আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة سبع وثلاثين ومائة

ترجمة أبي مسلم الخراساني

পৃষ্ঠা - ৭৯২৯


করলেন, তখন তিনি তার বিষয়ে হতবুদ্ধি হয়ে পড়লেন একথা ভেবে যে, তিনি কি এ বিষয়ে

কারো পরামর্শ চাইবেন নাকি এককভা যে তা কার্যকর করবেন যাতে বিষয়টি প্রচার র-প্রসার লাভ না
করে ৷ এরপর তিনি তার এক ও হিতাকা ক্তফী জনৈক সহচরের কাছে পরামর্শ চাইলেন ৷ তখন
তিনি বললেন, হে আমীরুল মু’মিনীন ! আল্লাহ্তাআল৷ বলেছেন ৰু৷ ইগ্লু৷ ৷ ৷গ্রা;প্ £,($ টু

শ্শ্শ্শ্শ্

ধ্বংস হয়ে যেত (সুরা আম্বিয়াং ২২)”৷ তখন তিনি তাকে বললেন, তুমি আল্লাহর এই বাণীকে
এক সংরক্ষণক৷ ৷রী কর্ণের গোচরে এনেছ ৷ এরপর তিনি এ বিষয়ে সং কল্পবদ্ধ হলেন ৷

আবু মুসলিম খুরাসানীর জীবন চরিত

তিনি হলেন আব্বাসীয় সাম্রাজোর বিশিষ্ট ব্যক্তিতু আবু মুসলিম আবদুর রহমান ইবন
মুসলিম ৷৩ তাকে রাসুল পরিবারের আমীরও বলা হয় ৷ খতীব (বাগদ ৷দী) বলেন, তার নাম আবদুর
রহমান ইবন শায়রুন ইবন ইসফ৷ নদিয়া ৷র আবু মুসলিম আল লমার ওয়াযী ৷ আব্বাসীয় সাম্রাজ্যের
বিশিষ্ট ব্যক্তি ৷ তিনি রিওয়ায়াত করেছেন আবু যুবায়র, ছাবিত আল-বুনানী, ইবরাহীম ইবন মুহাম্মাদ
ইবন আলী ইবন আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস এবং আবদুল্লাহ ইবন মুহাম্মাদ ইবন আলী ইবন আবদুল্লাহ
ইবন আব্বাস থেকে ৷ ইবন আসাকির অবশ্য তার শায়খদের মাঝে মুহাম্মাদ ইবন আলী, আবদুর
রহমান ইবন হারমাল৷ এবং ইবন আব্বাসের মাওলা ইকবিমাকে উল্লেখ করেছেন ৷ ইবন আসাকির
বলেন, আবু মুসলিম থেকে রিওয়ায়াত করেছেন ইবরাহীম ইবন মায়মুন, মুসআব ইবন বিশরের
পিতা বিশর , আবদুল্লাহ ইবন শুররুম৷ , আবদুল্লাহ ইবন মুবারক , আবদুল্লাহ ইবন মুনীর
আল-মারওয়াযী এবং আবু মুসলিমের জামাতা কুদায়দ ইবন মানী ৷

খতীব বাগদাদী বলেন, আবু মুসলিম ছিলেন বিচক্ষণ বুদ্ধিমান, পবিচালন-কুশলী, আত্মপ্রত্যয়ী
ও দুঃসাহসী ৷ খলীফ৷ আবুজাফর মানসুর তাকে মাদায়িনে হত্যা করেন ৷ আবু নাঈম ইস্পাহানী
তা তার তারীখে ইস্পাহানে’ বলেন, তার নাম ছিল আবদুর রহমান ইবন উছুমান ইবন ইয়াসার ইবন
সুনদুস ইবন হাওয়াওয়ান ৷ তিনি ছিলেন বাঘৃরা জামহারের বং শধর ৷ তার উপনাম ছিল আবু
ইসহাক ৷ আর তিনি কুফায় লালিত পালিত হন ৷৩ তার পিতা মৃত্যুকালে৩ তাকে ঈস৷ ইবন মুসা
আসৃ স-াররাজের দায়িত্বে অর্পণ করে যান ৷ তিনি তখন তাকে সাত বছর বয়সে কুফ৷ য় নিয়ে
আসেন ৷ এরপর ইমাম ইবরাহীম ইবন মুহাম্মাদ যখন তাকে খুরাসানে প্রেরণ করেন, তখন তিনি
তাকে বলেন, (তামার নাম উপনাম সব পরিবর্তন করে ফেল ৷ তখন তিনি আবদুর রহমান ইবন
মুসলিম নাম গ্রহণ করেন এবং আবু মুসলিম উপনাম ধারণ করেন ৷ এরপর সতের বছর বয়সে
একটি পাধার পিঠে আরোহণ করে তিনি খুরাসান অভিমুখে রওনা হন ৷ এসময় ইবরাহীম ইবন
মুহাম্মাদ তাকে পথ খরচ প্রদান করেন ৷ এইভাবে অতিসাধারণ অবস্থায় তিনি খুরাসানে প্রবেশ
করেন ৷ এরপর কালক্রমে অবস্থার পরিবর্তন ঘটে এবং অবু মুসলিম গোটা খুরাসান অঞ্চলের
একক শাসন কর্তৃভ্রুতুর অধিকারী হন ৷ বর্ণিত আছে যে, তার খুরাসান যাওয়ার পথে কোন এক
পানশাল ৷র এক ব্যক্তি স্পর্ধ৷ দেখিয়ে তার গাধার লেজ কেটে দেয় ৷ পরবর্তীতে আবু মুসলিম যখন
কর্তৃতৃ লাভ করেন তখন তিনি সে স্থানকে ধুলিসাৎ করে দেন ফলে তা বিরাণ হয়ে যায় ৷ কোন
:কান ঐতিহাসিক উল্লেখ করেছেন যে, শৈশ ৷রে তিনি যুদ্ধ বন্দী হন ৷ এসময় আব্বাসীয় সাম্রাজ্যের


فَأَلْقَتْ عَصَاهَا وَاسْتَقَرَّ بِهَا النَّوَى ... كَمًّا قَرَّ عَيْنًا بِالْإِيَابِ الْمُسَافِرُ وَذَكَرَ الْقَاضِي ابْنُ خِلِّكَانَ أَنَّ الْمَنْصُورَ لَمَّا عَزَمَ عَلَى قَتْلِ أَبِي مُسْلِمٍ تَحَيَّرَ فِي أَمْرِهِ; هَلْ يَسْتَشِيرُ أَحَدًا فِي ذَلِكَ أَوْ يَسْتَبِدُّ هُوَ بِرَأْيِهِ; لِئَلَّا يَشِيعَ وَيَنْتَشِرَ، ثُمَّ إِنَّهُ اسْتَشَارَ وَاحِدًا مِنْ نُصَحَائِهِ فِي قَتْلِ أَبِي مُسْلِمٍ فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {لَوْ كَانَ فِيهِمَا آلِهَةٌ إِلَّا اللَّهُ لَفَسَدَتَا} [الأنبياء: 22] . فَقَالَ لَهُ: لَقَدْ أَوْدَعْتَهَا أُذُنًا وَاعِيَةً. ثُمَّ عَزَمَ عَلَى ذَلِكَ. [تَرْجَمَةُ أَبِي مُسْلِمٍ الْخُرَاسَانِيِّ] وَهَذِهِ تَرْجَمَةُ أَبِي مُسْلِمٍ الْخُرَاسَانِيِّ هُوَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مُسْلِمٍ، أَبُو مُسْلِمٍ صَاحِبُ دَوْلَةِ - وَيُقَالُ: دَعْوَةِ - بَنِي الْعَبَّاسِ، وَكَانَ يُقَالُ لَهُ: أَمِينُ آلِ بَيْتِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَقَالَ الْخَطِيبُ الْبَغْدَادِيُّ: عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مُسْلِمِ بْنِ سَنْفِيرُونَ بْنِ أَسْفَنْدِيَارَ، أَبُو مُسْلِمٍ الْمَرْوَزِيُّ، صَاحِبُ الدَّوْلَةِ الْعَبَّاسِيَّةِ، يَرْوِي عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ وَثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ وَإِبْرَاهِيمَ وَعَبْدِ اللَّهِ ابْنَيْ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ. زَادَ ابْنُ عَسَاكِرَ فِي شُيُوخِهِ مُحَمَّدَ بْنَ عَلِيٍّ، وَعَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ حَرْمَلَةَ، وَعِكْرِمَةَ مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ. قَالَ ابْنُ عَسَاكِرَ: رَوَى عَنْهُ إِبْرَاهِيمُ بْنُ
পৃষ্ঠা - ৭৯৩০


জনৈক প্রচা রক তাকে চ ৷রশ দিরহামে খবিদ করে নেয় ৷ এরপর ইমাম ইব্রাহীম ইবন মুহাম্মাদ
চেয়ে নিয়ে তাকে খবিদ করেন ৷ খনত থেবেইি তিনি তার পরিচয়ে পরিচিত হন ৷ এছাড়া
ইব্রাহীম তাকে আবুনৃ নাজাম ইসমাঈল আত্-ত ৷ঈ এর কন্যার সাথে বিবাহ দেন, যিনি ছিলেন
তাদের সম্রাজ্যের প্রচা রক ৷ তিনি যখন তাকে খুরাসানে প্রেরণ করেন, তখন তার ত্রীকে তার পক্ষ
থেকে চারশ দিরহাম মােহর প্রদান করেন ৷ তার এই শ্রী তার ঔরসে দুই কন্যা প্রসব করেন তার
একজন হল আসমা বিনৃত আবু মুসলিম যিনি সম্ভানবতী ছিলেন ৷ আর অন্যজন ফাতিম৷ যার কোন
সন্তান ছিল না ৷
একশ উানত্রিশ হিজরীর আলোচনায় আবুমুসলিমের খুরাসানের কতৃতু লাভের অবস্থা এবং
কিতা ৷বে তিনি বনু আব্বাসের পক্ষে প্রচার প্রচারণার তৎপর হয়েছিলেন তা উল্লিখিত হয়েছে ৷ আর
আবু মুসলিম ছিলেন সমীহ উদ্রেককারী সাহসী বীর এবং তুবিৎ সিদ্ধ৷ ৷ত ব ৷স্তবায়নক৷ ৷রী ৷ ইবন
আসাকিরত তার ৷নিজস্ব সনদে বিওয়ায়াত করেছেন যে (একবার) আবু মুসলিম যখন খুৎব৷ প্রদান
করছিলেন তখন এক ব্যক্তি তার দিকে অগ্রসর হয়ে বলল, এই কা ল পরিধেয় যা ৷আপনি পরিধান
করেছেন তার তাৎপর্য কী ? খনত তিনি বললেন, আমাকে আবু যুবায়র জা ৷বির ইবন আবদুল্লাহ
থেকে বর্ণনা করেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) পবিত্র মক্কা বিজয়ের দিন তার মাথায় কাল পাগড়ি
পরিধান করেছিলেন ৷ আর এটা অবস্থা নির্দেশক পরিধেয় এবং কর্তৃতু প্রকাশ পরিধেয় ৷ কে আছ,
৷ তার গর্দান উড়িয়ে দাও ৷ আর আবদুল্লা হ্ ইবন মুনীবের হ৷ ৷দীছ সংগ্রহ থেকে বর্ণিত অ ৷ছে, মুহাম্মাদ
ইবন আলী সুত্রে আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস থেকে ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেনং : ১

ষ্;া৷ ৷ ম্বু;£ ৷ £,:;,: ;, ৷প্ ৷ ৷ ৷ যে ব্যক্তি কুরায়শে র অপদন্থতা চা ৷ইবে আল্লাহ তাকে অপদস্থ
করবেন ৷ আব্বাসীয় সাম্রাজ্যের প্রচারকালে অলঙ্কার নির্মাতা-কর্মকার-স্বর্ণকার ইব্রাহীম ইবন
মায়মুন তার সঙ্গী ও সহচর ছিল ৷ তিনি তাকে প্রতিশ্রুতি দিতেন যে, কততু লাভ করলে তিনি
শরীআত নির্ধারিত শ্ ৷৷স্তির বিধান কার্যকর করবেন ৷ এরপর আবু মুসলিম যখন কর্তৃতু লাভ করেন
তখন ইব্রাহীম ইবন মায়মুনত তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা র জন্য তাকে পীড়৷ পীড়ি করেন এমনকি তাকে
ব্বিত ও অস্থির করে ফেলেন ৷ তখন আবু মুসলিম তাকে হত্যা র ৷নির্দো৷ ৷প্রদান করেন এবংত তাকে
বলেন, কেন তুমি নাসর ইবন সায়্যারকে তিরস্কার করতে না অথচ সে স্বর্ণ নির্মিত সুরা প৷ ৷ত্র তৈরি
করে তা বনু উমায়্যার কাছে পাঠাত ৷ তখন তিনি বলেন, তারা তে৷ আমাকে তাদের নিকট
সান্নিধ্যে গ্রহণ করেনি এবং আমাকে ঐ প্রতিশ্রুতিও প্রদান করেনি যে প্রতিশ্রুতি আপনি আমাকে
প্রদান করেছেন ৷ কোন কোন ঐতিহাসিকের মতে এই ইব্রাহীম ইবন মায়মুন তার সৎ কাজের
আদেশ ও অসৎ কা জে নিষেধের বিষয়ে ধৈর্যধারণের কারণে জান্নাতে উচ্চ মর্যাদার অধিকারী
হবেন ৷ কেননা, তিনি এ বিষয়ে তৎপর ও নিষ্ঠাবান ছিলেন ৷ কিন্তু আবু মুসলিম তাকে হত্যা
করেন ৷ আল্লাহ তাকে রহম করুন ৷
ইতিপুর্বে আমরা আবু মুসিলম কর্তৃক সাফ্ফাহ্-এর আনুগত্য এবং৩ ৷ ৷র নির্দোশর ফরমান
পালনে তার গুরুতৃ আরোপের কথা উল্লেখ করেছি ৷ কিন্তু এরপর যখন খিলাফতের কর্ততৃ
মানসুর লাভ করলেন ৷ তখন তিনি তাকে তৃচ্ছজ্ঞান করলেন ৷ এসত্বেও খলীফা মানসুর আবু
মুসলিমকে তার চাচা আবদুল্লাহ্র বিরুদ্ধে শামে প্রেরণ করেছিলেন ৷ তখন আবু মুসলিম তাকে
পরাজিত ও বিপর্যস্ত করে তার থেকে শামের কর্তৃতু উদ্ধার করে তাকে মানসুরের কর্তৃতৃাধীন


مَيْمُونٍ الصَّائِغُ، وَبِشْرٌ وَالِدُ مُصْعَبِ بْنِ بِشْرٍ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ شُبْرُمَةَ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُنِيبٍ الْمَرْوَزِيُّ، وَقُدَيْدُ بْنُ مَنِيعٍ صِهْرُ أَبِي مُسْلِمٍ. قَالَ الْخَطِيبُ: وَكَانَ فَاتِكًا، شُجَاعًا، ذَا رَأْيٍ وَعَقْلٍ وَتَدْبِيرٍ وَحَزْمٍ. وَقَتَلَهُ أَبُو جَعْفَرٍ الْمَنْصُورُ بِالْمَدَائِنِ. وَقَالَ أَبُو نُعَيْمٍ الْأَصْبَهَانِيُّ فِي " تَارِيخِ أَصْبَهَانَ ": كَانَ اسْمُهُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عُثْمَانَ بْنِ يَسَارٍ. قِيلَ: إِنَّهُ وُلِدَ بِأَصْبَهَانَ. وَرَوَى عَنِ السُّدِّيِّ وَغَيْرِهِ. وَقَالَ بَعْضُ الْحُفَّاظِ: كَانَ اسْمُ أَبِي مُسْلِمٍ - صَاحِبِ الدَّعْوَةِ - إِبْرَاهِيمَ بْنَ عُثْمَانَ بْنِ يَسَارِ بْنِ شِيدُوسَ بْنِ جُودِرْنَ، مِنْ وَلَدِ بُزُرْجَمُهْرَ، وَكَانَ يُكَنَّى أَبَا إِسْحَاقَ، وَوُلِدَ بِأَصْبَهَانَ، وَنَشَأَ بِالْكُوفَةِ، وَكَانَ أَبُوهُ أَوْصَى إِلَى عِيسَى بْنِ مُوسَى السَّرَّاجِ، فَحَمَلَهُ إِلَى الْكُوفَةِ، وَهُوَ ابْنُ سَبْعِ سِنِينَ، فَلَمَّا بَعَثَهُ إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدٍ إِلَى خُرَاسَانَ قَالَ لَهُ: غَيِّرِ اسْمَكَ وَكُنْيَتَكَ. فَتَسَمَّى بِعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مُسْلِمٍ، وَاكْتَنَى بِأَبِي مُسْلِمٍ، فَسَارَ إِلَى خُرَاسَانَ وَهُوَ ابْنُ تِسْعَ عَشْرَةَ سَنَةً
পৃষ্ঠা - ৭৯৩১


করেছিলেন ৷৩ তারপর তিনি নিজেকে খলীফ৷ মানসুরের চেয়ে বড় ভেবে তাকে হত্যা করতে
উদ্যত হন ৷ তখন মানসুর তা ৷অনৃভব করতে পারেন ৷ এছাড়া তিনি পুর্ব থেকেই তার প্রতি বিদ্বেষ
পোষণ করতেন, ফলে তিনি তার ভাই সাফফাহ্কে একাধিকবার অ ৷বু মুসলিমকে হত্যা করার
পরামর্শ দেন, যেমন পুর্বে বর্ণিত হয়েছে ৷ কিন্তু সাফফাহ্৩ তা করতে অস্বীকৃতি জা নান ৷ এরপর
মানসুর যখন খিলাফতের দায়িতৃ গ্রহণ করেন তখন থেকে তিনি কৌশলে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র
করতে থাকেন ৷ অবশেষে তিনি যখন তার সাক্ষাতে আগমন করেন তখন তিনি তাকে হত্যা
করেন ৷ কোন কে ন ঐতিহাসিক বলেন, খলীফ৷ মানসুর আবু মুসলিমের কাছে লিখেন-
পরসমাচার হল আল্লাহর নাফরমা নৌ ও অবাধ্য৩ ৷ হৃদয়ে মরিচ! ধরায় এবং তা মােহর করে দেয় ৷
কাল্কইে, হে উদভ্রাম্ভ ব্যক্তি ! সং ×রক্ষণক৷ ৷রী হও ! হে নেশাগ্রস্ত ! সজ ৷গ হও ! হে নিদ্রিত ব্যক্তি

জাগ্রত হও ৷ তুমি ৫৩ ৷ অলীক স্বপ্নে বিভাে ৷র ৷ তুমি তো এমন পার্থিব জগতের অতরালে যা

তোমার পুর্ববর্তীদের প্রতা ৷রিত করেছে এবং বিগতরা তার বিষক্রিয়ায় আক্রাম্ভ হয়েছে ৷ র্টুট্রু১


৷ (তুমি কি তাদের কা ৷উকে দেখতে পাও অথবা
ক্ষীণতম শব্দ শুনতে পাও (সুরা মারয়াম৪ ৯৮) ৷ আর কোন পলায়নকারী আল্লাহ্কে অক্ষম
করতে পারে না এবং তার অনুসন্ধানের পাত্র তার হাতছাড়৷ হতে পা ৷রে না ৷ কাজেই আমার যে
সফল প্রাক্তন আহ্বায়ক ও প্রচারক তোমার সাথে রয়েছে তাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে! না ৷ তারা
যেন তোমার সাথে ৷ত্রুর বিরুদ্ধে আক্রমণের পর৫ তামার উপর আক্রমণ করেছে ৷ তুমি যদি

আনুগত্য প্রত্যাহার কর, মুসলমানদের জামাআত থেকে বিচ্ছিন্ন হও তাহলে আল্লাহর পক্ষ থেকে
তুমি এমন পরিণতির সম্মুখীন হবে যা তোমার ধারণাভীত ৷ ধীরে ! ধীরে ! হে আবুমুসলিম !
বিদ্রোহ করা থেকে সতর্ক হও ৷ কেননা, যে বিদ্রোহ করে এবং সীমালঙ্ঘন করে আল্লাহ তার
থেকে নিঃসম্পর্ক হয়ে যান ৷ তখন তিনি তার বিরুদ্ধে এমন ব্যক্তিকে সাহায্য করেন যে তাকে
ধরাশায়ী করে ৷ পুর্ববর্তীদের মাঝে অনুসৃত প্রথার শিকার হওয়া থেকে এবং পররত্মীদর জন্য
দৃষ্টা ত্তমুলক বিষয় হওয়া থেকে সতর্ক হও ৷ প্রমাণ সাব্যস্ত হয়েছে এবং আমি তোমার কাছে এবং
তোমার ব্যাপারে আমার অনুপতদের কাছে আমার ৩াজুহ ত তুলে ধরছি ৷ আল্লাহ তাআল লা বলেন :

শ্শ্শ্শ্শ্

ট্রু) শ্প্লু ৷;৷ ৷ ষ্ব্লু
“তাদেরকে ঐ ব্যক্তির বৃত্তান্ত পড়ে পােনাও যাকে আমি দিয়েছিলাম আমার নিদর্শন ৷ এরপর
সে তাকে বর্জন করে ও শয়তান তার পিছনে লাগে, আর সে বিপথপামীর অন্তর্ভুক্ত হয়” (সুরা
আরাফ : ১ ৭৫) ৷
আবু মুসলিম তখন এর উত্তরে লেখেন, পর কথা হল, আমি আপনার প্রেরিত পত্র পাঠ
করেছি ৷ আমি মনে করি তাতে আপনি যথার্থতাকে পাশ কাটিয়েছেন এবং সত্য থেকে বিচ্যুত
হয়েছেন ৷ যেখানে আপনি অনুপযুক্ত ক্ষেত্রে দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করেছেন এবং কাফিরদের প্রসঙ্গে
নাযিলকৃত কতিপয় আয়াত লিপিবদ্ধ করেছেন ৷ আর জ্ঞানবান ও জ্ঞানহীন বরাবর হতে পারে না ৷
আল্লাহর কসম ! আমি আল্লাহর আয়াতসমুহ পরিত্যাগ করিনি ৷ কিন্তু, হে আবদুল্লাহ ইবন মুহাম্মদ!
আমি আপনাদের ব্যাপারে কুরআনের কতিপয় আয়াতকে ব্যাখ্যা করে তা দ্বারা আপনাদের

আল-বিদায়৷ ওয়ান নিহায়া ( ১ :ম খগু) ১ ৭


رَاكِبًا عَلَى حِمَارٍ بِإِكَافٍ، وَأَعْطَاهُ إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدٍ نَفَقَةً مِنْ عِنْدِهِ، فَرَحَلَ إِلَى خُرَاسَانَ وَهُوَ كَذَلِكَ، ثُمَّ آلَ بِهِ الْحَالُ حَتَّى صَارَتْ لَهُ خُرَاسَانُ بِأَزِمَّتِهَا وَحَذَافِيرِهَا، وَذَكَرَ بَعْضُهُمْ أَنَّهُ فِي مُرُورِهِ إِلَى خُرَاسَانَ عَدَا رَجُلٌ فِي بَعْضِ الْخَانَاتِ عَلَى حِمَارِهِ، فَهَلَبَ ذَنَبَهُ، فَلَمَّا تَمَكَّنَ أَبُو مُسْلِمٍ وَحَكَمَ عَلَى ذَلِكَ الْمَوْضِعِ، جَعَلَهُ دَكًّا، فَكَانَ بَعْدَ ذَلِكَ خَرَابًا لَا يُسْكَنُ. وَذَكَرَ بَعْضُهُمْ أَنَّهُ أَصَابَهُ سِبَاءٌ فِي صِغَرِهِ، وَأَنَّهُ اشْتَرَاهُ بَعْضُ دُعَاةِ بَنِي الْعَبَّاسِ بِأَرْبَعِمِائَةِ دِرْهَمٍ، وَأَنَّ إِبْرَاهِيمَ بْنَ مُحَمَّدٍ الْإِمَامَ اسْتَوْهَبَهُ أَوِ اشْتَرَاهُ، فَانْتَمَى إِلَيْهِ، وَزَوَّجَهُ إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حِينَ بَعَثَهُ إِلَى خُرَاسَانَ، بِنْتَ أَبِي النَّجْمِ عِمْرَانَ بْنِ إِسْمَاعِيلَ الطَّائِيِّ، أَحَدِ دُعَاةِ بَنِي الْعَبَّاسِ، وَأَصْدَقَهَا عَنْهُ أَرْبَعَمِائَةِ دِرْهَمٍ، فَوُلِدَ لِأَبِي مُسْلِمٍ بِنْتَانِ; إِحْدَاهُمَا أَسْمَاءُ، أَعْقَبَتْ، وَفَاطِمَةُ، وَلَمْ تُعْقِبْ. وَقَدْ ذَكَرْنَا فِيمَا سَلَفَ مِنَ السِّنِينَ، كَيْفِيَّةَ اسْتِقْلَالِ أَبِي مُسْلِمٍ بِأُمُورِ خُرَاسَانَ فِي سَنَةِ تِسْعٍ وَعِشْرِينَ وَمِائَةٍ، وَنَشْرِهِ دَعْوَةَ بَنِي الْعَبَّاسِ. وَقَدْ كَانَ ذَا هَيْبَةٍ وَصَرَامَةٍ وَإِقْدَامٍ وَتَسَرُّعٍ; رَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ مِنْ طَرِيقِ مُصْعَبِ بْنِ بِشْرٍ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: قَامَ رَجُلٌ إِلَى أَبِي مُسْلِمٍ وَهُوَ يَخْطُبُ، فَقَالَ: مَا هَذَا السَّوَادُ الَّذِي أَرَى عَلَيْكَ؟ فَقَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَخَلَ» مَكَّةَ يَوْمَ الْفَتْحِ وَعَلَيْهِ عِمَامَةٌ سَوْدَاءُ. وَهَذِهِ ثِيَابُ الْهَيْبَةِ، وَثِيَابُ الدَّوْلَةِ. يَا غُلَامُ، اضْرِبْ عُنُقَهُ.
পৃষ্ঠা - ৭৯৩২
وَرَوَى مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُنِيبٍ، عَنْهُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ أَرَادَ هَوَانَ قُرَيْشٍ أَهَانَهُ اللَّهُ» . وَقَدْ كَانَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَيْمُونٍ الصَّائِغُ مِنْ أَصْحَابِهِ وَجُلَسَائِهِ فِي زَمَنِ الدَّعْوَةِ، وَكَانَ يَعِدُهُ إِذَا ظَهَرَ أَنْ يُقِيمَ الْحُدُودَ وَالْعَدْلَ، فَلَمَّا تَمَكَّنَ أَبُو مُسْلِمٍ مَا زَالَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَيْمُونٍ يُلِحُّ عَلَيْهِ فِي الْقِيَامِ بِمَا وَعَدَهُ بِهِ حَتَّى أَحْرَجَهُ، فَضَرَبَ عُنُقَهُ بَعْدَمَا قَالَ لَهُ: هَلَّا كُنْتَ تُنْكِرُ عَلَى نَصْرِ بْنِ سَيَّارٍ وَهُوَ يَعْمَلُ أَوَانِيَ الْخَمْرِ مِنَ الذَّهَبِ فَيَبْعَثُهَا إِلَى بَنِي أُمَيَّةَ؟ ! فَقَالَ لَهُ: إِنَّ أُولَئِكَ لَمْ يَعِدُونِي مِنْ أَنْفُسِهِمْ مَا وَعَدْتَنِي أَنْتَ. وَقَدْ رَأَى بَعْضُهُمْ فِي الْمَنَامِ لِإِبْرَاهِيمَ مَنَازِلَ عَالِيَةً فِي الْجَنَّةِ; بِصَبْرِهِ عَلَى الْأَمْرِ بِالْمَعْرُوفِ وَالنَّهْيِ عَنِ الْمُنْكَرِ، رَحِمَهُ اللَّهُ. وَقَدْ ذَكَرْنَا مَا اعْتَمَدَهُ أَبُو مُسْلِمٍ فِي أَيَّامِ السَّفَّاحِ مِنَ الطَّاعَةِ الْأَكِيدَةِ لَهُ، وَالْمُبَادَرَةِ إِلَى أَوَامِرِهِ، وَامْتِثَالِ مَرَاسِيمِهِ، ثُمَّ لَمَّا صَارَ الْأَمْرُ إِلَى الْمَنْصُورِ اسْتَخَفَّ بِهِ وَاحْتَقَرَهُ، وَمَعَ هَذَا كَسَرَ عَمَّهُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَلِيٍّ حِينَ دَعَا إِلَى نَفْسِهِ بِالشَّامِ، فَاسْتَنْقَذَهَا مِنْهُ وَرَدَّهَا إِلَى حُكْمِ الْمَنْصُورِ، ثُمَّ شَمَخَتْ نَفْسُهُ عَلَى الْمَنْصُورِ، وَهَمَّ بِقَلْعِهِ، فَفَطِنَ لِذَلِكَ الْمَنْصُورُ مَعَ مَا كَانَ مُبْطِنًا لَهُ مِنَ الْبِغْضَةِ، وَقَدْ سَأَلَ أَخَاهُ السَّفَّاحَ غَيْرَ مَرَّةٍ أَنْ يَقْتُلَهُ فَيَصْدِفَ عَنْ ذَلِكَ، وَذَكَرْنَا أَيْضًا مَا كَانَ مِنْ أَمْرِ أَبِي مُسْلِمٍ وَالْمَنْصُورِ مِنَ الْمُرَاسَلَاتِ وَالْمُكَاتَبَاتِ، حِينَ اسْتَوْحَشَ مِنْهُ الْمَنْصُورُ وَاتَّهَمَهُ بِسُوءِ النِّيَّةِ، وَمَا زَالَ يُرَاسِلُهُ وَيَسْتَدْعِيهِ وَيَخْدَعُهُ وَيُمَاكِرُهُ حَتَّى اسْتَحْضَرَهُ
পৃষ্ঠা - ৭৯৩৩


অনুকুলে শাসন কর্তৃতু ও আমার আনুগত্যকে অপরিহার্য গণ্য করেছি ৷ এর ফলে আমি তাকে
পুর্ণতা প্রদান করেছি ৷ আপনার পুর্বে আপনার দুই ভাই দ্বারা ৷ তারপর আপনার দ্বারা ৷ তাই আমি
ছিলাম তাদের দুজনের এক ভ অনুগত অনুসারী ৷ এসময় নিজেকে আমি সুপথপ্রাপ্ত ও সুপথ
প্রদর্শক ভাব৩াম ৷ কিন্তু আসলে আমি কুরআনের আয়াত ব্যাথ্যায় ভুলের শিকার ছিলাম ৷ আর
ইতিপুর্বেও কুরআনের আয়া ৷ত ব্যাথ্যাক৷ ৷রীব৷ ভুলের শিকা ৷র হয়েছেন ৷ আর স্বয়ংঅ অ ৷ল্লাহ্ তাঅ আ ৷ই
ইরশাদ করেছেনং

ৰুৰুছু ;পু’; ন্হ্রর্দু ঠু পুৰুদ্বু ন্ধুট্রু এহু ণ্ব্লুর্চুাব্লুণ্ ৷ট্রু:া;ার্চ ;,ঠুছুৰুট্রু,ঠু ;-,;fl ৷ এছু ৷ন্ ৷ ; ৷ ,

(,«

“যার৷ আমার আয়াতে ঈমান আনে তারা যখন তোমার নিকট আসে তখন তাদেরকে তৃ
বলো, তোমাদের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক ৷ তোমাদের প্রতিপা ৷লক দয়া করা তার কতব্য বলে স্থির
করেছেন ৷ তোমাদের মধ্যে কেউ অজ্ঞতাবশত যদি মন্দ কা জ করে তারপর তাওবা করে এবং
ৎশোধন করে তবে তো আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু ( সুরা আনআম : ৫৪ ) ৷”

আপনার ভাই সাফ্ফাহ্ বিভ্রান্ত হয়েও সুপথপ্রাপ্তের অবয়বে আত্মপ্রকাশ করল ৷ এরপর সে
আমাকে নির্দেশ দিল তরবারি কােষমুক্ত করতে, মন্দ ধারণাবশত নরহত্য৷ করতে এবং সংশয়যুক্ত
ক্ষেত্রে অগ্রসর হতে, দয়া ও অনুগ্রহ অপসারণ করতে এবং পদস্থালন ক্ষমা না করতে ৷ তখন
আমি আপনার আনুগত্যের খাতিরে এবং আপনাদের শাসন কর্তৃতু প্রতিষ্ঠাকরণার্থে তামাম
দৃনিয়াবাসীর অনিষ্ট সাধনে তৎপর হলাম এমনকি যার ফলে যার৷ আপনাদের সম্পর্কে অজ্ঞ ছিল
আল্লাহ তাদের কাছে আপনাদেরকে পরিচিত করলেন ৷ এরপর আল্লাহ্ তাআল৷ অনুতাপ
অনুশোচনা দ্বারা তা থেকে রক্ষা করলেন এবং তাওবা দ্বারা তা থেকে উদ্ধার করলেন ৷ কাংলৌ,
এখন যদি তিনি আমাকে ক্ষমা করেন এবং মার্জনার দৃষ্টিতে দেখেন তাহলে এ কারণে যে তিনি
তাওবাকারীদের ক্ষমা করে থাকেন ৷ আর যদি তিনি আমাকে শাস্তি প্রদান করেন তাহলে তা হবে
অপরাধের কারণে ৷ আল্লাহ্ তো কোন বান্দার প্রতি অবিচার করেন না ৷ আবু যুসলিমের এ পত্রের
উত্তরে খলীফ৷ মানসুর৩ তাকে লিখলেন, পরকথা হল, হে অবাধ্য অপরাধী ! আমার ভ ই সাফ্ফাহ্
ছিলেন হিদায়াতে র অপ্রপথিক ৷ তিনি তার প্রতিপালকের সুস্পষ্ট প্রমাণের ভিত্তিতে তার প্রতি
আহ্বান করতেন ৷ ফলে তিনি তোমা ৷র জন্য চলার পথকে সুস্পষ্ট করেছেন এবং তোমাকে সঠিক
পন্থায় পরিচালিত করেছেন ৷ তুমি যদি আমার ভাইয়ের প্রকৃত অনুসরণকারী হতে তাহলে
সত্য-বিচ্যুত হতে না এবং শয়তান ও তার নির্দেশ ৷বলীর অনুস৷ ৷রী হতে না ৷ কিন্তু, যখনই তোমার
সামনে দুটি বিষয় উপস্থিত হয়েছে তখনই তমি তার মধ্যে যেটি অধিক কল্যাণপ্রসু সেটি বর্জন
করেছে৷ এবং যেটি অধিক বিভ্রান্তিকর সেটির অনুসরণ করেছে৷ তমি ফিরআওনের ন্যায় নির্মম

বিশৃগ্রলাকারীদেয় ন্যায় ফায়সাল৷ করেছে৷ ৷ শাসন পরিচ৷ ৷লনা করেছে৷ ৷ অপচয়-অপব্যয় করেছে
এবং অপব্যয়কারীদের ন্যায় তা অন্থানে ব্যয় করেছে৷ ৷


فَقَتَلَهُ، كَمَا قَدَّمْنَا بَيَانَهُ. قَالَ بَعْضُهُمْ: كَتَبَ الْمَنْصُورُ إِلَى أَبِي مُسْلِمٍ: أَمَّا بَعْدُ، فَإِنَّهُ يَرِينُ عَلَى الْقُلُوبِ، وَتَطْبَعُ عَلَيْهَا الْمَعَاصِي، فَقَعْ أَيُّهَا الطَّائِرُ، وَأَفِقْ أَيُّهَا السَّكْرَانُ، وَانْتَبِهْ أَيُّهَا الْحَالِمُ، فَإِنَّكَ مَغْرُورٌ بِأَضْغَاثِ أَحْلَامٍ كَاذِبَةٍ، وَفِي بَرْزَخِ دُنْيَا قَدْ غَرَّتْ مَنْ قَبْلَكَ، وَسُمَّ بِهَا سَوَالِفُ الْقُرُونِ، {هَلْ تُحِسُّ مِنْهُمْ مِنْ أَحَدٍ أَوْ تَسْمَعُ لَهُمْ رِكْزًا} [مريم: 98] . وَإِنَّ اللَّهَ لَا يُعْجِزُهُ مَنْ هَرَبَ، وَلَا يَفُوتُهُ مَنْ طَلَبَ، وَلَا تَغْتَرَّ بِمَنْ مَعَكَ مِنْ شِيعَتِي وَأَهْلِ دَعْوَتِي، فَكَأَنَّهُمْ قَدْ صَاوَلُوكَ، إِنْ أَنْتَ خَلَعْتَ الطَّاعَةَ، وَفَارَقْتَ الْجَمَاعَةَ، بَدَا لَكَ مِنَ اللَّهِ مَا لَمْ تَكُنْ تَحْتَسِبُ، مَهْلًا مَهْلًا، احْذَرِ الْبَغْيَ أَبَا مُسْلِمٍ; فَإِنَّهُ مَنْ بَغَى وَاعْتَدَى تَخَلَّى اللَّهُ مِنْهُ، وَنَصَرَ عَلَيْهِ مَنْ يَصْرَعُهُ لِلْيَدَيْنِ وَالْفَمِ، وَاحْذَرْ أَنْ تَكُونَ سُنَّةً فِي الَّذِينَ قَدْ خَلَوْا مِنْ قَبْلُ، فَقَدْ قَامَتِ الْحُجَّةُ، وَأَعْذَرْتُ إِلَيْكَ وَإِلَى أَهْلِ طَاعَتِي فِيكَ. قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَاتْلُ عَلَيْهِمْ نَبَأَ الَّذِي آتَيْنَاهُ آيَاتِنَا فَانْسَلَخَ مِنْهَا فَأَتْبَعَهُ الشَّيْطَانُ فَكَانَ مِنَ الْغَاوِينَ} [الأعراف: 175] [الْأَعْرَافِ: 175] . فَأَجَابَهُ أَبُو مُسْلِمٍ: أَمَّا بَعْدُ; فَقَدْ قَرَأْتُ كِتَابَكَ، فَرَأَيْتُكَ فِيهِ لِلصَّوَابِ مُجَانِبًا، وَعَنِ الْحَقِّ حَائِدًا، إِذْ تَضْرِبُ فِيهِ الْأَمْثَالَ عَلَى غَيْرِ أَشْكَالِهَا، وَتَضْرِبُ فِيهِ
পৃষ্ঠা - ৭৯৩৪

হে দুরাচার ! এরপর শুনে নাও আমি মুসা ইবন কা বকে খুরাসানেব গভর্নর নিয়োগ করেছি
এবং তাকে নিশাপুরে অবস্থানের নির্দেশ দিয়েছি ৷ এরপর যদি তুমি খুরাসানের কর্তৃত্বের দাবী কর
তাহলে সে আমার সেনাপতি ও অনুসারীদের নিয়ে তোমার সাথে সাক্ষাৎ করবে ৷ আর আমি
নিজেও তোমার সাক্ষাতে তর জন্য উৎসাহী ৷ এখন তুমি৫ তামার ফন্দি আটো ৷ আল্লাহ তোমাকে
বিপথপামী ও ব্যর্থ করুন ৷ আর শুনে রাখ আমীরুল মু মিনীন ও তার অনুস৷ ৷রীদের জন্য আল্লাহ্ই
যথেষ্ট ৷ আর তিনি অতি উত্তম কর্ম বিধায়ক ৷
এভাবে খলীফ৷ মানসুর একবার কখনও তাকে আনুগত্যে আগ্রহী করে কখনও আনুগত্য
প্রত্যাহারে ভীতি প্রদর্শন করে তার সাথে পত্রালাপ করতে থাকেন এবং আবু মুসলিম তা ৷র যে
সকল বিচক্ষণ আমীর ও দুতগণকে মানসুরের কাছে প্রেরণ করেন তাদেরকে তার পক্ষে টানতে
থাকেন এবং বিভিন্ন লোভনীয় প্রতিশ্রুতি দিতে থাকেন ৷ অবশেষে তারা আবু মুসলিমের কাছে
মানসুরের দরবারে আগমনকে শ্যেভনীয় সাব্যস্ত করে ৷ শুধুমাত্র নায়যাক নামক আমীর এর
বিরোধিতা করেন, তিনি এ বিষয়ে একমত হননি ৷ কিন্তু তিনি যখন আবু মুসলিমকে সকলের
সিদ্ধান্তের অনৃগামী দেখেন তখন এই কবিতা পঙ্ক্তি আবৃত্তি করেন :

০শ্ং শ্ষ্ ) শ্ষ্ ; শ্শ্ ৰ্টণ্শ্শ্ ; শ্ শ্ষ্ শ্শ্ শ্£
ব্লুা ৰুও১া৷

“তাকদীরের বিরুদ্ধে মানুষের কো ন ৷উপায় নেই, তাকদীর লোকদের সকল প্ৰচেষ্টাকে ব্যর্থ
করে দেয়

এই আমীর নায়যাক তাকে পরামর্শ দেন মানসুরকে হত্যা করে তা ৷র পরিবর্তে অন্য কাউকে

খলীফ৷ ৷নিযুক্ত করতে ৷ কিন্তু তার পক্ষে তা সম্ভব হয়নি ৷ কেননা, তিনি যখন মাদ৷ য়িনে পৌছেন,
তখন খলীফ৷ ৷র নিদেশে আমীর-উমারাগণ তাকে অর্ভথ্যনা জানান ৷ এরপর তিনি সন্ধ্যাকালে
খলীফা ৷র দরবারে পৌছেন ৷ এদিকে খলীফার পত্র লিখক আবু আয়ুব্রব৩ তাকে পরামর্শ দিয়েছিলেন
তাকে সেদিন হত্যা না করতে যেমন পুর্বে বিগত হয়েছে ৷ এরপর আবুমুসলিম যখন খলীফার
সামনে উপস্থিত হন তখন তিনি তাকে সসম্মানে বরণ করে নেন এবং বলেন, আজ রাত্রে গিয়ে
সফরের ক্লান্তি দুর কর ৷৩ তারপর আপামীকাল আমার কাছে এসো ৷ পরদিন খলীফা মানসুর
কতিপয় উম৷ রা৷কে আবুযুসলিমকে হত্যার জন্য নিযুক্ত করেন ৷ এদের অন৩ তম হলো উছমান ইবন ৰু
নাহীক ও শাবীব ইবন ওয়াজ ৷ এরপর তারা৩ তাকে পুর্ব পরিকল্পনাম ৷ফিক হত্যা করে ৷ যেমন পুর্বে
বিগত হয়েছে ৷ অবশ্য এও বর্ণিত আছে যে, কয়েকদিন যাবৎ খলীফ৷ মানসুর তাকে সমাদব ও
আপ্যায়ন করতে থাকেন ৷ তারপর তিনি তার থেকে ভীতি অনুভব করেন এবং শঙ্কিত হয়ে
পড়েন ৷ এসময় আবু মুসলিম ঈস৷ ইবন মুসার মাধ্যমে সুপারিশ করান এবং তার আশ্রয় প্রার্থনা
করেন ৷ তাকে বলেন, আমি আমার জীবনের ব্যাপারে শঙ্কাবোধ করছি ৷ তখন ঈস৷ তাকে অভয়
দিয়ে বলেন, তোমার কোন অসুবিধা নেই ৷ তুমি যাও আমি তোমার পিছনে আসছি ৷ আমি
তোমার কাছে আসা পর্যন্ত তুমি আমার যিম্মায় ৷ উল্লেখ্য যে খলীফার সংকল্পের ব্যাপারে ঈসা
অনবহিত ছিলেন ৷ এসময় যখন আবু মুসলিম এসে খলীফার সাথে সাক্ষাতের অনুমতি চাইল

তখন তাকে বলা হল, আপনি এখানে বসুন আমীরুল মু’মিনীন উয়ু করছেন ৷ তখন আবুমুসলিম

বসে কামনা করতে লাগলেন তার এই বসা যেন দীর্ঘায়িত হয় যাতে ততক্ষণে ঈস৷ ইবন মুসা


آيَاتٍ مُنَزَّلَةً مِنَ اللَّهِ لِلْكَافِرِينَ، وَمَا يَسْتَوِي الَّذِينَ يَعْلَمُونَ وَالَّذِينَ لَا يَعْلَمُونَ، وَإِنَّنِي وَاللَّهِ مَا انْسَلَخْتُ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ، وَلَكِنَّنِي يَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مُحَمَّدٍ كُنْتُ رَجُلًا مُتَأَوِّلًا فِيكُمْ مِنَ الْقُرْآنِ آيَاتٍ أَوْجَبَتْ لَكُمْ بِهَا الْوِلَايَةَ وَالطَّاعَةَ، فَأْتَمَمْتُ بِأَخَوَيْنِ لَكَ مِنْ قَبْلِكَ، ثُمَّ بِكَ مِنْ بَعْدِهِمَا، فَكُنْتُ لَهُمَا شِيعَةً مُتَدَيِّنًا، أَحْسَبُنِي هَادِيًا، وَأَخْطَأْتُ فِي التَّأْوِيلِ، وَقَدِيمًا أَخْطَأَ الْمُتَأَوِّلُونَ، وَقَدْ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى {وَإِذَا جَاءَكَ الَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِآيَاتِنَا فَقُلْ سَلَامٌ عَلَيْكُمْ كَتَبَ رَبُّكُمْ عَلَى نَفْسِهِ الرَّحْمَةَ أَنَّهُ مَنْ عَمِلَ مِنْكُمْ سُوءًا بِجَهَالَةٍ ثُمَّ تَابَ مِنْ بَعْدِهِ وَأَصْلَحَ فَأَنَّهُ غَفُورٌ رَحِيمٌ} [الأنعام: 54] . وَكَتَبَ إِلَيْهِ أَبُو مُسْلِمٍ: إِنَّ أَخَاكَ السَّفَّاحَ ظَهَرَ فِي صُورَةِ مَهْدِيٍّ، وَكَانَ ضَالًّا; أَمَرَنِي أَنْ أُجَرِّدَ السَّيْفَ، وَأَقْتُلَ بِالظِّنَّةِ، وَأُقْدِمَ بِالشُّبْهَةِ، وَأَرْفَعَ الرَّحْمَةَ وَلَا أُقِيلَ الْعَثْرَةَ، فَوَتَرْتُ أَهْلَ الدُّنْيَا فِي طَاعَتِكُمْ، وَتَوْطِئَةِ سُلْطَانِكُمْ حَتَّى عَرَفَكُمْ مَنْ كَانَ جَهِلَكُمْ، ثُمَّ إِنَّ اللَّهَ سُبْحَانَهُ تَدَارَكَنِي مِنْهُ بِالنَّدَمِ، وَاسْتَنْقَذَنِي بِالتَّوْبَةِ، فَإِنْ يَعْفُ عَنِّي وَيَصْفَحْ فَإِنَّهُ كَانَ لِلْأَوَّابِينَ غَفُورًا، وَإِنْ يُعَاقِبْنِي فَبِذُنُوبِي، وَمَا رَبُّكَ بِظَلَّامٍ لِلْعَبِيدِ. فَكَتَبَ إِلَيْهِ أَبُو جَعْفَرٍ: أَمَّا بَعْدُ، أَيُّهَا الْمُجْرِمُ الْعَاصِي، فَإِنَّ أَخِي كَانَ إِمَامَ هُدًى، يَدْعُو إِلَى اللَّهِ عَلَى بَيِّنَةٍ مِنَ اللَّهِ، فَأَوْضَحَ لَكَ السَّبِيلَ، وَحَمَلَكَ عَلَى الْمَنْهَجِ، فَلَوْ بِأَخِي اقْتَدَيْتَ مَا كُنْتَ عَنِ الْحَقِّ حَائِدًا، وَعَنِ الشَّيْطَانِ وَأَمْرِهِ صَادِرًا، وَلَكِنَّهُ لَمْ يَسْنَحْ لَكَ أَمْرَانِ إِلَّا كُنْتَ لِأَرْشَدِهِمَا تَارِكًا، وَلَأَغْوَاهُمَا مُوَافِقًا، تَقْتُلُ قَتْلَ الْفَرَاعِنَةِ، وَتَبْطِشُ بَطْشَ الْجَبَابِرَةِ، وَتَحْكُمُ بِالْجَوْرِ حُكْمَ
পৃষ্ঠা - ৭৯৩৫
الْمُفْسِدِينَ، ثُمَّ مِنْ خَبَرِي أَيُّهَا الْفَاسِقُ أَنِّي قَدْ وَلَّيْتُ مُوسَى بْنَ كَعْبٍ خُرَاسَانَ، وَأَمَرْتُهُ بِالْمُقَامِ بِنَيْسَابُورَ، فَإِنْ أَرَدْتَ خُرَاسَانَ لَقِيَكَ بِمَنْ مَعَهُ مِنْ قُوَّادِي وَشِيعَتِي، وَأَنَا مُوَجِّهٌ لِلِقَائِكَ أَقْرَانَكَ، فَاجْمَعْ كَيْدَكَ وَأَمْرَكَ غَيْرَ مُسَدَّدٍ وَلَا مُوَفَّقٍ، وَحَسْبُ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ اللَّهُ وَنِعْمَ الْوَكِيلُ. وَلَمْ يَزَلِ الْمَنْصُورُ يُرَاسِلُهُ تَارَةً بِالرَّغْبَةِ وَتَارَةً بِالرَّهْبَةِ، وَيَسْتَخِفُّ أَحْلَامَ مَنْ حَوْلَهُ مِنَ الْأُمَرَاءِ وَالرُّسُلِ الَّذِينَ يَبْعَثُ بِهِمْ أَبُو مُسْلِمٍ، حَتَّى حَسَّنُوا لَهُ فِي رَأْيِهِ الْقُدُومَ عَلَى أَبِي جَعْفَرٍ سِوَى أَمِيرٍ مَعَهُ يُقَالُ لَهُ: نَيْزَكُ. فَإِنَّهُ لَمْ يُوَافِقْ عَلَى ذَلِكَ، فَلَمَّا رَأَى أَبَا مُسْلِمٍ قَدِ انْصَاعَ مَعَهُمْ قَالَ: مَا لِلرِّجَالِ مَعَ الْقَضَاءِ مَحَالَةٌ ... ذَهَبَ الْقَضَاءُ بِحِيلَةِ الْأَقْوَامِ وَأَشَارَ عَلَيْهِ، كَمَا تَقَدَّمَ، بِأَنْ يَبْدُرَ إِلَى قَتْلِ الْخَلِيفَةِ إِنْ أَمْكَنَهُ، فَمَا أَمْكَنَهُ كَمَا تَقَدَّمَ، وَذَلِكَ أَنَّ أَبَا مُسْلِمٍ لَمَّا قَدِمَ الْمَدَائِنَ تَلَقَّاهُ الْأُمَرَاءُ عَنْ أَمْرِ الْخَلِيفَةِ، فَمَا وَصَلَ إِلَّا آخِرَ النَّهَارِ، وَقَدْ أَشَارَ أَبُو أَيُّوبَ كَاتِبُ الرَّسَائِلِ عَلَى الْخَلِيفَةِ أَنْ لَا يَقْتُلَهُ يَوْمَهُ هَذَا، فَلَمَّا وَقَفَ بَيْنَ يَدَيِ الْخَلِيفَةِ أَكْرَمَهُ وَعَظَّمَهُ، وَأَظْهَرَ احْتِرَامَهُ، وَقَالَ: اذْهَبِ اللَّيْلَةَ فَأَذْهِبْ عَنْكَ وَعْثَاءَ السَّفَرِ، ثُمَّ ائْتِنِي مِنَ الْغَدِ. فَلَمَّا كَانَ الْغَدُ أَرْصَدَ لَهُ مِنَ الْأُمَرَاءِ مَنْ يَقْتُلُهُ، مِنْهُمْ; عُثْمَانُ بْنُ نَهِيكٍ، وَشَبِيبُ بْنُ
পৃষ্ঠা - ৭৯৩৬
¥

এসে উপস্থিত ৩হন ৷ কিন্তু, এসময় ঈস৷ বিলম্ব করেন ৷ এরপর খলীফা তাকে অনুমতি দেন এবং
তিনি তার সাক্ষাতে প্রবেশ করেন ৷ তখন খলীফা তার বিভিন্ন কৃতকর্মের জন্য তাকে ভৎসনা
করতে থাকেন, আর তিনি গ্রহণ যোগ্য কৈফিয়ত তুলে ধরেন ৷ এক পর্যায়ে খলীফা তাকে বলেন,

কেন তুমি সুলায়মান ইবন কাহীর, ইবরাহীম ইবন মায়মুন এবং অমুক অমুককে হত্যা করেছ ?
আবু মুসলিম বলেন, কেননা তারা অবাধ্যতা করেছে আর আমার নির্দেশ অমান্য করেছে ৷ তখন
মানসুর ক্রুদ্ধ হয়ে বলেন, দৃর্ভাগ৷ কােথাকার ! তোমার অবাধ্যতা করা হলে তুমি হত্যা কর ৷
কাজেই আমার অবাধ্যতা করার তোমাকে হত্যা করাও আমার কর্তব্য ৷ এরপর মানসুর হাততালি
দেন আর এটাই ছিল তার হত্যার জন্য অপেক্ষমানদের জন্য সংকেত ৷ তখন তারা তাকে
হত্যার জন্য ছুটে আসে ৷ তখন তাদের একজন আঘাত করে তার তরবারির খাপ কেটে ফেলে ৷
তখন আবু মুসলিম বলেন, হে আমীরুল মু’মিনীন ! আমাকে আপনার শত্রুদের মুকাবিলার জন্য
জীবিত রাখুন ৷ তখন খলীফা বলেন, তোমার চেয়ে ঘোর শত্রু আমার কে আছে ? তারপর মানসুর
তাদেরকে কালক্ষেপণের জন্য ভর্বৃসনা করেন ৷ তখন তারা তরবারির আঘাতে টুকরা টুকরা করে
ফেলে এবং একটি আলখেল্লায় তাকে পেচিয়ে ফেলেন ৷ এ ঘটনার পর পরই ঈসা ইবন মুসা
সেখানে প্রবেশ করে সেই পেচানাে কাপড় খণ্ড দেখতে পেয়ে বলেন, হে আমীরুল মু’মিনীন ৷
এটা কী ? তখন তিনি বলেন, এ হল আবু মুসলিম ৷ তখন তিনি বিপদপ্রম্ভের দুআ ইন্নালিল্লাহি
— পড়েন ৷ তখন মানসুর তাকে বলেন, আমি আল্লাহ্র গোকর আদায় করছি যে আপনি
আমার কাছে স্বস্তিরুপে আবির্ভুত হয়েছেন শাস্তিরুপে নয় ৷

ষ্ষ্শ্ষ্ শ্’র্টশ্! শুশ্প্ ষ্শ্ ণ্ শ্ণ্৷ শ্ন্ষ্ শ্ ষ্ ! শ্শ্
“হে আবু মুসলিম ! আল্লাহ তার বান্দার কোন দান-কে পরিবর্তন করেন না, যতক্ষণ না
বলো তার পরিবর্তন করে ৷”

ৰু,টুত্র ৷ ক্ট্রপ্রুট্রুন্র্চু ৷ছুা
“হে আবু মুসলিম তমি আমাকে হত্যার ভয় দেখিয়েছ” ৷
ইবন জা ৷রীর উল্লেখ করেছেন, খলীফা৷ ম ৷নসুর উছমান ইবন নাহীক, শাবীব ইবন ওয়াজ আবু
হানীফ৷ ৷হারব ইবন কায়সকে নির্দেশ দেন তারা যেন তার কাছাক৷ ৷ছি অবস্থান করে ৷ এরপর আবু
মুসলিম যখন তার সাক্ষাতে প্রবেশ করে তাকে সম্বোধন করবে তিনি তখন হাততালি দিবেন এবং
তারা যেন তৎক্ষণাৎ তাকে হত্যা করে ৷ এরপর আবু মুসলিম যখন তার সাক্ষাতের জন্য প্রবেশ
করেন তখন মানসুর তাকে বলেন, কোথায় তোমার সেই দুই তরবারি যা তুমি আবদুল্লাহ ইবন
আলী থেকে পেয়েছিলে ? তখন আবু মুসলিম তার তরবারির দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, এটা
তাদের একটি ৷ তখন তিনি বলেন, আমাকে দেখাও তো, তখন তিনি তরবারিটি নিয়ে৩ তার হাটুর
নীচে রেখে তাকে প্রশ্ন করেন, আবু আবদুল্লাহ আস-সাফ্ফাহ্কে অনাব৷ ৷দি ভুমির ব্যাপারে নিষেধ
করতে কিসে তোমাকে প্ররোচিত করেছিল ? মি কি আমাদেরকে দীন শিক্ষা দিতে চেয়েছিলে ?
আবু মুসলিম তখন বললেন, আ ৷মি বা লেখা করেছিলাম তা দখল করা বৈধ নয় ৷ তারপর যখন আমার
কাছে আমীরুল মু ’মিনীনের পত্র আসে তখন আমি বুঝতে পা ৷রি যে তিনি এবং তার স্বজনরা
জ্ঞানের আধার ৷ এরপর মানসুর তাকে প্রশ্ন করেন, তাহলে কেন তুমি হজ্জ থেকে ফেরার পথে

০০ ৷৷া



وَاجٍ، وَأَرْسَلَ إِلَيْهِ رُسُلًا تَتْرَى لِيَقْدَمَ عَلَيْهِ وَيُقَالَ: بَلْ أَقَامَ أَيَّامًا يُظْهِرُ لَهُ أَبُو جَعْفَرٍ الْإِكْرَامَ وَالِاحْتِرَامَ، ثُمَّ بَدَا لَهُ مِنْهُ الْوَحْشَةُ، فَخَافَ أَبُو مُسْلِمٍ، وَاسْتَشْفَعَ بِعِيسَى بْنِ مُوسَى، وَقَالَ: إِنِّي أَخَافُهُ عَلَى نَفْسِي. فَقَالَ: لَا بَأْسَ عَلَيْكَ، فَانْطَلِقْ فَأَنَا آتٍ وَرَاءَكَ، وَأَنْتَ فِي ذِمَّتِي حَتَّى آتِيَكَ - وَلَمْ يَكُنْ مَعَ عِيسَى بْنِ مُوسَى خَبَرٌ بِمَا يُرِيدُ بِهِ الْخَلِيفَةُ - فَجَاءَ أَبُو مُسْلِمٍ يَسْتَأْذِنُ عَلَى الْخَلِيفَةِ فَقَالُوا لَهُ: اجْلِسْ هَاهُنَا; فَإِنَّ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ يَتَوَضَّأُ. فَجَلَسَ وَهُوَ يَوَدُّ أَنْ يَطُولَ مَجْلِسُهُ لِيَجِيءَ عِيسَى بْنُ مُوسَى فَأَبْطَأَ، وَأَذِنَ لَهُ الْخَلِيفَةُ فَدَخَلَ عَلَيْهِ، فَجَعَلَ يُعَاتِبُهُ فِي أَشْيَاءَ صَدَرَتْ مِنْهُ، فَيَعْتَذِرُ عَنْهَا جَيِّدًا، حَتَّى قَالَ لَهُ: فَلِمَ قَتَلْتَ سُلَيْمَانَ بْنَ كَثِيرٍ، وَفُلَانًا وَفُلَانًا؟ قَالَ: لِأَنَّهُمْ عَصَوْنِي وَخَالَفُوا أَمْرِي. فَغَضِبَ عِنْدَ ذَلِكَ الْمَنْصُورُ، وَقَالَ: وَيْحَكَ! أَنْتَ تَقْتُلُ إِذَا عُصِيتَ، وَأَنَا لَا أَقْتُلُكَ وَقَدْ عَصَيْتَنِي؟! وَصَفَّقَ بِيَدَيْهِ، وَكَانَتِ الْإِشَارَةَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ أُولَئِكَ الْمُرْصَدِينَ لِقَتْلِهِ، فَتَبَادَرُوا إِلَيْهِ لِيَقْتُلُوهُ، فَضَرَبَهُ أَحَدُهُمْ فَقَطَعَ حَمَائِلَ سَيْفِهِ، فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، اسْتَبْقِنِي لِأَعْدَائِكَ. فَقَالَ: وَأَيُّ عَدُوٍّ أَعْدَى لِي مِنْكَ؟ ثُمَّ زَجَرَهُمُ الْمَنْصُورُ، فَقَطَّعُوهُ قِطَعًا قِطَعًا، وَلَفُّوهُ فِي عَبَاءَةٍ، وَدَخَلَ عِيسَى بْنُ مُوسَى عَلَى إِثْرِ ذَلِكَ، فَقَالَ: مَا هَذَا يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ؟ فَقَالَ: هَذَا أَبُو مُسْلِمٍ. فَقَالَ: إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ. فَقَالَ لَهُ الْمَنْصُورُ: احْمَدِ اللَّهَ; فَإِنَّكَ هَجَمْتَ عَلَى نِعْمَةٍ، وَلَمْ تَهْجُمْ عَلَى نِقْمَةٍ. فَفِي
পৃষ্ঠা - ৭৯৩৭


আমার থেকে অগ্রসর হলে ৷ তিনি বলেন, পানির উৎসে আমাদের সমাবেশ অন্য মানুষদের কষ্টে
ফেলবে এই আশঙ্কায় ৷ লোকদের প্রতি সহজ করার উদ্দেশ্যেই আমি অ্যাসর হয়েছিলাম ৷ মানসুর
বলেন, তোমার কাছে যখন আবুল আব্বাসের মৃত্যু সংবাদ পৌছল তখন তুমি কেন আমার কাছে
ফিরলে না ৷ তিনি বলেন, হভ্রুজ্জর পথে আমি বিপরীত দিকে পথ চলে লোকদের কষ্টে ফেলতে
চইিনি ৷ আর আমার জানা ছিল যে আমরা শীঘ্রই কুফায় মিলিত হচ্ছি ৷ আর আমার পক্ষ থেকে
আপনার প্রতি কোন বিরোধিতা ছিল না ৷ মানসুর বলেন, আবদুল্লাহ ইবন আলীর ৰ্বাদীকে তুমি
নিজের জন্য গ্রহণ করতে চেয়েছিলে? তিনি বললেন, না, কিছু! আমি আশঙ্কা করেছিলাম সে
হারিয়ে যাবে, তাই আমি তাকে বাহনের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলাম এবং তার রক্ষণারেক্ষণের জন্য
তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ করেছিলাম ৷ তারপর মানসুর তাকে বলেন, তুমিই কি নিজেকে ছাড়া সুচনা
করে আমার কাছে পত্র প্রেরণ করনি এবং আমিনা বিনৃত আলীকে বিবাহের পয়গাম দিয়ে আমার
কাছে পত্র প্রেরণ করনি এবং একথা দাবী করনি যে তুমি সুলায়ত ইবন আবদুল্লাহ ইবন আব্বাসের
ছেলে ? এসব কথা যখন হয় তখন খলীফা মানসুরের হাত আবু মুসলিমের হাতে তিনি তা
ডলছিলেন ৷ চুমু খাচ্ছিলেন এবং তার কাছে কৈফিয়ত পেশ করছিলেন ৷ তারপর মানসুর তাকে
বলেন, তাহলে কিসে তোমাকে আমার শত্রুতা করে খুরাসানে প্রবেশে প্ররোচিত করেছিল ৷ আবু
মুসলিম বলেন, আমি আশঙ্কা করেছিলাম যে আমার ব্যাপারে আপনার মাঝে কোন আশঙ্কাজনক
মনােভারের সৃষ্টি হয়েছে ৷ তাই আমি চেয়েছিলাম খুরাসানে গিয়ে আমি আমার কৈফিয়ত লিখে
আপনাকে জানাতে ৷ তিনি বলেন, তাহলে কেন তুমি সুলায়মান ইবন কাহীরকে হত্যা করেছিলেন?
অথচ সে তোমার পুর্ব থেকে আমাদের নেতৃস্থানীয় প্রচারক ও সমর্থক ছিল ৷ তখন আবুঘুসলিম
বলেন যে, আমার বিরুদ্ধাচরণে ব্রভী হয়েছিল ৷ তখন মানসুর বলেন, হতভাগ্য তুমি , তুমিও তো
আমার বিরোধিতায় ব্রভী হয়ে আমার অবাধ্য হয়েছ ৷ তোমাকে যদি হত্যা না করি তাহলে আল্লাহ
যেন আমাকে ধ্বংস করেন ৷ তারপর তিনি তাকে র্তীবুর খুটি দিয়ে আঘাত করেন এবং ঐসকল
নির্ধারিত লোকেরা তার দিকে যেয়ে আসে ৷ এসময় উছমান তাকে আঘাত করে তার তরবারির
খাপ কেটে ফেলে, আর শাবীব আঘাত করে তার পা কেটে ফেলে, এছাড়৷ অবশিষ্টরা তরবাৰি
নিয়ে তার উপর বাপিয়ে পড়ে আর মানসুর তখন চিৎকার করছেন, হতভাগারা ! (দ্রুত) তাকে
শেষ করে দাও, আল্লাহ তোমাদের হস্ত কর্তন করুন ৷ এরপর তারা তাকে যরাহ করে হত্যা করে
এবং কেটে টুকরা টুকরা করে ৷ এরপর তাকে দজলায় নিক্ষেপ করা হয় ৷ বর্ণিত আছে তাকে
হত্যা করার পর খলীফা মানসুর তার মৃত দেহের সামনে দাড়িয়ে বলেন , হে আবু মুসলিম আল্লাহ
তোমাকে রহম করুন ৷ তুমি আমাদের সাথে অঙ্গীকার করেছিলে আমরাও তোমার সাথে
অঙ্গীকার করেছিলাম ৷ তুমি আমাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলে , আমরাও তোমাকে প্রতিশ্রুতি
দিয়েছিলাম ৷ তুমি আমাদের সাথে অঙ্গীকার রক্ষা করেছিলে, আমরাও তোমার সাথে অঙ্গীকার
রক্ষা করেছিলাম ৷ আমরা তোমার থেকে এই প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করেছিলাম যে কেউ আমাদের
বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করলে আমরা তাকে হত্যা করব ৷ এরপর তুমি আমাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করলে
ফলে আমরা তোমাকে হত্যা করলাম ৷ তোমার বিরুদ্ধে আমরা তোমার ফায়সালাকেই কার্যকর
করলাম ৷ এও বর্ণিত আছে যে এসময় মানসুর বলেন, প্রশংসা আল্লাহর যিনি আমাদেরকে তোমার
দিন দেখালেন হে আল্লাহর শত্রু ৷ ইবন জারীর বলেন, এসময় মানসুর আবৃত্তি করেন :


ذَلِكَ يَقُولُ أَبُو دُلَامَةَ: أَبَا مُسْلِمٍ مَا غَيَّرَ اللَّهُ نِعْمَةً ... عَلَى عَبْدِهِ حَتَّى يُغَيِّرَهَا الْعَبْدُ أَبَا مُسْلِمٍ خَوَّفْتَنِي الْقَتْلَ فَانْتَحَى ... عَلَيْكَ بِمَا خَوَّفْتَنِي الْأَسَدُ الْوَرْدُ وَذَكَرَ ابْنُ جَرِيرٍ أَنَّ الْمَنْصُورَ تَقَدَّمَ إِلَى عُثْمَانَ بْنِ نَهِيكٍ وَشَبِيبِ بْنِ وَاجٍ وَأَبِي حَنِيفَةَ حَرْبِ بْنِ قَيْسٍ وَآخَرَ مِنَ الْحَرَسِ أَنْ يَكُونُوا قَرِيبًا مِنْهُ، فَإِذَا دَخَلَ عَلَيْهِ أَبُو مُسْلِمٍ، وَخَاطَبَهُ وَضَرَبَ بِإِحْدَى يَدَيْهِ عَلَى الْأُخْرَى فَلْيَقْتُلُوهُ، فَلَمَّا دَخَلَ أَبُو مُسْلِمٍ عَلَى الْمَنْصُورِ قَالَ لَهُ: مَا فَعَلَ السَّيْفَانِ اللَّذَانِ أَصَبْتَهُمَا مِنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَلِيٍّ؟ فَقَالَ: هَذَا أَحَدُهُمَا. قَالَ: أَرِنِيهِ. فَنَاوَلَهُ السَّيْفَ، فَوَضَعَهُ الْمَنْصُورُ تَحْتَ رُكْبَتِهِ، ثُمَّ قَالَ لَهُ: مَا حَمَلَكَ عَلَى أَنْ كَتَبْتَ إِلَى أَبِي الْعَبَّاسِ - يَعْنِي السَّفَّاحَ - تَنْهَاهُ عَنِ الْمَوَاتِ، أَرَدْتَ أَنْ تُعَلِّمَنَا الدِّينَ؟! قَالَ: إِنَّنِي ظَنَنْتُ أَنْ أَخْذَهُ لَا يَحِلُّ، فَلَمَّا جَاءَنِي كِتَابُهُ عَلِمْتُ أَنَّ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ وَأَهْلَ بَيْتِهِ مَعْدِنُ الْعِلْمِ. قَالَ: فَلِمَ تَقَدَّمْتَ عَلَيَّ فِي طَرِيقِ الْحَجِّ؟ قَالَ: كَرِهْتُ اجْتِمَاعَنَا عَلَى الْمَاءِ، فَيَضُرُّ ذَلِكَ بِالنَّاسِ، فَتَقَدَّمْتُ الْتِمَاسَ الرِّفْقِ. قَالَ: فَلِمَ لَا رَجَعْتَ إِلَيَّ حِينَ أَتَاكَ خَبَرُ مَوْتِ أَبِي الْعَبَّاسِ؟ قَالَ: كَرِهْتُ التَّضْيِيقَ عَلَى النَّاسِ، وَعَرَفْتُ أَنَّا نَجْتَمِعُ بِالْكُوفَةِ، وَلَيْسَ عَلَيْكَ مِنِّي خِلَافٌ. قَالَ: فَجَارِيَةُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَلِيٍّ أَرَدْتَ أَنْ تَتَّخِذَهَا لِنَفْسِكَ؟ قَالَ: لَا، وَلَكِنِّي خِفْتَ أَنْ تَضِيعَ فَحَمَلْتُهَا فِي قُبَّةٍ، وَوَكَّلْتُ بِهَا مَنْ يَحْفَظُهَا. ثُمَّ قَالَ لَهُ: أَلَسْتَ الْكَاتِبَ إِلَيَّ تَبْدَأُ بِنَفْسِكَ، وَالْكَاتِبَ
পৃষ্ঠা - ৭৯৩৮
إِلَيَّ تَخْطُبُ أُمَيْنَةَ بِنْتَ عَلِيٍّ، وَتَزْعُمُ أَنَّكَ ابْنُ سَلِيطِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ؟ ! هَذَا كُلُّهُ وَيَدُ الْمَنْصُورِ فِي يَدِهِ يَعْرِكُهَا وَيُقَبِّلُهَا وَيَعْتَذِرُ، ثُمَّ قَالَ لَهُ: فَمَا حَمَلَكَ عَلَى مُرَاغَمَتِي وَدُخُولِكَ إِلَى خُرَاسَانَ؟ قَالَ: خِفْتُ أَنْ يَكُونَ دَخَلَكَ مِنِّي شَيْءٌ، فَقُلْتُ: آتِي خُرَاسَانَ، وَأَكْتُبُ إِلَيْكَ بِعُذْرِي. قَالَ: فَلِمَ قَتَلْتَ سُلَيْمَانَ بْنَ كَثِيرٍ وَكَانَ مِنْ نُقَبَائِنَا وَدُعَاتِنَا قِبَلَكَ؟ قَالَ: أَرَادَ خِلَافِي. فَقَالَ: وَيْحَكَ! وَأَنْتَ أَرَدْتَ خِلَافِي وَعَصَيْتَنِي، قَتَلَنِي اللَّهُ إِنْ لَمْ أَقْتُلْكَ. ثُمَّ ضَرَبَهُ بِعَمُودِ الْخَيْمَةِ، وَخَرَجَ إِلَيْهِ أُولَئِكَ، فَضَرَبَهُ عُثْمَانُ فَقَطَعَ حَمَائِلَ سَيْفِهِ وَضَرَبَهُ شَبِيبٌ فَقَطَعَ رِجْلَهُ وَاعْتَوَرَهُ بَقِيَّتُهُمْ، وَالْمَنْصُورُ يَصِيحُ: وَيْحَكُمُ! اضْرِبُوا، قَطَعَ اللَّهُ أَيْدِيَكُمْ. ثُمَّ ذَبَحُوهُ وَقَطَّعُوهُ قِطَعًا قِطَعًا، ثُمَّ أُلْقِيَ فِي دِجْلَةَ. وَيُرْوَى أَنَّ الْمَنْصُورَ لَمَّا قَتَلَ أَبَا مُسْلِمٍ وَقَفَ عَلَيْهِ فَقَالَ: رَحِمَكَ اللَّهُ أَبَا مُسْلِمٍ، بَايَعْتَنَا وَبَايَعْنَاكَ، وَعَاهَدْتَنَا وَعَاهَدْنَاكَ، وَوَفَّيْتَ لَنَا وَوَفَّيْنَا لَكَ، وَإِنَّا بَايَعْنَاكَ عَلَى أَنْ لَا يَخْرُجُ عَلَيْنَا أَحَدٌ فِي هَذِهِ الْأَيَّامِ إِلَّا قَتَلْنَاهُ، فَخَرَجْتَ عَلَيْنَا فَقَتَلْنَاكَ، وَحَكَمْنَا عَلَيْكَ حُكْمَكَ عَلَى نَفْسِكَ. وَيُقَالُ: إِنَّهُ قَالَ: الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَرَانِي يَوْمَكَ يَا عَدُوَّ اللَّهِ. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَقَالَ الْمَنْصُورُ عِنْدَ ذَلِكَ: زَعَمْتَ أَنَّ الدَّيْنَ لَا يُقْتَضَى ... فَاسْتَوْفِ بِالْكَيْلِ أَبَا مُجْرِمٍ
পৃষ্ঠা - ৭৯৩৯


ক্র;ব্লুএ;দু
“তোমার দাবী ছিল ঋণ কখনও পরিশোধ করা যায় না এখন তুমি পরিমাপ পাত্র ভরে তা

উসুল করে নাও ৷ তোমাকে ঐ পেয়া না পান করানো হয়েছে যা দ্বারা তুমি অন্যদের মৃত্যুসুধা পান
করাতে আর যা ছিল মহা৩াতিক্ত ও বিষাক্ত ৷”

আবু মুসলিমকে হত্যার পর খলীফা মানসুর লোক সমাবেশে ভাষণ দেন ৷ তিনি বলেন, হে
লোক সকল ! অকৃতজ্ঞ হয়ে তোমরা সুখ-শান্তিকে বিতাড়িত করো না ৷ তাহলে তোমাদের উপর
শাস্তি নেমে আসবে ৷ আর তোমরা জেনে-শ্যুন যেত তন্থানীয়দের প্রতারণা গোপন করো না ৷
কেননা, কেউ যখনই তা গোপন করবে তখন তা তার কথার র্ফাকে মুখমওলের অবয়বে কিৎবা
দৃষ্টির অপ্রভা গে প্রকাশ পেয়ে যাবে ৷ তোমরা যতদিন বা যতক্ষণ আমাদের প্রাপ্য প্রদান করবে
আমরাও ততদিন তোমাদের প্রাপ্য প্রদান করে যার ৷ যত দিন তোমরা আমাদের অবদান স্মরণ
রাখবে আমরাও ততদিন তোমাদের সাথে সদাচরণ করব ৷ আর যে ব্যক্তি আমাদের এই
খিলাফণ্ডে তর পরিধেয় টানা টানি করবে আমরাতার মস্তক চুর্ণ করে দিব যাতে তোমাদের কর্তা
ব্যক্তিরা সোজা হয়ে যায় এবং ৫তাতমাদের নিযুক্ত গভর্নরগণ নিবৃত্ত হয় ৷ এই আবু মুসলিম এই
প্রতিশ্রুতি দিয়ে বায়আত করেছিল যে, যে ব্যক্তি আমাদের বায়আত প্রত্যাহার করবে এবং
আমাদের সাথে ছলচাতৃরি বা প্রতারণা করবে আমরা তাকে হত্যা করব ৷ এরপর সে নিজেই
আমাদের সাথে প্রতিশ্রভ্রু তি ভঙ্গ করেছে, প্রতারণা করেছে এবং পাপাচার বা অবাধ্যতা ও
অকৃতজ্ঞতা প্রদশ্নি করেছে ফলে আমরা আমাদের অনুকুলে অন্যের বিরুদ্ধে যে যে ফায়সালা
করত আমরাও তার বিরুদ্ধে আমাদের অনুকুলে সেই ফায়সালা করলাম ৷ আবু মুসলিমের সুচনা
ছিল উত্তম ৷ কিভুতা তার সমাপ্তি ছিল মন্দ ৷ আমাদের মাধ্যম অবলম্বন করে সে আমাদেরকে যতটুকু
দিয়েছেতা তর চেয়ে বেশী নিজের জন্য নিয়েছে ৷ তার অম্ভরের কদর্যতা বাহ্য সৌন্দর্যকে স্নান করে
দিয়েছে ৷ তার গোপন কদর্যতার বিষয়ে আমরা যা জা,নি তা যদি অন্য কেউ জানতে পারে তাহলে
যে তার হত্যার ব্যাপারে আমাদের ভৎসনা করবে না ৷ তদ্রাপ সে যদি তার ব্যাপারে এধ্স্টুকু
অবগত হয়ে যতটুকু আমরা অবগত হয়েছি তাহলে সে তার হত্যার ব্যাপারে আমাদের কৈফিয়ত
গ্রহণ করবে এবং তাকে অবকাশ দেওয়ার ব্যাপারে আমাদেরকে ভব্লুসনা করবে ৷ একের পর এক
আমাদের বিরুদ্ধাচারণ করে সে তার বায়আত নষ্ট করেছে এবং প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে ৷ এভাবে
যে তার নিজের শান্তি অবধারিত করেছে এবং আমাদের জন্য তার হত্যা বৈধ করেছে ৷ ফলে
আমরা তার ব্যাপারে ঐ ফায়সা লাই করেছি যে ফায়সালা যে অন্য বািদ্রাহীদের ব্যাপারে করত

তার প্রাপ্য অধিকার আমাদেরকে তার ব্যাপারে শরীআাত তর অধিকার বাস্তবায়নে বিরত রাখেনি

কবি নাবিগা আঘৃ-যুবয়ানী বাদশা নুমান ইবন মুনযিরকে কত ইনা সুন্দরভাবে উপদেশ দিয়ে
বলেছেনং

এ;এে;া ট্রু,;;

মোঃ স্পো ক্রোপুষ্ ণ্ক্রো


سُقِيتَ كَأْسًا كُنْتَ تَسْقِي بِهَا أَمَرَّ فِي الْحَلْقِ مِنَ الْعَلْقَمِ وَقَدْ خَطَبَ الْمَنْصُورُ النَّاسَ بَعْدَ قَتْلِ أَبِي مُسْلِمٍ فَقَالَ: أَيُّهَا النَّاسُ، لَا تُنَفِّرُوا أَطْرَافَ النِّعْمَةِ بِقِلَّةِ الشُّكْرِ، فَتَحِلَّ بِكُمُ النِّقْمَةُ، وَلَا تُسِرُّوا غِشَّ الْأَئِمَّةِ; فَإِنَّ أَحَدًا لَا يُسِرُّ مِنْكُمْ شَيْئًا إِلَّا ظَهَرَ فِي فَلَتَاتِ لِسَانِهِ، وَصَفَحَاتِ وَجْهِهِ، وَطَوَالِعِ نَظَرِهِ، وَإِنَّا لَنْ نَجْهَلَ حُقُوقَكُمْ مَا عَرَفْتُمْ حَقَّنَا، وَلَا نَنْسَى الْإِحْسَانَ إِلَيْكُمْ مَا ذَكَرْتُمْ فَضْلَنَا، وَمَنْ نَازَعَنَا هَذَا الْقَمِيصَ أَوَطْأْنَا أُمَّ رَأَسِهِ خَبِيءَ هَذَا الْغِمْدِ، وَإِنَّ أَبَا مُسْلِمٍ بَايَعَ عَلَى أَنَّهُ مَنْ نَكَثَ بَيْعَتَنَا وَأَظْهَرَ غِشَّنَا لَنَا فَقَدَ أَبَاحَنَا دَمَهُ، وَنَكَثَ، وَغَدَرَ، وَفَجَرَ، وَكَفَرَ، فَحَكَمْنَا عَلَيْهِ لِأَنْفُسِنَا حُكْمَهُ عَلَى غَيْرِهِ لَنَا، وَإِنَّ أَبَا مُسْلِمٍ أَحْسَنَ مُبْتَدِئًا وَأَسَاءَ مُعَقِّبًا، وَأَخَذَ مِنَ النَّاسِ بِنَا أَكْثَرَ مِمَّا أَعْطَانَا، وَرَجَحَ قَبِيحُ بَاطِنِهِ عَلَى حُسْنِ ظَاهِرِهِ، وَعَلِمْنَا مِنْ خُبْثِ سَرِيرَتِهِ وَفَسَادِ نِيَّتِهِ مَا لَوْ عَلِمَ اللَّائِمُ لَنَا فِيهِ، لَعَذَرَنَا فِي قَتْلِهِ، وَعَنَّفَنَا فِي إِمْهَالِهِ، وَمَا زَالَ يَنْقُضُ بَيْعَتَهُ وَيَخْفِرُ ذِمَّتَهُ حَتَّى أَحَلَّ لَنَا عُقُوبَتَهُ، وَأَبَاحَنَا دَمَهُ، فَحَكَمْنَا فِيهِ حُكْمَهُ فِي غَيْرِهِ، وَلَمْ يَمْنَعْنَا الْحَقُّ لَهُ مِنْ إِمْضَاءِ الْحَقِّ فِيهِ، وَمَا أَحْسَنَ مَا قَالَ النَّابِغَةُ الذُّبْيَانِيُّ لِلنُّعْمَانِ - يَعْنِي ابْنَ الْمُنْذِرِ: - فَمَنْ أَطَاعَكَ فَانْفَعْهُ بِطَاعَتِهِ ... كَمَا أَطَاعَكَ وَادْلُلْهُ عَلَى الرَّشَدِ
পৃষ্ঠা - ৭৯৪০


“যে আপনার আনুগত্য করে আপনি আনুগত্যের কারণে তার উপকার করুন ৷ যেমন সে
কল্যাণে আপনার আনুগত্য করেছে ৷ আর যে আপনার অবাধ্য হয় তাকে এমন শাস্তি প্রদান করুন
যা অন্যকেও নিবৃত করবে, আ র আপনি অন্যায়ের উপর স্থির থ ৷কবেন না ৷ ”

ইমাম বায়হা ৷কী হাকিম থেকে তার সনদে বর্ণনা করেছেন যে আবদুল্লাহ ইবন ঘুবা রককে প্রশ্ন
করা হল আবু মুসলিম উত্তম নাকি হাজ্জ জ্জাজ ইবন ইউসুফ ৷ তখন তিনি বললেন, আমি বলব না যে
আবু মুসলিম কারও চেয়ে উত্তম ছিলেন ৷ তবে হাজ্জ ৷জ তার চেয়ে নিকৃষ্ট ছিল ৷ কেউ কেউ৩া
মুসলমানিতু কে অভিযুক্ত করেছেন এবৎ৩ তাকে নাস্তিক আখ্যা দিয়েছেন ৷ কিন্তু আবু মুসলিম
সম্পর্কে (তারা) কেউ এ জা ৷ভীয় মন্তব্য করেছেন বলে আমার জানা নেই ৷ বরৎ৩ তিনি (তা আল্লাহ্
ভীরু ছিলেন, নিজের পাপকে ভয় করতেন ৷ আব্বাসীয় সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠায় তার পক্ষ থেকে যে

ব ক্তপাত হয়েছিল তিনি তা থেকে তাওবা দাবী করেছিলেন ৷ আর আল্লাহ্ তার বিষয় সম্পর্কে
সর্বাধিক অবগত ৷

খভীব বাগদাদীত তার থেকে বংনাি করেছেন ৷ তিনি (আবু মুসলিম) বলেন, ধৈর্যকে আমি
আমার পরিধেয় বা ৷নিয়েছি, ন্যুনতম জীবনােপকরণকে প্রাধান্য দিয়েছি দুঃখ রেদনার সাথে সন্ধি
মিতালী করেছি ৷৩ তাকদীর ও মহান আল্লাহর বিধানের সাথে প্ৰতিদ্বন্দিতায় অবতীর্ণ হয়েছি ৷
অবশেষে ইচ্ছা অভিলায়ের৷ প্র৷ ম্ভ সীমায় উপনীত হয়েছি ৷ এরপর তিনি আবৃত্তি করতে লাগলেনং

fl × ১ ষ্ ’ ৩


“দৃঢ় সংকল্প ও গোপনীয়তা রক্ষা দ্বারা আমি যা লাভ করেছি বন মারওয়াভৈনর শাসকবর্গ
একত্রিত হয়েও তা লাভ করতে পারেনি’ ৷

’ঠশ্১দৃ ঞে

“একের পর এক তরবাবির আঘাতে আমি তাদেরকে জ গ্রত করেছি এমন ঘুম থেকে যে
ঘুম আর পুর্বে কেউ ঘুমায়নি ৷ ”

া,’এএ, এএ ব্লু ৷এ ৷ ৩ণ্ধ্ওাএ হেএ ’ণ্টু’এাট্রু ন্শু১ )পুা১ং হেএ এণ্ধ্া’এ গোর্দুা’ ;;া ৷ণ্ঠু

৩াদের গৃহ-নিবাসে আ ৷মি তাদের তত্ত্ব৷ ৷বধান করতে লাগলাম আর লোকেরা তখন শামদেশে
তাদের সাম্রাজ্যে শায়িত নিদ্রিত ৷

’শ্ শ্শ্ষ্শ্ দ্বুশ্শ্শ্ শ্০শ্শ্শ্শ্ চ্শ্শ্ষ্’ ণ্শ্ শ্নশ্শ্ ণ্ষ্শ্শ্
ষ্ঠে০এ

“শ্বাপদসৎ কুল ভুখণ্ডে যে যেষ চরাতে গিয়ে নিদ্রামগ্ন হবে৩ তার মেষ চরানাে র দ ৷য়িতৃ পালন
করে ৫নকড়ে ও সিং হরা” ৷

আর আবু ঘুসলিমের হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয় এ বছর অর্থাৎ একশস সাইত্রিশ হিজরীর ৷৷বান
মাসের সাত কিংবা পচিশ কিংবা ছ৷ ৷ব্বিশ কিংবা আ ৷টাশ তারিখ বুধবার ৷ কো ন কো ন ঐতিহাসিক



১ ওফায়াতৃল আ’য়ানে এবং ইবনুল আহীরে শব্দের ঈষৎ পরিবর্ত্য৷ বিদ্যমান ৷
২ ওফায়াতৃল আ’য়ানে পঙ্ক্তি ঈষৎ পরিবর্তিত শব্দে বিদ্যমান ৷
: ওফায়াতৃল আ’য়ানে এ পঙক্তির শব্দে ঈষৎ পরিবর্ত্য৷ বিদ্যমান ৷


وَمَنْ عَصَاكَ فَعَاقِبْهُ مُعَاقَبَةً تَنْهَى الظَّلُومَ وَلَا تَقْعُدْ عَلَى ضَمَدِ وَقَدْ رَوَى الْبَيْهَقِيُّ عَنِ الْحَاكِمِ، بِسَنَدِهِ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الْمُبَارَكِ سُئِلَ عَنْ أَبِي مُسْلِمٍ; أَكَانَ خَيْرًا أَمِ الْحَجَّاجُ؟ فَقَالَ: لَا أَقُولُ إِنَّ أَبَا مُسْلِمٍ كَانَ خَيْرًا مِنْ أَحَدٍ، وَلَكِنْ كَانَ الْحَجَّاجُ شَرًّا مِنْهُ. وَقَدِ اتَّهَمَهُ بَعْضُهُمْ عَلَى الْإِسْلَامِ، وَرَمَوْهُ بِالزَّنْدَقَةِ، وَلَمْ أَرَ فِيمَا ذَكَرُوهُ مَا يَدُلُّ عَلَى ذَلِكَ، بَلْ عَلَى أَنَّهُ كَانَ مِمَّنْ يَخَافُ اللَّهَ مِنْ ذُنُوبِهِ، وَقَدِ ادَّعَى التَّوْبَةَ مِمَّا كَانَ سَفَكَ مِنَ الدِّمَاءِ فِي إِقَامَةِ الدَّوْلَةِ الْعَبَّاسِيَّةِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ بِأَمْرِهِ. وَقَدْ رَوَى الْخَطِيبُ عَنْهُ أَنَّهُ قَالَ: ارْتَدَيْتُ الصَّبْرَ، وَآثَرْتُ الْكِتْمَانَ، وَحَالَفْتُ الْأَحْزَانَ وَالْأَشْجَانَ، وَسَامَحْتُ الْمَقَادِيرَ وَالْأَحْكَامَ حَتَّى بَلَغْتُ غَايَةَ هِمَّتِي، وَأَدْرَكْتُ نِهَايَةَ بُغْيَتِي. ثُمَّ أَنْشَأَ يَقُولُ: قَدْ نِلْتُ بِالْحَزْمِ وَالْكِتْمَانِ مَا عَجَزَتْ ... عَنْهُ مُلُوكُ بَنِي مَرْوَانَ إِذْ حَشَدُوا مَا زِلْتُ أَضْرِبُهُمْ بِالسَّيْفِ فَانْتَبَهُوا ... مِنْ رَقْدَةٍ لَمْ يَنَمْهَا قَبْلَهُمْ أَحَدُ طَفِقْتُ أَسْعَى عَلَيْهِمْ فِي دِيَارِهِمْ ... وَالْقَوْمُ فِي مُلْكِهِمْ بِالشَّامِ قَدْ رَقَدُوا وَمَنْ رَعَى غَنَمًا فِي أَرْضِ مَسْبَعَةٍ ... وَنَامَ عَنْهَا تَوَلَّى رَعْيَهَا الْأَسَدُ وَقَدْ كَانَ قَتَلَهُ بِالْمَدَائِنِ يَوْمَ الْأَرْبِعَاءِ لِسَبْعٍ خَلَوْنَ - وَقِيلَ: لِخَمْسٍ بَقِينَ.
পৃষ্ঠা - ৭৯৪১
وَقِيلَ: لِأَرْبَعٍ. وَقِيلَ: لِلَيْلَتَيْنِ بَقِيَتَا - مِنْ شَعْبَانَ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ. أَعْنِي سَنَةَ سَبْعٍ وَثَلَاثِينَ وَمِائَةٍ. وَقَالَ بَعْضُهُمْ: كَانَ ابْتِدَاءُ ظُهُورِهِ فِي رَمَضَانَ مِنْ سَنَةِ تِسْعٍ وَعِشْرِينَ وَمِائَةٍ، وَقُتِلَ فِي شَعْبَانَ سَنَةَ سَبْعٍ وَثَلَاثِينَ وَمِائَةٍ. وَزَعَمَ بَعْضُهُمْ أَنَّهُ قُتِلَ بِبَغْدَادَ فِي سَنَةِ أَرْبَعِينَ، وَهَذَا غَلَطٌ مِنْ قَائِلِهِ; فَإِنَّ بَغْدَادَ لَمْ تَكُنْ بُنِيَتْ بَعْدُ، وَقَدْ رَدَّ هَذَا الْقَوْلَ أَبُو بَكْرٍ الْخَطِيبُ فِي " تَارِيخِهِ ". وَاللَّهُ أَعْلَمُ. ثُمَّ إِنَّ الْمَنْصُورَ شَرَعَ فِي تَأْلِيفِ أَصْحَابِ أَبِي مُسْلِمٍ بِالْأَعْطِيَةِ وَالرَّغْبَةِ وَالرَّهْبَةِ، وَاسْتَدْعَى أَبَا إِسْحَاقَ، وَكَانَ مِنْ أَعَزِّ أَصْحَابِ أَبِي مُسْلِمٍ عِنْدَهُ، وَكَانَ عَلَى شُرْطَتِهِ، وَهَمَّ بِضَرْبِ عُنُقِهِ، فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، وَاللَّهِ مَا أَمِنْتُ قَطُّ إِلَّا فِي هَذَا الْيَوْمِ، وَمَا مِنْ مَرَّةٍ كُنْتُ أَدْخُلُ عَلَيْهِ إِلَّا تَحَنَّطْتُ وَلَبِسْتُ أَكْفَانِي. ثُمَّ كَشَفَ عَنْ ثِيَابِهِ الَّتِي تَلِي جَسَدَهُ فَإِذَا هُوَ مُحَنَّطٌ، وَعَلَيْهِ أَدْرَاعُ أَكْفَانٍ، فَرَقَّ لَهُ الْمَنْصُورُ، وَأَطْلَقَهُ. وَذِكَرَ ابْنُ جَرِيرٍ أَنَّ أَبَا مُسْلِمٍ قَتَلَ فِي حُرُوبِهِ وَمَا كَانَ يَتَعَاطَاهُ لِأَجْلِ دَوْلَةِ
পৃষ্ঠা - ৭৯৪২


বলেন, তার বিজয়ের সুচনা হল ১২৯ হিজরীর রমাযান মাসে ৷ মতান্তরে ১২৭ হিজরীর শাবান
মাসে ৷ কোন কোন ঐতিহাসিক দাবী করেন তিনি : : হিজরীতে বাগদাদে নিহত হন ৷ অবশ্য এই
মতটি সঠিক নয়, কেননা তখনও বাগদাদ শহর নির্মিত হয়নি যেমনটি খতীব বাগদাদী তার
“তারীখ বাগদাদ” গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন এবং এই মতকে প্রত্যাখ্যান করেছেন ৷

আবুঘুসলিমকে হত্যা করার পর খলীফা মানসুর তার ঘনিষ্ট সহচরদের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে
তোলার দিকে মনােযােগী হন ৷ কখনও উপহার-উপচৌকন দ্বারা কখনও বা ভয়-ভীতি ও
আশা-আকাক্ষেড়া সৃষ্টি করে ৷ আবার কখনও কোন পদের প্রস্তাব দিয়ে ৷ ঐ সময় তিনি আবু
মুসলিমের ঘনিষ্টতম সহচর আবু ইসহাককে ডেকে পাঠান ৷ উল্লেখ্য যে এই ব্যক্তি আবু
মুসলিমের পুলিশ প্রধান ছিল এবং তাকে হত্যা করতে উদ্যত হন ৷ তখন তিনি বলেন, হে
আমীরুল ঘু’মিনীন আজকের এই দিন ব্যতীত আমি কোন দিন আমার জীবনের ব্যাপারে নিরাপত্তা
বোধ করিনি ৷ ইতিপুর্বে আমি যেদিনই আপনার সাক্ষাভ্রুত প্রবেশ করেছি সেদিনই আমি সুগন্ধি
যেখে কাফনের কাপড় পরে নিয়েছি ৷ একথা বলার পর সে তার শরীর সংলগ্ন কাপড় অনাবৃত
করল ৷ তখন দেখা গেল তা হল সুগন্ধিমাখড়া কাফনের কাপড় ৷ তার ঐ অবস্থা দর্শনে খলীফা
মানসুর তার প্রতি দয়র্দ্র হয়ে তাকে মুক্ত করে দেন ৷

ঐতিহাসিক ইবন জারীর উল্লেখ করেছেন যে আবু মুসলিম তার যুদ্ধসমুহে এবং আব্বাসীয়
সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠায় ছয় লক্ষ মানুষকে ঠাণ্ডামাথায় হত্যা করে ৷ এ সংখ্যা হল তাদের অতিরিক্ত
যাদেরকে সে অন্যান্য কারণে হত্যা করে ৷ খলীফা মানসুর যখন তার কৃতকর্মের কারণে তাকে
তিরস্কার করছিলেন তখন সে তাকে বলল, হে আমীরুল মু’মিনীন ৷ আপনাদের অনুকুলে আমার
পক্ষ থেকে যা কিছু করা হয়েছে তারপর আর আমাকে এরুপ তিরস্কার করা যায় না ৷ তখন মানসুর
তাকে বলেন, হে কুমাতার সন্তান ! তোমার স্থলে যদি কোন বীদীও হত তাহলে সেও এ কাজের
জন্য যথেষ্ট হত ৷ তুমি যা কিছু করতে পেরেছ তাতো আমাদের শক্তিমত্তা ও প্রভাব-প্রতিপত্তির
কারণে ৷ যদি তা তোমার একক ব্যক্তির হাতে ন্যস্ত হতো তাহলে তুমি সহস্রভাগের একতাগও
অর্জন করতে পারতে না ৷ খলীফা মানসুর যখন তাকে হত্যা করেন তখন তার দেহকে খণ্ড-বিখণ্ড
করে কাপড়ে পেচিয়ে রাখা হয় ৷ এ সময় ঈসা ইবন মুসা সেখানে প্রবেশ করে বলেন, হে
আমীরুল মু’মিনীন আবু মুসলিম কোথায় ? তখন তিনি বলেন, এইমাত্র সে এখানে ছিল ৷ তখন
ঈসা বলেন, হে আমীরুল ঘু’মিনীন ৷ আপনি তো তার আনুগত্য , হিতাকাঙক্ষী এবং তার ব্যাপারে
ইমাম ইবরাহীমের রায় অবগত হয়েছেন ৷ তখন তিনি তাকে বলেন , আল্লাহ্র কসম ৷ পৃথিবীর
বুকে তোমার তার চেয়ে ঘোরতর শত্রুর কথা আমার জানা নেই এই তো সে চাদরে জড়ানাে ৷
তখন তিনি ইন্নালিল্লাহ্ পড়েন ৷ ঐ সময় মানসুর তাকে বলেন, আল্লাহ তোমাকে হৃৎপিণ্ড
শুন্য করুন ৷ আবু ঘুসলিমের জীবদ্দশায় কি তোমাদের কারও কোন যান,-মর্যাদা, প্রভাবএতিপত্তি,
কিৎবা আদেশনিষেধের কর্তৃত্ব ছিল ? এরপর খলীফা মানসুর তার শীর্ষস্থানীয় আমীর উমারাদের
ডেকে পাঠান এবং আবু ঘুসলিমের হত্যার বিষয়ে তারা কিছু জানার পুর্বে এ বিষয়ে তাদের
পরামর্শ চান ৷ তখন এদের প্রত্যেকে মানসুরকে তাকে হত্যার পরামর্শ দেন ৷ এদের কেউ কেউ
চুপিসারে কথা বলছিলেন যাতে তার কথা আবুমুসলিমের কানে না পৌছে ৷ এরপর মানসুর যখন
তাদেরকে তার হত্যার কথা অবহিত করেন তারা প্রথমে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ৷ এরপর ভীষণ


بَنِي الْعَبَّاسِ، سِتَّمِائَةِ أَلْفٍ صَبْرًا. وَقَدْ قَالَ لِلْمَنْصُورِ وَهُوَ يُعَاتِبُهُ عَلَى مَا كَانَ يَصْنَعُهُ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، لَا يُقَالُ لِي مِثْلُ هَذَا بَعْدَ بَلَائِي وَمَا كَانَ مِنِّي. فَقَالَ: يَا ابْنَ الْخَبِيثَةِ، وَاللَّهِ لَوْ كَانَتْ أَمَةٌ مَكَانَكَ لَأَجْزَأَتْ عَنْكَ، إِنَّمَا عَمِلْتَ مَا عَمِلْتَ فِي دَوْلَتِنَا وَبِرِيحِنَا، لَوْ كَانَ ذَلِكَ إِلَيْكَ لَمَا قَطَعْتَ فَتِيلًا. وَلَمَّا قَتَلَهُ الْمَنْصُورُ لُفَّ فِي كِسَاءٍ وَهُوَ مُقَطَّعٌ إِرَبًا إِرَبًا، فَدَخَلَ عِيسَى بْنُ مُوسَى الَّذِي كَانَ وَعَدَهُ أَنْ يَلْحَقَهُ لِيَشْفَعَ فِيهِ، فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، أَيْنَ أَبُو مُسْلِمٍ؟ قَالَ: قَدْ كَانَ هَاهُنَا آنِفًا. فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، قَدْ عَرَفْتَ طَاعَتَهُ وَنَصِيحَتَهُ، وَرَأْيَ إِبْرَاهِيمَ الْإِمَامِ فِيهِ. فَقَالَ لَهُ: يَا أَنْوَكُ، وَاللَّهِ مَا أَعْلَمُ فِي الْأَرْضِ عَدُوًّا أَعْدَى لَكَ مِنْهُ، هَا هُوَ ذَاكَ فِي الْبِسَاطِ. فَقَالَ: إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ! فَقَالَ لَهُ الْمَنْصُورُ: خَلَعَ اللَّهُ قَلْبَكَ! وَهَلْ كَانَ لَكُمْ مُلْكٌ أَوْ سُلْطَانٌ أَوْ أَمْرٌ أَوْ نَهْيٌ مَعَ أَبِي مُسْلِمٍ؟ ثُمَّ اسْتَدْعَى الْمَنْصُورُ بِرُءُوسِ الْأُمَرَاءِ، فَجَعَلَ يَسْتَشِيرُهُمْ فِي قَتْلِ أَبِي مُسْلِمٍ قَبْلَ أَنْ يَعْلَمُوا بِقَتْلِهِ، فَكُلُّهُمْ يُشِيرُ بِقَتْلِهِ، وَمِنْهُمْ مَنْ إِذَا تَكَلَّمَ أَسَرَّ كَلَامَهُ لِئَلَّا يُنْقَلَ عَنْهُ إِلَى أَبِي مُسْلِمٍ، فَلَمَّا أَطْلَعَهُمُ الْخَلِيفَةُ عَلَى قَتْلِهِ أَفْرَحَهُمْ ذَلِكَ، وَأَظْهَرُوا سُرُورًا كَثِيرًا، ثُمَّ خَطَبَ الْمَنْصُورُ النَّاسَ عَامَّةً بِذَلِكَ كَمَا قَدَّمْنَاهُ. ثُمَّ كَتَبَ الْخَلِيفَةُ إِلَى نَائِبِ أَبِي مُسْلِمٍ عَلَى أَمْوَالِهِ وَحَوَاصِلِهِ بِكِتَابٍ
পৃষ্ঠা - ৭৯৪৩

আনন্দ প্রকাশ করেন ৷ এ সময় খলীফা মানসুর লোক সমাবেশে ভাষণ দান করেন ৷ যেমনটি পুর্বে
বিগত হয়েছে ৷

এরপর খলীফা ৷মানসুর আবু মুসলিমের যবানিতে তার যাবতীয় অর্থ সম্পদ ও অন্যান্য
মুল্যবান সামগ্রীর নায়িব বা তত্ত্ব৷ ৷বধায়কের কাছে পত্র প্রেরণ করেন ৷ এ পাত্র তিনি তাকে যাবতীয়
অর্থ সম্পদ, ধনভ ৷ণ্ডার ও মুল্যবান রত্ন৷ ৷দিসহ৷ ত ৷র দরবারে উপস্থিত হওয়া র নির্দো৷ প্রদান করেন ৷
এই পত্রে তিনি আবু মুসলিমের থােদ৷ ৷ইকৃত আৎঢির পুর্ণ ছাপ মারেন ৷ এদিকে ভাণ্ডা র রক্ষক তা
দেখে তখন সে সংশয়গ্রস্ত হয়ে পড়ে ৷ কেননা আবু মুসলিম তাকে নির্দেশ দিয়ে রেখেছিলেন
তোমার কাছে যদি আমার পত্র আসে আর তুমি যদি তাতে অর্ধেক আৎটির ছাপ দেখ তাহলে তার
নির্দেশ কার্যকর করে৷ ৷ কেননা, আমি আমার পত্রাদিতে অর্ধেক আত্টির ছা ৷প দিই ৷ আর যদি
তোমার কাছে আমার পুর্ণ আৎটির ছাপসহ পত্র আসে তাহলে তা গ্রহণ করে৷ না এবং তার নির্দেশ
বাস্তবায়ন করে৷ না ৷ ফলে আবুমুসলিমের কােষাগার প্রধান খলীফা মানসুরের পত্র গ্রহণ করেনি ৷

এরপর খলীফা মানসুর লোক পাঠিয়ে এই ব্যক্তিকে১ হত্যা করেন এবং সে সবকিছু করায়ত্ত
করেন ৷ এছাড ডাতিনি এ সময় আবুমুসলিমের পরিবর্তে আবু দ উদ ইবরাহীম ইবন খালিদকে
খৃরাসানের আমীর নিয়োগ করেন যেমন তিনি ইতিপুর্বে তাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ৷

এ বছরেই আবু মুসলিম হত্যার প্রতিশোধ গ্রহণের জন্য সানবায নামক এক ব্যক্তি বিদ্রোহ
করে ৷ এই সানবায মাজুসী ছিল এবং সে কুমাস ও ,ইস্পাহান শহর জবব দখল করেছিল ৷ তাকে
ফিরোয ইসরাহবায নামে ডাকা হত ৷ এ সময় আবু জ৷ ফর তার বিরুদ্ধে জাহ্ওয়ার ইবন মুরার

আল আজা লীর নেতৃত্বে দশ সহস্র অশ্বারোহীর এক বাহিনী প্রেরণ করেন ৷ তখন তারা হামদান ও
রায় শহরের মধ্যবর্তী প্রান্তরে মুখোমুখি হয় ৷ এ যুদ্ধে জাহ্ওয়ার সানবাযকে পরাজিত করেন এবং
তার সাথের ষাট হাজার যােদ্ধাকে হত্যা করেন ৷ এছাড়া ত্রী-সম্ভানদের যুদ্ধবন্দী করেন ৷ এরপর
সানবায নিজেও নিহত হয় ৷ তার কর্তৃতৃকাল ছিল সত্তর দিন ৷ এ সময় জাওহার সানবায অধিকৃত
আবুমুসলিমের রায় শহরন্থ ধন-সম্পদ করায়ত্ত করেন ৷ এছাড়া এ বছরই মুলাব্বাদ ইবন হারম৷ লা
আশ শায়ব৷ ৷নী নামক এক ব্যক্তি জা ৷যিরাতে এক হাজ ৷র খারেজী নিয়ে বিদ্রোহ করে ৷ তখন খলীফা
মানসুর তার বিরুদ্ধে একাধিক বিশাল বাহিনী প্রেরণ করেন ৷ কিন্তু তারা সকলেই তাদের
মােক৷ ৷বিলায় বিপর্যস্ত ও ব্যর্থ হয় ৷ অবশে যে জা ৷যীরার বাপ্রশ সক হুনা য়দ ইবন কাহতাবা৩ ৷র ৷বিরুদ্ধে
লড়াই করেন ৷ এ লড়৷ ৷ইয়ে মুলাব্বাদ৩ তাকে পরাজিত করে আর হুমায়দ খনত তার থেকে
আত্মরক্ষার জন্য এক কেল্লায় আশ্রয় গ্রহণ করেন ৷ তারপর একলক্ষ দিরহামের বিমিয়ে হুমায়দ
ইবন কাহতাব৷ তার সাথে সন্ধি করেন ৷ হুমায়দ যখন তার কাছে এ অর্থ প্রেরণ করেন তখন
মুনাব্বাদ তা গ্রহণ করে এবংার অবরোধ উঠিয়ে নেয় ৷

এবছব খলীফা মানসুরের চাচা ইসমাঈল ইবন আলী ইবন আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস হজ্জ
পরিচালনা করেন এটা হল ওয়াকিদীর বক্তব্য ৷ আর তিনি এসময় মুছেলের গভর্ণর ছিলেন ৷
এছাড়া কুফার গভর্নর ছিলেন ঈসা ইবন মুসা, বসরার গভর্নর সুলায়মান ইবন আলী, আল জাযীরার
১ আততাবারীতে (৯ খ : ১৬৮ পৃ) এবং ইবনুল আহীর এ (৫ খ : ৪ ৭৮ পৃ) রয়েছে, পরবর্তীকালে এই

ব্যক্তি মানসুরের কাছে আগমন করে ক্ষমা প্রার্থনা করলে তিনি তাকে ক্ষমা করেন ৷ আর আল-ইমামা
ওয়াসৃসিয়াসা (২ খ প্ল ১৬৪ পৃ ) তে এও রয়েছে তিনি তাকে মাওসিলের গভর্নর নিয়োগ করেন ৷

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া ( ১০ম খণ্ড)-১৮

০০ ৷৷া



عَلَى لِسَانِ أَبِي مُسْلِمٍ، وَخَتَمَ عَلَيْهِ بِخَاتَمِ أَبِي مُسْلِمٍ، أَنْ يَقْدُمَ بِجَمِيعِ مَا عِنْدَهُ مِنَ الْحَوَاصِلِ وَالْأَمْوَالِ، فَلَمَّا وَصَلَ الْكِتَابُ إِلَى نَائِبِهِ وَعَلَيْهِ الْخَاتَمُ بِكَمَالِهِ مَطْبُوعًا اسْتَرَابَ فِي الْأَمْرِ، وَقَدْ كَانَ أَبُو مُسْلِمٍ تَقَدَّمَ إِلَيْهِ: إِنِّي إِذَا بَعَثْتُ إِلَيْكَ كِتَابِي، فَإِنَّمَا أَخْتِمُ بِنِصْفِ الْفَصِّ عَلَى الْكِتَابِ، فَإِذَا جَاءَكَ الْخَاتَمُ بِكَمَالِهِ فَلَا تَقْبَلْ. فَامْتَنَعَ نَائِبُهُ مِنْ قَبُولِ ذَلِكَ الْكِتَابِ وَالِانْقِيَادِ لَهُ، فَأَرْسَلَ الْمَنْصُورُ إِلَيْهِ مَنْ قَبَضَهُ لَهُ، وَقَتَلَ ذَلِكَ الرَّجُلَ. وَكَتَبَ الْمَنْصُورُ إِلَى أَبِي دَاوُدَ خَالِدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ بِإِمْرَةِ خُرَاسَانَ كَمَا وَعَدَهُ قَبْلَ ذَلِكَ عِوَضًا عَنْ أَبِي مُسْلِمٍ الْخُرَاسَانِيِّ. وَلِلَّهِ الْأَمْرُ. وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ خَرَجَ سِنْبَاذُ يَطْلُبُ بِدَمِ أَبِي مُسْلِمٍ الْخُرَاسَانِيِّ، وَقَدْ كَانَ سِنْبَاذُ هَذَا مَجُوسِيًّا تَغَلَّبَ عَلَى قُومِسَ وَأَصْبَهَانَ وَالرَّيَّ، وَتُسَمَّى بِفَيْرُوزَ أَصْبَهْبَذَ، فَبَعَثَ إِلَيْهِ أَبُو جَعْفَرٍ الْمَنْصُورُ جَيْشًا هُمْ عَشَرَةُ آلَافِ فَارِسٍ عَلَيْهِمْ جَهْوَرُ بْنُ مَرَّارٍ الْعِجْلِيُّ، فَالْتَقَوْا بَيْنَ هَمَذَانَ وَالرَّيِّ عَلَى طَرَفِ الْمَفَازَةِ،
পৃষ্ঠা - ৭৯৪৪
فَهَزَمَ جَهْوَرٌ لِسِنْبَاذَ، وَقَتَلَ مِنْ أَصْحَابِهِ سِتِّينَ أَلْفًا، وَسَبَى ذَرَارِيَّهُمْ وَنِسَاءَهُمْ، وَقُتِلَ سِنْبَاذُ بَعْدَ ذَلِكَ، فَكَانَتْ أَيَّامُهُ سَبْعِينَ يَوْمًا. وَأُخِذَ مَا كَانَ اسْتَحْوَذَ عَلَيْهِ مِنْ أَمْوَالِ أَبِي مُسْلِمٍ الَّتِي كَانَتْ بِالرَّيِّ. وَخَرَجَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ أَيْضًا رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ: مُلَبَّدٌ. فِي أَلْفٍ مِنَ الْخَوَارِجِ بِالْجَزِيرَةِ، فَجَهَّزَ لَهُ الْمَنْصُورُ جُيُوشًا مُتَعَدِّدَةً كَثِيفَةً، فَكُلُّهَا تَنْفِرُ مِنْ مُلَبَّدٍ، ثُمَّ قَاتَلَهُ حُمَيْدُ بْنُ قَحْطَبَةَ نَائِبُ الْجَزِيرَةِ فَهَزَمَهُ مُلَبَّدٌ، وَتَحَصَّنَ مِنْهُ حُمَيْدٌ فِي بَعْضِ الْحُصُونِ، ثُمَّ صَالَحَهُ حُمَيْدُ بْنُ قَحْطَبَةَ عَلَى مِائَةِ أَلْفٍ، فَدَفَعَهَا إِلَيْهِ، وَقَبِلَهَا مُلَبَّدٌ، وَانْقَلَعَ عَنْهُ. وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ عَمُّ الْخَلِيفَةِ إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ. قَالَهُ الْوَاقِدِيُّ. وَكَانَ نَائِبَ الْمَوْصِلِ، وَعَلَى نِيَابَةِ الْكُوفَةِ عِيسَى بْنُ مُوسَى، وَعَلَى الْبَصْرَةِ سُلَيْمَانُ بْنُ عَلِيٍّ، وَعَلَى الْجَزِيرَةِ حُمَيْدُ بْنُ قَحْطَبَةَ، وَعَلَى مِصْرَ صَالِحُ بْنُ عَلِيٍّ، وَعَلَى خُرَاسَانَ أَبُو دَاوُدَ خَالِدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَعَلَى الْحِجَازِ زِيَادُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ. وَلَمْ يَكُنْ لِلنَّاسِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ صَائِفَةٌ; لِشُغْلِ الْخَلِيفَةِ بِسِنْبَاذَ. وَمِنْ مَشَاهِيرِ مَنْ تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ أَبُو مُسْلِمٍ الْخُرَاسَانِيُّ وَقَدْ تَقَدَّمَتْ تَرْجَمَتُهُ، وَيَزِيدُ بْنُ أَبِي زِيَادٍ أَحَدُ الْمُتَكَلَّمِ فِيهِمْ، كَمَا ذَكَرْنَا فِي " التَّكْمِيلِ ".