ثم دخلت سنة سبع وثلاثين ومائة
ذكر خروج عبد الله بن علي بن عبد الله بن عباس على ابن أخيه المنصور
পৃষ্ঠা - ৭৯১৯
১৩৭ হিজরীর সুচনা
খলীফা মানসুরেৱ বিরুদ্ধে তার চাচা আবদুল্লাহ ইবন আলীর বিদ্রোহ
আবুজাফর মানসুর যখন তার ভাই সাফ্ফাহ-এর মৃত্যুর পর হজ্জ থেকে ফিরেন তখন তিনি
প্রথমে কুফড়ায় প্রবেশ করেন এবং কুফাবাসীর উদ্দেশ্যে জুমুআর দিন খুৎবা প্রদান করেন এবং
তাদেরকে জুমুআর নামায পড়ান ৷ তারপর তিনি সেখান থেকে আনবারে রওনা হন ৷ আর
ইতিমধ্যেই শাম ব্যতীত ইরাক, খুরাসান ও অন্যান্য সকল অঞ্চলের অধিবাসীদের থেকে তার
অনুকুলে বায়আত গৃহীত হয় ৷ আর এদিকে ঈসা ইবন আলী অর্থভাণ্ডার ও অন্যান্য সংগ্রহশালা তার
আগমন পর্যন্ত সংরক্ষণ করেন, তারপর তিনি তার কর্তৃত্বে তার হাতে ন্যস্ত করেন ৷ এসময় তিনি
তার চাচা আবদুল্লাহ ইবন আলীকে সাফ্ফাহ্শ্এর মৃত্যুসংবাদ অবহিত করে পত্র প্রেরণ করেন ৷
তার কাছে যখন এই সংবাদ পৌছে তখন তিনি ঘোষণা দিয়ে লোকজনকে মসজিদে সমবেত
হওয়ার নির্দেশ দেন ৷ তার কাছে আমীর-উমারা ও সাধারণ লোকজন সমবেত হয় ৷ তখন তিনি
তাদেরকে সাফ্ফাহ্-এর মৃত্যুসংবাদ পাঠ করে শোনান ৷ এরপর তাদের উদ্দো,শ্য খুৎবা প্রদান
করেন ৷ এসময় তিনি উল্লেখ করেন যে, সাফ্ফাহ যখন তাকে মারওয়ানের বিরুদ্ধে প্রেরণ করেন
তখন তিনি তার সাথে অঙ্গীকার করেন যে, আমি যদি মারওয়ড়ানকে পরাজিত করতে পা , তাহলে
তার পরবর্তী খলীফা হব আমি ৷ একবার ইরাকের কতিপয় আমীর তার পক্ষে সাক্ষ্য দান করে
এবং উঠে গিয়ে তার হাতে বায়আত করে ৷ এরপর তিনি হার রানে ফিরে আসেন এবং চল্লিশ দিন
অবরোধের পর খলীফা মানসুরেৱ নায়িব মুকাতিল আল-আতকীকে হত্যা করে তার কর্তৃত্ব ছিনিয়ে
নেন ৷ খলীফা মানসুরেৱ কাছে যখন তার চাচার এসকল কর্মকাণ্ডের কথা পৌছে তখন তিনি
একদল উমারাসহ আবু মুসলিম থুরাসানীকে সসৈন্যে তার বিরুদ্ধে প্রেরণ করেন ৷ এদিকে
আবদুল্লাহ ইবন আলী হাবৃরানে আত্মরক্ষামুলক অবস্থান গ্রহণ করেন এবং বিপুল পরিমাণ রসদ ও
অস্ত্রসস্ত্র মজুদ করেন ৷ আর আবু মুসলিম রওনা হয়ে যান ৷ তার অগ্রবর্তী বাহিনীর প্রধান ছিল
মালিক ইবন হায়ছাম আল-খুযাঈ ৷ এরপর আবদুল্লাহ যখন আবু মুসলিমের আগমনের বিষয়ে
নিশ্চিত হন তখন তিনি ইরাকী বাহিনীর অসহযােগিতার আশঙ্কায় তাদের (প্রায়) সতের হাজার
যােদ্ধাকে হত্যা করেন ৷ এসময় তিনি হুমায়দ ইবন কাহতাবাকে হত্যা করতে মনস্থু করলে সে
তার থেকে আবু মুসলিমের কাছে পলায়ন করে ৷ এরপর আবদুল্লাহ ইবন আলী সসৈন্যে অগ্রসর
হয়ে নাসীবায়ন’ নামক স্থানে অবতরণ করেন এবং তার ফৌজের চারদিকে পরিখা খনন করেন ৷
এদিকে আবু মুসলিম অগ্রসর হয়ে এক পার্ণে অবতরণ করে আবদুল্লাহ্কে লিখেন আমাকে
আপনার বিরুদ্ধে লড়াই করার আদেশ দেওয়া হয়নি ৷ আমাকে আমীরুল মু’মিনীন শামের গভর্নর
নিয়োগ করে পাঠিয়েছেন ৷ আর আমারও উদ্দেশ্য তা-ই ৷ এ সময় আবদুল্লাহ্র সাথে শামীয়
সৈন্যরা আবু মুসলিমের এ কথায় আতঙ্কিত হয়ে বলল, আমরা আমাদের খ্রী-সন্তান, বাড়িঘর ও
অর্থ-সম্পদের ব্যাপারে শঙ্কিত আমরা তাদের রক্ষার্থে সেখানে ফিরে যেতে চাই ৷ তখন আবদুল্লাহ
[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ سَبْعٍ وَثَلَاثِينَ وَمِائَةٍ]
[ذِكْرُ خُرُوجِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ عَلَى ابْنِ أَخِيهِ الْمَنْصُورِ]
لَمَّا رَجَعَ أَبُو جَعْفَرٍ الْمَنْصُورُ مِنَ الْحَجِّ دَخَلَ الْكُوفَةَ، فَخَطَبَ بِأَهْلِهَا يَوْمَ الْجُمْعَةِ، ثُمَّ ارْتَحَلَ مِنْهَا إِلَى الْأَنْبَارِ، وَقَدْ أُخِذَتْ لَهُ الْبَيْعَةُ مِنْ أَهْلِ الْعِرَاقِ وَخُرَاسَانَ وَسَائِرِ الْبِلَادِ سِوَى الشَّامِ، وَقَدْ ضَبَطَ عِيسَى بْنُ مُوسَى بُيُوتَ الْأَمْوَالِ وَالْحَوَاصِلَ لِلْمَنْصُورِ حَتَّى قَدِمَ، فَسَلَّمَ إِلَيْهِ الْأَمْرَ، وَكَتَبَ إِلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَلِيٍّ وَهُوَ بِدُرُوبِ الرُّومِ يُعْلِمُهُ بِوَفَاةِ السَّفَّاحِ، فَلَمَّا بَلَغَهُ الْخَبَرُ نَادَى فِي النَّاسِ: الصَّلَاةُ جَامِعَةً. فَاجْتَمَعَ إِلَيْهِ الْأُمَرَاءُ وَالنَّاسُ، فَقَرَأَ عَلَيْهِمْ وَفَاةَ السَّفَّاحِ، ثُمَّ قَامَ فِيهِمْ خَطِيبًا، فَذَكَرَ أَنَّ السَّفَّاحَ كَانَ عَهِدَ إِلَيْهِ حِينَ بَعَثَهُ إِلَى مَرْوَانَ أَنْ يَكُونَ الْأَمْرُ إِلَيْهِ مِنْ بَعْدِهِ، وَشَهِدَ لَهُ بَعْضُ أُمَرَاءِ خُرَاسَانَ بِذَلِكَ، وَنَهَضُوا إِلَيْهِ فَبَايَعُوهُ، وَرَجَعَ إِلَى حَرَّانَ فَتَسَلَّمَهَا مِنْ نَائِبِ الْمَنْصُورِ بَعْدَ مُحَاصَرَةٍ أَرْبَعِينَ لَيْلَةً، وَقُتِلَ مُقَاتِلٌ
পৃষ্ঠা - ৭৯২০
বলল, দুর্ভাগ্য তোমাদের ! আল্লাহর কসম ! সে তো আমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্যই
এসেছে ৷ কিন্তু , তারা শামে প্রত্যাবর্তন ছাড়া অন্য কিছু মানতে প্রস্তুত ছিল না ৷ তখন আবদুল্লাহ
তার মনযিল ত্যাগ করে শাম অভিমুখে রওনা হলেন ৷ তখন আবু মুসলিম গিয়ে তার স্থানে
অবস্থান গ্রহণ করলেন এবং সেই স্থানের চ ৷রপাশের পা নি নিঃশেষ হয়ে গেল ৷ উল্লেখ্য যে
আবদুল্লাহ যে স্থান থেকে সরে গিয়েছিলেন তা ছিল তা ত্যম্ভ সুবিধাজনক স্থান ৷ এরপর আবদুল্লাহ ও
বা তার সাথীরা আবু মুসলিমের পরিত্যক্ত স্থানে এসে দেখলেন তা অত্যন্ত অসুবিধাজনক স্থান ৷
এরপর আবু মুসলিম যুদ্ধের সুচনা করলেন ৷ তিনি পাচমাস তাদের বিরুদ্ধে আক্রমণ পরিচা ৷লনা
করতে থাকলেন ৷ এসময় আবদুল্লাহ্র অশ্ববা ৷হিনীর নেতৃত্বে ছিলত মর তাই আবদুস সামাদ ইবন
আলী, আ র তা ৷র ফৌজের দক্ষিণ বাহুর প্রধান ছিল বাক্ক৷ র ইবন মুসলিম আল-উকায়লী, আর
উত্তর বা বাম বাহুর নেতৃত্বে ছিল হাবীব ইবন সুওয়ায়দ আল আসাদী ৷ অপরদিকে আবু মুসলিম
বাহিনীর দক্ষিণ বাহুর নেতৃত্বে ছিল হাসান ইবন কাহতাবা আর বাম বা উত্তর বাহুর নেতৃত্বে ছিল
আবু নসর খাযিম ইবন খুযায়ম ৷ এসময় উভয় বাহিনীর মাঝে বহু খণ্ডযুদ্ধ সংঘটিত হল এবং
অ-শুভ দিনসমুহে তাদের বহু সংখ্যক লোক নিহত হল ৷ আর আবু মুসলিম আক্রমণের সময় যুদ্ধ
উন্মাদনায় আবৃত্তি করতেন ও
ষ্ #
ট্টন্থ৷ এ
“যে ব্যক্তি তা ৷র স্বজনদের কাছে ফিরতে চেয়েছিল সে আর (করেনি, মৃত্যু থেকে পলায়ন
করতে গিয়ে সে মৃত ৷র নহরেই পতিত হয়েছে ৷
যুদ্ধের ময়দানে তার জন্য বিশ্বে যে আসন নির্মিত ছিল ৷ দুই বাহিনী যখন মুখোমুখি হত তখন
তিনি তাতে অবস্থান করতেন ৷ এসময় তার বাহিনীতে যখনই কোন ত্রুটি দেখতেন দুত পাঠিয়ে
তা সংশোধন করতেন ৷ এরপর যখন জুমাদাল উখর৷ মাসের সাত তারিখ মঙ্গল বা বুধবার হল
তখন উভয় বাহিনী প্রচণ্ড সংঘর্ষে লিপ্ত হল ! এসময় আ বু মুসলিম কুট-কৌশল অবলম্বন করলেন ৷
তার ফৌজের দক্ষিণ বাহিনীর আমির হাসান ইবন কাহতাবাকে নির্দেশ প্রদান করলেন সামান্য
সংখ্যক ফৌজ রেখে বাকিদের নিয়ে উত্তর বা বাম বাহুতে স্থানা ৷ম্ভরিত হতে ৷ এদিকে শামীয়
সৈন্যরা যখন তা দেখল তখন তারা সৈন্যসমৃদ্ধ বাম বাহুর বিপরীতে অবস্থানরত ৩ডান বাহুর দিকে
অগ্রসর হল ৷ আর আবু মুসলিম বা খনত তার ফৌজের মধ্য বাহিনীকে নির্দেশ দিলে ডান বাহুর
অবশিষ্টদের সাথে নিয়ে শামীয় ফৌজের বাম বাহুর উপর আক্রমণ করতে ৷ তখন তারা তাদেরকে
বিপর্যস্ত করল ৷ এদিকে শামীয় ফৌজের মধ্যবর্তী বাহিনী এবং দক্ষিণ বাহু পিছু হটে পুনরায়
আক্রমণ করল ৷ অবশেষে থুরাসানী ফৌজ শামীয় ফৌজের বিরুদ্ধে চুড়ান্ত আক্রমণ করলে তারা
পরাজিত হল ৷ বেশ কিছুক্ষণ টিকে থাকার পর আবদুল্লাহ ইবন আলীও পরাজিত হলেন আর আবু
মুসলিম তাদের ফৌজের সবকিছু দখল করে নিলেন ৷ এরপর আবু মুসলিম অবশিষ্ট সকলকে
নিরাপত্তা প্রদান করলেন এবং তাদের কাউকে হত্যা করলেন না ৷ এসময় তিনি খলীফ৷ মানসুরকে
তার অভিয৷ ৷নের ফলাফল জানিয়ে পত্র লিখলেন ৷ তখন মানসুর৩ তা রমাওলা আবু খাসীবকে প্রেরণ
করলেন ৷ আবদুল্লাহ্র সেনাছাউনিতে প্রাপ্ত গনীমরু তর হিসাব নিতে ৷ এ কারণে আবু মুসলিম
খুরাসানী তার প্রতি অসন্তুষ্ট হলেন ৷ এত ৷বে আবু জ ফর মানসুরের শাসন কতৃতৃ সুস হত হল ৷
الْعَكِّيُّ نَائِبُهَا، فَلَمَّا بَلَغَ الْمَنْصُورَ مَا كَانَ مِنْ أَمْرِ عَمِّهِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَلِيٍّ بَعَثَ إِلَيْهِ أَبَا مُسْلِمٍ الْخُرَاسَانِيَّ، وَمَعَهُ جَمَاعَةٌ مِنَ الْأُمَرَاءِ، وَقَدْ تَحَصَّنَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَلِيٍّ بِحَرَّانَ، وَأَرْصَدَ عِنْدَهُ مِمَّا يَحْتَاجُ إِلَيْهِ مِنَ الْأَطْعِمَةِ وَالسِّلَاحِ شَيْئًا كَثِيرًا جِدًّا. وَسَارَ أَبُو مُسْلِمٍ وَعَلَى مُقَدِّمَتِهِ مَالِكُ بْنُ الْهَيْثَمِ الْخُزَاعِيُّ، وَلَمَّا تَحَقَّقَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَلِيٍّ قُدُومَ أَبِي مُسْلِمٍ إِلَيْهِ خَشِيَ مِنْ جَيْشِ خُرَاسَانَ الَّذِينَ مَعَهُ أَنْ لَا يُنَاصِحُوهُ، فَقَتَلَ مِنْهُمْ سَبْعَةَ عَشَرَ أَلْفًا، وَأَرَادَ قَتْلَ حُمَيْدِ بْنِ قُحْطُبَةَ، فَهَرَبَ مِنْهُ إِلَى أَبِي مُسْلِمٍ. وَرَكِبَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَلِيٍّ، فَنَزَلَ نَصِيبِينَ وَخَنْدَقَ حَوْلَ عَسْكَرِهِ، وَأَقْبَلَ أَبُو مُسْلِمٍ، فَنَزَلَ نَاحِيَةً، وَكَتَبَ إِلَى عَبْدِ اللَّهِ: إِنِّي لَمْ أُومَرْ بِقِتَالِكَ، وَإِنَّمَا بَعَثَنِي أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ وَالِيًا عَلَى الشَّامِ فَأَنَا أُرِيدُهَا. فَخَافَ جُنُودُ الشَّامِ مِنْ هَذَا الْكَلَامِ وَقَالُوا: إِنَّا نَخَافُ عَلَى ذَرَارِينَا وَأَمْوَالِنَا، فَنَحْنُ نَذْهَبُ إِلَيْهَا نَمْنَعُهُمْ مِنْهُ. فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَلِيٍّ: وَيْحَكُمْ! وَاللَّهِ إِنَّهُ لَمْ يَأْتِ إِلَّا لِقِتَالِنَا. فَأَبَوْا إِلَّا أَنْ يَرْتَحِلُوا نَحْوَ الشَّامِ فَتَحَوَّلَ عَبْدُ اللَّهِ مِنْ مَنْزِلِهِ ذَلِكَ، وَقَصَدَ نَاحِيَةَ الشَّامِ، فَنَهَضَ أَبُو مُسْلِمٍ، فَنَزَلَ فِي مَوْضِعِ عَسْكَرِ عَبْدِ اللَّهِ، وَغَوَّرَ مَا حَوْلَهُ مِنَ الْمِيَاهِ، وَكَانَ نَزَلَ عَبْدُ اللَّهِ مَنْزِلًا جَيِّدًا جِدًّا، وَاحْتَاجَ عَبْدُ اللَّهِ وَأَصْحَابُهُ، فَنَزَلُوا فِي الْمَوْضِعِ الَّذِي نَزَلَ فِيهِ أَبُو مُسْلِمٍ فَوَجَدُوهُ مَنْزِلًا رَدِيئًا، ثُمَّ أَنْشَأَ أَبُو مُسْلِمٍ الْقِتَالَ، فَحَارَبَهُمْ خَمْسَةَ أَشْهُرٍ أَوْ سِتَّةَ أَشْهُرٍ، وَكَانَ عَلَى خَيْلِ عَبْدِ اللَّهِ أَخُوهُ عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ عَلِيٍّ، وَعَلَى مَيْمَنَتِهِ بَكَّارُ بْنُ مُسْلِمٍ الْعُقَيْلِيُّ، وَعَلَى مَيْسَرَتِهِ حَبِيبُ بْنُ سُوَيْدٍ الْأَسَدِيُّ، وَعَلَى مَيْمَنَةِ أَبِي مُسْلِمٍ الْحَسَنُ بْنُ قُحْطُبَةَ، وَعَلَى مَيْسَرَتِهِ أَبُو نَصْرٍ خَازِمُ بْنُ
পৃষ্ঠা - ৭৯২১
خُزَيْمَةَ، وَقَدْ جَرَتْ بَيْنَهُمْ وَقَعَاتٌ، وَقُتِلُ مِنْهُمْ جَمَاعَاتٌ فِي أَيَّامٍ نَحِسَاتٍ، وَقَدْ كَانَ أَبُو مُسْلِمٍ إِذَا حَمَلَ يَرْتَجِزُ وَيَقُولُ:
مَنْ كَانَ يَنْوِي أَهْلَهُ فَلَا رَجَعْ ... فَرَّ مِنَ الْمَوْتِ وَفِي الْمَوْتِ وَقَعْ
وَكَانَ يُعْمَلُ لَهُ عَرِيشٌ، فَيَكُونُ فِيهِ إِذَا الْتَقَى الْجَيْشَانِ، فَمَا رَأَى فِي جَيْشِهِ مِنْ خَلَلٍ أَرْسَلَ فَأَصْلَحَهُ. فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ الثُّلَاثَاءِ أَوِ الْأَرْبِعَاءِ لِسَبْعٍ خَلَوْنَ مِنْ جُمَادَى الْآخِرَةِ الْتَقَوْا، فَاقْتَتَلُوا قِتَالًا شَدِيدًا، فَمَكَرَ بِهِمْ أَبُو مُسْلِمٍ; بَعَثَ إِلَى الْحَسَنِ بْنِ قُحْطُبَةَ أَمِيرِ الْمَيْمَنَةِ، يَأْمُرُهُ أَنْ يَتَحَوَّلَ بِمَنْ مَعَهُ إِلَّا الْقَلِيلَ، إِلَى الْمَيْسَرَةِ، فَلَمَّا رَأَى ذَلِكَ أَهْلُ الشَّامِ انْحَازُوا إِلَى الْمَيْمَنَةِ بِإِزَاءِ الْمَيْسَرَةِ الَّتِي تَعَمَّرَتْ، فَأَرْسَلَ حِينَئِذٍ أَبُو مُسْلِمٍ إِلَى الْقَلْبِ أَنْ يَحْمِلَ بِمَنْ بَقِيَ فِي الْمَيْمَنَةِ عَلَى مَيْسَرَةِ أَهْلِ الشَّامِ، فَحَطَّمُوهُمْ، فَجَالَ أَهْلُ الْقَلْبِ وَالْمَيْمَنَةِ مِنَ الشَّامِيِّينَ، فَحَمَلَ الْخُرَاسَانِيُّونَ فَكَانَتِ الْهَزِيمَةُ، وَانْهَزَمَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَلِيٍّ بَعْدَ تَلَوُّمٍ، وَاحْتَازَ أَبُو مُسْلِمٍ مَا كَانَ فِي مُعَسْكَرِهِمْ مِنَ الْأَمْوَالِ وَالْحَوَاصِلِ، وَأَمَّنَ أَبُو مُسْلِمٍ بَقِيَّةَ النَّاسِ فَلَمْ يَقْتُلْ مِنْهُمْ أَحَدًا، وَكَتَبَ إِلَى الْمَنْصُورِ بِذَلِكَ، فَأَرْسَلَ الْمَنْصُورُ مَوْلَاهُ أَبَا الْخَصِيبِ لِيُحْصِيَ مَا وَجَدُوا فِي مُعَسْكَرِ عَبْدِ اللَّهِ، فَغَضِبَ مِنْ ذَلِكَ أَبُو مُسْلِمٍ الْخُرَاسَانِيُّ، وَاسْتَوْسَقَتِ الْمَمَالِكُ لِأَبِي جَعْفَرٍ الْمَنْصُورِ فِي الْمَشَارِقِ وَالْمَغَارِبِ، وَمَضَى عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَلِيٍّ وَأَخُوهُ عَبْدُ الصَّمَدِ عَلَى وُجُوهِهِمَا، فَلَمَّا مَرَّا بِالرُّصَافَةِ أَقَامَ بِهَا عَبْدُ الصَّمَدِ، فَلَمَّا رَجَعَ أَبُو الْخَصِيبِ وَجَدَهُ بِهَا، فَأَخَذَهُ مُقَيَّدًا فِي الْحَدِيدِ، فَأَدْخَلَهُ عَلَى الْمَنْصُورِ، فَدَفَعَهُ إِلَى عِيسَى بْنِ مُوسَى، فَاسْتَأْمَنَ لَهُ مِنَ الْمَنْصُورِ، وَقِيلَ: بَلِ اسْتَأْمَنَ لَهُ إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَلِيٍّ. وَأَمَّا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَلِيٍّ، فَإِنَّهُ ذَهَبَ إِلَى أَخِيهِ سُلَيْمَانَ بْنِ عَلِيٍّ بِالْبَصْرَةِ، فَأَقَامَ