ثم دخلت سنة سبع وثلاثين ومائة
ذكر مهلك أبي مسلم الخراساني
পৃষ্ঠা - ৭৯২২
এদিকে আবদুল্লাহ ইবন আলী এরৎত তার ভাই আবদুস সামাদ উদ্দেশ্যহীনভা ক্তাব বেরিয়ে পড়লেন ৷
এরপর তারা যখন বাস্সাফাতে পৌছলেন তখন আবদুস সামাদ সেখানে থেকে গেলেন ৷ আ
আবু খাসীব যখন ফেরার পথে তাকে সেখানে পেল তখন সে তাকে লৌহ শৃগ্রাল আবদ্ধ করে
বন্দী অবস্থায় তার সাথে নিয়ে পেল ৷ সে যখন তাকে মানসুরের সামনে উপস্থিত করে তখন তিনি
তাকে ঈসা ইবন মুসার হিফাযতে ৩ন্যস্ত করেন ৷ এসময় ঈসা মানসুরেব কাছেত তার জন্য নিরাপত্তা
প্রার্থনা করেন ৷ মতাম্ভরে তার জন্য নিরাপত্তা প্রার্থনা করেন ইসমা ঈল হ্বৃন আালী ৷ আর আবদুল্লাহ
ইবন আলী, তিনি রসরার অবস্থানরত তার ভাই সুলায়মান ইবন আলীর কাছে গমন করেন এবং
বেশ কিছুকা ল তার কাছে আত্মগােপন করে থাকেন ৷ এরপর মানসুর তার সম্পর্কে জানতে পারেন
এবং লোক পাঠিয়েতাকে বনু উসামার লবণ সংরক্ষণের ঘরে তাকে কয়েদ করে রাখেন ৷ এরপর
তাতে পানিা ছাড়েন তখন লবণ গলে যায় এবং ঘরটি আবদুল্লাহ্র উপর ভেঙ্গে পড়ে তিনি মারা
যান ৷ আ র এটা খলীফা মানসুরের অন্যতম একটি ণর্হিত কর্ম ৷ আ রাসঠিক বিষয় আ ল্লাহ্ জানেন ৷
এসময়ত তিনি সাত বছর জেলে অরস্থু ন করেন ৷ তারপর তিনি যে ঘরে অবস্থানরত ছিলেন তা বলে
পড়লে তিনি মৃত্যুবরণ করেন ৷ যেমন তার বিবরণ যথাস্থানে ইনশাআল্লাহ্ আসছো
আবু মুসলিম খুরাসানীর হত্যাকাণ্ড
এরছরই আবু মুসলিম যখন হজ্জ সমাপন করেন তখন তিনি সকলকে ছাড়িয়ে এক মনযিল
অগ্রসর হয়ে যান ৷ এমন সময় তার কাছে পথিমধ্যে সাফ্ফাহ এর ড্রুত্যু স রাদ পৌছে ৷ তখন
তিনি খলীফাাসম্বে ধন করা ছাড়াই আবুজা ফরের কাছে পত্র লিখেন তার তাইয়ের মৃত্যুতে তাকে
সান্তুনা দেয়৩ তিনি নিজে তার কাছে ফিরে আসেননি ৷ এতে মানসুর তারাপ্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন ৷
উপরন্তু পুর্ব থেকেই তিনিণ্ তার প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করতেন ৷ কারও কা রও মতে এ সমযয খলীফা
মানসুরই এক মনযিল অগ্রবর্তী ছিলেন ৷ এরপর তার কাছে যখন তার তাইয়ের মৃত্যু সৎরাদ
পৌছে তখন তিনি আবু ঘৃসলিমকে হ্রা করার নির্দেশ দিয়ে পত্র প্রেরণ করেন ৷ যেমন আমরা
পুর্বে উল্লেখ করেছি ৷ এসময় তিনি তার পত্র লিখক আবু আয়ুবকে বলেন, তাকে কঠাোর ভ ষায়
পত্র লিখ ৷ আবৃ মুসলিমের কাছে যখন পত্রটি পৌছে তখন তিনি তাকে খলীফ সম্বোধনে
অভিনন্দিত করেন এবং তার রশ্যতাীকার করে নেন ৷ জনৈক আমীর এসময় খলীফা মানসুরকে
পরামর্শ দিয়ে বলেন, আমরা মনে করি পথিমধ্যে তার সাথে মিলিত হওয়া আপনার জন্য ঠিক হবে
না ৷ কেননা তার সাথে রয়েছে তার একান্ত অনুগত সৈন্যদল যারা তাকে অত্যধিক সমীহ করে
এবং তার আনুগত্যে প্রদর্শনে অতি তৎপর ৷ অথচ আপনার সাথে তেমন কেউ নেই ৷ তখন
খলীফা মানসুর তার মত গ্রহণ করেন ৷ এরপর আবু জাফরের অনুকুলে তার বায়আত গ্রহণ
আমরা উল্লেখ করেছি ৷ এরপর তিনি তাকে তার চাচা আরদুল্লাহ্র বিরুদ্ধে প্রেরণ করলে তিনি
তাকে পর্বুদস্ত করেন যেমনটি পুর্বে বর্ণিত হয়েছে ৷ এছাড়া ইত্যরসরে হাসান ইবন কাহতাবা
খলীফা মানসুরের পত্র লিখক আবু আয়ুব্রবের কাছে দুত পাঠানতার সাথে সরাসরি কথা বলে
তাকে এ বিষয়ে অবহিত করার জন্য যে আবু মুসলিম খলীফা আ বু জা ফরের কাছে অভিযুক্ত ৷
তার কাছে যখন খলীফার কোন পত্র আসে তখন যে তা পড়ে তারপর তার মুখের কোণা বাকািয়
তা আবুনসরের দিকে ছুড়ে যাবে এবং দু’জন মিলে বিদাপাত্মক হাসি হাসতে থাকে ৷ তখন আবু
আয়ুভ্রব বলেন, আবুমুসলিমের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান এর চেয়ে স্পষ্টতর ৷ আর আবুজাফর
আল-ৰিদায়া ওয়ান নিহায়া ( ১০ম খণ্ড)--১৬
عِنْدَهُ زَمَانًا مُخْتَفِيًا، ثُمَّ عَلِمَ بِهِ الْمَنْصُورُ، فَبَعَثَ إِلَيْهِ فَسَجَنَهُ، فَلَبِثَ فِي السَّجْنِ تِسْعَ سِنِينَ، ثُمَّ سَقَطَ عَلَيْهِ الْبَيْتُ الَّذِي هُوَ فِيهِ فَمَاتَ، كَمَا سَيَأْتِي بَيَانُهُ فِي مَوْضِعِهِ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى.
[ذِكْرُ مَهْلِكِ أَبِي مُسْلِمٍ الْخُرَاسَانِيِّ]
فِي هَذِهِ السَّنَةِ ذُكِرَ أَنَّ أَبَا مُسْلِمٍ لَمَّا نَفَرَ النَّاسُ مِنَ الْحَجِيجِ سَبَقَ النَّاسَ بِمَرْحَلَةٍ، فَلَمَّا جَاءَهُ خَبَرُ السَّفَّاحِ فِي الطَّرِيقِ، كَتَبَ إِلَى أَبِي جَعْفَرٍ الْمَنْصُورِ يُعَزِّيهِ فِي الْخَلِيفَةِ، وَلَمْ يُهَنِّئْهُ بِالْخِلَافَةِ، وَلَا رَجَعَ إِلَيْهِ، فَغَضِبَ الْمَنْصُورُ مِنْ ذَلِكَ مَعَ مَا كَانَ مُضْمِرًا لَهُ مِنَ السُّوءِ، فَقَالَ لِأَبِي أَيُّوبَ: اكْتُبْ إِلَيْهِ كِتَابًا غَلِيظًا. فَلَمَّا بَلَغَهُ الْكِتَابُ بَعَثَ يُهَنِّئُهُ بِالْخِلَافَةِ، وَانْقَمَعَ مِنْ ذَلِكَ، وَقَالَ بَعْضُ الْأُمَرَاءِ لِأَبِي جَعْفَرٍ: إِنَّا نَرَى مِنَ الْمَصْلَحَةِ أَنْ لَا تُجَامِعَهُ فِي الطَّرِيقِ; فَإِنَّ مَعَهُ مِنَ الْجُنُودِ مَنْ لَا يُخَالِفُهُ وَهُمْ لَهُ أَهْيَبُ، وَلَيْسَ مَعَكَ أَحَدٌ. فَأَخَذَ بِرَأْيِهِ، ثُمَّ كَانَ مِنْ أَمْرِهِ فِي مُبَايَعَتِهِ لِأَبِي جَعْفَرٍ الْمَنْصُورِ مَا ذَكَرْنَاهُ، ثُمَّ بَعَثَهُ إِلَى عَمِّهِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَلِيٍّ فَكَسَرَهُ، كَمَا تَقَدَّمَ، وَقَدْ بَعَثَ فِي غُبُونِ ذَلِكَ الْحَسَنُ بْنُ قُحْطُبَةَ لِأَبِي أَيُّوبَ كَاتِبِ رَسَائِلِ الْمَنْصُورِ يُشَافِهُهُ وَيُخْبِرُهُ بِأَنَّ أَبَا مُسْلِمٍ يُتَّهَمُ فِي أَبِي جَعْفَرٍ الْمَنْصُورِ; فَإِنَّهُ إِذَا جَاءَهُ الْكِتَابُ مِنْهُ يَقْرَؤُهُ ثُمَّ يَلْوِي شِدْقَيْهِ، وَيَرْمِي بِالْكِتَابِ إِلَى أَبِي نَصْرٍ، وَيَضْحَكَانِ اسْتِهْزَاءً، فَقَالَ أَبُو أَيُّوبَ: إِنَّ تُهْمَةَ أَبِي مُسْلِمٍ عِنْدَنَا أَظْهَرُ مِنْ هَذَا.
পৃষ্ঠা - ৭৯২৩
০০
যখন তার মা ওলা আবুল খসীব ইয়াকভীনকে আবু মুসলিম কতৃক তার চাচাঅ আবদুল্লাহ্র সেনাদল
থেকে প্রাপ্ত অর্থ সম্পদ, মুল্যবান রতু ইত্যাদির খবরদা রি করতে পাঠান ৷ তখন আবুঘুসলিম ক্রুদ্ধ
হয়ে আবু জাফরকে গালমন্দ করেন এবং আবুল খাসীবকে হত্যা করতে উদ্যত হন ৷ অবশেষে
তাকে যখন বোঝানো হয় যে, সে তো নিছক দুত ৷ তখন তিনি ক্ষা ন্ত হন ৷ এরপর দুত ফিরে তার
সাথে আবুঘুসলিমের কৃত ৩আচরণের কথা উল্লেখ করলে মানসুর তার প্ৰতি তক্রুদ্ধ হন ৷ আর তিনি
শস্কিত হন যে আবু মুসলিম খুরাসানৈ চলে গেলে তাকে বাগে আনা মুশকিল হবে এবং যে
সেখানে তার বিরুদ্ধে নানা অঘটনের জন্ম দিবে ৷ তখন তিনি ইয়াকতীনের৷ মা ধ্যমে তার কাছে
পত্র প্রেরণ করেন আমি তোমাকে শ ৷৷ম ও মিসরের গ৩ নব নিয়ে৷ ৷প করলাম, আর তা খুরাসান
থেকে উত্তম ৷ আর মিসরে তুমি পসন্দমত কা ৷উকে পাঠিয়ে নিজে শামে অবস্থান কর ৷ তাহলে
তুমি আমীরুল মু ’মিনীনের কা ছাকাছি অবন্থ ন করতে পারবে এবং৩ তিনি যখন তোমার সাক্ষাতের
ইরাদ৷ করবেন তখন তুমি দ্রুত হাযির হতে পারবে ৷ এই পত্র পেয়ে আবু মুসলিম ক্রুদ্ধ হয়ে
বলেন,৩ তিনি আমাকে শ ৷৷ম ও মিসরের গভর্নর নিয়াে গ করেছেন আর থুরাসানের কর্তৃতৃ আমার
পুর্ব থেকেই বিদ্যমান ৷ কাজেই, আমি নিজে থুরাসানে গমন করব আর খান ও মিসরে ১ আমার
প্রতিনিধি নিয়োগ করব ৷ এরপর তিনি এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে খলীফা মানসুরকে পত্র প্রেরণ
করেন ৷ তখন মানসুর তার এই আচরণে উৎকণ্ঠ৷ বোধ করেন ৷ মানসুরের বিরোধিতার দৃঢ় সংকল্প
নিয়ে আবু মুসলিম নাম থেকে খুরাসানের উদ্দেশ্যে বের হন ৷ এসময় মানসুর আনবা র ত্যাগ করে
মাদায়িন অভিমুখে রওনা হন এবং আবু মুসলিমকে৩ তার অভিমুখে রওনা হওয়ার নিদেশ দেন ৷
তখন আয্যাবে অবস্থানরত আবু মুসলিম থুরাসানে প্রবেশের সৎকল্প নিয়ে তাকে লিখেন-
আমীরুল মু’মিনীনের এমন কোন শত্রু নেই যাকে আল্লাহ্ত তার আয়ত্তে আলেননি ৷ সাসানীয়
সম্রাটদের উদ্ধৃতিতে আমরা বর্ণনা করতাম, অন্ধকার রাত যখন নীরব হয় তখনই ওযীরগণ
সবচেয়ে ভয়াঙ্কর হয় ৷ তা ৷ই আমরা আপনার ভৈনকট্য থেকে দুরে সরে যাচ্ছি এবং আপনি যতদিন
আমাদের সাথে অঙ্গীকার রক্ষা করবেন আমরাও ততদিন আপনার সাথে প্রতিশ্রুতি রক্ষায় আগ্রহী
এবং আপনার অ ৷নুগত্যে বিশ্বাসী ৷ তবে তা নিরাপদ দুরতৃ রেখে ৷ যদি আপনাকে তা তুষ্ট করে
তাহলে আ ৷মি আপনার একান্ত অনুগত সেরক ৷ আ র ৷যদি আপনি আপনার ইচ্ছ ই বাস্তবায়ন করতে
চান তাহলে নিজেকে অপমান ও অপদন্থত৷ থেকে রক্ষার্থে আমি আপনার সাথে কৃত প্রতিশ্রুতি
ভঙ্গে বাধ্য হব ৷
খলীফা মানসুরের কাছে যখন পত্রটি পৌছে তখন তিনি আবু ঘুসলিমকে লিখেন আমি
তোমার পত্রের মর্ম উপলব্ধি করেছি ৷৩ তুমি ঐ সকল প্রতারক ওযীরদের মত নও যারা তাদের
অপরাধের আধিক্যের কারণে রাদ্রীয় বিশৃগ্রলা ও অন্থিরতা কামনা করে ৷ আর তাদের স্বস্তি হল
জামাআতের ঐক্য ৰিনষ্ট হওয়ায় ৷ কিন্তু তোমার আনুগত্য হিতাকাভক্ষী এবং খলীফার
সাহায্যক৷ ৷রীরুপে গুরু দ ৷য়িতু বহন করার মা ধ্যমে তুমি নিজেকে তাদের উধের্ব রেরু খছো ৷ ঐশ
যা তুমি তােমা র পক্ষ থেকে অপরিহার্য করেছে৷ তার সাথে আনুগতেব্রুর কোন সম্পর্ক নেই ৷ আর
১ ইবনুল আছামে (৮ খ ং২২০ পৃ ) রয়েছে, যে মানসুরের পত্র ছুড়ে ফেলে আবৃত্তি করে ং
জৌ ৷ ৷ এ৷ ৷
কান পরওয়া করে৷ না, পত্রঢি ছুড়ে মার ৷যদিও তা ঘুতা ৷লাম্মিসের পত্রের ন্যায় কোন চক্রান্ত হয়ে থাকে ৷
وَلَمَّا بَعَثَ أَبُو جَعْفَرٍ مَوْلَاهُ أَبَا الْخَصِيبِ يَقْطِينَ; لِيَحْتَاطَ عَلَى مَا أُصِيبَ مِنْ مُعَسْكَرِ عَبْدِ اللَّهِ مِنَ الْأَمْوَالِ وَالْجَوَاهِرِ الثَّمِينَةِ وَغَيْرِهَا، غَضِبَ أَبُو مُسْلِمٍ، فَشَتَمَ أَبَا جَعْفَرٍ، وَهَمَّ بِأَبِي الْخَصِيبِ أَنْ يَقْتُلَهُ، حَتَّى كُلِّمَ فِيهِ وَقِيلَ لَهُ: إِنَّمَا هُوَ رَسُولٌ. فَتَرَكَهُ، وَرَجَعَ أَبُو الْخَصِيبِ، فَأَخْبَرَ الْمَنْصُورَ بِمَا كَانَ، وَبِمَا هَمَّ بِهِ أَبُو مُسْلِمٍ مِنْ قَتْلِهِ، فَغَضِبَ الْمَنْصُورُ، وَخَشِيَ أَنْ يَذْهَبَ أَبُو مُسْلِمٍ إِلَى خُرَاسَانَ فَيَشُقُّ عَلَيْهِ تَحْصِيلُهُ بَعْدَ ذَلِكَ، فَكَتَبَ إِلَيْهِ مَعَ يَقْطِينَ: إِنِّي قَدْ وَلَّيْتُكَ الشَّامَ وَمِصْرَ، وَهُمَا خَيْرٌ مِنْ خُرَاسَانَ فَابْعَثْ إِلَى مِصْرَ مَنْ شِئْتَ، وَأَقِمْ أَنْتَ بِالشَّامِ; لِتَكُونَ أَقْرَبَ إِلَى أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ، إِذَا أَرَادَ لِقَاءَكَ كُنْتَ مِنْهُ قَرِيبًا. فَغَضِبَ أَبُو مُسْلِمٍ مِنْ ذَلِكَ، وَقَالَ: قَدْ وَلَّانِي الشَّامَ وَمِصْرَ، وَلِي خُرَاسَانُ! فَإِذًا أَذْهَبُ إِلَيْهَا، وَأَسْتَخْلِفُ عَلَى الشَّامِ وَمِصْرَ. فَكَتَبَ إِلَى الْمَنْصُورِ بِذَلِكَ، فَقَلِقَ الْمَنْصُورُ مِنْ ذَلِكَ كَثِيرًا، وَرَجَعَ أَبُو مُسْلِمٍ مِنَ الشَّامِ قَاصِدًا خُرَاسَانَ، وَهُوَ عَازِمٌ عَلَى مُخَالَفَةِ الْمَنْصُورِ، فَخَرَجَ الْمَنْصُورُ مِنَ الْأَنْبَارِ إِلَى الْمَدَائِنِ، وَكَتَبَ إِلَى أَبِي مُسْلِمٍ بِالْمَصِيرِ إِلَيْهِ، فَكَتَبَ إِلَيْهِ أَبُو مُسْلِمٍ وَهُوَ عَلَى الزَّابِ عَازِمٌ عَلَى الدُّخُولِ إِلَى خُرَاسَانَ: إِنَّهُ لَمْ يَبْقَ لِأَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ عَدُوٌّ إِلَّا أَمْكَنَهُ اللَّهُ مِنْهُ، وَقَدْ كُنَّا نَرْوِي عَنْ مُلُوكِ آلِ سَاسَانَ أَنْ أَخْوَفَ مَا يَكُونُ الْوُزَرَاءُ إِذَا سَكَنَتِ الدَّهْمَاءُ، فَنَحْنُ نَافِرُونَ مِنْ قُرْبِكَ، حَرِيصُونَ عَلَى الْوَفَاءِ بِعَهْدِكَ مَا وَفَّيْتَ، حَرِيُّونَ بِالسَّمْعِ وَالطَّاعَةِ غَيْرَ أَنَّهَا مِنْ بَعِيدٍ حَيْثُ تُقَارِنُهَا السَّلَامَةُ، فَإِنْ أَرْضَاكَ ذَلِكَ فَأَنَا كَأَحْسَنِ عَبِيدِكَ، وَإِنْ أَبَيْتَ إِلَّا أَنْ تُعْطِيَ نَفْسَكَ إِرَادَتَهَا نَقَضْتُ مَا أَبْرَمْتُ مِنْ عَهْدِكَ ضَنًّا بِنَفْسِي. فَلَمَّا وَصَلَ الْكِتَابُ إِلَى الْمَنْصُورِ كَتَبَ إِلَى أَبِي مُسْلِمٍ: قَدْ فَهِمْتُ كِتَابَكَ، وَلَيْسَتْ صِفَتُكَ صِفَةَ أُولَئِكَ الْوُزَرَاءِ الْغَشَشَةِ مُلُوكَهُمُ، الَّذِينَ يَتَمَنَّوْنَ اضْطِرَابَ حَبْلِ الدَّوْلَةِ لِكَثْرَةِ جَرَائِمِهِمْ، وَإِنَّمَا رَاحَتُهُمْ فِي انْتِثَارِ نِظَامِ الْجَمَاعَةِ، فَلِمَ سَوَّيْتَ نَفْسَكَ بِهِمْ، وَأَنْتَ فِي طَاعَتِكَ
পৃষ্ঠা - ৭৯২৪
আমীরুল মু’মিনীন ঈসা ইবন মুসার মাধ্যমে তোমার কাছে পত্র প্রেরণ করেছেন যার প্রতি উৎকর্ষ
হলে তোমার চিত্ত আশ্বস্ত হবে ৷ আর আল্লাহ্র কাছে প্রার্থনা কর যেন তিনি শয়তানের কুমন্ত্রণা ও
তোমার মাঝে অম্ভরায় হন ৷ কেননা, তোমার সদিচ্ছা নষ্ট করার জন্য এটাই তার কাছে সবচেয়ে
কার্যকরী পন্থা ৷
বলা হয় এসময় আবু মুসলিম খলীফা মানসুরের কাছে লিখেন ৷ পর কথা হল, আল্লাহ্ তার
সৃষ্টির প্রতি যে বিধান আরোপ করেছেন যে বিষয়ে আমি এক ব্যক্তিকে অগ্রপথিক ও পথ প্রদর্শক
নির্ধারণ করেছি ৷ তিনি ছিলেন জ্ঞান সমুদ্রে অবগাহনকারী এবং আল্লাহর রাসুলের নিকতাত্মীয় ৷
কুরআন সম্বন্ধে আমাকে মুর্থ গণ্য করে যৎসামাংন্যর ল্যেতে তিনি তার অর্থ বিকৃতি ঘটালেন যা
আল্লাহ তার সৃষ্টিকুলের জন্য ত্যাগ করেছেন ৷ আর তিনি ছিলেন প্রবঞ্চক তুলা ৷ আর তিনি
আমাকে নির্দেশ দিলেন তরবারি কােষঘুক্ত করতে, দয়া অপসারণ করতে, কোন কৈফিয়ত গ্রহণ না
করতে, পদস্থালন ক্ষমা না করতে ৷ তখন আমি আপনাদের কর্তৃতৃ দৃঢ়করণে তা বাস্তবায়ন করলাম
এমনকি যারা আপনাদের পরিচয় জানত না আল্লাহ তাদেরকে আপনাদের পরিচয় জানালেন,
আপনাদের শত্রুরা আপনাদের আনুগত্য করল ৷ অপদন্থা-তুচ্ছতা ও আত্মগােপনতার পর আল্লাহ্
আপনাদেরকে বিজয় দান করলেন ৷ এরপর আল্লাহ আমাকে তাওবা দ্বারা রক্ষা করলেন ৷ তিনি যদি
আমাকে ক্ষমা করেন তাহলে ক্ষমা দ্বারা তাে তিনি আদিকাল থেকেই পরিচিত এবং তার সাথে তা
সম্পৃক্ত ৷ আর যদি তিনি আমাকে শাস্তি প্রদান করেন ৷ তাহলে তা আমার কৃতকর্মের কারণে ৷ আর
আল্লাহ তো তার বন্দোদের প্রতি অবিচারী নন ৷ মাদায়নী তার শায়খদের থেকে এই বর্ণনা উল্লেখ
করেছেন ৷
এছাড়া খলীফা মানসুর একদল আমীরসহ জারীর ইবন ইয়াযীদ ইবন জারীর ইবন আবদুল্লাহ
আল-নাজালীকে ১ তার কাছে প্রেরণ করেন ৷ আর জারীর ছিলেন তার কালের অনন্য ব্যক্তি ৷ তিনি
তাকে নির্দেশ প্রদান করেন আবু মুসলিমের সাথে য়থাসাধ্য কোমল ভাষায় কথা বলতে এবং
কথার মাধ্যমে তাকে এ বিষয়টি বোঝাতে যে খলীফা আপনার মান-মর্যাদা সমুন্নত করতে চান
এবং আপনাকে অবাধ কর্তৃতৃ দান করতে চান ৷ যদি যে তা (মনে নেয় তাহলে বেশ ৷ আর যদি
সে প্রত্যাখ্যান করে তাহলে তাকে একথা বলবে যে তিনি আব্বাস থেকে দায়মুক্ত ৷ যদি আপনি
মুসলমানদের ঐক্য নষ্ট করে আপনার ইচ্ছামাফিক পথ অবলম্বন করেন তাহলে তিনি নিজেই
পাকড়াও করবেন এবং আপনার বিরুদ্ধে সর্বাত্মক লড়াই করবেন ৷ আপনি যদি অখই সমুদ্রে নেমে
পড়েন তাহলে তিনি আপনার নগােল পাওয়া পর্যন্ত সেখানেও আপনার পশ্চদ্ধাবন করবেন ৷ এরপর
হয় আপনাকে হত্যা করবেন অথবা তার পুর্বে নিজেই মৃত্যুবরণ করবেন আর উত্তম পন্থায় তার
মত পরিরর্তানর ব্যাপারে নিরাশ হওয়ার পুর্বে তাকে একথা বলবে না ৷
খলীফা মানসুর প্রেরিত আমীর-উমারম্পোণ হালওয়ড়াবে যখন তার কাছে আগমন করলেন তখন
তারা তাকে আমীরুল মু’মিনীনের বায়আত প্রত্যাহার ও তার বিরোধিতার কারণে তাকে ভর্ধসনা
করলেন এবং তাকে তার আনুগত্যে প্রত্যাবর্তনের জন্য উৎসাহিত করলেন ৷ তখন আবু মুসলিম
১ ইবনুল আহীরে (৫ খ : ৫৭১ পৃ) রয়েছে, মানসুর একটি পত্র লিখে তা আবুহুমায়দ আল মারওয়ার ওয়াযীর
সাথে প্রেরণ করেন ৷ আর ইবনুল আ’ছামে আবু মুসলিমের পত্রের উত্তরে মানসুরের প্রেরিত পত্রের ভাষ্য
রয়েছে ৷ আর আল-ফখরীতে রয়েছে মানসুর তার জনৈক বুদ্ধিমান বাশুন্ণ্কর হাতে পত্রসমুহ প্রেরণ করেন ৷
وَمُنَاصَحَتِكَ وَاضْطِلَاعِكَ بِمَا حَمَلْتَ مِنْ أَعْبَاءِ هَذَا الْأَمْرِ عَلَى مَا أَنْتَ بِهِ؟! وَلَيْسَ مَعَ الشَّرِيطَةِ الَّتِي أَوْجَبْتَ مِنْكَ سَمْعٌ وَلَا طَاعَةٌ، وَقَدْ حَمَّلَ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ عِيسَى بْنَ مُوسَى رِسَالَةً لِتَسْكُنَ إِلَيْهَا إِنْ أَصْغَيْتَ إِلَيْهَا، وَأَسْأَلُ اللَّهَ أَنْ يَحُولَ بَيْنَ الشَّيْطَانِ وَنَزَغَاتِهِ وَبَيْنَكَ; فَإِنَّهُ لَمْ يَجِدْ بَابًا يُفْسِدُ بِهِ نِيَّتَكَ أَوْكَدَ عِنْدَهُ وَأَقْرَبَ مِنْ ظَنِّهِ مِنَ الْبَابِ الَّذِي فَتَحَهُ عَلَيْكَ.
وَيُقَالُ: إِنَّ أَبَا مُسْلِمٍ كَتَبَ إِلَى الْمَنْصُورِ: أَمَّا بَعْدُ; فَإِنِّي اتَّخَذْتُ رَجُلًا إِمَامًا وَدَلِيلًا عَلَى مَا افْتَرَضَ اللَّهُ عَلَى خَلْقِهِ، وَكَانَ فِي مَحَلَّةِ الْعِلْمِ نَازِلًا، وَفِي قَرَابَتِهِ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَرِيبًا، فَاسْتَجْهَلَنِي بِالْقُرْآنِ، فَحَرَّفَهُ عَنْ مَوَاضِعِهِ طَمَعًا فِي قَلِيلٍ قَدْ نَعَاهُ اللَّهُ إِلَى خَلْقِهِ، فَكَانَ كَالَّذِي دُلِّيَ بِغُرُورٍ، وَأَمَرَنِي أَنْ أُجَرِّدَ السَّيْفَ، وَأَرْفَعَ الرَّحْمَةَ، وَلَا أَقْبَلَ الْمَعْذِرَةَ، وَلَا أُقِيلَ الْعَثْرَةَ، فَفَعَلْتُ تَوْطِيدًا لِسُلْطَانِكُمْ حَتَّى عَرَّفَكُمُ اللَّهُ مَنْ كَانَ يَجْهَلُكُمْ، ثُمَّ اسْتَنْقَذَنِي اللَّهُ بِالتَّوْبَةِ، فَإِنْ يَعْفُ عَنِّي فَقِدْمًا عُرِفَ بِهِ وَنُسِبَ إِلَيْهِ، وَإِنْ يُعَاقِبْنِي فَبِمَا قَدَّمَتْ يَدَايَ، وَمَا اللَّهُ بِظَلَّامٍ لِلْعَبِيدِ. ذَكَرَهُ الْمَدَائِنِيُّ عَنْ شُيُوخِهِ.
وَبَعَثَ الْمَنْصُورُ إِلَيْهِ جَرِيرَ بْنَ يَزِيدَ بْنِ جَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْبَجَلِيَّ - وَكَانَ وَاحِدَ أَهْلِ زَمَانِهِ - فِي جَمَاعَةٍ مِنَ الْأُمَرَاءِ، وَقَدْ كَانَ الْمَنْصُورُ قَالَ لَهُ: كَلِّمْ أَبَا مُسْلِمٍ
পৃষ্ঠা - ৭৯২৫
তার বিচক্ষণ আমিরদের সাথে পরামর্শ করলেন ৷ এসময়৩ তাদের সকলেই তাকে খলীফা
মানসুবের আনুগাত্য প্রত্যাবর্তন করতে নিষেধ করল ৷ তারা তাকে রায় শহরে অবস্থানের পরামর্শ
দিল ৷ তাহলে খুরাসান তার কর্তৃতুাধীন থাকবে এবং তার ফৌজ তার অনুগত থাকবে ৷ এরপর
খলীফা যদি তা মেনে নেয়৩ তাহলে বেশ, অন্যথায় তিনি তার অনুগত ফৌজের সুরক্ষার অবস্থান
করবেন ৷ এসময় আবু মুসলিম খলীফা মানসুবের প্রেরিত আমীরদের কাছে দুত পাঠিয়ে বললেন
তোমরা তোমাদের খলীফার কাছে ফিরে যাও, আমি তার সাক্ষাতে আগ্রহী নই ৷ এরপর তারা
যখন তার ব্যাপারে নিরাশ হল তখন তারা তাকে খলীফা মানসুরে নির্দেশিত সেই কথা বলল ৷
আবু মুসলিম যখন একথা শুনল তখন বিপর্যস্ত ও ভগ্নমনে বলল, এখনই আমার সামনে থেকে
তোমরা যাও ৷
আর আবু মুসলিম খুরাসানে আবু দাউদ ইব্রাহীম ইবন খালিদকে তার স্থলবর্তী নিয়োগ
করেছিলেন ৷ আবু মুসলিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ উথাপনের পর তার অনুপস্থিতি খলীফা মানসুর
আবু দা ৷উদকে পত্র মাবফ ৩ জানান আমি যতদিন খলীফ ৷রুপে জীবিত আছি তত দিন থুরাসা নের
শাসন কর্তৃত্ব তোমার ৷ আবু মুসলিমকে পদচ্যুত করে আমি তোমাকে তার গতনর নিয়োগ
করলাম ৷ এরপর আ বু দাউদ যখন আবুমুসলিমের বায়আত প্রত্যাহারে কথা জানতে পারেন তখন
তিনি তাকে পত্র লিখেন আহলে বায়তের খলীফা ৷দের বায়আত প্রত্যাহার করে নেওয়া আমাদের
জন্য গােভনীয় নয় ৷ আপনি আপনার ইমামের পুর্ণ আনুগভৈতা প্রত্যাবর্তন করুন ৷ আমার সালাম
গ্রহণ করবেন তখন বিষয়টি৩ ৷কে আরও বিপর্যস্ত করল এবং আবু মুসলিম তাদের কাছে এই
মর্মে দুত প্রেরণ করলেন, অচিরেই আমি খলীফা ৷র কাছে আমার আন্থভ৷ জন আবু ইসহাককে
প্রেরণ করব ৷ এরপর তিনি আবুইসহাককে খলীফা মানসুবের কাছে প্রেরণ করেন ৷ তখন খলীফা
আবুইসহাককে সসম্মানে বরণ করেন এবং আবুমুসলিমকে তার আনুপত্যে ফিরিয়ে আনার শর্তে
তাকে ইরাকের গভর্নর বানানোর প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন ৷ আবু ইসহাক যখন আবু মুসলিমের
কাছে ফিরে আসেন তখন তিনি তাকে প্রশ্ন করেন, তুমি কী খবর এনেছে৷ ? তিনি বলেন, আমি
তো তাদেরকে দেখলাম আপনার প্রতি উচ্চ মর্যাদা ও সম্মান প্রদর্শন করতে ৷ আবু ইসহাকের এই
কথা তাকে প্ররোচিত করে এবং তিনি খলীফা ৷র সাক্ষড়াতের জন্য সং কল্পবদ্ধ হন ৷ এসময় তিনি
তার নায়যাক নামক আযীরের পরামর্শ৷ চা ন ৷ তখন তিনি৩ ৷কে নিষেধ করেন ৷ কিন্তু অ বু মুসলিম
তার সংকল্পে অবিচল থাকেন ৷ নায়য৷ তার এই দৃঢ় সংকল্প দেখে আবৃত্তি করেন :
“তাকদীরের সাথে কোন কৌশল চলে না, তাকদীর সকলের কৌশলকে নস্যাৎ করে দেয় ৷”
তারপর নায়যাক তাকে বলেন, আমার একটি কথা রাখুন ৷ আবু মুসলিম বলেন, তা কী ?
তখন তিনি বলেন, আপনি যখন তার সাক্ষাতে প্রবেশ করবেন তখন তাকে হত্যা করুন ৷ তারপর
আপনি যাকে ইচ্ছা খলীফারুপে তার বায়আত গ্রহণ করুন ৷ কেননা, তখন কেউ আপনার
বিরোধিতা করবে না ৷ এরপর আবু মুসলিম খলীফা মানসুরকে তার আগমন সংবাদ জানিয়ে পত্র
লিখেন ৷ খলীফা মানসুবের পত্র লেখক আবু আয়ুবে বলেন, এরপর আমি মানসুবের সাক্ষাতে
প্রবেশ করি , তিনি তখন আস্যরর নামহ্যে পড়ে একটি পশযী র্তীবুতে জায়নামাযে উপবিষ্ট আর তার
بِأَلْيَنِ كَلَامٍ تَقْدِرُ عَلَيْهِ، وَقُلْ لَهُ: إِنَّهُ يُرِيدُ رَفْعَكَ، وَعُلُوَّ قَدْرِكَ، وَالْإِطْلَاقَ لَكَ. فَإِنْ جَاءَ بِهَذَا فَذَاكَ، وَإِنْ أَبَى أَنْ يَرْجِعَ فَقُلْ: إِنَّهُ يَقُولُ: هُوَ بَرِيءٌ مِنَ الْعَبَّاسِ، إِنْ شَقَقْتَ الْعَصَا وَذَهَبْتَ عَلَى وَجْهِكَ هَذَا لَيُدْرِكَنَّكَ بِنَفْسِهِ وَلَيَلِيَنَّ قِتَالَكَ دُونَ غَيْرِهِ، وَلَوْ خُضْتَ الْبَحْرَ الْخِضَمَّ لَخَاضَهُ خَلْفَكَ حَتَّى يُدْرِكَكَ فَيَقْتُلَكَ أَوْ يَمُوتَ قَبْلَ ذَلِكَ. وَلَا تَقُلْ لَهُ هَذَا حَتَّى تَيْأَسَ مِنْ رُجُوعِهِ بِالَّتِي هِيَ أَحْسَنُ، فَلَمَّا قَدِمَ عَلَيْهِ أُمَرَاءُ الْمَنْصُورِ بِحُلْوَانَ دَخَلُوا عَلَيْهِ وَلَامُوهُ فِيمَا هُوَ فِيهِ مِنْ مُنَابَذَةِ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ، وَرَغَّبُوهُ فِي الرُّجُوعِ إِلَيْهِ، فَشَاوَرَ ذَوِي الرَّأْيِ مِنْ أُمَرَائِهِ، فَكُلٌّ نَهَاهُ عَنِ الرُّجُوعِ إِلَيْهِ، وَأَشَارُوا بِأَنْ يُقِيمَ فِي الرَّيِّ فَتَكُونَ خُرَاسَانُ تَحْتَ حُكْمِهِ، وَجُنُودُهُ طَوْعٌ لَهُ، فَإِنِ اسْتَقَامَ لَهُ الْخَلِيفَةُ وَإِلَّا كَانَ فِي عِزٍّ وَمَنَعَةٍ مِنَ الْجُنْدِ. فَأَرْسَلَ أَبُو مُسْلِمٍ إِلَى أُمَرَاءِ الْمَنْصُورِ، فَقَالَ لَهُمُ: ارْجِعُوا إِلَى صَاحِبِكُمْ، فَلَسْتُ أَلْقَاهُ. فَلَمَّا اسْتَيْأَسُوا مِنْهُ قَالُوا لَهُ ذَلِكَ الْكَلَامَ الَّذِي كَانَ الْمَنْصُورُ أَمَرَهُمْ بِهِ. فَلَمَّا سَمِعَ ذَلِكَ كَسَرَهُ جِدًّا، وَقَالَ: قُومُوا عَنِّي السَّاعَةَ.
وَكَانَ أَبُو مُسْلِمٍ قَدِ اسْتَخْلَفَ عَلَى خُرَاسَانَ أَبَا دَاوُدَ خَالِدَ بْنَ إِبْرَاهِيمَ، فَكَتَبَ إِلَيْهِ الْمَنْصُورُ فِي غَيْبَةِ أَبِي مُسْلِمٍ حِينَ اتَّهَمَهُ: إِنَّ وِلَايَةَ خُرَاسَانَ لَكَ مَا بَقِيتَ. فَكَتَبَ أَبُو دَاوُدَ إِلَى أَبِي مُسْلِمٍ حِينَ بَلَغَهُ مَا عَزَمَ عَلَيْهِ مِنْ مُنَابَذَةِ الْخَلِيفَةِ: إِنَّهُ لَيْسَ لَنَا مُنَابَذَةُ خُلَفَاءِ بَيْتِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَارْجِعْ إِلَى إِمَامِكَ سَامِعًا مُطِيعًا. فَزَادَهُ ذَلِكَ كَسْرًا أَيْضًا، فَبَعَثَ إِلَيْهِمْ أَبُو مُسْلِمٍ: إِنِّي سَأَبْعَثُ إِلَيْهِ أَبَا إِسْحَاقَ،
পৃষ্ঠা - ৭৯২৬
সামনে ছিল একটি পত্র ৷ এসময়৩ তিনি তা আমার দিকে ছুড়ে দেন, আমি তখন দেখতে পাই তা
আবু মুসলিমের পত্র তাতে তিনি খলীফ৷ কে তার আগমনের কথা অবহিত করেছেন ৷ এরপর
খলীফ৷ বলেন, আল্লাহর কসম ! তুমি যদিতার গুণ বর্ণনা করে আমাকে মুগ্ধ ও বিমােহিত কর
তবুও আ ৷মি তাকে হত্যা করবই ৷ আবুআয়ুবে বলেন, আমি তখন (বিপদ আচ করে)াইন্ন ৷৷লিল্ল হি
ওয়া ইন্ন৷ ইলাইহি র ৷ল্টিন’ পড়লাম ৷ আর এ ঘটনা ৷র কথা ভেবে যে রাতে আমার ঘুম আসল
না ৷ আর আমি মনে মনে বললাম , আবু মুসলিম যদি ভীত অবস্থায় খলীফার সাক্ষাতে প্রবেশ করে
তাহলে তার পক্ষ থেকে খলীফ৷ ৷র প্রতি কোন অপ্রীতিকর আচরণ প্রকাশ পেতে পারে ৷ অবস্থার
দাবী হলত ৷র ৷নির্ভয়ে প্রবেশ করা যাতে খলীফ৷ তাকে কাবু করতে পারেন ৷ এরপর যখন সকাল
হল তখন আমি জনৈক আমীরকে ১ ডেকে বললাম, কাসকার শহরের গভর্নর হওয়ার কি আগ্রহ
আছে তোমার ? এ বছর তা প্রচুর ফল-ফসলে সমৃদ্ধ ৷ তখন সে বলল, কে আমার জন্য তার
দায়িত্ব গ্রহণ করবে ? তখন আমি তাকে বললাম, তাহলে তুমি গিয়ে খলীফার সাক্ষাতে
আগমনরত আবু মুসলিমের সাথে পথিমধ্যে সাক্ষাৎ করে বল, তোমাকে ঐ শহরের গভর্নর
নিয়াে গ করতে ৷ কেননা, আমীরুল মু’মিনীন তাকে তা গোটা ইসলামী সম্রাজ্যের শাসন কর্তৃতৃ
অর্পণ করে নিজে আপাতত বিশ্রাম গ্রহণ করতে চান ৷ একথা বলে আমি তার পক্ষে থেকে
লোকটির আবুমুসলিমের কাছে যাওয়ার ব্যাপারে তার মানসুরের অনুমতি চ ৷ইলাম ৷ তখন তিনি
তাকে অনুমতি দিলেন ৷ তিনি তাকে বললেন, আমাদের পক্ষ থেকে সালাম জানিয়ে তাকে বলো,
আমরা তার সাক্ষাতে আগ্রহী ৷ এরপর সেই ব্যক্তি ২ আবু মুসলিমের কাছে গিয়ে তাকে তার প্রতি
খলীফার আগ্রহের কথা জান ৷ল ৷ তখন তা তাকে আনন্দিত করল এবং৩ তিনি নিঃসঙ্কোচিত হলেন ৷
অথচ তা ছিল তার প্রতি ধোক৷ ও ষড়যন্ত্র ৷ আর আবু মুসলিম যখন লোকটির কথা শুনল তখন
তিনি দ্রুত তার মৃত্যুর দিকে অগ্রসর হলেন ৷ তিনি যখন মাদায়নের নিকটবর্তী হলেন তখন
খলীফা, আমীর-উমারা ও সেনাপতিদের নির্দেশ দিলেন অগ্রসর হয়েত তাকে অভ্যর্থনা জানাতে ৷
সেদিন দিনের শে য ভাগে তিনি খলীফ৷ ৷মানসুরের সাক্ষাত লাভ করলেন ৷ আর ইতিপুর্বেই আবু
আয়ুবে মানসুরকে পরামর্শ দিয়েছিলেন তার হতাকে পরদিন পর্যন্ত বিলম্বিত করতে এবং তিনি
তার সে পরামর্শ গ্রহণ করেছিলেন ৷ এরপর আবু মুসলিম যখন সন্ধ্যাকালে খলীফ৷ মানসুরের
সাক্ষাতে প্রবেশ করলেন তিনি তখন তার প্রতি সম্মান ও মর্যাদা প্রকাশ ৷করলেন ৷ তারপর তিনি
তাকে বললেন, যাও তুমি নিজেকে আরাম দাও, হাম্মাম খানায় প্রবেশ করে গোসল করে নাও ৷
আগামীকা ৷ল হলে তুমি আবার আমার কাছে এস ৷ এরপর তিনি খলীফার কাছ থেকে বের হলেন
বংলোকজন এসে তাকে সালাম করতে লাগল ৷ পরদিন খলীফ৷ ৷ তার জনৈক আমীরকে তলব
করে বললেন, তোমার কাছে আমার গুরুতু কতটুকু ? তখন সে বলল, আল্লাহর কসম ৷ হে
আমীরুল মু’মিনীন আপনি যদি আমাকে আত্মহত্যা র নির্দেশ দেন তাহলে তা ৷মি আত্মহত্যা করতে
কুষ্ঠিত হয় না ৷ তিনি বললেন, বল তো দেখি যদি আমি তামাকে আবু মুসলিমকে হত্যা করার
-ষ্র্দেশ দিই ৷ বর্ণনাকারী বলেন তখন সে বেশ কিছুক্ষণ বিষণ্ন অবস্থায় চুপ করে থাকল ৷ এরপর
ভ্রৰুবৃ আয়ুবে তাকে বললেন, এ ব্যাপারে তুমি কথা বলছ না কেন ? তখন সে দুর্বলভাবে বলল,
১ এই ব্যক্তি হল সালামা ইবন সাঈদ ইবন জাবির, দ্র তাবারী ইবনুল আহীর ৷
: :ন্ হল সালামা নামক এক ব্যক্তি ৷
وَهُوَ مِمَّنْ أَثِقُ بِهِ. فَبَعَثَهُ إِلَيْهِ فَأَكْرَمَهُ، وَوَعَدَهُ بِنِيَابَةِ خُرَاسَانَ إِنْ هُوَ رَدَّهُ. فَلَمَّا رَجَعَ إِلَيْهِ أَبُو إِسْحَاقَ قَالَ لَهُ: مَا وَرَاءَكَ؟ قَالَ: رَأَيْتُهُمْ مُعَظِّمِينَ لَكَ يَعْرِفُونَ قَدْرَكَ. فَغَرَّهُ ذَلِكَ، وَعَزَمَ عَلَى الذَّهَابِ إِلَى الْخَلِيفَةِ، فَاسْتَشَارَ أَمِيرًا يُقَالُ لَهُ: نَيْزَكُ. فَنَهَاهُ، فَصَمَّمَ عَلَى الذَّهَابِ، فَلَمَّا رَآهُ نَيْزَكُ عَازِمًا عَلَى الذَّهَابِ تَمَثَّلَ نَيْزَكُ بِقَوْلِ الشَّاعِرِ:
مَا لِلرِّجَالِ مَعَ الْقَضَاءِ مَحَالَةٌ ... ذَهَبَ الْقَضَاءُ بِحِيلَةِ الْأَقْوَامِ
ثُمَّ قَالَ لَهُ: احْفَظْ عَنِّي وَاحِدَةً. قَالَ: وَمَا هِيَ؟ قَالَ: إِذَا دَخَلْتَ عَلَيْهِ فَاقْتُلْهُ، ثُمَّ بَايِعْ مَنْ شِئْتَ بِالْخِلَافَةِ; فَإِنَّ النَّاسَ لَا يُخَالِفُونَكَ. وَكَتَبَ أَبُو مُسْلِمٍ إِلَى الْمَنْصُورِ يُعْلِمُهُ بِقُدُومِهِ عَلَيْهِ.
قَالَ أَبُو أَيُّوبَ كَاتِبُ الرَّسَائِلِ: فَدَخَلْتُ عَلَى الْمَنْصُورِ وَهُوَ فِي خِبَاءِ شِعْرٍ بِالرُّومِيَّةِ جَالِسًا عَلَى مُصَلَّاهُ بَعْدَ الْعَصْرِ، وَبَيْنَ يَدَيْهِ كِتَابٌ، فَأَلْقَاهُ إِلَيَّ فَإِذَا هُوَ كِتَابُ أَبِي مُسْلِمٍ إِلَيْهِ، ثُمَّ قَالَ الْخَلِيفَةُ: وَاللَّهِ لَئِنْ مَلَأْتُ عَيْنِي مِنْهُ لِأَقْتُلَنَّهُ. قَالَ أَبُو أَيُّوبَ: فَقُلْتُ: إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ. وَبِتُّ تِلْكَ اللَّيْلَةَ لَا يَأْتِينِي نَوْمٌ، وَفَكَّرْتُ فِي هَذِهِ الْوَاقِعَةِ، وَقُلْتُ: إِنْ دَخَلَ أَبُو مُسْلِمٍ خَائِفًا رُبَّمَا يَبْدُو أَنَّهُ يَبْدُرُ مِنْهُ شَيْءٌ إِلَى الْخَلِيفَةِ، وَالْمَصْلَحَةُ أَنْ يَدْخُلَ آمِنًا لِيَتَمَكَّنَ مِنْهُ الْخَلِيفَةُ. فَلَمَّا أَصْبَحْتُ طَلَبْتُ رَجُلًا مِنَ الْأُمَرَاءِ، وَقُلْتُ لَهُ: هَلْ لَكَ أَنْ تَتَوَلَّى مَدِينَةَ كَسْكَرٍ; فَإِنَّهَا مُغِلَّةٌ فِي هَذِهِ
পৃষ্ঠা - ৭৯২৭
আমি তাকে হত্যা করব ৷ এরপর মানসুর তাকে হত্যার জন্য চারজন বিশিষ্ট প্রহরী নির্বাচিত করে
তাদেরকে তাকে হত্যা করার ব্যাপারে নির্দেশ দিয়ে বললেন, তোমরা পর্দার আড়ালে অবস্থান
করবে, আমি যখন হাততালি দিব তখন তোমরা এসে তাকে হত্যা করবে ৷ এরপর খলীফা
মানসুর আবু মুসলিমের কাছে এক দুত পাঠালেন ৷ তখন ১ আবু মুসলিম এসে প্রথমে খলীফা র
বাস ভবনে প্রবেশ করলেন এরপর ম্মিতমুখে খলীফার সামনে ৷ সাক্ষাতে প্রবের্শ করলেন ৷ তিনি
যখন খলীফার মুখোমুখি হলেন তখন খলীফা তাকে একে একে তার সকল কৃতকর্মের জন্য
তিরস্কার করতে লাগলেন ৷ আর তিনি তার সব বিষয়ে অজুহাত পেশ করতে লাগলেন ৷ তারপর
বললেন, হে আমীরুল মু’মিনীন আমার প্রত্যাশা যে এখন আপনার মন আমার প্রতি ৩প্রসন্ন হয়েছে ৷
তখন মানসুর বললেন, আল্লাহর কসম ! এসব কিছু তোমার প্রতি আমার ঘোষ বৃদ্ধি করেছে ৷
এরপর তিনি হাতত৷ ৷লি দিলেন তখন উছমান ও তার সঙ্গীরা এসে তাকে তরবারির আঘাতে হত্যা
করল এবং তারা তাকে একটি আলখেল্লায় জড়িয়ে রাখল ৷ এরপর খলীফা মানসুর তার
শবদেহকে দজলায় নিক্ষেপের নির্দেশ দিলেন ৷ এটা ই ছিল তা ৷র শেষ পরিণতি ৷ আবু মুসলিমের
হত্যাকাণ্ড সং ঘটিত হয় ১৩৭ হিজরীর শা বা ন মাসের ২৬ তারিখ বুধবার ৷
যে সব কথা বলে খলীফা মা৷নসুর৩ তাকে তিরস্কার করেন৩ তার অন্যতম হল৩ তিনি তাকে
বলেন, একাধিকবার তমি নিজেকে প্রথমে উল্লেখ করে আমার কাছে পত্র প্রেরণ করেছে৷ ৷ আর
তমি আমার ফুফু আমীনাকে বিবাহ প্রস্তাব দেওয়ার স্পর্ধা দেখিয়েছ ৷ উপরন্তু তমি দা ৷বী করে থাক
যে তুমি সুলায়ত ইবন আবদৃল্লাহ্ ইবন আব্বাসের সন্তান ৷ তখন আবু মুসলিম বলেন, হে
আমীরুল মু’মিনীন, আমার সম্পর্কে একথা বলা ঠিক হবে কি অথচ আপনাদের জন্য আমি কী
করেছি তা সকলেই জ৷ নে ৷ তখন মানসুর বলেন, হতভা ৷প৷ ! কো ন কৃযওকা য় দ৷ ৷সীও যদি এ বিষয়ে
তৎপর হত তাহলেও আল্লাহ আমাদের ভাগ্যরুপে এবং আমাদের সতর্কতা অবলম্বনের কারণে তা
পুর্ণ করত ৷ তারপর তিনি বলেন, আল্লাহ্র কসম ! আমি তোমাকে হত্যা করবই ! তখন আবু
মুসলিম বলেন, হে আমীরুলমু’মিনীনঃ ! আমাকে আপনার শত্রুদের মুকাবিলার জন্য জীবিত
রাখুন ৷ তখন তিনি বলেন, তোমার চেয়ে ঘোরতর শত্রু আমার আর কে আছে ? এরপর তিনি
তাকে হত্যা র ৷নির্দেশ দেন, যেমনটি পুর্বে উল্লেখ করা হয়েছে ৷ তখন আনক আমীর তাকে বলেন,
হে আমীরুল মু’মিনীন ! এখন আপনি প্রকৃত খলীফা ৷হতে পেয়েছেন ৷ বর্ণিত আছে এসময়
খলীফা মানসুর এই কবিতা পঙ্ক্তি আবৃত্তি করেনং :
শ্
“আর তার সামনে (সফর সামগ্রী) নামিয়ে যাত্রা শেষ করল যেমন স্বজনদের মাঝে ফিরে
মুসাফিরের চোখ জুড়াল ৷ ”
ইবন খাল্লিকান উল্লেখ করেছেন যে, খলীফা মানসুর যখন আবুমুসলিমকে হত্যা করার ইচ্ছা
১ আল-আখরারুৎ তিওয়ালে (৩৮০ পৃ) রয়েছে, “এরপর যখন চতুর্থ দিন আসল আর মুরুজুজযাহাব (৩ খ :
৩৫৬ পৃ ) রয়েছে একাধিকবার আবু মুসলিম মানসুরের কাছে যান কিন্তু তিনি কিছুই প্রকাশ করেননি ৷ আল
ইমামা ওয়াস সিয়াসাতে রয়েছে এভাবে তিনি কয়েকদিন অবস্থান করেন, প্রতিদিন আবু জা ফরের কাছে
আসতে থাকেন ৷ আর ইবনুল আছামে (৮ খ ও ২২৫ পৃ ) রয়েছে ৷ এভাবে তিন দিন অবস্থানের পর যখন
চতুর্থ দিন আসল ৷
السَّنَةِ؟ فَقَالَ: وَمَنْ لِي بِذَلِكَ؟ فَقُلْتُ لَهُ: فَاذْهَبْ إِلَى أَبِي مُسْلِمٍ، فَتَلَقَّهُ فِي الطَّرِيقِ، فَاطْلُبْ مِنْهُ أَنْ يُوَلِّيَكَ تِلْكَ الْبَلَدَ; فَإِنَّ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ يُرِيدُ أَنْ يُوَلِّيَهُ مَا وَرَاءَ بَابِهِ وَيَسْتَرِيحَ لِنَفْسِهِ. وَاسْتَأْذَنْتُ الْمَنْصُورَ لَهُ أَنْ يَذْهَبَ إِلَى أَبِي مُسْلِمٍ، فَأَذِنَ لَهُ، وَقَالَ لَهُ: سَلِّمْ عَلَيْهِ، وَقُلْ لَهُ: إِنَّا بِالْأَشْوَاقِ إِلَيْهِ. فَسَارَ ذَلِكَ الرَّجُلُ - وَهُوَ سَلَمَةُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ جَابِرٍ - إِلَى أَبِي مُسْلِمٍ، فَأَخْبَرَهُ بِاشْتِيَاقِ الْخَلِيفَةِ إِلَيْهِ فَسَرَّهُ ذَلِكَ وَانْشَرَحَ، وَإِنَّمَا هُوَ غُرُورٌ وَمَكْرٌ بِهِ، فَلَمَّا سَمِعَ أَبُو مُسْلِمٍ بِذَلِكَ عَجَّلَ السَّيْرَ، فَلَمَّا قَرُبَ مِنَ الْمَدَائِنِ أَمَرَ الْخَلِيفَةُ الْقَوَّادَ وَالْأُمَرَاءَ أَنْ يَتَلَقَّوْهُ، وَكَانَ دُخُولُهُ عَلَى الْمَنْصُورِ مِنْ آخِرِ ذَلِكَ الْيَوْمِ، وَقَدْ أَشَارَ أَبُو أَيُّوبَ عَلَى الْمَنْصُورِ أَنْ يُؤَخِّرَ قَتْلَهُ فِي سَاعَتِهِ هَذِهِ إِلَى الْغَدِ، فَقَبِلَ ذَلِكَ مِنْهُ، فَلَمَّا دَخَلَ أَبُو مُسْلِمٍ عَلَى الْمَنْصُورِ مِنَ الْعَشِيِّ، قَالَ: اذْهَبْ فَأَرِحْ نَفْسَكَ، وَادْخُلِ الْحَمَّامَ، فَإِذَا كَانَ الْغَدُ فَأْتِنِي. فَخَرَجَ مِنْ عِنْدِهِ، وَجَاءَهُ النَّاسُ يُسَلِّمُونَ عَلَيْهِ، فَلَمَّا كَانَ الْغَدُ طَلَبَ الْخَلِيفَةُ بَعْضَ الْأُمَرَاءِ، فَقَالَ لَهُ: كَيْفَ بَلَائِي عِنْدَكَ؟ قَالَ: وَاللَّهِ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، لَوْ أَمَرْتَنِي أَنْ أَقْتُلَ نَفْسِي لَقَتَلْتُهَا. قَالَ: فَكَيْفَ بِكَ إِذَا أَمَرْتُكَ بِقَتْلِ أَبِي مُسْلِمٍ؟ قَالَ: فَوَجَمَ سَاعَةً، ثُمَّ قَالَ لَهُ أَبُو أَيُّوبَ: مَا لَكَ لَا تَتَكَلَّمُ؟ فَقَالَ قَوْلَةً ضَعِيفَةً: أَقْتُلُهُ. ثُمَّ اخْتَارَ لَهُ مِنْ عُيُونِ الْحَرَسِ أَرْبَعَةً، فَحَرَّضَهُمُ الْخَلِيفَةُ عَلَى قَتْلِهِ، وَقَالَ: كُونُوا مِنْ وَرَاءِ الرِّوَاقِ، فَإِذَا صَفَّقْتُ فَاخْرُجُوا عَلَيْهِ فَاقْتُلُوهُ. ثُمَّ أَرْسَلَ الْخَلِيفَةُ إِلَى أَبِي مُسْلِمٍ رُسُلًا تَتْرَى; يَتْبَعُ بَعْضُهُمْ بَعْضًا، فَأَقْبَلَ أَبُو مُسْلِمٍ فَدَخَلَ دَارَ الْخِلَافَةِ، ثُمَّ دَخَلَ عَلَى الْخَلِيفَةِ وَهُوَ يَبْتَسِمُ، فَلَمَّا وَقَفَ بَيْنَ يَدَيْهِ جَعَلَ الْمَنْصُورُ يُعَاتِبُهُ فِي الَّذِي صَنَعَ
পৃষ্ঠা - ৭৯২৮
وَاحِدَةً وَاحِدَةً، فَيَعْتَذِرُ عَنْ ذَلِكَ كُلِّهِ فِيمَا كَانَ اعْتَمَدَهُ مِنَ الْأُمُورِ الَّتِي تَسَرَّعَ فِيهَا. ثُمَّ قَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، أَرْجُو أَنْ تَكُونَ نَفْسُكَ قَدْ طَابَتْ عَلَيَّ. فَقَالَ: وَاللَّهِ مَا زَادَنِي هَذَا إِلَّا غَضَبًا عَلَيْكَ. ثُمَّ ضَرَبَ بِإِحْدَى يَدَيْهِ عَلَى الْأُخْرَى، فَخَرَجَ عُثْمَانُ وَأَصْحَابُهُ، فَضَرَبُوهُ بِالسُّيُوفِ حَتَّى قَتَلُوهُ، وَلَفُّوهُ فِي عَبَاءَةٍ، ثُمَّ أَمَرَ بِإِلْقَائِهِ فِي دِجْلَةَ، وَكَانَ آخِرَ الْعَهْدِ بِهِ، وَكَانَ مَقْتَلُهُ فِي يَوْمِ الْأَرْبِعَاءِ لِأَرْبَعٍ بَقِينَ مِنْ شَعْبَانَ سَنَةَ سَبْعٍ وَثَلَاثِينَ وَمِائَةٍ.
وَكَانَ مِنْ جُمْلَةِ مَا عَاتَبَهُ بِهِ الْمَنْصُورُ أَنَّهُ قَالَ: كَتَبْتَ إِلَيَّ مَرَّاتٍ تَبْدَأُ بِنَفْسِكَ، وَأَرْسَلْتَ تَخْطُبُ عَمَّتِي أَمِينَةَ، وَتَزْعُمُ أَنَّكَ ابْنُ سُلَيْطِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ. إِلَى غَيْرِ ذَلِكَ. فَقَالَ أَبُو مُسْلِمٍ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، لَا يُقَالُ هَذَا لِي وَقَدْ سَعَيْتُ فِي أَمْرِكُمْ بِمَا عَلِمَهُ كُلُّ أَحَدٍ. فَقَالَ: وَيْلَكَ! لَوْ قَامَتْ فِي ذَلِكَ أَمَةٌ سَوْدَاءُ لَأَتَمَّهُ اللَّهُ; لِجَدِّنَا وَحَظِّنَا. ثُمَّ قَالَ: وَاللَّهِ لَأَقْتُلَنَّكَ. فَقَالَ: اسْتَبْقِنِي يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ لِأَعْدَائِكَ. فَقَالَ: وَأَيُّ عَدُوٍّ لِي أَعْدَى مِنْكَ؟! ثُمَّ أَمَرَ بِقَتْلِهِ فَقُتِلَ، كَمَا ذَكَرْنَا، فَقَالَ لَهُ بَعْضُ الْأُمَرَاءِ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، الْآنَ صِرْتَ خَلِيفَةً. وَيُقَالُ: إِنَّ الْمَنْصُورَ أَنْشَدَ عِنْدَ ذَلِكَ: