষা করার জন্য বেষ্টনীর ব্যবস্থা করা
হয় ৷ এভাবে সুদীর্ঘকাল অতিক্রান্ত হয় ৷ একদা হযরত হিয্কীল তাদের নিকট দিয়ে অতিক্রম
করছিলেন ৷ তিনি থমকে দীড়ান ও চিন্তা করতে থাকেন ৷ এ সময় একটি গায়েবী আওয়াজের
মাধ্যমে তাকে জিজ্ঞেস করা হয়, আল্লাহ্ এ মৃত লোকগুলােকে তোমার সম্মুখে জীবিত করে দেন
তা কি তুমি চাওন্ হিয্কীল বললেন, জী হীড়া ৷ এরপর তাকে বলা হল, তুমি হাড়গুলোকে আদেশ
কর, যাতে সেগুলো গোশত দ্বারা আবৃত হয় এবং শিরাগুলো যেন পরস্পর সংযুক্ত হয়ে যায় ৷
আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী হিযকীল হাড়গুলোকে সে আহ্বান করার সাথে সাথে লড়াশগুলো সবই
জীবিত হয়ে গেল এবং সমস্বরে তাকবীর ধ্বনি উচ্চারণ করল ৷

আসরড়াত ঐতিহাসিক সুদ্দী থেকে বিভিন্ন সুত্রে ইবন আব্বাস, ইবন মাসউদ প্রমুখ সাহাবী
থেকে উপরোক্ত আয়াতে ( ৷র্দু, ট্রু র্মুপ্রুছু ;,;fi ৷ ষ্পু ৷ ;;: ;;’) উল্লিখিত ঘটনা সম্পর্কে
লিখেছেন : ওয়াসিত এর নিকটে অবস্থিত একটি জনপদের্বনাম ছিল দাওয়ার-দান ( ,) ৷ , এ ৷ এ)

[بَابُ ذِكْرِ جَمَاعَةٍ مِنْ أَنْبِيَاءِ بَنِي إِسْرَائِيلَ بَعْدَ مُوسَى عَلَيْهِ السَّلَامُ] [قِصَّةُ حِزْقِيلَ] ثُمَّ نُتْبِعُهُمْ بِذِكْرِ دَاوُدَ وَسُلَيْمَانَ، عَلَيْهِمَا السَّلَامُ. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ، فِي " تَارِيخِهِ ": لَا خِلَافَ بَيْنِ أَهْلِ الْعِلْمِ بِأَخْبَارِ الْمَاضِينَ، وَأُمُورِ السَّالِفِينِ مِنْ أُمَّتِنَا، وَغَيْرِهِمْ; أَنَّ الْقَيِّمَ بِأُمُورِ بَنِي إِسْرَائِيلَ بَعْدَ يُوشَعَ، كَالِبُ بْنُ يُوفَنَّا. يَعْنِي أَحَدَ أَصْحَابِ مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَهُوَ زَوْجُ أُخْتِهِ مَرْيَمَ، وَهُوَ أَحَدُ الرَّجُلَيْنِ اللَّذَيْنِ مِمَّنْ يَخَافُونَ اللَّهَ، وَهُمَا يُوشَعُ، وَكَالِبُ وَهُمَا الْقَائِلَانِ لِبَنِي إِسْرَائِيلَ حِينَ نَكَلُوا عَنِ الْجِهَادِ: {ادْخُلُوا عَلَيْهِمُ الْبَابَ فَإِذَا دَخَلْتُمُوهُ فَإِنَّكُمْ غَالِبُونَ وَعَلَى اللَّهِ فَتَوَكَّلُوا إِنْ كُنْتُمْ مُؤْمِنِينَ} [المائدة: 23] . قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ ثُمَّ مِنْ بَعْدِهِ كَانَ الْقَائِمُ بِأُمُورِ بَنِي إِسْرَائِيلَ حِزِقْيلَ بْنَ بُوذَى. وَهُوَ الَّذِي دَعَا اللَّهَ فَأَحْيَا الَّذِينَ خَرَجُوا مِنْ دِيَارِهِمْ وَهُمْ أُلُوفٌ حَذَرَ الْمَوْتِ.
পৃষ্ঠা - ৭৯৪
قِصَّةُ حِزْقِيلَ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {أَلَمْ تَرَ إِلَى الَّذِينَ خَرَجُوا مِنْ دِيَارِهِمْ وَهُمْ أُلُوفٌ حَذَرَ الْمَوْتِ فَقَالَ لَهُمُ اللَّهُ مُوتُوا ثُمَّ أَحْيَاهُمْ إِنَّ اللَّهَ لَذُو فَضْلٍ عَلَى النَّاسِ وَلَكِنَّ أَكْثَرَ النَّاسِ لَا يَشْكُرُونَ} [البقرة: 243] . قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ وَهْبِ بْنِ مُنَبِّهٍ، إِنَّ كَالِبَ بْنَ يُوفَنَّا لَمَّا قَبَضَهُ اللَّهُ إِلَيْهِ بَعْدَ يُوشَعَ، خَلَفَ فِي بَنِي إِسْرَائِيلَ حِزْقِيلَ بْنَ بُوذَى، وَهُوَ ابْنُ الْعَجُوزِ، وَهُوَ الَّذِي دَعَا لِلْقَوْمِ الَّذِينَ ذَكَرَهُمُ اللَّهُ فِي كِتَابِهِ، فِيمَا بَلَغَنَا: {أَلَمْ تَرَ إِلَى الَّذِينَ خَرَجُوا مِنْ دِيَارِهِمْ وَهُمْ أُلُوفٌ حَذَرَ الْمَوْتِ} [البقرة: 243] قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ فَرُّوا مِنَ الْوَبَاءِ، فَنَزَلُوا بِصَعِيدٍ مِنَ الْأَرْضِ، فَقَالَ لَهُمُ اللَّهُ: مُوتُوا. فَمَاتُوا جَمِيعًا، فَحَظَرُوا عَلَيْهِمْ حَظِيرَةً دُونَ السِّبَاعِ، فَمَضَتْ عَلَيْهِمْ دُهُورٌ طَوِيلَةٌ، فَمَرَّ بِهِمْ حِزْقِيلُ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، فَوَقَفَ عَلَيْهِمْ مُتَفَكِّرًا، فَقِيلَ لَهُ: أَتُحِبُّ أَنْ يَبْعَثَهُمُ اللَّهُ وَأَنْتَ تَنْظُرُ؟ فَقَالَ: نَعَمْ. فَأُمِرَ أَنْ يَدْعُوَ تِلْكَ الْعِظَامَ أَنْ تَكْتَسِيَ لَحْمًا، وَأَنْ يَتَّصِلَ الْعَصَبُ بَعْضُهُ بِبَعْضٍ. فَنَادَاهُمْ عَنْ أَمْرِ اللَّهِ لَهُ بِذَلِكَ، فَقَامَ الْقَوْمُ
পৃষ্ঠা - ৭৯৫
ষ্ষ্


এ জনপদে একবার ভয়াবহ মহামারী দেখা দেয় ৷ এতে সেখানকার অধিকাৎশ লোক ভয়ে
পালিয়ে যায় এবং পার্শ্ববর্তী এক এলাকায় অবস্থান করে ৷ জনপদে যারা থেকে গিয়েছিল তাদের
কিছু সংখ্যক মহামাবীতে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়; কিন্তু বেশির ভাগ লোকই বেচে যায় ৷
মহামারী চলে যাওয়ার পর পালিয়ে যাওয়া লোকজন জনপদে ফিরে আসে ৷ জনপদে থেকে
যাওয়া লোকদের মধ্যে যারা বেচেছিল তারা পরস্পর বলারলি করল যে, আমাদের যেসব

ভায়েরা এলাকা ত্যাগ করে চলে গিয়েছিলত র বাই বুদ্ধিমত্তাও দৃরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছে ৷
তাদের মত যদি আমরাও চলে যেতাম তবে সবাই বেচে থাকতাম ৷ পুনরায় যদি এ রকম
মহামারী আসে তবে আমরাও তাদের সাথে চলে যার ৷ পরবর্তী বছর আবার মহামারী ছড়িয়ে
পড়ে ৷ এবার জনপদ শুন্য করে সবাই বেরিয়ে গেল এবং পুর্বের স্থানে গিয়ে অবস্থান নিল ৷
ৎখ্যায় এরা ছিল তেত্রিশ হাজার বা তার চাইতে কিছু বেশি ৷ যে স্থানে তারা সমবেত হয়, সে

স্থানটি ছিল একটি প্রশস্ত উপত্যকা ৷৷ তখন একজন ফিবিশত৷ উপত্যকাটির নীচের দিক থেকে
এবং আর একজন ফিরিশত ৷ উপতাকাটির উপর দিক থেকে আওয়াজ দিয়ে বললেন,

“তোমাদের মৃত্যু হোক” ৷ আগে যে সমস্ত লোক মারা গেল, তাদের মৃত দেহগুলাে সেখানে
পড়ে থাকল ৷ একদা নবী হিয্কীল ঐ পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন ৷ এ দৃশ্য দেখে তিনি বিম্ময়ে দাড়িয়ে
পেলেন, গভীরভাবে চিন্তা করতে লাপলেন এবং আপন মুখের চোয়াল ও হাতের আঙ্গুল মুচড়াতে
থাকলেন ৷ এ অবস্থায় আল্লাহ তার নিকট ওহী পাঠিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, হিয়কীলৰু তুমি কি
দেখতে চাও , আমি কিভাবে এদেরকে পুনরায় জীবিত করি? হিয্র্কীল বললেন জী হী , আমি তা
দেখতে চাই ৷ বস্তুত তিনি এখানে দাড়িয়ে এই ৰিষয়েই চিন্তামগ্ন ছিলেন এবং আল্লাহর শক্তি
প্রত্যক্ষ করে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলেন ৷ তাকে বলা হল, তুমি আহ্বান কর ৷ তিনি আহ্বান
করলেন, হে অন্থিসমুহ! আল্লাহ তোমাদেরকে একত্রিত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ৷ দেখা গেল,
যার যার অন্থি উড়ে উড়ে পরস্পর সংযুক্ত হয়ে কংকালে পরিণত হয়েছে ৷ তাকে পুনরায় বলা
হল, আহ্বান কর ৷ তিনি আহ্বান করলেন, “হে অন্থিসমুহ ! আল্লাহ তোমাদের কংকালগুলাে
গোশত ইত্যাদি দ্বারা আবৃত করার নির্দেশ দিয়েছেন ৷ ” দেখা গেল, কংকালগুলাে মাংস দ্বারা
আবৃত হয়ে তাতে শিরা-উপশিরা চালু হয়ে গিয়েছে এবং যে কাপড় পরিহিত অবস্থায় তাদের
মৃত্যু হয়েছিল, সে কাপড়গুলোই তাদের দেহে শোভা পাচ্ছে ৷ এরপর হিয়কীলকে বলা হল,
আহ্বান কর ৷ তিনি আহ্বান করলেন, “হে দেহসমুহ৷ আল্লাহ্র হুকুমে দাড়িয়ে যাও !” সাথে
সাথে সবাই দাড়িয়ে গেল ৷ আসবাত বলেন, মনসুর মুজাহিদ সুত্রে বংনাি করেছেন যে,
ণ্লাকগুলাে জীবিত হয়ে এ দােয়াটি পাঠ করে :


অর্থ৪ হে আল্লাহ আপনি অতি পবিত্র মহান, যাবতীয় প্রশংস ৷আপনার, আপনি ব্যতীত
অন্য কে ন ইলাহ নেই এরপর তারা জনপদে আপন সম্প্রদায়ের কাছে ফিরে যায় ৷ জনপদের
অধিবাসীরা দেখেইত ৷ তাদেরকে চিনতে পা রল যে, এরাই ঐসব লোক, যা ৷রা আকস্মিকভারে মৃত্যু
মুখে পতিত হয়েছিল ৷ত তবে যে কাপড়ই তারা পরিধান করতেন, তাই পুরনো হয়ে যেতে৷ ৷
এরপর এ অবন্থায়ই নির্ধারিত সময়ে তাদের সকলের স্বাভাবিক মৃত্যু হয় ৷ এদের সংখ্যা সম্পর্কে
বিভিন্ন মতামত পাওয়াযায় ৷ ইবন আব্বাস (বা) থেকে বর্ণিত, এদের সং খ্যাটি চার হাজার;
অপর বর্ণনা মতে আট হাজার; আবু সালিহ্ এর মতে নয় হাজার; ইবন আব্বাস (রা ) এর
আপার এক বর্ণনায়ু মতে চল্লিশ হাজার ৷ সাঈদ ইবন আবদুল আযীয তাদের সম্বন্ধে বলেছেন


أَجْمَعُونَ، وَكَبَّرُوا تَكْبِيرَةَ رَجُلٍ وَاحِدٍ. وَقَالَ أَسْبَاطٌ، عَنِ السُّدِّيِّ، عَنْ أَبِي مَالِكٍ، وَعَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَعَنْ مُرَّةَ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، وَعَنْ أُنَاسٍ مِنَ الصَّحَابَةِ، فِي قَوْلِهِ: {أَلَمْ تَرَ إِلَى الَّذِينَ خَرَجُوا مِنْ دِيَارِهِمْ وَهُمْ أُلُوفٌ حَذَرَ الْمَوْتِ فَقَالَ لَهُمُ اللَّهُ مُوتُوا ثُمَّ أَحْيَاهُمْ} [البقرة: 243] قَالُوا: كَانَتْ قَرْيَةٌ يُقَالُ لَهَا: " دَاوَرْدَانُ "، قِبَلَ " وَاسِطَ " وَقَعَ بِهَا الطَّاعُونُ فَهَرَبَ عَامَّةُ أَهْلِهَا، فَنَزَلُوا نَاحِيَةً مِنْهَا، فَهَلَكَ مَنْ بَقِيَ فِي الْقَرْيَةِ، وَسَلِمَ الْآخَرُونَ، فَلَمْ يَمُتْ مِنْهُمْ كَثِيرٌ، فَلَمَّا ارْتَفَعَ الطَّاعُونُ، رَجَعُوا سَالِمِينَ، فَقَالَ الَّذِينَ بَقُوا: أَصْحَابُنَا هَؤُلَاءِ كَانُوا أَحْزَمَ مِنَّا، لَوْ صَنَعْنَا كَمَا صَنَعُوا بَقِينَا، وَلَئِنْ وَقَعَ الطَّاعُونُ ثَانِيَةً لَنَخْرُجَنَّ مَعَهُمْ. فَوَقَعَ فِي قَابِلٍ، فَهَرَبُوا وَهُمْ بِضْعَةٌ وَثَلَاثُونَ أَلْفًا، حَتَّى نَزَلُوا ذَلِكَ الْمَكَانَ، وَهُوَ وَادٍ أَفْيَحُ، فَنَادَاهُمْ مَلَكٌ مِنْ أَسْفَلِ الْوَادِي، وَآخَرُ مِنْ أَعْلَاهُ: أَنْ مُوتُوا. فَمَاتُوا، حَتَّى إِذَا هَلَكُوا، وَبَقِيَتْ أَجْسَادُهُمْ، مَرَّ بِهِمْ نَبِيٌّ، يُقَالُ لَهُ: حِزْقِيلُ. فَلَمَّا رَآهُمْ وَقَفَ عَلَيْهِمْ، فَجَعَلَ يَتَفَكَّرُ فِيهِمْ وَيَلْوِي شِدْقَيْهِ وَأَصَابِعَهُ، فَأَوْحَى اللَّهُ إِلَيْهِ: تُرِيدُ أَنْ أُرِيَكَ كَيْفَ أُحْيِيهِمْ؟ قَالَ: نَعَمْ. وَإِنَّمَا كَانَ تَفَكُّرُهُ أَنَّهُ تَعَجَّبَ مِنْ قُدْرَةِ اللَّهِ عَلَيْهِمْ، فَقِيلَ لَهُ: نَادِ. فَنَادَى: يَا أَيَّتُهَا الْعِظَامُ، إِنَّ اللَّهَ يَأْمُرُكِ أَنْ تَجْتَمِعِي. فَجَعَلَتِ الْعِظَامُ
পৃষ্ঠা - ৭৯৬
يَطِيرُ بَعْضُهَا إِلَى بَعْضٍ، حَتَّى كَانَتْ أَجْسَادًا مِنْ عِظَامٍ، ثُمَّ أَوْحَى اللَّهُ إِلَيْهِ; أَنْ نَادِ: يَا أَيَّتُهَا الْعِظَامُ إِنَّ اللَّهَ يَأْمُرُكِ أَنْ تَكْتَسِي لَحْمًا. فَاكْتَسَتْ لَحْمًا، وَدَمًا، وَثِيَابَهَا الَّتِي مَاتَتْ فِيهَا. ثُمَّ قِيلَ لَهُ: نَادِ. فَنَادَى: أَيَّتُهَا الْأَجْسَادُ، إِنَّ اللَّهَ يَأْمُرُكِ أَنْ تَقُومِي. فَقَامُوا. قَالَ أَسْبَاطٌ: فَزَعَمَ مَنْصُورٌ، عَنْ مُجَاهِدٍ، أَنَّهُمْ قَالُوا حِينَ أُحْيُوْا: سُبْحَانَكَ رَبَّنَا، وَبِحَمْدِكَ، لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ. فَرَجَعُوا إِلَى قَوْمِهِمْ أَحْيَاءً، يَعْرِفُونَ أَنَّهُمْ كَانُوا مَوْتَى، سَحْنَةَ الْمَوْتِ عَلَى وُجُوهِهِمْ، لَا يَلْبَسُونَ ثَوْبًا إِلَّا عَادَ كَفَنًا دَسْمًا، حَتَّى مَاتُوا لِآجَالِهِمُ الَّتِى كُتِبَتْ لَهُمْ. وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ; أَنَّهُمْ كَانُوا أَرْبَعَةَ آلَافٍ. وَعَنْهُ: ثَمَانِيَةَ آلَافٍ. وَعَنْ أَبِي صَالِحٍ: تِسْعَةَ آلَافٍ. وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَيْضًا: كَانُوا أَرْبَعِينَ أَلْفًا. وَعَنْ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ: كَانُوا مِنْ أَهْلِ " أَذَرِعَاتٍ ". وَقَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ، عَنْ عَطَاءٍ: هَذَا مَثَلٌ. يَعْنِي أَنَّهُ سِيقَ مَثَلًا مُبَيِّنًا أَنَّهُ لَنْ يُغْنِيَ حَذَرٌ مِنْ قَدَرٍ. وَقَوْلُ الْجُمْهُورِ أَقْوَى; أَنَّ هَذَا وَقَعَ. وَقَدْ رَوَى الْإِمَامُ أَحْمَدُ وَصَاحِبَا " الصَّحِيحِ " مِنْ طَرِيقِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَبْدِ الْحَمِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زَيْدِ بْنِ الْخَطَّابِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ
পৃষ্ঠা - ৭৯৭
ষ্ষ্


তারা ছিল অত্যন্ত শক্তিশালী একটি জাতি ৷ ইবন জুরায়জ আতা থেকে বর্ণনা করেছেন যে শত
সতর্কতা অবলম্বন করা সত্বেও যে কেউ তাকদীর লিখন খণ্ডাতে পারে না, এটা তারই এক রুপক
দৃষ্টান্ত ৷ কিন্তু অধিকাৎশ আলিমের মতে এটা ছিল একটি বাস্তব ঘটনা

ইমাম আহমদ এবং বুখাবী ও মুসলিম (র) ইবন আব্বাস (রা ) থেকে বর্ণনা করেন যে,
একবার হযরত উমর ইবন খড়াত্তাব (বা) সিরিয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন ৷ সারাগ (র্দুঠুছু) নামক
স্থানে পৌছলে আবু উবায়দা ইবন জাররাহ্ (বা) ও তার সঙ্গী সেনাধ্যক্ষগণ তার সাথে সাক্ষাৎ
করে জানান যে, সিরিয়ার বর্তমানে মহামারীর প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে ৷ এ সংবাদ শুনে সম্মুখে
অগ্রসর হবেন কিনা সে বিষয়ে পরামর্শের জন্যে তিনি মুহাজির ও আনসারদের সাথে বৈঠকে
বসেন ৷ আলোচনায় তাদের মধ্যে মতানৈক্য দেখা দেয় ৷ এমন সময় আবদুর রহমান ইবন
আওফ (রা) এসে তথায় উপস্থিত হন ৷ তার কোন এক প্রয়োজনে তিনি প্রথমে পরামর্শ বৈঠকে
উপস্থিত ছিলেন না ৷ তিনি বললেন, এ ব্যাপারে আমার একটা হাদীস জানা আছে ৷ আমি
বাসুলুল্লাহ (স)-কে বলতে শুনেছি : যদি কোন এলাকায় মহামারী দেখা দেয়, আর পুর্ব থেকেই
তোমরা সেখানে অবস্থানরত থাক, তাহলে মহামারীর ভয়ে পালিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে সে
এলাকা ত্যাগ করো না ৷ আর যদি কোন অঞ্চলে মহামারী ছড়িয়ে পড়ার সংবাদ পাও এবং
তোমরা সে অঞ্চলের বাইরে থাক, তবে সে দিকে অগ্রসর হয়ো না ৷

হাদীসটি শোনার পর হযরত উমর (রা) আল্লাহর গােকর আদায় করেন এবং মদীনায় ফিরে
আসেন ৷ ইমাম আহমদ আবদুল্লাহ ইবন আমির ইবন রাবীঅ৷ থেকে বংনাি করেন যে,
আবদুর রহমান ইবন আওফ (বা) সিরিয়ড়ায় হযরত উমর (রা)-কে রাসুল (না)-এর হাদীস
শুনিয়ে বলেছিলেন : “এই মহামারী দ্বারা পুর্ববর্তী যুগের উম্মতদেবকে শাস্তি দেয়া হত; সুতরাং
কোন এলাকায় মহামারী বিস্তারের সংবাদ শুনতে পেলে সেখানে তোমরা প্রবেশ করবে না; কিন্তু
কোন স্থানে তোমাদের অবস্থানকালে যদি মহামারী দেখা দেয় তাহলে ভয়ে সে স্থান ত্যাগ করবে
না ৷” এ কথা শোনার পর হযরত উমর (রা) সিরিয়া থেকে ফিরে আসেন ৷

মুহাম্মদ ইবন ইসহাক বলেন, হিযকীল (আ) বনী-ইসরাঈলের মধ্যে কত কাল অবস্থান
করেছিলেন, সে সম্বন্ধে কোন তথ্য পাওয়া যায় না ৷ যা হোক, কোন এক সময়ে আল্লাহ তাকে
তার নিকট উঠিয়ে নেন ৷ হিযকীলের মৃত্যুর পর বনী-ইসরাঈলরা আল্লাহকে প্রদত্ত অঙ্গীকারের
কথা বে-মালুম ভুলে যায় ৷ ফলে তাদের মধ্যে ব্যাপকভাবে বিদআতের প্রসার ঘটে ৷ তারা মুর্তি
পুজা আরম্ভ করে ৷ তাদের এক উপাস্য দেব-মুর্ডিং৷ নাম ছিল বাআল (ঞ ) ৷ অবশেষে আল্লাহ
তাদের প্রতি একজন নবী প্রেরণ করেন ৷ তার নাম ছিল ইলিয়াস ইবন ইয়াসীন ইবন ফিনহাস
ইবন ঈযার ইবন হড়ারুন ইবন ইমরান ৷ ইতিপুর্বে আমরা হযরত খিযির (আ)-এর আলোচনা
প্রসঙ্গে হযরত ইলিয়াস (আ)-এর আলোচনা করে এসেছি ৷ কেননা, বিভিন্ন স্থানে সাধারণত
তাদের উল্লেখ প্রায় এক সাথে করা হয়ে থাকে ৷ তাছাড়া সুরা সাফ্ফাতে হযরত মুসা (আ)-এর
ঘটনা উল্লেখ করার পর ইলিয়াস (আ)-এর ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে ৷ এ কারণে তার সম্পর্কে
আমরা পুর্বেই আলোচনা করে এসেছি ৷ মুহাম্মদ ইবন ইসহাক ওহব ইবন মুনাব্বিহ (র) সুত্রে
বর্ণনা করেছেন যে, হযরত ইলিয়ড়াসের পর তারই উত্তরাধিকারী হযরত আল-য়াসা ( ৫ ৷ ৷ )
ইবন আখতৃব বনী ইসরাঈলের প্ৰতি নবীরুপে প্রেরিত হন ৷


بْنِ نَوْفَلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ خَرَجَ إِلَى الشَّامِ، حَتَّى إِذَا كَانَ بِسَرْغٍ، لَقِيَهُ أُمَرَاءُ الْأَجْنَادِ، أَبُو عُبَيْدَةَ بْنُ الْجَرَّاحِ، وَأَصْحَابُهُ، فَأَخْبَرُوهُ أَنَّ الْوَبَاءَ وَقَعَ بِالشَّامِ، فَذَكَرَ الْحَدِيثَ. يَعْنِي فِي مُشَاوَرَتِهِ الْمُهَاجِرِينَ وَالْأَنْصَارَ، فَاخْتَلَفُوا عَلَيْهِ، فَجَاءَهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ، وَكَانَ مُتَغَيِّبًا بِبَعْضِ حَاجَتِهِ، فَقَالَ: إِنَّ عِنْدِي مِنْ هَذَا عِلْمًا; سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «إِذَا كَانَ بِأَرْضٍ وَأَنْتُمْ بِهَا، فَلَا تَخْرُجُوا فِرَارًا مِنْهُ، وَإِذَا سَمِعْتُمْ بِهِ بِأَرْضٍ; فَلَا تَقْدَمُوا عَلَيْهِ» فَحَمِدَ اللَّهَ عُمَرُ ثُمَّ انْصَرَفَ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ وَيَزِيدُ الْمَعْنَى قَالَا: حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَامِرِ بْنِ رَبِيعَةَ، أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَوْفٍ أَخْبَرَ عُمَرُ وَهُوَ فِي الشَّامِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ هَذَا السَّقَمَ عُذِّبَ بِهِ الْأُمَمُ قَبْلَكُمْ، فَإِذَا سَمِعْتُمْ بِهِ فِي أَرْضٍ فَلَا تَدْخُلُوهَا، وَإِذَا وَقَعَ بِأَرْضٍ وَأَنْتُمْ بِهَا، فَلَا تَخْرُجُوا فِرَارًا مِنْهُ» قَالَ: فَرَجَعَ عُمَرُ مِنَ الشَّامِ. وَأَخْرَجَاهُ مِنْ حَدِيثِ مَالِكٍ عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِنَحْوِهِ. قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: وَلَمْ يَذْكُرْ لَنَا مُدَّةَ لُبْثِ حِزِقْيلَ فِي بَنِي إِسْرَائِيلَ، ثُمَّ إِنَّ اللَّهَ قَبَضَهُ إِلَيْهِ، فَلَمَّا قُبِضَ نَسِيَ بَنُو إِسْرَائِيلَ عَهْدَ اللَّهِ إِلَيْهِمْ، وَعَظُمَتْ
পৃষ্ঠা - ৭৯৮
فِيهِمُ الْأَحْدَاثُ، وَعَبَدُوا الْأَوْثَانَ، وَكَانَ فِي جُمْلَةِ مَا يَعْبُدُونَهُ مِنَ الْأَصْنَامِ، صَنَمٌ يُقَالُ لَهُ: بَعْلٌ. فَبَعَثَ اللَّهُ إِلَيْهِمْ إِلْيَاسَ بْنَ يَاسِيَنَ بْنِ فِنْحَاصَ بْنِ الْعَيْزَارِ بْنِ هَارُونَ بْنِ عِمْرَانَ. قُلْتُ: وَقَدْ قَدَّمْنَا قِصَّةَ إِلْيَاسَ تَبَعًا لِقِصَّةِ الْخَضِرِ; لِأَنَّهُمَا يُقْرَنَانِ فِي الذِّكْرِ غَالِبًا، وَلِأَجْلِ أَنَّهَا بَعْدَ قِصَّةِ مُوسَى فِي سُورَةِ " الصَّافَّاتِ " فَتَعَجَّلْنَا قِصَّتَهُ لِذَلِكَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ فِيمَا ذُكِرَ لَهُ عَنْ وَهْبِ بْنِ مُنَبِّهٍ قَالَ: ثُمَّ تَنَبَّأَ فِيهِمْ بَعْدَ إِلْيَاسَ، وَصِّيُهُ الْيَسَعُ بْنُ أَخْطُوبَ، عَلَيْهِ السَّلَامُ. وَهَذِهِ:
পৃষ্ঠা - ৭৯৯
ষ্ষ্


আল্লাহ তা’আলা আল-য়াসাআ-এয় নাম অন্যান্য নবীর নামের সাথে কুরআনের বিভিন্ন
স্থানে উল্লেখ করেছেন ৷ সুরা আনআমে বলা হয়েছে :
তো
( ঞ্জে প্লুৰুখু ৷ )
অর্থ : আরও সৎ পথে পরিচালিত করেছিলাম ইসমাঈল, আল্-য়াসাআ, ইউনুস ও লুতকে;
এবং গ্রেষ্ঠতু দান করেছিলাম বিশ্ব জগতের উপর প্ৰত্যেককে (আনআম : ৮৬) ৷
সুরা সাদ এ বলা হয়েছে :
(
স্মরণ কর, ইসমাঈল, আল-য়াসাআ ও যুল-কিফ্লের কথা, এরা প্রতেকেই ছিল সজ্জন ৷
(৩৮ সাদ : ৪৮) ৷
ইসহাক ইবন বিশর আবু হুযায়ফা হাসান (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে ইলিয়াস
(আ)-এর পরে আল-য়াসাআ ছিলেন বনী ইসরাঈলের নবী ৷ তিনি আল্লাহর ইচ্ছানুযায়ী
নির্ধারিত সময় পর্যন্ত তাদের মধ্যে অবস্থান করেন ৷ বনী ইসরাঈলকে তিনি আল্লাহর আনুগত্য
করার ও ইলিয়াসের শরীআতের অনুবর্তী হওয়ার আহ্বান জানান ৷ মৃত্যুর পুর্ব পর্যন্ত তিনি এ
দায়িত্ব পালন করেন যান ৷ তার ইনতিকালের পর আগত বনী ইসরাঈলের বহু প্রজন্ম এ
পৃথিবীতে আগমন করে ৷ তাদের মধ্যে ব্যাপক হারে বিভিন্ন প্রকার বিদআত ও পাপাচার
ৎক্রামক ব্যাধির ন্যায় ছড়িয়ে পড়ে ৷ এ সময়ে বহু অত্যাচারী বাদশাহর আবির্ভাব ঘটে ৷ তারা
আল্লাহর নবীগণকে নির্বিচারের হত্যা করে ৷ এদের মধ্যে একজন ছিল অত্যন্ত অহংকারী ও
সীমালংঘনকারী ৷ কথিত আছে, হযরত যুল-কিফ্ল (আ) এই অহংকারী বাদশাহ সম্পর্কে

বলেছিলেন যে, সে যদি তওবা করে ও অন্যায় কাজ ত্যাগ করে তবে আমি তার জান্নত্ত্বতের
যিম্মদোর ৷ এ কারণেই তিনি যুল-কিফ্ল বা যিম্মাদার অভিধড়ায় অভিহিত হন ৷

মুহাম্মদ ইবন ইসহাক (র) বলেছেন, আল-য়াসাআ ছিলেন আখতুবের পুত্র ৷ কিন্তু হাফিজ
আবুল কাসিম ইবন আসাকির তার বিখ্যাত ইতিহাস গ্রন্থে ইয়া’ ( ; ৷ন্ ) হরফের অধীনে
লিখেছেন, আল-য়াসাআর নাম আসবাত এবং পিতার নাম আদী; বংশ তালিকা নিম্নরুপ :
আল-য়াসাআ আসবাত ইবন আদী ইবন শুতড়ালিম (ৰুগ্লুর্দু) ইবন আফরাঈম (ণ্ন্ ও ! )১ ) ইবন
ইউসুফ ইবন ইয়াকুব ইবন ইসহাক ইবন ইব্রাহীম খলীলুল্লাহ (আ) ৷ কেউ কেউ বলেন, তিনি
ছিলেন হযরত ইলিয়াস (আ)-এর চাচাত ভাই ৷ কথিত আছে, হযরত আল-য়াসাআ হযরত
ইলিয়াসের সাথে কাসিয়ুন (গ্রেৰুাপ্) নামক পর্বতে বালা-বাক্কা বাদশাহর ভয়ে আত্মগােপন

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (২য় খণ্ড) ৩-

[قِصَّةُ الْيَسَعَ عَلَيْهِ السَّلَامُ] وَقَدْ ذَكَرَهُ اللَّهُ تَعَالَى مَعَ الْأَنْبِيَاءِ، فِي سُورَةِ " الْأَنْعَامِ " فِي قَوْلِهِ: {وَإِسْمَاعِيلَ وَالْيَسَعَ وَيُونُسَ وَلُوطًا وَكُلًّا فَضَّلْنَا عَلَى الْعَالَمِينَ} [الأنعام: 86] [الْأَنْعَامِ: 86] . وَقَالَ تَعَالَى فِي سُورَةِ " ص ": {وَاذْكُرْ إِسْمَاعِيلَ وَالْيَسَعَ وَذَا الْكِفْلِ وَكُلٌّ مِنَ الْأَخْيَارِ} [ص: 48] . قَالَ إِسْحَاقُ بْنُ بِشْرٍ، أَبُو حُذَيْفَةَ: أَنْبَأَنَا سَعِيدٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، قَالَ: كَانَ بَعْدَ إِلْيَاسَ، الْيَسَعُ - عَلَيْهِمَا السَّلَامُ - فَمَكَثَ مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَمْكُثَ; يَدْعُوهُمْ إِلَى اللَّهِ مُسْتَمْسِكًا بِمِنْهَاجِ إِلْيَاسَ وَشَرِيعَتِهِ، حَتَّى قَبَضَهُ اللَّهُ، عَزَّ وَجَلَّ، إِلَيْهِ، ثُمَّ خَلَفَ فِيهِمُ الْخُلُوفُ، وَعَظُمَتْ فِيهِمُ الْأَحْدَاثُ وَالْخَطَايَا، وَكَثُرَتِ الْجَبَابِرَةُ، وَقَتَلُوا الْأَنْبِيَاءَ، وَكَانَ فِيهِمْ مَلَكٌ جَبَّارٌ عَنِيدٌ طَاغٍ، وَيُقَالُ: إِنَّهُ الَّذِي تَكَفَّلَ لَهُ ذُو الْكِفْلِ إِنْ هُوَ تَابَ وَرَاجَعَ، دَخَلَ الْجَنَّةَ; فَسُمِّى ذَا الْكِفْلِ. قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: هُوَ الْيَسَعُ بْنُ أَخْطُوبَ. وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو الْقَاسِمِ بْنُ عَسَاكِرَ، فِي حَرْفِ الْيَاءِ مِنْ " تَارِيخِهِ ": الْيَسَعُ; وَهُوَ: الْأَسْبَاطُ بْنُ عَدِيِّ بْنِ شُوتَلْمَ بْنِ أَفْرَاثِيمَ بْنِ يُوسُفَ بْنِ يَعْقُوبَ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৮০০
إِسْحَاقَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ الْخَلِيلِ. وَيُقَالُ: هُوَ ابْنُ عَمِّ إِلْيَاسَ النَّبِيِّ، عَلَيْهِمَا السَّلَامُ. وَيُقَالُ: كَانَ مُسْتَخْفِيًا مَعَهُ بِجَبَلِ قَاسِيُونَ مِنْ مَلِكِ بَعْلَبَكَّ، ثُمَّ ذَهَبَ مَعَهُ إِلَيْهَا، فَلَمَّا رُفِعَ إِلْيَاسُ خَلَفَهُ الْيَسَعُ فَى قَوْمِهِ، وَنَبَّأَهُ اللَّهُ بَعْدَهُ. ذَكَرَ ذَلِكَ عَبْدُ الْمُنْعِمِ بْنُ إِدْرِيسَ بْنِ سِنَانٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ وَهْبِ بْنِ مُنَبِّهٍ، قَالَ: وَقَالَ غَيْرُهُ: كَانَ الْأَسْبَاطُ بِبَانْيَاسَ. ثُمَّ ذَكَرَ ابْنُ عَسَاكِرَ قِرَاءَةَ مَنْ قَرَأَ: الْيَسَعُ، بِالتَّخْفِيفِ وَبِالتَّشْدِيدِ، وَمَنْ قَرَأَ: " اللَّيْسَعَ "، وَهُوَ اسْمٌ وَاحِدٌ لِنَبِيٍّ مِنَ الْأَنْبِيَاءِ. قُلْتُ: قَدْ قَدَّمْنَا قِصَّةَ ذِي الْكِفْلِ بَعْدَ قِصَّةِ أَيُّوبَ، عَلَيْهِمَا السَّلَامُ; لِأَنَّهُ قَدْ قِيلَ: إِنَّهُ ابْنُ أَيُّوبَ، فَاللَّهُ أَعْلَمُ بِالصَّوَابِ.
পৃষ্ঠা - ৮০১
ষ্ষ্


করেছিলেন ৷ পরে উতয়ে সেখান থেকে আপন সম্প্রদায়ের নিকট প্রত্যাবর্তন করেন ৷ এরপর

ইলিয়াস (আ) ইনতিকাল করলে আল-য়াসাআ (আ) তার স্থলাভিষিক্ত হন এবং আল্লাহ র্তাকে

নবুওত দান করেন ৷ আবদুল মুনইম ইবন ইদরীস তার পিতার সুত্রে ওহাব ইবন মুনাব্বিহ
থেকে এই তথ্য প্রদান করেছেন ৷ অন্যান্য ঐতিহাসিকগণ বলেছেন যে, তিনি বানিয়াসে

( , ৷ ;ওা ) বসবাস করতেন ৷ ইবন আসাকির আল-য়াসাআ শব্দের বানান সম্পর্কে লিখেছেন,

এ শব্দটি তিন প্ৰকারে উচ্চারিত হয়ে থাকে যথাঃ আল য়াসা আ (ব্লু ৷) আল য়াসা

আল-য়াস (চুট্রুং৷ ! ) এবং আল লাযাসড়া আ (র্টৰুএ ৷) ৷ এটা হচ্ছে একটা নবীর নামের
বিডিন্নরুপ ৷ গ্রন্থকার বলেন, আমরা হযরত আইয়ুব (আ) এর আলোচনার পরে বুল কিফ্ল

সম্পর্কে আলোচনা করে এসেছি ৷ কারণ কথিত আছে তিনি ছিলেন হযরত আইয়ুব

(আ ) এর পুত্র ৷

পবিহেদ

ইবন জারীর ও অন্যান্য ঐতিহাসিকগণ বলেন যে, উপরোক্ত ঘনৈার পর বনী ইসর৷ ঈলের
মধ্যে অনেক গুরুতর ঘটনা ঘটে এবং অপরাধ স০ ঘটিত হয় ৷ এমনকি বহু নবীকে তারা হত্যা
করে ৷ আল্লাহ তখন নবীগণের পরিবর্তে অত্যাচ৷ ৷রী রাজা-বাদশাদেরকে তাদের উপর চাপিয়ে
দেন ৷ যারা তাদের উপর অত্যাচারের ষ্টীম বোলার চালায় এবং নির্বিচারে তাদেরকে হত্যা করে ৷
এছাড়া আল্লাহ তাদেরকে শত্রুদের পদানত করে দেন ৷ ইতিপুর্বে বনী ইসরাঈল যখন কোন
সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হত তখন তাদের ঐতিহাসিক সিন্দুকটি ( তাবুত) কাছে
রাখত এবং যুদ্ধের ময়দানে একটি র্তাবুর মধ্যে তা সংরক্ষণ করত ৷ এই সিন্দুকের বরকতে
আল্লাহ তাদেরকে বিজয় দান করতেন ৷ এ ছিল তাদের সেই পবিত্র সিন্দুক যাতে ছিল হযরত
মুসা ও হারুন (আ)-এর উত্তরসুরীদের পরিত্যক্ত বরকতময় সম্পদ ও শাস্তিদায়ক বস্তু সমুহ ৷
কিন্তু বনী ইসরাঈলের এই বিপর্যয়কালে গাজা ও আসকালান এলাকার অধিবাসীদের১ সাথে
তাদের এক যুদ্ধ হয় ৷ যুদ্ধে বনী ইসরাঈলরা পরাজয় বরণ করে ৷ শত্রুরা বনী ইসরাঈলদের
উপর নিম্পেষণ চালিয়ে তাদের থেকে সিন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে যায় ৷ বনী ইসরাঈলের তৎকালীন
বাদশাহ্র নিকট এ সংবাদ পৌছলে তার ঘাড় বেকে যায় এবং দুঃখে-ক্ষোভে তিনি মৃত্যুবরণ
করেন ৷ এ সময় বনী ইসরাঈলের অবস্থা দাড়ায় রাথাল বিহীন মেষপালের মত ৷ বিচ্ছিন্ন-
বিক্ষিপ্ত হয়ে তারা যাযাবরের ন্যায় জীবন কাটাতে থাকে ৷ দীর্ঘদিন এ অবস্থায় থাকার পর
আল্লাহ শামুয়েল (ৰুাগ্লু:) নবীকে তাদের মধ্যে প্রেরণ করেন ৷ এবার তারা শত্রুর বিরুদ্ধে
যুদ্ধ পরিচালনার জন্যে একজন বাদশাহ নিযুক্ত করার জন্যে নবীর নিকট প্রার্থনা করে ৷ এর
পরের ঘটনা আল্লাহ কুরআনে উল্লেখ করেছেন; আমরা পরে তা’ আলোচনা করব ৷ ইবন জারীর
বলেন, ইউশা ইবন নুনের ইনতিকালের ৪৬০ বছর পর আল্লাহ শামুয়েল ইবন বড়ালীকে
নবীরুপে প্রেরণ করেন ৷ ইবন জারীর বনী-ইসরাঈলের এই সময়কার বিস্তারিত আলোচনা
প্রসঙ্গে ধারাবাহিকভাবে সকল বাদশাহ্র বিবরণ দিয়েছেন ৷ আমরা যে আলোচনা থেকে
ইচ্ছাকৃতভাবেই বিরত রইলাম ৷



১ এখানে আমালিকাদেরকে বুঝানো হয়েছে ৷


[فَصْلٌ] قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ وَغَيْرُهُ: ثُمَّ مَرَجَ أَمْرُ بَنِي إِسْرَائِيلَ، وَعَظُمَتْ فِيهِمُ الْأَحْدَاثُ وَالْخُطُوبُ وَالْخَطَايَا، وَقَتَلُوا مَنْ قَتَلُوا مِنَ الْأَنْبِيَاءِ، وَسَلَّطَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ بَدَلَ الْأَنْبِيَاءِ مُلُوكًا جَبَّارِينَ يَظْلِمُونَهُمْ، وَيَسْفِكُونَ دِمَاءَهُمْ، وَسَلَّطَ اللَّهُ عَلَيْهِمُ الْأَعْدَاءَ مِنْ غَيْرِهِمْ أَيْضًا. وَكَانُوا إِذَا قَاتَلُوا أَحَدًا مِنَ الْأَعْدَاءِ، يَكُونُ مَعَهُمْ تَابُوتُ الْمِيثَاقِ الَّذِي كَانَ فِي قُبَّةِ الزَّمَانِ، كَمَا تَقَدَّمَ ذِكْرُهُ، فَكَانُوا يُنْصَرُونَ بِبَرَكَتِهِ، وَبِمَا جَعَلَ اللَّهُ فِيهِ مِنَ السِّكِّينَةِ وَالْبَقِيَّةِ، مِمَّا تَرَكَ آلُ مُوسَى وَآلُ هَارُونَ، فَلَمَّا كَانَ فِي بَعْضِ حُرُوبِهِمْ مَعَ أَهْلِ غَزَّةَ وَعَسْقَلَانَ، غَلَبُوهُمْ عَلَيْهِ، وَقَهَرُوهُمْ عَلَى أَخْذِهِ، فَانْتَزَعُوهُ مِنْ أَيْدِيهِمْ، فَلَمَّا عَلِمَ بِذَلِكَ مَلِكُ بَنَى إِسْرَائِيلَ، فِي ذَلِكَ الزَّمَانِ، مَالَتْ عُنُقُهُ فَمَاتَ كَمَدًا، وَبَقِيَ بَنُو إِسْرَائِيلَ كَالْغَنَمِ بِلَا رَاعٍ، حَتَّى بَعَثَ اللَّهُ فِيهِمْ نَبِيًّا مِنَ الْأَنْبِيَاءِ يُقَالُ لَهُ: شَمْوِيلُ. فَطَلَبُوا مِنْهُ أَنْ يُقِيمَ لَهُمْ مَلِكًا لِيُقَاتِلُوا مَعَهُ الْأَعْدَاءَ، فَكَانَ مِنْ أَمْرِهِمْ مَا سَنَذْكُرُهُ مِمَّا قَصَّ اللَّهُ فِي كِتَابِهِ. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ فَكَانَ بَيْنَ وَفَاةِ يُوشَعَ بْنِ نُونٍ إِلَى أَنَّ بَعْثَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ
পৃষ্ঠা - ৮০২
شَمْوِيلَ بْنَ بَالَى، أَرْبَعُمِائَةِ سَنَةٍ وَسِتُّونَ سَنَةً. ثُمَّ ذَكَرَ تَفْصِيلَهَا بِمُدَدِ الْمُلُوكِ الَّذِينَ مُلِّكُوا عَلَيْهِمْ، وَسَمَّاهُمْ وَاحِدًا وَاحِدًا، تَرَكْنَا ذِكْرَهُمْ قَصْدًا.
পৃষ্ঠা - ৮০৩
ষ্ষ্

শামুয়েল নবীর বিবরণ

শামুয়েল (আ) এর বংশপঞ্জী নিম্নরুপ০ ং শামুয়েল বা ইশমুঈল (এএফু ৷ ) ইবন বালী
ইবন আলকড়ামা ইবন ইয়ারখাম ( ণ্ ৷১ )-) ইবন আল ইয়াহু ( গ্রা৷ ৷) ইবন তাহু ইবন সুফ
ইবন আলকাম৷ ইবন মাহিছ ইবন আমুসা ইবন অড়ায্রুবা ৷ ঘুকাতিল বলেছেন যে, তিনি
ছিলেন হারুন (আ) এর বংশধর ৷ মুজাহিদ বলেছেন যে তার নাম ছিল ইশমুঈল ইবন
হালফাকা ৷ তার পুর্ববর্তী বংশ তালিকা তিনি উল্লেখ করেন নি ৷ সুদ্দী ইবন আব্বাস, ইবন
মাসউদ প্রমুখ কতিপয় সা ৷হাবী থেকে এবং ছা নারী ও অন্যান্য ঐতিহাসিকগণ এ প্রসঙ্গে বর্ণনা
করেন যে, পাজা ও আসকালান এলাকার অধিবাসী আমড়ালিক৷ সম্প্রদায় বনী ইসরাঈলের উপর
বিজয় লাভ করে ৷ এরা তাদের অসংখ্য লোককে হত্যা করে এবং বিপুল সংখ্যাক লোককে বন্দী
করে নিয়ে যায় ৷ তারপর লাবী বংশের মধ্যে দীর্ঘ দিন পর্যন্ত নবী প্রেরণ বন্ধ থাকে ৷ এ সময়ে
তাদের মধ্যে মাত্র একজন মহিলা গর্ভবতী ছিল ৷ সে আল্লাহর নিকট একজন পুত্র সন্তানের
প্রার্থনা করে ৷ আল্লাহ তার প্রার্থনা কবুল করেন এবং একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয় ৷ মহিলা
তার নাম রাখেন ইশমুঈল ৷ ইবরানী বা হিব্রু ভাষায় ইশমুঈন ইসমাঈল শব্দের সমার্থক ৷ যার
অর্থ হচ্ছে আল্লাহ আমার প্রার্থাংড়া কবুল করেছেন ৷ পুত্রঢি বড় হলে তিনি তাকে মসজিদে
(বায়তৃল মুকাদ্দাসে) অবস্থানকারী একজন পুণ্যবান বান্দার দায়িত্বে অর্পণ করেন ৷ উদ্দেশ্য ছিল
যাতে তার পুত্র ঐ পুণ্যবান বন্দোর সাহচর্যে থেকে তার চারিত্রিক গুণাবলী ও ইবাদত-বন্দেগী
থেকে সুশিক্ষা গ্রহণ করতে পারেন ৷ ছেলেটি মসজিদেই অবস্থান করতে থাকেন ৷ যখন তিনি
পুর্ণ যৌবন প্রাপ্ত হন তখনকার একটি ঘটনা হচ্ছে এই যে, একদিন রাত্রিবেলা তিনি মসজিদের
এক কোণে ঘুমিয়ে ছিলেন ৷ হঠাৎ মসজিদের পার্শ্ব থেকে একটি শব্দ তার কানে আসে ৷ তখন
ভীত-সস্ত্রস্ত হয়ে তিনি জেগে উঠন ৷ তার ধারণা হয়, তার শায়খই র্তাকে ডেকেছেন ৷ তাই তিনি
শায়খকে জিজ্ঞেস করলেন, আপনি কি আমাকে ডেকেছেনঃ তিনি ভয় পেতে পারেন এই
আশঙ্কায় শায়খ র্তাকে সরাসরি কোন উত্তর দিলেন না ৷ তিনি শুধু বললেন, ই৷ , ঘুমিয়ে পড় ৷
তখন তিনি ঘুমিয়ে পড়লেন ৷ দ্বিতীয়বার অনুরুপ ঘটনা ঘটল ৷ তারপর তৃভীয়বারও একই
ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল ৷ তিনি দেখতে পেলেন, স্বয়ং জিব্রাঈল (আ)-ই তাকে ডাকছেন ৷
জিব্রাঈল (আ) র্তাকে জানালেন যে, আল্লাহ আপনাকে আপনার সম্প্রদায়ের প্ৰতি নবীরুপে
প্রেরণ করছেন ৷ এরপর সম্প্রদায়ের সাথে তার যে ঘটনা ঘটে, কুরআন মজীদে আল্লাহ তার
বিবরণ দিয়েছেন ৷ আল্লাহর বাণী :

’ণ্ট্রুট্রু৷ ণ্৷ ৷

ণ্ন্নুন্া; ৷


[قِصَّةُ شَمْوِيلَ] َ، وَفِيهَا بَدَأَ أَمْرُ دَاوُدَ، عَلَيْهِمَا السَّلَامُ هُوَ شَمْوِيلُ - وَيُقَالُ: أَشْمَوِيلُ - بْنُ بَالَى بْنِ عَلْقَمَةَ بْنِ يَرْخَامَ بْنِ أَلْيَهْوَ بْنِ تَهْوِ بْنِ صُوفَ بْنِ عَلْقَمَةَ بْنِ مَاحِثَ بْنِ عَمُوصَا بْنِ عِزْرِيَا. قَالَ مُقَاتِلٌ: هُوَ مِنْ ذُرِّيَّةِ هَارُونَ. وَقَالَ مُجَاهِدٌ: هُوَ أَشْمَوِيلُ بْنُ هَلْفَاقَا. وَلَمْ يَرْفَعْ فِي نَسَبِهِ أَكْثَرَ مِنْ هَذَا، فَاللَّهُ أَعْلَمُ. حَكَى السُّدِّيُّ بِإِسْنَادِهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَابْنِ مَسْعُودٍ، وَأُنَاسٍ مِنَ الصَّحَابَةِ - وَالثَّعْلَبِيِّ - وَغَيْرِهِمْ; أَنَّهُ لَمَّا غَلَبَتِ الْعَمَالِقَةُ مِنْ أَرْضِ غَزَّةَ وَعَسْقَلَانَ عَلَى بَنِي إِسْرَائِيلَ، وَقَتَلُوا مِنْهُمْ خَلْقًا كَثِيرًا، وَسَبَوْا مِنْ أَبْنَائِهِمْ جَمْعًا كَثِيرًا، وَانْقَطَعَتِ النُّبُوَّةُ مِنْ سِبْطِ لَاوِي، وَلَمْ يَبْقَ فِيهِمْ إِلَّا امْرَأَةٌ حُبْلَى، فَجَعَلَتْ تَدْعُو اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ أَنْ يَرْزُقَهَا وَلَدًا ذَكَرًا، فَوَلَدَتْ غُلَامًا فَسَمَّتْهُ أَشْمَوِيلَ، وَمَعْنَاهُ بِالْعِبْرَانِيَّةِ إِسْمَاعِيلُ; أَيْ سَمْعِ اللَّهُ دُعَائِي، فَلَمَّا
পৃষ্ঠা - ৮০৪
ষ্ষ্


০ ) :

ৰুা৷ এা১১রুা৷

এ১া’াষ্া৷১

০ : ’ ’া


ন্হ্র১রুাহুএ ৷
;০ঞ

এএএঞ্জী

১১

০ ’ : ’







’ ৩ )

৷ এ১া১ ণ্১এ১এএ১

অর্থাৎ তুমি কি মুসার পরবর্তী বনী ইসরা ঈলের প্রধানদেরকে দেখনিঃ তারা যখন তাদের
নবীকে বলেছিল, আমাদের জন্যে এক রাজা নিযুক্ত কর, যাতে আমরা আল্লাহর পথে যুদ্ধ করতে
পারি;সে বলল, এমন তো হবে না যে, তোমাদের প্রতি যুদ্ধের বিধান দেয়৷ হলে তখন আর
তোমরা যুদ্ধ করবে নাঃ তারা বলল ,আমর৷ যখন নিজেদের আবাসভুমি ও সন্তান সম্ভতি থেকে
বহিকৃত হয়েছি, তখন আল্লাহর পথে কেন যুদ্ধ করব না? তারপর যখন তাদের প্রতি যুদ্ধের
বিধান দেয়৷ হল, তখন তাদের অল্পসংখ্যক ব্যতীত সকলেই পৃষ্ঠ প্রদর্শন করল এবং আল্লাহ
জালিমদের সম্বন্ধে সবিশেষ অবহিত ৷ এবং তাদের নবী৩ ৷দেরকে বলেছিল, আল্লাহ তা ৷লুতকে

তোমাদের রাজা করেছেন, তারা বলল, “আমাদের উপর তার রাজতৃ কিরুপে হবে, যখন
আমরা তার অপেক্ষা কর্তৃত্বের অধিক হকদার এবং৩ তাকে প্রচুর ঐশ্বর্য দেয়৷ হয়নি ” নবী বলল


تَرَعْرَعَ بَعَثَتْهُ إِلَى الْمَسْجِدِ، وَأَسْلَمَتْهُ عِنْدَ رَجُلٍ صَالِحٍ فِيهِ; يَكُونُ عِنْدَهُ لِيَتَعَلَّمَ مِنْ خَيْرِهِ وَعِبَادَتِهِ، فَكَانَ عِنْدَهُ، فَلَمَّا بَلَغَ أَشُدَّهُ بَيْنَمَا هُوَ ذَاتَ لَيْلَةٍ نَائِمٌ، إِذَا صَوْتٌ يَأْتِيهِ مِنْ نَاحِيَةِ الْمَسْجِدِ، فَانْتَبَهَ مَذْعُورًا فَظَنَّهُ الشَّيْخُ يَدْعُوهُ فَسَأَلَهُ: أَدَعَوْتَنِي؟ فَكَرِهَ أَنْ يُفْزِعَهُ فَقَالَ: نَعَمْ، نَمْ. فَنَامَ. ثُمَّ نَادَاهُ الثَّانِيَةَ، فَكَذَلِكَ ثُمَّ الثَّالِثَةَ، فَإِذَا جِبْرِيلُ يَدْعُوهُ، فَجَاءَهُ فَقَالَ: إِنَّ رَبَّكَ قَدْ بَعَثَكَ إِلَى قَوْمِكَ. فَكَانَ مِنْ أَمْرِهِ مَعَهُمْ مَا قَصَّ اللَّهُ فِي كِتَابِهِ، قَالَ اللَّهُ تَعَالَى فِي كِتَابِهِ الْعَزِيزِ: {أَلَمْ تَرَ إِلَى الْمَلَإِ مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ مِنْ بَعْدِ مُوسَى إِذْ قَالُوا لِنَبِيٍّ لَهُمُ ابْعَثْ لَنَا مَلِكًا نُقَاتِلْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ قَالَ هَلْ عَسَيْتُمْ إِنْ كُتِبَ عَلَيْكُمُ الْقِتَالُ أَلَّا تُقَاتِلُوا قَالُوا وَمَا لَنَا أَلَّا نُقَاتِلَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَقَدْ أُخْرِجْنَا مِنْ دِيَارِنَا وَأَبْنَائِنَا فَلَمَّا كُتِبَ عَلَيْهِمُ الْقِتَالُ تَوَلَّوْا إِلَّا قَلِيلًا مِنْهُمْ وَاللَّهُ عَلِيمٌ بِالظَّالِمِينَ - وَقَالَ لَهُمْ نَبِيُّهُمْ إِنَّ اللَّهَ قَدْ بَعَثَ لَكُمْ طَالُوتَ مَلِكًا قَالُوا أَنَّى يَكُونُ لَهُ الْمُلْكُ عَلَيْنَا وَنَحْنُ أَحَقُّ بِالْمُلْكِ مِنْهُ وَلَمْ يُؤْتَ سَعَةً مِنَ الْمَالِ قَالَ إِنَّ اللَّهَ اصْطَفَاهُ عَلَيْكُمْ وَزَادَهُ بَسْطَةً فِي الْعِلْمِ وَالْجِسْمِ وَاللَّهُ يُؤْتِي مُلْكَهُ مَنْ يَشَاءُ وَاللَّهُ وَاسِعٌ عَلِيمٌ - وَقَالَ لَهُمْ نَبِيُّهُمْ إِنَّ آيَةَ مُلْكِهِ أَنْ يَأْتِيَكُمُ التَّابُوتُ فِيهِ سَكِينَةٌ مِنْ رَبِّكُمْ وَبَقِيَّةٌ مِمَّا تَرَكَ آلُ مُوسَى وَآلُ هَارُونَ تَحْمِلُهُ الْمَلَائِكَةُ إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَةً لَكُمْ إِنْ كُنْتُمْ مُؤْمِنِينَ - فَلَمَّا فَصَلَ طَالُوتُ بِالْجُنُودِ قَالَ إِنَّ اللَّهَ مُبْتَلِيكُمْ بِنَهَرٍ فَمَنْ شَرِبَ مِنْهُ فَلَيْسَ مِنِّي وَمَنْ لَمْ يَطْعَمْهُ فَإِنَّهُ مِنِّي إِلَّا مَنِ اغْتَرَفَ غُرْفَةً بِيَدِهِ فَشَرِبُوا مِنْهُ إِلَّا قَلِيلًا مِنْهُمْ فَلَمَّا جَاوَزَهُ هُوَ وَالَّذِينَ آمَنُوا مَعَهُ قَالُوا لَا طَاقَةَ لَنَا الْيَوْمَ بِجَالُوتَ وَجُنُودِهِ قَالَ الَّذِينَ يَظُنُّونَ أَنَّهُمْ مُلَاقُو اللَّهِ كَمْ مِنْ فِئَةٍ قَلِيلَةٍ غَلَبَتْ فِئَةً كَثِيرَةً بِإِذْنِ اللَّهِ وَاللَّهُ مَعَ الصَّابِرِينَ - وَلَمَّا بَرَزُوا لِجَالُوتَ وَجُنُودِهِ قَالُوا رَبَّنَا أَفْرِغْ عَلَيْنَا صَبْرًا وَثَبِّتْ أَقْدَامَنَا وَانْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ - فَهَزَمُوهُمْ بِإِذْنِ اللَّهِ وَقَتَلَ دَاوُدُ جَالُوتَ وَآتَاهُ اللَّهُ الْمُلْكَ وَالْحِكْمَةَ وَعَلَّمَهُ مِمَّا يَشَاءُ وَلَوْلَا دَفْعُ اللَّهِ النَّاسَ بَعْضَهُمْ بِبَعْضٍ لَفَسَدَتِ الْأَرْضُ وَلَكِنَّ اللَّهَ ذُو فَضْلٍ عَلَى الْعَالَمِينَ} [البقرة: 246 - 251] [الْبَقَرَةِ: 246 - 251] .
পৃষ্ঠা - ৮০৫
ষ্ষ্


“আল্লাহ অবশ্যই তাকে তোমাদের জন্যে মনোনীত করেছেন এবং তিনি তাকে জ্ঞানে ও দেহে
সমৃদ্ধ করেছেন ৷ আল্লাহর থাকে ইচ্ছে তার রাজত্ব দান করেন আল্লাহ প্রাচুর্যময়, প্রজ্ঞাময় ৷”
আর তাদের নবী তাদেরকে বলেছিল, তার রাজত্বের নিদর্শন এই যে, তোমাদের নিকট সেই
তাবুত আসবে, যাতে তোমাদের প্রতিপালকের নিকট হতে চিত্ত প্রশাস্তি এবং মুসা ও হারুন
বংশীয়পণ যা রেখে গিয়েছে, তার অবশিষ্টাৎশ থাকবে; ফিরিশাতাগণ তা বহন করে আনবেন ৷
তোমরা যদি মুমিন হও তবে অবশ্যই তোমাদের জন্যে এতে নিদর্শন আছে ৷ তারপর তালুত
যখন সৈন্যবাহিনীসহ বের হল যে তখন বলল, আল্লাহ এক নদী দ্বারা তোমাদের পরীক্ষা
করবেন ৷ যে কেউ তা থেকে গান করবে সে আমার দলভুক্ত নয়; আর যে কেউ তার স্বাদ গ্রহণ
করবে না, সে আমার দলভুক্ত; এছাড়া যে কেউ তার হাতে এক কোষ পানি গ্রহণ করবে,
সে-ও ৷ তার পর আর সংখ্যাক ব্যতীত তারা তা থেকে পান করল ৷ সে এবং তার সংপী
ঈমানদারগণ যখন তা’ অতিক্রম করল তখন তারা বলল,জালুত ও তার সৈন্যবাহিনীর বিরুদ্ধে
যুদ্ধ করার মত শক্তি আজ আমাদের নেই; কিন্তু যাদের প্রত্যয় ছিল আল্লাহর সাথে তাদের
সাক্ষাৎ ঘটবে, তারা বলল, আল্লাহর হুকুমে কত ক্ষুদ্র দল কত বৃহৎ দলকে পরাভুত করেছে ৷
আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে রয়েছেন ৷ তারা যখন যুদ্ধের উদ্দেশ্যে জালুত ও তার সৈন্য বাহিনীর
সম্মুখীন হল তখন তারা বলল, হে আমাদের প্রতিপালক ! আমাদের ধৈর্য দান কর, আমাদের
অবিচলিত রাখ এবং কাফির সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সাহায্য দান কর ৷ সুতরাং তারা
আল্লাহর হুকুমে তাদেরকে পরাভুত করল ৷ আল্লাহ তাকে রাজত্ব এবং হিকমত দান করলেন;
এবং যা তিনি ইচ্ছা করলেন তা তাকে শিক্ষা দিলেন ৷ আল্লাহ যদি মানব জাতির একদলকে
অন্য দল দ্বারা প্রতিহত না করতেন তবে পৃথিবী ৰিপর্যস্ত হয়ে যেত ৷ কিন্তু আল্লাহ জগতসমুহের
প্রতি অনুগ্রহশীল ৷ (২ সুরা বাকারা : ২৪৬২৫ ১ )

অধিকাংশ মুফড়াসসিবের মতে উপরোক্ত আয়াতে যাদের ঘটনা বর্ণিত হয়েছে, যিনি তাদের
নবী ছিলেন, তার নাম শাঘুভৈয়ল ৷ কারো কারো মতে শামউন ২৪ : ২৫ (;,প্রুন্পু) কেউ
বলেছেন, শামুয়েল ও শামউন অভিন্ন ব্যক্তি ৷ আবার কেউ কেউ বলেছেন, সেই নবীর নাম
ইউশা (ব্লু:প্রুৰু) ৷ তবে এর সম্ভাবনা ক্ষীণ ৷ কেননা ইবন জারীর তাবড়ারী লিখেছেন যে,
ইউশা (আ)-এর ইন্তিকাল এবং শামুয়েল (আ)-এর নবুওত প্রাপ্তির মধ্যে চারশ ষাট বছরের
ব্যবধান ছিল ৷

আঘাতের দ্বারা বুঝানো হয়েছে যে, বনীষ্ ইসরাঈলরা যখন একের পর এক্ল যুদ্ধে পর্মুদস্ত
হতে থাকল এবং শত্রুদের নিপীড়নে জর্জরিত হয়ে গেল , তখন তারা সে যুগের নবীর কাছে
গিয়ে তাদের জন্যে একজন বাদশাহ নিয়ােগের আবেদন জানাল ৷ যাতে তার নেতৃত্বে তারা
শত্রুর মুকাবিলায় লড়াই করতে পারে ৷ আর নবী তাদেরকে বললেন :

ট্রুএারট্র ৰুা৷ এে
প্


قَالَ أَكْثَرُ الْمُفَسِّرِينَ: كَانَ نَبِيُّ هَؤُلَاءِ الْقَوْمِ الْمَذْكُورِينَ فِي هَذِهِ الْقِصَّةِ، هُوَ شَمْوِيلَ. وَقِيلَ: شَمْعُونُ. وَقِيلَ: هُمَا وَاحِدٌ. وَقِيلَ: يُوشَعُ. وَهَذَا بَعِيدٌ; لِمَا ذَكَرَهُ الْإِمَامُ أَبُو جَعْفَرِ بْنُ جَرِيرٍ فِي " تَارِيخِهِ "، أَنَّ بَيْنَ مَوْتِ يُوشَعَ وَبَعْثَةِ شَمْوِيلَ أَرْبَعَمِائَةِ سَنَةٍ وَسِتِّينَ سَنَةً. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَالْمَقْصُودُ أَنَّ هَؤُلَاءِ الْقَوْمَ لَمَّا أَنْهَكَتْهُمُ الْحُرُوبُ، وَقَهْرَهُمُ الْأَعْدَاءُ، سَأَلُوا نَبِيَّ اللَّهِ فِي ذَلِكَ الزَّمَانِ، وَطَلَبُوا مِنْهُ أَنْ يُنَصِّبَ لَهُمْ مَلِكًا يَكُونُونَ تَحْتَ طَاعَتِهِ; لِيُقَاتِلُوا مِنْ وَرَائِهِ وَمَعَهُ، وَبَيْنَ يَدَيْهِ الْأَعْدَاءَ، فَقَالَ لَهُمْ: {هَلْ عَسَيْتُمْ إِنْ كُتِبَ عَلَيْكُمُ الْقِتَالُ أَلَّا تُقَاتِلُوا قَالُوا وَمَا لَنَا أَلَّا نُقَاتِلَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ} [البقرة: 246] أَيْ: وَأَيُّ شَيْءٍ يَمْنَعُنَا مِنَ الْقِتَالِ {وَقَدْ أُخْرِجْنَا مِنْ دِيَارِنَا وَأَبْنَائِنَا} [البقرة: 246]
পৃষ্ঠা - ৮০৬
ষ্ষ্


অর্থাৎ যুদ্ধ করতে আমাদেরকে কিসে বাধা দিবে? বিশেষত আমাদেরকে যখন আমাদের ঘর
বাড়ি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে আর আমাদের সন্তানদেরকে আমাদের থেকে বিচ্ছিন্ন করে
দেয়া হয়েছে ৷ অর্থাৎ আমাদের উপর যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়া হয়েছে এবং আমরা নির্যাতিতা
আমাদের সন্তান-সন্ততি শত্রুর হাতে বন্দী ৷ তাই এদেরকে উদ্ধার করার জন্যে আমাদের
অবশ্যই যুদ্ধ করতে হবে ৷ আল্লাহ বলেনঃ

এে

(কিন্তু যখন তাদেরকে লড়াই করার নিঃদশ দেয়া হল তখন অতি অল্প সং খ্যক লোক ছাড়া
তারা সকলেই পৃষ্ঠ প্রদর্শন করল ৷ আল্লাহ তা আলা জালিমদেরকে ভাল করেই জানেন ৷) যেমন
ঘটনার শেষ দিকে বলা হয়েছে যে অল্প সংখ্যক লোকই বাদশাহ্র সাথে নদী অতিক্রম করে ৷
তারা ছাড়া অবশিষ্ট সবাই যুৰুদ্ধর৩ ভয়ে ভীত হয়ে প্রতব্রাবর্তন করে ৷


(তাদের নবী তাদেরকে বলল, আল্লাহ তালুতকে তোমাদের জন্যে বাদশাহ নিযুক্ত
করেছেন ৷) তাফসীরৰিদ ছা লাবী তালুতের ব ৎশ তালিকা লিখেছেন এইডাংবে তালুত ইবন
কায়শ ) ইবন
আফয়াহ্ (ষ্ ব্র !) ইবন উনায়স ইবন বিনয়ামিন ইবন ইয়াকুব ইবন ইসহাক ইবন ইবরাহীম ৷

ইকরামা ও সুদ্দী (র) বলেন, তালুত পেশায় একজন ভিস্তি ছিলেন ৷ ওহাব ইবন মুনাব্বিহ
বলেন, তিনি চামড়া পাকা করার কাজ করতেন ৷ এ সম্পর্কে আবও বিভিন্ন মত রয়েছে ৷ এ
জন্যে বনী ইসরাঈলের লোকজন নবীকে বলল ং


তারা বলল, এ কেমন করে হয়, আমাদের উপর বাদশাহ হওয়ারত তার কি অধিকার আছো
রষ্ট্র-ক্ষমতা পাওয়ার ক্ষেত্রে তার চেয়ে আমাদেরই অধিকার বেশী ৷ সে তো কোন বড় ধনী
ব্যক্তিও নয় ৷) ঐতিহাসিকগণ লিখেছেন, দীর্ঘ দিন যাবত বনী ইসরাঈলের লাও ( ,১া) শাখা
থেকে নবী এবং য়াহুযা ( ৷১,প্রু) শাখা থেকে রাজা-বাদশাহ হওয়ার প্রচলন চলে আসছিল ৷
এবার তালুত যখন বিনয়ামীনের ব শ ধবদেব থেকে রাজা মনোনীত হলেন, তখন তারা অপছন্দ
করল এবং তার নেতৃতৃ সম্পর্কে কটাক্ষ করতে আরম্ভ করল ৷ তারা দাবী করল, তালুতের
তুলনায় রাজা হওয়ার অধিকার আমাদের বেশী ৷ দাবীর সপক্ষে তারা বলল, তালুত তো
একজন দরিদ্র ব্যক্তি; তার তো যথেষ্ট অর্থ সম্পদ নেই ৷ এমন লোক কিভাবে রাজা হতে পারো
নবী বললেন, ,

স্পে

(আল্লাহ তোমাদের উপর ত্যাকা মনোনীত করেছেন এবংাস্থ্য ও জ্ঞ ন উভয় দিকের
যোগ্যতা তাকে প্রচুর দান করেছেন ৷) কথিত আছে, আল্লাহ শামুয়েল নবীকে ওহীর মাধ্যমে


يَقُولُونَ: نَحْنُ مَحْرُوبُونَ مَوْتُورُونَ، فَحَقِيقٌ لَنَا أَنْ نُقَاتِلَ عَنْ أَبْنَائِنَا الْمَنْهُوبِينَ الْمُسْتَضْعَفِينَ فِيهِمْ، الْمَأْسُورِينَ فِي قَبْضَتِهِمْ. قَالَ تَعَالَى: {فَلَمَّا كُتِبَ عَلَيْهِمُ الْقِتَالُ تَوَلَّوْا إِلَّا قَلِيلًا مِنْهُمْ وَاللَّهُ عَلِيمٌ بِالظَّالِمِينَ} [البقرة: 246] كَمَا ذَكَرَ فِي آخِرِ الْقِصَّةِ، أَنَّهُ لَمْ يُجَاوِزِ النَّهْرَ مَعَ الْمَلِكِ إِلَّا الْقَلِيلُ، وَالْبَاقُونَ رَجَعُوا وَنَكَلُوا عَنِ الْقِتَالِ: {وَقَالَ لَهُمْ نَبِيُّهُمْ إِنَّ اللَّهَ قَدْ بَعَثَ لَكُمْ طَالُوتَ مَلِكًا} [البقرة: 247] قَالَ الثَّعْلَبِيُّ: وَهُوَ طَالُوتُ بْنُ قَيْسِ بْنِ أَفِيلَ بْنِ صَارُو بْنِ نَحُورَتَ بْنِ أَفِيحَ بْنِ أَنِيسَ بْنِ بِنْيَامِينَ بْنِ يَعْقُوبَ بْنِ إِسْحَاقَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ الْخَلِيلِ. قَالَ عِكْرِمَةُ وَالسُّدِّيُّ: كَانَ سَقَّاءً. وَقَالَ وَهْبُ بْنُ مُنَبِّهٍ كَانَ دَبَّاغًا. وَقِيلَ غَيْرُ ذَلِكَ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَلِهَذَا {قَالُوا أَنَّى يَكُونُ لَهُ الْمُلْكُ عَلَيْنَا وَنَحْنُ أَحَقُّ بِالْمُلْكِ مِنْهُ وَلَمْ يُؤْتَ سَعَةً مِنَ الْمَالِ} [البقرة: 247] . وَقَدْ ذَكَرُوا أَنَّ النُّبُوَّةَ كَانَتْ فِي سِبْطِ لَاوِي، وَأَنَّ الْمُلْكَ كَانَ فِي سِبْطِ يَهُوذَا، فَلَمَّا كَانَ هَذَا مِنْ سِبْطِ بِنْيَامِينَ، نَفَرُوا مِنْهُ، وَطَعَنُوا فِي إِمَارَتِهِ عَلَيْهِمْ وَقَالُوا: نَحْنُ أَحَقُّ بِالْمُلْكِ مِنْهُ. وَذَكَرُوا أَنَّهُ فَقِيرٌ لَا سِعَةَ مِنَ الْمَالِ مَعَهُ، فَكَيْفَ يَكُونُ مِثْلُ هَذَا مَلِكًا؟ {قَالَ إِنَّ اللَّهَ اصْطَفَاهُ عَلَيْكُمْ وَزَادَهُ بَسْطَةً فِي الْعِلْمِ وَالْجِسْمِ} [البقرة: 247]
পৃষ্ঠা - ৮০৭
ষ্ষ্


জানিয়েছিলেন যে, বনী ইসরাঈলের মধ্যে যে ব্যক্তি (তোমার হাতের) এ লাঠির সমান
দীর্ঘকায় হবে এবং যার আগমনে ( তোমার কাছে রক্ষিত) সিং এর মধ্যে রাখা পবিত্র তেল
( এ্যা ! এে১) উথলে উঠবে, সে ব্যক্তিই হয়ে তাদের রাজা ৷

এরপর বনী ইসরাঈলের লোকজন এসে উক্ত লাঠির সাথে নিজেদেরকে মাপতে থাকে ৷

বিন্তু ত ৷লুত ব্যতীত অন্য কেউ ই লাঠির মাপে টিকেনি ৷ তিনি নবীর নিকট উপস্থিত হতেই সিং

এর তেল উথলে উঠল ৷ নবী তাকে সেই তেল মড়াখিয়ে দিলেন এবং বনী ইসরাঈলের রাজা
হিসেবে ঘোষণা দিলেন ৷ তিনি তাদেরকে বললেনং :

ব্লুএে ৷ জু১ ধ্া ণ্ট্রুাট্রুড্রু ংণ্’হ্রট্রুা; ’ ৷া;০ ৷ গুা৷ ৷ ৰু,া

(আল্লাহ তাকে তোমাদের জন্যে মনোনীত করেছেন এবং তিনি তাকে জ্ঞানে ও দেহে
সমৃদ্ধ করেছেন ৷) জ্ঞানের ক্ষেত্রে সমৃদ্ধির বিষয়ে কেউ কেউ বলেছেন, তার এ সমৃদ্ধি কেবল
যুদ্ধের ব্যাপারে সীমাবদ্ধ ৷ কিন্তু কারও কারও মতে এ সমৃদ্ধি সার্বিকভাবে এবং সকল ক্ষেত্রে ৷
অনুরুপ দেহের সমৃদ্ধির ব্যাপারে কেউ বলেছেন, তিনি সবার চেয়ে দীর্ঘ ছিলেন ৷ আবার
কারো কারো মতে, তিনি সবার চেয়ে সুদর্শন ছিলেন ৷ তবে স্বাভাবিকভড়াবে ধরে নেয়া যায়
যে, নবীর পরে তালুতই ছিলেন বনী ইসরাঈলের মধ্যে সর্বাধিক জ্ঞানী ও সুদর্শন ব্যক্তি ৷
(বন্তুত আল্লাহ যাকে চান তাকেই তার রাজ্য দান
করেন ৷) কেননা তিনিই৷ মহাজ্ঞানী এবং সৃষ্টির উপর হকুম চালাবার ক্ষমতা একমাত্র তারই
আছে ৷ ণ্া; ট্ট ৷ এ ধ্া৷ ৷ এ (আল্লাহ হলেন অনুগ্রহ দানকারী এবং সকল বিষয়ে সম্যক
অবগত ৷)



মোঃম্র
ৰু,ট্রু ;;টুঠু ন্ট্রুট্রুহ্র ং ৷ ন্,ছুর্দুা

আর তাদের নবী তাদেরকে বলেছিল, তার রাজত্বের নিদর্শন এই যে, তোমাদের কাছে

সেই তাবুত আসবে, যাতে তোমাদের প্রতিপালকের নিকট থেকে চিত্ত প্ৰশাস্তি এবং মুসা ও
হারুন বং শীয়গণ৷ যা’ রেখে গিয়েছেন তার অবশিষ্টাংশ থাকবে ৷ সিন্দুকটিকে ফিরিশতারা বয়ে
আনবে ৷ তোমরা যদি ঘুমিন হয়ে থাক তবে এতে অবশ্যই তোমাদের জন্যে নিদর্শন রয়েছে ৷
(২ সুরা বাকারা : ২৪৮) ৷ তালুতের রাজত্ব পাওয়ার এটা ছিল আর একটা বরকত ৷ বনী
ইসরাঈলের নিকট বংশ পরম্পরায় যে ঐতিহাসিক সিন্দুকটি ছিল, যার ওসীলায় তারা যুদ্ধে
শত্রুদের উপর জয়ী হত বনী ইসরাঈলের বিপর্যয়কালে ঐ সিন্দুকঢি শক্ররা ছিনিয়ে নিয়ে
যায় ৷ আল্লাহ অনুগ্রহ করে সেই সিন্দুকটি তালুতের মাধ্যমে বনী ইসরাঈলকে ফিরিয়ে দেন ৷
“সেই সিন্দুকে আছে তোমাদের প্ৰতিপালকের নিকট হতে চিত্ত প্ৰশড়াস্তি ৷” কারও কারও মতে,
তা ছিল স্বর্ণের তস্তরী, যাতে নবীদের বক্ষ বৌত করা হত ৷ কেউ বলেছেন, তা হয়েছে


قِيلَ: كَانَ اللَّهُ قَدْ أَوْحَى إِلَى شَمْوِيلَ، أَنَّ أَيَّ بَنِي إِسْرَائِيلَ كَانَ طُولُهُ عَلَى طُولِ هَذِهِ الْعَصَا، وَإِذَا حَضَرَ عِنْدَكَ يَفُورُ هَذَا الْقَرْنُ الَّذِي فِيهِ مِنْ دُهْنِ الْقُدْسِ، فَهُوَ مِلْكُهُمْ. فَجَعَلُوا يَدْخُلُونَ وَيَقِيسُونَ أَنْفُسَهُمْ بِتِلْكَ الْعَصَا، فَلَمْ يَكُنْ أَحَدٌ مِنْهُمْ عَلَى طُولِهَا سِوَى طَالُوتَ، وَلَمَّا حَضَرَ عِنْدَ شَمْوِيلَ فَارَ ذَلِكَ الْقَرْنُ فَدَهَنَهُ مِنْهُ وَعَيَّنَهُ الْمَلِكَ عَلَيْهِمْ، وَقَالَ لَهُمْ: {إِنَّ اللَّهَ اصْطَفَاهُ عَلَيْكُمْ وَزَادَهُ بَسْطَةً فِي الْعِلْمِ} [البقرة: 247] ; قِيلَ: فِي أَمْرِ الْحُرُوبِ. وَقِيلَ: بَلْ مُطْلَقًا. " وَالْجِسْمِ " ; قِيلَ: الطُّولُ. وَقِيلَ: الْجَمَالُ. وَالظَّاهِرُ مِنَ السِّيَاقِ أَنَّهُ كَانَ أَجْمَلَهُمْ وَأَعْلَمَهُمْ بَعْدَ نَبِيِّهِمْ عَلَيْهِ السَّلَامُ. {وَاللَّهُ يُؤْتِي مُلْكَهُ مَنْ يَشَاءُ} [البقرة: 247] فَلَهُ الْحُكْمُ، وَلَهُ الْخَلْقُ وَالْأَمْرُ {وَاللَّهُ وَاسِعٌ عَلِيمٌ وَقَالَ لَهُمْ نَبِيُّهُمْ إِنَّ آيَةَ مُلْكِهِ أَنْ يَأْتِيَكُمُ التَّابُوتُ فِيهِ سَكِينَةٌ مِنْ رَبِّكُمْ وَبَقِيَّةٌ مِمَّا تَرَكَ آلُ مُوسَى وَآلُ هَارُونَ تَحْمِلُهُ الْمَلَائِكَةُ إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَةً لَكُمْ إِنْ كُنْتُمْ مُؤْمِنِينَ} [البقرة: 247] وَهَذَا أَيْضًا مِنْ بَرَكَةِ وِلَايَةِ هَذَا الرَّجُلِ الصَّالِحِ عَلَيْهِمْ وَيُمْنِهِ عَلَيْهِمْ; أَنْ يَرُدَّ اللَّهُ عَلَيْهِمُ التَّابُوتَ الَّذِي كَانَ سُلِبَ مِنْهُمْ، وَقَهْرَهُمُ الْأَعْدَاءُ عَلَيْهِ، وَقَدْ كَانُوا يُنْصَرُونَ عَلَى أَعْدَائِهِمْ بِسَبَبِهِ. {فِيهِ سَكِينَةٌ مِنْ رَبِّكُمْ} [البقرة: 248] ، قِيلَ: طَسْتٌ مِنْ ذَهَبٍ كَانَ يُغْسَلُ فِيهِ صُدُورُ الْأَنْبِيَاءِ. وَقِيلَ: السِّكِّينَةُ مِثْلُ الرِّيحِ الْخَجُوجِ. وَقِيلَ: صُورَتُهَا مِثْلُ الْهِرَّةِ، إِذَا صَرَخَتْ فِي حَالِ الْحَرْبِ، أَيْقَنَ بَنُو إِسْرَائِيلَ بِالنَّصْرِ. {وَبَقِيَّةٌ مِمَّا تَرَكَ آلُ مُوسَى وَآلُ هَارُونَ} [البقرة: 248]
পৃষ্ঠা - ৮০৮
ষ্ষ্


শাস্তিদায়ক প্রবহমান বায়ু ৷ কেউ বলেছেন, সেই বস্তুটি ছিল বিড়ালের আকৃতির ৷ যুদ্ধের
সময় যখন তা শব্দ করত তখন বনী ইসরাঈলরা বিশ্বাস করত যে, তাদের সাহায্য প্রাপ্তি
সুনিশ্চিত এবং মুসা ও হারুন বং শীয়গণ যা কিছু রেখে গিয়েছে অর্থাৎ যে ফলকের উপর
তাওরাত লিপিবদ্ধ ছিল, তার কিছু খণ্ড অং শ এবং ভীহ্ ময়দা নে তাদের উপর যে মান্না নাযিল
হত, তার কিছু অংশ বয়ে আনবে ফেরেশতারা ৷ অর্থাৎ তোমাদের কাছে তাদের তা বয়ে নিয়ে
আসা তোমরাচক্ষে প্রত্যক্ষ করবে ৷ আমি৫ তামাদেরকে যা কিছু বলছি তার সত্যতা এবং
লুত যে নেতৃৎ দানের অধিকারী তার সুস্পষ্ট প্রমাণ তোমরা এ থেকে লাভ করবে ৷ তাই
আল্লাহ বলেছেন৪ (এতে তোমাদের জন্যে নিদর্শন আছে যদি৫ তামরা মু মিন হয়ে থাক ৷ )

কথিত আছে যে, আমালিকা জ বি বনী ইসরাঈলকে এক যুদ্ধে পরাজিত করে তাদের
নিকট থেকে এ সিন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে যায় ৷ সিন্দুকটিতে ছিল তাদের চিত্ত প্ৰশান্তি ও পুর্ব
পুরুষদের বরকতময় কিছু স্মারক ৷ কেউ কেউ বলেছেন, এতে তাওরাত কিতাবও ছিল ৷
আমালিকারা এ সিন্দুকটি ছিনিয়ে নিয়ে তাদের শহরের একটি মুতির নীচে রেখে দেয় ৷ পরদিন
সকালে তারা দেখতে পায় যে সিন্দুকটি ঐ মুর্ডিং মাথার উপর রয়েছে ৷ তারা সিন্দুকটি নামিয়ে
পুনরায় মুর্কিং নীচে রেখে দেয় ৷ দ্বিতীয় দিন এসে পুর্বের দিনের ন্যায় তারা সিন্দুকটিকে মুর্ডিংা
মাথার উপরে দেখতে পায় ৷ বারবার এ অবস্থা ৎঘটিত হতে দেখে তাদের দৃঢ় বিশ্বাস হল যে
আল্লাহর হুকুমেই এ রকম হচ্ছে ৷ অবশেষে তারা সিন্দুকটিকে শহর থেকে এনে একটি পল্লীতে
রেখে দেয় ৷ কিন্তু এবার হল আর এক বিপদ ৷ গ্রামবাসীদের ঘাড়ে এক প্রকার রোগ দেখা দেয় ৷
এ অবস্থা কিছুদিন চলতে থাকলে তারা সিন্দুকটিকে দু’টি গাভীর উপর বেধে বনী ইসরাঈলের
বসতি এলাকার দিকে ইাকিয়ে দেয় ৷ গাভী দুটি সিন্দুকটিকে বয়ে নিয়ে চলতে থাকে ৷ কথিত
আছে, ফিরিশতারা গাভীকে পেছন দিক থেকে ইাকিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল ৷ এভাবে সিন্দুকসহ গাভী
দু’টি ইাটতে ইাটতে বনী ইসরাঈলের নেতাদের এলাকায় প্রবেশ করে ৷ বনী ইসরাঈলকে
তাদের নবী যেসব কথা বলেছিলেন, তারা সেভাবেই ঐসব কথা বাস্তবে পরিণত হতে দেখতে
পায় ৷ ফেরেশতারা সিন্দুকটি কিভাবে এনেছিলেন,ত আল্লাহই ভাল জানেন ৷ তবে, আঘাতের
শব্দ থেকে বাহ্যিক দৃষ্টিতে অনুমিত হয় যে, ফিরিশতারা সরাসরি নিজেরা ই সিন্দুক বহন করে
এনে ছিলেন ৷ অবশ্য অধিকাৎ শ মুফাসৃসির প্রথম ব্যাখ্যাই গ্রহণ করেছেন ৷ আল্লাহর বাণী৪

এে০ স্পে এে

দু × : ;, :


(অতঃপর তালুত যখন সৈন্য বাহিনীসহ বের হল, তখন সে বললং একটি নদীর মা ধ্যমে
আল্লাহ তােমাদেরকে পরীক্ষা করবেন ৷ যে কেউত ’থেকে পান করবে, সে আমার দলভুক্ত
নয় ৷ আর যে কেউ এরাদ গ্রহণ করবে না, যে আমরা দলভুক্ত; তা ছাড়া যে কেউ তার হাতে
এক কোষ পানি গ্রহণ করবে সেও ৷ (২ বাকারা : ২৪৯)

ইবন আব্বাসসহ বহু মুফাসসির বলেছেন, সেই নদীটি হল জর্দান নদী ৷ একে শারীয়া’
নামে অভিহিত করা হয় ৷ আল্লাহর নির্দেশত্রুমে ও নবীর হুকুম অনুযায়ী সৈন্য বাহিনীকে পরীক্ষা


قِيلَ: كَانَ فِيهِ رُضَاضُ الْأَلْوَاحِ وَشَيْءٌ مِنَ الْمَنِّ الَّذِي كَانَ يَنْزِلُ عَلَيْهِمْ بِالتِّيهِ. {تَحْمِلُهُ الْمَلَائِكَةُ} [البقرة: 248] أَيْ; تَأْتِيكُمْ بِهِ الْمَلَائِكَةُ يَحْمِلُونَهُ وَأَنْتُمْ تَرَوْنَ ذَلِكَ عِيَانًا; لِيَكُونَ آيَةً لِلَّهِ عَلَيْكُمْ وَحُجَّةً بَاهِرَةً عَلَى صِدْقِ مَا أَقُولُهُ لَكُمْ، وَعَلَى صِحَّةِ وِلَايَةِ هَذَا الْمَلِكِ الصَّالِحِ عَلَيْكُمْ، وَلِهَذَا قَالَ: {إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَةً لَكُمْ إِنْ كُنْتُمْ مُؤْمِنِينَ} [البقرة: 248] وَقِيلَ: إِنَّهُ لَمَّا غَلَبَ الْعَمَالِقَةُ عَلَى هَذَا التَّابُوتِ، وَكَانَ فِيهِ مَا ذُكِرَ مِنَ السِّكِّينَةِ وَالْبَقِيَّةِ الْمُبَارَكَةِ - وَقِيلَ: كَانَ فِيهِ التَّوْرَاةُ أَيْضًا - فَلَمَّا اسْتَقَرَّ فِي أَيْدِيهِمْ وَضَعُوهُ تَحْتَ صَنَمٍ لَهُمْ بِأَرْضِهِمْ، فَلَمَّا أَصْبَحُوا إِذَا التَّابُوتُ عَلَى رَأْسِ الصَّنَمِ فَوَضَعُوهُ تَحْتَهُ، فَلَمَّا كَانَ الْيَوْمُ الثَّانِي إِذَا التَّابُوتُ فَوْقَ الصَّنَمِ، فَلَمَّا تَكَرَّرَ هَذَا عَلِمُوا أَنَّ هَذَا أَمْرٌ مِنَ اللَّهِ تَعَالَى فَأَخْرَجُوهُ مِنْ بَلَدِهِمْ، وَجَعَلُوهُ فِي قَرْيَةٍ مِنْ قُرَاهُمْ، فَأَخَذَهُمْ دَاءٌ فِي رِقَابِهِمْ، فَلَمَّا طَالَ عَلَيْهِمْ هَذَا جَعَلُوهُ فِي عَجَلَةٍ وَرَبَطُوهَا فِي بَقَرَتَيْنِ وَأَرْسَلُوهُمَا، فَيُقَالُ: إِنَّ الْمَلَائِكَةَ سَاقَتْهُمَا حَتَّى جَاءُوا بِهِمَا مَلَأَ بَنِي إِسْرَائِيلَ وَهُمْ يَنْظُرُونَ، كَمَا أَخْبَرَهُمْ نَبِيُّهُمْ بِذَلِكَ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ عَلَى أَيِّ صِفَةٍ جَاءَتْ بِهِ الْمَلَائِكَةُ، وَالظَّاهِرُ أَنَّ الْمَلَائِكَةَ كَانَتْ تَحْمِلُهُ بِأَنْفُسِهِمْ، كَمَا هُوَ الْمَفْهُومُ مِنَ الْآيَةِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَإِنْ كَانَ الْأَوَّلُ قَدْ ذَكَرَهُ كَثِيرٌ مِنَ الْمُفَسِّرِينَ أَوْ أَكْثَرُهُمْ. {فَلَمَّا فَصَلَ طَالُوتُ بِالْجُنُودِ قَالَ إِنَّ اللَّهَ مُبْتَلِيكُمْ بِنَهَرٍ فَمَنْ شَرِبَ مِنْهُ فَلَيْسَ مِنِّي وَمَنْ لَمْ يَطْعَمْهُ فَإِنَّهُ مِنِّي إِلَّا مَنِ اغْتَرَفَ غُرْفَةً بِيَدِهِ} [البقرة: 249] قَالَ
পৃষ্ঠা - ৮০৯
ষ্ষ্


করার জন্যে তালুত এ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন যে, যে লোক এ নদী থেকে পানি পান করবে
সে আমার সাথে এই যুদ্ধে যেতে পারবে না ৷ আমার সাথে কেবল সেই যেতে পারবে, যে
আদৌ তা’ পান করবে না কিৎবা মাত্র এক কোষ পানি পান করবে ৷ এরপর আল্লাহ বলেন,
কিন্তু একটি ক্ষুদ্র দল ব্যতীত আর সকলেই তা থেকে পান করে ৷ সুদ্দী বলেন, তালুতের সৈন্য
বাহিনীর সংখ্যা ছিল আশি হাজার ৷ তাদের মধ্য থেকে পানি পান করেছিল ছিয়াত্তর
হাজার ৷ অবশিষ্ট চার হাজার সৈন্য তার সাথে ছিল ৷ ইমাম বুখারী তার সহীহ্ গ্রন্থে বাবা
ইবন আযিব (বা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, আমরা বদর যুদ্ধে অংশ গ্রহণকারী কয়েকজন বসে
আলাপ করছিলাম যে, বদর যুদ্ধে অংশ গ্রহণকারীদের সংখ্যা তালুত বাহিনীর যারা নদী পার
হয়েছিল তাদের সমান ৷ তালুতের সাথে যারা নদী পার হয়েছিল তাদের সংখ্যা ছিল তিনশ’
দশের কিছু বেশী ৷ সুদ্দী যে তালুত বাহিনীর সংখ্যা আশি হাজার বলেছেন, তা’ সন্দেহমুক্ত
নয় ৷ কেননা বায়তুল ঘুকড়াদ্দাস এলাকাটিতে আশি হাজার (লোকের যুদ্ধ করার মত অবস্থা ছিল
না ৷ আল্লাহর বাণী :
;ৰু;এ এে
ন্;টুছুছুড়ু
(এরপর তালুত এবং তার সহযাত্রী মুমিনগণ যখন তা’ অতিক্রম করল তখন তারা বললঃ
জালুত ও তার সৈন্য বাহিনীর সহিত মুক্কাবিশা করার কোন শক্তিই আজ আমাদের নেই ৷)
অর্থাৎ শত্রু সংখ্যা অধিক হওয়ায় এবং সে তুলনায় নিজেদের সংখ্যা কম থাকায় তারা
মুকাবিলা করতে অক্ষমতা প্রকাশ করছিল ৷ কিন্তু যাদের প্রত্যয় ছিল আল্লাহর সাথে তাদের
সাক্ষাৎ ঘটবে, তারা বললঃ বারবার দেখা গেছে যে আল্লাহর হুকুমে কত ক্ষুদ্র দল কত বৃহৎ
দলকে পরাভুত করেছে ৷ আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে রয়েছেন ৷ এই দলের মধ্যে একটি অংশ
ছিল অশ্বারোহী বাহিনী এবং তারাই ছিল ঈমানদার ও যুদ্ধ ক্ষেত্রে অসীম ধৈর্যশীল ৷

া১১১১ গ্রা
প্রুগ্লুহ্র ৷ ণ্প্রু; ৷ ষ্পু; ৷ঠুৰুঠুগ্লু১াড়ু চুট্রুাঠুট্রা
তারা যখন যুদ্ধের উদ্দেশ্য জালুত ও তার সৈন্য বাহিনীর সম্মুখীন হল, তখন তারা
বললঃ হে আমাদের প্রতিপালক ! আমাদেরকে ধৈর্য দান করুন, আমাদের সুদৃঢ় করে দিন এবং
এই কাফির সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সাহায্য দান করুন ! তারা আল্লাহর নিকট
প্রর্থনা করে যেন তিনি তাদের ধৈর্য দান করেন ৷ (২ বাকারা ২৫০) অর্থাৎ ধৈর্য যেন তাদেরকে
এমনভাবে যেষ্টন করে রাখে, যাতে অম্ভরের মধ্যে দৃঢ়তা আসে, কোন প্রকার সংশয় মনে
না জাগে ৷ তারা আল্লাহর নিকট দৃআ করে যেন তারা যুদ্ধের ময়দানে দৃঢ়পদে শত্রুর মুকাবিলা
করে বাতিল শক্তিকে পর্বুদস্ত করতে পারে এবং বিজয় লাভে ধন্য হতে পারে ৷ এভাবে তারা
বাহ্যিক দিক থেকে এবং অভ্যন্তরীণডাবে মজবুত হয়ে যুদ্ধের প্রন্তুতি নেয় এবং আল্লাহর
নিদর্শনসমুহ অস্বীকারকারী কাফির দৃশমনদের ঘুকাবিলায় তার সাহায্য প্রার্থনা করে ৷ ফলে

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (২য় খণ্ড) :

ابْنُ عَبَّاسٍ وَكَثِيرٌ مِنَ الْمُفَسِّرِينَ: هَذَا النَّهْرُ هُوَ نَهْرُ الْأُرْدُنِّ. وَهُوَ الْمُسَمَّى بِالشَّرِيعَةِ، فَكَانَ مِنْ أَمْرِ طَالُوتَ بِجُنُودِهِ عِنْدَ هَذَا النَّهْرِ، عَنْ أَمْرِ نَبِيِّ اللَّهِ لَهُ، عَنْ أَمْرِ اللَّهِ لَهُ، اخْتِبَارًا وَامْتِحَانًا; أَنَّ مَنْ شَرِبَ مِنْ هَذَا النَّهْرِ الْيَوْمَ فَلَا يَصْحَبُنِي فِي هَذِهِ الْغَزْوَةِ، وَلَا يَصْحَبُنِي إِلَّا مَنْ لَمْ يَطْعَمْهُ، إِلَّا غُرْفَةً فِي يَدِهِ. قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {فَشَرِبُوا مِنْهُ إِلَّا قَلِيلًا مِنْهُمْ} [البقرة: 249] قَالَ السُّدِّيُّ: كَانَ الْجَيْشُ ثَمَانِينَ أَلْفًا، فَشَرِبَ مِنْهُ سِتَّةٌ وَسَبْعُونَ أَلْفًا، وَتَبَقَّىمَعَهُ أَرْبَعَةُ آلَافٍ. كَذَا قَالَ. وَقَدْ رَوَى الْبُخَارِيُّ فِي " صَحِيحِهِ "، مِنْ حَدِيثِ إِسْرَائِيلَ وَزُهَيْرٍ وَالثَّوْرِيِّ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، قَالَ: كُنَّا أَصْحَابَ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، نَتَحَدَّثُ أَنَّ عِدَّةَ أَصْحَابِ بَدْرٍ عَلَى عِدَّةِ أَصْحَابِ طَالُوتَ - الَّذِينَ جَاوَزُوا مَعَهُ النَّهْرَ، وَلَمْ يُجَاوِزْ مَعَهُ إِلَّا مُؤْمِنٌ - بِضْعَةَ عَشْرَ وَثَلَاثُمِائَةِ مُؤْمِنٍ وَقَوْلُ السُّدِّيِّ أَنَّ عِدَّةَ الْجَيْشِ كَانُوا ثَمَانِينَ أَلْفًا، فِيهِ نَظَرٌ; لِأَنَّ أَرْضَ بَيْتِ الْمَقْدِسِ لَا تَحْتَمِلُ أَنْ يَجْتَمِعَ فِيهَا جَيْشُ مُقَاتِلَةٍ يَبْلُغُونَ ثَمَانِينَ أَلْفًا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {فَلَمَّا جَاوَزَهُ هُوَ وَالَّذِينَ آمَنُوا مَعَهُ قَالُوا لَا طَاقَةَ لَنَا الْيَوْمَ بِجَالُوتَ وَجُنُودِهِ} [البقرة: 249] أَيِ; اسْتَقَلُّوا أَنْفُسَهُمْ وَاسْتَضْعَفُوهَا عَنْ مُقَاوَمَةِ أَعْدَائِهِمْ بِالنِّسْبَةِ إِلَى قِلَّتِهِمْ وَكَثْرَةِ عَدَدِ عَدُوِّهِمْ {قَالَ الَّذِينَ يَظُنُّونَ أَنَّهُمْ مُلَاقُو اللَّهِ كَمْ مِنْ فِئَةٍ قَلِيلَةٍ غَلَبَتْ فِئَةً كَثِيرَةً بِإِذْنِ اللَّهِ وَاللَّهُ مَعَ الصَّابِرِينَ} [البقرة: 249]
পৃষ্ঠা - ৮১০
ষ্ষ্


সর্বশক্তিমান, সর্বশ্রো৩ তা, সর্বদ্রষ্টা মহাজ্ঞ জ্ঞানী ও নিগুঢ়৩ ৩ত্ত্বজ্ঞানের অধিকারী আল্লাহ তাদের
প্রার্থনা মঞ্জুর করেন ও তাদের কাজ্জিত বিজয় দান করেন ৷ এজন্য আল্লাহ বলেন ঘ্র
ধ্া ! ষ্ং;া৷ ৷ ণ্এৰুপ্রুটুৰুপ্রুঠুক্ট্র (শেষ পর্যন্ত ঈমানদাররা আল্লাহর হুকুমে৩ তাদেরকে পরাজিত করে
দিল) ৷ অর্থাৎ শত্রু বাহিনী সং খ্যায় অধিক হওয়া সত্বেও৩ালুত বাহিনী বিজয় লাভে সমর্থ
হল ৷ কেবলমাত্র আল্লাহর অনুগ্নহে এবং তারই প্রদত্ত শক্তি ও সাহায্য বলে তাদের নিজেদের
শক্তি-সামর্থ্য দ্বারা নয় ৷ অন্যত্র আল্লাহ বলেছেন ং

: ) ’ : : ণ্ষ্ ,বুণ্

আল্লাহ তোমাদেরকে বদরের যুদ্ধে সাহায্য করেছিলেন যখন তোমরা হীনবল ছিলে ৷
সুতরাং তোমরা আল্লাহকে ভয় কর যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর ৷ (৩ আল
ইমরান : ১২৩) ৷

আল্লাহর বাণী৪

এবং দাউদ জা লুতকে হত্যা করল ৷ অ ল্লা৷হ দ৷ ৷উদকে রাজ্য ও হিকমত দান করলেন এবং
যা তিনি ইচ্ছা করলেন তা’ তাকে শিক্ষা দিলেন ৷ (২ বাকারা ২৫১ )

এ ঘটনা থেকে হযরত দাউদ (আ) এর বীবতৃ প্রমাণিত হয় ৷ এ যুদ্ধে৩ তিনি এমন এক
ব্যক্তিকে হত্যা করেন বা ব নিহত হওয়ার কারণে শত্রু বাহিনী পরাজিত হয়ে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় ৷
বন্তুত যে যুদ্ধে শত্রু বাহিনীর রাজাই নিহত হয়, বিপুল পারিমাণ গনীমত সম্ভার হস্তগত হয়,
এবং সাহসী যোদ্ধারা বন্দী হয়ে যায়, ইসলামের বিজয় কেতন দেব মুর্তিদের উপরে বুলন্দ হয়
আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের সবইি তীর শত্রুদের বিরুদ্ধে বিজয়ের পালা আসে এবং বাতিল দীন ও
বাতিল পন্থীদের উপর সত্য দীন বিজয় লাভ করে তার চাইতে গৌরবের বিষয় আর কি হতে
পাবেঃ সুদ্দী বলেনঃ হযরত দাউদ (আ) ছিলেন পিতার তে রজন পুত্রের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ ৷ তিনি
শুনতে পান যে, বনী ইসরাঈলের রাজা তা ৷লুত, জা লুত ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য
বনী ইসরাঈলকে সংগঠিত করছেন এবং তিনি ঘোষণা দিয়েছেন যে, যে ব্যক্তি জালুতকে হত্যা
করতে পারবে তার সাথে তার কন্যাকে বিবাহ দিবেন এবং রাজ্য পরিচালনায় তাকে শরীক
করবেন ৷ দাউদ (আ) ছিলেন একজন তীরান্দাজ ৷ তিনি নিক্ষেপক যম্ভে পাথর রেখেও নিক্ষেপ
করতেন ৷ বনী ইসরাঈলরা যখন জালুতের বিরুদ্ধে যুদ্ধে গমন করে তখন দাউদ (আ) ও
তাদের অভিযানে শরীক হন ৷ গমন পথে একটি পাথর তাকে ডেকে বলল, আমাকে তুলে নিন ৷

আমার দ্বারা আপনি জালুতকে হত্যা করতে পারবেন ৷ দাউদ (আ) পাথরটি তুলে নেন ৷
কিছুদুর গেলে দ্বিতীয় আর একটি পাথর এবং আরও কিছু দুর অগ্রসর হলে তৃতীয় আরও
একটি পাথর একইভাবে দাউদ (আ)-কে ডেকে তুলে নিতে বলে ৷ দাউদ (আ) তিনটি
পাথরই উঠিয়ে নেন এবং থলেব মধ্যে রেখে দেন ৷ যুদ্ধের ময়দানে দুই বাহিনী যখন ব্যুহ
রচনা করে পরস্পর মুখোমুখী হয় তখন জালুত সৈন্যব্যুহ থেকে বেরিয়ে এসে মল্লযুদ্ধে
অবতীর্ণ হওয়ার আহ্বান জানায় ৷ আহ্বানে সাড়া দিয়ে হযরত দাউদ (আ) সম্মুখে অগ্রসর হন ৷


; يَعْنِي: ثَبَّتَهُمُ الشُّجْعَانُ مِنْهُمْ وَالْفُرْسَانُ أَهْلُ الْإِيمَانِ وَالْإِيقَانِ، الصَّابِرُونَ عَلَى الْجِلَادِ وَالْجِدَالِ وَالطِّعَانِ. {وَلَمَّا بَرَزُوا لِجَالُوتَ وَجُنُودِهِ قَالُوا رَبَّنَا أَفْرِغْ عَلَيْنَا صَبْرًا وَثَبِّتْ أَقْدَامَنَا وَانْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ} [البقرة: 250] طَلَبُوا مِنَ اللَّهِ أَنْ يُفْرِغَ عَلَيْهِمُ الصَّبْرَ; أَيْ يَغْمُرَهُمْ بِهِ مِنْ فَوْقِهِمْ، فَتَسْتَقِرَّ قُلُوبُهُمْ وَلَا تَقْلَقَ، وَأَنْ يُثَبِّتَ أَقْدَامَهُمْ فِي مَجَالِ الْحَرْبِ، وَمُعْتَرَكِ الْأَبْطَالِ، وَحَوْمَةِ الْوَغَى، وَالدُّعَاءِ إِلَى النِّزَالِ، فَسَأَلُوا التَّثَبُّتَ الظَّاهِرَ وَالْبَاطِنَ، وَأَنْ يُنْزِلَ عَلَيْهِمُ النَّصْرَ عَلَى أَعْدَائِهِمْ وَأَعْدَائِهِ، مِنَ الْكَافِرِينَ الْجَاحِدِينَ بِآيَاتِهِ وَآلَائِهِ، فَأَجَابَهُمُ الْعَظِيمُ الْقَدِيرُ السَّمِيعُ الْبَصِيرُ الْحَكِيمُ الْخَبِيرُ إِلَى مَا سَأَلُوا وَأَنَالَهُمْ مَا إِلَيْهِ فِيهِ رَغِبُوا وَلِهَذَا قَالَ: {فَهَزَمُوهُمْ بِإِذْنِ اللَّهِ} [البقرة: 251] أَيْ; بِحَوْلِ اللَّهِ لَا بِحَوْلِهِمْ، وَبِقُوَّةِ اللَّهِ وَنَصْرِهِ لَا بِقُوَّتِهِمْ وَعَدَدِهِمْ، مَعَ كَثْرَةِ أَعْدَائِهِمْ وَكَمَالِ عَدَدِهِمْ، كَمَا قَالَ تَعَالَى: {وَلَقَدْ نَصَرَكُمُ اللَّهُ بِبَدْرٍ وَأَنْتُمْ أَذِلَّةٌ فَاتَّقُوا اللَّهَ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ} [آل عمران: 123] . وَقَوْلُهُ تَعَالَى: {وَقَتَلَ دَاوُدُ جَالُوتَ وَآتَاهُ اللَّهُ الْمُلْكَ وَالْحِكْمَةَ وَعَلَّمَهُ مِمَّا يَشَاءُ} [البقرة: 251] فِيهِ دَلَالَةٌ عَلَى شَجَاعَةِ دَاوُدَ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَأَنَّهُ قَتَلَهُ قَتْلًا أَذَلَّ بِهِ جُنْدَهُ وَكَسَّرَ جَيْشَهُ، وَلَا أَعْظَمَ مِنْ غَزْوَةٍ يَقْتُلُ فِيهَا مَلِكٌ عَدُوَّهُ، فَيَغْنَمُ بِسَبَبِ ذَلِكَ الْأَمْوَالَ الْجَزِيلَةَ، وَيَأْسِرُ الْأَبْطَالَ
পৃষ্ঠা - ৮১১
ষ্ষ্


কিন্তু তাকে দেখে জালুত বলল, তুমি ফিরে যাও ৷ কেননা, তোমার মত লোককে হত্যা

করতে আমি ঘৃণবােধ করি ৷ দাউদ ( আ) বললেন, তবে তোমাকে আমি বধ করতে খুবই
আগ্রহী ৷ এ কথা বলে তিনি পাথর তিনটিকে থলের মধ্যে রেখে ঘুরাতে আরম্ভ করলেন ৷ ঘুরাবার
ফলে তিনটি পাথর পরস্পর মিলিত হয়ে একটি পাথরে পরিণত হয় ৷ এবার এ পাথরটিকে তিনি
জালুতের দিকে সজােরে নিক্ষেপ করেন ৷ পাথরটি জালুতের মাথায় গিয়ে লাগে ৷ সঙ্গে সঙ্গে
তার মাথা চুর্ণ-বিচুর্ণ হয়ে যায় ৷ এ অবস্থা দেখে জালুতের সৈন্য বাহিনী ছত্রতঙ্গ হয়ে রণক্ষেত্র
থেকে পালিয়ে যায় ৷ তালুত তার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তার কন্যাকে দাউদ (আ)-এর সাথে

বিবাহ দেন এবং রাজ্যে তীর শাসন চালু করেন ৷

অতি অল্প দিনের মধ্যেই বনী ইসরাঈলের নিকট দাউদ (আ)-এর উচ্চ মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত
হয় ৷ তালুতের চেয়ে তারা দাউদ (আ)-রেইি অপ্রাধিকার দিতে থাকে ৷ কথিত আছে যে, এতে
তালুতের অতরে হিংসার আগুন প্রজ্জ্বলিত হয়ে উঠে এবং তিনি দাউদকে হত্যার প্রয়াস পান
এবং তার সুযোগ খুজতে থাকেন; কিন্তু তিনি তাতে সফল হননি ৷ দাউদ (আ)-কে হত্যা
করার উদ্যেড়াগ নিলে সমাজের আলিমগণ তালুতকে এ থেকে নিবৃত্ত হওয়ার পরামর্শ দেন এবং
র্তাকে বাধা প্রদান করতে থাকেন ৷ এতে তালুত ক্রুদ্ধ হয়ে আলিমদের উপর অত্যাচার চালান
এবং মুষ্টিমেয় কয়েকজন ব্যতীত সবাইকে হত্যা করেন ৷ কিন্তু কিছুদিন অতিবাহিত হবার পর
এই কৃতকর্মের জন্যে তিনি অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর নিকট তওবা করেন ৷ অধিকাংশ সময় তিনি
কান্নাকাটি করে কটিড়াতেন ৷ রড়াত্রিকালে পােরস্তানে গিয়েও কান্নাকাটি করতে থাকেন ৷ কোন
কোন সময় তার চোখের পানিতে মাটি পর্যন্ত র্ডিজে যেত ৷ এ সময়ে এক রড়াত্রে একটি ঘটনা
ঘটে ৷ তালুত গোরস্তানে বসে র্কাদছেন ৷ হঠাৎ কবর থেকে একটি শব্দ ভেসে এল ৷ “হে
তালুত ! তুমি আমাদেরকে হত্যা করেছিলে, কিন্তু আমরা জীবিত ৷ তুমি আমাদেরকে যাতনা
দিয়েছিলে ৷ কিন্তু আমরা এখন মৃত ৷” এতে তিনি ৩ ত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়লেন এবং আরও বেশী
করে র্কাদতে লাগলেন ৷ তিনি সােকজনের কাছে এমন একজন আলিমের সন্ধানে ঘুরতে
থাকেন, যার নিকট তিনি তীর অবস্থা এবং তীর তওবা কবুল হবে কিনা জিজ্ঞেস করবেন ৷
লোকেরা জবাব দিল, আপনি কি কোন আলিমকে অবশিষ্ট রেখেছেনঃ বহু ঢেষ্টার পর একজন
পুণ্যবভী মহিলার সন্ধান মিলল ৷ মহিলাটি তালুতকে হযরত ইউশা নবীর কবরের কাছে নিয়ে
গেলেন এবং ইউশাকে জীবিত করে দেয়ার জন্যে আল্লাহর নিকট প্রার্থাং৷ জানালেন ৷ আল্লাহ
তীর প্রার্থনা কবুল করলেন ৷

হযরত ইউশা কবর থেকে উঠে দীড়ালেন এবং কিয়ামত হয়ে গেছে কি না জিজ্ঞেস
করলেন ৷ উত্তরে মহিলাটি বললেন, কিয়ামত হয়নি ৷ তবে ইনি হচ্ছেন তালুত ৷ তিনি আপনার
কাছে জানতে চান যে, তীর তওবা কবুল হবে কিনা? ইউশা (আ) বললেন,ইভ্রা, তওবা কবুল
হবে ৷ তবে শর্ত হল, র্তাকে বাদশাহী ত্যাগ করে শাহাদত লাভের পুর্ব পর্যন্ত আল্লাহর পথে যুদ্ধে
রত থাকতে হবে ৷ এ কথাগুলো বলার সাথে সাথেই ইউশা (আ) পুনরায় ইস্তিকাল করেন ৷
অতঃপর তালুত হযরত দাউদ (আ) এর নিকট রাজ্য হস্তান্তর করে চলে যান ৷ সাথে ছিল তার


وَالشُّجْعَانَ وَالْأَقْرَانَ، وَتَعْلُو كَلِمَةُ الْإِيمَانِ عَلَى الْأَوْثَانِ، وَيُدَالُ لِأَوْلِيَاءِ اللَّهِ عَلَى أَعْدَائِهِ، وَيَظْهَرُ الدِّينُ الْحَقُّ عَلَى الْبَاطِلِ وَأَوْلِيَائِهِ. وَقَدْ ذَكَرَ السُّدِّيُّ فِيمَا يَرْوِيهِ أَنَّ دَاوُدَ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، كَانَ أَصْغَرَ أَوْلَادِ أَبِيهِ، وَكَانُوا ثَلَاثَةَ عَشَرَ ذَكَرًا، كَانَ سَمِعَ طَالُوتُ مَلِكَ بَنِي إِسْرَائِيلَ وَهُوَ يُحَرِّضُ بَنِي إِسْرَائِيلَ عَلَى قَتْلِ جَالُوتَ وَجُنُودِهِ، وَهُوَ يَقُولُ: مَنْ قَتَلَ جَالُوتَ زَوَّجْتُهُ بِابْنَتِي، وَأَشْرَكْتُهُ فِي مُلْكِي. وَكَانَ دَاوُدُ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، يَرْمِي بِالْقَذَّافَةِ - وَهُوَ الْمِقْلَاعُ - رَمْيًا عَظِيمًا، فَبَيْنَا هُوَ سَائِرٌ مَعَ بَنِي إِسْرَائِيلَ إِذْ نَادَاهُ حَجَرٌ، أَنْ خُذْنِي فَإِنَّ بِي تَقْتُلُ جَالُوتَ. فَأَخَذَهُ، ثُمَّ حَجَرٌ آخَرُ كَذَلِكَ، ثُمَّ آخَرُ كَذَلِكَ، فَأَخَذَ الثَّلَاثَةَ فِي مِخْلَاتِهِ، فَلَمَّا تَوَاجَهَ الصَّفَّانِ، بَرَزَ جَالُوتُ وَدَعَا إِلَى نَفْسِهِ، فَتَقَدَّمَ إِلَيْهِ دَاوُدُ، فَقَالَ لَهُ: ارْجِعْ، فَإِنِّي أَكْرَهُ قَتْلَكَ. فَقَالَ: لَكِنِّي أُحِبُّ قَتْلَكَ. وَأَخَذَ تِلْكَ الْأَحْجَارَ الثَّلَاثَةَ مِنْ مِخْلَاتِهِ فَوَضَعَهَا فِي الْقَذَّافَةِ ثُمَّ أَدَارَهَا، فَصَارَتِ الثَّلَاثَةُ حَجَرًا وَاحِدًا، ثُمَّ رَمَى بِهَا جَالُوتَ فَفَلَقَ رَأَسَهُ، وَفَرَّ جَيْشُهُ مُنْهَزِمًا، فَوَفَّى لَهُ طَالُوتُ بِمَا وَعَدَهُ; فَزَوَّجَهُ ابْنَتَهُ وَأَجْرَى حُكْمَهُ فِي مُلْكِهِ، وَعَظُمَ دَاوُدُ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، عِنْدَ بَنِي إِسْرَائِيلَ، وَأَحَبُّوهُ وَمَالُوا إِلَيْهِ أَكْثَرَ مِنْ طَالُوتَ، فَذَكَرُوا أَنَّ طَالُوتَ حَسَدَهُ وَأَرَادَ قَتْلَهُ، وَاحْتَالَ عَلَى ذَلِكَ، فَلَمْ يَصِلْ إِلَيْهِ، وَجَعَلَ الْعُلَمَاءُ يَنْهَوْنَ طَالُوتَ عَنْ قَتْلِ دَاوُدَ، فَتَسَلَّطَ عَلَيْهِمْ فَقَتَلَهُمْ، حَتَّى لَمْ يَبْقَ مِنْهُمْ إِلَّا الْقَلِيلُ، ثُمَّ حَصَلَ لَهُ تَوْبَةٌ وَنَدَمٌ وَإِقْلَاعٌ عَمَّا سَلَفَ مِنْهُ، وَجَعَلَ يُكْثِرُ مِنَ الْبُكَاءِ،
পৃষ্ঠা - ৮১২
ষ্ষ্


তেরজন পুত্র ৷ সকলেই আল্লাহর পথে জিহাদ করতে থাকেন এবং জিহাদের ময়দানেই
শাহাদত বরণ করেন ৷ মুফাসৃসিরগণ লিখেন, এদিকে ইঙ্গিত করেই আল্লাহ হযরত দাউদ (আ)
প্রসংগে বলেছেন :
স্শ্শ্ ;, স্শ্শ্শ্
৷ ণ্থ্রে ৷ এ ৷ ,
(আল্লাহ তাকে কর্তৃতু ও হিকমত দান করলেন এবং যা তিনি ইচ্ছে করলেন তা তাকে
শিক্ষা দিলেন) ৷ ইবন জারীর তীর ইতিহাস গ্রন্থে সুদ্দীর সুত্রে উপরোক্ত তথ্য লিখেছেন ৷ কিন্তু
এ বিবরণের কয়েকটি দিক আপত্তিকর এবং আদৌ সমর্থনযােগ্য নয় ৷

মুহাম্মদ ইবন ইসহাক লিখেছেন, যেই নবী কবর থেকে জীবিত উঠে তালুতকে তওবার
পদ্ধতি বলে দিয়েছিলেন, সেই নবীর নাম আল-য়াসায়া ইবন আখঃতুর ৷ ইবন জারীরও তীর
গ্রন্থে এ কথা উদ্ধৃত করেছেন ৷ ছালাবী বলেছেন, উল্লেখিত মহিলা তালুতকে শামুয়েল নবীর
কবরের কাছে নিয়ে এসেছিলেন ৷ তার মৃত্যুর পর তালুত যে সব অপকর্ম করেছিলেন, যে
জন্যে তিনি তাকে তিরস্কার করেন ৷ ছালাবীর এ ব্যাখ্যাই অধিকতর সঙ্গত ৷ তাছাড়া তালুতের
সাথে নবীর সাক্ষাৎ ও কথোপকথনের ব্যাপারটি সম্ভবত স্বপ্নের মধ্যে সংঘটিত হয়েছিল,
কবর থেকে পুনর্জীৰিত হয়ে নয় ৷ কেননা এ জাতীয় কাজের প্রকাশ পাওয়া নবীদের মুজিযা
বিশেষ ৷ কিন্তু ঐ মহিলা তো আর নবী ছিলেন না ৷ তাওরাতের অনুসারীদের ধারণা মতে,
লুতের রাজতৃ প্রাপ্তি থেকে জিহাদের ময়দানে পুত্রদের সাথে তার মৃত্যু পর্যন্ত মোট সময় ছিল
চল্লিশ বছর ৷


وَيَخْرُجُ إِلَى الْجَبَّانَةِ فَيَبْكِي حَتَّى يَبُلَّ الثَّرَى بِدُمُوعِهِ، فَنُودِيَ ذَاتَ يَوْمٍ مِنَ الْجَبَّانَةِ: أَنْ يَا طَالُوتُ، قَتَلْتَنَا وَنَحْنُ أَحْيَاءٌ، وَآذَيْتَنَا وَنَحْنُ أَمْوَاتٌ. فَازْدَادَ لِذَلِكَ بُكَاؤُهُ وَخَوْفُهُ، وَاشْتَدَّ وَجَلُهُ، ثُمَّ جَعَلَ يَسْأَلُ عَنْ عَالِمٍ يَسْأَلُهُ عَنْ أَمْرِهِ، وَهَلْ لَهُ مِنْ تَوْبَةٍ، فَقِيلَ لَهُ: وَهَلْ أَبْقَيْتَ عَالِمًا؟ حَتَّى دُلَّ عَلَى امْرَأَةٍ مِنَ الْعَابِدَاتِ، فَأَخَذَتْهُ فَذَهَبَتْ بِهِ إِلَى قَبْرِ يُوشَعَ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، قَالُوا: فَدَعَتِ اللَّهَ فَقَامَ يُوشَعُ مِنْ قَبْرِهِ، فَقَالَ: أَقَامَتِ الْقِيَامَةُ؟ فَقَالَتْ: لَا وَلَكِنَّ هَذَا طَالُوتُ يَسْأَلُكَ: هَلْ لَهُ مِنْ تَوْبَةٍ؟ فَقَالَ: نَعَمْ، يَنْخَلِعُ مِنَ الْمُلْكِ، وَيَذْهَبُ فَيُقَاتِلُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ حَتَّى يُقْتَلَ. ثُمَّ عَادَ مَيِّتًا. فَتَرَكَ الْمُلْكَ لِدَاوُدَ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَذَهَبَ وَمَعَهُ ثَلَاثَةَ عَشَرَ مِنْ أَوْلَادِهِ، فَقَاتَلُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ حَتَّى قُتِلُوا. قَالُوا: فَذَلِكَ قَوْلُهُ تَعَالَى: {وَآتَاهُ اللَّهُ الْمُلْكَ وَالْحِكْمَةَ وَعَلَّمَهُ مِمَّا يَشَاءُ} [البقرة: 251] هَكَذَا ذَكَرَهُ ابْنُ جَرِيرٍ فِي " تَارِيخِهِ " مِنْ طَرِيقِ السُّدِّيِّ بِإِسْنَادِهِ. وَفِي بَعْضِ هَذَا نَظَرٌ وَنَكَارَةٌ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: النَّبِيُّ الَّذِي بُعِثَ فَأَخْبَرَ طَالُوتَ بِتَوْبَتِهِ، هُوَ الْيَسَعُ بْنُ أَخْطُوبَ. حَكَاهُ ابْنُ جَرِيرٍ أَيْضًا. وَذَكَرَ الثَّعْلَبِيُّ أَنَّهَا أَتَتْ بِهِ إِلَى قَبْرِ أَشْمَوِيلَ، فَعَاتَبَهُ عَلَى مَا صَنَعَ بَعْدَهُ مِنَ الْأُمُورِ. وَهَذَا أَنْسَبُ. وَلَعَلَّهُ إِنَّمَا رَآهُ فِي النَّوْمِ، لَا أَنَّهُ قَامَ مِنَ الْقَبْرِ حَيًّا; فَإِنَّ هَذَا إِنَّمَا يَكُونُ مُعْجِزَةً لِنَبِيٍّ، وَتِلْكَ الْمَرْأَةُ لَمْ
পৃষ্ঠা - ৮১৩
تَكُنْ نَبِيَّةً. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَزَعَمَ أَهْلُ التَّوْرَاةِ أَنَّ مُدَّةَ مُلْكِ طَالُوتَ إِلَى أَنْ قُتِلَ مَعَ أَوْلَادِهِ، كَانَتْ أَرْبَعِينَ سَنَةً. فَاللَّهُ أَعْلَمُ.